এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অরবিন্দ কেজরিওয়ালঃ আবার আশাভঙ্গ নাকি অনেক দিনের সযত্নে লালিত স্বপ্ন কে চুঁয়ে ফেলা ?


    অন্যান্য | ১২ জানুয়ারি ২০১৪ | ১৮৩১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 125.242.215.35 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:৫০629428
  • রোবু/অরিন্দম।
    আমি খুব স্প্ষ্টভাবেই মনে করি স্ট্রাকচারটাই ঝামেলার। একটু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। শুধু স্ট্রাকচার বল্লে একটু ভুল বোঝাবুঝি থেকে যায়। রাজনৈতিক সংগঠনে পিরামিড স্ট্রাকচার আমলাতান্ত্রিকতা ও স্বৈরাচার তৈরী করে। যে সংগঠন স্বৈরচার ও আমলাতান্ত্রিকতার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকে তাতে পিরামিড স্ট্রাকচার খুব ভালো কাজে দেয়, যেমন কর্পোরেট। কিন্তু যেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করতে হয়, সেখানে দরকার হরাইজেন্টাল বা আরও অন্যরকম কোন স্ট্রাকচার।
    আসলে ভারতে আমরা রাজনৈতিক সংগঠনের স্ট্রাকচার বলতে ১৯০৫এ লেনিনের পার্টি সংগঠন ভাবনাকেই বুঝে থাকি - আঞ্চলিক কমিটি--জেলা কমিটি--রাজ্য কমিটি। এর বাইরেও যে রাজনৈতিক দলের স্ট্রাকচার হতে পারে তা নিয়ে চিন্তাই করা হয় না।
    তাই অরবিন্দ স্ট্রাকচারে মন দিলেই বুভ বা জ্যোব বা মব্যা হয়ে ওঠার দিকে পা বাড়াবেন।
    এবার প্রশ্ন উন্নয়ন। তার আগে একটি ছোট্ট বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করি। সেদিন অরবিন্দের জনতা দরবার পন্ড হলো প্রচুর মানুষ এসে যাওয়ায়। প্রচন্ড বিশৃঙ্খলা তৈরী হয়। কিন্তু পুলিশ লাঠি চালায় নি। ধাক্কা দিয়ে মানুষদের সরিয়ে দেয় নি। খেয়াল রাখবেন দিল্লী পুলিশ অরবিন্দের অধীন নয়। আমার তো এটাকেই উন্নয়ন বলতে ইচ্ছে হয়। এর সাথে জড়িত প্রশ্ন, উন্নয়ন বলতে আপনারা কি বোঝান? কারন আমার উন্নয়ন ভাবনা অনেকের সাথেই মেলে না।
    একটা কথা ঠিক দিল্লীর মতো খুব ছোট রাজ্যে আপ-এর মডেল কাজ করবে হয়তো, কিন্তু একটু বড় রাজ্য হলে, সেখানে আপকে সৃষ্টিশীল হতে হবে সংগঠন ভাবনায়।
    পিরামিড স্ট্রাকচরে থেকেও কিছুদূর পর্যন্ত সেই স্ট্রাকচার কে অস্বীকার করা যায়, তবে পুরোটা নয়। উদাহরণ মানিক সরকার। উনি কিন্তু আমার দেখা ২০০৩ সালেও একটা দরবার চালাতেন সকাল ৮টা থেকে ১০টা। ওনার বাসায় যে কেউ গিয়ে দেখা করতে পারে। আমি যখন আগরতলায় ছিলাম তখন দেখেছি। কিন্তু তা স্বত্ত্বেও তার দল ও মন্ত্রীসভা সারদা কেলেঙ্কারী এড়াতে পারেন নি।
  • arindam | 69.93.246.211 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:৩১629439
  • কল্লোলদা
    আর একটু বিশদে যদি লেখেন।
    এক, সমান্তরাল স্ট্রাকচার এই ভাবনাটি কী গান্ধীজির "লোকসেবক" ধরনার দিকে ইঙ্গিত করছেন?

    দুই, আপনিও মনে করেন- "একটু বড় রাজ্য হলে, সেখানে আপকে সৃষ্টিশীল হতে হবে সংগঠন ভাবনায়।
    এই সংগঠন ভাবনায় একটা স্ট্রাকচার থাকবে। সেই পার্টি স্ট্রাকচার তাহলে কীরকম হবে?

    তিন, এ নিয়ে দ্বিমত নেই জনগনের নেতা। মূখ্যমন্ত্রী। তার দরবার সকলের জন্য খোলা। কিন্তু পাশাপাশি একজন গ্রামের মানুষকে দূর দূরান্ত থেকে নিজের অভিযোগ জানানোর জন্য যদি শহরে আসতে হয় এবং বরাদ্দ ২ঘন্টার মধ্যে মূখ্যমন্ত্রীকে সব জানাতে হয় তাহলে রোজই সভা ভন্ডুল হবে। আর সব সমস্যাই মূখ্যমন্ত্রী অভিমুখী এটা কী প্রকারন্তরে কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার ইঙ্গিতবহ নয়?

    আর একথা আপনি নিশ্চয়ই মানবেন স্ট্রাকচারকে নিজ স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে মানুষই। মানুষকে ব্যক্তিগত স্তরে নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধ হতে হবে। সত্যনিষ্ঠ হতে হবে। নইলে কোন স্ট্রাকচারই সফল হবেনা।

    বলেছেন, আপনার উন্নয়ন ভাবনা অনেকের সাথেই মেলে না। অনেকে "সব/সকলে" নয়। আর সেটা না জানলে কী করে বুঝব সেই উন্নয়নের জন্য স্ট্রাকচারটা কীরকম হবে।

    আপনি লিখলে ভাল লাগবে।
  • cm | 122.79.36.4 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:৩৫629450
  • পিরামিড স্ট্রাকচার নাকি ব্যক্তিগত সম্পত্তির গ্রাহ্যতা সব নষ্টের মূলে?
  • কল্লোল | 111.63.220.199 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৯:২৭629461
  • সিএম।
    সম্পত্তি (সম্পদ নয়) একটা বড় নষ্টের মূল। কিন্তু তার পরেও পিরামিড কাঠামো-ভাবনা, ক্ষমতা এদেরও প্রচুর ভূমিকা আছে নষ্টের মূলে।
    অরিন্দম।
    একটু সময় দাও। আমার সংগঠন-ভাবনা নিয়ে একটা লেখা তৈরী করছি।
    উন্নয়ন নিয়ে গুরুতে প্রচুর তক্কো হয়েছে। একটু খুঁজে নিতে হবে।
  • b | 135.20.82.164 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:০৪629472
  • গণতন্ত্র-ও কিন্তু সংখ্যাগুরুর স্বৈরতন্ত্র সৃষ্টি করতে পারে। সেটাকে ঠেকানোর জন্যে -ই আইন, আদালত, পুলিশঃ আরো কয়েকগুচ্ছ স্বৈরতন্ত্র।
  • Lord of the Nazgûl | 125.112.74.130 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:৩৭629483
  • আগে তো দেখি বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে আপ কী স্ট্যান্ড নেয়, এখনো অবধি সেরকম স্ট্যান্ড নিতে তো দেখলাম না। যেহেতু নানা ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকজন একটা লুজলি কাপলড ছাতার নীচে এসেছেন, তাই নানা রকম বক্তব্য থাকবে। কাশ্মীর নিয়েই একাধিক কথা শুনলাম, ৩৭৭ নিয়েও বিশেষ রা কারেননি। তবে দিল্লী হয়তো কেজরিওয়াল এণ্ড কোং-এর জন্যে আদর্শ। অন্য রাজ্যে জমি অন্য রকম।

    তবে শিক্ষিত লোকজন এদ্দিনের নাক সিঁটকানো ভুলে রাজনীতিতে ঢুকেছেন এইটাই যা আশার কথা।
  • bratin | 122.79.37.121 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:৩৯629494
  • বু ভ স্বৈরাচারী একে বারেই মানতে পারলাম না
  • aka | 79.73.9.7 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:৫৫629505
  • অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কোনো ইনেল আছে?
  • pi | 122.79.36.57 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:২৭629528
  • ৩৭৭ নিয়ে বলেনি কিরকম?
  • Lord of the Nazgûl | 125.112.74.130 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:৩১629539
  • আপ, অ্যাজ আ পার্টির কী স্ট্যান্ড সেইটা কি ক্লিয়ার? সেটা হয়ে থাকলে হয়তো মিস করেছি। কিন্তু এই রকম বিভিন্ন ইস্যু (কাশ্মীর, জমি অধিগ্রহণ, SEZ, ইকনমিক পলিসি, রাম জন্মভূমি ইঃ) নিয়ে যখন স্ট্যান্ড নিতে হবে তখন একটু কেস খাওয়ার চান্স আছে - এইটাই আমার মূল বক্তব্য ছিলো। শুধু অ্যান্টি-করাপশন দিয়ে তো দেশ চলে না।
  • | 127.194.90.233 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:০২629550
  • বুদ্ধ মুখ্য মন্ত্রী হবার পরে একটা অচলাবস্থা থেকে আমদের পশ্চিম বঙ্গ কে বার করে আনার একট সৎ চেষ্টা করেছিলেন।

    আমাদের সরকারী কর্মচারী রা কেউ নিয়মিত আপিস যান না। গেলেও পুরো সময় থাকেন না। পরিসেবা দিয়ে কাগজ পড়াবা তাস খেলার সময় তারা নষ্ট করতে চান না।

    এই রকম একট মৌরসী পাট্টা কে ভাঙ্গার জন্যে বুকের পাটা একটু বড় হওয়া দরকার। সরকারী কর্মচারী দের জন্যে এই অচলায়্তন ভাঙ্গার জন্যে বুদ্ধ বাবু কে আমি অনেক টা ক্রেডিট দিতে চাই।

    নেতা হিসাবে বুদ্ধদেব হয়তো ব্যর্থ। সেট নি আমি মন্তব্য করছি না।
  • | 127.194.90.233 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:০৪629561
  • অরি একমত।তবে এটা মনে হয় টু আর্লি। একটা পার্টি সবে শুরু হচ্ছে তাদের একট প্রধান লক্ষ্য দুর্নীতি হঠানো।

    এদের একটু সময় দেওয়া দরকার। বিভিন্ন বিষয়ে ফাকাস করর জন্যে।
  • | 127.194.90.233 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:০৭629572
  • অরবিন্দ কেজরিওয়াল অত্যন্ত সৎ আদর্শবাদী ছেলে। সে যদি তার মতো আরো কটা মোটিভেটেড ছেলে পায় তাহলে হয়তো আমরা অনেক ভালো কিছু দেখতে পাবো।

    "বৃথা আশা মরিতে মরিতে ও মরে না" ঃ)
  • pi | 122.79.36.1 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:১৪629583
  • আয়্জ আ পার্র্টিই বলে্ছিল।
  • ম্যামি | 69.93.242.170 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:৪২629594
  • রবার্ট ভদ্র নিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনকুয়ারি চেয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট মানে কী? দিনকাল যা পড়েছে -- এত সংখ্যক পার্টির মধ্যে এত এত সমঝউতা -- কেমন জানি সবেতেই সন্দেহ লাগে।
  • কল্লোল | 125.242.192.248 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৬:৫১629605
  • আমার এলোমেলো কিছু সংগঠন ভাবনা।
    সংগঠন বলতে প্রথম যে ছবিটা ভেসে ওঠে তা হলো পরিবার। সম্ভবতঃ মানুষের আদিমতম সংগঠনগুলোর একটি। মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ হয়েছে যবে থেকে পরিবারের ধারনাও ঠিক তবে থেকেই। এই পরিবার রক্তের সম্পর্কে যতো নয় তার চেয়ে বেশী স্বার্থের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলো। স্বার্থ বলতে খাবার সংগ্রহ ও নিরাপত্তা। গায়ের জোরের ভিত্তিতে গোষ্ঠীপতি বনে যায় কেউ। গোষ্ঠীপতির পদ নিয়ে সমান বা প্রায় সমান বলশালী মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। তাতে যে জেতে সেই গোষ্ঠীপতি। রাহুল সংকৃত্যায়নের ভোলগা থেকে গঙ্গা, এঙ্গেলসের দ্য ওরিজিন অফ ফ্যামিলি, প্রাইভেট প্রপার্টি অ্যান্ড স্টেট বা, লুই মর্গ্যানের এনশেন্ট সোসাইটি এরকমই কিছু ধারনা দেয়। মানুষের ক্ষমতায়ণের শুরু সেই থেকেই। এই ক্ষমতায়ণের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত সংগঠনের প্রশ্নটি, বা আরও নির্দিষ্টভাবে পিরামিড আকৃতি সংগঠনের প্রশ্নটি। চূড়োয় কর্তা ও ধাপে ধাপে নেমে আসে ক্ষমতার বিন্যাস। একদম নীচে ক্ষমতাহীনেরা। ক্ষমতাহীন অর্থে, যাদের নীচে ক্ষমতা ফলানোর কেউ নেই।
    পরবর্তীকালে রক্তের সম্পর্কের পরিবারেও একই সংগঠনভাবনা চলে এসেছে, কারন ওই ক্ষমতা। রাষ্ট্রের সংগঠন বা তার পরের অন্য সংগঠনগুলোতেও, যেমন উৎপাদন শিল্পের সংগঠন, বাণিজ্যিক সংগঠন, পেশাভিত্তিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, এই একই সংগঠনভাবনার প্রকাশ, এমনকি সেবামূলক সংগঠনগুলোতেও, যেখানে ক্ষমতার বিষয়টি প্রাধান্য পাবার কথা নয়। ব্যতিক্রম নিশ্চই আছে, তবে তা নেতাৎই ব্যতিক্রম।
  • কল্লোল | 125.242.192.248 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৬:৫২629616
  • ক্ষমতা নিজেকে প্রকাশ করে নানানভাবে। অধিপত্য, শক্তিপ্রয়োগ, মান্যতা আদায় করা, অপরায়াণ ইত্যাদি। এরই মধ্যে একটি হলো, পরিমানগতভাবে নিজেকে সম্প্রসারিত করা। আর এই সব কাজের জন্য আদর্শ সংগঠন হলো পিরামিড আকৃতির। প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে প্রত্যেক পিরামিড আকৃতির সংগঠনই নিজের বৃদ্ধি কামনা করে ও তাদের কাজকর্মও পরিচালিত হয় ওই উদ্দেশ্যেই, যাতে সেই সংগঠনের কলেবর বৃদ্ধি হয়। রাষ্ট্রের জায়গা থেকে ধরলে, দিগ্বিজয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেকার ঔপনিবেশিক প্রকল্প বা তার পরেকার নয়া ঔপনিবেশিক কলাকৌশল বা আজকের বিবাস (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা), পরমাণু অস্ত্র নিবারণ চুক্তি সেই কাজই করে যাচ্ছে নানান কায়দায়। অন্য সংগঠনগুলির তো ঘোষিত উদ্দেশ্যই নিজেকে বাড়ানো। উল্টো উদাহরনও আছে হাতে গরম। রক্তের সম্পর্কের পরিবার, এই সংগঠনটি বাড়তে বাড়তে ভারতীয় উপমহাদেশে নিজেদের লোকালয় পর্যন্ত তৈরী করে ফেলে। ঘোষপাড়া, ডোমপাড়া, তেলীপাড়া, বামুণপাড়া, কৈবর্তপাড়া ইত্যাদি। ইউরোপে সামন্ততন্ত্র ও ধনতন্ত্রের অন্য ধরনের বিকাশের ফলে সেখানে পরিবারের এই বাড়বাড়ন্ত হয়নি। আবার ইউরোপীয় শিল্পায়নের ফলে গ্রাম থেকে জমিহারা, জীবিকাহারা মানুষ কারখানার বস্তিতে উঠে আসার ফলে পরিবারের সংজ্ঞা পাল্টাচ্ছিলো (ডি এইচ লরেন্সের সন্স অ্যান্ড লাভার্স দ্রষ্টব্য)। অন্যদিকে ভারতীয় উপমহাদেশের বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে যৌথ পরিবার নামে সংগঠনটির বোলবোলাও সাংঘাতিক রকমের হয়ে উঠলো। এমনকি পাঠান-মুঘল আমলের চেয়েও এর বাড়বাড়ন্ত হলো বৃটিশ শাসনকালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের হাত ধরে। ধীরে ধীরে নানান অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সংকটের ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে সংগঠনটি ভাঙ্গতে শুরু করে। এই যে একটা সংগঠন আর বাড়তে চাইছে না, তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে সংগঠনের আকৃতিতে। যৌথপরিবার ভেঙ্গে মা-বাবা-স্ত্রী-সন্তান, সেটাও ভেঙ্গে শুধু স্ত্রী-সন্তান আর তার ফলে অন্য দিকে শুধু স্বামী-স্ত্রী। পরিবার যখন এরকম ছোট হয়ে গেছে তখন আর কেন্দ্র বলে কিছু থাকছে না। সংগঠনের আকৃতিও পিরামিড থেকে পাল্টে হরাইজেন্টাল হয়ে যাচ্ছে। এখন “পরিবার”এ স্ত্রীর অধিকার নিয়ে কথা হবে না, এমনকি বাচ্চাদের অধিকার আর কোন ভিনগ্রহের বিষয় নয়।
  • কল্লোল | 125.242.192.248 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৬:৫৩629627
  • মনে রাখা ভালো এমন নয় যে সারা ভারতীয় উপমহাদেশে পরিবার এখন এই অবস্থায়। যেখানে অনুকুল পরিবেশ আছে সেখানেই পরিবার পরমাণু পরিবারে রূপান্তারিত হয়েছে। না হলে ঐ মা-বাবা-স্ত্রী-সন্তান জাতীয় অনু পরিবারে ঠেকেছে। নিজের ভাইয়ের সাথে এক ছাদের তলায় এটা বোধহয় গ্রামের দিকে পারিবারিক জমির ওপর নির্ভরশীলতার কারন ছাড়া বিরাজ করে না। জ্যেঠতুতো-খুড়তুতো ভাইদের সাথে এক হাঁড়ি আজ গ্রামেও বেশ কম। যেখানে এই ধরনের পরিবার আছে, সেখানে পিরামিড আকৃতির পরিবার সংগঠনও টিঁকে আছে।
    এখন কথা হলো বেড়ে ওঠা বা সম্প্রসারিত হতে চাওয়ার মধ্যে দোষের কি আছে। প্রকৃতিতে সহযোগীতা ও প্রতিযোগীতা দুইই চলে। সৌরমন্ডলের এই তৃতীয় গ্রহে সকল প্রাণ বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় কিছু ধ্বংস করে, কিছু সৃষ্টি করে, ফলতঃ কিছু সামঞ্জস্য রক্ষা করে। কিন্তু বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় যখন সহযোগীতা উপেক্ষিত হয়, তখনই বেড়ে ওঠা সমস্যা তৈরী করে। ব্যাবসায়িক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, ব্যাতিক্রমী ছাড়া সেবামূলক সংগঠন, সকলেই শুধু নিজের নিজের কলেবর বৃদ্ধি করতে চায়। আমাদের ধারন করে আছে যে পৃথিবী, সে সসীম। তার সম্পদ, যা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে তাও কখনই অনন্ত নয়। এরকম একটা অবস্থায় স্বার্থপরের মতো শুধু নিজে/গোষ্ঠীকে পরিমানগতভাবে বাড়তে চাওয়ার অর্থ অন্যের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। এটা বস্তুগত ও চিন্তাগত উভয়তঃই সত্য। সম্পদকে পরিমানগতভাবে বাড়াতে গেলে অন্যের সম্পদ কুক্ষিগত করতে হয়, এটা যেমন সত্যি, তেমন চিন্তাভিত্তিক সংগঠনকে পরিমানগতভাবে বাড়াতে গেলে অর্থাৎ আমার/আমাদের চিন্তাকে আরও বেশী বেশী মানুষের চিন্তা বলে গ্রহন করাতে গেলে অন্যের চিন্তাকে কুক্ষিগত করতে হয়। যারা মনে করেন শুধু আমার/আমাদের সম্পদ বাড়িয়ে চলার ইচ্ছে “স্বাভাবিক” বা যারা মনে করেন তার/তাদের চিন্তাই শ্রেষ্ঠ, অন্য সব চিন্তা ভ্রান্ত তাদের পক্ষে পিরামিড আকৃতির সংগঠনই আদর্শ।
    তাই মনে হয়, সংগঠন যা গণতন্ত্রের কথা বলে, যা অন্যের চিন্তাকে সম্মান করার কথা বলে, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে, তা, ছোট হওয়াই কাম্য। ছোটর সংজ্ঞা ঠিক হবে সংগঠনের কাজ, উদ্দেশ্য, তার ভৌগলিক অবস্থানের বৈশিষ্ট ইত্যাদি দিয়ে। সংগঠনের বিস্তার না ঘটিয়ে বিকশিত হওয়ার চেষ্টা করাই যেতে পারে। পাশাপাশি কাছাকাছি চিন্তার অনেক সংগঠন ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসাবে কাজ করতেই পারে। তাদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা যেতেই পারে, কিন্তু কখনোই কেন্দ্রীভুত কোন ক্ষামতার আধার নয়।
    ক্ষমতাকে ক্ষমতা দিয়ে মোকাবিলা অনেক হলো। এবার দেখা যাক ক্ষমতার টক্কর নিতে পারে কিনা অ-ক্ষমতা।
  • Ekak | 24.99.85.137 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৭:১১629639
  • রাষ্ট্র যদ্দিন বন্টন ব্যবস্থার মৌরসী পাট্টা নিয়ে বসে থাকবে তদ্দিন এই মডেল সম্ভব ?
  • arindam | 69.93.197.154 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৭:২২629650
  • কল্লোল দা
    আপনি যে অধমের অনুরোধে লিখলেন, তারজন্য ধন্যবাদ। একটু পড়ে নিই। মন দিয়ে। তারপর লিখব।
  • Lord of the Nazgûl | 125.112.74.130 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৭:৫০629672
  • ইন্টারেস্টিং। এইবার আবাপ কী বলে দেখার।
  • | 127.194.88.233 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৯:২০629683
  • কল্লোল দার ৪-৫১,৪-৫২,৪-৫৩ ভালো লাগলো। তবে আরো ডিটেলস এ জানতে হবে।পড়াশুনা দরকার।
  • | 127.194.88.233 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১৯:২৩629694
  • ধন্যবাদ অয়ন।

    কিন্তু এর ইম্প্যাক্ট কী রকম?
  • cm | 122.79.37.158 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ২০:০২629705
  • রিলায়েন্সের ইন্টারেস্টে হাত লাগলে খুশি হতাম। দেখা যাক।
  • bratin | 122.79.36.102 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ২০:২৬629716
  • দিল্লী তে মেন চেইন কোব গুলো? দিল্লী র লোকজন একটু আলোজপাত করুক না।
  • a | 94.64.61.105 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ২২:১৭629727
  • আগেরটা আমি নই, সারাদিনে এই এলুম।
  • | 127.194.87.52 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ২২:৫৯629738
  • ও আচ্ছা।

    তা আছো কেমন? এখন তোমার গুরু তে আসা অনেক কমে গেছে। জীবন কি চাপযুক্ত?
  • dehi | 80.39.185.252 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ ০১:২২629750
  • প্রশান্ত ভূষণকে নাকচ করল কেজরিওয়াল হরাইজন্টাল না ভার্টিকাল?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন