এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চার অক্ষর ও ইত্যাদি: নারীর লক্ষণরেখা

    Ishan
    অন্যান্য | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ | ৪৭৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 130.36.62.139 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৩:৩০694149
  • এইটা অক্ষ শুরু করবে। ভাটিয়ালিতে দুটো পোস্ট করেছিল আগে। সেগুলো এখানে তোলার অনুরোধ করছি।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৪:৪৩694171
  • অক্ষ বেপাত্তা।:-((
    আপাতত কয়েকটা পয়েন্ট মেরে যাই।
    ১।ভদ্র সভ্য ভাষায় সংযত চিত্তে কথা বলবেন নারী।
    ২। কোনো পুরুষোচিত গালাগালি দেবেন না(কুঁদুলে নারীরা নারীজনোচিত গালাগালি দিতে পারেন সীমা বজায় রেখে,যেমন ম-অরণ,যেমন আ মোলো যা)
    ৩।গজেন্দ্রগমনে চলবেন নারী।
    ৪।সাজগোজ করবেন সুন্দর করে,এত কম নয় যাতে বৈরাগি বশ হয়,এত বেশী নয় যাতে স্বৈরিণী ঠেকে।
    ৫।পোষাক পরিচ্ছদ হবে একেবারে যেমন হইতে হয়।এত মডার্ণ নয় যাতে রক্ষণশীলের খোঁচা লাগে,আবার এত পুরানো নয় যে যাতে নারীর পুরুষ অভিভাবকদের কম প্রগতিশীল মনে হয়।
    ৬।পড়াশোনা করবেন মেপেজুপে,এত বেশী নয় যাতে পুরুষের কষ্ট লাগে,এত কম নয় যাতে পুরুষ অভিভাবকের লজ্জা করে।
    ৭।রাজনৈতিক আলোচনায় "ওমা,তাই নাকি? দাঁড়াও আমি ডালে জলটা দিয়ে আসি"-এইভাবে অংশগ্রহণ করবেন।
    ৮। শিশুপালনে আগ্রহসহকারে থিওরি ও প্র্যাকটিকাল উভয়ই করবেন।আলোচনা ইত্যাদিও স্পিরিটের সঙ্গে করবেন।
    ৯।গানবাজনা ইত্যাদি কলাচর্চা করবেন,তবে নাচ করবেন না।(বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ীর লোকে বা স্বামী চাইলে গানবাজনা বন্ধ করে দেবেন।
    ১০।দার্শনিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন না।

    আপাতত এই রইলো।

  • a x | 207.69.137.206 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৪:৪৩694160
  • ইকিরে ভাই! নাহয় আমি চিলেকোঠায়ে বসে গান শোনাতে অনুরোধ করি নাই, তাই বলে একি জুলুমবাজি!?
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৪:৪৭694182
  • পুরুষ হবেন সৈনিক,ওবেলিক্স, আর নারী ইম্পেডিমেন্টা মানে সৈনিকের ঘাড়ের বোঝা।
  • a x | 207.69.137.206 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৫:৩৪694193
  • ইস্যুটাকে সিরিয়াসলি নিলে কটি কথা কই।
    ১) আমি ফেমিনিস্ট লেবেলিং'এ বিশ্বাস করিনা। প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের অধিকার বুঝে নেবে, এটা খুব স্বাভাবিক সত্য হওয়া উচিৎ, সে পুরুষ কি নারী, গরীব কি বড়লোক। আলাদা করে ফেমিনিজম একটা ইস্যু হয়ে ওঠেনা আমার কাছে। বাসে লেডিজ সিটেরও পক্ষে আমি নই। মহিলাদের একজন মানুষকে যে স্বাভাবিক সম্মান দেওয়া হয়, তার অতিরিক্ত কিছু দিতে হবে, এতেও বিশ্বাস করিনা।
    ২) নারীর যতটা অবমাননা বা অত্যাচার পুরুষ করে, তার চেয়ে কিছু কম, অন্য নারী নিজে করেনা, এবং নারী নিজেই কিছু কিছু ব্যাপারে নিজেদেরকে "পিছিয়ে রাখে"। একই বাড়িতে সম্পূর্ণ একই রকম সুযোগ সুবিধা পাবার পরেও ছেলে চাকরী করে, মেয়ে করেনা, মেয়ের স্ব-ইচ্ছায়ে এর উদাহরণ তো ভুরি ভুরি। কজন মেয়ে, এমন ছেলেকে বিয়ে করবে, যে বাড়িতে থেকে সংসার সামলাবে? একদিক হলে, অন্যদিকটাও হোক।
    ৩) সাজ-পোশাক, আচার-ব্যবহার, ভাষা, বিশেষ শব্দের প্রয়োগ, শ্লীল অশ্লীল, এগুলোর মাত্রা যতটা পুরুষে টেনে দেয়, ঠিক ততটাই নারীরাও মানেন। এইখানেই এই গুরুতেই আমি বোকাচোদা বললে যতটা রিয়্যাকশন হবে, রঙ্গন বা বিক্রম বললে হবেনা। কেন? কেননা মানায় না। এই যে মানায় না, এই হা রে রে সব রসাতলে গেল, এই ভাবটা সারাজীবনের অভিজ্ঞতায়ে মেয়েদের কাছ থেকেই বেশি পেয়েছি। ঠিক এই মুহূর্তে আগের লাইনটা পড়তে পড়তে কোনো না কোনো মহিলা মুখ টিপে হেসে ভাববে, তাতো হবেই, ছেলেদের তো এসব শুনতে ভালই লাগে মেয়েদের মুখ থেকে। অর্থাৎ titilation। জিনিসটা স্বাভাবিক ভাবে নিলে আর titilation লাগতো না। হা রে রে করে ব্যাপারটাকে আলাদ কোনো মাত্রা না দিলে titilation লাগতোনা। স্প্যাগেটি স্ট্র্যাপে তখনি চুলকুনি ওঠে যখন চোখ ওড়না দিয়ে তিন লেয়ারের জামা কাপড় ঢাকা দেখতে অভ্যস্ত।
    ৪) এর থেকে এমন ভেবে নেবেন না, যে খিস্তি করলে বা দুটো সিগারেট ফুঁকলে তাকে আমি খুব emancipated মহিলা বলে মনে করছি। কিছুই করছিনা, পাশের ছেলেটিকেও ঠিক যেমন এগুলো দিয়ে আলাদা কিছু ভাবছিনা, খিস্তি করলেও, না করলেও, সিগারেট খেলেও, না খেলেও।
    খুব অবাক লাগে যখন এখনো এই জিনিস গুলো নিয়ে কথা বলতে হয়। আমাদের বেশির ভাগ বাড়িতেই বাবা মা একই ধরণের স্কুলে ছেলে মেয়ে কে পড়িয়েছে। কেউ কারো থেকে কম সুযোগ পায়নি। অথচ ভেতরে দেগে দিয়েছে তফাৎ গুলো। আমাদের মানে বেশির ভাগ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাড়ি। আমি যখন ছোটো, আমার দাদা মাঝে মাঝেই বাড়ির সাথে ঝামেলা করে বেড়িয়ে যেত। রাত তিনটের সময় বাবা আর বিজনকাকু গিয়ে বিবেকানন্দ পার্কের বেঞ্চ থেকে ধরে আনতো। একদিন আমিও প্রচুর রাগ ফাগ দেখিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলাম, দু পা যেতে না যেতে মা গিয়ে টেনে নিয়ে এলো, আর বলল "দাদা নাহয় হাওড়া স্টেশনে কুলিগিরি করে খাবে, তুমি কি করবে?" রুঢ় সত্যি। এই যে আমি আলাদা, দাদার বন্ধু এলে আমি তো চা বানিয়ে দেবই, কিন্তু উল্টোটা তো অবশ্যই হবেনা। ভালো মাছের টুকরো টা নিশ্চই দাদাই পাবে, এগুলো খুব ধীরে, খুব সহজে, খুব অজান্তে ভেতরে ঢুকে যায়, প্রশ্নও করিনা, এটাই তো স্বাভবিক। তাই আমিও বড় হই, আমিও আমার ছেলেকে পাঠাই ফুটবল খেলতে, মেয়েকে গান শেখাতে। রান্না ঘরে সাহায্য লাগলে মেয়েকে ডাকি, পিঠে ভেজে, প্রথম পিঠে টা ছেলেকেই খাওয়াই, মেয়ের হাত দিয়ে পাঠিয়ে। এটাই তো স্বাভাবিক। বাবা অফিস থেকে এলে মোজা খুলে দেব, যতদিন বাবা ছিল, কোনোদিন দাদা খুলে দেয়নি, বলাও হয়নি। অথচ মা দিয়েছে। নিজেরই যেন অপরাধবোধ হয় যে এগুলো নিয়ে প্রশ্ন করছি। এরকমটাই নিয়ম।
  • bozo | 129.7.152.117 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৫:৪১694204
  • অক্ষ,
    ৪ নং পয়েন্টের শেষ প্যারা বাদ দিয়ে সব কথায় সমর্থন রইল।
    শেষ প্যারা টা আমার অজানা। তাই নো কমেন্টস।
  • r | 89.168.17.13 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৫:৪৮694215
  • এইটা তো আমার কবেকার প্রশ্ন: লোকে ঘরজামাইদের এত ছোটোচোখে দেখে কেন? ঘরবৌদের তো কেউ ছোটো চোখে দেখে না? ছোটোবেলা থেকে ভেবে এলুম একটা মেয়ে যদি পাই যে আমায় ভাতকাপড়ে রাখবে! আবার পরের জম্মে ট্রাই মাত্তে হবে!
  • Paramita | 143.127.3.10 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৬:০০694226
  • ঘরজামাই হবেন না স্টে-অ্যাট-হোম বর না দুটোই আগে ঠিক করে নিন। স্টে-অ্যাট-হোম বরের কাজকম্মের লিস্টিটা কিন্তু কিঞ্চিত বড়ই।

    আর এইটে দেখুন:

    A full-time stay-at-home mother would earn $134,121 a year if paid for
    all her work, an amount similar to a top U.S. ad executive, a marketing
    director or a judge, according to a study released Wednesday.

    A mother who works outside the home would earn an extra $85,876 annually
    on top of her actual wages for the work she does at home, according to
    the study by Waltham, Massachusetts-based compensation experts Salary.com.

  • r | 89.168.17.13 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৬:০৪694237
  • ওব্বাবা, এই সব তো যেদিন অত্থনীতি পড়তে ঢুকেছিলুম তার পোথোম চ্যাপ্টারেই পড়েছিলুম। নর্ডহউস বলে এক সাহেব এই নিয়ে কাজ করে করে স্যামুয়েলসনের বেদসম টেক্‌স্‌টবইয়ের কো-অথর হয়ে গেল। আর প্রথম চ্যাপ্টারেই লিখে ফেলল যে ঘরের কাজকে কোয়ান্টিফাই করলে জি ডি পি কিরকম দাঁড়াবে। কিন্তুক আমার কোনো সহপাঠিনী এইসব পড়েও আমার ভাতকাপড়ের দায়িত্ব নিল না মাইরি! :-(
  • Paramita | 143.127.3.10 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৬:১৩694150
  • দুটো কারণ হতে পারে : গৃহকর্মের জন্য মূল্য ধরে দেওয়া চালু হয়নি বলে ঐ সায়েবদের কথা আপনার কেলাসমেটরা বিশ্বাস করতে পারে নাই, বা আপনার গৃহকর্মের স্কিলসেটের প্রতি তাদের তেমন..
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৭:২৯694151
  • কেলাস এইটে আমাদের শুভাশ্রী এই চারখানা লাইন কয়েছিলো:

    যখন জন্মেছিলাম তখন জানতাম না
    আমি নারী না পুরুষ
    এ সমাজ বানালো আমাকে নারী
    হতে দিলো না মানুষ।

  • kd | 59.93.196.10 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৩:১২694152
  • ঈশেনের কী এই টপিকটার কথা মনে পড়লো আমি blankকে লেখক মনে করেছিলুম ওর ভাষা দেখে? যদি ওটা কোন মহিলাকে বিরক্ত করে, তবে আমার বয়সের কথা ভেবে ক্ষমা করে দিন।

    তবে এটা ঠিক যে, আমি কলকাতায় থাকাকালীন কোন মেয়েকে, ছোট বড় নির্বিশেষে, কোন ভাল্গার শব্দ ব্যবহার করতে শুনিনি (ওরা নিজেদের মধ্যে কি বলত, আমার জানা নেই) - যদিও অনেক বৌদি-মাসি-মামিদের বিয়ের বাসরে আদিরসাত্মক কথা বলতে শুনেচি। আমেরিকাতে এসেও দেখেছি, মেয়েরা publicly ভাল্গার শব্দ বলে না, তবে close groupএ নর্দমা-মুখ, specially youngদের মধ্যে।

    আমি স্কুলে মাইরি আর শএ-আকার, বএ-আকারের বেশী জানতুম না - ৬১তে ১৫ বছর বয়সে বিইকলেজে গিয়ে ১২/১৩/ডাউনিংএর রোজ রাত্তিরে খিস্তির ঝড় শুনে অনেক physically impossible activity জানলুম - আমার মুখও নর্দমা হয়ে গ্যালো। কিন্তু, interestingly, কলেজ থেকে যখন বেরো ই, তখন ঐ অভ্যেস চলে গ্যাছে, আমার এবং আমার বন্ধুদের।

    আমেরিকায় এসে কাজ করতুম ফ্যাক্টরিতে, ইংরিজি খিস্তি শিখ্‌লুম - সারাজীবন ঐ environmentএই কাটিয়েছি; সুতরাং, এখন বাংলায় কথা বলি clean ভাষায়, আর ইংরিজি বলার সময় নর্দমা।

    এই ফোরামে বেশীরভাগই যুবক-যুবতী, এখানেও মাত্র জনাদুয়েক ছেলে আর জনাদুয়েক মেয়েই মাঝে মাঝে ভাল্গার শব্দ ব্যবহার করে। তার মানে কিছুই পাল্টায় নি, একই রকম আছে।

    যে মেয়েরা শুধু ছেলেদের মতো হওয়ার জন্যে এইসব ভাষ ব্যবহার করেন তারা এই সাইট্‌গুলো দেখতে পারেন -

    http://www.whizzy4you.com/
    http://www.femalefreedom.ca/
    http://www.backcountry.net/arch/at/9907/msg00398.html

    অন্যরাও পারেন।
  • b | 59.145.136.1 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৩:২৯694153
  • আর যে মেয়েরা সঠিক মাপের চিড়বিড়োনোর কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না, তার kd র শুধু এই পোস্ট টা পড়তে পারেন। আগের গুলো পড়বেন না, কারণ তাইলে আরো বেশি চিড়বিড়োতে পারেন।
  • dam | 202.54.214.198 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:১৫694154
  • সকালে ভুল করেই ভাটিয়ালিতে পোস্ট করে ফেলেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে ভালই হয়েছে। ঐ সাইটগুলো দেখে এই থ্রেডে আর কিছু লেখার ইচ্ছা সম্পূর্ণ চলে গেল।

    ছি:।
  • J | 160.62.4.10 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:২৬694155
  • এই থ্রেডটা আবার "বর বড়ো না কনে বড়ো" গোছের ন্যাকামিতে না পর্যবসিত হয়, সেটাই ভয়।
  • kd | 59.93.215.76 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:২৮694156
  • আমি extremely, extremely, extremely সরি। আসলে এই সাইটগুলি আমেরিকা থেকে এক মহিলা পাঠিয়েছিলেন ওনাদের বাড়ীতে দেশে এই সমস্যা নিয়ে discussionএর পরিপ্রেক্ষিতে; তাই ভাবলুম এখানে দেওয়া যেতে পারে। কারণ যাই হোক, আমি সত্যিই খুব দু:খিত - limitটা ছাড়িয়ে গিয়েছি, a stupid callous move on my part. I apologize to you all.
  • J | 160.62.4.10 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৮:১৩694157
  • আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করা যায়, এটা কিন্তু মেয়েদের ইকোনমিক ইন্ডিপেন্ডেন্সের সঙ্গে যুক্ত নয়।
    সেটা হচ্ছে, কানা-খোঁড়া-হাবাগোবা পাত্রের ঠিক নিখুঁত পাত্রী জুটে যায়, কিন্তু উল্টো কেসটা বিরল।
    আমার চেনা একটি মেয়ে একসঙ্গে পড়েছি, সামান্য দৈহিক খুঁতের জন্যে সারাজীবন কোনো সঙ্গী পেলো না। অথচ ফার্স্ট-ক্লাস পাওয়া রেজাল্ট, খুব ভালো রোজগার। বিয়ে তো দূরের কথা, প্রেম করতেও এগিয়ে এলো না কেউ। ও কিন্তু ঘরজামাইয়েও রাজী ছিলো।
    এটাও তো মাইন্ডসেট তাই না?
    মেয়েটা গাল পাড়ে না, মদ-বিড়ি কোনো নেশা নেই। মিষ্টি শ্যামলা চেহারা শুধু দুটো পা সমান নয়। অসম্ভব মেধাবী।
    এ বোধয় শুধু আমাদের দেশেই সম্ভব।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৮:৩২694158
  • আচ্ছা কাবলিদার দেওয়া সাইটগুলোতে দেখলুম শুধু কনভিনিয়েন্সের আর হাইজিনের কথা।যে মেয়েরাই একটু অফ দ্য বিটেন ট্র্যাক বেড়াতে গেছেন তারা বুঝবেন। ব্যবহার করার সুরুচি-কুরুচিটা অন্য তক্কো।
    এ তো নারী-পুরুষ বিভেদ-বিবাদের ব্যাপার নয়।
    তাইলে এতে এত ক্ষমা টমা চাওয়ার কি আছে? আজীব।
  • a x | 207.69.137.34 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৮:৫৮694159
  • থ্রেডটা বোধহয় ঠিক পার্সোনাল হাইজিন সংক্রান্ত নয়। অ্যাপোলোজি চাইবার কারণটা সেখান থেকেই এসেছে। খুব টিপিকাল অ্যাটিচুড। ঠিক যেরকম, who is wearing the pants in this house গোছের বক্তব্য শুরু হয়েছিল এককালে। চিড়বিড়ানির কারণ খুঁজে বের করতে হয়না, এত বেশি পরিমানে আশে পাশে।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৩৭694161
  • এই আবার শুরু হয়ে গ্যালো ন্যাকামো।এটা সত্যিই অভিযানে গিয়ে কিছু পার্সোনাল হাইজিনের দরকারী সুবিধার জন্যই।
    কাবলিদার বা সেই বিদেশিনী মহিলার এতে ক্ষমা চাইবার মতন কিছু দেখতে পাচ্ছি না।
    ঐ যে আরেক ব্যাপার আমাদের ননিতনবঙ্গনতাদের সমাজে!
    স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে গেলে নজ্জায় নাকি নাল হয়ে যায়,অথচ পুরুষে যখন দাড়িকাটার সরঞ্জাম কেনে তখন তো নজ্জায় লাল হয় না!
    সমান ফুটিং এ আমরা নিতে পারিন,কিছুতেই না!
    যারা কিছুটা পারছে তাদের দেশে ছেলেমেয়ে সব উত্তর দক্ষিণ মেরু ঘুরছে!
    আর আমরা সামান্য এদিক ওদিক বেড়াতে গিয়ে চেপে চুপে থেকে থেকে পেটে পাথুরি হয়ে মরছি!
    বাঁচছি!
    পুড়বে মেয়ে উড়বে ছাই/তবে তো মেয়ের গুণ গাই!
    এই না হলে আজ ২০০৬!
    মনুর আমলে যেমন বলতো স্বাতন্ত্র আহরণ করতে পারে না মেয়েরা,আজও হাড়ে মজ্জায় সে জিনিস ঢুকে আছে।
    ঈশ্বর করুন,চীনে জাপানী মেয়েরা বা মেমসাহেবেরা এগিয়ে যান,আপমার আগামী দেড় দুশো বছরেও মনে হচ্ছে ইম্পেডিমেন্টা অবস্থা থেকে বেরুতে পারবো না।
    জয় হিন্দ!
  • J | 160.62.4.10 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৫২694162
  • শুধু স্যানিটারী ন্যাপকিন বা ট্যাম্পুন নয়। গড়িয়াহাটের মোড়ে একটা দোকান থেকে আধুনিকা ভদ্রমহিলা একগাদা প্রসাধনী কেনার পর প্রায় ফিসফিসিয়ে দোকানীকে বল্লেন - "একটা অ্যানিফ্রেঞ্চ দিন তো", দোকানী নিমেষের মধ্যে সেই হেয়ার রিমুভারের কৌটোটি শোকেস থেকে বের করে ভদ্রমহিলার সামনে এনে রাখতেই উনি হাঁ হাঁ করে উঠে বল্লেন, একটা খবরের কাগজ দিয়ে মুড়ে দিন।
    আর কোলকাতায় স্যানিটারী ন্যাপকিন কিনতে গেলে খুব নীচুস্বরে চাইতে হয়, আর নির্ধারিত বস্তুটি খবরের কাগজে বা কালো প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় ক্রেতার সামনে রাখা হয়। নিষিদ্ধ জিনিস কিনা।
    লক্ষ্মণ রেখাটা এইখানেই। আর মেয়েরা জন্মনিয়ন্ত্রনের জিনিস আদৌ কিনতে পারেন কিনা সেটাও জানি না।
  • J | 160.62.4.10 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:৫৭694163
  • লক্ষ্মণরেখা আরো টানা আছে।
    দরজিকে দিয়ে ব্লাউজ বানান- কিন্তু দরজি মাপ নিতে গেলে, একটা পুরোনো ব্লাউজ এগিয়ে দিয়ে বলেন এরকমই হবে শুধু কোমরটা একটু ঢিলে বানাবেন।
    সবায় নয়। কিন্তু এরকম ভদ্রমহিলাদের স্বচক্ষে দেখেছি।
    আবার এঁদের মধ্যেই কেউ কেউ হয়তবা অন্তর্বাস কিনতে গিয়ে ইশারায় বস্তুটি দেখিয়ে দিচ্ছেন, কিন্তু সায়া কিনবার সময় সেসব লজ্জা উধাও, দিব্যি দরদস্তুর করে কিনছেন!
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২০:০৭694164
  • আরো আছে।গর্ভবতী হওয়ার মতম নজ্জার ব্যাপার তো আর নেই।ঈশারায় টিশারায় বুঝিয়ে দিয়ে একটা নজ্জা নজা হাসি!
    কেন রে বাপু? ছেলেপুলে পেটে এসেছে,জানাশোনা স্বাভাবিক ব্যাপার,এতে এত নজ্জার কি আছে? উড়ে তো এসে পড়ে নি!
    আবার বলতে হবে জানো'ই তো আমার শরীর এত খারাপ! খুব লুকানো চুরানো ব্যাপার!
  • a x | 192.35.79.70 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২০:১০694165
  • কি অদ্ভূত!!!! কি করে দাঁড়িয়ে হিসু করতে হয়, সেটা এই থ্রেডের বিষয়!!? এতে সমান ফুটিং লাভ হবে??! কিম্বা অভিযানে গেলে কি কি ব্যবস্থা নিয়ে বেরোবেন তার উপদেশের থ্রেড??! দময়ন্তী আমি তোমার সাথে। পাতি সময় নষ্ট।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২০:১২694166
  • আর এই আরেক জিনিস এইসব স্বাভাবিক ব্যাপারকে গোপণ ও নজ্জার করে রাখা।
    মাসিকের সময় বলতে হবে শরীর খারাপ!এমন ভাব করতে হবে যেন কত অপরাধ,যেন চুরিচামারি করে এসেছে!
    বাইরে কিন্তু এসবের জন্য রীতিমতো বিজ্ঞানসম্মত ক্লাস-ট্‌লাস হয়।
    আর বিলেত আম্রিকায় সন্তানজন্মের সময় লেবার রুমে হবু বাবাটিও থাকেন ডাক্তারের সঙ্গে।
    আস্তে আস্তে আড়গুলো না ভাঙলে সমান দায়িত্ব আর অধিকারের বোধটা আসবে কোত্থেকে?
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২০:১৬694167
  • তাই তো তাই তো আহা লেনিনের পেছন দিক থেকে তোলা ফোটো দেখিয়েছে! কি অন্যায়!
    ওনার তো নিতম্ব ছিলো না!
    একই যুক্তি।
    মহিলাদের তো এইসব বর্জ্যত্যাগ করতে হয় না,ওনারা তো পরী! দখিনা বাতাস খেয়ে ঘুরে বেড়ান!
    কেটে গেলে ওদের তো রক্ত বেরোয় না!
    পড়ে গেলে ব্যথা লাগে না।
    ওদের তো খিদে পেতে নেই!
    ওদের অন্য কিছুও পেতে নেই!
    দ্যাখ ভাই, কি অসব্য!কিসব বলচে!
  • a x | 192.35.79.70 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২০:১৬694168
  • আরো অদ্ভূত, ঐ লিংকগুলোর ওপোরের লাইনটা খুব স্বচ্ছন্দে কিছু নন-ন্যাকা লোকেদের চোখ এড়িয়ে যায়। " যে মেয়েরা শুধু ছেলেদের মতো হবার জন্য এইসব ভাষ ব্যবহার করেন তারা এই সাইট্‌গুলো দেখতে পারেন"
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২০:২৩694169
  • শুভাশ্রী ঠিকই লিখেছিলো,

    ""এ সমাজ বানালো আমাকে নারী
    হতে দিলো না মানুষ।""

    আমাদের পোগোতিশীল পুরুষেরা ঘাড়ে বয়ে বয়ে আমাদের মত ইম্পেডিমেন্টাদের যদ্দুর নেবেন তদ্দুরই আমাদের গতি।ওরাই হাসাবেন ওরাই কাঁদাবেন,ওরাই নাচাবেন,ওরাই আছড়াবেন।
    উপেক্ষা করার জোরও নেই।

    নিজেরা এক পা এগোবার আগে অন্য ননিতনবঙ্গ কাঁকড়ারাই আটকে দেবেন!
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২০:২৭694170
  • অদ্ভুত। এই যদি ইক্যুয়াল রাইটসের সংজ্ঞা হয়, তাইলে প্রতিমা বেদি ইক্যুয়াল রাইটসের আদর্শ...চুলোয় যাক কিরণ বেদি।
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৩১694172
  • আর এই আরেক লক্ষ্মণরেখা মেয়েদের কাজ।
    কি কি কাজ বরনারী করবেন আর কি কি কাজ বারনারী করবেন, তার লিস্টি।
    সব কিন্তু পুরুষের বানানো লিস্টি!
    কি কি কাজ কল্লে নারী বারনারী হয়ে যাবেন,তারও সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম সব নিয়ম আছে,সব পুরুষের বানানো।
    কলোনিয়াল প্রভু নিয়ম বানায়,আর মরে বোকাহাবা লেটিভ!
    একই ব্যাপার এখেনেও।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন