এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভাষা, আত্মসম্মান ও অধিকার – পা চাটতে লাগে শুধু জিভ

    Garga Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ | ৮৫০১ বার পঠিত
  • পুরো দুনিয়া জুড়ে ব্যবসার একটা প্রাথমিক নিয়ম আছে। ইংরেজিতে এই নিয়ম-কে বলে ‘কাস্টমার ইজ কিং’ অথবা ‘কাস্টমার ইজ অলওয়েজ রাইট’। এর ভাবার্থ হলো, কোন পরিষেবা দানের ক্ষেত্রে, গ্রাহকের সুবিধে-অসুবিধে, সেইটাই আসল। যে পরিষেবা দিচ্ছে, যেহেতু যে গ্রাহকের থেকে টাকা নিচ্ছে, তাই তার দায়িত্ব হলো গ্রাহক-কে তার সুবিধে মত পরিসেবা দেওয়া। গ্রাহকের কাজ নয় পরিষেবা-দাতার সুবিধে মত ছাঁচে নিজেকে তৈরী করা। দুঃখের বিষয় হলো, নিখিল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শহর আমাদের এই কলকাতায় এই নিয়মটি বাঙালিদের ক্ষেত্রে খাটে না। একটু ভেঙ্গে বলি।

    সম্প্রতি আমি প্লেনে চেপে চেন্নাই গেছিলাম। দমদম বিমানবন্দরে পৌছনোর পর ঘোষণায় জানলাম যে গেটটি থেকে প্লেন ছাড়ার কথা ছিল, সেটি পাল্টে গেছে। আমাকে যেতে হবে আরেকটি গেটে। অগত্যা তাই গেলাম। আমি ছিলাম প্লেনে ওঠার লাইনের একদম শেষের দিকে। আমরা সকলে প্রায় প্লেনে উঠে পরেছি তখন দেখলাম একজনকে বেশ ধমক দিতে দিতে একজন এয়ার ইন্ডিয়া কর্মী আমাদের লাইনের দিকে দেখাচ্ছেন। উনি বেশ অপদস্থ ও লজ্জিত বোধ করে গুটি গুটি আমাদের লাইনের দিকে এগিয়ে এলেন। আমি ওনাকে ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করলাম। উনি আমাকে জানালেন যে উনি বাংলা জানেন কিন্তু ইংরেজি-হিন্দী জানেন না। না জানতেই পারেন। অধিকাংশ বাঙালি-ই ইংরেজি-হিন্দি জানেন না। বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ মানুষই নিজেদের মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষা জানেন না। না জানাটা অপরাধ নয়। অধিকাংশ রুশ, অধিকাংশ জাপানি, অধিকাংশ চীনা মানুষ-ই নিজেদের মাতৃভাষাই শুধু জানেন। যেহেতু এই বাংলার সর্ববৃহৎ শহরের সর্ববৃহৎ বিমানবন্দরে এই বাঙ্গালীটি শুধু বাংলা জেনেই ঢুকে পড়েছেন প্লেনে চাপতে, তাই স্রেফ হিন্দি ও ইংরেজি-তে করা ঘোষণাগুলি উনি ঠিক ধরতে পারেননি। ফলে পুরনো গেটেই এদিক সেদিক করছিলেন। তারপর সেখানে চেন্নাই-এর প্লেন ছাড়ার কোন চিহ্ন না দেখে শেষে একে তাকে জিজ্ঞেস করে এই নতুন গেটে এসছেন। যেহেতু দেরি করে এসছেন, তাই যে এয়ার ইন্ডিয়াকে উনি গুনে গুনে প্লেনে চড়তে অনেক টাকাই দিয়েছেন, তারা তাকে দেরি করার জন্য ধমক দিচ্ছিলেন। উনি লজ্জা করে আর বলে উঠতে পারেননি যে উনি হিন্দি-ইংরেজি জানেন না। আসলে লজ্জা পাওয়ার কথা এয়ার ইন্ডিয়ার। যে কোম্পানি কারুর থেকে কড়ায়গন্ডায় টাকা বুঝে নিয়ে গ্রাহকের নিজের ভাষায় তাকে পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে। আর লজ্জা পাওয়ার কথা আমাদের – যারা বাংলায় বসে বাঙালির সাথে এয়ার ইন্ডিয়ার এই হিন্দি-ইংরেজি খবরদারি নীতিকে স্বাভাবিক মনে করি এবং স্রেফ বাংলা জানা বাঙালির হিন্দি-ইংরেজি না জেনেই তার নিজেদের দেশ বাংলার মাটিতে গড়া বিমানবন্দরে এসে প্লেনে চড়ার ‘ধৃষ্টতা’কে অস্বাভাবিক মনে করি।

    আমরা ভারতীয় ইউনিয়ন নাম এক অদ্ভূত রাষ্ট্রের অধীন। এখানে সরকারী এয়ারলাইন কোম্পানি, যা কিনা অনেকের মতই বাঙালির দেওয়া টাকার ভর্তুকি-তে চলে, এলাকার মানুষকে এলাকার ভাষায় পরিষেবা দিতে চায় না। বলে নিয়ম নেই। আসলে এই নিয়ম ভারত সরকারের। এ নিয়ম সচেতন। এ নিয়ম এই রাষ্ট্রে হিন্দি-ইংরেজি ভাষী ছাড়া আর সকলকে দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক করে রাখার এক সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই নিয়মতন্ত্র চলছে আমার আপনার টাকায়। এই নিয়মকে অনেক উড়ুক্কু বাঙালি সঠিক মনে করেন। আমাদের মতো নির্লজ্জ ও ক্ষমতার পা-চাটা জাত আর হয় না। বাঙালি এলিট-রা এককালে ইংরেজ-দের পা চাটত, এখন তারা পা চাটে দিল্লীর। এই পা চাটার মাধ্যমেই স্রেফ নামে একটি বাঙালি শ্রেণী সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রাণে-বচনে-যাপনে বাঙালিদের দাবিয়ে রেখেছে। এই শ্রেনীর উত্খাত এমন এক মঙ্গলময় প্রকল্প যাতে বঙ্গলক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকবে বলে আমি নিশ্চিত।

    ওই প্লেন যাত্রায় বাঙালির বিড়ম্বনা এখানেই শেষ না। প্লেন যাচ্ছে বাংলা থেকে তামিল নাডু। প্লেনের অধিকাংশ যাত্রীর মাতৃভাষা হয় বাংলা কিম্বা তামিল। কি করে সিট-বেল্ট বাঁধতে হয় থেকে শুরু করে বিপদ হলে কি কি করতে হবে, এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি এই সরকারী প্লেনে বাংলা বা তামিল, কোন ভাষাতেই বিমান-সেবিকারা ঘোষণা করলেন না। এমনকি লিখিত অবস্থাতেও সেটি সে তথ্য কথাও ছিল না। যে সরকার তার নীতির অংশ হিসেবে বাঙালি ও তামিলদের সুরক্ষা নির্দেশাবলী শোনায় হিন্দি-তে, সে সরকার আর যাই হোক বাঙালি বা তামিলের প্রাণ ও সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত নয়। তাহলে এ কেন্দ্রীয় সরকার আসলে কার? যাদের ভাষায় তারা সুরক্ষা নির্দেশ দিল, তার। আমার বলতে লজ্জা করছে যে মধ্য-প্রাচ্য থেকে অনেক বিমানে চড়ে আমি কলকাতা এসছি, যেখানে প্লেনের নানা অংশে নানা নির্দেশ (যেমন দরজায় লেখা ‘টানুন’ বা ফ্লাস করতে কোথায় টিপতে হবে) বাংলা-তামিল-হিন্দি-আরবী-ইংরেজি এমন অনেক ভাষায় লেখা থাকে। কেন? তাদের কাছে বিমান একটি পরিষেবা, যেখানে তারা গ্রাহকের সুবিধা করতে চায়। আমার দেশ যে রাষ্ট্রের অধীন, তারা দুরদর্শন থেকে ব্যাঙ্কের পাশবই থেকে সরকারী বিমানের সুরক্ষা নির্দেশ, সবখানেই হিন্দি প্রচারের মাধ্যমে তেরঙ্গা জাতীয়তাবাদ প্রচারে ব্যস্ত। ঐক্যের মধ্যে বৈচিত্রের স্লোগানের নাম যে জুয়াচুরি অ-হিন্দিভাষীদের সাথে চলেছে দেশভাগের পর থেকে, তার হিসেব কি আমরা নেব না? আমরা নিজেদের কাছে আর কত ছোট হবো? এ কোন একতা যা বজায় রাখতে আত্মসম্মান বন্ধক রাখতে হয়? একতা চাই – এমন একটা, তার পূর্বশর্ত হবে পারস্পরিক সম্মান।

    প্লেনে যে ওঠে, সে শুধু বাংলা জানুক বা ইংরেজি পণ্ডিত হোক, নিখিল বাংলাদেশের নিরিখে সে একজন এলিট। সেখানেই যদি ভাষার ক্ষেত্রে এমন করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, একবার ভেবে দেখুন রোজকার সেই অভিজ্ঞতাগুলির কথা – যেখানে বাংলার সীমান্তের বিএসএফ, কলকাতার মেট্রোতে রেল পুলিশ, বর্ধমানে সরকারী বেঙ্কের ম্যানেজার এবং আরো অনেকে যারা নাকি আমাদের ‘পরিসেবা’ দ্যান বাংলা না জেনেই। উত্তরপ্রদেশে হিন্দি না জেনে এই কাজগুলি করতে চাইলে স্থানীয় মানুষ তাদের কি অবস্থা করত, সেটা নাই বললাম। অনেকেই এসব শুনে বলবেন – হিন্দী তো রাষ্ট্রভাষা বা জাতীয়ভাষা। তাদের জানিয়ে রাখি, হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়, জাতীয় ভাষাও নয়। এগুলি রাষ্ট্র হিতার্থে চালু গুজব। গুজরাট হাইকোর্ট রায়তে জানিয়েছেন যে গুজরাটের ক্ষেত্রে হিন্দী ‘ফরেন’ বা বিদেশী ভাষা। আর রয়েছি আমরা। এমন এক জাতি, যারা কোথাও ঢুকতে গেলে দরজা খুলতে বলিনা, দরজার ফাঁক দিয়ে নিজেকে বেঁকিয়ে গলানোর চেষ্টা করি। এই বাঙালিই বাংলার মাটিতে টেক্সীকে হাত দেখিয়ে হিন্দিতে জিজ্ঞেস করে ‘যায়েগা?’। চম্পারন বা ভোজপুর জেলা কলকাতায় গতর খাটতে আশা আমার সেই টেক্সী-চালক ভাই-এর ভাষা যে হিন্দি নয়, ভোজপুরি, আমরা তাও জানিনা। এও জানিনা যে সে বাংলা বোঝে। দিল্লি-তে তো কত বাঙালি শ্রমিক কাজে যান – কোন হিন্দিভাষী সেখানে তাদেরকে বাংলায় হাঁক দ্যান?

    সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সরকার নিয়ম করেছেন যে নতুন অটো-রিক্শ পারমিট পেতে হলে মারাঠি বলতে জানতে হবে। কোন প্রতিবাদ হয়নি এ ঘোষণার কারণ এটি স্বাভাবিক। সেখানে অধিকাংশ অটো-চালকের মাতৃভাষা মারাঠি নয়। তারা বাইরে থেকে আসা। কিন্তু তারা জানে না এক্ষেত্রে যাকে পরিসেবা দেওয়া হচ্ছে, সেটাই অগ্রধিকার পায়। সেই বহিরাগতরাও মারাঠি শিখে নিয়েছে এবং সৎভাবে রোজগার করে খাচ্ছে। এটা এই বাংলায় সম্ভব না। কারণ এর জন্য লাগে আত্মসম্মান ও শিরদাঁড়া। পা চাটতে লাগে শুধু জিভ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ | ৮৫০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হরি দাস | 11.39.38.94 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:০১69543
  • লেখাটি অত্যন্ত বোকা বোকা। এই বাঙালি, তামিল এসব কি করে নির্ধারিত হয়? কলকাতা থেকে চেন্নাই যাচ্ছে তাই অধিকাংশ যাত্রীর মাতৃভাষা বাংলা কিম্বা তামিল হয় কোন যুক্তিতে? আর ঐ মাতৃভাষার ধারণাটিও আজকের বাস্তবে বেশ গোলমেলে। একেই এদেশে সমস্যার অভাব নেই আর বিপ্লবী খোকার দলের আরো চাই।
  • হরি দাস | 11.39.38.94 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:০১69544
  • লেখাটি অত্যন্ত বোকা বোকা। এই বাঙালি, তামিল এসব কি করে নির্ধারিত হয়? কলকাতা থেকে চেন্নাই যাচ্ছে তাই অধিকাংশ যাত্রীর মাতৃভাষা বাংলা কিম্বা তামিল হয় কোন যুক্তিতে? আর ঐ মাতৃভাষার ধারণাটিও আজকের বাস্তবে বেশ গোলমেলে। একেই এদেশে সমস্যার অভাব নেই আর বিপ্লবী খোকার দলের আরো চাই।
  • utpal mitra | 212.191.212.178 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:০৪69531
  • এক্দম সত্যি লিখেচেন
  • কল্লোল | 135.17.65.226 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:৩৭69532
  • কিন্তু আমার যতদূর মনে পড়ে প্রত্যক এয়ারপোর্টে স্থানীয় ভাশায় ঘোষনা হয়। কলকাতায় বাংলা, হিন্দী ও ইংরাজীতে হয়। মুম্বইতে মারাঠি, হিন্দী ও ইংরাজীতে হয়। ব্যাঙ্গালোরে কন্নড়, হিন্দী ও ইংরাজীতে হয়। হায়দ্রাবাদে তেলেগু, হিন্দী ও ইংরাজীতে হয়।
    সমস্যাটা কোথায়?
    যে ঘটনাটি গর্গ লিখেছেন তা খুবই নিন্দনীয়। কিন্তু এটা ঠিক নয় যে স্থানীয় ভাষায় ঘোষনা হয় না। এরকম হতেই পারে একজন মালায়লী মানুষ বা একজন তামিল মানুষ বা একজন জাপানী মানুষ যিনি ইংরাজি হিন্দী বা স্থানীয় ভাষা কোনটাই জানেন না, তার ক্ষেত্রে নিশ্চই খারাপ ব্যবহার করাটা অন্যায়।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:০৭69533
  • রাইট। পুণেতে মারাঠী হিন্দী আর ঈংরাজীতে, লুরুতে কন্নড়, হিন্দী আর ঈংরিজিতে আর কলকাতায় বাংলা হিন্দী আর ঈংরিজিতে ঘোষণা শুনি।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৫২69534
  • খুব সত্যি কথা লিখেছেন। কিন্তু বিমানবন্দর্রে তো বংলায় শুধু ঘোষণাই নয় লেখা থাকে পর্যন্ত। আগে কেবল ইংরিজিতে অ্যারাইভাল ডিপার্চার বোর্ড থাকত। এখন হিন্দি এবং বাংলাতেও লেখা থাকে।
  • দেব | 135.22.193.150 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৯:৩৭69535
  • হুঁ কলকাতার নতুন টার্মিনালটা (আর পুরোনোটাও) যদ্দুর মনে পড়ে বাংলাতেও ঘোষনা করে। এলসিডিগুলোতেও লেখা থাকে। উনি হয়ত খেয়াল করেননি বা ঐ দিনই কিছু উৎপাত হয়েছিল। তবে যা লিখেছেন সে ঠিকই।
  • h | 213.132.214.81 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:০৫69536
  • খুব একটা সমর্থন যোগ্য নয় এই লেখাটা। মারাঠা মানুস বা কন্নড় ন্যাশনালিজম বা আসামে , বা বোডোল্যান্ডে বহিরাগত খ্যাঁদাও কি ভয়ানক রুপ নিয়েছে জানা থাকা সত্ত্বেও, এই লেখার কি মানে বুঝি না। বহু ভাষী দেশে ভাষা নিয়ে নানা রকম হাল্কা থেকে ভারী মজা বা সমস্যা থাকবে। এটা যাঁরা মানছেন না, তাঁরা রাজনইতিক উদ্দেশ্যে করছেন, একজন সাধারণ নাগরিক হঠাৎ অকারণে কেন খচে যাবে বুঝলাম না। আমার তো এটা খুব ভালো লাগে, কলকাতায় লোকে হিন্দী বাংলা ইংরেজি তিনটেই বলে ও লেখে এবং মোটামুটি স্বচ্ছন্দ বোধ করে। এবার বক্তব্য যদি হয়, দুনিয়ার বা দেশের ক্ষমতার ব্যালান্স অনুযায়ী লোকে প্রাথমিক মৌখিক ভাষা বা অ্যাকসেন্ট বদলায়, তাহলে আরো অন্য কথা কিসু লিখতে হত, যেটা পেলাম না। বাংলাদেশের বাঙালি ন্যাশনালিজম, পাকিস্তানে উর্দু পাঞ্জাবী ডমিনান্স এ কি উপকার হয়েছে আমার জানা নেই।
  • h | 213.132.214.81 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:১৮69537
  • আমি ঠিক বুজছি না, আত্মসম্মান বন্ধক রাখার প্রশ্ন আসছে কেন? মানে আমি একজন মানুষের সংগে তার ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করলে সেটা আত্মসম্মানের কি হল কচুপোড়া। অবাঙালি রা বাংলা বলবেন না, সেটাই স্বাভাবিক। হিন্দী বা ইংরেজি তে কাজ চালাতে হবে সেক্ষেত্রে। হ্যাঁ এবার হিন্দী আর ইংরেজি তে একটা চাপানোর ব্যাপার আছে, ক্ষমতার তারতম্যের ব্যাপার আছে, ইতিহাস আছে, কলোনিয়াল বা উত্তরভারতের দাদাগিরি আছে, ঠিকাছে, তার বিরোধীতা কি শিবসেনা বা বোড়ো পার্টি প্রদর্শিত পথে করা জরুরী?
  • Ekak | 113.6.157.186 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:২১69538
  • একট লোকাল এরিয়া নোটিফিকেশন সিস্টেম চালু করা যায় , যেটা যে এয়ারপোর্ট এ যখন ইউসার ঢুকবে তার ওপেন এন্দ্পয়েন্ট কে এক্সেস করে নিজের পছন্দমত ভাষায় নাগারে সমস্ত এনাউন্সমেন্ট দিয়ে যাবে । এ ছাড়া কোনো উপায় দেখছিনা । আজকের বহুভাষাভাষী জগতে তামিল্নারুতে কেন তামিল নয় , কল্ক্তাতায় কেন বাংলা নয় এসব হুজ্জুত করা বোকা বোকা লাগে। কারণ যাই সমাধান করা হোক না ক্যান সেটা ঠিক কার না কার পারপাস সার্ভ করতে ব্যর্থ হবে । শেষে সংবিধান মেনে সমস্ত ভাষা কে স্বীকৃতি দিতে গেলে মাছের বাজার বসে যাবে পুরো সাউন্ড পলিউশন এর চোটে :(
  • Ekak | 113.6.157.186 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:২৪69539
  • মানে , নিজের ডিভাইস এ
  • h | 213.132.214.83 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:৫৭69540
  • লজিক টা একেবারেই গোলমেলে। কত অটো চালক, ট্যাক্সি চালক, আদিবাসী বা পাহাড়ের লোক বা উড়িষ্যার লোক বাংলা শিখে নিয়েছেন তার কোন কাউন্ট নেই।
  • সে | 204.230.159.150 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:৪৪69541
  • সবাই অন্য ভাষা শিখতে পারে না। একটা বয়সের পরে আরোই না।
  • h | 213.99.211.81 (*) | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:১৬69542
  • দ্যাখা যাচ্ছে, এয়ারপোর্টের অ্যানাউন্সার দের , আর ট্যাক্সি চালাতে চাওয়া বিহারের লোকের কিংবা ওপেন এন্ডপয়েন্ট ইউজার দের বয়স কাঁচা না থাকলে হবে না ঃ-))
  • h | 11.39.37.6 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:১৫69557
  • বান্গ্লা ও হিব্রু র মত ইঙ্গ্রেজি ও ওয়েল্শঃ-)(
  • নির | 11.39.37.203 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৪৯69558
  • গত পরশু সকালে এয়ারপোর্টে দেখি একটাও ট্রলি নেই বাইরে, চারপাশে নোংরা পড়ে। ভেতরে ম্যানুয়াল লাগেজ স্ক্যানের লম্বা লাইন, অার গলা ফাটিয়ে চেঁচিয়ে চলছে লাউডস্পিকারে। এসব মান্ধাতের অামলের পরিষেবা ( সরকারী বলেই কি?) অাগে ঠিক করা হোক। কি ভাষায় চেঁচাচ্ছে সে নিয়ে মাথাব্যথা নেই, চেঁচানিটা বন্ধ করা হোক। অন্য এয়ারপোর্টের মত সাইলেন্ট এয়ারপোর্ট হবে না কেন?
  • নির | 11.39.37.203 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৫১69559
  • *মান্ধাতার
  • আশ্চর্য | 126.203.143.244 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৩২69545
  • আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি হরি দাস অনির্ধারিত তেলুগু এবং অতিনির্ধারিত পঞ্জাবী, যিনি চমৎকার বাংলা (বাংলাই তো?) শিখে নিয়েছেন।
  • গর্গ | 127.223.217.219 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৫৩69546
  • কয়েকজন মন্তব্য কলকাতা বিমানবন্দরে বাংলায় ঘোষণা হয়। এটা সত্য না। পরের বার যাচিয়ে নেবেন। রেল স্টেশনের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না।
  • যাচিয়ে নেওয়া | 132.177.139.44 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:৫৬69547
  • যাচিয়ে নেওয়া আছে। কলকাতা এয়ারপোর্টে দিব্যি বাংলায় ঘোষণা হয়, ইংরেজি আর হিন্দির সঙ্গে।
  • কল্লোল | 111.63.90.219 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:২০69548
  • কলকাতা এয়ারপোর্টে বাংলা, হিন্দী ও ইংরাজিতে ঘোষনা হয়। বাংলায় নির্দেশও থাকে কোন বিমান কখন ছাড়বে। আগমন/নির্গমন দ্বার সংখ্যাও বাংলায় লেখা থাকে। আসলে সব বিমানবন্দরেই হিন্দী ও ইংরাজি ছাড়া স্থানীয় ভাষায়ও ঘোষনা হয় (উত্তর ভারত ছাড়া)
    এমনকি আমি অন্ততঃ ইন্ডিগো বিমানে প্রত্যকবার দেখি কেবিন অ্যাটেন্ডেন্টরা কোন প্রদেশের ও কোন কোন ভাষা বলতে পারেন তাও ঘোষনা করা হয়। অন্য বিমান কোংগুলোতে কি হয় জানি না। এর মধ্যে শুধু ইন্ডিগোতেই চড়েছি।
  • T | 165.69.189.23 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:৩১69549
  • কল্লোলদা, এখন আর সব বিমানবন্দরে হয় না। যেমন লুরু, সাইলেন্ট এয়ারপোর্ট।
  • হরি দাস | 11.39.39.156 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:০৬69550
  • আশ্চর্য ঠিক কি পদ্ধতিতে ঐ সব সিদ্ধান্তে এলেন যদি বলেন? বাঙালি পুরুষ তামিল মহিলাকে বিয়ে করে চন্ডীগড়ে সেটল করলেন। তার সন্তান আশৈশব বাংলা ও ইংরিজি শিখেছে। তার মাতৃভাষা কি হবে?
  • Ekak | 113.6.157.186 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৫৭69551
  • হরি দাস , আপনি যেটা বলছেন সেটা ঠিকই । এভাবে যারা বড় হচ্ছে বা যাদের বাড়িতে ছোটবেলা থেকেই মাল্টিপল ভাষা অনবরত চলছে তাদের একচুয়ালি মাতৃভাষা বলে কিছু হয়না । কিন্তু এর বাইরেও একটা বড় সেকশন আছে যারা গ্রাম-মুফাস্সল ব্যাক গ্রাউন্ড এর , টিপিকাল এক ভাষাভাষী ঘেটো তে বড় হয়েছে ,হোস্টেলে পড়তে যায়নি , যারা কলকাতায় এলে মোবাইল এর টাওয়ার দেখে বোঝে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং এসপ্লানেড কে স্প্লানেড উচ্চারণ করে ভাবে এইবার একটা ঠিকঠাক উচ্চারণ করলো । তো কে কোথায় বড় হবে সে তো তার হাতে নয় । তাদের দোষ দিয়ে বা তাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে লাভ নেই। মাতৃভাষা একটা দুর্বলতার নাম । সেটা স্বীকার করে নেয়াই ভালো এবং কাটানোর চেষ্টা করা উচিত বা টেকনোলজি দিয়ে সেই সীমাবধ্ধতা থেকে উদ্দার পাওয়ার । সমস্যা টা এক্সিস্ট করে। অস্বীকার করলে নেই হয়ে যাবেনা ।
  • হরি দাস | 11.39.39.156 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৯:৫৪69552
  • আমার আপত্তি ঐ বিপুল পরিমাণ implicit assumption এ। উত্তরপূর্ব থেকে চেন্নাই যেতে হলে অনেকেই কলকাতা হয়ে যাবেন অথচ তাদের অনেকের সাথেই বাংলার সম্পর্ক নেই। আর প্রস্তাবিত সমাধানটিও শিশুসুলভ। কারণ শুধু বাংলা নয় তাহলে সাঁওতালি, নেপালি আরো হাজারটা ভাষায় বলতে হয়। পবর অধিবাসী মানেই তার বাংলা জানতে হবে?
  • Ekak | 113.6.157.186 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:১০69553
  • "সমাধান " টা পলিটিকালি লোডেড । আর কি বলব :)
  • sm | 53.251.88.21 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:০৬69554
  • আরে কেউ কাউকে জোর তো করছে না! ইউ কে তে যান। ওয়েল্সে গেলে ইংলিশের পাশা পাশি ওয়েলস লেখা থাকে। অন্তত সরকারী দপ্তরে। এমন নয় লোকে ইংলিশ জানে না। তো পব র ভাষা বাংলা। অন্তত সরকারী দপ্তর, সরকারী/ বেসরকারী হাসপাতাল, ব্যান্ক, ডাকঘরের ফর্মে বাংলা থাকলে কি অসুবিধে? এগুলো করতে আমাকে হিন্দি আর ইংলিশ জানতেই হবে?
  • কল্লোল | 111.63.215.138 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:৪৫69555
  • ব্যাঙ্কে তো ইংরাজী আর বাংলা থাকে। হাসপাতালে মনে নেই। কলকাতা কর্পোরেশনে থাকে। ব্যাঙ্গালোরে গ্যাসের দোকানে থাকে ইংরাজি আর কন্নড়। ব্যাঙ্কেও থাকে, পোস্ট আপিসেও।
  • কল্লোল | 111.63.215.138 (*) | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:৪৯69556
  • এসেম।
    এটা শুদ্ধু জানার জন্য। ইংরাজী থেকে ওয়েলস বা আইরিশ কি স্কট কি আলাদা ভাষা। তফাৎটা কি ঢাকা-কলকাতা-পুরুলিয়া-চট্টগ্রাম নাকি বাংলা-অসমীয়া-ওড়িয়ার মতো।
  • ccu | 24.98.12.17 (*) | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:৪৮69560
  • কল্লোলের মতই আমার অভিজ্ঞতা - দমদম এয়ারপোর্ট এ বাংলায় দিব্যি ঘোষণা হয় , লেখাও দেখায় ডিসপ্লে তে ,দুচারটে বানান ভুল থাকে। এই লেখক অবশ্য একটু আমরা বাঙালি টাইপ এর মত লেখেন :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন