এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হিরোশিমা নাগাসাকি

    dd
    অন্যান্য | ১৩ আগস্ট ২০১৫ | ৩৯১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুকি | 129.160.188.31 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১০:৩৫686105
  • সবদিক বিশ্লেষণ করলে এই বিষয়ে প্রায় সন্দেহই থাকে না যে হিরোশিমা এবং নাগাসাকির বিষ্ফোরণ যুদ্ধর স্থায়িত্বকে ছোট করে দিয়েছিল। আমেরিকা পরমাণু বোমা না ফেললে জাপানীরা আর কতদিন প্রতিরোধ বা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত সে এক অন্তহীন আলোচনা এবং তর্কের ব্যাপার। এটা মনে হয় যে সেই চালিয়ে যাওয়া যুদ্ধ আরো বেশী প্রাণ কেড়ে নিত – কিন্তু সেই সংখ্যা হিরোশিমা-নাগাসাকির থেকে বেশি হত - বা সমান সমান – তা সমন্ধেও নিশ্চত করে কিছু বলা যায় না – কারণ পরমাণু বোমা ওই দুই শহরে ঠিক কত মানুষের প্রাণহানী ঘটিয়েছে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা প্রায় দুঃসাধ্য।

    কত মানুষ মরেছিল বা আরো কত মরতে পারত সেই নিয়ে তর্ক এবং অনিয়শ্চয়তা থাকলেও, যে বিষয়ে তর্কের অবকাশ অনেক কম ছিল তা হল সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্কে জন্মানো ভীতি (কল্পিত বা অনুমান সাপেক্ষ) ও আশঙ্কা পরমাণু বোমের ব্যবহারের পিছনের চিন্তাভাবনায় অনেকটাই প্রভাব ফেলেছিল। ব্যবহৃত যুক্তিগুলি সবই ছিল বহু ব্যবহৃত এবং বহু অনুশীলনীত, কিন্তু আমেরিকার জাতীয় আর্কিইভে পাওয়া একটি নথি চমকপ্রদ অন্তদৃষ্টি প্রক্ষেপণ করে সেই দিন গুলিতে আমেরিকার মেজাজ ও চিন্তাভাবনা বিষয়ে।

    ১৯৪৫ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর জেনারেল গ্রোভস্‌ এক মেমোরেন্ডাম লেখেন এবং পাঠিয়ে দেন বিগ্রেডিয়ার জেনেরাল লরিস নরস্টাডলে যিনি ছিলেন ততকালীন আমেরিকার স্ট্রাটেজিক এয়ার ফোর্সের চিফ্‌ অব স্টাফ। সেই মেমোরেন্ডামের সাথে সংযুক্ত ছিল তিন পাতার এক টপ সিক্রেট রিপোর্ট এই নামের, “রণনীতিগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাশিয়ান জায়গাগুলি ধ্বংসের জন্য প্রয়োজনীয় বোমার আনুমানিক মূল্যায়ন” (“Estimated Bomb Requirements for Destruction of Russian Strategic Areas”)। সেই নথিতে তিনটি কলাম ছিল – প্রথম সারিতে তেষট্টি-টি প্রধান রাশিয়ান শহরের তালিকা, যার শুরুতে ছিল মস্কো এবং শেষে উখটা্‌। দ্বিতীয় সারিতে উল্লেখিত ছিল প্রতিটি শহরের এলাকা হিসাব বর্গ মাইলে এবং তৃতীয় সারিতে ওই শহর গুলি ধ্বংস করতে কতগুলি পরমাণু বোমা লাগবে তার বিশদ। মস্কোর জন্য ছটা বোমাই কাফি – ওই তালিকার সমস্ত শহরকে নিশ্চিহ্ন করতে করতে দরকার পরবে ২০৪ টি পরমাণু বোমা।

    এই তিন পাতার নথিটিতে কোন তারিখ ছিল না – জাতীয় আর্কাইভ উল্লেখ করেছে ৩০শে আগষ্ট ১৯৪৫ বলে। তবে এটা নিশ্চিত যে সেটা সেপ্টেম্বরের আগের তৈরী কারণ জেনারেল গ্রোভস ১৫ই সেপ্টেম্বরের পাঠানো মেমোরেন্ডামের সাথে ওই তালিকা জুড়েছিলেন। এবং একটু গভীরভাবে ভাবলে দেখা যাবে ঠিক তারিখ যাই হোক – এর তাৎপর্য কিন্তু বিষ্ময়কর বা ভীতপ্রদ। যুদ্ধ শেষের মাত্র এক মাস বা হয়তবা মাত্র পনেরো দিনের মধ্যেই কিন্তু আমেরিকার রণনীতির নির্ধারক ব্যাক্তিদের দৃষ্টি ইউ এস এস আর এর উপর পড়ে গিয়েছিল। ওদিকে তখনো হিরোশিমা এবং নাগাশাকিতে মৃতদেহের সৎকার চলছে। আর যাই প্রাপ্তি হয়ে থাকুক না কেন, হিরোশিমা এবং নাগাশাকির বিভীষীকা এটা তর্কের উর্দ্ধে করে দিয়েছিল যে অন্য জায়গায় পরমাণু বোমার ব্যবহার ঠিক কি ডেকে আনতে পারে। ওপেনহাইমারের অভিশাপ তিনি দেবার আগেই প্রযুক্ত হয়ে গিয়েছিল!
  • dd | 116.51.131.166 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১০:৩৯686106
  • সিংগুল ডি কে

    আরে, ঐ ড্রেসডেন বম্বিং লেখা ক্ষি আর আছে ? সে তো বাংলা লাইভের কৃপায় কবেই মহাকালের গর্ভে বিলীন হয়ে গ্যাছে। আর আমার কাছে কো কাপি ও নেই।

    গার্ডিয়ানের উত্তরণের পথে একটা ঢ্যাঁড়া পরলো।

    আর ফাইদিকে

    হিরোসিমা নিয়ে ভুলবার যো নেই। শুধু জাপান তো নয়,সারা দুনিয়ার লোকে হাজির হয়। মোমবাতি জ্বলে, সাদা পায়রা ওড়ে। বক্তৃতা,ফটো সেসন।

    বাকী ইতিহাস নিয়ে জাপানে অস্বাভাবিক কম চর্চা হয়। সিনেমা প্রবন্ধ,মেময়ের্স। এটা আমি পড়েছিলাম জাপান যুদ্ধের উপর বই গুলোতে লেখকদের খেদোক্তি থেকে। আরো লিখেছিলেন বর্তমান প্রজন্ম যে শুধু ডিসইন্টেরেস্টেড তাই ই নয়, তাদের টেক্স্ট বুকেও সেকেন্ড ওয়ার্লড ওয়ারের শুধু পাসিং রেফারেন্স থাকে।
  • I | 192.66.53.215 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১০:৫৩686107
  • ডিডি,অ্যাটম বোমের অ্যাপোলজিস্টদের যুক্তি ঠিক ছিল? আপনে কী বলেন?
  • pi | 24.139.221.129 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১১:২৪686108
  • ডিডিদা, আমার এক জাপানে অনেকদিন থাকা বন্ধুর সাথে কথা হয়েছিল। তার মতে জাপানীদের এই জেনেরেশনেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে চাপা ক্ষোভ প্রচুর। জার্মানদের উল্টো। ওরা যেমন চাপা অপরাধবোধে ভোগে, এরা নাকি চাপা ক্ষোভে। ওদের নাকি যুদ্ধে নিজেদের ভূমিকা নিয়েও কোন অনুশোচনা নেই। বরং যুদ্ধের কিছু জেনেরালের জন্য হিরো ওয়ারশিপও আছে। এখনকার জাপানের সাথে আমেরিকার বন্ধুত্বকেও অনেকেই জাপানকে আমেরিকার কলোনি হিসেবে দেখে ও ভালো চোখে দেখেনা।
    ওদিকে রাশিয়া নিয়েও কিছু ইন্টারেস্টিং কথা বলেছিল। ওদের নাকি অনেকেই ভাবে, এটা না হলে শেষমেশ রাশিয়া দখল করতো, সেটা ওদের কাছে প্রচণ্ড আঅনয়ক্সেপ্টেবল ছিল , আর হিরোশিমাকে নাকি কিছুটা গ্রেসফুল এক্সিটের সুযোগও মনে করে। এই নিয়ে , বিশেষ করে নাগাসাকি নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ থাকলেও।

    এদিকে আগে বেশ কিছু টইতে জিগেশ করেছিলাম, আমেরিকায় টেক্স্টবইতে হি-না কীকরে পড়ানো হয়। সেদিন খুঁজতে গিয়ে একটা খুব ইন্টারেস্টিং স্টাডি পেলাম। রেডিটে এই প্রশ্নটা করা হয়েছিল।আড়াই হাজার রেসপন্স থেকে এটা হল কমন ট্রেণ্ডঃ
    The bombing saved lives by ending the war more quickly and without a land invasion.
    Although it may not have been necessary, especially the subsequent bombing of Nagasaki, the United States wanted to send a message to the rest of the world.
    The bombing was only a small part of the overall coverage of World War II (or barely mentioned at all).
    It was the start of the Cold War.
    It led to independence.

    এই বইটিতেও নাকি দেশ অনুযায়ী ভাগ করে পাবলিশ করেছে। দেখতে পারেন।

    "America Revised: History Schoolbooks in the Twentieth Century";

    এখানে প্রতিটা দেশের টেক্স্টবুকে এই নিয়ে কী বলা হয়েছে, তার একটা সারসংক্ষেপ আছে।
    https://www.washingtonpost.com/news/worldviews/wp/2015/08/06/how-the-hiroshima-bombing-is-taught-around-the-world/

    ভারি ইন্টারেস্টিং,

    আর আরো একটা ইন্টারেস্টিং স্টাডি পেলাম। আমেরিকা আর জাপানের টেক্স্টবুকে হি-না কে কীভাবে রিপ্রেজেন্ট করা হয়েছে ও কীভাবে 'ন্যাশানাল মেমরি' তৈরি করা হয়, তার তুলনামূলক আলোচনা। দু দেশের ইতিহাস বই থেকে পুরো কোট ক'রে ক'রে বিশ্লেষণ করেছে। পুরোটাই আছে এখানেঃ
    http://files.eric.ed.gov/fulltext/EJ776358.pdf
  • pi | 24.139.221.129 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১১:৩৬686109
  • এই বইটার কপি কেউ পেলে একটু দেবেন আমাকে ?
  • | 24.99.18.232 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ১১:৪৩686110
  • এম্মা! ঐ লেখাটা আর কোত্থাও নেই!!! :-((( ওটাও বড্ড ভাল ছিল।
    ইসে ... মানে ইয়ে .... মানে বলছিলাম কি ... তাইলে আরেকবার লিখে ফ্যালেন না ড্রেসডেন।
  • dd | 116.51.29.167 | ১৬ আগস্ট ২০১৫ ২১:২৩686111
  • এটম বম্বের এপলজিস্টদের নিয়ে ইন্দোদাকে উত্তোর।

    আবেগ টাবেগ নয়, সেই সময়কার কম্পালসন,পাবলিক প্রেসার - এইসব নিয়ে যাস্ট কিছু লেখা টেখা পড়ে ধারনা করা সম্ভব নয়। হাইন্ডসাইট তো সব সময়েই খুব প্রিসাইস সাইন্স।

    এটম বম নিয়ে আমেরিকার প্রায় প্রত্যেক নেতাই (পোলিটিকাল এমন কি মিলিটারী ও) আপত্তি জানিয়েছিলেন। যারা তাৎক্ষনিক আপত্তি জানান নি তারাও কিন্তু পরে বলেছিলেন "ব্যাপারটা আমাদের ঠিক পছন্দ হয় নি"।

    ট্রুম্যান সারা জীবনে তাঁর ডিসিসনের জন্য সরি চান নি, বরং খুব পষ্টাপষ্টি বলেছেন আমার কোনো দিনই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে না ছিলো ডাউট, না ছিলো দুঃখ বা অনুশোচনা। কিন্তু কিছুদিন আগে ওনার প্রাইভেট চিঠিপত্র ছাপা হয়।ওনার বোনকে লেখা চিঠিতে উনি লিখেছিলেন "It was a terrible decision" আর ডায়ারীতে লিখেছিলেন "Even if the Japs are savages,ruthless,merciless and fanatic,we as the leader of the world....cannot drop this terrible bomb on the old capital or new"। এটা এটম বম্বের টার্গেট নিয়ে আলোচনার সময়, হিরোসিমার আগেই,২৬শে জুলাই ১৯৪৫ এ লেখা।

    এতো ট্রুম্যানের অন্তরের কথা। আর আমারে যেহেতু জিগালি, আমি কিন্তু বোলবো ঠিক ডিসিসনই ছিলো। এই লুরুতে বসে, যুদ্ধের পরে জন্মে, কোনো পার্সোন্যাল স্টেক না থেকেই আমার এরকম মনে হয়। এই বোমের জন্যই ঝট করে যুদ্ধ থেমে যায়। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এখন এই বোম না পরলে আরো কতো মানুষ মরতো - আখেরে হি- নাতে বেশী/কম মৃত্যু হোলো ইঃ - এসব নিয়ে তক্কো হয় নাকি?
  • সুকি | 129.160.188.146 | ১৭ আগস্ট ২০১৫ ১১:৫১686112
  • বোনকে লেখা ট্রুম্যানের চিঠি পড়া ছিল না। যেটুকু পড়েছি তাতে দেখা গেছে, আপনি যেমন বলেছেন, ট্রুম্যান এই নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন কিছু অনুশোচনা করেন নি। এমনকি এমন ও বলেছিলেন যে, "The atomic bomb was no 'great decision'... Not any decision you had to worry about."

    ওদিকে জেনারেল গ্রোভস্‌ বোমা ফেলার সিদ্ধান্তে ট্রুম্যানের ভূমিকা নিয়ে বলেছিলেন, "The responsibility taken by Mr. Truman was essentially, I think, the responsibility taken by a surgeon who comes in after whole patient has been opened up and the appendix is exposed and half cut off and he says, "Yes, I think he ought to have out the appendix - that's my decision."
  • amit | 230.245.40.15 | ১৭ আগস্ট ২০১৫ ১৬:০৪686113
  • আমরা প্রায় ৭০ বছর পরে এমন একটা সময় নিয়ে বিচার করছি , যে সময় কোনো মতেই স্বাভাবিক নয়, বহু দেশ তখন জাস্ট ধংশের মধ্যে দাড়িয়ে। তখন আমেরিকার আগে যদি জার্মানি বা জাপান এর হাতে এটম ব্যোম এসে পরত, তারা যে সেটা কোনো দেশে ফেলত না, কে বলতে পারে ? জার্মানি তে তখন অটো হান বেশ কজন নোবেল প্রাপ্ত বিজ্ঞানী দের নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন এবং তখন জার্মানি বাকি সব গবেষণা তে সবার থেকে এগিয়ে, যদিও অ্যাটমিক সাইড এ ওরা বেশি এগোতে পারেন নি। হয়ত হিটলার এর হাতে ব্যোম তুলে দেবেন না বলেই তারা গবেষণা এর গতি ধীরে করে দিয়েছিলেন, কে জানে আর আজকে সত্যি কি ?

    তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ব্যোম না ফেলা হলে জাপান আরো কিছু দিন লড়ে যেত, তাতে দু পক্ষের ই মৃতের সংখ্যা আরো বেড়ে যেত। তাই ট্রুমান কে আমি অন্তত দোষ দিতে পারি না।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 | ১৭ আগস্ট ২০১৫ ১৬:৪৭686115
  • "তাই ট্রুমান কে আমি অন্তত দোষ দিতে পারি না।" --- এইটা পড়ে ভীষণ ধাক্কা খেলাম...... দু পক্ষের মৃতের সংখ্যা বেড়ে যেত ( যেটা আমার মতে খুবই বিতর্কিত, দুটো বোমা যা মানুষ মেরেছে তার চেয়ে বেশী মানুষ যুদ্ধ চলতে থাকলে মারা যেত এটা বেশ বড়সড় দাবী, সে যাই হোক ) বলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার অযৌক্তিক কিছু নয়, এমন যুক্তি অকল্পনীয়... আগেরটা তবু শুনেছি, জার্মানি বা জাপান বোমা পেলে ফেলত না কি আর... মজার কথাটা হল যে সময় বোমা ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখন এসবের ভয় আদৌ ছিল না কারণ জার্মানি আত্মসমর্পণ করেছে আর জাপান এ আদপেই ইউরেনিয়াম ছিল না...
  • sswarnendu | 138.178.69.138 | ১৭ আগস্ট ২০১৫ ১৬:৫৩686116
  • মোদ্দা কথাটা কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচা করে বানানো বোমা ব্যবহার করব না কেন? খরচা যখন করলাম ই ডিভিডেন্ডটা তুলতে হবে, আর আসল ডিভিডেন্ড আদৌ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নয়... ক্ষমতা প্রদর্শন যাতে যুদ্ধ-পরবর্ত্তী বিশ্বের একছত্র দাদা টা হওয়া যায়... বিশ্বাসঘাতকতা নিয়েও এইজন্যেই এত মাথা ঘামিয়েছিল... লাভের গুড়ের রেসিপি চালান হয়ে গেল... একছত্র ক্ষমতাও ভাগাভাগি হয়ে গেল...

    সেইরকম কিছু লোককেও মানুষ দোষ দিতে পারেনা শুনে কি যে বলব ভেবে পাই না
  • aranya | 154.160.130.93 | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৩১686117
  • স্বর্ণেন্দু-র সাথে একমত - জার্মানি সারেন্ডার করেছে, জাপানের মাজা ভেঙে গেছে,এই অবস্থায় ডিভিডেন্ড তোলাটাই মেইন মোটিভেশন মনে হয়
  • lcm | 14.15.124.11 | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৫৬686118
  • জাপানীদের চাপা অপরাধবোধ আছে, চীনে বিচ্ছিরি নৃশংস অত্যাচার চালানোর জন্য, অনেকের মতে ওয়ান অফ্‌ দ্য মোস্ট ব্রুটাল হোমিসাইড ইন লাস্ট সেঞ্চুরি। এটা আমাকে একজন চীনা বলেছিলেন।

    তিনি জিগ্গেস করেছিলেন - হিরোসিমা নিয়ে জাপানীরা কটা বেশ নামকরা সিনেমা বানিয়েছে বলো তো? আমি বললাম, তা তো জানি না।
    আর সামুরাই যোদ্ধাদের নিয়ে কটা সিনেমা বানিয়েছে? বললুম, তা বোধহয় অনেকগুলো বানিয়েছে।
    বললেন, হ্যাঁ, আর সেগুলোর অনেকই ১৯৪৫-এর পরে।
  • amit | 230.245.40.15 | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ১৬:০৭686119
  • কর্মসূত্রে মালয়েশিয়া আর ইন্দোনেশিয়া তে থেকেছি কযেক বছর। সহকর্মীদের দাদু স্থানীয়দের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নিজের কানে শোনা, জাপানিরা ৪-৫ বছরএ তাদের ওপর যে ভয়ঙ্কর অত্যাচার করেছে, ব্রিটিশ বা ফ্রেন্চ ১০০ বছর এ তার ধরে কাছে যেতে পারে নি। সুতরাং জাপানিরা অসহায় ভাবে মার খেয়েছে, আমেরিকা শোষক আর জাপান শোষিত, এসব রোমান্টিক দেখনি একেবারেই সত্যি নয়। এবং হিরোশিমা তে ব্যোম ফেলা হয়েছে Aug -6th , নাগাসাকি তে Aug -৯থ, এই ৩ দিনে জাপান বিন্দুমাত্র ইচ্ছা দেখায় নি আত্মসমর্পণ এর। ইভেন নাগাসাকি তে 9th এ বম্বিং এর পরে 15th এ জাপান স্যারেন্ডার করে। আর ডিডি -দার লেখাতেই আছে ব্যোম ফেলার আগেও কি ভাবে জাপান রেসিস্ট করেছিল। আর রিপিট করলাম না। যারা জাপানের মজা ভেঙ্গে যাওয়ার কথা বলছেন, তারা আর একবার পরে দেখতে পারেন।

    আবার বলছি ৭০ বছর পরে নিজেরা ঠান্ডা ঘরে বসে আমরা চুল চেরা বিচার করছি কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল? আর তখন যারা সিধ্হান্ত নিয়েছে, তাদের সামনে মৃতদেহের পাহাড় জমছে রোজ। ১-২ দিন এর তফাতে সেই সংখ্যা হাজার এর পার্থক্য করে দিতে পারে। আর ১৯৪৫ এর আগে ৬ বছর ধরে সারা দুনিয়া জুড়ে যুদ্ধ চলেছে, দেশের পর দেশ ছারখার হয়ে গেছে, সেই পরিস্থিতি আজকে আমরা মধ্যবিত্ত বাঙালি বিচার করছি ? যারা রাস্তায় একটা মারপিট হলে দৌড়ে ঘরে ঢুকে পড়ি নিজের প্রাণ বাচাতে - ?

    যদি কোনো দিন এমন পরিস্থিতি আসে আমাদের সামনে, যে প্রলম্বিত যুদ্ধ চললে আমাদের ৩০,০০০ লোক মারা যাবে আর শত্রুপক্ষের ১০০,০০০। আর ব্যোম ফেলে হয়ত ১০০,০০০ শত্রুপক্ষের লোক মারা যাবে, কিন্তু নিজের লোকগুলো বেছে যাবে। তখন কোন পথে যাব আমরা ? নিজেদের ৩০,০০০ লোককে মরতে দেব ? নাকি অন্য চিন্তা করব ? আর সব দেশ আমাদের মত কিল খেয়ে কিল হজম করবে আর সেটা নিয়ে নেট এ বসে আতলামি করবে, সেটা না ভাবাই ভালো।
  • সুকি | 129.160.188.146 | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ১৬:৩৭686120
  • অমিতাভদার কথায় যুক্তি আছে - আর জাপানীদের অত্যাচার সম্পর্কে কি আর বলব, ওর পাশে ব্রিটিশ/ফ্রেঞ্চ রা নেহাতই শিশু। এটা একটু খোঁজ-খবর করলেই জানা যাবে। অ্যাটোম বোমা ফেলা ঠিক ছিল কিনা এই নিয়ে তর্ক চলতে পারে (যার ভিতরে আবেগ বেশী থাকে), কিন্তু জাপানীদের যতটা অসহায় ভাবে প্রজোক্ট করা হয় সেই সব ক্ষেত্রে, সেটা মনে হয় পুরো বাস্তব নয় - বরং ফার্‌ ফ্রম ইট।
  • সিকি | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ১৬:৫১686121
  • আন্দামান নিকোবর দ্বীপসমূহ কিছুদিনের জন্য জাপানিদের হাতে চলে গেছিল। পরে জাপান সারেন্ডার করায় ব্রিটিশরা সেগুলো ফেরত পায়। জাপানিরা ঐ দু বছরে সেলুলার জেলের বন্দীদের ওপর যে অত্যাচার করেছিল, ব্রিটিশরা পর্যন্ত সে জিনিস দেখে লজ্জা পেয়ে গেছিল।

    নেতাজি ঐ সময়ে একবার আন্দামান পরিদর্শনে আসেন। তখন রস আইল্যান্ড ছিল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ হেডকোয়ার্টার। নেতাজিকে কৌশলে সেলুলার জেল দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয় নি। তিনি জাপানিদের অত্যাচার সম্বন্ধে কিছুই জেনে যেতে পারেন নি।
  • | 144.159.168.107 | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ১৭:১০686122
  • ব'য় য-ফলা ও কার ম, 'ব্যোম' মানে আকাশ। বোমা অর্থে ব'য় ও কার লিখলেই যথেষ্ট।
  • Div0 | 132.166.180.89 | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ১৭:৪৯686123
  • এই সিনেমাটা দেখতে পারেন। নানজিং ম্যাসাকার ট্রায়াল। আর জাপানকে এককথায় ভিক্টিম ভাবারও কোনও কারণ নেই। এটা দেখে ভালো লাগছে যে অনেকেই সেরকম ভাবেন না।

    http://en.wikipedia.org/wiki/Nanking_Massacre (ওয়ার্নিং - ছবিগুলো খুবই গ্রাফিক)

  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ১৭:৫১686124
  • জাপানীরা অত্যাচার করেনি বা তারা নেহাতই অবোলা জীব, অসহায় ভিক্টিম, এ কথা কেউই তো বলেনি... আর এই " ব্রিটিশরা লজ্জা পেয়ে গেছিল " জাতীয় কথাগুলোর ঠিক উলটো কথাগুলো প্রচলিত হত যদি মিত্রশক্তি হেরে যেত যুদ্ধে... নইলে বাকি জায়গা ছেড়েই দিলাম, শুধু আফ্রিকাতেই ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সের কুকীর্তির যা ইতিহাস, তাতে তারা অত্যাচার দেখে লজ্জা পাবে শুনলে ঘোড়া কেন, জেব্রাতেও হাসবে...

    আর "নিজেরা ঠান্ডা ঘরে বসে আমরা চুল চেরা বিচার করছি কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল" কিম্বা " সেটা নিয়ে নেট এ বসে আতলামি করবে, সেটা না ভাবাই ভালো।" এসব নিয়ে কিছু লেখার প্রয়োজন বোধ করছিনা, যেহেতু এইগুলো যিনি লিখলেন তিনিও খুব উত্তর আফ্রিকার মরুভূমিতে, কিম্বা নর্ম্যান্ডির কোস্ট এ কিম্বা প্যাসিফিক ফ্রন্টে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লড়ছিলেন বলে তো মনে হয় না...
  • Ekak | 125.99.196.27 | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ১৭:৫৪686126
  • জাপান কে কোনভাবেই ভিকটিম ভাবিনা । সেটা কথা না । কথা হলো যুদ্ধের সময় কে কাকে ক ঘা দিয়েছে এটা নিয়ে বিশ্লেষণ করার মানে টা কী ? এই লেজিটিমেসি অফ স্পনটিনিউটি খোঁজা টাই পলিটিকাল কারেক্টনেস এর রোগ :|
  • Div0 | 132.166.180.89 | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ১৭:৫৯686127
  • :-(
  • avi | 113.252.164.126 | ১৮ আগস্ট ২০১৫ ২০:৫৮686128
  • নারায়ণ সান্যালের "জাপান থেকে ফিরে" বইটাতেই বোধ হয় ছোটবেলায় ঐ ৬-১৫ আগস্টের জাপানের ভেতরের অস্থিরতা নিয়ে পড়েছিলাম। চূড়ান্ত কেওটিক একটা সময়। রকমারি পাওয়ার লবি খেলা দেখাচ্ছে। রাশার মলোটভ আরেকরকম চাল দিচ্ছেন। সেই বাজারে সুভাষচন্দ্র আবার রাশা যেতে চাইছেন। সেই অবস্থায় সম্রাট হিরোহিতোর নিজের ঘোষণা, ভয়েস অব ক্রেন - রীতিমতো আবেগমথিত হয়ে যাবার মতো অবস্থা।
    ছোটবেলায় কেন জানি না, জাপান নিয়ে যত বই পড়েছি, সবেতেই জাপান সম্বন্ধে একটা সহানুভূতি আর বেচারা ভাব দেখেছি। কম্ফর্ট উওমেন, নানকিং ম্যাসাকার - এসব নিয়ে অনেকদিন পর্যন্ত কিছুই জানতাম না।
  • pi | 127.194.22.92 | ১৯ আগস্ট ২০১৫ ০০:১০686130
  • এখানে SS লিখেছেন দেখলাম, 'গতকাল জাপানের সারেন্ডারের সত্তর বছর পূর্তি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে চীন আর কোরিয়ার কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেও ক্ষমা চান নি। চীন বা কোরিয়া এতে স্বভাবতই খুশি নয়।'

    কিন্তু এগুলো তবে কী ? প্রতিবছর ক্ষমা চাইতে হবে, এটাই দাবি ?

    আম্রিগার ক্ষমাপ্রকাশ না করা বিস্মিত হতাম, তাই নিয়ে দাবিদাওয়া না ওঠাতেও। এখন তো শুনছি, আম্রিগা যা করেছে ঠিকই করেছে। অতএব ...

    September 29, 1972: Prime Minister Kakuei Tanaka said to the people of the People's Republic of China: "The Japanese side is keenly conscious of the responsibility for the serious damage that Japan caused in the past to the Chinese people through war, and deeply reproaches itself. Further, the Japanese side reaffirms its position that it intends to realize the normalization of relations between the two countries from the stand of fully understanding 'the three principles for the restoration of relations' put forward by the Government of the People's Republic of China. The Chinese side expresses its welcome for this" (Joint Communique of the Government of Japan and the Government of the People's Republic of China)

    August 26, 1982: Chief Cabinet Secretary Kiichi Miyazawa said to the people of the Republic of Korea: "1. The Japanese Government and the Japanese people are deeply aware of the fact that acts by our country in the past caused tremendous suffering and damage to the peoples of Asian countries, including the Republic of Korea (ROK) and China, and have followed the path of a pacifist state with remorse and determination that such acts must never be repeated. Japan has recognized, in the Japan-ROK Joint Communique, of 1965, that the 'past relations are regrettable, and Japan feels deep remorse,' and in the Japan-China Joint Communique, that Japan is 'keenly conscious of the responsibility for the serious damage that Japan caused in the past to the Chinese people through war and deeply reproaches itself.' These statements confirm Japan's remorse and determination which I stated above and this recognition has not changed at all to this day. 2. This spirit in the Japan-ROK Joint Communique, and the Japan-China Joint Communique, naturally should also be respected in Japan's school education and textbook authorization.

    September 6, 1997: Prime Minister Ryutaro Hashimoto said: "In 1995, on the 50th anniversary of the end of World War II, the Government of Japan expressed its resolution through the statement by the Prime Minister, which states that during a certain period in the past, Japan's conduct caused tremendous damage and suffering to the people of many countries, including China, and the Prime Minister expressed his feeling of deep remorse and stated his heartfelt apology, while giving his word to make efforts for peace. I myself was one of the ministers who was involved in drafting this statement. I would like to repeat that this is the official position of the Government of Japan. During the summit meeting that I had during my visit to China, I have made this point very clear in a frank manner to the Chinese side. Premier Li Peng said that he concurs completely with my remarks" (Ministry of Foreign Affairs Press Conference on: Visit of Prime Minister Ryutaro Hashimoto to the People's Republic of China)

    November 26, 1998: Prime Minister Keizō Obuchi said in a declaration: "Both sides believe that squarely facing the past and correctly understanding history are the important foundation for further developing relations between Japan and China. The Japanese side observes the 1972 Joint Communique of the Government of Japan and the Government of the People's Republic of China and the August 15, 1995 Statement by former Prime Minister Tomiichi Murayama. The Japanese side is keenly conscious of the responsibility for the serious distress and damage that Japan caused to the Chinese people through its aggression against China during a certain period in the past and expressed deep remorse for this. The Chinese side hopes that the Japanese side will learn lessons from the history and adhere to the path of peace and development. Based on this, both sides will develop long-standing relations of friendship" (Japan-China Joint Declaration On Building a Partnership of Friendship and Cooperation for Peace and Development)

    August 30, 2000: Minister for Foreign Affairs Yōhei Kōno said in an address during his visit to the People's Republic of China: "I believe that Japan's perception of history was clearly set out in the Statement by Prime Minister Tomiichi Murayama issued, following a Cabinet Decision, on the fiftieth anniversary of the end of World War II. As a member of the Cabinet, I participated in the drafting of that Statement. The spirit contained therein has been carried forth by successive administrations and is now the common view of the large number of Japanese people" (Address by Minister for Foreign Affairs Yōhei Kōno During His Visit to the People's Republic of China).

    January 9, 2013: Yukio Hatoyama, prime minister of Japan from 2009-2010, issued a formal apology to the victims of Japanese war crimes in China during a visit to Nanjing. The former prime minister also urged the Japanese government to acknowledge the dispute between the two countries concerning sovereignty of the islands known as Diaoyu in China and Senkaku in Japan.
  • SS | 160.148.14.8 | ১৯ আগস্ট ২০১৫ ০০:২৩686131
  • পাই কি আমাকে প্রশ্ন করছেন ক্ষমা চাওয়া/না চাওয়া নিয়ে ? আমি এব্যাপারে পুরোপুরি অ্যাগনস্টিক। জাপান/আমেরিকা ক্ষমা চাক কি না চাক আমার তাতে কিছুই এসে যায় না। আমি খাবরে যা শুনেছি তাই লিখেছি - যুদ্ধের সত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে জাপান যে বিবৃতি দিয়েচে চীন বা কোরিয়া মনে করে সেটা যথাযথ নয়। আপনার প্রশ্নটা চীন বা কোরিয়া সরকারের কাছে পাথাতে পারেন।
  • SS | 160.148.14.8 | ১৯ আগস্ট ২০১৫ ০০:২৪686132
  • খবরে
    পাঠাতে
  • pi | 127.194.22.92 | ১৯ আগস্ট ২০১৫ ০০:২৮686133
  • আমার ঠিক জানা ছিল না, কোন দেশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুললএ সে প্রশ্নটা এখানে করা যায় না, সেই দেশকে পাঠাতে হয়। ঃ)
  • SS | 160.148.14.8 | ১৯ আগস্ট ২০১৫ ০০:৩৪686134
  • অনেক কিছুই করা যায়, তার মধ্যে সেই দেশের সরকারের কাছে প্রশ্ন করা একটা অপশন। এখানে করা যায় না এমন কোনো মন্তব্য করিনি, পাঠাতে হবেই তাও বলিনি, আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই, তাই একটা সাজেশন দিলাম।
  • amit | 190.148.69.210 | ১৯ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৪৩686135
  • আমার প্রশ্ন টার কোনো সরাসরি উত্তর পেলাম না। আবার করি । এখানে সবাই ভার্চুয়াল আলুচনাই করেন, সুতরাং একটা ভার্চুয়াল পরিস্থিতি ভাবলে ক্ষতি কি ?

    যদি কোনো দিন এমন পরিস্থিতি আসে আমাদের সামনে, যে প্রলম্বিত যুদ্ধ চললে আমাদের ৩০,০০০ লোক মারা যাবে আর শত্রুপক্ষের ১০০,০০০। আর ব্যোম ফেলে হয়ত ১০০,০০০ শত্রুপক্ষের লোক (অথবা আরো বেশী ভাবা যাক , ২০০, ০০০) মারা যাবে, কিন্তু নিজের লোকগুলো বেচে যাবে। তখন কোন পথে যাব আমরা ? নিজেদের ৩০,০০০ লোককে মরতে দেব ? নাকি অন্য রাস্তা নেব ?

    আর একটা কথা মাথায় রাখলে ভালো , ওই ৩০,০০০ এর মধ্যে হয়ত আমাদের বাবা , ভাই, বোন্ বা ছেলেরাও আছে।
  • amit | 190.148.69.210 | ১৯ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৪৮686137
  • সরি, নিজের পছন্দ আগেই বলে দেওয়া উচিত বাকিদের প্রশ্ন করার আগে। আমি নিজের দেশের ৩০,০০০ লোককে বাচাতে হলে অন্য রাস্তাই নেব। শত্রুপক্ষের ১০০,০০০ লোকের থেকে আমার কাছে নিজের বাবা, মা ভাই বোন্ বা বন্ধুরা অনেক বেশী গুরুত্বের।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন