এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হিরোশিমা নাগাসাকি

    dd
    অন্যান্য | ১৩ আগস্ট ২০১৫ | ৩৯১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 116.51.29.134 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ২২:৩৭686034
  • এটা অ্যাকচুয়ালি একটা প্রবন্ধ। লেখা হয়ে গ্যাছে কিন্তু পোস্ট করতে সময় নেবে। একটু ওয়েট করুন।
  • dd | 116.51.29.134 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ২২:৩৯686092
  • হিরোশিমা নাগাসাকি

    । ফার্স্ট থিং ফার্স্ট
    ---------------------------------------------

    এইটা হচ্ছে টাইমলাইন। ১৯৪৫

    ৮ মে - জার্মানীর আত্মসমর্পন
    ১৬ জুলাই - ট্রিনিটি টেস্ট সফল।
    ১৭ জুলাই - ১ অগস্ট। পটসডাম কনেফেরেন্স
    ২৬ জুলাই- পটসডাম ডিকেলেরেশন। আত্মসমর্পন না করলে "prompt and utter destruction"এর লিখিত হুমকী।
    ৬ অগস্ট - হিরোশিমায় এটম বম
    ৮ অগাস্ট - জাপানের বিরুদ্ধে সোভিয়েত যুদ্ধ ঘোষনা
    ৯ অগাস্ট - নাগাসাকি
    ১৫ অগস্ট - জাপানের সারেন্ডার।

    । এটম বমের জন্মকথা
    --------------------------------------------
    যাস্ট তখন বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ১৯৩৯। তখনো অবশ্য সেটা নেহাতই ইওরোপীয় যুদ্ধ ছিলো আর আমেরিকাও কিছু ফীল্ডে নামেনি। তখন থেকেই এটম বম বানার প্ল্যান কিন্তু শুরু হয়ে গ্যাছে। ব্রিটেইন ও বেশ কিছু রিসার্চ করে ফেলেছে এই সময়ে। "এটম বোমা বানানো সম্ভব" এই ধারনাটা তখন বিজ্ঞানীদের মধ্যে স্বীকৃত। ঐ সালেই রুজভেল্টকে জানানো হোলো যে দারুন শক্তিশালী এই বোমা বানানোর থিওরেটিক্যাল নলেজ এখন হাতের মুঠোয়।
    চিঠি চাপাটি করতে করতে আরো দু বছর গেলো। অনেক টাকা,অনেক লোকের দরকার। ৪১'এর অক্টোবরে মোটামুটি ভাবে ফাইনাল প্ল্যান সাঁটলেন ব্রিটেইন ও আমেরিকা।
    ৪১'র ৭ ডিসেম্বরে পার্ল হারবারের আক্রমন হোলো,আমেরিকাও "আর দেরী নয়, আর দেরী নয়, হাতে হাতে ধর গো" বলে পুরোদমে কাজ শুরু করে দিলো।
    বিশাল প্রজেক্ট, খুবই বিশাল কমিটমেন্ট। ১লক্ষ ত্রিরিশ হাজার কর্মী। দু বিলিয়ন ডলার বাজেট। যুদ্ধ বাজেটের এক বড়ো অংশই এই ম্যানহাটান প্রজেক্টে।
    অবশেষে ১৯৪৫সালের১৬ ই জুলাই "ট্রিনিটি টেস্ট"। সায়ান্টিস্টেরা জানালেন যে প্রথম নিউক্লিয়ার এক্সপ্লোশন সাকসেসফুল হয়েছে। একেবারে আনকোরা প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান খবর পেলেন পটসডামে বসে। ট্রুম্যানের মেময়ার্সে রয়েছে যে পটসডাম কনফেরেন্সে উনি স্তালিনকে একান্তে জানান যে আমাদের হাতে এখন একটি নতুন অস্ত্র এসেছে "with unusual destructive force"। বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে স্তালিন স্মিত হেসে বলেন "আমি প্রীত হইলাম। এক্ষনে ওটি জাপানের বিরুদ্ধ ব্যবহারের আজ্ঞা হউক"। যুদ্ধের পরের রিসার্চে জানা যায় স্তালিন নিয়মিতই খবর পেতেন এই প্রজেক্ট কতোটা এগোলো - তার নিজস্ব গুপ্তচর চক্রের মাধ্যমে।
  • dd | 116.51.29.134 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ২২:৪১686103
  • যুদ্ধে তখন কে কোথায় দাঁড়িয়ে ?
    -----------------------------------------
    জর্মানী ততোদিনে আত্মসমর্পন করেছে। মিত্রপক্ষ ভাগ বাঁটোয়ারায় ব্যাস্ত। লড়াই তখন শুধু পুর্ব দিকে। জাপান বনাম আমেরিকা। কিছু অস্ট্রেলিয়ান বা নিউজিল্যান্ডের সেনানীও আছে। মাজাভাঙা ব্রিটেইনের একটা টোকেন প্রেসেন্স ছিলো - কিন্তু সেটা খুবই লজ্জাজনক সামরিক ইতিহাস।
    বেসিকেলি এটা তখন জাপান আমেরিকার দ্বৈরথ। আশে পাশে সমঝদার দর্শকেরা জমায়েৎ থাকলেও ফীল্ডে আর কেউ ই নামে নি।
    পটসডাম কনফেরেন্সে কিন্তু আমেরিকা খুব জোরজার করছিলো রাশার উপরে। জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার জন্য। স্তালিন রাজী হলেও স্পষ্ট জানালেন সেই সুদূর মাঞ্চুরিয়া সীমান্তে সেনা ও গোলাবারুদ নিয়ে যেতে সময় লাগবে। খুব তাড়াতাড়ি কিছু সম্ভব নয়। মাস খানেক থেকে মাস দুয়েক - এই রকম সময় চাই রাশার।

    ঈগল বনাম সুর্য্য
    -----------------------------------
    সেই ৪১ সালের কুখ্যাত সাত ডিসেম্বর।পার্ল হারবার আচমকা আক্রমন করে যুদ্ধ ঘোষনা জাপানের। সেই থেকে জাপান একটানা জিতে চলেছে মহাসাগরের যুদ্ধে। একেবারেই এক তরফা ফলাফল। একের পর এক মহা ঘাঁটীর পতন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একেবারে টলোমলো অবস্থা, আম্রিকাও একটানা হেরে চলেছে।
    পাশা উল্টালো মিডওয়ের যুদ্ধে । ৪২এর জুনে। সব হিসেব উল্টে দিয়ে এক দুনিয়া কাঁপানো মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে জাপান হারালো তিনটি এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার। তার কয়েক ঘন্টা পরেই আরো একটি বিমানবাহী জাহাজ হারাবে তারা। ব্যাস। পলকে ব্যালান্স অফ পাওয়ার এদিক ওদিক হয়ে গেলো। জাপান আর জিততে পারে নি।
    আমেরিকা একটানা এগিয়ে চলেছে। রক্তক্ষয়ী, কিন্তু জয় তাদেরই। পর পর দ্বীপ দখল করে জাপানের মুল ভুখন্ডের কাছে এগিয়ে আসছে দুর্বার ঈগল।
    প্রথম হোঁচোট খেলো ইও জিমায়। নিতান্ত ছোট্টো একটা দ্বীপ। সেটা দখল করতেই বড্ডো দমকে গেলো আমেরিকা। এতোদিন পর্যন্ত্য দ্বীপ দখলের লড়াইতে ইকুয়েশন ছিলো একই রকম, একজন আমেরিকান সেনানী হতাহতের বিপক্ষে তিন থেকে পাঁচ জন জাপানীর সেনার মৃত্যু। ইও জিমা দখল হোলো ঠিকই দেড় মাস লড়াইএর পর ৪৫এর মার্চে কিন্তু হতাহতের সংখ্যায় আমেরিকা এগিয়ে রইলো জাপানের তুলনায়।
    এর পরে আরেকটি বড় লড়াই - সেটি ওকিনাওয়ায়। জাপানের একেবারে দোরগোড়ায়। এটা ছিলো জাপানের মুল ভু খন্ডে লড়াইএর এক স্টেজ রিহারস্যাল। এই যুদ্ধে জিতলেও বড়ো কাহিল হয়ে পরলো আমেরিকা। জাপানের কামিকাজে আক্রমনে প্রচন্ড ক্ষয় ক্ষতি হছিলো। মানুষ ও রসদের।

    স্ট্যাটিসটিক্স।
    ----------------------------
    ওকিনাওয়ার লড়াইতে প্রায় ৮২ হাজার আমেরিকান হতাহত। জাপানীর মধ্যে মৃত প্রায় সোয়া লাখ । আর কতো সিভিলিয়ানের মৃত্যু হোলো?? যুদ্ধে এবং গন আত্মহত্যায়? কোনো হিসেব নেই। ৪০ হাজার থেকে দেড় লাখ - যেমন খুসী একটা সংখ্যা বেছে নিন। তবে জেনে রাখুন এই "আত্মহত্যা"র অনেকটাই কিন্তু বাধ্যতামুলক ছিলো।
  • dd | 116.51.29.134 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ২২:৪৩686114
  • বোমা সম্বন্ধে দু চার কথা
    -------------------------------
    দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে সিভিলিয়ানদের উপরে বোমা ফেলা,সম্পুর্ন অসামরিক নিশানা নিশানাকে আকাশ থেকে উড়িয়ে দেওয়াটা দস্তুর ছিলো। সবাই করতো।
    জর্মনী ব্লিৎস আক্রমন করে লন্ডনকে পুড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেছিলো। বোমারু বিমান ছাড়াও প্রথমে ভি ওয়ান পরে ভি টু রকেট - এলোপাথাড়ি ভাবে শহরের উপরে আক্রমন জর্মনী করেছে। যুদ্ধের শেষের দিকে আমেরিকা আর ব্রিটেইন জর্মনীর সব শহরেই বোমা ফেলে এসেছে। সম্পুর্ন অসামরিক লক্ষ্য ছিলো ড্রেসডেন। ফায়ার স্টর্মে ছাই হয়ে গেছিলো সেই শহর।স্তালিনগ্রাদের কাঠের বাড়ীও পুড়েছিলো অমন ভাবে। জাপানের সব শহরেই নাগাড়ে বোমা বর্ষণ চলছিলো।
    গড়ে প্রতি সপ্তাহে কুরি হাজার টন বোমা ফেলা হোতো জাপানের শহর গুলিতে। সব থেকে বড়ো রেইড হয়েছিলো টোকিয়োতে।
    জাপানের কাঠের বাড়ী ধ্বংশ করতে দরকার ছিলো আগুনে বোমা। ১৯৪০ সালে M 47 ছিলো এরকম একটা ইন্সেনডিয়ারী বোমা। আরো রিসার্চ চলে। ১৯৪২ সালে জেলীড গ্যাসোলিন বা নাপাম বোমা চালু হয়। ১৯৪৪ সালে থেকেই,জর্মানী আর জাপান - দু যায়গাতেই যথেচ্চ নাপাম ব্যবহার করা হয়
    কতো লোক মারা গেছিলো এই এক এক দিনের রেইডে? হিসেব খুব বিশ্বাসযোগ্য নয় ,তাও ধরুন এক রাতেই হামবুর্গে মারা যায় ৪০ হাজার আর ড্রেসডেনে ৬৫ হাজার। স্তালিনগ্রাড যুদ্ধের প্রথম রাতেই মারা যায় ৪০ হাজার। টোকিয়োতে এক রাতেই হতাহতের সংখ্যা লাখের উপরে চলে গেছিলো ।
    পটসডাম কন্ফেরেন্সে যখন যুদ্ধ শেষ হলে কি কি করণীয় নিয়ে খুব আলোচনা চলছে তখনই ডিসিশন নেওয়া হয় সিভিলিয়ানদের উপর বোমা ফেলাটা যুদ্ধ অপরাধ হিসেবে গন্য হবে না। পাগোল ? কাকে ছেড়ে কাকে ধরবেন ?

    এই কি গো শেষ বোম?
    ------------------------------------
    না। এটা একটা মিথ যে নাগাসাকির পরে আমেরিকা আর কনভেনশনাল বোমা ফেলে নি জাপানে। আসলে জাপান যে এতো তাড়াতাড়ি আত্মসমর্পন করবে সেটা আমেরিকার চিন্তার বাইরেই ছিলো। আরো এটম বোমা বানানোর জন্য প্ল্যান চালুই ছিলো। মোটামুটি অগাস্টের শেষ নাগাদ একটা দিন ও ঠিক হয়েছিলো "থার্ড শট"এর জন্য। টার্গেট নিয়েও আলোচনা চলছিলো।
    কনভেনশনাল বোমা অর্থাৎ হাই এক্ষ্প্লোসিভ,নাপাম আর ফসফরাস বোমা আদৌ বন্ধ থাকে নি। ১৪ অগস্টের কথাই ধরুন, প্রায় হাজার খানেক বিমান কুমাগায়া আর ইসেজাকি (isezaki) এই দুই শহরে প্রায় ১২ মিলিয়্ন পাউন্ড বোমা ফেলে এসেছিলো ।১০ থেকে ১৪ অগাস্ট, অথাৎ নাগাসাকিতে বোমা ফেলার থেকে শুরু করে জাপানের আত্মসমর্পনের দিন পর্যন্ত্য আরো ১৫ হাজার জাপানী সিভিলিয়ান মারা যাবেন এই কনভনশনাল বম্বিংএ। গৃহহীন বা আহতেরা তো গুনতির বাইরেই।
  • dd | 116.51.29.134 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ২২:৪৬686125
  • জাপান কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিলো
    -----------------------------------------
    এটার জন্য প্রেক্ষিত দরকার।

    অন্যান্য দেশ মানে আমেরিকা,জার্মানী,সোভিয়েত, ব্রিটেইন ইত্যাদিরা কি চাইছেন, কি তাদের বৈদেশিক নীতি এ নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিলো না। কিন্তু জাপান একটা অদ্ভুত দেশ ছিলো। সম্রাট হিরোহিতো ছিলেন যেন এক ভগবান কিন্তু যুদ্ধ ও রাজনীতি থেকে তিনি দুরেই থাকতেন। যুদ্ধ চলা কালীনই জাপানের সরকারের অদল বদল হয়ে গেছেএকাধিকবার। আর ছিলো বিভিন্ন লবী ও নানান পাওয়ার সেন্টার। একদল শান্তি চাইতেন অন্য দল আরো যুদ্ধ চাইতেন। আর্মি ও নেভীর ও আলাদা ভাবে ক্ষমতা ছিলো - তাদেরকে চটিয়ে কিছু করা যেতো না। অনেকটা আমাদের এখনকার পাকিস্তানের মতন। দেশটা যে কে চালাচ্ছে সেটা বোঝা মুষ্কিল। এ ছাড়াও ছিলো জাপানের বেশ ধাঁধাটে ভাষা, কোনো কিছুই যেনো সোজা সাপটা ভাবে কমিউনিকেট করা হোতো না ।
    জাপানের সরকার কিন্তু টিঁকতো না।

    ১৯৪৪ সালে জুলাই মাসে আমেরিকানরা মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ দখল করতেই তোজো সরকারের পতন হয়, গদীতে বসে নতুন কইসো কুনিয়াকির সরকার। নতুন প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করেছিলেন শান্তিবাদীদের নিয়ে একটা ক্লাউট তৈরী করার কিন্তু প্রকাশ্যে কিছু করা সম্ভব ছিলো না। ঐ বছরেই প্রায় ৪০০ জাপানী প্রেফতার হন শান্তির পক্ষে সওয়াল করে। অ্যাসাসিনেশনের ভয়ও ছিলো। তো সেই সরকারও চললো না।

    ১৯৪৫'এর এপ্রিলে ওকিনাওয়াতে মার্কিন সেনানীর পা পরতেই আবার নতুন সরকার এলো। এবারে নেতৃত্বে এলেন অ্যাডমিরাল সুজুকি কানটারো। তিনি সবথেকে সরব শান্তিবাদীদের গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট দিয়ে সামনে আনলেন।
    এর আগেই, মানে এই মিটিংএর দু সপ্তাহ আগেই জাপানী কেবিনেট কিন্তু খোদ সম্রাটের উপস্থিতিতেই প্রস্তাব নিয়েছিলো "to prosecute the war to the bitter end"। আত্মসমর্পন নয়, এসপার উসপার কিছু একটা হয়ে যাক।

    আর রাশিয়া তলে তলে তৈরী হচ্ছিলো জাপান আক্রমনের জন্য। ২৮ মে তারিখেই স্তালিন জানান আবহাওয়া বৈরী না হলে ৮ অগাস্টে তারা মাঞ্চুরিয়া অভিযান শুরু করবে। ইতিমধ্যে ২৯ মে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাটো সোভিয়েত বিদেশ মন্ত্রী মলটভের সাথে দেখা করলেন। মলোটভও তাকে মিথ্যে আশ্বাস দিলেন যে রাশিয়া এই মুহুর্ত্তে জাপানের সাথে যুদ্ধের কথা ভাবছে না। সেই মতন সাটো তার দেশেও তার করলেন।

    জাপান থেকে এক হাই লেভেলের এক ডেলিগেশন মস্কো ঘুড়ে এলো মে মাসের শেষে। উদ্দেশ্য রাশিয়াকে নিউট্রাল রাখা।
    জুন মাসের শেষে সম্রাটের নির্দেশে বিদেশ মন্ত্রী হিরোটা রাশিয়ার দুত জেকব মালিকের সাথে দেখা করলেন। উদ্দেশ্য মস্কোর মাধ্যমে যদি যুদ্ধ বিরতি করা যায়।

    ২৯ জুনের এই মিটিংএই কিন্তু ফয়সালা হয়ে যেতে পারতো কিন্তু ফলাফল হোলো শুন্য।হিরোটা এমন অসম্ভব দাবী ফেঁদে বসলেন ,যেমন মাঞ্চুরিয়ার উপরে জাপানের কতৃত্ব বজায় রাখা, রাশিয়ার থেকে তেল আমদানীর সুযোগ ইত্যাদি ,যে মালিক মনে করেছিলেন যে জাপান শুধু সময় কিনতে চায়। শান্তির জন্য কোনো আন্তরিক ইচ্ছা নেই। জাপানের শান্তিবাদীরা আরেক বার চেষ্টা করেছিলো।

    ১৪ই জুলাই প্রিন্স কোনো, জাপানের "স্পেশাল এনভয়" হয়ে মালিকের সাথে মিটিং করলেন। জাপানের সব উপদলকেই খুসী রেখে জাপানের পক্ষে কোনো কনক্রীট প্রস্তাব দেওয়া সম্ভব ছিলো না। সেরকম হয়ও নি।

    মাঝের থেকে সাটো হিরোহিতোর হয়ে বার্ত্তা পাঠালেন মস্কোকে।যাতে স্পষ্টই বলা হোলো নিঃসর্ত্ত আত্মসমর্পনের দাবী নিয়ে মিত্রপক্ষ অনড় থাকলে জাপানের আর কোনো উপায় থাকবে না "but to fight on with all its strength for the honour and existence of the Motherland"

    হিরোশিমা নাগাসাকির শেষ সুযোগ টুকুও গেলো ।
  • I | 192.66.26.5 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ২২:৪৮686147
  • চালায়ে যান।
  • dd | 116.51.29.134 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ২২:৪৮686136
  • জাপানের শান্তিবাদীরা কেনো যে রাশিয়ার মাধ্যমে তাদের বার্ত্তা দিতে চাইছিলো আমেরিকাকে, সেটা এতোদিন পরেও বোধগম্য নয়। আসলে, ঐ যে লিখলাম, জাপানে কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গেলে সব পক্ষকে সামলে সুমলে চলতে হোতো। ফলে প্রায় কোনো ডিসিসনই সোজা সাপটা ভাবে জানানো যেতো না।

    আমেরিকা কিন্তু তাদের ম্যাজিক ডিক্রিপশন মারফৎ জাপানের সব কটি টপ সিক্রেট বার্ত্তাই "পড়তে" পারছিলো, কিন্তু জাপানের ধোঁয়াটে ভাষা আর হাফ হার্টেড প্রচেষ্টার উপরে ভরসা করা সম্ভব ছিলো না।

    নাগাসাকির পরে
    ***********************************
    নাগাসাকি তখন ধ্বংশ, এই প্রেক্ষিতেই জাপানে মন্ত্রীসভার ম্যারাথন বৈঠক চলতেই থাকে, ঘন্টার পরে ঘন্টা। কিন্তু দুই পক্ষই অনড়। শেষ পর্যন্ত্য বৈঠকে যোগ দিলেন সম্রাট হিরোহিতো। ৯ অগস্টের রাত্রিবেলা । প্রধানতঃ সম্রাটের নির্দেশেই এইবারে ডাইরেক্ট মেসেজ গেলো আমেরিকাতে। জাপান যুদ্ধ বিরতি মানবে পটসডাম ডিক্লারেশন অনুযায়ী কিন্তু সম্রাটকে ছোঁয়া যাবে না।

    আমেরিকাতেও সোরগোল পরে গেলো। অতঃ কিম। সর্ত্তহীন আত্মসমর্পনের দাবী থেকে কি পিছু হটে আসতে হবে আমেরিকাকে? ট্রুমান খুব একটা রাজী ছিলেন না, কিন্তু যুদ্ধ মন্ত্রী স্টিমসন (যিনি ছিলেন এটম বমের মুল হোতা)বোঝালেন। "আরো কটা ইও জিমা বা ওকিনাওয়া চাই আমেরিকার? এখানেই ইতি টানুন"।

    শেষটা একটা কম্প্রোমাইজ করা হোলো। আমেরিকা উত্তর দিলো সারেন্ডারের পর থেকেই সম্রাটের কতৃত্ব "shall be subject to the Supreme Commander of the allied powers"। সরাসরি না করে দেওয়া হোলো না। এই টুকুই যা কনসেসন।

    এই বার্ত্তা পেয়ে তো জাপানে কেবিনেট একেবারে হাঁ হাঁ করে উঠলো। আর্মি থেকে জানালো হোলো "কভি নেহী"। পরিস্ষ্কার করে সম্রাটের আধিপত্য না মানলে যুদ্ধ চলছে চলবে। ।

    ১৪ই অগাস্টে,আমেরিকা থেকে প্লেন ভর্তি লিফলেট ছড়ানো হোলো জাপানে। জাপানের আত্মসমর্পনের বার্ত্তা আর তার আমেরিকান উত্তর - দুটোই ফুল টেক্স্ট সহ জানানো হোলো।
  • dd | 116.51.29.134 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ২২:৫০686158
  • কু কথা
    ***********************************
    জাপানে তখন ভয়ানক ভয় চলছে ক্যু ডে তার। যে কোনো সময়ে আর্মি বা নেভীর লোকে বিদ্রোহ শুরু করতে পারে।এইসব মিলিটারিস্টদের কাছে নিজেদের বুশিদো সম্মান এতোই ইম্পরট্যান্ট যে লক্ষ লোকের মৃত্যুও নিতান্ত তুচ্ছ। এদের প্রোরচনা ও নির্দেশেই ওকিনাওয়াতে সিভিলিয়ানদের মধ্যে গন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিলো

    ।ফলে হিরোহিতোকে আবার মিটিং ডাকতে হোলো ১৪ অগাস্টের রাত্রে। সেই সময়েই একদল ফ্যানাটিক আর্মি অফিসার চড়াও হোলো প্যালেসে আর দখল নিলো জাপানের রেডিও সেন্টারে। তাদের কাছে খবর ছিলো সম্রাট তার সারেন্ডার বার্ত্তা টেপ করে রেডিও অফিসকে দিয়েছেন,এবারে নির্দেশ আসলেই সেটি প্রচার করা হবে হন্যে হয়ে তারা সেটি খুঁজলেন কিন্তু পেলেন না। কিন্তু এই বিদ্রোহ বেশীক্ষন চলে নি কেনো না কোনো সিনিয়র অফিসারই এতে জয়েন করেন নি।

    যুদ্ধবাদীদের তাত্ত্বিক নেতা অনামী কোরেচিকা হারাকিরি করলেন। তার সাথে আরো অনেক জাপানী নেতাও যোগ দিয়েছিলেন। ১৫ ই অগাস্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হোলো।

    এটম বোমের পালা কিন্তু তখনো শেষ হয় নি। জোর কদমে তৃতীয় বোমাটির কাজ এগিয়ে চলেছিলো কেনো না জাপানের ভিতরে আরো ক্যু হয়ে হিরোহিতোকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে এই আশংকা তখনো যায় নি।

    কিন্তু যুদ্ধের পরে জাপানে সাধারন মানুষের এক আশ্চর্য্য মনোভাব দেখা দিয়েছিলো। এই মিলিটারিস্টরা সাধারন মানুষের কাছে একেবারে বিষবৎ হয়ে উঠেছিলো। সো মাচ সো, যে জনরোষ থেকে বাঁচাতে আমেরিকাএইসব যুদ্ধবাদীদের প্রোটেকটিভ কাস্টডিতে নিতে বাধ্য হয়।

    ফিরে দেখা
    ---------------------------
    কতো লোক মারা গেছিলো দুই শহরে? মোটামুটি ভাবে স্বীকৃত সংখ্যা প্রায় লাখ খানেক আর গুরুতর আহত আরো - প্রায় ঐ সংখ্যার মানুষ। সঠিক সংখ্যা কারুর পক্ষেই বলা সম্ভব নয়।কেউ জানে না। কোন সংখ্যা আপনি বিশ্বাস করবেন সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে।
    জার্মানী আর জাপান - এই দুই দেশে কতো সিভিলিয়ান মারা গেছিলেন টেরর বম্বিংএ? একটা দায়সারা গোছের হিসেব আছে কুড়ি লক্ষের।
    এহ বাহ্য। কতো লোক মারা গেছে ম্যান মেড ফেমিনে ? পঞ্চাশের মন্বন্তর (১৯৪৩) বাংলাদেশেই মারা গেছিলেন তিরিশ লক্ষ মানুষ। না কি আরো বেশী? ফসলের অভাব নয়, এ ছিলো যুদ্ধের কোল্যাটারাল ড্যামেজ। ঐ ভাবেই ১৯৪৫ সালে ভিয়েতনামে আর ইন্দোনেশিয়াতেও না খেতে পেয়ে মরেছিলো তিরিশ লক্ষ মানুষ। চীনেও চলছিলো অনাহার।
    এটম বম্বের এপোলজিস্টরা এই সব পরিসংখ্যন দেন। যুদ্ধ যতো তাড়াতাড়ি শেষ হবে ততো মানুষ বাঁচবে। সেনানী,যুদ্ধবন্দী,সাধারন মানুষ। জাপানের আত্মসমর্পনের ডাইরেক্ট কারন (অন্তত অন্যতম) হচ্ছে এই এটম বম্ব। হিরোহিতো ও তাঁর আত্মসমর্পনের বক্তৃতায় সেটিকেই উল্লেখ করেছেন। "এই ভয়ানক অস্ত্রের(a new most cruel bomb"ইংরেজী অনুবাদে) বিরুদ্ধে লড়াই করা অসম্ভব" তিনি জানিয়েছিলেন দেশবাসীকে।
  • dd | 116.51.29.134 | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ২২:৫১686169
  • ব্যাস ব্যাস। শেষ।
  • নির | 122.79.35.227 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০১:৫৫686035
  • ভালো লাগল। WWII এর যুদ্ধবিমানের সাতকাহন নিয়ে লেখাটাও ভালো লেগেছিল।
  • সিকি | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৭:৩২686046
  • অবশেষে সেই ডিজায়ার্ড ফর্মে ডিডিদাকে পেলাম।

    রেফারেন্সগুলো?
  • Du | 34.238.130.225 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৮:১৮686057
  • রেফারেন্স না দেখলেও ---- চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায় --
    এটা লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না ঃ)
  • potke | 190.215.59.118 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৩২686068
  • ডিডিদা লিখলে লিং লাগে না।
  • dd | 116.51.136.144 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ০৮:৫২686079
  • শ্রদ্ধাটাই আসোল। নইলে গার্ডিয়ানে উত্তরণ সম্বব নয়।

    তাও ও, লিখে নিন। বেসিকেলি যে তিন্টে বই পড়ে লিখেছি

    ১। FIVE DAYS IN AUGUST - Michael Gordin
    ২ Nemesis - Max Hastings
    ৩। Eagle against the sun -Ronald Spector

    আরো দু একটা হাবি জাবি।

    কোন লাইনটা কোন বই দেখে লেখা সেটা মনে রাখতে পারলে তো হয়েই যেতো।
  • T | 24.139.128.21 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১২:০২686087
  • আমি ডিডিদার লেখা যুদ্ধবিমানের সাতকাহন পড়তে চাই। কেউ লিঙ্ক দিলে খুব খুশি হই।
  • | 24.96.104.209 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১২:০৯686088
  • ঠিকাছে।

    ড্রেসডেন বম্বিঙের ওপরে আপনার একটা লেখা ছিল না? ঐটে একটু টই খুলে তুলে দেন না পিলিজ।
  • Ekak | 113.6.157.185 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১২:১৮686089
  • ভালো লেখা । এই পেল্লায় সময় কে কম কথায় ধরা চাট্টিখানি কথা না ।
  • de | 69.185.236.54 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১৪:৪৯686090
  • ক্ষী ইই ভালো ডিডিদা!

    এই বম্বিং এবং WWII নিয়ে জাপানীজ ভার্সনের কিছুটা হলেও চিত্র পেলাম। এই বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে আম্রু বা ইংলিশ ভার্সনের ছড়াছড়ির মাঝে অনেক অন্যরকম। জাপানী বইপত্র পাওয়া যায় না এই বিষয়ে? তখনকার সময়ে সাধারণ মানুষের চোখে কিভাবে দেখা হয় তাদের দেশের যুদ্ধ-পরিস্থিতি?
    জাপানী বইয়ের অনুবাদ আছে নিশ্চয়ই। আরো লিখুন -
  • a | 213.219.201.58 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১৭:৩৯686091
  • ডিডিদা, গণ আত্মহত্যার ব্যাপারটা একটু ডিটেলে বলুন না।।।
  • নেতাই | 169.245.48.100 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১৭:৫৫686093
  • ডিডিদা ইজ বেস্ট
  • | 183.17.193.253 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ১৮:৪৮686094
  • দীপ্তেন্দা, খুব ভালো। তখনকার জাপানী সমাজ নিয়ে আমিও জানতে আগ্রহী। সময় করে সেটাও লিখো।
  • SS | 160.148.14.38 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ২০:১৪686095
  • খুব ভাল আর সময়োপযোগী লেখা। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল জাপান ডিফেন্সিভ স্ট্র্যাটেজি থেকে আবার সামরিক শক্তি বাড়ানোর রাস্তায় হাঁটছে। যুদ্ধের পর জাপান সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেবল ডিফেন্সের জন্যে সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হবে। গতকাল জাপানের সারেন্ডারের সত্তর বছর পূর্তি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে চীন আর কোরিয়ার কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেও ক্ষমা চান নি। চীন বা কোরিয়া এতে স্বভাবতই খুশি নয়। যুদ্ধের সময় হাজার হাজার মেয়েদের সেক্স স্লেভ হিসাবে ব্যাবহার করেছিল জাপান। এই নিয়ে রেপারেশনের দাবীও আছে চীন বা কোরিয়ার তরফে। ইতিহাস আর বর্তমান মিলিয়ে খুবই ইন্টারেস্টিং।
  • aranya | 154.160.98.95 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ২১:২২686096
  • ভাল লাগল, ডিডি-দা
  • dd | 116.51.128.219 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ২১:৪৭686098
  • ইটি a'র জন্য

    https://www.youtube.com/results?search_query=mass+suicide+in+saipan

    এটি দেখতে পারেন, তবে না দেখাই ভালো। এ ভিন্ন আরো ডকু আছে উট্যুবে। বিশেষতঃ ওকিনাওয়ায়। হাজারে হাজারে সিভিলিয়ান পাহাড় থেকে ঝাঁপিয়ে পরে সুইসাইড করেছে। নীচ থেকে মেরিনেরা হেল্পলেসলি দেখছে। এইসব। খুব ই ভয়াবহ।

    এ নিয়ে প্রচুর তর্কও আছে। কতোটা ভলান্টারী আর কতোটা বাধ্যতামুলক।

    যুদ্ধ পরবর্ত্তী জাপানে একটা অদ্ভুত ভাবে সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারকে ভুলে যাওয়া হয়েছে। হিরোসিমা কেস খেয়ে যাওয়ায় সেখানে মিউজিয়াম আর স্মারক আছে। আর নাকি কোথাও নেই বা বিশেষ নেই। টোকিয়ো ফায়ার রেইড নিয়েও একটা ছোট্টো অবস্কিওর shrine আছে , সেটি নিয়ে খুব প্রোপাগান্ডা নেই। টেক্সটবুকেও (নাকি) প্রায় উল্লেখই থাকে না এই বিশ্ব যুদ্ধের।

    বেসিক্যালি জাপান আর খুঁচিয়ে তুলতে চায় না। এ সবই পড়া কথা।
  • Du | 34.238.130.225 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ২২:২৩686099
  • জাপানিদের এই রহস্যটা জানা এবং শেখা হয়তো মানব সভ্যতার জন্য খুব দরকারী। নাহলে সব যুদ্ধই ডাইনোসরের ডিম হয়ে থেকে যাবে কোথাও না কোথাও।
  • T | 24.139.128.21 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ২৩:৩৮686100
  • ধন্যবাদ ডিডিদা।
  • pi | 24.139.221.129 | ১৪ আগস্ট ২০১৫ ২৩:৫৪686101
  • জাপান কি হিরোশিমাকে সেভাবে ভুলেছে ? অন্যরকম কিছু দেখেছিলাম , শুনেছিলাম মনে হচ্ছে যে। ওয়ার এন্ড পিসে দেখিয়েছিল, যদ্দুর মনে পড়ে। জাদুগোডাতেও হিরোশিমা দিবসে জাপানের নানা ছবি দেখেছি।
    এবারে হিরোশিমা দিবসও খুব বড় করে উদযাপন হল না ?
    অবশ্যই এগুলোকে আম্রিগাকে নাকে খত দিতে হবে, মেরে ফেলতে, কেটে ফেলতে হবে জাতীয় টোন নেই, কিন্তু একটা জোরালো অ্যান্টি নিউক্লিয়ার এবং ইন জেনেরাল অ্যান্টি যুদ্ধ বক্তব্য আছে বলেই তো শুনেছিলাম। মানে, জাস্ট ভুলে যাওয়ার মত প্যাসিভ ব্যাপার ঠিক মনে হয়নি।
  • T | 24.139.128.21 | ১৫ আগস্ট ২০১৫ ০০:০১686104
  • বাহ্‌, ঐ যুদ্ধবিমান নিয়ে লেখাটা পড়ে বেশ লাগলো ডিডিদা। অনেক কিছু জানলাম। আমি কিছুদিন আগেই মেজর অ্যাডালফ গ্যালান্ড সম্পর্কিত একটা লেখা পড়ছিলাম, আপনার লেখায় ওঁর উল্লেখ দেখলাম। খুব ভালো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন