এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 90067.146.9004512.46 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৩৮62957
  • ফার্স্ট বয় মানে ভালো সক্কলে জানে। কিন্তু ভালো মানেই ফার্স্ট বয় নয়। আর খুব ভালো মানে তো ফার্স্ট বয় একেবারেই নয়।

    আইআইটি কোচিং কে ভালো করে নিলো আর কে ভালো ইন্জিনিয়ার তৈরী হলো এর মধ্যে প্রায় কোনই কোরিলেশন নেই। কারণ আইআইটি এন্ট্রান্স (বা যেকোনও এন্টান্সই) কে ভালো ইন্জিনিয়ার সেটা নির্ধারণ করেনা, তাইলে সেটাকে আর এন্ট্রান্স বলা হতো না। হ্যাঁ ভালো অন্ক, ফিজিক্স জানা থাকলে একটা ইন্জিনিয়ারিং সমস্যার সমাধান করতে সুবিধে হয় বইকি। কিন্তু সমস্যাটা যে আদৌ আছে সেটা জানতে গেলে যা লাগে সেটা কোনও কোচিং সেন্টার শেখাতে পারেনা। তাই ইন্ডিয়া আউটসোর্সিং হাব হয়েই থেকে গেলো।

    ১৯৮৬র ফার্স্ট বয় আর আইআইটি এন্ট্রান্সের ফার্স্ট বয় এক নয়। আইআইটি এন্ট্রান্সের ফার্স্ট বয়কে বোধয় সেই ছেলের সাথে তুলনা করা যেতে পারে যে সবথেকে বেশিক্ষন বল ড্রিবল করতে পারে।
  • শঙ্খ | 2345.110.673412.48 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৩৯62928
  • পাই হোম ওয়ার্ক করে ক্লাসে এসেছে
  • dc | 127812.49.450123.123 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৪৪62929
  • কিন্তু পাই ম্যাডামের হোমওয়ার্কে কিছু ফাঁক আছে। চেরেংকভ আর ল্যান্ডাউ এর নাম করেন নি। আর লিখতে লিখতেই ফ্রিডম্যানের নামও মনে পড়লো :p
  • dc | 127812.49.450123.123 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৪৭62930
  • "আমি তো যা বুঝলাম, এটা প্রশ্ন"

    প্রশ্নটা ভালো, কিন্তু ভূমিকায় লেখক যা লিখেছেন তা এককথায় ঘোড়ার ডিম :d
  • pi | 785612.40.8967.86 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৫৪62931
  • আপনারও রিডিঙ্গ এ ফাঁক আছে ঃ) আনি কোথাও লিখিনি, আমি সব নাম লিখেছি বা লিখছি।
  • S | 90067.146.9004512.46 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৮:৫৫62932
  • "আজকের তুমুল প্রতিযোগিতায়(যেখানে ব্যক্তি-মেধা ও স্কিল গুরুত্বপূর্ণ)"

    এটা একটা বিরাট অ্যাজাম্পশান। চারিপাশে সর্বক্ষন সেটাই গেলানো হচ্ছে যে আজকের তুমুল প্রতিযোগিতার বাজারে ব্যক্তি-মেধা ও স্কিল খুব গুরুত্বপূর্ণ ইত্যাদি হ্যানা ত্যানা। আমার একেবারেই মনে হয়নি। এখানে যারা তুমুল প্রতিযোগিতার চাকরী করেন সত্যি করে বলুন তো কে কে মনে করেন যে তাঁরা অত্যন্ত স্কীলফুল ও মেধাসম্পন্ন এবং ইরিপ্লেসিবল। যেসব রেগুলার স্কীলের কথা আমরা বলি সেসব যেকোনও মধ্যমেধার উৎসাহী লোককে কয়েক মাসে শিখিয়ে নেওয়া যায়। যেটা আজকের তুমুল প্রতিযোগিতার হাত ধরে এসেছে তা হলো বাজে ওয়ার্কিং আওয়ার্স, আনরিজনেবল এক্সপেক্টেশন, ফালতু অফিস পলিটিক্স, আর গুচ্ছের স্ট্রেস। কোচিং ইনস্টিটিউটগুলো এসব জিনিস ভালই শিখিয়ে দেয়। র ট্যালেন্ট খুব রেয়ার।

    আইআইটির এতো এতো মেধা সম্পন্ন জনগনকে ভালো চাকরী বাগানো আর কারি কারি টাকা উপার্জন করা ছাড়া মহান কিছু করতে তো এখনো দেখলাম না। হাই এন্ড অ্যাসেমব্লি লাইন।
  • শঙ্খ | 2345.110.673412.48 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:০৬62934
  • মহান কিছু করবেই বা কেন?
  • কুশান গুপ্ত | 5645.64.012323.203 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:০৬62933
  • এতক্ষণে দুটি একটি প্রতিহত করিবার মত পয়েন্ট পাইলাম। তাহার আগে তো 'কুমীর তোর জলকে নেমেছি' চলিতেছিল।
    সকলকে বিস্মিত করিয়া লাস্ট সিনে আবার সে আসিবে ফিরিয়া।শুরু করিবে থার্ড ডিভিশন লীগের মগজমারি। আপাতত একটি টেস্ট লইতে বাহির হইব।

    ততক্ষণ, বলেন তো সকলের তরে তামুক আজ্ঞা করি।
  • শঙ্খ | 2345.110.673412.48 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:০৮62936
  • আমার জন্যে একটু হুসকি সোডা বলেন। তামুকটা ঠিক আসে না।
  • dc | 7823.62.9001212.118 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:০৮62935
  • আইআইটি ক্র্যাক করার সাথে উচ্চ মেধা থাকার কোরিলেশানটাই তো ভুল। কারন আইআইটি ক্র্যাক করার জন্য যদি উচ্চ মেধা লাগে তাহলে এই হাজার হাজার কোচিং ক্লাস গজাচ্ছে কেন?
  • dc | 7823.62.9001212.118 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:১০62937
  • তবে এই টইতে একজনকে বড়োই দরকার - বিপ্লব পাল।
  • শঙ্খ | 2345.110.673412.48 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:১৪62938
  • এবাবা, মেধা হল গিয়ে আপনার যাকে বলে ইসে, মানে আঁকাট ডাইমন্ড। কোচিন ক্লাসে সেই হিরেকে কেটে সঠিক শেপে নিয়ে আসা হয়।
  • dc | 7823.62.9001212.118 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:২৫62939
  • হেহে। সেজন্যই বোধায় এখন পারলে কেলাস সিক্স সেভেন থেকেই হীরে পালিশের কাজ শুরু হয়। আর পালিশের চোটে মেধাবীদের প্রাণান্ত হয়।
  • S | 90067.146.9004512.46 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:২৬62940
  • চাপ না দিলে হীরে তৈরী হবে কিকরে?
  • pi | 785612.40.8967.86 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৯:২৮62941
  • আমাদের সবচে সমস্যা তো মনে হয় কে কী ভাল পারে, কার কোনদিকে ন্যাক, প্যাশন সেই বুঝে তাকে চ্যানেলাইজ না করা। সেরকম সবধরণের প্রফেশনের এক্স্পোজার ও তাতে কাজের সুযোগ করে দেওয়া। গড্ডলিকা প্রবাহ খুবই সমস্যার।
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.0145.166 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ১০:২৭62958
  • S আপনাকে লিখছি স্কিলটাকে জোর দিতেই মারাদোনার analogy. ফার্স্ট বয় মানে ভালো সবাই জানে। তার পরের বাক্য দুটি আপনার, ফলে আমার পোস্টে না চাপানোই ভালো।
    যাঁরা আমার পোস্টে ভাবছেন যে আমার উদ্দেশ্য কি সেই প্রসঙ্গে বলি, কোনো উদ্দেশ্য, কাউকে গ্লোরিফাই করা, কারুর পক্ষে/বিপক্ষে, ইরোডভ বললাম, কিন্তু চেরেঙ্ক বাদ রয়ে গেল কেন ইত্তাদি ছেড়ে বলি প্রযুক্তির কথা এসে পড়েছে সেই প্রসঙ্গেই বলি
    ভালো ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে আমার ধারণা কি সেটা পরে বলতে পারি।যদি থ্রি ইডিয়েটের আমির খানকে ধরি যে সে ভালো ইঞ্জিনিয়ার, যন্ত্র খুলে ফেলে লাগায়, তৈরি করে ইনভেটিভ যন্ত্র। কিন্তু, প্রথমে যে স্পেস টেকনোলজির প্রসঙ্গে পেন্সিল মডেল আর ভাইরাসের গ্রাভিটির কত মিলিয়ন খরচ করা মডেল এটা তো কোল্ড ওয়ারের সময়কার বহুচর্চিত সোভিয়েত বনাম মার্কিনের লড়াই। এক্ষেত্রেও ভালো ইঞ্জিনিয়ারের যে ধারণা দেওয়াল হচ্ছে, যে ব্যবস্থা কে চ্যালেঞ্জ করে। অথচ এটি একটি বাণিজ্যিক ছবির বিষয়।কোন অজানা নিয়মে সোভিয়েত মডেলটি যেন জিতে যাচ্ছে।
    ইঞ্জিনিয়ারিং প্রসঙ্গে বলি, আমাকে একটি বিষয় পড়াতে হয়। সেখানেও দেখেছি ম্যাকগ্র হিলের বই তে অজস্র জিনিস রেজনিকভ বলে একটি বিপলবোত্তর সোভিয়েত বই থেকে টোকা। ছবি টবি সব। পাতার পর পাতা। এই বিষয়টি হল পাওয়ার প্ল্যান্ট সংক্রান্ত।

    আমি পিশকুনভের গণিতের বইটি খানিকটা দেখেছি।অসামান্য। পেরেলম্যান পড়েছি। নিজের ফিল্ডে পড়েছি ল্যাখটিন, রেজনিকভ, Acherkan সহ আরো অনেক বই।

    এবার আসি স্কিল প্রসঙ্গে। যদি আদিম ইঞ্জিনিয়ারিং অর্থাৎ পুরোনো পাথর যুগে সেটা আসলে অস্ত্র বানানোর স্কিল। স্যাপিয়েন্স এর বই এর সাক্ষ্য দেবে। এর জন্য অস্ত্র বানানোর একমুখী অনুশীলন দরকার। হাওড়ার ঘিঞ্জি ওয়ার্কশপে গিয়ে যে স্কিল দেখেছি ক্লাস এইট পাশ যুবকের তাতে নিজের জন্য লজ্জা হয়েছে। নিজের ওয়ার্কশপ। নিজেই মালিক। একা কাজ করছেন।কোন ধরনের স্টিলে কি ওয়েল্ডিং লাগবে, কখন কত সাইজের বোল্ট, ফ্ল্যাঞ্জ লাগবে তিনি মুহূর্তে বলে দিচ্ছেন। এদের আমরা শ্রমিক বলি। ইঞ্জিনিয়ার বলি আই আই টি পাশ ছেলেদের। কারণ তাঁরা দ্রুত প্রব্লেম সলভ করেন।
    এখানে কি আমি নিজেকে কাটলাম? না, একেবারেই না। আমার ইনিশিয়াল assumption হলো যে ধরে নিচ্ছি তাঁরা প্রতিভাবান। কেন ধরছি?
    কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে IIT ই চেনে। ক্যাপিটালিস্ট এমনি এমনি চেনে না, নিজের স্বার্থে চেনে। সেক্ষেত্রে IIT র ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে পরে America যেতে গেলে কি ইরোডভ দরকার হচ্ছে না?

    স্ট্যানফোর্ড যেতেও তো gre লাগে। সেটা কি ব্যারনের ওয়ার্ড মুখস্ত করা নয়?সেক্ষেত্রে তো স্কিলের চেয়েও মারাত্মক ব্যাপার চলে আসছে। মুখস্তবিদ্যা। যদি ধরি কেউ স্ট্যানফোর্ড কি এম আই টি থেকে ফিজিক্সে গবেষণা করতে চান, তাকে তো সেই ওয়ার্ড মুখস্ত করতে হচ্চে, এমনকি কি সব জামাই ঠকানো প্রশ্নও সলভ করতে হচ্ছে।

    আর মানুন না মানুন টোল সব সময় ছিল। মহাভারতের সময় দ্রোনাচার্জের টোল ছিল। যেখানে একলব্য চান্স পেতেন না। আজকের ভাল টোল এ চান্স পেতে গেলে পয়সা বেশি ঢালতে হচ্ছে। কিন্তু আমি একলব্য র পক্ষে। যারা সুযোগ পাচ্ছে না।
    'সমস্যা টা যে আদৌ আছে' এই প্রশ্নে আমি একমত। তবে এটা বুঝতে অনেক ম্যাচিউরিটি লাগে। অন্তত 23/24 কি তারও বেশি। এই প্রসঙ্গ টা গবেষণা র কথা।
  • সিকি | 670112.223.7856.87 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ১২:২৫62942
  • আগে বিপ্পালকে ডাকা হবে। পরের কথা পরে। ডিসিকে ক।
  • Lambda | 340112.242.8990012.1 (*) | ০৩ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৫৭62943
  • ইয়া পেরেলম্যানের পদার্থবিদ্যার মজার কথা আমরা ছোটবেলায়, মানে ক্লাস সেভেন বা এইটে পড়েছিলাম । দারুণ ভাল বই ছোটদের ফিজিক্সের মজা বোঝানোর জন্য।সেটাও মীর প্রকাশনীর। একই লেখকের একটা গণিতের মজা বলেও বই ছিল
  • S | 90067.146.9004512.46 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০১:১১62959
  • কৃশানু, রাশিয়ানরা অন্ক বা ফিজিক্স বা ইন্জিনিয়ারিংএ ভালো ছিলো সেটা তো জানা কথা। ঐযে আপনি তো লিখেই দিয়েছেন। ওদের মিলিটারি/ডিফেন্স দেখুন। আরো অনেক উদাহরণ দিতে পারি। এখন সেটা আম্রিগার থেকেও ভালো নাকি অতটাও নয়, সেটা আলোচনা সাপেক্ষ। আমার মনে হয়েছে অতটাও নয়, কিন্তু ঐযে সেখানে তর্ক আসে। তাই ঐ আলোচনাতেই যাবোনা।

    কিন্তু আইআইটি এন্ট্রান্সে একটা বই পড়ানো হচ্ছে বলেই সেই লেখক ও বই মহান, এইটাতে আপত্তি আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে IIT ই চেনে, এটা ঠিক কথা। কিন্তু কি হিসাবে চেনে? কেরানী হিসাবে। আইটি কুলি হিসাবে। আগেই বলেছি তাড়াতাড়ি কঠিন অন্ক কষে দেবে, সেই হিসাবে। ইনোভেটর হিসাবে নয় (যেটা আপনিও পরে লিখেছেন আপনার পোস্টে)। খুব ভালো রিসার্চার হিসাবে আলাদা করে খুবেকটা নাম নেই ভারতীয়দের। এক্সেপশনাল রিসার্চার আছেন অবশ্যই, কিন্তু সেটার প্রোপোর্শান খুব বেশি না।

    জিআরই নিয়ে একটু লিখি। আমি আগেও অন্যত্র বলেছি এই পরীক্ষাটা অত্যন্ত মিনিংলেস মনে হয় আমার। তবে স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট নিয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে। এমাইটিতে (বা টপ স্কুল গুলোতে) পেতে গেলে শুধু জিআরই দিয়ে হয়না (আপনি জানেন আশা করি)। সেখানে অন্য অনেক কিছু দেখা হয়। গ্রেড, রেফারেন্স লেটার, এসোপি, কটা পেটেন্ট আছে, পাবলিকেশন, ইন্টার্নশিপ, আরো হাজার জিনিস। জিআরই সেখানে টার্শিয়ারি। কারোর পার্ফেক্ট স্কোর থাকলেও না হতে পারে। জিআরই কিছুটা ম্যাটার করে নীচের দিকের স্কুলে।

    আমিও একলব্যের পক্ষে। কিন্তু আমরা যদি ফার্স্ট বয় নিয়েই ব্যস্ত থাকি তাহলে হাওড়ার ঘিঞ্জি ওয়ার্কশপের ক্লাস এইট পাশ যুবককে কে নিয়ে আসবে ক্যাপিটালিজমের আলোয়?
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.237812.175 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০১:১৮62986
  • আমি সর্বাঙ্গাসনে এই প্রস্তাব সমর্থন করিলাম।
    এবং, মৌনতা।
    আসলে শবাসনে আছি।
  • dc | 232312.164.890123.46 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৪২62960
  • কুশানবাবু, "আজকের জীবন প্রতিযোগিতামূলক", এটা ঠিক লিখেছেন, আর ঠিক এখানেই আমার তীব্র আপত্তি আছে। তার কারন আমাদের দেশে আমরা প্রতিযোগিতাকে একটা অসুস্থ প্র্যায়ে নিয়ে গেছি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো ছেলেমেয়েকে ইন্জিনিয়ার বা ডাক্তার বানানো, আর তার জন্য আইআইটির পরীক্ষা পাশ করানো। আইআইটি ছাড়া আমরা আর কিছু ভাবতে পারিনা, তার ফলে ক্লাস সেভেন এইট থেকে ছেলেমেয়েদের ফিটজি আর আরো এক গাদা কোচিং এ ভর্তি করানোর প্রতিযোগিতা চলছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের ওদের নিজেদের মতো হয়ে বড়ো হতে দি না, ওদের নিজেদের মতো করে ভাবতে দি না, ছোটবেলার থেকে ওদের একটাই কথা শেখাই - আইআইটি আর কম্পিটিটিভ পরীক্ষা।

    অথচ আইআইটি ইত্যাদি না করেও কিন্তু বহুভাবে জীবনে সফল হওয়া যায়, শুধুমাত্র নিজের প্যাশন ফলো করেও দিব্যি ভালোভাবে বেঁচে থাকা যায়। আপনি হয়তো য়ুটুবে কেসি নাইস্ট্যাটের ভিডিও দুয়েক সময়ে দেখে থাকবেন। এই লোকটা অসম্ভব ট্যালেন্টেড, একেবারে নিজের টার্মসে নিজের লাইফ লিড করে। আইআইটির বা ইন্জিনিয়ারিং এর ধারকাছ দিয়েও যায়নি। আরেকটা লোক আছে, লস্ট লেব্ল্যাংক নামের চ্যানেল, ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার ছিল, চাকরি ছেড়ে দিয়ে নানান দেশ ঘুরে বেড়ায় আর ভিডিও আপলোড করে। একটা মেয়ে, ও একেবারে অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে, স্কুল পালিয়ে জিমনাস্টিক্সের ক্লাসে জয়েন করেছিল, তার পর ওর মা একটা ওই ধরনের স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিল, এখন ও একটা সার্কাস টিমে আছে, সির হুইলের খেলা দেখায়। এরকম আরও অনেকে আছে, স্যাম চুই ফিনান্সের চাকরি ছেড়ে এয়ারলাইনের রিভিউ লেখে। লেউ আর্টিস্যান, কেউ শেফ, কেউ অ্যাডভেঞ্চার টুরিজম করে। এরা প্রত্যেকে নিজেদের ইন্টারেস্ট ফলো করেছে, নিজেদের লাইফ এনজয় করছে। আসল কথা হলো নিজের মতো করে কিছু করা, নিজের মতো করে বাঁচা। আইআইটি, ইন্জিনিয়ারিং, কোচিং, এসব তুচ্ছ।

    আর লাস্টে একটা কথা বলি। ইরোদভের বইটা অনেকদিন খুলে দেখা হয়নি, তবে যদ্দুর মনে পড়ছে বইটার শুরুতে লেখা ছিল, এই আগে প্রব্লেমগুলো বোঝো, এগুলো কেন জিগ্যেস করা হয়েছে সেটা বোঝো, তারপর সলভ কোরো। তবে এই কথাগুলো ইরোদভে লেখা ছিল নাকি ট্যানেনবমের নেটওয়ার্কিং এর বইতে লেখা ছিল সেটা মনে পড়ছে না, গুলিয়ে গেছে। এই দুটো বইই একসময়ে আমার প্রিয় ছিল ঃ)
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.1245.142 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৩২62961
  • S ও dc আপনাদের বক্তব্যের স্পিরিটের সঙ্গে অনেকাংশে একমত। তাছাড়া মূল্যবান রেফারেন্স কিছু পেলাম। তার আগের অনেকের কাছ থেকেও পেয়েছি। সবটা মিলিয়ে বলি, আমার এই ছোট লেখায় সব আমি বলিনি, একটা হালকা ছোঁয়া দিয়ে একটা তর্ক ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি চাইছিলাম। সে দিক দিয়ে দেখলে আমার লেখার শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল:
    'ইরোডভের পক্ষে কিছু উস্কানি মূলক কথাবার্তা।'
  • dc | 232312.164.890123.46 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১৯62962
  • ট্যানেনবম না। এই কথাটা বোধায় রেজনিক হ্যালিডেতে ছিল।
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.3445.118 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪০62963
  • আলোচনা হচ্ছে, তবে ব্যক্তিগত দু একটা কথা:
    1. dc, রেসনিক হ্যালিডে দেখেছি। পাতা উল্টে পাঠোদ্ধার করতে পারিনি। এতে হালকা হীনমন্যতা ছিল। ইংরিজি বই, বিশেষত বিজ্ঞানের, পড়তে পারতাম না। আমরা মোমেন্টাম বলতে ভরবেগ, আর মোমেন্ট বলতে ভ্রামক বুঝতাম।

    2. পেরেলম্যান বাংলাতে পড়েছি। আরো অনেক সোভিয়েত বই। বিজ্ঞান, ও গল্পের বই। একটা বইতে কিছু সুন্দর প্রসঙ্গ ছিল। কিছু অদ্ভুত জিওমেট্রিক শেপের অঙ্ক না কষে কিভাবে সিজি বের করতে হয়।

    3. কলেজে প্রথম দুটো বছর রেজাল্ট বেশি খারাপ হওয়ার কারণ ইংরেজিতে ধাতস্থ না হওয়া।

    4. ইংরেজি না জানার জন্য অংকের বইতে অসুবিধে কম হ
  • lcm | 900900.0.0189.158 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪০62964
  • সহজলভ্য সোভিয়েত প্রকাশনার বই নিয়ে গুরুচন্ডালিতে আগে আলোচনা হয়েছে বোধহয়, তো আর একটু হোক -

    ১৯৪৫ এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হল। আর তারাপ্র থেকেই শুরু হয়ে গেল ইউএস-সোভিয়েত কোল্ড ওয়ারের প্রস্তুতি, যা হয়ে গেল মূলত প্রযুক্তির প্রতিযোগিতা।
    সোভিয়েত গভর্নমেন্ট MIR প্রকাশন সংস্থা তৈরি করে, ১৯৪৬-এ মস্কোতে। শুরুতে উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় স্কুল/কলেজ পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করা, অন্য ভাষা থেকে সহজ রাশিয়ান ভাষায় অনুবাদ করা। প্রচুর রাশিয়ান বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, ভাষাবিদ-রা এই কাজে হাত লাগান। এনারা পশ্চিম ইউরোপ এবং আমেরিকার বিজ্ঞান পাঠ্যক্রম খুব মনযোগ সহকারে অনুধাবন করতেন, এবং, কীভাবে সহজ রাশিয়ান ভাষায় বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় বই, স্কুল-কলেজের কারিকুলাম তৈরি করা যায় তা নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা হত। রাশিয়ানরা মাতৃভাষায় আধুনিক বিজ্ঞান চর্চার এক অসাধারণ পরিকাঠামো তৈরী করেছিলেন। এটি শুরু হয় তিরিশের দশক থেকেই। কিন্তু শুরুর দিকে পার্টি কন্ট্রোল ছিল অনেক বেশি, অবশ্য অনেক পরীক্ষানিরীক্ষাও চলছিল, এখানে বলছে --
    ...Soviet education in 1930-1950s was inflexible and suppressive. Research and education, in all subjects but especially in the social sciences, was dominated by Marxist-Leninist ideology and supervised by the CPSU. Such domination led to abolition of whole academic disciplines such as genetics...
    যাই হোক, এই পরিকাঠামোর ফল দেখা গেছে পরে ৫০-৬০ এর দশকে স্পেস প্রোগ্রাম থেকে, মিলিটারি রিসার্চ এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় সোভিয়েত বিজ্ঞানীদের অভাবনীয় দক্ষতা। এটা হ্ঠাৎ করে তো হয় না। মাতৃভাষায় বিজ্ঞানশিক্ষার পরিকাঠামো ছিল এর প্রাথমিক ভিত্তি।

    এর পর ধরো মোটামুটি ৫০-৬০ এর দশক থেকে শুরু হয় সোভিয়েত প্রোপাগান্ডায় ইনভেস্টমেন্ট। তখন শুরু হল এই সব পাঠ্যপুস্তকের ইংরেজিতে অনুবাদ। একটা সময় ছিল যখন দৈনিক নাকি প্রায় ১০ টন ছাপানো মেটিরিয়াল বেরোত (প্লেনে, জাহাজে, ট্রেনে করে) সোভিয়েত রাষ্ট্র থেকে - পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় ছাপানো। এতে থাকত - ম্যাগাজিন, বই, খবরের কাগজ, পাঠ্যপুস্তক, রাশিয়ান সাহিত্যকর্মের অনুবাদ, ব্রেজনেভের স্পিচ, চেকভের কনসার্টের ক্যাসেট/টেপ...। রেডিও মস্কো থেকে ভারতের জন্য সপ্তাহে প্রায় ১২০ ঘন্টার প্রোগ্রাম এয়ার্ড হত মূলত ইংরেজি ভাষায়, এবং প্রায় আরও পাঁচটি ভারতীয় ভাষায়। সোভিয়েত-ল্যান্ড ম্যাগাজিন ছাপা হত ১৩টি ভারতীয় ভাষায়। তখন ভারতের কোনো একটি ম্যাগাজিন এত ভাষায় ছাপা হত না। শুধু ১৯৭৯ সালেই ভারতে ৫ লাখের বেশি ছাপানো মেটিরিয়াল এসেছে রাশিয়া থেকে।

    আসত মির প্রকাশনার বিজ্ঞানের বই - অংক এবং পদার্থবিদ্যার বই ছিল বেশি। ভারতের প্রায় ৬০-৭০ টি প্রকাশকের সঙ্গে মির-এর বোঝাপড়া ছিল বিভিন্ন ভাষায় বই প্রকাশ এবং বিতরণের জন্য ('বিতরণ' বলছি কারণ মির এর থেকে কোনো লাভ থাকত না)। ভারতীয়দের দুটি সুবিধে হত এই বইগুলোতে, প্রথমত খুব শস্তা, আর বইগুলোর ইংরেজি ছিল খুব সহজপাঠ্য, এমনকি অনেকক্ষেত্রে ভারতীয় লেখকদের লেখা ইংরেজি বিজ্ঞান বিষয়ক বইগুলির থেকেও সহজপাঠ্য। যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার মেটিরিয়াল ছাপানো হত সোভিয়েত থেকে, কিন্তু বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের অনুবাদ রাশিয়ান থেকে মূলত ইংরেজিতে হয়েছে, অন্য ভাষায় কম, মানে ধরো পর্তুগিজ ভাষায়, বা স্প্যানিশ ভাষায় প্রোব্যাবিলিটির রাশিয়ান বই কম - কারণ উচ্চশিক্ষার বিজ্ঞানের বই অন্য ভাষায় অনুবাদ করা কঠিন, ভারতে তো এখনও কাজ চলছে।

    এই ইংরেজি বইগুলো ভারতে পাওয়া যেত, তার মানে এই নয় যে দেশে এই বই পাওয়া যেত না, সেখানে ছাত্ররা কিছু শিখত না। শস্তায় ভাল পাঠ্যপুস্তক পেলে শিখতে সুবিধে হয় সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

    আর এই কোন দেশের কোন পরীক্ষা সবথেকে শক্ত এসব কথা তো এমনি কথার কথা, যেমন এখন লোকে বলে চীনের গাওকাও (কলেজ এন্ট্রান্স টেস্ট) পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে শক্ত বা ভারতে আইআইটি শক্ত - এসব তো নাম্বার গেম, শতাংশের হিসেব, এইসব... তার মানে কি উরুগুয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্টুডেন্টদের মান কম - এসব এমনি, তেমন কিছু না।
  • dc | 232312.164.890123.46 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৩62965
  • পেরেলম্যান তো আমার ছোটবেলার অনেকগুলো বছর খুব প্রিয় বই ছিল। বাবা কিনে দিয়েছিল, তবে প্রথম ভল্যুমটা, দ্বিতীয় খন্ডটা অনেক পরে পড়েছি। মির পাবলিকেশানের কতো যে চটি বই ছিল আর সেগুলো পড়তে যে কি ভালো লাগতো কি বলবো। তার দুয়েকটা এখনো রয়ে গেছে। প্রোবাবিলিটির ওপর একটা ছোট্ট বই ছিল, "ইয়েস, নো অর মেবি"। আরেকটা বই ছিল, "দ্য ফাস্টেস্ট স্পিড"। আরেকটা বই পড়ে জানতে পেরেছিলাম ডিরাক সির কথা, "সামথিং কলড নাথিং"। যাদবপুরে সিপিএম পাট্টি স্টল দিতো, সেখান থেকে প্রতি বছর এরকম দুয়েকটা বই কিনতাম। অসাধারন সব বই ছিল।
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.3445.118 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৩62966
  • Icm
    চমৎকার মূল্যায়ন।
    একটা জিনিস এই প্রসঙ্গে বলি।
    সোভিয়েতের বিজ্ঞান ও উপন্যাস, গল্প এগুলোর অনুবাদ মন ছুঁয়ে নিত। উদাহরণ, পেরেলম্যান, আর্কাদি গাইদার।

    এই প্রসঙ্গে বলি সাহিত্যের বইগুলির অনুবাদক হিসেবে সমর সেন, মঙ্গলাচরন, ননী ভৌমিক প্রমুখ।

    রাজনৈতিক বইগুলির অনুবাদ ঘাঁটা হত। কারন কি।জানিনা।

    তখন সোভিয়েত বইগুলোতে সাইবারনেটিক্স প্রসঙ্গ খুব আসতো।

    লিঙ্গুইস্টিক্স নিয়ে বই ছিল। Anthropology নিয়েও।

    তবে, ওরা তলস্তয়, তুর্গনেভে জোর দিত মাকারেঙ্ক গোর্কির পাশে।
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.3445.118 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৪62967
  • dc আপনার আর আমার বক্তব্য এক। রেফারেন্স আলাদা।
    Something called nothing মন্দ লাগেনি।
  • lcm | 900900.0.0189.158 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:২৫62968
  • * চেকভ না, রাশিয়ান মিউজিশিয়ান নাম মনে পড়ছে না

    হ্যাঁ, রুশ শিশুসাহিত্য, রূপকথার গপ্পো - এসব সহজলভ্য হয়েছিল।
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.455612.69 (*) | ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:১৮62969
  • 1.প্রতিযোগিতা নিয়ে একটা মৌলিক প্রশ্ন তুলেছিলাম। কেউ address করেনি। বসে আঁকো, দাঁড়িয়ে নাচো টাইপস নয়। স্কুলের স্পোর্টস এ ভিক্টট্রি স্ট্যান্ড না থাকলে কি ছাত্র ছাত্রীদের ক্রীড়াতে উৎসাহ কমে যাবে?

    2. আবার আসছি ওই প্রথম প্রসঙ্গে। মারাদোনা প্রথম হলে ধেই ধেই করে নাচি কেন? ড্রিবল দেখেও তো মেসি দেখে নাচি। এগুলো তো স্কিল। স্কিল ছাড়া কি কোনো কিছু হয়?

    3. কোচিং সেন্টার লাগে। আধুনিক জীবনে আরো লাগে। মারাডোনার লাগে, কোনির খিদ্দা লাগে। লক্ষ্য করুন, কোনি কে ক্লাব জয়েন করতে হয়। তবেই সে চ্যাম্পিয়ন হয়।
    তা নাহলে গঙ্গায় সাঁতার কেটে ডাব নিয়েই কেটে যেত।

    4. আর কোচিং ট্রেনিং এর অভাবে কেই আই আই টি যায়, হাওড়ার ওই ছেলেটার জোটে আই টি আই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন