এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গ্রেড প্রথা বা প্রতি বছর পরীক্ষা তুলে দেওয়া আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো গোল্লায় পাঠাবে।

    Arjit
    অন্যান্য | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ | ৭০১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • vikram | 134.226.1.194 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ০২:৪৭694074
  • খুব চট করে দুটো জিনিস লিখি, রিমির উত্তরে, আমার যা মনে হয়।

    আমেরিকায় ইস্কুল ও কলেজের তফাত আছে। আরো বড়ো তফাত আণ্ডার ও পোস্টগ্রাজুয়েটে। নামকরা ইনস্টিটিউট গুলি চলে রিসার্চে। আমাদের দেশে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আন্ডারগ্র্যাড মাপকাঠি।

    ভারতীয়দের মধ্যে জনপ্রতি গবেষনা কমের কিছু কারান, আমার মনে হচ্ছে, ভুল হতে পারে। এক হলো, আমরা খুব বেশিদিন গবেষনা করছি না। কয়েক দশক হলো (অবিশ্য এ যুক্তি বাকি দেশের ক্ষেত্রেও খাটে কিন্তু কতটা?)। আমাদের দেশে যে যা করতে পারে সে কি তাই করে? যে ভালো অঙ্ক জানে সে পড়ে কম্পিউটার। যে অঙ্কটা কম জানে সে পড়ে ম্যাথ ('জেনারাল লাইন')। ইনজিনীয়ারিং এ ঝোঁক থাকতেও জয়েন্টে ম্যানেজ হলো না বলে পড়লো হয়তো কেমিস্ট্রি। আর আর্টস এর কথা তো ছেড়েই দিলাম, ফুটুর ডুম। এই ঘাঁটের মধ্যে আমার মনে হয় অনেকের পোটেনশিয়াল ঠিকভাবে এক্সপ্লয়েট করা হয়নি। রিসার্চের খাতে টাকা সত্যি ই বেশি চাই। অস্বীএকার করছি না যে খামতি আছে, কিন্তু শুধুই আমাদের দোষ নয়।

    পাথব্রেকিং কাজ কেন হয়না জানি না। তবে এক জায়গায় শুনেছিলাম যে আমাদের কলেজ কারিকুলাম এর জন্য সম্পূর্ন রূপে দায়ী। এইটুকু তো নিজের চোখে দেখেছি যে স্কুল পাশ করা কলেজ পাশ করার চেয়ে অনেক বেশি টাফ।

    ইনোভেটিভ কাজ কিন্তু হচ্ছে - যে কারনে বহু ফিল্ডেই আজকে অনেক ভারতীয় ভালো জায়গায় বহু পেপার লিখছে।

    আমাদের দেশের মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিক (আই এস সির সিলেবাস হাই সেকেনে আরো ভালো) এ দুটোর কিন্তু অনেক ভালো দিক আছে্‌হ। আজকে আমাদের ছেলেপুলে ঐ বই পড়ে বহুদেশের ছেলেপুলের থেকে বেশি 'জানকারি পেয়ে' বেরোয়।

    কিন্তু চিন্তা করা ও প্রশ্ন করার জন্য যেটা চাই সেটা হলো সময়। সময় নেই। সিলেবাস শেষ করার সময় নেই। কম্পিটিশান সত্যি ই প্রচঞ্‌ড লেভেলে হাই। বেরিয়ে চাকরি পেতে হবে। সরকার আমারে দেখবে না। এবং এই বাজারে অতো ডিপে ভাবাভাবি করতে গেলে নিজেরই ঝাড়। সুতরাং পরীক্ষার জন্য টেলার মেড বই হাবিজাবি, কোচিং মিলিয়ে গুরুপাক ব্যাপার হয়েছে। মোটামুটি ক্লাস এইট থেকে চিন্তার-ভাবনার বদলে শুধু চিন্তা পড়ে থাকে ভবিষ্যতের জন্য, আর পড়ে থাকে আতঙ্ক।

    তবে এইসব কথাই হলো হাতির একটা অংশ ছুঁয়ে এইযে হাতি এইযে হাতি বলার মতো।

    বিক্রম
  • Arjit | 82.39.106.251 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ০৩:০৩694075
  • দুটো কথা -

    (১) গোরা রায় বাদ দিয়ে ভিকি এই প্রথম তিন লাইনের বেশি লিখলো।
    (২) এবং ঠিক লিখলো:-)
  • Lyadosh Chandra Mitra | 128.48.203.140 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ০৩:৫৫694076
  • গ্রেড প্রথা হলে একটা অসুবিধে হবে, বলা যাবে না, আমি জীবনে কোনোদিন সেকেন্ড হই নি। তখন পশ্চিমি কায়দায় বলতে হবে - I was always a grade A student
    তবে প্রথমটা সহজ, এই যেমন আমি, কোনোদিন সেকেন্ড হই নি, একবার বাদে (ঐ সেমিস্টারে আমার ক্লাসে দু জন স্টুডেন্ট ছিল)।

    বিক্রম বলেছে তাদের কথা বলেছে যারা অংকে ভালো কিন্তু পড়েছে কম্প্যুটর। কিন্তু যাদের অনেক অনেক কিছুই পড়তে ভালো লাগে না, যেমন, মোগল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ বা কবিতায় ছত্রে ছত্রে কবি কি বোঝাতে চেয়েছেন, বা, মেন্ডেল-এর সুত্র, বা এক্সপোনেন্সিয়াল সিরিস, বা ফোটোসিন্থেসিস প্রসেস, বা ফাইভ ইয়ার প্ল্যান ... ... যাদের মস্তিষ্কে memory card এ জায়গা কম, তাদের জন্য কিন্তু আমেরিকা খারাপ জায়গা নয়।

  • dri | 199.106.103.254 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ০৫:৫০694077
  • সিলেবাস কেমন হবে, এ প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে একটু পিছিয়ে প্রথমে দেখতে হবে শিক্ষাব্যাবস্থার গোল কি? অনেকেই দেখলাম যুক্তির মধ্যে এইটে ধরে নিয়েছেন, যত বেশী করে উচ্চশিক্ষার জন্য তৈরি করে দেওয়া যায় তত ভাল কারিকুলাম। কিন্তু সত্যি কি সেটা গোল? পশ্চিমবঙ্গে কি সিলেবাস হবে সেটা নির্ভর করবে ঐ সিলেবাসে পড়াশোনা করে লোকে আমেরিকাতে ভালো আর এন ডি করতে পারছে কিনা, বেশী বেশী নোবেল প্রাইজ পাচ্ছে কিনা? কুড়ি লাখ ছেলেমেয়ের মধ্যে তিন হাজার ছেলে ভালোর বদলে খুব ভালো করতে পারছে কিনা? তিন হাজার ফিগারটা বেড়ে ছহাজার হচ্ছে কিনা? যে প্রোফেশানালি কাঠের কাজ করতে যাচ্ছে, বা কাপড়ের ব্যাবসা করতে যাচ্ছে, বা গাড়ী তৈরির কারখানায় কাজ করতে চাইছে তার জন্য সিলেবাসে কি আছে?

    যেটা ভারতে নেই কিন্তু আমেরিকায় আছে সেটা হল দশ ক্লাস পাস করেও মোটামুটি একটা কাজের সুযোগ, মিনিমাম ওয়েজ এনফোর্স করে তার প্রোটেকশান, এবং যে ইচ্ছুক তার জন্য পরে ফিরে আরো একটু পড়াশোনা করে অবস্থার উন্নতির অপশান। কাজের অপশান এবং মিমিমাম ওয়েজ হলে নম্বর (বা গ্রেডের) পেছনে ধাওয়া করার প্রবনতা কমবে। (আর একটা ব্যাপার সামাজিক। শুধু মিনিমাম ওয়েজ নয়, কম মাইনের/'নিচু' কাজের মানুষের সামাজিক স্বীকৃতি। কলেজের ছাত্র এখনও লোকের বাড়ী কাজ করে এমন মেয়েকে বিয়ে করার কথা ভাববে না। আমেরিকাতে ক্লাস সেন্সিটিভিটি ভারতের মত এত প্রকট নয়। মিনিমাম ওয়েজ হয়ত একটা কারণ।) যাইহোক আমার ফোরকাস্ট হল, যদি প্রচুর পরিমাণ কাজের সুযোগ তৈরি করা যায় যাতে করে মানুষের মনে এই ধারনা না হয় যে যেন তেন প্রকারেন উচ্চশিক্ষায় না ঢুকতে পারলে জীবন অন্ধকার, ফাস সেকেন হওয়া নিয়ে মারামারি কমবে। সেটা না করা হলে নাম্বার বদলে গ্রেড করে দিয়ে কোন লাভ হবে না।

    বাকি ভাঁট আলোচনা এগোলে।
  • Sh | 141.218.208.240 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ০৯:১৪694078
  • drivikram কে একশো ভাগ সমর্থন করি।

    কিন্তু কি করলে কাজ তৈরী হবে? কাজ তৈরী হতে আমরাই কি সাহায্য করবো? আমরা কজন দেশে ফিরে গিয়ে কাজের লোককে ঘন্টায় একশোটাকা দেব? (ঘন্টায় একশোটাকা তো এখানের হিসেবে কিছুই নয়।)

  • J | 160.62.4.10 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৪:৩৪694079
  • শুচিস্মিতা,
    সময় পেলে আজই এখানের ইস্কুলগুলোর ব্যাপারে বলব।
  • J | 160.62.4.10 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:২৯694080
  • ইস্কুলে ভর্তির বয়েস ৬ এর কাছাকাছি। মানে অগস্টে যদি কারো বয়েস প্রায় ৬ থাকে বা ৬ পেরিয়ে কিছুমাস, সে ইস্কুলে ভর্তি হতে পারবে। পাড়ার নিকটতম ইস্কুলে। বিনামূল্যে। বিনা প্রবেশিকা পরীক্ষায়।
    এই ৬ বছরে এদের প্রত্যেকে নিরক্ষর। কেউ পেন্সিল দিয়ে একটা অক্ষরও লিখতে জানে না, ইস্কুলেই হয় বর্ণপরিচয়, প্রথম লিখতে শেখা। মাতৃভাষায়। যেখানে যেমন।
    কোথাও জার্মান, কোথাও ফরাসী, কোথাও ইটালীয়ান, কোথাও রেটো-রোমানিশ।
    টীচারের দায়িত্ব ছত্র-ছত্রীকে তৈরী করে দেয়া। নো হোমওয়ার্ক। নো হলিডে হোম ওয়ার্ক।
    এটা চলে ক্লাস ফোর অবধি।
    ফাইভ থেকে দ্বিতীয় ভাষা প্রবেশ করে, ফরাসী বা জার্মান। এখনও কিন্তু মূলত: নো হোমওয়ার্ক। এবং অ্যাবসোলিউটলি নো হলিডে হোম ওয়ার্ক।
    বছরে ১৩ সপ্তাহ ছুটি। বাধ্যতামূলক। হপ্তায় সাড়ে চারদিন ইস্কুল। বুধবার হাফডে।
    সিক্সে ওঠার পরে বোঝা যায়, কে কতটা নিতে পারছে। কে নিতে পারবে, কে পারবে না। এটা শুধু ক্লাস টিচার নয়, অন্যান্য বিষয়ের টিচার রা মিলে আলোচনায় বসে ঠিক করেন।
    এর পর ডাকা হয় গার্জেনদের।
    প্রত্যেকের গার্জেনের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে মিটিং হয়, এবং সেখানেই তাদের প্রোগ্রেস দেখে মত বিনিময়ের পরে ঠিক হয়, কে কোন লেভেলের ক্লাসে যাবে। যদি গার্জেনের এই সিদ্ধান্ত পছন্দ না হয়, তবে তারা প্রাইভেট ইস্কুলে পড়াতে পারে, সেখানে অনেক টাকা দিয়ে পড়াতে হয়।
    প্রসঙ্গত: বলে রাখছি, শিক্ষকের সিদ্ধান্ত ই চুড়ান্ত, মন্ত্রীর ছেলে হলেও কোনো স্পেশাল কনসিডারেশন নেই। বরঞ্চ মন্ত্রী যদি এসব নিয়ে নিজের রোঁয়াব দেখাতে যায়, কাগজে সব ছেপে বেরোতে পারে।
    এবার আসছি লেভেলে।
    ক্লাস সিক্স অবধি প্রাথমিক শিক্ষা।
    সেভেন থেকে নতুন ইস্কুল।
    ইস্কুল দুরকমের। সরকারী ইস্কুলই কিন্তু।
    ১। খুব মেধাবীরা যেখানে সরাসরি যেতে পারল। এগুলোকে বলে গিম্নাজিউম।(7 থেকে12 ক্লাস)
    ২।সেকেন্ডারী ইস্কুল।।(7 থেকে9 ক্লাস)
    এই সেকেন্ডারী তে তিনটে লেভেল (A, B, C)।
    A থেকে পাশ করে ক্লাস 9 এর পরে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে গিম্নাজিউমের 10ক্লাসে ঢোকা যায়। বা A থেকে অন্যান্য বছরেও পরীক্ষা দিয়ে গিম্নাজিউমের 7-8.. ইত্যাদিতে ঢোকা যায়।
    আবার B থেকে ভালো ফল করলে A তে ঢোকা যায়। সেই ছাত্রই হয়ত আরো বছর খানেক বা দুয়েক পরে গিম্নাজিউমেও ঢুকে গেল। তাকে শুধু গ্রেড ভালো করতে হবে।
    কারণ যারা গিম্নাজিউম থেকে বেরোচ্ছে তারা ক্রীম।
    যারা A থেকে পাশ করল, তারাও মন্দ নয়, কিন্তু ৯ ক্লাসের পরে তাদের তো ইউনিভার্সিটিতে নেবে না, তাই তাদের জন্যেও আছে নানান ইনসটিটিউট।
    সেখান থেকে পাশ করেও তারা পরে ভালো চাকরী পেতে পারে। সবচেয়ে বেশী ম্যানেজার (:-)) রাতো ওখান থেকেই আসে।
    B থেকে পাশ করলে মোটামুটি কারিগরী শিক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু আরো বেশি কিছু পড়তে সরাসরি অ্যাডমিশন মিলবে না। তখন বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স , টাইপিং সেক্রেটারী হওয়া এইসব নিয়ে নেয় এরা।
    C থেকে পাশ করলে সে বিউটিপার্লারের কাজ, রঙ্গের মিস্তিরির কাজ, ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ, রাজমিস্তিরির কাজ, জঞ্জাল পরিষ্কার রাখার কাজ, পেশাদার ড্রাইভারী, সব শিখতে পারে, সেটা ক্লাস এইট আর নাইনে শেখানো হয়। উইথ প্র্যাক্টিকাল। প্লাস আরো বছর খানেক কোনো কর্মক্ষেত্রে ভালো করে শিখে নিয়ে সেখানেই অ্যাবজরভড হয়ে যেতে পারে।
    এই পথগুলো কিন্তু A, B এবং গিম্নাজিউমের সকলের জন্যেও খোলা। যদিও a থেকে c তে যাবার ঝোঁক বেশী দেখা যায় না।
    খুবই অগা ছ্‌হাত্রেরা ইস্কুল পাশ করতে পারে না। কিন্তু ১৫ বছর বয়েসের পরে তাকে পড়াবার দায়িত্ব রাষ্টের নেই।
    তারা ইস্কুল শেষ করে উইদাউট সাট্টিফিকেট।
    সময় মতো মনোযোগী না হওয়ায়, এদের ফল ভুগতে হয়। যেহেতু পাইখানা পরিষ্কারের কাজও এদেশে স্কীল্ড লেবার, এবং সাট্টীফিকেটের অভাবে এরা স্কীল্ড হতে পারলো না, এরা মনোরোগের শিকার হতে পারে। দেশের প্রতি রাগ, বিদেশের প্রতি রাগ, বিদেষী দের ওপর খুব রাগ।
    এরাই মাথা ন্যাড়া ট্যাড়া করে অধিকাংশ র‌্যাডিকাল রাইট উইঙ্গে ঢোকে, ছুরি চাকু চালায়, মারপিট করে। যাগ্গে সেটা অন্য প্রসঙ্গ।

    এখন ঐ গিম্নাজিউমে ঢুকবার সময়ে স্ট্রীম ভেঙ্গে দেয়া হয়, কেউ যাবে ল্যাট্‌ন পড়তে, কেউ ইটালীয়ান, কেউ ম্যাথেমাটিক্স-ফিজিক্স। কেউ বায়োলজি-কেমিস্ট্রি, কেউ ইকোনমিক্স, কেউ সঙ্গীত, কেউ চারুকলা।
    এদের কিন্তু সকলকেই অঙ্ক, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভুগোল, তিনটে ভাষ বা আরো বেশী পড়তে হচ্ছেই। তবে যে ল্যাটিন পড়ছে, তার অঙ্কের সিলেবাস তেমন ভারী নয়।
    A লেভেলে যারা পড়ে, তাদেরও স্ট্রীম ভাগ আছে। bc তে তো ভীষনভাবে আছে। কিন্তু গাঁতিয়ে অঙ্ক না করলে তার লাইফ শেষ এমন কিন্তু নয়।
    আবার যে প্রথমে ল্যাটিনে ঢুকেছিলো, সে পরের বছর হয়ত কেমিস্ট্রিতে ঢুকে গ্যালো।
    কৃতিত্ব প্রমান করা দিয়ে কথা।
    আসলে আমার একান্ত ব্যক্তিগত ধারণা হচ্ছে এই যে, এদেশের শিক্ষামন্ত্রক শিক্ষাব্যবস্থার এই ধাপ্‌গুলো বানাতে গিয়ে, প্রচুর ভেবেছেন ও খেটেছেন।
    আমাদের দেশে ঢালা ব্যবস্থা অন্তত: ১০ক্লাস অবধি তো বটেই। মাধ্যমিক পাশ করার আগে কেউ খতিয়ে দেখতে চায় না, ছেলেটার কোন দিকে ঝোঁক। ভালো ছবি আঁকে, কিন্তু সুদকষর অঙ্কে দেদার ভুল করে, ওকে নিয়ে কী ভাবা যেতে পারে, কারো সময় নেই।
    আমরা একটা জটিল সিলেবাস সবার ওপরে চাপিয়ে দিয়েছি, সেটা উৎরোতে না পারলে কেউ খবর নিতে আসবেনা কার কোথায় প্রতিভা ছিলো।
    আসলে এই সিস্টেমমটা গোদা অ্যাভারেজ মিডিওকারদের জন্যে ঠিক আছে। ঠিকই আছে। আমরা গরীব, আমাদের ওসব মানায় না।

  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৫৫694081
  • ইংল্যাণ্ডে -
    ---------

    অনেকটাই এক রকম (শুরুর দিকটা), তবে বয়স চার বছর। মানে ২০০৬-এর সেপ্টেম্বরে যাদের বয়স চার বা তার বেশি হবে তারা রিসেপশন ক্লাসে (আমাদের নার্সারীর মতন) ভর্তি হতে পারবে। ছেলেমেয়ে যদি আগে থেকে কোন নার্সারী বা ডে-কেয়ার সেন্টারে যায় (এগুলো সবই রেজিস্টারড), তাহলে তাদের মাধ্যমে ফর্ম বাড়িতে এসে যায়, নয়তো সিটি কাউন্সিলের অফিসে ফোন করলে পাঠিয়ে দেয়, বা নিজে তুলে আনা যায়, বা অনলাইন ভর্তি করা যায় - ফর্ম আসে মোটামুটি আগের বছর সেপ্টেম্বর/অক্টোবরে (অর্থাৎ ২০০৫-এ), ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হয়, তিনটে স্কুলের নাম দিয়ে (ফার্স্ট/সেকেণ্ড/থার্ড চয়েজ)। স্কুল বেছে নিই অফস্টেডের রিপোর্ট (পাবলিকলি অ্যাভেইলেবল অফস্টেডের সাইট থেকে বা স্কুল থেকে) দেখে আর বাড়ি থেকে দূরত্ব দেখে। ১০০% গ্যারান্টী না থাকলেও চেষ্টা হয় প্রথম পছন্দের স্কুলে ভর্তি করে দেওয়ার। কোন পরীক্ষা নেই, ইন্টারভিউ নেই। এবং অবশ্যই নিখরচায় (এক যদি না কেউ গ্রামার স্কুলে যেতে চায় - সেগুলো আলাদা - ওখানে রাণীর নাতিপুতিরা পড়ে, বা মন্ত্রীর ছেলেমেয়েরা - পোচুর খরচ)।

    তিন বছর বয়সে নার্সারী স্কুলে যাওয়া অপশনাল। যারা যায় (এইসব স্কুলের নার্সারী ক্লাসে বা বেসরকারি নার্সারীতে - বেসরকারি হলেও এদের অফস্টেড ইনস্পেকশন হয়) তারা কিছু কিছু জিনিস শিখতে শুরু করে, কিন্তু কোনটাই বাধ্যতামূলক নয়। বর্ণপরিচয় হয়ে যায়, কেউ কেউ নিজের নাম লিখতে শেখে, কেউ শেখে না। ঘটনাচক্রে ঋক রীতিমতন পড়তে শিখে গেছিলো, কিছুটা লিখতেও (আমাদের স্টাইলটা যাবে কোথায়)।

    রিসেপশন ক্লাসে প্রথমে শুণ্য থেকে শুরু হয়, কিন্তু একইসাথে দেখে কে কোথায় দাঁড়িয়ে। বিভিন্ন ক্লাসে বিভিন্ন বয়সের জন্যে কিছু key-criteria আছে, ওরা দেখে সেগুলো fulfill হচ্ছে কিনা। হোমওয়ার্ক নেই, পরীক্ষা নেই, কিন্তু স্কুলের ডায়েরীতে লিখে দেয় কে কেমন এগোচ্ছে। পেরেন্টস ডে-র দিন ক্লাস টীচার বাপ-মায়ের সাথে আলাদা আলাদা করে কথাও বলেন। যেমন ঋক রিসেপশন ক্লাসে হলেও ইয়ার ওয়ান, ইয়ার টু-এর সব শব্দ শেষ করে ফেলেছে, আর কিছু না পেয়ে ওকে ইয়ার থ্রীয়ের শব্দ ধরানো হচ্ছে - শব্দ শেখা মানে বই পড়ে পড়ে - নিজে নিজে পড়তে ভীষণ এনকারেজ করে।

    ইয়ার ওয়ান থেকে অপশনাল অন্য ভাশার ক্লাস - যেমন প্লে-ফ্রেঞ্চ, ঠিক ক্লাস নয়, ক্লাব টাইপের (তবে স্কুল টু স্কুল বদলায়)। ফর্মালি দ্বিতীয় ভাষা অনেক পরে।

    একটা বিশেষ ইনকামের কমে ফ্রী-স্কুল-ডিনার পাওয়া যায়। না হলে খুব কমেই পাওয়া যায় - দিন-পিছু £.৫৫। মাঝে খুব তর্ক হল এই খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে, জেমি অলিভার (বিখ্যাত রাঁধুনি) নিজের গরজে স্কুলে স্কুলে গিয়ে কি ধরণের খাবার দেওয়া হচ্ছে দেখে একটা টিভি প্রোগ্রাম করলেন - বল্লেন অত্যন্ত অস্বাস্থকর খাওয়া (চিপস, সসেজ ইত্যাদি) - নিজে বিভিন্ন স্কুলে প্রায় একই বাজেটে রান্না করে দেখিয়ে দিলেন কিভাবে স্বাস্থকর খাবার দেওয়া যেতে পারে। একটা টিভি প্রোগ্রাম থেকে সরকারি পলিসি বদল হতে এই প্রথম দেখলাম - বাজেট বাড়লো (সরকারী সাহায্যের) আর অস্বাস্থকর খাবার বন্ধ হয়ে গেলো।

    একটু পরে আবার লিখছি। আমার সবচেয়ে পছন্দ হল এই ট্রান্সপারেন্সি - অফস্টেড প্রতি দু বছরে সব স্কুল ইনস্পেক্ট করে (পড়াশোনা থেকে খেলাধূলা, খাওয়া - সব), এবং তার রিপোর্ট পাবলিকলি পাওয়া যায়।
  • J | 160.62.4.10 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৮:৪৫694082
  • এদেশে প্রাইমারী ইস্কুলে কোনো খাবার দাবাদের ব্যবস্থা নেই। টিফিনের ছুটিতে সব বাড়ী যায়। বাড়ী থেকে টিফিন নিয়ে আসে না কেউ।
    আর গিম্নাজিউমে একটা ক্যন্টিন আছে কারণ বহু দূর থেকে ছাত্ররা আসে সেখানে। অনেক বাস ট্রেন ঠেঙ্গিয়ে। টিফিনে বাড়ী যাওয়া পোষায় না।
    আর সেকেন্ডারী ইস্কুলেও বহু ক্ষেত্রেই ক্যান্টিন থাকে না, থাকলেও বেশী বড়ো নয়।
    আর ফ্রিতে খাবার পরিবেশনের স্বপ্ন এদেশে দেখা যায় না। গরীব বড়োলোক মেজলোক সেঝলোক সবার বাচ্চার নিজের নিজের খাবার নিজ দায়িত্বে।
    প্রাইমারী ইস্কুলে বইখাতার পয়সা লাগে না।
    সেকেন্ডারীতে বোধয় কিছু দেয়।
    আর গিম্নাজিউমে টিউশান ফি ব্যতীত সব নিজ খরচে।
    একেকটা বইয়ের কী দাম!
    অঙ্ক বই ৪০টাকা, ফিজিক্স ৬০টাকা! ফ্রেঞ্চ বই দোকানে ১৭-৫০, টীচার বলল সে জার্মানী থেকে তার নিজের চেনা জায়গা থেকে এনে দেবে, তো বইয়ের দাম বেড়ে ২৪ হয়ে গেল! সেই চোর টীচারকে ছাত্ররা বয়কট করেছে।
    ২৪ জন ছাত্র X বই প্রতি সাড়ে ছটা করে চুরি = ১৫৬ সুইস ফ্রাঁ পকেটে!!!
  • Somnath | 210.211.191.189 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:২৯694084
  • দারুন হচ্ছে। সবাই লেখো। অন্য অন্য দেশের কথাও যে যেটুকু জানো। ভারতের অন্য প্রদেশের কথাও হোক।

    প্রগতি দি কেরালার কথা লেখো না। তাদের শিক্ষার মান তো ভারতের মধ্যে সেরা।

    শমীক ওড়িশার কথা জানে?

    চীন জাপানের লোক খুব দরকার। নইলে নেট ঘাটো জনতা। অনলাইন সিলেবাস দেখো। ভালো জিনিসগুলো এক জায়গায় হোক।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৫৪694085
  • কয়েকটা সাইট দিচ্ছি, পরে ডিটেলস লিখবো। এই সাইটগুলো থেকেই সব ইনফরমেশন পাই এখানে।

    অফস্টেড - http://www.ofsted.gov.uk
    পেরেন্টসেন্টর - http://tinyurl.com/gm4yj
    কোয়ালিফিকেশন অ্যাণ্ড কারিকুলম অথরিটি - http://www.qca.org.uk
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৫৩694086
  • key-stage গুলোর সম্পর্কে ছোট করে -

    ফাউন্ডেশন স্টেজ
    -----------------
    ৩-৪ বছর - নার্সারী
    ৪-৫ বছর - রিসেপশন ক্লাস, যখন পড়তে/লিখতে শেখে

    কী-স্টেজ ১
    ----------
    ৫-৬ বছর - ইয়ার ১
    ৬-৭ বছর - ইয়ার ২, ন্যাশনাল টেস্ট অ্যাণ্ড টাস্ক ইন ইংলিশ অ্যাণ্ড ম্যাথেম্যাটিকস

    কী-স্টেজ ২
    ----------
    ৭-৮ বছর - ইয়ার ৩
    ৮-৯ বছর - ইয়ার ৪
    ৯-১০ বছর - ইয়ার ৫
    ১০-১১ বছর - ইয়ার ৬, ন্যাশনাল টেস্ট অ্যাণ্ড টাস্ক ইন ইংলিশ, ম্যাথেম্যাটিকস অ্যাণ্ড সায়েন্স

    কী-স্টেজ ৩
    -----------
    ১১-১২ বছর - ইয়ার ৭
    ১২-১৩ বছর - ইয়ার ৮
    ১৩-১৪ বছর, ইয়ার ৯, ন্যাশনাল টেস্ট অ্যাণ্ড টাস্ক ইন ইংলিশ, ম্যাথেম্যাটিকস অ্যাণ্ড সায়েন্স

    কী-স্টেজ ৪
    -----------
    ১৪-১৫ বছর - ইয়ার ১০, অনেকেই GCSE দেয়
    ১৫-১৬ বছর - ইয়ার ১১, অধিকাংশ ছেলেমেয়ে GCSE বা অন্যান্য ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন পরীক্ষা দেয়

    পোস্ট কম্পালসরি এডুকেশন অ্যাণ্ড/অর ট্রেনিং
    --------------------------------------------
    ১৬-১৭ বছর - ইয়ার ১২ (কলেজ ইয়ার ১) এবং ১৭-১৮ বছর - ইয়ার ১৩ (কলেজ ইয়ার ২) - লার্নিং প্রোগ্রামস লীডিং টু জেনারেল, ভোকেশন্যালি-রিলেটেড অ্যাণ্ড অকুপেশনাল কোয়ালিফিকেশনস - যথা - এ-লেভেল, ভোকেশনাল এ-লেভেল, NVQ, মডার্ন অ্যাপ্রেনটিসশীপ
  • Sh | 141.218.67.246 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০৩694087
  • বা: সবাই খুব ভালো লিখছে। অনেক ধন্যবাদ সবাইকে।

    J খুব ভালো লিখেছে সুইজারল্যান্ডের কথা। যার যেদিকে ঝোঁক তাকে সেদিকে যেতে দেওয়া, পরে ইচ্ছে করলে সেটা change ও করা যাবে। সত্যিই খুব ভালো সিস্টেম। সরকার অনেক চিন্তা করেই এটা করেছে বোঝা যায়। সিলেবাস দেখতে পেলে আরো ভালো লাগতো। arijit যেমন দিয়েছেন সেরকম কোনো site জানা আছে যো-দি? দেখোতো একবার।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে এরকম জিনিস আমাদের দেশে কেন হয়না এবং কি কি সম্ভাব্য অসুবিধা আছে আমাদের দেশে এটা execute করতে। একটা বড়ো অসুবিধা হচ্ছে আমাদের দেশের রাজনীতি। এরকম আলাদা আলাদা স্কুল হলে রাজনীতিক নেতাদের ল্যাজ না ধরে গিম্নাজিউমে ঢোকাই যাবে না। তার ওপর আছে সংরক্ষনের রাজনীতি। অথচ সৎ সংরক্ষনের খুব ভালো ব্যবহার করা যেত এই ব্যবস্থায়। আমার খুব পছন্দ হয়েছে সুইজারল্যাণ্ডের স্কুল মডেল। নোবেল লরিয়েট থেকে দক্ষ শ্রমিক - সবই তৈরী হচ্ছে এই স্কুল মডেলে। কাল dri যেমন বলছিলেন, অনেকটা সেই রকম ব্যবস্থা। আচ্ছা, যো-দি, এই যে যারা C স্কুলে পড়ে তাদের মধ্যে কোনরকম হীন্যমন্যতা তৈরী হয় না? মানে আমাদের দেশ হলে তো এটা হতো। C স্কুলের ছেলেমেয়ের বাবা-মায়ের মধ্যে ভীষন হীন্যমন্যতা তৈরী হত। আসলে আমরা শ্রমিকশ্রেনীকে কিছুতেই প্রাপ্য সম্মান দিই না।

    arijitএর দেওয়া তথ্যও খুব ইন্টারেস্টিং। তবে একটা জিনিস জানতে চাই। J যেমন লিখেছেন তেমন কোন বিভাজন কি আছে ইংল্যাণ্ডের স্কুল সিস্টেমে? মানে সবাইকে কি সব পড়তে হচ্ছে আমাদের দেশের মতো? নাকি কোন একটা ক্লাসের পর কিছু সাবজেক্ট অপশনাল হয়ে যাচ্ছে? মেধাবী আর সাধারনদের আলাদা করা হচ্ছে কি? অঙ্কের সিলেবাস দেখলাম। আমাদের দেশের সাথে মোটামুটি comparable. আমাদের মাধ্যমিকের অঙ্কের মান খুব খারাপ বোধহয় নয় :) তবে এই ক্লাসগুলোতেও (7th - 10th grade) কি বছরের শেষে পরীক্ষা হয়না?

    হোমওয়ার্ক না দেওয়ার ব্যাপারটাও বেশ পছন্দ হয়েছে। আমেরিকায় এলিমেন্টারী স্কুলের কথা আমি জানি না। তবে হাইস্কুলে ভীষন বেশি হোমওয়ার্ক দেওয়া হয়। আমাদের দেশের হোমওয়ার্কের লোড তো তার কাছে নস্যি।

    আরেকটা important বিষয় হল প্রাইমারী স্কুলের টীচাররা কত মাইনে পান এইসব দেশে? আমাদের দেশে প্রাইমারী স্কুলের টীচারদের যা মাইনে দেওয়া হয় তাতে এই সার্ভিস আশা করার কোন মানেই হয়না।

  • J | 160.62.4.10 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২১:১০694088
  • শুচিস্মিতার বাকী প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হলে সময় লাগবে। তবে দুটো জিনিস এখনই বলতে পারি।
    ১। প্রতিটি জেলায় শুধু নয়, প্রতিটি ইস্কুলে পড়ার বই আলাদা। এমনকি একেক সেকশানে একেক বই। শিক্ষকেরা নিজেদের পছন্দ মতো বই সিলেক্ট করেন, মাঝে মাঝে ছাত্ররা বলে দেয় কোন বইটা পড়তে চায়। এসব চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত।
    ২।প্রাথমিক ইস্কুলের শিক্ষিকার মাইনে একজন চোখের ডাক্তারের চেয়ে বেশি। কীকরে জানলাম? আমার মেয়ের প্রাথমিক ইস্কুলের শিক্ষিকা একদিন ভীড়ের মধ্যে ওকে দেখতে পেয়ে চেঁচিয়ে ডেকে কাছে এলেন। গল্প হলো। ওঁর দুই সন্তান। ছেলে চোখের ডাক্তার, মেয়ে প্রাথমিক ইস্কুলের শিক্ষিকা। আমার মেয়ে বলল ও-ও ডাক্তার হবার কথা ভাবছে কারণ বায়োলজি প্রিয়। উনি বললেন, ওঁর ছেলে কিন্তু ওঁর মেয়ের চেয়ে কম মাইনে পাচ্ছে।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২১:১২694089
  • "তুমি" করে লিখছি - বা.লা.-তে মনে হয় তাই বলতুম। "আপনি" বলতে আমার বেজায় বোর লাগে, একমাত্তর অক্ষ ছাড়া এখানে আর কেউ আপনি বলে না।

    http://www.qca.org.uk/2812_2587.html - এই পাতাটাতে সব ভাগগুলো দেওয়া আছে। ন্যাশনাল টেস্টগুলো (প্রতি কী-স্টেজের শেষে) শুধু মাত্র অঙ্ক, ইংলিশ আর বিজ্ঞান হলেও, GCSE-তে কিন্তু বেশি পরীক্ষা দিতে হয়, এবং সাবজেক্টগুলো নিজেদের পছন্দ করতে হয়। যেমন -

    For example, there are four ways to take GCSE science qualifications:

    Three separate GCSEs: one in biology, one in chemistry and one in physics
    A double award in science, which covers all three subjects and is worth two GCSEs
    A single award in science, which covers all three subjects and is worth one GCSE
    A double award in applied science, which is worth two GCSEs.


    http://www.qca.org.uk/12812.html - এখানে ডিটেলস আছে। আমি পুরোটা ক্লিয়ার নই, কারণ ওই অবধি এখনো যেতে হয়নি, হবেও না কখনো। কী-স্টেজ ওয়ান অবধি জানি।
  • J | 160.62.4.10 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২১:১২694090
  • আরেকটা কথা প্রাথমিক শিক্ষকদের তবু ছাত্ররা মানে। মাধ্যমিক স্তরে টিচারদের কেউ মানে না। জার্মানীর অবস্থা নাকি আরো খারাপ। ওখানে নাকি ক্লাসে বসে উল টুল ও বোনে।
  • J | 160.62.4.10 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২১:১৬694091
  • "টুসি" বলে একটা কথা কাল কোনো একটা থ্রেডে লিখেছিলাম। সেটার সঙ্গে ঐ B, C দের কিছুটা যোগ আছে।
    এদেশে কোনো স্কুল ইউনিফর্ম নেই।
    এনিয়ে কাল বলব।
  • Sh | 141.218.67.246 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২১:২০694092
  • বা:, সত্যি খুব ভালো লাগলো এটা শুনে। আমাদের দেশে সেই বুনো রামনাথের আমল থেকে গরিবীর সাথে শিক্ষকতাকে জুড়ে দিয়ে পেশাটাকে খুব মহান প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়। এখন সেই মহত্বর খোলস গেছে খসে। পড়ে আছে শুধু গরিবী। আরে বাবা, পয়সা না পেলে লোকে এই প্রফেশনে আসবে কেন? তাই এখন যারা শিক্ষকতায় ঢুকছে তারা আর কোনো জায়গায় সুযোগ না পেয়ে অগতির গতি স্কুলে পড়াতে আসছে। এদের না আছে যোগ্যতা, না আছে মোটিভেশন। শিক্ষাখাতে যে দেশ মুক্তহস্তে খরচ করবে না তার উন্নতি হবে কি করে! আমাদের গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত শিক্ষা ফ্রী। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। পড়ানোর লোক চাই তো। মাইনে না দিলে তারা আসবে কেন?
  • Sh | 141.218.67.246 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২১:৪৩694093
  • আমিও বোধহয় "তুমি"ই লিখতাম :) যাক - thanks a lot. তার মানে আমাদের দেশে যে ভাগটা ইলেভেনে উঠে হচ্ছে সেটা এখানে একবছর আগে হয়ে যাচ্ছে। মন্দ নয়। কিন্তু ন্যাশনাল টেস্টগুলো নিয়ে আপত্তি আছে। ওগুলো হচ্ছে শুধু অঙ্ক আর ইংরিজিতে। বাকি সাবজেক্টগুলোর কোন বড়ো পরীক্ষা হচ্ছে না। স্কুল লেভেলে হচ্ছে কি? নাকি তাও হচ্ছে না?

    আমার কিন্তু মনে হয় একটা উন্নত দেশের নাগরিকের বাধ্যতামুলক ভাবে কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা ভুগোল, কিছুটা বিজ্ঞান জানা উচিত। যে কাজটা আমাদের দেশে মাধ্যমিক করছে। ইংল্যাণ্ডেও ইতিহাস-ভুগোল পড়ানো হচ্ছে, কিন্তু তার কোন বড় পরীক্ষা হচ্ছে না। (স্কুল লেভেলে হচ্ছে কিনা জানি না।) আমাদের দেশের যা স্ট্রাকচার, তাতে পরীক্ষা ছাড়া পড়ালে লোকে কতটা সিরিয়াসলি নেবে সন্দেহ আছে। যারা জেনারেল স্ট্রীমে অনার্স পড়েছে তাদের কি মনে আছে আমাদের সময় একটা compulsary additional language পড়তে হত। কেউ কোনদিন ক্লাস করত না ওটার। যেহেতু ৩০ পেলেই যথেষ্ট, তাই কোনমতে পরীক্ষায় গিয়ে বসা।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২২:১৯694095
  • GCSE-তে কিন্তু হচ্ছে। প্রতি কী-স্টেজের পাঠক্রমে ইতিহাস, ভূগোল অনেক কিছুই আছে, নিশ্চয় কোর্সওয়ার্ক করতে হয়, এবং GCSE-তে তো শুধু অঙ্ক, ইংলিশ আর সায়েন্স নয়, আরো অনেক সাবজেক্ট ক্লিয়ার করতে হয়। তখন নিশ্চয় এই পরীক্ষাও দিতে হয়। GCSE সিস্টেমটা পোচুর কমপ্লেক্স লাগলো দেখে, মানে আজকেই প্রথম এত ভিতরে ঢুকে দেখলাম কিনা। এখনো পুরোটা বুঝিনি, কাল কাউকে জিগ্গেস করে নেবো...কম্পালসরি সাবজেক্ট আছে কিছু - There are some subjects that you have to study ? like English, maths, science, RE and PE. In England you must also study ICT and citizenship. In Wales you must also study Welsh.

    RE - রিলিজিয়াস এডুকেশন
    PE - ফিজিক্যাল এডুকেশন
    ICT - ইনফরমেশন অ্যাণ্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি

    বেসিক ভূগোল/ইতিহাসটা মনে হচ্ছে কম্পালসরি নয় - GCSE-র ক্ষেত্রে। ক্লাসের কোর্সওয়ার্ক বা ফিল্ডওয়ার্ক দিয়েই সারা হচ্ছে - মনে হয়। কনফার্ম করে দেবো।

    মাইনেপত্র - Annual Income: Figures are intended as a guideline only.

    The unqualified teachers' pay scale ranges from £14,391 to £22,761(£18,099 to £26,466 in Inner London). If you are accepted for training on the Graduate Teacher Programme (GTP) or the Registered Teacher Programme (RTP) the school will have discretion to pay you as a qualified teacher.

    The main salary scale ranges from £19,641 to £28,707 (£23,577 to £32,820 in inner London).

    Teachers who reach the top of the main scale may apply to be assessed to progress to the upper pay scale. This ranges from £31,098 to £33,444 (£36,885 to £40,002 in inner London).

    Teachers of special needs students may receive extra allowances.


    খুব বেশি নয় - ডাক্তাররা এর দ্বিগুণ রোজগার করে। ইউকে-তে গোটা অ্যাকাডেমিক সেক্টরেই মাইনে কম বলে অনেক অসন্তোষ (আমাদের মতন অত কম না হলেও বেশ কম) - তাই এখানে টীচার শর্টেজও আছে।
  • saa | 86.9.24.2 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:০৯694096
  • অরিজিত তোমার পোস্ট টা দেখে খুব ভালো লাগলো। এখানে এই শিক্ষকতা নিয়ে কখনো কারুর সাথে কথা হয়নি, যতো ভারতীয় দেখি তারা হয় সফট ওয়ারে আর নয় ডাক্তার।
    আমি এখানে জিটিপি করে (Qualified teacher status) নিয়েছি, বুনো রামনাথের পেশায় যাবার জন্যে নয়, ফার্মাসিস্ট হিসেবে রেজিস্টারের ঝক্কি ডাক্তারদের থেকেও বেশি খরচ সাপেক্ষ আর মাইনে ও এতো কিছু বেশি নয়। ডাক্তারদের এখানে একটা অসম্ভব ইনফ্লেটেড মাইনে দেওয়াঅ হয় তাই ইউরোপ থেকেও হুহু করে জলের মত ডাক্তার ছুটে আসে।
    আমার ছাত্র ছাত্রী দের বয়স হচ্ছে ১১-১৮। মানে এরা দুর্ধর্ষ টীনেজার যাকে বলে। behaviour problem পরে বলছি এদের , তবে এরা সায়েন্স পড়তে এক্কেবারেই ইন্টারেস্টেড নয় এটুকু ক্লিয়ার। এরা আজকাল খুব কম alevel সায়েন্স এ যায়।
    তাই এই বিষয় পড়াতে গিয়ে কতো কি দেখেছি শিখেছি কি বলবো।
    এখানে এই বয়সের ছেলেপুলেরা এতো খারাপ bihaviour করে তার একটা মূল কারন হল ভাঙা সংসার।
    ডেন্ড্রাইট চাই , জুড়তে হবে আগে তার পরে এই ইয়ং জেনেরাশানের পড়া লেখা হবে।
    লন্ডনের একটি গার্লস স্কুলে ৩ বছর পড়িয়েছি, তারপর ডার্লিংটন এ এসে দেখি এদের এই সমস্যা অনেক কম তাই behaviour problem ও অনেক কম। শহরে আর গ্রামের যা তফাৎ হয়।

  • Ishan | 130.36.62.139 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:৫০694097
  • ব্যাপক হচ্ছে। আরো হোক।
  • Sh | 141.218.67.246 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:৫৫694098
  • saa, আপনাকে এই আলোচনায় পেয়ে খুব ভালো হল। আপনি লিখুন আপনার অভিজ্ঞতার কথা। পারলে একটু তুলনামূলক আলোচনা করুন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে।

    behavior problemটা একটা কমন প্রবলেম। আমাদের কাছে এটা একটা কালচারাল শক। আমাদের দেশের মত টীচারের কাছে জো-হুজুর হয়ে থাকাটাও ভালো নয় (আমার যদিও এই অভিজ্ঞতা হয়নি কখনো, তবে অনেকের হয় জানি। আমাদের দেশের অনেক টীচারই প্রশ্ন করা সহ্য করতে পারেন না।)। কিন্তু এদেশের ছেলেমেয়েগুলো এত উদ্ধত - খুব অন্যরকম লাগে। আবার মনে হয় এদের সাথে এদের মত করে মিশলে হয়তো এমন মনে হবে না।
  • saa | 86.9.24.2 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:৫৮694099
  • প্রথম সাত বছর প্রাইমারি, সিক্স এ কি স্টেজ ২ পার করে এরা আসে সেকেন্ডারী তে। পাশ ফেল তো নেই , A, B, C, D গ্রেড ও নয় এদের দেওয়া হয় লেভেল। প্রাইমারী তে এরা ন্যাশনাল কারিকুলাম লেভেল ৫ অবধি যেতে পারে। key stage3 পরীক্ষা SATS হয় ইয়ার ৯ এ। ইয়ার সেভেন থেকে ইয়ার ৯ অবধি eng math science ছাড়া ও আরো ৮ টি সাবজেক্ট পড়তে হয়।
    কিন্তু আসলে জিসি এস ই তে ৫ টা তে পাশ করলেই ন্যাশানালি পাশ হিসেবে ধরা হয়।
    যদি ও প্রাইভেট স্কুল গুলোতে ১০ -১১ টা জিসিএস ই করানো হয়।
    key stage3 তে যদি কেউ লেভেল ৬ পায়, সে জিসিএস ই তে গিয়ে B পাবে ধরে নেওয়া হয়, সে যদি তা না পায় তবে টিচার কে জবাবদিহি কত্তে হয়।
    সব টিচারের দায়, ছেলেপুলের কিছু নয়। ধরে বেঁধে গাধা পিটিয়ে ঘোড়া আর কি।
    এখানে এতো কাছ থেকে এদের সমাজ কে দেখেছি, কি করে একটা শিশু বড় হয়ে নাগরিক হয়ে ওঠে , আর তাতে রাষ্ট্রের কতো বড়ো ভুমিকা থাকে দেখে অবাক হই, বাপ মা নয়, যেন গভর্নমেন্টের ই দায়িত্ব এদের গড়ে তোলার।এখানে সাধারন স্কুলে একজন টিচারের যা দায়িত্ব থাকে, সে জিনিষ দেশে প্রাইভেট টিউটরের হয়তো কিছুটা থাকে স্কুল মাস্টারের নয় বলে ই মনে হয়।
  • saa | 86.9.24.2 | ১৭ নভেম্বর ২০০৬ ০০:১০694100
  • আমার আগের স্কুলে একটি মেয়েকে পার্মানেন্ট এক্সক্লুশান করা হয়েছিলো সে ড্রাগের ব্যাবসা চালাতো। দিব্যি ক্লাসের মধ্যে মোবাইলে বিজনেস ডীল চালাতো, আশ্চর্য্যের কথা কেউ কিছু তেমন করতে পারেনি তাকে । তারপর একদিন হাতে নাতে ধরা পড়ে তবে তাকে তাড়ানো গেল। তাড়ালেই হবেনা। জবাবদিহি করতে হবে লোক্যাল কাউন্সিলের কাছে হেড টিচার কে। পুরো পেপার ওয়ার্ক না সাবমিট করতে পারায় অনেক সময় এ ই এরা আবার ফিরে এসেছে, বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে কেউ কিছ্যু কত্তে পারেনি। স্কুল আমার জন্মগত অধিকার, তাতে আমি পড়ি না পড়ি, যা খুশি করি তবু ও স্কুল রাখতে বাধ্য। তবে হ্যাঁ যদি স্কুল এইটা প্রমাণ কত্তে পারে যে ঐ মেয়ের অ্যাক্টিভিটি school community র জন্যে unsafe তবে ই তাকে বার করা যাবে স্কুল থেকে।
    কোনো ছাত্রের ওপর যদি abuse হয় বাড়িতে (স্কুলে তো কোনো পোশ্নো ই ওঠেনা) তবে তার জন্যে সোশাল ওয়ার্কারের চাকরি যাবে, মা বাবার কিছু হবেনা,ক্লাস টিচারের চাকরি ও যেতে পারে। দায়িত্ব টা আসলে কার? বাবা মার? না infrastructurer? এইটা ই হয়তো একটা বড়ো তফাৎ আমি লক্ষ্য করেছি। কার দোষ? আর কে শাস্তি পায়?
  • Shh | 141.218.67.246 | ১৭ নভেম্বর ২০০৬ ০০:২৭694101
  • আচ্ছা, এই যে পরীক্ষা হচ্ছে না, এতে ছেলেমেয়েরা কেমন তৈরী হচ্ছে? আমাদের যেমন পরীক্ষা মনে একটা সামাজিক চাপ। ফেল করলে লোকলজা। সারাবছর না পড়লেও তাই পরীক্ষার আগে গাঁতিয়ে পড়ে জনগন। তো এখানে তো পরীক্ষা নেই। মানে প্রতি ক্লাসে নেই আর কি। তো এরা পড়ে মন দিয়ে? সিরিয়াসলি নেয় পড়াশোনাটাকে?
  • saa | 86.9.24.2 | ১৭ নভেম্বর ২০০৬ ০০:৩৯694102
  • বাবা মা র অস্তিত্ব বড়ো একটা টের পাওয়া যায়না। পেরেন্‌ট্‌স ইভনিং এ তেনারা খুব কম ই আসেন। অবশ্য ডার্লিংটনে অনেক মিড্‌ল ক্লাস বাবা মা কে একসাথে আসতে দেখেছি, যেটা লনডন এ খুব রেয়ার ঘটনা। বেশিরভাগ একা মা ই আসেন যদি আসেন, অনেকসময় মা আর স্টেপ বাবা, মা আর মায়ের বয়ফ্রেন্ড, এমনকি লেসবিয়ান কাপল কে ও দেখেছি। সত্যি কথা বলতে আমি যত দেখেছি তত হতবাক হয়েছি, ততই শকড হয়েছি।
    একটি মেয়ে আমার ফর্ম ক্লাসে ছিলো, তার অসম্ভব behaviour problem আমি ওকে ঠাট্টা করে ডাকতাম group1 metal , আসলে ওরা জিসিএস ই তে পড়ে তো periodic table , আমাকে ক্লাস ৭ থেকে চিনতো বলে একদিন একা অনেকক্ষন বসে কথা বলেছিলো আমার সাথে, আমি ওর mentor ছিলাম। বলছিলো যে ওর মায়ের বয়ফ্রেন্ড ওর সাথে অনেক অশ্লীল কাজকর্ম করতে চায়, ওর মা সব জেনে ও কিছু বলেনা, কারন এই বয়সে বয়ফ্রেন্ড চলে গেলে আর পাবেনা। তাই ওকে ই বকে সর্বদা।
    ঐ দুরন্ত দুর্বিনীত মেয়েটির ওপর মমতায় ভরে গিয়েছিলো আমার মন।
    মেয়েরা সব দেশে ই অসহায়, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকলে ও। শুধুমাত্র একজন পুরুষ সঙ্গীর জন্যে ......?
    আর ঐ মেয়ে, তার কি পড়াশুনো করার মন আছে? অথচ জিসিএস ই তে A না পেলে দোষ হবে টিচারের ই , আর কারোর নয়।
    এই ঘটনা খুব কমন, কি ওয়ার্কিং ক্লাস কি মিডল ক্লাস সবার ই মধ্যে। তবে মিডলক্লাসের মধ্যে নিশ্চয় ই কিছুটা কম।
    এশিয়ান পপুলেশান এর মধ্যে behaviour problem খুব কম, কারন এখানে শিক্ষাবিদেরা বলে broken familyর সংখ্যা তুলনামুলক ভাবে অনেক কম আর আমরা পড়াশুনো কে গুরুত্ব দি ই, সবার আগে।

    কিংস কলেজে ডাক্তারী ছাত্রদের মধ্যে নাকি ৫০% এশিয়ান, তারমধ্যে ভারতীয়েরা ই সর্বাধিক। সব থেকে বেশি পার্ফর্মিং। তাই এশিয়ান স্টুডেন্ট নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায় দুটি স্কুলের মধ্যে।
  • Blank | 59.93.203.118 | ১৭ নভেম্বর ২০০৬ ০০:৪৪694103
  • সব কেমন ধোঁয়া হয়ে ঘেঁটে ঘুগনী।
    সুইজার্ল্যান্ডের স্কুল ভাল, ইংল্যান্ডের সিলেবাস ভাল, সবার অনেক কিছু ভাল।

    কিন্তু, মানে এগুলো তো আমরা জানতুম, আমাদের দেশের থেকে অন্য সব দেশের পড়া শোনা যে খুব ভাল তা তো আমরা সেই ছোট্ট থেকে জানতুম।

    এই থ্রেডে তো জানতে এসেছিলুম, নাম্বারের থেকে গ্রেডেশান কেন ভাল.. সেটা।

    এখনো সেটার ব্যপারে কিচ্ছু জানলুম না।
  • saa | 86.9.24.2 | ১৭ নভেম্বর ২০০৬ ০০:৫২694104
  • sh
    পরীক্ষা হয় সারাজীবনে তিন বার, keystage 2 sats, keystage3 sats, keystage4 gcse এছাড়া অজস্র ক্লাস টেস্ট হয়, প্রতি টপিক শেষ হলে অ্যাসেসমেন্ট হয়, তার তো শেষ নেই। তবে এরা পরীক্ষা কে সিরিয়াসলি নেয়না। পার্ট অফ লাইফ আর কি।
    এখানে আবার একটা খারাপ জিনিষ আছে তাহল সবাই এক ই পেপার এ পরীক্ষা দেয়না। আমাদের যেমন সারা পশ্চিমবঙ্গে একটাই অঙ্ক কোশ্চেন পেপার, এখানে তা নয়, ফাউন্ডেশান আর হায়ার পেপার। যারা খুব ভালো তারাই ঐ হায়ার পেপার দিতে পারবে, আর তারাই A*, B, C পেতে পারবে, আর যারা সাধারন মেধার তারা অপেক্ষাকৃত সহজ পেপার দেবে আর গ্রেড হিসেবে G, F, E, D, C পেতে পারবে। তারা আর a, b গ্রেড পেতে পারবেনা । কে কোন পরীক্ষা দেবে সেটা ডাটাবেস ই নির্ধারণ করে দেবে। অর্থাৎ keystage 2 , 3, SATS এর ফলাফল ।
  • saa | 86.9.24.2 | ১৭ নভেম্বর ২০০৬ ০১:০৩694106
  • এটা সত্যি আমি এই সুতোর কোণ ধরে অনেক দুরে চলে গিয়েছিলাম। এখানে নাম্বার দিয়ে ও গ্রেড হয়না, মানে ৬০% মানে c এমন কোনো কথা নাই। এখন নতুন সায়েন্স সিলেবাসে 21st century science এ ঠিক মতো গ্রেডেশান হয়নি, তাই আমরা আজ ই বসে ক্লাসে সবার প্রাপ্ত নম্বর প্লট করে যে রেঞ্জ টা সবথেকে বেশি মানে ঐ গ্রাফের , সেই টাকে ই C/D ধরা হল এবার সেই অনুযায়ী গ্রেড তৈরি হল মনগড়া। তাবে ২০ র মধ্যে পরীক্ষায় ১৬ হল C , আমার মনে হল খুব আনফেয়ার, আমরা যাদবপুরে ৮০% এ A পেয়ে এসেছি।
    কিন্তু আমার হেড অফ সায়েন্স বল্লেন যে এই ভাবেই করা হয় কোনো নতুন পরীক্ষায় মার্কিং পলিসি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন