এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বীমা যোজনা

    ঈশান লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২৩ অক্টোবর ২০১৩ | ১৫০০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঈশান | ২৮ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:৪৫620558
  • আকার সমস্যা হচ্ছে, মন দিয়ে পড়ছেন না। আমি ১ থেকে ৪ পর্যন্ত প্রত্যেকটা স্তরে কোনটির প্রতি কী আস্থা থাকতে পারে বিশদে লিখেছি। সমস্তটা ফেল করলে পরবর্তী চেকপয়েন্ট কি সেটাও লিখেছি। এবার, এই নয়, যে, এর পরে কোনো প্রশ্ন উঠবেনা। কিন্তু সেটা তো ফ্রেম করতে হবে। "আপনার এই ধাপটি এই এই কারণে কাজ করবেনা" -- এইগুলো বলতে হবে। নইলে কিকরে কুশলতা এনসিওর করার কথা ভাবা হচ্ছে, সেটা পুরোটা লেখার পর, আবার যদি "কিকরে এনসিওর করলেন" প্রশ্নটাই যদি আসে, তাহলে আমিও তো ওই একই কথাগুলোই আরেকবার লিখে বলব, "এইভাবে এনসিওর করলাম"।

    প্রশ্ন বা আলোচনা করলে আরেকটু যত্ন করে করুন না। সময় নিয়ে। অসুবিধে কি? আর এইটা ধরে নেবার কোনো কারণ নেই, যে, আমি কোনো খোঁজখবর ছাড়া শূন্যে তত্ত্বকথা আওড়াচ্ছি। পয়েন্টের জবাবে পয়েন্ট দিন, কথা বলা যাবে।

    অবশ্য আমি আরেকটা কাজ করতে পারি। এর মধ্যেও যে প্রশ্নগুলো খানিকটা আন্দাজ করা যাচ্ছে, সেগুলো অ্যাড্রেস করতে পারি। সে নাহয় একটু বাদে করছি।
  • ঈশান | ২৮ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:০৩620559
  • আকার প্রথম পয়েন্ট হল স্বাস্থ্যব্যবস্থা অপ্রতুল। "ভারতে প্রতি ৮৭৯ জনের জন্য ১টি হসপিটাল বেড।" অপ্রতুলতা আছে, কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তার পরেও এটা আসলে বৃহত্তর একটি বিতর্কের অংশ। যেটাকে আমরা জনস্বাস্থ্য বলি। হাসপাতালের নিশ্চয়ই দরকার আছে, কিন্তু স্বাস্থ্য উন্নত করার সেটাই কি প্রধানতম রাস্তা? জনস্বাস্থ্য ও তৎসংলগ্ন উন্নয়ন ও অর্থনীতি নিয়ে গুচ্ছের আলোচনা হয়েছে, যেটা দেখায়, যে, না, প্রধানতম রাস্তা ওইটি নয়। স্বাস্থ্যব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নতির বৃহদাংশটিই হাসপাতাল বা ডাক্তারখানার বাইরে নির্ধারিত হয়। বিশেষতঃ সামর্থ্য সীমিত থাকলে ওইদিকে নজর দেওয়া অধিক প্রয়োজন। যাতে হাসপাতালের প্রয়োজনটাই কমিয়ে আনা যায়। এখানে মূলতঃ হাসপাতাল নিয়ে কথা হচ্ছে বলে ওইটায় ঢুকলাম না। আগ্রহ থাকলে আলাদা করে আলোচনা করা যাবে।

    দ্বিতীয় পয়েন্টটি হল, কিকরে এনসিওর করা যায়, সরকার ব্যবস্থা ও অ-সরকারি নজরদারি চলবে। এ বিষয়ে আগে লিখেছিলাম, " বেসরকারি (অর্থাৎ মূলতঃ সমীক্ষা নির্ভর) চেকায়েন্ট ঠিক কাজ করবে, গ্যারান্টি কী? না, এদের ইতিমধ্যেই একটা নজরদারির প্রক্রিয়া আছে। তার মধ্যেও নয়ছয় হয়, কিন্তু তার পরেও সরকারি প্রক্রিয়ার চেয়ে এরা এখনও বেশি দক্ষ। সমীক্ষা ইত্যাদির কাজে। সেটা কাজে লাগানো যেতে পারে। স্থানীয় স্তরে কিছু আঁতাত হতেই পারে, কিন্তু সার্বিকভাবে আঁতাতটা রোখার জন্য একটি নজরদারির পদ্ধতি আছে। কিন্তু এটা কী জালি রোখার গ্যারান্টি? না, নয়।"

    এর পরে আমি লিখেছিলাম, এরা ব্যর্থ হলেও কিভাবে বাকিটা করা যায়। যথেষ্ট আন্ডার এস্টিমেট করেই লিখেছিলাম। যেকোনো প্রজেক্ট করার আগেই একটা পাইলট করতে হয়। ঘটনাচক্রে এই ধরণের কাজ ছোটো এবং বড়ো স্তরে ইতিপূর্বেই হয়েছে। খুব সফল এবং দক্ষভাবেই হয়েছে। এই নজরদারির ধরণটি নিয়ে যৌক্তিক কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই করবেন, বিশদে লেখা যাবে। অথবা আমি আলাদা করে একটা লেখাও বানাতে পারি, কিন্তু তাতে সময় লাগবে।

    তবে আমার দিক থেকে অনুরোধ একটাই। এগুলো লিখতে সময় লাগে, মস্তিষ্কও দিতে হয়। ঠিক টাইমপাস করার মতো করে লেখা যায়না। কাজেই যুক্তি যেগুলি দেওয়া হচ্ছে সেগুলি, এবং সামগ্রিকভাবে গোটা লেখাটাই একটু মন দিয়ে পড়তে হবে। নচেৎ, একই কথা বারবার লেখা বড়ো কঠিন কাজ।
  • aka | 79.73.9.7 | ২৮ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:০৫620560
  • ইশান ২৫ অক্টোবর ১০ঃ৫৭

    "যেটা ভুল হচ্ছে তাহল গরীবের চিকিৎসা ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই আছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে তাতে বিনা পয়সায় চিকিৎসা ও শস্তা বা কমদামে ওষুধ দেবার ব্যবস্থা আছে। ফলে গরীবের চিকিৎসার জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থারই দরকার নেই। পদ্ধতিটা ঠিক করলেই হয়।"

    তো স্ট্যাট দেবার পরে বললেন
    "অপ্রতুলতা আছে"। কিন্তু জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য এই হাসপাতাল তৈরিই বড় কথা নয়। সেই নিয়ে নাকি গুচ্ছের স্টাডি আছে।

    আপাতত দুটো প্রশ্ন

    ১) তাহলে কি আমরা মেনে নিলাম যে গরীবদের জন্য স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা ইতিমধ্যে আছে বলে দাবী করেছিলেন আসলে সেটা ভুল। কারণ সংখ্যা দেখাচ্ছে অপ্রতুলতা আছে যেটা আপনিও মেনে নিয়েছেন। কারণ সেটা হলে আপনার কনক্লুশন যে গরীবদের জন্য স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই আছে দরকার শুধু পদ্ধতিটা ঠিক করার, সেটাই দাঁড়ায় না।

    ২) এরকম স্টাডি পড়তে চাই যেখানে এমন দাবী করা হয়েছে যে এই প্রতি ৮০০ জনের জন্য একটি সরকারী হাসপাতালের বেড এই অপ্রতুলতা ঢাকা যাবে হসপিটাল তৈরি করে নয় অন্য কোন উপায়ে হসপিতালের বাইরে।

    বাকি কথা ইগনোর করলাম যুক্তি কম প্ড়িলে এসব পেরিফেরাল দিকে মন্যোগ দিতে হয় তা আমরা এতদিনে জেনে গিয়েছি। আপনিও ফোকাসটা ঠিক করুন। ঃ)
  • ঈশান | ২৮ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৪৮620561
  • কনক্রিট প্রশ্ন থাকলে উত্তর দিতে সুবিধে হয়।
    ১। "তাহলে কি আমরা মেনে নিলাম যে গরীবদের জন্য স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা ইতিমধ্যে আছে বলে দাবী করেছিলেন আসলে সেটা ভুল। "

    না, ভুল নয়। আমি লিখেছিলাম, চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে (সেটা যথেষ্ট কার্যকরী নয়)। স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা আছে লিখিনি। তখনও লিখিনি এখনও না। এখন আরেকটু যোগ করেছি, যে, চিকিৎসার ব্যবস্থা আর জনস্বাস্থ্য এদের মধ্যে পার্থক্য আছে। এই জন্যই একটু মন দিয়ে পড়তে অনুরোধ করেছিলাম।

    ২)"এরকম স্টাডি পড়তে চাই যেখানে এমন দাবী করা হয়েছে যে এই প্রতি ৮০০ জনের জন্য একটি সরকারী হাসপাতালের বেড এই অপ্রতুলতা ঢাকা যাবে হসপিটাল তৈরি করে নয় অন্য কোন উপায়ে হসপিতালের বাইরে।"

    এইটুকুর জন্য স্টাডির প্রয়োজন নেই। ক্যালিফোর্নিয়াতেই ৫০০+ মানুষ পিছু একটি বেড। সঠিক সংখ্যাটা একটু চেক করলেই জানা যাবে। আর সরকারি বেডের অপ্রতুলতা ঢাকার জন্য জনস্বাস্থ্য নয়।
  • aka | 79.73.9.7 | ২৮ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৫৪620562
  • মন দিয়ে পড়েই আবার প্রশ্ন করলাম গরীবদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা কি যথেষ্ট না অপ্রতুল? ভারতে ক্যালিফোর্নিয়ায় নয়।
  • aka | 79.73.9.7 | ২৮ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৫৫620563
  • ও হ্যাঁ স্টাডি আছে না নেই যে ১ঃ৮০০ গ্যাপ ভারতে হসপিটালের বাইরে মেটানো যাবে?
  • ঈশান | ২৮ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:০০620564
  • ৮০০ সংখ্যাটা যে বেশি নয়, এটা বোঝানোর জন্যই ক্যালিফোর্নিয়া। লিখে দেওয়া উচিত ছিল।:)

    আর হ্যাঁ, ভারতে "ব্যবস্থা" অপ্রতুল নয়। কিন্তু কার্যকারিতার অভাব আছে।
  • aka | 79.73.9.7 | ২৮ অক্টোবর ২০১৩ ০৯:৫৪620565
  • কবসিস্টেন্ট হোন সেটা যুক্তির প্রথম কথা।

    এই বললেন সব ঠিক আছে পদ্ধতি টা ঠিক করলেই হবে

    তারপরে বললেন না নস অপ্রতুল কিন্তু স্টাডি আছে যে অন্যরকম ভাবে সলভ করতে হবে।

    আবার বকলেন স্টাডির দরকার নেই ক্যালিফোর্নিয়ার উদাহরণ আছে।

    এতরকম কথা থেকে কি বুঝব সেটা একটু বুঝিয়ে বলুন। আপাতত আমি একটু ঃ)
  • ঈশান | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:২০620566
  • কনসিস্টেন্টলিই তো বলছি।
    "সব ঠিক আছে" একেবারেই বলিনি। বলেছি চিকিৎসাব্যবস্থায় গোলমাল আছে। কার্যকর নয়, কার্যকর করার দরকার আছে।
    তারপর বললাম স্বাস্থ্যব্যবস্থা অপ্রতুল। সেটা নিয়ে আলোচনা আছে।

    এখানে কনফিউশনটা হচ্ছে চিকিৎসাব্যবস্থা আর জনস্বাস্থ্যে গুলিয়ে ফেলায়। সেটা ফেলবেন না। ওটা আরেকবার পড়ে দেখুন। তারপর কোথায় আটকাচ্ছে জানান। উত্তর দেব।

    বেডের সংখ্যা নিয়ে আবার অঙ্ক কষে বলিঃ
    ১। ভারতে বেড সংখ্যা জনসংখ্যাপ্রতি "ক"।
    ২। ক্যালিফোর্নিয়ায় জনসংখ্যাপ্রতি বেডের সংখ্যা "খ"।
    ৩। "ক" ও "খ"এর মধ্যে খুব পার্থক্য নেই।
    ৪। ক্যালিফোর্নিয়া প্রথ্ম বিশ্বের একটি উন্নত ব্যবস্থার অঙ্গ।
    ৫। অতএব ভারতে বেডের সংখ্যা জনসংখ্যাপ্রতি খারাপ একথা বলা যাবেনা।
    ৬। জনসংখ্যাপ্রতি বেড যদি চিকিৎসাব্যবস্থার সূচক হয়, তাহলে ভারত খারাপ অবস্থায় নেই।

    এর কোথায় ফাঁক আছে বলুন। সবকথা এত ধাপে ধাপে বোঝাতে হএল তো মুশলি।
  • ঈশান | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:২২620568
  • মুশলি না, মুশকিল। :)
  • aka | 76.190.160.236 | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৩২620569
  • ক্যালিফোর্ণিয়ার সাথে ভারতের তুলনা চলে না শুধু মাত্র উন্নত জনস্বাথ্যের কারণে নয় আরও অনেক কারণে। আমার লিংকটা পড়ে দেখুন। ঐ ১ঃ৮০০ রেশিও আরও বেশি স্কিউড গ্রামে। এনিয়েও স্টাডি আছে। ভারতে গরীবদের যে সরকারী চিকিৎসার অ্যাকসেস খুব খারাপ অবস্থায় এটা প্রমাণিত। এই জায়গাটা না মানলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। বোঝাতে হবে না। এইটা একটু নাহয় নিজেই দেখেশুনে বুঝুন। আমি লিং দিতে পারি কিন্তু তাতে লাভ কিছু হবে না।

    তো যদি মানা যায় যে গরীবদের সরকারী চিকিৎসার অ্যাকসেসে বিস্তর সমস্যা আছে তাহলে ইমিডিয়েটলি কিছু করতে হবে।

    নজরদারী নিয়ে দুটো সমস্যা, আপনি যা বলছেন খুব লং টার্ম আর দ্বিতীয়ত খুব বেশি ম্যানুয়াল। ভারতে ম্যানুয়াল সিস্টেম এই মুহূর্তে ফেইল করতে বাধ্য। দুই, এর জন্য ইমিডিয়েট অ্যাকশন ডিলেইড করা যাবে না। প্যারালাল এফর্ট হতে পারে।

    কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু অ্যাকশন দাবী করে ভারতের বর্তমান গরীবদের অবস্থা। সেই অ্যাকশনটাই RSBY লজিকালি করার চেষ্টা করেছে। এতেও গলতা হবে না? হবে। অপেক্ষাকৃত কম বাই ডিজাইন।
  • π | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৩৮620570
  • বেসরকারি ব্যবস্থা সরকারি ব্যবস্থার থেকে দক্ষ ও সৎ লোকে ভর্তি কিনা সে উত্তর এখনো পেলাম না।
  • aka | 76.190.160.236 | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৪১620571
  • ঠিক ঠাক ডিজাইনড বেসরকারী ব্যবস্থা এই হিউম্যান এলিমেন্টটাকে মিনিমাইজ করার চেষ্টা করে।
  • π | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৪৩620572
  • কীভাবে ?
  • ঈশান | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৪৬620573
  • তবে ভেবে দেখলাম, চিকিৎসা ব্যবস্থা আর জনস্বাস্থ্যের মধ্যে কী তফাত এ নিয়ে ধারণা না থাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এইটাই ঢুকলে অনেক টাইপাতে হবে বলে ল্যাদাচ্ছিলাম। ল্যাদ কাটিয়ে এই নিয়ে কী আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ আছে, একটু ছোটো করে লিখে ফেলার প্রচেষ্টা নেওয়া যাক।

    এই নিয়ে অনেক আলোচনা আছে, আপাততঃ একটা রোগ ধরে দেখা যাক। একটা মারণ রোগ ধরে। সেটা হল যক্ষ্ণা। মানুষ ঠিক কিসে মরে, এটা রেকর্ড করা শুরু হয়েছিল ব্রিটেনে। সিপাহী বিদ্রোহের কিছু আগে, এমনকি মেট্রোরেল চলারও কিছু দিন আগে। মোটামুটি ১৮৩০ এর দশকে। আমেরিকায় চালু হয় তার কিছুদিন পরে। ঠিক সাল জানিনা, খুঁজলে পাওয়া যাবে, তবে মোটামুটি ওরকম সময়েই। সে রেকর্ড থেকে দেখা যায়, বেশিরভাগ লোক মারা যাচ্ছেন সংক্রাঅক ব্যধি থেকে। তার মধ্যে একটা বড়ো অংশ হচ্ছে, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ডিপথেরিয়া, এইসব। শিশুদের মধ্যে বেশি ছিল হাম, স্মলপক্স এইসব।

    এর মধ্যে সবকটা রোগ নিয়েই সিস্টেমেটিক আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে যক্ষ্ণাকে যদি ধরি, দেখব, এখন আর রোগটির প্রকোপ নেই। লোকের একেবারেই হয়না তা নয়, কিন্তু মারণ রোগ বলে যে তার প্রসিদ্ধি, সেটা তার আর নেই। কেন নেই? কারণ যক্ষ্ণার ওষুধ বেরিয়ে গেছে? প্রচুর টিবি হাসপাতাল হয়েছে বা হয়েছিল?

    মজা হল, যক্ষ্ণার জার্ম থিয়োরি বাজারে আসে ১৮৭৬ সালে। এবং গোটা উনবিংশ শতাব্দী ধরেই দেখা যায় যক্ষ্ঙার প্রকোপ একটি নির্দিষ্ট হারে কমে আসছে। সেটা ওষুধের কারিকুরি ছাড়াই। কারণ যক্ষ্ণার জার্ম থিয়োরি উনবিংশ শতাব্দীর শেষপাদে বাজারে এলেও, কেমিকাল থেরাপি বাজারে এসেছে এই শতাব্দীর গোড়ার দিকে। এবং যতদিনে চিকিৎসা শুরু হয়েছে, তার আগেই, প্রাথমিক হিসেবের নব্বই শতাংশ হ্রাস হয়ে যক্ষ্ণারোগে মৃত্যুর সংখ্যা ১০% এ দাঁড়িয়েছে।

    এটা হল বহুবিধ আলোচনার মধ্যে একটা, যেটা দেখায়, যে, চিকিৎসাব্যবস্থা আর জনস্বাস্থ্য এক জিনিস নয়। জনস্বাস্থ্য হল হাসপাতালের আগেই রোগকে আটকে দেওয়া (বা উন্নততর স্বাস্থ্য আনয়ন)। এরকম গাদা আলোচনা আছে, এই বিষয়ে। কেনিয়ার মশারি বিতরণ থেকে শুরু করে ভারতে ওআরএস। যার মোদ্দা কথা হল, হাসপাতালে বেড পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই রোগকে প্রতিহত করুন। এইটা হল বাংলায় জনস্বাস্থ্য। যেটা ভারতে অপ্রতুল।
  • eka | 76.190.160.236 | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৪৭620574
  • জেনারালাইজ করা যায় না।
  • π | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৫৩620575
  • জল আর স্যানিটেশন ঠিক করা হলেই অর্ধেক বা তারও বেশি রোগ বাপ বাপ করে পালাবে। এই নিয়েও স্টাডি আছে।
  • π | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৫৪620576
  • কিন্তু চিকিৎসাব্যব্স্থা আর জনস্বাস্থ্যের তফাত নিয়ে তো গুরুতে আগে লেখা হয়েছে !
  • aka | 76.190.160.236 | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৫৬620577
  • কলকাতা শহরে ধুলিকণা কমলে অনেক রোগ কমবে। তা দিয়ে আজকে যে লাংয়ের অসুখে ভুগছে তার খুব সুবিধে হবে না।
  • ঈশান | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৫৬620579
  • আকার দেওয়া লিংক আমি খুব মন দিয়ে পড়েছি। আকা নিজেই পড়েননি। তাহলে এত স্টাডি স্টাডি করতেন না। ওখানে পরিষ্কার লেখা আছে "This goal is far below the world average of 30 hospital beds per 10,000 population, but above the World Health Organisation recommendation of 1.9 beds per 1,000 population. অর্থাৎ পৃথিবীর গড়ের চেয়ে নীচে থাকলেও ভারতে বেড সংখ্যা হুর রেকমেন্ডেশনের চেয়ে বেশি আছে।

    ফলে ক্যালিফোর্নিয়ার উদাহরণ না দিলেও, এটা মেনে নেবার কোনো কারণ নেই, যে, বেড অপ্রতুল। হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে, গড় মানেই তা সর্বত্র প্রযোজ্য নয়। কম-বেশি থাকবেই। সেগুলো আঞ্চলিক সমস্যা। যেমন এক পাড়ায় তিনটে ওষুধের দোকান, পাশের পাড়ায় একটাও নেই। এগুলো নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে এটি বড়ো কিছু নয়। কারণ, এটা above the World Health Organisation recommendation of 1.9 beds per 1,000 population.
  • π | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৭:৫৮620580
  • ধূলিকণা কমলে লাংএর অসুখের পরিমাণই তো অনেক কমে যাবে ! হাসপাতালে এত বেডের প্রয়োজনই তো হবেনা।
  • aka | 76.190.160.236 | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:০৮620582
  • উফফ চামচে করে তুলে খাইয়ে না দিলে সমস্যাও বোঝা যাবে না অথচ তার সলিউশনও দিতে হবে।

    The provision of healthcare services in India is skewed toward urban centers and the private sector. Urban residents, who make up 28 percent of India’s population, have access to 66 percent of the country’s available hospital beds, while the remaining 72 percent who live in rural areas have access to just one-third of the beds. Similarly, the distribution of healthcare workers, including doctors, nurses and pharmacists, is highly concentrated in urban areas and the private sector.

    Physical reach of any healthcare facility is a challenge in rural areas, particularly for patients with chronic ailments. Patients in rural areas must travel more than five kilometers to access an inpatient facility 63 percent of the time. Difficulty in accessing transportation options and the loss of earnings as a result of travel time lead to treatment being deferred, or facilities selected that may be closer but are not cost-effective or best suited to patient needs. This is especially true for patients suffering from chronic ailments.

    Private healthcare facilities are being used by an increasing proportion of patients due to gaps in quality and availability of public facilities. Over the past 25 years, both rural and urban patients have increased their use of private service providers over public options. In 2012, 61 percent of rural patients and 69 percent of urban patients chose private in-patient service providers, up from 40 percent reported in a 1986/87 government survey. Long waiting times and the absence of diagnostic equipment in public facilities were cited as key reasons by more than 40 percent of those surveyed. Better quality of treatment in private, in-patient centers was cited as an additional reason by 38 percent of survey respondents.

    Availability of doctors is a key reason for selecting private facility outpatient treatments. Across both urban and rural sectors, and among the poor and affording populations, at least 60 percent of those surveyed considered doctor availability as a significant reason for selecting private facilities for outpatient treatment. Absenteeism is typically higher in the less economically developed states of India.

    Patients using private facilities face greater affordability challenges. The cost of treatment at private healthcare facilities is between two and nine times higher than at public facilities. For example, poor patients receiving outpatient care for chronic conditions at a private facility spent, on average, 44 percent of their monthly household expenditure per treatment, compared to 23 percent for those using a public facility.
    Medicine costs as a proportion of out-of-pocket healthcare expenses remain high but stable. On average, across public and private facilities, and for chronic and acute diseases, medicines account for more than 60 percent of patients’ total out-of-pocket expenses for outpatient treatments, and 43 percent for inpatient treatments. This share of expenditures for medicines has not increased since 2004 for inpatient treatments, and has decreased for outpatient treatments. Low insurance penetration – and current insurance plans that do not cover drug costs – make the total cost of medicines a continuing, significant burden for a majority of the population
    Improving the quality and availability of public healthcare facilities would drive the greatest reduction in patient out-of-pocket costs. The report assessed the relative impact of improvements across each of the four components that contribute to healthcare access. Enhancing the quality and availability of public healthcare facilities would curb the diversion of patients to private channels – enabling more patients to utilize lower-cost facilities and reduce their out-of-pocket costs.

    এগুলো অ্যাভেইলেবল। শুধুমাত্র তক্কো করার জন্য তক্কো করে কি লাভ?

    আরও বলি

    India has one government hospital bed for 879 people on average, a ratio that starts looking nearly 10 times as bad in a state like Bihar, but improves dramatically in Manipur.

    এটাও ঐ লিংকে ছিল। এদের চিকিৎসার কোন দরকার নেই। আসলে ক্যালিফোর্নিয়া করাই লক্ষ্য। দিদি তো কলকাতাকে লংঅডং করতে চেয়েছিলেন। এমনই হয়। ঃ)
  • ঈশান | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:০৮620581
  • আরেকটু পরিষ্কার করে লিখে দিই। সরকারি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৭তেই আমরা হুর মান টপকে যাব। মানে ওই ক্যালিফোর্নিয়ার জায়গায়।
  • π | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:১০620583
  • ভারতের শহরগুলোতে এয়ার পল্যুশনের হেল্থ ড্যামেজ 'কস্ট'ঃ
    http://www.nipfp.org.in/media/medialibrary/2013/04/wp05_nipfp_039.pdf

    ২২ পাতার টেবিলটি দ্রষ্টব্য।

    তাও এটা পুরানো হিসেব।
  • aka | 76.190.160.236 | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:১১620584
  • তবে আর কি প্ঞ্চবার্ষিকি পরিকল্পনা অনুযায়ী

    ভারত হবে ক্যালিফোর্নিয়া

    আর দিদির প্ল্যান অনুযায়ী

    কলকাতা হবে লংডং

    তখন নিশ্চয়ই শ্রীরামপুরে সমুদ্র সৈকত হবে, ডিডিদার সুবিধা হবে। ঃ)

    যাই ঘুমোই কিছু করে দেখাই।
  • π | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:১৪620585
  • আকাদার লেখা থেকেই।
    Patients using private facilities face greater affordability challenges. The cost of treatment at private healthcare facilities is between two and nine times higher than at public facilities. For example, poor patients receiving outpatient care for chronic conditions at a private facility spent, on average, 44 percent of their monthly household expenditure per treatment, compared to 23 percent for those using a public facility.

    এরপরেও নাকি বেসরকারি ব্যবস্থা ভালো। ঃ)
  • ঈশান | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:১৫620586
  • ভারত ক্যালিফোর্নিয়া হবে, দিদির প্ল্যান, এগুলো খুবই অবান্তর কথা। সিরিয়াস কথা বলার ইচ্ছে থাকলে বলবেন, নিশ্চয়ই বলব।
  • aka | 76.190.160.236 | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:১৮620587
  • এই তো শুধুমাত্র কপি পেস্টের ওপর বেঁচে থাকলে এমনই হয়। ঃ)

    RSBY প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে এটাকে শুধু নালিফাই করেছে তাই নয়, অপর্যাপ্ত সরকারী হাসপাতালের সংখ্যাটাও নালিফাই করেছে, গরীবেরা এখন সরকারী বা বেসরকারী যেকোন হসপিটালেই যেতে পারবে।

    ভারত ক্যালিফোর্ণিয়া হলে আর শ্রীরামপুরে প্যাসিফিক সৈকত হলে না হয় পূনর্বিবেচনা করা যাবে। ঃঃ)
  • π | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:২৩620588
  • আশ্চর্য ! সেটা তো বিপিএল পপুলেশনের জন্য ! তা বাদে গরীব নেই ?
    এই নিয়ে তো অনেক আলোচনা হয়েছিল। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভাঙ্গার পিছনে RSBY র রাজনীতি নিয়ে। এতো পুরো সাতকাণ্ড রামায়ণ কেস ঃ(
    যাইহোক, সেগুলো আর কপি পেস্ট করতে পারছি না। ওটার উপরে বেঁচে থাকলেও। ঃ)
  • π | ২৯ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:২৫620590
  • এদিকে বেসরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থা কীকরে হিউম্যান এলিমেণ্ট কমিয়ে দেবে আর তা কীভাবে স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলো ভ্যানিশ করে দেবেন, তাই নিয়েও কমরেড নীরব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন