এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সিঙ্গুর রায়ঃ আমি কেন পালটি খেলাম

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৫১৫ বার পঠিত
  • সিঙ্গুরের রায় বেরোনোর পর থেকে চারদিকে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। সুপ্রীম কোর্ট জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের জমির অধিগ্রহন অবৈধ ছিল এবং হাজার একর জমিই তার মালিকদের ফিরিয়ে দিতে হবে আগামী বারো সপ্তাহের মধ্যে। পক্ষে, বিপক্ষে, এখন যারা পক্ষে আছেন তাদের মধ্যে কয়জন ডিগবাজি খেয়েছেন, সত্যিই এই রায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করল না লাভ – এসব নানা প্রশ্নে, নানা দৃষ্টিভঙ্গী থেকে, নানা পথে আলোচনা চলেছে।। আমি এই আলোচনায় বেশী অংশ নিই নি – কারণ আমার কিছু ভাবার ছিল। ইন্সট্যান্ট রিয়াকশন দিতে পারিনি। নিজেকে জাস্টিফাই করার দরকার হয়েছিল। আমি কোনদিকে, নিজেও সংশয়ে ছিলাম। তারপর মাঝে বাউ এর একটা পোস্টে লিখলাম, “আগে যারা শিল্প চলে গেল বলে কেঁদেছিল, যাদের অনেকেই এখন সিপিএমকে তেড়ে গাল দিচ্ছেন – তাদের মধ্যে আমিও একজন – এই ওপেন ফোরামে স্বীকৃত ও লজ্জিত হলাম” বলে। কিন্তু মনে হয়েছিল, তারপরেও কিছু বলার থেকে গেল। সেটা এবার বলি।
    প্রসঙ্গতঃ এই বলাটা শুধু সিঙ্গুর প্রসঙ্গে নয় – বা বলা ভালো সিঙ্গুর প্রসঙ্গে আদৌ নয় – ওটা উপলক্ষ মাত্র। আমার বক্তব্য আমার নিজের একটা জার্নি বিষয়ে – গত ছয় / সাত বছরের। যে সময়টার আগে পর্যন্ত সিঙ্গুর প্রশ্নে বুদ্ধবাবুকে সমর্থন এবং তীব্র মমতা বিরোধিতা করে গেছি নির্দ্বিধায়। এবং যে সময়টার পরে, মমতার সমর্থক হয়ে না গিয়েও, বুদ্ধবাবুর সমর্থকও আর থাকতে পারিনি। গত ছয় সাত বছরে কিছু ক্ষেত্রে যে আমূল পালটি খেয়েছি, এটা তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভবতঃ।
    যখন তৃণমূল আন্দোলন করছে, ধর্ণা দিচ্ছে, এবং আমরা তাদের রাজনীতির সমালোচনা করছি, তখন যে কটা বিষয়ে খুব জোর দিয়েছিলাম –
    প্রথমতঃ, বিশ্বাস করেছিলাম, এখানেই এই শিল্পের সেরা জায়গা – অন্যত্র, বাঁকুড়া বীরভূমের অনাবাদী জমি কিংবা হাওড়ায় বন্ধ কারখানার জমি উপযুক্ত নয়, কারণ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার এসব জায়গায় নেই – এসব না দিলে শিল্পপতিরা শিল্প করতে আসবেন না। কী করে বিশ্বাস করেছিলাম তা জানিনা, বোধ হয় বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম বলেই করেছিলাম।
    দ্বিতীয়তঃ বিশ্বাস করেছিলাম, সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানা পশ্চিমবঙ্গকে শিল্প মাণচিত্রে উপরের দিকে এনে দেবে। এই বিশ্বাস করায় বিশ্বাস করুন, সিপিএমের চেয়ে তৃণমূলের কৃতিত্ব বেশী – তারা এত তীব্র বিরোধিতা না করলে এটা হওয়া যে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, সেই বিশ্বাসটা মনের মধ্যে এঁটে বসত না।
    তৃতীয়তঃ মেনে নিয়েছিলাম যে কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। "নিয়েছিলাম"। অতীতকাল।
    চতুর্থতঃ বিশ্বাস করেছিলাম যে চাষীদের যে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট ভালো – দেশের সেরা প্যাকেজগুলোর মধ্যে একটা
    এবারে, ওই সমর্থন করা কালীন যে দুটো বিষয় খুব ভাবিয়েছিল, যাকে আমরা বিশ্লেষণের ভাষায় এনোমালি বলি, তাদের কথা বলি –
    প্রথমতঃ, আশেপাশে যাদেরকে চিনি, ভদ্রলোক, চিন্তাভাবনা করেন, তারা সবাই প্রায় দেখেছি এ ব্যপারে বুদ্ধবাবুর সমর্থক, মমতাকে বিধ্বংসী রাজনীতির কারবারী বলছেন, অথচ সেই লোকসভা ভোট থেকেই শুরু হল তৃণমূলের জয়জয়কার। এই ভোটগুলো তাহলে কারা দিচ্ছে? এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার পুরোটাই কি রিগিং, নাকি আমি এত মানুষের সঙ্গে কথা বলেও এই সংখ্যাগরিষ্ঠকে চিনিই না? এই প্রশ্নটা বারে বারে হন্ট করেছে।
    দ্বিতীয়তঃ তিনটে নাম। মমতার “বুদ্ধিজীবি সেলে” এমনিতে যারা ছিলেন বা আছেন, তারা অধিকাংশই মিডিওকার – কেন স্রোতে ভাসছেন, তার সহজ ব্যখ্যা হয়। ব্যখ্যা পাইনি তিনজনের ক্ষেত্রে – মহাশ্বেতা দেবী, মেধা পাটেকর আর কবীর সুমন। এঁদের কারোই কিছু প্রমাণ করার ছিল না – কিছু তেমন পাবারও না – তা সত্ত্বেও ওই অবস্থান মঞ্চে এরা কেন? এমনও তো নয় যে এঁদের জোর করে ধরে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনজনেই বেশ এক্টিভ – কেন?
    কিন্তু এই দুটো এনোমালি উপেক্ষা করেই সমর্থন জারি ছিল। তাহলে গত তিন চার বছরে কী এমন ঘটল? যার জেরে পালটে গেল আমার সমর্থন, দৃষ্টিভঙ্গী? ঘটল – আমার জীবনে। আমার বৌদ্ধিক চর্চায়। যার জন্য শুরুতেই বলেছি – সিঙ্গুর এখানে উপলক্ষ মাত্র – এই বক্তব্য আসলে আমার ব্যক্তিগত জার্ণি বিষয়ক। গত ছয় সাত বছরে আমার মননের জগতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্ভবতঃ গুরুচন্ডালীতে যোগদান। এখানে এসেছিলাম কিছু নামের টানে – আর নিজেকে একটু জাহির করব ভেবে। কিন্তু এখানে আরো অনেককে পেলাম – যাদের সামনে জাহির করা দূরে থাক, নিজেকে নেহাৎ ই চুণোপুঁটিতুল্য বলে চিনে নিতে সময় লাগলো না। এখান থেকে পেতে লাগলাম নতুন দৃষ্টিভঙ্গী – বহুত্ববাদের নতুন ব্যখ্যা। সেই সঙ্গে আরো দু-একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা – এই সময়কালে আমি ভারতের দু-তিনটি বিশেষ অঞ্চলকে কাছ থেকে চিনলাম – ওড়িশা, ত্রিপুরা এবং ছত্তিশগড়। আর এই সময়েই পড়ে ফেলা কিছু আন্তর্জাতিক সাহিত্য - যা নতুন করে চিনতে শেখালো আমার চারিদিকটাকে। এই কাছ থেকে দেখা, এবং তার সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গীর, এপ্রোচের পরিবর্তন আমার ভাবনায় প্রভাব ফেলতে শুরু করল। আগের ভাবনার এনোমালিগুলো বড় হতে হতে আর উপেক্ষণীয় রইল না।
    প্রথম এনোমালি – সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে চিনি কি না – ক্রমশঃ নিশ্চিত বোঝা গেল, সত্যিই চিনতাম না। ততদিন অবধি যাদের বক্তব্য মূল্যবান মনে করেছি, এবং যাদের বক্তব্য টিভিতে বা কাগজে বিদগ্ধদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হতে দেখেছি – তারা সবাই মূলতঃ মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক সম্প্রদায়ের প্রতিভূ। এর আগে যখন ছাত্রাবস্থায় বা প্রথম যৌবনে বামপন্থী রাজনীতি করতে গিয়ে গরীব মানুষের মধ্যে গিয়ে থেকেছি, কাজ করেছি, তখন নিজের অজান্তেই, পরিবার এবং শিক্ষার প্রভাবে, তাদের সংগে একটা দূরত্ব থেকেই গেছিল। অর্থাৎ এরা গরীব গুর্বো মানুষ, আমাদের এদের জন্য কিছু করা উচিৎ - নইলে বেচারাদের কী হবে এরকম একটা মানসিকতা। ঠিক প্রকটভাবে এরকমটাই নয় – কিন্তু প্রচ্ছন্নভাবে যে এরকমটাই ছিল, সেটা তখন না বুঝলেও এখন দিব্যি বুঝি। আর এই দূরত্বটার কারণেই তাদের কোনদিন ঠিকমতো চিনিনি আমি, আমরা। মধ্যবিত্ত বামপন্থী কর্মীরা। সিপিএম / ডি ওয়াই এফ আই / এস এফ আই এর “ক্যাডার”রা। নব্বই এর দশক এবং তার পরের। কারণ তখন সেই পারস্পেক্টিভ আমাদের ছিলনা – যা পেয়েছি গুরুচন্ডালী এবং তার বিভিন্ন চিন্তকের সূত্রে। সব রকম মতবাদের চিন্তকেরাই এর মধ্যে আছেন – বাম, অতি বাম, মধ্য, দক্ষিণ, চরম দক্ষিণ।
    আর দ্বিতীয় খটকা – ওই তিনটে নাম। এরা কিন্তু কেউ নিজেদের কাজের বাইরে যাননি – অস্বাভাবিক কিছু করেননি। মেধা নর্মদায় যা করেছেন, মহাশ্বেতা পুরুলিয়ায়, সুমন তার গানে – এখানে সেই ধারাবাহিকতাই তাঁরা বজায় রেখেছেন (কবীর সুমন নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকতে পারে – কিন্তু ক্রনোলজিকালি, সুমনের পদস্খলন এর অনেক পরের ঘটনা)। তারা সেই সব মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, যাদের জমি তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের “উন্নয়নে”র চাকার তলায় চাপা পড়েছেন। আমরা তখন বুঝেছিলাম, নিজেদের মগজ বন্ধক রেখেই বুঝেছিলাম এটা আসলে তাদের “ভালো”র জন্যই – কারণ তখনো ভাবতাম তাদের ভালো আমরা ছাড়া কে-ই বা করবে।
    তাহলে দাঁড়ালো কি? সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণকে তখন সমর্থন করতাম, এখন করছি না। কেন করছি না? কারণ এখন আমার কাছে বিষয়টা অন্য পরিপ্রেক্ষিতে ধরা দিয়েছে। এখন আমি আর মনে করি না, সিঙ্গুরের (বা নন্দীগ্রাম, বা হরিপুর, বা দান্তেওয়াড়া, বস্তার, কালাহান্ডি, রায়পুর, বালুরঘাট এবং এবং এবং --) মানুষের ভালো বা মন্দ করা আমাদের দায়ীত্ব। সেটা তাদের দায়ীত্ব, এবং সে দায়ীত্ব নিতে তারা যথেষ্ট সক্ষম, যদি বাইরে থেকে অবিরত নাক গলানো বন্ধ করা হয়। সিঙ্গুরের জমি, অধিগ্রহণের আগে তিন ফসলী ছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রে – এই জমিতে কারখানা করার কোন জাস্টিফিকেশন দেখি না। হয়তো যে সব অংশে কন্সট্রাকশন হয়ে গিয়েছিল, জমি সংস্কার করলেও তারা আর আগের মত উর্বর থাকবে না (আমি কৃষিবিদ নই – সঠিক জানি না), তবুও এ জমি চাষীদের ফেরৎ পেতে দেখে আমি খুশী। তাঁরা যথেষ্ট কুশলী এবং পরিশ্রমী – আজ না হলেও কয়েক বছর পরে ওই জমি আবার তার আগের চরিত্র ফিরে পাবে বলেই আমার ধারণা।
    পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়ণ দরকার আছে বলে মনে করি কি না? শিল্পায়ণ হলে কর্মসংস্থান হবে, বেকার যুবক যুবতীরা কাজ পাবে, রাজ্যের মেধা ভিনরাজ্যে পাড়ি দেবে না – এগুলি চাই কি চাই না? ছয় বছর আগে হলে নির্দ্বিধায় বলতাম হ্যাঁ চাই এসব। এখন আর বলতে পারিনা ততটা জোরে। কারণ, যারা এসব বলেন, তারা প্রায় সবাই একটা ভাসা ভাসা ধারণা থেকে কথাগুলো বলেন। শিল্পায়ণ হলে কী ধরণের কর্মসংস্থান কতটা হবে তার পরিষ্কার ধারণা অনেকেরই নেই । যাদের আছে, তারা জোর দিয়ে বলতে পারেন না, সেই কর্মসংস্থানের সঙ্গে জমি অধিগ্রহণের কী সম্পর্ক? কেন কৃষিজমিতেই শিল্প হতে হবে? কেন বন্ধ কারখানার জমি অধিগ্রহণ করে নতুন শিল্প করা যাবে না? কেন বাঁকুড়া পুরুলিয়া অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত অনুর্বর, পতিত জমিতে শিল্প হবে না এবং তার প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ে তোলা হবে না? এবং সব শেষে আরেকটা প্রশ্ন ছোট্ট করে রেখে যাই – “মেধা ভিন রাজ্যে চলে গেলে” ক্ষতি কি? মেধা মানে তো প্রকৃত মেধাবী নিয়ে মাথা ঘামানো হচ্ছে না – এখানে “মেধা” বলতে সেই মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের পাশ করা ছেলেমেয়েদের কথা বলা হচ্ছে। তারা পাশ করেছে, ভালো চাকরি করবে বলে – যেখানে পাবে, সেখানেই যাবে। যেখানে যাবে সেখানকার অন্ন ধ্বংস করে আয়েশ করবে – কেউ কেউ লোকদেখানো চ্যারিটি করবে। এরা বাড়ির ভাত খেতে পেলো কি না, তাতে অবশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের, অবশিষ্ট ভারতের কী যায় আসে?
    বস্তার থেকে রায়পুরে দেখেছি, কালাহান্ডি থেকে ভূবনেশ্বরে দেখেছি, সোনাই থেকে আগরতলায় দেখেছি, কাঁথি থেকে কলকাতায় দেখেছি – কিভাবে “উন্নয়নে”র নামে সর্বত্র নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষকে উৎখাত করে, তাদের পেশা থেকে, জীবনযাত্রা থেকে, সংস্কৃতি থেকে উচ্ছেদ করে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে আরো আরো প্রান্তে – যাতে সুবিধাভোগী শ্রেণীর জন্য আরো সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা যায়। তা তাদের প্রাণের মূল্যেই হোক না কেন। এই দেখার পর আর সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে শাইনিং পশ্চিমবঙ্গের কোন কথা বিশ্বাস করিনা। সিঙ্গুর রায় পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সম্ভাবনাকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেয় নি – কৃষিজীবি দরিদ্র মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে। বামপন্থী আন্দোলনকে দিশা দেখিয়েছে – আয়রনিকালি হলেও।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৫১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 116.51.30.20 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৪51607
  • বাঃ।
    রৌহিনের লেখনভংগি খুব সোজা সাপটা । এবং লেখাও সংক্ষিপ্ত।বক্তব্য হুবহু বোঝা যায়।

    গুচতে এরকমই আরো একজন লিখতেন, তিনি নাচানাচি নিয়ে ব্যাস্ত থাকায় এদানী আর লেখেন না।

    ইন্ডিয়াতে যিনিই ইন্ডাস্ট্রী নিয়ে লাফালাফি করেছেন তিনি ই বেধড়ক হেরেছেন ইলেকশনে। যেমন,অন্ধ্রে চন্দ্রবাবু নাইডু, কর্ণাটকে এস এম কৃষ্ণা আর পরে কুমারস্বামী, অল ইন্ডিয়াতে রাজীব গাঁধি, বাজপেয়ি। মিডিয়ার ১০০% সাপোর্ট থাকা স্বত্তেও। কারনটা বোধহয়, ঐ রৌহিন যেমন লিখলেন।
  • sch | 55.251.235.186 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:৫৮51608
  • লোকে আজকাল গুরুর পাতাকে ফেসবুকের ওয়ালের মতো ইউজ করছে!! এদ্দিন লিঙ্কড ইন টিনের মতো দেখেছি। এটা একটু নতুন ।
    ঈশান স্যার দু একটা লাইক বাটন টাটনের ব্যবস্থা করা যায়?
  • Ranjan Roy | 132.162.186.225 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৬:১০51609
  • ছত্তিশগড়ের একটা কথা চলে-- আদিবাসীরা সম্ভবতঃ ভারতের গোটা জনসংখ্যার মাত্র ৭%। কিন্তু উন্নয়নের নামে ( শিল্প, বিদ্যুৎ, বাঁধ, নগরায়ন) যাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে তাদের ৮০% ই অদিবাসী।
    শোনা এবং পড়া কথা; কোন লিং নেই।
  • Robu | 11.39.37.89 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৫51610
  • ভালো লাগল। " আর এই সময়েই পড়ে ফেলা কিছু আন্তর্জাতিক সাহিত্য - যা নতুন করে চিনতে শেখালো আমার চারিদিকটাকে। " - বইয়ের লিস্টি পাওয়া যাবে?
    সুমনের পদস্খলন বলতে কী বোঝাচ্ছেন?
  • রৌহিন | 113.42.124.112 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:০৯51611
  • sch ঠিকই বলেছেন - এটা আগে ফেসবুকেই পোস্ট হয়েছিল - পরে ব্লগেও দিলাম। আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব আপত্তিকর লাগেনি, তাই - মানে এই গুরুর পাতাকে ফেসবুকের ওয়ালের মত ব্যবহার করাটা। যদি এটায় কারো আপত্তি থাকে তো জানাবেন অবশ্যই - আপতিগুলো যুক্তিগ্রাহ্য হলে অবশ্যই ভবিষ্যতে এ থেকে বিরত থাকব।
    রঞ্জনদা - এই কথাটা শুধু ছত্তিশগড়ে না - উড়িষ্যাতেও চলে। আমিও শুনেছি।
    রোবু, বইগুলোর নাম ইচ্ছা করে এড়িয়ে গেছি - কারণ কার যে কী বই পড়ে কী রিয়াকশন হয়। আমার বইগুলোর অধিকাংশই তেমন কিছু নয় কিন্তু - তবে আমি পড়ে কিছু খোরাক পেয়েছি ভাবনার। সেগুলো সম্ভবতঃ এখানে অনেকেরই বহুপঠিত - যেমন থাউজান্ড ইয়ারস অফ সলিচ্যুড। বা ধরুন লর্ড অব দ্য রিংস। দ্য কাইট রানার, আ থাউজান্ড স্প্লেন্ডিড সানস, দ্য গ্লাস হাউস, হ্যারি পটার সিরিজ, এই সব। খুব উল্লেখযোগ্য নয় বলেই নাম লিখিনি।
    "সুমনের পদস্খলন" ব্যপারটা আপনার মত আমিও ইনভার্টেড কমার মধ্যে দিলেই ভালো করতাম মনে হয়। আমি খুব বেশী পদস্খলন দেখিনি - কিন্তু গত দু-তিন বছরে ওনার কিছু বয়ান, যেমন ওর শত্রুর স্ত্রী-রা ওর বিছানায় আসতে চান জাতীয়, কিম্বা মমতার মন্দির - ইত্যাদি প্রভৃতিকে "পদস্খলন" বলা যেতেই পারে। গানের ক্ষেত্রে আমি এখনো সুমনের পদস্খলনের পরিচয় পাইনি।
  • kc | 204.126.37.130 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:১৫51612
  • লেখাটা ভালো লাগল বেশ। আমি পালটি খাইনি, খেতে পারিনি। তবে এখন, যাঁরা পালটি খেয়েছিলেন বা খেলেন, তাঁদেরকে দোষারোপ আর করিনা।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:১৮51613
  • শ্চ দেখি থেকে থেকেই গুরুর বাইট খরচা, পাতার অপচয় এনিয়ে প্রচণ্ড চিন্তিত হয়ে পড়েন। আপনার না পোষালে সেই লেখা কাটিয়ে দিন না। বা লেখার সমালোচনা করার থাকলে কারণ দেখিয়ে সেটা করুন। নিজে লিখুন। কেউ তো তাই নিয়ে বাইট খরচা বা পাতার অপচয়ের অভিযোগ তোলেনি। এমনকি বহুসময়েই আপনার মতবিরোধ হলেই লোকজনকে খিস্তাখিস্তি করে গেলেও।
  • amit | 213.221.7.18 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৩৬51614
  • "“মেধা ভিন রাজ্যে চলে গেলে” ক্ষতি কি? মেধা মানে তো প্রকৃত মেধাবী নিয়ে মাথা ঘামানো হচ্ছে না – এখানে “মেধা” বলতে সেই মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের পাশ করা ছেলেমেয়েদের কথা বলা হচ্ছে। তারা পাশ করেছে, ভালো চাকরি করবে বলে – যেখানে পাবে, সেখানেই যাবে। যেখানে যাবে সেখানকার অন্ন ধ্বংস করে আয়েশ করবে – কেউ কেউ লোকদেখানো চ্যারিটি করবে। এরা বাড়ির ভাত খেতে পেলো কি না, তাতে অবশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের, অবশিষ্ট ভারতের কী যায় আসে?"- ????? এটা কি আদৌ সিরিয়াসলি লেখা, নাকি খিল্লি ? নাকি টক আঙ্গুর-?

    অৰ্থনীতিটা কি এতটাই সরল রেখায় চলে ? দু টাকার চাল আর সাইকেল এর রাজনীতি টাই কি অর্থনীতি ? সরকার তো আর আকাশ থেকে পয়সা বানায় না। এই তথাকথিত মেধাবী বা সাধারণ ছেলে মেয়ে গুলোই চাকরি করে যে ট্যাক্স দেয়, তাতে সরকারের ভাড়ার এ পয়সা আসে। শিল্পগুলো যে ট্যাক্স রেভিনিউ জেনারেট করে, তাতেও সরকারের ভাড়ার ভরে, আর সেই পয়সা দিয়েই সমাজের দরিদ্র অংশের সেবা করা যায় আরো ভালোভাবে। যারা বাইরে খেটে পয়সা রোজগার করে এবং ট্যাক্স দেয়, তারা সমাজে কিছু কম কান্ট্রিবিউশন করেনা, তথাকথিত বুজিদের থেকে। আর কেও যদি শখের সমাজসেবা করে, তাহলেও এতো জুলুনি কেন ? পব তে সৌখিন বুজিরা কি অন্য কিছু করছেন ?

    আর বাইরের দেশের সরকার দু টাকার চালের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা, তারা চেষ্টা করে ফ্রি স্কুল এডুকেশন দিতে, ফ্রি স্কুল বাস চালাতে, সহজে uni এডুকেশন লোন দিতে, যাতে পড়াশোনা করে আরো বেশি লোক চাকরি পায় এবং ট্যাক্স বেস আরো বাড়ানো যায় আর সর্বাঙ্গীন ডেভেলপমেন্ট আরো ভালোভাবে হয়।

    যাই হোক। বেশি ভাটের বিতর্কে যাওয়ার ইচ্ছে নেই, আর সিঙ্গুর নিয়ে তর্ক তো অনন্তকালের জন্য বলিপ্রদত্ত। তবে উপরোক্ত মন্তব্যটা অনাবশ্যক তিক্ত লেগেছে এবং এইভাবে না বলা হলেও মূল বিষয়ের কোনো ক্ষতি হতোনা।
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:০০51615
  • কিন্তু ট্যাক্স টাই তো বড় কথা নয়।গরিব -গুর্বো লোকজন ট্যাক্স দেয় না এমন টাও নয়।বরঞ্চ ট্যাক্স ছাড় পাই ও ফাঁকি সবচেয়ে বেশি দেয়, শিল্পপতিরা । যেকোনো সরকারের সঙ্গে সর্বদাই তাদের বাজে নেক্সাস গড়ে ওঠে ।
    সেটাই তো আপত্তির।
    আপত্তি তো জমি অধিগ্রহণ এর মতো একটা অতি বিশ্রী কালা কানুন কে পদে পদে ভায়োলেট করতে সরকার যখন অত্যন্ত উদগ্রীব হয়ে পড়ে ।ক্ষমতার দম্ভে কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না।ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কিছু মধ্যবিত্ত শিক্ষিত যুবক চাকরি পাবে আর রেভিনিউ বাড়বে এইসব ঢপের।
    আরে, রেভিনিউ তো খয়রাতি টাকা কে কম্পেন্সেট করতেই বেড়িয়ে যাবে।
    ধরা যাক অদ্যবধি একটা খুব ভালো ডিল- ইনফোসিস দেড় কোটি টাকায় পার একর কিনলো। অর্থাৎ কাঠা প্রতি তিন লাখের কম।
    আমি চাইলে পাবো; বারো লাখে চার কাঠা জমি? তার ওপর সেজ এর বায়না। এসব কি ধরণের ছেলেমানুষি?
    তার ওপর রয়েছে জমি ফেলে রাখা। জিন্দাল রা অধিগৃহীত জমিতে কিছু না করে কেটে পড়লো। ওই সব জমিদাতারা নিজেদের কি চিটেড বলে মনে করবে?
    দেশে হাজার হাজার একর এস ই জেড এর নাম ফেলে রাখা হয়ে। কেন? দায়বদ্ধতা ও ইকোনোমি কে এগিয়ে নিয়ে যেতে কি খালি গরিব জমিদাতা রাই চাকার নিচে মাথা পাতবে?
  • Arpan | 90.71.14.210 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:০৯51616
  • "যেখানে যাবে সেখানকার অন্ন ধ্বংস করে আয়েশ করবে" - এটা একটু নি-জার্ক রিঅ্যাকশন মনে হয়েছে। ট্যাক্সের ব্যপারটা না হয় ছেড়েই দিলাম, কিন্তু যেখানে যাবে সেখানকার স্থানীয় অর্থনীতিতে এদের উপার্জিত অর্থ সার্কুলেট হবে না? হোয়াইট কলার করা লোকজনের কত অংশ আর বাইরের রাজ্যে থেকে নিজের রাজ্যে টাকা রেমিট করেন?

    বাকি প্রবন্ধটি অবশ্যই সুলিখিত। প্যারাগ্রাফ ব্রেক দিলে একটু চোখের আরাম হত।
  • ছক | 195.38.14.171 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:১০51617
  • পুরোটাই কর্পোরেট ল্যান্ড গ্র্যাব । সাধারণ মানুষের হাত থেকে জমি নিয়ে সস্তায় শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়া । কোথাও আদানি আম্বানিদের হাতে, কোথাও টাটার হাতে । প্রচুর লোক টুপিটা খায় দেখাই তো গেছে ।
  • sm | 53.251.91.131 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:১৯51618
  • কিন্তু টুপি পড়েছি, সেটা স্বীকার তো করবে না!করলেই যে জাতীয় লজ্জা!
    এটাও একটা কলোনিয়াল মানসিকতা।
  • cm | 127.247.99.251 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২৮51620
  • ব্যক্তিগত সততায় ব্যাপারটা বেশ আবেগ ঘন, গদগদ, আঠালো হয়ে ওঠে। সেসব বাদ দিলে আর কি থাকে!
  • h | 213.132.214.86 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪০51621
  • অবজেক্টিভিটির ক্ষতি হতে পারে এটুকু বলেছি, একটা মানুষের ইনটেলেকচুয়াল জার্নি কে অসম্মান করা সমর্থন করতে পারবো না।
  • h | 213.132.214.86 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৩51622
  • তবে শীর্ষেন্দুর কোন ইনটেলেকচুয়াল জার্নি কেন হচ্ছে না, এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই ও নি, চাইব ও না ;-)
  • dc | 181.49.178.221 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৮51623
  • শীর্ষেন্দু বোধায় অলরেডি ডেস্টিনেশানে পৌঁছে গেছেন।
  • h | 213.132.214.86 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৬51624
  • সেটা হতে পারে, তবে অনেকেই চট করে পৌছন না, যেমন রবীন্দ্রনাথ।
  • dc | 181.49.178.221 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৩51625
  • রবীন্দ্রনাথ তো বিশ্বকবি, তো কবিটবিরা চট করে পৌঁছে গেলে ট্রাফিক সিগনালে গান শোনাবে কে?
  • h | 213.132.214.86 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৫51626
  • ;-)
  • cm | 127.247.99.251 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১২51627
  • আমার অবজেক্টিভিটি ভয়ানক কেঠো লাগে। আমি ক্লাসেও ও ভাষায় কথা বলবনা বলে দিয়েছি। চূড়ান্ত কেঠো নোট দিয়ে দেব, আর ক্লাসে আবেগ সম্পৃক্ত অংশতঃ ঢিলেঢালা ভাষা ব্যবহৃত হবে।
  • h | 213.132.214.86 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১৪51628
  • ঃ-)))))))))))
  • রৌহিন | 233.223.132.217 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:৫৯51629
  • অনস্বীকার্য, এখানে মূল আলোচ্য বিষয় থেকে ব্যক্তিগত জার্নি বেশী প্রাধান্য পেয়েছে। সততা টততা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না - আমি সততা, অসততা, ভালো-মন্দ, ঠিক-ভুল এগুলোকে এখন সম্পূর্ণতই আপেক্ষিকভাবেই দেখি - কাজেই অসৎ হলেও নিজেকে নিয়ে তেমন চিন্তিত হতাম না। সততা বোধ হয় সেই কারণেই কারণ ওটা হারানোর কিছু নেই।
    তবে মূল বিষয়টাকে এড়িয়ে যেতে চাই না। আমি যে বিষয়গুলো বাদ দিয়ে বা মিস করে গেছি, সেগুলো এখানে আলোচনায় উঠে আসুক না। তাতে আমার জার্নির গপ্প চাপা পড়ে গেলে কোন ক্ষতি নেই। আরেকটা নতুন জার্নি শুরু হয়ে যাবে তো
  • Ranjan Roy | 192.69.108.118 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৩১51630
  • ক।
  • h | 213.132.214.84 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৩51619
  • এত হনেস্ট লেখা যে কোন লোকের ই ভালো লাগবে। কিন্তু কয়েকটি কথা, মানুষের একটা জার্নি থাকে, সেটাতে অবস্থান বদলাতে পারে, সেটার জন্য বিশাল কনফেসনাল প্রয়োজন আছে কিনা জানি না বিশেষতঃ সেই পরিস্থিতিতে যেখানে যা ঘটেছে, সেখানে ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণ কম। এবং আরেকটু আগ বাড়িয়ে বলবো, এই ধরণের পারসোনাল লেখায় মুশকিল হল ব্যক্তিগত সততার বিষয় টা অন্য আলোচ্য বিষয়কে ছাপিয়ে যায়, তাতে মূল আলোচনার কি উপকার হয় জানি না।
  • dc | 132.178.16.164 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৪51656
  • না, ওপরতলা থেকে মমতা প্ল্যান বানিয়ে খাইয়েছে এটা আমারও মনে হয়না। যেকোন সফল রাজনীতিকের মতোই মমতা সুযোগ চিনতে পেরেছিলেন। যখন দেখেছিলেন নীচু তলায় অসন্তোষ আছে (যেটা সানন্দেও ছিল, বেশীরভাগ জায়গাতেই থাকে) তখন তিনি সেই অসন্তোষের আগুনে ঘি ঢালতে শুরু করেন, যত্ন করে ওখানকার সাধারন মানুষের ভয়ভীতিগুলোকে ম্যাগনিফাই করতে শুরু করেন, ওনার দলের লোকেরা সেগুলো খোঁচাতে শুরু করে। অবশ্যই বুদ্ধবাবুর অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে বিরাট ব্যার্থতা ছিল এই আন্দোলনকে মোকাবিলা করতে না পারা।
  • Arpan | 101.214.5.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১৪51657
  • সবচেয়ে বড় ভুল ছিল প্রোজেক্ট ইনিশিয়েশনের সময়। ঠিকমত স্টেকহোল্ডার অ্যানালিসিস না করা (বা বলা ভালো করতে না চাওয়া)। আর স্টেকহোল্ডার মানে শুধু সিঙ্গুরের জমিদাতা বা জমির ওপর নির্ভরশীল কম্যুনিটি শুধু নয়, সিঙ্গুরের লোকাল কৃষক সভাও তার মধ্যে পড়বে।
  • Bratin | 11.39.36.36 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১৬51658
  • স্টেক হোল্ডার অ্যানালিসিস!!

    পিএম পি করা প্রজেক্ট ম্যানেজার বাবা!!
  • h | 213.132.214.84 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩৩51659
  • ইন্সিডেন্টালি, ক্ষেতমজুর আর দিনমজুর দের একটা অংশকে একটা ট্রেনিং সেন্টার করে ট্রেনিং দেওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেটা র প্রসেসে 'আর্বিট্রারিনেস' ছিল, স্টেকহোল্ডার নির্ণয় টা সিপিএম সহ যেকোনো সরকারের বাবার জমিদারী অর্থাৎ কর্পোরেট মিটিং না যে ঘোসনা করলেই লোকে স্টেকহোল্ডার হয়ে গেল।ঃ-))) আমি এই পোগ্গামে অথবা পোজেক্টে স্টেকহোল্ডার কেন, কারণ আমার বাবা বলেছেঃ-))))))))))))))))

    যেটা উচিত ছিল, ১৮৯৪ এর আইনের ক্ষেত মজুর দিন মজুরের অধিকার সংক্রান্ত সংশোধনি আনার পরে একটি সিল্প আনা, তখন দেরীর জন্য সবাই চলে গেল বললে হবে না, আর পালিয়ে গেলেও হবে না;-) প্লাস, প্যাকেজ জিনিসটা ডিপেন করে 'লোকেসন' এবং ইন্সিডেন্টালি, 'জমির চরিত্র পরিবর্তনের' উপরে, মানে মার্কেট রেট সংজ্ঞা অনুযায়ী। তো পুরুলিয়া যে কারণে কলকাতা থেকে ৩০ কিমি দূরে, ঠিক সেই চক্রান্তমূলক কারণে দিল্লী কলকাতার কাছেও না। এখন দাম বাড়ানোর আরেকটা সাংঘাতিক লেজিটিমেট উপায় ছিল, সেটা হল, সিল্প সিল্প হবে করে স্পেকুলেসন করিয়ে জমির দাম বাড়ানো, যে পদ্ধতি সত্যম / মেটাস ইত্যাদি কেস এ হায়েদ্রাবাদে হয়েছিল, আর এখন অবশ্য সেটাই হচ্ছে, ইন ফ্যাক্ট 'আমরা' শিল্প করবো বল্লেই জায়গার দাম বাড়বে, তাতে একাধারে সিল্পায়ন ও ল্যান্ড শার্কায়ন ও হবে, ট্রেডিং উইথ প্রিভিলেজ্ড ইন্ফো একটা বড় ব্যাবসা। বৈদিক ভিলেজ কেস এ এটাই হয়েছিল।

    তবে এগুলো কোন ইসু না, এগুলো ভুল ঠিক, সিল্প বনাম কিসি ভেবে কি হবে, ইসু তো একটাই সেটা হল রায় ও তার পাঠ। বি এম ডাব্লিউ আশার আগে অব্দি রায় পড়ুন। সেটা সরসিজ আর আমি করেছি, অর্পণ এখনো করে নি ;-)
  • Bratin | 11.39.36.36 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩৭51660
  • কবি বলেছেন " আশায় বাঁচে চাষা"। কিন্তু বদ্যি দের সম্পর্কে কিছু বলেন নি।অথচ ..... ঃ)))
  • Arpan | 101.214.5.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৪51661
  • বুঝলাম, হানুমেশোর আর নতুন কিসুই বলার নেই, কিছু গোল গোল ঘোরা ছাড়া, ইন ফ্যাক্ট আমিও তাই করে চলেছি, বাকি থাকল রায়দান মেড ইজি ভার্সন বাই দাশগুপ্তা এন্ড দাশগুপ্তা, সেও না হয় করে নেওয়া যাবে। ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন