এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জিন-প্রযুক্তি, হাইব্রিড শস্য ইত্যাদি

    Saikat Bandyopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ | ১০৯৩৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • জিন প্রযুক্তি ঠিক আজকের ব্যাপার নয়। যদি ডারউইনের কথা ঠিক হয়, তো আজকের নানা প্রজাতির কুকুর মানুষের দীর্ঘদিনের সচেতন 'নির্বাচন'এর ফল। যদি ডায়মন্ড বা হারারের কথা ঠিক হয়, তো আজকের খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে ফলমূল সবই একই ভাবে গবেষণালব্ধ কাজকর্মের ফল। এবং এই গবেষণা খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে খ্রিষ্টজন্মের আগেই শেষ হয়ে যায়। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ আর নতুন কোনো খাদ্যশস্য তৈরি করতে পারেনি। এই খাদ্যশস্যগুলি, অর্থাৎ, ধান বা গম, প্রাথমিক অবস্থায় একেবারেই আজকের শস্যের মতো ছিলনা। ছিল ঘাসের বীজের মতো। তা থেকে জীববৈজ্ঞানিক কারিকুরি করে বানানো হয়েছে আজকের নানা প্রজাতির ধান বা গম। হাজার-হাজার বছর আগে এই গবেষণা ঠিক কীরকম ছিল সঠিক ভাবে বলা অসম্ভব, তবে মধ্যপ্রাচ্যে সত্যিই আবিষ্কৃত হয়েছে এক প্রাগৈতিহাসিক বীজরক্ষণাগার। জেরাড ডায়মন্ড যা বলেছেন, তাতে গবেষণার পদ্ধতি ছিল মোটামুটি এই, যে, মানুষের চারপাশে যে অজস্র প্রজাতির ঘাস ফলত, তার থেকে সংগ্রহ করা হত বীজ। সেই হাজার-হাজার বীজ থেকে বেছে নেওয়া হত কয়েকটি পছন্দসই বীজ। তা থেকে নতুন ঘাস গজালে আবার বেছে নেওয়া হত আরও কিছু অধিকতর পছন্দসই বীজ। এবং এইভাবে সমস্ত ঘাস নিয়ে গবেষণার পর কোনটা খাদ্য হতে পারে সে নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যেত। এটি, আন্দাজ করা যায়, একদম প্রাথমিক প্রক্রিয়া, তারপর ক্রস-ব্রিডিং এর মতো জটিল গবেষণা সম্ভবত চলেছে হাজার বছরের মাপে, যার ফলে আমরা পেয়েছি বাসমতি থেকে কালোজিরা, নানারকম উৎকৃষ্ট চাল।

    ফলের উৎপত্তিও এর চেয়ে আলাদা কিছু না। গ্রিক বা রোমান আমলের আপেল বা চেরি, আজকের চেয়ে অনেক অন্যরকম ছিল। নিপুণ ভাস্করের মতো তার রূপ বদলে আজকের আকার এবং স্বাদে নিয়ে এসেছেন প্রাচীন বিজ্ঞানীরা। বস্তুত ভারতবর্ষের অভিজ্ঞতাও এর চেয়ে আলাদা কিছু না। সুমিষ্ট নানা ধরণের আম সম্ভবত গবেষণারই ফসল। শুধু নির্বাচনের উপর ভরসা করা নয়, পুরোনো মালীরা কলম বা জোড় কলমের মতো জটিল প্রযুক্তিও জানতেন, আমাদের জীবৎকালেই তা আমরা দেখেছি বা শুনেছি।

    কাজেই জিন প্রযুক্তি একেবারে হাল-আমলের জিনিস তা নয়। আধুনিক 'বিজ্ঞান' এসে নতুন করে আবিষ্কার করেছে তাও নয়। এই প্রযুক্তি বহু মানুষের বহু হাজার বছরের সাধনার ফসল এবং এর মালিকানা কারো হাতে ছিলনা। গোটা মানবজাতিই এর ফল ভোগ করেছে। কারণ এই প্রযুক্তির একটি লক্ষ্য ছিল এই, যে, বারবার যেন চাকা পুনরাবিষ্কার করতে না হয়। অর্থাৎ একবার কেউ বাসমতির বীজ নিয়ে গিয়ে চাষবাস করলে পরেরবার যেন সে নিজের বীজ নিজেই বানিয়ে নিতে পারে, একশ মাইল ঠেঙিয়ে আবার কোনো 'বিশেষজ্ঞ'র কাছে চাইতে যেতে না হয়। আমের বাগান থাকলে এবং কলমের বিদ্যা অর্জন করলেই যেন নতুন গাছ থেকে পুরোনো গাছ বানিয়ে নেওয়া যায়। অর্থাৎ সম্পদ এবং জ্ঞানের অবাধ বিতরণ এবং বিচরণের একটি দর্শন এই প্রযুক্তির অংশ ছিল -- দর্শন বিহীন বিশুদ্ধ কোনো জ্ঞান হয়না।

    বিংশ শতকের 'বিজ্ঞান' এসে এই দীর্ঘদিনের কৃষি সংক্রান্ত জিন-প্রযুক্তিতে খুব হাতিঘোড়া পরিবর্তন কিছু ঘটিয়ে ফেলেছিল এমন না, অন্তত লিওন্তিন যা বলছেন। বদলেছে কিছু পদ্ধতি, আর অতি অবশ্যই দর্শনটুকু। খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে বিংশ শতকের নতুন বাজওয়ার্ড হল হাইব্রিড শস্য। হাইব্রিড শস্য বানানোর একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে, এই হাইব্রিড শব্দটিই সেই পদ্ধতির সূচক। সাধারণভাবে একটি খাদ্যশস্যের বীজ থেকে আবার গাছ তৈরি করলে গাছটি তার পিতা/মাতার বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েই জন্মায় (বেঁটে, মোটা, সুস্বাদু ইত্যাদি)। হাইব্রিড পদ্ধতিতে এরকম দুটি পুনরুৎপাদন-সক্ষম ঘরানার শস্যকে আলাদা করে নিয়ে তাদের দীর্ঘদিন ধরে নিজের পরাগসঞ্চার করানো হয়। তারপর দুটির মধ্যে ক্রস-ব্রিড বা কাটাকুটি-প্রজনন করিয়ে নতুন বীজ তৈরি করা হয়। দুটি আলাদা ঘরানা নিজেরা আলাদা করে দারুন কিছু ফসল তৈরি করতে পারে তা নয়, কিন্তু এদের যোগফলটি হয় উচ্চফলনশীল বা উচ্চগুণসম্পন্ন। যেকোনো দুটি ঘরানার মধ্যে কাটাকুটি করলেই এরকম হবে তা নয়, কেবলমাত্র কিছু ঘরানার জুড়ির ক্ষেত্রেই এটা সম্ভব। এই জুড়িগুলিকে বেছে নেওয়াই হল গবেষণা। এই পদ্ধতির ফলাফলে চিরাচরিত বহু-হাজার বছরের বিপরীতে একটি জিনিস হয়। তা হল, একবার ফসল ফললে, তা থেকে আবার উচ্চফলনশীল বীজ তৈরি করা যায়না। বীজ অবশ্যই তৈরি করা যায়, কিন্তু সেই বীজ তার গুণাগুন এক বা একাধিক প্রজন্মে দ্রুতগতিতে হারাতে থাকে।

    অর্থাৎ, এই পদ্ধতি হয়তো উচ্চফলনশীল ফসলের জন্ম দেয়, কিন্তু চিরাচরিত প্রযুক্তির যে চাকা পুনরাবিষ্কার না করার ধারণা, সেটিকে এতে বিসর্জন দিতে হয়। অর্থাৎ, যে চাষী এই ফসল ফলাবে, সে চিরকালের জন্যই এই ফসলের বীজের জন্য কোনো বিশেষজ্ঞর কাছে ঋণী হয়ে থাকবে। বারবার তাকে যেতে হবে বীজের 'আবিষ্কর্তা'র কাছে। নিজের বীজ নিজে উৎপাদন করার অধিকার থেকে সে বঞ্চিত হবে। অর্থাৎ প্রযুক্তির সঙ্গে এতদিন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিল জ্ঞানের অবাধ বিতরণ এবং বিচরণের যে দর্শন, নতুন 'বিজ্ঞান' এসে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে চাষীর ক্ষেতের বাইরে বার করে দিল। কৃষির ক্ষেত্রে জন্ম নিল 'কপি প্রোটেকশন', যে বস্তুর সঙ্গে সফটওয়্যার বা বিনোদন-শিল্পের কারণে আমরা সকলেই জড়িত। যখন সফটওয়্যার ছিলনা, তখনও বিনোদন ছিল, এবং বিগত হাজার হাজার বছর ধরে গান-সাহিত্য-শিল্প রচিত হয়েছে। তাদের প্রতিলিপিকরণের বিরুদ্ধে কোনো আইন ছিলনা, কপিরাইট নেহাৎই হাল আমলের ধারণা। কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে কপি-প্রোটেকশন আরও পরে আসে। কিন্তু উভয়ের দর্শন একই। জ্ঞানের অবাধ বিচরণের সঙ্গে প্রযুক্তি আড়ি করে দেয় বিংশ শতকের 'বিজ্ঞান' এর যুগে। এর পক্ষে তৈরি হয় নানা যুক্তি। যেমন, যারা বিনিয়োগ করছে গবেষণায়, তাদের তো মুনাফা উঠে আসতে হবে, ইত্যাদি। এইটাকে, অর্থাৎ বাজারকেই একমাত্র এবং চিরস্থায়ী সত্য বলে তুলে ধরা হয়। যেন এই শিল্পবিপ্লব-চালিত যুগেই এই 'বিজ্ঞান' এর আবির্ভাব হল। তার আগে বিগত হাজার-হাজার বছর ধরে জিন প্রযুক্তি ছিলনা, ধান-গম-আপেল-কলা-আম সব প্রকৃতির দান। এ অনেকটা ঈশ্বর ছয়দিনে পৃথিবী তৈরি করেছেন উপকথার মতো। তবে এই উপকথাটি ধর্মীয় নয়, 'পুঁজিবাদী' এবং 'বৈজ্ঞানিক'।

    মনে হওয়া স্বাভাবিক, যে, এই নতুন পদ্ধতিটি জিন প্রযুক্তির জগতে একটি বিরাট লাফ। যে লাফের জন্য এইটুকু দাম তো দিতে হবেই। ১৯৯১ সালে লিওন্তিন লিখছেন, সত্যিই ভালো বা উচ্চফলনশীল ফসল উৎপাদনের জন্য হাইব্রিডই একমাত্র পদ্ধতি সে নিয়ে হয়তো তিরিশ বছর আগেও কেউ তর্ক করতে পারতেন। কিন্তু অন্তত তিরিশ বছর ধরে জানা আছে, সেটা সত্যি নয়, বাজারি মিথ মাত্র। অর্থাৎ ষাটের দশক থেকেই জানা আছে, যে, হাইব্রিড পদ্ধতি মোটেই উন্নততর কোনো পদ্ধতি নয়। চিরাচরিত 'নির্বাচন' পদ্ধতি একই মানের ফসল তৈরি করতে সক্ষম। সমস্যাটা প্রযুক্তির নয়, সমস্যাটা হল কেউ সেই গবেষণায় বিনিয়োগ করেনা। বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা করেনা। এমনকি আমেরিকা ও কানাডায় পাবলিকের পয়সায় যে সরকারি গবেষণা হয়, সেখানেও হাইব্রিডেরই জয়জয়কার। স্রেফ বাণিজ্যিক স্বার্থ একটি 'সত্য' উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে, যে, হাইব্রিড মানেই 'উন্নততর'। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্তোত্রের মতো পড়ানো হয় এই 'সত্য' এবং গবেষকরা, পরবর্তী প্রজন্মের 'বিশেষজ্ঞ'রা এই 'বিজ্ঞান বলেছে' প্রকল্পের অংশ হয়ে যান। ইতিহাসবিস্মৃত এই প্রজন্ম বিজ্ঞান নামক এই স্তোত্রে বিশ্বাস অর্পণ করে।

    বলাবাহুল্য, যে কোনো আলখাল্লাই চাপানো হোক না কেন, এই মিথ কেবল মিথই। লিওন্তিন বলছেন। তিনি বলেননি, কিন্তু তাঁর কথা ঠিক হলে এই সিদ্ধান্তে আসাই যায়, যে আদতে উন্নততর কোনো কিছু নয়, বাণিজ্যিক স্বার্থ নিজেই একটি দর্শন, তার খাতিরে চিরাচরিত 'জ্ঞানের অবাধ বিচরণ' এর দর্শনটিকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে, এবং কেবল স্বার্থের দর্শনের কারণেই এই নতুন পদ্ধতির প্রচলন। সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে স্বার্থের দর্শনটি সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল, এবং মুক্ত-সফটওয়্যার আন্দোলন চালুও হয়েছে। কিন্তু বীজ, ফসল, সব্জি, মুর্গি -- যেখানেই খাবার-দাবারের পুনরুৎপাদনের প্রশ্ন, সেখানে 'বিজ্ঞান' এবং 'বাজার' এই দুই 'সত্য' এর আড়ালে বাণিজ্যিক স্বার্থ তার নিজ্স্ব মিথ এখনও চালু রেখেছে। জৈব চাষের জনপ্রিয়তা কিছু বেড়েছে, বাড়ছে, কিন্তু কপি-প্রোটেকশনহীন মুক্ত বীজের সমবায় আন্দোলন এখনও পৃথিবী দেখেনি।

    পুঃ এই লেখক একটুও জেনেটিক্সের লোক নন। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ইতিহাসটুকু লেখা জরুরি মনে হওয়ায় এই নিবন্ধটি লেখা। একটু তাড়াহুড়ো করেই। বানান বা বাক্যগঠন ভালো করে দেখা হয়নি, ভুল থাকলে মার্জনীয়। জেনেটিক্সে পন্ডিত ও ইতিহাসাগ্রহী যে কেউ বিশদে এই নিয়ে কাজ করলে খুবই ভালো ব্যাপার হয়। এখানে জেনেটিক্সের তথ্য অবশ্য বানিয়ে লেখা নয়। হাইব্রিড শস্য সম্পর্কিত তথ্যগুলি কিংবদন্তী প্রতিম রিচার্ড লিওন্তিনের 'বায়োলজি অ্যাজ আইডিওলজি' গ্রন্থ থেকে নেওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষণগুলি বর্তমান লেখকের।
    প্রসঙ্গত লিওন্তিন যে সময়কালের কথা লিখেছেন, সে সময়ের রাজনীতিও খুবই আকর্ষণীয়। খুব কাছাকাছি সময়ে, বামপন্থী কৃষিবিদ হেনরি ওয়ালেস ছিলেন রুজভেল্টের উপরাষ্ট্রপতি। যে তিনজন বাম বা র‌্যাডিকাল ঘরানার মানুষের সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, ওয়ালেস তাঁদের মধ্যে একজন (বাকি দুজন হলেন ববি কেনেডি এবং বার্নি স্যান্ডার্স)। ওয়ালেসের কৃষি সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গী, বলাবাহুল্য বাণিজ্যিক বহুজাতিক দৃষ্টিভঙ্গীর চেয়ে একেবারে আলাদা ছিল। হয়তো সমাপতন নয়, যে, কৃষি সংক্রান্ত এইসব 'সত্য' যখন নির্মিত হচ্ছে, প্রায় তখনই ওয়ালেসের পতন হচ্ছে, তিনি মুছে যাচ্ছেন, মুছে দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক চালচিত্র থেকে। এসব বইয়ে পাওয়া যাবেনা। হয়তো পরে কখনও লিখব। কিন্তু এই ইতিহাস অন্যত্রও পাওয়া যায়। বীজের ইতিহাসের সঙ্গে যে কেউ দিনক্ষণ মিলিয়ে নিজেই পড়ে নিতে পারেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ | ১০৯৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ekak | 340112.124.566712.55 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:০৪48078
  • টেকনোলজিতে এফিসিয়েন্সি কন্ট্রোল করাটা একটা ফ্যাক্টর । চাকা আবিষ্কার যে কারণে টেকনোলজি নয় । কিন্তু নির্দিষ্ট রেডিয়াস মেপে -কনভেয়ারের দৈর্ঘ মেপে -ঠিক কতটা মাস তুলতে কীরকম পুলি দরকার --- এইটে যেদিন মানুষ বুঝতে ও এপ্লাই করতে শিখলো -তাকেআমরা বললুম টেকনোলজি -কারণ টেকনিকটা একটা লজিকের মধ্যে দিয়ে ট্রান্সেন্ড করার ক্ষমতা রাখে এন্ড ভিসি ভার্সা।

    বর্ণসঙ্কর ইত্যাদি সভ্যতার আদিকাল থেকে --প্রথম দিকে ইনভলান্টারিলি ও তারপর ভলান্টারিলি হয়ে আসছে । এই সত্য মনে হয় কেও অস্বীকার করেনি । কিন্তু যারা প্রথম নাইন্টিন্থ সেঞ্চুরিতে স্কটল্যান্ডে বসে নানারকম রিট্রিভার কুত্তার সঙ্গে ঝাপ্পি ঝাপ্পি ওয়াটারপ্রুফ লোমওয়ালা ওয়াটার স্প্যানিয়েলের মিলন ঘটিয়ে গোল্ডেন রিট্রীভারের জন্ম দিয়েছিলো ----- তাদের প্রচুর আনসার্টেইনটি পেরোতে হয়েছে । অনেক অনেক ফেইল্ড এন্ড রিডান্ডেন্ট প্রচেষ্টার পর একটা সাফল্য । এবং কোন জীন কিসের জন্যে দায়ী -এরকম কোনো ম্যাপিং করার নলেজ ও তাঁদের ছিল বলে শুনিনি ।

    আজ যাঁরা জীন টেকনোলজি নিয়ে কাজ করেন তাঁদের এই এফিসিয়েন্সি কন্ট্রোলিং পাওয়ার আছে । তাই নয় কি ? নইলে আর সেটাকে টেকনোলজি বলছে কেন ? জাস্ট একটা ফ্যাশনেবল ওয়ার্ড তাই বলা হচ্ছে ,এরকম বোধ হয় নয় :)
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:৩০48079
  • স্বর্ণেন্দুর বাক্যগুলির একটু বিশ্লেষণ করা যাক।

    "ঈশানের এই জিন প্রযুক্তি নিয়ে যুক্তিটা বিচিত্র এঁড়ে তর্কের জায়গায় যাচ্ছে।

    জিন প্রযুক্তি কথাটার স্পেসিফিক নির্দিষ্ট মানেতে ব্যবহার হয়। যেকোন প্রযুক্তি যা জিন পুলে বদল ঘটায় তাকে বলে না। আর ঠিক সেই অর্থেই জিন প্রযুক্তি হাল-আমলের জিনিস ইত্যাদি বাক্য বলা হয়।"

    দেখবেন, এই বার্তাগুলি কোনো যৌক্তিক বার্তা নয়। মূলত এগুলি কিছু ধরে নেওয়া বা কনভেনশনকে স্টেট করছে । "ব্যবহার হয়", "বলে না" ইত্যাদি। এরকম কোনো কনভেনশন কিন্তু নেই। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কথাটা একটা নির্দিষ্ট টেকনিকাল অর্থে ব্যবহার করা হয়, সেই কারণেই আমি সচেতন ভাবে টেকনোলজি বা প্রযুক্তি শব্দটা ব্যবহার করেছি। কিন্তু তাতেও সমস্যা হচ্ছে, তার কারণ টেকনিকাল কনভেনশন একেবারেই না। টেকনিকালিটির সীমা পেরিয়ে এটা গসপেলের জায়গায় পৌঁছে গেছে, যে, জিন সংক্রান্ত প্রযুক্তি বিংশ শতকের বিজ্ঞানেরই আবিষ্কার। নইলে একটা নন টেকনিকাল জেনেরিক টার্ম নিয়ে এত সমস্যার কোনো কারণ নেই। এবং গসপেলের কারণেই "কেন এই প্রযুক্তির উৎস আমি আরও পুরোনো যুগে টেনে নিয়ে যাবনা", এই প্রশ্ন করলে "হয় না", "বলে না" ইত্যাদির আশ্রয় নিতে হয়। এর সঙ্গে চার্চের করিতে নেই বা বলিতে নেই এর খুব বেশি তফাত নেই।

    এই নির্দিষ্ট গসপেলকে নিয়েই আমার প্রশ্নচিহ্ন। তবে একুশ শতকের গসপেলের একটা মজা আছে। আপনি নিজে যৌক্তিক প্রশ্ন করলে বিশেষজ্ঞরা তাকে উড়িয়ে দেবেন, কিন্তু অন্য কোনো "বিশেষজ্ঞ"কে কোট করলে "হ্যাঁ হ্যাঁ এটা যৌক্তিক প্রশ্ন" বলবেন। অতএব আমি আমার লাইনের আর্গুমেন্টের সপক্ষে কিছু কোটেশন দেব পরে। আমি এই বিশেষজ্ঞতার চাদর অপছন্দ করি, তাই কোট করিনা সাধারণভাবে। কিন্তু আলপটকা মন্তব্য করছি, এবং "সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্ট"রা এসে বাণী দিলেই মেনে নেব, এ ভাবার কোনো কারণ নেই।
  • sswarnendu | 2367.202.9008912.175 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:৪২48080
  • যথেষ্ট স্পষ্ট করেই লিখেছি যা লেখার৷ মল্লযুদ্ধে সামিল হওয়ার বাসনা নেই৷ বিশেষজ্ঞ বলেও নিজেকে কোথাও কিছুতেই দাবী করিনি৷ তাই ক্ষান্ত দিলাম৷ কিন্তু সিরিয়াসলি, অন্য একটা লোকের সাথে সারাদিন কথা বললাম মনে হচ্ছে!
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:৫৯48081
  • এত টোকা মুশকিল। ছবি দিলাম। পার্থ চক্রবর্তীর 'প্রকৃতি পরিবেশ নিসর্গনীতি' । শেষ অনুচ্ছেদটি দেখবেন। যুক্তিপরম্পরা একই।



    পরের লেখা পরের পোস্টে।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:০৭48082
  • বেশ তো। আমার বাকি আর্গুমেন্টগুলো আর দিলাম না।

    তর্কাতর্কি আমার কাছে মল্লযুদ্ধ মনে হয়না, এইটুকু মতপার্থক্য রইল।
  • sswarnendu | 2367.202.9008912.175 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:৩৪48083
  • ঈশান,

    তর্কাতর্কি নিয়ে সমস্যা নেই তো। আর তোমার আর্গুমেন্ট দেবে না কেন? আমি শুধুই এই স্পেসিফিক "জিন প্রযুক্তি" শব্দটা নিয়ে কোন টাগ অফ ওয়ার চালাতে অনুৎসাহী।

    আর তুমি উপরে বই থেকে যে অংশের ছবি দিলে, তাতে আমার মতপার্থক্য কিছু নেই তো বটেই, আমি বহু আগে লিওন্তিন কি কন্টেক্সটে ওই কথাগুলো বলছেন তাতে এক্স্যাক্টলি তাইই লিখেছি।

    তর্কাতর্কিতে একের পর straw man argument চললে আর তর্কাতর্কি থাকে না, থাকে শুধু তোমার সাথে তোমার ইম্যাজিনড বা খাড়া করা প্রতিপকক্ষের তর্ক। তাতে যেহেতু আমার ভূমিকা শূন্য, তাই তাতে আমার বলারও কিছু নেই।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:৪৩48047
  • এই প্লিজ হারারের ওই জঘন্য বইটা রেফার করা বন্ধ কর। এমনিও অইটা আদৌ হারারের কথা নয়, এমনকি জারেড ডায়মন্ডেরও নয়, বহুদিন থেকেই শুধু জানা নয়, অ্যাবসলুটলি মেইনস্ট্রীম তথ্য। আর ওতে যদি ঠিক হয়ের কিছু নেই।

    আর লেখাটায় দুর্ভাগ্যক্রমে একটা সিরিয়াস গলদ রয়ে গেছে। এই লেখাটায় হাইব্রিডাইজেশন আর জেনেটিক এডিটিং কে বিচ্ছিরিভাবে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। জিন প্রযুক্তি বলতে শেষেরটাকে বোঝায়, হাইব্রিডাইজেশনকে আজকের দিনে জিন প্রযুক্তি বলে গুলিয়ে ফেলাটা গোটা বিষয়টাই ঘেঁটে ফেলা।
  • sswarnendu | 9002312.132.674512.236 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:৫২48048
  • হাইব্রিডাইজেশনে শেষত হাইব্রিড ফসলটা সিলেক্টেড হচ্ছে, শুধু 'ন্যাচারাল' সিলেকশনের বদলে মানুষ সিলেকশনটা করছে, কিন্তু সিলেক্ট করার পদ্ধতিটা ইভল্যুশনের পদ্ধতিটার মতই, প্রতি প্রজন্মে অবাঞ্ছিত ট্রেইট জিন পুল থেকে কাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর জিন এডিটিং হচ্ছে বাংলা হাঁসজারু তৈরি, এক স্পিসিসের ডিএনএ অণু থেকে কিছু অংশ ল্যাবে তুলে নিয়ে অন্য স্পিসিসের ডিএনএ তে ইন্সার্ট করা ( ডিলিট ও করা হতে পারে )। পদ্ধতিটা ভীষণ আলাদা ও পোটেনশিয়ালি প্রবল বিপজ্জনক, কারণ নতুন তৈরি অর্গানিজমটার বায়োলজিতে কি কি প্রভাব পড়বে, সেই অর্গানিজমের সাথে ইকোলজির ইন্টার‌্যাকশনে কি কি প্রভাব পড়বে, এসব নিশ্চিতভাবে বলা ও এস্টিমেট করার থেকে বহু দুরে আছি আমরা। তাছাড়া সেই অরগানিজমটা আদৌ কখনো কোনরকম ইকোলজিতেই সারভাইভ করতে সক্ষম কিনা লং টার্মে তা সম্পূর্ণ অজানা।
  • anirban | 6789.20.564512.210 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:০১48049
  • হাইব্রিডাইজেশন ও জিন প্রযুক্তি নিয়ে স্বর্ণেন্দু বলেছে। আমার মনে হয় প্রশ্নটা এটাই যে প্রাইভেট কর্পোরেট ক্যাপিট্যালের হাতে এর কন্ট্রোল থাকবে, না সাধারণ মানুষের হাতে থাকবে। এই নিয়ে পরে লিখবো। আপাতত এই প্রসঙ্গে - মিগেল অল্টিয়েরি-র কাজ আমার দারুন লাগে। ফলো করি - দুটো ভিডিও-র লিংক দিলাম।







    আরেকটা লেখা যাতে জিন প্রযুক্তি ও হাইব্রিডাইজেশন নিয়ে তফাতটা কিছুটা বলা আছে - লিংক দিলাম। এই লেখার পুরোটার সাথে আমি একমত নই।

    https://theconversation.com/organic-farming-with-gene-editing-an-oxymoron-or-a-tool-for-sustainable-agriculture-101585
  • পিনাকী | 783412.133.6712.6 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:০৯48050
  • বিপ্লব বোসকে কোনভাবে এখানে লেখানো যায়? ওর কিছু অন্যরকম মতামত আছে শুনেছি এপ্রসঙ্গে।
  • pinaki | 0189.254.455612.99 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:২৬48084
  • যেহেতু জিন নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রযুক্তি - দুটোর কোনোটাতেই খুব ভাল ধারণা নেই, তাই এই বিষয়ে আমার দুটো প্রশ্ন আছে।

    ১) "ল্যাবে বেসিক্যালি যে কোন রকম স্বাভাবিক ( বা এমনকি চাষের জমির ইকোলজি ) ইকোলজি থেকে সম্পূর্ণ সম্পর্কবিহীন পরিবেশে কিছু করছ, আর তারপর তা ইকোলজিতে ইন্ত্রোদুে করছ, ইন্টার‌্যাকশনগুলো কেমন হবে ও কি হতে পারে, তার সম্পর্কে প্রায় কিসস্যু জান না তুমি।"

    এখানে আমার প্রশ্ন হল একেবারে কিছু না জেনে করা হয় কি? আর কন্ট্রোলড এনভায়রনমেন্টে একটা দূর অব্দি কি ইকোলজির ওপর এফেক্ট পরীক্ষা করা সম্ভব নয়? হ্যাঁ, আনসার্টেনটি তো অবশ্যই থাকবে। কিন্তু সে তো যে কোন নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষায় থাকতে পারে। এখানে স্পেশাল কী? মানে তফাৎটা কি পরিমাণগত? নাকি কোনো গুণগত তফাৎ রয়েছে?

    ২) এটাও রিলেটেড প্রশ্ন। "তারপর সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিং ব্যবহার করে খানিক রদবদল করে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়েছি৷ তথাকথিত "আধুনিকতা" হচ্ছে আখাম্বা গাম্বাটের মত গাজোয়ারির চেষ্টা৷" - এখানে প্রাক আধুনিক যুগের 'খানিক রদবদল করা' আর আধুনিক যুগের 'গা জোয়ারি' - এই তফাৎটাকে স্রেফ পার্সেপশন থেকে কোয়ান্টিফিকেশনে নিয়ে আসা সম্ভব কি? মানে যে বিজ্ঞানীরা এধরণের গবেষণার সাথে যুক্ত তাঁরা হয়ত বলবেন - আপনার গা জোয়ারি মনে হচ্ছে, আমাদের মনে হচ্ছে না। কারণ প্রাক আধুনিক যুগের চাইতে পরিবেশ এবং প্রকৃতির ধর্ম সম্বন্ধে আমাদের জানাবোঝাও এখন অনেক গুণ বেশী। কাজেই এখনকার জ্ঞানের স্তর অনুযায়ী এগুলোও 'সামান্য রদবদল'ই। তো এরকম আর্গুমেন্ট এলে সেটা তো দুপক্ষের পার্সেপশনের লড়াই মনে হবে। এখানে কি কোনো স্পষ্ট ডিমার্কেশন করা সম্ভব, যে এই ধাপটা পেরোন মানে ব্যাপারটা সামান্য রদবদল থেকে গাজোয়ারিতে ঢুকে পড়ল?
  • পিনাকী | 783412.133.6712.6 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:৪৪48051
  • দেবলদাও যদি একটু লিখতেন। স্বর্ণেন্দু কি একটু বলবি দেবলদাকে সময় পেলে লেখার জন্য?
  • sswarnendu | 2367.202.9008912.175 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১০:০৯48085
  • একেবারে কিছু না জেনেটা রিলেটিভ অর্থে বলা৷ আমরা ইকোলজিক্যাল interaction pathway গুলো যা জানি এবং জিনোম সম্পর্কেও যা জানি তা প্রায় কিছুই না জানাই৷ টেস্টিং সাধারণত হয় তুমি যা এফেক্ট চাইছ তা পেলে কিনা এডিটিং এ, আর অবভিয়াস interaction গুলোয় এফেক্ট পাওয়া গেল কিনা৷ কিছু একটা পসিবল জানলে তবে না টেস্ট করবে? echological interaction pathway কত কমপ্লেক্স হতে পারে we are only begining to understand বলা যায়৷ In science, you can not find anything unless you are looking for it. And even you are looking for it, even then small scale but cumulative prolonged effect is very hard to detect. but the consequences can be extremely damaging. পরিমাণগত না গুণগত ওভাবে কিকরে উত্তর দেব? echological interaction pathway, species composition এসব না জেনেই পাল্টে ফেলতে পারি, তাতে কি ঝাড় হতে পারে তাও জানিনা (কিস্যুই নাই হতে পারে, আবার হতেও পারে ) , এরকম কিছুকে বিশাল large scale এ introduce করার রিস্ক পরিমাণগত না গুণগত?
  • sswarnendu | 2367.202.9008912.175 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৩৭48086
  • ক্রস পলিনেশন ( হাইব্রিডাইজেশন ) কিম্বা ফেনোটাইপিক সিলেকশন করে করে এক একটা স্ট্রেইন বা ভ্যারাইটি তৈরি করতে যথেষ্ট সময় লাগে ( সময় প্রজন্মের ইউনিটে )। সেই সময়টা আসলে পাচ্ছে কে? ওই নতুন ভ্যারাইটিটার ইভল্যুশন। সেই সময়ে ওই নতুন ভ্যারাইটিটা আশেপাশের পরিবেশের সাথে ইকোলজির সাথে ইনকম্প্যাটিবল কিছু থেকে থাকলে সেই সময়ে সেই edge গুলো smooth out করে যাচ্ছে, সবসময় এইটা নেসেসারিলি ভ্যারাইটিটাতেই পাল্টাচ্ছে এরকম নয়, ওরকম আলাদা আলাদা p not p sharp division কোন কমপ্লেক্স interacting system এই কখনো থাকে না, আশেপাশের ইকোলজিটাও একটু এদিক ওদিক নড়ে চড়ে combined system টা একটা stable equilibrium এ পৌঁছচ্ছে। বস্তুত ওই জন্যেই কোন একটা ট্র্যাডিশনালি ডেভেলপ করা ভ্যারাইটি নতুন পরিবেশে প্রথমবার চাষ শুরু করতেও সাধারণত সময় লাগে, কারণ স্পিসিসটা একই থাকলেও সারাউন্ডিং ইকোলজিটা পালটে গেছে, আবার ইভল্যুশনকে কয়েক প্রজন্মে trail and error এ stable equilibrium reach করে যাওয়ার সময়টা দিতে হয়। ল্যাবে জিন এডিটিং করতে একাধিক প্রজন্ম লাগে না। তাই সময়ের পার্থক্য যদি বল পরিমাণগত বলতে পার।

    আসলে তফাত, গুণগত তফাত হচ্ছে এইভাবে যে " জিন পালটাচ্ছ", সেটা ন্যাচারাল ইভল্যুশন যেভাবে পালটায় তার চেয়ে আলাদা কিচ্ছু না। মানে মোদ্দা কোথায় তুমি আদৌ ইন্দিভিজুয়াল জিন পাল্টাচ্ছ না, যা পালটাচ্ছ তা হল একটা পপুলেশনের জিন পুলের অ্যালিল ফ্রিক্যুয়েন্সি। You are not altering the genome of even a single individual organism at all, all you are doing is by selection ( removal of alleles which are undesirable to you ) and crossing ( to put more alleles into the mix ) is changing the allele frequency of the gene pool of the population over time. This is precisely the mechanism by which biological evolution operates. You are just directing it towards your needs.

    Gene editing is biochemically altering individual genome of the organisms, which has nothing whatsoever to do with evolution. So we are denying ourselves the most powerful force known to us towards ecological equilibrium and stability, the coevolution of an organism with its environment.
  • sswarnendu | 2367.202.9008912.175 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৪৭48087
  • তোমার সেকেন্ড প্রশ্নের উত্তর কাল লিখব।
  • Ishan's-friend | 340112.24.7878.60 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১২:১৯48052
  • "ধরা যাক আমি একটা বাণিজ্যিক সফটওয়ার বানাব। সেক্ষেত্রে আমি যদি একটা ওপেন সোর্স কিছু ব্যবহার করি, তাহলে আমার প্রাথমিক খরচ অনেক কম হল। কিন্তু আমি অনেক লাভ করতে চাই, তাই আমি কিন্তু আমার তৈরি সফটওয়ার ফ্রি রাখলাম না।" (স্বাতী)

    প্রশ্নটা এখানে ওপেন বনাম ক্লোজড সোর্সের নয়, প্রশ্নটা হচ্ছে যে সফটওয়ারটা ব্যবহার করা হলো তার লাইসেন্স কী ছিল। যদি ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স-এ আওতায় থাকে (তার বিভিন্ন স্তর-ও আছে), তাহলে তার ভিত্তিতে বানানো অন্য সফ্টওয়ার-কে ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স-এই রাখতে হয় সাধারণত — ঝোপ করে সেটাকে নিজের নাম লাইসেন্স করে নেওয়া যায় না, যদি না সিগনিফিকেন্ট ডেভেলপমেন্ট এফোর্ট প্রযুক্ত হয় একটা নতুন কিছু তৈরী করতে।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ০১ মে ২০১৯ ০১:০২48088
  • প্রযুক্তির বিতর্ক থাক। পরের পয়েন্টটায় আসি। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ধীরে-সুস্থে যে পরিবর্তনটার কথা বলা হচ্ছে, পৃথিবীতে কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে সেরকম ঘটেনি। মানে, একদম ঘটেনি তা নয়, কোনো একটা পরিবেশে, সেটা কতটা কন্ট্রোলড জানা নেই, ধীরেসুস্থেই নতুন ঘরানার ফসল বা ফলের পরিবর্তনের গবেষণা করা হত নিঃসন্দেহে। কিন্তু তারপর টিপিকালি যেটা হয়েছে, "উন্নত" বা "আকর্ষণীয়" ফসল বা ফল বা গাছ অন্যত্র পাড়ি দিয়েছে, খুব দ্রুত। সেই এলাকার পরিবেশে এই বস্তুটি সম্পূর্ণ নতুন, বা ফরেন। এই এলাকার পরিবেশের উপর জিনিসটা কী প্রভাব ফেলবে এসব ধীরে সুস্থে দেখার আগেই অর্থনৈতিক বা অন্য কারণে চাষবাস শুরু হয়ে গেছে। আস্ত নতুন প্রজাতিও এভাবে এসেছে, পুরোনো প্রজাতির নতুন সংস্করণ তো এসেইছে।

    এর ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে ভারতবর্ষেই। বাংলায় এভাবেই খুব দ্রুত শুরু হয়েছিল সম্পূর্ণ বিদেশী আলু চাষ। এইভাবেই তুলো চাষ বন্ধ হয়ে তার জায়গায় অর্থকরী ফসলের চাষ শুরু হয় ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের পর। পশ্চিমবঙ্গে খাদ্যশস্যের বদলে পাটচাষের ব্যাপক প্রসার তো নেহাৎই স্বাধীনতা-উত্তর ব্যাপার। এসবের কী রিস্ক ছিলনা, বা পরিবেশের ভারসাম্যে কোনো ভাবে আঘাত করেনি? বাংলার ক্ষেত্রে কেউ হিসেব রাখেনি, কারণ খুব বড় কিছু ব্যাপার নিশ্চয়ই হয়নি। বা হলেও, সেটা আমরা বড় ব্যাপার মনে করিনি। কিন্তু সাম্প্রতিক ইতিহাসে বড় বিপর্যয়ের উদাহরণ লিপিবদ্ধ আছে ভারতবর্ষেই। মিজোরামে।

    প্রত্যন্ত মিজো পাহাড়ে ৪৮ বছর অন্তর অন্তর ক্ষণস্থায়ী দুর্ভিক্ষ হত স্মরণাতীত কাল থেকে। তার কারণ হল ইঁদুর। মিজোরামে বাঁশগাছের জন্য বিখ্যাত, বাঁশঝাড় প্রচুর। তাতে ফুল আসে মোটামুটি ৪৮ বছর অন্তর। সেই ফুল ইঁদুরদের খাদ্য। সেই সময় ইঁদুরদের সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যায়। তারা ফুল খাওয়া শেষ করে বাকি খাবার-দাবারও খেতে শুরু করে। এই দুর্ভিক্ষ ছিল ক্ষণস্থায়ী। কারণ খাবার-দাবার ফুরিয়ে গেলে ইঁদুররা মরে যেত। মিজো এলাকায় নতুন প্রজাতি ঢুকে পড়ার পর এই ভারসাম্য একেবারে ঘেঁটে গেল। নতুন প্রজাতি, অর্থাৎ চাষবাস এবং ফসল ফলানোর অভ্যাস। মিজোরা ফসল ফলানো শুরু করার পর ইঁদুররা বাঁশফুল শেষ করেও মরতনা, কারণ মাঠে খাবার জন্য শস্য পাওয়া যেত। ফলে দুর্ভিক্ষ দীর্ঘস্থায়ী এবং ব্যাপক হতে শুরু করল। ১৯৫৮ সাল নাগাদ এই দুর্ভিক্ষকে কেন্দ্র করে স্বাধীন মিজোরামের দাবী ওঠে, মিজো ন্যাশানাল ফ্রন্ট ইত্যাদি তৈরি হয়। সেই নেতারাই ক্ষমতায় আসেন। ব্যাপক হারে ইঁদুর মারার জন্য বিষ চালু করা হয়। কিন্তু দুর্ভিক্ষ আটকানো যায়নি। মিজোরামে ২০০৬ সাল নাগাদ আবার একই জিনিস ঘটে। ফসলের জন্য ইঁদুর, ইঁদুরের জন্য বিষ, এই সাইকল নিশ্চয়ই এখানেই শেষ নয়, আরও কিছু আসবে এর পর।

    পয়েন্টটা হল, চাষীভাইরা ধীরেসুস্থে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে-গনিয়ে গবেষণা করে তবে চাষাবাদ শুরু করেন, তা একেবারেই নয়। বেশিরভাগ নতুন ব্রিড, শস্য হোক বা পশু, এলাকায় নতুন আমদানি হিসেবেই আসে। এবং অর্থনীতি অন্য কোনো কারণ সহায়ক হলে খুব দ্রুতই ছড়ায়। পরিবেশের উপর প্রভাবের হিসেব আসে তার পরে। কারণ ব্যাপকহারে চাষ শুরু না করলে পরিবেশের উপর প্রভাব জানার কোনো উপায় নেই। এবং মানুষের পক্ষে তাতে খুব অসুবিধে না হলে সেই প্রভাব নিয়ে বিশেষ কেউ কেয়ারও করেনা। কেয়ার করলেও, অন্যান্য কারণই প্রাধান্য পায়। এই ভাবেই, শোনা যায়, পশুপালন করে ( সেখানেও জিন বিদ্যা ছিল) সাইড এফেক্ট হিসেবে মানুষ জন্ম দিয়েছে অজস্র মারণ জীবাণুর।

    ফলে এগুলো নতুন না। এখন যেটা নতুন, যে, সাইড এফেক্ট বা পরিবেশের উপর প্রভাব জানার একটা উপায় হয়েছে। রিস্ক নিশ্চয়ই আছে। আগেও ছিল এখনও আছে। কিন্তু ঝুঁকি টা কী এখন আমরা জানি। কিছুটা হয়তো মাপতেও পারি। কিন্তু আগে ঝুঁকি ছিলনা, এখন নতুন করে জন্মেছে, এ একেবারেই নয়।
  • dd | 90045.207.2356.52 (*) | ০১ মে ২০১৯ ০৩:১৮48089
  • বেশ ইন্টেরেস্টং হচ্ছে টইটা । আমারও ফেবারিট বিষয়।

    তবে ঐ "জিন প্রযুক্তি"র আভিধানিক অর্থ বনাম প্রচলিত (connotation) অর্থ - এই নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের দরকার নেই। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই দুপক্ষেরই মতামত স্পষ্ট বোঝা যায়।
  • সুকি | 348912.82.0123.56 (*) | ০১ মে ২০১৯ ০৬:৪৪48090
  • যে কয় বিঘে জমি আছে তাতে সেই তো ঘুরে ফিরে রত্না, লাল স্বর্ণ, আই আর ৩৬, মিনিকিট এই সবই চাষ করলাম! একবার গোবিন্দভোগ লাগিয়ে নবান্ন-র সময় পায়েস খাবার মত ধান উঠল না! ইচ্ছে আছে একবার ভালো করে 'বাঁশকাঠি' লাগাবো জমিতে - এই চালের ভাত এখন আমার ফেবারিট।
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ০১ মে ২০১৯ ০৮:০৬48092
  • বেশ তো সামারি করে দিচ্ছি।

    আমেরিকার (বা অন্য কোথাও) গবেষণাগারে (বা মাঠে) তৈরি জিএমও (বা হাইব্রিড) শস্য ভারতে ( বা অন্য কোথাও) এনে দুমদাম চাষ করতে শুরু করলে তার একটা প্রভাব পড়তে পারে স্থানীয় (মানে যেখানে চাষ হচ্ছে) বাস্তুতন্ত্রে এবং তথাকথিত ভারসাম্য নড়ে যেতে পারে। একটা ঝুঁকি আছে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

    কিন্তু একই ভাবে আমেরিকায় 'স্বাভাবিক' পদ্ধতিতে তৈরি আলু বাংলায় এনে দুমদাম চাষ করলে বা গাঙ্গেয় উপত্যকায় প্রাচীন জিন প্রযুক্তিতে ( বা প্রযুক্তির বদলে অন্য যে নামেই ডাকা হোক) তৈরি ধান মিজোরামে নিয়ে গিয়ে দুমদাম চাষ করা শুরু করলে তার প্রভাব পড়তে পারে বাস্তুতন্ত্রে এবং তথাকথিত ভারসাম্য নড়ে যেতে পারে। একটা ঝুঁকি আছে। এটা স্পেকুলেশন নয়। এই প্রভাব মিজোরামে সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গেছে, বিগত একশ বছরে রিকভার করা যায়নি। আর বড় প্রভাব যদি দেখি তো জিন প্রযুক্তি ( বা প্রযুক্তির বদলে অন্য যে নামেই ডাক) দিয়ে পশুকে বদলে পশুপালন শুরু করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বেশ কিছু মারণ রোগের জীবাণুর উৎপত্তি হয়েছে বলে শোনা যায় (যেমন স্মলপক্স, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা -- রোগের নামগুলো অবশ্য আমার ঠিক মনে নেই, এগুলোর কোনোটা নাও হতে পারে, অন্য কিছুও হতে পারে), সেই প্রভাব থেকে দুহাজার বছরেও (বা আরও বেশি সময়) রিকভার করা যায়নি। এটার অবশ্য প্রত্যক্ষ প্রমাণ নাও থাকতে পারে, অন্য কোনো ভিউও থাকতে পারে, আমি জানিনা। কিন্তু মিজোরামটা একবারে প্রত্যক্ষ। এরকম আরও কিছু উদাহরণ আছে।

    তাহলে পয়েন্ট হল পুরোনো প্রযুক্তিতেও ( বা অন্য যে নামে ডাক) ঝুঁকি ছিল, এখনও আছে। কারণ কোনোটাতেই দুনিয়া জুড়ে পরীক্ষা চালানো হয়না। স্থানীয় ভাবেই হয়। তাহলে আজকের ঝুঁকি নতুন কিছু নয়।

    এবার গসপেলটা কোথায়? এই প্রযুক্তির বিবর্তন, যেটাকে আমি প্রযুক্তিই বলব, তার দুটো যুগের মধ্যে একটা চিনের প্রাচীর তৈরি করা, জ্ঞানচর্চার বিবর্তনে যে প্রাচীরটা আমি খুঁজে পাচ্ছিনা। তাই প্রথম থেকেই আমি লিখেছি, জিন প্রযুক্তি আজকের ব্যাপার নয় এবং সচেতন ভাবেই ইঞ্জিনিয়ারিং বা কারিগরি নামক টেকনিকাল টার্মটিকে কিংবা বিজ্ঞান বা সায়েন্স শব্দদুটো এড়িয়ে গেছি ( পার্থও এই একই কারণে জিনিসটাকে বিজ্ঞান লিখতে গিয়ে (বি)জ্ঞান লিখেছে। ) এবার কেউ যদি বলেন আগেরটা প্রযুক্তি ছিলনা, তাঁকে আমি প্রাথমিক এবং সহজ প্রশ্নটা করব, কেন বংশগতি এবং নির্বাচনের জ্ঞান ও তার প্রয়োগকে আমি প্রযুক্তি বলবনা। এই বেসিক প্রশ্নটার উত্তর যদি কোনো ডিসকোর্সের কাছে না থাকে, তবে সেটি গসপেলের মতই লাগে।
  • sswarnendu | 341223.55.458912.145 (*) | ০১ মে ২০১৯ ১২:৫৩48091
  • ঈশানের শেষ মন্তব্যে পয়েন্টটা কি তাই বোঝা গেল না৷ একজায়গায় ডোমেস্টিকেড ফসল আর এক জায়গায় চাষ করার কথা আগেই লিখেছি, তাই তার কয়েকটা উদাহরণ দিয়ে কি উদ্দেশ্য সিদ্ধ হল বোঝা গেল না৷ আর উদার চয়েসও মজার, আলু,পাট ইত্যাদি৷ অথচ আরবিট যেকোন কিছুই উদাহরণ, ধান গম ও৷ কিছুই বাংলায় ডোমেস্টিকেড হয়নি, তাই কোন না কোন সময় এনে চাষ শুরু হয়েছে৷ পয়েন্ট যদি হয় হয়েছে অতি দ্রুত, তার তো আর উত্তর হয় না৷ কারণ শব্দটার কোন absolute quantifier নেই৷ আর চাষে সময় প্রজন্মের মাপে, আগেই লিখেছি৷ ঈশান বোধহয় ভুলে গেছে মানুষের মাপে 'অতি দ্রুত' সময় পাঁচ বছর আসলে ধানের মাপে বছরে একবার লাগালে পাঁচটা প্রজন্ম৷

    আর "খুব বড় কিছু ব্যাপার নিশ্চয়ই হয়নি" শুনে শুধু হাসলাম৷ কে একটা যেন কিসব গসপেল না কিসব বলছিল৷ :)

    আর সাইড এফেক্ট জানার নতুন উপায়টা কি আমি জানতে ভারী আগ্রহী৷ নাকি এটাও আর একটা গসপেল?
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ০২ মে ২০১৯ ০১:৫৩48094
  • ১। কী মুশকিল জেনেটিক ইনজিনিয়ারিং একটা স্পেসিফিক টার্ম এ তো আমি জানি। সেটা আমি কোথাও ব্যবহার করিনি। পুরো তর্কটাই হচ্ছে সাধারণভাবে জিনিসটাকে প্রযুক্তি বলা যাবে কিনা এই নিয়ে। প্রযুক্তির অগ্রগতি/ অধোগতি/ পরিবর্তন তো হয়েই থাকে। এখন প্রযুক্তির মূল লক্ষ্যটাই হল পুঁজির স্বার্থরক্ষা — এই বিরাট পরিবর্তনের কথা তো আমিই বললাম। এ নিয়ে মতবিরোধের কী আছে।

    ২। “ভয়াবহ ক্ষতি” করেছে কিন্তু “ইকো সিস্টেম ধ্বংস করেনি” — এই ব্যাপারটা আমি জানতে আগ্রহী। ইকো সিস্টেম ধ্বংস মানে কী, সেটাও জানতে চাই। ইকোসিস্টেম কি একটা অপরিবর্তনশীল জিনিস নাকি প্রতিনিয়ত ভারসাম্য নড়ে যাওয়াই তার বৈশিষ্ট্য?

    এ নিয়ে আমারও ২ পয়সা দেবার আছে। পরে লিখব।
  • :) | 5690012.123.9000123.99 (*) | ০২ মে ২০১৯ ০৪:০৯48093
  • প্রাণী ও উদ্ভিদের সিলেকটিভ ব্রিডিং আজকের ব্যাপার নয়। কিন্তু জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং অবশ্যই ৪৫ বছরের মতো পুরনো।দুটোরই উদ্দেশ্য 'সুপ্রজনন' তবে কিনা দুটোর মধ্যে বিশাল ফারাক আছে, এইটা কোন কনস্পিরেসি বা বিজ্ঞানবাদী গসপেল নয়।

    মিজোরাম একটা ছোট কেস। ল্যান্ডলকড, যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ, এবং ফার্মিং মেথড যতও ট্র্যাডিশনজনিত রোমান্টিকতার প্রলেপ চড়াই সাবসিস্টেন্স লেভেলের ছিল ও অনেক ক্ষেত্রেই আছে।

    প্রজাতি ইনভেশন ও অপরিকল্পিত ইন্ট্রোডাকশন পৃথিবীর অনেক জায়গায় ভয়াবহ ক্ষতি করেছে। ওয়াটার হায়াসিন্থ, ল্যান্টানা, কিলার বি, অস্ট্রেলিয়ায় খরগোশ ইন্ট্রোডিউস করা। কিন্তু এর অনেক অন্য দিকও আছে। ভুট্টা, গাজর, আলু, টোমাটো, লাল সবুজ লংকা, বলে শেষ করা যাবে না । এগুলো ফুডচেইনকে সমৃদ্ধ করেছে, ইকোসিস্টেম ধ্বংস করেনি এবং ইনভেসিভ স্পিসিও নয়।
  • dd | 670112.51.7812.190 (*) | ০২ মে ২০১৯ ০৪:৩৫48095
  • আমার কাছে এটা খুব আকর্ষক টই হচ্ছে।

    ঃ) - ভালোই সামারইজ করেছেন।

    যেটা বুঝতে পারছি ,ঈশেন এই "পুরো তর্কটাই হচ্ছে সাধারণভাবে জিনিসটাকে প্রযুক্তি বলা যাবে কিনা এই নিয়ে" - এটা হচ্ছে ওর pivotal point।

    সে বহু প্রজন্ম ধরে ন্যাচারাল সিলেকশনই হোক বা ল্যাবরেটরীতে বসে হুটপাট ইন`জিনীয়ারংই হোক - লাভ হোক বা ক্ষতি হোক - দুটোই "প্রযুক্তি"। ঈশেনের মতে।

    তো এইবারে আরো লেখা হোক। এই "প্রযুক্তি" র ডেফিনেশন বাদ্দিয়েই।
  • dd | 237812.68.454512.12 (*) | ২৫ জুন ২০১৯ ০৩:০১48096
  • এই টইটা ফটাস করে থেমে গ্যালো।

    যা হোক, এই নিউসটা পড়ুন , আজকের TOIতে বেরিয়েছে।
    https://timesofindia.indiatimes.com/india/pro-gm-movement-spreads-to-11-districts-in-maharashtra-bail-of-buldhana-farmer-rejected/articleshow/69932768.cms

    হেডলাইনটা পড়লেই বুঝতে পারবেন। HTBt কটন সীড ভারতে বে আইনী। কিন্তু কৃষকেরা জোরজার করে ব্যবহার করছেন, জেল জরিমানার তোয়াক্কা না করেই।

    সপ্তাহ দুয়েক আগেও খবর বেরিয়েছিলো বিটি বেগুন, যেটি ভারতে ব্যানড, সেটির বীজ বাংলাদেশে থেকে স্মাগল করে নিয়ে এসে করণাটকে চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে কিন্তু বিটি বেগুন ব্যানড নয়।

    কী দিনকাল পড়লো।
  • dd | 236712.158.676712.36 (*) | ০১ জুলাই ২০১৯ ০৪:৫২48099
  • বোঝো।

    একটা কনসিউমার প্রডাক্টের আবার ন্যায় অন্যায় কি ? বাজারে কতোরকমের বীজ আছে, চাষীরা নিজেদের বোধ বুদ্ধি দিয়ে যেটা ইচ্ছে কিনবে বা কিনবে না।

    বাজে মাল হলে একবার ঠকতে পারে কিন্তু এক দশক ধরে নিজেদের পছন্দ মতন বীজ যদি কিনে থাকে , কিনেই যেতে থাকে তাতে আমাদের কী ?

    আর কতোদিন ধরে আমরা চাষী"ভাই"দের সরল গোলগাল নির্বোধ ধরে বসে থাকবো?
  • Ekak | 236712.158.015612.123 (*) | ০১ জুলাই ২০১৯ ০৬:১২48100
  • কন্জিউমর প্রোডক্টে ন্যায় ওন্যায় মানে আমি খোদ্দের কে ঠোকাচ্চি , যদি চাষীকে বলি এই বীজের থেকে যে গাছ হবে তার থেকে রিপ্রোদক্শন সম্ভব , তাহোলে সেটা অন্যায় ।

    কিন্তু , এখেত্রে চাষী জেনেশুনে এরোকোম বীজ ব্যবোহার কোরেছেন । মানে আমার ক্রেতা ট্রেড -অফ সম্বন্ধে ওয়কিব হাল ।
  • কল্লোল | 124512.101.450112.124 (*) | ০১ জুলাই ২০১৯ ০৬:৫৫48097
  • বিষয়টা চাষীরা চাষ করতে চাইছে কি চাইছে না - এটা নয়। কোন শষ্য থেকে যদি তার বীজটিকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাতে সে শষ্য স্বাস্থ্যকর থাকে কি না, তার তর্কও নয়। এইভাবে শষ্যকে বীজ শূন্য করে বীজের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কিছু হতেগোনা ব্যবসায়ীর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকাটা অনৈতিক। প্রাকৃতিক্ভাবে শষ্যের বীজ শষ্য উৎপাদনকারীর অধিকার। সেটা লঙ্ঘন করাটা অন্যায়।
  • Ekak | 237812.68.786712.15 (*) | ০১ জুলাই ২০১৯ ১২:৪০48098
  • অন্যায় কেন ? ?

    ব্যাপার টা ওনার্শিপ মাদার আর সারোগেট মাদারের মত।

    বাজার থেকে যদি রিপ্রোডাকটিভ বীজ কেনার সুজোগ তুলে নেআ হয় , সেটা অন্যয়। নইলে, এটা জাস্ট এক্টা অপ্শন।

    সিডি রীডেবল , আর সিডি রীড এন্ড রাইটেবল দুটৈ জেমন বাজারে পাওআ জায়। যার যেমন পোষায় ইউস করে। কেও তো কান্নাকাটি করে না যে, রিডেবল সিডি তে বার বার রাইট করার সুজোগ থাকবে না কেনো ?
  • কল্লোল | 237812.69.4556.170 (*) | ০২ জুলাই ২০১৯ ১১:০১48101
  • "কন্জিউমর প্রোডক্টে ন্যায় ওন্যায় মানে আমি খোদ্দের কে ঠোকাচ্চি , যদি চাষীকে বলি এই বীজের থেকে যে গাছ হবে তার থেকে রিপ্রোদক্শন সম্ভব , তাহোলে সেটা অন্যায় ।"

    না, তারা বলছে না যে - এই বীজের থেকে যে গাছ হবে তার থেকে রিপ্রোডক্শন সম্ভব। কিন্তু এটাও বলছে না যে - এই বীজের থেকে যে গাছ হবে তার থেকে রিপ্রোডক্শন সম্ভব না।

    https://www.monsantoglobal.com/global/in/products/pages/seeds.aspx

    At Monsanto, we work to bring better seeds for farmers. We do this by having a world-class breeding program that aims to keep finding the best plants adapted to local conditions. And, sometimes, we use genetic modification to bring beneficial traits to the plant, such as the ability to tolerate drought better, resist herbicide applications or ward off pests.

    Monsanto provides seeds to farmers in eight row crops: alfalfa, canola, corn, cotton, sorghum, soybeans, sugarbeets and wheat. In this section, you can learn about each crop and our product offerings to farmers.

    In countries where genetic modification (GM) of plants isn’t adopted, Monsanto sells conventional seed to farmers. This seed is produced via breeding—we find two really good parents and breed them to produce offspring that has the best plant characteristics for that farmer’s area. For example, France is a country where we sell non-GM corn hybrids.

    Every season, farmers evaluate the numerous companies with which they could do business. We are honored millions of farmers and their families decide to put their trust in us and buy our products.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন