এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিবদাস ইউ সি ইন্ডিয়া : সুসি-সম্বন্ধে যে যা জানেন

    একক
    অন্যান্য | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ | ৩৫৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cb | 68.106.31.162 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ১৭:৩৫654836
  • ক্রুশ্চেভ কি করলেন তারপর খোলা চিঠি পেয়ে?
  • কালের প্রত্যক্ষদর্শী | 186.10.99.202 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ১৭:৫৫654837
  • একটি প্লাম্বার টিমকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী ও গোয়েন্দাসহ তলব করা হয়। কারণ, শোনা যায় এই সর্বহারা পত্রাঘাতে ক্রেমলিনের একটি কমোড অচল হয়ে পড়েছিল।
  • b | 24.139.196.6 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ১৮:২৪654838
  • পাগলা কুকুর কামড়ালে কি করা উচিৎ?রেবিজের টীকা নয়, কারণ তা সার্বিকভাবে একটি বুর্জোয়া অবক্ষয়ী মনোভাবের-ই পরিচয় বহন করে। এই পরিস্থিতিতে দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের সঠিক ব্যাখ্যা, যা দেশ কালের উর্ধ্বে উঠে একটি সার্বজনীন ও ব্যাক্তি নিরপেক্ষ পরিপ্রেক্ষিত গড়ে তুলতে সাহায্য করে, একজন সংগ্রামী মানুষের সহায় হতে পারে। ইয়োরোপের ঘটনাবলী অনুধাবন করলে সুস্প্ষ্ট ভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ইয়োরোপীয়ন সাম্যবাদে, দ্বান্দ্বিক নিয়মেই এখন অধোগতির দিকে। স্মরণে, মননে, ও কর্মে শ্রেণী সংগ্রাম থেকে বিচ্যুত ফরাসী বুদ্ধিজীবিগণ অস্তিত্ববাদ নামক একটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছেন, তাঁদের জীবনযাপনে স্বৈরাচার দেখলে বোঝা যায়। এই ব্যাভিচার মার্ক্স, এঙ্গেলস,লেনিন, স্টালিন মাও সে তুঙ খচিত শোষিত মানুষের একমাত্র মুক্তিপথ,,সমগ্র কমিউনিস্ট চিন্তার পরিপন্থী। সেই ফরাসী দেশে আবিষ্কৃত ঔষধে এই অবক্ষয়িতা সুপ্ত হয়ে আছে। বর্তমানে বহু আপাত সৎ কমিউনিস্ট লেখকের লেখায় এই বিরোধীতার ছায়া ক্রমাগত পরিষ্ফুট হচ্ছে।
  • dc | 125.187.45.194 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ১৯:৫৭654839
  • কমোডে হাগা উচিত কিনা, এই নিয়ে কি কমরেড ঘোষ কোন দ্বন্দ্বমূলক ব্যাখ্যা দিয়ে গেছেন?
  • a x | 60.171.26.111 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২০:২৭654840
  • b :-))
  • মলয় | 186.10.99.208 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২০:৩৭654841
  • কমরেড ঘোষ, হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তাতত্ব, বিগ ব্যাং থিওরি, সার্ত্রের এগজিস্টেনশিয়ালিজম আর রাসেল পার্সোন্যাল ফ্রিডম অ্যাজ অ্যাবসল্যুট প্রিন্সিপল এইসবের দিকে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের কামান দেগেছেন বলে জানি। কমোডেরটা জানি না :(
  • SC | 79.95.110.131 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:৫৩654842
  • আচ্ছা, এইগুলো কি শিবদাস বাবুর নিজের hallucination ছিল, নাকি অন্য কেউ এই গল্পগুলো লিখছিল ওনাকে নিয়ে।
    সর্বপরি, উনি কি চন্দ্রবিন্দুর 'পাগল' গানটার inspiration ছিলেন?
  • | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:৫৯654843
  • চন্দ্রবিন্দুর আবার 'পাগল' কোন গান?
  • robu | 113.42.158.203 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:১৭654844
  • কন্ডাক্টর বাস ভাড়া চায় না বলছে বোধ হয়।
  • Arpan | 125.118.77.201 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:২৪654846
  • জুরাসিক পার্ক।
  • SC | 79.95.110.131 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:২৬654847
  • হ্যান, ঐটাই। অন্য নাম ছিল? অনেককাল শুনি না, খেয়াল নেই।
  • ranjan roy | 24.96.230.229 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২৩:৪০654848
  • সবই তো বুঝলাম।
    সুসি একমাত্র খাঁটি কমিউনিস্ট দল, সংশোধনবাদী নয়, বিপ্লবে বিশ্বাস করে, সংসদীয় পথে শান্তিপূর্ণ উত্তরণে বিশ্বাস করে না।
    ১)তাহলে গতবার মমতার সঙ্গে মিলে কেন ইলেক্শনে দাঁড়াল?
    ২) আর চীনের পার্টির নবম-দশম কংগ্রেস নিয়ে শিবদাস বাবুর এত বাকতাল্লা , কিন্তু নবম কংগ্রেসের সময় মাওয়ের শ্রেষ্ঠ শিষ্য লিন পিয়াও যে মাওকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে রাশিয়ায় সপরিবারে পালাবার সময় মঙ্গোলিয়া প্রান্তরে প্লেন ক্র্যাশে মারা গেলেন সে নিয়ে কোন কথা?
    ৩) মাও নিজে যে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের বিরোধিতা করলেন এতবার তার বেলা?
    ৪) কিম ইল সুঙের মত মেগালোম্যানিয়াক ডিক্টেটর আদর্শ কমিউনিস্ট?
    ৫) মাও বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের গণহত্যাকারী সামরিক ডিক্টেটর ইয়াহিয়া খানকে সমর্থন কেন করেছিলেন?
    ৬) স্তালিন প্রথম ইস্রায়েল-আরব যুদ্ধের সময় ইস্রায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য কেন করেছিলেন? কেন স্তালিনের রাশিয়া দুনিয়াতে সর্বপ্রথম জায়োনিস্ট ইস্রায়েলকে স্বীকৃতি দিল?

    এসব নিয়ে শিবদাস বাবুর কোন বাণী?
  • ব্যক্তিবাদ | 198.138.1.229 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৬:৩৮654849
  • কমরেড ঘোষ দেখিয়েছেন : ব্যক্তিবাদ আজ শুধু সমাজতান্ত্রিক দেশেরই নয়, বিশ্বের সর্বত্রই সর্বহারা বিপ্লবী আন্দোলনের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা হিসাবে উপস্থিত হয়েছে। আজ মরণাপন্ন পুঁজিবাদের যুগে ব্যক্তিবাদ যখন কলুষিত, তখন ব্যক্তিবাদকে বিলুপ্ত না করে ব্যক্তির বিকাশ যেমন সম্ভব নয়, তেমনই ব্যক্তিবাদকে পরাস্ত না করে সত্যিকার কমিউনিস্ট পার্টি গঠন করাও সম্ভব নয়, দলের সংহতি রক্ষা করাও সম্ভব নয়। তাই পার্টি এবং বিপ্লবী আন্দোলনের বিকাশের জন্য ব্যক্তিবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম পরিচালনা করা অপরিহার্য্য। তিনি দেখান এই আন্দোলন একটি অতি জটিল সংগ্রাম। অনেকেই মনে করেন যে ব্যক্তি সম্পত্তি থেকে যেহেতু ব্যক্তিবাদের জন্ম, তখন ব্যক্তি সম্পত্তি ত্যাগ করেই ব্যক্তিবাদ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। কিন্তু কমরেড ঘোষ দেখিয়েছেন যে ব্যক্তি সম্পত্তি ত্যাগ করা কমিউনিস্টদের জন্য একটি প্রাথমিক সংগ্রাম, কিন্তু ব্যক্তি সম্পত্তি ত্যাগ করেই ব্যক্তিবাদ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। কারণ ব্যক্তিসম্পত্তি থেকে যে ব্যক্তিসম্পত্তি বোধ (private property mental complex)-এর সৃষ্টি হয়, সেই ব্যক্তিসম্পত্তি বোধ থেকে মুক্ত হওয়ার সংগ্রামই ব্যক্তিবাদ থেকে মুক্ত হওয়ার প্রকৃত সংগ্রাম। আর এটা সম্ভব হলেই ব্যক্তিস্বার্থের সাথে সামাজিক স্বার্থের মিলন সম্ভব। আর এই সংগ্রামই সংশোধনবাদের বিরুদ্ধেও প্রকৃত সংগ্রাম।
  • জ্ঞানতত্ব | 87.109.141.138 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৬:৪৬654850
  • দ্বন্দ্বমূলক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদের স্রষ্টা মার্কস এবং এঙ্গেলস। এরপর যেমন লেনিন, স্ট্যালিন এবং মাও সেতুঙ এই দর্শনকে তাঁদের বিচার দিয়ে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনই কমরেড শিবদাস ঘোষও লেনিন পরবর্তীকালে বিজ্ঞানের কিছু নূতন আবিষ্কারকে কেন্দ্র করে, বিশেষ করে হাইজেনবার্গের ‘অনিশ্চয়তার তত্ত্ব’ নিয়ে ‘কার্যকারণ সম্পর্ক’, ‘নির্ধারণবাদ’ (Determinism), ‘প্লুরালিটি অফ কজেস’ – ইত্যাদি প্রশ্নে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে বাস্তবে দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ সম্পর্কেই সংশয় সৃষ্টি করছিল, তখন কমরেড শিবদাস ঘোষ দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদী বিচারধারায় এই প্রশ্নগুলির সঠিক উত্তর দেন। লেনিন পরবর্তীকালে বিজ্ঞান ও দর্শনে যেসব নতুন প্রশ্ন, সমস্যা বা বিষয় এসেছে, তার স্বরূপ দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যাখ্যা করে মার্কসবাদের উপলব্ধিকে উন্নত করেছেন কমরেড শিবদাস ঘোষ।

    অনিশ্চয়তা তত্ত্ব
    মাইক্রো বডির গতির ক্ষেত্রে অবস্থান এবং গতিবেগ একই সময়ে নির্ধারণ করা যায় না, দুটোকেই আলাদাভাবে নির্ধারণ করা যায় – হাইজেনবার্গের এই আবিষ্কারকে ‘অনিশ্চয়তা তত্ত্ব’ নাম দিয়ে একটা ধারণা সৃষ্টি করা হয় যে, বস্তুজগতে যেন কোনও ল’ বা নিয়ম কাজ করছে না। কমরেড শিবদাস ঘোষ দেখালেন, অনিশ্চয়তা তত্ত্ব ব্যাপারটা এমন নয় যে, সব নিয়মের বাইরে এটা পুরোপুরি নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার ক্ষেত্রে অবস্থান ও গতিবেগ একই সময়ে নির্ধারণ করতে না পারলেও আলাদাভাবে দুটোকেই নির্ধারণ করা যাচ্ছে। সুতরাং ওই দুটি অবস্থার মধ্যে ল’ কাজ করছে। ফলে এই সিদ্ধান্ত করা যায় না যে, মাইক্রো বস্তুর ক্ষেত্রে কোনও ল কাজ করে না। (জ্ঞানতত্ত্ব দ্রষ্টব্য)

    সম্ভাব্যতার তত্ত্ব
    ‘সম্ভাব্যতার তত্ত্ব’ বা ‘ল অব প্রোব্যাবিলিটি’ আবিষ্কারের পর একদল বিজ্ঞানী ও দার্শনিক ‘নির্ধারণবাদ’ বা ‘ডিটারমিনিজম’ সংক্রান্ত ধারণাকে ভুল বলে আক্রমণ করে বলেন, ‘নির্ধারণবাদ’, ‘কার্যকারণ সম্পর্ক’ (ল অব কজালিটি) প্রভৃতি সবই ভুল। এদের জবাব দিয়েই কমরেড শিবদাস ঘোষ দেখান যে, এই ‘ল অব প্রোব্যাবিলিটি’ নির্ধারণবাদকে পূর্ব-নির্ধারণবাদের নিয়তিবাদী ধারণা থেকে মুক্ত করেছে। বড় বস্তুর ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতার নিয়ম প্রয়োগ করে তার গন্তব্য নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু ক্ষুদ্র কণার ক্ষেত্রে গন্তব্যের সম্ভাব্যতা বা প্রোব্যাবিলিটির ক্ষেত্রে এক্সটারনাল ফ্যাক্টরস বেশি কাজ করে বলে তার গন্তব্য নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করা না ও যেতে পারে। এর অর্থ এই নয় যে সেটা তৎক্ষণাৎ অনির্ধারণযোগ্য বা ইনডিটারমিনিজম হয়ে গেল। সেখানেও ল’ কাজ করে, ফলে ডিটারমিনিজমও কাজ করে। (ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক আন্দোলন, জ্ঞানতত্ত্ব)

    প্লুরালিটি অব কজেস
    প্লুরালিটি অব কজেস – বিশ্বজগৎ একটি বস্তু নয়। অসংখ্য বস্তু মিলিয়েই বস্তুজগৎ বা বিশ্বজগৎ। প্রতিটি বিশেষ বস্তুর পরিবর্তনের পিছনে বিশেষ কারণ কাজ করে। যেহেতু অসংখ্য বস্তু নিয়ে বিশ্বজগৎ, তাই বিশ্বজগতের পেছনে একটা কারণ খুঁজতে যওয়া অবৈজ্ঞানিক। কোনও ঘটনা ঘটার পেছনে ‘কারণ’ কথাটিকে নানা ফ্যাক্টর বা কন্ডিশনের সমাহার হিসেবে বুঝতে হবে। ফ্যাক্টর বা কন্ডিশন ‘কারণ’ নয়, তার সমাহার মিলেই ‘কারণ’ তৈরি হয়। এর সাথে ‘কারণের বহুত্ব’ বা ‘বহু কারণ’ কথাটার কোনও সম্পর্ক নেই।

    এক্সপান্ডিং ইউনিভার্স
    ‘এক্সপান্ডিং ইউনিভার্স’ ধারণার বিষয়ে কমরেড ঘোষ আপত্তি তুলে বলেন, এটা মানলে বিশ্বেরও শুরু আছে বলতে হয়, যেটা ভুল। একটি বিশেষ বস্তুর শুরু ও শেষ আছে, বস্তুজগতের শুরু ও শেষ বলে কিছু নেই। “এক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্স বললে স্বাভাবিকভাবে যেটা চলে আসবে, তা হচ্ছে, বিশ্ব এখন যা আছে, আগে তার চেয়ে ছোট ছিল, তার আগে আরও ছোট ছিল,এভাবে যেতে যেতে গোটা বিশ্বের গোড়ার প্রশ্নটি এসে যেতে বাধ্য, যে ধারণা অবৈজ্ঞানিক এবং সেই অর্থে দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের সিদ্ধান্তের বিরোধী।” (জ্ঞানতত্ত্ব)

    ইনফিনিটি
    ইনফিনিটির ধারণা আপেক্ষিক, কারণ তা সতত বিকাশশীল। ইনফিনিটি কথাটির অর্থ শেষ নাই। তার মানে বস্তুজগৎ অজ্ঞেয়, ব্যাপারটা এরকম নয়। যেটা আমার আজ অজানা সেটা আবার জানি, তখনও আবার সামনে অজানা জগৎ থেকে যায়। অজ্ঞেয় বলে তখন যা থাকে সেটাও আবার জানার মধ্যে দিয়ে জ্ঞেয় হয়ে যায়।

    শাশ্বত সত্য
    নিয়ে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে কমরেড শিবদাস ঘোষ দেখিয়েছেন : শাশ্বত বলে কিছু নেই, এর মূল কারণ বস্তু হল দ্বন্দ্বমূলক বস্তু; অর্থাৎ যত ক্ষুদ্র বস্তুই হোক না কেন, তার মধ্যেও দুটো বিরোধী শক্তি রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এটা তার অন্তর্দ্বন্দ্ব। আবার সমস্ত বিশেষ বস্তুই অসংখ্য বস্তুর দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে অবস্থান করে – তাই এর বহির্জগতের সাথেও তার প্রতিমুহূর্তেই দ্বন্দ্ব হচ্ছে – এটা তার বর্হিদ্বন্দ্ব। এই দুই দ্বন্দ্বই বস্তুর গতির কারণ। আর দুই দ্বন্দ্বের জন্যই বস্তু নিয়ত গতিশীল। গতি বস্তুর অবস্থানের ধরন mode of existence)। তাই বস্তু প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে – শুধু তার রূপেরই নয়, গুণেরও পরিবর্তন ঘটছে। বস্তুর এই গতির কোনো শেষ নেই। তাই বস্তুর কোনো অবস্থানই স্থায়ী নয়, চিরন্তন বা শাশ্বত নয়। তাই সত্য বলে আজ যা জানছি, তার পরিবর্তন ও বিকাশ ঘটে। যে মানুষ জানছে সেও পরিবর্তনশীল। অন্যদিকে যা দিয়ে জানছি সেই যন্ত্রেরও উন্নতি ঘটছে, পরিবর্তন হচ্ছে। তিনি বলেছেন – “আসলে শাশ্বত না বলে আমাদের বলা উচিত, বস্তু হচ্ছে ইউনিভার্সাল।” “জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে পরিবর্তনের নিয়ামক যে তিনটি মূল নীতি তার উপলব্ধিরও পরিবর্তন হচ্ছে – সেটা আরও পরিষ্কার, প্রাঞ্জল, গভীর এবং পেনিট্রেটিং (তীক্ষ্ণ) হচ্ছে। সেই অর্থে তিনটি মূল নীতি কোনও শ্বাশ্বত রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে নেই।” (জ্ঞানতত্ত্ব) “দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদী বিশ্লেষণ পদ্ধতি অনুযায়ী বিজ্ঞানের বিশেষ সত্য ধারণাগুলোকে সাধারণীকরণের মারফত যে সাধারণ সত্য ধারণাগুলো গড়ে উঠে তাও যে এক একটি বিশেষ অবস্থায় (Given Condition) সাধারণ সত্যগুলির উপলব্ধির এক একটি বিশেষ পরিমন্ডল মাত্র – বহু মার্কসবাদী এবং কমিউনিষ্টরা আজও তা সম্যক উপলব্ধি করতে পারছেন না। ফলে তাদের অনেকেই দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের এই সাধারণ সত্যগুলোকে এবং দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের কনসেপশনগুলোকে শ্বাশত সত্য বলে মনে করেন। দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের সাধারণ সত্য ধারণা যেমন ‘থিং ইন দেমসেলভস্’ ‘ম্যাটার ইজ এ ফিলোজফিক ক্যাটাগরী’ ‘একজিসটেনস অব অবজেকটিভ রিয়েলিটি ইনডিপেনডেন্ট অব হিউম্যান কনসাসনেস’ ‘কনট্রাডিকশন উইথইন কনট্রাডিকশন’ প্রভৃতি অথবা বিজ্ঞানের যে কোন সাধারণ সত্য ধারণা যেমন ‘ইনফিনিটি’ ‘কনজারভেশন অব মাস এন্ড এনার্জি’ ‘ডিটারমিনিজম’ ‘ল অব কজালিটি’ প্রভৃতি সাধারণ সত্য ধারণা গুলিকে এরা শ্বাশত সত্য বলে মনে করেন। বিজ্ঞানের পরিভাষার উপর সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সম্প্রতি যে অভিধানটি প্রকাশিত হয়েছে তাতেও ঠিক অনুরূপ বিভ্রান্তিই দেখা যাচ্ছে। তাতে সত্যকে এবসলিউট এবং রিলেটিভ দুভাবেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অথচ এই সব সাধারণ সত্যের উপলব্ধিও যে এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকতে পারে না, হয় নিয়ত উন্নত ও বিকশিত হচ্ছে আর না হয় অবস্থার পরিবর্তনের সাথে তাল রেখে উন্নত বা বিকশিত করতে না পারার ফলে ইনএডিকোয়েট বা অপর্যাপ্ত অর্থাৎ অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। সমস্ত সাধারণ সত্যের উপলব্ধি এজন্যই একটা বিদ্যমান বিশেষ পরিস্থিতিতে সাধারণ সত্যের উপলব্ধির একটা বিশেষ ক্যাটাগরি মাত্র। তাই সাধারণ সত্য সম্বন্ধে কোনও একটি বিশেষ ধারণা বা উপলব্ধির ক্যাটাগরিই শ্বাশত বা সর্বকালের জন্য নয়।” [ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও আমাদের কর্তব্য]

    অ্যান্টাগনিজম এন্ড কন্ট্রাডিকশন
    “অ্যান্টাগনিজম এন্ড কন্ট্রাডিকশন আর নট অ্যাট অল ওয়ান অ্যান্ড দ্য সেম। আন্ডার সোশ্যালিজম দ্য ফার্স্ট উইল ডিসঅ্যাপিয়ার, দ্য সেকে- উইল রিমেইন” – লেনিনের এই উদ্ধৃতি উল্লেখ করে ‘অন কনট্রাডিকশন’ বইতে মাও সেতুঙ বলেছেন, “অ্যান্টাগনিজম ইজ ওয়ান ফর্ম, বাট নট দি ওনলি ফর্ম অব দ্য স্ট্রাগল অব অপোজিট্স; দ্য ফর্মূলা অব অ্যান্টাগনিজম ক্যান নট বি আরবিট্রারিলি অ্যাপ্লায়েড এভরিহোয়্যার।” শিবদাস ঘোষ দেখিয়েছেন – “শ্রেণীহীন সমাজ পত্তনের মধ্য দিয়ে উৎপাদন ও বন্টনকে কেন্দ্র করে যে বিশেষ বিরোধাত্মক দ্বন্দ্ব তার অবসান ঘটে, ফলে এভাবে বলার মধ্যে ভুল নেই। কিন্তু লেনিন বা মাও-এর এই বক্তব্যকে সর্বজনীন করলে মারাত্মক ভুল করা হবে। শ্রেণীসংগ্রাম থাকবে না, এ কথা ঠিক, কিন্তু উৎপাদন শক্তি ও উৎপাদন সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকবে। উৎপাদন শক্তি ও উৎপাদন সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব সবসময় বিরোধাত্মক। বিরোধাত্মক দ্বন্দ্ব ছাড়া আমূল পরিবর্তন হয় না। প্রকৃতির অভ্যন্তরেও বিরোধাত্মক দ্বন্দ্ব থাকবে, আবার মানুষ ও প্রকৃতির দ্বন্দ্বের মধ্যেও বিরোধাত্মক দ্বন্দ্ব থাকবে। সুতরাং সাধারণ অর্থে এ কথা বলা ভুল হবে যে, অ্যান্টাগনিজম ইজ টেম্পোরারি, কন্ট্রাডিকশন ইজ পার্মানেন্ট।” (জ্ঞানতত্ত্ব)
  • a x | 60.171.26.111 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:১৩654851
  • কে মাইরি এই সাঁকো নাড়তে বলেছিল!?
  • b | 135.20.82.164 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৮:৩৬654852
  • মাইরি।
  • b | 135.20.82.164 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৮:৩৯654853
  • কি রকম চলচ্চিত্তচঞ্চরী মনে পোচ্চে।
  • dd | 132.172.160.243 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:০০654854
  • ওম্মা।

    আপনেদের এসব প্রোলাপ মনে হচ্ছে? আরে, আমাদের লেট কৈশোর থেকে আর্লি যইবন পজ্জন্তো এরকম লেখা অহরহ পড়তাম। দিব্বি বুঝতে পাত্তেম। এখোন যেরম আপনেরা কঠিন কঠিন নামের লাতিন আম্রিগান লেখকের ফিকশন পড়েন ও আপ্লুতো হন। আর আমি ভয়ে সিঁটিয়ে থাকি।

    পাতলা চটি বই হোতো এ সব থিউরীর। আর ভিতোরে এই সব সুগভীর ভাবনা। খুব গম্ভীর ভাষা।

    এ সব নিয়ে তর্কো ও হোতো। চিন্তা করুন ! ধাঁ করে "এই দ্যাখ, এই দ্যাখ। নেতা ক্ষী লিক্ষেছেন" বলে একটা বই সামনে ধরে দিলে,প্রতিপক্ষো এক্বারে মুখ চুণ করে কেটে পরতো। নেতার উপরে আবার কথা কিসের?

    উপরিউক্তো ল্যাখা পড়ে আবার নস্টালজিতে পরে গেলেম।

    হায়। কালক্রমে সবই যায়, জীবন,যৌবন,ধন,মন। এমন কি শিবদাস ঘোষ ও।
  • বুর্জোয়া তামসিকতা | 89.134.234.200 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:৩৮654855
  • সার্ত্রের অস্তিত্ববাদের চরিত্র ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কমরেড শিবদাস ঘোষ দেখান, “বুর্জোয়া মানবতাবাদের পুরনো মূল্যবোধগুলি আজ আর কাজ করতে পারছে না বলে, মানববতাবাদী ভাবজগতে দুটো সম্পূর্ণ বিপরীত ধরনের প্রতিক্রিয়া ঘটতে দেখা যায়। বিংশ শতাব্দীর এই চূড়ান্ত শ্রেণিসংগ্রামের মধ্যে পড়ে বুর্জোয়া মানবতাবাদী মননশীলতা যে দুটো চূড়ান্ত বিপরীত মেরুতে অবস্থানের পরিণতি ঘটছে, তারই একটির থেকে ফ্যাসিবাদ ও অপরটির থেকে সার্ত্রের একজিসটেনশিয়ালিজম-এর জন্ম, যদিও একথা শুনতে আপনাদের অবাক লাগতে পারে। … মানবতাবাদী মানসিকতাই আজ বিপ্লবভীতির দরুন সর্বহারা বিপ্লবের বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লবী জাতীয় অভ্যুত্থান সংগঠিত করার উদ্দেশ্যেই বিজ্ঞানের কারিগরি দিক এবং আধ্যাত্মবাদের এক অদ্ভূত সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ফ্যাসিবাদের আদর্শগত ও সংস্কৃতিগত ভিত রচনা করেছে। … ঠিক এর সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে রয়েছে জাঁ পল সার্ত্রের একজিসটেনশিয়ালিজম বা অস্তিত্ববাদ।

    খ্রিস্টধর্মীয় মূল্যবোধ বা অন্যান্য ধর্মীয় মূল্যবোধগুলির মতোই পুঁজিবাদী বিপ্লবের প্রথম যুগে বুর্জোয়া মানবতাবাদী মূল্যবোধগুলি আজ সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ার দরুন বুর্জোয়া মানবতাবাদের এই ধারাটি কোনও অবস্থাতেই ধর্ম ও ঐতিহ্যবাদের সাথে আপস করতে রাজি নয়, পুরনো মানসিকতার জের টেনে এই ধারাটি আজও সমস্ত রকমের ‘প্রায়রি ভ্যালু’র ধারণার বিরোধী। অথচ এই ধারাটি বুর্জোয়া মানবতাবাদী চিন্তাধারার প্রভাব থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করতে না পারার ফলে সমাজে শ্রেণিগুলির উপস্থিতি, বিকাশলাভ ও অবলুপ্তির নিয়ম এবং ভাবজগত ও আদর্শবাদের ক্রমবিকাশের নিয়মকে অনুধাবন করতে সক্ষম হল না। তাই এর পক্ষে মানবতাবাদী চিন্তাধারা থেকে সাম্যবাদী চিন্তাধারায় উনড়বীত হওয়াও সম্ভব হল না। এই ধারারই পরিণতিতে সার্ত্রের অস্তিত্ববাদের জন্ম। (ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও আমাদের কর্তব্য; জ্ঞানতত্ত্ব) সাঁত্রের অস্তিত্ববাদ পাশ্চাত্যে মার্কসবাদের বিরুদ্ধে আক্রমণের খুবই বিপজ্জনক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছিল। রাসেল, সাঁত্রে প্রমুখের মধ্যে ইন্ডিভিজুয়াল ফ্রিডমকে অ্যাবসলিউট মনে করার চিন্তা কাজ করছিল।

    স্বাধীনতার এই অ্যাবসলিউট ধারণা কেন এদের মধ্যে দেখা দিল, তা ব্যাখ্যা করে কমরেড শিবদাস ঘোষ দেখান – কী প্রক্রিয়ায় মানুষের মস্তিষ্কের সাথে পরিবেশের দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে চিন্তার জন্ম হয় এবং মেটেরিয়াল ক-িশনের পরিবর্তনের সাথে চিন্তার উপাদান ও চিন্তাও যে পরিবর্তিত হয়, তা যে অ্যাবসলিউট থাকে না, মার্কসবাদের এই বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা বুঝতে ব্যর্থতার জন্যই ওঁদের মধ্যে এই বিভ্রান্তি ঘটেছে। এঁরা চিন্তা সম্পূর্ণ বস্তু বহির্ভূত, এটাও ভাবেন না, আবার সম্পূর্ণ বস্তুভিত্তিক এটাও মানতে পারেন না। আসলে এরা প্রাইভেট প্রপার্টি মেন্টাল কমপ্লেক্স থেকে নিজেদের মুক্ত করতে না পারার ফলে বুর্জোয়া রাইট টু প্রপার্টিকে যেমন অ্যাবসলিউট মনে করেন, তেমনি ব্যক্তির চিন্তা ও স্বাধীনতাকেও অ্যাবসলিউট মনে করেন। এই দুই প্রতিভাবান দার্শনিকের ভূমিকা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিপত্তির সৃষ্টি করেছিল, যার উত্তর দিয়েছেন কমরেড শিবদাস ঘোষ।
  • - | 109.133.152.163 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:০৪654857
  • এর থেকে রক্তের রক্তকরবীর রক্তহীনতা বোঝা সোজা কি না বলুন?
  • a x | 60.171.26.111 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:৩১654858
  • বাসদ ভাই (চাষীভাইএর মত শোনালো কি?) এই নিন, আপনাকে আর কষ্ট করতে হবেনা। কেমন?

    https://debatesofspb.wordpress.com/2013/06/21/spbhaider_1/

    ফর লেসার মর্টালস - বাসদ = বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:৪৭654859
  • এসব আমরা খুব শুনেছি। এখন সেই রেডিওর "হারানো দিনের গান" টাইপের মনে হচ্ছে। মন্দ লাগছে না। অনভ্যাসের ফলে একটু চচ্চড় করছে বটে, তবেও বেদ, গীতা, কোরান, নিউ টেস্টামেন্ট, বিষ্ণু দে, কে সি পাল, শিবদাস ঘোষ - সবই কিছু বোঝা যাবে, কিছু যাবে না। তবেই না মিঠে লাগবে!
  • pintu | 127.194.206.250 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:০২654860
  • বাসদ, না বাঁশদ?
  • দেব | 133.63.241.33 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৫ ১৩:২৬654861
  • শিবদাসবাবু মারা গেছেন ৭৬ এ। ৮৯-৯১ এর সময়ে বেঁচে থাকলে বোধহয় উদ্বাহু নৃত্য করতেন - "বলেছিলাম না, দেখ, স্তালিনের পথ থেকে বিচ্যুতির ফল কি হল"

    অবশ্য সিপিয়েমের লাইনও মোটের উপর একই ছিল। ৯২ এর পার্টি কংগ্রেসের দলিলে রাশিয়ার পতনের কারণ এঁরাও ঐ একই লিখেছিলেন, স্তালিনের পথ থেকে সরে যাওয়ার ফল। তবে পুরো পেপারটাতে বাজারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গোটা একটা লাইন ছিল। এইটা স্বীকার করি।

    সত্যি কথা বলতে এই আর্গুমেন্টটা ভুলও নয়। ক্রুশ্চেভ শুরু করেছিলেন আর গোরবাচেভ বোকার মতন নরম হয়ে পুরো ছাড়ান দিলেন আর অমনি ধপাস। কিম উল সাং ঐ লাইনে যাননি, টিকে গেলেন। দেং জিয়াও পিংও অর্থনীতিতে ছাড় দিলেন, কিন্তু আর সামনে এগোলেননা। চিনও টিকলো। (অন্য এক টইতে দেওয়া লিঙ্কে দেখলাম গৌতম দেব চিনের গত কুড়ি বছরের গ্রোথ রেট দেখিয়ে প্রবন্ধ নামাচ্ছেন চিন আমেরিকাকে টপকালো বলে। সাম্যবাদের অবশেষে জয়!) নৈতিকতার বিচার মুলতুবী করে এমনি ট্যাকটিক্যালি দেখলে গোরবাচেভ ৮৯এ পূর্ব জার্মানীর আন্দোলন কচুকাটা করতেই পারতেন চাইলে। সিস্টেমটা ঠিকই টিকে থাকত। উত্তর কোরিয়া টিকে গেল আর রাশিয়া ম্যানেজ করতে পারত না? নামে কমিউনিষ্ট হওয়া নিয়ে তো কথা। সে তো চিনও।

    সিস্টেমটা টিকতো। সব একই থাকতো। ৯২ এর পার্টি কংগ্রেসের দলিলেও ছোট করে লিখে দেওয়া যেত - বিগত ১৯৮৯এ সাম্যবাদী পূর্ব জার্মানীতে সিআইএর উস্কানীতে কিছু বুর্জোয়া দালালদের শান্তিবিঘ্নিত করার চক্রান্ত বানচাল করার জন্য কমরেড গোরবাচেভকে অভিনন্দন।
  • ranjan roy | 24.96.97.148 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৫ ১৭:১৯654862
  • ডিডি ও ন্যাড়াকে ক!
    তখন হেই প্রাক যৌবনে সবই জলবৎ তরলং ছিল।
    দ্বন্দমূলক বস্তুবাদ ,বস্তুমূলক দ্বন্দ্ববাদ সবই!
    ইউনিটি অফ অপোজিট্স, ল অফ নেগেশন অফ নেগেশন! হেগেল, শংকরাচার্য্য, রাহুল দেবীপ্রসাদ। আবার মরিস কনফোর্থ বনাম কার্ল পপার।
    এখন অরিন্দম চক্রবর্তী পড়ি। মলাটের উপর সীতারামদাস ওংকারনাথের নামটা দ্যাখলেই মাথার ভিতর তাঝ্বিম মাঝ্বিম করে। তবু ভাল লাগে।
  • ranjan roy | 24.99.46.19 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৫ ১৭:৩৫654863
  • সব তো হল! কিন্তু শ্রদ্ধেয় শিবদাস ঘোষ এশিয়ার লেনিন ইত্যাদি হয়ে আলটিমেটলি নিজেই একটি ব্যক্তিপূজা বা গুরুবাদের আধার হয়ে উঠলেন না?
    সুসিরা বলুন-- ১) শিবদাস ঘোষ কী মানব না অতিমানব?
    --- অতিমানব হইলে কোন কথা নাই, কিন্তু মানব হইলে দুইটা প্রশ্ন আছে।
    ২) উনি কি জীবনে কোন ভুল করেছেন? নাকি করেন নি?
    ---জীবনে কোন ভুল না করলে কোন কথা নাই। কিন্তু যদি করে থাকেন তাহলে দুইটা প্রশ্ন আছে?
    ৩) সেই ভুলগুলির অন্ততঃ একটা কি আপনেরা এইখানে ল্যাখতে পারবেন?
    ---- যদি ল্যাখতে না পারেন তো কোন কথা নাই। যদি পারেন তো---!
  • অথরিটি | 87.95.229.17 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৫ ১৮:২৮654864
  • কমরেড মার্ক্স, কমরেড এংগেলস, কমরেড লেনিন, কমরেড স্টালিন ও কমরেড মাও, মার্ক্সবাদের এই পাঁচ অথরিটি, এর পরে কমরেড শিবদাস ঘোষ, মার্ক্সবাদ ও ঐতিহাসিক দ্বন্দমূলক বস্তুবাদ ও সর্বহারা শ্রেণীর নিমিত্তে পরিচালিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ষষ্ঠ অথরিটি। অথরিটির সমালোচনা করাটা প্রতিবিপ্লবী ফ্যাকশনালিজম এর চিহ্ন যা একটি বুর্জোয়া ব্যক্তিবাদী ভ্রান্তি।
  • potke | 126.202.126.205 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৫ ১৮:৩৯654865
  • সর্ব্নাশ!
  • b | 24.139.196.6 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৫ ১৯:০০654866
  • অথরিটি মশায়, বেড়ে হয়েছে। আপনারটা একটু প্যারাফ্রেজ করলাম

    মার্ক্স, এংগেলস, লেনিন, স্টালিন ও কমরেড মাওয়ের লেখা অত্যন্ত যত্ন সহকারে বিশ্লেষণ করে কমরেড ঘোষ দেখান যে, উপরিউক্ত "এই পাঁচ অথরিটির পরে কমরেড শিবদাস ঘোষ-ই, ঐতিহাসিক তথা দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত ও সর্বহারা শ্রেণীর নিমিত্তে পরিচালিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ষষ্ঠ (ও শেষতম) অথরিটি"
  • a x | 138.249.1.206 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৫ ১৯:৪৯654868
  • ওটি নিশ্চয়ই খিল্লি পোস্ট? নিশ্চয়ই?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন