এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জিন-প্রযুক্তি, হাইব্রিড শস্য ইত্যাদি

    Saikat Bandyopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ | ১০৯৩৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • জিন প্রযুক্তি ঠিক আজকের ব্যাপার নয়। যদি ডারউইনের কথা ঠিক হয়, তো আজকের নানা প্রজাতির কুকুর মানুষের দীর্ঘদিনের সচেতন 'নির্বাচন'এর ফল। যদি ডায়মন্ড বা হারারের কথা ঠিক হয়, তো আজকের খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে ফলমূল সবই একই ভাবে গবেষণালব্ধ কাজকর্মের ফল। এবং এই গবেষণা খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে খ্রিষ্টজন্মের আগেই শেষ হয়ে যায়। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ আর নতুন কোনো খাদ্যশস্য তৈরি করতে পারেনি। এই খাদ্যশস্যগুলি, অর্থাৎ, ধান বা গম, প্রাথমিক অবস্থায় একেবারেই আজকের শস্যের মতো ছিলনা। ছিল ঘাসের বীজের মতো। তা থেকে জীববৈজ্ঞানিক কারিকুরি করে বানানো হয়েছে আজকের নানা প্রজাতির ধান বা গম। হাজার-হাজার বছর আগে এই গবেষণা ঠিক কীরকম ছিল সঠিক ভাবে বলা অসম্ভব, তবে মধ্যপ্রাচ্যে সত্যিই আবিষ্কৃত হয়েছে এক প্রাগৈতিহাসিক বীজরক্ষণাগার। জেরাড ডায়মন্ড যা বলেছেন, তাতে গবেষণার পদ্ধতি ছিল মোটামুটি এই, যে, মানুষের চারপাশে যে অজস্র প্রজাতির ঘাস ফলত, তার থেকে সংগ্রহ করা হত বীজ। সেই হাজার-হাজার বীজ থেকে বেছে নেওয়া হত কয়েকটি পছন্দসই বীজ। তা থেকে নতুন ঘাস গজালে আবার বেছে নেওয়া হত আরও কিছু অধিকতর পছন্দসই বীজ। এবং এইভাবে সমস্ত ঘাস নিয়ে গবেষণার পর কোনটা খাদ্য হতে পারে সে নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যেত। এটি, আন্দাজ করা যায়, একদম প্রাথমিক প্রক্রিয়া, তারপর ক্রস-ব্রিডিং এর মতো জটিল গবেষণা সম্ভবত চলেছে হাজার বছরের মাপে, যার ফলে আমরা পেয়েছি বাসমতি থেকে কালোজিরা, নানারকম উৎকৃষ্ট চাল।

    ফলের উৎপত্তিও এর চেয়ে আলাদা কিছু না। গ্রিক বা রোমান আমলের আপেল বা চেরি, আজকের চেয়ে অনেক অন্যরকম ছিল। নিপুণ ভাস্করের মতো তার রূপ বদলে আজকের আকার এবং স্বাদে নিয়ে এসেছেন প্রাচীন বিজ্ঞানীরা। বস্তুত ভারতবর্ষের অভিজ্ঞতাও এর চেয়ে আলাদা কিছু না। সুমিষ্ট নানা ধরণের আম সম্ভবত গবেষণারই ফসল। শুধু নির্বাচনের উপর ভরসা করা নয়, পুরোনো মালীরা কলম বা জোড় কলমের মতো জটিল প্রযুক্তিও জানতেন, আমাদের জীবৎকালেই তা আমরা দেখেছি বা শুনেছি।

    কাজেই জিন প্রযুক্তি একেবারে হাল-আমলের জিনিস তা নয়। আধুনিক 'বিজ্ঞান' এসে নতুন করে আবিষ্কার করেছে তাও নয়। এই প্রযুক্তি বহু মানুষের বহু হাজার বছরের সাধনার ফসল এবং এর মালিকানা কারো হাতে ছিলনা। গোটা মানবজাতিই এর ফল ভোগ করেছে। কারণ এই প্রযুক্তির একটি লক্ষ্য ছিল এই, যে, বারবার যেন চাকা পুনরাবিষ্কার করতে না হয়। অর্থাৎ একবার কেউ বাসমতির বীজ নিয়ে গিয়ে চাষবাস করলে পরেরবার যেন সে নিজের বীজ নিজেই বানিয়ে নিতে পারে, একশ মাইল ঠেঙিয়ে আবার কোনো 'বিশেষজ্ঞ'র কাছে চাইতে যেতে না হয়। আমের বাগান থাকলে এবং কলমের বিদ্যা অর্জন করলেই যেন নতুন গাছ থেকে পুরোনো গাছ বানিয়ে নেওয়া যায়। অর্থাৎ সম্পদ এবং জ্ঞানের অবাধ বিতরণ এবং বিচরণের একটি দর্শন এই প্রযুক্তির অংশ ছিল -- দর্শন বিহীন বিশুদ্ধ কোনো জ্ঞান হয়না।

    বিংশ শতকের 'বিজ্ঞান' এসে এই দীর্ঘদিনের কৃষি সংক্রান্ত জিন-প্রযুক্তিতে খুব হাতিঘোড়া পরিবর্তন কিছু ঘটিয়ে ফেলেছিল এমন না, অন্তত লিওন্তিন যা বলছেন। বদলেছে কিছু পদ্ধতি, আর অতি অবশ্যই দর্শনটুকু। খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে বিংশ শতকের নতুন বাজওয়ার্ড হল হাইব্রিড শস্য। হাইব্রিড শস্য বানানোর একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে, এই হাইব্রিড শব্দটিই সেই পদ্ধতির সূচক। সাধারণভাবে একটি খাদ্যশস্যের বীজ থেকে আবার গাছ তৈরি করলে গাছটি তার পিতা/মাতার বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই জন্মায় (বেঁটে, মোটা, সুস্বাদু ইত্যাদি)। হাইব্রিড পদ্ধতিতে এরকম দুটি পুনরুৎপাদন-সক্ষম ঘরানার শস্যকে আলাদা করে নিয়ে তাদের দীর্ঘদিন ধরে নিজের পরাগসঞ্চার করানো হয়। তারপর দুটির মধ্যে ক্রস-ব্রিড বা কাটাকুটি-প্রজনন করিয়ে নতুন বীজ তৈরি করা হয়। দুটি আলাদা ঘরানা নিজেরা আলাদা করে দারুন কিছু ফসল তৈরি করতে পারে তা নয়, কিন্তু এদের যোগফলটি হয় উচ্চফলনশীল বা উচ্চগুণসম্পন্ন। যেকোনো দুটি ঘরানার মধ্যে কাটাকুটি করলেই এরকম হবে তা নয়, কেবলমাত্র কিছু ঘরানার জুড়ির ক্ষেত্রেই এটা সম্ভব। এই জুড়িগুলিকে বেছে নেওয়াই হল গবেষণা। এই পদ্ধতির ফলাফলে চিরাচরিত বহু-হাজার বছরের বিপরীতে একটি জিনিস হয়। তা হল, একবার ফসল ফললে, তা থেকে আবার উচ্চফলনশীল বীজ তৈরি করা যায়না। বীজ অবশ্যই তৈরি করা যায়, কিন্তু সেই বীজ তার গুণাগুন এক বা একাধিক প্রজন্মে দ্রুতগতিতে হারাতে থাকে।

    অর্থাৎ, এই পদ্ধতি হয়তো উচ্চফলনশীল ফসলের জন্ম দেয়, কিন্তু চিরাচরিত প্রযুক্তির যে চাকা পুনরাবিষ্কার না করার ধারণা, সেটিকে এতে বিসর্জন দিতে হয়। অর্থাৎ, যে চাষী এই ফসল ফলাবে, সে চিরকালের জন্যই এই ফসলের বীজের জন্য কোনো বিশেষজ্ঞর কাছে ঋণী হয়ে থাকবে। বারবার তাকে যেতে হবে বীজের 'আবিষ্কর্তা'র কাছে। নিজের বীজ নিজে উৎপাদন করার অধিকার থেকে সে বঞ্চিত হবে। অর্থাৎ প্রযুক্তির সঙ্গে এতদিন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিল জ্ঞানের অবাধ বিতরণ এবং বিচরণের যে দর্শন, নতুন 'বিজ্ঞান' এসে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে চাষীর ক্ষেতের বাইরে বার করে দিল। কৃষির ক্ষেত্রে জন্ম নিল 'কপি প্রোটেকশন', যে বস্তুর সঙ্গে সফটওয়্যার বা বিনোদন-শিল্পের কারণে আমরা সকলেই জড়িত। যখন সফটওয়্যার ছিলনা, তখনও বিনোদন ছিল, এবং বিগত হাজার হাজার বছর ধরে গান-সাহিত্য-শিল্প রচিত হয়েছে। তাদের প্রতিলিপিকরণের বিরুদ্ধে কোনো আইন ছিলনা, কপিরাইট নেহাৎই হাল আমলের ধারণা। কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে কপি-প্রোটেকশন আরও পরে আসে। কিন্তু উভয়ের দর্শন একই। জ্ঞানের অবাধ বিচরণের সঙ্গে প্রযুক্তি আড়ি করে দেয় বিংশ শতকের 'বিজ্ঞান' এর যুগে। এর পক্ষে তৈরি হয় নানা যুক্তি। যেমন, যারা বিনিয়োগ করছে গবেষণায়, তাদের তো মুনাফা উঠে আসতে হবে, ইত্যাদি। এইটাকে, অর্থাৎ বাজারকেই একমাত্র এবং চিরস্থায়ী সত্য বলে তুলে ধরা হয়। যেন এই শিল্পবিপ্লব-চালিত যুগেই এই 'বিজ্ঞান' এর আবির্ভাব হল। তার আগে বিগত হাজার-হাজার বছর ধরে জিন প্রযুক্তি ছিলনা, ধান-গম-আপেল-কলা-আম সব প্রকৃতির দান। এ অনেকটা ঈশ্বর ছয়দিনে পৃথিবী তৈরি করেছেন উপকথার মতো। তবে এই উপকথাটি ধর্মীয় নয়, 'পুঁজিবাদী' এবং 'বৈজ্ঞানিক'।

    মনে হওয়া স্বাভাবিক, যে, এই নতুন পদ্ধতিটি জিন প্রযুক্তির জগতে একটি বিরাট লাফ। যে লাফের জন্য এইটুকু দাম তো দিতে হবেই। ১৯৯১ সালে লিওন্তিন লিখছেন, সত্যিই ভালো বা উচ্চফলনশীল ফসল উৎপাদনের জন্য হাইব্রিডই একমাত্র পদ্ধতি সে নিয়ে হয়তো তিরিশ বছর আগেও কেউ তর্ক করতে পারতেন। কিন্তু অন্তত তিরিশ বছর ধরে জানা আছে, সেটা সত্যি নয়, বাজারি মিথ মাত্র। অর্থাৎ ষাটের দশক থেকেই জানা আছে, যে, হাইব্রিড পদ্ধতি মোটেই উন্নততর কোনো পদ্ধতি নয়। চিরাচরিত 'নির্বাচন' পদ্ধতি একই মানের ফসল তৈরি করতে সক্ষম। সমস্যাটা প্রযুক্তির নয়, সমস্যাটা হল কেউ সেই গবেষণায় বিনিয়োগ করেনা। বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা করেনা। এমনকি আমেরিকা ও কানাডায় পাবলিকের পয়সায় যে সরকারি গবেষণা হয়, সেখানেও হাইব্রিডেরই জয়জয়কার। স্রেফ বাণিজ্যিক স্বার্থ একটি 'সত্য' উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে, যে, হাইব্রিড মানেই 'উন্নততর'। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্তোত্রের মতো পড়ানো হয় এই 'সত্য' এবং গবেষকরা, পরবর্তী প্রজন্মের 'বিশেষজ্ঞ'রা এই 'বিজ্ঞান বলেছে' প্রকল্পের অংশ হয়ে যান। ইতিহাসবিস্মৃত এই প্রজন্ম বিজ্ঞান নামক এই স্তোত্রে বিশ্বাস অর্পণ করে।

    বলাবাহুল্য, যে কোনো আলখাল্লাই চাপানো হোক না কেন, এই মিথ কেবল মিথই। লিওন্তিন বলছেন। তিনি বলেননি, কিন্তু তাঁর কথা ঠিক হলে এই সিদ্ধান্তে আসাই যায়, যে আদতে উন্নততর কোনো কিছু নয়, বাণিজ্যিক স্বার্থ নিজেই একটি দর্শন, তার খাতিরে চিরাচরিত 'জ্ঞানের অবাধ বিচরণ' এর দর্শনটিকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে, এবং কেবল স্বার্থের দর্শনের কারণেই এই নতুন পদ্ধতির প্রচলন। সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে স্বার্থের দর্শনটি সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল, এবং মুক্ত-সফটওয়্যার আন্দোলন চালুও হয়েছে। কিন্তু বীজ, ফসল, সব্জি, মুর্গি -- যেখানেই খাবার-দাবারের পুনরুৎপাদনের প্রশ্ন, সেখানে 'বিজ্ঞান' এবং 'বাজার' এই দুই 'সত্য' এর আড়ালে বাণিজ্যিক স্বার্থ তার নিজ্স্ব মিথ এখনও চালু রেখেছে। জৈব চাষের জনপ্রিয়তা কিছু বেড়েছে, বাড়ছে, কিন্তু কপি-প্রোটেকশনহীন মুক্ত বীজের সমবায় আন্দোলন এখনও পৃথিবী দেখেনি।

    পুঃ এই লেখক একটুও জেনেটিক্সের লোক নন। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ইতিহাসটুকু লেখা জরুরি মনে হওয়ায় এই নিবন্ধটি লেখা। একটু তাড়াহুড়ো করেই। বানান বা বাক্যগঠন ভালো করে দেখা হয়নি, ভুল থাকলে মার্জনীয়। জেনেটিক্সে পন্ডিত ও ইতিহাসাগ্রহী যে কেউ বিশদে এই নিয়ে কাজ করলে খুবই ভালো ব্যাপার হয়। এখানে জেনেটিক্সের তথ্য অবশ্য বানিয়ে লেখা নয়। হাইব্রিড শস্য সম্পর্কিত তথ্যগুলি কিংবদন্তী প্রতিম রিচার্ড লিওন্তিনের 'বায়োলজি অ্যাজ আইডিওলজি' গ্রন্থ থেকে নেওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষণগুলি বর্তমান লেখকের।
    প্রসঙ্গত লিওন্তিন যে সময়কালের কথা লিখেছেন, সে সময়ের রাজনীতিও খুবই আকর্ষণীয়। খুব কাছাকাছি সময়ে, বামপন্থী কৃষিবিদ হেনরি ওয়ালেস ছিলেন রুজভেল্টের উপরাষ্ট্রপতি। যে তিনজন বাম বা র‌্যাডিকাল ঘরানার মানুষের সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, ওয়ালেস তাঁদের মধ্যে একজন (বাকি দুজন হলেন ববি কেনেডি এবং বার্নি স্যান্ডার্স)। ওয়ালেসের কৃষি সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গী, বলাবাহুল্য বাণিজ্যিক বহুজাতিক দৃষ্টিভঙ্গীর চেয়ে একেবারে আলাদা ছিল। হয়তো সমাপতন নয়, যে, কৃষি সংক্রান্ত এইসব 'সত্য' যখন নির্মিত হচ্ছে, প্রায় তখনই ওয়ালেসের পতন হচ্ছে, তিনি মুছে যাচ্ছেন, মুছে দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক চালচিত্র থেকে। এসব বইয়ে পাওয়া যাবেনা। হয়তো পরে কখনও লিখব। কিন্তু এই ইতিহাস অন্যত্রও পাওয়া যায়। বীজের ইতিহাসের সঙ্গে যে কেউ দিনক্ষণ মিলিয়ে নিজেই পড়ে নিতে পারেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ | ১০৯৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:২৪48053
  • জিন প্রযুক্তি নিয়ে আপত্তিটা বুঝলামনা। জিন এডিটিং অবশ্যই একটা জিন প্রযুক্তি, যা হাইব্রিডকরণের থেকে বা মানবিক নির্বাচনের থেকে আলাদা। কিন্তু হাইব্রিড কেন জিন-প্রযুক্তি নয়, সেখানে জিন ছাড়া আর কী বদলায়, বিশদ করলে ভাল হত। আমার দিক থেকে ওটা ডেলিবারেট প্রয়োগ। কারণটা আর ব্যাখ্যা করলামনা।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩১48054
  • হাইব্রিড কেন জিন প্রযুক্তি নয় এ প্রশ্নের আর কি উত্তর দেব? বলাই যেতে পারে, তাতে সমস্যাও কিছু নেই। কিন্তু যখন জিন প্রযুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন বা বক্তব্য ইত্যাদি প্রভৃতি বলা হয় তখন অত জেনেরালাইজড অর্থে জিন প্রযুক্তি আদৌ বোঝানো হয় না, স্পেসিফিক্যালি সরাসরি বায়োকেমিক্যালি জিন এডিটিং কেই বোঝানো হয়।

    তাই "জিন প্রযুক্তি ঠিক আজকের ব্যাপার নয়।" কিম্বা "কাজেই জিন প্রযুক্তি একেবারে হাল-আমলের জিনিস তা নয়। আধুনিক 'বিজ্ঞান' এসে নতুন করে আবিষ্কার করেছে তাও নয়। " --- এই কথাগুলো সম্পূর্ণ অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এই উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যের বাক্যগুলোয় জিন প্রযুক্তি বলতে যা বোঝানো হয়েছে, আর তুমি যে অর্থে ব্যবহার করছ তা এক নয়।

    মুশকিলটা হল লিওন্তিন এটা লিখছেন একটা স্পেসিফিক কন্টেক্সট এ, সেই কন্টেক্সট হল তথাকথিত 'ন্যাচারাল' এর কনসেপ্ট। মানে জিন এডিটিং এর বিরুদ্ধে অনেকরকম বক্তব্যের মধ্যে প্রায়ই এই ছাগল টাইপ বক্তব্যটা শোনা যায় যে 'এইটা ন্যাচারাল নয়, তাই খারাপ'। লিওন্তিন তাই বলছেন যে ট্র্যাডিশনাল হাইব্রিডাইজেশনও 'ন্যাচারাল' নয়, এবং সেটাও শেষত জিন পুলই পালটানো হচ্ছে। তুমি সেই কন্টেক্সট থেকে ছিঁড়ে এনে লেখায় এখানে এটা অর্থহীন straw man argument হয়ে গেছে।
  • স্বাতী রায় | 781212.194.6745.134 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৪৫48055
  • @ Ishan's-friend সিগনিফিকেন্ট ডেভেলপমেন্ট এফোর্ট দিলে তো আমার তৈরি সফটওয়ার কে বাণিজ্যিক করা যায়, তাই না? আজকের দিনে অনেক বাণিজ্যিক সফটওয়ার-ই তার সহায়ক কাজের জন্য ওপেন সোর্স প্যাকেজ ব্যবহার করে। বড় কোম্পানীতে সে সব প্যাকেজের লাইসেন্স ইভ্যালুয়েট করার জন্য আগে তাদের লিগাল ডিপার্টমেন্টের পারমিসন নিতে হয় - তারা লাইসেন্স খতিয়ে দেখে বলে যে সেটা ব্যবহার করা যাবে কিনা।
    লাইসেন্সের তারতম্যে সেটা আমি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার নাও করতে পারতে পারি। এগ্রীড। কিন্তু যার লাইসেন্স সেটা মেনে নেয় সেটা ব্যবহার করাও যায় - যদিও তার প্রস্তুতকর্তার তার জন্য কোন লাভ হল না, কিন্তু আমার হল। বলতে পারেন তার প্রস্তুতকর্তা তো সেটা জেনে বুঝেই অমন লাইসেন্স দিয়েছেন। তাহলে তার কি সমস্যা। না সমস্যাটা ঠিক তার নয়। তবে আমার মনে হয় এখানে একটা দর্শনগত সমস্যা আছে। একজনের শ্রমের ফল ব্যবহার করে আরেকজন (যদিও নিজের শ্রম যোগ করেছেন ) প্রভূত লাভ করছে , অথচ প্রথমজন তার ভাগ পাচ্ছেন না, এটা ঠিক ন্যায্য মডেল না। মতামত ব্যক্তিগত অবশ্যই।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:১১48056
  • বায়োকেমিক্যাল জিন এডিটিং অর্থে জিন প্রযুক্তি অবশ্যই খুবই অল্পদিনের ব্যাপার। হাইব্রিডাইজেশন ও ফেনোটাইপ সিলেকশন চলে আসছে কমবেশি দশ হাজার বছর। কিন্তু সেই দীর্ঘ সময়কালে কেউ কখনোই ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিসের ডিএনএ স্ট্র্যান্ড থেকে একটা অংশ তুলে নিয়ে ভুট্টা গাছের বা কার্পাস তুলোর গাছের ডিএনএ তে ইনসার্ট করেনি যাতে গাছগুলো নিজেরাই ওই ব্যাক্টিরিয়াটার মত ডেল্টা-এন্ডোটক্সিন তৈরি করতে শুরু করে। জিনোম নিয়ে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে করার এই খেলা সায়েন্টিফিক্যালি খুবই এক্সাইটিং সন্দেহ নেই, কিন্তু খোলা জমিতে uncontrolled environment এ সেই চাষের সম্ভাব্য বিপদের সাথে ট্র্যাডিশনাল হাইব্রিডাইজেশন পদ্ধতির কোন তুলনাই চলতে পারে না।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:১৯48057
  • আর হ্যাঁ, "কিন্তু কপি-প্রোটেকশনহীন মুক্ত বীজের সমবায় আন্দোলন এখনও পৃথিবী দেখেনি।" এ প্রসঙ্গে বলার ---
    ভারতেই সমবায় ধানের বীজ ব্যাঙ্ক আছে। দেবলদার বসুধা, পিনাকীদা দেবলদার কথা লিখল ওপরে, কিন্তু সমবায় বীজ ব্যাঙ্কের কথা উল্লেখ করেনি, অনেকেই হয়ত জানেন না তাই লিখলাম।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:২৩48058
  • বসুধা থেকে যে কোন চাষী যা যা ধানের বীজ বসুধায় আছে তার থেকে যেকোন বীজ বেছে নিতে পারেন ( খুব বেশী পরিমাণে পাওয়া যায় না, কিন্তু অল্প জমিতে চাষের জন্যে যথেষ্ট ), কোন দাম লাগে না। শুধু শর্ত হচ্ছে পরের মরসুমের আগে সমপরিমাণ বীজ বসুধায় ফেরত দিয়ে যেতে হয়।

    ফলত ব্যাঙ্ক শব্দটা আসলে বসুধার প্রতি অবিচার, সংগ্রহশালা বলা উচিৎ। মানেটরি ট্রাঞ্জাকশনের সঙ্গে দূরদূরান্তেরও সম্পর্ক নেই।
  • Ishan's-friend | 230123.94.0178.60 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৪১48042
  • Is this true for any and all "cross-bred" seeds? I don't see a biological reason why this should be so. Sounds strange to me. What is the mechanism, biologically, through which this happens?
  • sm | 2345.110.014512.103 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৪১48059
  • এই আধুনিক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কিন্তু খুব নতুন নয়।রেকমবিনান্ট ডি যেন এ টেকনোলজি প্রথম প্রয়োগ হয় 1972 সালে।এর পরই ধাপে ধাপে আসে রেকমবিনান্ট ইনসুলিন,রেকমবিনান্ট ভ্যাকসিন,জিন থেরাপি।
    এগুলো ছাড়া মডার্ন চিকিৎসা বিজ্ঞান অচল।কোটি কোটি মানুষ ইনসুলিন,ভ্যাকসিন ইউজ করছে,যা কিনা এই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফসল।
    সুতরাং এথিকালি এই জিনিস তো চালু আছেই।
    তবে কি না জীব,জন্তু উদ্ভিদের ওপর এই কারিগরি বুমেরাং হয়ে আসতেই পারে।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫২48060
  • না। লিওন্তিন পুরো বইটাই লিখেছেন 'বায়োলজি' নামক 'বিজ্ঞান' এর আইডিওলজি নিয়ে। আমারও ফোকাস একেবারেই সেখানে। 'বিজ্ঞান' এমন দেখাচ্ছে, যেন জিন-প্রযুক্তি তারা আবিষ্কার করেছে। (প্রযুক্তি মানে টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং নয়। ইঞ্জিনিয়ারিং বললেও ক্ষতি কিছু হতনা, কিন্তু সেটা একটা সংকীর্ণতর অর্থে ব্যবহার করা হয়, তাই বললাম না)।

    উল্টো দিকে আমার আর্গুমেন্ট একেবারে স্পষ্ট। যে, এই প্রযুক্তি 'আধুনিক বিজ্ঞান' এর আবিষ্কার নয়। হাইব্রিড পর্যন্ত তো নয়ই। আমি জিএমও তে ঢুকিনি। কিন্তু ঢুকলেও, সেটাই জিন প্রযুক্তি, আর আগেরগুলো নয়, এই কথার কোনো মানে নেই। যদিও আমাদের ভাবতে এইভাবেই শেখানো হয়, যে, পুরো প্রযুক্তিটাই 'আধুনিক বিজ্ঞান'এর। এর কোনো ইতিহাস ভূগোল নেই। বিগ ক্যাপিটাল এই আইডিওলজির চর্চা করে। আমি এই আইডিওলজির বিরোধিতা।

    ফলত 'জিন-প্রযুক্তির বিরোধিতা' করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রেমাইস আলাদা হয়ে যায়। আমার কাছে সমস্যাটা শুধুই বিগ ক্যাপিটালের নয়, আমার কাছে সমস্যাটা গোটা আইডিওলজির। আমি জিন-প্রযুক্তির (জিএমও সমেত) সর্বাত্মক বিরোধিতার কোনো জায়গা পাইনা। আমার কাছে এই প্রযুক্তিটা মানুষের জীবনের অঙ্গ। কেবল তার যে ফোকাস, আইডিওলজিকাল ফোকাস, যেমন কপি-প্রোটেকশন, মনোপলি, ব্যক্তিলাভ এবং পুরোটাকেই 'আধুনিক' স্ট্যাম্প লাগিয়ে মার্কেট করা এইটার বিরোধী। আমি জিন প্রযুক্তি বিকশিত হোক চাই, কিন্তু এই আইডিওলজির চাদর সরিয়ে।

    খুব সোজা ভাষায় বলতে গেলে, আমি জোড়-কলম করা, হাইব্রিড ফসল বানানো, আর ল্যাবে বসে জিন সম্পাদনা করার মধ্যে কোনো চিনের প্রাচীর দেখতে পাইনা। এর একটা বিজ্ঞান, অন্যটা নয়, একটা জিন-প্রযুক্তি অন্যটা নয়, তা একেবারেই নয়। এই তফাতটা তৈরি হয়েছে আইডিওলজির ফোকাসের কারণে। আরও সহজ ভাষায় বললে কপি-প্রোটেকশনহীন, সামাজিক জ্ঞানের চর্চার সঙ্গে যুক্ত, হাইব্রিড, জিএমও কোনো কিছুতেই আমার আপত্তি নেই।

    এবার এটা খানিকটা লে ম্যান আর্গুমেন্ট হয়ে গেল অবশ্যই। কারণ বিষয়টা নিয়ে ডিটেলে আমি জানিনা। এটা আমার বিষয়ও না। কিন্তু পয়েন্টটা এটাই। এটার বিপক্ষে যুক্তি থাকতেই পারে। আছেও হয়তো। কিন্তু সেক্ষেত্রে সেটাও এসটাবলিশ করতে হবে। এটা ল্যাবে বসে জিন এডিট করে হয়, আর ওটা মাঠে বসে কলম করে, তাই দুটো আলাদা, স্রেফ এই যুক্তিটা খাটবেনা।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:১৫48061
  • আমি লিখছিলাম, স্বর্ণেন্দু তখনই মাঝের দুটো পোস্ট করেছে। সেগুলো লেখার সময় দেখিনি। এখন দেখলাম। দেখে প্রশ্নটা আরও সহজ করে বলি। একটার জিন অন্যটার ঘাড়ে বসানো তো অতি সামান্য জিনিস, কোনো একদিন যদি মেশিন দিয়ে কার্বোহাইড্রেট তৈরি করা হয়, ধান-চাল-ভুট্টা বানানো হয়, তাতেই বা সমস্যা কী।

    অবশ্যই এর প্রতিটার সঙ্গেই নানা রিস্ক আছে। নতুন ধরণের যেকোনো শস্য, যেকোনো জীবকে ইনট্রোডিউস করার সময়ই থাকে। চিরকালই ছিল। নতুন কী।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:২০48062
  • "এটা ল্যাবে বসে জিন এডিট করে হয়, আর ওটা মাঠে বসে কলম করে, তাই দুটো আলাদা, স্রেফ এই যুক্তিটা খাটবেনা।"
    যুক্তি এইটাই ধরে নেওয়া একটু বেশীই ধরে নেওয়া হয়ে গেল না? যুক্তিটা কি তার আভাস ওপরে আমার লেখাতেও আছে, আভাস হিসেবেই অবশ্য। ওই মাঠে বসে কলম করাটায় মাঠের একটা বক্তব্য আছে, সেইটাই তফাতটা। অর্থাৎ অন্যগুলোয় তুমি যাইই করছ, সেইটায় ইন্টার‍্যাক্টিং ইকোলজিটার একটা রোল আছে, say আছে। তা সত্ত্বেও অবশ্যই বহু কিছু করা যায়, ভেড়ার উল তার প্রমাণ ( ভেড়া যে প্রাণীর থেকে ডোমেস্টিকেটেড তার এই রকম উল নেই তো বটেই, ছাগলের মতই লোম গায়ে, আর বাইরের লম্বা লোম দিয়ে বিশেষ কিছু হত না, ভিতরের সরু রোঁয়াগুলোকে চেপে ফেল্ট জাতীয় জিনিস বানানো যেত, সেই থেকে আজকের লম্বা উলের ভেড়া গোটাটাই ফেনোটাইপ সিলেকশন ), কিন্তু তবুও কতদূর করা যাবে তার লিমিট আছে। যেমন ধর এই পদ্ধতিগুলো স্বাভাবিক ভাবেই স্পিসিস বাউন্ডারি ক্রস করে একমাত্র খুব কাছাকাছি স্পিসিসের ক্ষেত্রে ( কুকুর আর নেকড়ে ), নইলে নয় ইত্যাদি। এছাড়াও একটা হাইলি ইভল্ভড লাইন অফ ইভোল্যুশনের ইভোল্যুশনারি হিস্টরি একটা সিগ্নিফিক্যান্ট সেফটি নেট। যেকোন অ্যাডাপ্টেশন তা টিকে আছে মানেই সেগুলো ESS, তুমি ফেনোটাইপ সিলেক্ট করে বা ক্রসব্রিড করে টিকিয়ে রাখতে পারছ মানেও খানিক দূর অব্ধি বাধ্যত তাই, তাই লং টার্ম ড্যামেজ করে ফেলবে সংশ্লিষ্ট ইকোলজিগুলোর এ সম্ভাবনা অনেক কম । আর জিন এডিটিং এ ইকোলজি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। ল্যাবে বেসিক্যালি যে কোন রকম স্বাভাবিক ( বা এমনকি চাষের জমির ইকোলজি ) ইকোলজি থেকে সম্পূর্ণ সম্পর্কবিহীন পরিবেশে কিছু করছ, আর তারপর তা ইকোলজিতে introduce করছ, ইন্টার‌্যাকশনগুলো কেমন হবে ও কি হতে পারে, তার সম্পর্কে প্রায় কিসস্যু জান না তুমি। প্রফিট মোটিফ নিয়ে কোন বিতর্কের কিছু নেই, কিন্তু সায়েন্টিফিক্যালিও জিনিসটা পোটেনশিয়ালি ডেঞ্জারাস এইটা না বুঝতে শিখলে প্রফিট মোটিফ নিয়ে চেঁচিয়ে খুব কিছু পালটাবে না, কারণ এই কমপ্লিট disregard to echology and its consequences টা আর ওই প্রফিট মোটিফই মোক্ষ এই দুটো একটাই দর্শনগত পজিশন আসলে।

    আর হ্যাঁ, আমি চিনের প্রাচীর দেখতে পাই। এর একটা বিজ্ঞান, অন্যটা নয়ও মনে করি। science অর্থে প্রথমটা বিজ্ঞান, জিন এডিটিংটা নয়। Science অর্থে জিন এডিটিং টা Science, অন্যটা science. আর আমি ছোট হাতের s টার পক্ষে।
  • S | 2390012.156.561223.1 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:২৬48063
  • সফটওয়ারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু সমস্যার। সেখানে আইপি পার্টটা প্রটেক্টেড। মানে ওপেন সোর্স ব্যবহার করেছি, কিন্তু অ্যালগোটা আমার। তাই আমার বানিজ্যিক সফ্টওয়ারের অ্যালগো পার্টটাই প্রটেক্টেড। ধরুন আপনি আপনার কোম্পানির নাম দিলেন Wipro এবং নেমিং রাইটস নিয়ে রাখলেন। জাস্ট ঐ নামটার সবকটা অক্ষর ইংরেজির এবং যে কেউ ব্যবহার করতে পারে মানেই নামটা ব্যবহার করতে পারেনা। এবারে নিয়ম আছে যে কিছু জেনেরিক শব্দ আছে যেগুলোর আপনি রাইটস পাবেন না।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:২৭48064
  • sm,
    আপনার উদাহরণের একটাও uncontrolled environment এ interact করার জন্যে নয়, করেও না ( দুর্ঘটনা না ঘটলে )। ক্ষেত ( বা যেকোন ন্যাচারালি অকারিং, ফাংশনিং ইকোলজিকে ) আর টেস্টটিউব কে একই জিনিস ভাবাটাই Science এর রোগলক্ষণ বলতে পারেন।
  • S | 2390012.156.561223.1 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩০48065
  • এইটাই আসল কথা। ন্যাচারাল এনভায়রনমেন্টকে ল্যাবে রেপ্লিকেট করা কি আদৌ সম্ভব?
  • sm | 2345.110.9002312.34 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩৪48066
  • পুরোপুরি সঠিক নয়
    কারণ ঠিকমত টেকনোলজি ইউজ না করলে,এই রেকমবিনান্ট ডি এন এ,ভ্যাকসিন,জিন থেরাপি এগুলো থেকেও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।আফটার অল এই সব টেকনোলজি ফুল প্রুফ নয়। এটাও ঠিক এগুলো ছাড়া মডার্ন চিকিৎসা বিজ্ঞান অচল।
    আপনি যেটা বললেন,সেটাও একদম সঠিক।ইকোলজি কে অস্বীকার।তা,মানুষ তো চায় ই প্রকৃতি জয় করতে।কিন্তু প্রকৃতি তো দয়াময় নয়।
  • sswarnendu | 341223.55.458912.241 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৩48067
  • S,
    অসম্ভব এমন কোন দাবী আমার নেই৷ আমার বক্তব্য দুটো৷ এক, আজ তার থেকে বহু দুরে আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং৷ আর দুই, আমরা উল্টোদিকে যাচ্ছি৷ আমাদের প্রজাতির দু লক্ষ বছরের ইতিহাসে আমরা একটা perceptive species ছিলাম বলা যায়৷ we observed, understood and learnt. তারপর সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিং ব্যবহার করে খানিক রদবদল করে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়েছি৷ তথাকথিত "আধুনিকতা" হচ্ছে আখাম্বা গাম্বাটের মত গাজোয়ারির চেষ্টা৷
  • | 340123.99.121223.135 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৬48043
  • ইশানের এই প্রবন্ধ-ও যথারীতি আমার ভালো লেগেছে। এবার "নিন্দেমন্দ"-র জায়গা গুলো মোটামুটি এই ঃ-) ঃ-)

    ক - এটা কে বুক রিভিউ হিসেবে লিখলে ভালো হত, ফর্মালি বইটার পাব্লিকেশন রেফারেন্স ইত্যাদি দিয়ে। এমন ভাবে লেখা যাতে দেখেই বোঝা যায় এটা বুক রিভিউ। কারণ মূল রেফারেন্স টা একটা বই কে কেন্দ্র করেই, যদিও বিতর্কের অবতারণা টা ব্যাপকতর, এবং একেবারে ছাগল না হলে গত ৪০-৫০ বছরে এই বিশাল ডিবেট টি র মূল দিক গুলো লোকের মোটামুটি একটা আবছা হলেও ধারণা যেটা থাকার সম্ভাবনা সেগুলো কে খোলসা করে কার্যকারণ করা হয়েছে সেটা প্রবন্ধটার মূল উদ্দেশ্য হয়তো সে জন্যেই এটাকে বুজ রিভিউ হিসেবে হয়তো ইশান লেখে নি, এবার বাকি মতামত ও বিতর্ক টা সেই প্রসঙ্গে করা যেত। এতে স্কোপ টা নির্দিষ্ট হত বলে মনে হয়। কিন্তু মাইরি বলছি, বুক রিভিউ কে একটা গোটা বিষয়ে ইনটারভেনশনের আর্ট হিসেবে না দেখার কোন কারণ নেই। এবং সুবিধে টা হল, এন্ট্রি টা স্পেসিফিক করা যায়।

    খ - সাধারণত উচ্চফলনশীল , জেনেটিকালি মডিফায়েড ইত্যাদি নানা রকমের টার্মিনোলজি র জেনেটিক রিসার্চের টার্ম্স এর পার্থক্য গুল আছে সেটা কে পরিষ্কার করে বলা দরকার ছিল, যাতে লে রিডারের সুবিধা হয়।

    গ - এটা ক্লিয়ারলি যে সুধু আমেরিকার বিতর্ক না, তার একটা ছোঁয়া থাগলেও, আমাদের দেশে এই বিতর্কটার একটা সমস্যা রয়েছে সেটা বলা যেত। যেমন ধরুন আমেরিকার কৃষি ক্ষেত্রে জেনেটিক রিসার্চ এন্টায়ারলি প্রাইভেট সেক্টরের হাতে গেছে, এটাই সে দেশের বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী দের ভূমিকার সমালোচনা করার জায়্গা বলে পোলিটিকাল লিটেরেচার এ বলা হয়, কিন্তু এই চর্চার একছত্র অধিকার ও দায় সরকারের হাতে থাগলেও পরিবেশের ইমব্যালান্স গুলোর সমস্যা গুলো যে থেকেই যায় সেটা বোধ হয় আরেকটু স্পষ্ট করে ইশান বলতে পারতো। সেটা আমাদের মত অনেক দেশে, ফিলিপিন্স, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া (এগুলো তে সিদ রিসার্চের প্রথম সব সেন্টার ছিল, এবং সরাসরি কোল্ড ওয়ারের ইকুয়েশন অনুযায়ী তৈরী ছিল, এটা একটু খবর রাখলেই জানা যাবে)

    ঘ- আর বুক রিভিউ কে বিতর্কে ইনটারভেনশনের একটা পদ্ধতি হিসেবে দেখলে সঙ্গে আমরা একটু উচ্চ ফলনশীলের ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতের রাজনীতি টা কি ভাবে আমাদের সরকারে অ্যাডভাইসরি তেও ঢুকেছে সেটার আলোচনা করা যেত। এমন ভাবে বলা হয় যে সাবসিস্টেন্স ফার্মিঙ্গ থেকে লাভ জনক ফার্মিং এ উত্তরণের উপায় হল উচ্চফলনশীল বীজ। তো এই অবস্থান টার একটু ডিকনস্ট্রাকশন দরকার ছিল, কারণ সরকারি অ্যাডভাইসরি র এই একটা সমস্যা দীর্ঘদিন ছিল।

    যাই হোক এটা ভালো অবতারণা, আমি খুব খুশি হয়েছি, আমার বন্ধুরা যারা এই বিষয়ে লিখতে চায় পড়তে চায় তাদের আমি এই বিষয়ে গুরুতে কন্ট্রিবিউট করার কথা বলবো, এমন্কি তারা ট্যাঁ ফোঁ করলে তাদের ফোং আস্তে করে পাই য়ের হাতে দিয়েও দিতে পারি।
  • S | 2390012.156.561223.1 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৭48068
  • সেকেন্ড পয়েন্টটা নিয়ে একটু গুছিয়ে লিখুন।
  • স্বাতী রায় | 781212.194.3489.233 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:০৯48044
  • হাইব্রীড বীজের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ইচ্ছে করেই স্টেরাইল করা হয়, যাতে চাষিরা বার বার বীজ কিনতে বাধ্য হন। সেটা বুঝলাম। আর দর্শনগত ইস্যুটাও বুঝলাম। সফটওয়ারের উদাহরণ টেনেই বলি, ওপেন সোর্স সফটওয়ার যেমন হয়েছে তেমনি কপিরাইট মুক্ত বীজও তৈরি হোক।

    তবে যে জিনিসটা আমি কোনদিনই বুঝি নি সেটা হল আজকের বাণিজ্যিক পরিবেশের মধ্যে এই দর্শনের প্রয়োগের দিকটা। ধরা যাক আমি একটা বাণিজ্যিক সফটওয়ার বানাব। সেক্ষেত্রে আমি যদি একটা ওপেন সোর্স কিছু ব্যবহার করি, তাহলে আমার প্রাথমিক খরচ অনেক কম হল। কিন্তু আমি অনেক লাভ করতে চাই, তাই আমি কিন্তু আমার তৈরি সফটওয়ার ফ্রি রাখলাম না। চড়া দামে বিক্রি করলাম। তাহলে কি কোথাও কিছু ঘেঁটে গেল না? নাকি সব ঠিক থাক থাকল? এই প্রশ্নটা র উত্তর আমি বুঝি নি। যেমন বুঝি নি অরাক্যল কেন সান জাভা কিনে নেয় - তার বিজনেস মডেলে সেটা কিভাবে ফিট করে!

    ঠিক এই প্রশ্নটাই ফিরে আসে চাষের ক্ষেত্রেও। ফুড ক্রপ আর ক্যাশ ক্রপ। আমার তো মনে হয় ফুড ক্রপ যদি বা কেউ নিজের বা প্রতিবেশীর খাবার কথা ভেবে করেন, ক্যাশ ক্রপ যারা করেন তারা পুরোপুরি বাণিজ্যিক কথা ভেবেই করেন। আমার চাষের জমিতে ( নেই যদিও ) যদি অনেক সাধারণ মানের থেকে বেশি ফসল ফলাতে চাই, তাহলে কি আমি সবসময় দেশের মানুষের খাদ্যের অভাব ভেবে করি? নাকি একই জমি থেকে বেশি ফসল পাব, পেলে আমার নিজের লাভ বাড়বে, তাই করি? এবার আমার লাভ যদি আমি দেখি, সেটা যদি ন্যায্য দাবী হয়, তাহলে অন্য লোক , মানে যে বীজ বা সার তৈরি করল , সেই বা নিজের লাভ দেখবে না কেন? শুধু লাভের মাত্রার উপর-ই কি সবটুকু নির্ভরশীল? দুজনেই তো হাতে থাকা রিসোর্সকে দেঁড়েমুশে নিচ্ছি। এই জায়গাটা আমি বুঝতে পারি না। হতে পারে আমি হয়ত কোন কোন দিক বুঝতে পারছি না বলে এই সমস্যায় পরছি। কেউ ভাবনার ভুলটা ধরিয়ে দিলে খুশী হব।

    যে প্রসঙ্গ থেকে এই লেখার সূত্রপাত, সেই পেপসিকোও নিজের লাভ দেখছে আর এই চাষিরা, যারা যে কোন উপায়ে ( আইনগত বা আইনের বাইরের উপায়ে ) ওই বীজ পেয়েছেন, তারাও লাভের ( তাও আবার আয়কর মুক্ত ) জন্য সেই বীজ দিয়ে চাষ করলেন। তাহলে একজনকে বয়কট কেন? করলে তো দুদলকেই বয়কট করা উচিত।
  • sswarnendu | 341223.55.458912.241 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:১২48069
  • মানে মানুষের টেকনোলজি, তথাকথিত আধুনিকতার আগে অবধি মূলত আশপাশ থেকে (বলার সুবিধার্থে নেচার বলব, যদিও নেচারের কোন personification বা gaya hypothesis আমার বক্তব্য নয়৷ ) বাই প্রোডাক্ট বার করে নিজেদের কাজে লাগান৷ আমরা anthropomorphic thinking এ ভাবি যেন শুধু আমরাই এটা করি৷ আসলে তাবৎ জীবকূল তাইই করে৷ নদী তার নিজের মেকানিজমে বয়ে যায়, নদীতে কাঠ, পাথর,লতাপাতা পড়ে জল আটকে গিয়ে ন্যাচারাল বাঁধও তৈরী হয় অনেক সময়ই৷ বীভার শুধু সেই existing process টা intentionally imitate করে,করে বীভারের ড্যাম বানায়৷ অবশ্যই নদীর ইকোলজি পাল্টে যায়, কিন্তু পাথর পড়ে নদী আটকে গেলেও পাল্টাত, তেমনই হয়৷ সময়ের সাথে সাথে অন্য অন্য স্পিসিসও এটাকে ব্যবহার করার evolutionary strategy adopt বা adapt করে নেয়৷ বীভার ড্যাম আর একটা নতুন echological niche হিসেবে আমাদের গ্রহে আত্মপ্রকাশ করে৷ আমরাই দীর্ঘদিন তাইই করেছি৷ শুধু আমরা ভাল ছাত্র, তাই বেটার করেছি৷ জঙ্গলে আগুন লাগার পড়ে হু হু করে গাছ বাড়তে দেখেছি, জুম চাষ শিখেছি, এইরকম৷ tweak করেছি, tamper করেছি৷ আগাগোড়া খোলনলচে পাল্টে ফেলিনি৷ তারপর "আধুনিকতা"৷ নেচারের fecundity use করার বদলে নেচার প্রথমে হল enemy, তারপরে vanquished enemey ও slave. তথাকথিত enlightenment আর slave trade এ তাই দর্শনগত inconsistency কখনোই ছিলনা, কি মানুষ, কি নেচারএখন আর নেচারের বাই প্রোডাক্ট বার করি না, nature is just a product (or resource or raw material, one and the same ). মুছে যাওয়ার আগে এই suicidal fantasy আর কাটবে বলে মনে হয় না৷ fantasy এতদুর যে ঈশান একটু আগেই লিখল, মেশিনে আলু ভুট্টা তৈরী করার কথা৷ আলু ভুট্টা যে লিভিং স্পিসিস, তা যে শুধুই প্যাকেটের গায়ে লেখা ক্যালরি কনটেন্ট, স্টার্চ কনটেন্ট নয়, সে খোঁয়ারি না কাটলে কিস্যুই হবার নেই৷ ও হ্যাঁ, প্রফিট মোটিফও যাওয়ার নয়৷
  • pi | 4512.139.122323.129 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:১৯48070
  • একেবারেই সময় নেই আলোচনায় ঢোকার, চলুক। কেবল স্বর্ণেন্দুর কিছু পয়েন্টে, বিশেষ করে ইন্টারাক্টিং এ ক দিয়ে যাই। এই কারণেই জেনেটিকালি মডিফায়েড মশা, যা কিনা ম্যালেরিয়া কমাতে পারে ভাবা হচ্ছে, তাতেও ভয় পাই।
  • sswarnendu | 341223.55.458912.241 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:২২48071
  • ফেসবুকে বহুদিন আগে একটা মিম দেখেছিলুম, সেইটা ভীষণ apt মনে হয়েছিল আমরা কি হয়েছি বুঝতে৷ ছবিটায় একটা খোসা ছাড়ানো টুকরো করা আপেল একটা প্যাকেটে আছে, আর এক 'পরিবেশ সচেতন' ছেলে বলছে it is so unfortunate that nature did not understand our needs. If nature has given us a cover, we would not have to use plastics and pollute nature.

    সত্যিই আমাদের তাই অবস্থা৷ আমরা ভুলেই গেছি যে আপেলটা গাছে গায়ে একটা খোসা নিয়েই ছিল৷
  • ঋভু | 450112.191.564523.191 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:২৫48045
  • “ধরা যাক আমি একটা বাণিজ্যিক সফটওয়ার বানাব। সেক্ষেত্রে আমি যদি একটা ওপেন সোর্স কিছু ব্যবহার করি, তাহলে আমার প্রাথমিক খরচ অনেক কম হল। কিন্তু আমি অনেক লাভ করতে চাই, তাই আমি কিন্তু আমার তৈরি সফটওয়ার ফ্রি রাখলাম না। চড়া দামে বিক্রি করলাম। ” সফ্টওয়ার এর ক্ষেত্রে অনেক রকম লাইসেন্সিং হয়, সব লাইসেন্স এ এটা করা যায় না ।
  • স্বাতী রায় | 781212.194.3489.233 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৩৪48046
  • সেটা ঠিক। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তো সম্ভব। এই ক্ষেত্রে অত ডিটেলে ঢুকতে চাই নি। আমি মূল কথাটা যেটা বলতে বলতে চেয়েছি , সেটা আশা করি বোঝা যাচ্ছে।
  • pi | 4512.139.122323.129 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৩৫48072
  • দেবল দেব মতামত জানিয়েছেন লেখাটি নিয়ে, দিলাম।

    "আমি লেখককে চিনি না। কিন্ত বেশ ভাল লেখার হাত। তবে বিষয়ের লোক না হওয়ায় কিছু ভুল হয়ে গেছে।

    ১) জেরাড নয়, জারেড (Jared).
    ২) "এবং এই গবেষণা খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে খ্রিষ্টজন্মের আগেই শেষ হয়ে যায়।" আসলে শেষ domestication হয়েছিল ২৭০০ বছর আগে।
    ৩) " জিন প্রযুক্তি একেবারে হাল-আমলের জিনিস তা নয়। আধুনিক 'বিজ্ঞান' এসে নতুন করে আবিষ্কার করেছে তাও নয়। এই প্রযুক্তি বহু মানুষের বহু হাজার বছরের সাধনার ফসল" - একটু অতিসরলীকরণ। জিন্ প্রযুক্তি বলতে আমরা যা বোঝায়, তা মোটেই আগে কেউ করে নি। বিশেষ কিছু জিন্-সমাহারের নির্বাচন ও দুই ভিন্ন জাতের মধ্যে সংকরায়ন - এ-দুটো পদ্ধতিকে জিন্ প্রযুক্তি বলা যায় না।
    ৪) " সে নিয়ে হয়তো তিরিশ বছর আগেও কেউ তর্ক করতে পারতেন। কিন্তু অন্তত তিরিশ বছর ধরে জানা আছে, সেটা সত্যি নয়, বাজারি মিথ মাত্র।" এটা রিচার্ড লেওনটিনের কথাটা ভুল বোঝার ফল। লেওন্টিন যা বলেছিলেন, সেটা ৩০০ বছর আগে ঠিক ছিল, ৩০ বছর পরেও ঠিক কথা। সংকরায়ন (hybridization)-এর পর পর পর অনেক প্রজন্ম নির্বাচন করে করে উন্নত শস্যের জাত তৈরি করা যায়। কিন্তু আধুনিক হাইব্রিড শস্য আর আদি সংকরায়ন পদ্ধতিতে সৃষ্ট নতুন জাতের মধ্যে তফাৎ আছে। IR-36, IR-72 বা স্বর্ণ ধান (MTU 3636) এইরকম নতুন জাত। "একবার ফসল ফললে, তা থেকে আবার উচ্চফলনশীল বীজ তৈরি করা যায়না" - এদের ক্ষেত্রে খাটে না।
    ৫) "কপি-প্রোটেকশনহীন মুক্ত বীজের সমবায় আন্দোলন এখনও পৃথিবী দেখেনি।" - তাহলে গত ২৫ বছর ধরে আমি ব্রীহি বীজ বিনিময় কেন্দ্র বানিয়ে কী করছি? আসলে উনি দেখেন নি, তাই বিশ্বাসও করেন না, কপি-প্রোটেকশনহীন ১৪০০ জাতের ধান বীজ, ৩০ রকমের বাজরা আর রাগি বীজের আদানপ্রদান সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্রীহি ঘটিয়ে আসছে, ২৫ বছর ধরে। হ্যাঁ, শিক্ষিত নাগরিক,জগৎ দেখে নি, এটা সত্যি। কিন্তু এ নিয়ে দেশে-বিদেশে তো কম লেখালেখি হয় নি।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৪৬48073
  • পাই অনেক ধন্যবাদ। আমায় প্রবল আনন্দ দিলে। আমি দেবলদাকে লেখার সময় পাইনি। নিজের জ্ঞানবুদ্ধি মতই নিজের কথা লিখছিলাম। দেবলদা সেইগুলোই বলেছেন দেখে ভীষণ আনন্দ পেলাম। যৎসামান্য হলেও যে কিছু বুঝে শিখে উঠতে পেরেছি দেখে।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৫৪48074
  • আমি সত্যিই বিষয়ের লোক নই। কিন্তু দেবলবাবুর অনেক সমালোচনাই বেঠিক। এক এক করে লিখি।

    ১) জেরাড নয়, জারেড (Jared).
    -- আমি যদ্দূর জানি উচ্চারণটি জেরাডই। তবে ভুল জানলেও বা কি। বিদেশী উচ্চারণ, ঠিক ভুল হতেই পারে। তার সঙ্গে বিষয়ের কী সম্পর্ক বুঝিনি।

    ২) "এবং এই গবেষণা খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে খ্রিষ্টজন্মের আগেই শেষ হয়ে যায়।" আসলে শেষ domestication হয়েছিল ২৭০০ বছর আগে।
    -- এটাতেও ভুল কী লেখা হয়েছে জানিনা। ২৭০০ বছর আগে মানে তো খ্রিষ্টজন্মের আগেই। কোনো এক খ্রিষ্টপূর্বাব্দে খাদ্যশস্য 'আবিষ্কার' শেষ হয়। তারপর থেকে আর কোনো নতুন খাদ্যশস্য 'আবিষ্কার' হয়নি। এতে ভুল টা কোথায়?

    ৩) " জিন প্রযুক্তি একেবারে হাল-আমলের জিনিস তা নয়। আধুনিক 'বিজ্ঞান' এসে নতুন করে আবিষ্কার করেছে তাও নয়। এই প্রযুক্তি বহু মানুষের বহু হাজার বছরের সাধনার ফসল" - একটু অতিসরলীকরণ। জিন্ প্রযুক্তি বলতে আমরা যা বোঝায়, তা মোটেই আগে কেউ করে নি। বিশেষ কিছু জিন্-সমাহারের নির্বাচন ও দুই ভিন্ন জাতের মধ্যে সংকরায়ন - এ-দুটো পদ্ধতিকে জিন্ প্রযুক্তি বলা যায় না।
    -- কেন যায়না? ওতে কি সিস্টেমেটিক 'বৈজ্ঞানিক' পদ্ধতিতে জিন বদল করা হতনা? নাকি ল্যাবের বিজ্ঞানীরা ছাড়া কেউ জিন বদলানোর গুপ্তবিদ্যার অধিকারী বলেই মনে করা হচ্ছেনা?

    ৪) " সে নিয়ে হয়তো তিরিশ বছর আগেও কেউ তর্ক করতে পারতেন। কিন্তু অন্তত তিরিশ বছর ধরে জানা আছে, সেটা সত্যি নয়, বাজারি মিথ মাত্র।" এটা রিচার্ড লেওনটিনের কথাটা ভুল বোঝার ফল।

    -- সম্পূর্ণ ভুল কথা। বোঝার কোনো ভুল টুল নেই। ওঁর প্যারাগ্রাফটার ছবি দিলাম।


    ৫) "কপি-প্রোটেকশনহীন মুক্ত বীজের সমবায় আন্দোলন এখনও পৃথিবী দেখেনি।" - তাহলে গত ২৫ বছর ধরে আমি ব্রীহি বীজ বিনিময় কেন্দ্র বানিয়ে কী করছি?
    -- এইটা আমি সত্যিই জানিনা। এটা নিয়ে ডিটেল লিখলে সত্যি সত্যি উপকৃত হব।

    এছাড়াও র্ণেন্দুর কথার উত্তর পরে দিচ্ছি।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:০৮48075
  • ঈশানের এই জিন প্রযুক্তি নিয়ে যুক্তিটা বিচিত্র এঁড়ে তর্কের জায়গায় যাচ্ছে।

    জিন প্রযুক্তি কথাটার স্পেসিফিক নির্দিষ্ট মানেতে ব্যবহার হয়। যেকোন প্রযুক্তি যা জিন পুলে বদল ঘটায় তাকে বলে না। আর ঠিক সেই অর্থেই জিন প্রযুক্তি হাল-আমলের জিনিস ইত্যাদি বাক্য বলা হয়।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:২০48076
  • তুমি জিন প্রযুক্তির যা খুশী মানে করতে পার। কিন্তু "জিন প্রযুক্তি হাল আমলের জিনিস" এই বাক্যটায় ওই শব্দটার একটা স্পেসিফিক মানে আছে। তুমি অন্য মানে করে বাক্যটাকে নাকচ করা যায় না, কারণ তুমি এমন কিছু নাকচ করলে যা ওই বাক্যটি কখনো বলেনি। classic case of straw man argument হল।
  • pi | 7845.29.675612.143 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৫৩48077
  • কপি প্রোটেকশন সহ আর বিহীন বীজ তৈরির পদ্ধতিতে কী কী তফাত, একটু কথা হোক। কোনগুলি থেকে কেন আর পরের প্রজন্ম আসেইনা বা গুণমান বদলে যায়, আর কীভাবে তৈরি কর্লে বদলায় না, এইসব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন