এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সিঙ্গুর রায়ঃ আমি কেন পালটি খেলাম

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৫১২ বার পঠিত
  • সিঙ্গুরের রায় বেরোনোর পর থেকে চারদিকে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। সুপ্রীম কোর্ট জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের জমির অধিগ্রহন অবৈধ ছিল এবং হাজার একর জমিই তার মালিকদের ফিরিয়ে দিতে হবে আগামী বারো সপ্তাহের মধ্যে। পক্ষে, বিপক্ষে, এখন যারা পক্ষে আছেন তাদের মধ্যে কয়জন ডিগবাজি খেয়েছেন, সত্যিই এই রায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করল না লাভ – এসব নানা প্রশ্নে, নানা দৃষ্টিভঙ্গী থেকে, নানা পথে আলোচনা চলেছে।। আমি এই আলোচনায় বেশী অংশ নিই নি – কারণ আমার কিছু ভাবার ছিল। ইন্সট্যান্ট রিয়াকশন দিতে পারিনি। নিজেকে জাস্টিফাই করার দরকার হয়েছিল। আমি কোনদিকে, নিজেও সংশয়ে ছিলাম। তারপর মাঝে বাউ এর একটা পোস্টে লিখলাম, “আগে যারা শিল্প চলে গেল বলে কেঁদেছিল, যাদের অনেকেই এখন সিপিএমকে তেড়ে গাল দিচ্ছেন – তাদের মধ্যে আমিও একজন – এই ওপেন ফোরামে স্বীকৃত ও লজ্জিত হলাম” বলে। কিন্তু মনে হয়েছিল, তারপরেও কিছু বলার থেকে গেল। সেটা এবার বলি।
    প্রসঙ্গতঃ এই বলাটা শুধু সিঙ্গুর প্রসঙ্গে নয় – বা বলা ভালো সিঙ্গুর প্রসঙ্গে আদৌ নয় – ওটা উপলক্ষ মাত্র। আমার বক্তব্য আমার নিজের একটা জার্নি বিষয়ে – গত ছয় / সাত বছরের। যে সময়টার আগে পর্যন্ত সিঙ্গুর প্রশ্নে বুদ্ধবাবুকে সমর্থন এবং তীব্র মমতা বিরোধিতা করে গেছি নির্দ্বিধায়। এবং যে সময়টার পরে, মমতার সমর্থক হয়ে না গিয়েও, বুদ্ধবাবুর সমর্থকও আর থাকতে পারিনি। গত ছয় সাত বছরে কিছু ক্ষেত্রে যে আমূল পালটি খেয়েছি, এটা তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভবতঃ।
    যখন তৃণমূল আন্দোলন করছে, ধর্ণা দিচ্ছে, এবং আমরা তাদের রাজনীতির সমালোচনা করছি, তখন যে কটা বিষয়ে খুব জোর দিয়েছিলাম –
    প্রথমতঃ, বিশ্বাস করেছিলাম, এখানেই এই শিল্পের সেরা জায়গা – অন্যত্র, বাঁকুড়া বীরভূমের অনাবাদী জমি কিংবা হাওড়ায় বন্ধ কারখানার জমি উপযুক্ত নয়, কারণ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার এসব জায়গায় নেই – এসব না দিলে শিল্পপতিরা শিল্প করতে আসবেন না। কী করে বিশ্বাস করেছিলাম তা জানিনা, বোধ হয় বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম বলেই করেছিলাম।
    দ্বিতীয়তঃ বিশ্বাস করেছিলাম, সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানা পশ্চিমবঙ্গকে শিল্প মাণচিত্রে উপরের দিকে এনে দেবে। এই বিশ্বাস করায় বিশ্বাস করুন, সিপিএমের চেয়ে তৃণমূলের কৃতিত্ব বেশী – তারা এত তীব্র বিরোধিতা না করলে এটা হওয়া যে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, সেই বিশ্বাসটা মনের মধ্যে এঁটে বসত না।
    তৃতীয়তঃ মেনে নিয়েছিলাম যে কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। "নিয়েছিলাম"। অতীতকাল।
    চতুর্থতঃ বিশ্বাস করেছিলাম যে চাষীদের যে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট ভালো – দেশের সেরা প্যাকেজগুলোর মধ্যে একটা
    এবারে, ওই সমর্থন করা কালীন যে দুটো বিষয় খুব ভাবিয়েছিল, যাকে আমরা বিশ্লেষণের ভাষায় এনোমালি বলি, তাদের কথা বলি –
    প্রথমতঃ, আশেপাশে যাদেরকে চিনি, ভদ্রলোক, চিন্তাভাবনা করেন, তারা সবাই প্রায় দেখেছি এ ব্যপারে বুদ্ধবাবুর সমর্থক, মমতাকে বিধ্বংসী রাজনীতির কারবারী বলছেন, অথচ সেই লোকসভা ভোট থেকেই শুরু হল তৃণমূলের জয়জয়কার। এই ভোটগুলো তাহলে কারা দিচ্ছে? এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার পুরোটাই কি রিগিং, নাকি আমি এত মানুষের সঙ্গে কথা বলেও এই সংখ্যাগরিষ্ঠকে চিনিই না? এই প্রশ্নটা বারে বারে হন্ট করেছে।
    দ্বিতীয়তঃ তিনটে নাম। মমতার “বুদ্ধিজীবি সেলে” এমনিতে যারা ছিলেন বা আছেন, তারা অধিকাংশই মিডিওকার – কেন স্রোতে ভাসছেন, তার সহজ ব্যখ্যা হয়। ব্যখ্যা পাইনি তিনজনের ক্ষেত্রে – মহাশ্বেতা দেবী, মেধা পাটেকর আর কবীর সুমন। এঁদের কারোই কিছু প্রমাণ করার ছিল না – কিছু তেমন পাবারও না – তা সত্ত্বেও ওই অবস্থান মঞ্চে এরা কেন? এমনও তো নয় যে এঁদের জোর করে ধরে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনজনেই বেশ এক্টিভ – কেন?
    কিন্তু এই দুটো এনোমালি উপেক্ষা করেই সমর্থন জারি ছিল। তাহলে গত তিন চার বছরে কী এমন ঘটল? যার জেরে পালটে গেল আমার সমর্থন, দৃষ্টিভঙ্গী? ঘটল – আমার জীবনে। আমার বৌদ্ধিক চর্চায়। যার জন্য শুরুতেই বলেছি – সিঙ্গুর এখানে উপলক্ষ মাত্র – এই বক্তব্য আসলে আমার ব্যক্তিগত জার্ণি বিষয়ক। গত ছয় সাত বছরে আমার মননের জগতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্ভবতঃ গুরুচন্ডালীতে যোগদান। এখানে এসেছিলাম কিছু নামের টানে – আর নিজেকে একটু জাহির করব ভেবে। কিন্তু এখানে আরো অনেককে পেলাম – যাদের সামনে জাহির করা দূরে থাক, নিজেকে নেহাৎ ই চুণোপুঁটিতুল্য বলে চিনে নিতে সময় লাগলো না। এখান থেকে পেতে লাগলাম নতুন দৃষ্টিভঙ্গী – বহুত্ববাদের নতুন ব্যখ্যা। সেই সঙ্গে আরো দু-একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা – এই সময়কালে আমি ভারতের দু-তিনটি বিশেষ অঞ্চলকে কাছ থেকে চিনলাম – ওড়িশা, ত্রিপুরা এবং ছত্তিশগড়। আর এই সময়েই পড়ে ফেলা কিছু আন্তর্জাতিক সাহিত্য - যা নতুন করে চিনতে শেখালো আমার চারিদিকটাকে। এই কাছ থেকে দেখা, এবং তার সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গীর, এপ্রোচের পরিবর্তন আমার ভাবনায় প্রভাব ফেলতে শুরু করল। আগের ভাবনার এনোমালিগুলো বড় হতে হতে আর উপেক্ষণীয় রইল না।
    প্রথম এনোমালি – সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে চিনি কি না – ক্রমশঃ নিশ্চিত বোঝা গেল, সত্যিই চিনতাম না। ততদিন অবধি যাদের বক্তব্য মূল্যবান মনে করেছি, এবং যাদের বক্তব্য টিভিতে বা কাগজে বিদগ্ধদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হতে দেখেছি – তারা সবাই মূলতঃ মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক সম্প্রদায়ের প্রতিভূ। এর আগে যখন ছাত্রাবস্থায় বা প্রথম যৌবনে বামপন্থী রাজনীতি করতে গিয়ে গরীব মানুষের মধ্যে গিয়ে থেকেছি, কাজ করেছি, তখন নিজের অজান্তেই, পরিবার এবং শিক্ষার প্রভাবে, তাদের সংগে একটা দূরত্ব থেকেই গেছিল। অর্থাৎ এরা গরীব গুর্বো মানুষ, আমাদের এদের জন্য কিছু করা উচিৎ - নইলে বেচারাদের কী হবে এরকম একটা মানসিকতা। ঠিক প্রকটভাবে এরকমটাই নয় – কিন্তু প্রচ্ছন্নভাবে যে এরকমটাই ছিল, সেটা তখন না বুঝলেও এখন দিব্যি বুঝি। আর এই দূরত্বটার কারণেই তাদের কোনদিন ঠিকমতো চিনিনি আমি, আমরা। মধ্যবিত্ত বামপন্থী কর্মীরা। সিপিএম / ডি ওয়াই এফ আই / এস এফ আই এর “ক্যাডার”রা। নব্বই এর দশক এবং তার পরের। কারণ তখন সেই পারস্পেক্টিভ আমাদের ছিলনা – যা পেয়েছি গুরুচন্ডালী এবং তার বিভিন্ন চিন্তকের সূত্রে। সব রকম মতবাদের চিন্তকেরাই এর মধ্যে আছেন – বাম, অতি বাম, মধ্য, দক্ষিণ, চরম দক্ষিণ।
    আর দ্বিতীয় খটকা – ওই তিনটে নাম। এরা কিন্তু কেউ নিজেদের কাজের বাইরে যাননি – অস্বাভাবিক কিছু করেননি। মেধা নর্মদায় যা করেছেন, মহাশ্বেতা পুরুলিয়ায়, সুমন তার গানে – এখানে সেই ধারাবাহিকতাই তাঁরা বজায় রেখেছেন (কবীর সুমন নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকতে পারে – কিন্তু ক্রনোলজিকালি, সুমনের পদস্খলন এর অনেক পরের ঘটনা)। তারা সেই সব মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, যাদের জমি তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের “উন্নয়নে”র চাকার তলায় চাপা পড়েছেন। আমরা তখন বুঝেছিলাম, নিজেদের মগজ বন্ধক রেখেই বুঝেছিলাম এটা আসলে তাদের “ভালো”র জন্যই – কারণ তখনো ভাবতাম তাদের ভালো আমরা ছাড়া কে-ই বা করবে।
    তাহলে দাঁড়ালো কি? সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণকে তখন সমর্থন করতাম, এখন করছি না। কেন করছি না? কারণ এখন আমার কাছে বিষয়টা অন্য পরিপ্রেক্ষিতে ধরা দিয়েছে। এখন আমি আর মনে করি না, সিঙ্গুরের (বা নন্দীগ্রাম, বা হরিপুর, বা দান্তেওয়াড়া, বস্তার, কালাহান্ডি, রায়পুর, বালুরঘাট এবং এবং এবং --) মানুষের ভালো বা মন্দ করা আমাদের দায়ীত্ব। সেটা তাদের দায়ীত্ব, এবং সে দায়ীত্ব নিতে তারা যথেষ্ট সক্ষম, যদি বাইরে থেকে অবিরত নাক গলানো বন্ধ করা হয়। সিঙ্গুরের জমি, অধিগ্রহণের আগে তিন ফসলী ছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রে – এই জমিতে কারখানা করার কোন জাস্টিফিকেশন দেখি না। হয়তো যে সব অংশে কন্সট্রাকশন হয়ে গিয়েছিল, জমি সংস্কার করলেও তারা আর আগের মত উর্বর থাকবে না (আমি কৃষিবিদ নই – সঠিক জানি না), তবুও এ জমি চাষীদের ফেরৎ পেতে দেখে আমি খুশী। তাঁরা যথেষ্ট কুশলী এবং পরিশ্রমী – আজ না হলেও কয়েক বছর পরে ওই জমি আবার তার আগের চরিত্র ফিরে পাবে বলেই আমার ধারণা।
    পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়ণ দরকার আছে বলে মনে করি কি না? শিল্পায়ণ হলে কর্মসংস্থান হবে, বেকার যুবক যুবতীরা কাজ পাবে, রাজ্যের মেধা ভিনরাজ্যে পাড়ি দেবে না – এগুলি চাই কি চাই না? ছয় বছর আগে হলে নির্দ্বিধায় বলতাম হ্যাঁ চাই এসব। এখন আর বলতে পারিনা ততটা জোরে। কারণ, যারা এসব বলেন, তারা প্রায় সবাই একটা ভাসা ভাসা ধারণা থেকে কথাগুলো বলেন। শিল্পায়ণ হলে কী ধরণের কর্মসংস্থান কতটা হবে তার পরিষ্কার ধারণা অনেকেরই নেই । যাদের আছে, তারা জোর দিয়ে বলতে পারেন না, সেই কর্মসংস্থানের সঙ্গে জমি অধিগ্রহণের কী সম্পর্ক? কেন কৃষিজমিতেই শিল্প হতে হবে? কেন বন্ধ কারখানার জমি অধিগ্রহণ করে নতুন শিল্প করা যাবে না? কেন বাঁকুড়া পুরুলিয়া অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত অনুর্বর, পতিত জমিতে শিল্প হবে না এবং তার প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ে তোলা হবে না? এবং সব শেষে আরেকটা প্রশ্ন ছোট্ট করে রেখে যাই – “মেধা ভিন রাজ্যে চলে গেলে” ক্ষতি কি? মেধা মানে তো প্রকৃত মেধাবী নিয়ে মাথা ঘামানো হচ্ছে না – এখানে “মেধা” বলতে সেই মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের পাশ করা ছেলেমেয়েদের কথা বলা হচ্ছে। তারা পাশ করেছে, ভালো চাকরি করবে বলে – যেখানে পাবে, সেখানেই যাবে। যেখানে যাবে সেখানকার অন্ন ধ্বংস করে আয়েশ করবে – কেউ কেউ লোকদেখানো চ্যারিটি করবে। এরা বাড়ির ভাত খেতে পেলো কি না, তাতে অবশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের, অবশিষ্ট ভারতের কী যায় আসে?
    বস্তার থেকে রায়পুরে দেখেছি, কালাহান্ডি থেকে ভূবনেশ্বরে দেখেছি, সোনাই থেকে আগরতলায় দেখেছি, কাঁথি থেকে কলকাতায় দেখেছি – কিভাবে “উন্নয়নে”র নামে সর্বত্র নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষকে উৎখাত করে, তাদের পেশা থেকে, জীবনযাত্রা থেকে, সংস্কৃতি থেকে উচ্ছেদ করে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে আরো আরো প্রান্তে – যাতে সুবিধাভোগী শ্রেণীর জন্য আরো সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা যায়। তা তাদের প্রাণের মূল্যেই হোক না কেন। এই দেখার পর আর সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে শাইনিং পশ্চিমবঙ্গের কোন কথা বিশ্বাস করিনা। সিঙ্গুর রায় পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সম্ভাবনাকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেয় নি – কৃষিজীবি দরিদ্র মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে। বামপন্থী আন্দোলনকে দিশা দেখিয়েছে – আয়রনিকালি হলেও।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৫১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 132.178.16.164 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫১51662
  • স্টেকহোল্ডার অ্যানালিসিস ইত্যাদি ঠিকমতো করা হয়নি সে ব্যাপারে একমত। সেজন্যই কমপেনসেশান প্যাকেজও ঠিকমতো তৈরি করা যায়নি, যদিও সাধারন প্র্যাক্টিস হলো একটা বেসলাইন প্যাকেজ বানানো আর তারপর জনতা সেটাকে আন্দোলন/নেগোসিয়েশান করে অ্যামাউন্ট বাড়াবে। যাগ্গে, এখন সবাই মার্ভিনের রোল প্লে করছে (এটা ব্রতীন বাবুর জন্য)।
  • h | 213.132.214.84 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৪51663
  • ইকি রে বাবা দাম কেন বাড়ে কমে, মার্কেট তত্ত্ব অনুযায়ী, সেই টে বুঝতে না পেরে চেচাইছিশ কেনে?

    ফিক্স্ড প্রাইশ তো মার্কেট প্রন্থীদের পসন্দ না, ইনফ্যাক্ট দেয়ার লর্ডশিপস আরেকটি কাজ করেছেন, কমপেনসেশন সম্পর্কে কোন টার্ম্স অফ রেফারেন্স দেন নি, মানে এটা নতুন কথা হিসেবেও প্রায় তিন বার বললাম, রায় পাঠের আগে স্বাভাবিক ভাবেই অসম্ভব ছিল ;-)))))))))))))

    মানে কি হিংসুটি কি হিংসুটি, নিজে পড়ে নি, বদ্যি দের হিংসে। অসংখ্য রায় রয়েছে এ বিষয়ে, পড়ুন ও পড়ান। তবে রায়দান নিজ দায়িত্ত্বে করবেন।
  • h | 213.132.214.84 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৮51664
  • * কমপেনসেশন সম্পর্কে কোন টার্ম্স অফ রেফারেন্স দেন নি, যদিও কম্পেন্সেশন কে স্কোপের বাইরে রাখা হয় নি।
  • Arpan | 101.214.5.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১০51665
  • ওটা বুঝেছি কাকা। প্রশ্নটা ছিল ১৮ লাখ একর পিছু এইটা কি কলকাতা থেকে দিল্লির দূরত্ব মেপে বেরিয়েছিল?

    (সে যাক, সবই ট্রেড সিক্রেট ছিল একদা)
  • h | 213.132.214.85 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:২৬51666
  • সম্পূর্ণ আর্বিট্রারি, সেই জন্যেই তো টার্ম্স অফ রেফারেন্স প্রয়োজন ছিল, যাতে দাম নির্নয় কি করে হবে বোঝা যায়। একর প্রতি ১৮ লাখ টাও সর্বোচ্চ ছিল, তাই কেন ভ্যারিয়েশন হয়েছিল, তার তাত্ত্বিক দিকটা মার্কেট ইকোনোমি , রাস্তার পাশে ইত্যাদি আমরা জানি, কিন্তু এগজ্যাক্টলি জানতে গেলে, বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী আর আমলা দের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা করা উচিত, প্রয়োজনে ক্রিমিনাল। আর ভবিষ্যতে এ পাপ আটকানোর উপায় ছিল টার্ম্স অফ রেফারেন্স সেটার অসম্পূর্ণতার কথাই বলা হয়েছে মাত্র। 'যেহেতু রাষ্ট্রপতির এই রূপ প্রতীতি হইয়াছে' দিয়ে যে কোন অধিগ্রহণ এর নোটিস শুরু হয়। ইনফ্যাক্ট ভাষায় ক্ষমতার আস্ফালন নিয়েও মামলা করা উচিত, পদ্ধতি ও প্রকরণ ই যখন মূল বিষয়, অধিগৃহীত জমিতে প্রাইভেট শিল্প স্থাপনের নীতি তে অর্পণের আপত্তি নেই মনে হচ্ছে।
  • h | 213.132.214.85 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৩১51667
  • ট্রেড সিক্রেট টাটার সঙ্গে টার্ম্স এ ছিল, সেটা কোর্ট সমালোচনা সিক্রেট বলে সমালোচনা করেন নি, টার্ম্স আদৌ ছিল বলে পার্শিয়ালি সমালোচনা করেছে, পাবলিক পারপস প্রসঙ্গে, জমির দাম কি দেওয়া হচ্ছে, সেটা ফলাও করে বলা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে, নইলে ঘটক তথ্য পেতে কোনো আর টি আই মামলা করেছেন বলে জানা নেই।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:০৭51631
  • লেখাটা বেশ বেএশ ভাল লাগল। আমি আবার ব্যক্তিগত জার্নি বা পাল্টি খেলে স্বীকার করা ইত্যাদিকে বেশ মুল্য দিয়ে থাকি, তাই আমার কাছে এই লেখাটা গুরুত্বপূর্ণ।

    আমি অবশ্য সিঙ্গুরে জোর করে মেরেধরে জমি নেবার বিপক্ষে ছিলাম প্রথম থেকেই। যেটা প্রথম থেকে বুঝি নি পাশেই ঐ একটা মস্ত ডানকুনি মাঠ থাকতে চাষের জমিই কেন নিতে হচ্ছে। আর হচ্ছেই যদি তো মিলিয়ে মিশিয়ে নেওয়া যেত তো। সে যাই হোক, কোর্টের রায়ের পরে নির্ঘাৎ জমি ফেরত দেওয়া নিয়েও চরম দুর্নীতি হবে -- আমার অনুমান। কিন্তু তারপরেও অন্ততপক্ষে এইটুকু তো হয়েছে।
  • Arpan | 101.214.5.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:৩৫51668
  • শ্চ-এর দেওয়া লিংটা পড়তে শুরু করেছি আপাতত। মনে হয় বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর ওখানে পেয়ে যাব।
  • এলেবেলে | 11.39.38.30 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:২৮51669
  • ১. ‘আবছা মনে পড়ছে রাজ্যপাল যখন ডেকেছিলেন মমতা বুদ্ধ দু তরফকেই,বুদ্ধ প্রপোজাল দিয়েছিলেন কমপেনসেশন বাড়ানোর,আর মমতা গোঁ জারি রেখেছিলেন ৪০০ একর ফেরত নেবার জন্য’।
    ২. ‘মমতার আন্দোলনের উদ্দেশ্য একমাত্র ছিল কারখানা বন্ধ করা’।

    একটু পেছন থেকে শুরু করি । ২০০৬ এর সেপ্টেম্বরেই সরকারের কব্জায় সিঙ্গুরের জমি চলে আসে । নভেম্বরের শেষ দিনে মমতাকে সিঙ্গুরে ঢুকতে না দেওয়ার প্রতিবাদে তিনোরা বিধানসভায় ভাঙচুর চালায় । সিপিয়েম এহেন আন্দোলনকে প্রথমে পাত্তাও দেয়নি । তিনোরা জমির পরিমাণ কমানোর প্রস্তাব দিলে নিরুপম সেন বলেন ‘there was no possibility of altering the land map’। এরপর নন্দীগ্রাম এবং দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওপর ধর্না আন্দোলন । একটু একটু করে জমি হারানো প্রবল প্রতাপশালী সিপিয়েম সাক্ষীগোপাল হিসেবে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর শরণাপন্ন হয় যাঁকে তারা নন্দীগ্রাম-পরবর্তী সময়ে তিনোর ঝাণ্ডা ধরার সুপরামর্শ দিয়েছিল । নিরুপমের ফুটানি কমে এসেছে ততদিনে ।

    রাজভবনে সিধান্ত হয় — “The government has taken the decision to respond to the demands of those farmers who have not received compensation, by means of land to be provided ‘maximum’ within the project area and the rest in adjacent area as early as possible”. মমতা সমাধান সূত্র হিসেবে কারখানার উল্টোদিকের জমিতে অ্যান্সিলারি ইউনিট সরানোর প্রস্তাব দেন । তাঁর কথায় “We have asked 300 acres from within the project area and 100 acres outside it”. কীভাবে কারখানা থেকে জমি দেওয়া সম্ভব সে বিষয়ে চার সদস্যের কমিটি হয় যার মধ্যে তিনোদের তরফে ছিলেন রবি ভট্‌চায ও বেচা মান্না । সময় বরাদ্দ ছিল মাত্র এক সপ্তাহ । ওই এক সপ্তাহ অ্যান্সিলারি ইউনিটের কাজকম্ম বন্ধ রাখার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন “ We would like work at the factory to start from tomorrow as we are for industry and the ancillary units too”.

    “ Mamata had argued that Tatas shouldn’t have a say on the location of ancillary units since the vendors had dealt directly with the government while acquiring the land. The government, therefore, shouldn’t have a problem asking them to shift”. এ প্রস্তাব কেন মানা হয়নি জানিনা,যাঁরা জানেন তাঁরা নিশ্চয়ই বলবেন । রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যদের কথাও মানা হয়নি । তাঁরা কারখানার ভেতরে ৩০৭ একর জমির কথা তাঁদের রিপোর্টে উল্লেখ করেন কিন্তু তাতে কাজ হয়নি ।

    এইবার ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গ । রাজভবনের মিটিং-এ মমতা জমিদাতাদের জমির দামের ১০% বোনাস দিতে বলেছিলেন যা পত্রপাঠ বাতিল হয় এবং ভূমিহীন বর্গাদার ও কৃষিশ্রমিকদের জন্য মমতা-প্রস্তাবিত ৬০০ দিনের মজুরি কলমের এক খোঁচায় ৩০০ দিনে নেমে আসে ।

    এ সব সবাই জানেন তাই আর লিং দিলাম না তবু লিং-এর জন্য নাছোড়বান্দা যদি কেউ থাকেন তো বলবেন । সিঙ্গুর হলে কী হত আর না হওয়ায় কী হবে সে নিয়ে আমার ততটা মাথাব্যথা নেই । শুধু বিদ্যাসাগরের পদবিটা যে বন্দ্যোপাধ্যায়ই ছিল, কর্মকার বা দাশগুপ্ত নয় সেটা জানানোর জন্য এতটা টাইপালাম !
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৬:১৫51632
  • খুব ভালো লেখা। মামলার রায়েও খুব আনন্দ হয়েছে।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:০৮51633
  • এই লেখাটা পড়ে অনেকদিনপর সাগিনা মাহাতো মনে পড়ে গেল।
  • h | 213.132.214.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:২৮51634
  • দমুর লজিক টা একেবারে বুঝলাম না, তুমি গুরুত্ত্ব দিয়ে থাকো, সম্পূর্ণ সাবজেক্টিভ পজিশন থেকে, মানে লেখক (রৌহিন) ভালো লোক না খারাপ লোক , কনসিস্টেন্ট লোক কিনা এইটা তুমি জানলা, খুব ভালো করলা, মানে রৌহিন যদি প্রচন্ড ভালো লোক ও হয়, আমি কি করব শুধু তাই না, তুমি ই বা কি করবা পরিষ্কার না, ম্যাক্স হয়তো কিছু টফি কিনে দিলে ঃ-))))) তাতে তোমার ঐ পোস্টের ই পরের প্রশ্ন গুলোর উত্তর পাওয়া যাবে কি?

    আমার কথার মানে মোটামুটি এটাই একটা রাঅজনইতিক অর্থনইতিক বিষয়ে টেক্স্ট পড়ার সময়ে, লেখক ভালো কিনা তাই দিয়া কি করবো। সে তো আপনাদের ছোটোবেলা থেকেই অসবর্ণ বিয়ের ব্যাপারে সাবধানী হওয়া উচিত এইসব বলছে না;-)))))))

    ডানকুনির মাঠ, খোঁজ নিলে দেখা যাবে, সেটাও চরিত্র পরিবর্তিত জমি বা জলা। অলরেডি অধিগৃহীত জমি, নইলে একই জমির একাংশে রেলওয়ে কোচ ফ্যাকটরি ঘোষণা করা হত না, চিত্তরঞ্জন এর একটা পার্ট এখানে ইনভেস্ট করে, এবং চিত্তরঞ্জন এক্সপ্যানসনে ইনভেস্ট না করে।

    তো যাই হোক, কেস হল কোথায় শিল্প হবে এ ব্যাপারে দেখা গেছে কয়েকটা রকম মত আছে, তার প্রো কন দেখি তাইলে।

    ক- পুরোনো কারখানার জমি। (এটার লিটিগান্ট বেশি বলে, এই অপ্শন বামফ্রন্ট নেয় নি বলে বলেছিল, যুক্তি গ্রহণযোগ্য কিনা তর্ক সাপেক্ষ, কারণ লিটিগান্ট কোন ক্ষেত্রেই বেশি নেই, এক সঙে জমি পাওয়ার সমস্যা আছে এসব ও বলেছিল। জমির নেচার পরিবর্তনের প্রয়োজন এক্ষেত্রে ছিল না বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল প্রস্তাবক দের পক্ষে।
    খ - অনুর্বর জমি বা ঊষর জমি, তো মেন সমস্যা হলো তাতেও লিটিগান্ট কমবে কিনা জানা নেই, একেক ক্ষেত্রে একেক রকম, তবে এই কেস এই সবচেয়ে প্যাঁক খেয়েছে আগের সিপিএম সরকার, কারণ খড়গপুর থেকে হঠাৎ সিংগুর এ প্রস্তাবিত জমি সরে আসার কারণ পরিষ্কার তারা করে নি, মার্কেট অ্যাকসেস এর জেনেরাল লজিক দিয়েছিল, ধরে নেওয়া যায় সেটি চুক্তির অন্তর্গত ও ছিল। সেটাকে সুপ্রীম কোর্ট ক্রিমিনাল ছাড়া সব ই বলেছে। এবং পাবলিক পলিসি কেন প্রাইভেট সেকটরের চয়েস দ্বারা প্রভাবিত হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন কিছুটা সীমিত ক্ষেত্রে, যেটা অদ্ভুত সীমা টানার ব্যাপারে অতি ডিফেন্সিভ টার্ম্স অফ রেফারেন্স ইউজ করেছে। একটা ইনটারপ্রিটেশন হল, যাতে অন্য প্রোজেক্ট ভেস্তে না যায় ;-) অতএব কোর্ট কিসকের পক্ষে না সরকার/বড় বিজনেসের পক্ষে সে ব্যাপারে কবি ইচ্ছা অথবা অনিচ্ছায় নীরব।
    এবার কন হিসাবে দুইটা লজিক। এক হল পুরুলিয়া কেন কলকাতা হয় নি। এটা রাজনইতিক ঐতিহাসিক বিতর্ক। কোর্ট কিসু বলে নি এ ব্যাপারে। রৌহিন কিছু কিছু বলতে গিয়েও বলে নি। আরেকটা কথা হল, ঊষর জমিতে কারখানা হলে ডিসপ্লেসমেন্ট হয়্ত না, এটা বোগাস একটা পজিশন, কারণ তাইলে বক্রেশ্বর বা দুর্গাপুরে বা ধানবাদে বা অন্ডালে ডিসপ্লেসমেন্ট নিয়ে বিতর্ক থাকতো না, আদিবাসী ডিসপ্লেসমেন্ট বিশেষতঃ, তো সেই ডিসেন্টিং এ সরকার পড়ে নি, বলে ডিসেন্টিং নাই তা না। গুজরাটের ভাপি আন্ক্লেস্বর অঞ্চলের ডিসপ্লেসমেন্ট এর এক ই ইতিহাস, অনুন্নত জায়্গার উন্নয়ন এর নামে বলাই যায় , উর্বরতা নিরপেক্ষে আদিবাসী ডিসপ্লেসমেন্ট হয়েছে। রৌরকেল্লা অঞ্চলেও হয়েছে। তাইলে একক/ডিসি ইত্যাদি চিন্তক দের কথা ভেবে বলা যেতে পারে, ইনক্লুশন টা পয়েন, স্থান টা না।
    তো এগুলোর কোন টা তুমি কও রৌহিন পোলা ভালো কিনা তার উপরে ডিপেন ?
  • h | 213.132.214.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩১51635
  • বাই দ্য ওয়ে রৌহিন , জাস্ট তোমার নাম ব্যবহার করেছি। খচে যেয়ো না। ব্রতীন এম্নিতেই রেগে গেছে। ওদিক টা দেখে আসছি। ঃ-)
  • Alcyoneus | 24.98.69.108 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩৫51636
  • অত না দেখাই ভালো।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪০51637
  • একটা রাজনৈতিক বক্তব্য কেউ রাখলে আমার কাছে তার বক্তা কে সেটা যথেষ্ট ম্যাটার করে হনু। কেন করে সেটা রাতে লিখবোখনে আপাতত ইউরোপের বিভিন্ন দেশ লোকজন বিভিন্ন সাইজের বংশদন্ড নিয়ে কংকলের ওপারে অপেক্ষা করছে।
  • Abhyu | 113.218.236.215 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৬51638
  • শুধু রাজনৈতিক কেন, অ্যাকাডেমিক বক্তব্যও। কোন বইটা কোন সাবজেক্ট শেখার জন্যে ভালো, বা অ্যাকাডেমিক্সের ৯০% পেপার জাংক কিনা এই সব ব্যাপারে কে বলছে সেটাকে আমি খুবই গুরুত্ব দি।
  • h | 213.132.214.83 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৩৮51639
  • তোমাদের জগতে হায় বাল্মিকীর মহাকাব্য রচনার উপায় নাই। নিউটন তো উদুম খচ্চর ছিলেন, কিন্তু তিনি কি নিউটন নহেন? সইত্যজিত অশোক রুদ্রর সঙ্গে কত্ত ঝগড়া করলেন, কিন্তু তাই বলে কি তিনি উপাদেয় কিসু করেন নাই, অশোক রুদ্র নিজে অত্যন্ত বদমেজাজী , জনশ্রুতেই আলুমত লোক ছিলেন, তো তাতে কি তিনি কৃষি অর্থনীতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ অথরিটি ছিলেন না? ইত্যাদি প্রভৃতি।
  • dc | 132.174.99.136 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৫০51640
  • আচ্ছা ন্যানো তো সিঙ্গুর থেকে সানন্দে সরানো হয়েছিল। এবার সানন্দের আশেপাশে কি হয়েছিল দেখা যাক।

    এই লিংকটায় দেখছি সানন্দেও প্রথমে অসন্তোষ ছিলঃ More than 2,000 farmers are set to lose their fertile land in Sanand where the Gujarat government has initiated process to acquire more than 5,000 acres land for industrial purpose...The government's move to acquire fertile agriculture lands for industry has agitated the farmers who are dependent on the lands for livelihood...We will not part with our land which is fertile and we take three crops a year because of irrigation from Narmada canal," Patel said.

    http://www.dnaindia.com/india/report-farmers-to-launch-protest-against-land-acquisition-in-gujarat-1321908

    তাহলে সানন্দের আশেপাশেও একই কেস ছিল, তিন ফসলি জমি কেউ দিতে চায়না। এটা ২০০৯ এর খবর। কিন্তু তারপরের খবর দেখুনঃ

    http://epaper.timesofindia.com/Default/Layout/Includes/MIRRORNEW/ArtWin.asp?From=Archive&Source=Page&Skin=MIRRORNEW&BaseHref=AMIR%2F2010%2F06%2F28&ViewMode=HTML&EntityId=Ar00300&AppName=1

    গুজরাট সরকার প্রথমে নশো টাক প্রতি স্কোয়ার মিটার দিতে চেয়েছিল। চাষীরা চেয়েছিল পোনেরশো টাকা। দরদাম করে হয় বারশো টাকা। With each acre commanding an astounding Rs 48.56 lakh, the price of land in villages around the Nano plant has shot up. Pankajsinh Vaghela owns the largest tract in the village. For his 37-acre plot, Pankajsinh will get Rs 18 crore. The staggering amount has failed to turn the farmer’s head. “I will always be a farmer. I will use the money to buy 200 acres of land elsewhere. However, I don’t think any of us will be able to buy land in nearby areas,” he said. Bol is now a village of crorepati farmers

    তাহলে সিঙ্গুর আর সানন্দের একটা কি ডিফারেন্স ঐ নেগোসিয়েশান। সিঙ্গুরে চাষীদের দাবীদাওয়া নিয়ে কোন আন্দোলন হয়নি, ক্ষতিপূরন বাড়ানোর জন্য কোন নেগোসিয়েশান হয়নি। সানন্দে হয়েছিল।
  • Arpan | 101.214.5.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:০৭51641
  • আমি যে কোথায় পড়লাম সানন্দে সরকারের খাস জমি ছিল আর সেটা গোরু চড়ানো ছাড়া অন্য কোন কাজে লাগত না?

    আর হনুমেসো বারবার যেটা এড়িয়ে যাচ্ছে সেটা হল অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া (মোড অফ কনসেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং) আর ক্ষতিপূরণ প্যাকেজের ইনসাফিসিয়েন্সি (যেটাকে ইনক্লুশনের সমস্যা বলছ) নিয়ে কোর্ট তুলোধোনা করেছে। ১৮৯৪ সালের আইনকে কোনভাবেই ক্রিটিসাইজ করেনি। আইনসভা নতুন করে বিল না আনলে কোর্ট সেটা করতেও পারে না মনে হয়।
  • Arpan | 101.214.5.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:২০51642
  • স্ট্যাটগুলো পরে রেফার করতে সুবিধা হবে বলে এখানে লিখে রাখলাম।

    সানন্দে কম্পেনসেশন প্যাকেজ ছিল একর প্রতি ৪৮ লাখ টাকা

    http://timesofindia.indiatimes.com/city/ahmedabad/Govt-paid-Rs-48-11-lakh-per-acre-for-Sanand-land/articleshow/18996122.cms

    সিঙ্গুরে কম্পেনসেশন প্যাকেজ সেখানে ছিল ১৬ লাখ টাকা একর প্রতি। এই ফিগারটা রেডিফের লিঙ্কে পাচ্ছি, কেউ ডাবল চে্ক করতে পারবেন?

    http://www.rediff.com/money/2008/sep/16tata.htm
  • k | 126.50.59.180 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:২২51643
  • কেবা আগে প্রাণ করিবেক দান !! আলু আমাদের অতীত, আলুই আমাদের ভবিষ্যত।
  • সিকি | 165.136.80.160 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩০51644
  • এই যে অর্পণ। মৈত্রীশ ঘটকের পেপার।

    http://ibread.org/bread/system/files/bread_ppapers/p035.pdf

    পেজ ১১। টেবিল থ্রি। সর্বাধিক আঠেরো লাখ টাকা প্রতি একর।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩৫51645
  • arpan - এই পেপারটা মোটামুটি অথেনটিক। খুব কম পড়তে চাইলে সেকশান ৩.৩
    http://personal.lse.ac.uk/GHATAK/singur.pdf
  • h | 213.132.214.85 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৪১51646
  • ইকি রে বাবা এখানে তো আমি দমু আর রৌহিন এর বক্তব্য নিয়ে কথা বলছিলাম, এখানে কি কোথায় এড়ালাম রে বাবা। সমস্যটা কোথায় তাইলে ঠিক হোক, উর্বরতা না দাম। তার পরে আমার বক্তব্য এগোবে। আমার মতে কোর্ট একটা সেটলমেন্ট চেয়ে রায় দিয়েছে, বিচার চেয়ে দেয় নি। অতএব এই কেস এ না হোক ভবিষ্যতে কিউরেশন প্রায় অবশ্যম্ভাবী। আরো তিন চারটে বড় কারণ রয়েছে, পোবোন্দো যদি হয় তো তখন কিসু অ্যাড্রেস করা হবে। তার আগে আপনেরা রায় পড়ুন। আমার পড়া হয়ে এ এ এ এ গ্যাচে এ এ এ এ এ এ ;-)
  • dc | 132.174.100.187 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৫২51647
  • হ্যাঁ, সানন্দে একর প্রতি 48.56 লাখ দেওয়া হয়েছিল। তবে সানন্দ এর কৃষিজমি আর সিঙ্গুরের কৃষিজমির ডাইরেক্ট কম্পেয়ার করা যায় কিনা জানিনা, যদিও সেটা বড়ো প্রশ্ন না। বড়ো প্রশ্ন হলো সিঙ্গুরে ক্ষতিপূরন বাড়ানোর জন্য নেগোসিয়েশান হয়েছিল কিনা।

    সানন্দে যেটা হয়েছিলঃ Raubha Vaghela, president of Sanand Industrial Association, helped villagers get a good price. He said, “The farmers had initially demanded Rs 1,500 per sq mt, or Rs 60.7 lakh per acre. GIDC, however, found the price too steep. During the second round of talks, they sought Rs 48.56 lakh per acre. The GIDC offered a price of Rs 900 per sq mt, or Rs 36.42 lakh per acre. However, the villagers were dissatisfied. Finally, the deal was struck at Rs 1,200 per sq mt.”

    এই নেগোসিয়েশান জরুরি ছিল এইজন্যও যে সানন্দের চাষীরা কিন্তু বেশী কমপেনসেশান পেয়েও অন্য জায়গায় জমি কিনতে চেয়েছেন বা ভবিষ্যতে কি হবে সেই নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন। এটা আন্ডারস্ট্যান্ডেবল, কারন মানুষ স্বভাবতই অনিশ্চয়তা ভয় পায়, নতুন জীবিকায় যেতে ভয় পায়। তো সিঙ্গুরে চাষীদের এই অনিশ্চয়তা আরও খুঁচিয়ে তোলা হয়েছিল। বেশী ক্ষতিপূরন দেয়ানোর বদলে তাঁদের আরও বেশী করে ভয় পাওয়ানো হয়েছিল।
  • Arpan | 101.214.5.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:২১51648
  • "বড়ো প্রশ্ন হলো সিঙ্গুরে ক্ষতিপূরন বাড়ানোর জন্য নেগোসিয়েশান হয়েছিল কিনা"

    বোতিনের থেকে জার্গন ধার করে বলি সেটা বাংলা হয়নি। মমতার আন্দোলনের উদ্দেশ্য একমাত্র ছিল কারখানা বন্ধ করা। কোন সন্দেহই নেই তাতে। কিন্তু যেটা বুঝিনি বুদ্ধ-নিরুপম জুটি (পুরো ওয়াকার-ওয়াসিম জুটি মাইরি) নিজে থেকে রিভাইসড কম্পেনসেশন প্যাকেজ ঘোষণা করল না কেন? মমতা বা অতিবদ অতিবাম কারোর আন্দোলন থেকেই হাওয়া বেরিয়ে যেতে এক মুহূর্ত লাগত না।

    ঐ যে বললাম, লুরুতে সরকারি গাইন্ডেন্স ভ্যালু অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের প্যাকেজে রাস্তা বানানোর জমি পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু বর্ধিত প্যাকেজে মেট্রোর জমি অধিগ্রহণে কোন সমস্যাই হচ্ছে না। তা, হঠাৎ করে শিল্প করব বলে লাফাব এদিকে পার্স খুলতে আঁতে লাগে, ফলস্বরূপ যা হবার তাই হয়েছে।
  • dc | 132.178.16.164 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৩০51649
  • অর্পন, এখানে কিছুটা দ্বিমত আছে। বুদ্ধ-নিরূপম প্যাকেজ বাড়ানোর কথা একেবারে ঘোষনা করেনি তা নয়। বুদ্ধবাবু বোধায় একবার ১০% না কতো যেন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাছাড়া যদ্দুর মনে পড়ে মমতাকে দুয়েকবার বোধায় ডেকেওছিলেন প্যাকেজ নিয়ে নেগোসিয়েশানের জন্য। মমতা স্বাভাবিকভাবেই তাতে সাড়া দেননি, কারন তদ্দিনে উনি বুঝে গেছেন যে আন্দোলন চালিয়ে গেলে ওনার বেশী লাভ। আরেকটা দিক আছে। সানন্দে দেখুন, ভিলেজারদের হেল্প করা হয়েছিল যাতে তাঁরা বেশী দাম পান। আর সিঙ্গুরে সিপিআইএমেল আর বাঙ্গুর হাসপাতাল সমবায় (নামটা ভুলে গেছি, কিন্তু এরকমই উদ্ভট একটা কমিটি) আর আরও অনেকগুলো দল মিলে ওখানেই বিপ্লব এনে ফেলেছিলেন, ফলে ওনাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল টাটাবাবুদের তাড়ানো যাতে ক্যাপিটালিজমের পরাজয় ওখানেই ঘোষনা করা যায় (মাইরি বলছি, সিপিআইএমেল না কারা যেন ক্যাপিটালিজম হ্যান ত্যান নিয়ে ইউসুয়াল ভাট বকতেন)। কাজেই নেগোসিয়েশানের পরিস্থিতিটাই তৈরি করতে দেওয়া হয়নি।
  • dc | 132.178.16.164 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৩৪51650
  • একটা তথ্য এখন সামনে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের জন্য, সেটা হলো বুদ্ধবাবুর ক্যাবিনেট হঠাত করে জমির পরিমান ৬০০ থেকে ১০০০ করে দিয়েছিল। এখানে কিছু একটা জালি আছে, কোর্ট যদি চায় তো সেটা বেরোবে নচেৎ নয়। এই ঘাপলাটা যদি না হতো তাহলে কিন্তু সিঙ্গুরে শিল্প বানানোর ডিসিশান খুব একটা ভুল ছিল মনে হয়না। নেগোসিয়েসান করা, ক্ষতিপূরনের দর বাড়ানো, বেটার প্যাকেজ দেওয়া এসবই করা যেত।
  • Arpan | 101.214.5.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৩৮51651
  • ১৮ লাখের ১০% আর কত হয়? বাদামও তো ভাজা হয় না।

    আর মমতাকে ডাকার কোন দরকারই ছিল না বাজারদর অনুযায়ী সরকার থেকে নতুন ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেই তো হত। কিন্তু সেই সময়, মনে করে দেখুন কমরেড, নিরুপমবাউ সবকিছুই ট্রেড সিক্রেট বলে এড়িয়ে যেতেন। স্বাভাবিকভাবেই জনমতে সন্দেহ দানা বাঁধে যে বেশ কিছু ঘাপলা সরকার থেকে হয়েছে যেগুলো চাপা দিতে উনি সর্বদাই সচেষ্ট।

    (সাধে বলেছি ওয়াকার-ওয়াসিম জুটি? রিভার্স সুইং অনেকদিন শুধু ওদেশেই গুপ্ত বিদ্যা ছিল, বাকিদের আয়ত্ত করতে সময় লেগেছে)
  • Arpan | 101.214.5.87 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪০51652
  • তৎকালীন বাজারদরের একটা হদিস ওই রেডিফের লিংকেই দেওয়া আছে। সেটা ওই ৫০ লাখের কাছাকাছিই দাঁড়ায়। আর সানন্দের জমির উর্বরতা মোটেও সিঙ্গুরের কাছাকাছি আসে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন