এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুজোর ধারাবিবরণী

    Ishan
    অন্যান্য | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ৭৩০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্রী সদা | 127.194.192.155 | ১৫ অক্টোবর ২০১২ ২৩:১১670678
  • বাইনারি দা, অসাধারণ।
  • Binary | 80.76.78.47 | ১৬ অক্টোবর ২০১২ ০৫:২৫670679
  • * অ্যাডভেঞ্চার
  • siki | 24.140.82.133 | ১৬ অক্টোবর ২০১২ ১০:১৮670680
  • ...সেই ঝুল পড়া ষাট পাওয়ারের আলো। একলা দোতালা জানাল। প্যান্ডেলের পিছনে।

    লাইকালাম। অনেক কিছু মনে পড়িয়ে দেয় এইসব লাইন।
  • pharida | 192.68.219.91 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ১৭:৩৭670681
  • হোক হোক।

    পড়তে চাই
  • Rana | 133.237.166.60 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ২০:১৯670682
  • আজ সকালে উঠে হঠাৎ মনে পড়ল আমার ছোট্ট পাড়াতে পুজোর দিনে আমার ঘুম ভাঙতো পাশের পুজোর ঢাকের শব্দে। আর আরো আগে যখন আমাদের ঘর বাড়ি অন্য রকম ছিল, সেই সময়ে, উঠোনের শিউলি গাছ, মাটিতে ফুলের জাজিম বিছিয়ে আমাকে জানত পুজোর ছুটি আসছে। তার অবিস্মরণীয় মৃদু গন্ধ, বোধে তার সাদা কমলা রঙের বৈপরীত্য ছিল আমার মহালয়ার আহ্বান, আমার মননে সুপ্রীতি ঘোষের "বাজলো তোমার আলোর বেনু", আমার পুজোর আবাহন।

    আজ সেই পুজোও অন্য রকম, আজ সেই শিউলি গাছও সেপিয়া টোনে আঁকা মনের সিন্দুকে ছবি। ক্যালেন্ডারের পাতা, সাল, মাস, তারিখ, শরীর, সব একযোগে ঘোষনা করে, "বেলা গেল"। তবু আজ সকাল থেকে শৈশবের সে ছবি আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। কৈশোরের সে ঢাকের আওয়াজ,তা সেতারের থেকেও মধুর, বেহালার থেকেও করুণ হয়ে মনে বেজে চলেছে।

    সকলকে শুভ দূর্গা ষষ্ঠী। পুজো ভালো কাটুক।
  • Rana | 133.237.166.60 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ২০:২০670683
  • আজ সকালে উঠে হঠাৎ মনে পড়ল আমার ছোট্ট পাড়াতে পুজোর দিনে আমার ঘুম ভাঙতো পাশের পুজোর ঢাকের শব্দে। আর আরো আগে যখন আমাদের ঘর বাড়ি অন্য রকম ছিল, সেই সময়ে, উঠোনের শিউলি গাছ, মাটিতে ফুলের জাজিম বিছিয়ে আমাকে জানত পুজোর ছুটি আসছে। তার অবিস্মরণীয় মৃদু গন্ধ, বোধে তার সাদা কমলা রঙের বৈপরীত্য ছিল আমার মহালয়ার আহ্বান, আমার মননে সুপ্রীতি ঘোষের "বাজলো তোমার আলোর বেনু", আমার পুজোর আবাহন।

    আজ সেই পুজোও অন্য রকম, আজ সেই শিউলি গাছও সেপিয়া টোনে আঁকা মনের সিন্দুকে ছবি। ক্যালেন্ডারের পাতা, সাল, মাস, তারিখ, শরীর, সব একযোগে ঘোষনা করে, "বেলা গেল"। তবু আজ সকাল থেকে শৈশবের সে ছবি আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। কৈশোরের সে ঢাকের আওয়াজ,তা সেতারের থেকেও মধুর, বেহালার থেকেও করুণ হয়ে মনে বেজে চলেছে।

    সকলকে শুভ দূর্গা ষষ্ঠী। পুজো ভালো কাটুক।
  • রাকৃভ | 125.187.58.180 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ২০:৪৩670684
  • দুর্গা নাকি, দুর্গতি নাশ করেন । ফুঃ ! দুর্গতি আরও বাড়ে । ওয়াট্ লগা দিয়া । একে তো জামা- কাপড়- জুতোর খরচা । তার ওপর একের পর একের বকশিশ চাওয়ার ফলে, প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যমালয়ে যাবার জন্য রেডি ।
    আজ রবির রিক্সা পাই নি । ওর গাড়ীর টায়ার পাংচার । ছয় টাকার পথ, বাজার । নামতেই রিক্সাচালক বলে উঠল:- বাবু, পূজার বাজার !! কুড়ি টাকা দেবেন ।
    - তোদের আজ সকালে পূজা, বিকেলে শীত, কাল গরম, পরশু বর্ষা, তরশু বিশ্বকর্মা পূজা ! বলি, আমার কিছু নেই নাকি ? আমাকে কে দ্যায় রে ? তার চেয়ে তুই আমাকেই বরং বিনা পয়সায় নিয়ে এসে উবগার কর । পূজা বলে কথা !!!! বল ?
  • রাকৃভ | 125.187.58.180 | ২০ অক্টোবর ২০১২ ২০:৪৬670685
  • এবেলা বলে একটা পত্রিকা হয়েছে কয়েকদিন হল । তাতে বলছে- আপনার প্রথম পুজো ।
    ধ্যৎতেরিকা-পুজো, পুজোই ! তার আবার প্রথম কি ? হ্যাঁ ! শেষ আছে ,তবে সেটা মোলে ! আজকাল তো আবার সাইবারের যুগ ! সাঁই সাঁই করে, বারে ঢুকে কয়েক পাত্তর রাম গিলে মৌজ কর । পুজো বলে কথা !
    মগজের, মাদার বোর্ডের র্যা ম - একেবারে একশো জিবিতে পৌঁছবে ।
    সাধে কি আর মাদার ? এখন মাদার বোর্ডেই ঝুলছেন ! বিল বোর্ড । জি হচ্ছে সর্ট ফর্ম । গণেশ জি, কার্তিক জি ! বি- ও তাই ! লখস্মীবিবি, সোস্সোতি বিবি । শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান । মহাদেব সারা গায়ে ছাই মেখে, পাক্কা সাহেব । মহিষাসুর তো আছেই ! পুরো ঝক্কাস- সাহেব, বিবি, গোলামের থিম্ । এরা আবার থিম্ পুজো দেখাচ্ছে ! হুঁ !
    ছোটবেলায়, বাবার হাত ধরে পুজোর প্যান্ডেলে গেছিলাম । হঠাৎ দেখি, দুজন দুবলা পাতলা লোককে, বাবা দুহাতে চেপে ধরে- পকেটমার বলে চেঁচাচ্ছেন । পাঁড়ে “জি” কনস্টেবল দৌড়ে এসে বলল- কেয়া হুয়া “জি” ?
    ওই দুই মক্কেলের ছাড়ানোর লাফা লাফিতে বাবা, হাঁপাতে হাঁপাতে “বি”ড় “বি”ড় করে বলল:- পকেটমার !
    পাঁড়ে “জি” চুলের মুঠি ধরে আরেকজনের জিম্মায় দিয়ে জিজ্ঞাসা করল ওদের :-
    -নাম কেয়া রে ?
    -আজ্ঞে, নকুল চ্যাটার্জ্জি !
    -ঔর তেরা ?
    -আজ্ঞে, দানা ব্যানার্জ্জি !
    -এঃ ! চোরি করতা, আওর নাম কি পিছে “জি” লগাতা? বোল- চাটার, ব্যানার !!!!
    তবে, হ্যাঁ ! জীবনের প্রথম শক, বিয়ের পর বৌকে নিয়ে প্রথম দুগ্গাপুজো দেখা ! সেলসে চাকরি । ছুটি পাবো কিনা ঠিক ছিল না ! কোচবিহার শহরটা তো আর কাছে নয় ।
    বিয়েতে, আমার বৌয়ের এক বান্ধবী আসতে পারে নি । রিক্সাতে আমাদের দুজনকে দেখেই তার প্রথম প্রতিক্রিয়া :-
    এঃ ! বরটা না হয়, ছুটি পেয়ে আসতেই পারে নি , তাই বলে চাকরকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিস ।
  • jhumjhumi | 127.194.238.125 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ০০:২৫670686
  • ঘনাদা ঃ-)
    কথায় বলে গপ্পো বলবো তো অপ্পো কেন ?
  • ডিডি | 132.167.2.174 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ০৮:৪৩670688
  • সবে মাত্র ষষ্ঠী কাটলো।

    পুজোর প্যান্ডেলে কিছু মুখ, যে গুলি শুধু বছরের এই তিন চার দিনই দেখি, অন্য সময়ে নয়। আবার দেখি। ছোটো ছেলেটা দিব্বি বড়ো হয়ে গেলো। কন্টেম্পোরারীরা বুড়োটে। স্টল গুলও চেনা। একই সব কিছু চলে আসছে বছরের পর বছর।

    বং অ্যাসে গান গাইলেন স্বল্পখ্যাতা অরিন্দম ও প্রিয়াংকা। নাকি মুম্বাই থেকে এয়েছেন। হবেও বা। হয়তো ভালো গায়। কিন্তু বছরের পর পর বছর বিভিন্ন গায়ক/গায়িকা/ব্যান্ড সেই একই গান করেন।

    একটি উদ্বোধনী রবীন্দ্রসংগীত। তার পরেই ঝিং কুরু কুরু। জাতীয় ঝিং কুরু সংগীত হচ্ছে "বারান্দায় রোদ্দুর"।

    তারপরে আব্দার হয় "তোমার দেখা নাই রে" সবাইকে গাইতে হবে। কিছু মাজ বয়সী,বেশীর ভাগই মোটকা, নাচতে থাকেন। তারপর আরো কিছু হাই স্পীড গান হয়। "সাধের লাউ","বালা নাচো তো দেখ্খি" এইসব পপ লোকোগীতি হয়।

    নিজামের দোকানে রোল খেয়ে বলতে হয়"পাঁটার স্ট্যান্ডার্ড কমে আসছে"।

    আরো তিন দিন।
  • pharida | 192.68.95.107 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ০৯:৩৯670689
  • ডিডি র সব কথায় ক ক ক ক ক ...।।

    ফারাক এখানের কালিবাড়িতে প্রতীক চৌধুরি এসেছিল - তার আগে ম্যাজিক শো, তারও আগে "রবীন্দ্রনাথের সামান্য ক্ষতি" হল। কবিতার মাঝে মাঝে রবীন্দ্রসঙ্গীত দেওয়া ছিল - পাঁটার মাংসে সন্দেশের টুকরোর মতো, তবে গানগুলি গাওয়া হয়েছিল এই যা পেন ড্রাইভে রাখেনি।

    আনন্দমেলা ছিল - তবে ভেজ, নারকেল ঘুগনি, মোচার চপ, আলুর চপ, লবঙ্গলতিকা, কড়াইশুটির কচুরি আশাতীত কম দামে সাঁটানো হল - স্বাদেও ভাল ছিল।

    আজকাল চ্যাপ্টা ডিজিটাল ক্যামেরারা পালিয়েছে - সবাই পেন্সিল বাক্সের মতো মোবাইলে দনাদ্দন ছবি তুলে যাচ্ছে। চেনা মানুষের সঙ্গে দেখা হতে সেই গত পাঁচ বছরের চেনা কথাবার্তাই হল - এদিকে পরিবর্তন আসেনি এখনো।
  • কেলো | 111.210.241.58 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১০:২২670690
  • আমি টিকিট কেটে পুজো দেখার বিরুদ্ধে।

    http://www.bartamanpatrika.com/archive/2012/october/181012/content/main6.htm
    তাই এবার অন্তত ওই লিস্টেড ২৫ টি পুজো আমি কিছুতেই দেখব না।
    টিকিট কেটে পুজো ভাল কি মন্দ, ওই প্রথা ভবিষ্যতের পক্ষে অনিবার্য্য কিনা, বারোয়ারী পুজোর টিকে থাকার পক্ষে এটা কতটা প্রয়োজনীয়, সেটা নিয়ে সূক্ষ ইকোনমিক্সের তক্কো আপনারা করুন গে। আমার 'টিকিট কেটে পুজো' - ব্যাপারটা মোটে ভাল লাগছে না।

    সপ্তমীর সকালবেলায় তাই পুজোমন্ডপে না গিয়ে কফি হাউসে জমিয়ে বসব....
  • ব্যাং | 69.93.246.111 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১১:২৬670691
  • ঐ পঁচিশটা পুজোর অর্ধেকেরও বেশি দেখে ফেলেছি, কেউ টিকিট কাটতে বলে নি তো। দিব্যি বিনা পয়সায় ঠাকুরগুলো দেখে এলাম।
  • Paramita | 132.179.52.176 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১২:০৪670692
  • বেঙ্গালুরুর পুজো ক্যালিফোর্নিয়ার চেয়েও নিস্তব্ধতায় কাটাচ্ছি। টিভিতে কলকাতা দেখা, আর ফোনে ক্যালিফোর্নিয়ার উইকেন্ড পুজোর রিপোট নেওয়া। ধুস্‌। পস্তাচ্ছি কেন গত দু বছরের মত এবারও কলকাতায় গেলাম না। তবে পরশুই পালাবো শহর থেকে দূরে, সেটাই আশার কথা
  • | 127.194.84.68 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১২:৩৮670693
  • আবে ব্যাঙ, তাড়াতাড়ি দেখার জন্যে পয়সা লাগবে গুরু।
  • | 127.194.84.68 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১২:৫২670694
  • আমি অনেক দিন থেকে ল্যাদ খেয়ে ঠাকুর দেখতে যাই না।

    তা এবার ঠিক করলাম যাবো। আমি,কেয়া,সঞ্জীব, পার্থ , ও র বৌ কেয়া আর ওদের ছেলে এই ছ জন মিলে টিম। সুমো টা এসে গেছে ১০ টাই।

    কিন্তু দু পিস মহিলা মেক আপ করতে একটু সময় নিয়ে নিলেন। তাই গাড়ি তে উঠতে উঠতে ১০ঃ৩০। প্রথম ঠাকুর বাগবাজার। মাঠের মধ্যে সাবেকী এক চালার প্রতিমা। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।মাঠের মধ্যে আলুঅকাবলি,ফুচকা,ভেলপুরী,রোল,ঘুগনি ইত্যাদি নিষিদ্ধ খাদ্যের হাতছানি। অবোধ মন কে বোঝালাম ওরে সারা রাত আছে। এখনই অত উথলা হবার কিছু নেই।

    তা আমাদের সঞ্জীব আর পার্থ দু জনের ই ধারনা ওদের মতো রাস্তা কেউ জানে না। একজন বলে চালতা বাগান দেখবে বাঁ দিকে নিয়ে নাও। আরেক জন বলে ডান দিকে। ড্রাইভার ঘেঁটে ঘ।
  • ব্যাং | 69.93.255.226 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১২:৫৪670695
  • আমি এখনো অব্দি কোত্থাও তাড়াতাড়ি ঠাকুর দেখার জন্য টিকিট বিক্রি করতে দেখি নি। এমনকি সুরুচি সংঘেও দেখি নি।
  • | 127.194.84.68 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১২:৫৭670696
  • ও টা মনে আগে থেকে সংগ্রহ করতে হবে। বিভিন্ন শারদীয়া তে VIP পাস দিয়েছে কয়েক টা বিখ্যাত পুজোর । ভ্যালিড এক জনের জন্যে।
  • ব্যাং | 69.93.255.226 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১৩:০৮670697
  • সে তো প্রতিবছরই দেয় শারদীয়ার সাথে ফ্রী (মানে গত দুই-তিন বছর ধরে দেখছি) । এর সাথে টিকিট কাটার কী সম্পর্ক?
  • | 127.194.83.167 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১৮:০৭670699
  • যা বুঝলাম পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েক টা পুজো এটা শুরু করেছে যদি খানিক ট পয়সা উঠে এই ধান্দায়। খুব ডিটেলস জানি না।
  • রাকৃভ | 125.187.60.192 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ১৮:৫২670700
  • সপ্তমীর ডায়েরী:-
    ঢাকের শব্দে ঘুম ভাঙ্গল ভোর পাঁচটায় । কর্ণপটহ বিদীর্ণকারী এই শব্দে, যে কোনো পরলোকগত আত্মাও খাঁচাছাড়া হতে পারে । “দেবী”র নাকি ঘুম ভাঙছে ।
    বেরিয়ে দেখলাম, গতকাল থেকে সেই যে দেবী প্যাটপ্যাট করে তাকিয়ে আছে, পলক আর পড়ে নি । সাথে সঙ্গী- সাথীরা ।
    কাঁসির শব্দটা অবশ্য চেনা । গত চল্লিশ বছর ধরে রোজ শুনে শুনে অভ্যস্থ । তাই, ওটা সয়ে গেছে । “ কাংসবিনিন্দিত” কণ্ঠ কি আর সাধে বলে !!!!!
    সেই কণ্ঠ থেকে আদেশ হল- বাজার যাও ।
    রবি, সেই যে গতকাল থেকে টায়ার পাংচারের নাম করে ভাগলবা, সকালেও ইষ্টাণ্ডে আসে নি । কেনারাম মণ্ডল, ছোঁ মেরে আমার হাত থেকে থলিটা কেড়ে নিল ।
    হরি, গুনগুন করছে :- কি মাছ ধইরল্যা গুরু বঁড়শি দিয়া !
    আমি বলার আগেই কেনা বলল:- হরিদা, দুটো চা ।
    আমাকে হরির জিজ্ঞাসা :-
    -দেবো ?
    -কি ?
    -চা !
    -ও ! তাই বল ! তা দিবিই তো !
    মুখশুদ্ধি করে, রিক্সায় রওনা দিলাম । একটু অন্যমনস্ক ছিলাম । হঠাৎ একটা গাড্ডায় পড়ে রিক্সাটা বিরাট ঝাঁকুনি দিল । একটু হলেই, আমি পপাত ধরণীতলে ।
    ধাতস্থ হয়ে, কেনাকে বললাম
    -গাড্ডাটা দেখতে পারিস নি ?
    -কোইত্ থেকে দ্যাকবো ?
    -কেন রে ? চোখ বন্ধ করে রিক্সা চালাস নাকি?
    -হয় !
    -কেন রে ?
    -হুই যে ... বাবু !
    -কেন? উনি কি ক্ষতি করেছেন তোর ?
    -কি আর করবেন ? তবে ওনার মুখ দ্যাকলে দিনটা ভাল যাবে না । এই যে আজ সপ্তমীর সকালে দেকি, ছেঁড়া জামা আর পাজামা পরে বাজার যাচ্ছেন । হরি জিগ্গেস কইরলো – আজ অন্তত একটু ভালো জামা কাপড় পরুন !
    -তা কি বললেন ..... বাবু ?
    -বইললেন- ধোপার খরচ তুই দিবি ???
  • dd | 132.167.43.127 | ২১ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৩৫670701
  • মাত্র দু দিন শেষ করলাম। বাবাগো। আরো দু দিন আছে।

    ধরুন কি খেলাম যদি জানতে চান তো এক অখ্যাত দোকানের স্রেফ পাঁটার ঝোল আর ভাত খেলাম দুপুরে। নির্ভেজাল সর্ষের তেল আর হলুদে আর লাল লংকায় মাখামাখি পাঁটার ঝোল। খেয়ে মনটা উদাস হয়ে গ্যালো।

    রেতের বেলায় স্বাত্তিক ভাবে লুচি ,আলুদ্দম,ল্যাংচা।

    দেখলাম ছৌ আর একটা সিনেমার উপর করা নৃত্যগীতি। ছৌ দল এসেছে শান্তিনিকেতন থেকে। সবাই মুগ্ধ। শুধু আঁতেলদা দাঁত কিড়মিড় করে চটেই অস্থির "আরে আমি অযোধ্যাপাহাড়ে বুড়ো জ্ঞান সিহের ছৌ নাচ দেখিছি। আহা কি জিনিস। আর এ তো শহুরে রাবিশ" তিনি আবেশে চোখ বোজেন "সন ১৯৬৫। সেই ছৌ। ক্ষী কর্কশ আর রুক্ষ, গেঁয়ো ছিলো সেসব নাচ।"

    দেখি, কাল সকালের শিফটে ছুটি থাকে কি না।
  • শ্রী সদা | 127.194.195.147 | ২২ অক্টোবর ২০১২ ০০:১২670702
  • ক্ষী ভিড় । আজই প্রথম এবং শেষবারের মতো ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম এ বছর। আর না। বাকি দুটো দিন ল্যাদ, আড্ডা আর ইসে পানের উপরই কাটিয়ে দেব ঠিক করেছি।
    দশমীর সকালে বহরমপুরের ট্রেন ধরবো। ত্রয়োদশীতে সকাল সকাল ফিরে আবার অফিস ঃ(
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ২২ অক্টোবর ২০১২ ১৩:২৪670703
  • কাল সুদূর নয়ডা থেকে গাড়ী করে দৌড়তে দৌড়তে দিল্লী গেছিলাম। নেহরু প্লেসে গাড়ী রেখে হাঁটতে হাঁটতে সি আর পার্ক। বৌ কে আদরমাখা গলায় বললাম, 'ওগো, একটু জোরে পা চালাও, লগন যে বয়ে যায় প্রায়'। বৌ প্রতুত্তরে ঝাঁঝিয়ে উঠলো-'চোপ, সন্ধে পর্যন্ত ষাঁড়ে মত যখন ঘুমোচ্ছিলে তখন কোথায় ছিলো তোমার তাড়া?'। আমি একতাড়া দীর্ঘশ্বাস চেপে রেখে দিলাম বুকের মাঝে। ছুটির দিনের প্রলম্বিত দুক্কুরবেলার শান্তির ঘুম ঘুমানোর স্বাধীনতাও আর রইলো না। থাক। পামপোসের বাসস্টপের দিক দিয়েই সি আর পার্কে ঢুকলাম। কি বলবো মশাই। রাস্তায় ভীড় ই তেমন নাই। ভেবেছিলাম গলগল করে রাস্তাভরে লোকে কলবল করতে করতে যাবে, প্যান্ডেলে ঢুকার জন্য ইয়াব্বড় লাইন পড়বে, তবেই না ঠাকুর দেখা। নইলে আর এতো রাস্তা ঠেঙিয়ে সি আর পার্ক আসা কেন?

    সি আর পার্কে ঢুকে প্রথমেই গেলাম ডানদিকে। প্যান্ডেল ম্যান্ডেল মন্দ করেনি। কিন্তু লাইন কোথায়? লাইন? হতাশ হয়ে সুড়ুৎ করে ঢুকে পড়লাম। বৌ মুখ বাঁকিয়ে বললো,' এই তোমার দিল্লীর পুজো? আমাগো কলকাতায় কত্ত লোক হয়। কত্ত লম্বা লাইন পড়ে'। আমি আরেকটু এগোই। এর পরের পূজো দেখলাম কার বাড়ীর বারান্দায়। এখানেও লাইন নাই। ঢুকে ঠাকুর দেখেই আবার হাঁটা। আর একটু হাটতেই দেখা গেলো জমকালো প্যান্ডেল।'বুঝলে, এখানে নিশ্চই লাইন পড়বে, কত্ত বড় প্যান্ডেল। অর্কেস্ট্রাও থবে নিশ্চয়'। কিন্তু কোথায় কী। হায়, কুড়ি বাড়িয়ে ২০-২৫ জনের লাইন। হতাশ হয়ে ঢুকে যাই প্যান্ডেলে। বৌ আবার মুখ বাঁকিয়ে বলে ' এই তোমার দিল্লীর পুজো? আমাগো কলকাতায় কত্ত লোক হয়। কত্ত লম্বা লাইন পড়ে'।

    আমি রেগেমেগে কালিবাড়ির দিকে রওয়ানা হ্লাম। বৌ বললো,' এই তো লাইন পড়েছে দেখছি এখানে'। মনতা হাসিখুশি হয়ে যায়। হা হা লাইন পাবোনা মানে। কিন্তু লাইনটা একটু বেশীই লম্বা নয় কি? অনেকটা দুরে গিয়ে ইউ টার্ন নিয়ে এসেছে। তা আসুক। আমরা শান্তিতে লাইনে দাঁড়াই। লাইনচরিৎ আপনারা জানেন তো? একশ্রেণীর লোক আছে যারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। সুযোগ পেলেই দুড়ুম করে বাইরে থেকে মাঝখানে সিঁধিয়ে যায়। আর ক্ষনস্থায়ী মানসিক প্রশান্তিতে ভোগে। আরেকশ্রেণীর লোক আছে, যারা এসব পারেনা। গুটিগুটি পায়ে লাইনের পিছনে গিয়ে দাঁড়ায়। পেছন থেকে আসা লোকজনদের গলে সামনে এগিয়ে যাওয়া দেখে। দেখে জ্বলে। আর সুতীব্র যন্ত্রনায় ডুবে যায়। আমি এই দ্বিতীয়শ্রেনীর লোক। জ্বালায় জ্বলতে জ্বলতে পা ব্যাথা হয়ে যায়। পাক্কা তিরিশ মিনিট লাইন দিয়ে শেষমেস ঢুকে পড়ি প্যান্ডেলে। বৌকে শুধোলাম, 'কি? লাইন দেখলে তো?' বৌ মিনমিন করে কি বললো বোঝা গেলনা। ততক্ষণে তলপেটে চাপ বেড়েছে, টয়লেটে না গেলেই নয়। আমি তো ঢুকলাম আর বেরোলাম। কিন্তু লেডিজ টয়লেটে? ওদিকে লম্বা লাইঅন। এটাই শেষ লাইন। আর জানেন ই তো, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। আমি দাঁড়িয়েই আছি দাঁড়িয়েই আছি। বৌ লাইন শেষে বেরোলো ঝাড়া চল্লিশ মিনিট পরে। একগাল হেসে অবশেষে স্বীকার করলো,'বাপরে, কি লম্বা লাইন!!'
  • বলরাম হাড়ি | 24.99.249.72 | ২২ অক্টোবর ২০১২ ১৯:৩১670704
  • গোটা চল্লিশ পুজোর ভি আই পি পাসের বই পেলাম। প্রতি পাসে পাঁচজনের প্রবেশ।
  • pharida | 192.68.108.98 | ২২ অক্টোবর ২০১২ ২০:৩৫670705
  • হাড়ি একাই দু'শ :))
  • aka | 178.26.203.155 | ২২ অক্টোবর ২০১২ ২০:৪৮670706
  • এইটা হেবি দিল। ঃ))
  • ;-{D | 127.194.196.131 | ২২ অক্টোবর ২০১২ ২১:২৮670707
  • অচিরেই কাগজে চাকরির সুফল ও কুফল - বলে নন-ফিকশন লিখবে।
  • bb | 24.99.149.135 | ২২ অক্টোবর ২০১২ ২৩:০৬670708
  • বাগবাজার সার্বজনীন দেখতে গিয়েছিলাম রাত ২টার সময়। মূল মন্ডপের একপাশে বেশকিছু মা আর বাচ্চাকে শুয়ে থাকতে দেখে খুব খারাপ লাগছিল।
    সবাই যখন আনন্দে মত্ত- তখন এই কিছু লোকের অবস্থা দেখে খুবই মনটা খারাপ হয়ে গেছিলঃ(।
    প্রায় ৬-৭ বছর পর কোলকাতার পূজা দেখলাম, একমাত্র ভাল জিনিষ যেটা চোখে পড়ল সেটা হল বাংলা গানের ব্যবহার। হিন্দী গান কোথাও শুনিনি।
  • h | 127.194.224.236 | ২২ অক্টোবর ২০১২ ২৩:২৪670710
  • ঃ-)))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন