এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | 781212.194.7867.230 (*) | ২৭ জুন ২০১৮ ০৪:২২63561
  • মাইনের তারতম্য স্থান ভেদে অবশ্যই হয়। সাঊথ সিটির ফ্ল্যাট বাড়িতে বাসনমাজার কাজের মুল্য যা , বারাসতের কাজিপাড়ায় মুল্য তা নয় - আবার পাঁশকুড়া আর মেচেদার মাখখানে যে ভোগপুর নামের অখ্যাত স্টেশন তার স্টেসন মাস্টারের বাড়ীতে যিনি বাসন মাজেন, তার মাইনে কখনই এক নয়।

    তবে মাইনের ভাল খারাপটা নির্ভর করে যিনি দিচ্ছেন তিনি কতটা দিতে পারতেন কিন্তু দিলেন না এবং যিনি নিচ্ছেন তাঁর কতটা প্রয়োজন ছিল কিন্তু পেলেন না - তার উপর।

    আসলে এখানে যদি অনেক হেভি ইন্ড্রাস্টি তৈরি হত যাতে অনেক অনেক মজুর লাগত, তাহলে এই মিনিমাম ওয়েজ এতদিনে আপনি চড়ে যেত। কিন্তু সে সব কিছু না হলে, শুধু extremely limited growth এর রাজ্যে যেখানে আয় বলতে সরকারী চাকরী, আই টি আর কিছু অন্যান্য বেসরকারী চাকরী আর যেখানে বৃদ্ধদের ( অর্থাৎ পেনসনভোগীদের অথবা সীমিত আয়ের লোকের ) সংখ্যা ক্রমবর্ধ্মান, সেখানে আমার তো মনে হয় এই মিনিমাম ওয়েজের সঙ্গে সঙ্গে দরকার বিপুল সংখ্যায় দায়িত্বশীল ওল্ড এজ হোম ( মানে যেখানে কাজের লোকের দায় টা ব্যক্তির থেকে সমষ্টির হাতে চলে যাবে ।)

    আরও একটা প্রয়োজন মনে হচ্ছে যে কাজের লোকের ভরসায় আজকের অনু পরিবারের বা অনুতর সিঙ্গল পেরেন্টের এত রমরমা - সেই দিদি মাসি র দল যদি দুশপ্রাপ্র্য হয়ে যান, তাহলে প্রয়োজন অনেক অনেক ক্রেশেরও। এছাড়াও স্বল্পমুল্যের স্বাস্থ্যকর অথচ মুখরোচক হোম সার্ভিস , যেখান থেকে শিশু বৃদ্ধের রোজকার খাবার , ঘরোয়া খাবারের নির্ভরযোগ্য বিকল্প, পাওয়া যাবে, তারও দরকার।

    মানে যেটা বলতে চাইছি যে কোন বদলের তো অনেক পেরিফেরাল এফেক্ট থাকে - সেগুলোর দিকেও ভালো করে নজর দিকে বদলটির ফল আরো সুখকর হয়।

    ( অবশ্য এটা না হলেও বিশেষ ক্ষতি নেই - মেয়েদের এমনিতেই ঘরের মধ্যে ফেরানর একটা ধুম পড়েছে - না হয় কাজের লোকের মাইনে না দিতে পারলে হাজার আটেক টাকা মাইনে পাওয়া ছোট-অফিসের রিসেপ্সনিস্ট বৌটি ই চাকরী ছাড়বে না হয় - এমনিতেই তো যা দু পয়সা আয় করে তাতে নিজের শাড়ীর খরচাই ওঠে না। বরং বাড়িতে বসে রান্না-বান্না, শিশুপালন করুক। আমার এক আমেরিকান কলীগের বৌ চাকরী ছেড়েছিলেন ঠিক এই হিসেবে। তার মাইনের থেকে নাকি দুটি সন্তানের ক্রেশের খরচ বেশি ছিল, এজ ইউজুয়াল ছেলেটি ছাড়েন নি । তবে এটাও জানি যে এটা কোন এক্সপ্লয়টেসন চালিয়ে যাওয়ার স্বপক্ষের যুক্তি হতে পারে না। )

    r2h র সন্ধ্যা দিদির গল্পটা ভালো লেগেছে।
  • PT | 340123.110.234523.15 (*) | ২৭ জুন ২০১৮ ০৪:৩২63562
  • "`আসলে এখানে যদি অনেক হেভি ইন্ড্রাস্টি তৈরি হত যাতে অনেক অনেক মজুর লাগত, তাহলে এই মিনিমাম ওয়েজ এতদিনে আপনি চড়ে যেত।"
    এখনো আশা আছে মনে হয়!!
  • sm | 7845.15.565623.26 (*) | ২৭ জুন ২০১৮ ০৪:৩৮63563
  • এতো ইন্ডাস্ট্রি থাকা সত্বেও কলকাতায় মিনিমাম মান্থলি ওয়েজ চেন্নাই ,আমেদাবাদ এর থেকে ঢের বেশি!
  • স্বাতী রায় | 781212.194.7867.230 (*) | ২৭ জুন ২০১৮ ০৪:৫৯63564
  • lcm র ডেটা তে আমিও সেটাই দেখে খুব অবাক হলাম - কারণটা কি?

    অবশ্য ৩৪ বছরের বামপন্থা যদি কারণ হয়, তাহলে আর বলতে হবে না। অন্য কোন ব্যাখ্যা থাকলে sm কে বলতে অনুরোধ করছি।
  • PT | 340123.110.234523.10 (*) | ২৭ জুন ২০১৮ ০৭:১৯63556
  • "মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বিপদের দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা"
    এই খবরটা যদি আংশিক সত্যিও হয়, তাহলে কিকরে আশা করছি যে পরিচারিকাদের জীবন ইউনিয়ন করে বদলে দেওয়া যাবে?
  • বৌদি | 232312.15.3467.241 (*) | ২৭ জুন ২০১৮ ১১:০৪63557
  • ঈশান, স্বাতী ও r2h আমার কথা মোটামুটি অনেকটাই বলে দিয়েছেন। তবু বাস্তব চিত্র থেকে ২/৪ কথা লিখি।

    ১। 'কাজের লোক' নামক যে অসংগঠিত ক্ষেত্র, সেখানে 'কাজ' ব্যাপারটা অন্য চাকরীর মত নয়। সে কাজ রোজ রোজ জন্মায়, তার কোনো সিলেবাস হয় না। সেটা পুরোপুরিই যে রাখছে আর যে করছে, তাদের ওপর নির্ভর করে। তাই এই মাইনে ঘন্টা মেপে ঠিক করলে নানারকম ঝামেলা, একই কাজ কেউ দু ঘন্টায় কেউ তিন ঘন্টায় করতে পারেন। কাজের কোয়লিটি-ও অনেকটাই ব্যক্তি নির্ভর। তার বিচার কি ঘন্টা মেপে হবে ? (স্বাতী-ও লিখেছেন)

    ২। তেমনি কাজের লোকের মাইনেও অনেকটাই আর্থ-সামাজিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। দেশের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম, গ্রামে ও শহরে আলাদা। তাই বাইরের দেশের সঙ্গে তুলনা করাটা বাস্তবোচিত নয়।

    ৩। কয়েক দিন আগে ফেসবুকে কেউ 'কাজের লোককে কত মাইনে দেন' এইরকম জানতে চেয়েছিলেন, তাতে যা উত্তর পাওয়া গেছিল (তারা কেউ কেউ এই সুতোয়-ও লিখছেন) তাতে দেখা গেছিল কেউই কাজের লোককে খুব খারাপ মাইনে দেন না। তাহলে এখানে হঠাত জেনেরালি বেশির ভাগ লোক এক্স্প্লয়েট করেন, মানুষের মত ব্যবহার করেন না ধরে নেবার কারণ কি ! যাঁরা এইরকম ভাবছেন ছোটবেলা থেকে তাঁদের নিজের বাড়িতে বা অন্য বাড়িতে কতজনকে খুব খারাপ ব্যবহার করতে দেখেছেন ? খুব খারাপ ব্যবহার পেলে কাজের লোক খামোখা কাজ করবেন কেন ! আর একটা কথা কেউ একটা রেফারেন্স দিয়েছেন, মা মেয়েকে শেখাচ্ছেন 'তুই' বলতে; বিশ্বাস করিনি, কারান তাহলে বাচ্চা মেয়েটি 'কাকু...দেবেন' বলতে শিখত না। তবে ময়লা কাপড়, কম শিক্ষিত লোকেরা যে সব সময় সম্মান পান না সেটা ঠিক, আবার দেখেই 'আঁতেল গোষ্ঠী' মনে হওয়ার দরুণ ভুলভাল ধারণা, সেটাও ঠিক। বাড়ির কাজের লোকেদের অনেকেই তুমি বলেন, তাঁরাও দাদা-বঊদি-মাসীমা-মেসোমশাই-কে তুমি বলেন, কাউকে আপত্তি করতে দেখিনি আজ অবধি।

    ৪। বনগাঁ লোক্যাল ধরে ভোরবেলা যে শত মহিলা বাড়ি বাড়ি পরিচরিকার কাজ করতে আসেন, তাঁরা দিনের শেষে বাড়ি ফেরেন। একই পাড়ায় / ফ্ল্যাটে পরপর অনেক বাড়িতে কাজ করেন। তাঁরা সারাদিন টয়লেটে যান না এটা ভাবা বাড়াবাড়ি হচ্ছে না কি ? যিনি পাঁচ বাড়িতে বাসন মাজছেন, ঘর মুছছেন, ডাইনিং তেবিলে তিনি অবশ্যই বসবেন, লিফ্টও ব্যবহার করবেন কিন্তু নেহাত অসুস্থ না হলে খমোখা বিছানায় শুতে যাবেনই বা কেন !

    ৫। কাজের লোকেরা কেউ সমাজ সেবা করতে আসেন না। সবাই যদি নিজের কাজ নিজে করতে শুরু করেন, বা বেশি মাইনে না দিতে পেরে লোক রাখতে না পারেন, কাজের লোকের তাতে কিছু লাভ নেই।

    ৬। কাজের লোকের 'সততা' দুই প্রকার ঃ আর্থিক ও 'কার্যিক'। আর্থিক ভাবে সত কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ফাঁকিবাজ দের কি সত বলা যাবে ! ও হ্যাঁ, ধরাবঁধা ছুটি না থাকলেও কাজের লোকেরা 'সি এল' নেন না নাকি ! ছুটি দিলেও চলে আসেন কেউ কেউ আবার মাসের শুরুতে বরাদ্দ চারদিন ছুটি টানা নিয়ে ফেলে তারপর শরীর খারাপ বা অন্য দরকারে ছুটিও নিয়ে থাকেন অনেকেই।

    ৭। এবার ব্যক্তিগত কথা। ছোটবেলা থেকে আলমারী-বাক্স কোথাও তালা লাগানোর অভ্যেস হয়নি। সে অপরাধ বাড়ির কাজের লোকেদেরই। টাকা-পয়সা থেকে সোনার দুল খুঁজে দেওয়া তুলে রাখা দরকারে হাট করে খোলা আলমারি বন্ধ করে ধমক দেওয়া, সবই করেছেন তাঁরা। (আবার কাজে ফাঁকিও দিয়েছেন, যেমন আমিও দিই) সেই বিশ্বাসে দিনের পর দিন দুল-ঘড়ি-এটা-ওটা হারিয়েছে, পাগলের মত খুঁজেছি, কাজের মেয়েটির কথা মাথায় রাখিনি। ফল যা ভাবছেন, তাই ! অসতর্ক মুহূর্তে মেয়েটি ধরা না পড়লে ভাবতামও না। নাহ তাতে বিশেষ কিছু হয়নি, মেনে নিয়েছি সব রকমই আছে জগতে।
  • বিপ্লব রহমান | 340112.231.126712.74 (*) | ২৮ জুন ২০১৮ ০২:৪৯63567
  • r2h র সন্ধ্যা দিদির কাহিনী অন্যত্র আরো বিস্তারিত চাই। বিনীত অনুরোধ রইল।
  • স্বাতী রায় | 781212.194.5634.115 (*) | ২৮ জুন ২০১৮ ০৪:১২63568
  • @বাঙাল, আমাকে গল্পটা ছেলেটিই বলেছিলেন - বহু বছর পরে, যখন তিনি জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। ওঁর কাছে শুনেছি, সেই সময়ে দুজনের মাইনের খুব বেশী ফারাক ছিল না । ছেলেটি অবশ্য অল্প বেশী পেত।
  • amit | 340123.0.34.2 (*) | ২৮ জুন ২০১৮ ০৪:৩২63569
  • 27 June 2018 16:34:02 IST এর লেখাতে দু একটা আজে বাজে প্রশ্ন ।

    "কাজের লোক' নামক যে অসংগঠিত ক্ষেত্র, সেখানে 'কাজ' ব্যাপারটা অন্য চাকরীর মত নয়। সে কাজ রোজ রোজ জন্মায়, তার কোনো সিলেবাস হয় না। সেটা পুরোপুরিই যে রাখছে আর যে করছে, তাদের ওপর নির্ভর করে। তাই এই মাইনে ঘন্টা মেপে ঠিক করলে নানারকম ঝামেলা, একই কাজ কেউ দু ঘন্টায় কেউ তিন ঘন্টায় করতে পারেন। কাজের কোয়লিটি-ও অনেকটাই ব্যক্তি নির্ভর। তার বিচার কি ঘন্টা মেপে হবে ? (স্বাতী-ও লিখেছেন)"

    এই প্রসঙ্গে - অন্য চাকরির সাথে বাড়ির কাজের কোয়ালিটেটিভে তফাৎ তা ঠিক কি ভাবে বোঝানো হবে আর কারা করবে ? কাজের লোকেরা বাড়ির কিছু কাজ করে থাকেন যেটা আদতে আমরা নিজেরা করতে চাইনা বা করার সময় থাকে না । এবার সেই কাজ গুলো যদি কেও পয়সা নিয়ে করেন , তাকে তার কাজের জন্য সঠিক মাইনে দিতে আপত্তি কোথায় ? সরকার থেকে একটা মিনিমাম স্যালারি যদি ঠিক করে দেওয়া হয়, তাতে প্রবলেমটা ঠিক কোথায় ? কোনো সরকারি অফিস এ, এক গ্রেড এ কি সবাই একই কাজ একই দক্ষতার সাথে করেন ? কাজের হাল দেখে মনে তো হয়না। তাহলে ওখানেও আপাত দক্ষতার হিসেবে আলাদা আলাদা মাইনে, DA- দেওয়া চালু হলে আশা করি আপত্তি নেই ?

    নাকি সংগঠিত ক্ষেত্র বলে সেগুলোকে আলাদা ভাবে দেখতে হবে ? কারণ সেখানে কালেকটিভ বার্গইন পাওয়ার বেশি। তাহলে পাল্টা হিসেবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কাজের লোকেরা যদি ইউনিয়ন বানিয়ে সংগঠিত হবার চেষ্টা করেন , তাহলে আপত্তি কোথায় ? এতো আবেগ, চোখের জল, সন্ধ্যা মাসিরা আসছে কেন ? ওনারা এলে আসুন, স্মৃতি হিসেবে একশো বার। কিন্তু ইউনিয়ন কে এতো ভয় কেন ? সেটা ছাড়া কি সব কিছু ঠিক ঠাক চলছে ? এলেই সব বিগড়ে যাবে ?

    আরো একটা প্রশ্ন - "কাজের লোকেরা কেউ সমাজ সেবা করতে আসেন না। সবাই যদি নিজের কাজ নিজে করতে শুরু করেন, বা বেশি মাইনে না দিতে পেরে লোক রাখতে না পারেন, কাজের লোকের তাতে কিছু লাভ নেই।"

    -আপনারা যে কাজের লোক রাখেন সেটা কি তাদের ভালো মন্দের কথা চিন্তা করে ? নাকি আদতে নিজের সুবিধা অসুবিধার কথা চিন্তা করে ? যদি প্রথমটা হয়, তাহলে তো আপনারা সবাই মহান সমাজ সেবী, তাহলে ওনারা বেশি পেলে আপনাদের আপত্তির কথা নয়। । আর যদি দ্বিতীয়টা হয়, তাদের কিসে লাভ আর কিসে ক্ষতি এটা কি আপনাদের চিন্তা করার কেও দায়িত্ব দিয়েছে ? নাকি এতো চিন্তা সব আসলে নিজের পকেট থেকে একটু বেশি খসে যাবে বলে ?
  • কাজের মেম | 0189.82.0178.116 (*) | ২৮ জুন ২০১৮ ০৪:৫২63570
  • এরা সব কম পয়সায় কাজ করে কেন? আমরা বিদেশে তো কই করি না।
  • বাঙাল | 342323.176.342312.238 (*) | ২৮ জুন ২০১৮ ১২:৩১63566
  • "আমার এক আমেরিকান কলীগের বৌ চাকরী ছেড়েছিলেন ঠিক এই হিসেবে। তার মাইনের থেকে নাকি দুটি সন্তানের ক্রেশের খরচ বেশি ছিল, এজ ইউজুয়াল ছেলেটি ছাড়েন নি । তবে এটাও জানি যে এটা কোন এক্সপ্লয়টেসন চালিয়ে যাওয়ার স্বপক্ষের যুক্তি হতে পারে না। " ছেলেটির মাইনে কি আরো কম ছিল?
  • বউদি | 4512.139.232323.45 (*) | ২৯ জুন ২০১৮ ০৮:০১63571
  • অ্যাই তো ! বেশ ঝাল ঝাল পোস্ট এসেছে। লিখছি গুছিয়ে, কিঞ্চিৎ কাজ রয়েছে, সেরে নিই। আপনেরা চালিয়ে গেলে একটু ভালো হয়।
  • বিপ্লব রহমান | 342312.108.454523.169 (*) | ৩০ জুন ২০১৮ ০৩:৪৭63572
  • আলপনা মণ্ডলের ফেসবুক নোট থেকে:
    ~~~~~~~~~~~~
    আমরা বাচ্চাদের জন্ম দিইনা।

    আমরা যারা ইটভাটায়,আলুগুদামে,ব্যাগ ফ্যাক্টরিতে,লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করি তাদের বাচ্চা হয়না। মাঠে ঘাটে কাজ করা মহিলা এমনকি হাউস ওয়াইফদেরও বাচ্চা হয়না। বাচ্চা কেবল তাহাদের হয় যারা এই দেশের মহিলাদের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ। যেনারা সরকারি এবং নামি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। কেননা তাঁহাদের বাচ্চা হওয়ার আগে এবং পরে সবেতন ছুটি দেওয়া হয়-আসলে বাচ্চা হওয়া এক গুরুতর অসুখ কিনা ,আর অসুখ হলে কে না জানে বিশ্রামের প্রয়োজন।

    আমাদের মা,দিদিমা, আমি এবং বিগত মনুষ্য প্রজন্ম এই অসুখ হতে মুক্ত ছিলেন,তাহাদের বাচ্চাও হয়নাই ছুটির প্রয়োজনও হয়নাই।

    এখন একটা গোল বেধেছে। মোদি সরকার এই অসুস্থতা'র গুরুত্ব উপলব্ধি করে সবেতন ছুটির সময় বাড়িয়ে দিতে চলেছেন,আর তাতেই গেল গেল রব। দু চারদিন অসুস্থ হলে কাজের বাড়ি গজগজ করে মেনে নেয় কিন্তু কেউ যদি মাস তিনেক বাচ্চা হওয়ার আগে এবং পরে অসুস্থ থাকে তার ওপর এই সময়ের জন্য যদি বেতন দিতে হয় কার ভালো লাগে বলুন তো? আশংকা এইখানে যে যদি বেশি ছুটি দিতে হয়, গোটা চাকরি জীবনে দু থেকে তিনবার তাও বেতন সমেত তাহলে তো কোম্পানি ডকে উঠবে। তার থেকে এই সম্ভাব্য অসুস্থ জনতা কে চাকুরী তে না নেওয়াই ভালো।

    সত্যই তো অসুস্থ লোকেদের চাকুরীতে না নিযুক্ত করাই ভালো।।আপনেরা মানে নাম করা বেসরকারি প্রতিষ্টান আগামিতে আমাদের নিযুক্ত করে দেখতে পারেন।

    আমাদের মাতৃত্বই নেই তা মাতৃত্বকালীন ছুটি।
    আমরা বাচ্চাদের জন্ম দিইনা বাচ্চা বিয়োই।
  • শক্তি | 7823.63.235612.79 (*) | ৩০ জুন ২০১৮ ০৫:০৩63573
  • বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে এম্প্লায়ার এম্প্লয়ি সম্পর্ক মাইনে এবং কাজ এবং ছুটির ব্যাপারে সামঞ্জস্য আনা খুব জটিল ।অন্ততপক্ষে এখন অবধি যে পরিস্থিতি ।ইউনিয়ন একটা থাকলে হয়তো ভালো হতো কিন্তু পাল্টা ইউনিয়ন ও হবে ।আর ইউনিয়নের মাথায় যাঁরা থাকেন তাঁদের মাতব্বরি এবং সততা নিয়ে সন্দেহ যায় না ।মাইনের এবং কাজের একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ রূপরেখা তৈরি না হলে উভয়পক্ষই অশান্তির শিকার হবেন ।
  • PT | 340123.110.234523.17 (*) | ০১ জুলাই ২০১৮ ০২:৩৯63576
  • এই খপরটা থেকে কিছু প্রাসঙ্গিক সত্যি কথাও খোঁচা মারলঃ
    "মমতা ব্যানার্জি রেলমন্ত্রী থাকতে সুজাতার মতো কাজের মাসি–পিসিদের জন্য ২৫ টাকায় রেলের মান্থলিতে যতবার খুশি যাওয়া–আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এখন সেই মান্থলি ১৮০ টাকা। দুই বিবাহিত মেয়ে এবং এক পড়ুয়া ছেলের মা লজ্জায় মুখ লাল করে চোখ মাটিতে নামিয়ে বলল, মাঝে মাঝে টিকিটই কাটি না!‌ দলবেঁধে চলে আসি। আজ যেখানে থাকে, বামফ্রন্ট আমলে সেখানে ৫ কাঠা জমি পেয়েছিল। সেখানেই ওর মাটির কুঁড়ে। মমতা ব্যানার্জির ২ টাকা কিলোর চাল ও গম এখনও পায়। তবে পরিমাণে ঢের কম। ২‌‌‌½‌ কিলো চাল ও ২½‌ কিলো গম। ওতে হয় না। তাই বাজার থেকে সবচেয়ে নিরেস চাল ২৫ টাকা কিলো দরে কেনে। মুসুরির ডাল দেড় কিলো ১০০ টাকায় আর ১২০ টাকায় ১ কিলো সরষের তেল।"
  • sm | 7845.15.9004523.55 (*) | ০১ জুলাই ২০১৮ ১২:৩৩63575
  • ওপরের আর্টিকেল টি মোটামুটি গুছিয়ে লেখা হয়েছে। বেশ চমৎকার দাবি দাওয়া। ঘন্টা প্রতি, বেতন দিতে হবে।
    আট ঘন্টা রোজ কাজ করলে, বারো থেকে আঠার হাজার মাইনে। মাতৃত্ব কালীন ছুটি।
    অর্থাৎ ঘণ্টায় পে করলেই হবে না,চুক্তি পত্র থাকাও বাঞ্ছনীয় করতে হবে।
    দুই, বেশ প্রফেশনাল এটিচ্যুড। এতে করে অনর্থক এক ঘন্টা কাজের জায়গায় পাঁচ ঘন্টা বসিয়ে রাখা কমবে।
    আমি না ;সোফায় বসে, কাজের লোকের সঙ্গে টিভি দেখি, বগি থালায় খেতে দিয়ে থাকি, একদম বাড়ির লোকের মতো দেখি --এই সব নজর ঘোরানো কথা বার্তা কমবে।
  • ghoti | 90090012.38.455612.21 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫৫63585
  • Rেঃ কাজের লোক ও আমরা
    ওম্মেন্ত ফ্রোম বাঙাল ওন ০২ যুল্য ২০১৮ ১৪ঃ২০ঃ৫৪ ঈট ৬৭০১১২।২০৩।১২১২১২।৮৬ (*) #
    " এঁদের কি বলবেন, সংসারের সব কাজ নিজে করতে না কি মাইনের আদ্ধেকটা কাজের লোককে দিয়ে দিতে ? "

    সংসারের সব কাজ নিজে করলে ক্ষতি কি? আমার এঁটো বাসন আরেকজন ধোবেন কেন?

    ঠিক ক্থা , কাল থেকেই বিপ্লব শুরু হোক। আপনি রেস্টুর‌্যান্টে ঢুকে খেয়ে দেয়ে নিজের এঁটো বাসনটি না মেজে বেরুবেন না যেন। আপনি এগিয়ে চলুন কমরেড, আমরা পেছ্নে আছি ।
  • sm | 7845.15.9000123.168 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৪:২৬63586
  • সত্যি কথা! লোকে যখন কোন কমেন্ট করে, তখন বোধ হয় কিছু না ভেবেই বলে। বিদেশে রেসটুরেন্টগুলোতে কি হয়?
    কিছু জনতা আছে, বোধ হয় চেটে সাফ করে দেয় বা ডিসকাউন্টে পে করে, বাসন মেজে দেয়।
    তবে, বৌদির পোস্টের প্রেক্ষিতে, একটা কথা। আওয়ারলি পে করলে কিন্তু এম্প্লয়ার এর ও সুবিধা।কাজের লোক,
    ইচ্ছে মত কামাই করলে বা ছুটি নিলে পেমেন্ট ও করতে হবে না। দর কষাকষি করা যাবে।
  • PT | 340123.110.234523.24 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৬63587
  • বাবু ও বিবি দুজনেই কাজে যাবে ৯ টার মধ্যে আর প্রতিদিন তারা কাজের লোকের ঘন্টা মাপার জন্যে বসে থাকবে?
  • সোম | 7845.15.6790012.16 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৫:০১63588
  • সিসিটিভি আর বায়ামট্রিক ব্যবস্থা থাকলেই হলো। সামান্য টেকনোলজি! --))
  • sm | 7845.15.6790012.16 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৫:০২63589
  • সরি ,সোম নয় sm হবে।
  • PT | 340123.110.234523.24 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৫:৩২63590
  • হাঃ! হাঃ!!......আলোচনাটা এবার শেষ হওয়াই ভাল।
  • বৌদি | 232312.15.3467.241 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৮:৩৬63577
  • অমিত এত খাপ্পা হয়ে আছেন কেন কে জানে ! উনি বোধহয় বহুদিন দেশে থাকেন না তাই চাকরী বলতেই 'সরকারী', বাঁধা মোটা মাইনে অন্যন্য সুবিধে, আর কাজে লোক মানেই মুখবুজে অত্যাচার সয়ে যাওয়া মানুষ, যাদের সঙ্গে মানুষের মত আচরণটাও কেউ করে না ! ইতি মধ্যেই অনেকে বাস্তব চিত্র নানাদিক থেকে তুলে ধরেছেন কিন্তু তাতে কি !

    'সঠিক মাইনে' কাকে বলে ? আপনি জানেন, প্রাইভেট ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজে কত টাকায় চাকরী করে এম এস সি, পিএইচডি অবধি করে আসা ছেলেমেয়েরা ? ২৫০০০ থেকে ৩০০০০। উর্ধ্বসীমা অবশ্যই কিছু বেশি। তাদের 'ডিউটি' আওয়ার' ন'ঘন্টা। সপ্তাহে দুদিন ছুটি, কিন্তু যেকোন সময়ে ছুটি বাতীল হতে পারে। হয়ও। এদের কথা ভেবেছেন কোনদিন ? প্রাইমারী শিক্ষকের মাইনে শুরুতে মেরেকেটে ২০০০০। ডিউটি ছ'দিন। এঁদের কি বলবেন, সংসারের সব কাজ নিজে করতে না কি মাইনের আদ্ধেকটা কাজের লোককে দিয়ে দিতে ? এটা জাস্ট একটা-দুটো উদাহরণ দিলাম, যাঁদের জীবনে কাজের লোকের মাইনে নিয়ে ভাবতে হয় আর যে কারণে ভাবতে হয়। এর থেকে আরও খারাপ অবস্থাও আছে।

    এইবার বলবেন, এরা এত কম মাইনেয় কাজ করে কেন, এরা কি সমাজসেবা করতে এসেছে ? না, নানারকম সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে যা পেয়েছে, তাই করছে। কারণ দরকারটা নিজের। কাজের লোকেরদের ব্যাপারটাও ঠিক একই রকম। এটা 'স্কিল্‌ড্‌ জব' নয়, নিজের ক্ষমতায় যেটুকু রোজগার করতে পারছে, সেটুকুকেই আর একটু বাড়াতে চাইবে, এই অবধি। কিন্তু একেবারে বাঁধা মাইনে উইথ আদার ফেসিলিটিজ না পেলে করব না, বলে বসে থাকলে এঁরা অনেকেই কাজ পাবেন না, তাতে তাঁদের কিছু লাভ নেই। এটা আমাকে কেউ ভাবতে বলে নি, যাঁদের ভাবার কথা তাঁরাই ভাবেন, তাই যে যার মত দরকষাকষি করেন কিন্তু তার বেশি নয়। মানুষের সামর্থ্য জীবনযাত্রা সর্বত্র এক নয়, ঠিক এই কারণেই কাজের লোক থেকে গৃহশিক্ষক কারুর মাইনেই সর্বত্র সমান নয়, এই সত্যটা এঁরা বোঝেন। কাজের লোকের মাইনে ঘন্টা পিছু যে রেট ঠিক হয়েছে, তা চালু হলে তাতে যেমন কিছু লোকের মাইনে বাড়বে তেমনি সাউথ সিটি বা সল্টলেক বা বালিগঞ্জের অনেকেরই মাইনে কমে যাবে আর গ্রামের দিকে অনেকেরই কাজ চলে যাবে। সেটা ভালো হবে না খারাপ হবে তা ঠিক করার আমি কেউ নই, আমার আপত্তি বা সমর্থনের প্রশ্নই নয়, শুধু সত্যটা যেমন বুঝি, তাই লিখছি।

    "এই প্রসঙ্গে - অন্য চাকরির সাথে বাড়ির কাজের কোয়ালিটেটিভে তফাৎ তা ঠিক কি ভাবে বোঝানো হবে আর কারা করবে ?" একটু ভাবলে উত্তর নিজেই পাবেন। বাড়ির কাজ জমিয়ে রাখা যায় না, এঁটো বাসন মেজে নিতেই হবে, নোংরা ঘর পরিস্কার করে নিতেই হবে, রান্নাও। তাই কাজের লোক কামাই করা মানে হয় তার কাজ আপনাকে করে নিতে হচ্ছে, কিম্বা তার জন্য আলাদা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু অফিসের কেরাণী থেকে ইস্কুলের মাস্টারমশাই না এলে কাজ জমেই থাকে। এটাই সবচেয়ে বড় একটা তফাৎ। কাজটা যে করবে আর যে করাবে এটা সে / তারাই ঠিক করবে।

    আলপনা মন্ডল যাই লিখুন, প্রত্যেক পরিচারিকাই দরকার মত ছুটি নেন, শরীর খারাপ হলে বা এমনিই। জামাইষষ্ঠি বা অরন্ধন। বলে বা না বলে। ছুটি 'না দেওয়ার' কোন অপশনই নেই। বেশ করেন, এটা ওঁদের অধিকার। তার মধ্যেও অনেকেই বৌদি-র সুবিধে দেখেন কেউ দেখেন না। এর কোনও নিয়ম নেই। সপ্তাহে একদিন হিসেবে না নিয়ে টানা দু-তিন দিন ছুটি নিলে সুবিধে বেশি হয়, সেটা ওঁরাও জানেন।

    শেষ একটা কথা। 'কাজের লোক' এর প্রতি সহানুভূতি থাকতে গেলে কি যারা কাজের লোক রাখেন তাঁদের প্রতি অসম্মান সূচক কথা বলা বাধ্যতামূলক ? না হলে তাঁরা অফিসে কাজ করেন না খালি মাইনে নেন, অলস তাই বাড়ির কাজও করেন না, কাজের লোকের সঙ্গে মানুষের মত আচরণ করেন না, শুধু নিজের পকেট থেকে একটু খসার ভয়ে কাঁপেন, ধারাবাহিক ভাবে এমন মন্তব্য করার মধ্যে কিসের আনন্দ ?
  • বাঙাল | 670112.203.121212.86 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৮:৫০63578
  • " এঁদের কি বলবেন, সংসারের সব কাজ নিজে করতে না কি মাইনের আদ্ধেকটা কাজের লোককে দিয়ে দিতে ? "

    সংসারের সব কাজ নিজে করলে ক্ষতি কি? আমার এঁটো বাসন আরেকজন ধোবেন কেন?
  • বৌদি | 232312.15.3467.241 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৮:৫৩63579
  • বনগাঁ-বারাসাত-ক্যানিং-ডায়মন্ড হারবার থেকে দলে দলে মহিলা ভোরবেলা বেরিয়ে কেন আসেন কলকাতায় কাজ করতে ? কেননা যে কাজ করতে আসেন তা আলাদা করে শিখতে হয়না, অন্য কাজ জানেন না আর যে টাকাটা উপার্জন করেন সেটা দিয়ে ওঁদের কাজে রাখার মত কেউ ওখানে নেই। তাঁরা নিজের বাড়ির কাজ নিজেরাই করেন। এটা জীবনের একটা প্রান্ত যেখানে কাজের লোক লাগে না। আর একটা প্রান্ত উন্নততর বিদেশের জীবন, যেখানে জীবনযাত্রাটা আলাদা। অনেক বেশি যন্ত্রনির্ভর, আরামের, স্বচ্ছন্দ, সেখানেও কেউ কাজের লোক রাখেন না। এই দুই জীবনের মধ্যে আমাদের কাজের লোকেরদের, যাদের সংসার চলে তাদের রোজগারে, তাদের ফিট করানোটা অসম্ভব। আম আর কলার তুলনা না করাই ভালো।
  • বৌদি | 232312.15.3467.241 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৮:৫৫63580
  • @বাঙাল, কাজের লোককেও জিজ্ঞেস করুন, কেন তিনি অন্যের এঁটো বাসন ধুচ্ছেন ? বাকিটা ওপরের পোস্টেই আছে।
  • sm | 7845.15.230123.167 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৯:১৭63581
  • ওপরের পোস্ট টি খুব ভালো লাগলো। নিজের ভিউ লিখেছেন। বায়াস কম।
    অমিতের পোস্টে গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই। কারণ একবার লিখলেন আমরা বিদেশে, নিজেদের কাজ নিজে করে নি। দেশে লোকে,কেন পারবে না।
    আবার পরের পোস্টে কাজের লোকের ইউনিয়ন হলে কার কি সর্বনাশ হবে ,এই নিয়ে ব্লা ব্লা ব্লা...
    কাজের লোকের বেতন বাড়া দরকার। এবং আওয়ারলি বেতন যুক্তি যুক্ত।
    এটাও একটা প্রফেশন, এই সম্মান টুকু এঁদের প্রাপ্য।
    এখন এফোর্ডিবিলিটি অনুযায়ী লোকজন বাড়িতে কাজের লোক রাখবেন বা রাখবেন না।
    আওয়ারলি পে হওয়ার মজা হলো, অবাঞ্ছিত স্টে করানোর ছুতো কমে যাবে।
    ধরা যাক, আওয়ারলি পে একশো টাকা হল, এবার যার খালি বাসন মাজা ও কাপড় কাচা দরকার ,তিনি সেই সার্ভিস টুকু নিয়ে ছেড়ে দেবেন।অনর্থক দুবার বাজারে চিনি বা তেল কিনতে পাঠানো বা টিংকুকে ইশকুল থেকে নিয়ে এসো তো;এগুলো বন্ধ হবে।
    এমন বাড়ি জানি, যেখানে দুপুর বারোটায় কাজ শেষ করার পর কাজের লোক তিনটে অবধি অপেক্ষা করে, কারণ ,বাড়ির খোকা স্কুল বাস থেকে নামবে।
    মালকিন, ওই সময় টুকু ঘুমান, কারণ তাঁর দুপুরে না ঘুমুলে- মাইগ্রেন হয়।
    আবার কেউ ,বাড়ির বয়স্কর দেখভালের জন্য লোক রাখেন, কিন্তু আস্তে আস্তে সবজি কাটা, রান্না করা এড হয়ে যায়।
    আসে, বিভিন্ন রকম তোয়াজ। পুরোনো জামা, শাড়ি দেওয়া, একই টেবল এ বসে চা খাওয়া ইত্যাদি।
    এবার আসি বাথরুম প্রসঙ্গে। অবশ্যই কাজের সময় দরকার পড়লে বাথরুম বা টয়লেট ইউজ করবেন। কিন্তু অধিকাংশ সময় এঁরাই কুণ্ঠিত থাকেন। আবাসনে বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে নিজেকে,অনেক ফ্রি অনুভব করতে পারবেন।
    মূল কথা হল, কাজের লোক যেন ভাবেন, অফিসে কাজ করার মতো এটি ও একটি জব।
    এগুলি তাঁর অধিকার।
    ফালতু সিম্প্যাথি যেন ,এট দ্যা কষ্ট অফ মানি বা টাইম না হয়।
  • sm | 7845.15.230123.167 (*) | ০২ জুলাই ২০১৮ ০৯:৩১63582
  • কাজের লোক তাঁর জব করছেন। কারণ এটিই তাঁর জানা একমাত্র জীবিকা অর্জনের উপায়। এই কাজের উপার্জনেই তাঁর সংসার চলে, কয়েকটি শিশুর খাবার হয়।
    বলতে গেলে, এয়ার হোস্টেস রাও একই কাজ করে থাকে। এঁটো বাসন বা প্লেট তুলতে হয়।
    ওয়েল, ভালো বেতন, আদব কায়দা দারুন; তাই লোকজনের মেনে নিতে অসুবিধে হয় না।
    একজন নার্সকে শৌচ কর্মী দের চেয়ে কম পুরিষ বা ইউরিন নিয়ে ঘাঁটঘাঁটি করতে হয় না।
    কেউই তা,অসম্মানের জব ভাবে না।
    এক কথায় দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ জব হলো, কেয়ারার এর জব।
    যেটা দরকার, সেটা হলো মাইন্ড সেট চেঞ্জ করা ও প্রফেশনাল এটিচ্যুড মেনটেইন করা।
    অনেকদিন আগে তির্যক বা কেউ লিখেছিলেন, ডিগনিটি বাড়ানো যায় টেকনোলজি ইউজ করে।
    যেমন হাঁটু গেড়ে মেঝে পরিষ্কার করার বদলে বাজারে হাজার টাকার মধ্যেই দুর্দান্ত মপ বেরিয়েছে। কোমর ভাঁজ অবধি করতে হবে না
    ডিশ ওয়াশার বা, ওয়াশিং মেশিন এর কথা ছেড়েই দিলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন