এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নারী দিবসে দু’চার কথা

    শারদ্বত লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ মার্চ ২০১৬ | ৩০৪৫ বার পঠিত
  • এমনিতে দিবস-টিবস নিয়ে আমার মাথাব্যথা থাকে না। কারণ দিবস বানিয়ে যদি কিছু উদ্‌যাপন করতে হয়, বুঝতে হবে, সমস্যা আছে বলেই তার এত আড়ম্বরের ঘটা। নারী দিবস তাই আর পাঁচটা দিনের চেয়ে আলাদা। আর কোনো তন্ত্রে বা সিস্টেমে (সিস্টেম বললেই ব্যাপারটা বোধগম্য হয় আরও) শোষক এবং শোষিত এত কাছাকাছি অবস্থান করে না। আর কোনো সিস্টেমে এই দুই শ্রেণি চার দেওয়ালের মধ্যেও থাকে না, এক বিছানায় শোয় না দরজা বন্ধ করে। অন্য আর পাঁচটা সিস্টেমের থেকে এখানেই পুরুষতন্ত্র আলাদা, তাই পুরুষতন্ত্রের মধ্যে ‘নারী দিবস’ সেই সংখ্যালঘুর, গুরুত্বহীনের কোটা (quota) উদ্‌যাপন মাত্র।

    নারীবাদ আমার কাছে নারী কর্তৃত্বের হাতিয়ার নয়, সমানাধিকার অর্জনের অস্ত্র। পুরুষ তার শিশ্নের জোরে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করলে যেরকম সমস্যার সৃষ্টি হয়, নারী তার স্তন-যোনির জোরে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করলে তার থেকে খুব আলাদারকম সমস্যার সৃষ্টি হবে না বলেই আমার মনে হয়। মাতৃপ্রধান সমাজব্যবস্থার যে চিহ্নটি আমাদের মধ্যযুগের সাহিত্যে বিভিন্ন রূপে মাঝে মাঝেই প্রতিভাত হয়েছে, সেই ফার্টিলিটি কাল্টও আমার কাছে খুব স্বস্তিদায়ক রিচুয়াল নয়। এ কেমন রীতি, যেখানে সঙ্গমের পর একটি শারীরিক নিখুঁত পুরুষকে কেটে তার রক্তে স্নান করাতে হবে ধরিত্রীকে, উর্বরতার জন্য! সম্প্রতি খাসি সম্প্রদায়ের মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নিয়ে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক পত্রিকায়, যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা হয়তো লৈঙ্গিক রাজনীতির এই সমস্যাটা ধরতে পেরেছেন কোথাও। আমার কাছে নারীবাদ অন্য কথা বলে। যতদিন নারী-পুরুষের সমানাধিকার অর্জিত না হচ্ছে, ততদিন আমি নারীর অধিকারের লড়াইয়ে আছি, তার প্রাপ্য বুঝে নেওয়ার লড়াইয়ে আমিও আছি। ততদিন পর্যন্ত আমি নারীবাদী।

    এই লেখা সেজন্য নয়। এই লেখা আর্কেটাইপের বিরুদ্ধে। আমাদের সবকিছুরই আর্কেটাইপ থাকে। আমাদের প্রগতিশীলতার আর্কেটাইপে অনেক বেনোজল ঢুকে পড়েছে, তারই দু’চারটি যদি চিনিয়ে দেওয়া যায়, আমাদের বুঝে নিতে সুবিধে হয় ‘তুমি কোন দলে’।

    * * *

    সুমনের একটি বিখ্যাত গান আছে, আমার অনেক বন্ধুর ফোনের রিংটোন সেটি, অনেক গানের আড্ডায় চোখে জল নিয়ে এই গানটা গাইতে দেখেছি তাদের।

    “আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে রাষ্ট্রপুঞ্জে
    আমি চাই মহুল ফুটবে শৌখিনতার গোলাপ কুঞ্জে।
    আমি চাই নেপালি ছেলেটা গিটার হাতে
    আমি চাই তার ভাষাতেই গাইতে আসবে কলকাতাতে।”

    আমি কোনোদিন গানটাকে গাইতে পারিনি। আমার গানটাকে মনে হয়েছে, সিস্টেমের আপোষকাম। সাঁওতালের কী দরকার পড়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের? রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতির যে মান্য-ন্যাকামি, সাঁওতাল তার থোড়াই কেয়ার করে। সাঁওতালের কোনো দায় নেই ওই সিস্টেমের চূড়ায় যাওয়ার, সিস্টেম তার কাছে, তার গল্প শুনতে, তার লড়াইয়ের কথা শুনতে আসবে তার ঘরে, সিস্টেমের নিজের টিকে থাকার গরজে। একই যুক্তিতে নেপালি ছেলেটার কলকাতায় গান গাইতে আসারও কোনো দায় নেই। তা না হলে রাষ্ট্রপুঞ্জ-রাজধানী-রাষ্ট্রযন্ত্র নামক রাষ্ট্রীয় ন্যাকামির গুরুত্বই স্বীকার করে নেওয়া হয় প্রকারান্তরে।

    নারী নিয়ে আলোচনায় হয়তো এটার প্রত্যক্ষ গুরুত্ব নেই, কিন্তু এই একই বুনোট, একই কাঠামো আমাদের মেকি প্রগতিশীলতায়, আমাদের মেকি আধুনিকতায়, মেকি নারীবাদে বার বার ব্যবহৃত হয়েছে, সেই কাঠামোটাকে চিনে নিতে হবে।

    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত কবিতাটা মনে করা যাক, ‘কবির মৃত্যুঃ লোরকা স্মরণে’। কবিকে যখন বেঁধে রাখা হয়েছে,
    “কবির স্বতঃপ্রবৃত্ত ঠোঁট নড়ে উঠলো
    তিনি অস্ফুট হৃষ্টতায় বললেন :
    বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক!
    মানুষের মুক্তি আসুক!
    আমার শিকল খুলে দাও!”

    কী অসাধারণ লাইনগুলো না? মনে হয়, এই কবির মত সাম্যবাদ আর কে পালন করেছে জীবনে? লোরকা যেমন সাম্যের আদর্শে বিশ্বাসী, সুনীলও তেমনই, আমাদের মনে হতে থাকে। পরের লাইনে এসেই...
    “কবি অত মানুষের মুখের দিকে চেয়ে খুঁজলেন একটি মানুষ
    নারীদের মুখের দিকে চেয়ে খুঁজলেন একটি নারী
    তিনি দু’জনকেই পেয়ে গেলেন”
    হোঁচট খেতে হয়। এই লাইনগুলোর মানে একটাই। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বাভাবিক চেতনায়-অবচেতনে মানুষ মানে শুধুই পুরুষ! আর নারী? আক্ষরিক অর্থেই মনুষ্যেতর! অন্তত ভিন্ন! বা, আর যাই হোক, মানুষ বলতে যা বোঝায়, তা নয়! তাই, তারপর যখন পড়ি,
    “কবি আবার তাদের উদ্দেশ্যে মনে মনে বললেন,
    বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক! মিলিত মানুষ ও
    প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব বিপ্লব!”
    মনে হয়, রাখ তোর পুরুষগন্ধী বিপ্লব! এদের জন্যই মেয়েরা বিপ্লবের সেবাদাসী হয়, তারা আর বিপ্লবী হয়ে ওঠে না।

    শীর্ষেন্দু, আমাদের কালের জনপ্রিয়তম কথাশিল্পী। তিনি আদ্যন্ত একটি ‘মনু’। অসাধারণ গদ্য বলার ঢং, বিনীত স্বরের আড়ালে অমানবিক কিছু কথা তিনি আমাদের বলে যান, আমরা আহা-বাহা করতে করতে খেয়ালই করি না, কতটা পিছিয়ে গেলাম আমরা। ‘পরিহাটির হরিণ’ উপন্যাসে মধুরা বলে একটি চরিত্র আছে, খানিকটা রোহিণী-টাইপ। সেই উপন্যাসে ‘পবিত্রতা’র একটা মাপকাঠি আছে, সেটা হল ওই সোনালি হরিণটা। অর্থাৎ, যারা ‘ভার্জিন’, ‘পবিত্র’, তারা ছাড়া সেই হরিণটাকে কেউ দেখতে পায় না। তো, সেই মধুরা, স্বামীর পরনারী সংসর্গের শোধ নিতে নিজেও পরপুরুষ সংসর্গ করে, তারপর গর্ভস্থ সন্তান নিয়ে আত্মহত্যা করতে যায়। একটি ‘পবিত্র’ কিশোরী তাকে নিরস্ত করলেও সে কাঁদতে থাকে, কারণ, সে পরিহাটির সেই ‘নিষ্পাপ’, ‘অপাপবিদ্ধ’ হরিণটিকে আর দেখতে পাবে না। হ্যাঁ, এই উপন্যাস বিশ শতকে লেখা। আরো অনেককিছু আছে। ‘যাও পাখি’তে রিখিয়া আর সোমনাথের বয়সের পার্থক্য নয় বছর, তার পেছনে যুক্তি, বয়সের পার্থক্যে পরস্পরের শ্রদ্ধা বাড়ে, ‘চক্র’তে সোহাগ আর বিজুর প্রেমে বয়সের ফারাকেও একই যুক্তি। কোন শ্রদ্ধা? কীসের শ্রদ্ধা? একজন মানুষ আরেকজনকে খামোখা ‘শ্রদ্ধা’ই বা করতে যাবে কেন? বয়সের ফারাক থাকলে, অর্থাৎ মেয়েটি পুরুষটির চেয়ে বয়সে ছোট হলে, বেশ অনেকটা ছোট হলে ডমিনেট করতে বা শ্রদ্ধা পেতে কোনো অসুবিধে হয় না তার, শীর্ষেন্দু, এসব বিশ্বাস করেন বলেই, এসব লিখতে কোনো অসুবিধে হয় না তাঁর।

    বঙ্কিমের উপন্যাসের কথা ছেড়ে দিই বরং, তিনি সামাজিক জ্যাঠামশাইগিরি করতে গিয়ে, হিন্দুত্ব আর পুরুষতন্ত্রকে মজবুত করতে গিয়ে নিজের বহু উপন্যাসের বহু অকল্পনীয় আধুনিক সম্ভাবনাকে গর্ভেই খুন করেছেন। আমরা বরং আমাদের প্রফেট রবীন্দ্রনাথের দিকে তাকাই।

    ‘চিত্রাঙ্গদা’র একটি অংশ, নারীদিবসে যেটা শেয়ারের হিড়িক ওঠে, অনেকে নারী-স্বাধীনতার রাবীন্দ্রিক সার্টিফিকেট হিসেবেও ধরিয়ে দেন লাইনগুলিকে, সেটাকে দেখা যাক -
    ‘আমি চিত্রাঙ্গদা।
    দেবী নহি, নহি আমি সামান্যা রমণী।
    পূজা করি রাখিবে মাথায়, সেও আমি
    নই; অবহেলা করি পুষিয়া রাখিবে
    পিছে, সেও আমি নহি। যদি পার্শ্বে রাখ
    মোরে সংকটের পথে, দুরূহ চিন্তার
    যদি অংশ দাও, যদি অনুমতি কর
    কঠিন ব্রতের তব সহায় হইতে,
    যদি সুখে দুঃখে মোরে কর সহচরী,
    আমার পাইবে তবে পরিচয়।’

    এই মেয়েটি, ছদ্ম আধুনিকা, যে স্বনির্ভর নয়। তাকিয়ে আছে পুরুষেরই দিকে। সে পুরুষের পাশে থাকতে চায়, নিজে কিচ্ছুটি করতে পারে না, পুরুষের সমস্ত কঠিন কাজে পুরুষেরই পাশে সে থাকবে, যদি পুরুষটি অনুমতি দেয়, তবেই। ‘অনুমতি’ শব্দটা আছে বলেই মনোভাব চিনতে অসুবিধে হয় না। আরো অনেক অনেক চিহ্ন আমাদের চিনিয়ে দিয়েছেন হুমায়ুন আজাদ, তার একটি উল্লেখ করলাম মাত্র।

    * * *

    এগুলোকে, এই মিথ্যেগুলোকে, চালাকিগুলোকে রিজেক্ট করতে শেখা উচিত আমাদের। যুদ্ধে বেনোজল ঢুকে পড়লে সে আর যুদ্ধ থাকে না, লড়াই হয়ে যায়।

    ধর্ষণের প্রতিবাদে সংগঠিত মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ‘কেন হাঁটছ?’ প্রশ্ন করা হলে যে ছেলেটি জবাব দেয়, ‘আমার মা-বোনের জন্য হাঁটছি আমি’, তাকে যেমন ছুঁড়ে ফেলা উচিত, এই লেখাগুলোকে, এই সূক্ষ্ম দ্বিচারিতাকেও সেভাবেই ছুঁড়ে ফেলা উচিত আমাদের। এই ‘মা-বোন’ মনোভাবের পিছনেই আছে পুরুষের সম্পত্তির অধিকারের কথা, যেখানে প্রত্যেকটি মেয়েই কোনো না কোনো ভাবে কোনো পুরুষের সম্পত্তি।

    যেদিন আমরা আমাদের সহ-নাগরিকের অধিকারের জন্য, আমার মত আরেকটি মানুষ তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত বলেই সোচ্চার হব, তাকে আমাদের সম্পত্তি ভাবব না, সেদিন থেকেই যুদ্ধ শুরু হবে, নয়তো এ সেই লড়াই-লড়াই খেলা হয়েই থেকে যাবে। যুদ্ধটা সাহিত্য দিয়েই শুরু হোক না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ মার্চ ২০১৬ | ৩০৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 132.164.16.164 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ১১:২১56310
  • কনট্রাডিকশন না। কখনো বসন্ত, কখনো খর রোদ, এই আর কি ঃ)
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ১১:২২56311
  • ঐ সুব্বোতো মুখাজ্জী, যখন যেমন তখন তেমন :P
  • dc | 132.164.16.164 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ১১:২৯56312
  • :d
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ১২:২৪56313
  • হুমায়ুন আজাদের নারী? আমার কাছে মনে হয় সফট কপি আছে। একবার দেখতে হবে খুঁজে।
  • Byaang | 132.172.98.127 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৬ ১২:৩৮56314
  • খুঁজে পেলে পাঠিয়ে দিও প্লিজ
  • Ekak | 212.62.91.53 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০১:২৭56334
  • @শারদ্বত

    এপলোজিস্ট লজিক কেন মনে হয়েছে ক্লিয়ারলি বলি । আপনার পরের লাইন যেটা কোট করলেন ওটাও পড়েছি । আমি এই "সমাধান খোঁজা " নামক প্রক্রিয়া তাকেই হাস্যকর মনে করি , এবং বারংবার দেখেছি সে ইসলাম এপলোজিস্ট হন বা জেন্ডার এপলোজিস্ট তাঁদের যুক্তি শুরু হয় এই ভনিতা দিয়ে যে "ইহাই কি সমাধান ? " । কাজেই এক্ষেত্রেই লেখার মূল ভঙ্গী দেখে সেটাই মনে হয়েছে ।

    ফার্স্ট অফ অল , আমরা কেও কোনো "সমাধান " খুঁজছিনা । পরস্পরবিরোধী দুই জেন্ডার ইন্টারেস্ট চিরকাল ছিল ও থাকবে । প্যাট্রন গুলো বদলে বদলে যাবে শুধু । কাজেই "ততদিন পর্যন্ত নারীবাদী " বলার এক্স্যাক্ট মানে টা কি ? ইটা বুঝতে নারী বাদী পুরুষ বাদী কিস্ছুই হতে হয়না । এরকম আপনার মনে হয় নাকি যে কোনো একদিন পুণ্য প্রভাতে নারী-পুরুষ "সমানাধিকার " আসবে ? আমার মনে হয়না :) স্যরি । তাই সেই তাকে মডেল ধরে নিয়ে কি খাড়া করছেন আমি আদৌ বুঝছিনা । আমি মনে করি নারী ও পুরুষ জেন্ডার স্পেসিফিক ইন্টারেস্ট এর জায়গায় চিরকাল ই রক্তারক্তি মারপিট করে যাবে এবং সেটাই কাম্য । লড়াই টা একপেশে আছে বলে চেঁচামেচি হচ্ছে , মেয়েরা হুলিয়ে পেটাতে থাকলে একটা রিয়েকশন ব্যালান্স এর জায়গায় আসবে , এইটুকু শুধু বলা যায় । আপনি যে লজিকে লিখছেন সেক্ষেত্রে "ততদিন " পেরিয়ে যাওয়ার পরের দিন থেকে আপনাকে পুরুষ বাদী হতে হবে সেটা ভেবে দেখেছেন ? :)

    দ্বিতীয় কারণ এপলোজিস্ট মনে হওয়ার , যে নারী-পুরুষ কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট আদৌ কোনো "ন্যায় -অন্যায় " এর ব্যাপার ই নয় । আপনার লেখা পরে মনে হচ্ছে যে এই অন্যায় কে ন্যায় দিয়ে প্রতিস্তাপিত করতে হবে । টু মি দিস এপ্রোচ ইস মিনিং লেস । ইতিহাস -এন্থ্রপলোজি যাই ঘন্তুন , ম্যামাল দের মধ্যে নারী ক্রমাগত গৃহবন্দী হয়েছে - প্রডাকশন মেশিনে রুপান্তরিত হয়েছে টোটাল হিউম্যান প্রডাকশন মেশিনারি কে সেই প্রস্তর যুগ -লৌহ যুগের সঙ্গে খাপ খানর স্বার্থেই। আবার ইন্দাস্ত্রী আসার পর , বিজ্ঞান ও টেকনোলজির উন্নতি - লাইট ওয়েট মেশিনারি -ইন্টিলিজেন্ট সিস্টেমস যত এসেছে ফিমেল স্পিসিস উপরে উঠে এসেছে এবং আসবে । ভবিষ্যতে হেটেরোসেক্সুয়াল মেল রা হবে সবচে থ্রেতেন্দ স্পিসিস । তো ? আই হ্যাভ নো ইস্যুস । ইটা একটা সিস্টেম ইভ্যলুষণ যে তার স্ট্রাকচারাল নিড অনুযায়ী এনটিটি দের জেন্ডার প্রপার্টি এন্ড বিহেভিয়ার ডাইনামিকালি হ্যান্ডল করছে । এর মধ্যে ন্যায় -অন্যায় এর কিস্যু নেই । দুটো জেন্ডার পরস্পরের বিরুদ্ধে মারপিট করার জন্যই তৈরী । লেট দেম ফাইট । লেট আস নট পুত দিস ভার্চু এন্ড ভাইস ফিলিং ইন্সায়দ আ সিম্পল কারনাল স্পোর্টস । যে লেখন পুরুষবাদী দৃষ্টি তে লিখেছেন তিনি বেশ করেছেন । তাঁর কাছে কৈফিয়ত চাওয়ার মানে কি ? যাঁর উল্টো ভার্সন লিখতে হয় লিখুন । নাকি সেটাও পুরুষবাদী কাওকে নারীবাদী হয়ে লিখে দিতে হবে ? দেখুন , আপনি কি ভেবে লিখেছেন আমি জানি না :) কিন্তু লেখা থেকে বারংবার এই এপোলজি ফিলিং টা বেরিয়ে এসেছে । দেয়ার ইস এবসলিউটলি নাথিং টু সিক এপোলজি ফর। কোনো মহিলার যদি মনে হয় পুরুষের লিন্গ্যসর্বস্ব বিরোধিতার মোকাবিলা তিনি নারী যৌনতা দিয়ে করবেন তাঁকে দুহাত তুলে ওয়েলকাম :) এগুলো সবই ব্যালান্সিং ফ্যাক্টর । কোনো "সমাধান " এর দিকে কেও যাচ্ছিনা কাজেই কোনো "ততদিন " ও নেই ।
  • Ekak | 212.62.91.53 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০১:৩০56335
  • *প্যাটার্ন
  • শারদ্বত | 53.230.135.62 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৩:৫৮56336
  • @Ekak, আমি কোনো মডেল ধরে কিছু খাড়া করিনি... এখানে কেবল সাহিত্যের মধ্যে ছদ্ম নারীবাদী ও ছদ্ম সাম্যবাদী অংশগুলোকে স্পষ্ট করতে চেয়েছি। উপরে রৌহিনদার মন্তব্যের সঙ্গে একমত, আমার কাছে মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতাই শেষ কথা।

    আমি ন্যায় দিয়ে অন্যায়ের জাস্টিফিকেশনও দিইনি... "আপনি যে লজিকে লিখছেন সেক্ষেত্রে "ততদিন" পেরিয়ে যাওয়ার পরের দিন থেকে আপনাকে পুরুষবাদী হতে হবে সেটা ভেবে দেখেছেন ? :)" হ্যাঁ, ভেবেছি... ডিসব্যালান্সড অবস্থায়, নারীবাদের দিকে পোলারাইজড হয়ে পড়লে পুরুষবাদী হতেও আমার সত্যিই কোনো আপত্তি নেই... কারণ শেষ পর্যন্ত আমি মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। সেটা এখন নেই, আমার মনে হয় সেটা পর্যন্ত পৌঁছতে গেলে এখন নারীবাদ ছাড়া গতি নেই, ব্যাস। তার পর কী হব, সেটা সময়ই বলুক।

    আর কোনো অ্যাপোলজি ফিলিং বা সমাধান খোঁজা কী সত্যিই ফুটে বেরোচ্ছে? আমি লেখাটা আবার পড়লাম, দু'একটা তথ্যগত খুঁত আছে... কিন্তু সত্যিই কোনো অ্যাপোলজি খুঁজে পাচ্ছি না... সমাধান খোঁজার চেষ্টাও নেই। শুধু, নারীবাদের মধ্যে কিছু ভুলভাল ধোঁয়াশাচ্ছন্ন জিনিস ঢুকে পড়ে তার ক্ষতি করছে আখেরে, সেটা ধরানোর চেষ্টাই তো করেছি... কি জানি...
  • | 24.97.57.71 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৪:০০56337
  • এই গত রবিবারের রোব্বার-এ বাণী বসুর লেখাটা পড়তে শুরু করে এমন মাথা জ্বলতে শুরু হল ....
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৬:৩৩56338
  • বাণী বসুর লেখাটা কোথায় বেরিয়েছে?

    শারদ্বত কে বলতে চাইছি যে ফেমিনিজম শব্দটার অর্থ নারী পুরুষের সমানাধিকার। এটা কোনো খারাপ শব্দ মনে হয় না। এবং পুরুষবাদ বলতে যদি প্যাট্রিয়ার্খি বোঝায়, তাহলে সেটা সমানাধকারের পরিপন্থী।

    ফেমিনিস্ট কোনো খিস্তি নয়। নারী পুরুষ নির্বিশেষে ফেমিনিস্ট হতে পারে। হয়ও। ফেমিনিস্ট মানে মেয়েদের বেশি অধিকার, পুরুষদের পদানত করে রাখা, এধরণের কথা যারা মনে করেন, সেই ধারণা ভুল ইন্টারপ্রিটেশন। বা সম্ভবত রজ্জুতে সর্পভ্রম তাদের, যারা এতদিন প্যাট্রিয়ারখির ধ্বজা উঁচু করে ধরে রেখেছে। তাদের ভয় থেকে এরকম ভুল অর্থ। প্যাট্রিয়ার্খির ধ্বজাধারীরা মেয়েও হতে পারে,পুরুষও হতে পারে, ঠিক যেমন সমানাধিকার বা ফেমিনিজমে বিশ্বাসীরাও নারী এবং পুরুষ দুইই হয়।
  • aranya | 154.160.226.95 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫৮56339
  • 'মনে করি নারী ও পুরুষ জেন্ডার স্পেসিফিক ইন্টারেস্ট এর জায়গায় চিরকাল ই রক্তারক্তি মারপিট করে যাবে এবং সেটাই কাম্য '

    - কাম্য কেন?

    'দুটো জেন্ডার পরস্পরের বিরুদ্ধে মারপিট করার জন্যই তৈরী । লেট দেম ফাইট'

    - এটা কিভাবে প্রমাণিত?

    @একক
  • aranya | 154.160.226.95 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৭:০২56340
  • 'ধর্ষণের প্রতিবাদে সংগঠিত মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ‘কেন হাঁটছ?’ প্রশ্ন করা হলে যে ছেলেটি জবাব দেয়, ‘আমার মা-বোনের জন্য হাঁটছি আমি’, তাকে যেমন ছুঁড়ে ফেলা উচিত'

    - শারদ্বতের লেখাটা ভাল লেগেছে। একটু নিটপিক করছি। এই ছেলেটিকে ছুঁড়ে না ফেলে তার সাথে আলোচনায় গেলে বেটার হবে :-) । অন্তত ধর্ষনের প্রতিবাদটুকু করছে যখন, আশা আছে ডায়ালগে গেলে হয়ত সম্পত্তি-র ব্যাপারটা বোঝানো যাবে
  • aranya | 154.160.226.95 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ০৭:২৪56341
  • 'এদিকে আমরা সেমিনার করে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি গিয়ে বউকে বলি -- চা দাও'

    - এইটা কিছুতে কাউকেই কখনো বলে উঠতে পারলাম না -চা, জল, কাবাব কিছুই না, বৌ, মা বা অন্য কারুক্কে না
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ১০ মার্চ ২০১৬ ১১:৫৩56342
  • না বলতেই পেয়ে গেলে আর বলতে যাবেনই বা কেন?
    ঃ-)
  • Ekak | 212.62.91.53 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ০১:১১56346
  • যাঁরা জেন্ডার হেট্রেদ অস্বীকার করে জেন্ডার স্ট্রাগল কে স্বীকার করেন তাদের ক্লাস হেট্রেদ ও ক্লাস স্ট্রাগল নিয়ে মতামত জানতে চাই :) স্ট্রাগল থাকবে অথচ হেট্রেদ থাকবেনা ইটা কি বিজয়া সম্মিলনীর নকুলদানা বিলি নাকি :))

    একচুয়ালি এই ভার্সন তা নেট জগতে বেশ জনপ্রিয় দেখছি ইদানিং । কোনো মহিলা অপেনলি জেন্ডার হেট্রেদ শো করলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ই বন্ধু স্থানীয় পুরুষেরা ঠারে ঠোরে বোঝাতে থাকেন যে জলে বাস করে কুমীর এর সঙ্গে বিবাদ কর না । অতএব এই পেলব-কোমল ধারণার আমদানি যে জেন্ডার হেট্রেদ ছাড়াই জেন্ডার স্ট্রাগল সম্ভব। "আমরা তো শুধু সমানাধিকার চাইছি " কি আনন্দ , সমানাধিকার হাতের নাড়ু তো , এমনিই এসে যাবে । মারপিট করতে হবেনা।

    এই কাল না পরশু দেখলুম এক "ফেমিনিস্ট " লম্বা প্রবন্ধ নাবিয়েছেন ফেবু তে , যে "ইনহেরেন্ট রেসপেক্ট " থাকা উচিত মেয়েদের প্রতি ছেলেদের । আলাদা করে আদায় করতে হবে কেন । এইসব ক্রিসচিয়ান মরালিটি ছোপানো ধারণা কদ্দিয়ে আসে মাইরি ? :) "ইনহেরেন্ট " আবার কি ? একই ইম্যাকুলেট কনসেপ্ট নাকি যে ইশ্বর তোমাদের মধ্যে রেসপেক্ট দিয়াছেন , লাও এবার বিলি করো :)) আপোষ করতে করতে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে।
  • aranya | 83.197.98.233 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ০৩:৪৭56343
  • ধুর, আতোজ যে কি কয়
    মোট্টে অমন কিছু নয়

    আসলে ভারতীয় পুরুষ মানে কোন হোমোজিনিয়াস এনটিটি না, বিভিন্ন রকম লোক আছে, এটাই বলতে চাই
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ০৫:০০56347
  • বাইরে থেকে কেউ খেটেখুটে এলে আর অন্যজন যদি বাড়ি থাকেন তো জল চাইলে বা কেউ জল দিলে বলার মত আছেটা কী ? মানে এতে খারাপটা কীসের ? ছেলে, মেয়ে দুজনের বেলাতেই প্রযোজ্য।
    হ্যাঁ, মেয়েরা খেটে ফিরলো, আর ছেলেটি বাড়িতে থেকেও জল চাইতে জল দিলো না কি কখনো নিজে থেকেও দিল না বা মেয়েটি সে মেয়ে বলেই ছেলেটির কাছে চেয়ে উঠতে পারলো না, সেগুলোকে খারাপ বলতে রাজি আছি ( অন্য কোন ফ্যাক্টর নেই ধরে নিয়ে)।
  • শারদ্বত | 53.230.135.62 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ০৯:১১56344
  • @aranya, ওই আর কি, তাকে কি আর ছুঁড়ে ফেলা যায়...! ওই মেন্টালিটিটাকে ছুঁড়ে ফেলতে বলছি... :)
  • cb | 208.147.160.75 (*) | ১১ মার্চ ২০১৬ ০৯:২৭56345
  • জল দে - আগে বোন, এখন বৌ, আমার নিয়মিত দাবি ছিল/আছে :)

    এবং রীতিমত রেসিপ্রোকেট করি।
  • Du | 118.19.104.159 (*) | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৫56348
  • জাহাজ ডুবতে থাকলে এক্সপেক্ট করা হয় - ছেলেরা মেয়ে এবং শিশুদের আগে নৌকায় উঠে চলে যেতে দেবে - এবং নিজেরা সম্ভবতঃ ডুববে --এইটা রোজ এসে রান্না করার চেয়ে কম এক্সপেক্টেশন কি?
  • dc | 132.164.37.52 (*) | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৪:২৪56349
  • "এইটা কিছুতে কাউকেই কখনো বলে উঠতে পারলাম না -চা, জল, কাবাব কিছুই না"

    আমি চা আর জল চেয়েও খাই, আবার বানিয়েও দি (চা) বা গ্লাসে করেও দি (জল)। তবে নানারকম ড্রিংকস বানানো আমার স্পেশালিটি, এটা বাড়িতে সবাই জানে। আজ বিকেলে যেমন মার্গারিটা মকটেল বানিয়ে মেয়ে আর স্ত্রীকে খাওয়ালাম। আর হ্যাঁ কাবাব বানানো একেবারেই আমার স্পেশালিটি। বন্ধুরা এলে আমিই বার্বিকিউ বানাই, তবে আমার স্ত্রী যোগাড়যন্ত্র করে অবশ্যই সাহায্য করে। এই হলো আমার চা জল আর কাবাবের লিস্টি ঃ)
  • ranjan roy | 24.97.21.94 (*) | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৫:৫৭56350
  • আমার এক মহিলা বন্ধু বছর দশেক আগে আমায় তুমুল আর্গুমেন্ট করে বুঝিয়েছিলেন যে ফেমিনিজম মানে পুরুষকে বাদ দিয়ে নয়। আসলে ওর লক্ষ্য হচ্ছে যুগ যুগ ধরে সুবিধে পেয়ে পেয়ে পুরুষ যে কি বর্বর হয়েছে সে ব্যাপারে তাকে সচেতন করা।
    আর জুতোখোলা বন্ধুপত্নীটি বা আমার বয়সী আমারই কোন আত্মীয়া-- এঁরা আদৌ প্রেমে গদগদ হয়ে ন'ন, নিরুপায় হয়েই কাজগুলো করেন। দ্বিতীয় জন জুতো খোলেন না, কিন্তু স্বামীর সব আবদার -- খাওয়াদাওয়া, পোষাক, শরীরের চাহিদা( নিজের শরীর বা মন খারাপ থাকলেও) মেটান ও সেটাকেই আদর্শ ও সেফ মনে করেন। দুটো কারণ,
    এক,----- স্বামীরত্নটি বয়সে বড়,
    দুই,---- সম্পত্তির মালিক।
    কাজেই সম্পর্কের মধ্যে বেশ গার্জেন গার্জেন কর্তা কর্তা ভাব।
    এটাই আমার খুব চিড়বিড়িয়ে ওঠা রাগের কারণ।
    দুজন বন্ধু হবে, মতবিনিময় ঝগড়া সব করবে। কিন্তু কেন নিজস্ব ব্যক্তিত্ব বিকিয়ে দেবে? এখানে বন্ধুত্ব কোথায়?
  • ranjan roy | 24.97.21.94 (*) | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৫:৫৭56351
  • আমার এক মহিলা বন্ধু বছর দশেক আগে আমায় তুমুল আর্গুমেন্ট করে বুঝিয়েছিলেন যে ফেমিনিজম মানে পুরুষকে বাদ দিয়ে নয়। আসলে ওর লক্ষ্য হচ্ছে যুগ যুগ ধরে সুবিধে পেয়ে পেয়ে পুরুষ যে কি বর্বর হয়েছে সে ব্যাপারে তাকে সচেতন করা।
    আর জুতোখোলা বন্ধুপত্নীটি বা আমার বয়সী আমারই কোন আত্মীয়া-- এঁরা আদৌ প্রেমে গদগদ হয়ে ন'ন, নিরুপায় হয়েই কাজগুলো করেন। দ্বিতীয় জন জুতো খোলেন না, কিন্তু স্বামীর সব আবদার -- খাওয়াদাওয়া, পোষাক, শরীরের চাহিদা( নিজের শরীর বা মন খারাপ থাকলেও) মেটান ও সেটাকেই আদর্শ ও সেফ মনে করেন। দুটো কারণ,
    এক,----- স্বামীরত্নটি বয়সে বড়,
    দুই,---- সম্পত্তির মালিক।
    কাজেই সম্পর্কের মধ্যে বেশ গার্জেন গার্জেন কর্তা কর্তা ভাব।
    এটাই আমার খুব চিড়বিড়িয়ে ওঠা রাগের কারণ।
    দুজন বন্ধু হবে, মতবিনিময় ঝগড়া সব করবে। কিন্তু কেন নিজস্ব ব্যক্তিত্ব বিকিয়ে দেবে? এখানে বন্ধুত্ব কোথায়?
  • ranjan roy | 24.97.85.102 (*) | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৬:০৫56352
  • আমার এক মহিলা বন্ধু বছর দশেক আগে আমায় তুমুল আর্গুমেন্ট করে বুঝিয়েছিলেন যে ফেমিনিজম মানে পুরুষকে বাদ দিয়ে নয়। আসলে ওর লক্ষ্য হচ্ছে যুগ যুগ ধরে সুবিধে পেয়ে পেয়ে পুরুষ যে কি বর্বর হয়েছে সে ব্যাপারে তাকে সচেতন করা।
    আর জুতোখোলা বন্ধুপত্নীটি বা আমার বয়সী আমারই কোন আত্মীয়া-- এঁরা আদৌ প্রেমে গদগদ হয়ে ন'ন, নিরুপায় হয়েই কাজগুলো করেন। দ্বিতীয় জন জুতো খোলেন না, কিন্তু স্বামীর সব আবদার -- খাওয়াদাওয়া, পোষাক, শরীরের চাহিদা( নিজের শরীর বা মন খারাপ থাকলেও) মেটান ও সেটাকেই আদর্শ ও সেফ মনে করেন। দুটো কারণ,
    এক,----- স্বামীরত্নটি বয়সে বড়,
    দুই,---- সম্পত্তির মালিক।
    কাজেই সম্পর্কের মধ্যে বেশ গার্জেন গার্জেন কর্তা কর্তা ভাব।
    এটাই আমার খুব চিড়বিড়িয়ে ওঠা রাগের কারণ।
    দুজন বন্ধু হবে, মতবিনিময় ঝগড়া সব করবে। কিন্তু কেন নিজস্ব ব্যক্তিত্ব বিকিয়ে দেবে? এখানে বন্ধুত্ব কোথায়?
    "গৃহিণীসচিবসখীপ্রিয়শিষ্যাললিতেকলাবিধৌঃ" এর মধ্যে বড়জোর প্রিয়শিষ্যাই চোখে পড়ছে, বাকি গায়েব!!
  • ranjan roy | 24.97.85.102 (*) | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৬:০৬56353
  • উঃ, কী যা তা!
    সরি! লাইট চলে গেছল, তাই এই বিপত্তি।ঃ(((
  • রৌহিন | 233.223.135.252 (*) | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৮:০০56354
  • লাইটকে ঙ দেওয়া গেল না - লাইট না গেলে লাস্ট লাইনটা মিস হয়ে যেত বোধ হয়। তাই ঘ।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১২ মার্চ ২০১৬ ১০:১০56355
  • অধিকারের অসামঞ্জস্য নতুন নয়, সব যুগে, সব দেশে।
    রঞ্জনদার যে পরিচিত/বন্ধু/আত্মীয়ের বর্ণনা পড়লাম, তা "স্বাভাবিক" ধরে নেয়া হয়। বাকি আমরা মুষ্ঠিমেয় কজন অপেক্ষাকৃত কম অসামঞ্জস্য ভোগ করে আনন্দে আহ্লাদে গদোগদো হই, হিসেব করলে দেখা যাবে আমরাও চাকরির সময় একই কাজের জন্য কম স্যালারী পাচ্ছি, বা ঐরকম আরো অনেক অসামঞ্জস্যের মধ্যে রয়েছি। কিন্তু মুখফুটে তা বলতে দ্বিধা লজ্জা কাজ করে। অথচ এগুলো স্বীকার করবার মধ্যে লজ্জার কোনো কারণ নেই, যদিনা এমন মনে করি যে, আমি ডিস্ক্রিমিনেটেড হচ্ছি এটা যেন কেউ না জানে।
    বাস্তবিকই এইটেই মনে হয় কারণ, কেননা এই মুহূর্তে এইটে লিখতে গিয়ে মনে হলো, নিজের কথাও কিছু লিখি, অথচ তৎক্ষণাৎ দ্বিধা দ্বন্দ্ব এসে আমাকেই থামিয়ে দিল। কিন্তু রঞ্জনদা সহজ স্বাভাবিক ভাবে যেটা বললেন, সেটাকে কাউন্টার করতে আমি যেকোনো সময় পারি, যদিও ঠিক অমনি বা আরো বেশি অসামঞ্জস্যের ঘটনা সজ্ঞানে চেপে যাবো। এইজন্যেই আমি বা আমার মতো মেয়েরা স্ট্যাটিসটিক্স কমিয়ে রাখবো।
  • aranya | 154.160.98.93 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০56358
  • * দুজনে
  • aranya | 154.160.98.93 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০56357
  • দুজনের একসাথে বাস করলে, বিয়ে, লিভ টুগেদার যাই হোক, সহজ একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলেই সবচেয়ে ভাল মনে হয়। কুন্ঠাহীন ভাবে জল/চা/কাবাব/বিরিয়ানি চাইতে এবং নিজেও যোগাতে পারলে, নাথিং বিটস দ্যাট :-)

    আমি চেয়ে উঠতে পারি না, সেটা মদীয় অক্ষমতা
  • aranya | 154.160.98.93 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৩:০০56356
  • পাই, আমি কিন্তু খারাপ/ভাল-র কথা বলি নি, রেসিপ্রোকেট করলে (যেমন সিবি বা ডিসি লিখেছেন) আর খারাপ হবে কেন

    ভারতীয় পুরুষ বিভিন্ন রকম হয়, এক খোপে ফেলা যায় না -এইটুকুই বলতে চেয়েছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন