এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যে পাহাড়্গুলি ডিঙোতে চাই

    Sukanta Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৬১১০ বার পঠিত
  • ললিত স্যার না থাকলে দেবু দত্তগুপ্তর লেখার সাথে হয়ত কোন দিনও পরিচয় হত না। তখন দশম শ্রেণী, স্যার একদিন আলোচনা প্রসঙ্গে একটি বইয়ের কথা বললেন, যা সারাংশ দিলেন তাতে করে খুবই আগ্রহ জন্মাল। এটাও বললেন যে বইটা আমাদের ওই বয়সী ছাত্রদের সবারই পড়া উচিত অন্তত একবার করে। ওই বই তখন আমাদের ওদিকের দোকানে বিক্রী হত না – তাই স্যারই আনিয়ে দিলেন কোথা থেকে যেন। হাতে এসে পড়ল লাল-কালো প্রচ্ছদের একশো তিরিশ পারাত বইটি – “যে পাহাড়্গুলি ডিঙোতে চাই”। আমাদের এলাকা তখন প্রবলভাবে বামপন্থী – স্কুলের স্যাররাও বেশীর ভাগ বাম মতাদর্শে বিস্বাসী। ললিত স্যারো তার ব্যতিক্রম ছিলেন না বরং ভালোই সক্রিয় ছিলেন। তবে সেই সক্রিয়তা প্রায় সমস্তটাই সংস্কৃতি কেন্দ্রীক – স্যার নাটক লিখছেন, নাটক করছেন। এলাকায় আলোড়ন তুলেছেন একক অভিনয়ে একাঙ্ক নাটিকা করে যার নাম ছিল ‘ধাক্কা’। স্বাভাবতই প্রাপ্ত বইটিও যে সেই ভাবধারায় অনুসারী হবে বলাই বাহুল্য।

    এনাদের সংস্পর্শে এসে আমিও কৈশোরে বাম সংস্কৃতি বেষ্টিত বা অনেকটা প্রভাবিতো ছিলাম বলা যেতে পারে। এখন হিপোক্রীট অবস্থান নিয়েছি – কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলি আমি ভালোর দলে। তো যাই হোক দেবু দত্তগুপ্ত কোন বিখ্যাত লেখক ছিলেন না – বরং একজন নিখাদ সরকারী কর্মচারী। পরে শুনেছিলাম উনি নাকি রাইটার্সে কাজ করতেন। যে গুটি কতক নন-ফিকশন বই আমার কৈশোর আলোড়িত করেছিল তার মধ্যে ‘যে পাহাড়গুলো ডিঙোতে চাই’ অন্যতম – অন্যান্যগুলি ছিল ‘অলৌকিক নয় লৌকিক’, ‘বিশ্বাস ঘাতক’ ইত্যাদি। এই বইটির গুরুত্ব বুঝতে হলে পরিপ্রেক্ষিতটাও একটু বুঝে নিতে হবে – মনে রাখতে হবে আমরা তখনও কম্পিউটার, ইন্টারনেট বা গুগুল থেকে অনেক দূরে। রেফারেন্স বই খুঁজতে স্কুল লাইব্রেরী বা মেমারী গ্রামীণ গ্রন্থাগার বা স্যারদের ব্যক্তিগত সংগ্রহই ভরসা। বর্ধমানের পার্টি লাইব্রেরী থেকেও আমি অবশ্য অনেক সাহায্য পেয়েছি – যিনি আমাকে সেই বই এনে দিতেন, কোঙার বংশীয় আমার সেই প্রিয়তম স্যারের গল্প অন্য কোন সময়।

    প্রায় চব্বিশটি প্রবন্ধ ছিল বইটিতে। কতকগুলির শিরোনাম আবার বেশ আকর্ষণীয়, যেমন, “হরলিকস কাকে বেশী শক্তি দেয়”, “হাঁসজারু বনাম অরণ্যদেব” ইত্যাদি। বইয়ের মুখোবন্ধে লেখক বলছেন, “আগুনের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার মত দরিদ্রের সঙ্গে কুসংস্কার এবং অজ্ঞতা যুক্ত হলে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম দুর্বল হয় চূড়ান্তভাবে। যে আর্থসামাজিক কারণে মানুষ কুসংস্কাস ও অন্ধ বিশ্বাসকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে চাইছে, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক প্রচারের মাধ্যমে সেই কারণগুলি সম্পর্কে সচেতন করাটাই বিজ্ঞান সচেতন সংগঠনগুলির দায়িত্ব”।

    প্রথম পাঁচটি অধ্যায়ে দেবু দত্তগুপ্ত কুসংস্কার জাতীয় বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন যার মধ্যে আছে জ্যোতিষ, গ্রহরত্ন, মন্ত্র-তন্ত্র ইত্যাদি বিষয়গুলি। কৈশোরে এই বই পড়েই প্রথম জানতে পারি দৃকসিদ্ধ ও অদৃকসিদ্ধ পঞ্জিকার পার্থক্য, সত্তর দশকের পর থেকে স্বর্ণালঙ্কার দোকানগুলিতে গ্রহরত্নের ব্যবসা ও প্রকোপ বেড়ে যাবার সরল ব্যাখ্যা। জানতে পারি যে মঙ্গলের জন্য পলা, বুধের জন্য পোখরাজ, বৃহস্পতির জন্য মুক্তা, শুক্রের জন্য হীরা, শনির জন্য নীলা সহ চন্দ্রে জন্য কোন রত্ন ব্যবহার করা হয়। মনে প্রশ্ন জাগতে থাকে জ্যোতিষশাস্ত্রের মূল গোঁজামিলগুলি সম্পর্কে।

    সেই প্রথম আমার সচেতন হয়ে ওঠা মধ্যবিত্ত সমাজের দ্বৈত সত্ত্বা, চরিত্রের পরস্পর বিরোধিতা সম্পর্কে। সেই কবে তিনি লিখেছিলেন, কিন্তু আজো তা প্রবল ভাবে প্রাসঙ্গিক, “যিনি মহাকাশ বিজ্ঞানের আধুনিক মান মন্দিরে দূরবীক্ষণে চোখ রেখে সৌরমণ্ডলে গ্রহ নক্ষত্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন, তিনিই মহাকাশযান উৎক্ষেপনের সময় নির্ধারণ করেন শনিবারের বারবেলার ‘অশুভ’ মুহুর্তকে সযত্নে এড়িয়ে। জ্যোর্তিবিজ্ঞানে একজন সুপণ্ডিত হয়েও তিনি ব্যক্তিজীবনে জ্যোতিষ বিদ্যার অপবিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় নক্ষত্র-সূর্যকে গ্রহজ্ঞানে তুষ্ট করার চেষ্টা করেন যাগযজ্ঞের ধূমায়িত কোলাহলে”। তেমনই পরস্পর বিরোধিতা সেই চিকিৎসকের ক্ষেত্রেও যিনি মাথায় প্রসাদী ফুল ঠেকিয়ে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকেন।

    শুধু জ্যোতিষশাস্ত্র নয়, মাদুলি-তাবিজ নয়, হস্তরেখা বিচার নামক লোকঠকানো ও গোঁজামিল ব্যবসাটার মূল স্বরূপও সেই প্রথম চেনা। আমাদের মনে যে খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন আসে, কি ভাবে হাজার হাজার বছরের পরমায়ু নিয়ে সভ্যতা আর বিজ্ঞানের সমান্তরাল খাতে এই সব কুসংস্কার আর অবিদ্যার সুপ্রাচীন প্রবাহ টিকে থাকে – তার উত্তর খোঁজার শুরুও দেবু দত্তগুপ্তর বই পড়ার পর থেকেই।

    সেই প্রথম যেন কেউ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কি ভাবে আমাদের প্রায় অজান্তেই নতুন প্রজন্মের শৈশব থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মমতাময়ী পরী, ব্যাঙ্গমা-ব্যঙ্গমী, ভিন্দেশী মেঘবরণ কন্যার অপরূপ কাহিনী, রূপকথার দুয়োরানী আর সুয়োরানীরা। সুগভীর বিপন্নতায়, অবসাদে লেখক আমাদের জানালেন কিভাবে আজকের শিশুদের কল্পনা আর স্বপ্নের পৃথিবী থেকে সর্বশক্তিমান স্পাইডারম্যান, সুপারম্যান বা আয়রণ ম্যানেরা হঠিয়ে দিচ্ছে সুস্থ নৈতিকতার বার্তবহী স্বর্গ থেকে নেমা আসা পরীদের, মেঘবরণ কন্যা আর রাজপুত্র – কোটালপুত্রদের। আগে যা খুব স্বাভাবিক মনে হত, সেই বিষয়েও প্রশ্ন জেগে উঠলঃ

    •অরণ্যদেব কমিকসে নেংটি পড়া মন্ত্রমুগ্ধ কালো মানুষেরা কেন বারে বারে আক্রান্ত হয়ে হাঁটু মুড়ে আকুল প্রার্থনা জানায় একজন সাদা চামড়ার অতিনায়কের কাছে?
    •কেন অরণ্যদেবের সঙ্গীনীকে আসতে হয় সাত সাগর আর তের নদী পেরিয়ে শ্বেতাঙ্গদের দেশ থেকে?
    •কেনই বা সুপারম্যান সিরিজের সিনেমায় ভিনদেশের কুচক্রীর চেহারা চীনের পীত মানুষের মত হয়?
    •কেন অবিশ্বাস্য ধীশক্তির অধিকারী সাদা চামড়ার ম্যানড্রেকের পাশে তাঁর দেহরক্ষী, কালো চামড়ার লোথার, এক বুদ্ধিহীন, প্রতিভাহীন শুধুমাত্র স্থুল শারিরীক শক্তির অধিকারী হয়ে দাসসুলভ অনুগত্যে যাদুগরকে অনুসরণ করে ছায়ার মত?

    লেখক আকুল প্রশ্ন করেছেন, অরণ্যদেব, ম্যানড্রেক আর সুপারম্যানেদের হাত থেকে তাঁর সন্তানের কল্পনার পৃথিবীকে কি হাঁসজারূ, মিকিমাউস কিংবা ডোনাল্ড ডাকেরা বাঁচাতে পারে না? এর উত্তর আজকে লেখকে দিতে হলে তিনি জানতে পারতেন – হাঁসজারুরা হেরে গেছে সুপারম্যানদের কাছে বেশ অনেকদিন হল। আবোল-তাবোল, জাতকের উপাখ্যান কেনা হয় না আজকাল, আর হলেও তার মূল লক্ষ্য থাকে স্টেটাস সিম্বল (আমি বাঙালী বা ভারতীয়) মেনটেন করা। বই তাকেই তোলা থাকে – ছেলেকে ভাত খাওয়ানো হয় আয়রনম্যান হাতে দিয়ে।

    “হ্যাঁ সংস্কৃতি, না সংস্কৃতি” প্রবন্ধে দেবু দত্তগুপ্ত বিশ্লেষণ করেছেন কিভাবে শিল্প-সাহিত্য-চলচিত্র আর সংবাদ-সাহিত্যের বর্ণাঢ্য প্রলোভন দুর্বল করছে আমাদের নৈতিকতাকে। সেই প্রথম জানতে পারা যে শ্লীলতা-অশ্লীলতার প্রশ্নে বিবর-প্রজাপতি নিয়ে তুমুল আলোড়ন – মামলা ইত্যাদি হল প্রচার কিংবা বিজ্ঞাপনের সাম্প্রতিকতম এক কৌশল মাত্র। যৌনতা মানুষের জীবনের এক অপরিহা র্‍্য অঙ্গ – অন্যান্য জৈবিক তাগিদের মত সেটাও স্বাভাবিক একটা প্রয়োজন। কিন্তু সেই যৌনতাকেই জীবনের সর্বস্ব করে দেখাতে গিয়ে বাজারী পত্রিকা বা গল্প লেখকেরা নিজেরাও ক্লান্ত হয়ে উঠেছেন। সেই প্রথম জানতে পারা ধ্রুপদী সাহিত্যে কিভাবে যৌনতা এসেছে বা আসা উচিত, যেমন হেমিংওয়ের ‘ফর হুম দি বেল টোলস্‌’। আর চোখ খুলে যায় লেখকদেরও যে পেশাগত সততা থাকা উচিত সেই সম্পর্কে – পশ্চিমের বাণিজ্যিক লেখকেরা কিভাবে অসাধারণ প্রামাণ্যতা আনেন বিষয় বস্তুতে – তা সে অটোমোবাইল, মেডিক্যাল সায়েন্স যাই হোক না কেন। এর কাছে বাংলা সাহিত্যের আজকের বাজার মাত করা লেখকদের শ্রম, নিষ্ঠা বা সততা খুবই কম। কিন্তু প্রশ্ন হল আমরা বিনা প্রতিবাদে কতদিন আর এ জিনিস গলধগরন করব?

    ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মিডিয়ার ভূমিকা এবং আমেরিকান পুঁজিবাদীদের অগ্রাসন প্রচারে মিডিয়ার নেওয়া সুকৌশন বারবার নানা প্রবন্ধে ঘুরে ফিরে এসেছে। দেবু দত্তগুপ্তর লেখা পড়েই সেই কৈশোরে প্রথম আঁচ পাওয়া যে বিদেশী কোম্পানীগুলি তাদের কাঙ্খিত মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশ গড়ে নিতে কিভাবে বিজ্ঞাপনের পিছনে অবিশ্বাস্য অর্থ ব্যয় করে।

    (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৬১১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • ranjan roy | 132.167.125.133 (*) | ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৮46156
  • বইগুলো পাওয়া যাবে?
  • সুকি | 212.160.18.127 (*) | ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:০৮46155
  • দেবু দত্তগুপ্তর লেখার সাথে যদি কারো পরিচয় থাকে তাঁরা যদি একটু আলোচনা করেন বা মতামত জানান তা হলে ভালো হয়।
  • pinaki | 148.227.189.8 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০২:৪২46165
  • ব্ল্যাংক, কমিকস নিয়ে উনি যে ভিউটা এখানে রিপ্রেজেন্ট করেছেন সেটা সেই সময়ে বাম চর্চায় ডমিনেটিং ভিউ ছিল। এখনো অনেকেই এই বক্তব্যগুলো মানে। তার মানেই তারা চারটের বেশী কমিক্স পড়ে নি - ব্যাপারটা এমন নয়। এটাকে একটা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বলা যেতে পারে। যে ঐ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিটা সাবস্ক্রাইব করে, সে অরণ্যদেব বা ম্যান্ড্রেকের সমস্ত বই পড়েও ঐ একই ওপিনিয়ন রাখবে। সেটা অতিসরলীকরণ হতে পারে কিন্তু সেখান থেকে এটা কনক্লুড করা যায় না যে না পড়েই এই ধারণায় পৌঁছোনো হয়েছে।
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০২:৫৮46166
  • কিছুই বুঝলাম না পিনাকী দা। একজন কিছু বই সমন্ধে বক্তব্য রাখলো। আমি দেখলাম সেগুলো ভুল ভাল বক্তব্য। এই ক্ষেত্রে কোনটা প্রথম কনক্লুশান হবে - লোকটা বই গুলো পড়েনি, নাকি লোকটা পড়েছে কিন্তু যেহেতু তার সময়ে তার রাজনীতির লোকেরা অন্য মত পোষন করতেন, তাই তিনি অন্য মত পোষন করেছেন।
    এবং দ্বিতীয়টি টি প্রাইমারি কনক্লুশান হয়, তো সেক্ষেত্রে লোকটিকে কি বলা যেতে পারে !!
  • | 24.97.233.238 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:০৪46167
  • আচ্ছা পিনাকী তুমি তো এই দেবুবাবুর লেখাপত্তর পড়েছ। তা রূপকথা নিয়ে যে বক্তব্যগুলো রেখেছেন তাতে এগুলো কখনও খেয়াল করেছেন কি ---
    ১) রূপকথার রাজারা ভারী ভালমানুষ, দুষ্টু সুয়োরাণী তাকে দিয়ে খারাপ কাজ করায় আর ভাল দুয়োরাণী ভাল কাজ করায় কিন্তু রাজার আসলে কুনোই দোষ নাই। (মেরুদন্ডহীন আতাক্যালানে)
    ২) সব মিটে টিটে যাবার পর সুয়োরাণীকে হেঁটোয় কাঁটা শিয়রে কাঁটা দিয়ে পুঁতে ফেলা হয় (হাইট অব হিংস্রতা) রাজা দিব্বি মুখ মুছে আবার দুয়োরাণীর সাথে ঘর করে
    ৩) যদিও রাজা যাবতীয় কুশাসন শাস্তি ইত্যাদির এক্সিকিউশান অর্ডার দেয়, তবুও রাজার কোনো শাস্তি হয় না। এক্ষেত্রে দস্যু রত্নাকরকে বলা নীতিবাক্য একেবারে ১৮০ ডিগ্রী উল্টে গেছে।

    এইগুলো যদি দেবুবাবু খেয়াল করেই থাকেন, তাহলে সেই রূপকথা নিয়ে আতুপুতু করার পেছনে ওনার যুক্তি কী?
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:২০46168
  • দমু যেগুলো বলল, সেগুলো যেমন অনেকাংশে সত্যি দেবু দত্তগুপ্তর অবজার্ভেশনও সেরকমই সত্যি। কালো মানুষ, আফ্রিকান ফিচারের মানুষকে নেগেটিভ চরিত্রে দেখানো, white man's burden ইত্যাদি, বিভিন্ন ভাবে লেখা, সংস্কৃতি, সিনেমা ইত্যাদি মাধ্যমে ভালো রকমের বিদ্যমান। আর এটা ঠিক উনিই আবিষ্কার করেছেন এরকম না। টিনটিনে হাইলি রেসিস্ট ডেপিকশন পরিষ্কার।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:২০46169
  • টিনটিনেও*
  • | 24.97.233.238 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:৩৫46170
  • সে তো আমি নাদিন গর্ডিমারের লেখা পড়তে গিয়ে শেষ অবধি রেসিজম নজরে পড়াতে আর পড়তেই পারলাম না।

    কিন্তু আপাতত রূপকথা নিয়ে অত গদগদ হওয়ার পেছনে আদৌ খোলা চোখে দেখা না সেরেফ অভ্যেস, সেইটে জানতে চাই।
  • | 60.82.180.165 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:০২46171
  • রূপকথার গপ্পে কিরণমালাই একমাত্র - যে ভাইদের উদ্ধার করে আনে। যদিও দক্ষিণাবাবু স্পষ্ট লিখেছেন, কিরণমালা তো রাজপুত্র না, তাই দত্যিদানোর কোনো জারিজুরি তার উপরে খাটলো নাঃ)
    অন্যদিকে সত্যের জয় এবং মিথ্যের হার এইটা হলো রূপকথার মূল বিষয়। অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করে শেষে গিয়ে সত্যের জয় হলো- ছোটবেলায় ঐটাই মনে গেঁথে থাকতো- দুয়োরানীর দুঃখে বুক ভেসে গেলো তবে শেষে সবাই সুখে শান্তিতে ঘরকন্না করতে লাগলো- এইটা সব ছোটরা গল্পের শেষে শুনতে চায়। রূপকথা আমাদের বলে, শেষটা সুখের। এইবার বড় হবার পর অনেককিছু দেখতে পাই,যা ছোটরা দেখে না- সেইজন্যেই ছোটরা বড় হয়ে গেলে আর তেমন রূপকথা পড়ে না বা পড়লেও রেগে যায়ঃ)
  • dd | 132.167.22.246 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৩০46172
  • যেমন দেখুন বৈদিক দেবতারা সবাই ফর্সা। কিন্তু অসুর,পিশাচ এরা কালো।

    ফর্সা দেবী দুর্গা ত্রিশুল দিয়ে বধ করছেন কাল অসুরকে। কোঁকড়ানো চুল। নেগ্রয়েড। কি রেসিস্ট ! কিন্তু এটাই প্রোটোটাইপ।

    আর প্রচলিত রুপকথা খুঁজলে কতো কতো যে পোলিটিক্যালি ইনকরেক্ট ছবি আর গল্পো পাওয়া যাবে, তার ইয়ত্বা নেই।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৩২46157
  • একটা সময় এগুলো নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা করতামঃ কেন ফিজিক্সের প্রফেসর হাতে আংটি পরবেন, ভালো ডাক্তার বড় অপারেশনের আগে কালিঘাটে গিয়ে পূজো দেবেন এইসব। ভাবতাম পৃথিবী এইমাত্র রসাতলে গেলো বোধ হয়। এখন, বুড়ো হচ্ছি তো, মনে হয় ওটা পসন্দ আপনা আপনা। যেটা মানুষকে আত্মবিশ্বাসের টিকিট দেয়, ভ্যাটিকানের মাদুলি থেকে সত্যনারায়ণের চন্নামেত, (যদি সেই পার্সোনাল টিকিটটা আমাকে গছাবার আপ্রাণ চেষ্টা না করেন),তাতে আপত্তির কোনো কারণ দেখি না।
  • aka | 76.168.176.47 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৪46173
  • মামদো ভুতের ছবি দেখলে আফ্রিকার কথা মনে হয়। এমনকি ভারতীয় বইতে ভুতের ছবি মানেই কালো, কেউ লম্বা, কেউ বেঁটে, কেউ সরু, কেউ মোটা। এক ব্রহ্মদত্যি সাদা কাপড়ে ঢাকা।
  • pinaki | 93.180.243.109 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:৫০46174
  • হ্যাঁ, বাংলা রূপকথা নিয়ে প্রচুর গদগদ হয়ে কিছু লিখে থাকলে সেটা নিয়ে আমার দ্বিমত থাকবে। আরো বহু কিছু নিয়েই হয়তো দ্বিমত থাকবে। কথাটা সেটা নয়। আমি যেটা বলতে চাইছি সেটা হল দেবু দত্তগুপ্ত তো শুধু রূপকথা নিয়ে লেখেন নি। অনেক কিছু নিয়ে লিখেছেন। এবং এই অনেক ধরণের লেখায় আমার যেটা মূলতঃ ভালো লাগত সেটা হল ওনার সিনসিয়ারলি খেটে লেখার ইচ্ছে। ওনার লেখাগুলো বিভিন্ন ইস্যুতে বামপন্থী অ্যাকটিভিস্টদের তথ্য আর যুক্তি সরবরাহ করত। পপুলার যুক্তিকে বা মিথ হয়ে যাওয়া মিথ্যেগুলোকে তথ্য আর পাল্টা যুক্তি দিয়ে চ্যালেঞ্জ করা - এটা খুবই ঝরঝরে আর বলিষ্ঠভাবে করতেন ভদ্রলোক। ওনার লেখাকে সাহিত্যের জায়্গা থেকে বা খুব অবজেক্টিভ নিরাসক্ত প্রবন্ধ হিসেবে মূল্যায়ন করতে গেলে ভুল হবে। ওনার একটা স্পষ্ট রাজনৈতিক বিশ্বাস ছিল। সেটার জায়গা থেকেই লিখেছেন, সেটাকে এস্টাব্লিশ করার জন্য। কিন্তু সেভাবে লিখলেও অনেকে কেবলই রেটোরিকের বাইরে বেরোতে পারেন না। ওনার লেখা সেদিক থেকে অনেকটাই অন্যরকম। অন্ততঃ ঐ সময়ে আমরা যে ধরণের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখা বা বই হাতে পেতাম তার নিরিখে। এটা আমার মত। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর বক্তৃতা, ক্যাম্পেন, লেখায় ওনার বই এর সাহায্য নিয়েছি। এইটুকু কৃতজ্ঞতা না জানালে অন্যায় হবে।
  • π | 172.129.44.87 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:০২46175
  • এই বইটা পড়া তো মাস্ট ছিল। পিনাকীদাই বোধহয় আমায় দিয়েছিলে ঃ)
  • | 60.82.180.165 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:০৫46176
  • বেম্মোদত্যি জাতে বামুন ,ভুত হলেও তার জাতি আলাদা। তার কেলোকুলো না হওয়াই স্বাভাবিকঃ)
    আরো কালোর সঙ্গে আদি থেকেই একটা ভয় জড়িয়ে আছে। অন্ধকারের রং কালো- ভয়ানক যা কিছু তা কালোর সঙ্গে রিলেট করা সে সময়ের নিরিখে অন্তত অস্বাভাবিক কিছু নয়।
  • | 24.97.237.44 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:২০46177
  • যাঃ উত্তর নাই। :-(
  • | 127.194.85.45 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৫:৩৩46178
  • বই গুলো পাওয়া যায়। পিনাকী, পাই?
  • π | 172.129.44.87 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৬:১৯46179
  • আমার বাড়িতে থাকার কথা। কিন্তু দোকানেও তো পাওয়া যাওয়া উচিত।
  • Blank | 69.93.246.112 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৭:৪৯46180
  • অক্ষদা/পিনাকী দা
    টিনটিনের কেসে ঐ উদাহরন কিন্তু একটাই। ১৯৩০ তে লেখা কঙ্গোয় টিনটিন। তার পরবর্তী টিনটিন সম্পুর্ন আলাদা।
    ষাটের দশকের আর এক বিখ্যাত কমিক্স অ্যাসটেরিক্স - সেখানে রোমান সৈন্যদের মধ্যে সাদা কালো সবাই সমান ভাবে আছে, (যদিও সবাই গল দের হাতে ক্যাল খায়) - এগুলো বোঝায় যে দেবু বাবুর বহু আগে সাদা কালো জগৎ পাল্টানো শুরু হয়েছে।
    এখন কেউ যদি টিনটিন পড়ে বলে টিনটিন মাত্র ই রেসিস্ট একটা কমিক্স, সেই পড়ে ছোটদের শৈশব ইসে হচ্ছে, তাহলে কিছু আর বলার নেই (তার ওপর যদ্দুর সম্ভব দেবু বাবুর সময় কঙ্গোয় টিনটিন ব্যানড ছিল। ওনার পড়ার চান্স কম)।
    আর এই ৮০ র দশকের সময় - তখন তো আমাদের স্কুল বেলা। আমরা পড়তাম প্রহেলিকা সিরিজ, দেব সাহিত্য কুটিরের গা ছমছমে সব গপ্প - অ্যাকশান, অ্যাডভেঞ্চার মেশানো। দেবু বাবুর যদি ধারনা হয় যে ছোটরা যুগ যুগ ধরে ঠাকুমার ঝুলি পড়তো, হঠাৎ আয়রন ম্যান হাতে পেয়ে বদলে গেলো - তাহলে কি আর বলবো ঃ)
  • Blank | 69.93.246.112 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৭:৫১46181
  • ১৯৩৪ এ পাবলিশড টিনটিনের নীলকমল, অবশ্যই পড়ে দেখা উচিৎ। যদি কেউ মনে করে যে টিনটিন রেসিস্ট।
  • Blank | 69.93.246.112 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:০৩46182
  • আর এই দেবু দত্তগুপ্তের টাইম লাইন জানি না কিন্তু ৮০ র দশকে ডিসি কমিক্স পাবলিশ করছে অ্যামেজিং ম্যান - কালো সুপারহিরো। তার আবার সাদা গার্লফ্রেন্ড ও আছে।
    মার্ভেলের আছে ব্লেড। যাকে নিয়ে পরে হলিউড মুভি হয়েছে।
    পাশাপাশি আছে জাস্টিস লীগের লাইটনিং বা আরো এক গুচ্ছ ব্ল্যাক হীরো।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৩১46183
  • আরে টিনটিন ইন কঙ্গো তো ব্লেটান্টলি রেসিস্ট। এতই রেসিস্ট যে ব্যানের দাবী টাবী ওঠে। কিন্তু বাকি অনেক টিনটিনে যথেষ্ট প্রকট ও প্রচ্ছন্ন রেসিজম ভর্তি। টিনটিন ইন অ্যামেরিকাতে সেই রেসিস্ট স্টিরিওটাইপ আছে।
  • Atoz | 161.141.84.239 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৩৩46184
  • ষাটের দশকের টিভি সিরিজ স্টার ট্রেক (ওরিজিনাল সিরিজ), তখন সবে ইন্টিগ্রেশন শুরু হয়েছে সাদা কালো সমান অধিকারের ব্যাপারে একটু একটু করে এগোচ্ছে সব। এই সিরিজে মূল চরিত্রগুলো ক্যাপ্টেন কার্ক, ডক্টর ম্যাককয়, মিস্টার স্পক(ইনি পৃথিবীর নন, এলিয়েন, একজন ভালকান), মিস্টার স্কট--এরা সবাই শ্বেতাঙ্গ, কিন্তু লেফ্টন্যান্ট কমান্ডার উহুরা একজন কৃষ্ণাঙ্গী মহিলা, এটা একটা বিরাট ব্যাপার ছিল সেই যুগে। তারপরে স্টার ট্রেকের পরের যেসব সিরিজগুলো হয়েছে তাতে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। কৃষ্ণাঙ্গ ভালকান চরিত্রও এসেছে। এই পরিবর্তন শুরু হয়েছে অনেক আগেই।

    আর ৮০ এর দশকে আমাদের যখন ছোটোবেলা তখন সত্যি বলতে কী রূপকথা বলতে মোটেই ঐ সুয়োরাণী দুয়োরাণী পড়তাম না আমরা, বরং তখন শুকতারায় বেরোতো ফ্রান্সিসের অভিযান, তারপরে আনন্দমেলায় থাকতো সন্তু কাকাবাবুর দেশে বিদেশে নানা অভিযান, তখন ফেলুদার নানা অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি বেরোতো, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞানে থাকতো অদ্রীশ বর্ধনের সৃষ্ট চরিত্র নাট বল্টু চক্রের নানা কাহিনী, থাকতো সমরজিৎ করের ডঃ বাসু কেন্দ্রিক নানা গল্প, থাকতো সঙ্কর্ষণ রায়ের নানারকম ভূতত্ত্ব ভিত্তিক গল্প।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৩৫46185
  • আমি এই ভদ্রলোকের লেখা পড়িনি। কিন্তু আমাদের (শুধু সাদাদের না) সাহিত্যে, বাচ্চাদের গল্প উপন্যাসে স্টিরিওটাইপ, রেসিসম, এগুলো ভর্তি। এবার হ্যাঁ ইগনোরে করে পড়াই যায়। কিন্তু পড়ার সময় ক্রিটিকালি না পড়ার কোনো কারণও পাই না। মারভেলে যেমন আছে অমর চিত্রকথাতেও আছে।
  • Atoz | 161.141.84.239 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৩৫46186
  • তবে ম্যান্ড্রেক সিরিজ নিয়ে আমার চিরকালের আক্ষেপ, কেন কার্মা ম্যান্ড্রেকের বান্ধবী হলো না আর কেন নার্দা লোথারের বান্ধবী হলো না। ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.239 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৩৯46187
  • অরণ্যদেব সিরিজেও বারে বারে আক্ষেপ লাগে মজ খুড়ো ভাইজি টাইজি কেউ কি নেই যে অরণ্যদেবের বান্ধবী ও বৌ হবে? তা না, অরণ্যদেব কেবলই "ডায়না আমার ডায়না/ তোমার কাছে কেন যাওয়া যায় না?" এই বলে টিনেজ থেকেই কাঁদতে থাকে। ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.239 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৮46188
  • আরে আমাদের রামায়ণ মহাভারত এও তো রেসিজম আর রেসিজম! ভিলেনরা সব রাক্ষস, দৈত্য, দানব আর নায়কেরা সব দেবতা, তুলসী চন্দনে চিত্রিত। নায়কেরা ভুলিয়ে ভালিয়ে মহিলাদের নিয়ে গেলে সেটা হলো আনন্দলীলা আর ভিলেনেরা নিয়ে গেলে ভীষণ ব্যাপার, যুদ্ধ করে তার ঝাড়েবংশে নিধন করা হয়।
  • Blank | 69.93.246.112 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৮46189
  • সেই টাতেই তো আমার আপত্তি। যুগ যুগ ধরে রাজপুত্তুর, কোটালপুত্তুর পড়ে আমরা সুখে ছিলাম - হঠাৎ অরন্যাদেব, ফ্ল্যাশ গর্ডন এসে আমরা বখে গেলাম - এই টা শুনলেই ইসে লাগে।
    টিনটিন ইন কঙ্গোর পরে টিনটিনের চরিত্র খুব ই পাল্টেছে। আমেরিকায় টিনটিনের ঐ জায়্গাটাতো অসাধারন। যেখানে তেলে খনি পাওয়ার পর সব আমেরিকান বিজনেস ম্যান রা এসে টিনটিনকে টাকা দিতে চাইবে আর যেই শুনবে জায়গাটা রেড ইন্ডিয়ানদের- অমনি তাদের ধরে বার করে দিয়ে জায়গাটা দখল করবে।
  • Atoz | 161.141.84.239 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৫১46190
  • আমি একটাও ফ্ল্যাশ গর্ডন পড়তে পাইনি, কেবল নাম শুনেছি। এটা কীরকম গল্প ব্ল্যাংক? এলিয়েনদের?
  • Blank | 69.93.246.112 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৮:৫৫46191
  • মিং নামে এক ভিলেন এক গ্রহের রাজা। তার সাথে যুদ্ধ সারাক্ষন।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন