এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মার্কেটের মা!

    Anamitra Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ | ১৫০৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৪৭630297
  • পরে আসছি আবার।
  • biplab | 78.33.140.55 | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:৩৬630298
  • ৫ লাখ টাকায় একটা ফিল্ম বানানো যায়। ০ টাকাতেও যায়। কিন্ত পয়সা দিয়ে সেই ফিল্ম কেও কেন দেখবে? ডিরেক্টরের পাগলা হতেই পারে। কিন্ত দর্শক কেন পাগলু হবে সেই ফিল্ম পয়সা দিয়ে দেখার জন্য? ৫০-৭০ লাখ টাকা বাজেটের বাংলা ফিল্ম বিনে পয়সাতেও বসে দেখতে কষ্ট হয়। টাকার অভাবে ভাল গল্পেও ফিল্ম ভাল করা সম্ভব না।

    আজকের দিনে ১০-১৫ কোটি টাকা ছারা কোন ভাল ফিল্ম করা সম্ভব না, যেটা দর্শক হলে বসে টিকিট কেটে দেখবে। স্পিলবার্গের এত বাজেট কেন লাগে? ভাল কিছু করতে গেলে ভাল বাজেট লাগবেই। স্পিলবার্গ বা ক্যামেরুন কি আউট অব বক্স ভাবেন না?

    বরং বাংলা সিনেমাকে কি করে ১০-২০ কোটী টাকার বাজেটে তোলা যায় সেটা ভাবতে হবে। এর জন্যে দরকার
    (১) বাংলা, হিন্দি, উড়িয়া এবং অসমিয়া -এই চারটি ভাষায় নিদেন পক্ষে বাংলা এবং হিন্দিতে সাইমালটানিয়াস রিলিজ। দক্ষিনের ফিল্ম গুলো তাই করে
    (২) বাংলার সাহিত্য নির্ভর সিনেমা করতে হবে। যে প্রচেষ্টা এখন শুরু হয়েছে। বাংলাতে অবশ্যই ওয়ার এন্ড পিস বা লাভ ইন টাইম অব কলেরার মানের উপন্যাস কেও লেখেনি। কারন ওই অভিজ্ঞতা কোন বাঙালী লেখকের নেই। কিন্ত তবুও যা আছে তা ভাল সিনেমার জন্য যথেষ্ট। সেগুলো নিয়ে কাজ হোক। ইদানিং সেই প্রচেষ্টা চালু হয়েছে। ভাল লাগছে দেখতে। সেদিন গৌতম ঘোষের শুন্য অঙ্ক দেখলাম। দুর্বল চিত্রনাট্য-কারন সাহিত্যের সেই নির্মানের অভাবটা খুব বেশী করে চোখে পড়বে।

    রিসেন্টলি ওয়ার এন্ড পিস দেখলাম । সার্গেই বেন্ডারচক। রাশিয়ান ভার্সন। দুবার। বারবার দেখতে ইচ্ছা করে। কিন্ত ওই সেট ত আর পাঁচ লাখ টাকাতে হবে না। লাভ ইন টাইম অব কলেরা বানাতেও ৫০ মিলিয়ানের বাজেট ছিল নইলে ওই ১৯৩০ এর ল্যাটিন আমেরিকা কোত্থেকে তৈরী হবে?
  • দেব | 111.217.116.184 | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:০৮630299
  • আচ্ছা টেডি তালে প্লেসহোল্ডার।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:৪৯630300
  • "...আজকের দিনে ১০-১৫ কোটি টাকা ছারা কোন ভাল ফিল্ম করা সম্ভব না...." -- বিপ্লব বলে কি!
    যাকগে, কটা স্যাম্প্‌ল ---
    ১) পান সিং তোমার - ৫ কোটি (ব্যবসা ৩৮ কোটি)
    ২) উড়ান - ৫ কোটি (ব্যবসা ৩০ কোটি)
    ৩) কাহানি - ৮ কোটি (ব্যবসা ১০০ কোটি)
    ৪) তেরে বিন লাদেন - ৬ কোটি (ব্যবসা ১৫ কোটি)
    হলিউডি-ও আছে ---
    সেই ক্যামকর্ডারে তৈরী ব্লেয়ার উইচ প্রজেক্ট মনে আছে - ষাট হাজার ডলারে তৈরী ছবি আল্টিমেটলি প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে।
    আরো অনেক কম বাজেতে ধরো, এল মারিয়াচি, বিখ্যাত মেক্সিকান অ্যাকশন ফিল্ম, তৈরীতে খরচ হয়েছিল ৭০০০ ডলার, পরে তো প্রচুর জনপ্রিয় হয় এবং ব্যবসা করে।

    অবশ্য, মাইক্রো বাজেট ফিল্মের রাজা ছিলেন সত্যজিৎ ।
  • ^L^ | 69.160.210.2 | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:৫০630301
  • বিপ্লাব বনাম অনমিত্র = মার্কেট বনাম মার্কেটের মা। ঃ-)
    এখন বিপ্লব কে একটা সিনেমা ফিনান্স করাতে কনভিন্স করতে পারলেই হয়। কে আছো জোয়ান, ইত্যাঃ
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:২৮630302
  • একটু মাখনের গল্প বলি।

    কিছুদিন আগে বুলেট রাজা দেখছিলাম। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে ছবিটা তিগমাংশু ধুলিয়ার বানানো। আপাত দৃষ্টিতে ছবিটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবি (মানে বলিউড ইন্ডি অর্থে) কারণ তিগমাংশু নিজে ছবিটার প্রোডিউসার দের একজন। কিন্তু ছবিটাতে বেশকিছু অপ্রয়োজনীয় বিষয় রয়েছে যেগুলো খুব ভালোভাবে প্রমান করে দেয় যে "বলিউড ইন্ডি" ব্যাপারটা আসলে হয়না। জাস্ট হয়না। যেমন সাজিদ-ওয়াজিদ এর music, মাহী গিল এর নাচ। গল্প একটা রয়েছে predictable হলেও, সেই গল্পে সুন্দর লজিক ও রয়েছে। গোটা ছবিটাতে এমনকি একটা ভালো ডায়লগও রয়েছে। কিন্তু তার বাইরে যেটা রয়েছে সেটা কি এবং কেন!? গনেশ আচার্য্য-র কোরিওগ্রাফি! ঠিক আছে, প্রোজেক্ট প্রোফাইল নিশ্চয়ই বানাতে হয় সুন্দর করে, সুন্দর সুন্দর নাম ঢুকিয়ে, টাকা আনার জন্য, তাই বলে যা নয় তাই? আর অনুরাগ কাশ্যপ গেল কোথায়? আইয়া, চিকেন খুরানা জাতীয় ছবি যদি কো-প্রডিউস করা যায় তাহলে এই ছবিটাই বা কি দোষ করেছিল। অন্তত এত উটকো জিনিসের সমারোহ তো হত না! অবশ্য এদের তো আর কোনো নীতিগত কারণে এক জায়গায় আশা নয়। সব বন্ধুত্বই ব্যবসায়িক। কবে যে কার হাত কার কোথায় থাকে কে জানে! বলা যায় না, তিনি হয়ত এখন "আচ্ছা, আমাকে টেক্কা দিবি!" জাতীয় মুখ করে বম্বে ভেলভেট এর ম্যাজিক ডিপার্টমেন্ট-এ পি সি সরকারের নাম ঢোকাতে ব্যস্ত!

    গোটা সিনেমাটা জুড়ে একটা অসম্ভব রকমের হয়ে উঠতে চাওয়ার ছাপ! কি হয়ে উঠতে চাইছেন তিগমাংশু? জীবনের কোন জায়গাটা ফাকা লাগছে? মাখন থেকে উন্নততর মাখন? -- এই গল্পটার সাথে নিশ্চয়ই সবাই খুব কানেক্ট করতে পারছেন? নামগুলো চেনা এবং বোঝা যাচ্ছে মোটামুটি যাই হোক যে কি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা চলছে; কিন্তু এরকম বেশীক্ষণ চলবে না। একদম উল্টোদিকে চলে যাই বরং। দেখে নেই এই মুহুর্তে USA আর UK তে ঠিক কি অবস্থা। কাল রাত্রে একটা খোলা চিঠি সামনে এসেছে। সেটা বরং পড়ে নেওয়া যাক। উল্টো দিকের উল্টো পিঠের কিছু কথাবার্তা

    "An Open Letter to the Film Industry

    An Open Letter to the Film Industry (in rebuttal to George Lucas, Steven Spielberg, David Lynch, Steven Soderbergh, Martin Scorsese, John Sayles and honestly we forget who else there were so many):

    Over the last few years we have been hearing the same old song and dance from a whole lot of you.

    What are you people talking about you ask, eyebrows furrowed?

    We’re talking about the ominous rumblings that the film industry is dead; that if you want to make films for a living (or at least break even on them) you can pretty much go kick rocks. At the same time we are also seeing other ways in which big people in the industry are reacting. More on that in a sec.

    Who are we you ask? Oh nobody you would know. We’re the underground filmmakers, the no-budget indie people, the experimentalists, the freelance film critics and journalists who get all excited about people like Bela Tarr, Wang Bing, Claire Denis, Frans Zwartjes, Jia Zhang-ke and Lav Diaz. The young and drifting into middle-age nobodies. The 20-ish to 40-ish people.

    So what specifically are we referring to?

    David Lynch tells us the state of the film industry is “depressing”. Yeah? No shit Sherlock. We’ve known that for a long time- at least when it comes to what gets funding and distribution and what doesn’t. Spielberg and Lucas blathered on about an implosion of the film industry and $50 tickets. There was Soderbergh’s “State of the Film Industry” thing…. John Sayles did some interview where he said it’s all but impossible to make a living as an indie filmmaker now. Kentucker Audley of the wonderful site NoBudge wrote an article this year for Filmmaker Magazine wondering if filmmakers should just aim to be hobbyists. Spike Lee as we all know followed in the tradition of Zach Braff and Rob Thomas/Kristen Bell and took to crowdfunding platforms, not to support starving, talented young filmmakers, but to raise funding for their own work, despite millions of dollars that he and they’ve made in their careers. Lee, to add insult to injury published a list of must see films, which rivaled Paul Schrader’s 2006 “The Film Canon” for a generic, unimaginative, mostly Western-centric and a borderline racist, sexist viewpoint of what should be considered important in the culture of cinema.

    Martin Scorsese was kind enough to hop aboard the bandwagon this week in his own “A Letter to My Daughter” where he takes an alternative to the gloom and doom people, by saying “the future is bright” and that he has hope because of this:

    “I don’t want to repeat what has been said and written by so many others before me, about all the changes in the business, and I’m heartened by the exceptions to the overall trend in moviemaking – Wes Anderson, Richard Linklater, David Fincher, Alexander Payne, the Coen Brothers, James Gray and Paul Thomas Anderson are all managing to get pictures made, and Paul not only got The Master made in 70mm, he even got it shown that way in a few cities. Anyone who cares about cinema should be thankful.”

    Yes- we should be hopeful about the future of cinema because of a bunch of well-established and occasionally talented Hollywood American filmmaker guys.

    That’s cool. Well done. Very inspiring, Marty.

    Now what were these other ways in which some other big film people are reacting? Well here’s one: last year Bela Tarr opened his Film Factory in Sarajevo. He was chatting with a couple of us in 2011 about it, saying it would be something like the Bauhaus group- in the sense that it would be a supportive environment for people to build with the tools needed- in this case to build films.

    As Tarr describes it on the Film Factory site:

    “It is in this context that we are seeking to demonstrate, emphatically and convincingly, the importance of visual culture and the dignity of the image to the coming generation of filmmakers. Our aspiration is to educate mature filmmakers who think responsibly, with the spirit of humanism, artists who have an individual outlook, an individual form of expression and who use their creative powers in the defence of the dignity of man within the reality that surrounds us. Probing questions concerning our outlook on the world and the state of our civilization must impact the work of the new programme of doctoral studies in Sarajevo.”

    Hey that’s great, right? What’s the problem with that? Well there is this: the yearly tuition fee is 15.000 Euros- essentially pricing out all low income, underground and no-budget independent filmmakers- and therefore doing little to change filmmaking from being in Tarr’s words “a fucking bourgeois profession”.

    NEWS FLASH! (and this first one is to the established folks)

    You want things to be better? More good/interesting/brave films to be made? You want a healthy, thriving film industry? Perhaps a bright future for a new generation of filmmakers?

    How about showing just a teensy-weensie bit of support for the unknown, starving, talented filmmakers, who need it right now? And no that doesn’t have to be money. It can be donating equipment, talking or writing about their work, helping to produce their films- there are many things that can be done to help.

    Studios/Production companies? Stop hiring people with 12+ years of experience in development. Bring in new people that actually have some new ideas on things!

    Start producing ultra-low budget films by new filmmakers- bring in new blood!

    And for shit’s sake! Start making a film or two that an actual adult might want to see!

    Programmers? Program films with some guts for a change! Get a clue and stop writing douchey articles like this one: “How To Fake Being an Indie Auteur” and start showing some attention to the people who are thoughtfully challenging narrative form and content.

    Festivals? Stop prioritizing safe films by trust-fund filmmakers! Stop charging outrageous fees to filmmakers you have NO INTENTION of screening, because major companies do not back them!

    Film magazines/sites/critics? Start talking about under-represented filmmakers!

    In the 70’s and 80’s established filmmakers would donate stock to up-and-coming, gifted newbies! Wim Wenders/Jim Jarmusch/”Stranger Than Paradise”- remember that bit of film history?

    Studios would give a shot to small budget films by kids out of film school with interesting ideas. Even into the 90’s people like Susan Sontag would champion the work of people like Fred Kelemen and Bela Tarr.

    You want things to be better? Stop being self-serving and start making efforts to fix the overall culture and attitude of the film industry.

    Start funding ultra-low budget, bold work by unknown new filmmakers.

    Guess what? People know how to make feature films for under $20,000. Under $10,000 in fact! We can also think of countless daring, beautiful features that were made for less than $1,000 but never found distribution because the filmmakers didn’t have the money to promote them. And guess what? You don’t always need a screenplay to make a film deserving of an audience! So that whole censorship of the market thing? Let that shit die the death it deserved years ago.

    Art/photo studio building owners? Loan out space to shoot in exchange for screen credit or filmmakers’ teaching classes for free (or some other barter-y kind of thing).

    Start seeking out filmmakers in countries that have no film industry to speak of right now- there are so many people with so many worthwhile things to share if only given the chance.

    Look- we understand that in some cases, things like Bela’s Film Factory are well intentioned- however they are still highly problematic and don’t address some of the root issues that are being faced by many filmmakers and artists right now.

    And this news flash is to others like us- the starving, under-represented filmmakers: start lending a hand to each other as much as you can! Lend equipment. Act in someone’s film. Get naked if it means getting naked- what are you? A precious little puppy? ‘Fraid not! Same thing- actors! Be willing to do stuff that puts you outside your comfort zone (this goes for filmmakers too)! Do you know how to build a website or make a poster? Help some poor fool who doesn’t know CSS or Adobe Illustrator from a kick in the face.

    Non-filmmakers who like films? See above and do what you can to help.

    In short- right now “the film industry” doesn’t give one fuck about imprving things quite yet- so in the meantime let’s have each other’s backs. OK?

    Oh and lastly- the film industry is NOT dead. It just needs to be brave and look after itself. Give itself a transfusion.

    Peace.

    Jesse Richards, (Remodernist Film, C.3.3.)

    Chris Marsh, (Retronica Video, C.3.3.)

    Salem Kapsaski, (Après Vague, C.3.3.)

    Cassandra Sechler, (Dreams For Dead Cats Productions, C.3.3.)

    Scott Barley, (C.3.3.)

    G.B. Jones, (Filmmaker)

    Mikel Guillen, (Remodernist Film, Pickpocket Films)

    Roy Rezaäli (Chill’m Guerrilla Cinema, Remodernist Film)

    Ming-Yu Lee, (Chill’m Guerrilla Cinema)

    Matthew E. Carter, (Black Country Cinema)

    Manjeet S. Gill, (Black Country Cinema)

    Andrew J. Walker, (Black Country Cinema)

    Juan Gabriel Gutiérrez, (Filmmaker, Cinekinosis)

    Seth Fragomen, (Interior Mars Films)

    Tomás Rogés, (Filmmaker)"

    জাস্ট জানানোর জন্যই শেয়ার করলাম। দরকারী মনে হলো। আজ ঘুম হয়নি ঠিকঠাক। পরে লিখতে আসবো।
  • দেব | 135.22.193.146 | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ১৬:২১630303
  • গান্ডুর বাজেটও তো খুব বেশী ছিল না বোধহয়। কেউ জানেন? দিব্যি তো ব্রেক পেল। কঠিন হলেও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মের জন্য কিছু জায়্গা আছে নিশ্চয়ই।
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ২০:৩১630304
  • ভাবছিলাম ঘুমিয়ে পরব কিনা। সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। কাগজ পড়ছিলাম বসে বসে। রমেশ সিপ্পি কলকাতায় আসছেন, SRFTI তে মাস্টার ক্লাস ইত্যাদি ইত্যাদি। সঞ্জয় দার উক্তিটি দেখে ভারী আমোদ পেলাম। মেসেজ করলাম ওনাকে (এটা আমি প্রায়ই করে থাকি ওনার লেখাপত্তর পড়ে)--- "রমেশ সিপ্পি-র অভিজ্ঞতা শুনে ছাত্ররা কি সত্যিই দারুন উপকৃত হবে? আপনাকে অন্তর্জালে যে পাওয়া যায়না এ ভারী দুঃখের ব্যাপার"।
    সঞ্জয়দা এর উত্তরে ফোন করে বসলেন। ভারী আনন্দ হলো। ঘুমটা কেটে গেল এক ঝটকায়।

    এই পর্যন্ত পড়ে অনেকে হয়ত আবার শিবিরের আভাস পেতে শুরু করতে পারেন। তাই জানিয়ে রাখি, এটা নিতান্তই ব্যক্তিমানুষের সাথে ব্যক্তিমানুষের সম্পর্ক। গালাগাল যা দেওয়ার, এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু কিছু মানুষ সত্যিই ব্যতিক্রমী হয়ে থাকেন। ফেসবুকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্রবিদ্যাবিভাগ বিষয়ক একটি নোট লিখেছিলাম একদা। তারপর নিজে চোখে কিছুই দেখিনি, মিথ্যে বলব না, সবই শোনা কথা, কারো কারো উত্সাহে সেই নোটের নাকি প্রিন্ট আউট বেরিয়ে যায়। ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে ডাকা হবে কিনা ইত্যাদি আলোচনা চলে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে আমার ঘনিষ্ঠ অসমবয়সী সমমনস্ক বন্ধু এক প্রফেসর আমায় জানিয়ে দেন কিছুদিন ডিপার্টমেন্ট এ এসোনা। সঞ্জয়দার প্রতিক্রিয়া যেটুকু জানতে পেরেছিলাম সেটা এরকম, "ও ঠিকাছে, ওর রাগ হয়েছে তাই লিখেছে।" কিন্তু, সমস্যা যেটা তৈরী হয়েছিল সেটা মৈনাকদা এবং তাঁর তাঁবেদারদের বদান্যতায়। এমনকী কোনো অনুষ্ঠানে আমি আমন্ত্রিত থাকলে মৈনাকদা সেখানে আসবেন না এই পর্যায় চলে যায় ব্যাপারস্যাপার।
    এরপর অনিন্দ্যদার বিয়েতে দেখা হয় সঞ্জয়দার সাথে। আমাকে দেখতে পেয়ে উনি নিজেই এগিয়ে এসে পিঠে হাত রেখে বলেন " কেমন আছ? সেই যে আমাকে গালাগাল করেছিলে তারপর এই তো প্রথম দেখা"।
    মুখে প্রশস্ত হাসি।
    স্বাভাবিকভাবেই, একটা সম্পর্ক রয়ে গেছে যেটা কোনভাবেই ক্যাটাগরিতে আসেনা কোনো। এর কারণ হয়ত ওনার সাথে আমার পরথম বাক্যালাপও কিছুটা

    - স্যার, আসতে পারি?
    - কে তুমি বাবা? কেন আসতে চাও?
    - আমি এই ক্লাসে পড়ি স্যার
    - সে কি! তোমাকে তো আগে কোনদিন দেখিনি!
    - না, মানে আমি সবসময় আসি না তো আসলে।
    - কোনসময়ই কি আসো? তা আসো না তো কি কর?
    - গত কয়েকদিন আমাদের লিটারারি বুলেটিন এর কাজ নিয়ে একটু ব্যস্ত ছিলাম।
    - ও, লিটিল ম্যাগাজিন কর? বেশ, বল তো, রন্ধনশালা কার লেখা?
    - বাসুদেব দাসগুপ্ত।
    - বেশ, ভেতরে এসো। বলতে পারলে বলেই আসতে দিলাম।
  • aka | 81.14.39.72 | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ২০:৫৬630305
  • খুব ভয়ে ভয়ে একটা কথা জিজ্ঞেস করি।

    আমি অনমিত্র আর শ্রীপর্ণার ডিরেকশনের ওয়ান রুপি ফিল্মের প্রোমো দেখেছি। ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল বেশ অন্যরকম লেগেছে। মিউজিকের চাপে অনেক সময়ে কথা বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। কি নিয়ে ঠিক সিনেমা হচ্ছে সেটা বুঝতে পারি নি। দেখে মনে হল একজন প্যাশনেট সিনেমা মেকার অন্যকিছু করতে গিয়ে ফাণ্ডিং না পেয়ে ক্রাউড সোর্সিং এর মাধ্যমে টাকা তুলে সিনেমা করবে। এই কি গপ্পো? মানে যেটা জীবনে ঘটছে সেটাই সিনেমা ইত্যাদি।

    প্রশ্নটা হল, আমি একজন মধ্যবিত্ত লোক, মাসে মাইনে পাই, সংসার খরচ, সেভিংস, এন্টারটেইনমেন্ট ইত্যাদি বাদ দিয়ে মাসে কিছু টাকা আমি বিভিন্ন চ্যারিটেবল খাতে দিয়ে থাকি। ওয়ান রুপি ফিল্ম প্রোজেক্ট অনেক কিছুর সাথে কম্পিট করছে যেমন ধরা যাক সুন্দরবন শ্রমজীবি হাসপাতাল। আমি সিনেমা নিয়ে খুব প্যাশনেট হলে কিছু টাকা দেব। কিন্তু খুব কম্পেলিং না হলে ঠিক কেন টাকা দেব? এটা আমাকে বোঝানোর দায়িত্ব কিন্তু অনমিত্ররই।

    এর উত্তর দিতে হবেই এর কোন মানে নেই। সম্পূর্ণ ইগনোর করতে পারে অনমিত্র। কিন্তু পাব্লিক ফোরামে লিখলে লোকেও লিখবে, প্রশ্ন করবে ইত্যাদি সে অনমিত্র না চাইলেও।
  • Anamitra Roy | ১০ জানুয়ারি ২০১৪ ২০:৫৯630307
  • "ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম" ওয়ার্ল্ড সিনেমার একটা পাওয়ারফুল এবং এমার্জিং ব্র্যান্ড। আজ বলে নয়, অনেকদিন ধরেই। এবং এর মধ্যে কোনো বিপ্লব নেই। গোটাটাই এখন একটা ন্যাক্কারজনক ভাওতাবাজি!

    মার্কেটের কিছু নিয়ম আছে। ক্লিন্ট ইস্টউড হোক বা মার্টিন স্করসিসি, কেউই আজ যা সেটা হয়ে জন্মায়নি। জন্মে, কাজ করে, নিজেদের প্রমান করে হয়ে উঠতে হয়েছে। এই প্রমান করাটা কার কাছে, না মার্কেটের কাছে। ব্যবসা দেওয়ার ক্ষমতা, এটাই মূল প্রামান্য বিষয়। এখন ব্যাপার হলো, সবসময়ে সব কিছুর বিক্রয়যোগ্যতা থাকে না। রবীন্দ্রনাথের একটা চিঠি পড়েছিলাম মনে আছে (কাকে লেখা, সাল বা তারিখ ভুলে গেছি, আর পেপার যেহেতু লিখতে বসিনি, কাজেই) যেখানে উনি দুঃখ করছেন এই বলে যে ওনার বিদেশী বন্ধুরা বলছে ওনার কবিতার বই বেচে সেই টাকায় স্কুলটা (শান্তিনিকেতন) খুলে ফেলতে। হায় রে, ওরা যদি জানত যে ওনার কবিতার পাঠকসংখ্যা ভারতবর্ষে কতটা সীমিত।

    শরীরটা খারাপ লাগছে। বিশ্রাম নিয়ে পরে আসছি আবার।
  • biplab | 78.33.140.55 | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ০৩:০৮630308
  • আমি সিনেমার পেছনে খরচ করি। ভাল সিনেমা দেখতে ভাল লাগে। তবে নেটফ্লিক্স, আমাজন ভি ডিও অন ডিমান্ড, ভারিজন ফায়োসের মাধ্যমেই আজকাল বেশী দেখি। নেটফ্লিক্সে সমস্যা নেই কিন্ত যখন ৬ ডলার দিয়ে আমাজনে সিনেমাটা কিনছি-অনেক কিছু দেখেই কিনি। মার্কেটের যা নিয়ম। হলে টিকিট কাটার আগে অনেক প্রমো রিভিও, স্যোশাল মিডিয়া চেক করেই যায়। আমি ত দূর। আমার ছেলেও আজকাল খুব সিলেক্টিভ। সেই ইউটিউবে বাচ্চাদের ফিল্মের রিভিউ দেখে তবে বলবে হলে নিয়ে যেতে। অর্থাৎ এটা পুরো মার্কেট এবং শিল্প।

    এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, এই হোম এন্টারটেইনমেন্টের যুগে -৫ ডিগ্রি ঠান্ডা কাটিয়ে কেন ৪০ ডলার দিয়ে ( গোটা ফামিলির জন্য) একটা সিনেমা দেখব? যখন প্রেম করতাম, ডেটিং স্কিমে হলে গিয়ে উপস্থিত হয়ে কোন একটা সিনেমা দেখে নিলেই হত। এখন, ফামিলির সবাই মিলে একটা ভাল সিনেমা দেখার চেষ্টা করি।

    এই সব ফাক্টরগুলো এড করে দাঁড়াচ্ছে
    (১) থ্রিয়েটিক্যাল এক্সিপেরিয়েন্স -লার্জ স্ক্রীন
    (২) অডিয়েন্সের সাথে বসে আলাদা মজা

    সুতরাং ব্যপারটা স্পেশাল না হলে দেখব না। তাই নিমক্ত সবকটা সিনেমা আমি দেখেছি নেটফ্লিক্সে-
    ১) পান সিং তোমার - ৫ কোটি (ব্যবসা ৩৮ কোটি)
    ২) উড়ান - ৫ কোটি (ব্যবসা ৩০ কোটি)
    ৩) কাহানি - ৮ কোটি (ব্যবসা ১০০ কোটি)
    ৪) তেরে বিন লাদেন - ৬ কোটি (ব্যবসা ১৫ কোটি)

    এ গুলো ভাল সিনেমা। বাড়িতে হোম থিয়েটারে দেখব। পয়সা দিয়ে বড় থিয়েটারে দেখব না। ভারতেও যদি লোকের বাড়িতে ভাল হোম থিয়েটার থাকত, লিগ্যাল স্ট্রিমিং হত, হলে এত লোক যেত না। তবে ভারত বড় দেশ। শুধু প্রেমিক প্রেমিকার জোরী-স্বকীয়া এবং পরকীয়া অনেকেই হলে গিয়ে একটু উষ্ণতার জন্য সময় দেয়। সুতরাং ভারতে এখনো মিড বাজেট চলবে। হলিউডে ইন্ডিপিয়েন্ডেন্ট সিনেমার দিন শেষ।

    এখানেও দেখেছি সিনেমা হলে আজকাল ডেটিং থিম হিসাবেই যায়।

    শুধু ব্যতিক্রম হয় স্পিলবার্গের বিগ বাজেটের ছবিতে। স্পিলবার্গের জন্য আমি হলে যেতে রাজী আছি।
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:০৬630309
  • "লেখায় রিক্সা জ্যাকেট আলুকাবলি পরপর লিখলে যা হোক কিছু একটা দাঁড়িয়ে যাবে কিন্তু সিনেমায় সেটা হবে না।"

    ইয়ার্কি নাকি?
  • Anamitra Roy | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ১৮:৫৪630310
  • আবার মূলমন্ত্র জপ করে নেওয়া যাক।

    মাখন নয়, খনিজ পদার্থ বিষয়ে কথা বলছি।

    এখন কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁদের গরু ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে ধারণা নেই, এবং না তো তাঁরা ধারণা তৈরী করতে উত্সাহী। তাঁদের স্কিমটা হলো যে তাঁরা দেখিয়েই ছাড়বেন যে গরু বিষয়ে তাঁদের কিরকম অগাধ জ্ঞান!
    এরকম মানুষ আমি দেখেছি।
    সত্যি বলছি!
    আলোচনা হচ্ছে চর্যাপদ নিয়ে, তো তাঁরা সবসময়েই চেষ্টা করবেন সেখান থেকে ব্যাপারটাকে ঘুরিয়ে হিন্দু ও মুসলমান সমাজে বা ধর্মে গরুর ভূমিকা জাতীয় জায়গায় নিয়ে যেতে। এমনকী আমেরিকা নিয়ে কথা হলেও সেখানে মুরগী কত সস্তা এবং গরু কত দামী এবং কেন এই ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করবেন। নিদেনপক্ষে আর কিছু যদি বলার নাও থাকে তাহলেও প্লেনে কেন গরু নিয়ে উঠতে দেওয়া হয়না জাতীয় প্রসঙ্গ পেড়ে আনবেন। মহা উত্পাত। যদি কোনো বিষয়ে না জানা থাকে তাহলে মাঝে মধ্যে পাঁচ মিনিট চুপ করে বসে শুনলেও যে কাজে দিতে পারে সেটা এনারা বিশ্বাস করেন না। এর মূলে বোধহয় সেই ইগো যা নিয়ে আগেই কথা হয়েছে। প্রকৃতি মানুষ বা পুরুষকে insignificant করে দিচ্ছে তা কি আর সহ্য করা যায়? কাল যদি সবাই ভুতের অস্তিত্ব মেনে নিয়ে সেমিনার করা শুরু করে, তাহলে নাস্তিক বেচারা কিভাবেই বা সহ্য করবে। তাকেও পাল্টা সভা করতে হবে, সেটাই স্বাভাবিক।

    ১০০ জনের দেওয়া ৫০০০ টাকায় যে ৫ লক্ষ টাকা বাজেটের ছবি তা হলো সেটা ৫০০০ জন লোক ১০০ টাকা দিয়ে দেখলেন এবং ৫ লক্ষ টাকা ফেরত চলে এলো। এটা সম্ভব। এবং এইভাবে কাজ করলে ট্রমাড্যান্সে কেন হরর ছাড়া দেখাচ্ছেনা, সানড্যান্সের এক্সিবিসন ফরম্যাট গুলো কেন এত কস্টলি এসব নিয়ে ভাবার কোনো দরকার হয় না। বেসিকালি, বিদেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার কোনো দরকার হয় না। অবশ্য জানি না বড় ফেস্টিভ্যালের ব্যাজ ছাড়া কোন ছবিটা ভালো কোনটা খারাপ আর কোনটা ব্যতিক্রমী, সে বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত শিরদাঁড়া বাঙালির একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি হিসেবে আছে কিনা। গোটা ভারতবর্ষেরই আদেও আছে কিনা কে জানে।
    আফটার অল, আমরা শুওরের বাচ্চা। ইউরোপ ও আমেরিকার পোঁদ চেটে চেটেই জন্মলগ্ন থেকে বড় হয়েছি। কখনো ভালো টিস্যু পেপার হিসেবে বিদেশে রেকমেন্ডেশন পেলে আমাদের ছাতি ফুলে এত্ত বড় হয়ে গেছে যে নিচের দিকে তাকিয়ে আর নুনু লোকেট করতে পারিনি। এখন আমরা এই চাটাচাটির চব্ব ছেড়ে নিজেদের গান নিজেরা লিখে নিতে রাজী হব কিনা সেটাই হলো প্রশ্ন!

    আসছি।
  • Anamitra Roy | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ২০:০৩630311
  • স্বয়ংসম্পূর্ণতা একটি ধারণা।
    এবং আমার মতে অত্যন্ত জরুরী একটি ধারণা।

    ধরা যাক,
    গরিফার একটি জুটমিলের শ্রমিকেরা রাইট টু কালচার প্র্যাকটিস করতে চাইছেন। তো তাঁরা ঠিক করলেন একটি সিনেমা বানানো হবে। উক্ত সিনেমাটি একটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অর্গানাইজ করে দেখা এবং দেখানো হবে ওই জুটমিল -এই। এবার কি নিয়ে সিনেমা বানানো হবে, সেটা ঠিক করলেন শ্রমিকেরা (এবং কোনো রাজনৈতিক দল কোনরকম ভাবে নাক গলালো না)।
    ছবি বানানোর খরচা তাঁরা নিজেরাই চাঁদা তুলে বন্দোবস্ত করলেন। এরপর তাঁরা কাজটি করতে ডাকলেন মাধ্যমটি নিয়ে ধারণা থাকা কিছু লোকজনকে এবং শ্রমিকদের তত্ত্বাবধানে সেই দলটি ছবিটির নির্মাণ সম্পন্ন করলো অথবা সেই দলটির তত্ত্বাবধানে শ্রমিকরা নিজেরাই ছবিটি বানিয়ে নিলেন। এরপর শ্রমিকেরা কিছু চলচ্চিত্র নির্বাচন করলেন ফেস্টিভ্যালের জন্য। এবং পুনরায় নিজেদের মধ্যে থেকে চাঁদা তুলে প্রজেক্টরের খরচ যোগাড় করে নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা অন্যান্য ছবিগুলির সাথে নিজেদের বানানো ছবিটাও দেখলেন।

    অত্যন্ত সুন্দর গল্প। কোনো সমস্যা নেই।
    এবার এই গল্পের কিছু উপাদান বদলে দেওয়া যাক। সবই প্রায় একই রকম হলো, শুধু কি নিয়ে ছবি বানানো হবে ঠিক করে দিল একটি তথাকথিত ভাবে অতি বাম দল। তাদেরই কালচারাল উইং এর কিছু লোক ছবিটা বানালো। আর তারাই ঠিক করে দিল যে ফেস্টিভ্যালে কি কি ছবি দেখানো হবে। আবার যেহেতু শ্রমিকরা গরীব, তাই তারাই বাইরে থেকে চাঁদা তুলে এনে গোটা অনুষ্ঠানটির এবং ছবি নির্মাণের ও খরচের বন্দোবস্ত করলো। তাহলে রাইট টু কালচার প্র্যাকটিস হলো কার?
    প্রসঙ্গত পার্টিকর্মী কিন্তু পার্টিকর্মীই, তা সে পেশাদার বিপ্লবী হলেও।
    এবার একটু বাস্তব বাস্তব লাগছে, না?

    অবশ্যই ওই সংগঠনটির প্রয়োজন আছে। রাইট টু কালচার কি জিনিস, খায় না মাথায় দেয় বোঝানোর জন্যে প্রয়োজন আছে। সিনেমা মাধ্যমটির উপযোগিতা কি কি এবং কত রকমের সেটা বোঝানোর জন্যে প্রয়োজন আছে। সর্বোপরি, বিভিন্ন ধারার সিনেমার সাথে শ্রমিকদের পরিচয় করানোর জন্যে প্রয়োজন আছে। তারপরেরটুকু শ্রমিকদের উপর ছেড়ে না দিলে অটোনমি অটোনমি করে চিল্লাচিল্লি করে কোনো লাভ হবার নয়।

    এটা নিতান্তই সিনেমা জাতীয় একটা ফালতু বিষয় নিয়ে বললাম। এবার মূল জায়গায় আসছি। কোনো একটি নির্দিষ্ট শ্রেনী, গোষ্ঠী বা সমাজ -এর মানুষ নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে কোনকিছু করতে চাইলে সেটা তাঁদেরকেই করতে দেওয়া উচিত। বাইরের সাহায্য নিয়ে যতদিন চলে যাচ্ছে ততদিন ওই গোষ্ঠীর মানুষরা কিন্তু তাঁদের মুখ্য দ্বন্দ্বের জায়গাটিকে ধরে উঠতে পারলেও সেটি নিয়ে সরব হওয়ার জন্যে ততটাও অস্থির বোধ করবেন না। নতুন করে বলার কিছু নেই, সেফটি ভাল্ব জাতীয় একটা শব্দ নিশ্চয়ই সবারই শোনা আছে। কোনো প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোগের পালের হাওয়া খেতে চাই না তাই নামোল্লেখ করছি না। NGO হলে কিছু বলার নেই, কিন্তু যে সমস্ত উদ্যোগ মার্কসবাদীরা নিয়েছেন বা নিচ্ছেন সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা অমার্কসবাদীসুলভ পন্থা অবলম্বন করছেন। অন্যভাবে বলি (এবং এখানে ব্যক্তিমানুষের জায়গা থেকে না বলে তত্ত্বগত জায়গা থেকে বলছি), ধরা যাক আমার একটি দুরারোগ্য অসুখ হয়েছে। এবং সেই অসুখটি সারবে কিনা ডাক্তাররা কোনো গ্যারান্টী দিতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, ৫০ লক্ষ টাকা আগে খরচ করুন, তারপর একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকলেও থেকে থাকতে পারে। ওই টাকাটির কমে কিছুই হওয়া সম্ভব নয়। এবার আমার ক্ষমতা নেই অত টাকা খরচ করার। আমি কী করব? অবশ্যই আমি এত টাকা কেন লাগবে সেটা নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব না। কারণ, এখানে আমার জীবনের ব্যাপার। আমার টাকাটা যেভাবে সম্ভব যোগানোর চেষ্টা করব সেই মাল্টি স্পেসালিটি হাসপাতালকে। আপনারাও আমাকে সাহায্য করবেন। তারপর আমার একটা এমন অপারেশন হবে যেটা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পৃথিবীতে হাতেগোনা কয়েকজন মানুষই দিতে পারেন। তারপর, সম্ভবত আমি মারা যাব।
    এবার এই গোটা জিনিষটা ঘটে চলার ফাঁকে কি কি হবে না! কেন ওই রোগটি নিয়ে বিশেষ কিছু জানা যায় না সেটা জানা হবে না। কেন ওই রোগের চিকিত্সা সরকারী কোনো হাসপাতালে হয় না সেটা জানা হবে না। কেন ওই রোগের একমাত্র চিকিত্সা, যা কিনা আবার সম্ভাব্য, সেইটুকু পেতে এতটাকা লাগছে সেটা জানা সম্ভব হবে না। এবং এ নিয়ে কোনো বৃহত্তর আন্দোলনও তৈরী হবে না। কারণ টাকাটা তো আমি পেয়েই গেছিলাম । আমি যে মারা গেলাম সেটা তো আসলে আমার ব্যাড লাক।

    এবং দেড়মাস পরেই, ঠিক আমার মত করেই, আরো একজন মারা যাবে।
  • Anamitra Roy | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ২০:১৪630312
  • দয়া বা মায়া পরবশ হয়ে আমরা প্রত্যেকেই অনেক কাজ করে থাকি ঠিকই এবং এই সমস্ত কাজ করে আমরা ভেবেও থাকি যে আমরা পৃথিবীর জন্যে কিছু করছি। অর্থাৎ, ভেতরে ভেতরে আমারও একটা উপযোগীতা রয়েছে, আমিও কিছু করছি এবং আমি আসলে ভালো, এই জাতীয় কিছু অনুভূতি আসে। এখন আমার এই অনুভূতিটুকু পেতে গিয়ে আমি আসলে অন্য অনেক কিছুই হতে দেই না।
    কৃষকদের ঋণ দেওয়া সরকারের কাজ। সেই কাজটা সরকার না করলে তার উপর চাপসৃষ্টি করা উচিত। বা কৃষকরা যদি মনে করেন একত্রিত হয়ে তাঁরা নিজেরা একটি ব্যাংক গড়ে তুলবেন, সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ। সেই ব্যাংক গড়ে তুলতে গিয়ে যদি পুঁজির অভাব পরিলক্ষিত হয় তাহলে কৃষকরা ফসলের যে দাম পাচ্ছেন সেটা যে যথেষ্ট নয় তা উপলব্ধি করবেন এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। এর মাঝে যদি অস্ট্রেলিয়ার ডাক্তারের টাকা ঢুকে পরে তাহলে গোটা সমীকরণটাই ঘেঁটে যায়। চলছে চলবে করে সবকিছুই চলতে থাকে একই সাথে।
  • Anamitra Roy | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ২০:২৫630313
  • ঘটনা হচ্ছে আধুনিক মানুষের এতকিছু ভাবার সময়ও বোধহয় নেই। তাদের অনেক কিছুই ক্ষনিকের "আহা গো!" বা "সে কি!" -জাত।

    এবার ওয়ান রুপি ফিল্ম প্রোজেক্টের কথায় আসা যাক। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছেন যাঁরা সিনেমা দেখেন এবং সিনেমা নিয়ে তাঁদের ভালো খারাপ নানা ধারণা রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল আমরা যে সিনেমাটাকে ভালো মনে করি সেই সিনেমাকে ভালো মনে করে এমন মানুষদের খুঁজে বার করে এক জায়গায় আনা। এবং যাঁরা সেই অর্থে "ইনভেস্ট" করতে চেয়েছেন বা দিতে হয় দিচ্ছি করেছেন বলে আমরা বুঝতে পেরেছি, তাঁদের সবাইকেই আমরা মুখের ওপর না করে দিয়েছি।
    মানে "প্লীজ, টাকা দেবেন না"।
    এটাও আমরা বলেছি, বহু মানুষকেই। আপনি যদি আমাদের সমাজ/ গোষ্ঠীর একজন না হন তাহলে আপনার টাকা দেওয়ার কোনো কারণ নেই। বাস্তবিকই নেই। এবং এই সমাজ বা গোষ্ঠীকে আমরা চিন্হিত করছি সিনেমাবোধ এবং রাজ্নীতিবোধ দিয়ে। এটাও একটা কারণ যে আমরা সেভাবে মার্কেটিং এর সাহায্য নেইনি। তাতে ছবি অনেক সহজে হয়ে গেলেও আসল কাজটা হত না। এখনো যে আমাদের ২৫০ জনের তালিকায় বেনোজল নেই তা বলছি না। কিন্তু অনেক কম রয়েছে।

    পরের পোস্টে লাইট বাটারের বাজার নিয়ে কথা বলছি।
    ১০ মিনিট।
  • Anamitra Roy | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ২১:১১630314
  • মাখনের বাজারের মতই লাইট বাটারের বাজারেও কিছু নিয়ম আছে। প্রশ্ন হলো, আপনি কোন দর্শককে ক্যাটার করছেন এবং দর্শক কি দেখে আপনার ছবির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এখানে যদি দুইয়ে দুইয়ে চার হয় তবে ১০,০০০ টাকায় বানানো ছবিও কান-এ যেতে পারে। যেতেই পারে। আর এইখানে গন্ডগোল হয়ে গেলে জয়পুরেও আপনার ছবি দেখানো হবে না।

    দর্শক কিন্তু ওই একই। সেই আধুনিক মানুষ যার ভাবনাচিন্তা করার বিশেষ সময় নেই। সে বিনোদন পেতে চায়। কাজেই তার চিন্তাপদ্ধতি, যা কিনা আবার একইসাথে তার নিজের নয়, আরোপিত, তথা মার্কেটের হাওয়া --- এই জিনিসটির বিরুদ্ধে যায়, এমন কিছু কোনো ফেস্টিভ্যালেই দেখানো হবে না। কারণ ফেস্টিভ্যালগুলি হলো মূলত ডিস্ট্রিবিউটারদের আগামী বছর কি কি বেচবো দেখে নেওয়ার জায়গা। গত ১৫ বছরের এশিয়ান ছবির মধ্যে sexploitation কে খুব গুরুত্ত্ব দেওয়া হচ্ছিল। স্বাভাবিকভাবেই গান্ডু-র সাফল্য না পাওয়ার বিশেষ কারণ ছিল না। কারণ ছবিটি মূল চরিত্রের ইতিহাস নিয়ে কথা বলে না। সেখানে ঢোকেই না। ফলত কোনো সেইভাবে কেউটে জাতীয় কিছুই বেরিয়ে আসছে না ছবিটি থেকে যা সেট ভাবনাচিন্তাকে কোনো ভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। ছবিটির শেষ হয় একটি বিপ্লব বিপ্লব হাওয়া তুলে। যে বিপ্লব কি এবং কেন বা কিভাবে সে কিয়েও কোনো বিশেষ কথাবার্তা নেই। আবার উপরি পাওনা ADF জাতীয় একটি গোষ্ঠীর নাম, যারা বিপ্লবী কর্মকান্ডের সাথে বেশ ঘনিষ্ঠভাবেই যুক্ত থেকে এসেছে জন্মলগ্ন থেকে। ফলে এই ছবি বিপ্লবী চিন্তাভাবনা বিষয়ে উত্সুক মানুষকেও টানে, আবার যে উত্সুক নয় তাকেও টানে যৌনতার দিকটির জন্যে। মোটের ওপর ধাইধপাধপ rap মিউসিক বাজতে থাকে, তথা ফুলটু এন্টারটেইনমেন্ট। তো, এরকম একটি লোভনীয় ছবি সাফল্য পাবে নাই বা কেন? সেক্স আছে, বিপ্লব আছে, obscurity আছে, কিন্তু গভীরতা নেই, ভাবানোর দায় নেই --- স্বাভাবিক ভাবেই ছবিটি সফল হয়েছে। হ্যা, এখন অবশ্যই ADF এর লাইন নয় "নাড়া নাড়া হরিহর খাড়া তোর বাঁড়া/ মরালিটির মা কে চুদি কাম করে তাড়া", একেবারেই নয়। ADF অন্য কিছুর কথাই বলে থাকে।
    যেমন ---
    "
    আমি বিদ্রোহী!
    I the rebel warrior
    I have risen alone with my head held high
    I will only rest
    When the cries of the oppressed
    No longer reach the sky
    When the sound of the sword of the oppressor
    No longer rings in battle
    Hear my warcry!
    "
    অথবা
    "For every opportunity we squeeze de last drop
    Seeds sown inna de past and now we're reaping de crop
    Yer, spreading de roots an we're no longer under-ground
    Those dat turned away are now turning around
    Homebeats and high-hats mightier than de sword
    Version excursions an breaks from abroad
    Too many secret histories dat have never been told
    Reveal hidden agendas
    Remove de blindfold

    Examine de story before you tek de stage
    Unscramble freaktalk displayed pon de front page
    Frequency flashing synchronised like strobe
    Can't do it alone you need to get into de collective mode"

    কিন্তু তাতে কার কিই বা আসে যায়।
  • Anamitra Roy | ১১ জানুয়ারি ২০১৪ ২১:৩১630315
  • যাক গে, কৌশিকের ছবি বা ড: দাসের গান নিয়ে কথা বলার অনেক লোক আছে। আমাদের কাজ নিয়ে বলার নেই। কাজেই নিজের কাজটাই করি বরং।

    ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মের একটা কেন অনেক জায়গা আছে। গোটা পৃথিবীটাই রয়েছে ব্যবসা করার জন্য। তবে সে ইন্ডি ফিল্ম কিন্তু সামথিং লাইক স্মার্ট এন্ড কুল স্টাফ, দ্যাট গোস উইথ ব্লা ব্লা ব্লা অফ দা মেইনস্ট্রিম! এখন এর বাইরেও কিছু হতে পারে সেটা আমরা ভাবি না। কারণ মুখে যতই বলি না কেন ইন্ডিয়ান সিনেমা, আসলে গোটা ব্যাপারটাই কিন্তু সাহেবদেরই ডিফাইন করে দেওয়া। সত্যজিত রায় কেও আমরা আবিস্কার করিনি। বা kurosawa ভালো ছবি বানান এও আমাদের নিজস্ব মৌলিক realization নয়। ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড কালার কারেকশন ছাড়া আমাদের ছবি দেখতে অসুবিধা হয়, ডাবিং ছাড়া শুনতে। আভাগার্দ সিনেমা বলতেও আমরা যেটা বুঝি সেটা মূলত খাওয়া-পরার চিন্তা নেই টাইপ এর বড়লোক ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকান সাহেব ও মেমসাহেবদের টাইমপাস।

    কী বলতে যাচ্ছিলাম ভুলে গেলাম!
    মা এসে খেয়ে নে খেয়ে নে সারাদিন খাসনি বলে মাথাটা ঘেঁটে দিয়ে গেল!
    যত্তসব!
  • biplab | 78.33.140.55 | ১২ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:৩০630316
  • এতক্ষনে বোঝা গেল, অনামিত্রর মূল বক্তব্য ফিল্ম আন্দোলনের একটা মিডিয়াম। ও এটাকে মার্কেট প্রোডাক্ট হিসাবে দেখছে না। পাতি কথা, আন্দোলনে আর্টের ঐতিহ্যবাহী ভূমিকা। ভাল কথা। তাহলে সেটাই করুক। অনেক শিল্পীই প্রথম জীবনে আন্দোলনের জন্য শিল্পে বিশ্বাস করে শেষে বাজারের মাখন খেয়েছেন। সেটাও শিল্পীদের জীবনের প্রতিষ্ঠিত রোডম্যাপ। তা নিয়ে এত প্যানপানানি কেন?
  • aka | 79.73.9.7 | ১২ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:৪৪630318
  • ও বুইলাম। গুড লাক।
  • Ranjan Roy | ১২ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:৪০630319
  • বিপ্লব,
    একটু পেট্রোনাইজিং হল না?
  • Anamitra Roy | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:৪৭630320
  • আজ এই লেখার শেষ দিন।
    বলতে গেলে এটাই শেষ কিস্তি, তথা সিটিং।
    মানে এখানে তো আর এক কিস্তিতে গোটাটা লিখে ফেলা যায় না, অনেক রিস্ক থাকে, যেমন আপডেটটা ঠিকঠাক হবে কিনা, নাকি সার্ভার গরম হয়ে উড়ে যাবে ইত্যাদি।
    আশা করি, এই লেখার শেষে কারো কোনো ক্ষোভ বা রাগ থাকবে না। কারণ মানুষের সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই, আছে চেয়ার এর সাথে। এখন আপনি যদি একজন চেয়ার-সর্বস্ব মানুষ হন তাহলে মাঝে মাঝে আহত হতে পারেন বৈকি। তবে কিনা আমার সমস্ত ঈট পাটকেল তোমার ওই চেয়াররেই লক্ষ্য করে।

    ২০১০ সালে যখন আমার ছবিটা নিয়ে দুরকম এক্সট্রিম মতামত আসছিল আমি দর্শকের গলায় আঁকশি দিইনি। বস্তুত লিটিল ফিস এ তৈরী হওয়া কোনো ছবি নিয়েই দিইনি। কারণ ছবিগুলোর এমনিতেই acceptance তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ছিল। কিছু লোক অন্তত দরকার ছিল যারা পসিটিভ কথাবার্তা বলবে। না হলে উদ্যোগটা তলিয়ে যেত। এখন আর সেই সম্ভাবনা নেই। লিটিল ফিস নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় এই ছবিগুলি যত না ইন্ডিপেন্ডেন্ট তার চেয়ে অনেক বেশি মার্জিনাল। হ্যা, প্রকৃত অর্থেই। ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর গৌরবান্বিত গ্লসি দুনিয়ার থেকে মার্জিনের আবছায়াকেই এর প্রকৃত জায়গা বলে মনে হয়। আগেও বলেছি, আমরা যখন নো-বাজেট বলা শুরু করেছিলাম তখন এই দেশে আর কোথাও এরকম কাজ হচ্ছিল না। বিদেশেও যেটুকু যা হচ্ছিল সেটাও এখানে এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু বছর দুএকের মধ্যেই সিনটা বদলে গেল। ইন্টারনেট এর মাধ্যমে বিদেশী কাজকর্ম গুলি জানান দিতে শুরু করলো। যে যেরকম খুশি ছবি করে বলতে লাগলো নো বাজেট সিনেমা। চামেলি ও নাচলো, চামেলীর বাবাও হাঁচল! ফলে নো বাজেট সিনেমাকে আমরা যেভাবে ভেবেছিলাম সেভাবে ডিফাইন করে দিতে পারিনি একেবারেই। বিশেষ করে অনুরাগ কাশ্যপ, রামগোপাল ভার্মা রা শুরু করতেই সারা দেশে অনেকেই একসাথে নো বাজেট নো বাজেট করে লাফাতে শুরু করে দিল। তারপর বলিউডে জিরো বাজেট ছবি হলো "লো, হো গয়ি পার্টি"।

    ছবি করারই টাকা নেই তো আবার প্রচারের টাকা। ফলে আমরা কি বলতে চাইছিলাম সেটা চাপাই পরে গেল একরকম। এটা গেল খারাপ দিকটা। আর ভালো দিকে বলতে গেলে এর ফলে যেটা হলো এখন FTII এর অধ্যাপকও চাইলে অস্বীকার করতে পারবেন না যে এই কাজটা এই দেশে আমরাই শুরু করেছিলাম। চিল্লামেল্লি করে এইটুকু জায়গা অন্তত আমরা দখল করে ফেলেছি।

    তো এবার আবারও বলি, আমাদের সিনেমা হলো মূলত মার্জিনাল সিনেমা, এবং ডিস্ট্রিবিউশন এর দিক থেকে দেখলে এগুলি আদেও সিনেমাই নয়, সাব-সিনেমা!
    এরপর যদি এই টার্ম গুলো নিয়েও দেশজোড়া হইচই শুরু হয় তাহলে কিন্তু আমার conspiracy theory পেড়ে আনা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না!
  • Anamitra Roy | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:৫৮630321
  • এটাই শেষ কিস্তি কারণ কসমস থেকে গিফট বক্স এসেছে পুনরায়। বাক্সের ভেতর ডিম। ফুটে বাচ্চা বেরোতে ১০-১২ দিন লাগবে। গুরুতে লিখে ভারী ভালো লাগলো। কিছু ঠিকঠাক প্রশ্নকে এড্রেস করা গেল। কিছু প্রশ্নের নিরসন ঘটানো গেল সম্মুখীন হয়ে যা অন্যথায় বোধ করি হতো না।

    রিক্সা জ্যাকেট ও আলুকাবলী পাশাপাশি লিখলে কবিতা হয় বৈকি। ব্যাপক কবিতা হয়। যাঁর বিশ্বাস হয় না তিনি এরকম কিছু একটা লিখে বারীণ ঘোষালের থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে পারেন। ঢ্যামনামি করছেন বুঝে গেলে দেবে না। মিষ্টি মুখ করে ঠিকঠাক বারীণদা বারীণদা করতে পারলে "অতিচেতনার কবিতা" বইটাও ফ্রিতে পেয়ে যেতে পারেন। সেই বই পরে আপনার ওই ধরনের কবিতায় বিশ্বাস আসুক বা না আসুক, আমি যে মিথ্যে কিছু বলিনি সেইটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

    লিটিল ম্যাগাজিন মেলা চলছে। এক্ষুনি গেলে এক্ষুনি পাবেন, হাতেগরম প্রমান হয়ে যাবে এক্কেবারে!
  • Anamitra Roy | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৯:১২630322
  • হয়ত এই শেষ কিস্তি শেষ হওয়ার পরও কিছু প্রশ্ন থেকে যাবে কারো কারো। সেক্ষেত্রে আপনারা অনেকেই আমাকে চেনেন আর যাঁরা চেনেননা তাঁরাও দিনে দিনে চিনে যাবেন বৈকি। আমি একটা অদ্ভুত সময়ে অদ্ভুত একটা কারণে লেখা হুরু করেছিলাম এবং আজও একটা অদ্ভুত কারণেই শেষ করছি। এর দ্বারাই প্রমানিত হয় যে আমার এই দফায় ঠিক এই কটা কথায় বলার ছিল। এবং এই ভাবেই।

    এর বেশি বললে আপনারা বোতলবন্দী করে ফেলবেন যে। মা তারা তাই ওয়ার্ড লিমিট ঠিক করে দিয়েই লাথিটা কষিয়েছিলেন। আপনাদের categorize করে ফেলে শান্তিতে ভুলে থাকার প্রবনতার কথা তিনি কি আর জানেন না!

    বিপ্লব দা, কাকা, আপনাকে বাসী মুখে সাড়ে সতেরোটা চুমু। আপনারা না থাকলে আমি যে আমার মহান রাইটিং স্কিল নিয়ে কি করতাম কে জানে। সেই যেদিন আপনি যেচে রহমান সাহেবের ব্লগে কমেন্ট করে গেলেন মুজিবর রহমানের জীবন নিয়ে ২৬ কোটির সিনেমাই জরুরী আর ওয়ান রুপি ফিল্ম আসলে দুদিনের romanticism লিখে, সেইদিনই বুঝেছি আপনার সাথে আমার কিছু একটা কেমিস্ট্রি তো হবেই। শেষ এরকম কেমিস্ট্রি হয়েছিল সুব্রত সেন এর সাথে ২০০৬-০৭ নাগাদ। একটা স্ক্রিপ্ট নামিয়েছিলাম সেবার "we all love sunil gangopadhyay" নামক অর্কুট কমিউনিটিতে। এমন স্ক্রিপ্ট যে একদিনে তিনজনকে ব্লক করতে হয়েছিল। হে হে!
  • Anamitra Roy | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৯:৫৫630323
  • আর ২-৩ টে পোস্ট বাকী আছে।

    ডিসক্লেইমার:
    নিচের উত্তরমালা থেকে যাঁর যেটা পছন্দ নিজদায়িত্বে বেছে নিন। কে কোনটা বাছলেন সে বিষয়ে লেখকের কোনো দায় নেই!

    বিপ্লব: "এতক্ষনে বোঝা গেল, অনামিত্রর মূল বক্তব্য ফিল্ম আন্দোলনের একটা মিডিয়াম। ও এটাকে মার্কেট প্রোডাক্ট হিসাবে দেখছে না। পাতি কথা, আন্দোলনে আর্টের ঐতিহ্যবাহী ভূমিকা। ভাল কথা। তাহলে সেটাই করুক। অনেক শিল্পীই প্রথম জীবনে আন্দোলনের জন্য শিল্পে বিশ্বাস করে শেষে বাজারের মাখন খেয়েছেন। সেটাও শিল্পীদের জীবনের প্রতিষ্ঠিত রোডম্যাপ। তা নিয়ে এত প্যানপানানি কেন?"

    ১) ঢ্যামনা অনমিত্র:

    (গান)
    "আঁধারে কখন এসে
    জ্বালবে প্রদীপ তুমি
    পথের খোঁজে, পথের মাঝে
    হারিয়ে গেছি আমি
    (হো) হারিয়ে গেছি আমি

    কি করি বলুন তো স্যার। নাকে না কাঁদলে আপনারা যে দেখতে পান না। আপনারা দেখবেন, আমেরিকা ডাকবেন, সম্বর্ধনা দেবেন বলে কবে থেকে হিসি চেপে বিনাপয়সায় কাজ করে আসছি বলুন তো! স্যার, আমার ছবিটাও কিন্তু বিক্রি হতে পারে স্যার। আপনি বেচবেন? সেলেব্রিটি টেস্টিমোনিয়াল লাগবে স্যার একটা। সে তো আপনি ভালই জানেন কথা থেকে কিভাবে আসতে পারে। একটু দেখুন না স্যার! একটু বুম্বা দা কে বললে প্রেসের সামনে যদি একটু ভালো কথা বলে দেন। স্যার, আপনি চাইলে পারেন স্যার, আমি জানি, আপনিই পারবেন পারলে। স্যার কলকাতায় ২ জন প্রডিউসারের সাথে কথা চলছে স্যার, মুম্বাই তে একজন। তিনজনেরই ভালো প্রোফাইল। আপনি একটু ইনিশিয়েটিভ নিলে স্যার ঠেকায় কার বাবার সাধ্যি!

    (গান)
    শুকনো ঝরা ফুলের মত ধুলায় মিশে গেছি
    পূজার থালায় তুলে নেবে তাই তো বসে আছি
    তোমার আসার আশায় আমার কাটে দিনযামী
    (হো) কাটে দিনযামী
    আঁধারে কখন এসে।।।

    স্যার ছবিটা কিন্তু আমি নানান ব্যাক গ্রাউন্ড এর মানুষ কে দেখিয়েছি। সবাই কিন্তু ১৩২ মিনিট টানা বসে দেখেছে। প্রত্যেকেই বলেছে খুব engaging হয়েছে। একজন তো mindblowing ও বলল। আর এক গায়ক গানই লিখে ফেলেছে ছবিটা দেখে এতটাই moved
    আমি জানতাম এখানে লিখলে আপনার চোখ এড়িয়ে যাবেনা কিছুতেই। আপনি আমার যে কাজ টা দেখেছিলেন ওটাই আমার সব চেয়ে খারাপ কাজ স্যার। ইটা নিয়ে কিন্তু স্যার ব্যবসা হতে পারে। ভালো ব্যবসা হতে পারে। দেখবেন স্যার ছবি টা"?

    ২) বিপ্লবী অনমিত্র:
    "এইবার দুনিয়ার আপামর বোকাচোদাসাধারণ দের উদ্দেশ্যে বলা যাক, আমি কিন্তু কাউকে বলিনি আমার লেখা টা পড়ুন এবং মূল্যবান মতামত দিন। বরং বলেছি জ্ঞান দেওয়া থেকে বিরত থাকতে। সেখানে আমার লেখায় আমি প্যানপ্যান করব না ভন ভন করব, পোঁদে গঙ্গামাটি লাগাবো না আলতা দিয়ে নকশা করব নাকি আলকাতরা, নাকি হেগে মুখে মাখিয়ে বসে থাকব সেটা কিন্তু একান্তই আমার ব্যাপার। কোনো সিকন্দরের যদি এই লেখা পড়ে ভগন্দর হয় তাহলে না পড়লেই চলে! আমি attention কারো কাছ থেকে চাইনি না তো কাউকে এত কনসার্ন দেখাতে বলেছি। বস্তুত আমি কাউকে চুল্কাতেও যাইনি। আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা ন্যারেট করেছি মাত্র। আর বিপ্লব বাবু, আপনাকে একটা ছবি আমি পাঠিয়েছিলাম বটে, সেটা কেউ আমাকে বলেছিল যে আপনার পছন্দ হতে পারে তাই পাঠিয়েছিলাম। আপনি মুখের ওপর বলে দিয়েছেন যা মনে হয়েছে, বুঝে গেছি, তাই ফুটেও গেছি। তারপর দু একবার নিজেদের কাজের লিংক পাঠিয়েছি, আপনি চুপ করে থেকেছেন, অনেক "বড় মানুষ" রাই এরকম অভদ্রতা করেই থাকেন, আমি কিছু মনেও করিনি। কিন্তু বিপ্লব রহমান এর ব্লগে যেচে কমেন্ট করতে গিয়ে আপনি নিজেকে খেলো করে ফেলেছেন। আমার কাজটা দুদিনের romanticism না ৫ দিনের nihilism সেটা নিয়ে মতামত প্রকাশ করতে হলে আপনার বোধহয় আমাদের প্রতিটা কাজ খুঁটিয়ে দেখে তারপর বলতে আসা উচিত। এই লেখাতেও কমেন্ট করার ব্যাপারে যেরকম রেগুলারিটি আপনি দেখালেন তাতে আমার তো মনে হচ্ছে আপনার কোনো কারণে বোধহয় ওয়ান রুপি ফিল্ম প্রোজেক্ট নিয়ে ফাটছে, এবং বেশ ভালো রকমই ফাটছে! নাহলে আপনি গিয়ে আলফানসো কুয়ারন এর এজেন্ট এর সাথে নুনু নুনু খেললেই পারতেন। এখানে এত অতিউত্সাহী হয়ে পরার কোনো কারণ তো ছিল না আপনার। না তো রহমান সাহেবের ব্লগে অত উত্সাহ দেখানোর কোনো কারণ ছিল। আমি ব্যবসা করতে আসিনি কাজেই কি করলে ব্যবসা করা যাবে সেই বিষয়ে আমায় জ্ঞান দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। যেদিন ব্যবসা করব মনে হবে, সেদিন আপনি নিজে থেকেই তের পেয়ে যাবেন। আওয়াজ হবে নানারকম। মাখনের বাজার আর বাজারের মাখন বিষয়ে আপাতত আমার অনীহা রয়েছে। আর আপনি কি বোঝেন না নাকি, যে আপনি আসলে একটা সিম্পটম এবং আপনার মত আরো শ'খানেক আগামী দশ বছরে ফেস করার জন্য আমাদের অলরেডি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বাঙ্কার বানিয়ে গাছের শিকড়ের ফাঁক দিয়ে বন্দুকের নল বার করে মাইন ফাইন পেতে সব সেট করে রাখা আছে? কি যে করেন না মশাই! আজব বাচ্চা আপনিও!
    এত জ্ঞান যখন দিলেনই, একটা আমিও দেই, কি বলেন? যেদিন দেখবেন এইসব থ্রীডি, তারপর থিয়েট্রিকল এক্সপেরিয়েন্স, এইসব একঘেয়ে লাগছে, একটা বড়সর টার্কি মুরগি যোগাড় করে আনবেন, অথবা একটা কচি পেংগুইন। তারপর অন্ধকার ধরে বন্দী করে সাড়ে তিনদিন ধরে কষে পোঁদ মারবেন। প্রচন্ড আনন্দ পাবেন আশা করি"।

    (আমি কিন্তু আগেই বলেছিলাম, লেখার শুরুতেই, যে ধুতিশাড়ি লকারে রেখে আসবেন)

    শিল্পী অনমিত্র: বেঁড়ে বলেছ ভায়া! এই বিষয়ে আমার একটা গল্প লিখতে ইচ্ছে করছে। পরের পোস্টে লিকছি দাঁড়াও!
  • Anamitra Roy | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:০৩630324
  • একটি চিত্তাকর্ষক ছোটগল্প

    ডিসক্লেইমার: এই গল্পের চরিত্ররা এবং ঘটনাসমূহ সম্পূর্ণত কাল্পনিক এবং এর কোনো বাস্তবিক ভিত্তি নেই। যদি কোনো ঘটনা বা জীবিত অথবা মৃত কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের সাথে এর কোনরকম মিল পরিলক্ষিত হয় তবে তা সম্পূর্ণত কাকতালীয় বলে ধরে নিতে হবে।

    ধরা যাক, ছেলেটির নাম রামগোপাল। আর লোকটির নাম রামবাবু রেড্ডি। দুজনে একই সময়ের দুটি বিপরীতমুখী লক্ষণ, মানে চরিত্রগত দিক থেকে আর কি। রামগোপাল সিনেমা বানায় আর রামবাবু সিনেমা দেখে। রামগোপালের বাড়ি পাঞ্জাবে, আদিবাড়ি তেলেঙ্গানা। আর রামবাবু তেলেঙ্গানা এবং পাঞ্জাব দু জায়গাতেই থেকে থাকলেও বর্তমানে কানাডায় কর্মরত। এদের দুজনের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল ফুলঝুরি। সে ভারী ভালো মেয়ে। কারো খারাপ চোখে দেখতে পারে না। তাই সিনেমা নিয়ে আন্দোলন করতে করতে রামগোপাল যখন হাঁপাচ্ছে, ফুলঝুরিদির এই উদ্যোগ তার ভারী ভালো লেগেছিল। ফুলঝুরিও ভেবেছিল এতে রামগোপালদের এবং তাদের আন্দোলনের সুবিধে হবে নিশ্চয়ই। কিন্তু যেরকম ভাবা সেরকমটাতো আর সবসময় হয়না। রামবাবু-র মোটে ভালো লাগলো না ব্যাপার স্যাপার। তিনি রামগোপালকে হুস করে দিলেন। রামগোপাল বেচারা আর করে কি। সে প্রায়ই রামবাবুকে তাদের কাজ নিয়ে বলতে যায়। রামবাবু কোনো জবাবই দেন না এরপর থেকে আর। শেষে রামগোপালেরও উত্সাহ কমে যায়। রামবাবু কে সে ভুলেই যায় একপ্রকার। তারপর গিয়াসুদ্দিন মহম্মদ নামে এক পাকিস্তানী বন্ধু একদিন লিখলেন নিজের ব্লগে, রামগোপাল দের কাজ নিয়ে। এর মাঝে প্রায় দুই বছর অতিক্রান্ত। সেইখানে এক কমেন্টে পড়তে গিয়ে রামগোপাল দেখে কিনা কে একটা উল্টোপাল্টা লিখে গেছে বিনা প্রভোকেশনে। কে লিখেছে? এমা! একী! এতো সেই রামবাবু রেড্ডি! এটা কেমন হলো, রামগোপাল ভাবে। রামবাবু কি বোঝেন না যে এই চরাচরে রামগোপালই কৃষ্ণ? ম্যাটার এনটি-ম্যাটার যে পক্ষেই যাও না কেন রাম্গপালেই নিমজ্জন? অতএব এই ডিসকোর্সে রামগোপালের পাশে না থাকলে আসলে রামবাবুর কোনো গুরুত্বই থাকে না! নাকি এটা বোঝেন বলেই রামবাবু মেনে নিতে পারছেন না? কি আর করা! রামগোপাল আর কথা বাড়ালোনা, অপরিচিতরাই রামবাবু কে বেশ ধুয়ে দিয়েছে দেখে। কিন্তু এর পর থেকে প্রায়ই রামবাবু কে সে স্বপ্নে দেখতে পেতে লাগলো। শুরু টা হলো এরকম; একদিন বিকেলে রামগোপাল হাঁটতে বেরিয়েছিল। এপথ সেপথ ঘুরে ফিরে সে পৌঁছে গেল একদম অচেনা একটা জায়গায়। বরফের মাঠ। চোখ ঝলসানো সাদা! আর সেই সাদার মধ্যে রামগোপাল দেখে কিনা রামবাবু! একটা জায়গায় কিছু কাঠকুটো জ্বালিয়ে রান্না করছে একটা পেংগুইন আর তার চারদিকে রামবাবু গোল গোল ঘুরে চলেছে হেঁটে হেঁটে। আর মাঝে মাঝে পেংগুইনটাকে বলছেন "ওরে! এইবারে একটু নুডিটি দিয়ে ঘেঁটে দে! দে রে! এইবারে একটু নুডিটি দিয়ে ঘেঁটে দে!"
    পেংগুইন টাও বলছে "জো হুজুর"!

    সেবার তো রামগোপাল বুঝতেই পারেনি যে সে আসলে ঘুমিয়ে পড়েছে কখনই। পরেরবার অবশ্য অতটা অসুবিধা হয়নি। কি দেখেছিলো? সেবার দেখেছিলো আবার বরফের মাঠ। মাঠের ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার যাচ্ছে। পেংগুইন টা হেলিকপ্টার চালাচ্ছে আর রামবাবু তাতে কিসব বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মুখে বলছেন " এই দেশী-বিদেশী উপন্যাস ! থ্রীডিটি, ডিডিটি এবং নুডিটি সহযোগে! এই দেশী-বিদেশী উপন্যাস ! থ্রীডিটি, ডিডিটি এবং নুডিটি সহযোগে।" ঘুম থেকে উঠেই রামগোপাল গেল ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার বাবু সব শুনলেন। শুনে বললেন "এতে অবাক হওয়ার কি আছে? একটা জিনিস দেখবে?" রামগোপাল বলল, "কি? দেখান"? ডাক্তার বাবু বললেন "এই দেশী-বিদেশী উপন্যাস ! থ্রীডিটি, ডিডিটি এবং নুডিটি সহযোগে! এই দেশী-বিদেশী উপন্যাস ! থ্রীডিটি, ডিডিটি এবং নুডিটি সহযোগে।" ওমা! কোথায় ডাক্তার! রামগোপাল চোখ কচলে দেখে এতো আবার সেই রামবাবু।

    এরপর আবার অনেক দিন এই ধরনের সমস্যা কিছু হয়নি। ছ সাত মাস কেটে যাওয়ার পর আবার একদিন রামগোপাল স্বপ্ন দেখল। স্বপ্নে দেখল রামবাবু কোলে একটা গোদা টার্কি মুরগি নিয়ে বসে আছেন। আর পেংগুইনটা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে চেচিয়ে চেচিয়ে টিকিট বিক্রি করছে "ভিডিও অন ডিমান্ড ৫ ডলার, থিয়েট্রিকাল ৪০"! বিশাল বড় লাইন। টার্কিটা রামবাবুর কোলে চেপে লাফাচ্ছে আর রামবাবু বলছেন "উফ! থিয়েট্রিকাল এর চূড়ান্ত মুরগি"!

    এইসব দেখে শুনে রামগোপালের পেটগরম হয়ে গেল। সে ঠিক করলো ফুলঝুরিদিদের ওয়েবসাইট এ লিখে এক্ষুনি সব কথা সবাই কে জানাবে। কিছু একটা গোলমাল তো হচ্ছেই! ওমা! কোথায় কি! ৩ টে পোস্ট করতে না করতেই কোথা থেকে আবার রামবাবু উদয় হলেন। আর হয়েই বলতে লাগলেন "এই দেশী-বিদেশী উপন্যাস ! থ্রীডিটি, ডিডিটি এবং নুডিটি সহযোগে! এই দেশী-বিদেশী উপন্যাস ! থ্রীডিটি, ডিডিটি এবং নুডিটি সহযোগে।"

    নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখে রামগোপাল। নাহ! এবার কিন্তু সে জেগেই আছে! তাহলে তার মাথায় কোনো সমস্যা হয়নি এ কথা তো বলাই যায়। আর বলা যেতে পারে, রামবাবু লোকটাই এরকম। প্রকৃতই!
  • Anamitra Roy | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:০৯630325
  • আমার কোনো মূল বক্তব্য নেই।
    না তো আমার ফিল্ম বস্তুটা ঠিক কি সে বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত দেওয়া জাতীয় কোনো উদ্দেশ্য আছে। সব কিছুই আছে সব কিছুই থাকবে, কিন্তু আমরা কি করি না করি সেটাই আমাদেরকে গড়ে দেয়। এই লেখায় আমি যা যা লিখেছি তার সবটাই আমার বক্তব্য। আবারো বলি, কোনো ব্যক্তিমানুষের ওপর আমার কোনো রাগ নেই। যেটুকু যা কনফ্লিক্ট টা তাঁদের অবস্থানটির সাথে। এই বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করলাম। ধন্যবাদ!

    গড, আই লাভ ইউ!
    নীত্সে, আই লাভ ইউ টু!

    (সমাপ্ত)
  • biplab | 78.33.140.55 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:৫৯630326
  • আরেক টিপিক্যাল অসহিষ্ণু বং যুবক, নিজেকে এটিপিক্যাল বলে মার্কেটিং করছে!! টিপিক্যাল অসহিষ্ণু বং এটিচুড নিয়ে বস্তার বাইরে পায়খানা করি মার্কা ডায়ালোগ দিলেই কেও বিশ্বাস করবে? বরং তুলনাটা বস্তা বনাম ফাটা বস্তার হবে।

    আরে বাবা, মার্কেটে আমি ক্রেতা, তুমি বিক্রেতা। মার্কেট আমার মতন খরিদ্দারের কথায় চলবে। খরিদ্দারের কথা সব মার্কেটে ফাইনাল।

    আর নো বাজেট ফিল্ম একটা আন্দোলন? ২০০৭ সালে যবে থেকে ভিমিও, ডেইলিমোশন তৈরী হয়েছে, ওখানে শয়ে শয়ে এরকম নোবাজেট ফিল্ম আপলোড হচ্ছে। ফ্রান্স এবং রাশিয়ানরা এব্যপারে সব থেকে পারদর্শী। ২০০৩ সালে এটম ফিল্ম বলে এইসব কনসেপ্ট তৈরী হয়। উঠতি ফিল্ম মেকারারা, বিশেষত হলিঊডে, তখন এটম ফিল্মে হাত পাকাত। এসব নোবাজেট ফিল্ম। কেও শালা তার গার্লফ্রেন্ডের সকাল থেকে বিকেল, বেড থেকে বিরক্তি-শুধু ভিডিও মনোলোগেই এই সব ফিল্ম তুলে দিত! আর ২০১০ সালে টলিউডে একই কাজ করে পেটেন্ট দাবি করা?

    খরিদ্দার হিসাবে আমার বক্তব্য সোজা- লো বাজেট বাংলা সিনেমা হচ্ছে খাটাল পায়খানা, আর নো বাজেট বাংলা সিনেমা হবে, ফাঁকা মাঠে মলত্যাগ যেহেতু তা আর্ট।

    আমি একবার সন্দীপ রায়কে প্রশ্ন করেছিলাম-সত্যজিত রায় এতগুনে গুনী ছিলেন, উনার কাজ দেখে যেকোন ইয়াং ডিরেক্টরের ভয় পেয়ে পালানোর কথা!! ভদ্রলোক সাহিত্য, অঙ্কন, সাউন্ড-এমন কোন ফিল্ড নেই যেখানে উৎকর্ষতা দেখান নি। সন্দীপ রায় বল্লেন সেই জন্যেই আরেকটা সত্যজিত সম্ভব না।
  • Suman | 132.180.48.30 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:১২630327
  • বিপ্লব বাবু, no budget ফিল্ম ফাকা মাঠ এ পায়খানা হলে ছাড়ুন না, kano এখানে ভান ভান করছেন ? আপনি এর against এ ১০,০০০ কথা বললে ২০,০০০ no budget ফিল্ম তৈরী হবে। র কিছু হলেই Satyajit মারানো তা বন্ধ করুন তো!! Apni Spielberg দেখুন।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:২০630329
  • সেশে সন্দীপ রায়?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন