এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • খান - ভালোবেসে খান

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ | ৫৭৫৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • লেবু বেশী কচলালে তেতো হয়ে যায় – তবে কিনা যত বড় লেবু তত বেশী সময় লাগবে তেতো হতে, ততক্ষণ আপনি কচলে যান। আমার ক্ষেত্রে এই কচলানোটা ঠিক কবে শুরু হয়েছিল ঠাওর করতে পারছি না, কিন্তু আপাতত আমি রীতিমত ফেড-আপ – বিদেশী খাবারের সাথে আমার কত ফ্যামিলিয়ারিটি, সেই বোঝানোর জন্য বাঙালী তথা জানাশুনা ভারতীয়দের নিদারুণ প্রচেষ্টা দেখে দেখে! কার বাড়িতে দিদিমা পিৎজা বানাতো – দাদু তিনতলার ছাদে অলিভ গাছ লাগিয়ে ছিলেন, কার মামা ছোটবেলায় বার্গার খেয়ে খেয়ে এখন পুরোপুরি অবিস এবং অম্বলের রুগি, কার দেশের বাড়িতে পাঁঠা দিয়ে থাই গ্রীন কারি হত, অ্যাভোকাডো দিয়ে পাস্তা কার স্কুল লাইফে ফেভারিটি টিফিন ছিল – ইত্যাদি, ইত্যাদি। এমন ফেড আপ আমি আগে হতাম ফেলে আসা চল্লিশ বিঘে আমবাগান, পঞ্চাশ বিঘে দিঘী এবং ততসহ হামেশা কুড়ি-ত্রিশ কিলো কাতলার গল্প শুনে। তাহলে সব বাঙালী বা ভারতীয়ই কি এক গোত্রের? মোটেই না – আমি মেজরিটির কথা বলছি মাত্র। না হলে খোদ কোলকাতাতেও বিদেশী রেষ্টূরান্ট চলছে কি করে? সে যতই ইণ্ডিয়ানাইজড্‌ হোক না কেন সেই বিদেশী খাবার! আর্ট-কালচার লাইনের সাথে এই লাইনের আঁতেলদের একটা প্রগাঢ় প্রধান মিল আছে, সেটা হল এই যে উভয় ক্ষেত্রেই ফাঁকা কলসির আওয়াজ বেশী। এটা বোঝা কি খুবই কষ্টের যে - যিনি খান, তিনি খান – এবং তিনিই কম ফাটান। গ্রীক স্যালাড আমি বুঝি তা পাঁচজনকে জানাবার জন্য দাদুকে দিয়ে ছাদে অলিভ গাছ লাগানোর সত্যি কি কোনও দরকার ছিল?

    শ্রেষ্ঠ খাবার – এই কনসেপ্টটাই গোলমেলে। সর্বমতগ্রাহ্য ইউনিভার্সালি ভালো খাবার বলে দাগিয়ে দিয়ে গেলানো এবং চালানোর চেষ্টা করা তো আরোই জটিল মনস্তাত্ত্বিক আলোচনায় পর্যবসিত হতে পারে। আমি খাই, আমি খেয়েছি, আমি খেতে ভালোবাসি – এই তিন জিনিস নিয়ে আলোচনায় ভারতীয় জিনের মধ্যে ঘুঁষে থাকা কম্পিটিটিভ ব্যাপারটা রীতিমত প্রকট হয়ে পরে – সত্যের সাথে মিথ্যার রেশিওটা কন্ট্রোলের বাইরে চলে গিয়ে কখন যে ককটেল তেতো করে দেয় সেই খেয়াল আমাদের থাকে না! উচ্ছে খেতে ভালো লাগে না সেই বলাটা মা আর বউয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হিষ্টরিক্যালি। কিন্তু সুশি বা পাস্তা খেতে ভালো লাগে না এটা কি লোক সমাজে স্বীকার করা যায় নাকি?

    কিন্তু প্রশ্ন হল কেন যাবে না? কেউ কি মাথার দিব্বি দিয়েছে নাকি যে সব খাবার ভালো লাগতেই হবে? নাঃ – কেউ দেয় নি। কোন নাম্বার কাটা যাবে নাকি যদি বলি কাঁচা হ্যারিং খেতে ভালো লাগে না? নাঃ – কেউ নাম্বার কাটার জন্য বসে নেই! কিন্তু ভাই বউয়ের খোঁচার হাত থেকে তুমি কি বাঁচাতে আসবে? আমি সেবার সরল মনে বললাম, সুশি জিনিসটা ঠিক আমার আসে না – পাশ থেকে বঊয়ের কি নিদারুণ গোঁত্তা – কেন, তুমি কি ভুলে গেলে সেই বার বেড়াতে গিয়ে অত ভালো সুশি খেলাম আমরা! কোথায় বেড়াতে গিয়ে সেই নিয়ে আর চটকানোর সাহায্য পেলাম না।

    মোদ্দা কথা আমার বক্তব্য হল, বিদেশীরা যেমন সহজে বলতে পারে ভারতীয় খাবার আমার সহ্য হয় না – আমরা ভারতীয়রা কেন বুক ফুলিয়ে বলতে পারব না যে স্প্যানিশ পাইয়া বা ইতালিয়াল রিসত্তো আমার সহ্য হয় না (যদি সত্যি অপছন্দের হয় আর কি)? বিদেশী খাবার সহ্য হয় না বলতে আমাদের বুক দুরুদুরু করে – কৈ, পাছন্দ নয়, সেটাও তো বুক ফুলিয়ে সচরাচর আমরা বলি না? ঐতিহাসিকরা এই জিনিসটায় তেমন নজর দেন নি – মনে হয় অনেক গবেষণার অপশন খালি রয়েছে। যদিও আমার গবেষণা বলছে এই সবের পিছনেই আছে ইনফিওরিটি কমল্পেক্স! তবে তেমন খ্যামতাওলা গবেষক হলে হয়ত প্রমান করে দেখাতে পারতেন যে আমাদের মধ্যে দাসত্বের বীজ ঢুকে থাকার জন্য সাদা প্রভুদের খাবার ভালো নয় বলতে আমাদের মধ্যে প্রবল অনিহা। এমনকি এর মধ্যে সাব-অলটার্ণ, সাব-মেসিভ, মেসোজিনিক, পোষ্টমডার্ণ বা মার্কসীয় তত্ত্ব ঢুকে থাকাও আশ্চর্য নয়! এ এক সোনার খনি, তেমন কোন তত্ত্ব নিয়ে হাজির হন নি এখনো বিশেষ কেউ – থিওরী ছড়াবার এই চান্স।

    সাদা সাহেবদের মধ্যে এই আলোচনায় বৃটিশরা আসবে না – কারণ তিনশো বছর কাছাকাছি থেকেও ভারতীয়রা ঠিক বুঝে উঠতে পারে নি যে মালগুলো ভারতে আসার আগে কি খেয়ে বাঁচত! নিজেদের বিয়ার এবং তারপর ভারতীয় কারি খেয়ে তৃপ্তির টেঁকুর ইংরেজরা না তুললে বিদেশে ইন্ডিয়ান রেষ্টুরান্টের আজকের এই রমরমা ব্যবসা খাড়া হত না! এক সাদা চামড়া তো অন্য সাদা চামড়ার কথাই শুনবে তাই না? না হলে আমরা কানের গোড়ায় ঘ্যানঘ্যান করেও কি বিয়ারের পর কারি খাওয়াতে পারতাম সাদাদের? কেবলমাত্র ঘ্যান ঘ্যান করে সর্বত্র কোন খাবারকে পুশ করা গেলে বিদেশে আজকে কার্ড-রাইস আর ধোসার রমরমা হত – চিকেন টিক্কার নয়! বৃটিশরা বিন্ধ্য পর্বত পেরিয়ে তেমন সুবিধা করতে না পারার জন্য শুধু সাউথ ইন্ডিয়ানরাই বেঁচে যায় নি, ভারতীয় খাবার প্রতি আগ্রহ থাকা বিদেশীরাও বেঁচে গেছে – না হলে চিকেন টিক্কা মশালা নয়, রসম্‌ খেয়ে আশ মেটাতে হত!

    কিছুদিন আগে বন্ধুরা আমাকে জানালো পুরাকালের বিখ্যাত ফোন কোম্পানী নোকিয়া-র মাথা নাকি দুঃখ প্রকাশ করেছে এই বলে যে – আমরা হেরে গেলাম, অথচ আমাদের কোন দোষ ছিল না! অন্যদল তার্কিক বন্ধু জানালো, আসলে মাথা বলেছেন, আমাদের ‘তেমন’ কোন দোষ ছিল না! স্ট্রেস দিতে হবে ‘তেমন’ শব্দটির উপর। আরেকদল খাবারের প্লেট নিয়ে ব্যুফে অ্যাটাক করার ফাঁকে জানিয়ে গেল যে – এই ভাবেই হেরে যেতে হয়! ব্যুফের দিকে ভেসে যেতে যেতে ডপলার এফেক্টের মত ‘ডারউইন’, ‘ডারউইন’, ‘সারভাইভাল’, ‘ফিটেষ্ট’ এই সব জটিল শব্দবন্ধের উল্লেখ শুনলাম মনে হল। তো আমি সোমবার অফিসে এসে নোকিয়া কোম্পানীর গল্প আমার কলিগ মুথাইয়া মণিমারণ – কে শোনালাম। মন দিয়ে শুনে মণিমারণ বলল – কিন্তু, আমি তো আর মোবাইল বিক্রীর ব্যবসায় নেই! আমি বুদ্ধি যেহেতু প্রখর, তাই চট করে বুঝে গেলাম যে মণিমারণ বলতে চেয়েছে, আমাকে তো আর লোকের পছন্দের উপর নির্ভর করে চলতে হয় না! এবার আরো বুদ্ধিমান পাঠক প্রশ্ন করতে পারেন, এতো লোক থাকতে আমি সেই গল্প মণিমারণকে শোনাতে গেলাম কেন?

    মণিমারণ তামিল, মণিমারাণের বউ আরো নিখাদ তামিল – বাড়িতে তামিল চ্যানেল ছাড়া টিভি চলে না, তামিল খাওয়া ছাড়া অন্য কিছু ভাবার তো প্রশ্নই নেই! আমি মণিমারণকে কোথাও বেড়াতে যেতে দেখি নি – কেবল সিঙ্গাপুর, সেখান থেকে চেন্নাই – সেখান থেকে কোচি। এই চলছে বছরের পর বছর। এর প্রধান কারণ হল – মণির বউ তামিল ছাড়া অন্য খাবার খেতে পারে না। মানে বাকি সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারও নয় – নর্থ ইন্ডিয়ান তো বিজাতীয় বস্তু! একবার আমি মণিকে বালি বেড়াতে যেতে প্রায় কনভিন্স করে ফেলেছিলাম। বালির কুটা বীচের কাছে ডিস্কভারী হোটেল খুঁজে দিলাম যার লাগোয়া রয়েছে ভারতীয় রেষ্টুরান্ট ‘কুইন’। সব ঠিক ছিল – কিন্তু শেষ মুহুর্তে আবিষ্কৃত হল যে কুইল নর্থ ইন্ডিয়ান ক্যুজিন – তাই সেই বালি প্ল্যান বাতিল। মণি সিঙ্গাপুরের পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট – তা ভারত যাবার সময় সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে ট্রেন্সফারের সময় মণি সপরিবারে চেক-আউট করে সিটিতে গিয়ে মণির বঊয়ের একমাত্র পছন্দের রেষ্টুরান্টকে খেয়ে এসে আবার চেন্নাই ফ্লাইট ধরে। তো সব জেনেই আমি ওই নোকিয়ার গল্পটা শোনাতে গিয়েছিলাম মণিকে – এই ভাবে সে এমন চললে মণি তো অবলুপ্ত হয়ে যাবে কোন এক দিন – কিন্তু পরিবর্তে মণি আমাকে এক অমোঘ জ্ঞান দিল – তাকে তো আর লোকের পছন্দের উপর নির্ভর করে খেতে হয় না, বা লোককে ইমপ্রেসড করার জন্য খেতে! আহা রে – এটা যদি অনেক বাঙালী এবং ততসহ অনেক প্রবাসী ভারতীয় বুঝত। আমার চোখে মণিমারণ জাতীয় ব্যক্তিরা হচ্ছে গিয়ে লেজেন্ড – স্বজাতীয় চাপের কাছে মাথা না নুইয়ে নিজের খাদ্য-পছন্দ অকুন্ঠিত ভাবে স্বীকার করা – সে এক লুপ্তপ্রায় গুণ।

    নিজের খাওয়া বিশ্বাসের উপর গোঁড়া থাকার জন্য মণিকে আমার শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা হয় – কোন হাঙ্কি পাঙ্কি নেই, লোক দেখানো নেই – আমার ভালো লাগে না অন্য খাবার, তাই খাবো না! বাঃ বাঃ, কি ফিলোসফি! এই সরল – কিন্তু কি কঠিন সেই মেনে চলা। বিশ্বাস হয় না এই জিনিস মেনটেন করা কি শক্ত? জিজ্ঞেস করুন তা হলে দেবু-দা কে –

    দেবু-দা কে আমি যাই বলি, তা সে আগে থেকেই জানে – পৃথিবীর সব খাবার তার পছন্দ, কিন্তু বাঙালী খাবার ছাড়া সে খেতে পারে না। আপনি তার সামনে অন্য কোন দেশের খাবার নিয়ে মুখ খুলবেন নি – তার আগেই দেবু-দা জানিয়ে দেবে সেই খাবার তা চাখা। দেবু-দা হোটেল কাউন্টারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে – মানে, ইসে, হল-গিয়ে সহ অসংখ্য অর্ধ-তৎসম শব্দ সহযোগে, কোম্পানী বিদেশে পাঠাবার আগে দেওয়া কালচারাল অ্যাওয়ারনেশ ট্রেনিং-এ পই পই করে না-করতে বলা আমেরিকান অ্যাকসেন্টে বাঙালী উচ্চারণে যা বলল তার বাঙলা সারমর্ম হল –

    -অ্যাই মেয়ে, তুমি আশেপাশে কোন ভালো রেষ্টুরান্ট সাজেষ্ট করতে পারো?
    -কি ধরণের রেষ্টূরান্ট চাইছেন স্যার?
    -ইয়ে, মানে – তোমাদের টাউনে যে রেষ্টুরান্ট বিখ্যাত আর কি
    -তাহলে স্যার আপনি আমাদের শহরের ফেমাস লেবানীজ রেষ্টুরান্টটা ট্রাই করতে পারেন। যদি চান, আমি বুক করে দিতে পারি

    লেবানীজ রেষ্টুরান্টের নাম শুনে দেবুদার অন্ডকোষ প্রায় শুকিয়ে এসেছে – সারাদিন মিটিং ঠেঙ্গিয়ে ডাল দিয়ে ভাত চটকে তন্দুরি সাঁটাবার তালে ছিল। লেবানীজ খাবার কি ভাবে, কোথা দিয়ে খায় দেবুদার জানা নেই – এবং আরো বড় কথা, জানার ইচ্ছেও নেই –

    -কিন্তু এখন তো রাত হয়ে গ্যাছে – ক্যাব পাবার সমস্যা
    -চিন্তা নেই স্যার, আমাদের হোটেলের ট্রান্সপোর্ট ড্রপ করে দেবে

    দেবুদা এবার পুরোপুরি ফেঁসে গ্যাছে, অণ্ডকোষ শুকাবার পালা শেষ, এবার অন্ডকোষ ঘেমে উঠছে – শেষ প্রশ্নটা আসার আগে এতো ভনিতা করতে হচ্ছে – একেবারে বেলাইন হয়ে যাবার আগে –

    -ইসে, তুমি কি আশে পাশে কোন ইন্ডিয়ান রেষ্টুরান্ট জানো বাই এনি চান্স? একচ্যুয়ালি আমার বন্ধুরা -----

    কোন দরকার ছিল তো না এত কথার – ভারতীয় হয়ে ভারতীয় খাবার পছন্দ করা এমন কিছু লজ্জার ব্যাপার তো আর নয়! কিন্তু ওই যে বললাম, সবাই মণিমারণ হতে পারে না!

    জোর করে সিনেমা, গান, রাজনীতি, খেলা, ওপেরা, গলফ, সাহিত্য – সমর সেন থেকে ফৈয়জ খান – সব ঠিক আছে – কিন্তু খাওয়া নিয়ে এই সব ছেনালীর এবং আঁতলামির কি মানে? বড় কষ্ট হয় – খাওয়া নিয়ে এহেন দ্বিচারিতা ঠিক না – যেখানে প্রামাণিত যে আমাদের জন্ম এবং বিবর্তন দুই হয়েছে খাবার জন্য – খাবার জন্যই সব, খাবার জন্যই আমরা – সেই ক্ষেত্রে প্রায়োরিটি ঠিক রাখতে পারলে তবেই না জাতি উন্নতি করতে পারবে! খাদ্য বিষয়ে আঁতলামো জাতিকে পিছিয়ে দেয় সেই বিষয়ে আমার কোন সন্দেহই নেই আজকাল! ইংরাজীতে বলতে গেলে – The fate of a nation depends on the way that they eat - কার উক্তি জানতে গুগুল সার্চ করুন।

    আমার বন্ধু সাধন যে জীবনে উন্নতি করতে পরেছে (এখন এক কলেজের প্রফেসর – আমার কাছে সেটাই উন্নতির মাপকাঠি) তার প্রধান কারণ ছিল সে খাবার বিষয়ে নিজের মনের কথা প্রকাশ করতে কুন্ঠিত হত না। সেই বি ই কলেজ থেকেই বুঝেছিলাম ওর হবে – সেই যে বার আমরা হোষ্টেল মেসে বসে গোপাল ঠাকুরের রাঁধা কষা মাংস, রুমালি রুটি, ফ্রায়েড রাইস সাঁটাচ্ছি, পাশের টেবিল থেকে চশমা চোখে লম্বু সুপ্রিয় মুখে ফ্রায়েড রাইস তুলেই ওয়াক, ওয়াক শব্দ করতে করতে বেসিনের দিকে ছুটল। কি হল কি হল প্রশ্নের ফাঁকে জানা গেল সুপ্রিয়র ফ্রায়েড রাইসে কুঁচো চিঙড়ি পড়ে গিয়েছিল – জৈন ধর্মালম্বী হবার জন্য কোন দিন মাছ মাংস খায় নি, তাই গন্ধ লেগে গ্যাছে – ফলতঃ বমন। সাধন আড়কানে শুনে নবম রুমালী রুটিতে নিমজ্জিত হতে হতে বলল – “ধুররররররররররররর বোকাচোদা”। মুখের গ্রাস শেষে হাড় চুষতে চুষতে ফাইন্যাল ভারডিক্ট – “যত্ত সব বাল ছাল নিরামিশাষীর দল”। খুবই সাটল ব্যাপার – কিন্তু বাঘের বাচ্চাদের এই ভাবেই আলাদা করা যায় অযুত ভেড়াদের থাকে।

    তাহলে আমি কি মণিমারণের দলে? নাকি সাধনের? নাকি দেবুদার পদ্ধতির সমর্থনে কলম ধরছি? আমি কারো দলে নই – সিম্পল কথা বলতে চাইছি, আমার মতে বাইরে বেরিয়ে শুধুমাত্র ভারতীয় খানায় আবদ্ধ না থেকে, অন্য কিছু ট্রাই করলে অসুবিধাটা কোথায়? তবে কিনা – প্রথম বার অন্তত খেতে হবে, না খেলে আপনি বুঝবেন কি করে যে সে খাবার আপনার ভালো লাগবে না? খেয়ে দেখুন – নিতান্তই না ভালো না লাগলে আবার ফিরে যান আলু পোস্ত, রসম, রাজমা যাই হোক না কেন। তবে প্লীজ পরে আবার ফাটাবেন না থাই থেকে ভিয়েতনাম নিয়ে! না জেনে তর্ক করা আমাদের মজ্জাগত – আর্ট, কালচার লাইনে সেটা টলারেট করছি কোন ক্রমে। আর্ট-কালচার জিনিসগুলি লাইফে এশেনশিয়াল নয়, ফাউ – কিন্তু খাবার তো আর তা নয়! কোন জিনিস না খেয়ে সেই খাওয়া বিষয়ক জ্ঞান দেওয়া নিয়ে আমি খুবই মনোকষ্টে আছি। আমি জানি না আমার মত সাফারার আরো কেউ আছেন কিনা – থাকলে এই সাফারিং বন্ধ করার জন্য একটা আন্দোলন করার দরকার। নিদেনপক্ষে কলেজস্ট্রীটে একটা জমায়েত, বা একটা পিটিশনে সই –

    তবে একটা কথা, বিদেশী খাবার খেতে হলে তাকে মর্যাদা দিয়েই খাওয়া উচিত বলে আমার ধারণা। মানে অরিজিন্যাল খাবারের গুষ্টির-তুষ্টি পুজো করে, তাকে সেই অরিজিন্যাল নামে ডাকার ঘোরতর বিরোধী আমি। সেই দিন এক গভীর প্রবন্ধে পড়লাম যে, ‘নুনু’ থাকা মানেই ‘পুরুষ’ নয়! আমি যদিও সারা জীবন তাই জানতাম – এমনকি ডাক্তারেরাও তাই জানত মনে হয়! বাচ্ছা পয়দা হল মায়ের পেট থেকে – ডাক্তারকাকু ছোট্ট নুনু নেড়েচেড়ে দেখে, গুল্লি গুল্লি বীচি ঠিক ঠাক আছে কিনা দেখে নিয়ে লিখে দিল বার্থ সার্টিফিকেটে ‘মেল’। কোন সমস্যার কিছু দেখি নি – আমার মত আরো লাখো লাখো পাবলিকও কিছুও ভুল দ্যাখে নি। কিন্তু না! সেই প্রবন্ধ পড়ে বুঝলাম যে ‘মেল’ হলেও সে ‘পুরুষ’ কনফার্মড নয়! ‘মাল’ হয়ে যাবার চান্সও আছে সুযোগ মত – বা ‘মেল’ ও ‘মাল’-এর মাঝামাঝি। আমি তো দেখলাম, বাঃ এতো বেশ ভালো যুক্তি! তো আমি যুক্তি দিলাম – ‘নুনু’ থাকলেই যেমন পুরুষ হয় না, তেমনি পাস্তা রাঁধলেই প্রকৃত ইতালিয়ান খাওয়া হয় না! গুচ্ছের সর্ষের তেল, গোল গোল (বা লম্বা লম্বা) ময়দার ফালি, তার মধ্যে মাংসের কুচো এবং তাতে কেনা সাদা বা লাল শস ঢেলে দিলেই পাস্তা এক্সপার্ট হওয়া যায় না! চিনুদা যেহেতু এক্সট্রা স্মার্ট তাই আরোএককাঠি উপরে গিয়ে বলল –

    -যাই বলিস, এই ইতালিয়ানরা পিৎজায় ট্যামেটো শসের ব্যবহার ঠিক জানে না
    -কেন চিনুদা, ওই তো পিৎজা বেসে রয়েছে শস
    -কোথায় শস? আর আমার সাথে বেস মারাস না! ছড়ানো কোথায় উপরে? এর থেকে আমাদের কলকাতায় পিৎজা অনেক ভালো

    চিনুদা ‘কেচাপ-এর কথা বলছিল – আমি অবশ্য জানি না কোলকাতায় কোথায় পিৎজার উপরে কেচাপ ছড়িয়ে (অ্যাজ এ জেনারেল প্র্যাকটিশ) সার্ভ করে! করলে তাদের ব্যান করে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে -

    এবার প্রশ্ন উঠতে পারে যে, এই আমি ভারতীয় খাবার নিয়ে বুক ফুলিয়ে গর্ব করে খেতে বলছি, তাহলে রেষ্টুরান্টে ঢুকে হাত দিয়ে খাওয়া, বা বেশ জোর করে খেয়ে ঢেঁকুর তোলা – এ সম্পর্কে আমার মতামত কি? এগুলি আপাত দৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও এর ভিতরে অনেক গভীর জিনিস লুকিয়ে আছে। হাত দিয়ে খেয়ে বা আচমকা ঢেঁকুরে তুলে কত সম্পর্কের কুঁড়ি অকালে ঝরে যেতে দেখেছি। সেই ক্ষেত্রে আমার ডিফেন্স হল – মানুষ তো বিবর্তিত হয়েছে, অস্থানে হাত দিয়ে নাই বা খেলেন? আগে মানুষ ন্যাংটো হয়ে থাকত বলে এখনো থাকবে নাকি? আমার সমীক্ষা বলছে – রুটি, নান, লুচি, ধোসা জাতীয় খাদ্য, মানে যেগুলি ছিঁড়তে হয় সেগুলি হাত দিয়ে খাওয়া ‘সভ্য’ সমাজে অল্যাউড – বিখ্যাত বিদেশী হোটেলের ইন্ডিয়ান সেকশানেতেও। তবে হাত দিয়ে ভাত-মাংস খাওয়া নৈব-নৈব চ! অবশ্য টুরিষ্ট প্রধান জায়গা হলে, এবং খুব দামী ইণ্ডীয়ান রেষ্টুরান্ট না হলে, হাত দিয়ে ভাত চটকে আপনি একা খাবেন না – ভারত থেকে আগত শত শত কেশরী বা ডায়মণ্ড ট্র্যাভেলস্‌ ছাপ মধ্যবিত্ত আপনাকে সঙ্গ দেবে। তবে মনে রাখবেন “Animals feed themselves; men eat; but only wise men know the art of eating” – এবার আপনি মানুষ হবেন নাকি শিক্ষিত জন্তু, সেটা আপনার ব্যাপার!

    আমার বন্ধু কুমার দোশীর সাথে একদিন আমষ্টারডাম রেড লাইট ডিষ্ট্রিক্ট এলাকার ইন্ডিয়ান রেষ্টুরান্ট ‘কামাসূত্র’ তে খেতে গেছি। সেই রেষ্টূরান্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল এক ডাচ কলিগের কাছ থেকে। কুমার সেখানে গিয়ে ডাল, পালক পনীর, মিক্সড ভেজ, নান এই সব ভেজ ডিসের ওর্ডার দিয়ে ফেলল – একযাত্রায় আর পৃথক ফল হয় কেন সেই ভেবে আমিও কষ্ট করে ভেজ খাব ঠিক করলাম। তো সেদিন দেখলাম কুমারের ভেজ খাওয়া টলারেট করার থেকেও তার প্রবল বিদেশী রেষ্টুরান্টে বসে হাত দিয়ে চটকে খাওয়া টলারেট করা আরো বেশী চাপের! কুমার ধ্যান না মেডিটেশন কি যেন সব করত – সেই সব করে মনে হয় সে লোকলজ্জা জাতীয় ক্ষুদ্র বিষয়ের অনেক উর্দ্ধে উঠে যেতে পেরেছিল। কিন্তু আমি পারি নি – তার ফলে খাব কি, চোখ নামিয়ে কোন ক্রমে সময় অতিবাহিত করছি। একবার বললাম, কুমার ভাই, হাত দিয়ে না চটকালেই কি নয়? কুমার বলল, সুকি ভাই, টেনশনের কিছু নেই – এর রেড লাইট ডিসট্রিক্টে মূল কাজের মধ্যে একটা হল চটকানো, অনেক লোক এখানে শুধু চটকাতেই আসে – তাই বিন্দাস! আমার খাওয়া দেখার থেকে আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেখার রয়েছে পাশের জানালায়। আমি দেখলাম অকাট্য যুক্তি। তবুও মিনমিন করে বললাম – আরে সেতো সবাই মাংস নিয়েও এখানে ঘাঁটতে আসে, তোর মত নিরামিষ আর কে আছে? বাইরে বরফ পড়ছে, সাদা সাদা তুলোয় ঢেকে গেছে পুরানো বাড়ির ফাঁকের গলি, ফুটপাথ – আর আমি দেখছি কুমারের ডান হাতের আঙুলের ফাঁক দিয়ে গলে আসা সাদা রঙের রায়তা! সাদা কি সত্যিই শান্তির রঙ নাকি বেদনার? যাই হোক মূল কথা হল, কুমার বুক ফেলিয়ে খেল – আর আমি মরলাম চক্ষু লজ্জায়। এই কুমারও এক লেজেন্ড – সবাই কুমার হতে পারে না।

    আমার এক চেনাশুনা ব্যক্তি নারায়ণ যার নাম সে আদপে নিরামিশাষি ব্রাহ্মণ। অর জন্যে সবাই নিরামিষ খাবারই অ্যারেঞ্জ করত – কিন্তু ওই যে মাল সেই হীনমন্যতায় ভুগত। সব জায়গাতে বলে, আমি অফসোরে জাহাজে থেকে তেলের পাইপ লাইন পেতেছি ১৬ বছর – আমিষ তো কোন ছাড় – অফসোরে থাকতে হলে যা পাবি তাই খেতে হবে। আত আমাকে বাঁচতে গিয়ে বিফ, পর্ক সব খেতে হয়েছে! ভালো কথা, আমার ইচ্ছে ছিল নারায়ণ বিফ (মানে স্টেক এর কথা বলছি) কি ভাবে খায় সেটা দেখার। ফর্ক-নাইফ দিয়ে নাকি আমরা যেমন কাটলেটের পিস তুলে কামড় মারি ঠিক তেমন ভাবে স্টেকে ডুবে যেতে! কিন্তু হায়, আমি এতো গুলো বছরেও বিফ তো কোন ছাড়, নারায়নকে চিকেনও খেতে দেখলাম ন। যেই দিনই একসাথে খাবার খেতে যাই, সেই দিনই ওর কিছউ একটা ব্রত বা পুজো বা অন্য কোন কারণ থাকে আমিষ না খাবার! অন্য নারায়ণ সাধনা করে পেতে হলেও, এই ধরণের নারায়ণ আমাদের চার পাশে পর্যাপ্ত ছড়িয়ে আছে তা বলাই বাহুল্য!

    কে এল এম (এখন আবার এয়ার ফ্রান্স জুড়ে গ্যাছে) এয়ারলাইন্স যে খুব একটা কাষ্টমার ফ্রেন্ডলি, এ কথা তার পরম মিত্রও বলতে পারবে না। আমি আর ঈকেশ ভাই বিজনেস ট্রিপে যাচ্ছি বিজনেস ক্লাসে। তেল কোম্পানী আর যাই হোক, বিজনেস ক্লাস আর ফাইভ স্টার হোটেল প্রোভাইড করতে কোন দিন কার্পণ্য করে না। ঈকেশ ভাই প্রবল নিরামিষাশী – এবং আগাম ভেজ মিল অর্ডার করা থাকে। সেদিন কোন কারণে বিজনেস ক্লাসেও ভেজ মিল শেষ হয়ে গ্যাছে! ঈকেশ ভাইকে অন্য খাবার দিয়ে প্রলোভন দেখানো হচ্ছে – কিন্তু ভাই সেই ‘হিন্দু ভেজিটেরিয়ান’ মিল ছাড়া খাবে না! সুন্দরী এয়ার হোষ্টেস উপরের একটা বোতাম খোলা স্কার্ট পড়ে প্রায় হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে ঈকেশের সামনে অন্য খাবার পেশ করার জন্য! কিন্তু ঈকেশ ভাই সেই গোঁ – আমি মনে মনে এই বার বলি সাবাস! কোম্পানীর পয়সায় এলে এই এক জিনিস, না হলে এমনিতে তো আমাদের বরাদ্দ সেই ক্যাটেল ক্লাস এবং নিদারুণ তুরুচ্চ। এখন বিজনেস ট্রিপের সময় আমাদের পিছনে ঝলমল করে বহুজাতীক কোম্পানীর ছাতা – যাদের সাথে এয়ার লাইন্সের মিলিয়ন ডলারের কারবার। আমি এবার ফিসফাস করে বলি – সাবাস! সাদা মেয়ে খান্ত দিল – তারপর কোথা থেকে পেল বলতে পারব না, কিন্তু মাইক্রোওয়েভে ঈকেশ ভাইকে ভাত, ডাল, আলুভাতে করে মাঝ আকাশে খাওয়ালো! ঈকেশ ভাই লেজেন্ড – সবাই ঈকেশ ভাই হতে পারে না।

    তবে লেজেন্ডদের নিয়েও বেদনার দিক থাকতে পারে – যেমন থাকতে পারে চরম সুন্দরী নায়িকার অর্শ রোগ। কথা হল গিয়ে, একসাথে কারবার না করলে আমি পুরোটা টের পাবেন না। একবার এই ঈকেশভাইয়ের সাথে সুইজারল্যান্ড বেড়াতে গিয়ে তেমনই মোহভঙ্গ হয়েছিল – প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটে বাজতে না বাজতেই রেন্টাল কাঠের বাড়িতে ফেরার তাড়া! কি না গিয়ে রেঁধে খেতে হবে – আর সারাদিন ঘুরে বেড়াবার সময় রাতে কি রান্না হবে সেই নিয়ে আলোচনা। পাহাড়ের চূড়া থেকে কেবল্‌ কার-এ করে নামছি – মনে হয় পৃথিবীর সুন্দরতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে থাকা কাঁচের সেই কেবল্‌ কার! আমি ভাবছি আকাশ, আমি ভাবছি মৃদু মৃদু কবিতা, গাছের গায়ে লেগে থাকে বরফ গলা জল – ওদিকে ঈকেশ ভাই চাইছে আলোচনা মাটিতে পা ঠেকিয়ে কোন গ্রসারী স্টোর্সে ঢোকা যায় সেই নিয়ে! তেমনি হয়েছে আবার জার্মানীর শ্যাম্পেন প্রভিন্সে রাত এগারোটার সময় এক নিঃঝুম ছোট শহরে ইন্ডিয়ান রেষ্টুরান্ট খোঁজা। আমি বলছি জার্মানদের সংস্কৃত ভাষার উপর যতটা ইন্টারেষ্ট ততটা ইন্টারেষ্ট ভারতীয় খাবরের উপর নেই – ঈকেশ ভাই বলছে, না, আমি গুগুল ম্যাপে দেখে বেরিয়েছি! সেই খুঁজে খুঁজে এক দরজা, দরজায় টোকা, ঢুকে পরণের কোট হুকে ঝুলিয়ে আরেকটা দরজা খুলেই হাঁ! এমন আশর্য হতেও মাঝে মাঝে ভালো লাগে – বসার জায়গা নেই রেষ্টুরান্টে, জার্মানরা তন্দুরী নান, মসালা চিকেন সাঁটাচ্ছে! অনেক পরে বসার সীট পেলাম – শেষ পাতে মালিকের সাথে খাওয়া, তবে সে এক অন্য গল্প – পরের কোন এক পর্বে।

    আমি বলি কি, খান – ভালোবেসে খান। যদি হাড় চুষতে ভালো লাগে তাহলে চুষুন। কেমন করে চুষবেন সেটা আপনার ব্যাপার। চোষার ধরনটা নিয়ে আঁতলামো করুণ, কিন্তু চোষা ফাঁকি দিয়ে নয়! চোষার আনন্দ নিজে নিন – কিছু জিনিস নেওয়াতে আনন্দ, কিছু জিনিস দেওয়াতে।

    কিংবা ব্রিলাট-সাভারিন (Jean Anthelme Brillat-Savarin) এর সেই বিখ্যাত উক্তিটি একবার ভেবে নিন – “Tell me what you eat, and I shall tell you what you are” মানে মোদ্দা কথায় নিজেকে যদি প্রকৃত চিনতে চান, তাহলে নিজের খাদ্যাভাসে সাচ্চা থাকুন – সেখানে ছড়ালে নিজেকে আর চেনা হয়ে উঠবে না! আরো একধাপ এগিয়ে – “The discovery of a new dish confers more happiness on humanity, than the discovery of a new star.”
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ | ৫৭৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৪৭52436
  • সবই তো দিব্য ছিল... শুধু হাত দিয়ে খাওয়া নিয়ে লেখাটায় লেখাটা নিজের সাথেই বেইমানি করল... আমার যেভাবে খেয়ে তৃপ্তি আমি সেভাবে খাব, তার আবার স্থান-অস্থান কি? কোন নিমন্ত্রণ বা সোশ্যাল জড় হওয়ায় তাও খানিক মানে বুঝি... গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে লোকে তাকিয়ে থাকবে বলে হাত দিয়ে খাব না?

    আবার তাই নিয়ে ' শিক্ষিত জন্তু ' জাতীয় জাজমেন্টাল বক্তব্য লেখকের ইনফিওরিটি কমল্পেক্স বেরিয়ে পড়ল মাত্র, যার কাছে কি সভ্য তা সাদা চামড়া ঠিক করে দেয়।

    বাকি লেখাটা দারুণ...
  • dc | 132.174.119.59 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৫৪52437
  • "চোষার আনন্দ নিজে নিন – কিছু জিনিস নেওয়াতে আনন্দ, কিছু জিনিস দেওয়াতে"

    হুঁ।
  • Robu | 11.39.36.78 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:১৪52438
  • প্রবন্ধ তো। গল্প নয়। কিছু মিসোজিনিস, কিছু থ্রি ইডিয়ট মার্কা জোক ভালো লাগলো না।
  • Robu | 11.39.36.78 (*) | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:১৫52439
  • মানে, মনে হল লেবু বেশি কচলানো হয়ে গিয়েছে লেখাটিতে।
  • Robu | 11.39.37.42 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:০৮52443
  • রম্যরচনা, প্রবন্ধ বলে ভুল করেছি। মোদ্দা কথা, বলতে চেয়েছিলাম ফিকশন তো নয়, তাই লেখাগুলো কোনো চরিত্রচিত্রণ নয়, লঘুস্বরে লেখা আপনারি মনের কথা।
    তো সেক্ষেত্রে কিছু কিছু মিসোজিনিস্ট রিমার্ক বা জোক (আমার মতে) লেখাটিকে টেনে নামিয়েছে। আপনার আগের কিছু লেখাতেও এ জিনিস দেখেছি, এটায় বেশি চোখে পড়ল।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩৭52440
  • খুব ভালো সম্পাদকীয়।
  • sosen | 177.96.107.218 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৫৮52444
  • রোবু ঃ ঐ ঐ
  • সুকি | 129.160.188.172 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৩52441
  • স্বর্ণেন্দু,
    সাফাই গাইছি না, তবে মনে হচ্ছে আমি কোথাও যেন কমিউনিকেশনে ব্যর্থ হয়েছি (বা আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে লেখা পড়ে)। আমি নিজে একটা জিনিস প্রবল অপছন্দ করি, আর সেটা হল "জাজমেন্টাল বক্তব্য" দেওয়া - আমি পরাত পক্ষে সেটা এড়িয়ে চলি। যার যা পছন্দ সে সেই ভাবে খাবে - সেটাই মনে করি। আমি আমার মতামত জানিয়েছি মাত্র। তবে ' শিক্ষিত জন্তু ' আমি কাউকে বলতে চাইনি - সেই উদ্দেশ্যও ছিল না। আগের লাইনে যে ইংরাজি কোটেশনটা রয়েছে, সেগুলি যে 'সাদা' চামড়ার লোকেরা লিখেছেন তাদের লেখার এসেন্স সেটাই ছিল অনেক ক্ষেত্রে। তবে সেটার ডাইরেক্ট রেফারেন্স 'হাত দিয়ে' খাওয়ায় ছিল না - বরং পুরো খাবার আর্ট ব্যাপারটা নিয়ে। আমার ওইখানে কোটেশনটা প্লেস করায় ভুল বোঝা বুঝি হচ্ছে মনে হয়।

    এবার নিজের কথা বলি - আপনি ঠিক ধরেছেন রেষ্টুরান্টে হাত দিয়ে খাওয়া নিয়ে আমার 'কমপ্লেক্স' নিয়ে। সেটা আপনি ইনফিরিওরিটি মনে করলেও আমার কিছু করার নেই - আমি এখানে বিদেশের বুকে রেষ্টুরান্টের কথা বলতে চাইছি। যেই কারণে আমি লুঙ্গি পড়ে শপিং কমপ্লেক্সে যাই না, ঠিক সেই কারণেই হাত দিয়েও খাই না রেষ্টুরান্টে। আপনি হয়ত ঠিক - এটা সাদা-দের প্রভাব। কিন্তু কি আর করব, আপনার মত পারি না - সেটা আমার অক্ষমতা।
  • সুকি | 129.160.188.172 (*) | ২০ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৭52442
  • রোবু,
    আপনার সোজাসুজি বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। গুরুচন্ডালি কতৃপক্ষের কাছে একটা অনুরোধ আছে - আপনার হরিদাস পালে লেখা ট্যাগের ব্যবস্থা করুন - যেমন, কবিতা, কবিতা গদ্য, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, গল্প ইত্যাদি। আমি এখানে প্রবন্ধ লিখি নি, গল্পও নয় - লিখতে চেয়েছি রম্যরচনা। আফসোস সবাই মুজতবা আলি হয় না!

    থ্রী-ইডিয়ট জাতীয় রসিকতা কি জিনিস জানা নেই - তাই সেই নিয়ে বক্তব্য নেই -
  • সুকি | 129.160.188.172 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৯52445
  • রোবু,
    কথায় বলে পাঠক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তো সেই হিসাবে আপনি যে আমার লেখা পড়েছেন এবং সময় নিয়ে মতামত জানিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আর আপনি যে বলেছেন 'আপনার মতে' কিছু জোক লেখাটিকে টেনে নামিয়েছে, সেই নিয়েও আমার কিছু বলার নেই। হয়ত আমি মনে করেছি আমার জোক খুবই উচ্চমানের, আর আপনার কাছে সেটা অত্যন্ত জোলো - এটাও সম্ভব, কারণ সবার রসিকতা বোধ সমান নয়। পরের বার লেখার সময় এটা মনে রাখব।

    জোকের স্ট্যান্যার্ড নিয়েও আমার কোন সাফাই নেই - কিন্তু তাই বলে, "মিসোজিনিস্ট রিমার্ক"!!! তাও আবার শুধু এই লেখায় নয়, আগের কিছু লেখাতেও! আই মিন, সিরিয়্যাসলি?? আরো একটু উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা পেলে ভালো লাগত - মিসোজিনিস্ট ডেফিনেশন এ পাচ্ছি,

    A misogynist is a person who hates or doesn't trust women. Misogynist is from Greek misogynḗs, from the prefix miso- "hatred" plus gynḗ "a woman."

    "মিসোজিনিস্ট রিমার্ক" বলার আগের আগের লাইনটায় লিখলেন, লখুস্বরে আমারি মনের কথা! রম্য রচনা আর মনের কথা এক হয়ে গেল - এবং তার পরের লাইনে এল "মিসোজিনিস্ট রিমার্ক"! আশা করব একজন পাঠক হিসাবে আপনি এখন এতবড় একটা কমেন্ট করবেন একটু দায়িত্ব নিয়েই করবেন!

    আমি গুরুচণ্ডালিতে কবিতা পোষ্ট করি না বেশী - আমি মেয়েদের নিয়ে যত কবিতা লিখেছি, আমার চেনাশুনা কবি বন্ধুরা অনেকেই তত লেখেন নি - আমি এই সাইটেও কবিতা গদ্য পোষ্ট করেছি, সেখানে শুধু মেয়েদের কথাই আছে - জীবনের এক সময়ে আমার ছেলে বন্ধুদের থেকে মেয়ে বন্ধুদের সংখ্যা বেশী ছিল (বে এখনো আছে) - মোদ্দা কথা আমার লাইফে মেয়েদের ভূমিকা বেশ ভালোই - তাই আমি বুঝে উঠতে পারছি না খামোকা মিসোজিনিষ্ট রিমার্ক করতে যাব কেন? একটু বুঝিয়ে দিন প্লীজ কোন জিনিসটে মেসোজিনিষ্ট!
  • করঞ্জাক্ষ | 203.55.36.42 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:০৩52446
  • “ সুন্দরী এয়ার হোষ্টেস উপরের একটা বোতাম খোলা স্কার্ট পড়ে প্রায় হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে ঈকেশের সামনে অন্য খাবার পেশ করার জন্য! ”

    আমি মিসোজিনিস্টের মানে জানিনে মুখ্যু মানুষ তবে এই লাইনটা ঠিক ভালো লাগেনি।
  • Tim | 108.228.61.183 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:২৬52447
  • সৌদী আরবের অনেক শেখের জীবনেও মেয়েদের প্রভাব খুব বেশি, তাই বলে তাদের মিসোজিনিস্ট হতে পাটকায়না। ওপরের লাইনটা, "মেল" বনাম "মাল" এরম অনেক মণিমুক্তো আছে।

    লেখাটা ভালো লাগলো না। স্থূল হিউমার (পিজে না, পিজে অন্য জিনিস, সময় বিশেষে তা কিউট)। লেখক গর্বের সঙ্গে নিজের পছন্দের পক্ষে সওয়াল করে একই লেখায় জৈন সুপ্রিয়কে খোরাক করলেন। পরিশেষে, খিস্তির সাথে প্রগতিশীলতার যে কোন সম্পর্ক নেই তা আরো একবার দেখা গেল।
  • Tim | 108.228.61.183 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:২৭52448
  • আটকায়না* একটা প পড়েছে বাড়তি।
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৪০52456
  • আমার তো ভালই লাগল। যদিও খাবার দাবার নিয়ে আদিখ্যেতা আমার একেবারেই পছন্দ না, তবে সেই কারণে আমি স্বয়ং মুজতবা আলিকেও দুষি, ফলে সেটা খুব বড়ো পয়েন্ট না। :-) আমার পয়েন্ট হল স্থূলতা মিসোজিনি ইত্যাদি নিয়ে। এই লেখাগুলোর একটা স্টাইল আছে। মূলত কথ্য ভাষায় লেখা। মানে ধরুন, আমি আপিসের বর্ণনা দিচ্ছি, সেটা এই স্টাইলে লিখলে এরকম হবেঃ
    "মিটিংএ গিয়ে দেখি একটা হোঁৎকা মতো মারোয়াড়ি-টাইপ লোক বসে । দেখেই সন্দেহ হয়েছিল কেস গড়বড়। তারপর ঠিক যা ভেবেছি তাই। ঘন্টাদুয়েক ধরে বিজনেস নিয়ে গড়বড়। ওপাশের সুন্দরী ললনা থাই বার করে যতই বলে, চলুন দুপুর হয়ে গেছে একটু থাই খাওয়া যাক, কিন্তু তার ইন্ডিয়ান বা থাই কিছুতেই নজর নেই। কী বোরিং লোকরে ভাই। অতই যদি বিজনেস করবি, তো গদিতে গিয়ে বোস না। "

    ইত্যাদি প্রভৃতি। লক্ষ্য করে দেখুন, এতে গুচ্ছের পলিটিকালি ইনকারেক্ট বাক্যবন্ধ ব্যবহার করা হয়েছে। লোকে যা নিত্য ভেবে ও বলে থাকে। এভাবেই লোকে পাপকম্মের বর্ণনা দেয়। এমনকি অপু ও প্রায় এই ভঙ্গীতে মা মারা যাবার পরে আনন্দ প্রকাশ করেছিল, অত্যন্ত পলিটিকালি ইনকারেক্ট পদ্ধতিতে। এসব তো থাকবেই। মানুষের চিন্তার যে প্রকরণ, তা লেখায় থাকবেনা? লোকে যদি স্নানঘরেও ন্যাংটো না হয় তো কোথায় হবে?
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৪৮52457
  • নাও, মামু পোকার কৌটো উপুড় করে দিলো। লোকে যা নিত্য ভেবে ও বলে থাকে তাকেই তো অ্যাটাক করা হলো। নিত্য ভাবা ও বলাটাই তো খ্রাপ লেগেছে, এটা বোঝানোর জন্য।

    আর, মিটিনের সময় কি লোকে বাথটাবের অনুভূতি নিয়ে বসে? পিথিবি যে আদিগন্ত বাথ্রুম না সেইটাই তো পয়েন্ট ঃ-)
  • Ekak | 53.224.129.44 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:০৫52458
  • আমার ও মনে হয়নি এখানে মিসজিনি কোনো পয়েন্ট । আমি অবশ্য নিজে শভিনিস্ট কাজেই এসব নিয়ে বললে উল্টে গাল খাব । কিন্তু , মিসজিনি শব্দটা যেখানে সেখানে ব্যবহারের আগে একটু ভাবা ভালো ।

    সুকির লেখা তাইবলে বিসদৃশ লাগে নি , লাগে না , তা নয় । সেটার কারণ ঠিক মিসজিনি না । হয় কি , লেখার একটা এপ্রোচ থাকে , যে তার মধ্যে লেখক কে দেখা যায় । লেখক চাইলেই এয়ার হোস্টেস এর ক্লিভেজ থেকে শুরু করে টিপিকাল পুরুষতান্ত্রিক জোক সবই লিখতে পারেন । কমপ্লিট হে হে হে হে করতে করতে সবকিছু কেই যৌন হাসি ঠাট্টা য় পর্যবসিত করতে পারেন । তাতে বিন্দু মাত্র মিসজিনি হয়ে যায়না ।হিসি করে গ্রাফিত্তি আঁকার ক্যাপা থাকলে পিথিবী কে আদিগন্ত বাত্থুম ভাবা যাবেনা এরকম কোনো বাধ্যবাধকতা তো নেই :) কাজেই লেখকের উপর নিয়ম চাপানোর পক্ষে নই ।

    ওনার লেখায় বিসদৃশ হলো নান্গুপান্গু হবার সময় জাঙ্গিয়া না পরে পায়ে কারুকাজ করা মোজা পরা বা হাতে দস্তানা ! এটা যারা বুদোয়া ছবি তোলেন তাঁরা বুঝবেন যে পার্থক্য টা কোথায় এনে দেয় :) সুকির লেখায় ওই ফ্লেভার টা আছে । ট্রেনের ক্যাচম্যাচ -হকার এর রসিকতা -এয়ার হোস্টেস এর ক্লিভেজ সবই ঠিক ঠিক তার মধ্যে আবার একটা টিপিকাল ব্রিটিশ স্নবারি ও রক্ষা করা চাই যে, সে নাকি রোজ খাবার সময় হাত দিয়ে ভাত মাখে । কারুকাজ করা দস্তানা কেস ।

    এটা মিসজিনি মনে হয়না , ওনার লেখার বৈশিষ্ট হিসেবেই নি :) এগুলোকে মিসজিনি বলে চেপে ধরে লেখকের স্বাভাবিক ফ্লো নষ্ট হবে ।
  • sosen | 177.96.94.175 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:১২52459
  • মিসোজিনি যার কানে শোনাবে সে তো মিসোজিনিই বলবে। সে ফ্লো টো যাই বলুন্না। সুকির অন্যান্য লেখার তুলনায় এ লেখাটি এমনিও অতীব বাজে, কাজে ফ্লো নষ্ট হলেও ক্ষতি কিছু নাই।
  • sinfaut | 74.233.173.58 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৩৪52449
  • উপরের দুটো পোস্ট প্লাস রেড লাইট এরিয়া ও চটকানো প্রসঙ্গ। খুবই কুরুচীকর লেখা।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:০৪52460
  • @ একক,

    হিসি দিয়ে গ্রাফিত্তি আঁকার ক্যাপা থাকলেও কোথায় আঁকছি দেখতে হবে তো। দিনের শেষে ওটা হিসিই, আর দেওয়ালটা হিসির জন্য কিনা, আদৌ দেওয়াল বলে যেটাকে ভাবছি সেটা দেওয়াল না কারো বুকের ছাতি এগুলোও দেখতে হবে তো
  • সুকি | 168.161.176.18 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:১০52450
  • আরে এ তো বেশ মুশকিল - 'অন্য খাবার' বলতে ওই খানে আমি 'স্ট্যানার্ড নন-ভেজ মিল' বোঝাতে চেয়েছি। আগের এবং পরের লাইন গুলো এমন ছিলঃ

    "ঈকেশ ভাই প্রবল নিরামিষাশী – এবং আগাম ভেজ মিল অর্ডার করা থাকে। সেদিন কোন কারণে বিজনেস ক্লাসেও ভেজ মিল শেষ হয়ে গ্যাছে! ঈকেশ ভাইকে অন্য খাবার দিয়ে প্রলোভন দেখানো হচ্ছে – কিন্তু ভাই সেই ‘হিন্দু ভেজিটেরিয়ান’ মিল ছাড়া খাবে না! সুন্দরী এয়ার হোষ্টেস উপরের একটা বোতাম খোলা স্কার্ট পড়ে প্রায় হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে ঈকেশের সামনে অন্য খাবার পেশ করার জন্য! কিন্তু ঈকেশ ভাই সেই গোঁ – আমি মনে মনে এই বার বলি সাবাস! "।

    বোঝাতে চেয়েছি ভেজ-মিল শেষ হয়ে গ্যাছে বলে ওই মেয়ে (বোতাম খোলা ছিল এটা ফ্যাক্ট) ঈকেশের সামনে বসে ওকে 'অন্য মিল' মানে নন-ভেজ মিল অফার করছে। ঈকেশ ভাই তাতে রাজী হচ্ছে না খেতে!

    স্থূল হিউমার, কুরুচিকর - এই সব কমেন্ট নিয়ে কোন বক্তব্য নেই। যার যেটা মনে হয়।

    কিন্তু লেখা ছেড়ে লেখক মিসোজিনিষ্ট কিনা সেই আলোচনায় ইচ্ছে এবং উৎসাহ কোনটাই নেই। "মেল" বনাম "মাল" যদি মিসোজিনিষ্ট নির্ধারণের মাপকাঠি হয়, তা হলে মনে হয় আমি মিসোজিনিষ্ট আপনার মাপকাঠিতে। এই নিয়ে তর্ক করে লাভ নেই

    গুরুতে বেশ কিছু দিন লিখছি - একটা লেখায় হঠ করে আউট অব কনটেক্স শব্দ-বন্ধ নিয়ে লেখক-কে মিসোজিনিষ্ট দাগিয়ে দেবার প্রবণতা দেখে একটু খারাপ লাগল - মিসোজিনিস্ট নিয়ে আলোচনায় ঢুকব না - যার যেমন মাপকাঠি সেই দিয়ে বিচার করতে পারেন - কোন প্রবলেম নেই (আর থাকলেই বা শুনছে কে :))
  • ঈশান | 202.43.65.245 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪৮52461
  • শোনেন, কদিন আগে ইস্ট এশিয়ার প্রথম মহিলা বিলিয়নিয়ারের খোঁজ পাওয়া গেল। তিনি ভিয়েতনামের কোন এক এয়ারলাইন্স চালান। সে এয়ারলাইন্সের বৈশিষ্ট্য হল সেখানে বিকিনিবালারা শরীর দুলিয়ে এমাকি নাকি নাচও পরিবেশন করেন। সেই এয়ারলাইন্সের কাটতি নাকি হুহু করে বেড়েছে।

    নো ডাউট জনতা চোখের ক্ষিধে মেটায় ওই পেলেনে চড়ে। সে যাত্রায় কেউ লুঙ্গী পরে বসেনা। মহিলা যাত্রীও গুচ্ছের। তাঁরা প্যান্ট শার্ট স্কার্ট ইত্যাদি পরে পেলেনে ওঠেন, কঁটাচামচ দিয়ে খাওয়াদাওয়া করেন, রঙ্গতামাশা দ্যাখেন, এবং বাড়ি যান। কী দ্যাখলেন প্লেনে? ক্যামন ফুত্তি পেলেন? কেউ বলেননা, কারণ ওসব পলিটিকালি ইনকারেক্ট। কোনো মেয়ের থাই দেখে ভালো লেগেছে? কারো বুকের শেপ ভালো না? মেপেজুকে দেখবেন ঠিকই কিন্তু বলবেন্না।

    লেখালিখি যদি এই পর্যায়ে পৌঁছয়, যে, চাদ্দিকে যা ঘটে ঘটুক, শুধু শোভন ভাষায় কথা কইব, খালি চোখের জলে প্যানপ্যানাবো, আর সেন্টিমেন্টে বুকের ভিতর আলো জ্বলে উঠবে, তাইলে সে লেখালিখির মানে কী, শুধু হাত ঘুরিয়ে রবীন্দ্রনৃত্য করিলেই হয়, আর ভিক্টোরিয়ান মতে টেবিলের পায়াকে পোশাক পরিয়ে রাখলে। লোকে পৃথিবীতে বিকিনিবালাওয়ালা প্লেনে ওঠে বইকি, তাদের শরীরের খাঁজ দেখে ফুত্তি পায় বৈকি, লোকে পতিতাপল্লী যায় বৈকি, সেখানে মহিলাদের চটকানোর কথা ভাবে এবং বলে বৈকি। সেসব যদি লেখায় না আসে তো কী আসবে, ভাত আর আলুসেদ্ধ চটকানোর চোখে জল আনা বন্নোনা?

    পুঃ রবীন্দ্রনৃত্য বা চোখের জল কোনোটাই খারাপ না, কিন্তু গন্ডীর বাইরে গেলেই চোখ বন্ধ করে ফেলব, আপত্তি এই নিয়েই।
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৫৯52462
  • আর শিল্প থুড়ি সিল্পোবোধ? সেটার কি হবে? আমরা তো নবারুণ পড়েছি। টেবিলের পায়া খোলা রাখলেই সেটা বাস্তবোচিত, উমদা সাহিত্য হবে? হয়?

    এর আগে চন্নবিন্নুর গান নিয়েও মিসোজিনির কথা এসেছিলো, শরদিন্দু-শীর্ষেন্দুর সাহিত্যে শভিনিজম নিয়ে ছিছিক্কার। কিন্তু কেউ বলেনি যে লেখাটা অপাঠ্য বা গানটা শোনা যায়না। এখানেও সেই একই ব্যাপার। আর ব্যক্তিগত মতঃ খাজা মিসোজিনিস্টিক সাহিত্যের চেয়ে সম্বচ্ছর সুখী সুখী রবীন্দ্রনেত্য করে যাওয়া বেটার। অন্তত একদিক থাকে। ;-)
  • sosen | 177.96.107.218 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:০৩52463
  • পুঃ চটকানো খাঁজখোঁজ কিছুই মন্দ না, কিন্তু প্রয়োগ অনুযায়ী কখনো কারোর মন্দ লাগলে সে কইতে পারবে না সেটাও গা জোয়ারি বইকি। আর বেচারা দাড়িদাদু শোভনতার চুরির দায়ে ধরা পড়েন কেন, ওনার সময়ে তো যথেষ্ট গাল খেয়েছেন অশ্লীলতার দায়ে, মরে গিয়েও শোভনতার দায়ে গাল খাবেন?
  • avi | 213.171.241.254 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:২০52451
  • কি জানি বাবা, পড়ে তো ভালো-ই লাগলো লেখাটা। হিউমার ইত্যাদি সব নিয়েই।
  • সে | 87.59.236.210 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৪৩52452
  • আপ রুচি খানা। হো হো হো হো ।
    প্রচুর ব্যাপারে রিলেট করতে পারলাম, বিশেষ করে টুরিস্ট বাস ভর্তি করে কাস্টমার যখন ঢোকে ইন্ডিয়ান থালি র জন্য।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১১:৪৩52453
  • অনেকদিন পরে বিদেশে গেলাম। দিন দশেকের জন্যে। এর আগে ওখানেই ছিলাম ১ বছর। গুছিয়ে স্যান্ডউইচ বার্গার পিজা সুভলাকি ব্রোশেত সায়েবি চাউমিন ইত্যাদি প্যাঁদাতাম। ইন্ডিয়ান রেস্তোরায় নৈব নৈব চ.. ধুর বা** বলে কাটিয়ে দিতাম।

    এবার গিয়ে ৩/৪ দিন পরে দেখি প্রাণ উসুখুসু কচ্চে। ভাত আর আলুপোস্তর জন্যে।
  • করঞ্জাক্ষ | 203.55.36.42 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১২:২৩52454
  • ওরে বাবা এত দেখি আরো ভয়ানক। কে জানতো ‘অন্য মিল’ এর অন্য তাৎপর্য্য থাকতে পারে। আমার সাধারণ ভাবে মেয়েদের বোতাম খোলা না বন্ধ বা সে ধুতি না লুঙ্গি পরে আছে এসব শুনলে খারাপ লাগে। আমি লেখাটা স্যাম্পলিং করে পড়েছি, তবে অন্যদের কথাশুনে দেখতে গিয়ে বিশেষ সুবিধের লাগেনি।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 (*) | ২১ এপ্রিল ২০১৬ ১২:৫৬52455
  • সুকি,
    লেখার প্রতিক্রিয়া জানাতে লেখা... তার বেশী আমার আগ্রহ নেই... আপনি যা খুশি ভাবতে পারেন... কোন সমস্যা নেই...
    কি ভাবছেন সেটা অবশ্য আপনার উত্তরের শেষ লাইন এর শ্লেষ এ পরিষ্কার...
    " কিন্তু কি আর করব, আপনার মত পারি না - সেটা আমার অক্ষমতা।"
    যাই হোক আপনার লেখাটাও, আর এই লাইনটাও সব্বাইই দেখতে পাচ্ছেন, তারপর আপনার "আমি নিজে একটা জিনিস প্রবল অপছন্দ করি, আর সেটা হল "জাজমেন্টাল বক্তব্য" দেওয়া - আমি পরাত পক্ষে সেটা এড়িয়ে চলি। " এর মানে প্রত্যেকে নিজের নিজের মত করে ঠিকই বুঝে নেবেন, মন্তব্য তাই নিষ্প্রয়োজন।

    আবারো একবার লিখে যাই, আপনি কিভাবে খান তাই নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র কৌতূহল নেই, যেভাবেই খান সেটাকে অক্ষমতা মনে করার ত প্রশ্নই নেই, আমি কিভাবে খাই তা নিয়ে আপনার সাথে আলোচনাতেও উৎসাহী নই, আপনি তাই নিয়ে কি ভাবেন তাতেও না।

    তবে হ্যাঁ, অবজেক্টিভলি, পোশাক পড়ার সাথে অন্যের দৃষ্টির একটা সম্পর্ক আছে বলে মনে করি, খাওয়ায় অন্যের দৃষ্টি নিছকই অবাঞ্ছিত উৎপাত, তাই আপনার শপিং মল এ লুঙ্গির যুক্তিটা যুক্তি হিসেবে মানলাম না।

    গুরুতে লেখা পড়লে প্রতিক্রিয়া জানাই সাধারণত, তাই লেখা। এই বিনিময়ের পরে ভবিষ্যতে আপনার লেখা দেখলে আমার প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত হওয়ার কথাটা খেয়াল রাখতে চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
  • pi | 233.176.41.244 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৫২52497
  • আচ্ছা, এয়ারহোস্টেসের চাকরির ক্রাইটেরিয়া কী ? খুঁজলে কীসব অদ্ভুত সব আসছে, এগুলো নির্ঘাৎ ভুলভাল হবে।

    এই ফর্সা রঙ, অবিবাহিতা, এগুলো ক্রাইটেরিয়া থাকে ?

    The basic skills that any air hostess should have are:

    Age should be between at lest 18 to 21 years old
    Should know how to swim.
    Should have good eyesight.
    Good command on English, Hindi and on other language in case of international.
    Her passport should be valid in all over the world.
    Air hostess should be Punctual and should be dedicated toward their job.
    Should have the skill, how to work in a team
    Air hostess should have calm and polite nature.
    She should be physically fit
    Pitch of the voice and the voice should be clear which should be understandable to all the passengers.
    She should have fair complexion.
    Air hostess should be unmarried.
    She should have flexible nature because of the working hour.

    নাঃ, আরো একজায়গায় পেলাম। এই ওয়েট হাইট রেশিও ও ক্রাইটেরিয়ার ই বা কী কারণ ? ফিটনেস দেখার জন্য তো মেডিক্যাল ফিটনেসই যথেষ্ট হবার কথা।

    She should be 12th Pass
    Some airlines prefer graduates with specialization in Hotel Management and Tourism.
    Should be in between age group of 18 to 25 years.
    Should have minimum height of 157.5 centimetres.
    Should have weight proportion to height
    Mastery in spoken Hindi, English and any other foreign languages will be an added advantage.
    Should be unmarried ( Not all airlines have this condition)
    Normal eyesight of 6/6 uncorrected in both eyes
    Should hold an Indian Passport
    Fair to clear complexion
    Good Health / Physically fit
    Pleasing personality
  • Ekak | 53.224.129.45 (*) | ২২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:০২52498
  • এত এক্সপ্লিসিট ফিসিকাল ডিটেল সব কোম্পানি লেখেনা । আন ম্যারেড , হাইট , ওয়েট আর জাস্ট প্রপর্শনেট ফিগার লেখা থাকে ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন