এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সিঙ্গুর রায়ঃ আমি কেন পালটি খেলাম

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৫১৬ বার পঠিত
  • সিঙ্গুরের রায় বেরোনোর পর থেকে চারদিকে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। সুপ্রীম কোর্ট জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের জমির অধিগ্রহন অবৈধ ছিল এবং হাজার একর জমিই তার মালিকদের ফিরিয়ে দিতে হবে আগামী বারো সপ্তাহের মধ্যে। পক্ষে, বিপক্ষে, এখন যারা পক্ষে আছেন তাদের মধ্যে কয়জন ডিগবাজি খেয়েছেন, সত্যিই এই রায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতি করল না লাভ – এসব নানা প্রশ্নে, নানা দৃষ্টিভঙ্গী থেকে, নানা পথে আলোচনা চলেছে।। আমি এই আলোচনায় বেশী অংশ নিই নি – কারণ আমার কিছু ভাবার ছিল। ইন্সট্যান্ট রিয়াকশন দিতে পারিনি। নিজেকে জাস্টিফাই করার দরকার হয়েছিল। আমি কোনদিকে, নিজেও সংশয়ে ছিলাম। তারপর মাঝে বাউ এর একটা পোস্টে লিখলাম, “আগে যারা শিল্প চলে গেল বলে কেঁদেছিল, যাদের অনেকেই এখন সিপিএমকে তেড়ে গাল দিচ্ছেন – তাদের মধ্যে আমিও একজন – এই ওপেন ফোরামে স্বীকৃত ও লজ্জিত হলাম” বলে। কিন্তু মনে হয়েছিল, তারপরেও কিছু বলার থেকে গেল। সেটা এবার বলি।
    প্রসঙ্গতঃ এই বলাটা শুধু সিঙ্গুর প্রসঙ্গে নয় – বা বলা ভালো সিঙ্গুর প্রসঙ্গে আদৌ নয় – ওটা উপলক্ষ মাত্র। আমার বক্তব্য আমার নিজের একটা জার্নি বিষয়ে – গত ছয় / সাত বছরের। যে সময়টার আগে পর্যন্ত সিঙ্গুর প্রশ্নে বুদ্ধবাবুকে সমর্থন এবং তীব্র মমতা বিরোধিতা করে গেছি নির্দ্বিধায়। এবং যে সময়টার পরে, মমতার সমর্থক হয়ে না গিয়েও, বুদ্ধবাবুর সমর্থকও আর থাকতে পারিনি। গত ছয় সাত বছরে কিছু ক্ষেত্রে যে আমূল পালটি খেয়েছি, এটা তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভবতঃ।
    যখন তৃণমূল আন্দোলন করছে, ধর্ণা দিচ্ছে, এবং আমরা তাদের রাজনীতির সমালোচনা করছি, তখন যে কটা বিষয়ে খুব জোর দিয়েছিলাম –
    প্রথমতঃ, বিশ্বাস করেছিলাম, এখানেই এই শিল্পের সেরা জায়গা – অন্যত্র, বাঁকুড়া বীরভূমের অনাবাদী জমি কিংবা হাওড়ায় বন্ধ কারখানার জমি উপযুক্ত নয়, কারণ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার এসব জায়গায় নেই – এসব না দিলে শিল্পপতিরা শিল্প করতে আসবেন না। কী করে বিশ্বাস করেছিলাম তা জানিনা, বোধ হয় বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম বলেই করেছিলাম।
    দ্বিতীয়তঃ বিশ্বাস করেছিলাম, সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানা পশ্চিমবঙ্গকে শিল্প মাণচিত্রে উপরের দিকে এনে দেবে। এই বিশ্বাস করায় বিশ্বাস করুন, সিপিএমের চেয়ে তৃণমূলের কৃতিত্ব বেশী – তারা এত তীব্র বিরোধিতা না করলে এটা হওয়া যে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, সেই বিশ্বাসটা মনের মধ্যে এঁটে বসত না।
    তৃতীয়তঃ মেনে নিয়েছিলাম যে কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। "নিয়েছিলাম"। অতীতকাল।
    চতুর্থতঃ বিশ্বাস করেছিলাম যে চাষীদের যে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট ভালো – দেশের সেরা প্যাকেজগুলোর মধ্যে একটা
    এবারে, ওই সমর্থন করা কালীন যে দুটো বিষয় খুব ভাবিয়েছিল, যাকে আমরা বিশ্লেষণের ভাষায় এনোমালি বলি, তাদের কথা বলি –
    প্রথমতঃ, আশেপাশে যাদেরকে চিনি, ভদ্রলোক, চিন্তাভাবনা করেন, তারা সবাই প্রায় দেখেছি এ ব্যপারে বুদ্ধবাবুর সমর্থক, মমতাকে বিধ্বংসী রাজনীতির কারবারী বলছেন, অথচ সেই লোকসভা ভোট থেকেই শুরু হল তৃণমূলের জয়জয়কার। এই ভোটগুলো তাহলে কারা দিচ্ছে? এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার পুরোটাই কি রিগিং, নাকি আমি এত মানুষের সঙ্গে কথা বলেও এই সংখ্যাগরিষ্ঠকে চিনিই না? এই প্রশ্নটা বারে বারে হন্ট করেছে।
    দ্বিতীয়তঃ তিনটে নাম। মমতার “বুদ্ধিজীবি সেলে” এমনিতে যারা ছিলেন বা আছেন, তারা অধিকাংশই মিডিওকার – কেন স্রোতে ভাসছেন, তার সহজ ব্যখ্যা হয়। ব্যখ্যা পাইনি তিনজনের ক্ষেত্রে – মহাশ্বেতা দেবী, মেধা পাটেকর আর কবীর সুমন। এঁদের কারোই কিছু প্রমাণ করার ছিল না – কিছু তেমন পাবারও না – তা সত্ত্বেও ওই অবস্থান মঞ্চে এরা কেন? এমনও তো নয় যে এঁদের জোর করে ধরে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনজনেই বেশ এক্টিভ – কেন?
    কিন্তু এই দুটো এনোমালি উপেক্ষা করেই সমর্থন জারি ছিল। তাহলে গত তিন চার বছরে কী এমন ঘটল? যার জেরে পালটে গেল আমার সমর্থন, দৃষ্টিভঙ্গী? ঘটল – আমার জীবনে। আমার বৌদ্ধিক চর্চায়। যার জন্য শুরুতেই বলেছি – সিঙ্গুর এখানে উপলক্ষ মাত্র – এই বক্তব্য আসলে আমার ব্যক্তিগত জার্ণি বিষয়ক। গত ছয় সাত বছরে আমার মননের জগতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্ভবতঃ গুরুচন্ডালীতে যোগদান। এখানে এসেছিলাম কিছু নামের টানে – আর নিজেকে একটু জাহির করব ভেবে। কিন্তু এখানে আরো অনেককে পেলাম – যাদের সামনে জাহির করা দূরে থাক, নিজেকে নেহাৎ ই চুণোপুঁটিতুল্য বলে চিনে নিতে সময় লাগলো না। এখান থেকে পেতে লাগলাম নতুন দৃষ্টিভঙ্গী – বহুত্ববাদের নতুন ব্যখ্যা। সেই সঙ্গে আরো দু-একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা – এই সময়কালে আমি ভারতের দু-তিনটি বিশেষ অঞ্চলকে কাছ থেকে চিনলাম – ওড়িশা, ত্রিপুরা এবং ছত্তিশগড়। আর এই সময়েই পড়ে ফেলা কিছু আন্তর্জাতিক সাহিত্য - যা নতুন করে চিনতে শেখালো আমার চারিদিকটাকে। এই কাছ থেকে দেখা, এবং তার সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গীর, এপ্রোচের পরিবর্তন আমার ভাবনায় প্রভাব ফেলতে শুরু করল। আগের ভাবনার এনোমালিগুলো বড় হতে হতে আর উপেক্ষণীয় রইল না।
    প্রথম এনোমালি – সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে চিনি কি না – ক্রমশঃ নিশ্চিত বোঝা গেল, সত্যিই চিনতাম না। ততদিন অবধি যাদের বক্তব্য মূল্যবান মনে করেছি, এবং যাদের বক্তব্য টিভিতে বা কাগজে বিদগ্ধদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হতে দেখেছি – তারা সবাই মূলতঃ মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক সম্প্রদায়ের প্রতিভূ। এর আগে যখন ছাত্রাবস্থায় বা প্রথম যৌবনে বামপন্থী রাজনীতি করতে গিয়ে গরীব মানুষের মধ্যে গিয়ে থেকেছি, কাজ করেছি, তখন নিজের অজান্তেই, পরিবার এবং শিক্ষার প্রভাবে, তাদের সংগে একটা দূরত্ব থেকেই গেছিল। অর্থাৎ এরা গরীব গুর্বো মানুষ, আমাদের এদের জন্য কিছু করা উচিৎ - নইলে বেচারাদের কী হবে এরকম একটা মানসিকতা। ঠিক প্রকটভাবে এরকমটাই নয় – কিন্তু প্রচ্ছন্নভাবে যে এরকমটাই ছিল, সেটা তখন না বুঝলেও এখন দিব্যি বুঝি। আর এই দূরত্বটার কারণেই তাদের কোনদিন ঠিকমতো চিনিনি আমি, আমরা। মধ্যবিত্ত বামপন্থী কর্মীরা। সিপিএম / ডি ওয়াই এফ আই / এস এফ আই এর “ক্যাডার”রা। নব্বই এর দশক এবং তার পরের। কারণ তখন সেই পারস্পেক্টিভ আমাদের ছিলনা – যা পেয়েছি গুরুচন্ডালী এবং তার বিভিন্ন চিন্তকের সূত্রে। সব রকম মতবাদের চিন্তকেরাই এর মধ্যে আছেন – বাম, অতি বাম, মধ্য, দক্ষিণ, চরম দক্ষিণ।
    আর দ্বিতীয় খটকা – ওই তিনটে নাম। এরা কিন্তু কেউ নিজেদের কাজের বাইরে যাননি – অস্বাভাবিক কিছু করেননি। মেধা নর্মদায় যা করেছেন, মহাশ্বেতা পুরুলিয়ায়, সুমন তার গানে – এখানে সেই ধারাবাহিকতাই তাঁরা বজায় রেখেছেন (কবীর সুমন নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকতে পারে – কিন্তু ক্রনোলজিকালি, সুমনের পদস্খলন এর অনেক পরের ঘটনা)। তারা সেই সব মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, যাদের জমি তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের “উন্নয়নে”র চাকার তলায় চাপা পড়েছেন। আমরা তখন বুঝেছিলাম, নিজেদের মগজ বন্ধক রেখেই বুঝেছিলাম এটা আসলে তাদের “ভালো”র জন্যই – কারণ তখনো ভাবতাম তাদের ভালো আমরা ছাড়া কে-ই বা করবে।
    তাহলে দাঁড়ালো কি? সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণকে তখন সমর্থন করতাম, এখন করছি না। কেন করছি না? কারণ এখন আমার কাছে বিষয়টা অন্য পরিপ্রেক্ষিতে ধরা দিয়েছে। এখন আমি আর মনে করি না, সিঙ্গুরের (বা নন্দীগ্রাম, বা হরিপুর, বা দান্তেওয়াড়া, বস্তার, কালাহান্ডি, রায়পুর, বালুরঘাট এবং এবং এবং --) মানুষের ভালো বা মন্দ করা আমাদের দায়ীত্ব। সেটা তাদের দায়ীত্ব, এবং সে দায়ীত্ব নিতে তারা যথেষ্ট সক্ষম, যদি বাইরে থেকে অবিরত নাক গলানো বন্ধ করা হয়। সিঙ্গুরের জমি, অধিগ্রহণের আগে তিন ফসলী ছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রে – এই জমিতে কারখানা করার কোন জাস্টিফিকেশন দেখি না। হয়তো যে সব অংশে কন্সট্রাকশন হয়ে গিয়েছিল, জমি সংস্কার করলেও তারা আর আগের মত উর্বর থাকবে না (আমি কৃষিবিদ নই – সঠিক জানি না), তবুও এ জমি চাষীদের ফেরৎ পেতে দেখে আমি খুশী। তাঁরা যথেষ্ট কুশলী এবং পরিশ্রমী – আজ না হলেও কয়েক বছর পরে ওই জমি আবার তার আগের চরিত্র ফিরে পাবে বলেই আমার ধারণা।
    পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়ণ দরকার আছে বলে মনে করি কি না? শিল্পায়ণ হলে কর্মসংস্থান হবে, বেকার যুবক যুবতীরা কাজ পাবে, রাজ্যের মেধা ভিনরাজ্যে পাড়ি দেবে না – এগুলি চাই কি চাই না? ছয় বছর আগে হলে নির্দ্বিধায় বলতাম হ্যাঁ চাই এসব। এখন আর বলতে পারিনা ততটা জোরে। কারণ, যারা এসব বলেন, তারা প্রায় সবাই একটা ভাসা ভাসা ধারণা থেকে কথাগুলো বলেন। শিল্পায়ণ হলে কী ধরণের কর্মসংস্থান কতটা হবে তার পরিষ্কার ধারণা অনেকেরই নেই । যাদের আছে, তারা জোর দিয়ে বলতে পারেন না, সেই কর্মসংস্থানের সঙ্গে জমি অধিগ্রহণের কী সম্পর্ক? কেন কৃষিজমিতেই শিল্প হতে হবে? কেন বন্ধ কারখানার জমি অধিগ্রহণ করে নতুন শিল্প করা যাবে না? কেন বাঁকুড়া পুরুলিয়া অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত অনুর্বর, পতিত জমিতে শিল্প হবে না এবং তার প্রয়োজনীয় ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ে তোলা হবে না? এবং সব শেষে আরেকটা প্রশ্ন ছোট্ট করে রেখে যাই – “মেধা ভিন রাজ্যে চলে গেলে” ক্ষতি কি? মেধা মানে তো প্রকৃত মেধাবী নিয়ে মাথা ঘামানো হচ্ছে না – এখানে “মেধা” বলতে সেই মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের পাশ করা ছেলেমেয়েদের কথা বলা হচ্ছে। তারা পাশ করেছে, ভালো চাকরি করবে বলে – যেখানে পাবে, সেখানেই যাবে। যেখানে যাবে সেখানকার অন্ন ধ্বংস করে আয়েশ করবে – কেউ কেউ লোকদেখানো চ্যারিটি করবে। এরা বাড়ির ভাত খেতে পেলো কি না, তাতে অবশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের, অবশিষ্ট ভারতের কী যায় আসে?
    বস্তার থেকে রায়পুরে দেখেছি, কালাহান্ডি থেকে ভূবনেশ্বরে দেখেছি, সোনাই থেকে আগরতলায় দেখেছি, কাঁথি থেকে কলকাতায় দেখেছি – কিভাবে “উন্নয়নে”র নামে সর্বত্র নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষকে উৎখাত করে, তাদের পেশা থেকে, জীবনযাত্রা থেকে, সংস্কৃতি থেকে উচ্ছেদ করে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে আরো আরো প্রান্তে – যাতে সুবিধাভোগী শ্রেণীর জন্য আরো সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা যায়। তা তাদের প্রাণের মূল্যেই হোক না কেন। এই দেখার পর আর সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে শাইনিং পশ্চিমবঙ্গের কোন কথা বিশ্বাস করিনা। সিঙ্গুর রায় পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সম্ভাবনাকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেয় নি – কৃষিজীবি দরিদ্র মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে। বামপন্থী আন্দোলনকে দিশা দেখিয়েছে – আয়রনিকালি হলেও।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৫১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 165.136.80.160 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪২51653
  • এখন নেট ঘাঁটার সময় নেই, কিন্তু আবছা মনে পড়ছে রাজ্যপাল যখন ডেকেছিলেন মমতা বুদ্ধ দু তরফকেই, বুদ্ধ প্রপোজাল দিয়েছিলেন কমপেনসেশন বাড়ানোর, আর মমতা গোঁ জারি রেখেছিলেন ৪০০ একর ফেরত নেবার জন্য। ফ্রিকোয়েন্সি ম্যাচ করে নি, মিটিং বিফল হয়েছিল।
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫৬51654
  • আরও যে কারণে সানন্দ আর সিঙ্গুরে তুলনা হয় না সেটা মনে হয় চাষের ওপর সরাসরি আর পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল লোকের সংখ্যা। শহুরে মধ্যবিত্ত সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামকে ইন্টার্প্রেট করার সময় প্রথম যে ভুলটা করে - সেটা হল - এই দুক্ষেত্রেই আন্দোলনটা মূলতঃ তৈরী হয়েছে নিচুতলা থেকে চাপে। ওপর থেকে মমতা বা অন্য কেউ কিছু প্ল্যান বানিয়ে লোককে খাইয়েছে - এরকম নয়।
  • dc | 132.178.16.164 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫৮51655
  • ওরে বাবা ১০% কম না বেশী সে নিয়ে মন্তব্য করিনি। আর কমরেড অর্পন নিশ্চয়ই জানেন যে নেগোসিয়েশানের বেসিক শর্ত হলো যে বায়ার কম দর দেয়, সেলার বেশী দর দেয়, মাঝামাঝি মিট হয় ঃ)

    আর হ্যাঁ সেসময়ে টাটাদের সাথে সরকারের গুপ্ত নেগোসিয়েশান কি কি হয়েছিল সেসব "ট্রেড সিক্রেট" অবশ্যই ফাঁস হওয়া উচিত। এই চারশো একর বাড়ানোর জন্য কারুর পকেট ভারী হয়েছিল কিনা সেটাও প্রকাশ্যে আসা উচিত। তবে সেসব আর জানা যাবে বলে মনে হয়না।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০১51706
  • একক প্ল্যাস্টিক টা গোটা সমস্যার ৫%। কোনদিন কোন ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশানের স্ক্রীন চেম্বারের সামনে গিয়ে দাড়াবেন - সাইকেলের টায়ার, ছেড়া জুতো, সানিট্যাড়ি ন্যাপকিন, নারকেলের মালা কি নেই সেখানে। অনেক স্লাম এরিয়া আছে যেখানে ইচ্ছে মতন ম্যানহল খুলে নোংরা ঢেলে দেয় - পাইপ তো। গঙ্গা নদী তো না
  • Alcyoneus | 69.161.79.109 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৩51707
  • বড় দোকানে দেয় না। কিন্তু মুদির দোকান, মিষ্টির দোকান, বাজার - পাতলা প্যাকেটের মূল সোর্স এইগুলো।
  • Ekak | 53.224.129.62 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৩51708
  • হ্যা , একদম । দুনিয়ার নন ডিগ্রেডেবল ফ্লোটিং মেটেরিয়াল ।কিছু বাদ নেই । সে নরক দেখেছি । জাস্ট অবিশ্বাস্য ।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৪51709
  • আসল কি দরকার জানেন তো একক - শহরের মানুষকে একটু ভালোবাসতে হবে - মানে ওই গানে গল্পে কবতায় ফেসবুকে ভালোবাসা না - প্রতিদিনের জীবনে ভালোবাসা। ময়লাগুলো রাস্তার ধারে ডাম্প করার বদলে একটা নির্ডীশট জায়গায় ফেলা - অবাধে বিল্ডিং মেটিরিয়াল রাস্তার ধারে জমিয়ে না রাখা ...
    এ ভালোবাসা আগামী পঞ্চাশ বছরে আসবে বলে আশা দেখি না। আমরা আসলে সবাই নিজেকে শুধু ভালোবাসি।
  • Alcyoneus | 69.161.79.109 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৭51710
  • ওহ্‌, এসব নিয়ে বাচ্চাবয়সে প্রচুর ক্যাম্পেন ট্যাম্পেন করে হাল ছেড়ে দিয়েছি।
  • cm | 127.247.96.162 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১৯51711
  • আপনারা একটু অন্যরকম ভাবুন, আমরা ঐ জীবনটাকেই উপভোগ করি। ঐ জলে, কাদায় মাখামাখি হয়ে অদম্য জীবনের আনন্দে বাঁচি।
  • avi | 113.220.208.200 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২১51713
  • তখন ২০১০-১১। হাসপাতালের ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে প্রচুর সচেতনতা প্রোগ্রাম শুরু হল। দফায় দফায় ছাত্র, জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়ার ডাক্তার, নার্স সবার আলাদা আলাদা ক্লাস, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি হল। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নীল, হলুদ, কালো রঙের লিটারবিন বসলো, কোনটায় কী কী জিনিস ফেলা হবে তার সচিত্র নির্দেশনামা দেওয়ালে টাঙানো হল, ইঞ্জেকশন নিডল গ্রাইন্ডার মেশিন বসলো সর্বত্র। হেবি দরদ দিয়ে সবাই কাজ করতে লাগলো। হসপিটাল ওয়েস্টের প্রপার সেগ্রেগেশন শুরু হওয়ায় সবাই আনন্দিত।
    তারপর একদিন বিকেলে পুঁটিরামে কচুরি খেয়ে কলেজ স্ট্রীট এক নম্বর গেট দিয়ে ঢুকছি। ওখানে দরজার পাশেই পুরনো ভ্যাট ছিল, সকালে ট্রাক এসে আংশিক খালি করত রোজ। এখন ওখানে সেই ভ্যাট আর নেই। যাই হোক, দেখলাম মেডিসিন আর কার্ডিওলজি বিভাগের সেগ্রেগেটেড তিনরঙা বস্তা ভরে জিনিস নিয়ে এলেন গুটি তিনেক কর্মী। তারপর পরপর সবকটি ভ্যাটে উজাড় করে দেওয়া হল। সেগ্রেগেশনের সাড়ে আড়াইটা বেজে গেল। ঘটনাটি বিক্ষিপ্ত হলেই ভালো, হয়তো বাকি সাফাইকর্মীদের ট্রেইন করা হয়েছিল, ওই কজনই জানতেন না, বা মানেন নি, কিন্তু আমরা স্রেফ হাঁ হয়ে গেলাম।
  • Ranjan Roy | 132.176.247.59 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২১51712
  • মেশিনে নোংরা পরিষ্কার করার ব্যাপারটা অনেক কাজে দিয়েছে। রাস্তায় আবর্জনার পাহাড় আগের মত চোখে পড়ে না।
    ত্রিফলা আলো ( দুর্নীতিসমেত) বহু জায়গা আলোকিত করেছে। নাকতলা আর নর্থে বাঙ্গুর অ্যাভিনিউ এর কথা বলছি।
    গঙ্গার পাড় বাঁধানো হয়েছে। বাঙ্গুরে বি-ব্লকে ( কবি নীরেন চক্কোত্তির পাড়া) আমার কাকিমার বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে বর্ষার সময় অন্ততঃ তিনবার ঘরে জল ঢুকে খাট বিছানা চেয়ার টেবিল ভাসত। উনি উঠে ফার্স্ট ফ্লোরে মামার ফ্ল্যাটে চলে যেতেন কয়েকদিনের জন্যে।
    খাবার জল বড় বড় জেরিকেন এ করে রিকশাকে বেশি পয়সা দিয়ে পৌঁছইয়ে দড়ি বেঁধে দোতলায় তুলতে হত।
    পরে জল সরলে ঘরে নোংরা কাদা ব্যাং কেঁচো পরিষ্কার করে দেয়াল রঙ করানো--সে কহতব্য নয়।
    গত কয়েকবছর ধরে জল জমছে না। রাস্তায়ও জমা জল দু-আড়াই ঘন্টায় নেমে যাচ্ছে। আজও ফোন করে জানলাম--অবনতি হয় নি। এর কারণ , কাকিমার মতে (উনি এখনও কমিটেড সিপিএম ভোটার) আগের বারের স্থানীয় তৃণমূলী কাউন্সিলর মৃগাংক বলে ভদ্রলোক। দাঁড়িয়ে থেকে নালা সংস্কার করিয়েছেন। পাড়ায় খুব পপুলার। কিন্তু এটা বোধয় মহিলা কন্স্টিট্যুয়েন্সি হওয়ায় গতবার এখান থেকে নমিনেশন দেওয়া হয় নি।
    বেড়েছে গুন্ডামি , বেড়েছে তোলা বাজি।

    ব্রতীন,
    উন্নয়ন অনেক বড় শব্দ। বেঙ্গল মিট ও সিঙ্গাপুর হিট হওয়ার ফলে আদৌ কোন নতুন বিনিয়োগ এসেছে কি? কোন ডেটা আছে?
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩১51714
  • অভি ওয়েস্ট সেগ্রিগেশানটা শুধু হস্পিটাল ওয়েস্ত না - সব সলিড ওয়েস্টেই দরকার ভীষণ। সেটা হয়না বলেই এতবড়ো শহরের সলিড ওয়েস্টের বিশাল সমস্যা।
    আর রঞ্জন-দা অই ময়লা তোলার জন্যে দরকার ছিল লো হাইট ট্রাক - কেনা হয়েছে কম্প্যাকট্র। যেখানে সলিড ওয়াশটের ঘনত্ব ২০০-২৫০ কেজি /কিউবিক মিটার সেখানে কম্প্যাকট্র ট্র্যাক খুব কাজের - কিন্তু কল্কাতায় এই ঘনত্ব ৪০০-৪৫০ কেজি/কিউম। অনেক বেশী টাকায়, জিনিস কেনা হয়েছে। দুটোর দামের ফারাক দেখে নেবেন গুগল করে
  • PT | 213.110.242.24 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৪51671
  • "..... ফলে ওনাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল টাটাবাবুদের তাড়ানো যাতে ক্যাপিটালিজমের পরাজয় ওখানেই ঘোষনা করা যায়। কাজেই নেগোসিয়েশানের পরিস্থিতিটাই তৈরি করতে দেওয়া হয়নি।"

    Why is Mamata Banerjee so inflexible in her opposition to the Tata project? If one answer lies in her playing opposition politics, another has to do with the 21 groups which have jumped onto her stage...........
    .......... “Even if Mamata Banerjee opts out of the agitation, we will continue it,”
    http://expressindia.indianexpress.com/karnatakapoll08/story_page.php?id=356805
  • Ranjan Roy | 132.176.247.59 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪৬51715
  • sch,
    আমি একজন লে-ম্যান। এসব কিছুই জানি না। সাধারণ চোখে এবং লোকজনের সঙ্গে কথা বলে যা ইম্প্রেশন হল লিখেছি। এখানে আপনারা যা বলবেন ( স্পেশালিস্ট নলেজ) মেনে নেব। সিরিয়াসলি; আলসে মানুষ --কেন গুগল করব?ঃ))
    সত্যিই এখানে আলোচনা শুনে অনেক কিছু শর্টকাটে জেনে নিই। এটা কম পাওনা নয়।
    আর যদি করাপশনের কথা রিসোর্স মিসইউজ বা লিকেজ এর কথা বলেন তো--! সবাই দেখতেই পাচ্ছেন।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫০51716
  • রঞ্জন-দা এইসব কেনা কেনির বিভাগের একজন আমার পুরোনো কলেজের - তাকে প্রশ্নটা করেছিলাম - কি বেসিসে কেনা হল ? চুপ করে থেকে বলল "এত কৌতুহল দেখাস না" - উন্নতি হচ্ছে - তবে যে উন্নতির দাম ১০ টাকা সেটা ৫০ টাকা বলে দেখানো হচ্ছে। ও কে - তাই সই
  • Ranjan Roy | 132.176.247.59 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৯51717
  • যা তা!
    লুঠ পড়েছে লুঠের বাজার, লুঠে নে রে তোরা কেস!
  • PT | 213.110.242.23 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০০51718
  • একটু আগে ভাবলে না গা!!
    ১০ টাকার জিনিসের জন্য ৫০ টাকা দিতে আগে রাজী হলে এই টইটারই তো সৃষ্টি হত না!!
  • sch | 55.251.235.56 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০২51672
  • বিমানের মঞ্চে ‘ইচ্ছুক’ আনার দিদির আমলে ‘অনিচ্ছুক’!
    http://ebela.in/state/singur-land-distribution-discrimination-1.472803

    প্লিজ এনার হয়ে কেউ লিখে দিন "আমি কেন পালটী খেলাম" - উনি হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারবেন না
  • dc | 120.227.243.241 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৯51719
  • ছাগোলগুলোকে নিয়ে আর পারা গেলনা।
  • এলেবেলে | 11.39.57.181 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:০২51720
  • এলেবেলে বোধায় "কারখানা বন্ধের জন্য আন্দোলন" আর "ক্ষতিপূরন বাড়ানোর জন্য আন্দোলন" গুলিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছুক ঃ)

    আমার পোস্ট ১ ও ২ দিয়ে শুরু হয়েছে । তাতে "ক্ষতিপূরন বাড়ানোর জন্য আন্দোলন" শব্দগুলো সম্ভবত নেই । কোনও একজনের ঘাড়ে বন্দুকটি রেখে নিজেদের অপদার্থতা ঢাকার অক্ষম চেষ্টার বিরুদ্ধে কিছু বলার চেষ্টা করেছি । মমতা বলেন “We would like work at the factory to start from tomorrow as we are for industry and the ancillary units too”. এটা কারখানা বন্ধ করার জন্য বলা বুঝি ?

    কয়েকটা নির্দিষ্ট প্রশ্ন । কোনও একজনও দিতে পারেন, সমবেতভাবেও দিতে পারেন । উত্তরগুলো পেলে কিছু ভুল ভাঙবে ।
    ১. সব কিছুই যখন ঠিকঠাক ছিল তো নিরুপম সেন ‘there was no possibility of altering the land map’ –এর গোঁ ধরে থাকলেন না কেন ?
    ২. হঠাৎ গোপাল গান্ধীর চরণে প্রণিপাত করতে হল কেন ?
    ৩. ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের নেত্রীটিকে তো মাননীয় সাংসদ প্রদর্শিত রাস্তায় চুলের মুঠি ধরে কালীঘাটে পাঠানো যেত । তা না করে প্রথমে ধর্না আন্দোলনের নৌটঙ্কিবাজি সহ্য করা এবং পরে রাজভবনে তাঁকে ডাকা হল কেন ?
    ৪. “After two rounds of discussion between chief minister Buddhadeb Bhattcharjee and Trinamool Congress chairperson Mamata Banerjee, the government late on Sunday evening agreed to return land to some 2,200 farmers who had not sold their land willingly for the project and have not collected compensation.” যে ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক নিয়ে সিপিয়েমের ব্যঙ্গের অন্ত ছিলনা তারা হঠাৎ ২২০০ অনিচ্ছুক চাষির কথা মেনে নিল কেন ?
    ৫. ২২০০ চাষি গড়ে মোটামুটি ১০-১১ কাঠা জমি দিলে জমির পরিমাণ ৪০০ একর হয় । সেটা খোদ সরকার মেনে নিচ্ছে আর মমতা সেই একই পরিমাণ জমি ফেরত চাইলে তা কারখানা বিরোধী হবে কেন ?
    ৬. ‘মমতা সমাধান সূত্র হিসেবে কারখানার উল্টোদিকের জমিতে অ্যান্সিলারি ইউনিট সরানোর প্রস্তাব দেন’ । সেটা মেনে নিয়ে তো কারখানা করা যেত, সেটা হল না কেন ?
    ৭. রাজভবনে সিধান্ত হয় — “The government has taken the decision to respond to the demands of those farmers who have not received compensation, by means of land to be provided ‘maximum’ within the project area and the rest in adjacent area as early as possible”. প্রোজেক্ট এরিয়া থেকে যে ম্যাক্সিমাম জমি ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সে জমি তো কারও না কারও নামে বরাদ্দ হত । তারা কোথায় যেত ? সেক্ষেত্রে মমতা কী এমন ফালতু প্রস্তাব দিয়েছিলেন ?
    ৮. ‘ম্যাক্সিমাম’ শব্দটা নিয়ে এত জলঘোলা করা হল কেন ? ঠিক কতটা জমি কারখানা থেকে দেওয়া যাবে তা স্পষ্ট করে বলা হল না কেন ?
    ৯. রবি ভট্‌চাযরা বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে যে রিপোর্ট পেশ করলেন তাকে পাত্তা দেওয়া হল না কেন ?
    ১০. আপনি আমাকে ডাকবেন, নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করিয়ে নেবেন এবং তারপর কাঁচকলা দেখাবেন আর আমি এক্কাদোক্কা খেলব ?
    ১১. ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যদি এতই সদিচ্ছা ছিল তো সেটা ২০০৮ এর সেপ্টেম্বরে না দিয়ে দু’বছর আগে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যেত । টাটারা চলে যাওয়ার দিন পনেরো আগে এ দরদ উথলে উঠল কেন ?

    ‘মমতা ৬০০ দিনের প্রস্তাব কাকে দিয়েছিলেন সেটার লিংক পেলে একটু ভালো হয়’
    ‘মমতা-প্রস্তাবিত’ অর্থে মমতা সরকারের কাউকে প্রস্তাব দিচ্ছেন কেবলমাত্র এমনটাই হয় কিনা জানিনা তবুও লিংকটা রইল
    http://www.business-standard.com/article/companies/team-spotted-307-vacant-acres-trinamool-108091501053_1.html

    ইয়ে মানে আমি এখনও এটাকে সিঙ্গুরের টই-ই ভাবছি ! এলেবেলে বলেই কি !!
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:০৩51673
  • একটা জিনিস বুঝলাম, রায় বেরোনোর পরেও তার মর্মার্থ পিটি, বুঝতে পারেনি।ওখানে জমি নেবার পদ্ধতিতেই ছিল অসংখ্য গলদ। স্থানীয় কৃষক দের কথা না শোনা,তাদের শুনানি তে সুযোগ না দেওয়া, অত্যন্ত কম ক্ষতিপূরণ,জলা জমি বলে মিথ্যে প্রচার, চাহিদার চেয়ে 400 একর বেশি জমি জমি টাটা দের তুলে দেওয়া-
    এসব জেনে শুনে বাঁধা দেওয়া তো বিরোধী দল তথা যেকোনো সংবেদন শীল লোকের কর্তব্য হওয়া উচিত।
    করতে দিলোনা ,দিলোনা, বলে নাকি কান্নার কোনো মানে আছে?
    এই তো আজ পেপারে দেখলাম প্রায় 2000 একর জমি জয় বালাজি কে দিয়ে বসে আছে। প্রায় দশ বছর হতে চললো কারখানা খোলার কোনো নাম গন্ধ নেই বা জমি ফিরিয়ে দেবার কোনো উদ্যোগ নেই।
    এগুলো কে কি বলবেন? ওই বুদ্ধদেব আর নিরুপম বসে বসে কি চুক্তিপত্র বানাতো?
    তাতে জমি ফিরিয়ে নেবার ক্লজ কিরকম থাকতো?
    এরা যে ক্ষমতায় থাকা কালীন কত জঞ্জাল চতুর্দিকে ছড়িয়ে রেখেছে; তার কোনো ইয়ত্তা আছে? এই জঞ্জাল সাফ করার আধুনিক প্রযুক্তি আপনার জানা আছে?
  • dc | 120.227.245.100 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:১৩51674
  • এলেবেলে বোধায় "কারখানা বন্ধের জন্য আন্দোলন" আর "ক্ষতিপূরন বাড়ানোর জন্য আন্দোলন" গুলিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছুক ঃ)

    সবাই সবকিছুই জানে, তাও দুয়েকটা লিংক দিঃ

    "রাজভবনের মিটিং-এ মমতা জমিদাতাদের জমির দামের ১০% বোনাস দিতে বলেছিলেন যা পত্রপাঠ বাতিল হয়"

    তাই নাকি? এখানে বলছে Within two days of the government’s new offer, farmers are coming forward to accept the package. The lucrative 10% solatium on offer if the package is accepted before September 22, 2008, drew many yeses at the Left Front’s mega rally at Singur on Monday afternoon.

    http://www.dnaindia.com/india/report-singur-farmers-fine-with-new-package-1190486

    এখানে বলছেঃ In a statement, the Tatas hoped that following the new package a congenial environment would prevail facilitating the Nano project to come up in Singur.
    The statement comes at a time when Trinamool chief Mamata Banerjee, who has been actively involved in blocking the Singur plan, has already rejected the fresh proposal. The proposal offers 50 per cent more on the compensation price of land, jobs for landed farmers and 300 days’ wage for landless farm labourers.

    http://www.hindustantimes.com/kolkata/bengal-offers-sops-to-singur-farmers/story-cnMbKOzh02BPrPkJsFAqwM.html

    তো ১০% বোনাস এর জায়গায় দেখছি ৫০% পর্যন্ত উঠেছিল!

    আর হ্যাঁ, "কলমের খোঁচায়" ৩০০ দিনের ওয়েজ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তো মমতা সেটাকে বাড়ানোর জন্য কোন খোঁচাখুঁচি করেছিলেন, নাকি ঐ চারশো একর ফেরত দেওয়ার জন্যই দাবী করে গেছিলেন, যেটা আসলে কারখানা বন্ধ করার আন্দোলন ছিল? (মমতা ৬০০ দিনের প্রস্তাব কাকে দিয়েছিলেন সেটার লিংক পেলে একটু ভালো হয়)
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৫১51675
  • মিছিমিছি আপনারা পুরোনো কবর থেকে লাশ খুঁড়ে বার করছেন। আনন্দ করুন। দিদি BMW কে নিয়ে এলেন বলে। কোথায় BMW আর কোথায় ন্যানো ।

    দিদির লেভেল ই আলাদা। মারি গন্ডার , লুটি তো সারদা (সরি BMW )
  • দেবব্রত | 233.191.28.111 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:০৬51676
  • দুই দিদির আকচা আকছি, বি এম ডাব্লিউ ইতিমধ্যে তামিলনাড়ু তে আছে তবে তার থেকে ভালো প্যাকেজ দিলে এরাজ্যে আসতেও পারে।এলো বা না এলো তাতে কি এসে যায়? দিদি শিল্পের জন্য প্রাণপাত করছেন এই মেসেজ তো দেওয়া গেল, যেমন কলকাতা লন্ডন আর দার্জিলিং সুইজারল্যান্ড বানানোর প্যাকেজ ছিল।
  • PT | 213.110.242.24 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:১২51677
  • শুধু পিটি নয়, অনেকেই এখনো বুঝতে পারেন নি যে চাষীরা আরো বেশী কমপেনশেসন পেলে ও একই সঙ্গে কারখানাটা হলে আসলে ক্ষতিটা কার হত?
    ক্ষমতারোহন অত সহজে হয়না......
  • dc | 120.227.243.241 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:১৩51721
  • বাপরে এগুলো তো খুবই কঠিন কঠিন প্রশ্ন দেখছি! আমি একটারও উত্তর দিতে পারলাম না।
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:১৯51678
  • দিদি তো ঠিকই প্রমিস করেছেন। কলকাতা তো ভেনিস হয়ে গেছে গত দুদিন এ। আর একটু এগোলেই লন্ডন। কলকাতায় নৌকো চলছে দেখলুম তো ফেবুতে। আপনারা শুধু দোষ ধরেন।
  • PT | 213.110.242.24 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:২৪51679
  • উন্নয়নের নমুনা/বৃষ্টি হলে যমুনা।
    (অজানা ফেবু কবি)
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:৩২51680
  • হবে হবে, এত ব্যস্ত হলে চলে, সবে তো ৫ হল, আরো বছর ২৪ যেতে দিন। সময় লাগে, সময় লাগে - গুরু মারা বিদ্যে আয়ত্ত করতেও তো সময় লাগে...
  • Bratin | 11.39.36.117 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:১২51681
  • আহা পিটি দা, ২০১১ র আগে দেখো নি তো।

    তখন তো সব ঠিক ঠাক ছিল । "কলকাতায় জল জমা" আমরা তো ভাবতেই পারি না।

    যা হল সব ২০১১ র পরে। বুইলে কিনা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন