এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হিন্দু পরিবারের অন্দরে মুসলিমবিদ্বেষ চর্চার ডিসকৌর্সঃ মহিলাদের শাসনে মুসলিমবিদ্বেষের জীবিত থাকা

    Raju
    অন্যান্য | ১২ জুন ২০১৫ | ৭৮১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 111.63.193.145 | ১৪ জুন ২০১৫ ০৯:৫৭678438
  • মুসলমান বন্ধু এলে তার এঁটো বাসন আলাদা ধোওয়া হতো। খ্রীষ্টান বা নমোশুদ্র বন্ধুদের এঁটো বাসন কি বাড়ির থালা বাসনের সাথে ধোওয়া হতো??

    মুসলমানেরা শাসক ছিলো। তাদের উপর বিদ্বেষ থাকতেই পারে। কিন্তু সেটা ওরম সরলরৈখিক ঘৃণা নয়।

    কে এক ইংরাজ রাজপুরুষ কলকাতার ভবানীপুরে কোন হিন্দুর অন্দরমহলে ঢুকেছিলেন বলে তাদের তো একঘরে করে দেওয়া হয়েছিলো।
  • | 24.99.197.59 | ১৪ জুন ২০১৫ ১০:০৮678439
  • উল্টো দিকের ছবি টা কেমন? হিন্দু রা যদি মুসলমান দের বাড়ি তে যায়।।সেখানে ট্রিটমেন্ট টা কেমন? জানি না। জানতে চাই।

    ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি আমার বিএসসি র একটি বন্ধু ।খুব ই ক্লোজ। মুসলিম। সে বহু বার আমার বাড়ি তে এসেছে।খেয়েছে।থেকেছে।অন্য বন্ধু দের থেকে তাকে আলাদা করা হয় নি। আমি ও বহু বার তার বাড়ি গেছি।থেকেছি। এমনি সময় এবং ইদে। ও জানে আমি গোমাংস খাবো না। তাই আমার(আমাদের) জন্যে আলাদা ব্যবস্থা থাকতো। কিন্তু এই ধর্ম কখন ই আমাদের বন্ধুত্ব কে প্রভাবিত করতে পারে নি।
  • সে | ১৪ জুন ২০১৫ ১০:২৭678440
  • "Name: ব IP Address : 24.99.197.59 (*) Date:14 Jun 2015 -- 09:55 AM"

    সহমত।
  • S | 139.115.2.75 | ১৪ জুন ২০১৫ ১১:০৯678441
  • "পোষাকের আবার হিন্দু মুসলমান কি?"

    পোষাক? গোঁফ দাড়ির পর্যন্ত্য হিন্দু মুসলমান হয়ে যাচ্ছে।
  • কল্লোল | 111.63.86.184 | ১৪ জুন ২০১৫ ১১:১৬678442
  • আমি যেসব মুসলমান বাড়িতে খেয়েছি, তারা বেশীরভাগই আমাদের বাসায় কাজ করতো। আমি ও আমার ছেলে গরু খাই, আমার বউ খায় না। আমার বউয়ের জন্য মুরগী হতো। ওদের বাসা খুব ছোট ছোট (মুসলমান বলে নয়, গরীব বলে), তাই বিছানাতেই খেতে হতো সতরঞ্চি বিছিয়ে। ওখানেই বড় বড় পিকদানীতে আঁচাতে হতো। সেটা আমাদের কাছে একটু অস্বস্তিকর হলেও, মানিয়ে নিতাম। ওদের দিক থেকে কোন অসুবিধা বুঝিনি বা বুঝতে দেওয়া হয় নি।
    তবে সেদিন একজনের উপন্যাস পড়ছিলাম। ১৯৪৭এর সময় পূর্ব বাংলা। সেখানে মুসলমান মাঝি হিন্দুদের ছোঁয়া খায় না - এরকম লিখেছে।
  • PT | 213.110.246.25 | ১৪ জুন ২০১৫ ১১:৪২678443
  • পোষাকের অবশ্যই হিন্দু-মুসলমান আছে। বিশেষতঃ বঙ্গীয় হিন্দু-মুসলমানদের ক্ষেত্রে।

    বাঙ্গালী হিন্দুর ধুতীর কাছা বনাম মুসলমানের লুঙ্গীর কাছাহীনতার দ্বন্দ্ব বহুকালের। বাঙ্গালী হিন্দু পরিবারে দীর্ঘকাল শালোয়ার-কামিজ নিষিদ্ধ ছিল-পোষাকের ইসলামিক সম্পর্কের কারণে। সম্ভবতঃ হিন্দু পরিবারে ছেলেদের পাজামা পরার ব্যাপারেও বিধি-নিষেধ ছিল। আর পুজো-পাঠের সময়ে সেলাই করা পোশাকের ওপরে নিষেধ এখনো জারি আছে।

    আমার এক পাকিস্থানী বন্ধুর সঙ্গে প্রায় দুবছর নিত্যদিনের ওঠাবসা ছিল। আমি তার বাড়িতে বহুবার খেলেও সে আমার বাড়িতে কোন দিন খায়নি-এমনকি লুচি-আলুরদমও না। কেননা যে "ভেজিটেবিল" তেল আমরা ব্যবহার করতাম সেসব খাওয়া তার নিষেধ ছিল। সে আমাকে জানিয়েছিল যে শাড়ী একটি অ-ধার্মিক (এবং ইসলাম বিরোধী) পোষাক, কেননা "পৃথিবী প্র্স্রাবের স্থান দেখতে পায়"!! ।

    ওঃ! বাঙালী হিন্দু ও মুসলমান মহিলাদের শাড়ি পরারও ফারাক আছে। তার সব চাইতে উল্লেখযোগ্য হল যে মুসলমান মহিলাদের ঘোমটা দিলেও দু কান ঘোমটার বাইরে রাখতে হবে যাতে সারাদিন কাজকম্মের মধ্যেও মেয়েদের কাণে আজানের ধ্বনি পৌঁছে যায়।
  • রাজু | 198.138.17.15 | ১৪ জুন ২০১৫ ১১:৪৬678444
  • এখানে কেহ জানতে চেয়েছেন বিপরীত চিত্রটি ক্যামন। সেক্ষেত্রে বলবো আমাদের মুসলমান সংস্কৃতিতে ব্রাহ্মণ্যবাদী ছোঁয়াছুয়ির চিহ্ন কখনোই ছিলো না। মহাগ্রন্থ আল কুরআন কিংবা হাদীস শরীফ গুলিতে কোথাও ছোঁয়াছুয়ির বর্বর প্রথার চিহ্নও নাই। বরং মুসলমানের সত্য ধর্মে ছোঁয়াছুয়ির বাধা না থাকায় হিন্দু-মুসলমানের সম্পর্কে মুসলমান যতটা এগিয়ে যেতে পেরেছে হিন্দুরা ততটা পারেনাই। সে কারণে হিন্দু-মুসলমান বিবাহের ঘটনাগুলিতে সাধারণত দেখা যাই মুসলমান ছেলেটি ছোঁয়াছুয়ির তত্ব না বুঝায় সেই আগে মেয়েটিকে ভালোবাসার কথা জানিয়েছে। যেখানে হিন্দুরা ক্রমশ ছোঁয়াছুয়ির বাতিকে ক্রমশ আরও আরও দূরে সরে গ্যাছে মুসলমানদের থেকে।

    নিঃসন্দেহে এতে হিন্দু মহিলাদের অবদান আছে। কারণ ইতিহাসের যেসব দলীল তুলে ধরা হয়েছে তাতে এটি স্পষ্ট যে মুসলিম শাসনে একজন হিন্দু ছেলের তাদের ধর্মের হাজারো কুসংস্কার ছেড়ে সভ্য মুক্ত মনের হওয়ার অনেক সুযোগ ছিলো যখন সে কাজের জন্যই আট-দশ ঘন্টা মুসলমান সংস্পর্শে থাকতো। কিন্তু তার পুরো প্রভাবটিই নাকচ হয়ে যেতো অন্দরে হিন্দু মহিলাদের শাসনে। এ ঘটনা ঐতিহাসিক বাস্তব। অস্বীকার করার উপায় বোধহয় নাই।
  • | 24.99.197.59 | ১৪ জুন ২০১৫ ১২:০৩678445
  • ঐতিহাসিক বাস্তব আরো অনেক আছে। তার পেছনে কারন ও অনেক। শুধু হিন্দু নারী দের সেখানে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
  • PM | 53.251.91.101 | ১৪ জুন ২০১৫ ১২:০৮678446
  • "আমার প্রশ্ন ঃ ভারতবর্ষ নানান সনয়ে নানান জাতি এসেছে।কেউ থেকেছে কেউ চলে গেছে।তাহলে আজ এত বছর পরে হিন্দু দের সাথে মুসলমান সম্প্রদায়ের সম্পর্ক এত স্পর্শকাতর কেন? "

    এইটা খুব জরুরী প্রশ্ন। নান দৃষ্টিকোন থেকে এর ব্যাখ্যা করা যায়। আমার ব্যক্তিগত মতামত এই

    ১। ইসলাম কোনো ব্যক্তিগত বিশ্বাস নয়। এটা মুসলিম দের আচার ব্যবহার জীবন যাপন সব কিছু নিয়ন্ত্রন করে। ইসলাম যে সংস্কৃতি প্রোমোট করে সেটা এদেশের মাটি থেকে উঠে আসে নি-তা সুদুর মদ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতি। তার অনেক কিছুই এদেশের মানুষের কাছে এলিয়েন বলে মনে করে। অবাধ মিশ্রনের জ্ন্য এটা একটা বড় বাধা।

    ২। ইস্লামী সংস্কৃতি অনেকাংশে জরিত সরাসরি কোরানের ( সরাসরি ইস্বরের বানী আর নির্দেশ) বা হাদিস ( পয়্গম্বরের যিবন আর বানী)। এই দুটো থেকে কোনো দেভিয়েসন হলে আপনি মুস্লিম নন। তাই ইস্মামের ভারতীয়করন সেই রেটে হয় নি যেভাবে হবার কথা ছিলো। তাই অংস্কৃতি গত ভাবে একটা তেল- জলের মতো ব্যপার ১০০০ বছর বাদেও রহে গেছে।

    ৩। গীতা আর কোরান কিন্তু এক ক্যাটাগোরির নয়। সারা জীবনে গীতার একটা লাইন না শুনেও কেউ হিন্দু থাকতে পরে। ৩৩ কোটি দেবতার একজনের সাথেই গীতা জড়িত। গীতার বক্তব্যের সম্পূর্ন বীপরীত নির্দেশ অন্য দেবতার নমে চালিয়ে আপনি সেটা মেনেও হিন্দু থাকতে পারেন।কিন্তু ইসলামে ঈশ্বর এক আর তাঁর সরাসরি নির্দেশ হলো কোরান। কোরানের নির্দেশের বিরুদ্ধে কিছু করা মনে ঈস্বর অবমাননা। সুতরং কিছু যদি স্থান কাল সাপেক্ষে মানানসই নাও মনে হয় তবু-ও তা অলংঘ। তাই অন্য জনগোষ্ঠির সাথে সম্পুর্ন মিশে জাওয়া ইস্লাঅম ধর্মাবলম্বীদের অন্যদের তুলনায় বেশী কঠিন।
  • ranjan roy | 192.69.53.140 | ১৪ জুন ২০১৫ ১২:১৭678448
  • রাজু এইবার নিজের এজেন্ডায় ফিরে এসেছেন!
    এবং যথারীতি 'ঐতিহাসিক বাস্তব' বলে নিদান হেঁকেও তথ্যের বদলে নিজের ভ্যালু -জাজমেন্ট দিচ্ছেন।
    সবচেয়ে বড় দুটো উদাহরণঃ
    ক)"মুসলমানের সত্য ধর্মে ছোঁয়াছুয়ির বাধা না থাকায় হিন্দু-মুসলমানের সম্পর্কে মুসলমান যতটা এগিয়ে যেতে পেরেছে হিন্দুরা ততটা পারেনাই।"
    খ) "মুসলিম শাসনে একজন হিন্দু ছেলের তাদের ধর্মের হাজারো কুসংস্কার ছেড়ে সভ্য মুক্ত মনের হওয়ার অনেক সুযোগ ছিলো "???
    চরম হাস্যকর।

    --১) প্রত্যেক মানুষের কাছেই তার নিজের ধর্ম সত্য ধর্ম,--- সে হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখ-জৈন-পারসিক -মুসলমান -ক্রিশ্চান, যাই হোক। তাই পাবলিক ডিসকোর্সে নামলে নিজের ধর্ম সত্য, অন্যটি অসত্য বলে শুরু করলএ আলোচনা এগোবে না।
    ২) প্রত্যেক ধর্মেই কুসংস্কার আছে, তা বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন মানব সমাজের দান। হিন্দুধর্মেও আছে, ইসলামেও আছে।আর মুসলমান সমাজের "সভ্য মুক্ত মনে"র মনোপলি? কত্তা ঘুড়ায় হাসব!
    মাংস হালাল না হলে খাওয়া যাবে না, স্লটার হাউসের মেশিনে কাটলেও না-এটা কোন সু-সংস্কার?
    মেয়েদের মাথা ঢেকে বা বুর্কা পরে শরীর ঢেকে চলতে হবে --এটা কোন সভ্য আচরণ? ২১ শতাব্দীতে?
    ধর্মের নামে ধর্ষণকারী শ্বশুরকে একবছর স্বামী হিসেবে স্বীকার করতে হবে--এটা কোন দেশি সভ্যতা?
    পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারবে আর মেয়েরা নয়, কিন্তু পুরুষ তিন তুড়িতে তালাক দিতে পারবে এটা কোন সভ্যতা?
    প্লীজ রাজুবাবু! আপনি অন্যদের সভ্য করার চেষ্টা না করে নিজেই সভ্য থাকুন গে'।
  • 0 | 132.163.49.4 | ১৪ জুন ২০১৫ ১২:৩৫678449
  • বেশ কিছুদিন আগে, সম্ভবতঃ 'দুখে', কোন একটা টইতে লিখেছিলেন যে, হিন্দু বাঙালীদের (হিলেলি'রাও এর মধ্যেই আছে) অনেকেই নানান মিশনারি স্কুলে পড়েছেন, উচ্চশিক্ষিত-প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, alma mater সম্পর্কে ভালোবাসা, গর্ব, এসব আছে।
    কিন্তু মাদ্রাসায় পড়েছেন এমন সংখ্যা খুবই কম, প্রায় নেই বললেই চলে।
    এর কারণের মধ্যেই সম্ভবতঃ ওই হিন্দু মেয়েদের ইসলামসংস্পর্শ এড়ানোর ইচ্ছের কারণও রয়েছে কোথাও।
  • ranjan roy | 192.69.53.140 | ১৪ জুন ২০১৫ ১২:৪৬678450
  • @ O,
    এটা তো ঠিক মনে হচ্ছে না। মিশনারি স্কুলে পড়ার একমাত্র কারণ ভালো ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার, মেইন্স্ট্রীম অ্যাকাডেমিক কারিকুলাম। প্রেয়ার নিয়ে বিশেষ কড়াকড়ি ( মানে স্পষ্টতঃ ক্রিশ্চান থিওলজির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে এমন নয়) কম। আর হ্যাঁ, অবশ্যই ইংরেজি শিক্ষা। যা আজও ব্যবহারিক রাজভাষা।
    কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষকরা মূলতঃ ধার্মিক শিক্ষা ( দীনভী) দিয়ে থাকেন। ওখানে শিক্ষকরা লো-পেইড এবং বেশির ভাগদের ধার্মিক শিক্ষার সার্টিফিকেট ছাড়া সায়েন্স বা ইংরেজি লিটারেচারে ব্যুৎপত্তি নেই, ল্যাব নেই।
  • | 24.99.197.59 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৩:১৯678451
  • আমার অরেক টা প্রশ্ন "আর কোন সম্প্রদায়ের জীবন ধর্ম দ্বারা এত টা প্রভাবিত কি? "
  • dc | 132.164.196.228 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৩:৪১678452
  • রাজুবাবু, লিস্টিতে পরের নাম কার? ফরাবি কিছু বলেছে নাকি?
  • pi | 233.176.3.168 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৩:৪৬678453
  • অদিতি ফাল্গুনীর একটা লেখা থেকে এই অংশটা দেবার কথা মনে হল।

    '..শওকত আলী যেকথা আর বলেন না কিন্তু আমরা জেনে যাই সেটা হল লীলাবতী নিশ্চিত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। তাঁর এবং শ্যামাঙ্গর সন্তানও নিশ্চিত মুসলিম হয়েছিল। নতুন ধর্মের আশ্রয়ে সে শ্যামাঙ্গর মৃত্যুর পর হয়তো আরো একটি বিয়ে করতে সক্ষম হয়েছিল। বঙ্কিম চন্দ্র যতই বলতে চান না কেন যে সতেরো জন অশ্বারোহী নিয়ে বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয়ের গল্প যে বাঙালী বিশ্বাস করে সে কাপুরুষ, শুধু ‘বর্বর তরবারি’র জোরে ইসলাম বাংলা বিজয় করেছে এই বাক্যেও প্রতীতী রাখা কঠিন। বর্ণাশ্রমের কঠোরতা, সমাজে নারীর শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থানের জায়গায় জাত-পাতহীন, নারীর জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ ও পুনর্বিবাহের অধিকার দাতা ইসলাম সেই সময়ের প্রেক্ষিতে নির্ঘাৎ একটি ‘মুক্তিদাতা’ ধর্ম হিসেবেই দেখা দিয়েছিল। একথা মানতে বাংলার হিন্দু যতই কুণ্ঠা বোধ করুক, বুক তার পুড়ে গেলেও তথ্যটা মিথ্যা হয় না বা হবে না। ইতিহাস স্বাক্ষ্য দিচ্ছে যে সিন্ধুতে ইরাকি সেনাপতি বিন কাশিমের অভিযানের সময় রাজা দাহিরের হাতে দলিত জাঠরা শঙ্খধ্বনি দিয়ে বিদেশী সেনাপতিকে অভিবাদন করেছিলেন। হিন্দু ঐতিহাসিকরা এই তথ্য প্রাণপণে অস্বীকার করতে চাইলেও লাভ নেই!...

    তবে আর একটি বিষয় ভেবে দেখা উচিত সবার। অবিভক্ত বাংলায় সম্ভবতঃ ১৯০০ সালের জনগণনায় প্রথম দেখা যায় যে হিন্দুদের চেয়ে মুসলিমরা জনসংখ্যায় এগিয়ে। বর্ণাশ্রম ছাড়া আরো একটি বড় কারণ থাকতে পারে নারীর প্রতি বাঙালী হিন্দুর আচরণ। আমার এক প্রাক্তন ভারতীয় (বিহারি) হিন্দু উর্দ্ধতন কর্মকর্তা আমাকে কথায় কথায় একদিন বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালী হিন্দুকে পছন্দ করি না। এরা অবাঙালী হিন্দু ত’ বটেই, বাঙালী মুসলিমের থেকেও নির্ঘাৎ কথায় কথায় দশটা বইয়ের রেফারেন্স বেশি দিতে পারে। অনেক পড়–য়া। অনেক সাহিত্য-সংস্কৃতি বোঝে। অথচ আজো গয়া-কাশিতে গেলে যত বিধবা তার নব্বই ভাগ বাঙালী হিন্দু। সতীদাহে বাঙালী হিন্দু নারী যত পুড়েছে, সো-কল্ড কনসার্ভেটিভ রেস্ট অফ ইণ্ডিয়ায় অবাঙালী হিন্দু নারী তত পোড়ে নি।’ ঐ বিহারি কর্মকর্তা কোন অজানা কারণে আমার সাথে প্রচন্ড মন্দ ব্যবহার করলেও তার এই বক্তব্য ফেলে দেবার নয়। আইনের ছাত্রী হিসেবে এটুকু শুধু জানি উত্তর ভারতের মিতাক্ষরা হিন্দু আইনের তুলনায় বাংলায় প্রচলিত দায়ভাগা হিন্দু আইনে নারীর ছিটেফোঁটা মাত্র বেশি অধিকারও আখেরে বাঙালী হিন্দুকে নিজের মা-বোন-স্ত্রী-কন্যাকে জীবন্ত চিতায় ঠেলতে উৎসাহিত করেছে। গোটা বাংলা সাহিত্য ভরে আছে হিন্দু বিধবার চিতায় অন্তর্জলি যাত্রা, বিধবার একাকিত্ব, নিগ্রহ আর ভ্রূণহত্যার গল্পে। শতাব্দীর পর শতাব্দী এ ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি প্রতিবেশি সম্প্রদায়ে একটি মেয়ে বৈধব্য বা স্বামী বিচ্ছেদের পর বারবার বিয়ে ও সন্তান ধারণের অধিকার পাচ্ছে। এই একটি কারণই কি একটি সম্প্রদায়কে জনসংখ্যায় শতাংশ হারে এগিয়ে দিতে যথেষ্ট নয়? এ দিকটা কেন গবেষকরা এত দিনেও ভেবে দেখেন নি সেটাই আশ্চর্যের। অভিজিৎ সেনের উপন্যাস ‘মৌসুমী বায়ুর উপকূলে’ গ্রন্থেও বাংলার বরিশাল-নোয়াখালি-চট্টগ্রাম অঞ্চলে মগ (বার্মিজ) বা পর্তুগীজ আক্রমণে ফ্রেফ মগের ছোঁয়ায় একজন নারীকে তার পরিবার শুদ্ধ জাতচ্যুত করা এবং এমন নানা কারণে গ্রামকে গ্রাম ইসলাম ধর্ম গ্রহণের (এমনকি উচ্চ বর্ণের হিন্দুরও ধর্মান্তরিত হবার) আখ্যান আমরা পাই।'

    এসব নিয়ে কী বক্তব্য জনগণের ? বিশেষ করে হিন্দু নারীদের অপার সুখ নিয়ে যাঁরা বক্তব্য রাখচেন ? এখানে তো আবার বলা হচ্ছে, হিন্দু মেয়েদের অসুখে থাকা এবং ইসলাম গ্রহণ করলে বেশি অধিকার পাওয়া কনভার্শনের একটা বড় কারণ !
    তাহলে কি ধরে নেব, মেয়েরা বৈধব্য বা স্বামী বিচ্ছেদের পর বারবার বিয়ে ও সন্তান ধারণের অধিকার পাওয়াকে বোরখা পরা ও ইসলামের অন্য নানা বাধানিষেধ অধিকার হরণ এর থেকে মন্দের ভাল মনে করত ? একটা চাটু তো অন্যটা আগুন ?

    এখানে আরো একটা প্রশ্ন আছে, ইসলাম গ্রহণকারিণীদের মধ্যে বাধা নিষেধ কতটা আছে এবং কতটা আছে । বেড়েচে কি ?

    গ্রামের দিকে বা শহরেও নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া অনেক মুসলিম মেয়েদের মধ্যেই পর্দা দেখিনি কিন্তু।
  • রাজু | 47.48.65.122 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৩:৫৩678454
  • * ranjan roy -

    ১ আলোচনা তো ধর্ম নিয়ে নয়। আমরা নিজেদের ধর্মকে অবশ্যই সত্য মানবো। এবং তার পরও আলোচনা চলবে। বিশ্বের 22.32 শতাংশ মানুষ আমরা যারা তাদের সাথে তাহলে কোনও আলোচনাতেই যেতে অস্বীকার করছেন আপনি। কারণ আমরা ইসলামের প্রথম স্তম্ভ ঈমানেই আমাদের দ্বীনকে সত্য মানি। এতোখানি বাস্তববিমুখ হয়ে কি ভাবে আলোচনা করবেন।

    ২ ইসলামে কোনও কুসংস্কার নেই। আছে সংস্কার বা কালচার। কালচারের বিরোধীতা করে বর্ণবাদীরা, ইসলামোফোবরা। আমাদের কালচার হলো হালাল মাংস খাওয়া। পর্দা করা আমাদের কালচার। উল্লেখ্য যে আমেরিকা-বৃটেনের বর্ণবাদী, সাদাচামড়ার আধিপত্যবাদী এবং নব্যনাজি গং এই সব ইস্যূতেই মুসলিমদের বিরোধীতা করছে।
  • pi | 233.176.3.168 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৩:৫৫678455
  • পর্দা করাটা কেন ও কীভাবে 'কালচার' মনে করেন একটু শুনি।
  • রাজু | 47.48.65.122 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:০০678456
  • * "PM" এবং "ব" =

    আপনাদের বলা কথাগুলো নতুন নয়। হুবহু প্রতিধ্বনি করছেন ইংলিশ ডিফেন্স লীগ জাতীয় চরম দক্ষিণপন্থী ইসলামোফোবিক দলগুলির তোলা বক্তব্যের। "ইসলামের ভারতীয়করণ" এর যে বিষয়টী আপনারা বলছেন সেই "অ্যাসিমিলেশান" এর কথাটি হলো ইসলামোফোবিক নব্যনাজি বর্ণবাদী দলগুলির একটি মূল ইস্যু। ইওরোপ, আমেরীকায় বামপন্থী আন্দোলনগুলি এই সব অ্যাসিমিলেশানের দাবীর বিরুদ্ধেই লড়াই করছে। অ্যাসিমিলেশানের দাবীটাই আসলে বর্ণবাদী। ইসলামের কালচারকে অ্যাসিমিলেট করতে বলে আসলে বর্ণবাদী ফার-রাইট সংগঠনগুলি একটা কালচারকে ধ্বংস করে নিজেদের সাদাচামরার আধিপত্যবাদের প্রভাবে গড়ে ওঠা কালচারের জয়ধ্বনি দিচ্ছে। তাই ইওরোপ, আমেরিকা, বাংলাদেশের যে কোনও বাম দলের সাথে অ্যাসিমিলেশানের ইস্যূটী নিয়ে কথা বলূন। তার বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে দেবে তারা।
  • রাজু | 47.48.65.122 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:০৯678457
  • * pi =
    পর্দা করা কেন কালচার নয় সেটাই তো স্পষ্ট নয় আমার কাছে। ইসলামিক দেশগুলোর কালচার এটা। ইওরোপ আমেরিকায় অতি আধুনিকা মুসলিম মহিলাদেরও হেডস্কার্ফ (নিকাব) এর মাধ্যমে পর্দা করতে দেখা যায়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান এ সকল দেশেও দেখা যায়। তাদের কারও সাথে কথা বলবেন। পর্দায় তারা স্বচ্ছন্দ। কারণ সেটাই তাদের কালচার। ছোট বেলা থেকে জন্মভূমিতে যে কালচারে তারা বড় হয়েছে।

    আমি বাংলায় কথা বলতে স্বচ্ছন্দ। আরবী-ফারসীতে নয়। কারণ বাংলা ভাষা আমার কালচারের অংশ। উপরে একজন লুঙ্গির কথা বলে বিদ্রূপ করতে চেয়েছেন দেখলাম। আমি গর্বের সাথেই স্বীকার করি লুঙ্গিটাও আমার কালচারের অংশ। বাঙালী মুসলমান পরিবারের কালচার। দক্ষিণ ভারতেও লুঙ্গি তাদের কালচারের অংশ। বার্মাতেও লুঙ্গি তাদের কালচারের অংশ। অথচ দেখা যায় বার্মিজদের কিংবা সাউথ ইন্ডিয়ানদের কেউ প্রশ্ন করে না লুঙ্গি তাদের কালচারের অংশ কিভাবে। বরং বাঙালী মুসলমান ছেলেদের প্রশ্ন করা হয় লুঙ্গি তাদের কালচারের অংশ ক্যানো, আর পৃথিবীব্যাপী ফার-রাইট সংগঠনগুলি প্রশ্ন করে চলেছে হেডস্কার্ফ মুসলিম মেয়েদের কালচারের অংশ ক্যানো।
  • Bratin | 122.79.36.50 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:২১678459
  • তাহলে বেশীর ভাগ বোরখা পরিহিত মহিলা যাদের আমরা দেখি তারা কোথাকার?

    অদিতি ফাল্গুনি কিছু লিখেছেন বলে কোন যুক্তি তর্ক ব্যতিরেকে সেটা মেনে নিতে হবে এমন ভাবার কোন কারন আছে পাই?

    আর মুসলিম সমাজ তাদের নারী দের কতো টা "স্পেস" দেয় সেটা রজন দা ১২ঃ১৭ এ লিখেছেন। আমি আর রিপিট করলাম না
  • pi | 233.176.3.168 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:২৩678460
  • কালচার বলে স্বচ্ছন্দ না স্ব্ছন্দ বলে কালচার ? ঃ)

    আপনি সব মুসলিম মেয়ের হয়ে কথা বলতে পারেন কি ? জানেন কি তারা সবাই এটাতে স্বচ্ছন্দ ? বা এটা ধর্মীয় নিদান বা কালচার বলে হাঁকানো না থাকলে স্বচ্ছন্দ হত ? মেয়ে মাত্রেই এতে স্বচ্ছন্দ এই কুযুক্তি দেবেন না নিশ্চয়। পৃথিবীতে অন্য ধর্মের বা ধর্ম না মানা এত মেয়ে রয়েছে, তাদের বেশিরভাগই পর্দায় স্বচ্ছন্দ বোধ করেনা। তো, সেখানে কিছু মেয়েকে ধর্মীয় কালচারের নামে কোনো কিছুতে স্বচ্ছন্দ বোধ করানোটা চাপিয়ে দেওয়া নয়? এই স্বচ্ছন্দ্তার মধ্যে প্রকৃত 'স্ব' কতটা ?

    আর আমার তো প্রশ্ন এটা 'কালচার' হল কেন আর্কারা করলো, সেই নিয়ে আপনার কী মত? মেয়েরা বলেছিল, এটা 'কালচার' বানাতে ?
  • | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:২৪678463
  • ^ রাবিশ। কুসংস্কারাচ্ছন্ন।
  • | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:২৪678462
  • ^ রাবিশ। কুসংস্কারাচ্ছন্ন।
  • dc | 116.208.101.161 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:২৪678461
  • রাজুবাবু, কোন মুসলিম মহিলা নিজের ইচ্ছেয়, অন্য কারুর দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে, পর্দা না রাখতে চাইলে, তার জন্য কি বিধান?
  • | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:২৬678464
  • উহ রাজুর উত্তরে লিখলাম
  • pi | 233.176.3.168 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:২৯678465
  • ব্রতীনদা, মেনে নিতে কে বললো ? তুমি পাল্টা যুক্তি দিয়ে কাটো না।
    বিটিডব্লু, অদিতির বক্তব্যের রেফারেন্স আছে। এখানে দেখে নিতে পারো, এই নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে।
    http://www.guruchandali.com/default/2013/03/28/1364437766160.html#.VX1C-Ub55IQ

    তবে তোমার পাল্টা যুক্তি, তথ্য শুনতে জানতে আগ্রহী।
  • dc | 116.208.101.161 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:৩৫678466
  • আর যে হিন্দু মহিলারা হাজার বচ্ছর ধরে অত্যাচারিত হলেন পুরুষশাসিত সমাজে, নানান হিন্দু ধর্মীয় অনুশাসনে আর কুসংস্কারের হাতে, তাদেরই ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে হিন্দু পুরুষদের বেচারা বানানোর প্রয়াসটাও বেশ মজার। রাজুবাবুর নারীবিদ্বেষটা আর চাপা যাচ্ছে না।
  • dc | 116.208.101.161 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:৪২678467
  • হিন্দু পুরুষগুলো ভারি ভালোমানুষ, ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানেনা, যতো দোষ ব্যাপার হিন্দু মেয়েগুলোর :d রাজুবাবুর নিজের সমাজেও মেয়েদের ওপরেই যতো শাসন আর অত্যাচার তো, সেই দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েই সবকিছু দেখছেন।

    চোখ খুলুন, দেখবেন হিন্দু আর মুসলমান দুই নারীই সমান অত্যাচারিত।
  • PM | 233.223.159.253 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৪:৫৩678468
  • "আমাদের কালচার হলো হালাল মাংস খাওয়া"----কালচার দেষ কালের পরিবর্ত্তনের সাথে পরিবর্ত্তন শীল। কিন্তু হালাল মাংস খাওয়া ১৪০০ বছর ধরে কনস্ট্যান্ট। জদি কেউ বলে আমি মাংসের হালালত্বে বিশ্বাস করি না, তার মুসলিমত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। এটা কালচার নয়, অবশ্য পালনীয় ধর্মীয় আচার।

    ""আপনাদের বলা কথাগুলো নতুন নয়। হুবহু প্রতিধ্বনি করছেন ইংলিশ ডিফেন্স লীগ জাতীয় চরম দক্ষিণপন্থী ইসলামোফোবিক দলগুলির তোলা বক্তব্যের।---অ্যাসিমিলেশানের দাবীটাই আসলে বর্ণবাদী। "

    কথগুলো নতুন নয়। কিন্তু এই কথগুলোর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর নেই। তাই বার বার এই কথাগুলো ওঠে।

    আপনি প্রকারন্তরে আমার প্যেন্টটাকেই সমর্থন করলেন। ইস্লামের পক্ষে কোনো সোসাইটিতে অ্যাসিমিলেটেড হওয়াতে তাত্ত্বিক অসুবিধা রয়েছে।

    রাজু বাবু, আপনি ১৪০০ বছর আগের এক অর্ধসভ্য বেদুইন জাতির সংস্কৃতি, আচার ব্যাবহার ২১ শতকে চাপাতে চাইবেন, আর এটাও ভাববেন সকলকে শোনা মুখ করে মেনে নিতে হবে---এটা বাড়াবাড়ি নয় কি?

    যদি অ্যাসিমিলেটেড না হতে চান তাহলে ঐ তেল জলের মতৈ থাকতে হবে দুজনকে। যে কোনো দেশেই। এই আর কি। সেই নিয়ে অভিযোগ করা বৃথা।

    (বাই দা ওয়ে, অ্যাসিমিলেটেড হওয়া মনে হিন্দু বা খৃস্টান সংস্কৃতিকে মেনে নেওয়া নয়। বরং কাল্চারাল এক্সচেন্জের মাধ্যমে স্থান কালের সাপেক্ষে একটা স্থায়ী সাম্যে ( স্টেবল ইকুইলিব্রিয়াম) পৌছনো যাতে করে সাবার পক্ষেই ব্যাপারটা গ্রহনীয় হয়।

    একটা উদাহরন গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক-কে একটা ঘটনা ঘটেছে। এক মুস্লিম দম্পতি এম্পয়ার স্টেট বিল্ডিং এর চুড়ায় প্ল্যাটফর্মের ওপোর প্রার্থনা করতে বসে যান ( যারা গেছেন তারা জানেন কি ভীড় থাকে) । সিকিউরিটি বাঁধা দেয়। পরে ওনারা ৫ মিলিওনের এক ক্ষতিপুর মামলা Kঅরেন ধর্মীয় ডিস্ক্রিমিনেসনের জন্য।

    উল্টো দিকে সৌদিতে গিয়ে কেউ দুর্গাপুজা করার চেষ্টা করে দেখুন , মাথাটা রেখে আসতে হবে ওখানেই।)
  • Bratin | 122.79.36.50 | ১৪ জুন ২০১৫ ১৫:২৩678470
  • প্রায় এক বছর একটি মুসলিম ইউনিভার্সিটি তে পড়ানোর সুবাদে বেশ কিছু মুসলিম ছেলে আর মেয়ে র সাথে আলাপচারিতা হয়েছে পাঠ্য বিষয়ের বাইরেও অন্যান্য বিষয় নিয়ে।ঘুমিয়ে নি ।বিকেলে লিখবো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন