এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কলকাতার রাস্তার আওয়াজ

    vikram
    অন্যান্য | ১৩ জুলাই ২০০৬ | ৭৫৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sayantan | 59.160.140.1 | ১৩ জুলাই ২০০৬ ২২:৩৪634153
  • যখন ঘাটালে থাকতাম, গরমের দুপুরগুলোয় পুরনো কি-সব কিনতে শুঁটকোমত একটা লোক প্যাত্তেকদিন আসত -
    "টিনভাঙা লোহাভাঙা কাঁচভাঙা কড়াভাঙা বিক্কি হবে নাকি গো ও ও ও ও' -
    পিঠে থাকত একটা চটের বস্তা, আর তাতে দাঁড়িপাল্লা, দাদামশাইয়ের যত ওষুধের বোতল সব টেনে আনত দিদু - বেশী না, একটাকা চল্লিশপয়সার মত কেজি ছিল, এককিলো অনেক কষ্ট করেও হত না, সব মিলিয়ে আশি-নব্বুই পয়সা ... ছোট গোলগোল চারানা, দস্তা (না কি অ্যালুমিনিয়ামের) ছ'কোণা কুড়ি পরসা ....
  • Sayantan | 59.160.140.1 | ১৩ জুলাই ২০০৬ ২২:৩৮634154
  • ঐ সময়েই একবার কলকাতায় পূজোর বাজার করতে, বাপি-মা'র সাথে, হাওড়া স্টেশনে সবে নেমেছি, কানের এক্কেবারে পাশে "অ্যাই পাতুলেদেবো' ... অ্যাঁ:: !! বলে কি! ঘুলে দেখি গলায় ঝোলানো কাঠের বারকোশে চারমিনার, চার্মস, ছোলাভাজার ছোট্ট প্যাকেট আর পাতিলেবু।
  • Sayantan | 59.160.140.1 | ১৩ জুলাই ২০০৬ ২২:৪৩634155
  • দুপুরে ঘুমের দফারফা করে মা এবং দিদিদের বাংলাসিরিয়ালাত্যাচ্যার ... "যে এ এ এ এ হাসিইমুউখে এ এ এ স অ অ ব স অ অ য়, জ গ তে এ এ এ সেই তো ও ও ও জ ন নী ই ই ই' ... উফ্‌ফ্‌
  • tan | 131.95.121.251 | ১৩ জুলাই ২০০৬ ২২:৪৪634156
  • "হরেক মাল পাঁচসিকা" আসতো কলকাতায়? মাথায় বিড়ের উপরে বিরাট ঝুড়ি,তাতে খেলনাপাতি, মালা,টিপ,ক্লিপ,কানের দুল,চুড়ি, পুতুল, প্লাস্টিকের জিনিস-কি নেই? সব পাঁচসিকা!
    পরে ওটা "হরেক মাল সাড়ে সাত টাকা" হয়ে যায়।
  • Sayantan | 59.160.140.1 | ১৩ জুলাই ২০০৬ ২২:৫২634157
  • ইস্কুল থেকে বাড়ী ফিরলে কাজের লোক গঙ্গাদি সেকেন্ড শিফ্‌টে ... বাসনকোসনের ঝনঝনানি, একটানা জল পড়ার আওয়াজ আর টিয়াপাখিটার অতিষ্ঠ করে মারা ...

    সন্ধ্যেবেলায় ঠিক নিয়ম করে কারেন্ট চলে গেলে ঘোষেদের বাড়ীর দশাসই জেনারেটার ...

    হলদিয়া-বর্দ্ধমান "এক্সপ্রেস' গাড়িটা ছিল ঠিক সাতসকালে, পাঁচটা পনেরোর দীঘা-ঘাটাল চলে গেলেই, তারপর। বাড়ির সামনেই রাস্তা, অসহ্য স্পীডে একটানা ইলেকট্রিক হর্ণের কানফাটানো ওয়েক-আপ কল ...
  • Deb | 170.213.132.252 | ১৩ জুলাই ২০০৬ ২৩:৩৪634158
  • এই topic টা নিয়ে একটা 40 minit documentary কোরা যায়।।।খুব ভালো মটেরিআল পওআ যাবে।
    American Public খুব খাবে
  • Deb | 170.213.132.252 | ১৩ জুলাই ২০০৬ ২৩:৪৭634159
  • দক্ষিন কোলকাতা বনাম উত্তর কোলকাতা ।কে কাকে টেক্কা দিতে পেরেছে?

  • Samik | 221.134.226.94 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ০০:১৯634160
  • আমি এখেনে লিখবো না। এটা কেবল কলকাতাকেন্দ্রিক থ্রেড। অ-কলকাতার রাস্তার আওয়াজ নিয়ে আমি আলাদা থ্রেড খুলব, পারোলিন তাতে লিখো।

    বদ্ধোমান-হাওড়া আর রাণাঘাট-শিয়ালদা লাইনের হকারদের আওয়াজ নিয়ে দু পয়সা হবে না?
  • tania | 151.151.73.170 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ০০:২২634161
  • শণি-রবি বার দুপুরে আসত শাণ ওয়ালা, ছুরি কাঁচি শাণ দিতে আর ডাকত, শা আ আ আ আ আ ণো লা আ আ আ আ আ।

    সোম থেকে শুক্কুর ঠিক সকাল ন-টায় একটা ভোঁ বাজতো পাক্কা ৩০ সেকেন্ড ধরে। দোকানদারেরা ঘড়ি মেলাতো।

    রাতে মোড়ের মাথায় আড্ডা মারতে থাকা ছেলেকে মায়ের ঘরে ফেরার ডাক, 'পাথ্‌থ অ অ অ অ, এ পাথ্‌থ অ অ অ অ অ'।

    আর নব্বইয়ের দশকে (তার আগে কখনো দেখিনি), বিকেল তিনটে-চারটে নাগাদ বিকট শব্দে হিন্দিগান বাজিয়ে একটা সাইকেল ভ্যানে করে সারি সারি আচার ভর্তি বয়াম নিয়ে বিক্রি করতে আসত একটা লোক।

    পাড়ার উঠতি বড়লোক দিলীপ বাবু একটা টিংটিং-এ স্প্যানিয়েল নিয়ে বায়ুসেবনে বেরোতেন আর হুংকারের চোটে সেই বকলশ বাঁধা, বাংলা না জানা সারমেয়টির প্রাণ ওষ্ঠাগত করতেন, 'Tommy, no no... come here, don't go... stop stop' ইত্যাদি বলে।
  • dam | 199.244.214.30 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ০০:৩৭634163
  • সকাল ন'টায় ভবানীপুর থানা থেকে চতুর্দিক কাঁপিয়ে ভোঁ বাজত। তাই শুনে টায়ারের দোকানের সামনের পাগলের চিৎকার 'নাটের ভোঁ, নাটের্ভোঁ না আ আ টের ভোঁ -ও-ও।
  • dri | 199.106.103.254 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ০২:৩৬634164
  • কাকের ডাক।

    জয়নগরের মোয়া পাটা-আ-লি-ই-ই-ই-ই-ই-ই।

    পুজোয় ঢাক। পুজোর শেষে

    আসছে বছর আবার হবে
    বছরে বছর এগিয়ে যাবে

    বাসে

    মিন্টু পার্ক, রবিন্দ সদন, ক্যামাক স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, বিবিডিবাগ, আসুন আসুন আসুন ...

    বাঁয়ে গাড়ী, বাঁয়ে গাড়ী (বলে বাসের গায়ে দমাদ্দম পিটুনি)

    আস্তে লেডিস

    আর ভোরবেলা এক কাগজওয়ালা সাইকেল চালিয়ে গান গাইতে গাইতে যেত

    ওং জয় জগদীশ হরে
    ভক্ত জনো কি সংকট
    দাস জনো কি সংকট
    ক্ষণ মে দুর করে
    জয় জগদীশ হরে
  • Paramita | 64.105.168.210 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ০৮:৪১634165
  • একই আওয়াজ একই কানে যুগে যুগে বদলায়। ছোটবেলায় "কলকাতায়" আসা একটা বিরাট ব্যাপার ছিলো। ঘুম ভাঙতো ট্রামের টুংটাং আওয়াজ দিয়ে আর দুধের গাড়ি এসে দাঁড়াতো একডালিয়ার মোড়ে। মাদার ডেয়ারি তখনো উদয় হয়নি, বোতল হাতে গ্রাহকরা যেতো। কি উত্তেজনা, লাফিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়তাম! তারপর একদিন চলে এলাম সে শহরে, সকালের রোদের রং বদলালো, টুংটাং হয়ে গেল নৈমিত্তিক।

    আমেরিকার পিকচার পোস্টোকাট দেখে যেমন হয়েছিল।

  • m | 67.173.95.163 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ১০:০০634166
  • সকাল নটায় শো ও ও ওন পাপড়ি,
    রবিবার প্রায় সব বাড়ি থেকে ভেসে আসা বোরোলিনের সংসার ,
    দুপুরে গরম কালে পুকুরে টুপ করে ডুবে যাওয়া কুল,কিম্বা গদাম করে খসে পড়া নারকেল,
    স্কুল ফেরত ছেলেদের সমবেত চীৎকার,
    শনি মন্দিরে পেতলের থালায় ঠুং করে পড়া আধুলি কি সিকি।
    আইসকিরি ইইইইম বলে চলে আসা কাঠের ঠেলা,
    হরেক মাল পাঁচসিকা,ইস্টিলের বাসন নে এ এ বে বাসন।

    ঘটি গরম-বিক্রেতার হাতে বাঁধা একগাদা ঘন্টা,ঝুম ঝুম করে যাচ্ছে।
    একমাত্র ফুচকা ওয়ালা নি:শব্দে বাতি জ্বেলে চলে যায়,আলো দেখলেই এক দৌড়ে পাকড়ানো,ধীরে ধীরে তার চারপাশে ভীড়।

    খুব ভোরে প্রথম লালগোলা চলে যাবার একটানা আওয়াজ।

    সন্ধ্যে বেলা ঝিঁঝি র ডাক( ক্যানসাসে সন্ধ্যে হলেই বহুদিন শুনেছি)

    নিতাই সাহার সন্ধ্যে হলেই গরে এ এ এ এ এ এম বলে পাড়া কাঁপিয়ে তেলেভাজা বিক্রি

    রাতে চেনা সাইকেলের বেল ,আর কোনো মাতালের গান গাইতে গাইতে বাড়ি ফেরা।কুকুরের এক টানা চীৎকার ,বেড়ালের কান্নায় অস্থির কোনো পাশের বাড়ির লোকের নিদ্রা ভঙ্গ জনিত সজোর বিরক্তি।

  • vikram | 134.226.1.136 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ১৩:৩৪634167
  • আমাদের সঙ্গে খেলতো স্বামীনাথন আর ভুবনেশ্বরী।
    তাদের মা তাদের ডাকতো বাড়ি ফেরার জন্য -
    সোয়ামীনাদাআআআআঅ

    আমরা তাধিন তাধা বলতাম।

    তারপর আরো আওয়াজ - বোনাআআআআআআ

    সেটাকে কিছু করা যেত না।

    বিক্রম
  • dd | 202.122.18.241 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ১৪:৪০634168
  • পলিটিক্যাল আওয়াজ।

    " যু যুগ জিও "

    " ভুলছি না ভুলবো না "

    " এ লড়াই বাঁচার লড়াই, এ লড়াই জিত্তে হবে "

    " লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই "

    শেষের দুটো সচরাচর বোনাসের দাবীতে বেড়োনো মিছিলের শ্লোগান। সেপ্টেম্বর অক্টোবর নাগাদ। দুপুর বেলায় - খুব ঘুমন্ত ব্যাজার গলায়।
  • r | 61.95.167.91 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ১৫:১৬634169
  • আরও:

    "লাল বাংলার লাল মাটিতে লাল পতাকা উড়ছে উড়বে"

    আর পোচুর মস্তি থাকলে

    "সামনে কারা, ছি পি এম; পেচুনে কারা, ছি পি এম; উপুরে কারা, ছি পি এম; নীচুতে কারা, ছি পি এম"

    আর সব থেকে ubiquitious

    "ইনক্লাআআআআআব জিন্দাবাআআদ, ইনক্লাব জিন্দাওয়াদ ইনক্লাব জিন্দাওয়াদ"
  • J | 160.62.4.10 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ১৫:৪২634170
  • সোলো: তুতুতুম্‌ দ্রিম্‌ তুম্‌ ট্যারারাম্‌ প্যাম্‌ করেছে কে?
    কোরাস: দুদুম দুদুম আবার কে।

    n.b এখানে "তুতুতুম্‌ দ্রিম্‌ তুম্‌ ট্যারারাম্‌ প্যাম্‌" যাকিছু হতে পারে, গণহত্যা, অত্যাচার, ভালো কাজ, ইত্যা:
    আর, "দুদুম দুদুম" হছে নিজেদের দল, যদি "তুতুতুম্‌ দ্রিম্‌ তুম্‌ ট্যারারাম্‌ প্যাম্‌"টা ভালোকাজ হয়, অন্যথায় ওটা বিরোধী দল।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ১৬:০২634171
  • শমীক , আমি ই এখেনেও লিখবো আর মফ:স্বলের কথাতেও লিখবো। নাক কি ভগমান শুদু হাঁচতে আর গন্ধ শুকতেই দিয়েছেন , গলাতেও কি নয় ? :-)

    জ্জিও যোদি। সকালটা শুরু হল বেশ , দুদুম দুদুম..........

    আর পুজোর মাইকের কথাটা কেউ বললে না গো ?

    এপাড়ার " তু চীজ বড়ি হ্যা.......আর ওপাড়ার "কান্দে কেন মন.... মিলে কি অদ্ভুত একটা ককটেল সঙ্গীত।

    আর পটকা ??

    ধুম্‌ম্‌ম্‌ম .......চকলেট বোমা।

    সুঁ ই ই ই ....... বুম্‌ম্‌ম ........ রকেট।

    প্যাট প্যাট প্যাট প্যাট ...... কালি পটকা/মুড়ি পটকা।

    ভুস্‌স ভুস্‌স ভুস্‌স্‌স্‌স্‌স ........ তুবড়ি।

    ফিট ফাট ফিট .... খোকার হাতে রিভলবার।

    ফিস্‌স্‌স্‌স্‌স্‌স্‌স.......... সাপ পটকা।

    এই রে ৬৫ ডেসিবেল ছড়িয়ে গেছি , ফুলিশ এল বলে। পালাই..............
  • J | 160.62.4.10 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ১৬:৩৩634172
  • পারো,
    ঐ গ্লোবাল ভিলেজ সাইটে বা লোকাল বাঁকড়ো সাইটে আম্মো বাসে হেল্পারের মতো চেল্লাবো, সোনামুখী, পাত্রসায়ের, ইন্দাস.........
  • J | 160.62.4.10 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ১৬:৩৪634174
  • ঝিলিমিলি......... ছেন্দাপাত্থর্‌.......
  • J | 160.62.4.10 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ১৭:২১634175
  • ওয়ে ওয়ে...... ওয়ে ওয়ে...... ওয়ে ও ও আ.......
  • Parolin | 213.94.228.210 | ১৪ জুলাই ২০০৬ ১৭:৫২634176
  • আহা কি ভালো লগলো শুনে নামগুলো..... মধু মধু

    আরো আছে -

    বান্দরকোন্দা , বড়্‌কুড়ো ,ব্যালবনি , শাউলে , গয়লাবান্দী , জামবেদে

    আর পুরুলিয়ার নাম আরো ভয়ংকর -
    পোদলাড়া

    কি অশ্লীল কি অশ্লীল
  • Su | 59.93.201.216 | ১৬ জুলাই ২০০৬ ১৯:১৪634177
  • অনেকদিন অ্যাবসেন্ট ছিলুম। কলকাতার আওয়াজ নিয়ে কতো কথা। গাঁজা পার্কে গাঁজা খাওয়া হয় না -- মানে এখন আর হয় না। আগে ওখানে পাওয়া যেত। আমাদের ছোট বেলায় ওই পার্কের কাছাকাছি একটি ""সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত গাঁজা ও সিদ্ধির দোকান'' ছিল। সেটি বন্ধ হয়ে গেলে পার্কে ব্ল্যাকে কিনতে পাওয়া যেত। এখন গাঁজা পার্কের কাছে, between গাঁজা পার্ক আর জদু বাবুর বাজার, রাতভর মদ পাওয়া যায় -- এক বৌদির রুটি-তরকার দোকানে। মাঝে মাঝে কিনি।
    সু

  • Su | 59.93.201.216 | ১৬ জুলাই ২০০৬ ১৯:২০634178
  • দেশপ্রিয় পার্কে সন্ধের পরে ""কুউউউলপি বরফ'' হেঁকে যেত ফেরিওয়ালা। তাদের কাছে চাইলে "সবুজ' কুলফি পাওয়া যেত। তাতে সিদ্ধি মেশানো থাকতো। দুটো খেলে উদোম নেশা হত।

    আমাদের পাড়ায় দুপুরের দিকে এক ফেরিওয়ালা জাঙ্গিয়া বিক্রি করতে আসতো। সুর করে হেঁকে যেত: ''বাচ্ছার জাঞিয়া পঞ্চাস্‌স্‌স পয়সা--''। বস্তির লোকেরা বাচ্চাদের জন্য কিনত, নিজের চোখে দেখেছি।
    সু
  • Su | 59.93.201.216 | ১৬ জুলাই ২০০৬ ১৯:৩৪634179
  • তখন খুব লোডশেডিং হত। হঠাৎ কারেন্ট চলে গেলে পাড়ায় খেলাধুলো রত ছেদের একটা সম্মিলিত আওয়াজ হত। আবার কারেন্ট চলে এলেও হত, অন্যরকম আওয়াজ। বিকেলে পাড়ার কলে জল এলে তাকেও স্বাগত জানানোর জন্য পাড়ার একটা সম্মিলিত গুঞ্জন ছিল।
    প্রি-টেলিভিশন যুগে ঘরে ঘরে বিবিধ ভারতীর আওয়াজ শুনে বলে দেওয়া যেত এখন কটা বাজে। রোববার বোরোলিনের সংসার থেকে সুচিত্রার সংসার অন্যের বাড়ির রেডিওতে গাঁকগাঁক করে বাজতে থাকত। রকে বসে শুনতুম। সুচিত্রার সংসার শেষ হলে দেড়টা বজত, তখন বাড়ি ফেরার পালা।
    আর মহালয়ার ভোরবেলা সব বাড়িতে কোরাসের মতো বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র -- পুজো এসে গেল তার সূচনা করে দিত।
    মহালয়া প্রসঙ্গে মনে পড়ল, আমাদের ছোটবেলায় একবার বীরেন্দ্রকৃষ্ণকে বাদ দিয়ে অন্যরকমভাবে মহালয়া শোনানো হয়েছিল -- উপস্থাপনায় ছিলেন উত্তমকুমার আর সৌমিত্র। সংগীত ছিল হেমেন্তের। সবাই এমন ছ্যা ছ্যা করেছিল যে সে মহালয়া বাদ দেওয়া হয় পরের বছর থেকে। এখন মাঝে মাঝে মনে হয় ওই মহালয়াটা এখন একবার শুনলে কেমন হয়। আকাশবাণীকে সবাই মিলে চিঠি লিখলে কেমন হয়?
    সু
  • siki | 123.242.248.130 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১০:৩৩634180
  • তুলে দিলাম।
  • Du | 14.96.57.136 | ১৯ আগস্ট ২০১১ ১০:৫৬634181
  • একদিন চুপচাপ আই ৬৩৫ এর ওপর হুশহাশ চলছে গাড়ি, হঠাৎ ভেসে এলো কলকাতার শব্দ। টানা রিকশর টুংটাং , বাসের ভোঁ ভোঁ হর্ণ, গাড়ীর ক্যাঁকোঁ। এন পি আরে কলকাতার রিকশাওয়ালাকে নিয়ে প্রোগ্রাম। সে এক আশ্চর্য্য অবাস্তব অনুভুতি।
  • পাই | 127.194.0.38 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:০১634182
  • তুলে দিলাম।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.201.85 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:১৩634183
  • 'আছে নাকি? পুরানা ভাঙ্গাচোরা ঘড়ি, রেকর্ড, বেনা--রসি জরি কাপড়?'
  • কল্লোল | 125.184.63.11 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:১৯634185
  • শীতের গভীর রাতে বজবজ লাইনে মালগাড়ী যেতো। আর মাঝে মাঝে চাকা স্লিপ করতো। ঘস-ঘস-ঘস-ঘস-ঘসঘসঘসঘস।
    ভোর সকালে প্রথম ট্রামের আওয়াজ। ড্রাইভারের পা-ঘন্টি ডং আর ঠং মিশিয়ে একটা সুরেলা আওয়াজ করতো, আর তার চলার আওয়াজ ঘনঘনঘনঘন।
    ৩১শে ডিসেম্বর রাত বারোটায় জাহাজের ভোঁ।
    বিকেলে একটা কালো ট্রাঙ্ক মাথায় হেঁকে যেতো - কেএক্লা কেএক্লা। সে কালো ট্রাঙ্কের ভিতর দুথাকে সাদা, সবুজ, কমলা পেস্ট্রি।
    শীতের দুপুরে, জঅয়নগরের মোয়া-চঅন্দ্রপুলি-ক্ষীরের সন্দেশ।
    আর বৃষ্টিহীন রাতে কি সব মায়াবী সুর বাজিয়ে চলে যেতো কাত্তিক বেউলে। কেউ পয়সা দিতে চাইলে, তার দিকে কেমন করুণার চোখে তাকিয়ে বাজাতে বাজাতে চলে যেতো।
    টালিগঞ্জ ট্রামডিপোর প্রথম ট্রামে বাঁদিকে সামনের সিটে এক মাথা কোঁকড়া চুলওয়ালা গান - রাই জাগো রাই জাগো, শুক সারী বলে..............কন্ডাকটার মাঝে মাঝে হেঁকে ফরমাশ করতেন - অমরদা ঐটা হোক।
    এই আওয়াজগুলো আর নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন