এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিবদাস ইউ সি ইন্ডিয়া : সুসি-সম্বন্ধে যে যা জানেন

    একক
    অন্যান্য | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ | ৩৫৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রোবু | 233.223.131.180 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:৫৩654803
  • হ্যাঁ, দমুদি ঠিক বলেছে। ২০৬ বাস স্ট্যান্ড এর সামনে।
    চাঁদা ছেয়েছিল। গোটা দশেক এজেন্ডা ছিল। কামদুনি, সারের দাম। এসব দেখে পার্স খুলতে যাচ্ছি, পরের পয়েন্ট চোখে পড়ল।
    জীবনশৈলী শিক্ষার বিপক্ষে।
    কারণ হিসেবে বলেছিল, রামমোহন বিদ্যাসাগর এর জীবনশৈলী শিখতে হয়নি। আমি ছোট করে বলেছিলাম আপনার ছেলেমেয়েকে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে পড়াবেন। খুব খেপে গেছিল।
    আর বলেছিল, ভারত 'উষ্ণ প্রধান' দেশ, এখানে ছেলে মেয়েদের শরীর গরম থাকে, তাই ঐ সব ভুলভাল শেখান যাবে না।

    আরো একটা কিছু আপত্তিজনক পয়েন্ট ছিল, এখন ঠিক মনে পড়ছে না।
  • রোবু | 233.223.131.180 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:০৩654804
  • পেয়েছি
    ------

    আজ মোজা জ্বলেছে। আপিস থেকে ফেরার পথে সল্ট লেকে ২০৬ এর কাছে গনেশ পুজো। একজন লোক আমায় থামালেন - "দাদা এইখানে একটু সই করে দেবেন"।
    আমি বললাম, "কী ব্যাপারে?"
    - "মুখ্যমন্ত্রীকে, পিটিশন। এই কামদুনি, আইন শৃঙ্খলা"
    -"নিশ্চয়ই, দেখি লিফলেটটা?"

    হাতে নিলাম, উনি তখনো বলে চলেছেন - "ক্লাস এইট অব্দি পাশ ফেল তুলে দেওয়া"
    আমি -"কিন্তু আমি তো এটা সাপোর্ট করি। "
    - "পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থা ভেঙে পড়বে।"
    তখনো লিফ্লেট পড়ছি। সারের দাম বৃদ্ধি, কৃষক আত্মহত্যা। ভাবলাম সই করেই দি।
    -"কলমটা দিন" - তখনো চোখ বোলাচ্ছি লিফ্লেটে। "একটা ইস্যুর জন্য সই করতে আটকাবে না।"
    তখনই চোখে পড়ল - স্কুলে স্কুলে সেক্স এডুকেশন চলবে না।

    আমি বললাম "আপনারা এটার বিপক্ষে?" - ভাবলাম পয়েন্ট গুলো শুনব - "অনেক সভ্য দেশেই তো এটা আছে"
    উত্তর - "ভারতবর্ষ 'উষ্ণপ্রধান' দেশ"।
    -"মানে? তাতে কী?" আমার মনে তখন চাড্ডি এলারট। "আপনারা কারা?"
    - "এসইউসিআই"
    -"মানে? এসইউসিআই এর এখন এই অবস্থা?" এটা বলতে চাইনি, জেনুইনলি আশ্চর্য হয়ে গেছি।
    ভদ্রলোক রেগে গেলেন - "কেন? কী অবস্থা? কী বলতে চাইছেন"
    - "এশিয়ার মুক্তিসূর্য কমঃ শিবদাস ঘোষের দলের এই হাল?" -এবার ক্যাওড়ামি।

    একজন মহিলা এগিয়ে এলেন, আরো কয়েকজন, যারা চেয়ারে বসে ছিলেন, তাকালেন।
    আমি - "কিন্তু আপনারা এটা চাইছেন না কেন?"
    মহিলা -"রামমোহন বিদ্যাসাগরের দেশে এটার দরকার নেই।"
    -"মানে?"
    -"মানে ওঁদের সময় যৌনশিক্ষা সিলেবাসে ছিল? তাতে ওঁদের বড় হওয়া আটকেছে?"
    -"আর ইউ সিরিয়াস?"
    -"কেন?"
    -"বিদ্যাসাগর ল্যাম্পপোস্টের আলোতে পড়েছেন, নিজের ছেলে মেয়েকে তাই পড়াবেন"?
    এবার প্রথম ভদ্রলোক ঃ
    "চাঁদের আলোতে, মুনলাইট" (সম্ভবতঃ উনিও ইয়ারকি মারলেন, বাট ইউ নেভার নো!!)
    হাঁ করে তাকিয়ে রইলাম!! শেষে বললাম "বিজেপি ও এরকম বলে না!"
    মহিলা - "সেটা আপনার মত।"
    -"সই করা মানে তো আমারই মত প্রকাশ। তাই করলাম না"
  • দল গঠন | 56.165.196.184 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:০৩654805
  • দল গঠনের প্রশ্নে কমরেড শিবদাস ঘোষের চিন্তা লেনিনীয় দল গঠনের পদ্ধতিরই বিকশিত ও সমৃদ্ধ ধারণা

    সর্বহারা শ্রেণীর বিপ্লবী দল গঠনের লেনিনীয় ধারণাকে বিস্তৃত করে কমরেড ঘোষ দেখান যে গণতান্ত্রিক একেন্দ্রীকরণের নীতিই হল কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠনের আসল প্রাণসত্ত্বা। এই গণতান্ত্রিক একেন্দ্রীকরণ গড়ে তোলার সংগ্রাম যেমন সঠিক কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার সংগ্রাম, আবার একে চোখের মণির মত রক্ষা করার সংগ্রামও তেমনই পার্টিকে সংশোধনবাদ ও সংকীর্ণতাবাদের হাত থেকে রক্ষা করার সংগ্রাম।

    লেনিন বলেছেন, শুধু প্রতিনিধিদের একটি সভায় প্রস্তাব পাস করে বা একটা ডিক্রি জারি করে কমিউনিস্ট বিপ্লবী দল গড়া যায় না। এর জন্য আইডিয়ার ক্ষেত্রে ইউনিটি আনতে আদর্শগত সংগ্রাম অপরিহার্য। লেনিন আরও বলেছিলেন, দলের অর্গানিক ইউনিটি গড়ে উঠবে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার ভিত্তিতে। গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এটা হচ্ছে সর্বহারা গণতন্ত্র ও কেন্দ্রিকতার মিশ্রণ। কমরেড ঘোষ দেখান যে, আদর্শগত কেন্দ্রিকতার উপর সাংগঠনিক কেন্দ্রিকতা গড়ে উঠলেই একমাত্র গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা দলের মধ্যে কাজ করতে পারে। এই আদর্শগত কেন্দ্রিকতা, যেটা গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার প্রাণসত্তা তা গড়ে তোলার সংগ্রামটিকে সুনির্দিষ্ট করে কমরেড ঘোষ দেখান : “এই আদর্শগত কেন্দ্রিকতা পার্টির অভ্যন্তরে একমাত্র মার্কসবাদ-লেনিনবাদকে ভিত্তি করে, দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদকে ভিত্তি করে কেবল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রেই নয়, ব্যক্তিগত জীবনের সমস্ত দিককে ব্যাপ্ত করে ‘ওয়ান প্রসেস অফ থিংকিং, ইউনিফর্মিটি অফ থিংকিং, ওয়াননেস ইন এপ্রোচ এবং সিঙ্গলনেস অফ পারপাস (সম-চিন্তা পদ্ধতি, সম-চিন্তা, সম-বিচারধারা, সম-উদ্দেশ্যমুখিনতা) গড়ে তোলার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে। এ জিনিস গড়ে তুলতে পারলেই পার্টির অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রোলেটারিয়ান গণতান্ত্রিক নীতি চালু হয়েছে বুঝতে হবে।

    মনে রাখতে হবে, শ্রেণীবিভক্ত সমাজে এই গণতন্ত্রের ধারণা ও দু’ধরণের। একটা হচ্ছে বুর্জোয়া গণতন্ত্র যা ব্যক্তিগত মালিকানা,উৎপাদনের উপর ব্যক্তিগত অধিকার এবং বুর্জোয়া জীবনযাত্রা, অর্থাৎ ব্যক্তিবাদকে প্রতিফলিত করছে। আর একটা হচ্ছে সর্বহারা গণতন্ত্র যা যৌথ মালিকানা, উৎপাদন এবং বন্টনের উপর যৌথ কর্তৃত্ব এবং সর্বহারা জীবনযাত্রা অর্থাৎ যৌথ জীবনযাত্রা পদ্ধতিকে প্রতিফলিত করছে।” “এই আদর্শগত কেন্দ্রিকতা যা দলের মধ্যে কার্যকরীভাবে সর্বহারা গণতন্ত্রের নীতিকে চালু করে। তার ভিত্তিতে দলের সাংগঠনিক কেন্দ্রীকরণ গড়ে উঠলেই তবে দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক একেন্দ্রীকরণের কাঠামোটি গড়ে উঠতে পারে।” সর্বহারা গণতন্ত্র ও সর্বহারা সংস্কৃতি বলতে কী বোঝায় তা লেনিন বিস্তৃতভাবে দেখিয়ে যাননি। কমরেড ঘোষ লেনিনের চিন্তাকে বিস্তৃত ও উন্নত করে দেখিয়েছেন, সর্বহারা সংস্কৃতি অর্জন ছাড়া দলে সর্বহারা গণতন্ত্র যথার্থভাবে কাজ করতে পারে না।
  • ranjan roy | 24.99.112.24 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:৩৮654806
  • রোবু,
    বছর তিনেক আগে কফি হাউসের সামনে ডিএসও'র স্ট্রীট কর্নার শুনছিলাম।
    ওরা বলছিল যে লিবারেল এবং গ্লোবাল ইকনমি তথা স্কুলে স্কুলে যৌনশিক্ষার জন্যেই নাকি আজকাল চারদিকে এত রেপ হচ্ছে। আমি দু-একজনকে বলার চেষ্টা করলাম যে এসব পুরাণের যুগ থেকেই হয়ে আসছে, দেবরাজ ইন্দ্র একটি ইয়ে ছিলেন।
    ওরা খুব বিরক্ত হল।
    তবে কোলকাতা হার্ট সেন্টারে (সল্ট লেক, সিপিএম এর ডঃ মণি গুহ প্রতিষ্ঠিত) ডাক্তারেরা এখন সব এসইউ সি। আমায় বোঝালেন যে সিপেম এর রাজনীতি ভুল ,সুসি ঠিক।

    তবে কেন'র বক্তব্য সঠিকঃ))
    সুসি কেন একটি রাজ্যে মন্ত্রীর বেশি কিছু পায় নি?
    সিপুএম কেন তিনটি রাজ্যের বেশি দাগ কাটতে পারে নি?
    -- একটাই উত্তর; (মোজা) জনগণকে বোঝাতে পারে নি।
  • ranjan roy | 24.99.112.24 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:৪০654807
  • সুসি সমর্থক থিওরেটিশিয়ানের কাছে অনুরোধঃ
    "সর্বহারা সংস্কৃতি" নিয়ে কমঃ ঘোষের বক্তব্য ( যা লেনিনের থেকে এগিয়ে) নিয়ে একটু বলুন।
  • :D | 205.154.64.214 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:৪২654808
  • কমরেড শিবদাস ঘোষই প্রথম বিগ ব্যাং থিওরির কঠিন বিরোধিতা করে বলেন "তাহলে মানতে হয় যে বিশ্বেরও শুরু আছে। কিন্তু তা দ্বন্দ্বমূলক বিচারে ভুল।"
  • ranjan roy | 24.99.112.24 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:৫৬654809
  • "দ্বন্দ্বমূলক বিচারের" ও শুরু নেই কি?
  • যৌথ নেতৃত্ব | 204.150.168.79 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ১৪:২১654810
  • লেনিনের শিক্ষা থেকে কমরেড ঘোষ দেখান : “বুর্জোয়া গণতন্ত্রে আসলে গণতন্ত্রের নামে ব্যক্তিনেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়ার ফলে এই গণতন্ত্রের চরিত্র হয়ে পড়ে ‘ফর্মাল’ (আনুষ্ঠানিক)। অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব যেহেতু ব্যক্তিগত মালিকানার পরিবর্তে সামাজিক মালিকানা এবং শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে উৎপাদনের উপর যৌথ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিপ্লব, সেইহেতু শ্রমিকশ্রেণীর গণতন্ত্রে নেতৃত্বের ধারণা হচ্ছে যৌথ নেতৃত্বের ধারণা।” কিন্তু এ যৌথ নেতৃত্ব বলতে কি বোঝায়? লেনিন বলেছেন, দলের সকল সদস্যের যৌথ জ্ঞানই হচ্ছে যৌথ নেতৃত্ব। লেনিনের এই শিক্ষাকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করে কমরেড ঘোষ দেখান : “পার্টির নেতা, কর্মী, সাধারণ সভ্য ও সমর্থকদের ও শ্রমিকশ্রেণী এবং জনসাধারণের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে সম্মিলিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা জন্ম নিচ্ছে, সংগ্রামের মধ্যে সম্পর্ক যুক্ত প্রত্যেকের মধ্যেই সেই চিন্তা ও অভিজ্ঞতার ব্যক্তিকরণ ঘটছে। কিন্তু যেহেতু আমরা জানি, এই বস্তুজগতে কোনো দুটো বিষয় (phenomenon) একেবারে হুবহু এক হতে পারে না, সেই একই কারণে পার্টির সমস্ত সভ্য ও নেতাদের সম্মিলিত সংগ্রামের দ্বারা অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের উপলব্ধি সকলের মধ্যে এক হতে পারে না। যার মধ্য দিয়ে এই যৌথ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সর্বশ্রেষ্ঠরূপে ব্যক্তিকরণ ঘটে, তিনিই যৌথ নেতৃত্বের বিশেষিকৃত রূপ হিসাবে দেখা দেন। রাশিয়ান বলশেভিক পার্টির নেতৃত্বে লেনিন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে মাও-সেতুঙ-এর অভ্যুত্থান সেই সমস্ত পার্টিগুলিতে যৌথ নেতৃত্বের বিশেষিকৃত প্রকাশ ছাড়া কিছুই নয়।” এবং “দলের সম্মিলিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কোনো একজন নেতার মধ্য দিয়ে যখন এইভাবে সর্বোত্তমরূপে ব্যক্তিকরণ হয়, নেতৃত্ব বিকাশের একমাত্র সেই স্তরেই দলের অভ্যন্তরে ‘গ্রুপইজম’ এবং নেতৃত্বের ক্রিয়াকলাপের মধ্যে ব্যক্তিনেতৃত্বের ও বুর্জোয়া ব্যক্তিবাদের প্রভাবকে সম্পূর্ণরূপে খতম করা সম্ভব এবং দলের অভ্যন্তরে এই অবস্থার উদ্ভব হলেই একমাত্র বলা চলে যে, দলটি প্রলেটারিয়ান গণতন্ত্রের নীতিকে চালু করতে এবং যৌথ নেতৃত্বের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে।” ফলে, “এই যৌথ নেতৃত্ব গড়ে তোলার সংগ্রামটিই হল শ্রমিকশ্রেণীর পার্টি সংগঠনের আভ্যন্তরীণ কাঠামোটি গণতান্ত্রিক একেন্দ্রীকরণের ভিত্তিতে গড়ে তোলার মূল সংগ্রাম।”
  • ? | 59.207.231.109 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ১৭:৫০654811
  • অরণ্যকে - লেনিন যদি ৩০ মিলিয়ন মানুষ মারেন , আমেরিকা তো ৩০০ মিলিয়্ন মানুষ মেরে চলেছে - তাহলে সেই দেশে পড়ে থাকেন কেন?
  • a | 213.219.201.58 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ১৮:০২654813
  • এই ব্যক্তি আক্রমণ করতই, শুধু সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।
    ঐ স্কুলে স্কুলে সেক্স শিক্ষার বিষয়ে কি বকতব্য যেন?
  • b | 24.139.196.6 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:২৮654814
  • বুঝলাম। কিছুটা অবতারবাদের কাছাকাছি। কথামৃততেও ছিলো।
  • Arpan | 125.118.29.129 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:৫৭654815
  • গণতান্ত্রিক একেন্দ্রীকরণ আর গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা - সবই ঐ এ পিঠ আর ও পিঠ।
  • SC | 34.3.17.255 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:০৪654816
  • এই লাস্ট লেখাটা চরম হয়েছে। পুরো সার্কুলার লজিক। প্রথমে বলেছে, আমরা কিন্তু ব্যক্তি নেতৃত্ব মানিনা, আমরা হচ্ছি বাওয়া সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী।
    তারপরে বলেছে, সকলের যৌথ নেতৃত্ব হবে, কিন্তু সকলেই কি সমান বুদ্ধিমান? না। তবে? যিনি এইসব বাকি বোকাদের জ্ঞানগুলোকে একত্রিত করেন, তিনি হচ্ছেন ভগবান, মানে আমাগো নেতা শিবদাস। তাই আমরা ব্যক্তি নেতৃত্বে বিশ্বাসী নই, কিন্তু ব্যক্তি শিব্দাসের নেতৃত্বে বিশ্বাসী।

    এই লাইনটা পুরো হ্যালু:
    "যার মধ্য দিয়ে এই যৌথ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সর্বশ্রেষ্ঠরূপে ব্যক্তিকরণ ঘটে, তিনিই যৌথ নেতৃত্বের বিশেষিকৃত রূপ হিসাবে দেখা দেন।"

    মনে হচ্ছে একদম লোকনাথ বাবার গল্প পড়ছি।
  • Ekak | 24.99.52.73 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:০৭654817
  • " কিন্তু যেহেতু আমরা জানি, এই বস্তুজগতে কোনো দুটো বিষয় (phenomenon) একেবারে হুবহু এক হতে পারে না, সেই একই কারণে পার্টির সমস্ত সভ্য ও নেতাদের সম্মিলিত সংগ্রামের "

    লোকনath babai to ! খাটি প্লেটনইসম :) এই jaygata বakira eriye jaan । shibdas babu bole phelechhen :)
  • তাতিন | 127.197.77.45 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:২২654818
  • কিন্তু এই সার্কুলার লজিকের বাইরে কোনও ডেমক্রেটিক স্ট্রাকচারকে জাস্টিফাই করা যায় কী?
  • তিনটি প্রাথমিক শর্ত | 205.154.15.188 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:২৩654819
  • কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের বাস্তব প্রক্রিয়াকে অতি সুনির্দিষ্ট করে কমরেড ঘোষ দেখান যে দলটির সাংগঠনিক কাঠামোর চূড়ান্ত রূপ দেবার পূর্বে কঠোর ও কষ্টসহিষ্ণু সংগ্রাম পরিচালনা করে যে তিনটি প্রাথমিক শর্ত পূরণ করা দরকার, তা হল : “প্রথমত, যাঁরা দল গঠন করতে অগ্রণী হয়েছেন, তাঁদের নিজেদের মধ্যে প্রথমে চিন্তাজগতের সর্বক্ষেত্রকে ব্যাপ্ত করে, এমনকি ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি প্রতিটি দিককে জড়িত করে, একটা সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ-এর ভিত্তিতে গড়ে তুলে আদর্শগত কেন্দ্রীকরণের বুনিয়াদ স্থাপনা করতে হবে।”

    “দ্বিতীয়ত, মনে রাখতে হবে, যৌথ নেতৃত্বের বাস্তব ও বিশেষিকৃত ধারণা গড়ে তোলার সংগ্রাম এক অর্থে পার্টি গড়ে তোলার প্রাথমিক সংগ্রাম। তাই চিন্তাজগতের সর্বক্ষেত্রকে ব্যাপ্ত করে আদর্শগত কেন্দ্রীকরণ, অর্থাৎ সম-চিন্তা পদ্ধতি, সম-চিন্তা, সম-বিচারধারা ও সম-উদ্দেশ্যমুখীনতা গড়ে তুলতে না পারলে যৌথ নেতৃত্বের এই বাস্তবীকৃত ও বিশেষিকৃত ধারণাটি দলের মধ্যে গড়ে তোলাই সম্ভব নয়, এবং যতদিন পর্যন্ত যাঁরা দল গঠন করতে অগ্রণী হয়েছেন সেই সমস্ত নেতা ও কর্মীদের মধ্যে যৌথ নেতৃত্বের এই বিশেষিকৃত ধারণার জন্ম না হয়, মনে রাখতে হবে, ততদিন পর্যন্ত দলের চূড়ান্ত সাংগঠনিক রূপ দেবার সময় আসেনি। কারণ, এরূপ অবস্থায় দলের চূড়ান্ত সাংগঠনিক রূপ দিতে গেলে দলটি গণতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রীভূত পার্টির বদলে যান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রীভূত পার্টিতে পর্যবসিত হয় এবং যৌথ নেতৃত্ব গড়ে তোলার বদলে দলটি আনুষ্ঠানিক এবং ব্যুরোক্রেটিক নেতৃত্বের জন্ম দিয়ে থাকে।”

    তৃতীয়ত, দলের আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে নেতা ও কর্মীদের এই নিরলস সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাঁরা দল গঠন করতে অগ্রণী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে একদল “প্রফেশনাল রেভ্যুলিউশনারীর জন্ম দিতে হয়” – “যাঁরা হল শ্রমিকশ্রেণীর সংগ্রামী সচেতন অংশের সেই অংশ যারা শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, জীবনের সর্বদিক ব্যাপ্ত করে একটা সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে মার্কসবাদ-লেনিনবাদকে, অর্থাৎ শ্রমিকশ্রেণীর বিপ্লবী আদর্শকে এমনভাবে জীবনে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে যার ফলে ব্যক্তিগত জীবনের প্রয়োজন, নানাবিধ সুবিধা-অসুবিধা প্রভৃতির ঊর্ধ্বে উঠে নিঃসংশয়ে, নির্দ্বিধায় ও আনন্দের সাথে বিপ্লবী জীবনের সংগ্রামের বিভিন্ন জটিল প্রক্রিয়ায় তারা সব সময়েই লিপ্ত থাকতে সক্ষম এবং সমস্ত ব্যাপারে, এমনকি ব্যক্তিগত ব্যাপারেও, আনন্দের সাথে বিপ্লবের স্বার্থে পার্টির কাছে নির্দ্বিধায় ‘সাবমিট’ করতে সক্ষম। একমাত্র এই প্রফেশনাল রেভিলিউশনারীদের মধ্য থেকেই যদি পার্টির নেতা ও নেতৃস্থানীয় কর্মীরা আসে, তাহলেই একটি পার্টি সত্যিকারের কমিউনিস্ট পার্টির যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।”
  • আদর্শগত ও সাংস্কৃতিক মান ও বিপ | 186.126.252.11 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:২৮654820
  • কমরেড ঘোষ আরও গভীর বিচার করে দেখান, একটি কমিউনিস্ট পার্টি উপরোক্ত দল গঠনের অপরিহার্য শর্তগুলি পালন করে গড়ে উঠলেও নেতা ও কর্মীদের আদর্শগত ও সাংস্কৃতিক মানকে ক্রমাগত উন্নত করার এই বুনিয়াদি সংগ্রামকে জীবন্ত না রাখলে, যে বুর্জোয়া পরিবেশে পার্টি কাজ করে তার থেকে ব্যক্তিবাদের ঝোঁক নেতা ও কর্মীদের উপর পড়বেই। তাছাড়া দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক একেন্দ্রীকতার নীতি তখনই চালু থাকতে পারে যখন “পার্টি কর্মীদের মান এমন একটা ন্যূনতম উচ্চস্তরে পৌঁছেছে, যে স্তরে পৌঁছুলে সমস্ত কর্মীই, অন্তত বেশিরভাগ কর্মী তাদের চিন্তাকে স্পষ্ট ও বোধগম্যভাবে প্রকাশ করতে সক্ষম। তত্ত্বগত বিচারের ক্ষেত্রে এরূপ ন্যূনতম ক্ষমতা অর্জনের প্রধান শর্ত হচ্ছে, বাস্তব সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কর্মীদের উন্নততর সাংস্কৃতিক মান অর্জন করা। এটা সম্ভব হলেই একমাত্র নেতাদের সাথে পার্টি কর্মীদের তত্ত্ববিচারের ক্ষেত্রে আদর্শগত সংগ্রাম যথার্থই বাস্তবে দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের রূপ নিতে পারে।”

    লেনিন দেখিয়েছেন, একটি বিপ্লবী তত্ত্ব ছাড়া বিপ্লব হতে পারে না এবং এই জন্যই একটি বিপ্লবী তত্ত্ব ছাড়া একটি সত্যিকারের বিপ্লবী দলও গড়ে উঠতে পারে না। লেনিনের এই বক্তব্যকে বিশ্লেষণ করে কমরেড ঘোষ দেখান যে : “লেনিন বিপ্লবী তত্ত্ব বলতে ‘একটি দলের শুধু রাজনৈতিক প্রোগ্রাম এবং পলিসি বোঝাতে চাননি; তিনি বিপ্লবী তত্ত্ব বলতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দ্বারা জীবনের প্রতিটি দিক সম্পর্কে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ধারণাগুলিকে দ্বান্দ্বিক পদ্ধতিতে কো-অর্ডিনেট করে একটি পুরো জ্ঞানের পরিমন্ডলকেই (epistomological category) বুঝিয়েছেন। আর এ ধরনের একটি বিপ্লবী তত্ত্ব মার্কসবাদ-লেনিনবাদের আধারে আদর্শগত কেন্দ্রিকতাকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জীবনের সমস্ত দিককে কেন্দ্র করে যে সংগ্রাম – তার অভিজ্ঞতা থেকেই গড়ে ওঠে; এবং আদর্শগত কেন্দ্রিকতা ও তার উপর সাংগঠনিক কেন্দ্রিকতা গড়ে উঠলেই দলটি সত্যিকারের, লেনিনের ভাষায়, ‘মনোলিথিক’ চরিত্র অর্জন করে অতি শক্তিশালী পার্টিতে পরিণত হতে পারে।” যারা থিয়োরি বলতে শুধু পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক থিয়োরি মনে করত, তাদের বিভ্রান্তি দেখিয়ে শিবদাস ঘোষ বললেন, মার্কসবাদকে জীবনসংগ্রাম হিসাবে গ্রহণ না করলে যথার্থ কমিউনিস্ট চরিত্র অর্জন করা যাবে না।
  • Arpan | 125.118.29.129 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:২৯654821
  • প্রফেশনাল রেভেলিউশনারি - এককের প্রিয় মার্সিনারি অ্যাক্টিভিস্টরা এসে গেছে। ;-)
  • ranjan roy | 24.96.78.50 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:৪৯654822
  • আমি দেখাতে চাইছি যে উপরোক্ত থিসিসের গুরুগম্ভীর শব্দাবলীর খোসাগুলো ছাড়িয়ে যে শাঁসটুকু পাওয়া যায় তার শর্তগুলো রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরাও স্যাটিসফাই করেন।
    ১) প্রথমতঃ যাঁরা মিশনের সন্ন্যাসী তাঁরা নীচ থেকে উপর পর্য্যন্ত একই ইডিওলজিকে ( রামকৃষ্ণায়ন ) কে জীবনসংগ্রামের অঙ্গীভূত করে ব্যক্তিজীবনেও গ্রহণ করেছেন।
    ২) তাঁরাও এক অর্থে প্রফেশনাল রেভ্যুলশনারী; ব্যক্তিজীবনের সুখস্বাচ্ছন্দ ত্যাগ করে গোটা জীবন একটি আদর্শের রূপায়ণে ব্যয়িত করছেন।
    ৩) তাঁরা নিজেদের সাংস্কৃতিক মানোন্নয়নের জন্যে ক্রমাগত চেষ্টিত।
    ৪) তাঁরা যৌথ নেতৃত্বে বিশ্বাস করেন।
    ৫) তাঁদের যৌথ অভিজ্ঞ্তার ও অনুভবের মধ্যে দিয়ে যৌথ আত্তীকরণ যাঁর মধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে তিনিই বেলুড় মিশনের অধ্যক্ষ পদে বৃত হন।
  • riddhi | 117.217.133.50 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২৩:২১654824
  • @রন্জন দা ও অন্যান্যরা,

    সুইসির উৎপত্তি ইঃ নিয়ে দু পয়্সা দিলে ভাল হয়।এরা কি বরাবরি এইরকম? হোয়াট ইস দ্য হিস্ট্রি এন্ড জিওগ্রাফি?
  • তাতিন | 127.197.77.45 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ২৩:৪১654825
  • ঘাটশিলায় শিবদাস ঘোষের আশ্রম দেখেছিলাম। ওখান থেকেই নাকি শুরু।
  • ranjan roy | 24.96.78.50 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০৪654826
  • ছোটবেলায় শুনেছিলাম (সত্যি মিথ্যে জানি না) -- এসইউসি নাকি আর এস পি (RSP)র স্পিন অফ। একটি ফর্মাল মিটিং করে আলাদা হয়, সিপিআই ও সিপিএম এর মত।!!!
  • SC | 77.163.202.250 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৪১654827
  • আসলে আমরা সবাই একটা বাবাজি চাই। সেটাই সবচেয়ে ডিপ সত্যি কথা। বাবাজিহীন পৃথিবীটা খুব ভয়ের।
    ওই জন্য লোকনাথ লাগে, লেনিন লাগে, স্তালিন শিবদাস মোহনানন্দ লাগে। কিম্বা দল পাকিয়ে নরেন মোদী জিন্দাবাদ, জ্যোতি বসু
    জিন্দাবাদ।
  • CCC | 222.21.66.6 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:৪৫654828
  • শিবদাস ঘোষের ভাষায়, নেতৃত্বের মধ্যে আমলাতান্ত্রিক কর্মপদ্ধতির সমস্যা মোকাবেলা করতে “… প্রয়োজন হচ্ছে, constant common association, constant common discussion and constant common activity মধ্যে নেতারা পার্টি কমরেডদের সাথে নিজেদের জীবনকে এমন করে যুক্ত করবেন, যাতে তার মধ্য দিয়ে কমরেডরা তাদের প্রতিটি খুঁটিনাটি সমস্যার উত্তর পায়, এবং কমিউনিস্ট রুচি-সংস্কৃতি গড়ে তোলার সংগ্রামটা শক্তিশালী হয়।” [চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নবম ও দশম কংগ্রেস, পৃ ১৫২]

    কমিউনিস্টদের আচরণবিধি:

    কমিউনিস্টদের আচরণবিধির ওপর পূর্বেকার মার্কসবাদী চিন্তানায়করা আলোচনা করেছেন। তার ভিত্তিতেই কমরেড শিবদাস ঘোষ এ সংক্রান্ত ধারণাকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন। উন্নত কমিউনিস্ট চরিত্রের ভিত্তি হিসেবে তিনি যে ব্যক্তিসম্পত্তিবোধ মুক্ত মানসিকতার কথা বলেছেন, তার ওপর দাঁড়িয়েই কমিউনিস্ট কোড অব কনডাক্ট সংক্রান্ত তাঁর চিন্তা ও ব্যাখ্যা মার্কসবাদের ভান্ডারে নতুন অবদান, যার ভিত্তিতে তিনি বলেছেন, সমালোচনাকেও খুশি মনে মানতে হবে, গরিষ্ঠের মতামতকে আনন্দের সাথে গ্রহণ করতে হবে।

    উন্নত কমিউনিস্ট চরিত্র:

    ইতিপূর্বে উন্নত কমিউনিস্ট চরিত্র বলতে বোঝানো হত, বিপ্লবের স্বার্থ মুখ্য, ব্যক্তিস্বার্থ গৌণ। কমরেড শিবদাস ঘোষ দেখালেন, এটা বুর্জোয়া মানবতাবাদী মূল্যবোধের ভিত্তিতে কমিউনিস্ট চরিত্রের ধারণা, এটা বিপ্লব পরবর্তী সমাজে কাজ করবে না। চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়াশীল ব্যক্তিবাদের এই সময়ে অন্যান্য পুঁজিবাদী দেশে বিপ্লবের প্রস্তুতিপর্বেও কমিউনিস্ট চরিত্রের এই মান দিয়ে হবে না। এই অবস্থায় তিনি দেখালেন, বিভিন্ন পুঁজিবাদী দেশে আজকের যুগে কমিউনিস্ট চরিত্রের উন্নত মান অর্জনের জন্য এবং বিপ্লবের পর সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শুধু ব্যক্তিগত সম্পত্তি পরিত্যাগ করাই নয়, জীবনের সর্বক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পত্তিজাত মানসিক জটিলতা থেকে মুক্ত হয়ে শ্রেণী, দল ও বিপ্লবের সাথে একাত্ম হতে হবে।

    উন্নত সর্বহারা সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও নৈতিক মান অর্জন:

    কমরেড শিবদাস ঘোষ কমিউনিস্ট আন্দোলনে উন্নত সর্বহারা সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও নৈতিক মান অর্জনের প্রশ্নে বার বার গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেছেন : “.. যেকোন যুগে যেকোন বিপ্লবী তত্ত্ব ও মতাদর্শের আসল মর্মবস্তু ও প্রাণসত্তা নিহিত থাকে তার সংস্কৃতিগত ও নৈতিক ধারণার মধ্যে। সেইরূপ বুর্জোয়া বিপ্লব ও পুঁজিবাদী বিপ্লবের যুগের সর্বোচ্চ স্তরের মানবতাবাদী সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও নৈতিকতার ধারণার চেয়েও উন্নততর সর্বহারা সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও নৈতিক মান অর্জন করার মধ্যেই যে নিহিত রয়েছে মার্কসবাদী-লেনিনবাদী ভাবাদর্শের মূল মর্মবস্তু ও প্রাণসত্ত্বা, …।” “… মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন, স্ট্যালিন, মাও -সমস্ত নেতারই বক্তব্য অনুধাবন করলে জানা যায় যে, উন্নততর সাংস্কৃতিক মান অর্থাৎ সর্বহারা সংস্কৃতিগত মান অর্জন করতে না পারলে সঠিকভাবে মার্কসবাদী-লেনিনবাদী তত্ত্ব বিচারের ক্ষমতাই অর্জন করা যায় না।”

    তিনি বিষয়টি নানা দিক থেকে ব্যাখ্যা করেন বলেন : “…একদল নেতা আছেন যাঁরা, কর্মীদের চেতনার মান যেহেতু খুব উঁচু স্তরে,খুব সূক্ষ বিচারের ক্ষমতা অর্জনের স্তরে উঠতে সময় লাগে, সেহেতু তাঁদের চেতনার নিম্নবমানের সুযোগে লেনিন, স্ট্যালিন, মাও সে তুঙ-এর দোহাই পেড়ে এবং মোটামুটিভাবে বিপ্লবের তত্ত্ব এবং গরম গরম বুলি আউড়ে এবং সময়ে সময়ে কিছু মারমুখী লড়াই পরিচালনা করে কর্মী ও জনসাধারণকে বোঝাতে চান, পার্টির রণনীতিটা এবং বিপ্লবের স্তর সম্বন্ধে বিশ্লেষণটা ঠিক হলেই নাকি পার্টিটা ঠিক হয়ে যাবে। তারপর জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে নেতাদের আচরণ যাই হোক্ না কেন; শিল্প, সাহিত্য, রুচি, নৈতিকতা, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক সম্পর্ক সম্বন্ধে যাই তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি থাকুক না কেন এবং প্রাত্যহিক আচরণের ক্ষেত্রে যত নিম্নবতম সাংস্কৃতিক ও রুচিগত মানই তাঁরা প্রতিফলিত করুন না কেন, তাতে কিছু আসে যায় না! তাঁদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে যা দাঁড়ায়, তা হচ্ছে, বিপ্লবের তত্ত্ব সম্পর্কে অর্থাৎ রাজনীতি সম্পর্কে ধারণাটা শুধুমাত্র মার্কসবাদসম্মত হলেই চলবে আর ব্যক্তিগত জীবনে সংস্কৃতিগত দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের ক্ষেত্রে যদি নেতা ও কর্মীরা বুর্জোয়া সংস্কৃতির দাসই থেকে যান, তা নিয়ে মাথা ঘামাবার দরকার নেই। … একদল নেতা এই বিপ্লবী তত্ত্বটা ঠিক হলেই, বিপ্লবের স্তর নির্ধারণ ঠিক হলেই পার্টিটা ঠিক হয়ে গেল এবং তার দ্বারাই বিপ্লব হয়ে যাবে – এই কথা বলে কর্মী ও নেতাদের সর্বব্যাপক সাংস্কৃতিক বিপ্লব, যা সব বিপ্লবের আগে সেই বিশেষ বিপ্লবের পরিপূরক অর্থে প্রথমে করা প্রয়োজন, সেই গুরুদায়িত্বকে এড়িয়ে যান এবং নিজেরাও সেই অনুযায়ী মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের অভ্যাস, আচরণ ও সংস্কৃতিগত দিকটা পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন না। অথচ লেনিন আমাদের শিখিয়েছেন, cultural revolution precedes technical revolution, অর্থাৎ সংস্কৃতিগত বিপ্লব শুরু হবার পরই রাষ্ট্র দখলের বিপ্লব সংঘটিত হতে পারে। তাই যে কোন সত্যিকারের মার্কসবাদী-লেনিনবাদীই জানেন যে,রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মসূচির ‘ইন্টিগ্রেশন’ (সংযোজন) ছাড়া কোন দেশের বিপ্লব সফল করা সম্ভব নয়।” (এসইউসি কেন একমাত্র সাম্যবাদী দল)
  • dd | 132.172.26.148 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:৩৭654829
  • হে ভামেরা, আপনেদের মনে নেই ? চারু বাবুর আমলে যখন কানু স্যান্নাল,অসীম চট্টো, সত্যনারান সিং ...ইঃ সবে গুড় গুড় শুরু করেছেন ,আর আন্তপার্টী দলিল গোপনে হাতে হাতে ঘুড়ছে তখন সরোজ দত্ত লিখলেন "নেতৃত্ব না কতৃত্ব" ?

    উনি লিখেছিলেন যে - বিপ্লবী দলে গুরু (গুরু কথাটাই ব্যবহার করেছিলেন) নির্বাচিত হলেই শাসক গোষ্ঠী ভয় পায়। বোঝে যে ওটাই একটা র‌্যালিং পয়েন্ট। ইতিহাসে যখনই কোনো কেরিসমেটিক নেতা আসেন তখনই পার্টী সফল হয়। আর আজকের সময়ে চারু বাবুই সেই লোক। তাই শুধু নেতৃত্ব নয়, তার কতৃত্বও মানতে হবে।ইঃ ইঃ।

    বেসিকেলি আনুগত্য চাই। একজন সেন্ট্রাল ফিগার চাই।

    শিবদাস বোধহয় সেরকমই বলতে চাইছিলেন।
  • কল্লোল | 125.242.138.93 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:৪৬654830
  • এসইউসি হলো আরএসপি থেকে ভেঙ্গে বেরোনো।
    আরএসপি মূলতঃ ট্রটস্কিপন্থী, স্তালিনবিরোধী।
    এসইউসি স্তালিনপন্থী। এই হলো আদি বিরোধ।
    এখন অবশ্য এসেঅব কিছু আছে কিনা জানিনা। তবে সিপিআই-সিপিএম-নকশালদের মতো এদেরও সমপ্ক্কো জ্ঞাতিশত্রু টাইপের।
  • বিংশতি কংগ্রেসের রিপোর্ট ও সংশ | 186.10.99.200 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:৪০654831
  • কমিউনিস্ট লীগ অফ যুগোশ্লাভিয়ার নেতা মার্শাল টিটোকে কমিনফরম থেকে বহিষ্কারের পটভূমিতে ‘সাম্যবাদী শিবিরের আত্মসমালোচনা’ নামক আলোচনায় আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনের যান্ত্রিক চিন্তা ও সংগঠন পদ্ধতির প্রতি বিশ্বসাম্যবাদী আন্দোলনের নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ১৯৪৮ সালেই (অর্থাৎ স্ট্যালিনের জীবিতাবস্থাতেই) বলেন : “… মতাদর্শগত ক্ষেত্রে বর্তমানে যে অমার্কসীয় যান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গীর সমস্যা রয়েছে, তা যদি সময় মত ঠিকভাবে সমাধান না করা হয়, তাহলে বিশ্ব ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না, যখন মানুষ দেখবে যে, বিভিন্ন দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরও কমিউনিস্টরা, নিজেদের মধ্যে ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করা এবং বিশ্বসাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে বলিষ্ঠ পদক্ষেপে দ্রুত এগিয়ে যাবার পরিবর্তে নিজেদের মধ্যে খোলাখুলি দ্বন্দ্ব-কলহে এমনকি যুদ্ধ-বিগ্রহেও লিপ্ত হয়ে পড়েছে।” এই হুঁশিয়ারী ভবিষ্যদ্বাণীর মতোই পরবর্তীকালে সত্য প্রমাণিত হয়।

    সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির বিংশতি কংগ্রেসের রিপোর্ট (১৯৫৬)-কে যখন চীনসহ বিশ্বের অধিকাংশ কমিউনিস্ট পার্টি ‘পথ আলোকিত করবে’ বলে অভিনন্দন জানিয়েছিল তখন একমাত্র কমরেড শিবদাস ঘোষ রিপোর্টটিকে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের আলোকে পঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করে মন্তব্য করেছিলেন, “রিপোর্টের ত্রুটিগুলি যদি সময় থাকতে দূর না করা হয়, তবে এটি শোধনবাদের সিংহদ্বার উন্মুক্ত করে দেবে।” কমরেড ঘোষের এ বিশ্লেষণ ভবিষ্যদ্বাণীর মতোই সত্য বলে অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হয়। এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টিও তার পুরনো বিচার সংশোধন করে।

    ১২। বর্তমান যুগের চরিত্র সম্বন্ধে লেনিনীয় বিশ্লেষণকে ভিত্তি করে তিনি দেখিয়েছেন, এ-যুগ হল সাম্রাজ্যবাদ, যুদ্ধ এবং সর্বহারা বিপ্লবের যুগ। কিন্তু স্ট্যালিন পরবর্তীকালে যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতির নূতন ব্যাখ্যা করে ক্রুশ্চেভের নেতৃত্বে সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি এ যুগকে ‘সাম্রাজ্যবাদের ভাঙনের যুগ’, সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার এবং সমাজতান্ত্রিক দেশগুলির আরও অগ্রগতি ও বিকাশের যুগ বলে বর্ণনা করে এবং এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, এই নূতন পরিস্থিতিতে সাম্রাজ্যবাদী যুগে যুদ্ধের অনিবার্য্যতা সম্পর্কিত লেনিনের সিদ্ধান্ত অকার্য্যকরী হয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হওয়া সম্ভব; এমনকি পার্লামেন্টকে জনগণের ইচ্ছার যন্ত্রে পরিণত করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাজতন্ত্র স্থাপন করা সম্ভব। সোভিয়েত নেতৃত্বের এই বিশ্লেষণের দ্বারা বিশ্বের, বিশেষ করে ইউরোপের বহু কমিউনিস্ট পার্টিই প্রভাবিত হয় এবং শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের অন্ধ মোহে পার্লামেন্টারি রাজনীতির শিকার হয়ে পড়ে।

    কমরেড শিবদাস ঘোষ যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতির লেনিনীয় বিশ্লেষণ করে দেখান যে, যুদ্ধোত্তর কালে রাশিয়া এবং চীনের নেতৃত্বে পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলিসহ ভিয়েতনাম, উত্তর কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, কিউবা প্রভৃতির দ্বারা সমাজতান্ত্রিক শান্তিশিবির গড়ে ওঠা ও তার দ্রুত শক্তিবৃদ্ধি এবং অন্যদিকে পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী শিবিরের ক্রমবর্ধমান বাজার সংকটে দুর্বল হয়ে যাওয়ার ফলে বর্তমান পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলেও গুণগত পরিবর্তন হয়নি। এই পরিবর্তনের বিশেষত্ব এই যে যুদ্ধ-পূর্ববর্তী কালে যখন সাম্রাজ্যবাদীরাই যুদ্ধ বা শান্তির প্রশ্নে একমাত্র নিয়ামক শক্তি ছিল, এখন আর সে অবস্থা নেই; এখন সাম্যবাদী শান্তিশিবির সাম্রাজ্যবাদীদের উপর শান্তি চাপিয়ে দিতে সক্ষম। কিন্তু এ-কথার অর্থ এই নয় যে, এই পরিস্থিতিতে লেনিন নির্দেশিত সাম্রাজ্যবাদী যুগের যুদ্ধের অনিবার্য্যতার নিয়ম কার্য্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছে। সাম্রাজ্যবাদ যতক্ষণ টিকে থাকছে সে তার মূল চরিত্র নিয়েই টিকে থাকবে। ফলে যতদিন সাম্রাজ্যবাদ থাকবে, যুদ্ধের সম্ভাবনাও ততদিন থাকবে। যুদ্ধ হবে কি হবে না তা বাস্তব পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। তিনি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সাম্রাজ্যবাদীদের যুদ্ধ বাধাবার সম্ভাবনাও যেমন বাস্তব, তেমনই তাদের উপর শান্তি চাপিয়ে দেবার সম্ভাবনাও ততখানি বাস্তব।” তিনি আরও দেখান – যুদ্ধোত্তর কালে পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদের সংকট তীব্রতর হওয়ায়, বাজার সংকটের জন্য সমস্ত সাম্রাজ্যবাদী দেশই বাজারে কৃত্রিম তেজীভাব সৃষ্টি করার জন্য অর্থনীতির সামরিকীকরণ করতে বাধ্য হচ্ছে এবং যতই অর্থনীতির সামরিকীকরণ হচ্ছে ততই যুদ্ধ-পরিস্থিতি গড়ে উঠছে। এই অবস্থায় যুদ্ধের সম্ভাবনা নেই বলে প্রচার করলে যুদ্ধ পরিস্থিতি বাস্তব হয়ে দেখা দেবে।

    তিনি আরও দেখিয়েছেন, সোভিয়েত নেতৃত্বের এই শোধনবাদী, অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিশ্লেষণের ফলে তারা ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’-এর নীতি – যার বিপ্লবী তাৎপর্য হল যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদীদের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে কার্য্যকরীভাবে রোখা, তার পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আত্মসমর্পণের (peaceful capitulation) নীতি অনুসরণ করছে, যে পথ যুদ্ধের সম্ভাবনাকেই ত্বরান্বিত করে।
  • - | 109.133.152.163 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ১৪:২৩654832
  • শুধু তো ব্যক্তির কথাই পড়ছি। দলের কথা কখন আসবে? টইটা তো দলের বিষয়ে!
  • ন্যাখ্যা | 87.109.141.138 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ১৫:২০654833
  • দলই ব্যক্তি, ব্যক্তিই নেতৃত্ব, যা আবার যৌথ নেতৃত্ব, =দল
  • ক্রুশ্চেভের কাছে খোলাচিঠি | 87.109.141.138 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ১৫:২৮654835
  • সোভিয়েত পার্টি ও রাষ্ট্রকে করায়ত্ত্ব করার পর বহু প্রকারের সংশোধনবাদী নীতি ও কার্যক্রমের দ্বারা মার্কসবাদ-লেনিনবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক পথ থেকে বিচ্যুত হতে থাকে। লেনিনীয় শিক্ষার আধারেই স্ট্যালিন সমাজতন্ত্রকে গড়ে তুলেছেন। কিন্তু সমাজতন্ত্রের সাথে স্ট্যালিনের নাম এমনভাবে জড়িত হয়ে আছে যে স্ট্যালিনের নামকে মসীলিপ্ত না করে সমাজবাদ থেকে সরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এই উদ্দেশ্যেই ক্রুশ্চেভ নেতৃত্ব বিংশতিতম কংগ্রেসে স্ট্যালিনের সমালোচনার নামে স্ট্যালিন-বিরোধী অপপ্রচার শুরু করে। দ্বাবিংশ কংগ্রেসে তা আরও তীব্র করা হয়। তাঁর রচনাবলী নিষিদ্ধ করা হয়, তাঁর স্মৃতিবিজড়িত শহর, পার্ক, রাস্তা, যৌথখামার এবং আরও বহু প্রতিষ্ঠান, যেখানেই তাঁর নাম ছিল, সেগুলির নাম বদলে দেওয়া হয়। তাঁর প্রতিকৃতি এবং মূর্তিগুলি সরিয়ে ফেলা হয় এবং লেনিন স্ট্যালিন মসোলিয়াম থেকে তাঁর মরদেহটি অপসারিত করা হয়। এইসব নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন পার্টির মধ্যে গভীর মতভেদ দেখা দেয় – এমনকি সোভিয়েত নেতৃত্বের এই স্ট্যালিন-বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে আলবেনিয়ার সাথে মতভেদ এতদূর পর্যন্ত যায় যে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কই ছিন্ন হয়।

    এই পরিস্থিতিতে কমরেড ঘোষ ক্রুশ্চেভকে এক খোলা চিঠি লেখেন। তাতে তিনি কতকগুলি প্রশ্ন তোলেন যাতে কোনো অথরিটিকে বিচার করার পদ্ধতি এবং তার মূল্যায়নের আধার কি কি হবে, শুধু তাই তুলে ধরেন নি, অথরিটি সম্পর্কিত ধারণা-সহ ব্যক্তিপূজার মূল কারণ কি ইত্যাদি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেন এবং এসকল বিষয়ে মার্কসবাদী-লেনিনবাদী ধারণা কি তাও উপস্থিত করেন। প্রথমত তিনি দেখান, সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি স্ট্যালিনের যে বিশেষ মূল্যায়ন করছে এবং স্ট্যালিন সম্পর্কে যে-সব পদক্ষেপ নিচ্ছে, সে ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টিগুলির মধ্যে বাস্তবে যে মতপার্থক্য রয়েছে তাকে অস্বীকার করলে নিশ্চিতভাবে বিশ্ব সাম্যবাদী আন্দোলনেরই ক্ষতি করা হবে : “… আমরা মনে করি বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্ত প্রশ্নগুলিকে বিশদভাবে খুঁটিয়ে বিচার করা প্রয়োজন এবং বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও ব্যাপক জনগণকে জড়িত করে প্রকাশ্য মতাদর্শগত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তা হওয়া দরকার। কারণ এধরনের প্রকাশ্য মতাদর্শগত বিতর্কের মধ্য দিয়েই বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টিগুলির যে মতবিরোধ তা দূর হতে পারে। … শ্রমিকশ্রেণী এবং ব্যাপক জনগণকে শিক্ষিত ও সচেতন করে গড়ে তোলার এই হল লেনিন নির্দেশিত পথ। … আবার শ্রমিকশ্রেণী এবং জনগণের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার পথও এটাই।”

    এক অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর কমরেড ঘোষ বিশ্বের কমিউনিস্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন : “তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তথ্যকে সঠিক ভঙ্গিতে বিচার-বিশ্লেষণ করে সত্যে পৌঁছুনো আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই রকম তথ্য থেকে সাম্রাজ্যবাদী-পুঁজিবাদীরা এবং কমিউনিস্টরা ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছোয়, কারণ যে দৃষ্টিভঙ্গীর সাহায্যে তারা একই তথ্য বিচার করেন – সেই দৃষ্টিভঙ্গীই ভিন্ন।” তিনি ওই চিঠিতে বলেন : “দুঃখের সঙ্গে হলেও এ কথা আমরা বলতে বাধ্য যে দ্বাবিংশ কংগ্রেসে ক্রুশ্চেভ যে সব তথ্য পেশ করেছেন, তা থেকে আমরা যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি, তা ক্রুশ্চেভের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত থেকে পৃক। … যদি একই তথ্য সম্পর্কে কমিউনিস্টদের মধ্যে সিদ্ধান্তটা ভিন্ন ভিন্ন হয় তবে তথ্যগুলি যাচাই করা এবং তা থেকে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য সেই তথ্যগুলিকে আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট ফোরামে পেশ করাটা তো আরও বেশি প্রয়োজন।”

    তিনি অতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন : “তাছাড়া, তিনি (স্ট্যালিন) ছিলেন বিশ্ব সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতা ও শিক্ষক। সুতরাং স্ট্যালিনের মূল্যায়ন সংক্রান্ত কোনো প্রশ্নই কেবল মাত্র সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির একার বিষয় হতে পারে না। সমস্ত দেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাছেই এর গুরুত্ব সমধিক।” কমরেড ঘোষ দেখান, ব্যক্তিপূজার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার নামে ক্রুশ্চেভ কার্যত ব্যক্তি স্ট্যালিনকে মসীলিপ্ত করারই চেষ্টা করছে। এর প্রমাণ হল যে, যে বাস্তব পরিস্থিতির থেকে ব্যক্তিপূজা গড়ে ওঠে সেগুলি দূর করার জন্য কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে সোভিয়েত পার্টি নেতৃত্ব স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে চলেছে। ব্যক্তিপূজা গড়ে ওঠার কারণগুলি সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ করে কমরেড ঘোষ দেখান : “যদি অথরিটি সম্পর্কে অন্ধ ধারণা থাকে, যদি পার্টি বডিগুলির বাকি সভ্যদের সঙ্গে নেতৃত্বের দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক না থাকে, যদি গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতার পরিবর্তে আনুষ্ঠানিক গণতন্ত্রের ভিত্তিতে কেন্দ্রীকতার চর্চা চলতে থাকে, যদি ব্যক্তিপূজা গড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ দলের অভ্যন্তরে থেকেই যায়, তাহলে যতই ‘গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি নিয়ে পার্টিবডিতে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ’ করা হোক না কেন ব্যক্তিপূজা গড়ে ওঠার এই অনুকূল পরিবেশ থাকছে বলেই ব্যক্তিপূজাও জঘন্যরূপে টিকে থাকবে।”

    তিনি আরও বিশ্লেষনের মাধ্যমে দেখান : “… ব্যক্তিপূজার সমস্যা নিছক কোন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে একটা সমস্যা নয়। গুরুবাদ (অথরিটারিয়ানিজম) গড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ যদি থাকে তবে একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে, একটি কমিটিকে কেন্দ্র করেও আরও অনেক সূক্ষ্মভাবে ব্যক্তিপূজার চর্চা চলতে পারে। সুতরাং যদি ব্যক্তিপূজাকে নির্মূল করতে হয় এর বিষময় প্রভাব সম্পূর্ণভাবে দূর করতে হয়, তাহলে তার একমাত্র পথ হল, অথরিটি সম্পর্কে যান্ত্রিক ধারণাকে চিরতরে দূর করা এবং তার পরিবর্তে অথরিটি সম্পর্কে দ্বান্দ্বিক উপলব্ধি গড়ে তোলা। আনুষ্ঠানিক গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে যে কেন্দ্রীকতা তার চর্চা পরিত্যাগ করে যথার্থই গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতার নীতিকে বাস্তবে রূপায়িত করা। এবং এর জন্য কমরেডদের আদর্শগত চেতনার মানকে এমন স্তরে উনড়বীত করা যাতে তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আলোচনা করতে তারা সক্ষম হয়।”

    “দুঃখের বিষয়, যে পরিবেশ ব্যক্তিপূজা গড়ে ওঠার ও তা বাড়তে দেওয়ার অনুকূলে কাজ করছে সেই পরিবেশটিকে দূর করার বদলে ক্রুশ্চেভ নিজে এবং সিপিএসইউ-র অন্যান্য নেতারা ব্যক্তি স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে কমরেড ঘোষ মার্কসবাদের দুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেন। প্রথমটি হল অথরিটি সম্পর্কিত মার্কসবাদী ধারণা। তিনি দেখান : “মার্কসবাদ-লেনিনবাদে অথরিটির ধারণা কাজ করে – এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু মার্কসবাদ-লেনিনবাদ সম্মত এই অথরিটির ধারণার সাথে গুরুবাদের বিন্দুমাত্রও সাদৃশ্য নাই; গুরুবাদের ভিত্তি হল নেতৃত্বের সাথে সংগ্রাম বিবর্জিত, অন্ধ আনুগত্য; গুরুবাদ মনে করে, অথরিটি কখনো ভুল করতে পারে না; অথরিটি সকল সমালোচনার ঊর্ধ্বে, অর্থাৎ অথরিটিকে শেষপর্যন্ত একেবারে দেবতা বানিয়ে ফেলে। অথরিটি সম্পর্কে এই যে যুক্তিহীন অন্ধ ধারণা এর সঙ্গে অথরিটি সম্পর্কে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী ধারণাকে কোনোমতেই এক করে দেখা চলে না। অথরিটি সম্পর্কে দ্বান্দ্বিক ধারণা নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রক্রিয়াকে বাদ তো দেয়ই না, বরং এই দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের প্রক্রিয়াকে আবশ্যিক পূর্ব-শর্ত বলে মনে করে। এই দ্বন্দ্ব বিরোধাত্মক চরিত্রের নয়, অথরিটির সঙ্গে এই দ্বন্দ্বের উদ্দেশ্য হল, অথরিটির সাথে ঐক্যকে সুদৃঢ় করা এবং অথরিটিকেই আরও সুদৃঢ় করা।”

    দ্বিতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তিনি স্ট্যালিনের মূল্যায়নের প্রশ্নে তুলে ধরেছেন তাহল, স্ট্যালিনের মতো মহান মার্কসবাদী নেতার বা যে-কোনো কমিউনিস্টের মূল্যায়ন হবে কোন মানদন্ডে। কমরেড ঘোষ দেখান : “… চরিত্রে এবং বৈশিষ্ট্যে, উভয় দিক থেকেই কমিউনিস্ট মূল্যবোধ মানবতাবাদী মূল্যবোধ থেকে মৌলিকভাবে পৃথক। মানব সমাজের ইতিহাসে মানবতাবাদই শেষ কথা নয়। শোষণমূলক বুর্জোয়া ব্যবস্থা যতদূর উন্নত চিন্তাধারা জন্ম দিতে পারে মানবতাবাদই নিঃসন্দেহে তার মধ্যে প্রাণবন্ত। কিন্তু সমাজের অগ্রগতি এখানে এসেই থেমে যায়নি, আর সেই কারণেই মূল্যবোধের দিক থেকে মানবতাবাদ মানবসমাজের সর্বোচ্চ মানকে প্রতিফলিত করতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে, মানবতাবাদের যেখানে শেষ সেখান থেকেই কমিউনিজমের শুরু। মানবতাবাদী মূল্যবোধের সমস্ত নির্যাস নিঙড়ে নিয়ে, মানবতাবাদের অবলুপ্তির পথেই কমিউনিস্ট মূল্যবোধের জন্ম এবং বিকাশ। স্ট্যালিনের চরিত্রের বহুদিক যেগুলো মানবতাবাদী মূল্যবোধের মাপকাঠিতে বিচার করলে নেতিবাচক দিক বলে মনে হবে, একমাত্র কমিউনিস্ট মূল্যবোধের সঠিক উপলব্ধির আধারেই সেইসব দিকগুলির যথাযথ মূল্যায়ন করা সম্ভব।”

    এই চিঠিতে তিনি অতি গুরুত্ব দিয়ে দেখান যে : “একথা স্বীকার করতেই হবে যে তাঁর পূর্বসূরী মার্কস, এঙ্গেলস এবং লেনিনের মতো,স্ট্যালিনও মার্কসবাদের একজন অথরিটি। তাই স্ট্যালিনকে মুছে ফেলার অনিবার্য্য পরিণাম হল তাঁর অথরিটিকে অস্বীকার করা; যার অর্থ লেনিনবাদ সম্পর্কে তাঁর উপলব্ধি – যেটি মার্কসবাদ-লেনিনবাদ সম্পর্কে আজকের দিনের সঠিক উপলব্ধি – তাকেই অস্বীকার করা। স্ট্যালিনের অথরিটিকে যদি অস্বীকার করা হয়, তাহলে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের প্রাণসত্ত্বাকে রক্ষা করতে ট্রটস্কিবাদী এবং বুখারিনপন্থীদের বিরুদ্ধে যে নিরলস সংগ্রাম স্ট্যালিন পরিচালনা করেছিলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের সেই অধ্যায় মসীলিপ্ত, তমসাচ্ছন্ন থেকে যাবে, তার ফলে সুদৃঢ় আদর্শগত প্রত্যয় গড়ে তোলার সুযোগ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হবে। এর দ্বারা মার্কসবাদ- লেনিনবাদের নামে যাবতীয় প্রতিবিপ্লবী চিন্তাভাবনা আমদানীর রাস্তা খুলে দেওয়া হবে এবং সাম্যবাদী আন্দোলনের আদর্শগত ভিত্তিটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এক কথায়, এর দ্বারা মহান লেনিন তথা লেনিনবাদের মর্যাদাকেই কার্য্যত ভূলুণ্ঠিত করা হবে।”

    কমরেড ঘোষ সুনির্দিষ্টভাবে দেখান : “… আমাদের পার্টি দেখিয়েছে, ত্রুটি যতটুকু হয়েছে তা তাঁর সামগ্রিক সাফল্যের তুলনায় একেবারেই অকিঞ্চিৎকর। ফলে স্ট্যালিনকে কালিমালিপ্ত করার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বসাম্যবাদী আন্দোলনে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী অনুসরণীয় কমিউনিস্ট চরিত্র হিসাবে তিনি এখনও অবস্থান করছেন। তিনি এখনও আমাদের শিক্ষক এবং নেতা।” (রাশিয়ায় সংশোধনবাদের বিকাশ ও পুঁজিবাদের বিপদ প্রসঙ্গে)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন