এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হিন্দু পরিবারের অন্দরে মুসলিমবিদ্বেষ চর্চার ডিসকৌর্সঃ মহিলাদের শাসনে মুসলিমবিদ্বেষের জীবিত থাকা

    Raju
    অন্যান্য | ১২ জুন ২০১৫ | ৭৮০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Raju | 195.62.188.148 | ১২ জুন ২০১৫ ২১:২৬678381
  • “বাঙালি (হিন্দু) পুরুষ ইংরেজ রাজত্বের আগে একমাত্র মুসলমান নবাবের কর্মচারী হইলে মুসলমানী পোশাক পরিতো, উহা অন্দরে লইয়া যাওয়া হইতো না। বাহিরে বৈঠকখানার পাশে একটা ঘর থাকিতো, সেখানে চোগা-চাপকান-ইজার ছাড়িয়া পুরুষেরা ধুতি পরিয়া ভিতরের বাড়িতে প্রবেশ করিতো। তাহার প্রবেশদ্বারে গঙ্গার পানি ও তুলসীপাতা থাকিতো, ম্লেচ্ছ পোশাক পরিবার অশুচিতা হইতে শুদ্ধ হইবার জন্য পুরুষেরা গায়ে গঙ্গার পানি ছিটাইয়া মাথায় একটা দুইটা তুলসীপাতা দিতো।” (সূত্র: আত্মঘাতী বাঙালী, নীরদ সি চৌধুরী, পৃষ্ঠা ৫০)
    -
    এখানে চিন্তার বিষয়টি হচ্ছে, কেন মুসলমানী পোষাক নিয়ে হিন্দু পুরুষেরা তাদের অন্দরে প্রবেশ করতে পারতো না? কারা তাদেরকে প্ররোচিত করতো গায়ে গঙ্গার পানি ও তুলসীপাতা দিতে?
    সুলতান মাহমুদ গযনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন ভারত অভিযানে এসেছিলেন, তখন উনার সফরসঙ্গী ছিলেন মহাজ্ঞানী আবু রায়হান আল বিরুনী। আল বিরুনী উনার সফরলব্ধ অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে লিখেছিলেন ‘তাহক্বীক্বে হিন্দ’ বা ‘ভারততত্ত্ব’ কিতাবটি। ১০৩১ ঈসায়ীতে তথা আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগে লেখা সেই কিতাবে উল্লেখ করা রয়েছে, “মুসলমানদের নাম শুনিয়ে, মুসলমানদের পোশাক পরিয়ে, মুসলমানদের চেহারার নকল করে হিন্দুরা শিশুদের ভয় দেখায়।”
    (সূত্র: ভারততত্ত্ব, আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ সম্পাদিত, দিব্যপ্রকাশ, পৃষ্ঠা ৬)
    -
    হিন্দু পরিবারের শিশুদের মনে ছোটবেলা থেকেই মুসলমানদের প্রতি ভয় ঢুকিয়ে দেয়ার এই কাজটি করতো কারা? একটু ফিকির করলেই বোঝা যাবে যে, এই কাজটি করতো হিন্দুদের মায়েরা। কারণ দৈত্য-দানোবের ভয় দেখিয়ে শিশুদের ঘুম পাড়ানোর কাজটি তো মায়েরাই করে থাকে। হিন্দু মায়েরা তাদের শিশুদের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়াতে হাজার বছর ধরে বলে এসেছে যে, “মুসলমানরা হচ্ছে দৈত্য! মুসলমানরা হচ্ছে অসুর!” নাউযুবিল্লাহ!
    -
    বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেবের আত্মজীবনীতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মুসলমানদের ব্যাপারে হিন্দু মহিলারা কতোটা উগ্র। তিনি লিখেছেন-

    “আমি (বঙ্গবন্ধু) যখন কোনো হিন্দু বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে যেতাম, আমাকে অনেক সময় তাদের ঘরের মধ্যে নিতে সাহস করতো না আমার সহপাঠীরা। একদিনের একটা ঘটনা আমার মনে দাগ কেটে দিয়েছিল, আজও সেটা ভুলি নাই। আমার এক বন্ধু ছিল ননীকুমার দাস। একসাথে পড়তাম, কাছাকাছি বাসা ছিল, দিনভরই আমাদের বাসায় কাটাতো এবং গোপনে আমাদের সাথে খেত। ও ওর কাকার বাড়িতে থাকতো। একদিন ওদের বাড়িতে যাই। ও আমাকে ওদের থাকার ঘরে নিয়ে বসায়। ওর কাকীমাও আমাকে (বাহ্যত) খুব ভালবাসতো। আমি চলে আসার কিছু সময় পর ননী কাঁদো কাঁদো অবস্থায় আমার বাসায় এসে হাজির। আমি বললাম, “ননী কি হয়েছে?” ননী বললো, “তুই আর আমাদের বাসায় যাস না। কারণ, তুই চলে আসার পর কাকীমা আমাকে খুব বকেছে তোকে ঘরে আনার জন্য এবং সমস্ত ঘর আবার পরিষ্কার করেছে পানি দিয়ে ও আমাকে ঘর ধুতে বাধ্য করেছে।” (সূত্র: অসমাপ্ত আত্মজীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান, পৃষ্ঠা ২৩)
    -
    বিভিন্ন বইতে হিন্দু বাড়িতে মুসলমান ঢুকতে না দেয়া সম্পর্কিত বর্ণনাগুলো মা-কাকী-ঠাকুরমা সম্পর্কিত এবং বাস্তব অভিজ্ঞতাও তাই বলে। পূজা-অর্চনা আর হিন্দুয়ানী যত কুসংস্কার রয়েছে, তার প্রত্যেকটিই এই একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ধরে রেখেছে এই হিন্দু মহিলারাই। এখনও মন্দিরে হিন্দুদের মহিলারাই যায়, পুরুষরা তেমন একটা যায় না। মুসলিম শাসনামলে হিন্দু পুরুষরা উপার্জনের স্বার্থে বাহিরে যে আট-দশ ঘণ্টা মুসলিম প্রভাবে থাকতো, তার পুরোটাই কেটে যেতো হিন্দু মহিলাদের দ্বারা দিনের বাকি সময়টিতে ঘরের মধ্যে প্রবল হিন্দুয়ানী পরিবেশ এবং মুসলিমবিদ্বেষী আবহের দ্বারা। অর্থাৎ গোটা ভারতবর্ষে হাজার বছর ধরে মুসলিম শাসন চললেও হিন্দুদের ঘরের ভেতরের যে মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দুয়ানী আবহ, তাতে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। কারণ সেখানে চলতো হিন্দু মহিলাদের শাসন।
  • dc | 132.164.24.214 | ১২ জুন ২০১৫ ২৩:৫৯678425
  • হোআইট সুপ্রিমেসিস্ট আর নিওকনদের লিস্টিতে হিন্দু মহিলাদেরও যোগ করতে হবে দেখছি। এই হিন্দু মহিলাগুলোর ষড়যন্ত্রেই বেচারা ফারাবিকে কেউ চিনতে পারলো না।
  • dc | 132.164.24.214 | ১৩ জুন ২০১৫ ০০:১২678436
  • চোখ বুজলেই দেখতে পাচ্ছি হিন্দু মহিলারা গম্ভীর মুখে তাকিয়ায় ঠেস দিয়ে বারঘরে বসে নায়েবমশায়ের কাছ থেকে হিসেব বুঝে নিচ্ছে। আর বছরে দুয়েকবার নিওএথিস্ট আর হোআইট সুপ্রিমেসিস্টরা এসে খোঁজখবর নিয়ে যাচ্ছে, ইসলামোফোবিয়া ঠিকঠাক চলছে কিনা।
  • a x | 138.249.1.202 | ১৩ জুন ২০১৫ ০০:৩২678447
  • এই লেখাটা আমি ঠিক বুঝলামনা। হিন্দু মহিলারা এগুলো হিন্দু পুরুষদের বিনা ইনস্ট্রাকশনে করতেন? এবং এইসব না করলে হিন্দু পুরুষেরা খুব খুশি হতেন?
  • নির | 122.79.35.87 | ১৩ জুন ২০১৫ ০১:৫২678458
  • রাজু মানে এটা তানিম মাহবুব রাজু তো। রহমতুল্লাহি আলাইহি এসব দেখেই বোঝা যাচ্ছে। হিন্দু মহিলা (a k a গণিমতের মাল) ধর্ষণকে হালাল করবার nতম যুক্তি এটি।
    অ:ট: রাজু তিনটে খুনের মধ্যে অাপনি কোনগুলোতে যুক্ত ছিলেন?
  • কথকঠাকুর | 11.187.62.243 | ১৩ জুন ২০১৫ ০৮:১০678469
  • আবার জুটেছে এই হিন্দুবিদ্বেষী মালটা? এটাকে পুলিশ ধরেনি? শিবের ত্রিশুলে গেঁথে দুপাক ঘুরিয়ে সতীর মাসিকের রক্তে চান করালে বিদ্বেষ কমবে।
  • PM | 59.14.118.253 | ১৩ জুন ২০১৫ ১০:৪৬678480
  • রাজুবাবুর পার্সপেকটিভ্টা ভাবলাম। খুব ভুল বলেছেন বলে মনে হয় না।

    আমার বৃহত্তর পরিবারের রেফারেন্সে বলতে পারি যে পুরুষদের থেকে মহিলাদের-ই মুসলিম আতঙ্ক বেশী। অথছ প্রতক্ষ কোনো কারন নেই।

    পুরুষরা কি এই ব্যাপরে নির্দেষ দিতেন? আমি অন্তত দেখি নি, বাবাদের জেনারেসন থেকে

    বাবাদের আগের জেনেরেসানে এই ভেদ শুধু মুসলমানদের জন্য ছিলো না, সব অন্য ধর্মের লোকেদের জন্য-ই ছিলো।

    একটা শোনা গল্প। বাবা তাঁর এক ফরাসী বন্ধুকে নিয়ে বড়ীতে (চন্দননগরে) এসেছেন। ঠকুমা কিছুতেই ভেতরে ঢুকতে দেবেন না।

    বাড়ির গঠনটা মাঝে একটা বিরাট উঠোন আর চারদিকে ঘর। শেষমেস বাবা বাড়ির উঠোনে টেবিল পেতে "ফুল মুন"দেখতে দেখতে প্রাকৃতিক পরিবেশে ডিনার করার টুপি দিয়ে সেযাত্রা সামলান। বাবার শিক্ষক ফাদার ফাঁলো কে নিয়েও অনুরুপ ঘটনা ঘটেছিলো। এগুলো ৭০ এর দশকের শুরুর গল্পো।

    বাবা ২-৩ বছর ফ্রান্সে থেকে ফেরার পরে গরুর হিসি খেয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়েছিলো ঠাকুমার নির্দেশে। আমার বাবা কিন্তু সম্পুর্ন নাস্তিক--আজও।

    আমার দাদু ৬০ দশকের সক্রিয় কম্যুনিস্ট। চীন
    যুদ্ধের সময় আন্ডার্গ্রাউন্ডেও ছিলেন শুনেছি। মায়ের বিয়ের সময় খেতে বসে হঠাৎ মাঝপথে উঠে পড়েন। কারন মামার এক বন্ধু পরিবেশন করছিলেন যিনি "শুদ্র" !!!!

    বাবা-কাকাদের জেনারেশন থেকেই শুরু হয় ইন্টার্কাস্ট বিবাহ। আমাদের জেনেরেসনে এসে ইন্টার স্টেট, মায় ইন্টার কান্ট্রি সব-ই হয়েছে।

    কিন্তু মুসলিম বিবাহের ট্যাবু এখনো কেউ ভাঙতে পরে নি। আমাদের ছেলে-মেয়েদের জীবনে আশা করি এই এটাও ভাঙবে।

    আমার মুস্লিম বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে এসে খেয়েছে, থেকেছে । কোনো সমস্যা হয় নি। কিন্তু মা খুব দরকারের সময়-ও একজন কাজের মাসীকে রাখে নি-মুস্ললিম বলে ( যদিও ঘোশিত কারন অন্য ছিলো)

    সব-ই পারিবারিক অ্যানেকডোট। তবে হয়তো কিছুটা হয়তো ট্রেন্ডকেও রিপ্রেসেন্ট করে
  • রাজু | 99.105.194.73 | ১৩ জুন ২০১৫ ১০:৫৫678491
  • আমি এখানে কোনও আপত্তিকর কথা লিখিনাই। বেশিরভাগ লেখাটাই বিভিন্ন বইয়ের উদ্ধৃতি। আমার নিজস্ব মতামত দিয়েছি অতি সংক্ষেপে। গোঁড়া রক্ষণশীল হিঁদু পরিবারে রক্ষণশীলতাটা অন্দর পর্যন্ত বজায় থাকতো। এবং সেটা অনেকটাই হিন্দু মহিলাদের সৌজন্যে। ছেলেরা বাইরে চাকরির জন্য মুসলিমদের সংস্পর্শে আসতো, ফারসী-উর্দূ ভাষা বলতো, মুসলিমদের পোশাক পরতো। ঘরে ঢোকার সংগে সংগে তাদের গঙ্গাপানিতে শুদ্ধ করে ধুতি পরানোর জবরদস্তি যারা করতো তারা হিন্দু মহিলা সমাজ। বাস্তব পর্যবেক্ষণ বলেই মনে হয়। ভদ্রভাবে পোস্ট করেছি। সম্ভব হলে ভদ্রভাবে মতামত দিতে অনুরোধ থাকলো।

    * PM - ভদ্রভাবে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। নীরদ সি চৌধুরি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, বিপরীত পক্ষের দুইজন মানুষ এই অবজার্ভেশানটিতে এক মত হয়েছেন তা কোটেশানে দেখিয়েছি। আমারও ধারণা অবজার্ভেশানটি খুব একটা ভুল ছিলো না।

    * কথকঠাকুর এর মন্তব্যটি অসুস্থ রুচির এবং আপত্তিকর।
  • কল্লোল | 111.63.72.165 | ১৩ জুন ২০১৫ ১৩:১০678502
  • আমার মা ভয়ানক ধর্মপ্রাণ বল্লেও কম বলা হয়, উনি বালক ব্রহ্মচারীর শিষ্য ছিলেন। প্রতি শনিবার কালিঘাট ও প্রতি মঙ্গলবার পঞ্চাননতলায় পূজো দিতেন। আমাদের গুষ্টিশুদ্ধ সবার কোষ্ঠি উনি করিয়েছিলেন। মাঝে মাঝেই আমাদের (আমি-বোন-ভাই) নানান মাদুলী পড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতেন। বাসায় লক্ষী, শালগ্রাম শিলা ইঃ ছিলো। বিপত্তারিণী, মঙ্গলচন্ডী, সত্যনারায়ণ এসবের খুবই প্রাদুর্ভাব ছিলো। কিন্তু আমাদের বাসায় কাজের লোক বলতে সক্কলে মুসলমান। রাবিয়াদিদি, মদিনাদিদি, সায়রাদিদি থেকে আজও মুন্নি, ফরিদা, মমতাজ সকলেই (যতদিন ফিল্টার হয়নি) খাবার জল আনতো ও বাটনা বাটতো। বাসন মাজা, কাপড় কাচা ঝাঁটপাট দেওয়া তো আছেই।
    মায়ের কোন রকম অসুবিধা তো দেখিনি। আমার ঠাকুর্দা, ঠাকুমা ও দিদিমারও কোন অসুবিধা দেখিনি। দাদু মারা যাবার পর দিদিমা আমাদের সাথেই থাকতেন।

    অপিস থেকে ফিরে বাইরের কাপড় ছেড়ে আমরা সবাই তো ঘরের কাপড় পড়ি। বাইরের কাপড় ধুতে দিয়ে দেই নয়তো হ্যাঙ্গারে টাঙ্গিয়ে রাখি। সে তো এখনো করি।

    মধ্যবিত্ত হিন্দু বাঙ্গালীদের মুসলমান নিয়ে ঝঞ্ঝাট চিরকালই ছিলো। কিন্তু ব্যাপারটা এতো সরলরৈখিক নয়।

    গল্প শুনেছি, কলেজের বন্ধু পাশাপাশি গ্রামে বাড়ি। বন্ধুর ছেলের ঘোর জ্বর শুনে হিন্দু বন্ধু সারা রাত জেগে জলপট্টি দিয়ে জ্বর কমিয়ে শীতের সকালে পুকুরে স্নান করে ঘরে ঢুকেছেন।

    তো?
  • san | 11.39.33.233 | ১৩ জুন ২০১৫ ১৩:৫০678382
  • মানে এতে আশ্চর্যের কি আছে ? এককালে মহিলাদের জীবন ছোট্ট গন্ডীর মধ্যেই কাটত , এক্সপোজার কিছুই ছিলনা , স্বাভাবিকভাবেই সংস্কার বেশি থাকত। এর আর হিন্দু-মুসলিম কি ?
  • - | 109.133.152.163 | ১৩ জুন ২০১৫ ১৯:৪২678393
  • আলাউদ্দিন খিলজিকে অন্দর মহলের পথ দেখালে হাজার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে, রানী হয়েও পদ্মিনীদের বেস্ট অপশন পড়ে থাকে জহরব্রত করা। ভারতের ইতিহাস হিন্দুমেয়েদের মান-প্রাণ রক্ষার দৃষ্টিতে দেখলে, হাজার বছরের মুসলিম শাসনের সময় (বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া) ওভার অল তো খুব সুখের কাল বলে চিহ্নিত করেননি!
  • PM | 233.223.159.103 | ১৩ জুন ২০১৫ ২০:২৭678404
  • আপনার মুল বক্তব্যে প্রতিবাদ না জানিয়েও বলি পদ্মিনী ঐতিহাসিক চরিত্র কি না সেই নিয়ে স্থির সিদ্ধান্ত নেবার মত প্রমান পাওয়া যায় নি। পদ্মিনীর জওহর ব্রত হয়তো লোককথা।

    আকবরের সময় থেকে উঘল আর রাজপুতদের মধ্যে এক চুক্তি হয়। রাজপুতরা মুঘলদের সাথে একসাথে যুদ্ধ করবে । জেতা রাজ্যের জমি পাবে উঘল। লুঠের মাল পাবে রাজপুতরা ।

    আজ আমরা যে সব প্রাসাদ পয়সা খরচ করে রাজস্থানে দেখতে যাই তার বেশীর ভাগ - বাংলা সহ নানা দেশের লুঠের মাল দিয়ে বানানো।

    মারাঠা বর্গীদের লুঠের কথা তো বলার কিছু নেই।

    তাই ১০০০ বছরের দুঃখের কালের কারন শুধু মুসলমানেরা - এটা বোধ হয় অতিসরলিকরন
  • Bratin | 122.79.35.43 | ১৩ জুন ২০১৫ ২০:৪৭678415
  • মুসলমান শাসনে হিন্দু নারী রা কি খুব সন্মানে থাকতেন পিএম?

    আজ থেকে তিন চারশো বছর পরে কেউ তোমার বলতে পরে ইন্দিরা গান্ধী কি এ ঐতিহাসিক চরিত্র ছিল তার কোন প্রমান অছে? ঃ))
  • - | 109.133.152.163 | ১৩ জুন ২০১৫ ২১:৪০678419
  • পিএম আকবরের সময় নিয়ে যখন কথাই তুললেন তখন চত্ব করে ঔরঙ্গজেবের সময় নিয়েও একটু কথা হয়ে যাক।
    আর শুধু মুঘলযুগ না মুঘলপূর্ব ইসলাম রাজত্বেও হিন্দু মেয়েদের "গপ্প"গুলিও। প্লিজ?
  • - | 109.133.152.163 | ১৩ জুন ২০১৫ ২১:৪৭678420
  • আর, মারাঠা লুঠের সঙ্গে মুসলমানদের অত্যাচারের তুলনা!! শেরশাহের ঘোড়াও ডেকে ডেকে হেসে উঠবে ঃ-)
    মেয়েদের অবস্থা মুসলিম শাসনে যে কতটা ভয়াবহ অবস্থায় যেতে পারে, আজকের সিরিয়া-ইরাক তার প্রমান। এরপর আর পদ্মিনী অবধি ইতিহাস খুঁজতে যেতে হবে না।
    হিন্দুমেয়েরা সেই ভয়াবহতা দেখেছে, শিকার হয়েছে, ইন জেনেরেল সতর্ক হয়েছে। ব্যক্তি আর ব্যাতিক্রম থাকেই, তা নিয়ে জেনেরাল ট্রেন্ডের আলোচনা হয় না।
  • cm | 116.208.115.180 | ১৩ জুন ২০১৫ ২২:৫৮678421
  • হিন্দু রাজত্বে মেয়েরা সুখে ছিল জেনে সুখী হলুম। রামমোহন কি আর সাধে আইনসভা আলোকিত করেছিলেন!
  • - | 109.133.152.163 | ১৩ জুন ২০১৫ ২৩:১০678422
  • ট্রোলিং করবেন্না।
    টই-এর টপিক দেখুন। রাজুবাবু মুসলিম বিদ্বেষ নিয়ে ডিসকোর্স চান, হিন্দু বা বৃটিশ প্রেম নিয়ে না ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.175 | ১৪ জুন ২০১৫ ০১:২৪678423
  • কিন্তু আকবর বাদশাহ যে বন্ধুত্ব করে হিন্দু রাজপুত রাজকন্যা বিবাহ করলেন! সেই ভদ্রমহিলা তো বাদশাহের বেগম হয়ে মুঘল প্রাসাদে নিজস্ব সখী/পরিচারিকাদের নিয়েই গেলেন, তাই না? এইসব পরিচারিকা/সখী ইত্যাদিরাও হয়তো অনেকেই মুঘল আমীর-ওমরাহদের বিবাহ করলেন, হতেই তো পারে, প্রেমে পড়েও করতে পারেন আবার সম্বন্ধ করেও হতে পারে। আফটার অল, তফাৎ তো আসলে কিছু তেমন নেই কতগুলো রিচুয়াল, ভাষা, পোশাক-আশাক, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি বহিরঙ্গের ব্যাপার ছাড়া!
    হ্যাঁ, সমাজে তো নানা কথা উঠতোই, রাজপুতদের বিভিন্ন নাকউঁচু গোষ্ঠীই তো এইভাবে ভিনদেশীদের কন্যা দিয়ে দেওয়াকে খুবই অপমানজনক মনে করতো, ক্ষেত্রবিশেষে আরো খারাপ, বলতো কোনো মতলবে করা হয়েছে, স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজপুত নায়করা কন্যা পৌত্রী ভেট দিয়েছে মুঘলদের। (বহু দ্বিজেন্দ্রনাটকে ঐ ধরণের কথোপকথন পাওয়া যায় রাজপুত চরিত্রদের মধ্যে)
    বিজয়ী-বিজিতের মধ্যে সম্পর্কে খাঁচখোঁচ থাকবেই।
    কিন্তু আকবরের আমলেই যখন মোটামুটি ভদ্র একটা আদানপ্রদান শুরু হয়েছিল, সেটা পরবর্তীকালে অমন ঘেঁটে গেল কেন? একা আওরঙ্গজেবকে দায়ী করে তো লাভ নেই, অন্য কোনো লবি নির্ঘাৎ সক্রিয় ছিল।
  • ranjan roy | 192.69.53.140 | ১৪ জুন ২০১৫ ০১:৩৫678424
  • কথকঠাকুরের বক্তব্য অসুস্থ মনের পরিচয়-- কোন সন্দেহ নেই।
    হ্যাঁ, আশি-নব্বইয়ের দশকেও হিন্দুঘরের মেয়েরা মুসলমান বন্ধুরা খেলে ওদের এঁটো বাসন অন্যদের থেকে আলাদা করে রেখে বাইরের কাজের লোক দিয়ে ধোয়াতেন। বিশেষ করে হিন্দিবলয়ে। পুরুষরা বাইরে একসঙ্গে হোটেলে খেতেন, ঘরে মুসলমান বন্ধুদের বাইরের ঘর অবধি সীমিত রাখতেন।
    ড্যশবাবু,
    এখানে সমকালীন সমাজে অন্দরমহলে হিন্দুমহিলাদের মুসলমান নিয়ে বিশেষ স্পর্শকাতরতার কথা হচ্ছে। আপনি পদ্মিনীর জহরব্রতের উল্লেখ করে কী বলতে চাইছিলেন সেটা বোধগম্য হল না।
    মানে, এই টইয়ের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক? পদ্মিনীর জহরব্রত দিয়ে আজকের বা গত শতকের অন্দরমহলে হিন্দু মহিলাদের মুসলিম স্পর্শকাতরতাকে ব্যাখ্যা করতে চান?
    আর আপনি যে দর্শনে বিশ্বাস করেন-নামরূপের উর্দ্ধে স্থানকালের উর্দ্ধে এক পরমসত্যে-- সেখানে কিসের হিন্দু?কিসের মুসলমান?
    "আল্লা-গড-ঈশা-মুসা-কালী নাম ভেদে বলে,
    এসেছে নতুন মানুষ দেখবি যদি আয় চলে"।
  • cm | 127.247.99.123 | ১৪ জুন ২০১৫ ০৬:২৯678426
  • বাজে বকলে নির্দেশ করা জরুরী। ঐ শীর্ষেন্দু বাবু বা আতোজের মতে সঞ্জীববাবুও যেমন মোলায়েম করে বাজে বকেন সেই রকম আর কি।
  • কল্লোল | 125.242.181.209 | ১৪ জুন ২০১৫ ০৬:৪১678427
  • পাঠান-মুঘল আমলে নারীদের অবস্থা কেমন ছিলো, এই নিয়ে কোন লেখা পত্তর আছে কি?
    নবাবী আমলে বাংলার নারীদের অবস্থা নিয়ে লেখাপত্তর?
    একটু পড়াশোনা করাই যাক।
    আর পদ্মীনীর কথা উঠলে, আনারকলীর কথাও আসবে, যাকে দেওয়ালে পুঁতে ফেলা হয়। সে কিন্তু মুসলমানই ছিলো।
  • cm | 127.247.99.123 | ১৪ জুন ২০১৫ ০৬:৪৯678428
  • রাজ্যবিস্তার আর তার পরে বংশবিস্তার এর কোন হিন্দু মুসলমান নাই। তবে ঐ ভাবে দেখতে/ দেখাতে চাইলে অবাক হইনা।
  • Bratin | 122.79.36.50 | ১৪ জুন ২০১৫ ০৯:০৫678429
  • কাম অন কল্লোল দা। একটা ডেটা পয়েন্ট দিয়ে কি প্রমান করা যায়? আর তাছাড়া পদ্মিনী আর আনারকলি র তুলনা হয় কীভাবে? আনারকলি র "অপরাধ" ছিল অন্য।
  • Bratin | 122.79.36.50 | ১৪ জুন ২০১৫ ০৯:১২678430
  • আমার প্রশ্ন ঃ ভারতবর্ষ নানান সনয়ে নানান জাতি এসেছে।কেউ থেকেছে কেউ চলে গেছে।তাহলে আজ এত বছর পরে হিন্দু দের সাথে মুসলমান সম্প্রদায়ের সম্পর্ক এত স্পর্শকাতর কেন? কোন ঐতিহাসিক সামাজিক রাজনৈতিক বা অন্য কারন?
  • s | 60.141.77.13 | ১৪ জুন ২০১৫ ০৯:৩৮678431
  • এখানে চিন্তার বিষয়টি হচ্ছে, কেন মুসলমানী পোষাক নিয়ে হিন্দু পুরুষেরা তাদের অন্দরে প্রবেশ করতে পারতো না? কারা তাদেরকে প্ররোচিত করতো গায়ে গঙ্গার পানি ও তুলসীপাতা দিতে?
    ---
    মুসলমানরা হিন্দুদের মত ধুতি পড়ে (পাঞ্জাবী সহিত বা বিনা) নিজেদের বাড়ীতে স্বচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করত এমন কোন ঐতিহাসিক তথ্য আছে?
    প্রশ্নটা মুসলমানদের পোশাক নিয়ে গোঁড়ামীর ব্যাপারেও বা উঠছে না কেন?
  • cm | 127.247.99.175 | ১৪ জুন ২০১৫ ০৯:৩৯678432
  • পোষাকের আবার হিন্দু মুসলমান কি?
  • | ১৪ জুন ২০১৫ ০৯:৪৩678434
  • বাহ চমৎকার পারস্পরিক বিদ্বেষের চাষ হচ্ছে দেখি।

    মহিলাদের অবস্থা যে কোনো ধরমের অধীনেই খুব খু ব খারাপ। ধরম জিনিষটাকে জাহান্নামে না পাঠালে মহিলাদের অসম্মান চলবেই।
  • | ১৪ জুন ২০১৫ ০৯:৪৩678433
  • বাহ চমৎকার পারস্পরিক বিদ্বেষের চাষ হচ্ছে দেখি।

    মহিলাদের অবস্থা যে কোনো ধরমের অধীনেই খুব খু ব খারাপ। ধরম জিনিষটাকে জাহান্নামে না পাঠালে মহিলাদের অসম্মান চলবেই।
  • cm | 127.247.99.175 | ১৪ জুন ২০১৫ ০৯:৪৭678435
  • রাজুবাবুর আসল এজেন্ডা মনে হয় লুঙ্গি।
  • | 24.99.197.59 | ১৪ জুন ২০১৫ ০৯:৫৫678437
  • মহিলা দের অসন্মামের জন্যে ধর্মের থেকে বেশী দায়ী আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সভ্যতা। চিরকাল আমরা নান ভাবে, নানা নিয়ম কানুন করে, বিধি নিষেধ আরোপ করে মহিলা দের দাবিয়ে রাখতে চেয়েছি। দোষ মূলতঃ পুরুষ দের ঃ হিন্দু ,মুসলিম নির্বিশেষে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন