এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ভজহরি মুখূজ্জে | ২৫ মে ২০১৫ ১৬:০২680650
  • চা!!! শুনেছিলাম মানে পড়েছিলাম এটাসেটামিক্স নাকি ব্রিটেনদের এই খাইয়েই ভুলিয়ে রেখেছিল। জানিনা তাই কিনা, তবে চা খাওয়ার মজা বেশ। চা এর সাথে রমনীর বেশ মিল আছে। মানে চা খাওয়া আর চাখা দুটোই বেশ রমনীয়। তবে দুটোতেই ঠিকঠাক ভাবে নাখেলে মুখপোড়ার সম্ভাবনা বেশি। তা ভাল কাজে ওরম এত্তু আধতু হয়ই। আর চা মানেই কি শুধু চা?? সাথে টা- ব্যাপারটাও বেশ। মানে চায়ে জিভ না পুড়লে জিভে টা পোরাই যায়। অনেকের অবশ্য কুন্ডু বাবুর মতন "ব্যাড টি" খাওয়ার অভ্যেস। তবে চা খাওয়ার সেরা জায়গা পাড়ার মোড়ের হারু,পাচু,হরি, নন্দ এনাদের বানানো গুমটিগুলো। নড়বড়ে বেঞ্চে বসে ব্যালেন্স করতে করতে চা এর ভাঁড় নিয়ে বসার মতন রোমাঞ্চ আর কিসে আসে?? এই চায়ের ভাড় হাতেই বাঙালী দিগ্বিজয় করে আসে। তবে বিজয় এর ফাঁকে এই চা-ই গলা ভিজিয়ে রাখে। আর এই গুমটিগুলোই তো প্রথম সাম্যবাদীতার পাঠ পড়ায়,যেখানে বড় থেকে ছোট কেউ বাদ যায়না। হ্যা, বয়স্কদের সম্মান দিতে একটু মুখ ঘুরিয়ে সিগ্রেট খেতে হয়। আর চায়ের পেয়ালায় তুফান তোলা তো বাঙালীর মজ্জাগত। এমন বাঙালী পুরুষ কম আছে যারা চায়ের ভাড় নিয়ে জগতের সব সমস্যার সমাধান বাতলাননি। এই চা-ই প্রথম হাতে কলমে ভাগ করা শেখায়। ছোটবেলায় পড়েছিলাম না" নন্দ দা এককাপ চা তিনটে করে দাওনা" টাইপ আর কি!! তবে চায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কটা ঠিক জুতের না। কেন জানিনা এ ব্যাপারে চায়েরই তুতো ভাই কফি এগিয়ে। কিন্তু আজকাল এই গুমটি শিল্প অবলুপ্ত।পরের প্রজন্ম আর বৃষ্টির ফোঁটা মেশানো চায়ের আমেজ অনুভব করবে না।। তাই আসুন সবাই মিলে বলে উঠি চা-ই চাই।
  • sinfaut | 11.39.61.17 | ২৫ মে ২০১৫ ১৭:৪৭680678
  • কী বাজে লেখা! ভাবলাম চা নিয়ে নতুন কিছু থাকবে। তা না, সেই স্টিরিওটিপিকাল পাড়ার মোড়, তুফান, মুখপোড়া ধুরধুর।
  • I | 120.224.200.88 | ২৫ মে ২০১৫ ২৩:০৯680689
  • চা নিয়ে একটা টই ছিল । খুঁজে পেলাম না।
    একটা বই পড়বার ইচ্ছে আছে। ফ্লিপকার্টে নেই। খোঁজ থাকলে কেউ একটু জানাবেন তো ! A Time for Tea: Travels through China & India in search of Tea-Jason Goodwin।
  • I | 120.224.200.88 | ২৫ মে ২০১৫ ২৩:১২680700
  • আর এই ইম্রেনের মত নাক উঁচুদের জন্যেই নীপারা আর সাহস করে সলে হতে পারছে না। ইম্রেন, তুমার জন্যেই গুরুর এত বদনামী।
  • I | 120.224.200.88 | ২৫ মে ২০১৫ ২৩:২৬680722
  • পাইলিন, থ্যাংকু। একটু পপিচু হল।
  • sinfaut | 69.88.167.244 | ২৫ মে ২০১৫ ২৩:৩৮680733
  • যাআঅ, কনাস্ট্রাকটিভ ক্রিটি করতে বললো যে?
  • Atoz | 161.141.84.175 | ২৫ মে ২০১৫ ২৩:৪০680744
  • শীতের্দিনে গরম চা দিয়ে হাত ধুয়েছেন? ঃ-)
  • sosen | 212.142.69.241 | ২৫ মে ২০১৫ ২৩:৫৩680755
  • এটা কি কন্স্ট্রাকটিভ হোলো? বেশ মোলায়েম করে, রেশমী সুরে, অল্প একটু গদাম আর ইট্টু উপনিষদ দিয়ে সেশে লীম আর শিলম আর কবিগুরু দিয়ে বেশ মোক্ষম গার্নিশ কত্তে হবে। তা না, জাস্ট নিন্দে করে দিলো।
  • I | 120.224.200.88 | ২৬ মে ২০১৫ ০০:০৩680662
  • ভুলভাল লিং দিলাম মনে হয়। টইয়ের নাম -চা না কফি। ন্যান , এবার চরে খান গে যান।
  • pi | 37.63.135.228 | ২৬ মে ২০১৫ ০১:১৪680671
  • থাকি এখন চা বাগানে। আর শুনি চায়ের গল্প। চা তৈরির সে কতরকম রকমফের ! অরুণাচলের উপজাতিদের তৈরি চা, সে কতই না কাণ্ড ! অরুণাচলেই নাকি আগে থেকে চা হয়, কিন্তু ব্রিটিশদের নজর পড়লো আসামে। বলে, তারাই নাকি এদেশে চায়ের চাষ শুরু করেছিল , চীন থেকে আমদানি করে, চা খাওয়ার রেওয়াজও। অথচ অরুণাচলে কিছু উপজাতির মধ্যে সে নাকি অনেকদিন ধরেই চলছে, যদিও সে চায়ের কোয়ালিটি, স্বাদ, বানানো , খাওয়ার পদ্ধতি সবই আলাদা। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলিতেছে, সেইসব উপজাতির মধ্যে। জনগণ ফিল্ডে গেলে আদর আপ্যায়ন করে সেসব খাওয়ানও গ্রামের লোকজন। পদ্ধতির বর্ণনাও কিছু শুনেছি, কিন্তু সেসব বসে বসে কে লেখে , আর মনেই বা যেন কত আছে, আমার তো থাকে না। সেসব বলতে গেলে চায়ে কত জল মিশবে কে জানে। কিন্তু সে যাক, ব্রিটিশ আর আসামের চা বাগানের কথাও যদি হয়, তো তারও কত গল্প। কীভাবে কেন মধু ও পূর্ব ভারতের উপজাতিদের এখানে নিয়ে আসা হল। কীসের লোভ দেখিয়ে, আর তারপর কপালে তাদের কী জুটলো ..
    শুনি কীভবে মদের নেশা ধরানো হয়েছিল, তার খেসারত কীভাবে তারা দিচ্ছে এখনো। চা বাগানে গরমে কাজ করতে করতে ডিহাইড্রেশন হয়ে যেত, তাই চালু হল বিশাল ট্যাংকে তৈরি চায়ে গোলা গোলা নুন মেশানো। এদিকে এই উপজাতিদের মধ্যে সল্ট সেন্স্টিভ জিন এর রকমফের আছে, সব মিলিয়ে প্রচুর হাইপারটেনশনের রোগী, হৃদরোগের প্রচুর প্রকোপ। সেসব নিয়ে নুন কমানো জনিত নানা ইন্টারভেন্শনের কাজ দেখি।
    এখানকার নন অহমিয়া বিজ্ঞানীরা কেউ কেউ মাঝে মাঝে নির্মোহ বিশ্লেষণ করেন। বলেন শ্রমের কাজ নিয়ে অহমিয়া লোকজনের কতটা নাক সিঁটকানো ছিল আর তাই কেন বাইরে থেকে এঁদের, এঁদের নিজেদের জায়গা থেকে সমূলে উৎপাটন করে এখানে বসনো হয়েছিল। বসানো হল, শিকড় ও হয়তো এখানে চারিয়ে গেল, কিন্তু ডালপালা কতটা মেলতে পারলো , নিজেদের মত ? বোধহত পারেনি সেভাবে। এখানকার টি ট্রাইব আজও অনেক দিন দিয়েই পিছিয়ে পড়া, এখনো প্রচুর এক্সপ্লয়েটেড, অর্থনৈতিক দিক থেকে তো বটেই, তার হাত ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এসব ক্ষেত্রেও। সেসব তো বোধহয় সব চা বাগানেরই হতাশ ছবি। রয়েছে এ নিয়ে আন্দোলনও, যার জেরে পাঁচ কি ছয়ের পাতায় মাঝেসাঝে কোণাকুঞ্চিতে কিছু খবরও হয়ে যায়।
    কিন্তু সেখানেই থেমে নেই। বিচ্ছিন্নকরণ সামাজিক ক্ষেত্রেও। যেটুকু যা দেখেছি , শুনেছি, এই কম্যুনিটি গুলো একেকটা ঘেটোর মত। ওদিকে আবার সেদিন সুশান্তদার কাছে এও শুনলাম, এদের গিলে খাওয়ার চেষ্টাও আছে। গিলে খাওয়াটা নিন্দুকেরা বলবে, ভাল কথা বলতে গেলে হয়তো আপন করে নেওয়া। তো, এদের আপন করে নিয়ে নাকি এদেরও অহমিয়া বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এদের ভাষা, যা বহু ক্ষেত্রে সান্থালী, তাও নাকি অহমিয়া বলে দেখানো হচ্ছে, আর তার পিছনে মাইনরিটি মেজরিটি স্ট্যাটাস ইঃ নিয়ে নানা রাজনীতি আছে। সেসব সুশান্তদাদের জিগান। আর অন্য উপজাতিদের সাথে সম্পর্ক কেমন ? বোরো সাঁওতাল দ্বন্দের উথালপাথাল, সেতো সবাই জানে। মানে অন্যরা যা জানে, তার থেকে বেশি কিছু এখানে এসে এখনো তেমন জানিনি। শুধু এই সংক্রান্ত নিত্যনৈমিত্তিক বনধ এর অভিজ্ঞতা ছাড়া। কারণ নন-উপজাতি অহমিয়া লোকজন , আমি যাদের দেখেছি, তাঁরা কেন জানিনা এনিয়ে তেমন মন্তব্য করেন না। উপজাতি নিয়ে তাঁদের একরকম উন্নাসিকতা আছে বলে কি ? এমনিতেই বেশ জটিল পরিস্থিতি, হরেক সমীকরণ, মুসলমান নিয়ে , বাংলাদেশী মুসলমান, বাংলাদেশী হিন্দু , পবর বাঙালী , সব কিছু নিয়েই। কলিগ, বন্ধুজনদের সাথেও আলাপ আলোচনায় যেতে অস্বস্তিই হয়, কোত্থেকে কী হাজির হবে ! চাপা, কখনো কখনো ফুটে বেরোনো মুসলিম বা বাংলাদেশী বিদ্বেষ তো টেরই পাই !
    সে যা হোক, আমার তো সবই শোনা কথা, আর চোখে দেখা, সে মোটামুটি পাখির চোখ দিয়েই , এখনো। হ্যাঁ, চোখে লাগে, আর্থসামাজিক বৈষম্যটা আমার মত নতুন অপটু চোখেও কিছুটা ধরা তো পরেই। তবে সে তো উপজাতিদের অনেকের জন্যই সত্যি। এরা কি তাদের চেয়েও খারাপ আছেন ? কোন সরল উত্তর পাবো আশা করছি না, তবে কিছু উত্তর হয়তো পাবো। কার্বি আংলং এর গ্রামে কাজ এখন আমাদের। সেখানে কার্বি গ্রামের সাথে আছে চা বাগান বস্তিও। ঘরে ঘরে ঘুরলে হয়তো এখনকার অন্ধের হস্তীদর্শনের থেকে কিছুটা পরিস্কার ছবি আসবে। বোরো সান্থাল দ্বন্দ্ব তো কিছু পড়েছি, কার্বিদের সাথে টি ট্রাইবদের সম্পর্ক , জানিনা সেও কিছু বোঝা যাবে কিনা। হয়তো এমনিই বুঝে যাবো। শুনেছি এখনো উত্তাল পরিস্থিতি এখানে, দু'দিন বাদে বাদেই বনধ চলে। আমাদের বেলা তিনটের পরে গ্রামে থাকায় বড়সড় নো নো। আগে এখানে ফিল্ডে আসা লোকজন গল্প করে, ক্রসফায়ারে পরে যাওয়ার এক্ষপি নিয়ে।
    তবে এনিয়ে নিশ্চয় অনেক প্রামাণ্য বই পত্তরও আছে। যা এখনো অব্দি শুনেছি দেখেছি, তার কতটা গুল্পকথা, কতটা নিখাদ সত্য, এখনো অব্দি হওয়া গবেষণা দিয়ে যাচাই করতে মন্চায়। কেউ তেমন বইপত্তরের কথা জানলে জানাবেন। নিজেদের দেখা শোনার গল্প ও অভিজ্ঞতাও।
    তবে এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতেই পেরে গেছেন,আমি নেহাতই চা-বেরসিক। দিলে ঐ মোটামুটি বিয়ারের মতই পাঁচন ভেবে না খেলেও চা নিয়ে কখনো চাতকগিরি করি নাই।
    নইলে এই টইতে এসব ..
  • ভজহরি মুখূজ্জে | ২৬ মে ২০১৫ ০৯:৫৮680672
  • আপনি মশাই চাতক না হয়েও ভাল মতনই চাখালেন দেখছি। বেশ বেশ এরকম চাপানই তো চাই। কিন্তু অরুনাচলে যদ্দুর মনে পড়ছে চায়ের মধ্যে মাখন, নুন দিয়ে অদ্ভুত একটা পানীয় বানায়।ভালই লাগে খেতে।
  • ranjan roy | 132.176.10.88 | ২৬ মে ২০১৫ ১১:২০680673
  • ছত্তিশগড়ের আদিবাসী গাঁ। শীতকাল। নদী পেরিয়ে পাকাধানের ক্ষেতের মধ্যে সাবধানে পা ফেলে পা ফেলে এক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মুখিয়ার বাড়ি।
    ব্যাংকের লোকজন বাড়ি বয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে এসেছে। কী কান্ড!
    রোদ্দূর পিঠ করে খাটিয়া পেতে দিয়ে অতিথিদের বসানো হল।
    বলা হল উনুনে চা ফুটছে। শিগ্গিরই পরিবেশন করা হবে।
    গৃহস্বামী দুঃখের সঙ্গে জানালেন যে এখানে 'সিজার' পাওয়া যায় না, শুধু বিড়ি পাওয়া যায়।
    এক অতিথি নাক কোঁচকালেন। গৃহস্বামীর চেহারা ম্লান হল।
    সেই দেখে বাকি দু'জন উঁচুগলায় ঘোষণা করলেন যে এই হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় চায়ের আগে বিড়িতে সুখটান তাঁরা খুবই উপভোগ করবেন।
    বিড়ি এল।
    একজন বেশ কায়দা করে কানের পাশে বিড়ি নিয়ে আঙুল দিয়ে ডলে 'উমদা চিজ' বলে ধোঁয়া ছাড়লেন।
    তারপর সীজার যে গেরস্ত বৌ এবং বিড়ি যে অভিমানিনী প্রেমিকা এ নিয়ে একটি 'পিজে' শোনালেন। কেউ না হাসায় উনি অপ্রস্তুত।
    এমন সময় চা এল।
    পেয়ালা-পিরিচের বদলে ছোট্ট কাঁসার বাটিতে রাখা কাঁসার ছোট্ট গেলাসে ধূমায়িত চা।
    সীনিয়র অতিথি একচুমুক দিয়েই যন্ত্রণায় লাফিয়ে উঠলেন। অনেক খানি চা ছলকে ওঁর কোটে পড়ল। আসলে কাঁসার গেলাসে চুমুক দেওয়ায় যে ঠোঁট পুড়ে যায় সেটা নিয়ে ওঁর কোন ধারণা ছিল না।
    এবার অন্যদের পালা। তাঁরা বসের ভিজে যাওয়া অংশে জলটল ঢেলে আর নিজেদের কাপে ফুঁ দিয়ে অবশেষে নিশ্চিন্ত হয়ে চুমুক দিলেন এবং খাটিয়া ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন।
    ঘরের গরুর দোয়া দুধে অনেকখানি চিনি দিয়ে ফোটানো চা। কিন্তু ওর ওপরে সবজেটে ডেলা মতন কী যেন ভাসছে!
    গৃহস্বামী একগাল হেসে জানালেন যে ওটি একচামচ গাওয়া ঘি, ঘরে তৈরি। সম্মানিত অতিথিদের অনারে চায়ের ওপর ঢেলে দেওয়া হয়েছে।
    বিজনেস বড় বালাই।
    তাই অতিথিদের কডলিভার খাওয়া চেহারায় দেঁতো হাসি বাঁধিয়ে রেখে ওই চা সবটাই গিলতে হল।
    ফেরার পথে তিনজনকে নদীর পাড়ে তিনটে ঝোপের আড়ে প্রাকৃতিক কার্য সম্পন্ন করতে খানিকক্ষণ বসতে হল।
  • সে | ২৬ মে ২০১৫ ১৩:৩১680674
  • কাঁসার গেলাসে গরম চায়ের ব্যাপরটা মৃণাল সেনের কোন একটা সিনেমায় ছিলো, হয় "খ্ণ্ডহর" নয় "আকালের সন্ধানে"। শহুরে বাবু, চায়ের গেলাস হাতে ধরেই ছ্যাঁকা খেলেন।
  • সে | ২৬ মে ২০১৫ ১৩:৩৮680675
  • ভজহরিবাবুকে ধন্যবাদ। চা নিয়ে অনেক গল্প আছে। এই ছুতোয় সব মনে পড়ে যাচ্ছে।
    তার আগে হাতলবিহীন চায়ের পেয়ালার ছবি দেখুন।
  • সে | ২৬ মে ২০১৫ ১৩:৪৪680676
  • সামভার।
  • ranjan roy | 132.176.10.88 | ২৬ মে ২০১৫ ২০:০৯680677
  • ছোটবেলা থেকে গুচ্ছের রাশিয়ান গল্প-উপন্যাসে সামোভার পেয়েছি। ভিলাইয়ে বাবার উক্রেইনীয় কলীগ মিখাইল গুলেশার ফ্ল্যাটে কাঁচের গেলাস ভরে ভরে চা খেয়েছি, কিন্তু সাহস করে বলতে পারিনি যে সামোভার আছে? দেখাবেন?
    আজ দেখে খুব সুন্দর লাগল।
    এবার গল্প হোক।ঃ))
  • সে | ২৬ মে ২০১৫ ২১:১১680679
  • চায়ের গপ্পো হোক। আমি মাঝে মাঝে লিখব। চা নয় শুধু। চা বাগানের গপ্পোও এসে যাবে। চা মানে "টি" জানতাম। অর্থাৎ Camellia sinensis যার বৈজ্ঞানিক নাম। কিন্তু দেশে বিদেশে টি বস্তুটি শুধুই ব্ল্যাক টি, গ্রীন টি, হোয়াইট টি, ইয়েলো টি, ইঃ তে সীমাবদ্ধ নেই আর। এমন সমস্ত পানীয় আছে যা নামে টি, কিন্তু তাতে Camellia sinensis এর ছিটেফোঁটাও নেই। কালো চায়ে টেইন (কফিতে যেমন ক্যাফেইন) থাকে, যা কিনা হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্যেই মোটেই ভালো নয়, ক্ষতিকর। এঁরা অন্য চা খেতে পারেন, অন্য হার্ব শুকিয়ে তাই থেকে বানানো ইনফিউশান, সেসবও টি। আবার পাকস্থলীর সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্যে অরেঞ্জ টি ক্ষতিকর।
  • ddt | 81.192.247.76 | ২৭ মে ২০১৫ ০২:১৮680680
  • অমলেন্দু গুহ’র From Planter’s Raj to Swaraj পড়লে জানা যাবে ছোটনাগপুরের আদিবাসীদের ধরে এনে আসামের চা বাগানে কাজ করার সড়টা কিন্তু সায়েবদের প্ল্যান সি। অমলেন্দু গুহ গো। সেই যো ইতিহাসের প্রফেসর। ক’দিন আগে মারা গেল। তা প্ল্যান A, প্ল্যান B কী ছিল? আগে দেখে নেওয়া যাক গপ্পোটা কী রকম অবস্থায় পৌঁছেছে।

    ১৮২৬ সালে মগদের বার্মাতে তাড়িয়ে সায়েবরা আসামের দখল নিয়েছে। বাংলাতে তো মৌরসিপাট্টা অনেক আগেই পড়েছে, আসামে ঢুকতে এতো বিলম্ব কেন? সায়েবরা আসাম নিয়ে খুব লোভ দিচ্ছিল না আসলে। সিলেট ফিলেট দিয়ে এসে কিছু সায়েব ঘুরঘুর করছিল বটে। কিন্তু ওরা আসাম দিয়ে তিব্বতে যাওয়ার ফিকিরে ছিল, বাংলায় ভারী গরম কিনা। আর তিব্বতে যাওয়ার রুট একবার পেলে চীন কদ্দুর। মগেরা ১৮১৭-তে আহোম রাজ্যের দখল নেওয়ায় বেচারা সায়েবদের সৈন্য সামন্ত নিয়ে কুচ কাওয়াজ করতেই হল। সাদা চামড়ার দায়।

    চীনের টানলে আসে চা। অলরেডি সায়েবদের চায়ের নেশা লেগে গেছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পৌন্ড বেরিয়ে যাচ্ছে চীনের থেকে চা আমদানি করতে। অতএব, চীনে যাওয়ার তাগিদ ছিল বই কি। তা যেতে আর হল না। ১৮২০-র দশকে উজানি আসামের জঙ্গলের মধ্যে ব্রুশ সায়েব এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার করলেন (উজানি আসাম মানে পূর্ব দিকটা, যে দিকে পাই থাকে)। কী সেই আবিষ্কার? চায়ের মত দেখতে এক গাছ, যার পাতা জলে সেদ্ধ করে জংলি নেটিবরা খায়। আমেরিকা আবিষ্কারের মতই আবিষ্কার বটে। চারিদিকে সাড়া পড়ে গেল। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যাচাই করে নেওয়া হল এই সেই মহার্ঘ্য বস্তু তো যার জন্য হলদেমুখোগুলোকে আফিমের নেশা ধরাতে হচ্ছে? পরীক্ষা সদর্থক উত্তর দেওয়ার পর সায়েবদের আর কে পায়।

    ঘটনা হল, চা তৈরি করা সোজা নয়। প্রথমত, কেউ জানে না কীভাবে চায়ের পাতা থেকে চা বানায়। আসামের নেটিবরা ওই ভাবে চা খায়ই না। কিন্তু যে বৃটিশ সাম্রাজ্যে সূর্যাস্ত হয় না তাকে কে রুখবে। চীনের থেকে লোক ধরে নিয়ে আসা হল, যাতে তারা ট্রেনিং দিতে পারে। উজানি আসামের শহরগুলোর কাছে চীনা পট্টি অনেকদিন যাবৎ ছিল (আসামের বাগানগুলো উজানিতেই বেশি)। পরে ১৯৬২-র যুদ্ধের সময় চীনাদের বন্দী করে রাজস্থান না কোথায় আটকে রাখা হয়, -- সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাপানি বন্দির মত। পরে এরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। সে অন্য গল্প।

    দুই, জমি। কোনো সমস্যাই নয়, বুদ্ধদেবের দুর্ভাগ্য তিনি পরে জন্মেছেন। সরকার বাহাদুর হাজার হাজার একর জমি চা বাগানগুলোকে নামমাত্রে খাজনায় লিখে দিলেন। খিলঞ্জিয়া (স্থানীয়) চাষির ধানচাষের জমির খাজনা চা জমির থেকে বেশ কয়েকগুণ বেশি। ৬০ বছরের মধ্যে দেখা গেল চায়ের জমি গোটা রাজ্যের চাষ জমির ২৭%।

    তিন, পুঁজী। সায়েবদের চায়ের নেশার থেকে বোঝা শক্ত নয় টাকা যোগাড় করতে খুব চাপ পোয়াতে হয় নি। ভারতের প্রথম জয়েন্ট স্টক কম্পানির আসাম কম্পানি ১৮৩৯-এ প্রতিষ্ঠিত হয়।

    চার, শ্রম। প্ল্যান A: চাষিদের চাষবাস করা এতো চাপের করে দাও সে বাধ্য হয়ে চা বাগানের কাজে এসে যুটবে। ওই যে বললুম ধান চাষের জমির খাজনা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু প্ল্যান A কাজে দিল না। যদিও খাজনা দুমদাম করে বাড়ানো হচ্ছিল, কিছুদিনের মধ্যেই চাষিরা বিদ্রোহ শুরু করে দিল। ১৮৬৮-এ প্রথম চাষি বিদ্রোহ হয়, পরে আরো হবে। অতঃপর প্ল্যান B। প্ল্যান B: স্থানীয় আদিবাসীদের কাজে লাগাও। প্রথম ২০-৩০ বছর, মানে ধরুন ১৮৬০-৭০ পর্যন্ত মূখ্যত বোড়ো, কসারি আদিবাসীরা চা বাগানের শ্রমিক ছিল। কিন্তু তারপর কৌশল বদলাল। কারণ, মালিকের বক্তব্য, ট্রাইবালগুলোকে ভরসা করা যায় না। দু্‌ই, যোগান কম।

    প্রথমটায় হয়তো খানিক দম আছে। বোড়ো ইত্যাদি আদিবাসীরা তখনও ভ্রাম্যমান জনগোষ্ঠী। সেটেলড কৃষি, জীবনযাত্রায় অভ্যস্থ হয় নি। চা বাগানের রুটিনমাফিক কাজ তাদের পোষাবে না।

    দ্বিতীয়টা কত সত্যি সন্দেহ হ্যাস। ওই ১৮৪০-৫০ দশকেই কলকাতাতে চটকলগুলো খুলছে। সেখানেও দেখা যাচ্ছে লোকাল শ্রমিক না লাগিয়ে বিহার উত্তর প্রদেশের শ্রমিক আনিয়ে কাজে লাগানো হচ্ছে। দক্ষিণ বঙ্গের মত জনবহুল অঞ্চলে শ্রমিকের যোগানের অভাব হওয়ার কথা নয়। আসলে আসামের চা বাগান হোক বা কলকাতার চটকল, মালিক চাইছিল শ্রমিকদের জীবনযাপন যেন আশেপাশের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। সে যাতে বাইরের থেকে সাপোর্ট না পায়, যাতে মালিকের ওপর নির্ভরশীল থাকে। অতঃপর প্ল্যান C।
  • I | 233.239.164.138 | ২৭ মে ২০১৫ ২২:১০680681
  • বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে। লিখে যান।
  • সে | ২৮ মে ২০১৫ ০১:১৮680682
  • লেখাটা খুব ভালো লাগছে। একটা রিকুয়েস্ট। পরে "টি পার্টি" (অ্যামেরিকার) নিয়েও একটু লিখবেন।
  • mumu | 219.20.111.1 | ২৮ মে ২০১৫ ০৩:৪৮680683
  • "চাআআঅ গরম চাআআআ"

    "এই, যে এদিকে,উফ্ফ! বাপরে জমে গেলাম ঠান্ডাটা জব্বর পরেছে,বাপস দে দিকি এক কাপ।
    কি দাদা খাবেন নকি?
    দে ওনাকেও দে "

    শান্তনু সামনের সিটে বসে ঢুলছিলো,হঠাত এই হান্ক ডাকে হক্চকিয়ে উঠলো।

    "ঈসে, না না আপনি খান"

    "আরে মশাই, খান এক কাপ।যা ঠান্ডা"

    অগত্যা,নিতেই হল,হাতে কাপ নিয়ে বসে আছে তো আছেই।চা বড় অপছন্দের।

    "কি হল, খাচ্চেন না যে? আপ্নি কি ভাবচেন আপ্নার চায়ে ওষুধ কি বিষ মিশিয়ে দিয়েচি?হো হো হো হো।মশাই এ চা খেতে তো এম্নিতেই বিষ,আর মেশানো লাগবেনা,হে হে হে হে"

    এর পর ও কি আর না গিলে পারা যায়? দেন্তো হেন্সে এক চুমুক দিলো।ইহ্হ্হ অখাদ্য!
    জুটেচেও যা হোক এক খানা কপালে,আ্চ্ছা ত্যন্দোর গায়েপড়া লোক বাবা।বকে বকে কানের মাথা খেয়ে নিলো।

    "তা,মশাই আপনার কি বিয়ে হোয়ে গেচে?

    উফ্ফ!,অসহ্য অসহ্য।টেকো বুড়োটা সকালে জ্বালালো দেকচি।

    "এই, ২ বছর"

    "তাতেও চা এর নেশা হয়নি?"

    লে হালুয়া,চায়ের সাথে বিয়ের কিসের সম্পর্ক?এত্তো বাজে বকে না ভদ্রলোক।ভুলেও সে আর উত্তর করবেনা,তালে আবার গপ্প ফেন্দে বোসবে।তা না জিগ্গাসা করলেই বা কি?

    "তা ধরুন, রাত্তিরবেলা ঝগড়া হল।সকালে উঠে আপনি চা কোরলেন,গিন্নির মাথা ঠান্ডা এক নিমেষে।
    আবার ধরুন কারো বাড়ি খেতে গেচেন,সব রান্নার প্রসঙ্গশা কোরে ফেল্লেন ভুল কোরে,ম্যানেজ দিতে " তা যাই বল, চা টা তোমার মত হয়নিকো।এক্কেবারে পানসে" "
  • mumu | 219.20.111.1 | ২৮ মে ২০১৫ ০৪:০৪680684
  • " বা ধরুন,বিকেলে জলদি এসে সিনিমাই যাবার কথা, আপনি আড্ডা দিতে গিয়ে বেজায় দেরী কোরেচেন।বড়ি এসে " আর বোলোনা , ঠিক বেরোনোর মুখে ধীমান দা এক টা বাজে কাজ গছিয়ে দিলে,আহ্হ মাথাটা কি ধরেচে।এক কাপ চাও খাওআ হয়নি বিকেল থেকে, কাজ হোয়ে গেলো। "

    "হে হে হে, কি বুঝলেন?"

    শান্তনু আনমনে কথাগুলো শুনচিলো, হঠাত কোরে মনটা ট্রেন , মাঠ জঙ্গল পেরিয়ে সেই কলেজের ক্যান্টীন।

    "এইইই শান্তনু।এদিকে আয়। তোর দেখা পাওয়া যায়্না কেনো রে?চল নন্দ দার দোকান এ চা খাই গিয়ে"

    "আরে, আমি তো চা খাইনা রে,মানে তুই যা"

    "ক্যলাস একেবারে, তোকে তো আমি চা খেতেই ডাকলাম।গাধা"

    তিথির সেই, রাগ মেশানো ঘেমে ওঠা মুখ্টা আজকাল প্রায় দেখে শান্তনু,ঘরযুদ্ধের প্রাক্কালে।আলতো হেসে এক চুমুক দিলো , নাহ্হ অতটা খারাপ আর লগচেনা তো

    (সমাপ্ত)
  • pi | 127.194.10.37 | ২৮ মে ২০১৫ ০৮:১৯680688
  • ডিডিটাদা, লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আরো লেখো।

    তবে আমার মনে হয়, আর যা শুনেছি, ঐ আপরুট করে আনার ব্যাপারটাই সচেতন ভাবে করা হয়েছিল, এতে হয়তো এক্সপ্লয়েটেশনে সুবিধা হয়। প্রতিবাদ টতিবাদ কম হয়।
    অমলেন্দু গুহর বইটা পড়তে চাই।
  • সিকি | ২৮ মে ২০১৫ ০৮:৩০680690
  • টেমি টি গার্ডেনের চা খাচ্ছি। দুশো গ্রমের দাম সাড়ে পাঁচশো টাকা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন