এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মার্কেটের মা!

    Anamitra Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ | ১৫০৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | 24.99.159.177 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ ১৫:২১630264
  • "একদল খিল্লি নিল, একদল খিস্তি করলো, একদল মাথায় তুলে নাচলো! সব একই রকম ঘাটের মরা, কেউ কোনো প্রশ্নই করলো না।"

    হিট অন দ্য নেইল । তবে অনমিত্র কী প্রশ্ন করেছিলে : এই বাল্টা , খিল্লি করছিস কেন ? খিস্তি করছিস কেন ? মাথায় তুলে নাচচিস ক্যানো ??

    করেছিলে হয়ত । করাটাই স্বাভাবিক । দর্শক পাঠকের গলায় আঁকশি দেওয়াটা জরুরি ।
  • de | 190.149.51.68 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ ১৭:৫৩630265
  • মন্তব্য করতেও ভয় লাগছে -- আরো রেগে যেতে পারেন -- হাইস্কুলের মাস্টারমশাই প্রচন্ড রাগ করে বেত হাতে ঘুরছেন মনে হচ্ছে - টুঁ শব্দ করলেই বেতের বাড়ি!
  • riddhi | 117.217.133.50 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ ১৮:১২630266
  • অসাধারন লেখা। মারাত্মক ভাল লাগছে।
  • aka | 81.14.39.72 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ ২১:৫৪630267
  • মৃগান্ঙ্ক শেখর দের একটি নো-বাজেট বা লো-বাজেট ছবি জার্মানিতে গেছে। মৃগাঙ্ক কে এখানে অনেকেই চেনে। টইয়ের সাথে হয়ত অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু বললাম।
  • Anamitra Roy | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ ২২:৩৯630268
  • ছবির ও পা গজায়। ডানাও। তাই ছবি ইউরোপ যায় আর আমেরিকা যায়। সেগুলো আবার প্রাসঙ্গিক হোক বা না হোক, উল্লেখনীয় হয়ে থাকে বটে। বাঙালি সাহেব না হলে শান্তি পায় না। কিন্তু ছবি কি সত্যিই যায়, নাকি পাঠানো হয়? যাওয়া আর পাঠানোর মধ্যেও ওই নো বাজেট লো বাজেট জাতীয় পার্থক্য বর্ত্তমান। পাঠানো মানে ইন্টারনেট এ বসে খুঁজে দেখা যে কোথায় কত এন্ট্রি ফী, কে ফ্রি তে ঢুকতে দিচ্ছে ইত্যাদি। এটা সবাইই করে। কারণ সবাইই সাহেব দের স্ট্যাম্প ভারী পছন্দ করে। এতে ওজনও বেড়ে যায় বৈকি।
    আর যাওয়া মানে কেউ যেচে নিজে নিয়ে গেল। যেমন জিনেতা কোরেলি নাম এক ইতালীয় বংশদ্ভুত আমেরিকান মহিলা স্মৃতি, মৃত জনপদ নিজে টাকা পাঠিয়ে পোস্ট করতে বলেছিলেন। ছবিটা উনি forgotten film gallery প্রোজেক্ট এর পার্ট হিসাবে নেভাদা-র কোথাও একটা দেখিয়েছিলেন। কোনো এক পরিত্যক্ত গ্যালারির প্রেতাত্মাদের।

    বস্তুত, সারা পৃথিবী তেই কয়েকটা উপায়েই ফিল্ম মার্কেটিং করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম ফেস্টিভাল submission এবং সিলেকশন এর মাধ্যমে ইজ্জত অর্জন করা। আমরা সেটা করতে চাইনি। আমাদের ইচ্ছা ছিল ছবি দেশেই দেখাবো। দর্শক তৈরী করব নিজেরা। যদি পারি, সাহেব রা ডেকে নিয়ে যাবে দরকার হয়। আর না নিয়ে গেলেও কিছু এসে যায় না, যদি নিজেদের কাজ টুকু করে যেতে পারি।

    আজ বাদে কাল, কেউ না কেউ নিশ্চয়ই নো বাজেটে জুরাসিক পার্ক কি রোবট বানাবে। যেমন কান ফিল্ম ফেস্টিভাল এ উচ্চ প্রসংশিত একটি নো বাজেট ছবির নাম হলো "কলিন"।
    এটি ৬০ ডলার খরচে নির্মিত একটি আপাদমস্তক জোম্বি মুভি। এই ধরণের কাজ এখানেও নিশ্চয়ই হবে। তবে তার সাথে আমাদের রাজনীতি মিলবে না।
    আর না মেলাই ভালো।

    শতফুল বিকশিত হোক!
    আগাছাও!

    আসছি পরে।
  • Anamitra Roy | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ ২২:৫০630269
  • একটা মজা হচ্ছে।
    সুবিমল যেমন দাবী করে থাকেন যে পাঠকের মন্তব্য ছাড়া ওনার বই অসম্পূর্ণ এবং সেই কারণে সাদা পাতা দিয়ে রাখেন লেখার ফাঁকে ফাঁকে, এখানে সেই ব্যাপার টা নিজে থেকেই হয়ে যাচ্ছে।
    ভালো ভালো!!!
  • Anamitra Roy | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৪৩630270
  • একটা অসাধারণ লেখা পড়লাম। ফলে খিস্তি করার উত্সাহ টা চলে গেল।
  • Anamitra Roy | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:১৯630271
  • আমি কার সাথে কথা বলছি আমি জানি না। জানতে চাই ও না।
    জেনে ফেললে সচেতন হয়ে যাব।
    তার চেয়ে না জানা ভালো। ছদ্মনামে লিখলে হয়ত ভালো হত। তো, সেভাবে ভেবে দেখলে জীবনে সব কাজই তো ছদ্মনামে করলেই ভালো হত। কাজগুলো হতে থাকত কেউ জানত না কে বা কারা করছে। তাতে সুবিধাই হত। কিন্তু আমার মুস্কিল হয়ে গেছে এই যে নিজেদের কাজ পৌঁছে দেওয়াটাও আমার কাজেরই একটা অংশ। ফলে আমি সামনে না আসা পর্যন্ত কাজ টা শেষ হয় না। মুখোশ পরে আসা যায় বটে ---
    বেশ সং সেজে এলাম, নাচ গান করলাম, দেদার মজা বিলিয়ে সবাইকে খুশি করে দিয়ে ঘরের ছেলে দিব্যি ঘরে ফিরে গেলাম। অথবা পাঞ্জাবী পায়জামা পরে, ঝোলাব্যাগ কাঁধে --- মানে যে কোনোরকম পারফরমেন্সই দেওয়া যায়। কিন্তু আমার যে দাড়ি কাটা হয়নি, সেটা ফ্যাশন নয়। বা চুল রেখে আমি কিছু প্রিটেন্ড করার চেষ্টা করছি, সেটাও নয়। আমার এসব বিষয় নিয়ে ভাবার সময় হয়নি কারণ পৃথিবীতে কিছু একটা রয়েছে যেটা আমায় শান্তিতে বসতে দিচ্ছে না । ফলে আমি নিরীহ গবাদী পশুর মত নির্বিঘ্নে জাবর কেটে যেতে পারছি না। এখনো খুঁজছি। তাই ছুটে বেড়াচ্ছি। ধাক্কা লাগছে। লিখছি, ছবি বানাচ্ছি, যা মনে হচ্ছে করছি। যতদিন শুধু লিখছিলাম , সমস্যা ছিল না ততটাও। লোকজন ইগনোর করে রেখে নিশ্চিন্ত ছিল। ছবি বানালেও সেটাই করত সার্টেনলি। কিন্তু, ব্যাপারটা আমারই পোষালো না। ভালো ছেলে হলে নিশ্চয়ই মুখে মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। অথবা নিজেই ধীরে ধীরে আড়ালে চলে যেতাম। কিন্তু আমার তো যাওয়ার মত কোনো আড়াল নেই। কোথায় যাব? আমার ambition এর কথা তো আগেই বলেছি, কিন্তু সেটা ফেল করার পর আমার আর ব্যাক আপ প্ল্যান ছিল না! শহীদ হওয়ার কেসে কেউ কেনই বা ব্যাক আপ ভেবে রাখতে যাবে! আসলে নেশা করে মরে যাওয়া বা নেশা করে করে পোষ মেনে যাওয়ার চেয়ে ওই অপসন টাই বেটার মনে হয়েছিল। মনে রাখতে হবে যে এখানে কিন্তু গবাদী পশুদের কথা হচ্ছে। বিশেষত এমন গবাদী পশু যাদের বেঁচে থাকার চয়েসটাই দেওয়া হয় নি।
  • biplab | 78.33.140.55 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:৪৫630272
  • বস, সিনেমা একটা মার্কেট প্রডাক্ট। সে চলে মার্কেটের নিয়মে। তার বাইরে গিয়ে স্বপ্ন দেখা যায়-তবে তাতে সিনেমা হবে কি না জানি না। আমি যখন ব্যবসা শুরু করি-তখন ভাবতাম কিভাবে অনেক লোককে চাকরি দেওয়া যায়। দেখলাম, তাতে কোন ব্যবসা হয় না-উল্টে বাঁশ। ব্যবসা হয় শ্রেফ লাভের দিকে তাকিয়ে, লাভ অপ্টিমাইজ করলে। ব্যবসাতে টিকে থাকলে গেলে, কিভাবে আইডিয়াল ব্যবসা হত, সেই সব রোম্যান্টিক কান্না আগে বাদ দিতে হবে।

    আজকাল ঘরে ঘরে ভাল টিভি, হোম থিয়েটার। ইন্টারনেট পাইরেসির দরজা খুলে দিয়েছে দুহাত দিয়ে। হলে দেখা আর লেটেস্ট ৬১' স্যামসাঙ্গের ১০৮০পি বা ৪কে কোয়ালিটির টিভিতে বোস সিস্টেমে সিনেমা দেখার মধ্যে পার্থক্য আস্তে আস্তে কমে আসছে। এখনত থ্রিডীও দেখছি বাড়িতে বসে।

    ইন্টারনেটে আর ডিভিডির পাইরেসির যুগে হোম ডিস্ট্রিবিউশন থেকে কোন টাকাই ওঠে না সিনেমার । মাল্টিপ্লেক্স ভরসা। লোকে তাহলে খরচ করে কোন সিনেমা দেখবে? অবশ্যই চাঁদের পাহার দেখবে। হলিউডেও বিগ বাজেটের ছবি ছাড়া কেও হলে আসে না। আমিও দেখতে যায় না। আমাজনে যেখানে ৫ ডলার দিয়ে গোটা ফামিলি মিলে নতুন সিনেমা পাচ্ছি কেন ৪০ ডলার দিতে হলে টিকিট কেটে দেখতে যাব যদি ছবিটার নাম "অবতার" বা "টিনটিন" না হয়"? কারন সেই থ্রিয়েটিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স। আর ইন্ডিপেন্টেন্ডেন্ট মুভি আজকাল সব ইউটিউবে বিনা পয়সায় দেখা যায়? টাকাটা উঠবে কোথা থেকে?

    এট দ্যা এন্ড এটা বিজনেস। এখানে রোম্যান্টিক কান্নাকাটি আমারে চিনিলনা কেও, কেহ শুনিবে না।

    অনামিত্রর আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি রইল। তবে যা বিজনেস, সেটাকে বিজনেস হিসাবে দেখলেই ভাল হয়-সেটাকে আন্দোলন হিসাবে দেখতে গেলে, জীবনে আরো ছড়াবে। প্রতিভা আরো নষ্ট হবে।

    অনামিত্রর প্রতিভা আছে। একটা ভাল দেশী বিদেশী উপন্যাস তুলে-যা ভাল সাহিত্য- মধ্যে একটু ফ্রন্টাল নুডিটি দিয়ে ঘেঁটে দাও-তোমারও হবে। ব্যবসা ব্যবসার উপাদানেই সম্ভব, আবেগের উপাদানে না।
  • Anamitra Roy | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:৩৯630274
  • বেঁচে থাকা বলতে আপনার কি মনে হয়? খাবার খোঁজা? পানীয় জল এবং মেডিসিন?
    আপনি বেঁচে থাকা বলতে কি বোঝেন ? লাইফ ইন্সুরেন্স? কার লোন?
    আপনি তো এসবের জন্যে প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে কয়েকঘন্টা সফর করে গিয়ে কোথাওকিছু সাংকেতিক মার্কা কাজকর্ম করে আসেন? তাই না?
    সবাই তাই করে।
    আচ্ছা, আপনার মাথায় ওই নলটা কিসের? ওই যে সবুজ রঙের নলটা! ওই যেটা দিয়ে ফ্লুরোসেন্ট বেগুনি কেমিক্যাল ঢুকে যাচ্ছে আপনার ঘিলুর ভেতর? আপনি দেখতে পাচ্ছেন না?
    হাত দিয়ে দেখুন একবার। যাই হোক, এই যে এত গরু-মোষ ইত্যাদি, সারাদিন ঘাস খাচ্ছে আর জাবর কেটে যাচ্ছে, তারা কি বেঁচে আছে? তাদের গিয়ে জিগ্গেস করুন বিশ্বাস না হলে। বলবে, হাম্বা!
    সুবিমল হলে নিজস্ব কায়দায় বলতেন "এ কথার তো কোনো অর্থ হয়না"।
    এখন একথার বাস্তবিকই কোনো নির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও হয় না। আমারই বেমক্কা মাথা গরম হয়ে গেল সামগ্রিক রব শুনে। দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে দৌড়াতে গিয়ে খেলাম মাথায় ধাক্কা! তারপর মাথা তুলে কিছু কলকাতা দেখলাম বটে। দেখলাম রোবটমেলা চলছে। চারিপাশে রোবটের সমাহার। আরেকজায়গায় দেখলাম একটা বিশাল ডিনার টেবলে খেতে বসে সবাই যার যার খাবার মুখে তোলার সময় স্ট্যাচু হয়ে গেছে।

    বাই দা ওয়ে, কে অনমিত্র? কার আন্দোলন? কিসের আন্দোলন? কমিটমেন্ট কার প্রতি? এই লেখার উদ্দেশ্য কি? কালকের আগে অবধি একটা উদ্দেশ্য ছিল বটে। কালও একটা উদ্দেশ্য ছিল। আজকের উদ্দেশ্য কি? সহানুভূতি অর্জন করা? ঘোষণা করা যে এরপর থেকে আমিও ব্যবসায়িক ছবিই করব? বা এই ছবি নিয়েই আমি ব্যবসা করে দেখাবো? ব্যবসায়ীদের বাবার বিয়ে রাজনীতিকদের মাসিদের সাথে দেওয়া? আপাতত বোঝা যাচ্ছে না। তবে অস্কারে আমার ছবি কেন পাঠানো হলো না বলে কান্নাকাটি তো আর করছি না। ওসব যারা করছে তাদের নিশ্চয়ই সহানুভূতির প্রয়োজন রয়েছে। কি বলুন তো, কিছুই না আসলে বলা যায় না। কাল আবার কোন শিল্পপতির কি মনে হবে? ওনাদের তো আবার মনে হলেই জগতে অনেক পরিবর্তন চলে আসে। পিভিআর ডিরেক্টর'স রেয়ার গড়ে ওঠার পিছনে ঘটনা পরম্পরাকে শিলাদিত্য নিজে যেভাবে ব্যাখ্যা করছেন তাতে তো টিনা আম্বানির ও নাম চোলে আসছে। যাই হোক, একটা নড়াচড়া তো হচ্ছে। কথাবার্তা। এই যে সহানুভূতি জানাচ্ছেন এর মানে তো আপনি আমায় স্বীকার করছেন। irritating ignorance থেকে এটা তো বেটার। সহানুভূতি উত্সাহ হতে বেশীদিন লাগে না। ব্যবসা কিসে হয় আর কিসে হয়না সেটা আমিও জানি। লড়াইটা আমার নিজের সাথে। চুতিয়া পাবলিকের জন্যে যে শহীদ হয়ে লাভ নেই সেটা আমিও বুঝি। ওটা দু বছর আগে হলে হত। এখন আমার জিম মরিসন ঝরে গেছে, সেই যে লুপটা আপনি সেবারে বেচে গেলেন। আপনাকে আমিও এমন প্যাকেজ বানিয়ে সাপ্লাই দিতে পারি যে আপনার জীবন সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু মতিস্থির করতে পারছি কই? আপনার মাথার ওই নলটা আমাকে কিছুতেই স্বস্তি দিচ্ছেনা যে। আবার আরেকটা উপায়ও হয়। ভূত হয়ে এমন ঘরে চাপবো যে বেচে তবে শান্তি পাবেন। আবার এমনও হতে পারে, যে আপনি আসলে আপনার কাজটা জানেন না। বা আংশিকভাবে জানেন। মানে হনুমান নাচিয়ে আপনার পয়সা আসে ভালই কিন্তু সংবাদপত্র বেচা আপনার কম্ম নয়। টিনটিন আর দেরিদার কমন পাঠক থাকলেও কিন্তু এক দোকানে দুটো থাকে না সাধারণত। যাক গে, আপনার মাথার নলের লিকুইডটা বেগুনী থেকে কমলা হয়েছে দেখে ভালো লাগছে। নিজের কাছেও উত্তর দিতে হয় সবাইকেই কখনও না কখনো!
  • Anamitra Roy | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:০০630275
  • অবশ্য কিছু কিছু মানুষের মনে প্রশ্নটাই জন্মায় না। তো উত্তর এর দরকারও হয়না। তারা কোন ঘাস ভালো খেতে সেই নিয়ে আলোচনা করে। গোয়ালঘরে কেন দুপুরে রোদ আর রাত্রে হাওয়া ঢোকে, সেই নিয়ে চর্চা। এর বাইরের কোনো রিজনিং এর অস্তিত্বে তারা বিশ্বাস রাখে না। তারা ভালো আছে, তারা ভালো থাক। তাদের যা করার তারা করছে। আমার ও যা করার আমি করছি। তারা আমার মানসিক শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, তো স্বাভাবিক ভাবেই আমিও তাদের কে শান্তিতে থাকতে না দেওয়ার তালে আছি। কিন্তু এ ভারী হাস্যকর ব্যাপার যে একটা লোক জন্ম থেকে বস্তায় বন্দী এবং বার করতে গেলে সে বাধা দিয়ে বলছে যে সে নাকি বস্তার ভেতরেই ভালো আছে। থাক সে তার মতো। কি আর বলা যাবে! তাকে কি বলে কোনো লাভ আছে যে দেখ মুছতে তো তুই আমায় পারবি না। কারণ, তুই আমাকে categorize ই করতে পারিসনি এখনো। গ্রাউন্ডটা না দেখতে পেলে মুছবিটা কি? মেনে নিলে তোরই অস্বস্তি কম হবে পরে গিয়ে। আমি কিন্তু বস্তার চামড়া ধরে টান মারব প্রায়ই, আগেই জানিয়ে রাখলাম।
  • C | 103.115.84.195 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:৩১630276
  • এই লেখার উদ্দেশ্য কি?

    এই যে আপনি লিখছেন আর অনেকে বলছে বাঃবাঃকেয়াবাৎ আর আপনি বেশ একটা আত্মপ্রসাদ লাভ করছেন, এটাও তো একটা উদ্দেশ্য! অন্যে পিঠ চুলকে দিলে যে কি আরাম লাগে! ;-)
  • sosen | 125.241.46.224 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:৫৫630277
  • এই লেখাটাকে অনমিত্রর স্বগতকথন হিসেবে পড়া যেতে পারে। কিম্বা একটা প্রয়াসের পিছনে যে মগজগুলো রয়েছে তাদের ভিতরকার সিনেমাগুলো নিয়ে।
    আমি কিন্তু পড়ছি। আর আত্মপ্রসাদ পাওয়াটা উদ্দেশ্য মনে হচ্ছে না। উদ্দেশ্য খুঁজছিও না।

    পাঠকের দু'লাইন। লেখ, অনমিত্র।
  • biplab | 78.33.140.55 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৯:০৪630278
  • ভাই অনামিত্র
    জীবনের পরম কোন উদ্দেশ্য নেই। আবার উদ্দেশ্য ছারা বাঁচাও কঠিন। আর এখান থেকেই সবার জীবনের স্ববিরোধিতার শুরু। এই বেঁচে থাকাটা ঠিক এই কারনেই স্ববিরোধিতা। জীবনের উদ্দেশ্য নেই-আবার উদ্দেশ্য বিনা, বাঁচাও যায় না। ফলে ল্যাংটো ফকির, চোর, ডাকাত, বাউন্ডুলে কবি, সফল কবি, সফল ম্যানেজার, বিজ্ঞানী, ধনী ব্যবসায়ী, ঝানু নেতা, নিরীহ আম-আদামী-কেওই জীবনে ভুল না। কারন সবার জীবনেই সেই স্ববিরোধিতা আছে।

    সুতরাং কি হলো, কি হল না। তাই নিয়ে ভেবে লাভ কি? কদ্দিন থেকে মাথার মধ্যে একাধিক উপন্যাসের প্লট চট চট করছে। কাজের চাপে নামানো সময় কই! এই অপূর্নতার জন্যেই জীবন অপূর্ব। বেঁচে থাকা। সাধ মিটিলে মরে যেতে ইচ্ছে করবে।
  • π | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ০৯:৩৫630279
  • অনমিত্র, লিখতে থাক।
  • ~L~ | 69.160.210.2 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:২৬630280
  • অনমিত্রের সুবিমল মিশ্র ভালো লাগে? গিমিকটুকু সরিয়ে রেখেও ভালো লাগে? জাস্ট লেখার ফর্মে আর কনটেন্টে ভালো লাগে, না প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা যে টোটাল ব্যপার, সেই টোটাল ব্যপারটাকে ভালো লাগে? মানে লোকটাকে আর তার সৃষ্টিকে ভালো লাগে, না লোকটা যেভাবে নিজেকে তৈরি করছেন, রিপ্রেজেন্ট করছেন সেটাকে ভালো লাগে? এই ক্যাথার্সিসের শেষে বা মাঝের কোনো ব্রেকে একটু সুবিমল কাঁটাছেঁড়া পেতে চাই। যদিও সেসব আদৌ করার কোনো দায় অনমিত্রের নেই, আর না থাকাই ভালো।
  • Anamitra Roy | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৯:০৬630281
  • মানুষের কাজ কি করার আছে বলুন দেখি আনন্দ দিদিমা? হাতে কেবল অখন্ড অবসর দেখে দেখে মাথা পাগল পাগল লাগছে। তাই কাজ করতে করতেই কবি প্যাকেজ হয়ে যাচ্ছে, সায়েন্টিস্ট প্যাকেজ হয়ে যাচ্ছে, আর আমি দিবারাত্রি বসে কাব্যি মাড়াচ্ছি। সত্যিই তো, জীবনের তো কোনই প্রকৃত উদ্দেশ্য নেই। তবে নিশ্চয়ই কেউই ভুল না তাদের জীবনে। রেপিস্টও ভুল না, ব্রাহ্মণও ভুল না। সবই যখন মায়া তখন কারো যোনিতে পাথর আর কারো যোনিতে লোহার রড ঢুকিয়ে দিলে কিই বা ভুল। আহা, আমোদ তো পাওয়া গেল। এরপর ও না পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই কেরোসিন ছড়িয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। বেশ ফাটাফাটি থিএট্রিকাল এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে থ্রীডিতে। জীবনের যখন কোনো উদ্দেশ্যই নেই আর কিছুই যখন ভুল নয় সবই নিশ্চয়ই কম্পিউটার গেম। যেদিন ঝলসানো মানুষের মাংস খাব সেদিন ভারী মজা হবে! তারপর, সাধ পূর্ণ হয়ে গেল বলে কি মরে যেতে ইচ্ছে করবে? না কি আরো মাংস খেতে ইচ্ছে করবে? কে জানে!
    আচ্ছা, বমি হয়ে যাবে না তো?
    প্রশ্ন যখন আসতে থাকে পরপর আসতে থাকে। যেমন হেরম্ব কি আনন্দ কে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মেরেছিল মদের ঘোরে? তারপর নাচ ফাচ আলবাল ন্যারেট করেছিল নিজের ঘাড় থেকে দোষ ঝেড়ে ফেলতে অথবা নিজের বানানো মিথ্যায় নিজে বিশ্বাস রেখে শান্তিতে জীবন কাটাবে বলে?

    আসছি পরে।
  • Somnath Roy | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ২২:১৮630282
  • ইন্টারেস্টিংলি, অনমিত্র ফোরামের বাকি জনতার সঙ্গে লজিকাল ডিসকোর্সে আসতে চাইছে না। অথচ লজিকাল ডিসকোর্স বাদ দিয়ে আলোচনা কতটা অ্যাকমডেট করা যায়? দেখতে থাকি-
  • Ekak | 132.166.147.157 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ২৩:১৭630283
  • অনমিত্র আলোচনা চাইছে নাকী ?
  • Somnath Roy | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ২৩:৩৯630285
  • অবভিয়াসলি চাইছে- হয়তো পেটে খিদে মুখে লাজ টাইপের অবস্থা :P
  • Ekak | 132.166.147.157 | ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ ২৩:৫৪630286
  • *কি হবে

    সোমনাথ : সেটা এসিউম করে নিচ্ছিনা কারণ লেখার মধ্যে সেরকম কোনো এটিতিউদ স্পষ্ট নয় :)
  • সিদ্ধার্থ | 116.51.136.43 | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০০:০২630287
  • আমি মজা দেখছি । ইনফ্যান্ট টেরিবলের হাত পা ছোঁড়াছুঁড়ি :)
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০১:৪১630288
  • প্রকৃতি ও পুরুষ। বাইনারীটা এরকমই ধরে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই বাইনারীতে আমার বিশ্বাস হয়না। প্রকৃতি ও মানুষ বললে তবু নাহয় বোঝা যেত। যদিও মানুষ প্রকৃতিরই অংশ এবং মানুষ সেটা হয় ভুলে গেছে না হয় মেনে নিতে তার ইগোতে লাগতে শুরু করেছে বহুদিন হলো। এই ইগোই বোধহয় আসলে সেই তথাকথিত পৌরুষ যা প্রথম বায়নারীর জন্মদাতা। সেক্সিস্ট এপ্রোচ, এক কথায় বলতে গেলে, যা আমায় হাংরীপ্রবর দের থেকে দুরে ঠেলে দেয়। তাই বলে আমার সত্যিই যে কারুর ওপর কোনো রাগ আছে এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। বস্তার ভেতর থাকতে চাওয়া লোকটিও এমনকি বস্তার ভেতর থাকার নিশ্চয়ই কোনো কারণ খুঁজে পেয়েছে বলেই সেখানেই থাকতে চাইছে। হয়ত সেখানে সে নিরাপদ বোধ করছে আসলে। আমার দায়, অথবা দাদ, তাকে বলে দেওয়া যে সে নিরাপদ নয়। খিস্তিখাস্তা বা ক্ষোভপ্রকাশ যা কিছু সেটাশুধু স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্যে যে এই লেখা কোনো নির্দিষ্ট শিবিরের নয়। একজন ব্যক্তিমানুষের, যে রক্তমাংস দ্বারা নির্মিত, এবং তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। প্রসঙ্গত, কিছু কিছু আমোদ গেঁড়ে চোদনা আছে যারা পৃথিবীর সব জায়গাতেই মজা নিতে পৌঁছে যায়। প্রচন্ড ভীড়ে যখন ধাক্কাধাক্কি হয়, বা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কোনো মেয়ে যখন কটুক্তির প্রতিবাদ করে, অথবা যখন কোনো বাসে আগুন ধরানো হয়, কিম্বা চোরের পায়ের শিরা কেটে দেওয়া হয় ঘিরে ধরে; সব জায়গাতেই ছবি তুললে দেখা যাবে কয়েকটি মুখে অযৌক্তিক হাসি লেগে রয়েছে। যেন এই তো বেশ মজা হচ্ছে মার্কা একটা ভাব। তো যা যা পৃথিবীতে রয়েছে সেগুলো রয়েছে। যেমন হিংসা না থাকলে নিশ্চয়ই ভালো হত, ভালো হত খাবার খোঁজা-র কাজটা না থাকলে। কিন্তু এসবের তো আর কিছু করার কোনো উপায় নেই। আছে। থাকুক। বিশ্লেষণ করে দেখা যেতে পারে বড়জোর।
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:০৪630289
  • আলোচনা বড় ভালো জিনিস। কিন্তু প্রশ্ন হলো কার সাথে? টেডিবিয়ারের সাথে মাখনের কো-অপারেটিভ নিয়ে আলোচনা করাই যায়। কিন্তু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে টেডি কিছুতেই বুঝছে না যে বিষয়টা আসলে মাখন নয়। একটা প্রায় একইরকম দেখতে নবআবিস্কৃত একটা খনিজ পদার্থ। সবার আগে তাহলে এই জায়গাটা ক্লিয়ার করার জন্য টেডি-র ভাষা বোঝা দরকার। কারণ আমি যতবার বলছি খনিজ পদার্থ টেডিও ততবারই বলছে মাখন। আমি বলছি মিনারেল টেডি বলছে ও আচ্ছা, তাই বল, বাটার। শেষে মাথা গরম করে টেডির কলার ধরে ঝাকিয়ে আমায় বলতে হচ্ছে, ওরে শুওরের বাচ্চা, খনিজ, খনিজ, ভূগোল বইতে পড়িসনি? টেডিও বিরক্ত হয়ে বলছে, হ্যা, বিজ্ঞাপন আমিও দেখি। আমূল বাটার মানে সবাই জানে। এতে এত arrogance এর কি আছে!

    বাধ্যত, আলোচনা ফালোচনা ভুলে আমাকে গালে হাত দিয়ে বসে ভাবতে হচ্ছে, সোনার গান্ধীমুর্র্তি নয়, হারান মাঝির বিধবা বউ এর মরা নয়, টেডি, বালভদুয়া, মালটার মেটেরিয়ালটা আসলে কি! ওকে কি আমার কিসয়াহিলি ভাষায় প্রবন্ধ লিখে এনে পড়ানো উচিত?
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:৪৫630290
  • এই টেডি আসলে একটি প্রোটোটাইপ। আমার চারপাশে এরকম লক্ষ লক্ষ টেডিবিয়ার। ফলে একেকসময় আমার নিজেরই মনে হচ্ছে আসলে বিষয়টা বোধহয় মাখনই তাহলে মাখনের মতই দেখতে যখন। আমারই নিশ্চয়ই কোথাও ভুল হচ্ছে। তারপর ভালো করে খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে দেখছি একটা রাজনৈতিক বিক্ষা রয়েছে কিন্তু কোনো সংগঠন নেই। একটা বস্তু রয়েছে যা আসলে প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি হয়ে এসেছে জন্মলগ্ন থেকে, বা বলা ভালো যে বিক্রি করার জন্যই যাকে জন্ম দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন বস্তুটা আরো অন্যান্য কাজও করতে চাইছে। রোবট কবিতা লিখলে নিশ্চয়ই সেটা প্যাকেজ করে বেছে দেওয়া যায় কিন্তু রোবটের সেই কবিতা যদি status quo কে চ্যালেঞ্জ জানায়? তাহলে কী রোবটটির ব্যাটারি খুলে নেওয়া উচিত নয়? ফলে ব্যাটারির যোগান আমার নেই। দৌড়চ্ছি আর মাঝে মাঝে এর ওর তার বাড়িতে ঢুকে চার্জ দিয়ে নিচ্ছি। স্বাভাবিক ভাবেই সবাই রাজি হচ্ছে না তাদের কষ্টার্জিত বিদ্যুত আমার একক প্রদর্শনের পেছনে নষ্ট করতে। আমি তাদের কে কোন মুক্তির আলো দেব, কোন স্বাধীনতা? আমি রামকৃষ্ণ না সুভাষ বোস? তারা চাইছে শাহ রুখ খান, করিনা কাপুর কিম্বা তেন্ডুলকারের সাথে ডিনার ডেট। নিদেনপক্ষে মালয়েশিয়া যাওয়ার দুটো প্লেনের টিকিট। আর আমি উল্টে চেচিয়ে বলছি তোমরা কিন্তু নিরাপদ নও। সবাই মিলে খেপে যাচ্ছে আরো।

    সিচুয়েশনটাতো ক্লিয়ার। কোনো জাদুপর্দা নেই, আর নেই যে, সেটাই পর্দায় দেখানোর। এরপর কিসের আলোচনা? হ্যা, খুঁজে বার করা বাকী রইলো। মানে সব টেডি তো টেডি নাও হতে পারে। মাখনের বাইরে অন্য এক রিয়ালিটি হয়ত তাদের পছন্দ হবে।
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০৩:৩৯630291
  • আপনি ভুতে বিশ্বাস করেন? ভূত কিন্তু কোনো supernatural ব্যাপার নয়, নিতান্তই ন্যাচারাল। আমার ধারণা আমি ভূতগ্রস্থ। অবশ্যই রাজার হালে থাকতে আমার ভালো লাগে। ভালো whiskey খেতে ভালো লাগে। কেউ স্যার বলে সম্বোধন করলে আমার ইগো pleased হয়। ফার্নিশড ফ্ল্যাট, spacious কার, সবই আমার পছন্দ। এসব আমার ভেতর ঢুকে আছে। জন্মের আগে থেকেই সম্ভবত। তারপরও আমি এমন কিছু কাজ করে যাচ্ছি যা আমায় এই সমস্ত প্রাচুর্য থেকে দুরে ঠেলে দিচ্ছে। বিপন্ন করে ফেলছে সময়ে সময়ে। কিন্তু, আমি কেন করছি। বোঝে তো সবাই সবকিছু, আমি যে বাকিদের থেকে বেশি পৃথিবী দেখেছি বা বেশি বিচক্ষণ এমন কোনো দাবি আমার নেই। কিন্তু বাকিরা যেখানে থিতু এবং নিরাপদ হওয়ার চেষ্টা করছে আমি কেন নেচে বেড়াচ্ছি? চুলকানির উত্সটা কোথায়, বা সেভাবে বললে inspiration টা কি? এই প্রশ্ন আমি নিজেকে করে দেখেছি। আমার কোনো inspiration নেই। তবু আমি, জাস্ট করে যাচ্ছি। মেঘ থেকে যখন বৃষ্টি হয় তার পেছনে নিশ্চয়ই বিজ্ঞানসম্মত কারণ আছে এবং মেঘকে কেউ জিগ্গেস করতে যায় না যে আপনি বৃষ্টি করেন কেন! বিজ্ঞান যা বোঝার বা বোঝানোর টা নিশ্চয়ই বুঝিয়েছে, তবে অনেক পরে। প্রাথমিকভাবে মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় কারণ সেটাই স্বাভাবিক। ন্যাচারাল একটা ঘটনা। আমার ক্ষেত্রেও লেখা, ছবি করা ব্যাপারটা এরকম ভাবেই হয়ে চলেছে। অনেক ছোটবেলা থেকেই। শুরুতে যা হয়, সবাই ভেবেছিল হবি, বা একটা ভালো গুন, so to স্পিক, বাছা ভারী প্রতিভাবান। কিন্তু প্রতিভা যে বড় হয়ে এভাবে পাছায় বিঁধবে সে কথা আমি নিজেও তখন জানতাম না। আমি জাস্ট এই ব্যাপারটা কে থামাতে পারিনি। কারণ এটা একটা ন্যাচারাল প্রসেস। অন্যভাবে বললে এটা সেই ভুতের কাজ। unstoppable একটা ফোর্স। এতটাই unstoppable যে চারপাশে যখন কেউ ছিল না তখনও আমি এটাই করছিলাম। এবং সুন্দর মুখ করে কোনো গোষ্ঠীতে আমি মিশে যেতে পারিনি। বেচুয়া বা তেলুয়া হয়ে উঠতে পারিনি। না তো পার্টটাইম কাল্চারমারানি হতে পেরেছি। এসবের কিছু হতে পারলে বরং অনেক ভালো হত। মহাজনের টাকায় তাঁত চালাব? তোদের সাথে বেইমানি করব --- বলতে গিয়ে দেখি চারিপাশে কেউ কোত্থাও নেই। সুযোগ তো ছিলই পাততাড়ি গুটিয়ে ডীস্কোড্যান্সার অবতারে ফিরে আসার। কিন্তু নিজের সাথে বেইমানি করতে পারলাম না। ভুতের বাচ্চা করতে দিল না। এই লেখার উদেশ্য সেটাই যেটা পৃথিবীর সমস্ত লেখার উদ্দেশ্য। পুনরাবিস্কার। অবস্থান এবং সম্পর্ক, তথা আত্মা!
  • riddhi | 118.90.250.178 | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:০৩630292
  • আলোচনা কাটাও। যাস্ট নামিয়ে যাও। চাম্পি হচ্ছে।
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:০৬630293
  • সিনেমা খুব কম লোকই করে উঠতে পারবে বা করে টিকে থাকতে পারবে। কারণ ল্যাদ খেয়ে সিনেমা করা যায় না। গাঁড় ফেটে যায় একটা ঠিকঠাক সিনেমা বানাতে গেলে। হাফ hearted ভাবে এই কাজটা হয় না। গাঁজা মদ খেয়ে লিটিল ম্যাগাজিন মাড়ানোর সাথে এইখানে একটা বিশাল পার্থক্য সিনেমার। লেখায় রিক্সা জ্যাকেট আলুকাবলি পরপর লিখলে যা হোক কিছু একটা দাঁড়িয়ে যাবে কিন্তু সিনেমায় সেটা হবে না। হ্যা, কেউ বলতেই পারে যে আভাগার্দ দিচ্ছি। কিন্তু আভাগার্দ কোন পরিস্থিতিতে কোথায় জন্ম নিয়েছিল তার সাথে আজকের ভারতবর্ষের পরিস্থিতি তুলনা করে দেখলেই বোঝা যাবে কোনটা কি। কলোনিতে নকলনবীশ হনুমান তো অনেকই আছে, আরো দুটো নাহয় রঙ্গীন চশমা পরে "zingo zingo" করলো। তাতে কিই বা আসে যায়। কিন্তু যখন আপনি জানেন যে আপনি কি বানাতে চাইছেন তার কাছাকাছিও কিছু বানিয়ে উঠতে গেলে যে sincerity টা দরকার সেটা সবার থাকে না। ইটা একটা বিশাল বাঁচোয়া। আরো বড় আনন্দের কথা এই যে, এত খাটার পর যখন টাকা আসে না তখন যারা মাড়াতে এসেছিল তারা পাতলা হয়ে যায়, অথবা টাকা বানানোর মত করে সিনেমাটাকে কাটছাট করে নেয়। এই দ্বিতীয় জিনিসটা আমি করতে পারব না। সব সিনেমা সব জায়গায় হয় না। যেটা বানাতে ইচ্ছা হবে সেটা যেখানে বানানো যায় সেখানেই বানাবো। আর অন্য কেউ করুক না করুক নিজে বিক্রি করার চেষ্টা করব। ক্যাপিটাল ঢালা হলে কালকা আতাক্যালানে যোগী গাঁড়মে ইয়াব্বড় জটাওয়ালা দীপক অধিকারী হয়ে ওঠে জানি তাই বলে ক্যাপিটাল ঢালা না হলে কি শ্রম আর মেধার কোনো মূল্যই থাকবে না?
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:২১630294
  • আলোচনা আমি যে কাটাতে চাই তা নয়, টেডি যদি খনিজ বলে মেনে নিয়ে কথা বলতে আসে নিশ্চয়ই আলোচনা সম্ভব। কিন্তু টেডি মোটেই সৎ নয়। ৪৫০ টাকার ব্ল্যাক ডগের পেগের সাথে ৩৮০ টাকা প্লেট চিকেন উইং কোনো এক রুফটপ বারে পেয়ে টেডি বলে "এত সস্তা ভাবা যায়"! আনন্দে টেডির হাসি ধরে না। এই টেডিই আবার মহাবিপ্লবী। বাণী ঝরঝর ঝরে চলেছে দিন নেই রাত নেই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এ। এবার টেডি কে আমি একদিন বললাম একটা সিনেমা বানাবো। যা টাকা ওঠে তাই দিয়ে। টেডি হেবি পিঠ চাপড়ে দিয়ে আমার হাতে দিল একটা ৫০০ টাকার নোট্। আমি বললাম ৫০০ টাকায় কি হয় আজকাল? আমি সিনেমা বানাবো বললাম, শুনতে পেয়েছিলেন তো? টেডি বলল তা তুইই তো বললি তোর ১ টাকার ওপর যেকোনো অঙ্ক হলেই চলবে। আমি বললাম, আমি তো বলেছিলাম যাতে সবাই এগিয়ে আসতে পারে। টাকার অভাবের কারণে কেউ হীনমন্যতায় না ভোগে। কারণ মানুষ ও দরকার, প্রাথমিক ভাবে সেটাই। কম টাকায় তবু চালিয়ে নেব কিন্তু মানুষ তো চাই। টেডি বলল, দেখ ৫০০ টাকা দিয়েছি। নিতান্ত কম তো নয়! এই মাসে অবস্থা একটু খারাপ যাচ্ছে, ২ মাস পর আবার কিছু জমিয়ে দিয়ে দেব নাহয়। বলে, পাবে ১৮০০ টাকার বিল মিটিয়ে বাড়ি চলে গেল।

    আমি সিনেমা বানালাম। হে হে।
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৩৬630296
  • সব চেয়ে বড় সমস্যা যেটা,
    এখানে কোনো সেন্সিবল প্রোডিউসার নেই।
    এখানে প্রোডিউসার বলতেও লোকে যেটা বোঝে সেটা আসলে ফিনান্সার।
    এবার ফিনান্স ধরার কাজ বেচারা ডিরেক্টর কি করে করবে
    (মানে ডিরেক্টর দের কথা বলছি, শিম্পাঞ্জিদের নয় বা দালালদের নয় )।
    এবার এক্সপেরিমেন্টাল কাজ তাহলে কিভাবে হতে পারে? কিছু মানুষ আছে যারা এই ধরণের কাজ পছন্দ করে। তাদের পকেটে যথেষ্ট টাকা রয়েছে এই মুহুর্তে যাতে কম বাজেটের ডিজিটাল ফীচার বানানো যায়। সত্যি কথা বলতে ১০০ টা লোক ৫০০০ টাকা দিলে ৫ লক্ষ হয়। এবং ওই টাকায় কাজ করা যথেষ্টই সম্ভব। কিন্তু এই ধরণের ১০০টা লোকের দেখা পাওয়ার আগেই স্বয়ং ভগবান নেমে এলেন আমার কষ্ট দেখে। তাঁর সঙ্গে কি কথা হলো না হলো সেসব আসমানী জহরতে রয়েছে। বেসিকালি আমার ভাগ্য খুব ভালো যে শ্রীপর্ণা একটা ঘটনা পৃথিবীতে ঘটেছিল এবং বর্তমানে সেই ঘটনাটি আমার বউ এবং সহকর্মী। একটা সিনেমার জন্য রাইট, শুট, এডিট এই তিনটে তুচ্ছ বিষয়ের বাইরেও আর কি কি করতে হয় সেটা কেউ ওকে জিগ্গেস করে দেখতে পারেন। মানুষের মত আজব প্রাণী হ্যান্ডেল করা যে মাঝে মাঝে কিরকম সমস্যার বিষয় হয়ে যেতে পারে জাস্ট ভাবা যায় না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন