এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নারী দিবসে দু’চার কথা

    শারদ্বত লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ মার্চ ২০১৬ | ৩০৪৪ বার পঠিত
  • এমনিতে দিবস-টিবস নিয়ে আমার মাথাব্যথা থাকে না। কারণ দিবস বানিয়ে যদি কিছু উদ্‌যাপন করতে হয়, বুঝতে হবে, সমস্যা আছে বলেই তার এত আড়ম্বরের ঘটা। নারী দিবস তাই আর পাঁচটা দিনের চেয়ে আলাদা। আর কোনো তন্ত্রে বা সিস্টেমে (সিস্টেম বললেই ব্যাপারটা বোধগম্য হয় আরও) শোষক এবং শোষিত এত কাছাকাছি অবস্থান করে না। আর কোনো সিস্টেমে এই দুই শ্রেণি চার দেওয়ালের মধ্যেও থাকে না, এক বিছানায় শোয় না দরজা বন্ধ করে। অন্য আর পাঁচটা সিস্টেমের থেকে এখানেই পুরুষতন্ত্র আলাদা, তাই পুরুষতন্ত্রের মধ্যে ‘নারী দিবস’ সেই সংখ্যালঘুর, গুরুত্বহীনের কোটা (quota) উদ্‌যাপন মাত্র।

    নারীবাদ আমার কাছে নারী কর্তৃত্বের হাতিয়ার নয়, সমানাধিকার অর্জনের অস্ত্র। পুরুষ তার শিশ্নের জোরে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করলে যেরকম সমস্যার সৃষ্টি হয়, নারী তার স্তন-যোনির জোরে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করলে তার থেকে খুব আলাদারকম সমস্যার সৃষ্টি হবে না বলেই আমার মনে হয়। মাতৃপ্রধান সমাজব্যবস্থার যে চিহ্নটি আমাদের মধ্যযুগের সাহিত্যে বিভিন্ন রূপে মাঝে মাঝেই প্রতিভাত হয়েছে, সেই ফার্টিলিটি কাল্টও আমার কাছে খুব স্বস্তিদায়ক রিচুয়াল নয়। এ কেমন রীতি, যেখানে সঙ্গমের পর একটি শারীরিক নিখুঁত পুরুষকে কেটে তার রক্তে স্নান করাতে হবে ধরিত্রীকে, উর্বরতার জন্য! সম্প্রতি খাসি সম্প্রদায়ের মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নিয়ে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক পত্রিকায়, যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা হয়তো লৈঙ্গিক রাজনীতির এই সমস্যাটা ধরতে পেরেছেন কোথাও। আমার কাছে নারীবাদ অন্য কথা বলে। যতদিন নারী-পুরুষের সমানাধিকার অর্জিত না হচ্ছে, ততদিন আমি নারীর অধিকারের লড়াইয়ে আছি, তার প্রাপ্য বুঝে নেওয়ার লড়াইয়ে আমিও আছি। ততদিন পর্যন্ত আমি নারীবাদী।

    এই লেখা সেজন্য নয়। এই লেখা আর্কেটাইপের বিরুদ্ধে। আমাদের সবকিছুরই আর্কেটাইপ থাকে। আমাদের প্রগতিশীলতার আর্কেটাইপে অনেক বেনোজল ঢুকে পড়েছে, তারই দু’চারটি যদি চিনিয়ে দেওয়া যায়, আমাদের বুঝে নিতে সুবিধে হয় ‘তুমি কোন দলে’।

    * * *

    সুমনের একটি বিখ্যাত গান আছে, আমার অনেক বন্ধুর ফোনের রিংটোন সেটি, অনেক গানের আড্ডায় চোখে জল নিয়ে এই গানটা গাইতে দেখেছি তাদের।

    “আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে রাষ্ট্রপুঞ্জে
    আমি চাই মহুল ফুটবে শৌখিনতার গোলাপ কুঞ্জে।
    আমি চাই নেপালি ছেলেটা গিটার হাতে
    আমি চাই তার ভাষাতেই গাইতে আসবে কলকাতাতে।”

    আমি কোনোদিন গানটাকে গাইতে পারিনি। আমার গানটাকে মনে হয়েছে, সিস্টেমের আপোষকাম। সাঁওতালের কী দরকার পড়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের? রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতির যে মান্য-ন্যাকামি, সাঁওতাল তার থোড়াই কেয়ার করে। সাঁওতালের কোনো দায় নেই ওই সিস্টেমের চূড়ায় যাওয়ার, সিস্টেম তার কাছে, তার গল্প শুনতে, তার লড়াইয়ের কথা শুনতে আসবে তার ঘরে, সিস্টেমের নিজের টিকে থাকার গরজে। একই যুক্তিতে নেপালি ছেলেটার কলকাতায় গান গাইতে আসারও কোনো দায় নেই। তা না হলে রাষ্ট্রপুঞ্জ-রাজধানী-রাষ্ট্রযন্ত্র নামক রাষ্ট্রীয় ন্যাকামির গুরুত্বই স্বীকার করে নেওয়া হয় প্রকারান্তরে।

    নারী নিয়ে আলোচনায় হয়তো এটার প্রত্যক্ষ গুরুত্ব নেই, কিন্তু এই একই বুনোট, একই কাঠামো আমাদের মেকি প্রগতিশীলতায়, আমাদের মেকি আধুনিকতায়, মেকি নারীবাদে বার বার ব্যবহৃত হয়েছে, সেই কাঠামোটাকে চিনে নিতে হবে।

    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত কবিতাটা মনে করা যাক, ‘কবির মৃত্যুঃ লোরকা স্মরণে’। কবিকে যখন বেঁধে রাখা হয়েছে,
    “কবির স্বতঃপ্রবৃত্ত ঠোঁট নড়ে উঠলো
    তিনি অস্ফুট হৃষ্টতায় বললেন :
    বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক!
    মানুষের মুক্তি আসুক!
    আমার শিকল খুলে দাও!”

    কী অসাধারণ লাইনগুলো না? মনে হয়, এই কবির মত সাম্যবাদ আর কে পালন করেছে জীবনে? লোরকা যেমন সাম্যের আদর্শে বিশ্বাসী, সুনীলও তেমনই, আমাদের মনে হতে থাকে। পরের লাইনে এসেই...
    “কবি অত মানুষের মুখের দিকে চেয়ে খুঁজলেন একটি মানুষ
    নারীদের মুখের দিকে চেয়ে খুঁজলেন একটি নারী
    তিনি দু’জনকেই পেয়ে গেলেন”
    হোঁচট খেতে হয়। এই লাইনগুলোর মানে একটাই। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বাভাবিক চেতনায়-অবচেতনে মানুষ মানে শুধুই পুরুষ! আর নারী? আক্ষরিক অর্থেই মনুষ্যেতর! অন্তত ভিন্ন! বা, আর যাই হোক, মানুষ বলতে যা বোঝায়, তা নয়! তাই, তারপর যখন পড়ি,
    “কবি আবার তাদের উদ্দেশ্যে মনে মনে বললেন,
    বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক! মিলিত মানুষ ও
    প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব বিপ্লব!”
    মনে হয়, রাখ তোর পুরুষগন্ধী বিপ্লব! এদের জন্যই মেয়েরা বিপ্লবের সেবাদাসী হয়, তারা আর বিপ্লবী হয়ে ওঠে না।

    শীর্ষেন্দু, আমাদের কালের জনপ্রিয়তম কথাশিল্পী। তিনি আদ্যন্ত একটি ‘মনু’। অসাধারণ গদ্য বলার ঢং, বিনীত স্বরের আড়ালে অমানবিক কিছু কথা তিনি আমাদের বলে যান, আমরা আহা-বাহা করতে করতে খেয়ালই করি না, কতটা পিছিয়ে গেলাম আমরা। ‘পরিহাটির হরিণ’ উপন্যাসে মধুরা বলে একটি চরিত্র আছে, খানিকটা রোহিণী-টাইপ। সেই উপন্যাসে ‘পবিত্রতা’র একটা মাপকাঠি আছে, সেটা হল ওই সোনালি হরিণটা। অর্থাৎ, যারা ‘ভার্জিন’, ‘পবিত্র’, তারা ছাড়া সেই হরিণটাকে কেউ দেখতে পায় না। তো, সেই মধুরা, স্বামীর পরনারী সংসর্গের শোধ নিতে নিজেও পরপুরুষ সংসর্গ করে, তারপর গর্ভস্থ সন্তান নিয়ে আত্মহত্যা করতে যায়। একটি ‘পবিত্র’ কিশোরী তাকে নিরস্ত করলেও সে কাঁদতে থাকে, কারণ, সে পরিহাটির সেই ‘নিষ্পাপ’, ‘অপাপবিদ্ধ’ হরিণটিকে আর দেখতে পাবে না। হ্যাঁ, এই উপন্যাস বিশ শতকে লেখা। আরো অনেককিছু আছে। ‘যাও পাখি’তে রিখিয়া আর সোমনাথের বয়সের পার্থক্য নয় বছর, তার পেছনে যুক্তি, বয়সের পার্থক্যে পরস্পরের শ্রদ্ধা বাড়ে, ‘চক্র’তে সোহাগ আর বিজুর প্রেমে বয়সের ফারাকেও একই যুক্তি। কোন শ্রদ্ধা? কীসের শ্রদ্ধা? একজন মানুষ আরেকজনকে খামোখা ‘শ্রদ্ধা’ই বা করতে যাবে কেন? বয়সের ফারাক থাকলে, অর্থাৎ মেয়েটি পুরুষটির চেয়ে বয়সে ছোট হলে, বেশ অনেকটা ছোট হলে ডমিনেট করতে বা শ্রদ্ধা পেতে কোনো অসুবিধে হয় না তার, শীর্ষেন্দু, এসব বিশ্বাস করেন বলেই, এসব লিখতে কোনো অসুবিধে হয় না তাঁর।

    বঙ্কিমের উপন্যাসের কথা ছেড়ে দিই বরং, তিনি সামাজিক জ্যাঠামশাইগিরি করতে গিয়ে, হিন্দুত্ব আর পুরুষতন্ত্রকে মজবুত করতে গিয়ে নিজের বহু উপন্যাসের বহু অকল্পনীয় আধুনিক সম্ভাবনাকে গর্ভেই খুন করেছেন। আমরা বরং আমাদের প্রফেট রবীন্দ্রনাথের দিকে তাকাই।

    ‘চিত্রাঙ্গদা’র একটি অংশ, নারীদিবসে যেটা শেয়ারের হিড়িক ওঠে, অনেকে নারী-স্বাধীনতার রাবীন্দ্রিক সার্টিফিকেট হিসেবেও ধরিয়ে দেন লাইনগুলিকে, সেটাকে দেখা যাক -
    ‘আমি চিত্রাঙ্গদা।
    দেবী নহি, নহি আমি সামান্যা রমণী।
    পূজা করি রাখিবে মাথায়, সেও আমি
    নই; অবহেলা করি পুষিয়া রাখিবে
    পিছে, সেও আমি নহি। যদি পার্শ্বে রাখ
    মোরে সংকটের পথে, দুরূহ চিন্তার
    যদি অংশ দাও, যদি অনুমতি কর
    কঠিন ব্রতের তব সহায় হইতে,
    যদি সুখে দুঃখে মোরে কর সহচরী,
    আমার পাইবে তবে পরিচয়।’

    এই মেয়েটি, ছদ্ম আধুনিকা, যে স্বনির্ভর নয়। তাকিয়ে আছে পুরুষেরই দিকে। সে পুরুষের পাশে থাকতে চায়, নিজে কিচ্ছুটি করতে পারে না, পুরুষের সমস্ত কঠিন কাজে পুরুষেরই পাশে সে থাকবে, যদি পুরুষটি অনুমতি দেয়, তবেই। ‘অনুমতি’ শব্দটা আছে বলেই মনোভাব চিনতে অসুবিধে হয় না। আরো অনেক অনেক চিহ্ন আমাদের চিনিয়ে দিয়েছেন হুমায়ুন আজাদ, তার একটি উল্লেখ করলাম মাত্র।

    * * *

    এগুলোকে, এই মিথ্যেগুলোকে, চালাকিগুলোকে রিজেক্ট করতে শেখা উচিত আমাদের। যুদ্ধে বেনোজল ঢুকে পড়লে সে আর যুদ্ধ থাকে না, লড়াই হয়ে যায়।

    ধর্ষণের প্রতিবাদে সংগঠিত মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ‘কেন হাঁটছ?’ প্রশ্ন করা হলে যে ছেলেটি জবাব দেয়, ‘আমার মা-বোনের জন্য হাঁটছি আমি’, তাকে যেমন ছুঁড়ে ফেলা উচিত, এই লেখাগুলোকে, এই সূক্ষ্ম দ্বিচারিতাকেও সেভাবেই ছুঁড়ে ফেলা উচিত আমাদের। এই ‘মা-বোন’ মনোভাবের পিছনেই আছে পুরুষের সম্পত্তির অধিকারের কথা, যেখানে প্রত্যেকটি মেয়েই কোনো না কোনো ভাবে কোনো পুরুষের সম্পত্তি।

    যেদিন আমরা আমাদের সহ-নাগরিকের অধিকারের জন্য, আমার মত আরেকটি মানুষ তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত বলেই সোচ্চার হব, তাকে আমাদের সম্পত্তি ভাবব না, সেদিন থেকেই যুদ্ধ শুরু হবে, নয়তো এ সেই লড়াই-লড়াই খেলা হয়েই থেকে যাবে। যুদ্ধটা সাহিত্য দিয়েই শুরু হোক না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ মার্চ ২০১৬ | ৩০৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • আকাশদীপ গিরি | 125.250.149.188 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৩:২৪56299
  • ভাল লাগল
  • শারদ্বত | 53.230.135.62 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৩:৩৬56315
  • টলস্টয়, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধী, মাইকেল, বিদ্যাসাগর, রামমোহন - উনিশ-বিশ শতকের এইসব ব্যক্তিত্বের নারীবাদ সম্পর্কিত ধারণা অনেক ক্ষেত্রেই ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। সেজন্য তাঁদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তাঁরা একটা সময়কে রিপ্রেজেন্ট করেন। তাই তাঁদের কাছে এখনকার আধুনিকতা দাবি করা কিছুটা অযৌক্তিক।

    আর শুধু পুরুষ কেন? রোকেয়াও বহু জায়গায় পুরুষতন্ত্রের সঙ্গে চালাকি করতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাঁকে পুরুষতান্ত্রিক বলে গালিও দেওয়া চলে আজকের দিনে। আশাপূর্ণার মধ্যে আবার ক্লাস ব্যাপারটা খুব স্পষ্ট। তাঁর নারীচেতনা মধ্যবিত্তের গণ্ডীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলে মনে হয়। নরেন মিত্তিরের একই সমস্যা। কবিতা সিঙ্ঘ পড়িনি... তাই জানি না। কমেন্ট দেখে পড়ার ইচ্ছে হচ্ছে।

    আমার বক্তব্য অন্য জায়গায়। সেকালের মানুষ তাঁদের মত করে ভেবেছেন। তাঁদের পুজো করার ঠেলায়, তাঁদের সবকিছুই বেদবাক্য বলে মেনে নিতে হবে কেন? বরং বলা উচিত, "তাঁরা সেই যুগেও কতটা নতুন করে ভাবতে পেরেছিলেন, সেটা দেখো!" তা না করে, রেফারেন্স-সময় কিচ্ছু না বুঝে সেগুলোকে কোট করলে বহু সমস্যা হয়।

    হ্যাঁ, আমি সুনীল-শীর্ষেন্দুকে আক্রমণ করার পক্ষপাতী। কারণ, নারীবাদের চলন, তার বক্তব্য, তাঁদের সময়ে ভীষণই স্পষ্ট। তাই তাঁদের লেখায় দ্বিচারিতা, ছদ্ম নারীবাদ দেখলে গা চিড়বিড়োয়।

    আর হ্যাঁ, হুমায়ুন আজাদের বইটার নাম 'নারী', সব্বার পড়া উচিত। বইমেলায় পাওয়া যায়, নয়তো হাতিবাগানের শ্রীমানী মার্কেটের দোতলায় নয়া উদ্যোগে আছে, ৫০০ টাকা, ২০% ডিসকাউন্ট।
  • pi | 233.231.45.15 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৩:৫২56316
  • 'সেকালের মানুষ তাঁদের মত করে ভেবেছেন। তাঁদের পুজো করার ঠেলায়, তাঁদের সবকিছুই বেদবাক্য বলে মেনে নিতে হবে কেন? বরং বলা উচিত, "তাঁরা সেই যুগেও কতটা নতুন করে ভাবতে পেরেছিলেন, সেটা দেখো!" তা না করে, রেফারেন্স-সময় কিচ্ছু না বুঝে সেগুলোকে কোট করলে বহু সমস্যা হয়।'

    বড় হাতের ক।
  • Ekak | 53.224.129.59 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৪:৫৫56317
  • "নারীবাদ আমার কাছে নারী কর্তৃত্বের হাতিয়ার নয়, সমানাধিকার অর্জনের অস্ত্র। পুরুষ তার শিশ্নের জোরে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করলে যেরকম সমস্যার সৃষ্টি হয়, নারী তার স্তন-যোনির জোরে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করলে তার থেকে খুব আলাদারকম সমস্যার সৃষ্টি হবে না বলেই আমার মনে হয়। "

    হু ব্যাপ্পক সমস্যার সৃষ্টি হবে । তো ?

    একটা মডেল একপাশে পলারায়স্দ হয়ে আছে । এবার সেটাকে ব্যালান্স এ আনতে গেলে তো ধাক্কা দিতেই হবে । আবার অপটিমাম লাইন পেরিয়ে গেলে সমস্যা হবে এ জানা কথা । তাইবলে কতৃত্বের ধাক্কা না দিয়ে সমানাধিকার এ পৌছনো যাবে এরকম অলৌকিক সন্দর্ভের মানে কি ? :)

    আমি একদম এইজিয়ান কন্টেক্স্ট এ বলছি । আমেরিকান না । ওরা অলরেডি অনেক যুগ এগিয়ে , পুরুষ -নারী মডেল থেকে জেনেরাল জেন্ডার কনফ্লিক্ট মডেলে উত্তীর্ণ হয়ে গ্যাছে । দ্যাটস আ ডিফারেন্ট গেম লেভেল অল্তুগেদার । কিন্তু এই ভারত বর্ষে এখনো যে তাতে নারীবাদ মানে নারী কর্তৃত্বের হাতিয়ার হওয়ার ই দরকার । বিপক্ষ কে মেরে মাঝমাঠ পার করে দেবার আগে ওরকম পাশ থেকে দেখলে "নারী kortritwo" মনে হবেই i পার্ট অফ গেম ।

    আমার লেখাটা এপলোজিস্ট লেগেছে । এন্ড প্যাত্রনাইসিং নিও প্যাত্রিয়ার্কি
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৫:১৮56318
  • এককের লাস্ট পোস্টটা ভাবাচ্ছে আমাকে। এই কথাটা কোনদিন সাহস করে বলতে তো পারিইনি। গুছিয়ে ভাবতেও পারিনি। সমান সমানের বেশি হয়ে গেলে পাছে বিপদ হয়, সেই ভয়ে।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৫:২১56319
  • এবং লাস্ট লাইনটা এক্কেবারে হক কথা।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৫:৪১56300
  • ভালই।

    শীর্ষেন্দুর কথা লিখতে গেলে পুরো সাতকান্ড রামায়ন হয়ে যাবে। সাধে আর ভদ্রলোক নিয়ম করে ভাটিয়া৯তে গালি খন।

    আমার আজকাল প্রচলিত গল্প উপন্যাসগুলো পড়লেও কেমন অবাকমত লাগে। কেমন যেন একছাঁচে ঢালা মেয়েচরিত্রগুলো। সেই কবিতা সিংহের গল্পের প্রচলিত অর্থে যাদের কেঠো ধরণের মেয়ে বলা হয় সেইসব পরিশ্রমী, ব্যতিক্রমী আত্মনির্ভরশীল নারীচরিত্রগুলো গেল কোথায় রে বাবা!? কিম্বা আশাপুর্ণা দেবীর সৃষ্ট চরিত্রগুলোর মত।
  • Byaang | 132.172.96.15 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৫:৫৭56301
  • আমি এর আগে টুকটাক এদিকসেদিক কবিতা সিংহের গল্প পড়েছিলাম। আনন্দমেলায় লেখা ছোটোদের লেখা গল্পগুলো বেশ অন্যরকম ভালো লাগত। কিছুদিন আগে রুবানশপ থেকে গল্পসংগ্রহ আনিয়ে গল্পগুলো পড়তে গিয়ে হাঁ হয়ে যাচ্ছি। কী সব একেকটা লাইন! পুরো নেশা ধরে গেছে। আরো কবিতা সিংহের লেখা খুঁজছি।
  • Byaang | 132.172.96.15 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৫:৫৮56302
  • তবে ঐ পরিশ্রমী কেঠো মেয়েদের নিয়ে নরেন মিত্তিরও কম লেখেন নি।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.190 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:০০56320
  • যখন দেখি নারী স্বাধীনতা ,লিঙ্গ বৈষম্য বিষয়ে বিশ্বকে জ্ঞান দেওয়ার অধিকারী আমাদের আদর্শ , বিশ্বের গণতন্ত্রের অন্যতম পীঠস্থান আমেরিকা ২২৮ বছরে'র গণতন্ত্রের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত এক জনা মহিলাকেও তাঁদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে বসাতে পারলোনা । গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ১৩২ বছর লেগে গেলো মহিলাদের প্রথম ভোট দেওয়ার অধিকার পেতে (১৯২০ ) । সেকুলার আমেরিকা তার জনসংখ্যার ৫১% কে দেশের নীতিনির্ধারণের আওতার বাইরে কেবল শয্যা সঙ্গী করে রেখে দিলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ১৩২ বছর ধরে । অন্যদিকে সভ্যতার নামে নাক আকাশে তুলে রাখা ফ্রান্সের "Liberty, equality, fraternity", মহিলাদের কথা বেমালুম ভুলে গেল । মহিলাদের আবার লিবার্টি কিসের ? সে দেশের মহিলারা ভোটাধিকার পেলেন এই সবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবশেষে ১৯৪৪ সালে । আজকের একবিংশ শতাব্দীতে মাত্র ২০%মহিলা আমেরিকার সেনেটর । সারা দেশের ১০০টি বৃহৎ শহরের মাত্র ১২% মেয়র মহিলা । পৃথিবীর সব থেকে উন্নত আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইউরোপ এবং আমেরিকায় হওয়া স্বত্বেও ১১২ বছরের নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে মাত্র ২ জন মহিলা আজ পর্যন্ত ফিজিক্স এ নোবেল পুরস্কারে ভূষিত । অর্থাৎ নারী স্বাধীনতার ঢক্কা নিনাদের অবশেষে উন্নত পশ্চিমের নারীদের হাতে পড়ে রইল ফ্যাশনের স্বাধীনতা মাত্র -রাজনীতি ,অর্থনীতি এবং বিজ্ঞানের জগতের দরজা নারীদের কাছে আজও তালা লাগিয়ে বন্ধ । ৮ই মার্চ পশ্চিমের নারীদের কাছে এ কোনও সেলিব্রেসনের দিন নয়। মিথ্যা আশা এবং মিথ্যা স্তোকের দিন ।

    রিফর্ম করার থেকে বিপ্লব করা অপেক্ষাকৃত সহজ । যে কোন রিফর্ম পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মূল ' পরিবার প্রথা ' না ভেঙ্গে না দিলে কানাগলি তে ঢুকে যেতে বাধ্য । ১৯৮০'র উত্তাল নারী আন্দোলন এখন আমলাতন্ত্র পরিচালনা করে ।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:০৮56303
  • নরেন মিত্তির? নাহ বিশেষ পড়ি নি। তুমি একটু লেখো না।
  • রৌহিন | 233.191.8.104 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:০৯56321
  • এমনিতে নারী কর্তৃত্ব নিয়ে আমার আপত্তি নেই - কিন্তু যুক্তির দিক দিয়ে দেখতে গেলে, নারী কর্তৃত্বও পুরুষ কর্তৃত্বের মতই পথভ্রষ্ট হবে এতে কোন ভুল নেই। সমতা অসমতার চেয়েও বড় প্রশ্ন, মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার। সেটার চেয়ে বড় প্রায়োরিটি কোন কিছুই হতে পারে না আমার মতে।
  • শারদ্বত | 53.230.135.62 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:১৯56322
  • ekak, আপনি যে প্যারাটি কোট করেছেন তার শেষ লাইনেই আছে "যতদিন নারী-পুরুষের সমানাধিকার অর্জিত না হচ্ছে, ততদিন আমি নারীর অধিকারের লড়াইয়ে আছি, তার প্রাপ্য বুঝে নেওয়ার লড়াইয়ে আমিও আছি। ততদিন পর্যন্ত আমি নারীবাদী।"

    ধাক্কা আমিও দিতে চাই। ইয়ং বেঙ্গল যেভাবে ধাক্কা দিয়েছিল ভাটপাড়ার বামুন টাইপ হিন্দুদের... কিন্তু তার পরেও একটা আশঙ্কা থ্যেকে, সেটাই উল্লেখ করেছি মাত্র।

    এর মধ্যে অ্যাপলজিসম কোথায়? নিও প্যাট্রিয়ার্কির ইয়ার্কিই বা কোথায়! তাজ্জব।
  • শারদ্বত | 53.230.135.62 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:২৪56323
  • যাঁরা নারী বইটার পিডিএফ খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এই লিঙ্কটা-
    http://www.amarboi.com/2011/11/nari-humayun-azad-pdf.html
  • b | 24.139.196.6 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:২৫56324
  • "৮ই মার্চ পশ্চিমের নারীদের কাছে এ কোনও সেলিব্রেসনের দিন নয়"

    পশ্চিম ফশ্চিম বুঝি না। আমেরিকা খ্রীষ্টপূর্ব ১৯৮২ সালে কি করেছিলো, ফ্রান্স কি করল, কিম্বা মঙ্গলগ্রহ বড় বড় কথা বলে কি না জানতে চাই না। এদেশে, এখন কি হবে, কি করছি, সেটা জানাটা আরো দরকার।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.190 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:২৯56325
  • এদেশ আমেরিকা কে অনুসরন করে কিনা তাই ইতিহাস না জানলে কানাগলি এবং মধ্যবিত্ত বিলাসিতা নিশ্চিত ।
  • ranjan roy | 24.97.201.154 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:৩৮56326
  • আমার এই সব দিবসের দ্বিচারিতা দেখলে খিস্তি করতে ইচ্ছে করে। তা শারদ্বত শুরু করেই দিয়েছেন। আমিই বা বাকি থাকি কেন? বহতী পানী মেঁ হাত ধো লেতা হুঁ।
    গতকাল একটি বিজেপি শাসিত রাজ্যের অগুণতি নারীদিবসের ফাংশনের একটি মেজগিন্নি গোছের সিম্পোসিয়ামে বসেছিলাম। আধা সরকারি সংস্থা মূল আয়োজক। প্রায় দু'শ মহিলা এসেছিলেন শহর ও গাঁয়ের প্রান্তিক পরিবার থেকে।
    কিছু প্যানেল ডিস্কাশন ও কিছু বক্তিমে। মহিলাদের সঙ্গে কিছু বাচ্চা, বেজায় হট্টগোল। আয়োজক বামঘেঁষা। গর্বিত ঘোষণা করলেন এই প্রোগ্রামে এলিট সাজুগুজু মহিলারা নেই। আছেন খেটে খাওয়া প্রান্তিক মহিলারা, তাঁদের মধ্যে থেকে বিশেষ কাজ করে সাফল্য পাওয়া মহিলাদের শাল ও মেমেন্টো দিয়ে সম্মানিত করা হবে।
    --- আয়োজক মশাই জানালেন ১৯০৮ সালে স্টুটগার্টে ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সম্মেলনে ৮ইমার্চকে নারী দিবস ঘোষণা করা হয়। আর প্রস্তাবটি এনেছিলেন ভারতের ভিকাজী কামা ( যাঁর নামে দিল্লি ও মুম্বাইতে রাস্তা আছে--আমার টীকা)। আর উনি ৮ইমার্চকে প্রস্তাব করলেন কারণ ১৮৫৭ সালে নিউইয়র্কে কটন মিলের নারী শ্রমিকরা হরতাল করেছিল ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে।
    উনি এসব বলে গর্বিত হলেন, আমি জানতাম না, জেনে গর্বিত হলাম। প্যানেলে ও ডায়াসে বসা এলিট মহিলারা গর্বিত হলেন।
    প্রান্তিক মহিলারা এইটুকু জেনে এসেছেন যে আজ ওদের উৎসব। এখানে দুপুরে ভর পেট খাওয়া পাওয়া যাবে। বাচ্চা সমেত।
    কয়েক জন নারী উকিল প্যানেল ডিস্কাশনে জানালেন যে সংবিধানে নারী পুরুষ সমান। দেশে নারীদের পক্ষে প্রিভেনশন অফ ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট সমেত ২৩ তি আইন আছে। মেয়েদের শুধু লেখাপড়া শিখে এগুলো পড়ে নিতে হবে, ব্যস্‌। কেউ কেউ পিতৃতন্ত্র পুরুষতন্ত্র নিয়ে কথাও বললেন।এর বিরোধিতা করতে হবে বললেব্ন। কিন্তু কবে? কোথায়? কোত্থেকে শুরু করতে হবে? এগুলোর কংক্রিট এক্সপ্রেশন কী--এ বিষয়ে কবি নীরব রইলেন।
    শেষ মুহুর্তে মহিলা কমিশনের অধ্যক্ষ ( প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রীর পুত্রবধূ হুড়মুড়িয়ে এসে মাপ চাইলেন-- মুখ্যমন্ত্রীর প্রোগ্রাম সমেত আরও তিনটে সরকারি প্রোগ্রাম অ্যাটেড করে শেষ বেলায় এসেছেন বলে।)
    উনি ঠেট ছত্তিশগড়ি ডায়লেক্টে বললেন-- জন্মের সময় থেকেই লিঙ্গহেদ শুরু হয়। গাঁয়ে কারো বাড়িতে উৎসবের বহর দেখেই বুঝতে পারি মেয়ে হয়েছে না ছেলে। জন্মলগ্নে বিধাতাপুরুষ কাউকে আলাদা অধিকার দেন নি। জননেন্দ্রিয় ছাড়া কোন তফাৎ নেই। এখন লেখাপড়া শিখে মেয়েরা মন্ত্রী হচ্ছে কাজেই শিক্ষা হল অধিকারের চাবিকাঠি।
    উনি বাজিমাত করে গেলেন, বামবাবুটিও মানলেন।
    এদিকে আমরা সেমিনার করে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি গিয়ে বউকে বলি -- চা দাও।
    বছরে ক'দিন (অন্ততঃ রোববার?) বউকে চা বানিএ খাওয়াই? বাসন ধুয়ে বা অন্যভাবে সাহায্য করি?
    একজনকে দেখলাম -- অফিস থেকে ফিরে চেয়ারে বসে পা বাড়িয়ে দিয়েছে আর বউ ( স্কুলে চাকরি করে) পায়ের কাছে বসে জুতো খুলে দিচ্ছে। আমি বজ্রাহত। হচ্ছেটা কী?
    -- দাদা, আপ উনকী মুহব্বত কো নহীঁ দেখ রহে ?
    -- প্রেম কী একতরফা হয়? তুমিও ওর জুতো খুলে দাও, তবে একটিও কথা বলব না।

    [আপনি আচরি ধর্ম। যদি আমরা রোজ দৈনন্দিন ব্যবহারে বহুযুগের সযত্নে লালিত পিতৃতান্ত্রিক সুবিধে/অভ্যেসগুলোকে আঘাত না করি তবে আমাদের নারীস্বাধীনতা নিয়ে কথা বলার অধিকার জন্মায় না। নিজের বীচিতে একলাথি মেরেই শুরু করা উচিত।]
  • b | 24.139.196.6 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:৪০56327
  • এদেশ আমেরিকাকে অনুসরণ করে?এটা জানতুম না তো।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫৭56328
  • তাহলে হাতে রইল দুই? আমেরিকা ও ভারত?
    পৃথিবীর কোন দেশেই নারী পুরুষের সমানাধিকার নেই সমাজে। কোথাও আইন করে অসমানতা, কোথাও আইনটা দেখতে সমান সমান কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে অসমানতার প্রাবল্য। আমেরিকা কী করল বা করেছে বা ভারত কতটা কী করেনি এসব নিয়ে তুলনামূলক তর্কাতর্কি হতেই পারে, কিন্তু দিনের শেষে একটাই উত্তর- সমানাধিকার দুনিয়ার কোনো দেশে কোনো সমাজে চালু হয়নি। হিন্দু মুসলমান য়িহুদি বৌদ্ধ খৃষ্টান ইত্যাদি ধর্মে কি নাস্তিক সমাজে। সমানাধিকার নেই। একেক সমাজে একেকরকম ফর্মে অসামানতা প্র্যাক্টিস করা হয়। তা সে ম্যাটার্নিটি লীভ হোক কি লক্ষ্মীর পাঁচালি কি চাকরির ক্ষেত্রে যোগ্যতা প্রমাণে কি জামায়/প্যান্টে কটা প্যাকেট থাকবে কি ক্রমাগত সাজগোজ মেকাপের বিজ্ঞাপনে বা তাদের মাতৃত্বের কর্তব্য নির্ধারণে বা এবং অনেক কিছুতে। এই পিতৃতন্ত্রেক প্রচারে ও প্রসারে তাদের দায়িত্ব ও ভূমিকাও বিরাট। শারিরীক "পবিত্রতা" রক্ষা করার কর্তব্যে তারাই অগ্রণী হয়ে পিতৃতন্ত্রের ধ্বজা উঁচু করে ধরে রাখার কর্তব্য পালন করে চলেছে। দুনিয়ার কোনো দেশ এর ব্যতিক্রম নয়। কেবল প্রকাশের ভঙ্গীটা কোথাও উগ্র কোথাও পরিশীলিত।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.190 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৭:০৬56329
  • একটা ছোট্ট ব্যতিক্রমী অঞ্চল আছে - রোজাভা ।
  • S | 108.127.145.201 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৭:১৩56330
  • "প্রান্তিক মহিলারা এইটুকু জেনে এসেছেন যে আজ ওদের উৎসব। এখানে দুপুরে ভর পেট খাওয়া পাওয়া যাবে। বাচ্চা সমেত।"

    এই এত আলোচোনার পরে এইটাই হোলো আসল কথা।
  • Byaang | 132.172.96.15 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৭:২৫56304
  • ওরে বাবা, নরেন মিত্তিরের লেখা নিয়ে বলার আমি কে? অন্য কেউ লিখলে বড়জোর একটু আধটু মন্তব্য করতে পারি।

    গতকাল শারদ্বতের এই লেখাটা ফেসবুকে দেখি, লেখাটায় এবং কমেন্ট সেকশনে হুমায়ুন আজাদের একটি বইয়ের কথা আছে, সেই বইটা পড়তে ইচ্ছে করছে, শারদ্বতের লেখা পড়ার পর থেকে।
  • pi | 233.231.40.73 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৭:২৯56331
  • যে মেয়েটি জুতো খুলে দিচ্ছে, কথাগুলো তাকেও বলা দরকার।
  • রৌহিন | 37.63.140.86 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৭:৩০56332
  • রঞ্জনদার লেখাটা দারুণ লাগল। আর সে এর সঙ্গে একমত না হয়ে উপায় নেই যে কোনকালে কোনদেশেই নারীর সমানাধিকার মান্য হয়নি - সেই একেবারে প্রাচীন যুগ ছাড়া। আসলে নারীর একটা মস্ত সুবিধা রয়েছে - সন্তানের পিতা কে, একমাত্র সে-ই জানে। কিন্তু তা আবার সম্পদের পক্ষে বড় সমস্যাকর - কারণ তাতে উত্তরাধিকার নির্ণয়ে অনেক জটিলতা বাড়ে। কাজেই সতীত্বের জয়গান - যাতে পুরুষ নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশই না থাকে - সামাজিক ভাবে নারীর প্রাকৃতিক সুবিধার নালিফিকেশন। কিন্তু শুধু সতীত্বের ধ্বজা বিদ্রোহিনীদের আটকানোর জন্য যথেষ্ট নয় - অতএব আরো শক্তিশালী এক মিথের প্রবর্তন - মাতৃত্ব। এর গ্লোরিফিকেশনের কাছে সতীত্বও কিস্যু না। মা প্রায় ঈশ্বরের সমান (বহু ক্ষেত্রে স্বর্গাদপি গরিয়সি) - অতএব মাতৃত্বের মহান হ্যালো নারীর শ্রেষ্ঠ চাহিদা বাধ্যতামূলকভাবে। অন্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যায় - নিজের বিরুদ্ধে যায় না।
  • pi | 233.231.40.73 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৭:৩১56333
  • কিম্বা কাউকেই বলার দরকার নেই।তাদের পার্সোনাল বোঝাপড়া ভেবে।

    মানে,বাধ্য না করলে একজন শিক্ষিত মহিলা এরকম করলে ছেলেটিকে খালি দোষা কেন ?
  • Debabrata Chakrabarty | 233.191.49.142 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ০৯:৩৯56305
  • শারদ্বত - আপনি এই বইটা পড়েছেন ? নিশ্চয়ই পড়েছেন
    “It is amazing how complete is the delusion that beauty is goodness. A handsome woman talks nonsense, you listen and hear not nonsense but cleverness. She says and does horrid things, and you see only charm. And if a handsome woman does not say stupid or horrid things, you at once persuade yourself that she is wonderfully clever and moral.”
    ― Leo Tolstoy, The Kreutzer সোনাটা
    শোনা যায় ,বউয়ের খিটখিটানিতে বিরক্ত তলস্তয় অতিবৃদ্ধ বয়েসে বাড়ি থেকে শেষে বেড়িয়েই পড়লেন -মারা গেলেন বরফে কোন এক রেল স্টেসানে ।
  • de | 69.185.236.55 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ১০:২৭56306
  • শুধুই সৌন্দর্য্য যাদের এতোখানিই বিচার-বুদ্ধি ঘুলিয়ে দিতে পারে তাদের মানসিক সুস্থতা এবং বোধশক্তি সম্বন্ধেই সন্দেহ হয় -
  • Debabrata Chakrabarty | 233.191.49.44 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ১০:৫১56307
  • না বইটা একটু পড়ে দেখতে পারেন ,শীর্ষেন্দুকে বাচ্চা ছেলে মনে হবে । অথচ তলস্তয় !
  • dc | 132.164.16.164 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ১১:০০56308
  • এহে তলস্তয়কে অনুসরন করতে পারলে ভালোই হতো। নেহাৎ চেন্নাইতে বরফ পড়ে না ঃ(
  • de | 69.185.236.55 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ১১:১৫56309
  • পড়তে চেষ্টা করবো -

    ডিসি - সেল্ফ কন্ট্রাডিক্শন!!!

    এই সক্কালবেলা ঝেড়েমুছে তাকে তুলে রাখার কথা বলে গেলেন যে ভাটে? ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন