এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 340123.110.234523.17 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ০৭:১৭63490
  • আগে বিভিন্ন সরকারী গবেষণাগারে কন্ট্র্যক্চুয়াল টেকনিশিয়ানদের মাইনে বাড়ানো হোক। সোনার দোকানের সিকিউরীটি গার্ডের কত মাইনে?
    সংসারে যে উপার্জন করে তার মাইনে যদি ৯০০০ টাকা হয় তাহলে সে কাজের লোককে কত টাকা দিতে পারে?
  • PT | 340123.110.234523.17 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ০৭:২৩63491
  • বিপ্লব করতে চাইলে গোড়া থেকে শুরু করাই যুক্তিযুক্ত হবে!!
    ......out of this country's 121 crore population, only 11 lakh people earn a salary of more than ₹10 lakh per annum. That means that less than 0.091% of all the people in the country have a salary income of more than ₹10 lakh.......

    .......Only 38 lakh people in India earn a salary of more than ₹5.5 lakh per annum, which is less than 0.32% of the country's population.

    .....Either India is much poorer than I had imagined, or most people just don't file taxes.
    https://www.huffingtonpost.in/shivam-singh/indias-direct-tax-datadre_b_9817940.html
  • h | 340123.99.121223.132 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ১১:২৩63492
  • পিটি গুরু একটা কথা বলো। তোমার মূল আপত্তি টা কোথায়, মাইনে বাড়ায়, ধরো সেটা রিজনেবলে হল , ঐ ৫৪ টাকা পার আওয়ার যেটা এঁরা বলছেন, সেটায় আপত্তি, না কনট্রাকট ফর্মালাইজেশনে আপত্তি, না ডিগনিটি লজ বলতে কি বোঝানো হচ্ছে তাতে আপত্তি, না এই সেকটরে ইউনিওনাইজেশনেই আপত্তি। অনেক রকম ডোমেস্টিক ওয়ার্কার আছে। কেয়ার ওয়ারকার রা ক্রমশ প্রফেশনাল সার্ভিসের আওতায় আসছেন। যাঁদের আনস্কিলড ওয়ার্কার বলা হয় তাঁরা কেন আসবেন না?

    হ্যাঁ এই প্রবন্ধ টা আমি দেখেছিলাম, এটার একটা ভার্সন স্ক্রোলে বেরিয়েছিল কিনা জানিনা, যেখানে বলা হচ্ছে, ভারতীয় রা খুব অল্প সংখ্যাতেই উন্নত দেশের তুলনায় 'মিডল ক্লাস', এগ্রিড, কিন্তু তার সঙ্গে এদের ইউনিওনাইজেশন এর , ডিগনিটি র দাবী দাওয়া র, ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠার দাবীর অসুবিধে কোথায়। ফরমালাইজেশন তো সেকটরে জরুরী। ছোটো ইনডাস্ট্রি প এফ ই এস আই দেয় না, দোকানের কর্মচারীরা এসব পায় না, খুব বড় দোকান না হলে, প্রচুর লোক বেগার খাটে, কিনতু যতটা পারা যায় ফর্মালাইজেশনের চেষ্টা সরকার করবে না কেন?

    আমি বুঝলাম, তুমি স্কিল্ড ওয়ারকার আর লো স্কিলড ওয়ারকার এর একটা পার্থক্য চাইছো, ফেয়ার এনাফ, বাকি দাবীটা কি গুরু?
  • h | 340123.99.121223.132 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ১১:২৪63493
  • এইচ গুলো আমার পোস্ট, বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত , কলকাতা। বাংলায় হ বলে একজন মাঝে মাঝে লেখেন, আমি তিনি না।
  • একক | 3445.224.9002312.42 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ১১:৪২63494
  • আনস্কিল্ড লেবর বলে কিছু হয়না । এই শব্দটাই তয়ের হয়েচে লোকজনকে এক্সপ্লয়েট করার জন্যে । আপনার যা প্রয়োজন তা মেটাতে পারছে মানেই স্কিল্ড । সেটা মেটাতে না পারলে সেই প্রয়োজনের নিরিখে আনস্কিল্ড । ব্যাস । আপনি ঘর মোছাবেন ছেঁড়া ন্যাকরা দিয়ে , যিনি মুছবেন তাঁকে কী স্কালায় কোড লিকে নিজের স্কিল প্রমান করতে হবে ?

    যাঁরা নিজেদের বামপন্থী বলেন তাঁরাও যখন এইসব ধান্দাবাজ শব্দের চশমা দিয়ে জগত দেখেন তখন বুঝতে হয় বাম রাজনীতির মধ্যবিত্তায়ন সতের কলায় পৌঁছেচে :|
  • Ishan | 89900.222.34900.92 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ১১:৪৯63510
  • এ খুব কমপ্লিকেটেড বিষয় নয়। মধ্যবিত্তরা যাঁরা বেশি মাইনে পাচ্ছেন, তাঁরা কৃত্রিম একটা বৈশম্যের জন্যই পাচ্ছেন। ইশকুল বা কলেজের চাকরি বাজারের হাতে ছেড়ে দিয়ে দেখুন, মাইনে ঝপাঝপ কমে যাবে। ঠিকে অধ্যাপক বা বেসরকারি ইশকুলের শিক্ষক কিংবা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক, কেউই বিশেষ মাইনে পাননা। সরকার একটা কৃত্রিম দেয়াল তুলে রেখেছে, এবং শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই সরকারি, তাই বিষয়টা চলছে। কর্পোরেটে অবশ্য বাজার দরেই মাইনে ঠিক হয়। কিন্তু সেটা আমার শিক্ষাগত বৈষম্যের জন্য। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকলে কর্পোরেটের মাইনেও কমে যেত।

    কিন্তু যেখানে এই কৃত্রিম বৈষম্য আরোপিত নয়, অর্থাৎ, যেখানে স্কিলসেট সহজেই অর্জন করা যায়, সেখানে মাইনে বাজারের নিয়মেই কম। কারণ কাজ করার লোক অনেক অনেক বেশি, কাজ তুলনায় কম। ফলত কাজগুলি এমনিতেই লেবার ইনটেসিভ। এই অব্স্থায় মাইনে হুহা বেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কাজের মাসিও নিজের বাড়িতে কাজের লোক রাখলেন, সেটা হবার কথাই নয়। বৈষম্য থাকবেই।

    এই অব্স্থা নানাভাবে বদলাতে পারে। যেভাবেই বদলাক, মূল সূত্রটা একটাই, কাজের মাসিদের চাহিদা যোগানের তুলনায় বাড়তে হবে। এটা নানাভাবে হতে পারে। এক, উচ্চ বা মধ্যবিত্তদের সংখ্যা হঠাৎ হুহা বেড়ে গেল। তাঁদের প্রচুর কাজের মাসি দরকার হল। অর্থাৎ, শাইনিং উন্নয়নের পথে। দুই, কাজের মাসিদের অন্যত্র প্রচুর কাজ এসে গেল। ফলে তাঁদের যোগান কমে গেল। অর্থাৎ কম চক্চকে উন্নয়নের পথ।

    কোনটা কথটা ফিজিবল অসে আলোচনায় ঢুকছিনা। তবে এটা যে রাস্তাতেই ঘতুকনা কেন, এর অবশ্যম্ভাবি ফল হল নানা জায়গায় অটোমেশন ঢুকবে। এবং ইনফর্মাল সেক্টরগুলি ক্রমশ ফর্মাল সেক্টর হবে। অর্থাৎ ড্রাইভারদের যেমন সেন্টার হয়েছে, তেমনই কাজের লোকেদেরও সেন্টার ছাড়া পাওয়া যাবেনা। প্লাম্বার বা ছুতোর বা ইলেকট্রিশিয়ানদেরও তাই। সেটা না হলে মধ্যবিত্তদের পক্ষে লোক রাখা সম্ভব হবেনা। তারা যেমন ঘন্টাভিত্তিতে ড্রাইভার নেয়, তেমনই ঘন্টার ভিত্তিতে কাজের লোক নেবে। কাজের লোক হয়তো ভ্যাকুয়াম ঘাড়ে নিয়ে এসে পনেরো মিনিটে ঘর পরিষ্কার করে চলে যাবে। একমাত্র এইটা হলেই কাজের লোকের বাড়িতেও কাজের লোক রাখা সম্ভব। ড্রাইভারের পক্ষে ড্রাইভার রাখাটা অবশ্য চাপ, কারণ, ড্রাইভারি লেবার ইনটেনসিভই থাকবে।

    এইটা হলে আরও কিছু উপকারও হবে। যেমন বাচ্চা রাখার ক্রেশ, বাইরের রোজকারের সস্তা খাবার, এগুলোও চালু হবে। যেগুলো এখনও পর্যন্ত কেবল মধ্যবিত্তের নাগালে আছে।
  • bodhisattva | 2345.110.675612.15 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ১১:৫৩63495
  • পোলিটিকাল কারেক্টনেস এর শিক্ষা যদি একক দেয় মাইরি, যাক সে কথা , হ্যান কেউ ই আনস্কিল্ড বা লো স্কিল্ড না , জাস্ট ডিফারেন্টলি স্কিলড। বেশ তারপরে ইউনিয়নাইজেশন তো চাই বা না চাই হবে , আমি তো চাই, নেক্স্ট ?
  • একক | 3445.224.9002312.42 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ১২:০১63496
  • এতে কারেক্টনেস এর কী হলো , শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি চিরকাল নিজের পকেট বুঝে আন্দোলনে হ্যা না বলে , কাজের লোকদের কথা উঠলেই তাকে আনস্কিল্ড কেটাগরীতে ফেলা একটা কায়দা , সেটাই বল্লুম ।

    আমি চাই ইউনিয়ন হোক । মিনিমাম ওয়েজ হোক । এটা আগেও লিখেছি গুরুতেই । এগুলো হলেই যেটা নেক্সট স্টেপ হবে তা হলো ফর্মালায়জেষণ থ্রু স্কিল ট্রেনিং । সেটা হলে মাইনে আরও বাড়বে । কিন্তু শুরুর পুশ টা দরকার । ব্যাঙ্গালোর মুম্বাইতে যেভাবে মার্কেট এর ওপর ভর করে কাজের লোকের মাইনে বেড়েচে সেটা কলকাতায় হওয়ার চান্স কম ।

    পশ্চিমবঙ্গ কে চাগানোর রাস্তা হলো শিক্ষিত মধ্যবিত্ত কে আখ মারাই এর মত মারাই করা । তাহলে এরা নিজেদের স্বার্থেই এস্কেপ খুঁজবে আর সেটা করতে গিয়ে মোর এন্ড মোর ফর্মায়লাজেষণ অফ লেবর হবে ।
  • বাঙাল | 238912.66.3412.85 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ১২:১২63497
  • গৃহকর্ম সহায়িকাদের সংগঠিত শ্রমের ছাতার তলায় আনা হচ্ছে বুঝি! কাগজে কলমে অতি উত্তমপ্রস্তাব সন্দেহ নাই। আর কে না জানে অসম্ভব কিছু চেষ্টা করলেই বাহবা মেলে সাফল্যের দরকার নাই।
  • bodhisattva | 340123.99.121223.132 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ১২:১৬63498
  • বাহ তাহলে তো সমস্যা নেই। একক কি এই ইউনিয়নের দাবী দাওয়ার ডকুমেন্ট কিসু যোগাড় করে পড়ে টড়ে একটা পোবোন্দো মত লিখবে নাকি। কি আছে মহারাষ্ট্রে বা লুরু তে , সেখানে কি পরিস্থিতি, এখানে কি দরকার। এরকম একটা। আমি অনুরোধ করলাম। বেশ ভালো অবে। অবজেকটিভ ভাবে দেখে লিখে ফ্যালো।
  • bodhisattva | 340123.99.121223.132 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ১২:৩৬63499
  • https://indianexpress.com/article/cities/kolkata/domestic-helps-take-to-streets-in-kolkata-we-demand-dignity-5229765/

    আমি যা কথা এই টই তে বলেছি, এই খবরের রেফারেন্সে বলেছি। থ্যাংক্স। নতুন বিশেষ কিসু বলার নাই। অভিজিত বাবুকে ধন্যবাদ। বাংলা কথা বাংলায় বলার জন্য। একক অনুরোধ রাখলে খুব খুশি হব। পাই যেন একককে তাড়া দেয়।
  • Ekak | 12.39.9007812.224 (*) | ২৫ জুন ২০১৮ ১২:৪৭63500
  • একশো ভাগ সাফল্য দর্কার নেই তো। জঙ্গী ইউনিঅন দর্কার যাতে , পরের স্টেপ টা একসিলারেট করে। আমি এটাকে জাস্ট এক্টা মার্কেট ক্যাটালিস্ট হিসেবে দেকচি, যেখানে দাড়িয়ে সার্ভিস কন্সিউমার ভাবতে বাধ্য হবে, সেই যদি ঘন্টায় পান্চ্শো টাকা দেবো তাহলে রান্নার ট্রেনিঙ্গ নিয়েচে এমন কাওকে
    রাখবো না কেনো ?

    তোতোদিনে ইপ্সিত কোয়ালিটির রান্না জানা লোকের কস্ট পড়ে জাবে ঘন্টায় পান্চশোর বেশি।

    মানে, এক্টা লেয়ারে খোন্চা দিয়ে মর্কেট ট তে খনিকটা মোবিলিটি আনার আশা অছে। হান্ড্রেড পার্সেন্ট সফোল ফফোল ভাটের । সন্গ্ঘর্শ টা এক্সিলারেট কোরে দেওঅ জরুরি। কারোন ওনেক্দিন কচ্চোপ হয়ে আছে।
  • amit | 340123.0.34.2 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০১:৩২63511
  • যারা কাজের লোকের মাইনে বাড়া নিয়ে চিন্তায় আছেন , তারা নিজের ঘরের কাজ নিজেরা করা শুরু করলেই তো সমস্যা মিটে যায়। নাকি ঘর মুছতে গেলে বা বাসন মাজতে গেলে বাঙালি ইগোতে আটকে যায় ?

    নিজের কাজ নিজে করুন , মাইনে দিতে হবে না। আর আপনারা কাজের লোক না রাখলে তাদের কি হবে, সেই সমাজ সমস্যা নিয়ে আপনাদের চিন্তা না করলেও হবে। আর নিজের কাজ নিজে করা যায়না , বৃদ্ধ শিশু , অফিস ইত্যাদি দেখাশোনা এসব ফালতু অভিযোগ মারবেন না, বাইরের দেশে আমরা সব কাজ নিজে করি। পাতি কথা, কাজের লোক রাখার ক্ষমতা নেই।
  • PT | 340123.110.234523.20 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০২:৩১63512
  • Government Employment as a Percentage of Total Employment, 2015: নরওয়ে ৩০ আর জাপান ৫.৬। এমনকি ভারতীয়দের স্বপ্নের দেশ আমেরিকাও ১৫.৩।

    তালিকায় ভারত ধারে কাছেও নাই। অতএব সরকার দেওয়াল ইত্যাদি বিশেষ কিছু তোলে নাই। আর "ইশকুল বা কলেজের চাকরি বাজারের হাতে ছেড়ে" দিলে মাইনে তো কমবেই। তবে ঐ লাইন ধরে পার্শ্ব-শিক্ষকদের হাতে শিক্ষার হাল কোথায় চলেছে সেটা পব-তে যারা শিক্ষার সঙ্গে জুড়ে আছে তারা বেশ ভালভাবেই জানে।

    এবং ঐ মাইনে কমার সঙ্গে সঙ্গে কাজের মাসিদেরও কপাল পুড়বে। ইউনিয়ন করার প্রধান উদ্দেশ্য যদি হয় দাবী আদায় করা তাহলে একজন কাজের মাসী একজন গৃহকর্ত্রীর সঙ্গে লড়বে। সেটার সঙ্গে কারখানা বা হাসপাতালে ইউনিয়ন করার সঙ্গে বিস্তর ফারাক আছে। এসবের প্রথম কোপটা বাড়ির মেয়েদের ওপরেই পড়বে। কাপড় কাচার যন্ত্র অনেক বাড়িতেই আছে। বাসন মাজার যন্ত্র কটা বাড়িতে দেখা যায়? শুধু যন্ত্র নয়। আমরা যারা উন্নত দেশে থেকে এসেছি বা থাকি, তারা সকলেই জানি যে জীবন-যাপনের মান শুধু যন্ত্র নয়, সম্পূর্ণ অন্য একটি সামাজিক কাঠামোর ওপরে নির্ভরশীল। যার প্রায় সব কিছুই অনুপস্থিত এদেশে।

    তাই বলি কি এসব ঝোপ-ঝাড় না পিটিয়ে আসল কথা কিছু বলা হোক। বিপ্লব যখন হলই না তখন স্ক্যান্ডেনেভিয়ার ধাঁচে ভাবা হোক। প্রতিটি ১৮+ মানুষের কম করে (ধরুন...) ১০০০০ টাকা মাসিক আয় থাকতে হবে। সে যদি ৬০০০-এর বেশী রোজগার না করতে না পারে তাহলে সরকার তাকে ৪০০০ টাকা দেবে।

    সরকার কোথা থেকে টাকা পাবে? আয়ের ওপরে ট্যাক্স বসিয়ে। বাংলা রবিনহূড পলিসি। অর্থাৎ কিনা কাজের মাসির জীবন যাপনের মানোন্নয়ের ক্ষেত্রে আমার সঙ্গে সরকারও যোগ দিক। এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্ব বেশী। কেননা আমি কালকে একজকে ছাড়িয়ে অন্য কাউকে কাজে বহাল করতে পারি। কিন্তু সরকার তার নাগরিককে ঝেড়ে ফেলতে পারেনা।

    সরকারকে বাদ দিয়ে এসব কিছু করা যাবে না, বিশেষতঃ ভারতের মত অতি জনবহুল দেশে।
  • dc | 127812.61.783423.16 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০২:৩৫63513
  • আমার মনে হয় দুটো আলাদা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। একটা হলো গৃহশ্রমিকদের মাইনে, সেখানে মিনিমাম ওয়েজ সেট করা বা আওয়ারলি ওয়েজ বা কাজ প্রতি মাইনে ইত্যাদি নিয়ে সব পক্ষেই আলোচনা করা উচিত।

    আরেকটা হলো ডিগনিটি অফ লেবার, যেটা কিছুটা ওয়েজ রেটের সাথে রিলেটেড হলেও পুরোটা না। এখন যে আমরা গৃহশ্রমিকদের লেস দ্যান হিউম্যান হিসেবে দেখি, সেটা পাল্টানো উচিত বা সেটা পাল্টানোর জন্য সরকারের বা অন্যান্য এজেন্সিদের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। অভিজিতবাবুর এই লাইনটার সাথে একমতঃ "যদি এসব করে থাকি, তাহলে আমাদের মুখে সম্পর্কের কথা মানায়" - যাঁরা গৃহশ্রম করতে আসেন তাঁদের সাথে একটা ন্যুনতম মনুষ্যত্বর সম্পর্ক কিভাবে রাখা যায় সে নিয়েও সবার ভাবা উচিত। মানে তাঁদের ঘরের লোকজনের খোঁজখবর রাখা তো ছেড়েই দিলাম, ফর্মাল সেক্টরের এমপ্লয়িদের সাথে অফিসে যে মিনিমাম ভদ্রতাটুকু বা যে মিনিমাম সুযোগসুবিধেটুকু দেওয়া হয় সেটুকুর ব্যবস্থা করতে পারলেও কিছুটা এগনো যায়। যেমন ধরুন ... লিখেছেন ওনার অফিসে ব্যাগ সার্চ ইত্যাদি করা হয়। তো ওনার অফিসে আশা করি রেস্টরুম আছে, যেটা সব এমপ্লয়ি ব্যাবহার করতে পারেন। হয়তো জল খাওয়ার ব্যবস্থা আছে, অল্প খানিকক্ষন রেস্ট নেবার জন্য কোথাও বিন ব্যাগ ইত্যাদি রাখা আছে যেগুলো সবাই ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে গৃহশ্রমিকদেরও যদি ব্যাগ সার্চ করতেই হয় তাহলে আবাসনের ক্লাবহাউস ওনাদের ব্যাবহার করতে দেওয়া উচিত, জিমনাসিয়ামে ওনাদের কিছুটা সময় ব্যায় করতে দেওয়া উচিত। আশা করি ... এর এতে আপত্তি থাকবে না। আর আবাসন টাবাসন ইত্যাদি ছেড়ে দিলাম, এমনি যে অসংখ্য বাড়িতে অসংখ্য গৃহশ্রমিক কাজ করেন তাঁদের জন্য মিনিমাম ডিগনিটি অফ লেবার যাতে এনশিওর করা যায় এটা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। সব পক্ষেই।
  • T | 565612.69.1290012.251 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০২:৪৫63514
  • ডিগনিটি অফ লেবার ব্যাপারটা ফর্মালাইজেশনের হাত ধরেই আসবে।
  • dc | 127812.61.783423.16 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০২:৪৯63515
  • সেটা মানছি, ওয়েজ রেট আর ফর্মালাইজেশান দুটোর সাথেই ডিগনিটি অফ লেবার কোরিলেটেড। কিন্তু এখন গৃহশ্রমিকদের যে ভয়ানক অবস্থা, আপাতত সেটা পাল্টানোর জন্য চেষ্টা শুরু করলেও কাজ দেয়। মানে সিরিয়ালি না এগিয়ে প্যরালালি এগনো আর কি।
  • PT | 340123.110.234523.20 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০২:৫৭63516
  • ডিগনিটি ওব লেবার!!!! আগে ভদ্র ব্যবহার করা শুরু হোক।

    "রেলের টিকিট কাউন্টার। লাইনে দাঁড়িয়েছেন দূর গ্রামের এক যাত্রী। তিনি গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না, পয়সার হিসেব ঠিকঠাক বোঝেন না। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। কাউন্টারে ডিউটিরত ছিলেন ভদ্র পোশাকে সজ্জিত এক মহিলা। ওঁর কথা স্পষ্ট বুঝতে না পেরে তিনি মেজাজ হারালেন, মুখঝামটা দিয়ে বললেন, ‘‘কথা বলতে পারে না, বোঝে না, কোত্থেকে যে সব জোটে!’’

    এ অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকের। নানা ধরনের লাঞ্ছনা নিত্য বইতে হয় কম-লেখাপড়া-জানা কিংবা কম-রোজগেরেদের। বাঙালি সমাজে উঁচু তলার মানুষ তথা প্রতিপত্তিশালীরা নিচু তলার মানুষ তথা গরিবদের হেয়জ্ঞান করে। শ্রদ্ধাহীন এ মনোভাব বহু শতাব্দীর।

    শরৎচন্দ্রের ‘মহেশ’ গল্পে জমিদার তর্করত্ন দরিদ্র গফুর মিঞাকে গফরা, হারামজাদা কিংবা ছোটলোক বলে সম্বোধন করেছেন। গফুররা এ ধরনের সম্মানহীন জীবন নিয়েই বেঁচে থাকেন। রবীন্দ্রনাথ শ্রী লক্ষ্মীশ্বর সিংহের ‘কাঠের কাজ’ বই প্রসঙ্গে লেখেন, ‘‘ভদ্রলোকের ভয়ে ছুতারের কাজ নাম দিতে পারেন নাই।’’ কায়িক শ্রমকে ঘৃণার চোখে দেখে ভদ্রলোক সমাজ, কাজেই ছুতার শব্দটি প্রয়োগ করলে পাছে ভদ্রলোকরা বই না ছোঁয়! এ আশঙ্কার কথাই বলেছিলেন কবি। গরিব নয় কিন্তু পেশায় নিম্নপদস্থ বলে তিনিও হতে পারেন ঘৃণার পাত্র। বনফুলের ‘নিত্য চৌধুরী’ গল্পে পড়ি, নিত্যর বাবা ছিলেন জমিদারের কর্মচারী। তিনি সেরেস্তায় পাটোয়ারি পদে বহাল ছিলেন। তাঁর ছিল হাজার বিঘে জমি, গোয়ালভরা গরু। ঠাটবাটের জীবন বলা যায়। তবু তো নিত্য চৌধুরীকে বলতে শোনা গিয়েছেঃ ‘‘আমার কাছে কেউ আসে না ভাই। আমি দেওয়ানজির ছেলে বলে বোধ হয় সবাই আমাকে ঘেন্না করে।’’

    সদানন্দ পাল এক জন কুম্ভকার। নানা কারিগরি কাজও জীবনে করেছেন। বই লিখেছেন— ‘একা কুম্ভ’। প্রকাশিত হয়েছে ২০০৯-এর ডিসেম্বরে। এ বই পড়লে লজ্জায় অধোবদন হতে হয়। লিখেছেনঃ ‘‘আমি মৃৎশিল্পী। চাকা ঘুরিয়ে জল-কাদামাটি দিয়ে দেবীপূজার ঘট গড়ি। জলখাবার গ্লাস গড়ি, খুড়ি, কটরা গড়ি। তা গড়তে গিয়ে শরীরে জল-কাদা মাখে। তাই খালি গা, হাঁটুর উপরে ধুতি, ধুতির উপরে গামছা জড়ানো থাকে। এ কাজের এমনিই সাজ। এমনি সাজ স্ত্রী-সন্তানদেরও। ওরাও কাজ করে। তা দেখে শিক্ষিত, আধুনিক সম্প্রদায় শিল্পীর মর্যাদার পরিবর্তে জমিদারি চালে তুই-তোকারি করে। এ বদভ্যাস এই সম্প্রদায়ের মহিলাদের বেশি। একদিন খুব খুশি হয়েছিলাম। বছর দশেকের একটি মেয়ে ওর মায়ের সঙ্গে দোকানে এল। অবশ্যই আঁতেল শ্রেণির। পিঠে স্কুলব্যাগ। সঙ্গে মা। মেয়েটি একটা লক্ষ্মীর ঘট দেখিয়ে বলল, ওই ঘটটা দিন তো কাকু। দিলাম। বলল, ‘কত দাম?’ —চার আনা। ‘কুড়ি পয়সায় দেবেন তো?’ বললাম, দাও। আমার মুখে ‘দাও’ কথাটা শুনে ওর মা আমার দিকে এমন করে তাকালেন— যেন মস্ত অন্যায় করে ফেলেছি। যেতে যেতে তাঁর মেয়েকে বললেন, ওদের আপনি বলতে নেই। মুচি মেথর সব্জিআলাদের তুই বলবে। সঙ্গে সঙ্গে মনে হল মহিলার সাজপোশাক আসলে ভদ্রতার বোরখা। মুখটা মুখোসের মুখ।’’

    আমরা সংস্কৃতিমান বলতে কোনও শ্রমজীবীকে বুঝি না, আজও তাঁদের ঘৃণার চোখে দেখি। ভদ্রলোক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষ বদলায়নি।"
    https://www.anandabazar.com/editorial/letters-to-the-editor/rural-india-has-always-remained-neglected-1.821627?ref=letters-to-the-edito-new-stry
  • sm | 2345.110.125612.22 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০২:৫৯63517
  • আলোচনা বিক্ষিপতভাবে হচ্ছে।ভারতে কাজের লোক বা মাসীর সংখ্যা প্রচুর।এটা একটা দিক।
    বিদেশে নিজের কাজ নিজে করে;এটাও ঠিক। তার মানে এই নয়, এফোর্ড করতে পারলে লোকে বিদেশে,কাজের লোক রাখবে না।
    ভারতে, পাঞ্জাবি, মাড়োয়ারি,মারাঠি সকল জাতির মধ্য ও উচ্চ বিত্ত সবার বাড়িতেই কাজের লোক আছে। সুতরাং এটা বাঙালির ইগোর সমস্যা নয়।
    আওয়ারলি কাজের বেতন, সরকারের ঠিক করে দেওয়া কর্তব্য।বেতন ও যাতে রশিদ সহ পেমেন্ট হয় সেটা দেখাও সরকার এর দায়িত্ব। কোন বড় কাজ নয়। সদিচ্ছা থাকলেই সম্ভব।
    এতে করে আইন ই ভয় থাকবে।
    দুই, ভারতে ড্রাইভার, কাজের লোক, রান্নার লোক --এর সংখ্যা প্রচুর।এগুলো খুবই ইম্পর্ট্যান্ট প্রফেশন। কোটি কোটি পরিবারের গ্রসাচ্ছাদন হয়। ঝেড়ে ফেলা সম্ভব নয়। উচিত ও নয়।
    তিন, ডিগনিটি ও প্রফেশনালিজম এর মধ্যে পার্থক্য আছে।
    আমি না আমার বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে এক টেবিল এ বসে খাই বা এক সোফায় টিভি দেখি।
    এগুলো হচ্ছে ফালতু বাজি।
    উদ্দেশ্য হল, কাজের আওয়ার কমানো এবং ওয়েজ বাড়ানো। অর্থাৎ আপনার বাড়ির কাজের লোক এক দু ঘন্টায়, কাজ শেষ করে পালাবে,।আপনার সঙ্গে টিভি দেখে বা গল্প গুজব করে পাঁচ ঘন্টা কাটাবে না।
    কাজ শেষ হলেই কেটে পড়বে। আওয়ারলি রেট বেশি হবে।
    দরকার পড়লে, পাবলিক পে টয়লেট ইউজ করবে।
    আবাসন হলে, কমন টয়লেট রাখা বাধ্যতা মূলক হওয়া দরকার।
    এগুলোই দাবি দাওয়া হওয়া উচিত।
  • dc | 127812.61.783423.16 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৩:০৬63518
  • পিটিদা একেবারে পেরেকের ওপর হাতুড়ির ঘা মেরেছেন ঃ)

    আমাদের দেশে ক্লাস কনশাসনেস, রেসিজম ভর্তি। একদম সাবকনশাস লেভেলে চলে গেছে। গৃহশ্রমিকদের, রিকশোওয়ালাদের, মুচিদের সাথে আমরা অনায়াসে তুই করে কথা বলি, বিনা কারনে উঁচু গলায় কথা বলি। এ আমাদের দেশে একেবারে ইউনিভার্সাল মনোভাব। আর সবচে মজার হলো, আমরা ছোট মুদির দোকানে গিয়ে এটা দে ওটা দে বলে অর্ডার করি, আবার আমরাই হাইফাই শোরুম বা বুটিকে গিয়ে ম্যাডাম, এই ড্রেসটা কেমন দেখাচ্ছে বলে বিনয় করি।
  • Abhijit Majumder | 340112.21.782312.60 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৩:১৪63519
  • "আবাসন হলে, কমন টয়লেট রাখা বাধ্যতা মূলক হওয়া দরকার।"

    কেন? আমাদের বাড়িতে গেস্ট এলে কি আমরা তাঁদের অন্য টয়লেটে পাঠাই? বাড়িতে দুটো থাকলে টয়লেট থাকলে হয়তো মাস্টার বেডরুমের সাথে অ্যাটাচ্ডটা নিজেদের জন্য রাখি, অন্যটা কমন। না থাকলে, একটা টয়লেট গেস্টরাও ইউস করেন।

    তাহলে বাড়ির কাজের লোককে কমন টয়লেটে যেতে হবে কেন?
  • pi | 7845.29.673412.128 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৩:২৯63520
  • '

    আর আপনারা কাজের লোক না রাখলে তাদের কি হবে, সেই সমাজ সমস্যা নিয়ে আপনাদের চিন্তা না করলেও হবে। '

    অন্য কেউ সেসব বলার কে, কে কী চিন্তা করবে না করবে?

    আর সব কাজ সবার নিজের করা উচিত। যেমন, চাষ করে সব ফসল ফলিয়ে সেগুলো রান্না করে খাওয়া, রেশম কাপাস পশম চাষ করে সুতো বের করে তাঁত বুনে কাপড় বানানো, সেলাই করা। পশু পালন করে দুধ মাংস ডিম সংগ্রহ, মাছ চাষ, বাচ্চাদের নিজে পড়ানো, নিজেদের চিকিত্সা নিজেরা করা, যাবতীয় যন্ত্রপাতি, বাস , গাড়ি বানানো ইত্যাদি প্রভৃতি। অন্য সবকিচু অন্যে করে দেবার মত কাজ, আর গৃহশ্রমিকদেররটা নিজেরাই করতে হবে। যার যা ভাল লাগে, যে যেটা ভাল পারে, তার ভিত্তিতে ডিভিশন অব লেবর থাকলে, ডিগনিটি অব সবরকম লেবর ,থাকলে, সবরকম লেবরের যথাযোগ্য পারিশ্রমিক থাকবে, এটা ভাবা বা এটার দাবি করা যায়না?
  • T | 565612.69.1290012.251 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৩:৩৪63521
  • :)
  • sm | 2345.110.125612.22 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৩:৪৯63522
  • প্রথমত, বাড়ির কাজের লোক আপনার গেস্ট বা আত্মীয় নয়। দুই, তারা আপনার বাড়ির টয়লেট ইউজ করার জন্য হুমড়ি খেয়ে আছে , এমনটাও নয়।
    আবাসনে কমন টয়লেট থাকলে সংকোচ কম হয়।
    বাড়ির গেস্ট বা আত্মীয় আসলে,বিছানায় শুতে দি। কাজের লোক কে কি সেম সুবিধা দি বা দেওয়া দরকার?
    প্রফেশনাল এটিচ্যুড হলো, কাজ শেষ করে নিজের বাড়ি ফিরে যাবে।
  • T | 565612.69.1290012.251 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৩:৫৩63523
  • :))
  • pi | 7845.29.673412.128 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৩:৫৮63524
  • না, কাজের লোক এলে মাটিতে বসতে দেওয়া উচিত। অন্য বাসনে ( পড়ুন ফাটা, ভাঙ্গা) খেতে দেওয়া উচিত। বাড়ির টয়লেট ভাবাই যায়না। এগুলোকেই বলে প্রফেশনালা ট্রিটমেন্ট।
    যেমন বাড়িতে ছেলেমেয়ের মাস্টারমশায় এলে, ডাক্তার ভিজিটে এলে করেন আর কি। কমন টয়লেটের দাবি তো ওনাদের জন্যেও।
  • amit | 340123.0.34.2 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৪:০৬63525
  • চাকরি সূত্রে মিডল ইস্ট, ইস্ট এশিয়া বা ইউরোপরে এর বেশ কটি দেশে ঘুরতে হয়েছে এবং কাজের লোক নিয়ে বাঙালি তথা ভারতীয়দের ছ্যাচড়ামি চাক্ষুষ দেখা বহু জায়গাতে। এই ফোরাম এ Panjabi বা তামিল দের নিয়ে আশা করি কথা হচ্ছে না, তাই তাদেরকে টেনে এনে নিজের দোষ ঢাকার দরকার বোঝা যাচ্ছে না।

    বিদেশে (মানে আমেরিকা বা ইউরোপের) দেশ গুলোতে এটা শুধু এফোর্ড করার প্রশ্ন নয়, মানসিকতার ও প্রশ্ন, যেটা বেশ ভালোই ফুটে উঠছে বেশ কিছু লেখাতে। এখানে হয়তো কোনো সময় লন মোউইং বা বাড়ির কোনো ইলেকট্রিকাল কাজের জন্য লোক ডাকতে হয় , কিন্তু তাদেরকে দরকার পড়লে টয়লেট উসে করতে দিতে হয়, তাদেরকে বলা যায়না যে বাইরে পে টয়লেট use করে এস। কেও এখানে দাবি করলেই কালকে আবাসন এর কমন টয়লেট তৈরি হয়ে যাবে না, তত দিন কি তাদেরকে বলা হবে পে টয়লেট -ইউসে কর ? চমৎকার । চাড্ডিপনা ফুটে বেরোচ্ছে একেবারে।

    middle ইস্ট এ সিনিয়র স্টাফ দের কোম্পানি ১ -২ জন করে কাজের লোক রাখার ভিসা দিতো। আমরা কোনো দিন রাখিনি, কারণ ফুল টাইম বাড়িতে অন্য একজনের উপস্থিতি আমাদের পছন্দ নয়। কিন্তু সেখানে , এক সময় তাদের ওয়ার্ক কন্ট্রাক্ট আর মিন wage এর কন্ডিশন ম্যান্ডেটরি করার পরে, ইন্ডিয়ান দের কত কমপ্লেইন অনেক জনের কাছে শোনা। কোনো গ্যাদারিং এ সেটাই মাইন্ আলোচনা। এর পর বেশ কিছু পাবলিক যা শুরু করলো, এক জন ভিসা স্পনসর করে একজন কে নিয়ে আসবে, এরপর সে ৩-৪ বাড়িতে কাজ করবে, বাকি গুলো অবশ্যি বেআইনি, কেও জানবে না। তার মাইনে তা 3-৪ বাড়ি থেকে ভাগ করে দেওয়া হবে। এই করতে গিয়ে বেশ কটা পুলিশ কেস হয়ে যায়, কারণ ওখানে পুলিশ রাস্তায় তার ওয়ার্ক পারমিট ডিটেলস দেখতে চাইতো আর সে সেই বাড়িতে কাজের পার্মিট না দেখতে পারতো, তখন ভালোই ভোগান্তি। তাই নিয়েও বিলাপ এর কমতি দেখিনি। কিন্তু এই ধরণের কাজ কারবার ওয়েস্টার্নের বা অন্য দেশের লোকজনের মধ্যে বিশেষ শুনিনি। ইন ফ্যাক্ট একজন Canadian আমাকে বলেছিলো তার পাশের বাড়িতে ইন্ডিয়ান মালিক কিভাবে তার কাজের লোকের ওপর চোটপাট করে, কিছুদিন পরে পুলিশ কেস হয়।

    একই জিনিস দেখেছি ইস্ট এশিয়া র বেশ কটি দেশে। সেখানে ও এক নিয়ম ছিল, কোনো কাজের লোক রাখতে গেলে ভিসা স্পনসর করতে হবে। এস উসুল ইন্ডিয়ান রা কেও একজন ভিসা স্পনসর করতো আর 3-৪ জন মিলে বাড়ির কাজ করাতো। অন্য দেশের লোকজনের মধ্যে কিন্তু এই জিনিস দেখিনি, কেও চাকরি ছেড়ে গেলে তারা প্রপার advt- দিয়ে চেষ্টা করতো যদি কেও ভিসা ট্রান্সফার করে নেয় । সুতরাং এই কাজের লোক নিয়ে চ্যাচড়ামি তা ইন্ডিয়ান দের মজ্জাগত,। দেবযানী খোবরাগরের মতো হাই প্রোফাইল কেস হলে সেটা পেপার এ আসে, আমি আদমি দের প্রচুর এরকম কেস হয় যেটা মিডিয়া জানতেও পারে না।
  • sm | 2345.110.345612.120 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৪:১০63526
  • ধুর,এটা কোন কাজের কথা হলো! কাজের লোকের যদি কোন ইমারজেন্সি হয়, সে কি বাড়ির টয়লেট ইউজ করবেন না নাকি!এটা কি অল অর নান সিচুয়েশন?
    বসার দরকার পড়লে নিশ্চয় সোফায় বা চেয়ারে বসবে।
    বিছানা পরিষ্কার করার সময় বিছানায় পা দিয়ে উঠবে।
    কিন্তু তা বলে মাটিতে বসে থাকবে, পায়ের কাছে বসে গল্পঃ গাছা করবে, এমন আবদার(এম্প্লয়ার এর পক্ষ থেকে) এর কথা তো বলা হয় নি।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৪:১৫63527
  • আমার মা (প্রায় চলচ্ছক্তিহীন)কে দেখতে স্থানীয় একজন বয়স্ক ডাক্তার আসেন। তো তাঁর অনেক দিনই এসে বাথরুম যাবার প্রয়োজন হয়।
    এবার থেকে ওঁকে বলব মিউনিসিপালিটির কমন টয়লেট যেটা আছে, সেইটে ব্যবহার করতে। প্রফেশানাল অ্যাটিটিউড দেখাতে হবে। পাড়ার লোকদেরও বলে দিইকারণ ডাক্তারবাবু আরো কয়েকজনের বাড়ীর বয়স্কদের চিকিৎসা করেন তো, প্রয়োজনমত বাথরুমেও যান।
  • amit | 340123.0.34.2 (*) | ২৬ জুন ২০১৮ ০৪:১৭63528
  • আর হ্যা , এটাও বলতে ভুলে গেছি, লোকজন এর চ্যাচড়ামি এতটাই যে মিডলে ইস্ট এ কয়েকটা কেস দেখা যেখানে লোকে মা এর নাম করে ইন্ডিয়া থেকে কোনো বৃদ্ধা কাজের লোক নিয়ে এসেছে। যেহেতু সেটা ফ্যামিলি ভিসার ক্যাটেগরিতে পরে , এক বছর পরে বেরিয়ে যেতে হতো, আর তার পর ছ মাস পরে আবার এন্ট্রি দিতো। সেই ছমাস এখানে ওখানে খেপ মেরে বেড়াও আর তার পর আবার মা এর নাম করে সেই কাজের লোক কে নিয়ে চলে এস। চমৎকার যাৰ জিনিস।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন