এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিনয় কোঙার ও সইফুদ্দিন আর নেই

    কল্লোল
    অন্যান্য | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ৩০১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Du | 24.96.237.29 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:৫৯648238
  • সেটা লেখা হয়েছিল মূর্খের মধ্যে হীনমন্যতা থাকবে ধরে নিয়ে। কিন্তু এখন কনটেক্সটই বদলে গেছে।
  • PT | 213.110.247.221 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৭:৩২648239
  • তার ওপরে "অজানার আনন্দ" বলেও একটা ব্যাপার আছে। সেটা আমাদের ক্ষেত্র বাবু inorganic chemistry ক্লাসে পড়া না পারলে-যেটা আমরা প্রায়শঃই পারতাম না-খুব স্নিগ্ধ একটি হাসির সঙ্গে ব্যবহার করতেন!
  • SC | 160.212.118.176 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:০১648240
  • ইন্টারনেট এ অনেকদিন তর্ক করছি তো। তা আজ প্রায় ১০ বচ্ছর হতে চলল। কিছু ট্রিক আছে, একটা হচ্ছে 'অমুক পড়া আছে?, আগে পড়ে আসুন , তার পরে আমার সাথে কথা বলতে আসবেন '।

    এই ট্রিক টা নিয়ে আমার একটা ছোট্ট সমস্যা আছে। মানে সত্যি যদি পড়া থাকে, আপনি নিজেই গুছিয়ে লিখে ফেলুন না। আর যদি সেটা না লিখতে পারেন, তাহলে যিনি বলছেন, তিনি নিজে পড়েই বা কতদূর বুঝেছেন, সেই নিয়ে সন্দেহ জন্মায়। পড়ার চেয়েও বড় কথা পড়ে কি বুঝলেন। পড়ে কিছু না বুঝে থাকলে পড়ে কোনো লাভ হয় না, শুধু কিছু আত্মশ্লাঘা বাড়ে। আমি আবার অমুক পড়েছি, জানেন তো।
  • PT | 213.110.247.221 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:১০648241
  • নীলদর্পণ গুছিয়ে নতুন করে লেখার অনেক সমস্যা। তার থেকে তক্ক বন্ধ করে দেওয়া সহজতর।
  • SC | 160.212.118.176 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৪২648242
  • :(
    পুরো উপন্যাস গুছিয়ে লিখতে বলিনি, যে পয়েন্ট টা বলতে চাইছিলেন, সেইটে গুছিয়ে লিখতে বলেছি।
    নিজের পয়েন্ট বোঝানোর বদলে যদি বলেন, 'আপনি অমুক বই পড়ে আসুন না', তাহলে সেইটা কোনো যুক্তি হতে পারে না।
  • PT | 213.110.246.25 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:২৯648243
  • তাহলে কেউ তক্কে নামার আগে যদি জানিয়ে দেন যে অমুক অমুক বই পড়েন নি তাহলে সুবিধে হয়। লাইব্রেরি থেকে বই এনে সারাংশ বাগিয়ে নিয়ে তক্কে বসা যায়।
    যেমন ধরুণ অপারেশন বর্গা, সিপিএমের বজ্জাতি ইত্যাদি ঘেঁটে ফেলার আগে ৩০ সেকেন্ড সময় নষ্ট করলেই এই খবরটা উইকিতে পাওয়া যায়ঃ The ultimate aim of these land reforms was to facilitate the conversion of the state's bargadars into landowners, in line with the Directive Principles of State Policy of the Indian Constitution (Art. 34). Indian Constitution?? তাহলে এর মধ্যে বামেদের বজ্জাতি বা ষড়যন্ত্র কোথায় দ্যাখে লোকে কে জানে!!

    সতর্কিকরণঃ এর মানে এই নয় যে অপারেশন বর্গার সব কিছুই ভাল ছিল-বা ২০ বছর বাদে বর্গাপ্রসূত কি সমস্যা হবে তাই নিয়ে আলোচনা করা যাবেনা।
  • /\ | 127.194.201.153 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:৪৪648244
  • "জমির মালিক মানেই জোতদার আর শ্রেণী শত্রু, এই দাগিয়ে দেওয়া টা তে আমার আপত্তি।"
    পিছিয়ে গিয়ে ইতিহাস পড়ুন। নাহলে ব্যাপারটা ধরতে পারবেন না। নীল বিদ্রোহ দিয়ে শুরু করতে পারে। সময় না থাকলে নীলদর্পণ পড়ে ফেলুন।
    তখন নকশাল-সিপিএম-সিপিআই ছিলনা কিন্তু "দাগানোর" ব্যাপারটা তখনো ছিল।
    ==================
    এই দাগানোর জাস্টিফিকেশন, যা, "এমনকি দীনবন্ধু মিত্র ও তো দাগিয়েছিলেন" - মর্মে দেওয়া হল, বা অনুসিদ্ধান্তে, "ইতিহাস চিরকালই জমির মালিক মানেই জোতদার আর শ্রেণী শত্রু, বলে দাগিয়ে এসেছে" মর্মে দেওয়া হল, "সুতরাং বামপন্থী (নকশাল-সিপিএম-সিপিআই ) কর্তৃক জমির মালিক মানেই জোতদার আর শ্রেণী শত্রু, বলে দাগানো ইতিহাস সমর্থিত ও বৈজ্ঞানিক সত্য" মর্মে স্থাপন করার চেষ্টা হল - রাইটিস্ট ও অ্যান্টি-কমিউনিস্ট লেখালেখির যাবতীয় পড়া না পড়া রেফারেন্স-ইতিহাস বাতিল বা নস্যাৎ করা হল - একে অজানার আনন্দ বলে না না পণ্ডিতমন্যের হনুমন্যতা সেটা লেখারও অনেক সমস্যা থাকবে ধরে নিয়ে সহজতর পথে স্বাগত রইল। যদিও, জানতে চাওয়ার মধ্যে, স্পষ্টতই, মূর্খের হীনমন্যতা বা আত্মম্ভরিতা কিসুই ছিল না।
  • sm | 233.223.159.253 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:৪৬648245
  • আরে পিটি, আপনার লেখার মধ্যেই উত্তর আছে,conversion of the state's bargadars into landowners। সরকার পয়সা দিয়ে বাড়তি জমি কিনতে পারত বা জমির মালিক কে কমপেনসেশন দিতে পারত।
    তা না করে যেটা করেছে, সেটা আইনি জুলুমবাজি। নীলকর সাহেব রাও নীলের দাদন বাবদ পয়সা দিত ( আমিকিন্তু নীলদর্পন পড়িনি)।
  • cm | 116.208.41.109 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:৫৮648246
  • /\বেশ মজার লেখেন।
  • PT | 213.110.246.25 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:০৭648248
  • /\
    এ হে হে - অনেক কিছু বললেন কিন্তু একেবারেই ধরতে পারেন নি কি বলেছি। কোন জাস্টিফিকেশন দিইনি। শুধু সম্পর্কটা চিরকালের "দাগিয়ে" দেওয়ার মতই ছিল বলে ইঙ্গিত দিয়েছি। অর্থাৎ "দাগানো"-র সঙ্গে বামপন্থার কোন সম্পক্ক নাই।

    sm
    "conversion of the state's bargadars into landowners"-ভারতের সংবিধান অনুসারে। in line with-টা বাদ দিয়ে পড়লে কি করে হবে? অর্থাৎ কিনা বামেরা ভারতের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে কাজ করছিল যা কিনা ৪৭-৭৬-এর পব-র বিভিন্ন (প্রধানতঃ কং) সরকারেরা করেনি।

    মনে পরে কি ৫০-এর দশকে এক অবামপন্থীর ভূদান আন্দোলনের কথা? However, because the Bhoodan movement did no follow-up, the land thus gifted could be, and often was, resumed by the heirs of the donor. আরো অনেক কারণ আছে সেই আন্দোলন সফল না হওয়ার-সে অন্য কথা।
    বামেরা শুধু ভাবেজীর চাইতে বেশী পাকা-পোক্ত কাজ করেছিল !!
  • sm | 233.223.159.253 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:১৪648249
  • আরে মহা মুশকিল। ভারতীয় সংবিধানে কি লেখাছিল, জমির মালিক কে পয়সা দেওয়া যাবে না?
  • PT | 213.110.246.25 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৩১648250
  • আরে এতো অদ্ভুত কথা! পয়সার কথা কোথা থেকে আসছে? তাহলে তো সামান্য সংখ্যক মানুষ কি করে বিপুল পরিমাণ জমির অধিকারী হয় সেই ইতিহাসে ঢুকতে হয় আগে!

    বিনোভা ভাবে লিচ্চয় নির্বোধ ছিলেন। তিনি তো জমিদারদের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়েই গরীবদের মধ্যে বিলোতে পারতেন!
  • /\ | 127.194.201.153 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৩৩648251
  • সম্পর্কটা চিরকালই দাগানো ছিল, বামপন্থা নির্বিশেষে - এটা আপনি বলতে চেয়েছেন, ঠিক ভুল যাইই হোক, সেতো বললামই।

    এবার, কেউ যখন বলেন 'এই দাগিয়ে দেওয়া টা তে আমার আপত্তি।" তার উত্তরে যদি বলেন, "সম্পর্কটা চিরকালই দাগানো ছিল"। তার মানে কি দাঁড়ায়, সেটা দাগানোর জাস্টিফিকেশন নয়?

    যদি না হয়, তবে তো আরো মুশকিল। কথাটা তবে কি দাগানোতে আপনারও আপত্তি রয়েছে?

    বামপন্থা নির্বিশেষে সম্পর্কটা দাগানো - এটা এস্টাবলিশ করা গেলেই - সুতরাং বাম/অতিবামপন্থীদের করা "জমির মালিক মানেই জোতদার আর শ্রেণী শত্রু" - এই স্লোগান-ট্রীটমেন্ট জায়েজ ও ইতিহাসসমর্থিত ভাবে প্রতিষ্ঠা করার পথ খুলে যায়। আপনার যুক্তি পরম্পরা সেই দিকেই যাচ্ছে - এটাই বললাম। ভাবসম্প্রসারণের কারন, আপনিও দেখলাম, একেবারেই ধরতে পারেন নি কি বলেছি।
  • cm | 116.208.5.122 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৩৫648252
  • অর্থনীতিবিদেরা একটু মানির ডেফিনিশন খেয়াল কইরে দ্যান।
  • sm | 233.223.159.253 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৫৫648253
  • আরে এতো অদ্ভুত কথা! পয়সার কথা কোথা থেকে আসছে? তাহলে তো সামান্য সংখ্যক মানুষ কি করে বিপুল পরিমাণ জমির অধিকারী হয় সেই ইতিহাসে ঢুকতে হয় আগে!
    ------
    আরে আমারও তো অদ্ভূত লাগছে। এই চরম গরীব দেশে টাটা, বিড়লা, রিলায়েন্স আদানি এরা এত পয়সার মালিক হয় কি করে? এদের ধন সম্পত্তির সিলিং করে দেওয়া যায় না বা কেড়ে নিয়ে বিলিয়ে দেওয়া যায় না ? এদের ইতিহাস ই বা কি বলে?
    এরাও তো পুঁজিবাদী । সমাজের শত্রু। তা এদের প্রতি বামেরা এত ক্ষমাশীল কেন ?
    যত রোষ ৩০ -৪০ বিঘে জমির মালিকের উপর? বহোত না ইনসাফি হ্যায়, পি টি স্যার ।
  • PT | 213.110.246.25 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৫৭648254
  • /\
    যখন দুজনের কেউই কাউকে কিছু বোঝাতে পারছি তখন তাহলে পরস্পরকে বোঝানো থেকে ক্ষান্ত হই?
  • Blank | 69.93.255.61 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০৩648255
  • ৩০/৪০ বিঘা জমি !! কেড়ে নিয়ে বিলিয়ে দেওয়াই উচিৎ।
  • cm | 116.208.76.226 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:২২648256
  • smকি সব সমান করে দিতে বলছেন? দেখুন দিকি আপনাকে অনেকে ভুল বুঝছে।
  • /\ | 127.194.201.153 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:২২648257
  • আগের পোস্টেই স্বাগত জানানো রয়েছে। আগাম। ঃ-)
  • sm | 233.223.159.253 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৩২648259
  • ৩০/৪০ বিঘা জমি !! কেড়ে নিয়ে বিলিয়ে দেওয়াই উচিৎ
    ----
    কেন কেন? বড়বাজারের ভেজাল ব্যবসায়ী দের জন্য কি নিদান? মহেশ্বরী, বাজরিয়া এইসব বামপন্থী শিল্প পতি দের কি করা উচিত?
    বঙ্গবন্ধু টাটা দের জন্য আলাদা কিছু? ওদের হাজার একর জমি কেড়ে নিয়ে বিনামূল্যে দিয়ে দিলে ভালো হয় কি বলেন? হাজার একর মানে প্রায় তিন হাজার বিঘে।
    হরি হে মাধব! চান করব না গা ধোব।
  • T | 24.139.128.15 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৪৩648260
  • আমি লিখি।

    চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই জমিদারগণই ছিলেন ভুসম্পত্তিরত মূল এবং প্রথম শ্রেনীর স্বত্বাধিকারী। এঁরা সরকারকে রাজস্ব দিতেন পরিবর্তে পেতেন জমির ভোগদখল। এসময় কিছু জমিদার বার্ষিক খাজনা কমিয়ে সেলামি আদায়ের বদলে প্রচুর তালুক তৈরী করেছিলেন। এঁদেরকে বলা হত তালুকদার। এঁরা হচ্ছেন দ্বিতীয় শ্রেনীর স্বত্বাধিকারী। প্রায় চার রকমের তালুক ছিল। খাজনা আদায় ও পরিবর্তে ভোগদখল রিলেশনশিপ একই প্রকার। তৃতীয় শ্রেণীর স্বত্বাধিকারী হলেন জোতদার বা হাওলাদার বা ইজারাদার। এঁরা তাকুকদারের কাছ থেকে বিভিন্ন সম্পত্তি লিজ নিতেন। অস্থায়ী লিজ। ভোগদখলের পরিবর্তে মালিককে টাকা দিতেন বা ঋণশোধ করতেন। এছাড়া ছিলেন পুরুষানুক্রমে স্বত্ব ভোগদখলকারীদের দল। বেসিক্যালি যাকে মৌরসীপাট্টা বলা হয়। আর ছিলেন দেবোত্তর ভোগোত্তর বা ওয়াকফ জাতীয় ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত জমি। এই মোটামুটি ছিল সামন্ত স্ট্রাকচার।
    অতএব বলা যায় যে জমির বেশিরভাগ মালিকানা জোতদার এট এল শ্রেণীর হাতেই ছিল। চর্যাপদ বা বেদ অবধি না পিছিয়ে গিয়েও বলা যায়। আমার অবশ্যই সিলেক্টিভ পড়াশুনো।

    জমিদাররা যদিও জমির মালিক ছিলেন, কিন্তু এঁদের সাথে জমির পারতপক্ষে কোনো সম্পর্ক থাকত না। সম্পর্ক রাখত কাছাড়িবাড়ি। নায়েবমশাই এট অল। এসব আমরা সবাই জানি। নিম্নবর্গের মানুষদের দিয়ে জমি চাষ করিয়ে ফসল সংক্রান্ত টাকা পয়সা কারবার এখান থেকেই পরিচালনা করা হত। বিভিন্ন নিয়মও তৈরী হত এখান থেকেই। চাষীরা যে ফসল ফলাতেন সেটা কাটার পর উঠত কাছারি বাড়ী বা জোতদারদের ঘরে। হিসেব ছিল যে আধাআধি ভাগ হবে। কিন্তু চাষীদের ভাগ থেকে নানান অজুহাতে পাওনা হিসেবে ফসলের ভাগ কেটে নেওয়া হ'ত। নায়েব শ্রেনী এই কাজ করতেন মনে হয়। এঁদের ইম্প্রোভাইজেশন ক্ষমতা ছিল প্রচুর। যেমন জমিদার রক্ষিতা পুষলে তার খরচ চাষীকে দিতে হ'ত। জমিদার নতুন বিয়ে করলেও তাই। যে খামারে ধান তোলা হচ্ছে সেই বিল্ডিং এর কন্সট্রাকশন খরচা। চাষীর বাড়িতে বিয়ে হ'লে সেটার জন্য ট্যাক্স। আইন শৃঙ্খলার জন্য যে দারোয়ান পুষতে হ'ত তার মাইনে বাবদ। জমি নিয়ে মামলা হ'লে সেইসব খরচ। যে ধান মাপত তার পাওনা বাবদ। চাষীর ঘরে ছেলেমেয়ে জন্মালে সেই বাবদ। এইসব নানান ফন্দি ফিকির আর কি। ফলে প্রচুর চাষ করার পরেও দেখা যেত যে চাষীর মাথায় বেসিক্যালি এইসব পাওনা মিটিয়ে উলটে আরো ধার চেপে গেছে। এইসব নানান শোষনের বিরুদ্ধে চল্লিশ পঞ্চাশ ষাঠের দশকে বিরুদ্ধমত উঠতে থাকে। দাবীগুলো ছিল ক্ষেত মজুরদের মজুরী বৃদ্ধি। ফসলের তিনভাগের দুভাগ দেওয়া। ভাগচাষীকে জমির স্বত্ব দেওয়া। ভাগচাষীর খামারেই ধান তোলা। উচ্ছেদ না করা। সুদের হার কমান। মালিক এবং চাষীর মধ্যে গোলমাল হলে তার বিচারের ভার কমিটির উপর যেখানে থাকবে কৃষক প্রতিনিধি, সরকারি প্রতিনিধি এবং মালিকপক্ষ। ক্ষেতমজুরদের আট ঘন্টা কাজের সময় বরাদ্দ করা। ইত্যকার এইসব। এইসব দাবী থেকে একসময় জন্ম নিয়েছে তেভাগা আন্দোলন, ভাগচাষী আন্দোলন, বিপ্লবী কৃষক কমিটি ইত্যাদি।

    অবশ্যই সিলেক্টিভ পড়াশুনো এবং রাইটিস্ট ও অ্যান্টি কমিউনিস্ট লেখাপত্র না পড়া।
  • Blank | 69.93.255.61 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:০৩648261
  • ধুর এত কেউ লেখে নাকি !! জমি জমিয়েছ মানে নিস্চয় লোক ঠকিয়ে জমিয়েছে। ভাল করেছে কেড়ে নিয়েছে। এবারে গা ধুয়ে আসুন।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১১648262
  • সংক্ষেপে -
    কেড়ে নে কেড়ে নে কেড়ে নে বিলিয়ে দে বিলিয়ে দে বিলিয়ে দে।
    ঃ-)
  • cm | 116.208.30.102 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৪:৩৮648263
  • সব এক্সচেঞ্জ জাস্ট হলে একহাতে বাড়তি সম্পত্তি জমতেই পারেনা। এ হল ঢ্যাঁড়শের যথাযথ মূল্যায়ন তত্ত্ব।
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৫:৪৮648264
  • অ।

    তা এই বাণীটি কী আপনার নিজস্ব না কোন মনীষীর স্মরণ নিলেন?
  • PT | 213.110.243.23 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:০২648265
  • জমি সংক্রান্ত কিছু রেড ইন্ডিয়ান তত্ব/বিশ্বাস!! এর কোন সিপিএম-তিনো নাই গো!!

    ""What is this you call property? It cannot be the earth, for the land is our mother, nourishing all her children, beasts, birds, fish and all men. The woods, the streams, everything on it belongs to everybody and is for the use of all. How can one man say it belongs only to him?"
    ----------------------
    "My reason teaches me that land cannot be sold. The Great Spirit gave it to his children to live upon. So long as they occupy and cultivate it, they have a right to the soil. Nothing can be sold but such things as can be carried away"
    --------------------------
    "If we ever owned the land we own it still, for we never sold it. In the treaty councils the commissioners have claimed that our country had been sold to the government. Suppose a white man should come to me and say, Joseph, I like your horses, and I want to buy them. Then he goes to my neighbor and says to him; Joseph's horses. I want to buy them, but he refuses to sell. My neighbor answers, Pay me the money and I will sell you Joseph's horses. The white man returns to me, and says, Joseph, I have bought your horses and you must let me have them. If we sold our lands to the government, this is the way they were bought."
  • b | 135.20.82.164 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:০৬648266
  • মনীষী। প্রুধোঁ। প্রপার্টি ইস থেফ্ট।

    এস এম, এবার আপনার বক্তব্য জানার আগহে রইলাম। আগের দিন বহুত কষ্ট করে টাইপেছি। একটু গরীবের দিকে নজর না দিলে (তার মানে এই নয় যে আপনি কম্যুনিস্ট) কি করে চলবে?
  • PT | 213.110.243.23 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:১৫648267
  • sm
    আমরা জমি নিয়ে আলোচনায় ছিলাম বলে টাটা-বিড়লা প্রসঙ্গ ওঠেনি। বামেরা শিল্পপতিদের প্রেমে মত্ত? কিন্তু অনেকেই যে বলে বামেদের তীব্র আন্দোলনের জন্যেই নাকি শিল্পপতিরা বাংলা ছেড়ে পালিয়েছে? কোনটা সত্যি আপনার মতে?
  • lcm | 118.91.116.131 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:০১648268
  • ১৯৭০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ৫০০০০-এর বেশী কোম্পানী, ছোট/মাঝারি/বড় মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উঠে গেছে।
    উঠে গেছে বলতে অনেক কোম্পানী আপিস রেখেছে কিন্তু প্রোডাকশন শপ সরিয়ে নিয়েছে অন্যত্র, অনেকে আপিসও তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু অনেক কোম্পানীর ব্যবসা উঠে গেছে, তারা অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যায় নি, জাস্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে তারাও আছেন যারা তাদের প্রোডাকশন কমিয়ে, পুঁজি অন্যত্র অন্য ব্যবসায় ইনভেস্ট করেছেন।

    এই তিরিশ বছরে, পশ্চিমবঙ্গের পপুলেশন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ( ১৯৭১ - ৪.৪ কোটি, ২০০১ - ৮ কোটি)। এই পিরিয়ডে বাইরে থেকে নতুন ইনভেস্টমেন্ট হয় নি তেমন। তবে একদম ছোট /মাইক্রো লেভেলে (৫-১০ জন এম্‌প্লয়ি) কোম্পানী অনেক বেড়েছে, তার কারণ পপুলেশন এক্সপ্লোশনের ফলে রাজ্যের আভ্যন্তরীন মার্কেট তৈরী হয়েছে। সেখানে একটা লোক্যাল ডিমান্ড তৈরী হয়েছে। আর, বড় প্রোডাকশন ফ্যাক্টরি তেমন না হলেও, এই পিরিয়ডে কিন্তু চাষে, বিশেষ করে ধানে - রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে - অন্ধ্রকে টপকে এক নম্বরে চলে গেছিল পশ্চিমবঙ্গ কিছুদিনের জন্য।

    লেফ্‌টফ্রন্ট নতুন শতাব্দীতে এসে বুঝতে পারে যে এই ৮ কোটি মানুষকে সামাল দিতে হলে ইন্ডাস্ট্রি না বানালে অসুবিধে হচ্ছে। খানিক প্রো-চিন মডেলে প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিকে ইনভাইট করতে থাকে। মুশকিল হল জনসংখ্যার অনুপাতে জমির টুকরো যে অনেক কমে এসেছে সেটা তারা জানতেন না তা নয়, তবে ঐ আর কি। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা ল্যাদ গভর্নমেন্ট ঠিকঠাক এক্সিকিউট করতে পারল না। সরকারি সাংগঠনিক দক্ষতায় ডাহা ফেল মারল। এখানে মাও/তিনো/অপোন্না দের আপনেরা দোষ দেবেন দিন, কিন্তু আমার মতে ওগুলি আসল কারণ নয়, পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের জন্যে জমি জোগাড় করা একটি চ্যালেঞ্জ।

    কিন্তু ২০০০-২০১৪ এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ অর্থনৈতিক ভাবে তলিয়ে গেছে বলে যে একটা কথা অনেকে বলেন সেটাও ঠিক নয়। ২০০০-এর পর থেকে বছর থেকে বছরে বৃদ্ধির হার খুবইভালো, অবশ্য শুরুর দিকের সংখ্যাটাকে ঠিক ধরা যাবে না, কারণ একদম তলায় -৫০০০০ থেকে শুরু হলে শুরুর দিকে একটা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অনুপাত দেখা যায়, যেটা ৫-১০ বছরের মধ্যে একটা বাস্তব লেভেলে চলে আসে। এখনও পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক অব্স্থা ভারতের বাকি ২৯ টা রাজ্যের তুলনায় একেবারে সাংঘাতিক রকমের খারাপ কিছু নয়। মানে, তথ্যের হিসেবে।

    প্রবলেম হল পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বড় বেশী পলিটিক্যালি চার্জ্‌ড - শিক্ষক, ছাত্র, ব্যব্সায়ী, সরকারি কর্মচারী, সব্জিবিক্রেতা, অটোচালক - কে নয়! তামিলনাড়ুর মানুষ ডিএমকে/এআইডিএমকে তরজা নিয়ে এত এনার্জি খচ্চা করে না বা করতে বাধ্য হয় না।
  • | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:০৮648270
  • পশ্চিমবঙ্গের আরেকটা সমস্যা হল কং-সিপিএম-তিনো নির্বিশেষে, মানুষ বক্কা দিতে যত ভালবাসে কাজ করতে তত নয়। আর কাজ না করে ফাঁকি দেওয়াটা বেশ কৃতিত্বের বলে গর্ব করে বেড়ায় আবার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন