এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সিঙ্গুর রায়ঃ আমি কেন পালটি খেলাম

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৫১৭ বার পঠিত
  • সিঙ্গুরের রায় বেরোনোর পর থেকে চারদিকে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। সুপ্রীম কোর্ট জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের জমির অধিগ্রহন অবৈধ ছিল এবং হাজার একর জমিই তার মালিকদের ফিরিয়ে দিতে হবে আগামী বারো সপ্তাহের মধ্যে। পক্ষে, বিপক্ষে, এখন যারা পক্ষে আছেন তাদের মধ্যে কয়জন ডিগবাজি খেয়েছেন, সত্যিই এই রায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করল না লাভ – এসব নানা প্রশ্নে, নানা দৃষ্টিভঙ্গী থেকে, নানা পথে আলোচনা চলেছে।। আমি এই আলোচনায় বেশী অংশ নিই নি – কারণ আমার কিছু ভাবার ছিল। ইন্সট্যান্ট রিয়াকশন দিতে পারিনি। নিজেকে জাস্টিফাই করার দরকার হয়েছিল। আমি কোনদিকে, নিজেও সংশয়ে ছিলাম। তারপর মাঝে বাউ এর একটা পোস্টে লিখলাম, “আগে যারা শিল্প চলে গেল বলে কেঁদেছিল, যাদের অনেকেই এখন সিপিএমকে তেড়ে গাল দিচ্ছেন – তাদের মধ্যে আমিও একজন – এই ওপেন ফোরামে স্বীকৃত ও লজ্জিত হলাম” বলে। কিন্তু মনে হয়েছিল, তারপরেও কিছু বলার থেকে গেল। সেটা এবার বলি।
    প্রসঙ্গতঃ এই বলাটা শুধু সিঙ্গুর প্রসঙ্গে নয় – বা বলা ভালো সিঙ্গুর প্রসঙ্গে আদৌ নয় – ওটা উপলক্ষ মাত্র। আমার বক্তব্য আমার নিজের একটা জার্নি বিষয়ে – গত ছয় / সাত বছরের। যে সময়টার আগে পর্যন্ত সিঙ্গুর প্রশ্নে বুদ্ধবাবুকে সমর্থন এবং তীব্র মমতা বিরোধিতা করে গেছি নির্দ্বিধায়। এবং যে সময়টার পরে, মমতার সমর্থক হয়ে না গিয়েও, বুদ্ধবাবুর সমর্থকও আর থাকতে পারিনি। গত ছয় সাত বছরে কিছু ক্ষেত্রে যে আমূল পালটি খেয়েছি, এটা তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভবতঃ।
    যখন তৃণমূল আন্দোলন করছে, ধর্ণা দিচ্ছে, এবং আমরা তাদের রাজনীতির সমালোচনা করছি, তখন যে কটা বিষয়ে খুব জোর দিয়েছিলাম –
    প্রথমতঃ, বিশ্বাস করেছিলাম, এখানেই এই শিল্পের সেরা জায়গা – অন্যত্র, বাঁকুড়া বীরভূমের অনাবাদী জমি কিংবা হাওড়ায় বন্ধ কারখানার জমি উপযুক্ত নয়, কারণ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার এসব জায়গায় নেই – এসব না দিলে শিল্পপতিরা শিল্প করতে আসবেন না। কী করে বিশ্বাস করেছিলাম তা জানিনা, বোধ হয় বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম বলেই করেছিলাম।
    দ্বিতীয়তঃ বিশ্বাস করেছিলাম, সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানা পশ্চিমবঙ্গকে শিল্প মাণচিত্রে উপরের দিকে এনে দেবে। এই বিশ্বাস করায় বিশ্বাস করুন, সিপিএমের চেয়ে তৃণমূলের কৃতিত্ব বেশী – তারা এত তীব্র বিরোধিতা না করলে এটা হওয়া যে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, সেই বিশ্বাসটা মনের মধ্যে এঁটে বসত না।
    তৃতীয়তঃ মেনে নিয়েছিলাম যে কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। "নিয়েছিলাম"। অতীতকাল।
    চতুর্থতঃ বিশ্বাস করেছিলাম যে চাষীদের যে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট ভালো – দেশের সেরা প্যাকেজগুলোর মধ্যে একটা
    এবারে, ওই সমর্থন করা কালীন যে দুটো বিষয় খুব ভাবিয়েছিল, যাকে আমরা বিশ্লেষণের ভাষায় এনোমালি বলি, তাদের কথা বলি –
    প্রথমতঃ, আশেপাশে যাদেরকে চিনি, ভদ্রলোক, চিন্তাভাবনা করেন, তারা সবাই প্রায় দেখেছি এ ব্যপারে বুদ্ধবাবুর সমর্থক, মমতাকে বিধ্বংসী রাজনীতির কারবারী বলছেন, অথচ সেই লোকসভা ভোট থেকেই শুরু হল তৃণমূলের জয়জয়কার। এই ভোটগুলো তাহলে কারা দিচ্ছে? এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার পুরোটাই কি রিগিং, নাকি আমি এত মানুষের সঙ্গে কথা বলেও এই সংখ্যাগরিষ্ঠকে চিনিই না? এই প্রশ্নটা বারে বারে হন্ট করেছে।
    দ্বিতীয়তঃ তিনটে নাম। মমতার “বুদ্ধিজীবি সেলে” এমনিতে যারা ছিলেন বা আছেন, তারা অধিকাংশই মিডিওকার – কেন স্রোতে ভাসছেন, তার সহজ ব্যখ্যা হয়। ব্যখ্যা পাইনি তিনজনের ক্ষেত্রে – মহাশ্বেতা দেবী, মেধা পাটেকর আর কবীর সুমন। এঁদের কারোই কিছু প্রমাণ করার ছিল না – কিছু তেমন পাবারও না – তা সত্ত্বেও ওই অবস্থান মঞ্চে এরা কেন? এমনও তো নয় যে এঁদের জোর করে ধরে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনজনেই বেশ এক্টিভ – কেন?
    কিন্তু এই দুটো এনোমালি উপেক্ষা করেই সমর্থন জারি ছিল। তাহলে গত তিন চার বছরে কী এমন ঘটল? যার জেরে পালটে গেল আমার সমর্থন, দৃষ্টিভঙ্গী? ঘটল – আমার জীবনে। আমার বৌদ্ধিক চর্চায়। যার জন্য শুরুতেই বলেছি – সিঙ্গুর এখানে উপলক্ষ মাত্র – এই বক্তব্য আসলে আমার ব্যক্তিগত জার্ণি বিষয়ক। গত ছয় সাত বছরে আমার মননের জগতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্ভবতঃ গুরুচন্ডালীতে যোগদান। এখানে এসেছিলাম কিছু নামের টানে – আর নিজেকে একটু জাহির করব ভেবে। কিন্তু এখানে আরো অনেককে পেলাম – যাদের সামনে জাহির করা দূরে থাক, নিজেকে নেহাৎ ই চুণোপুঁটিতুল্য বলে চিনে নিতে সময় লাগলো না। এখান থেকে পেতে লাগলাম নতুন দৃষ্টিভঙ্গী – বহুত্ববাদের নতুন ব্যখ্যা। সেই সঙ্গে আরো দু-একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা – এই সময়কালে আমি ভারতের দু-তিনটি বিশেষ অঞ্চলকে কাছ থেকে চিনলাম – ওড়িশা, ত্রিপুরা এবং ছত্তিশগড়। আর এই সময়েই পড়ে ফেলা কিছু আন্তর্জাতিক সাহিত্য - যা নতুন করে চিনতে শেখালো আমার চারিদিকটাকে। এই কাছ থেকে দেখা, এবং তার সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গীর, এপ্রোচের পরিবর্তন আমার ভাবনায় প্রভাব ফেলতে শুরু করল। আগের ভাবনার এনোমালিগুলো বড় হতে হতে আর উপেক্ষণীয় রইল না।
    প্রথম এনোমালি – সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে চিনি কি না – ক্রমশঃ নিশ্চিত বোঝা গেল, সত্যিই চিনতাম না। ততদিন অবধি যাদের বক্তব্য মূল্যবান মনে করেছি, এবং যাদের বক্তব্য টিভিতে বা কাগজে বিদগ্ধদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হতে দেখেছি – তারা সবাই মূলতঃ মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক সম্প্রদায়ের প্রতিভূ। এর আগে যখন ছাত্রাবস্থায় বা প্রথম যৌবনে বামপন্থী রাজনীতি করতে গিয়ে গরীব মানুষের মধ্যে গিয়ে থেকেছি, কাজ করেছি, তখন নিজের অজান্তেই, পরিবার এবং শিক্ষার প্রভাবে, তাদের সংগে একটা দূরত্ব থেকেই গেছিল। অর্থাৎ এরা গরীব গুর্বো মানুষ, আমাদের এদের জন্য কিছু করা উচিৎ - নইলে বেচারাদের কী হবে এরকম একটা মানসিকতা। ঠিক প্রকটভাবে এরকমটাই নয় – কিন্তু প্রচ্ছন্নভাবে যে এরকমটাই ছিল, সেটা তখন না বুঝলেও এখন দিব্যি বুঝি। আর এই দূরত্বটার কারণেই তাদের কোনদিন ঠিকমতো চিনিনি আমি, আমরা। মধ্যবিত্ত বামপন্থী কর্মীরা। সিপিএম / ডি ওয়াই এফ আই / এস এফ আই এর “ক্যাডার”রা। নব্বই এর দশক এবং তার পরের। কারণ তখন সেই পারস্পেক্টিভ আমাদের ছিলনা – যা পেয়েছি গুরুচন্ডালী এবং তার বিভিন্ন চিন্তকের সূত্রে। সব রকম মতবাদের চিন্তকেরাই এর মধ্যে আছেন – বাম, অতি বাম, মধ্য, দক্ষিণ, চরম দক্ষিণ।
    আর দ্বিতীয় খটকা – ওই তিনটে নাম। এরা কিন্তু কেউ নিজেদের কাজের বাইরে যাননি – অস্বাভাবিক কিছু করেননি। মেধা নর্মদায় যা করেছেন, মহাশ্বেতা পুরুলিয়ায়, সুমন তার গানে – এখানে সেই ধারাবাহিকতাই তাঁরা বজায় রেখেছেন (কবীর সুমন নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকতে পারে – কিন্তু ক্রনোলজিকালি, সুমনের পদস্খলন এর অনেক পরের ঘটনা)। তারা সেই সব মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, যাদের জমি তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের “উন্নয়নে”র চাকার তলায় চাপা পড়েছেন। আমরা তখন বুঝেছিলাম, নিজেদের মগজ বন্ধক রেখেই বুঝেছিলাম এটা আসলে তাদের “ভালো”র জন্যই – কারণ তখনো ভাবতাম তাদের ভালো আমরা ছাড়া কে-ই বা করবে।
    তাহলে দাঁড়ালো কি? সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণকে তখন সমর্থন করতাম, এখন করছি না। কেন করছি না? কারণ এখন আমার কাছে বিষয়টা অন্য পরিপ্রেক্ষিতে ধরা দিয়েছে। এখন আমি আর মনে করি না, সিঙ্গুরের (বা নন্দীগ্রাম, বা হরিপুর, বা দান্তেওয়াড়া, বস্তার, কালাহান্ডি, রায়পুর, বালুরঘাট এবং এবং এবং --) মানুষের ভালো বা মন্দ করা আমাদের দায়ীত্ব। সেটা তাদের দায়ীত্ব, এবং সে দায়ীত্ব নিতে তারা যথেষ্ট সক্ষম, যদি বাইরে থেকে অবিরত নাক গলানো বন্ধ করা হয়। সিঙ্গুরের জমি, অধিগ্রহণের আগে তিন ফসলী ছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রে – এই জমিতে কারখানা করার কোন জাস্টিফিকেশন দেখি না। হয়তো যে সব অংশে কন্সট্রাকশন হয়ে গিয়েছিল, জমি সংস্কার করলেও তারা আর আগের মত উর্বর থাকবে না (আমি কৃষিবিদ নই – সঠিক জানি না), তবুও এ জমি চাষীদের ফেরৎ পেতে দেখে আমি খুশী। তাঁরা যথেষ্ট কুশলী এবং পরিশ্রমী – আজ না হলেও কয়েক বছর পরে ওই জমি আবার তার আগের চরিত্র ফিরে পাবে বলেই আমার ধারণা।
    পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়ণ দরকার আছে বলে মনে করি কি না? শিল্পায়ণ হলে কর্মসংস্থান হবে, বেকার যুবক যুবতীরা কাজ পাবে, রাজ্যের মেধা ভিনরাজ্যে পাড়ি দেবে না – এগুলি চাই কি চাই না? ছয় বছর আগে হলে নির্দ্বিধায় বলতাম হ্যাঁ চাই এসব। এখন আর বলতে পারিনা ততটা জোরে। কারণ, যারা এসব বলেন, তারা প্রায় সবাই একটা ভাসা ভাসা ধারণা থেকে কথাগুলো বলেন। শিল্পায়ণ হলে কী ধরণের কর্মসংস্থান কতটা হবে তার পরিষ্কার ধারণা অনেকেরই নেই । যাদের আছে, তারা জোর দিয়ে বলতে পারেন না, সেই কর্মসংস্থানের সঙ্গে জমি অধিগ্রহণের কী সম্পর্ক? কেন কৃষিজমিতেই শিল্প হতে হবে? কেন বন্ধ কারখানার জমি অধিগ্রহণ করে নতুন শিল্প করা যাবে না? কেন বাঁকুড়া পুরুলিয়া অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত অনুর্বর, পতিত জমিতে শিল্প হবে না এবং তার প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ে তোলা হবে না? এবং সব শেষে আরেকটা প্রশ্ন ছোট্ট করে রেখে যাই – “মেধা ভিন রাজ্যে চলে গেলে” ক্ষতি কি? মেধা মানে তো প্রকৃত মেধাবী নিয়ে মাথা ঘামানো হচ্ছে না – এখানে “মেধা” বলতে সেই মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের পাশ করা ছেলেমেয়েদের কথা বলা হচ্ছে। তারা পাশ করেছে, ভালো চাকরি করবে বলে – যেখানে পাবে, সেখানেই যাবে। যেখানে যাবে সেখানকার অন্ন ধ্বংস করে আয়েশ করবে – কেউ কেউ লোকদেখানো চ্যারিটি করবে। এরা বাড়ির ভাত খেতে পেলো কি না, তাতে অবশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের, অবশিষ্ট ভারতের কী যায় আসে?
    বস্তার থেকে রায়পুরে দেখেছি, কালাহান্ডি থেকে ভূবনেশ্বরে দেখেছি, সোনাই থেকে আগরতলায় দেখেছি, কাঁথি থেকে কলকাতায় দেখেছি – কিভাবে “উন্নয়নে”র নামে সর্বত্র নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষকে উৎখাত করে, তাদের পেশা থেকে, জীবনযাত্রা থেকে, সংস্কৃতি থেকে উচ্ছেদ করে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে আরো আরো প্রান্তে – যাতে সুবিধাভোগী শ্রেণীর জন্য আরো সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা যায়। তা তাদের প্রাণের মূল্যেই হোক না কেন। এই দেখার পর আর সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে শাইনিং পশ্চিমবঙ্গের কোন কথা বিশ্বাস করিনা। সিঙ্গুর রায় পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সম্ভাবনাকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেয় নি – কৃষিজীবি দরিদ্র মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে। বামপন্থী আন্দোলনকে দিশা দেখিয়েছে – আয়রনিকালি হলেও।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৫১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 213.110.242.6 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:২৫51682
  • তা ঠিক। কিন্তু উন্নয়নের নির্লজ্জ ঢপ দিয়ে এইভাবে ঢোল কাঁসি কেউ বাজাত না।
    ২০১৫-তে তোমার দলের ওয়েবসাটে দাবীঃ
    Water logging no longer a problem in Kolkata, thanks to modern sewer system by KMC
    আর গত ৪ তারিখের আমড়াগাছীঃ
    “We have kept all the pumping stations of KMC ready and even if there is some waterlogging, it will recede soon,” said Kolkata Mayor Sovan Chatterjee.
    Mayor in Council (Drainage) said , “there is very little waterlogging in the city. It is limited to parts of Central Avenue and Camac Street.”

    কিন্তু কতদিন,......আর কতদিন বামেদের সরকারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবে ব্রতিন? ৬ বছরে নিজেরা দু-একটা রাস্তায় ঝাড়ু মারা ছাড়া আর কি কিছুই করে উঠতে পারো নি?
  • Alcyoneus | 120.173.191.170 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৭51683
  • না, জল নিশ্চয় জমতো, কিন্তু কলকাতার তখন ফ্ল্যাট ছিলো, তাই জল জমাটা অনুচিত ব্যাপার ছিলো। ২০১১-র জুন মাসে কলকাতা হঠাৎ গামলায় পরিণত হয়। রেফঃ আনন্দবাজার (লিঙ্ক চাইলে খুঁজে দেওয়া অসম্ভব নয়)। এখন জল জমা নিয়ে প্রশ্ন তোলা একেবারেই অনুচিত।
  • potke | 126.202.71.34 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৫৬51684
  • ^^^ আবাপ লিনিয়ার অ্যালজেব্রা জানে, বল্লে হবা।
  • Bratin | 11.39.36.117 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৩২51685
  • ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না পিটি দা। তোমার লেখা পড়ে লোকের মনে হতে আগে সব ঠিক ছিল এখন উন্ননয়ের ফলে হঠাৎ করে জল জমতে শুরু করলো।সেই টার প্রতিবার করা হয়েছে।ক্লিয়ার?
  • Bratin | 11.39.36.117 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৩৯51686
  • আর জল জমা বিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না।

    কিন্তু ফেসবুক থেকে ভুলভাল কপি পেস্ট করলে মনে হবে হয় উন্ননয় হচ্ছে না বা সিপিএম লিকে দের সেটা হজম হচ্ছে না
  • h | 213.132.214.88 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৪২51687
  • বাবা এতো একেবারে প্রাইভেট ব্যাপার।
  • Alcyoneus | 120.173.191.170 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৪৪51688
  • নো, নট ক্লিয়ার। বাসি বিয়ে জানি, জল জমা বিয়েটা কেমন জিনিস সেটা ক্লিয়ার নয়। উন্নয়ন হচ্ছে কিনা সেটা তো ক্লিয়ার নয়ই। আর এটা ডিক্ট্যাট কিনা সেটাও ক্লিয়ার নয়।

    :-p
  • kc | 204.126.37.130 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৪৭51689
  • খিল্লি করবেননা। গামলা চলে এসেছে, গাম্ভীর্য এই এল বলে,
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৫০51690
  • কজন ভলান্টিয়ার আছে? কত বড় গামলা? ঐকিক নিয়মে বার করতে হবে ETA। স্ল্যাক টাইম কনসিডার করা হয়েছে কি?
  • Alcyoneus | 120.173.191.170 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৫৪51691
  • আগে তিন বুড়ো পণ্ডিত কে কে ঠিক করুন।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩১51692
  • লিক মানে সেই উকুনের ছানা না? ইবাবা! সিপিএমরা উকুনেরও অধম।

    কিন্তু রৌহিনের পাল্টি থেকে একেবারে গাম্ভীর্য্যে চলে যাওয়াটা ঠিক হচ্ছে না। লাইনে আসুন মহায়রা
  • Alcyoneus | 37.63.140.49 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩৮51693
  • লীক এক ধরণের সবজি, ভালো স্যুপ হয়।

    লীচ হল জোঁক।

    লিক্‌ ললিপপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

    আর সাইকেলের টিউবে লিক হয় (লীক বল্লেই ভালো হয়)।
  • dc | 120.227.243.241 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৫৫51694
  • লিক এর আরেকটাও মানে হয়, সে অবশ্য আমরা ছোটবেলায় বলতাম।
  • Alcyoneus | 37.63.140.49 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৫৭51695
  • জৈবিক ক্রিয়া হলে হিন্দিভাষীরা এখনো বলে থাকে।
  • dc | 120.227.243.241 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:০৪51696
  • হুঁ।
  • cm | 127.247.97.10 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৩২51670
  • " বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী আর আমলা দের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা করা উচিত, প্রয়োজনে ক্রিমিনাল।" এই হল কাজের কথা, কেন তা অবশ্য ধনঞ্জয় সংক্রান্ত ভাবসম্প্রসারণেই বলা হয়েছে।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৩৩51697
  • kolkata শহরের ড্রেনেজ এমন একটা বৃষ্টির জন্য ডিজাইন করা যাতে বছরে ৬ বার তার থেকে বেশী বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা (একদম statistically) থাকে ।

    মোটামুটি পরশু আর তারআগের দিন ওই ক্রস করা টাইপের বৃষ্টি হয়েছে। তবে এই ক্রস করলেই যে জল জম্বে সেটা অবশ্য আবশ্যিক না - এই কয়েকশো কিমি পাইপের নিজস্ব জলধারণ ক্ষমতাও কম না। এর পর রয়েছে পাইপে সিল্টেশান সমস্যা, হাই টাইডের সময় পাম্প নির্ভর জল নিষ্কাশন, এবংে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাবে চোকড পাইপ।

    একটা সরকারের পক্ষে রাতারাতি কেন - অন্তত ১৫ বছরেও এই পুরো পাইপ সিস্টেম বদলে দেওয়া সম্ভব না। সেটার প্রয়োজনও নেই। সম্ভব যেটা সেটা হল ঠিক মতো মেন্টেন্যান্স। তা এ ব্যাপারে ভারতবষের বেশীর ভাগ শহরই উদাসীন - প্রয়োজনীয় পয়সা নেই, যোগ লোক নেই - আর পৃথিবীতে এখনো সেলফ মেইন্টেনিং ড্রেনেজ সিস্তেম কেউ আবিষ্কার করতে পারে নি। কাজেই পলি জমে, জল দাঁড়ায় - আবার বর্ষা আসে..

    ওয়ার্ড ১০১-১৪১ এ কাজ চলছে গত ১৪ বছর ধরে - যদ্দুর জানি কিছু উন্নতি হয়েছে। কিন্তু অই অঞ্চলে সমস্যা অন্যত্র মনিখালি, কেওড়াপুকুর, চুরিয়ালের হাল খারাপ। একবার পলি তোলার কাজ হয়েছে - কিন্তু সেটা রেগুলার করা দরকার। আর এই খালগুলো হুগলির সাথে যুক্ত - কাজেই জোয়ার বেলায় পাম্প করা ছাড়া গতি নেই। সেই সব পাম্পিং স্টেশানের আদ্ধেক আটকে গেছে জমির অভাবে। কাজেই পাই পাতলেও সেই জল আবার ঘুরে ফিরে নিজের ঘরেই ফিরে আসে।

    এ জিনিস বদলাতে গেলে মনে হয় একতন্ত্র বা সামরিক তন্ত্রের প্রয়োজন - যারা যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ করবে - আর দরকার নিরবিচ্ছিন্ন টাকার জোগান আর প্রপার প্রপার্টি ট্যাক্সেসান। এসবই কল্পনা। কাজেই যা চলছে চলুক
  • Alcyoneus | 69.161.79.109 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৪51698
  • এক জায়গায় উন্নতি হলে অন্য আরেকটা জায়গা ডুবছে। যেমন ১১৩/১১৪ - আগে আমবাগান মাঠের ধারে এক হাঁটু জল জমতো। সল্যুশন বলতে আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ বসিয়ে রাস্তা উঁচু করে দিলো। এবার ওই রাস্তায় জল জমছে না বটে, কিন্তু ওর পূর্ব আর পশ্চিমের দুটো রাস্তাই ভাসছে।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৭51699
  • খোঁজ নিয়ে দেখুন যে জায়গায় পাইপ বসিয়েছে ওই দুটো জায়গার কোনো একটাতে হয়ত এই পাইপের আউটলেট অথবা এই পাইপ পাতার সময় ওই দুটোর কারো আউটলেত বন্ধ করেছে। আমি যদ্দুর জানি ১১৩/১১৪ র কাজ সম্পূর্ণ হয়নি এবং বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের পাম্পিং স্টেশান এখনো হয় নি। ওইটা না হলে খুব উন্নতি ১১৩/১১১৪ তে হবে না।
  • Ekak | 53.224.129.62 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৯51700
  • কার্ডিওলজি আর ড্রেনেজ-প্লাম্বিং সিস্টেম একই জিনিসের মাইক্রো -ম্যাক্রো সংস্করণ। এতো গবেষণা -উন্নতির পরেও কার্ডিয়াক এরেস্টে কত লোক মারা যান । অপারেশন এখনো হাই রিস্ক । এর চেও যেটা বড়ো কথা সেটা হলো সচেতনতা । আপনি দেড়েমুশে কোলেস্টেরল খেলে যেমন সার্জেনের বাবাও আপনাকে বাঁচাতে পারবে না , সেরকম যত্রতত্র প্লাস্টিক ফেললে , নন ডিগ্রেডেবল আবর্জনা গিয়ে সর্বত্র নালার মুখ আটকে দিলে কোনো আইন -মিলিটারি দিয়ে কিছু হবে না । কলকাতায় ওয়াটার ড্রেনেজ পুরোনো সমস্যা । ময়লা ফেলাও পুরোনো সমস্যা । মমতার সময়ে সিটি ক্লীন প্রজেক্ট আগের সময়ের তুলনায় অনেক সাকসেসফুল । এটা শুধু স্ট্যাটিস্টিক্স নয় , যাঁরা রেগুলার রাস্তায় হাঁটছেন তারাও জানেন । প্রচুর আধুনিক যন্ত্রপাতি ইন্সটল হয়েছে । এবার রইলো ওয়াটার ড্রেনেজ সিস্টেম । এটা হতে সময় লাগবে । রাতারাতি সম্ভব না । সরকারি -বেসরকারি সবরকম উদ্যোগ একসঙ্গে আসা দরকার ।
  • Alcyoneus | 69.161.79.109 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫১51701
  • ওদিকে আদৌ কোনোদিন কাজ হবে বলে মনে হয় না। ভোলা সেনের আমলে সাংসদ তহবিলের টাকায় ড্রেন তৈরী হল - সব নিয়ে ফেলা হল আদিগঙ্গায়। অথচ ন্যাচারাল ঢাল উল্টোদিকে (রেনিয়ার দিকে)। কাজেই...
  • Alcyoneus | 69.161.79.109 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫৪51702
  • প্লাস্টিক প্যাকেট - কত একটা থিকনেসের কমে যেন ব্যানড। অথচ প্রতিটা মিষ্টির দোকানে সেই পাতলা প্যাকেট ব্যবহার হয়। ব্যক্তিগতভাবে ওরকম প্যাকেট আমরা নিই না, কিন্তু ওভাবে কি বন্ধ করা যায়?
  • Ekak | 53.224.129.62 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫৮51704
  • কর্নাটকে তো করেছে । কোনো দোকান প্যাকেট দেয়না । মানে পাড়ার ছোট মুদির দোকানেও দেয়না । ডিগ্রেডেবল মেটেরিয়াল এর ব্যাগ রেখে দিয়েছে , পাঁচ টাকা করে দাম , ওই কিনতে হয় ।

    কেন সম্ভব না ? কোনো প্রাইভেট কোম্পানি যদি কলকাতায় এমন ব্যাগ বানাতে পারে যার দাম 3 টাকা আর দুটাকা দোকানির কমিশন , তাহলে সব দোকানদার নিজের উদ্যোগে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যান করে দেবে :):):) মার্কেট স্যার । এভাবেই হয় , হচ্ছে । ওদিকে সরকার আইন করার সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যাগওয়ালাকে একটু স্টার্টআপ লোন-সাবসিডি ইত্যাদি দিক ।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫৮51703
  • একক একটু সমস্যা আছে। রক্ত যে ধমনী বা শিরা উপশিরার মধ্যে দিয়ে যাইয় সেগুলো ফ্লেক্সিবল আর দ্রেনেজ পাইপ তা নয়। আর দেহের মধ্যে পাইপ পাতার জায়গা করা আছে। কিন্তু আমাদের সহরে পাইপ পাতার জায়গা পাওয়াই কঠিন। ওনেক সময় এমন অবস্থাও হয় যে একটা ১০০০মিমি ডায়ার পাইপ এমন একটা গলি দিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে যে সেখানে ৮০০ মিমি র বেশী পাতার জায়গা নেই। হয়তো হঠাৎ করে সেখানে চলে এসেছে একটা জলের পাইপ - কিছু ইল্কট্রিক কেবল।
    স্বয়ং সুপারম্যান এলেও কলকাতার আন্ডারগ্রাউন্ড ইউটিলিটি দেখে কেঁদে ফেলতেন - কোনো প্ল্যান নেই- কোনো ম্যাপ নেই - জলের পাইপ, ইলেকটিক, টেলিফোন, অপ্টিক্যাল ফাইবার হাত ধরাধরি করে যাচ্ছে। সাহেব নিয়ে এলেন আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ ডিটেকশান ইকুইপমেন্ট - যা ফল বের হল - দেখে নিজেই দৌড়ে পালাল্লেন।

    সেই আদি পদ্ধতি - গলির দু মাথায় দুটো গত্ত খুড়ে ফেলুন- নাম ট্রায়াল পিট। দেখুন কি কি পাইপ আছে - তারপর পাইপ পাতা শুরু করুন
  • Ekak | 53.224.129.62 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫৯51705
  • আগের পোস্ট অজ্জিত কে ।

    শ্চ , সমস্যা তো আছেই । দুটো সিমিলার হলেও সিম মেটেরিয়াল না । প্ল্যানিং নেই । অনেক সমস্যা আছে । সেইজন্যেই বললুম রাতারাতি সম্ভব না ।
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২৮51722
  • উল্লেখ্য, গতকালই মিউনিখে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অটোমোবাইল সংস্থা বিএমডব্লুর সদর দফতরে গিয়েছিল শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল৷ সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে রাজ্যে অটোমোবাইল শিল্পে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়৷ প্রতিনিধিদলকে বিএমডব্লুর গাড়ি তৈরির কারখানাও ঘুরিয়ে দেখানো হয়৷ দেখা যায়, পৃথিবীবিখ্যাত সংস্থার কারখানাটি মাত্র ১২৪ একর জমির উপর অবস্থিত৷ সেখানেই স্পষ্ট হয়ে যায়, গাড়ি তৈরির কারখানার জন্য ১০০০ একর জমির দরকার নেই৷
    http://www.sangbadpratidin.in/mamata-invites-tata-to-bengal/#.V9DaxqKGOo4
    এটা দারুন খবর দিয়েছে তো! এতো জমি কেন লাগছিলো আর বুদ্ধবাবু র সরকার এক্সট্রা 400 একর কেন দিতে গেলো- এতো চরম রহস্য!
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:১৪51723
  • জার্মানী ছোটো সাইজের দেশ। অত জমি কোত্থেকে পাবে?
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:২৪51724
  • ওই লেভেলের ওটোমেশান করলে তো এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশান হবে না। লাভ কি হবে? স্কেলিটন স্কিলড স্টাফে প্ল্যান্ট চ্লবে। আর ইউনিউন হবে কি করে? INTUC কি করবে? দোলা সেন সুব্রত ইরেলিভ্যান্ট হয়ে যাবে ত
  • রৌহিন | 113.42.126.220 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৬51727
  • মাঝে দুদিন অনুপস্থিত ছিলাম - আলোচনা বহু ঘাটের জল খেয়েছে দেখছি। প্রথমেই হনুদা'কে জানিয়ে দিই - রাগু টাগু করিনি মোটেই। হাগু দিব্যি হচ্ছে রোজ কিনা।
    এটা সিঙ্গুরের টই-ই আছে এখনো - কলকাতার জল জমা তার অন্তর্গত হতেই পারে। এ বিশ্বে সবই পরস্পর সম্পর্কিত। কলকাতায় কিন্তু অবস্থা আগের তুলনায় এখন বেটার - জল জমার প্রশ্নে সামগ্রীকভাবে।
    এবার মূল প্রশ্নে। এখানে ক্ষতিপুরণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে - মমতা আদৌ ক্ষতিপুরণ চেয়েছিলেন বা কারখানা বন্ধই করতে চেয়েছিলেন, তাই নিয়েও। অতিবদ অতি বামেরাই বা কী চেয়েছিলেন। এবং কী ধরণের ক্ষতিপুরণ হলে সানন্দের বদলে সিঙ্গুর হতে পারতো।
    ক্ষতিপুরণ হলে হয়তো আমার পালটি খাবার সুযোগই থাকত না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এই পালটিটা খেয়ে আমি খুশী। এখনকার আমি অন্ততঃ খুশী যে ক্ষতিপুরণ ঠিকঠাক হয়নি, সিঙ্গুর সানন্দ হয়নি। তাতে মমতার রাজনৈতিক লাভ হয়ে থাকলে হয়েছে, সেটা কো-ল্যাটারাল ড্যামেজ হিসাবে নিচ্ছি। কারণ এটা শুধু একটা সিঙ্গুরের প্রশ্ন নয় - ভবিষ্যতের সানন্দদেরও প্রশ্ন। এখানে ন্যানো হলে "কার লাভ হত" সে প্রশ্নে আমার অবস্থান জানিয়েছি আগেই। বি এম ডাব্লিউ এলে ভালো, কিন্তু পুরুলিয়াতেই আসুক। দিল্লী থেকে কলকাতা আর পুরুলিয়ার দূরত্ব প্রায় একই।
  • cm | 127.247.96.94 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:০৬51728
  • রঞ্জনদাকি বলছেন কেউ মাথা ফাটালে পরম প্রেম ভরে তাকে বাড়িতে নেমন্তন্ন করে খাওয়াব? নাকি আপনার ভক্তিরসাশ্রিত কাহিনীকে ঢপের কেত্তন বলায় ভারি ব্যথা পেয়েছেন ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন