এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হিরোশিমা নাগাসাকি

    dd
    অন্যান্য | ১৩ আগস্ট ২০১৫ | ৩৯১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sch | 113.44.174.20 | ১৯ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৫৫686138
  • @amit এরকম বলতে নেই। বলতে হয় দেশ আবার কি - ৩০০০০ বিশ্ব নাগরিক - বনাম ১০০০০০ বিশ্ব নাগরিক নাহ আমি ১০০০০০ এর কথাই ভাবব।
  • দ্রি | 87.247.181.165 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১০:২৩686139
  • "সেই ৪১ সালের কুখ্যাত সাত ডিসেম্বর।পার্ল হারবার আচমকা আক্রমন করে যুদ্ধ ঘোষনা জাপানের।"

    এইখানে একটু অ্যানোটেশান চাই। প্যাসিফিক থিয়েটারের অধিকাংশ প্রেজেন্টেশান এইখান থেকে শুরু হয়। যেন ইতিহাস এইখান থেকে শুরু হল। এর একটু প্রেক্ষিত দরকার।
  • দ্রি | 47.187.7.74 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১১:০৬686140
  • জাপানকে কলোনাইজ করা যায়নি, যেখানে ভারত, চীন, ইন্দোচিনা, ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ এগুলো সবই কলোনাইজ্‌ড হয়েছিল, এবং এইসব জায়গার সমস্ত রিসোর্স ইয়োরোপিয়ান অ্যামেরিকানদের হাতে চলে গিয়েছিল। জাপান মিড নাইনটীন্‌থ সেঞ্চুরী থেকে টেকনোলজিতে খুব উন্নতি করছিল। কিন্তু জাপানে ন্যাচারাল রিসোর্স ছিল খুব কম। সবই ইম্পোর্ট করতে হত। চীন থেকে, ইস্ট ইন্ডিজ থেকে। এবং সেইসব রিসোর্স অনেক ক্ষেত্রেই ছিল কলোনাইজারের হাতে। যেমন ইন্দোনেশিয়ার অয়েল ফিল্ডগুলো ছিল ডাচ শেল অয়েল (যেখনে ইংল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডের রাজপরিবারের অনেক শেয়ার আছে) এবং স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের (রকাফেলার) হাতে। জাপান এই রোসোর্সের দখল চেয়েছিল। তাদের মনে হয়েছিল র‌্যাপিড গ্রোথের জন্য এনার্জির সোর্স চাই। ১৯৩১ এ জাপানের মাঞ্চুরিয়া আক্রমণের মূল কারণও ছিল তেল এবং খনিজ পদার্থ। সেই সময়ে চীনের অবস্থা ছিল মোটামুটি ছত্রভঙ্গ। বৃটিশ, আমেরিকানরাই রিসোর্সগুলো হ্যান্ডল করত। সারা দেশে বিভিন্ন ওয়ার লর্ডরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করত। তাদের মধ্যে চিয়াং কাই শেকের গ্রুপ ছিল পশ্চিমীদের সবচেয়ে লয়্যাল। জাপান তাদের তেল ইম্পোর্ট করত আমেরিকা থেকে। তখনও আরব থেকে ঢালাও তেল তোলা শুরু হয় নি। টেক্সাসই ছিল পৃথিবীতে তেলের রাজা।
  • he he party | 93.143.240.15 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১১:২২686141
  • সব হোয়াইট সুপ্রিমেসির চক্রান্ত। এই চক্রান্ত ভাঙ্গতে দিকে দিকে জামাতের সাথে ঐক্য গড়্গে তুলুন।
  • he he party | 93.143.240.15 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১১:২৩686142
  • সব হোয়াইট সুপ্রিমেসির চক্রান্ত। এই চক্রান্ত ভাঙ্গতে দিকে দিকে আইসিস আর জামাতের সাথে ঐক্য গড়্গে তুলুন।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:২৯686143
  • হ্যাঁ, তেল। সেটা একটা ব্যাপার ছিল। বিশেষ করে তেলের জন্যে ইউএস-এর ওপর নির্ভরতা। ১৯৩০-১৯৪৫ এর মধ্যে জাপানের এক্সপান্‌শন দেখতে হলে এই ম্যাপ


    ঘটনাবলীর সময়সূচীটা একবার দেখা যাক -

    ১৯১০-এ জাপান কোরিয়া দখল করে।

    ১৯৩১ - জাপান মাঞ্চুরিয়া দখল করল, সহজ, বেশি ঝামেলা হয় নি।

    ১৯৩৭-৪১ - জাপান চিনের অংশ বিশেষ দখল করে, প্রবল যুদ্ধ চলতে থাকে - কুখ্যাত সিনো-জাপানিজ ওয়ার। বার্মার দখলও নেয় চায়্না। সুভাষ বোস আশান্বিত হন, ঐ দিক দিয়ে আইএনএ ভারতে ঢুকবে জাপানের সাহায্যে।

    ১৯৪০ - জাপান দখল করে নিল ফ্রেঞ্চ ইন্দোচায়না-র উত্তর দিক (আজকের ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া-এ অংশবিশেষ)। স্টিল, লোহা, এভিয়েশন গ্যাসোলিন, মেশিল টুল্‌স, পার্ট্‌স জাপানে রপ্তানি বন্ধ করে দিল ইউএস। অয়েল এক্সপোর্ট তখনও চালু।

    ১৯৪১ (শুরুর দিক) - ইউএস প্রেসিডেন্ট রুসভেল্ট মার্কিন নৌ/বিমান বহর প্যাসিফিক ফ্লিট এর বেস সরিয়ে নিল স্যান দিয়েগো থেকে সুদূর হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে, আর ৪০০০০ মিলিটারি পাঠালো ফিলিপিন্‌সে। উদ্দেশ্য জাপানকে আটকানো। ইউএস-জাপান নেগোশিয়েশন শুরু হল। ইউএস বলছে চিন থেকে বেরিয়ে যাও, মাঞ্চুরিয়া ছেড়ে দাও, ফ্রেঞ্চ ইন্দোচায়না ছেড়ে দাও তেল পাবে, সব রপ্তানি বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে।

    ১৯৪১ (জুন-জুলাই) - জাপান ইন্দোচায়নার (ভিয়েতনাম) দক্ষিণ অংশও দখল করে নিল, ফ্রেঞ্চরা হেরে ভূত। জাপানের পরের লক্ষ্য তৈলসম্পদ সমৃদ্ধ ডাচ ইস্ট আইল্যান্ড্‌স (আজকের ইন্দোনেশিয়া)।

    ১৯৪১ (জুলাই) - জাপানকে তেল বেচা পুরোপুরি বন্ধ করে দিল ইউএস।

    ১৯৪১ (আগস্ট-অক্টোবর) - ডেস্‌পারেট জাপান অল্টারনেটিভ খুঁজছে। জাপানের যুদ্ধবিমান এবং নৈবাহিনীর তেল চাই, নইলে অকেজো হয়ে যাবে। দেশের প্রযুক্তির জন্য এনার্জি রিসোর্স চাই। পরের লক্ষ্য ডাচ ইস্ট আইল্যান্ড্‌স (ইন্দোনেশিয়া)।

    ১৯৪১ (নভেম্বর) - জাপানের হাতে বেশি সময় নেই। হয় ইউএস-এর সঙ্গে একটা ডিল করতে হবে, নইলে ডাচ ইস্ট আইল্যান্ড্‌স-এর দখল নিতে হবে। ঠিক হল যে ২০ নভেম্বরের মধ্যে ডিল না হলে, পার্ল হার্বার অ্যাটাক করো, ইউএস ওটা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, তারপরে সেই সুযোগে ডাচ ইস্টের দখল নিতে হবে।

    ১৯৪১ (ডিসেম্বর ৭) - জাপান বম্বিং করল পার্ল হার্বারে। প্রায় একই সঙ্গে ঘন্টা দশেকের মধ্যে অ্যাটাক করে ফিলিপিন্‌স, গুয়াম, মালয়েশিয়া, হংকং।

    ১৯৪২ - জাপান দখল করে নেয় ডাচ ইস্ট আইল্যান্ড্‌স (ইন্দোনেশিয়া) এবং নিউ গিনি। অ্যাটাক করে সিঙ্গাপুর।
  • Arpan | 125.118.30.70 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:৩৫686144
  • পার্ল হার্বার অ্যাটাক না করলে ইউএস যুদ্ধে নামত কি?
  • Arpan | 125.118.30.70 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:৪৩686145
  • এইটা পেলাম। এতে লিখেছে ইউএস ইনভল্ভড না হলে জাপান আর জার্মানি দুদিক থেকে অ্যাটাক করে সোভিয়েতের পতন ঘটাতে পারত।

    http://mobile.wnd.com/2014/09/real-reason-japanese-attacked-pearl-harbor/
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১২:৫৭686146
  • পার্ল হার্বার অ্যাটাক হয়েছে ১৯৪১ এর ডিসেম্বরে। হিরোশিমা/নাগাসাকি তে অ্যাটোম বোমা পড়েছে ১৯৪৫ এর আগস্টে। প্রায় সাড়ে তিন বছর পরে।

    ১৯৪২-এর জাপানের যে ম্যাপটা ওপরে আছে সেটা দেখলে বোঝা যাবে, জাপানকে আটকানো হতই, ঐ সাম্রাজ্য রাখতে দিত না। রাখতে দিত না। অর্থাৎ, যুদ্ধ শেষ হয়ে গেল অথচ জাপানেরও ঐ সাম্রাজ্য রইল তা অসম্ভব ছিল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ১৯৪১ বা ১৯৪২ এই অ্যাটাক হল না কেন। কারণ, তখনও জার্মানি যুদ্ধে হারে নি, রাশিয়ার পার্ট তখনও ক্লিয়ার হয় নি।

    ১৯৪৫-এর এপ্রিলে হিটলার মারা গেল।

    ১৯৪৫-এর ১লা আগস্ট মিটিং হল (পোস্ট ড্যামেজ এগ্রিমেন্ট) তাতে সব একসঙ্গে, ইউকে, ইউএস, সোভিয়েত -- কনক্লুশন অফ জার্মান অকুপেশন, কিভাবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত জার্মানিকে সাহায্য করা যায় ইত্যাদি।
    তিন বড় কর্তার (ইউএস, ইউকে, সোভিয়েত) ছবিও আছে ই মিটিং-এর


    এবং, এই মিটিং-এ জাপানকে সারেন্ডার করবার জন্যে একটা ডেট (১৯৪৫ ২৬শে জুলাই) ঠিক অরে ফেলা হল, এবং তাতে লেখা হল - ...Terms for Japanese Surrender (26 July 1945) wherein the Western Allies (UK, US, USSR) and the Nationalist China of General Chiang Kai-shek asked Japan to surrender or be destroyed.

    শেষ তিনটি শব্দ খেয়াল করে দ্যাখো - "or be destroyed" ।

    ১৯৪৫-এর ৬ এবং ৮ আগস্ট -- হিরোশিমা এবং নাগাসাকি তে বম্ব পড়ল। অন্য দুই বড় কত্তা (ইউকে/সোভিয়েত) নাম-কা-ওয়াস্তে দুঃখ প্রকাশ করলেন।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৩:০৮686148
  • *পট্‌সড্যাম এগ্রিমেন্ট
  • দ্রি | 186.10.104.240 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৩:১০686149
  • ইউ এস অয়েল এম্বার্গো লাগিয়ে দেওয়ার পর জাপানের অপশান কম ছিল। হয় ডীল, নয় যুদ্ধ।

    ওয়েল, আরেকটা অপশান ছিল। সব দখলদারী ছেড়ে দিয়ে রিসোর্স ইম্পোর্টে ওয়েস্টের দাদাগিরি মেনে নেওয়া। অন্যান্য কলোনীরা যা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু সেটা জাপানের অ্যাম্বিশানের সাথে কনসিস্টেন্ট ছিল না। জাপান ফাস্ট রেটে গ্রো করতে চেয়েছিল। থার্ড ওয়ার্ল্ড হতে চায়নি।

    অয়েল এম্বার্গো করার পর চুপ করে বসে থাকলে কিছুদিন পর স্টকের অয়েল শেষ হয়ে গেলে মাথা নীচু করে ওয়েস্টের সব ডিম্যান্ড মেনে নিতে হত।

    যুদ্ধের শেষেও অবশ্য তাই হল। কিন্তু তারা একটা গ্যাম্বল নিয়েছিল। জিতলে খেলাটা অন্য রকম হত।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৩:১৯686150
  • দ্রি,
    ঠিক। সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্যাসিফিকে তো দখলদারি যা হয়েছে তা ঐ মার্কিন-জাপান এর মধ্যে, মানে যাকে বলে একটু সেয়ানে-সেয়ানে। তার আগে ব্রিটিশরা তো অজি নিয়ে নিল, ডাচ/ফ্রেঞ্চরা দ্বীপগুলো নিয়ে নিয়েছিল। জাপানই একা টক্কর দিয়েছিল ওয়েস্টের সঙ্গে।

    ডিডি-দার বিবরণে তো লেখাই আছে, স্মিত হেসে এক বড়দা অ্যাটোম বোম অ্যাপ্রুভ করে দিয়েছিলেন। ত্কিন্তু কেনো অ্যাটম বম্ব, কেনো মশা মারতে কামান দাগা। জাপান যে মশা নয়, অন্তত সে সময় ছিল না, সেটাও ডিডিদার ইয়োজিমার গপ্পো পথলেই বোঝা যাবে।
  • তাকাহাসি | 208.7.62.204 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৩:২২686152
  • আসলে কিন্তু মার্কিনরা চক্রান্ত করে জাপানিদের দিয়ে পার্ল হার্বার আক্রমন করিয়েছিল যাতে ওদের নামে দোষ দেওয়া যায়। দ্রি এটা পড়ে দেখুন তো ঠিকঠাক লিখেছে কিনা http://www.apfn.org/apfn/pearl_harbor.htm
  • দ্রি | 186.10.99.207 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৩:২২686151
  • জাপান আর জার্মানী দুদিন থেকে আক্রমণ করলে সোভিয়েতের পতন হতে তো পারত। কিন্তু সোভিয়েত জাপান নিউট্রালিটি প্যাক্ট করা ছিল তো, ১৯৪১ সালে।

    আর সোভিয়েতের পতন হলেও জাপানের এনার্জি সমস্যা সহজে মিটত না। কারণ জাপানের আশেপাশের এনার্জি রিসোর্সগুলো মেইনলি বৃটিশ, আমেরিকা, ডাচদের হাতেই ছিল। সেটা জাপান বুঝেছিল।
  • দ্রি | 56.28.110.136 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৩:২৫686153
  • জাপান আর জার্মানী দুদিন থেকে আক্রমণ করলে সোভিয়েতের পতন হতে তো পারত। কিন্তু সোভিয়েত জাপান নিউট্রালিটি প্যাক্ট করা ছিল তো, ১৯৪১ সালে।

    আর সোভিয়েতের পতন হলেও জাপানের এনার্জি সমস্যা সহজে মিটত না। কারণ জাপানের আশেপাশের এনার্জি রিসোর্সগুলো মেইনলি বৃটিশ, আমেরিকা, ডাচদের হাতেই ছিল। সেটা জাপান বুঝেছিল।
  • দ্রি | 56.28.110.136 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৩:৩১686154
  • তাকাহাসিবাবু, আপনি কি ফ্যাক্ট চেক করার চেষ্টা করেছেন?

    যেমন, আপনার ওয়েবসাইটে লেখা আছে,

    On 7 October 1940, Lieutenant Commander Arthur H. McCollum, head of the Far East desk of the Office of Naval Intelligence, wrote the eight-action memo.

    এই ম্যাককোলাম মেমো কিন্তু একটা রিয়েল থিং। কোন ফ্যান্টাসি নয়।

    ছ'পাতার ডকুমেন্ট। পড়ে দেখতে পারেন।

    https://en.wikisource.org/wiki/McCollum_memorandum

    পার্ল হার্বারের পুরো এক বছর আগে লেখা।
  • দ্রি | 56.28.110.136 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৩:৩৪686155
  • এই হল তার সামারি।

    Summary

    1. The United States is faced by a hostile combination of powers in both the Atlantic and Pacific.

    2. British naval control of the Atlantic prevents hostile action against the United States in this area.

    3. Japan's growing hostility presents an attempt to open sea communications between Japan and the Mediterranean by an attack on the British lines of communication in the Indian Ocean.

    4. Japan must be diverted if British opposition in Europe is to remain effective.

    5. The United States naval forces now in the Pacific are capable of so containing and harassing Japan as to nullify her assistance to Germany and Italy.

    6. It is to the interest of the United States to eliminate Japan's threat in the Pacific at the earliest opportunity by taking prompt and aggressive action against Japan.

    7. In the absence of United States ability to take the political offensive, additional naval force should be sent to the orient and agreements entered into with Holland and England that would serve as an effective check against Japanese encroachments in South-eastern Asia.
  • Arpan | 125.118.30.70 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৪:৩৫686156
  • রাশিয়ার অয়েল ফিল্ড ছিল না? নাকি তখন সেগুলো প্রোডাক্টিভ ছিল না?

    অনাক্রমণ চুক্তি তো হিটলার আর স্টালিনের মধ্যেও ছিল।
  • Arpan | 125.118.30.70 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৪:৪২686157
  • আর পার্ল হার্বার অ্যাটাক না করে ইন্দোনেশিয়া কব্জা করলে কি ইউএস সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করত? কোথাও পড়েছিলাম ইউএসের ভিতরে অ্যান্টি ওয়ার সেন্টিমেন্ট বেশ স্ট্রং ছিল, ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ারে ইওরোপের ক্ষতক্ষতি দেখার পরে, যেটা পার্ল হারবারের পরে পাল্টে যায়।

    প্রসঙ্গত, জার্মানি তেল পেত কোথা থেকে? নর্থ সি?
  • avi | 113.24.86.109 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৪:৫০686159
  • জার্মানি সুইডেন থেকে তেল ইমপোর্ট করত বলে জানি। ঐ তেল আমদানির পথ ঠিকঠাক রাখা নরওয়ে দখল করার বড় কারণ ছিল, শীরার এটাকে খুব গুরুত্ব দিয়েছিলেন। যুদ্ধে সুইডেন আগাগোড়া নিরপেক্ষ থেকে যায়।
  • Arpan | 125.118.30.70 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৫:০৯686160
  • উইকি অবশ্য বলছে ব্লান্ডারটা হিটলারবাউই করেছিলেন।

    On 7 December 1941, Japan attacked the naval bases in Pearl Harbor, Hawaii. According to the stipulation of the Tripartite Pact, Nazi Germany was required to come to the defense of her allies only if they were attacked. Since Japan had made the first move, Germany and Italy were not obliged to aid her until the United States counterattacked. Nevertheless, Hitler ordered the Reichstag to formally declare war on the United States.[177] Italy also declared war.

    Historian Ian Kershaw suggests that this declaration of war against the United States was a serious blunder made by Germany, as it allowed the United States to join the war without any limitation.[178] On the other hand, American destroyers escorting convoys had already been de facto at war for months with German U-boats in the Atlantic, and the immediate war declaration made the Second Happy Time possible for U-boats.[179] Americans played a key role in financing and supplying the Allies, in the strategic bombardment of Germany, and in the final invasion of the continent.
  • দ্রি | 202.99.154.24 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৫:১৭686161
  • রাশিয়ায় তেল ছিল তো। বাকুতে। সে জাপান থেকে অনেক দূর। বাকু অব্দি কব্জা করে সেখান থেকে তেল আনা তখন জাপানের পক্ষে খুব একটা সহজ ছিল না।

    জাপান নিউট্রালিটি এগ্রিমেন্ট ভাঙ্গেনি। বরং রাশিয়াই ভেঙ্গেছিল। ৮ই অগাস্ট ১৯৪৫ এ জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে।

    পটসড্যাম কনফারেন্সের মাস ছয়েক আগে অ্যালায়েডদের আরেকটা মিটিং হয়েছিল, ইয়ালটা কনফারেন্স। সেখান থেকেই ইউ এস রাশিয়াকে চাপ দিচ্ছিল ঐ নিউট্রালিটি এগ্রিমেন্ট ভেঙ্গে যুদ্ধ ঘোষনা করতে। স্ট্যালিন সেটা মেনেই নিয়েছিল।শুধু সময় চেয়েছিল।
  • দ্রি | 87.247.181.165 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৫:২৯686162
  • জার্মানীরও এনার্জির সমস্যা ছিল, জাপানের মত।

    গোড়ার দিকে নর্থ সী থেকে তেল আসত। হিটলার নরওয়ে আক্রমণ করেছিল। সুইডেনও তেল দিত। কিন্তু যুদ্ধ চালাতে যে পরিমাণ তেল লাগত তাতে কুলোত না। কিন্তু জার্মান কেমিস্টরা ছিল ওয়ার্ল্ডের বেস্ট। ঐ সময় আই জি ফার্বেন কোম্পানীর কেমিস্টরা সিন্থেটিক ওয়েল বানানোর ফর্মুলা বানায়। খরচসাপেক্ষ ছিল সেই প্রসেস, মাটি থেকে তেল তোলার খরচের তুলনায়। কিন্তু তবুও তেলের ঘাটতি জার্মানী সিন্থেটিক অয়েল দিয়েই মেটাত। যুদ্ধ যত এগিয়েছে তত সিন্থেটিক অয়েলের প্রোডাকশান বেড়েছে। পরের দিকে খরচ কমানোর জন্য কনসানট্রেশান ক্যাম্পের স্লেভ লেবার দিয়ে সিন্থেটিক অয়েলের রিফাইনারী চালাতো জার্মানী। কনসান্ট্রেশান ক্যাম্পের পার্পাসও ছিল মূলত ঐ। ১৯৪৪ এর শেষের দিকে ইউ এস জার্মানীর সিন্থেটিক অয়েল রিফাইনারীগুলো বমিং করে। মোটামুটি ঐ সময় থেকেই জার্মানীর হার নিশ্চিত হয়।
  • দ্রি | 87.247.181.165 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৫:৪১686163
  • জার্মানী যখন স্ট্যালিনগ্রাডের দিকে এগোচ্ছিল, তখন হিটলার সৈন্যের একটা অংশকে বাকুর তেলের খনি দখল করার জন্য দক্ষিণে পাঠায়। সেই নিয়ে টপ জেনারালদের সঙ্গে তীব্র মতবিরোধ হয়েছিল হিটলারের। জেনারালরা চেয়েছিল পূর্ণশক্তি দিয়ে স্ট্যালিনগ্রাডে একটা ডিসিসিভ লড়াই লড়তে। কিন্তু হিটলার চেয়েছিল এনার্জির একটা রিলায়েব্‌ল সোর্স দখল করতে। প্ল্যানটা ছি, একদল সৈন্য উত্তর থেকে বাকুর দিকে যাবে। আর র‌্যমেলের বাহিনী নর্থ আফ্রিকা দিয়ে সিরিয়া হয়ে বাকুতে পৌঁছবে। বাকিটা ইতিহাস।

    কিন্তু প্ল্যানটা আন্ডারস্ট্যান্ডেব্‌ল।
  • PM | 233.223.155.23 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৫:৪২686164
  • এটা তো কখনো শুনিনি? সিন্থেটিক তেল?

    পরবর্ত্তিকাঅলে এটা তৈরী বন্ধ হলো কেনো?
  • দ্রি | 87.247.181.165 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৫:৫০686165
  • ইন ফ্যাক্ট, জার্মানীর মূল যে ওয়ার স্ট্র্যাটেজি, ব্লিৎজ্‌ক্রিগ, তার কারণও তেলের শর্টেজ। হিটলার বুঝত যে জার্মানী লং ওয়ার টানতে পারবে না। দীর্ঘদিন যুদ্ধ করতে গেলে অনেক তেল লাগে। বারে বারে সৈন্য সামন্ত, ট্যাঙ্ক নড়াতে হয়, সরাতে হয়। জার্মানীকে জিততে গেলে চট করে জিততে হবে। স্ট্রেচ করলে অ্যালায়েডদের সাথে নো চান্স। কারণ টেক্সাসের তেল তাদের হাতে। কোথায় একটা পড়েছিলাম, অ্যালায়েডদের সাত বিলিয়ান ব্যারেল তেলের ছয় বিলিয়ান আসত টেক্সাস থেকে (এই তথ্যটা স্মৃতি থেকে লিখলাম, চেক না করেই, সন্দেহ হলে চেক করে নিন)। জার্মানীর বিরাট ভুল হয়েছিল, ভেবেছিল রাশিয়াও ব্লিৎজ্‌ক্রিগ দিয়ে হয়ে যাবে।

    ব্লিৎজ্‌ক্রিগ দিয়ে পোল্যান্ড হয়, রাশিয়া হয় না।
  • Arpan | 125.118.30.70 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৫:৫২686166
  • না জাপান ভেঙেছে বলিনি, বলেছি চাইলেই ভাঙতে পারত। এমন কিছু মহাভারত অশুদ্ধ হত না।
  • দ্রি | 87.247.181.165 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৫:৫৬686167
  • পিএম, পড়ুন, কেমিস্ট্রি ইন নাৎসি জার্মানী।

    Chemistry was central to Nazi endeavors. As the country became increasingly isolated from raw materials, chemists played a major role developing and improving techniques for producing synthetic alternatives to rubber, petrol, and even coffee.

    http://cen.acs.org/articles/91/i37/Chemistry-Nazi-Germany.html

    ইন ফ্যাক্ট, আই জি ফার্বেনের কিছু কেমিস্ট নোবেল প্রাইজও পেয়েছিলেন, ঐ সিন্থেটিক অয়েল সংক্রান্ত ডিসকভারির জন্য।

    তবে সিন্থেটিক অয়েল কম্প্টিশানে ন্যাচারাল অয়েলে পারে নাকি? ওয়ার টাইমে, স্লেভ লেবার দিয়ে যদি বা সম্ভব, পীস টাইমে নো ওয়ে।

    তবে মানুষ টেকনোলজিটা জানে।
  • দ্রি | 87.247.181.165 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৬:০২686168
  • দেখুন, জাপান ১৯৩১এ মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ করেই ইউ এস ইউ কে কে চটিয়েছে। এর ওপরে আবার রাশিয়াকে চটাতে চায় নি। রাশিয়াকে ঘাঁটাতে গেলে ইউ এস, ইউ কেকে হাতে রাখতে হত। তাহলে মাঞ্চুরিয়া আক্রমণ করা চলত না।

    কিন্তু জাপান ভেবেছিল তেলটা মাঞ্চুরিয়া আর ইন্দোনেশিয়া থেকে আনবে, বাকুর বদলে। সেটাই ন্যাচারাল চয়েস, জিওগ্রাফিকাল কারণে।
  • দ্রি | 198.209.52.193 | ২৩ আগস্ট ২০১৫ ১৬:১৫686170
  • ইন্দোনেশিয়ার তেলের খনিগুলোকে রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল আমেরিকার প্যাসিফিক ফ্লিটের। সুতরাং প্যাসিফিক ফ্লিট ডেস্ট্রয় না করে ইন্দোনেশিয়ার তেলের খোয়াব দেখা যেত না। তাই পার্ল হার্বার আক্রমণের সিদ্ধান্ত।

    এবং পার্ল হার্বার আক্রমণের কয়েক মাস পরেই জাপান বালিকপাপান দখল করে। অ্যালায়েডরা পালানোর সময় তেল তোলার সব যন্ত্রপাতি উপড়ে দিয়ে যায়। কিন্তু জাপান কিছুদিনের মধ্যেই সব সারিয়ে প্রোডাকশান শুরু করে। এবং তাতে জাপানের তেলের সমস্যা পুরোপুরি মিটে যায় ... কিছুদিনের জন্য। এরপর, ইউ এস নতুন স্ট্র্যাটেজি নেয়। ইন্দোনেশিয়া থেকে জাপানের সীরুটে তেলের ট্যাঙ্কারগুলোকে সাবমেরিন দিয়ে ডুবিয়ে দিতে শুরু করে। এতে জাপান খুব বড় ঘা খায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন