এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 188.83.87.102 | ৩১ মে ২০১৫ ০২:৪৭680724
  • ডুয়ার্সের একটা চা বাগানে কিছুদিন ছিলাম, কিন্তু সেই গল্প ভূতের গল্পের ক্যাটেগোরিতে লেখাই মনে হয় ঠিক হবে। তাছাড়া রাত হয়েছে, এত রাতে ও গল্প না বলাই ভালো।
  • Bratin | 122.79.39.163 | ৩১ মে ২০১৫ ১০:৩৬680725
  • বোস্টনে নেচার পত্রিকার আপিসে কিছুদিন কাজ করেছিলাম।ওখানে ই ওদের বিভিন্ন সাবজেক্টের সম্পাদক রা বসতেন।আর আমরা আই টি র হাতে গোণা কয়েকজন
    তো এখানে নানা ফ্লেবারের ১৬ রকমের চা পাওয়া যেত।চা প্রেমী আমি রোজ বিভিন্ন চা ট্রাই করতাম ))
  • ddt | 81.192.247.76 | ০২ জুন ২০১৫ ০২:৪৯680727
  • আমেরিকার টি পার্টি নিয়ে কিছু জানি না, সে। আমি পাড়াগেঁয়ে লোক।
  • ddt | 81.192.247.76 | ০২ জুন ২০১৫ ০৩:২৩680728
  • যাই হোক, যা বলছিলুম। সাহেবের জাত। গোটা দুনিয়া ওলট পালট করে আসাম দেশে চা চাষ করছে। চীন থেকে ট্রেইনার ধরে এনেছে। লন্ডন থেকে টাকা। আসাম দেশের জমি। এবার দরকার পড়ল লেবারের। ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চল থেকে কেন লেবার ধরতে গেল জানি না। অমিতাভ ঘোষের সিরিয়াল পড়লে জানবেন সায়েবরা যে শ্রমিক পাচার দিত তারা উত্তর প্রদেশ, বিহার থেকে যেত। মরিশাস, ক্যারিবিয়ান, ফিজিতে এই হিন্দি হৃদয়ভূমি থেকে গেছে। বার্মা সিঙ্গাপুর টিঙ্গাপুরে অবশ্য মান্দ্রাজ প্রেসিডেন্সি থেকে গেছিল। তারা নিজের উদ্যাগে গেছিল যদ্দুর জানি। পোষাকি ভাষায় যাকে বলে ইনডেঞ্চার্ড লেবার -- সেই ইনডেঞ্চার্ড লেবার বিহার ও পূর্ব উত্তর প্রদেশের থেকে যেত। আসামের জন্য ভিন্নপন্থার কারণ হিন্দিওয়ালারা এখান থেকে পালাতে পারবে, বোকা আদিবাসীগুলো পারবে না? জানি না।

    পালানোর চেষ্টা তা বলে থেমে থাকে নি। পালানোর কারণ অনেক। রোগভোগ ছিল। আসামের জালাজর বিখ্যাত ছিল। কলেরা, ম্যালেরিয়াতেও মরত। আদিবাসীদের নিয়ে আসত আড়কাঠি, লেবার ঠিকেদারদের নেটওয়ার্ক। আড়কাঠিরা ঝাড়খন্ড, ওড়িশার গ্রামগুলোতে ঘুরে ঘুরে টাকা এ্যাডভান্স দিত। টাকা নেওয়ার লোকের অভাব ছিল না বলা বাহুল্য। এই এ্যাডভান্স ছিল ভবিষ্যতের চা বাগানের কাজের মজুরির এ্যাডভান্স। সহজ ভাষায় ধার। যা খেটে শোধ করতে হবে, যা কখনো শোধ হবে না। মানে সাহেবরা ভারতে আগের থেকে প্রচলিত ডেট বন্ডেজের পদ্ধতিই ব্যবহার করছিল। সেই যো, মহাজন বা জমিদার ধার দিয়ে আগাম অনেক প্রজন্মের লেবার কিনে নেয়। সেইই।
  • সে | ০২ জুন ২০১৫ ১২:০৩680729
  • দাসপ্রথা। এই কারণেই এই শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান ছিলো খুব নিম্ন। এইরকম দাসপ্রথা অ্যামেরিকান কন্টিনেন্টেও ছিলো কলোনিয়াল কালে। সুগার প্লান্টেশানে মর্টালিটি রেট অনেক বেশি ছিলো কটন প্ল্যান্টেশানের তুলনায়। যাগ্গে, এখন চা নিয়ে কথা হচ্ছে। টইজ্যাক করব না। আগে বাড়ুন ডিডিটি। পড়ছি।
  • kd | 127.194.238.12 | ০২ জুন ২০১৫ ১৪:২১680730
  • মুমু, আর যাই করুন, গুরুতে "অ্যা" করতে গেলে আগে অভ্যুর কাছে বাথরুমটা কোথায় জেনে নিন। ঃ)
  • ddt | 81.192.247.76 | ০৬ জুন ২০১৫ ০২:০১680731
  • হ্যাঁ সে। দাসপ্রথার মতই বটে। তবে পুরোপুরি না। কারণ বলতে গেলে এট্টু তত্ব ঘাঁটতে হবে। তা বাঙালী হয়ে তত্ব না করলে করলুমটা কী।

    ব্যাপারটা সহজ। দাসপ্রথায় পণ্য আর পণ্য বিক্রেতা আলাদা নয়। শ্রম আর শ্রমিকের মধ্যে বিভাজন আসে নি। শ্রমিকের ভেতরেই তার শ্রম আছে। শ্রমকে কবজা করতে হলে শ্রমিককে কবজা করহ কেননা শ্রমিক শ্রমকে পারসোনিফাই করছে। মার্ক্সীয় ধারণায় লেবারার আর লেবার পাওয়ার এক্ষেত্রে অবিচ্ছেদ্য।

    অন্যদিকে পুঁজীবাদের খাসিয়াত কিন্তু সেখানে শ্রমিক তার শ্রমের থেকে ভিন্ন। শ্রমিক ব্যক্তি হিসেবে স্বাধীন। তার ওপর কন্ট্রোল নেই। তাকে কেনাবেচা যায় না। শ্রমিকের স্বাধীনতা সে শ্রম বেচে জীবিকা নির্বাহ করে। সেই যো মার্ক্সসায়েব প্রিমিটিভ এ্যাকুমুলেশন নিয়ে বলেছিলেন না পুঁজীবাদে শ্রমিক স্বাধীন দুই দিক দিয়ে, প্রথমত, ...ইসে, থুক্যু, যাউগগা।

    ডেট বন্ডেজের ব্যাপারটা এদিক দিয়ে চিত্তাকর্ষক। শ্রমিক এখানে স্বাধীন পুঁজীবাদের মত। ধার নিচ্ছে নিজের গরজে, কেউ বাধ্য করছে না। যারে কয় বাজারের ভলান্টারি কেনাবেচা। এর পর সুদের হারের ভারে সে কিন্তু দাসেদের মতই মহাজনের কাছে বাঁধা পড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ব্যক্তি হিসেবে শ্রমিক পরাধীনই হয়ে যাচ্ছে শেষমেশ। যদিও পুরো ব্যাপারটাতে দাসপ্রথা নেই, বাজারের স্বতঃপ্রনোদিত কেনাবেচা আছে। মানুষগুলো ফর্মালি স্বাধীন, কার্যত পরাধীন। তাত্বিকরা বলবেন যেসব দেশে পুঁজীবাদ ভাল করে ফোটে নি, সেখানে এরম দেখা যায়।
  • সে | ০৬ জুন ২০১৫ ০২:১৪680732
  • হ্যাঁ। মডার্ণ ডে স্লেভারির গোড়াপত্তন। লিখুন। মন দিয়ে পড়ছি কিন্তু।
  • ddt | 81.192.247.76 | ০৬ জুন ২০১৫ ০২:৩৭680734
  • চা বাগানের আদিবাসীরা সবাই কিন্তু সাঁওতাল না। সাঁওতাল, ওঁরাও, খারিয়া, গোন্ড এরকম অনেক জনজাতি আছে যাদের আমরা অজ্ঞানতাবশত সাঁওতাল বলি। ভাষা সবার সাঁওতালি না। এক পি এইচ ডি ছাত্রকে চিনতুম। সে নিজে চা জনজাতির। ওডিশার এক আদিবাসী ভাষা নিয়ে কাজ করছে যা এখন শুধু আসামেই বলা হয়। ওডিশার যে অঞ্চল থেকে ওরা এসেছিল সেখানে সেই ট্রাইবের ভাষায় কথা বলার কেউ নেই। আসামেও এদের সংখ্যা বেশি নয়। হয়তো আর দু তিন জেনারেশন পর ভাষাটা মরে যাবে।

    সাধারণভাবে সবাই ছোটনাগপুর অঞ্চল থেকে এসেছিল। তৎকালীন দক্ষিণ বিহার থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ ওডিশা দিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিসগড় -- যাকে আজকাল রেড করিডর বলা হয়, তার একটা অংশ থেকে। এদের একটা লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা আছে বটে, তার নাম সাদরি। বছর ১০-১৫ আগে আসামে এক মনোজ্ঞ প্রাইভেট টিভি চ্যানেল ছিল, তার নাম এন ই টিভি। নিউজ চ্যানেল, উত্তর পূর্বের সব প্রধান ভাষার খবর সেখানে পড়া হত। মানে এই ধরুন অসমিয়া হিন্দি ইংরিজি বাংলা নেপালি বোড়ো নাগা মণিপুরি মিজো খাসি...। ১০ মিনিট প্রতি ভাষাকে দিলে ঘন্টা দুই লাগবে এক রাউন্ড শেষ হতে। দেখতুম সাদরিতে খবর পড়া হচ্ছে। বোঝা যায় বেশ। এই যো এই গানটা শুনুন। আপামর আসামবাসীর কাছে হিট হয়েছিল।

  • সে | ০৬ জুন ২০১৫ ০২:৪০680735
  • ঃ-) চলুক।
  • টেনি শর্মা | 111.221.130.194 | ০৭ জুন ২০১৫ ১৩:৪৪680736
  • বাহ।ডিডিটি বাবু সমৃদ্ধ হচ্ছি। আরো তথ্যের অপেক্ষায় রইলাম।
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | ০৭ জুন ২০১৫ ১৯:৩৫680737
  • দারুন লাগছে , চলুক ঢিমে তালে
  • ddt | 81.192.247.76 | ০৯ জুন ২০১৫ ০৬:৪৯680738
  • কুলিদের চাহিদা ছিল দেখা যাচ্ছে। সায়েবরা লোকাল লেবারের ওপর ভরসা না করে বাইরের থেকে লোক আনানোর তাল করছিল। এই ট্রেন্ডটা মোটামুটি ১৮৬০ থেকে শুরু হয়। অমলেন্দুবাবু প্রতি দশকে ক'জন চা শ্রমিক বাইরের থেকে আসছে তার হিসেব দিয়েছিলেন (হাতের কাছে বইটা নেই, নইলে সংখ্যাগুলো দিতে পারতুম)। ১৯০১-এ দেখা যাবে আসাম প্রপারে (মানে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা) ৩ লাখ চা শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ২০ হাজার লোকাল। প্রচুর কুলি পথেই মরে যেত -- সেই আমেরিকাগামী দাস জাহাজের মত। ১৮৬৩ থেকে ১৮৬৬ এই তিন বছরে দেখছি ৮৫ হাজার শ্রমিক আমদানি হয়। যার ৩৫% রাস্তাতে মারা যায়। কলকাতা আর কুষ্টিয়াতে কুলি গুদাম বানানো হয়েছিল। সেখানে এসে সব জড়ো করা হবে। তারপর নদীপথে আসামে চালান। রীতিমত লেবার রিক্রুটিং এজেন্সি বানানো হয়েছিল। তারা একদিকে আড়কাঠি, লেবার সর্দাদের দিয়ে কুলি আনবে আর চা কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি করে সাপ্লাই দেবে। চা কোম্পানিগুলোও কম সেয়ানা না। তারা একসাথে জোট পাকিয়ে দরাদরি করত যাতে দাম কম পাওয়া যায়। কোম্পানির সংখ্যা খুব বেশি ছিল না, ফলে কার্টেল বানাতে অসুবিধে হত না।

    কিন্তু শুধু চাহিদা দিয়ে বাজার হয় না, কুলির যোগান চাই। অভাবি লোক হাতের কাছে অনেকগুলো টাকা এ্যাডভান্স পেলে টোপ গিলে নেবে। কুলির যোগান থাকার কথা। তার বাইরেও আরো কিছু ঘটনা ঘটছিল যেগুলো মনে রাখলে বোঝা যাবে কেন এতো লোক বিদেশ বিঁভুইয়ে পাড়ি দিচ্ছিল, যখন তারা দেখতে পাচ্ছে যারা গেছে ফিরছে বিশেষ।

    উনবিংশ শতাব্দী জুড়ে ভারতের কৃষি অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন চলছিল। সাহেবরা নিজেদের মত করে গোটা অর্থনীতি ভেঙে চুড়ে নিচ্ছিল, আর একের পর এক দুর্ভিক্ষের জন্ম হচ্ছিল। কমার্শিয়াল শস্য লাগাতে বাধ্য করছিল (অমিতাভ বাবু আফিমের কেসটা লিখেছেন, এছাড়া নীল, কার্পাশ, ইত্যাদি আছে)। বাজারের ওপর চাষি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছিল। বাজার মন্দা গেলে হাতে হ্যারিকেন, নীল খেয়ে তো বাঁচা যায় না। মাইক ডেভিস সাহেব লেট ভিক্টোরিয়ান হলোকস্টে লিখেছেন ভাল জমিগুলোতে কমার্শিয়াল ক্রপ লাগাতে বাধ্য করা হচ্ছিল। বাজে জমিতে খাদ্যশস্য লাগানো হচ্ছিল, ফলে মন্বন্তরের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছিল। জমির রাজস্ব কোম্পানি রাজের কাছে সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস। সেটা নিশ্চিত করতে কড়া হুকুম হল, প্রতি বছর নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে খাজনা জমা না করলে জমিদারি নিলামে চড়ানো হবে। কোনো অন্যথা নাই। এর একটা নামও ছিল, সানসেট ল না কী যেন। কথার কথা না, অনেক পুরনো জমিদারি নিলাম হচ্ছিলও। নিজেদের ওপর চাপ কমানোর জন্য জমিদারেরা প্রজাদের ওপর খাজনার ভার বাড়িয়ে দিচ্ছিল। অনাবৃষ্টি, ফসলে পোকা, বন্যা -- খাজনার মাফ নেই। সাহেবরা খাজনা নিত মুদ্রায়, তাই জমিদার প্রজার থেকে মুদ্রা দাবি করত -- ফসল না। অর্থাৎ একসাথে গ্রামীন অর্থনীতির মনিটাইজেশন হচ্ছে আর খাজনার চাপ বাড়ছে। দিতে না পারলে জমিদার ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে দিচ্ছে। এরকম অবস্থায় মুদ্রাসহ আড়কাঠির আগমণ হলে অফার দে ক্যাননট রিজিউজ টাইপের ব্যাপার হয়ে যায়। লক্ষ্য করুন সাধারণভাবে চাষিদের কথা বলছি -- শুধু আদিবাসী না। কারণ শুধু আদিবাসীরাই রিক্রূট হত না। এক গবেষণা প্ত্র বলছে, ছোটনাগপুর থেকে ধাঙর, মুচি, কুর্মি, বাওরি, ভূমিজ, সাওতাল, মুন্ডা, গোয়ালা জাতের লোক রিক্রুট করা হয়েছিল। এরা মূলত আদিবাসী, দলিত বা ম্যাক্সিমাম ওবিসি। পেশাগতভাবে ভূমিহীন শ্রমিক, প্রান্তিক চাষি, বা এমনি শ্রমিক (আর্টিসানের বাংলা কী?)।
  • pi | 233.176.0.224 | ০৯ জুন ২০১৫ ১৭:৫৫680739
  • কারিগর ?

    পড়ছি। এখানে এরকমটাই শুনেছিলাম , পুরো ইতিহাসটা পড়তে খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। আমাদের আলোচনার আরেকটা কারণ ছিল ঐ ম্যালেরিয়া, ঐ যে বললে না আনার পথেই ৩৫% শ্রমিক মারা যান, তার একটা বড় কারণ নাকি ছিল ম্যালেরিয়া। এনিয়ে অমলেন্দু বাবু কিছু লিখেছিলেন কি ?
  • কল্লোল | 111.63.205.169 | ১২ জুন ২০১৫ ০৮:৩৩680740
  • এই গানটা দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না।

  • ন্যাড়া | 109.72.224.255 | ১২ জুন ২০১৫ ১১:০২680741
  • খালেদ চৌধুরীর লেখায় এ নিয়ে - মূলতঃ সুরের মাইগ্রেশন নিয়ে - রেফারেন্স পড়েছি।
  • কল্লোল | 111.63.205.169 | ১২ জুন ২০১৫ ১১:০৫680742
  • হ্যাঁ, যে গানে সাঁওতালি লোকগানের সুরে বিহু মিশেছে।
  • ন্যাড়া | ১২ জুন ২০১৫ ১১:৩৫680743
  • যদ্দুর মনে পড়ছে যে ঝুমুর - যাকে রাঢ়ের সঙ্গে আইডেন্টিফাই করা যায় - সেটা দেখাচ্ছেন আসামে পাওয়া যাচ্ছে।
  • pi | 116.218.20.70 | ১৩ জুন ২০১৫ ০২:৫৩680745
  • এখানে আমি যদ্দুর যা শুনেছি, এখানকার ঝুমুরে বিহুর মিশ্রণ হয়নি। এটা পুরোই অদিবাসী নৃত্য। ঝুমুর তো আসামে পাওয়া যাবেই কারণ চা বাগানের শ্রমিকেরা রাঢ় অঞ্চলের বাসিন্দাই। এটা এখানকার মিউজিক কলেজে শুনেছি। তবে এখন এই চা বাগান আদিবাসীদের ( সুশান্তদা, ওঁরা দেখলাম নিজেদের আদিবাসী বলেই রেফার করেন, আর সেটা কোনোভাবেই হীন টার্ম নয়)ঘরেই রোজ যাচ্ছি। একদম সিধে জিগেশ ই করে নেবো।
    তবে এখানে কার্বি আর টি ট্রাইব ইন্ট্যার‌্যাকশনটা খুব ইন্টারেস্টিং।
    পরে সময় পেলে লিখবো কখনো। খালি একটা মজার ব্যাপার, টি ট্রাইব রা সবাই মোটে চা বাগানে কাজ করেন না দেখলাম, অনেকেরই খেত, অনেকেই ডেইলি ওয়েজ লেবারার, ওদিকে প্রচুর কার্বি মহিলা চা বাগানে কাজ করেন। চা বাগানে সব মিলেমিশে।
    এমনিও মিলেমিশেই থাকেন। যদিও কার্বিদের টা গ্রাম ,আর এঁদেরটা রাস্তার ধারে সার সিয়ে বস্তি।
  • i | 134.169.135.239 | ১৩ জুন ২০১৫ ০৩:০৩680746
  • বেশ কবছর আগে তিলোত্তমা মজুমদারের জর্মের চোখ পড়ে বেশ কিছু তথ্য জেনেছিলাম এব্যাপারে। তারপর এই নিয়ে পড়াশোনা করব ভেবেও করতে পারি নি।
    আজ এই টইটায় এসে সেসব মনে পড়ছে কিছু কিছু। এই মুহূর্তে টই টা পড়তে খুব ভালো লাগছে।
  • anirban | 208.128.206.49 | ১৩ জুন ২০১৫ ০৩:২৩680747
  • হ্যা। পড়তে ভালো লাগছে। পাই, পারলে আরও ডিটেইলে লেখ।
  • ddt | 81.192.247.76 | ১৩ জুন ২০১৫ ০৩:৪২680748
  • হ্যাঁ পাই, চা আদিবাসীরা অনেকেই চা বাগানে কাজ করে না। বাবা চা বাগানে কাজ করত তাই বলে ছেলে চা বাগানে কাজ পাবে তার কোনো মানে নেই। চাকরিও আগের তুলনায় কমে গেছে। মেকানাইজেশনের ফলে, বা বড় চা বাগানের বদলে ক্ষুদ্র চা বাগানের উদ্ভবের ফলে (সে এক চিত্তাকর্ষক বিষয়, পরে লিখব বুনো মোষ তাড়ানোর শখ জাগলে)।

    পড়াশোনা শিখে শহরে গিয়ে কাজ সার্ভিস সেক্টারে কাজ পাবে সে আশা ক্ষীণ। অনেক বাগানে ইস্কুল নেই। যা আছে প্রাইমারি, অসমিয়া মিডিয়াম। ইস্কুলে না গিয়ে বাচ্চাগুলো ছাগল গরু চড়ালে, বাবুদের বাড়িতে কাজ করলে সংসারের সাশ্রয় হয়। তাই শেষমেশ চা বাগানের কাছাকাছি জমিতে খেতিতে লেগে যায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম। কনস্ট্রাকশন সাইটে খাটতে বা মিস্ত্রির কাজে দেখেছি বটে, কিন্তু কম।

    মজার ব্যাপার পূর্ববংগীয় মুসলমানদের কিন্তু দেখেছি গত ৩০-৪০ উঠে এসেছে। আগে খালি কামলার কাজ করতে দেখতুম (আপনেরা যারে জন খাটা ক'ন)। আজকাল মিস্ত্রী, ইলেক্ট্রিশিয়ান, ব্যবসা, কেরানির কাজে বাঙালি মুসলমানদের দেখছি। চা শ্রমিকদের মধ্যে জিনিসটা অনুপস্থিত।
  • anirban | 208.128.206.49 | ১৩ জুন ২০১৫ ০৩:৪৮680749
  • ddt আপনি একটু বড় করেই পুরো ইতিহাসটা লিখুন। আপনার পোস্টগুলো পড়ছি, খুব ভালো লাগছে।
  • ddt | 81.192.247.76 | ১৩ জুন ২০১৫ ০৪:৪২680750
  • অমনেন্দুবাবু যাত্রাপথে মৃত্যুর কারণ নিয়ে লিখেছিলেন বলে মনে করতে পারছি না। আসামে আসার পরে মরার কারণ নিয়ে বোধহয় লিখেছিলেন, সেখানে ম্যালেরিয়া কালাজর ছিল। আসার পথে মৃত্যুর কারণ হিসেবে কলেরার উল্লেখ পাচ্ছি অন্য একটা লেখায়। যা স্বাভাবিক।

    চা বাগানের কাজ দু'ভাগে ভাগ করার যায়। এক, বাগানের কাজ, দুই, কারখানার কাজ। ছোট বাগানে অবশ্য কারখানা থাকে না। তাদের চা পাতা কোম্পানির অন্য কারখানায় পাঠানো হয়। বাগানের কাজের মধ্যে আছে চা গাছগুলোর নিয়মিত ছাঁটাই, গোড়া নি্রানো, সার-জল দেওয়া, পোকার ওষুধ ছড়ানো, ট্রেঞ্চের মত গভীর নিকাশি নালাগুলো দুরুস্ত রাখা, শেড ট্রিগুলো বাগে রাখা। ৬০-৭০ বছর হলে চা গাছ বুড়ো হয়ে যায়। তখন উপড়ে ফেলে নতুন চাড়া লাগাতে হয়। এর মধ্যে মতা মাইকি (পুরুষ-স্ত্রী) ডিভিশন অফ লেবার আছে। মেয়েরা পাতা তোলা আর নিড়োনোর কাজ করে।

    কারখানার কাজে আবার দুটো ভাগ। প্রথমে পাতা শুকোনো হবে। জলীয় বাষ্পের পরিমান একটা লেভেলের নিচে না গেলে পাতা প্রসেস করা যায় না। শুকোনোর জন্য একটা বিশাল তিন তলা বিল্ডিং আছে। ভার্টিকালি দু তিন ফুট ছেড়ে ছেড়ে একের পর এক নেটের বিছানা। বিছানায় পাতাগুলো মেলে দেওয়া হবে। এই কাজটা সচরাচর মেয়েরা করে। শুকোনো হয়ে গেলে পাতা মূল কারখানায় নিয়ে গিয়ে মিহি করে কাটা হয়, তারপর ফারমেন্টেশনের জন্য রেখে দেওয়া হয়। তখন রঙটা সবুজ থেকে মরচেপানা হয়ে যায়। শেষে সামান্য ভেজে শুকিয়ে সাইজ অনুযায়ি বিভিন্ন ভাগে প্যাকেট করা হয়। এইকাজগুলো মেশিন ও পুরুষদের। স্কিল্ড লেবার, মানে কল মিস্ত্রী টিস্ত্রীরাও কাজে লাগে। উপরন্তু ম্যানেজার (যিনি বাগানের দন্ডমুন্ডের কর্তা), তার এ্যাসিসট্যান্ট, কারখানার বড়বাবু (হেড টি হাউস), মেজো বাবু, ছোট বাবু, কেরানি, খাজাঞ্চি, মুহুরি, পিওন, দারোয়ান ইত্যাদি নানান লোকের হায়ারার্কি বর্তমান। এই হোয়াইট কলার বা সেমি হোয়াইট কলারদের মধ্যে চা জনজাতি দেখা যায় না। বাঙালির চা বাগানে প্রবেশের পথ হেথায়।

    আরো আছে। মনে রাখতে হবে বাগানগুলো শহর থেকে দূরে। দোকান পাট হাসপাতাল ইস্কুল কিস্যু নেই। সেসব কোম্পানি দেয়। অন্তত দেওয়ার কথা। চা বাগানগুলোর ভেতর নার্স ডাক্তারসহ হাসপাতাল দেখা যায়। কয়েকপিস গেঁয়ো দোকান যেখানে পান তাম্বুল বিড়ি থেকে ইলেক্ট্রিক বাল্ব মশলাপাতি ডিম শাক সবজি পাওয়া যাবে দেখা যায়। এসব ধরেও বাঙালি ঢুকেছে।

    অসমিয়াদেরও দেখা যায় চা বাগানের হোয়াইট কলার কাজে। তবে অসমিয়ারা কম মাইনের বেশি খাটনির কাজে উৎসাহিত বোধ করে না বলে গুজব আছে। আসলে সাহেবরা যখন চাবাগানের পত্তন করছিল গুটি কয়েক ধনাঢ্য অসমিয়া দেখাদেখি চা বাগান তৈরি করেছিল। এখনো আসামে অভিজাত ওল্ড মানি বলতে পুরোনো চাবাগান মালিক এরকম এক সমীকরণ আছে (অসমিয়ায় উচ্চারণ sa bagisa)। মণিরাম দেওয়ান ছিল এমন এক মালিক। পুরোনো আহোম সামন্তপ্রভু, গোটা দুই বাগান ছিল বলে জানা যায়। সিপাহি বিদ্রোহের সময় বাগীদের সাথে ষড় করার অভিযোগে সাহেবরা মণিরামকে ফাঁসিতে লটকে দেয়। মণিরামের এই গানটা শুনুন। হিন্দি কাভারটার তুলনায় অনেক উমদা চিজ।
    (ইউটিউব আপলোডার ট্রেবল বাড়িয়ে সামান্য বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে)

  • i | 134.169.135.239 | ১৩ জুন ২০১৫ ০৫:৪৭680751
  • দু জনের কথা মনে পড়ে গেল। ফুট কাটতে এলাম আবার।
    দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী।ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে কুলির ছদ্মবেশে অসমে এসে বস্তিতে থেকে সেখানকার ভয়ংকর জীবন দেখেছিলেন। সেই সব লেখা 'সঞ্জীবনী' আর 'বেঙ্গলি' পত্রিকায় নিয়মিত বেরোতো। পরে 'স্লেভ লেবার ইন মডার্ন ইন্ডিয়া' নমে বই হয়ে বেরোয়। দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী মশাইএর কথা রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজে আছে।

    মেজর রবার্ট ব্রুস। অসমের জঙ্গলে প্রথম চা গাছের সন্ধান পান। ১৮২৩ সাল।

    এই সব পড়েছিলাম একটি উপন্যাসে। বিপুল দাসের ভুবনজোতের বাঘ।
    আজ এই টই পড়তে গিয়ে জর্মের চোখ আর ভুবনজোতের বাঘ মনে পড়ছিল। তাই ফুট কাটা।

    ডিডিটি, আবারও বলি, খুব ভালো লাগছে পড়তে। লেখা থামাবেন না। আলোচনাও চলুক।সময় করে ঠিক পড়ে যাব-নিশ্চিত জানবেন।
  • ddt | 81.192.247.76 | ১৭ জুন ২০১৫ ০৬:৩৯680752
  • আর চা বাগানের রাস্তায় আসামে ঢুকছিল মারোয়ারিরা। তারা ঢুকছিল ব্যবসায়ী হিসেবে, কর্মচারী না। আসামে মারোয়ারিদের প্রবেশের পথ শুধু চা বাগান ছিল না অবশ্যি। বৃটিশদের আসাম দখল করার সাথে সাথেই সাম্রাজ্যের তল্পিবাহক হিসেবে মারোয়ারি ব্যবসায়ী আসামে ঢুকতে শুরু করে (বাঙালীরাও তল্পিবাহক, বলে লাভ নেই :) )। অমলেন্দুবাবুর দ্বিতীয় একটা বই আছে, শেষ-মধ্য যুগ ও আধুনিক যুগের আসামের ওপর লেখা প্রবন্ধ সঙ্কলণ। সেখানে পাচ্ছি ১৯ শতকের মাঝ থেকে আসামের গ্রামগুলোতে মারোয়ারি মুদির দোকান কমন হয়ে পড়ছে। এরা আসামে দুর্লভ এরকম জিনিসপত্র বিক্রি করত, যেমন নুন। বাড়িতে কাপড় বোনা আসামে খুব কমন। বাকি ভারতে কাপড় বোনে তাঁতিরা, আর তাঁতিদের জাত খুব উচুঁ নয়। আসামে সব জাত বাড়িতে কাপড় বোনে। মূলত মহিলাদের কাজ হিসেবে দেখা হয়, গৃহস্থালির কাজের মধ্যে পরে। মোটমাট, নিজের হাতে কাপড় বোনা অসমিয়া সংস্কৃতির অঙ্গ। হয়তো যেসব ট্রাইবাল চিহ্ন অসমিয়া সংস্কৃতিতে রয়ে গেছে এটা তার একটা। কাপড় বুনতে লাগে yarn। সস্তা দামে ইয়ার্ন বেচেও মারোয়ারিরা গ্রামীন আসামে প্রবেশ করেছিল।

    আসামে ট্র্যাডিশনাল বৈশ্য জাতি নেই। আগে লিখেছি বাইরের সাথে আসামের যোগাযোগ ক্ষীণ ছিল। বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে অজ্ঞানতার একটা দৃষ্টান্তঃ পুরোনো অসমিয়ায় বিদেশির প্রতিশব্দ বঙাল। বাঙালী ছাড়া যে আরো বিদেশি থাকতে পারে এরকম ধারণাটা তেমন জোরদার ছিল না। অতঃপর সাহেবদের দেখে ওনারা নাম দিলেন বগা বঙাল – সাদা বাঙালী। যাইহোক, বৈশ্য না থাকার ফলে মারোয়ারিদের বড় একটা কম্পিটিশনের মোকাবিলা করতে হয় নি। বাঙালী ছোট ব্যবসায়ী ঢুকছিল অবশ্যি, গাঁ গঞ্জে ভ্রাম্যমাণ ঢাকাইয়া ফেরিওয়ালাদের কথা সে সময়ের লেখাপত্রে পাওয়া যাচ্ছে। সেসব বড় কম্পিটিশন ছিল না। মারোয়ারিরা চা বাগানের সাপ্লায়ার টাপ্লায়ারের কাজ করত। পরে পাট চাষ ছড়িয়ে পড়লে আর মৈমনসিঙ্গিয়া মুসলমান চাষিরা মাইগ্রেট করতে শুরু করলে মারোয়ারি ব্যবসায়ীদের আরো বাড়বাড়ন্ত হবে। আরো পরে ইংরেজরা বিদায় নিলে মারোয়ারিরা ম্যাক্সিমাম চা বাগান কিনে নেবে। যা অগপ, আলফার মত জাতীয়তাবাদী সংগঠণগুলোর বহিরাগতবিরোধি রাজনীতির ইন্ধন যোগাবে। সেসব অনেক দূরের কথা।
  • dd | 113.227.96.173 | ১৭ জুন ২০১৫ ০৮:২৯680753
  • যেমন তথ্যে ঠাসা তেমনি ঝরঝরে ভাষা। খুব ইন্টেরেস্টিং হচ্ছে।
  • byaang | 132.167.242.132 | ১৭ জুন ২০১৫ ০৯:২১680754
  • খুবই ভালো লাগছে ডিডিটির লেখা। খুব মন দিয়ে পড়ছি।
  • Atoz | 161.141.84.175 | ১৮ জুন ২০১৫ ০০:৫০680756
  • দারুণ লেখা ডিডিটির। চমৎকার লাগছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন