এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমাদের চুরি জালিয়াতি

    damayantee
    অন্যান্য | ১৭ আগস্ট ২০০৬ | ৮২২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 61.95.167.91 | ১৮ আগস্ট ২০০৬ ১৭:১২631207
  • কর্পোরেট দুনিয়ায় এই সব নৈতিকতা ততক্ষণ চলে, যতক্ষণ তা তোমার পোঁদের রেখা (bottomline) আর মাথার রেখাকে (topline) সাথে ভাবভালোবাসা রেখে চলছে। সবই এই পোঁদ আর মাথার রেখার খেলা। এই সারসত্য যে না বুঝেছে, সে চিরকাল নীচুতলার চাকর হয়েই থাকবে। সত্য কথা বলিবে কারণ সত্য কথা বলা উচিত- এই সব জাস্ট চলে না। সত্য না বলিলে যদি রেগুলেটর আমার পোঁদে লাগে, সেই ভয়ে সত্য কথা বলি। রেগুলেটর পোঁদে লাগলে ওখানকার রেখাটার দফারফা! তো এই খেলায় ভৃত্যরা ভগবান হবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আজ যারা নিজেদের ভৃত্য বলছে, কাল তাদের মতো কিছু ছেলে তাদের গুরুচন্ডালীতে শুয়োরের বাচ্চা বলবে হয় তো। এই নিয়ে ভেবে লাভ নাই!
  • tan | 131.95.121.127 | ১৮ আগস্ট ২০০৬ ১৯:১২631208
  • রঙ্গন,মহাই আপনে এত চাঁচাছোলা মাজাঘষা সারসত্য কি করিয়া বলেন?
    খুব ভালো।ঠিক।
    অনেকেই ই গুরুর আড়ালে যারে তারে শুয়ার গোয়ার ইত্যাদি কইয়া যায়,ওরা এখানে আসবে না এই জেনে।
    ইদিগে আবার কারু কারু অনুপস্থিত ব্যক্তি সম্পক্কে বল্লে খুব ভ্যালুতে লেগে যায়(যদি সেই অনুপস্থিত পেয়ারী ব্যক্তিরা এসব ফোনের নাকুচুকুতে জেনে যান?)
    এইসব নিয়ে একটা এটিকেট চালু করো দিকি! শুদু অন্যেরে সারমেয়সন্তান কইয়া গেলে কি আর নিজের সারমেয়ত্ব ঘোচে? ঘোচানোর একটা স্টেপ ন্যাও দিকি।

  • dd | 202.122.18.241 | ১৮ আগস্ট ২০০৬ ১৯:২১631209
  • আরে আমি তো ছেলেবেলা থেকেই সেই কথা কয়ে আসছি। কে কখন কোথা থেকে সি ই ও হয়ে যাবে ঠিক আছে।

    চোখের সাম্নে কর্পোরেট লাইফে কত ওঠা নামা দেখলাম। কতো ডিগবাজী।

    তবে এখন বুঝি বেশীর ভাগ লোকই ভালো লোক। নীরস আকাঠ শুচিবায়ুগ্রস্থ কিন্তু কারুর ক্ষতি করে না। অল্প কিছু লোক আছে যারা সত্যি সত্যি বিপদজনক। তারা অত্যল্প।

    আর সারা দুনিয়াটা জালিম হলে কোম্পানী কি করে তুলসী পাতা হবে ?
  • vikram | 134.226.1.136 | ১৮ আগস্ট ২০০৬ ১৯:২৫631210
  • সায়ন্তন - অদ্ভুত ভালো হয়েছে লেখাটা।

    বিক্রম
  • tan | 131.95.121.127 | ১৮ আগস্ট ২০০৬ ১৯:৩০631211
  • এই যে "কোম্পানী কা মাল/দরিয়ামে ঢাল"
    কথাটা আছে, এরই অন্য ভার্সন নেতারা নিরুচ্চারে কন -
    ট্যাক্স পেয়ারের মানি/আপন খামারে আনি।
    তখন অ্যাতো রেগে যান কেন লোকে????
  • Samik | 61.246.84.226 | ১৮ আগস্ট ২০০৬ ২২:০৯631212
  • একটি ছোট্ট বিজ্ঞপ্তি।

    কারুর কারুর সঙ্গে কুস্তি করার ইচ্ছে আমি ইহজীবনে ত্যাগ করেছি কারণ সে কুস্তিতে গাত্রে হবে ব্যথা। কিন্তু তলোয়ার চালাবার সময়ে কোদালকে 'তুই ব্যাটা কোদাল' না বলে 'এখানে অনেকেই কোদাল' বললে বড় উপেক্ষিত মনে হয় কোদালের নিজেকে। স্পেসিফিক কোদালের নিন্দে বা প্রশংসা করা হলে কোদাল আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারে।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৮ আগস্ট ২০০৬ ২২:৪৪631213
  • নেকুপুষুমনু সব! কোদাল আবার কে? তাহলেও তা দিয়ে অন্তত মাটি কোপানো যেতো!
    দরকারে অস্ত্র হিসাবেও ব্যবহার করা যেতো!
    এতো সব জালিখড়!!!!
  • dd | 202.122.18.241 | ১৮ আগস্ট ২০০৬ ২৩:৪৭631214
  • বুঝলাম না, বুঝলাম না। কিসুই বোzলাম না।

    কিন্তু একটা আন্ডারকারেন্ট চলছে .... পুরোনো রেফারেন্স নিয়ে। শমীক, তনু। হয়তো আরো কয়েকজনে। এইটুকুই বোzলাম।

    পষ্ট করে নাম নিয়ে লিখলেই পারো। বন্ধুই তো। এটুকু তো দাবী করাই যায়।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ০০:১২631215
  • পস্ট করেই কই, শমীকের কোম্পানীর মাল দরিয়াতে ঢালার আর টিকিট না কেটে ট্রেনে বাসে চড়ার ব্যাপারে যে ঘোর সমর্থন তার সঙ্গে আরো নানা ছোটোবড়ো জালিয়াতি সমর্থন-আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করতে চাই।
    নেতাদের কাছে সব ভালো আশা করবো,অন্যথা হলে পশু বলবো এদিকে নিজের বেলা বুক বাজিয়ে অন্যায় করবো এ মানতে পারলাম না পারলাম না পারলাম না।

  • tan | 131.95.121.127 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ০১:০৬631217
  • নিজের সেল থেকে নিজে লোকাল কল করছে, এই দেখে কেন যে সিটি মারবও এটাই বুঝতে পারছি না।
    তাহলে তো ট্রেনের টিকিট কাটতে লোকে লাইন দিয়েছে দেখলেও সিটি মারতে হয়!
  • Arjit | 82.39.250.172 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ০১:৪৫631218
  • দিল্লীতে যখন ছিলুম তখন ল্যাণ্ড লাইন ছিলো না - কারণ রেশন কার্ড ছিলো না, তাই দিল্লীর প্রুফ অব অ্যাড্রেস ছিলো না। ল্যাণ্ড লাইন পাই নি। মোবাইল পেতে অসুবিধে হয়নি। কিন্তু সেও একটাই ফোন ছিলো - সুমনার কাছে থাকতো। তখন অফিস থেকে ফিরতে প্রায়সই দেরি হত - বেরনোর আগে ফোন করে বলতুম রওনা দিচ্ছি - সে হয়তো রাত বারোটা-একটার সময় - তখন ভাত চড়তো। যেহেতু, একটাই ফোন আর সেটা বাড়িতে - আমাকে বাধ্য হয়ে আপিসের ফোনই ব্যবহার করতে হত। একবার অ্যাডমিন থেকে দাবি রাখলো ৯৮১০০ - এটা এস টি ডি - তখন ক্ল্যারিফাই করতে হয়েছিলো...

    ইউনিভার্সিটিতে বলে পার্সোনাল কল হলে ৮ দিয়ে শুরু করতে - তাহলে সেটা আলাদা লগ হয়, কল চার্জটা দিতে হয়। ইউনিভার্সিটির কাজ হলে ৯ দিয়ে...ফোনটা ব্যবহার করি একমাত্র ইউনিভার্সিটির কাজে, নিজের কাজে ফোন সব মোবাইল থেকে।

    ইউ এস এ-তে ভেরাইজনে যে ফোনটা ছিলো সেটা পুরো ওপেন, চাইলে কলকাতায় বাড়িতেও ফোন করা যেত, কখনো করিনি।

    এগুলো নিজের চিন্তার ব্যাপার...কিন্তু লক বা ব্যান - সেটাও বাড়াবাড়ি ঠেকে।
  • Arjit | 82.39.250.172 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ০২:০৩631219
  • ৯৮-৯৯ ট্যাক্স বছরের ১৯০০০ টাকা রিফাণ্ড করানোর জন্যে আমাকে ২০০০ টাকা খরচ করতে হয়েছিলো, তার পরের বছরের ২৮০০০ টাকা রিফাণ্ড আজও হয়নি। এই রিফাণ্ডের চক্করে পড়তে হত না শুধু যাদি টিসিএস বাড়ি ভাড়ার ওপর ট্যাক্সটা অ্যাট সোর্স না কাটতো, আর বছরের শুরুতে সেভিংস ডিক্ল্যারেশনটা মেনে নিত। আমার তো অরিজিনাল রসিদ ছিলো, টিসিএস শোনেনি - কারণ একটা রেভিনিউ স্ট্যাম্প মেরে রসিদ বানানো কোন ব্যাপার নয়। অন্য কে কোথায় জালি রসিদ দেয় তার জন্যে, আর টিসিএসের গাঁটামোর জন্যে না দিতে চেয়েও তখন ওই দু হাজার খরচ করতে হয়েছিলো - খারাপ লাগে ঠিকই, কিন্তু তখন ১৯০০০ টাকা অনেক টাকা। এখনও। এখন হলেও হয়তো ওই একই কাজ করতে হত। এবার বলো - কে বাধ্য করে?
  • Shuchismita | 141.213.240.90 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ০৫:৪২631220
  • চাকরীর এগ্রিমেন্টে আটঘন্টার চুক্তিতে সই করে যখন আমরা বিনাপ্রতিবাদে দিনের পর দিন চোদ্দো ঘন্টা কাজ করে যাই তখন সেটা দুর্নীতি নয়? ইউএস কলিগের সাথে কথা বলার জন্য কৃতার্থ হয়ে মাঝরাত পর্যন্ত অফিসে বসে থাকি - তখন কোথায় যায় প্রতিবাদের ভাষা? নাকি এসব জায়গায় প্রতিবাদ করলে প্রোমোশন আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা!

    আমি যদি খারাপ কাজ করি, যদি একটার পর একটা ডেডলাইন মিস করে যাই তাহলে আমাকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য অ্যাপ্রেইজাল আছে, ওয়ান-ও-ওয়ান আছে। আমাকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করার সম্পুর্ণ অধিকার কোম্পানীর আছে। কিন্তু আমি কিভাবে রিল্যাক্স করবো - সাঁতার কেটে, নাকি জিমে গিয়ে, নাকি নেট সার্ফিং করে সেটাও যখন ওপরওয়ালারা ঠিক করে দিতে চান তখন নিজেকে স্লেভ ছাড়া আর কিচ্ছু মনে হয়না। আমি যে জায়গায় দিনের চোদ্দো ঘন্টা কাটাবো সেখানে আমার ফ্রি নেটসার্ফিং এর অধিকারটুকু থাকবে না - এটাকি মামদোবাজি নাকি!! মানুষ কি যন্ত্র! পাঁচজন গ্রুপমেম্বারের জন্য একটা কিঅস্কের আইডিয়াটাও মোটেই ভালো না। আমি কখন রিল্যাক্স করবো সেটাও তখন ডিপেন্ড করবে কিঅস্ক ফাঁকা আছে কিনা তার ওপর।

    আরো একটা কথা এই প্রসঙ্গে। আমি যখন দিল্লীতে থাকতাম তখন সাউথ দিল্লীতে ব্রডব্যান্ড থাকলেও নর্থ ক্যাম্পাসে (যেখানে আমি থাকতাম) ইন্টারনেটের খুব একটা সুবিধা ছিলো না। আমার উপায় কি অফিসের ভরসা না করে। তবে আমার আমার অফিস খুব ভালো ছিলো। কোনো সাইটের ওপর রেস্ট্রিকশন ছিলো না। আমাদের কোম্পানীর প্রোডাক্টিভিটি এর জন্য কমেছে বলে তো মনে হয়না।

    লোকাল টেলিফোন কলটাও পার্কসের মধ্যেই পড়ে। না হলে ফেসিলিটিটা দেওয়ার অর্থ কি। অফিসের প্রয়োজনে তো কোথাও লোকাল কল করার দরকার পড়ে না। আমাকে তো কখনো করতে হয়নি। বেশিরভাগই ISD, কদাচিৎ STD। আমার অবশ্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনেও লোকাল কল করতে হয়েছে খুবই কম। ফ্রি ট্রনপোর্টশেন, ফ্রি রিফ্রেশমেন্টের মতই এটাও একটা ফ্রি সার্ভিস। লোকাল কলে কতটুকু খরচা হয়। সপ্তাহে পাঁচদিন এক্সট্রা ছ ঘন্টা, প্রায় সপ্তাহেই শনি-রবি, ল্যাপটপ দিলে তো আরই মজা - 24x7 সার্ভিস - ওভারটাইমের হিসাব কষলে কোম্পানী উল্টে যাবে।
  • Paramita | 143.127.3.10 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ০৭:০১631221

  • a x | 207.69.137.25 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ০৮:০১631222
  • পারলাম না। আমার ওপর জুলুমবাজি, তাই আমি লোকাল কল করব, এই যুক্তিটা মানতে পারলাম না।
    পঁচিশ বছর লেখা পড়া করে, NIH post-doc দের মাইনে যা দেয়, তাতে 40 hour/week হিসেব করে মিনিমাম ওয়েজের ডবলের চেয়ে যৎসামান্য বেশি হয়। কিন্তু জানা কথা যে post-docরা 70-80 hours/week কাজ করে। এই রকম একজনকে ল্যাব থেকে পেপার টাওয়েল বাড়ি নিয়ে যেতে দেখে হাঁ হয়ে গেছিলাম। বলেছিলাম "এতো চুরি"! তাতে বলে সবাই করে। সবাই না হলেও অত্যন্ত ঘৃণার বিষয় যে অনেকে করে, অনেক ভারতীয়। সেটা আমাকে দিয়ে খাটাচ্ছে বা কম পয়সা দিচ্ছে, এসব দিয়ে জাস্টিফাই করাটা ঐ একই মানসিকতার প্রতিফলন।
  • Shuchismita | 141.213.240.90 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ১০:২৬631223
  • যাব্বাবা! তাহলে যন্ত্রটা টেবিলে বসানোর কারনটা কি! আমি তো কাউকে কোনোদিন দেখিনি অফিসিয়াল কাজে লোকাল কল করতে। অফিসিয়াল কাজে লোকাল কল করার প্রয়োজন হয়না (HR বাদে)। আমার যখন সেলফোন ছিলনা তখন অফিস থেকে বাড়িতে STDও করতে হত। কারন বাড়ি ফেরার সময় ফোনবুথ খোলা পাওয়া যেত না। তবে STD করতে গেলে পাসওয়ার্ড লাগতো। আর প্রত্যেক নাম্বার থেকে কোথায় কতক্ষন STD গেছে তার হিসাব মাসের শেষে সবার কাছে আসতো। লোকাল কলের ক্ষেত্রে এরকম কোনো লগ মেইনটেন হতে দেখিনি।
  • Somnath | 59.145.225.101 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ১৮:০৪631224
  • রিলায়েন্সের নিয়ম শোনো। আপিসে সীট পেলেই তোমায় একটা ফোন দিয়ে যাবে টেবিলে। যত খুশি যাকে খুশি ফোন করতে পারো। STD করলে সেটা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রেসড হবে আর তার টাকা তোমার স্যালারি থেকে কাটা যাবে।
    তো এটা অবশ্যই পার্কস।
    কেউ লোকাল ফোন করে করে সময় নষ্ট করে কিনা তার খতিয়ান তার ডেলিভারেবল্‌স এর সময় সীমা ও কাজ শেষ করার এফিসিয়েন্সি দেবে। কিন্তু লোকাল কলের জন্যে যে ক'পয়সা খরচ হয় তাতে কোম্পানীর কিছুই যায় আসে না, বরং সেই ফোনের থেকে যদি কেউ আর একটু সিরিয়াসলি কাজ করার মোটিভেশন পায়, তো অনেক কিছু যায় আসে। অ্যাকাউন্টসের জনতা বাজেটের সময় CTC র উপরে যে হিসাব টিসাব করে, তাতে ইন্ডিভিজুয়ালের কনটিনজেন্সি খরচ হিসেবে একটা সংখ্যা রাখে, যতে ছুটকো ছাটকা খরচ যাকে চুরি জালিয়াতি বা পার্কস বলা যায় সেসব ঢুকে থাকে। হ্যাঁ কিছু স্বত:নিযুক্ত মরাল গর্জিয়ানের যায় আসে বৈকি। একে বলে নার্সিসাস সিনড্রোম। আমার চারপাশের লোকজন কত খারাপ বলার মধ্যে একরকম আত্মস্তুতি কাজ করে। কেউ দিনে কাগজ পড়ে রাতে কাজ করলে ক্ষতি তার নিজের। আট ঘন্টার যত বেশিক্ষণ সে আপিসে থাকছে, তত তার ব্যক্তিগত জীবন কমে যাচ্ছে। আর বসের চেয়ে বেশিক্ষণ আপিসে থাকলে কোনোদিন ভালো ইনক্রিমেন্ট মেলে না। শেষ কথা।
    তো, লোককে আপিস থেকে ফোন করতে দেখলে কার জ্বলে? যার নিজের লোকাল কেউ নেই যাকে ফোন করা যেতে পারে। আপিসে কাজ না থাকলে লোকে খবর কাগজ পড়বে না নেট খুলে তো কি করবে? কোথাও কোথাও ক্যারাম বোর্ড থাকে যেমন আমাদের আপিসে। কিন্তু সবার কি আর সে সুবিধে আছে? ;-)
    তো এ গেল একটা দিক। এক টাকার একটা পেনসিল বা ৩০ টাকার একটা স্টেপলার ঝাড়লে কোম্পানীর ছেঁড়া যায়, কিন্তু সেটাকে নিজের প্রতি প্রবঞ্চণার যথেষ্ট শোধ তোলা হল ভেবে যে সকল ধারিখোকারা পরদিন হাসিমুখে এসে আবার একগুচ্ছ প্রবঞ্চণার তলায় দাঁড়ায় তাদের দিকে তাকিয়ে কোম্পানী স্রেফ মুচকি হাসে।
    অন্য দিকটা হল আদর্শগত ভাবে এই চুরি জালিয়াতি কেন হচ্ছে? এমনকি কোনো মরাল গার্জিয়ানের অস্তিত্বহীন কলকাতার BOC থেকে খবর পাই, টেবিলে ফোন আছে বটে, তবু এমনকি লোকাল কল করতেও কেউ ওটা ইউজ করে না। সবাই মোবাইল থেকেই কাজ চালায়। এই আলোচনাটা আরো একটু লম্বা হবে, কারণ এবার ইনফ্রাস্ট্রাচার ও সিস্টেম ডিজাইনের অপটুতার দিকে তাকানো হবে।
  • Somnath | 59.145.225.101 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ২০:১২631225
  • আমার নিজের মত :- যে কোনো চুরি জোচ্চুরি - নিয়মের প্রতি, সিস্টেমের প্রতি মানুষের বিদ্রোহ মাত্র। দুভাবে শোধরানো যায়।
    ১। মানুষকে আদর্শ হয়ে উঠতে হবে, অর্থাৎ কোনো নিয়মের বাইরের তথা খারাপ কাজ সে করতে পরবে না। যে কথাটা আজকাল খুব পপুলার ভাবে বলা হয়। রং দে বাসন্তি স্টাইল। দেশ থেকে করাপ্‌শন মেটাতে হলে আমাদের সবাইকে ইন্ডিভিজুয়ালি এক একজন সাচ্চা নাগরিক হয়ে উঠতে হবে। গোপাল বড় সুবোধ বালক গোছের, আমরা বিপরীত লিঙ্গের (বউ বা প্রেমিকা ব্যতীত) প্রতি আকর্ষণবোধ তথা আত্মমৈথুন থেকে শুরু করে ট্রেনে টিকিট না কাটা কি আফিসের স্টেশনারী চুরি, ট্রাফিক সিগনাল না মানা, পরিবেশ দূষণ , ঘুষ নেওয়া গোছের সমস্ত আপাতঘৃণ্য ব্যপারই শুধু নয় চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ, বধূহত্যা, কন্যাভ্রুণ হত্যা আর যা যা মনে পড়ল না সে সব কিছুই করব না, এবং করব না শুধুমাত্র আত্মসচেতনতা থেকে, আত্মজ্ঞান থেকে, ভালো ও মন্দের সর্বজনগ্রাহ্য গুরুনির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে।
    আমাদের জীবন হবে নিষ্কলঙ্ক গৃহস্ত সন্ন্যাসীর। বিবেকীয় কোপিনে এমানকি নিবেদিতা চিহ্নটুকুও মুছে ফেলে আমরা সকলে, আহা ঈশ্বরই বা নয় কেন, সন্ত-নির্বেদ জীবন কাটাবো। সেইদিন, আমাদের দেশ হবে জগৎসভার টপার। পৃথিবী নবজাতকের বাসযোগ্য।

    এ ধারণা সহজবোধ্যভাবেই ইউটোপীয় ও এক আদর্শউচ্চ অতিআলোকীয়গতিবেগলব্ধ চিন্তাবিলাসী মরীচিকা মাত্র যা নার্সিসাস সিন্ড্রোমাক্রান্ত ব্যক্তিমানুষের আয়নার পরিচর্যায় কাজে লাগে। নেতা ও উচ্চপদাসীন মানুষেরা যে অসম্ভবের খুড়োর কলের সাহায্যে নিজেদের অপদার্থতা ও অকর্মন্যতা যুগে যুগে ঢেকে এসেছেন ও আসেন। যে সম্মোহনমন্ত্রের আপাত আনেস্থেশিয়া অন্তত: কিছু মানুষকে আত্মগ্নানির চাবুক হাঁকড়াতে সক্ষম, বাস্তব সমস্যার সমাধানের ভার্চুয়াল প্রতিশ্রুতিমাত্রের বদলে।

    প্রথমত: ভালো ও মন্দ, ঠিক ও ভুল, চুরি ও "প্রাপ্য বরান নিবোধত" -র মধ্যেকার সূচীশিল্পের সূক্ষ্মতার সঙ্গে আইনস্টাইনের যুগান্তকারী তত্ব, ইয়েস - রিলেটিভিটি, মিশে গিয়ে যে জট পাকিয়েছে, মহাদেবজটা তার সামনে নস্যি। ধুমসো একখান নদী কেন, যাবতীয় জাগতিক অন্যায় অপরাধসমূহের সুনামী সে হাসিমুখে সামলে দিয়েছে, কারণ প্রতিটি কৃতকর্ম-মুহুর্ত কর্তৃকারকের সম্মতিসাপেক্ষ তথা অপরাধীমাত্রেই অপরাধমুহুর্তে নিজের কাছে জাস্টিফিফায়েড। ভিন্নার্থে, "অপরাধ" শব্দটি একটি তৃতীয়পুরুষ একবচন (বা বহুবচন) কর্তৃক ভিন্নতর টাইমস্প্যানে সংজ্ঞায়িত।
    দ্বিতীয়ত: আত্মসংবরণ ও নীতিবোধের-বর্ণপরিচয় এমন একটি সমাজ ও সংস্কার রচিত কম্বল, যার মধ্যে একটা গোটা মানুষকে, তার ব্যক্তিত্ব ও বর্ণবাহুল্যসহ মুড়ে ফেলে বঞ্চনার আমূল ক্যাল, শোষণ ও অবদমনের বাঁশডলা দিয়ে যাওয়া চলে জীবনভর, যার প্রতিবাদ - আমি যাকে বিদ্রোহ বলি, আইন যাকে অপরাধ বলে - আত্মগ্লানির ব্যাণ্ডেজবাঁধনে মুখবন্ধ গোঙানিটুকুর বেশি এগোতে পারেনা অধিকাংশের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ দু-এক বছর বয়স কমানো, আফিসের স্টেশনারী ঘরে নিয়ে যাওয়া ইত্যাকার যার আরো বিস্তারিত লিস্ট এই থ্রেডে ক্রমে জমা হবে হয়েছে ও হচ্ছে।

    এই রং দে বাসন্তি কনসেপ্ট আরো ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছিল ""অপরিচিত"" তে। গরুড়পুরাণ থেকে নেওয়া হয়েছিল শাস্তিবিধান। ট্রেনের খাবার যোগানো ক¾ট্রাক্টরটিকে স্রেফ ভালো খাবার না দেওয়ার অপরাধে গরম কড়াইতে ভেজে ফেলল। স্কুটারের অয়ার নির্মাতা কোম্পানী মালিককে সাবস্ট্যাণ্ডার্ড মাল বাজারে ছাড়ার অপরাধে জোঁক দিয়ে খাওয়ালো। ট্রাফিক না মেনে ওভারটেক করা লোকটাকে বন্ধ গুহায় গরুমহিষের শিং-এর গুঁতোয় ও খুরের চাপায় মারল। শেষে নিজের প্রেমিকাকে ঘুষ দেবার অপরাধে আগুনে জ্যান্ত জ্বালাতে গেছিল - তখন একটু ঝামেলা হয়। এইসব। দেখে প্রভূত লোকের ফুর্তি হয়েছিল কারন ন্যুনতম নিয়মলঙ্ঘনকে শাস্তিযোগ্য বলার পিছনে দাবি ছিল - একজন একদিন পাঁচ পয়সা চুরি করাটা হয়ত দোষের নয়, কিন্তু সেই লোক যদি এককোটিবার পাঁচ পয়সা চুরি করে, তবে তা ভালো রকমের চুরি। আর একশো কোটি লোক যদি এককোটিবার পাঁচ পয়সা চুরি করে তবে তা ক্ষমা করা যায় না। তাৎক্ষনিক হাততালিযোগ্য কথাবার্তা তাই হাততালি পড়েওছিল, এবং সিনেমাটি চলেনি।
  • Somnath | 59.145.225.101 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ২১:৫১631226
  • ২) এটা স্বীকার করে নেওয়া, যে, মানুষ মাত্রেই কিছু পূত-পবিত্র শ্বেতবস্ত্রশোভন আদর্শকঙ্কাল নয়। ছটি রিপু তার মধ্যে আদিগতভাবে বর্তমান এবং সে জন্ম-ইস্তক ইন্দ্রিয়াধীন। প্রয়োজন এমন একটি সিস্টেম নির্মাণ এমন একটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার যা সাধন করবে আমার প্রয়োজন ও উদ্দেশ্য। হ্যাঁ সে উদ্দেশ্য অফিস থেকে স্টেশনারি চুরি বন্ধ করা হতে পারে, ফোন বিল কমানো হতে পারে, এমনকি হতে পারে ট্রেনের বাধ্যতামূলক টিকিট কাটা থেকে দেশ থেকে ধর্ষণ নির্মূলীকরণের মতো আপাত অসম্ভব প্রোজেক্ট ও। ম্যানেজমেন্টের কয়েকটি ছোটোখাটো কোর্স এ বিষয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করে। দেখা যাক।

    ধরা যাক স্টেশনারি। একটা সে¾ট্রালাইজড সফটঅয়্যার থাকবে, যাতে না এনট্রি করলে স্টেশনারি ইস্যু করা হবে না। যেখান থেকে প্রতি মাসে জনতার ইস্যু করা স্টেশনারি ও তার মূল্যমান নির্ধারণ হবে, যা এমপ্লয়িটির পার্কস হিসেবে কোম্পানী ঐ মাসটিতে ব্যয় করেছে। আমাদের যেমন পেনের কালি ফোরালে নতুন পেন দেয়, তেমন কোথাও শুধু রিফিল ও দিতে পারে হয়ত, কিন্তু নতুন পেন নিতে গেলে পুরোনো কালিবিহীন পেনটি ফেরত দিতে হবে এমন নিয়ম থাকবে। নতুন পেনসিল নিতে গেলে পুরোনো ক্ষয়ে যওয়া পেনসিলটি ফেরত দিতে হবে। নতুন রাবার নিতে গেলেও তাই। হারিয়ে যাওয়া স্টেশনারিটির বদলে নতুন মাল পাওয়া যাবে, তবে তার দাম এমপ্লয়িটির মাইনে থেকে কাটা যাবে। (পেনসিল হারালে ১ টাকা, পেন হারালে পাঁচটাকা, স্টেপলার হারালে ৩০ অর্থাৎ যখন যেরকম)। দেখবে লোকে বাপ বাপ বলে লকারে স্টেশনারী পুরে তালা মেরে চাবি নিয়ে বাড়ি যাবে প্রতিদিন। এমনকি আপিসের ক্যাজুয়াল বেয়ারা পিয়ন বা সিকিউরিটি গোছের জনতাও মালপত্র ঝাড়ে। প্রাথমিক ভাবে নিজের জিনিসের মতো যত্ন নিতে হবে এমনকি আপিসপ্রদত্ত সামানেরও -এইটেই প্রামান্য।
    তখন কি হবে? হার্ডলি লোকে কোম্পানীপ্রদত্ত ব্র্যান্ডের পেন/রিফিল ব্যবহার করবে বাড়ি ও ছেলেমেয়েদের ও তাই করাবে এবং ছ্যাচড়ামির চূড়ান্ত হল সেই সব খালি হয়ে যাওয়া রিফিল অপিসে এনে বদল করবে, চাই কি বন-বাদার আস্তাকুড় ও পথের ধার থেকে লোককে ব্র্যাণ্ড বেছে বেছে খালি রিফিল কুড়োতেও দেখা যেতে পারে। স্টেপলারের ক্ষেত্রে পিন ও পেনসিলের শিষ লোকের বড্ড তাড়াতাড়ি ফুরোতে থাকবে। স্কেল-টেল অত তাড়াতাড়ি ভাঙবে বলে মনে হয় না।
    এখন ঐ সে¾ট্রালাইজড সিস্টেম থেকে মাসে প্রত্যেকের স্টেশনারি ইউসেজের খরচ ক্যালকুলেট হবে, এবং যার পেনের রিফিল-পেনসিলের শিষ- স্টেপলারের পিন বড্ড বেশি ঘনঘন ফুরিয়ে যায় সে অতি সহজেই পয়েন্ট আউট হবে। যেহেতু কোম্পানী প্রদত্ত খাতা-পত্র কোম্পানীতেই থাকার কথা ডেটা-সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, ছমাসে বা চারমাসে ইস্যু করা খাতাপত্রের হিসেব দেখাতে হবে। নতুন খাতপত্র ইস্যু করার জাস্টিফিকেশন হিসেবে। জেরক্স ও প্রিন্ট আউটের কাগজ সবাইকে আলাদা আলাদা বাঞ্চ এ ইস্যু করা হবে (ঐ বাক্স শুদ্ধু) যার হিসেব কম বেশি মেলানো হবে এমপ্লয়ির কম্প থেকে দেওয়া প্রিন্ট আউটের কাউন্ট (যা আর একটা নেটওয়ার্ক প্রিন্টার কাউন্টার রাখবে) ও জেরক্স করার খাতায় (কি ডেটাবেস এ) করা এϾট্রর সাথে। (বহু জায়গায় জেরক্সের জন্যে আলাদা লোক থাকে, যে পাতাপত্রের হিসেব রাখে, রিলায়েন্সে থাকেনা, সেখানে ঐ এক জায়গায় প্রচুর পাতা গলে।) জেরক্সের ক্ষেত্রে একটা অপশন সবার নিজস্ব পাসওয়ার্ড (যেমন কম্প লগ ইন পাসওয়ার্ড) দিয়ে জেরক্স করতে হবে যেখান থেকে ও পাতা কাউন্ট পাওয়া যবে।

    তাৎক্ষনিকভাবে এটুকু মনে হল, বললাম। কিন্তু দেখাই যাচ্ছে এজন্য যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার দরকার, যেমন সবার কম্পুটার, সে¾ট্রালাইজড একটি/দুটি সফটওয়্যার, স্টেশনারী মেন্টেন, রিপোর্ট জেনারেট করার ও অসঙ্গতি মার্ক করার একজন অন্তত ডেডিকেটেড লোক সে¾ট্রালাইজড প্রিন্টার ও আধুনিক জেরক্স মেশিন এসব সামলানোর চেয়ে যে কোনো কোম্পনী মাসে শ-পাঁচেক টাকার স্টেশনারী পাতি জলে ফেলে দিয়ে আসতেও অনিচ্ছুক হবে না। বরং সেগুলো কারো কাজে লাগছে, বা কাউকে সামান্যতম মোটিভেট করছে জানলে আরো কয়েকশো টাকার স্টেশনারী সে এমপ্লয়ি মোটিভেশন খাতে প্রতিমাসে হাসিমুখে খরচ করবে। বলা যায় না কোনো মাসে যথেষ্ট স্টেশনারি খরচ হল না দেখে HR ম্যানেজারের হয়তো মুখ গোমড়া হয়ে গেল, এমপ্লয়ি টার্ন ডাউন বাড়ার আশঙ্কায়। আবার কেউ কেউ এই ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানাতেও পারে। সেক্ষেত্রে তারা খিস্তি খাবে ঠিকই তবে সমীহও পাবে একইরকম।

    ফোন বিল সংক্রান্ত রিলায়েন্স স্ট্র্যাটেজি আগেই বলেছি। লোকাল কল ও চেক করতে হলে মাসান্তে লোকাল কলের লিস্টি ইমিডিয়েট সুপারভাইজার এর হাতে পাঠানো ই যথেষ্ট। সবাই কজের শেষে বাড়ি যাওয়ার আগে ফোন লক করে গেলে জনতা আপিস ঝাড়ু দিতে এসে বা চায়ের কাপ সরাতে এসে দু একটা ফোন করে যেতে পাবে না। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে সুইপার, বেয়ারা ও সিকিউরিটি স্তরে অসন্তোষ ঘনাবে বা জব স্যাটিসফ্যাকশন কমবে। ;-) আর যার ফোন থেকে বড্ড বেশি ফোন কল হবে, কোম্পানীর বোঝা উচিত তার হাতে যথেষ্ট কাজ নেই। খিস্তি না করে সেক্ষেত্রে IS নিজের দায়িত্ব ও রিসোর্স ইউটিলাইজেশন সম্পর্কে সতর্ক হবে। র‌্যাদার, গা ছাড়া সুপারভাইজারকে অমন একটা ট্রেনিং এ পাঠালেই সে বুঝতে পারবে কি বলতে চাওয়া হচ্ছে।

    একাটু বড় ক্ষেত্রে ভাবা যাক, মেট্রো রেল যদি বিনা টিকিটে চড়া না যায়, তবে সমস্ত ট্রেনের ক্ষেত্রেই এই পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব। এককালীন স্থায়ী খরচের রিকার্সিভ বিনিময়ের পরিমান রেল ব্যবস্থাকে অন্যতম লাভজনক সরকারী ইউটিলিটি করে তুলবে। কিংবা ওটাকে স্রেফ প্রাইভেট সেক্টর করে দেওয়ার কথা ভাবলেই দেখবে বিবিধ মাথা থেকে কত কত উদ্ভাবনী উপায় বেড়োচ্ছে।

    পরিশেষে, দেশ থেকে ধর্ষন নির্মূল করার মতো সাবজেক্ট নিয়ে এখনো ভাবিনি, তবে তারও উপায় আছে। পুরুষমাত্রই মনোগ্যামী বা ব্রহ্মচারী হতে হবে - এহেন অপোগণ্ডো কনসেপ্ট ছাড়াও সেটা সম্ভব বলেই মনে করি।
  • Somnath | 59.145.225.101 | ১৯ আগস্ট ২০০৬ ২২:১০631228
  • অনেক ভাটালুম। কিন্তু আর একটা জিনিস আছে। এই সব বাধা নিষেধ জারি করার আগে কোম্পানীকে অবশ্যই দেখতে হবে সে এমপ্লয়ীকে কি দিচ্ছে। কতখানি জব স্যাটিসফ্যকশন। আমার দেওয়া তিরিশ পয়সা দামের একখানা পাতার ও হিসেব তোমায় দিতে হবে, বা এক টাকা মুল্যের একখানা ফোন কলেরও জাস্টিফিকেশন চাই, এই কথাটা একটা কোম্পানী তখনই বলবার অধিকার রাখে যখন সে বাকি সমস্ত দিকে নিখুঁত। মানব সম্পদ অবমূল্যায়ন বা অপচয়ের মতো ক্রাইমের উল্টোদিকে কোনো পাটকেলই যথেষ্ট নয়। তেমনি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার গলদ দায়ি টোকাটুকি এমনকি বয়স ভাঁড়ানোর জন্যে। আমারই এক শিক্ষককে আমার পাশের বাড়ি জ্যেঠু চেপে ধরেছিল "আপনি কি তবে দশ বছর বয়সে মাধ্যমিক দিয়েছেন নাকি মশাই!!" - বলে, আমার সামনেই। সে বড় আনন্দের কথা নয়। কিন্তু মানুষ এই জালিয়াতি টুকু করবেই, র‌্যাদার তার করার অধিকার আছে, কেননা এক) সে ঈশ্বর নয়, দুই) স্রেফ পুওর সিস্টেম ও ইনফ্রস্ট্রাকচারের জন্যে অন্য একটি জালিয়াতি করা মানুষ তাকে যোগ্যতমের উদ্বর্তনের লড়াইয়ে পিছনে ফেলে যেতে পারে/যায়/যাচ্ছে।

    আমার মনে হয় নতুন তর্কটুকু এখান থেকে শুরু হতে পারে, তবে মরালিটির পিছনে কোনো জাস্টিফিকেশন না থাকা পর্যন্ত সেটি একটি মৃত শব্দ, ভিকিদা যাকে বেদান্তের সোনাকাঠি রূপোকাঠি বদলেও জাগাতে পারেন নি, এবং আমার ও উইকএন্ড থাকা উচিত, তাই আপাতত: গুড বাই।
  • a x | 4.159.71.153 | ২০ আগস্ট ২০০৬ ০০:১৮631229
  • এরকম অনর্গল লেখে কি করে!? প্রতিভা তো!

    দুটো ঘটনা দিয়ে বক্তব্যটা বোঝাই। সেই ডগভিলের টমের মত।

    ঘটনা ১) সকল বেলা অফিসে বেরোচ্ছি এমন সময় বিশু ফোন করল। বিশু অনেকদিনের বন্ধু, মাস খানেক কথা হয়নি। তাকে বল্লাম, "বস এক্ষুণি বেরোচ্ছি, অফিসে গিয়ে তোমাকে করছি"। অফিসে গিয়ে একটু কাজ গুছিয়ে অফিসের ফোন থেকে ফোন। এইরকম ঘটনা ক্বচিৎ কদাচিৎ করে থাকি। আমার সেল ফোন নেই, বাড়িতে ল্যান্ড লাইন থেকেই কথা হয়।
    ঘটনা ২) আমি তখন বাস এ করে অফিস যচ্ছি। সেল ফোনে বিশুর ফোন। বিশুকে বল্লাম, "বস একটু বাদেই অফিস পৌঁছোব, ফালতু ডে টাইম মারা কেন দুজনেরই, গিয়ে তোমাকে করছি।" এরকম ঘটনা মঝে মঝেই করে থাকি। সেল ফোন একটি পকেটে সব সময়ই থাকে আমার।

    অফিসের ফোন ব্যাবহারে কোম্পানীর ক্ষতি, প্রোফেশ্যনালিজমের মুখে লাথি, মরালিটি, ইত্যাদি গাল ভারি কথা বাদ দিয়েও, নিজের পয়সা বাঁচানো। এবং হিসেব করে পাই পয়সা বাঁচানো, যখন সুগন্ধি after shave, সেল ফোন বা ডিজাইনার ঘড়িতে কোনো কার্পণ্য নেই। সেটা মাসের শেষে যাই পাই না কেন, irrespective of that। ফ্রীতে খাবার পেলে বেশি করে খাওয়া, হোটেল থেকে বেরোনোর সময় সাবানটা শ্যাম্পুটা তুলে আনা, ল্যাবের পেপার টাওয়েল ঝাড়া এর মধ্যে একটা ছিঁচকেমি আছে, এবং সব ভাষাতেই সেটা ছিঁচকেমি, textual context এ এবং reality তে :-))
    ছিঁচকেমি কে ছিঁচকেমি বল্লে তার নিশ্চয়ই তিনটে কারন:
    ১) তুমি বোকা, বোকার মত পয়সা খরচ করছ।
    ২) তুমি লুজার - খরচ করতেই জানোনা।
    ৩) তুমি মরাল গার্জিয়ান, আমাদের কে চোর বলে নিজেকে আলাদা ভাবছো আসলে তুমি বোকা এবং লুজার। আমরাই চালাক এই উত্তরাধুনিক যুগে।

    ডবল সিটি।

    এমনি এমনি টমের উদাহরণ দিলুম নাকি? :-))

  • dam | 61.246.74.169 | ২৩ আগস্ট ২০০৬ ১৮:০৯631230
  • এইজন্য রঙ্গনকে এত ভাললাগে। ৫-৬ প্যারাগ্রাফ ধরে যা বলতে চাইছিলাম ২-৩ লাইনে বলে দিয়েছে।

    "লোকজন বড্ড জেনেরালাইজ করে নিচ্ছেন আজকাল" ? কি আশ্চর্য্য! ব্যক্তিবিশেষের কেরিয়ার প্রবলেম নিয়ে আলোচনা করতে তো আমার কোন উৎসাহ নাই। আর যখন কেউ "অভিবাসন অনুপ্রবেশ" এর থ্রেড খোলেন, তখন নিশ্চয়ই তাঁর খুড়শ্বশুরের সেজশালার অনুপ্রবেশ এর সমস্যা নিয়েই আলোচনা করতে তা খোলেন না। সেটি একটি উদাহরণ হিসাবে আসতে পারে, তার বেশী কিছু নয়। কোন বিশেষ কোম্পানির বিশেষ একটি প্রোজেক্টের টীম মিটিঙে কি হয় তা তো বলতে পারব না ---- তবে টীম মিটিঙে চেঁচামিচি হয় বলে দেখেই লিখেছিলাম সেটা ফলো আপ করার কথা। টীম মেম্বার কিছু দাবী করলে সেটা তার TL/PL/PM এর দেখার কথা। না দেখলে TM সেটাকে escalate করতেই পারেন। কথা হচ্ছে তার অতটা ধক আছে কিনা। সেক্ষেত্রে প্রস্তুত থাকতে হয় অহেতুক অপমানিত হলেই চাকরীটা ছাড়ার জন্য। S/W এ অন্তত এক্ষুণি চাকরীর কোন অভাব নেই। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি টেকনিক্যালি স্ট্রং ছেলেমেয়েরা ওরকম মিউমিউ করে মেনে নেয় না। কাজেই আবারও, এটি একেবারেই ইন্ডিভিজ্যুআল প্রবলেম। নিজের বক্তব্য জোর দিয়ে জানানো দেখে কারো যদি হাসি পায়, আমারো গুরুচন্ডা৯ তে মেলোড্রামা নামাতে দেখলে হাসি পায়। কথা হচ্ছে টেবিলের যে দিকেই আপনি বসুন না কেন আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা আপনাকেই সমাধান করতে হবে। আর সেই বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলেও কর্মক্ষেত্রে হয়রানির একটা থ্রেড আছে তো।

    ব্যান্ডউইড্‌থ সম্পর্কে একটা ছোট্ট হিসেব। এই বছরের গোড়ার দিকে যখন বাজেটিঙ হচ্ছিল তখন একটি কোম্পানি ঠিক করে মাথাপিছু 4MB র বদলে 8MB করে ধার্য্য করবে। তাতে দেখা যায় বছরে অতিরিক্ত ৪৫ লক্ষ টাকা প্রতি বছর লাগবে। তারা ঠিক করে এটা যে এটা তাদের সাধ্যাতীত। কাজেই আগের 4MB ই বজায় থাকে। এবং যে কোন ম্যাসেঞ্জার বন্ধ। বন্ধ আরো অনেক সাইটই। এখন কোন বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে এই বাড়ানোটা সাধ্যের মধ্যেই হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের এমপ্লয়ীদেরই বাধ্য করতে হবে এটা করাতে।

    অরিজিতের কাছে শুনেছিলাম একবার নাকি অরিজিনাল মার্কশীট জমা রাখবার সার্কুলার জারি হয় এবং সমবেত বিক্ষোভে বাতিলও হয়। তা এই ব্যান্ডউইড্‌থ নিয়েও সমবেত বিক্ষোভ করলেই হয়। কোম্পানির পলিসি পছন্দ না হলে সেটাকে প্রশ্ন করুন, বদলাতে চেষ্টা করুন, নয়ত কোম্পানি বদলান। কোম্পানি যদি বলে বাড়াতে পারবো না এবং আমার ভি পি এন ট্রিপ করছে --- এবং আপনার সেটা মনপসন্দ নয়। বেশ তো অন্য কোথায়ও যান।

    উদাহরণস্বরুপ বলতে পারি Accenture এ সমস্ত সাইট অ্যাভেলেবল। অন্তত অল্প কিছুদিন আগেও ছিল। এখন যদি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়, নিশ্চয়ই তার কোন স্পেসিফিক কারণ থাকবে, আর তা সেখানকার এমপ্লয়ীদেরই জানতে হবে বা বদলাতে হবে।

    চাকর থেকে চাকরী এসেছে না চাকরী থেকে চাকর তা জানি না, তবে ঐ স্লেভ এর একটা প্রতিশব্দ। আর উপরে চোখে পড়বে না? ক্কি ক্কান্ড!! সদ্য ঢোকা ফ্রেশাররাও তো দেখি আগামী পাঁচ বছরে নিজের কেরিয়ার পাথ সম্পর্কে দিব্বি সচেতন। প্রশ্ন করতেও তো তাদের কোন কুন্ঠা দেখি না। দিব্বি ডেলিভারী হেডই হোক আর তার উপরের কেউ ই হোক, জিগ্যেস করে এবং ফলো আপ করে। অবশ্যই সবাই নয়, কিছু বুদ্ধিমান টেকনিক্যালী স্ট্রং ছেলেমেয়ে। ব্যতিক্রম তাতেও আছে, আর তা ব্যতিক্রমই। সবাইকে কেন সমান ফেসিলিটিজ দেওয়া হচ্ছে না --- এটা বক্তব্য , আবার কেউ কেউ হাবাগবা। ব্রেশ ব্রেশ। অবশ্যি প্রথমেই দেবদেবীদের কম্ম জানা যাবে না এমনটা ভেবে নিলে এবং তাঁদের ছুঁড়ে দেওয়া রুটি (পুরো যাত্রা যাত্রা ডায়ালগ) নিয়ে সন্তুষ্ট হতে হবে এটা ভেবে রাখলে মেরুদন্ড আগেই বেঁকে গেছে। ও দিয়ে আর কিসুই হবার নয়।

    নেটিকেটের অভাব একটা কারণ, একমাত্র কারণ নয়। মোদ্দা বক্তব্য একটাই। আগে ফেসিলিতিজ ছিল এবং এখন নেই। কেন নেই, সেটা আগে দেখুন। অযৈক্তিক মনে হলে প্রতিবাদ করুন বা চাকরী বদলান। কিন্তু কোম্পানি অযৌক্তিক দাবী করছে বলে আমি পেছনে চুরি জালিয়াতি করব, এটা কোন যুক্তিই নয়।

    তবে ঐ রঙ্গন আর ডিডি যা বলেছেন, টেবিলের কোন দিকে আপনি আছেন তার ওপরে নির্ভর করছে অনেক কিছু। টেবিলের অন্য দিকটায় গেলেই আপনার অবস্থান আবার পাল্টাতেই পারে।
  • Arjit | 128.240.229.65 | ২৩ আগস্ট ২০০৬ ১৮:১৬631231
  • দমু - টিসিএসকে আলাদা ব্র্যাকেটে রেখো, কারণ ওখানে ছ্যাঁচরামি চলে, কোন কারণ বা যুক্তি ছাড়াই। বেশি কোশ্চেন করলে অন্য চাকরি খোঁজা শুরু করাই ভালো। একবার ট্রান্সপারেন্সি দেখাতে গিয়ে রামাদোরাইয়ের সঙ্গে লাইভ চ্যাট চালু করলো, এমপ্লয়ী আইডি দিয়ে ঢুকতে গিয়ে দেখলুম আমার লগইন ইনভ্যালিড - আগে থেকেই ব্যান করা:-)) তার আগেই এই ইনকাম ট্যাক্স ইত্যাদি নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ বাওয়াল করেছিলুম কিনা:-))
  • Arjit | 128.240.229.65 | ২৩ আগস্ট ২০০৬ ১৮:২১631232
  • সবার আগে ব্যান হল "হটমেল" - কারণ কে নাকি হটমেলে ফিরোজ বাঁদরওয়ালার (তখন দিল্লীর ইভিপি) নামে আইডি করে বাঁদরওয়ালার সেক্রেটারীকে প্রেমপত্তর পাঠিয়েছিলো, বেশ রসালো প্রেমপত্তর। তো, হটমেল পুরো বন্ধ - করবেও না, মেল আসবেও না - সেই ভারত সরকারের ব্লগস্পট ব্যানের মতন। পরে ইয়াহুও ব্যান হল, অন্য সব রকম ওয়েবমেল - কারণ লোকে নাকি ওগুলো ব্যবহার করে সিভি পাঠাচ্ছে। পাঠাচ্ছে তো পাঠাচ্ছে - ব্যান করে কি লোকের ছেড়ে যাওয়া আটকাতে পেরেছে? বরং ভদ্রলোকের মতন মাইনে দিলে, পার্কস দিলে, রেকগনিশন দিলে লোকে থাকতো। এখনো ফুটো কলসীর মতন - বছরে পনেরো হাজার নেয়, উল্টোদিকে পনেরো হাজার ছাড়ে...
  • dam | 61.246.74.169 | ২৩ আগস্ট ২০০৬ ১৮:৫৯631233
  • শুচিস্মিতা,

    আপনার বক্তব্যেই দেখছি তবু কিছুটা হলেও যুক্তি আছে। প্রথম কথা কোন অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে কি লেখা থাকে যে আট ঘন্টা কাজ করতে হবে। থাকলে তো কথাই নেই, সেক্ষেত্রে তার বেশী কাজ যদি মাসের পর মাস চলে তাহলে কোথায়ও গোলমাল আছে। হয় ব্যক্তিবিশেষের কর্মক্ষমতায় নয় প্ল্যানিঙে। সেটার প্রতিবাদ যারা করেন না, বা বদলাতে চেষ্টা করেন না, সমস্যাটা তাঁদের ব্যক্তিগত। আর কিছু না হোক ঐ চাকরী ছেড়ে অন্য একটায় যোগ দেওয়া যায়। এবং দ্বিতীয় কোম্পানি যখন জিগ্যেস করবে আগেরটা কেন ছাড়ছি তখন তাকে কারণটা পরিস্কার করে জানাবো। এতে হয়ত ২-১ টা কোম্পানি আমাকে নাও ডাকতে পারে, কিন্তু আমি যদি কাজ জানি, তাহলে একজন না একজন নেবেই, এবং আমার শর্তেই। এটা একেবারে বাস্তব অভিজ্ঞতা। অজস্র নাম দিতে পারি যারা নিজেদের শর্তেই জয়েন করে।

    আর যদি লেখা না থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা দাবী করি না কেন, সেটা লিখে দেবার জন্য? চাকরীটা নাও পেতে পারি, এই ভয়ে? ইউ এস কলিগের সাথে কথা বলার জন্য কৃতার্থ হয়ে মাঝরাত অবধি কেউ অফিসে বসে থাকে? পাগল না পাঞ্জাবী? অন্য কোন স্ট্রীমের কথা বলতে পারব না, তবে S/W এ কোন কোন প্রোজেক্টে ক্লায়েন্টের রিকোয়ারমেন্টই থাকে তাদের সাথে ৩-৪ ঘন্টা ওভারল্যাপিঙ টাইম থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে শিফ্‌ট অ্যালাওয়েন্স বলে একটা টাকা দেওয়া হয়। কোথায়ও বা সেটা "রেয়ার স্কিল অ্যালাওয়েন্স"। এছাড়াও আছে 'কোর টীম অ্যালাওয়েন্স'। কেউ যদি এইসব কিছু ছাড়াই এমনি এমনি মাঝরাত অবধি বসে থাকে, তাহলে সেটা তার সমস্যা। কৃতার্থ হয়ে থাকাটা খুবই রেয়ার। আমি অন্তত দেখি নি। বস বাধ্য করলে কয়েকদিন গজগজ করে কিছুদিন বাদে চাকরী বদলাতে দেখেছি।

    লোকাল কল আপনার পার্কসের মধ্যে পড়ে কিনা সেটা তো কোথায়ও না কোথায়ও ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে লেখাই থাকবে। তা যদি না থাকে, তাহলে যে কোন সময় কোম্পানি লক করতেই পারে, আপনি কিস্যুই বলতে পারবেন না। লেখা থাকলে লক করা মাত্র আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এবং আপনার উপরওয়ালা উত্তর দিতে বাধ্য। দ্বিতীয়ত: প্রয়োজনে লোকাল কল করা, আর সম্‌স্‌ত লোকাল কলই কেবল অফিস থেকে করার মধ্যে একটু তফাৎ আছে। সমস্ত রকম লোকাল কলই শুধুমাত্র অফিস থেকেই করা আর ঘন্টার পর ঘন্টা অফিস থেকেই কথা বলে যাওয়া -- এটার মধ্যে একটা ছিঁচকে চুরির ব্যপার আছে। যারা ঘন্টার পর ঘন্টা লোকাল কল করে যান, তাঁরা সুযোগ পেলেই এস টি ডি বা আই এস ডি ও করেন।

    এবারে আসি আপনার এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি ঠিক করে দেবে কিনা সেই প্রশ্নে। তা আপনি শুধু পছন্দের সাইট নিয়েই খুশী? কেউ তো বলতে পারেন টিভিও চাই জনপ্রতি। পছন্দের সিরিয়ালটা টুক করে দেখে নেবেন। ৩০ মিনিটে আর এমন কি হবে? অথবা সেই ৩০ মিনিট তিনি এক্‌স্‌ট্‌রা করে দেবেন। সেক্ষেত্রে? পার হেড একটি করে টিভি? আরো একটা প্রশ্ন মনে এলো ছোটবেলায় যখন অনেক বাচ্চা খেলতে চায় আর বাবা মায়েরা জবরদস্তি গাননাচ শেখাতে বা সাঁতার শেখাতে নিয়ে যান, সেটাও তো বাচ্চাকে স্লেভ হিসাবে ব্যবহারই করা হচ্ছে তাই না? একদম ছোট বাদ দিন, একটু বড় হয়ে তারা প্রতিবাদ করে না কেন? বাবা-মা খেতে পরতে দেবে না এই ভয়ে?

    সোজা কথা হল, আপনার না পোষালে আপনি করবেন না, কোম্পানি যাই করতে বলুক না কেন। কিন্তু কোম্পানি আমায় রোদ্দুরের মধ্যে পিটি করাচ্ছে বলে আমি বাড়ী যাবার সময় এক প্যাকেট A4 পেপার নিয়ে যাব, এটা মানা গেল না।

  • dam | 61.246.74.169 | ২৩ আগস্ট ২০০৬ ১৯:০৭631234
  • অজ্জিত,

    আমি প্রধানত: দুটো কথাই বলছি।

    ১। টি সি এস যদি আলাদা রকমের খারাপ হয়, আর তোমার না পোষায়, তুমি চাকরী বদলাও। তুমি বদলাচ্ছ না মানে তোমার অন্য প্রায়োরিটি আছে, সেক্ষেত্রে কোম্পানি সুবিধা নেবেই।

    ২। এটা কর্মক্ষেত্রে হয়রানির থ্রেড নয়। হয়রানির জন্য চুরি করছি ---- মানা গেল না।

    এবারে কও দেখি, তুমিই না বল মন্ত্রীসান্ত্রীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হয়। তা তোমার লগইন ব্লক হতেই ছেড়ে দিলে কেন, তোমার মতন এমন বিপ্লবীর এই কি গো উচিৎ ব্যভার?

    ও হ্যাঁ ভেরাইজনের কথা বললে না, ওরকম নির্ঘাৎ যারা স্প্রিন্ট পি সি এস বা টি মোবাইলে কাজ করে তারাও পায়। আমি যেমন usa তে ক্রেডিট কার্ডের কিছু বিশেষ সুবিধা পাই, যা তোমার পাবে না। তো সেক্ষেত্রে ওটা তোমাকে বা আমাকে দেওয়া হয়েছে। আর সে যদি বল তো আমার আগের কোম্পানিতেও, এখনকারটায়ও আমার টেবিলের ফোন থেকে আমি লোকাল তো ছাড়ো STD ISD দুইই করতে পারি। তবে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কোনদিন করি নি। কেউ যদি করে, ধরা পড়লে তার ঐ অধিকারটি যায়।
  • Sayantan | 59.160.140.1 | ২৩ আগস্ট ২০০৬ ১৯:২৭631236
  • সেই তো! টপিকান্তরে ব্যক্তিগত অ্যাটাক। তবে কি না, সবকিছুকে যাত্রা/মেলোড্রামা বলে নিজের হেটফুল মেন্টালিটির পরিচয় না দিলেই কি চলছিল না।

    জঘন্য লাগছে লিখতে। তার চেয়েও ফালতু লাগছে এই ধরণের মানসিকতাওয়ালা মানুষের সাথে বার্তালাপ করতে। কয়েকটা পয়েন্ট -

    . ধক শব্দটার প্রতিবাদ করলাম।
    . তৃতীয় প্যারা'র শেষ সেন্টেন্স আপনার বলবার কোনও অধিকার নেই।
    . পাঁচ নং প্যারাতেও সেই কথা। সব কোম্পানীতেই বহু "ফ্রেশার' দেখেছি যারা শুরুর দিন থেকেই মোসায়েবি শুরু করে। সঙ্গত দেয় ঐ সো-কলড উপরতলারই কিছু হিপোক্রিট। কেরিয়ার প্ল্যানের নামে পদপৃষ্টলেহনের এর চেয়ে বেটার নজির চোখে পড়েনি।
    . মেরুদন্ড বেঁকে গেছে মার্কা খুড়ীমা টাইপের কথা নিয়ে আমি নিরুত্তর রইলাম। মেরুদন্ডহীনতার থেকে বাঁকা মেরুদন্ড বেটার। তবু তো কিছু একটা আছে।

    আর লিখব না।

    নিজের রুচিবোধ জলাঞ্জলী দিয়ে ---- ছ্যা:।
  • dam | 61.246.74.169 | ২৩ আগস্ট ২০০৬ ১৯:২৭631235
  • অজ্জিত, শুচিস্মিতা,

    NIITHR থেকে ঝেড়ে জবাব দিয়েছিল রাস্তায়্‌ঘাটে অজস্র সাইবার ক্যাফে আছে, সেখান থেকে সি ভি পাঠাও বা পছন্দের সাইট দেখো, আমরা অ্যালাও করব না। সেটা আবার প্রোসেস ডকুমেন্টে ডিফাইনও করে দিয়েছিল। অতএব সেখানে যদি হ্যাক করে কর, তো সেটা কিন্তু জালিয়াতিই হল। ঠিক যেমন প্লেনে আচার নিয়ে ওঠা নিষিদ্ধ হলে, তুমি/আপনি যদি আচার নিয়ে ওড়ো/ওড়েন তাহলে আপনি আইনত:ই দন্ডনীয় হন, তেমনি।

    কাজেই প্রশ্ন করতে হলে প্রোসেসকেই করতে হবে। আর এই সবগুলই আলাদা থ্রেডের বিষয়।
  • Arjit | 128.240.229.65 | ২৩ আগস্ট ২০০৬ ১৯:৩০631237
  • দ্যাখো, এত কিছু বলেও লোকে টিসিএসে থেকে যায় তার কারণ এক তো বণ্ড - যতই ফালতু হোক, অনেকেই নানা কারণে বণ্ড ভাঙতে ভরসা পায় না।

    চুরি/ছিঁচকেমো সমর্থন করছি না - তবে এই ব্যান/লক/রেসট্রিকশন এগুলোও না। ওই ব্যাণ্ডউইডথের কথা থেকে বল্লাম। আমাদের (ইউনিতে) তো কোন রেস্ট্রিকশন নেই - কিন্তু কাজ কি হয়না? শুনেছিলাম p2p বন্ধ, তাপ্পর খবর পেলাম বন্ধ নয়, বলে গান-টান ঐ দিয়ে না নামাতে। এম্নি রিসার্চের কাজে লাগলে করতেই পারো। ওদিকে ইউনি মানে পয়সা কম - তাই ফোন থাকলেও পার্সোনাল কল করতে গেলে ৮ দিয়ে করতে বলে, এবং লোকে করেও। ভেরাইজনে ফোন খোলা ছিলো, সিমেনসেও। হয়তো ব্যবহার করতো কেউ কেউ...হয়তো করতো না।

    আল্টিমেটলি দ্যাখো - এটা নিজের চিন্তা-ভাবনার ব্যাপার। রেস্ট্রিকশন দিয়ে কিছুই হবে না, কারণ সেগুলো এড়ানোর বা ভাঙার অনেক উপায় আছে। কিন্তু কোম্পানি বেশি দাবিয়ে রাখতে গেলে সেটাকেও ছিঁচকেমোই মনে হয়।

    আর ইয়ে - আমি লগইন ব্লক হতে ছাড়িনি - আমি বণ্ড শেষ হবার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম, শেষ হয়েছে - ছেড়ে দিয়েছি। টিসিএসে থাকতে যাইনি, উপায় ছিলোনা বলে গেছিলুম।
  • dam | 61.246.74.169 | ২৩ আগস্ট ২০০৬ ২০:০০631239
  • ঠিক তাই অজ্জিত, এটাই আমারও বক্তব্য। যতদিন থাকতে হয়েছে থেকেছ, তারপর ছেড়েছ। টি সি এস তার সমস্তরকম সমস্যা নিয়েও নিশ্চয়ই কোন কারণে টিঁকে আছে।

    আরো একটা জিনিষ দেখো, তোমার কাছেই শুনেছিলাম টি সি এসে সিভিতে যাতা লেখায়। মানে যথেচ্ছ ডক্টরিঙ করায়। তা সে আরো কোন কোন কোম্পানি করাতে চায়। এবারে লোকে আপত্তি করে না কেন? অনসাইট প্লেসমেন্টের লোভে তো? অথচ করলে এমন কিছু ক্ষতি হয় কি? জানি না। তবে আমার পরিচিত একজন -- নবনীতাদি। সে ৭ বছর ব্রেক নিয়েছিল ছেলেমেয়েকে একটু বড় করবার জন্য। তা ওর ঐ ৭ বছরকে সুন্দর করে ঢেকেঢুকে দেবার জন্য সব কোম্পানিদেরই বেশ চেষ্টা ছিল। আর ও সেটা কিছুতেই করতে দিত না। মজা হচ্ছে কোন বিদেশী ক্লায়েন্ট কিন্তু এটা নিয়ে মাথা ঘামায় নি, যত্ত মাথাব্যথা দেশী কোম্পানিগুলোরই। এবারে কেউ কেউ হয়ত মানেও। নবুদি মানে নি। তা তাতে ওর তেমন কিছু ক্ষতিবৃদ্ধি হয় নি।

    কিন্তু এবারে দেখো একটু ভাবলে দেখবে এই বয়স পরিবর্তন, সিভি পরিবর্তন, মার্কশীট পরিবর্তন-- এগুলো সবই একই ধরণ এর মানসিকতার ফল। মেজরিটি সেগুলো ই করে যেগুলোতে ধরা পড়ার চান্স কম। বহু লোককে দক্ষিণীদের জাল সার্তিফিকেট নিয়ে আপত্তি করতে দেখেছি, যার নিজেরই বয়স কমানো আছে। দেখেশুনে মনে হয় না সুযোগ পেলে এরাও মার্কশীট পরিবর্তন করে ফেলত? একজনকে জিগ্যেসও করেছিলাম, তাতে সে আমতা আমতা করে বলল 'হলে মন্দ হত না'।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন