এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভাষা, আত্মসম্মান ও অধিকার – পা চাটতে লাগে শুধু জিভ

    Garga Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ | ৮৫০২ বার পঠিত
  • পুরো দুনিয়া জুড়ে ব্যবসার একটা প্রাথমিক নিয়ম আছে। ইংরেজিতে এই নিয়ম-কে বলে ‘কাস্টমার ইজ কিং’ অথবা ‘কাস্টমার ইজ অলওয়েজ রাইট’। এর ভাবার্থ হলো, কোন পরিষেবা দানের ক্ষেত্রে, গ্রাহকের সুবিধে-অসুবিধে, সেইটাই আসল। যে পরিষেবা দিচ্ছে, যেহেতু যে গ্রাহকের থেকে টাকা নিচ্ছে, তাই তার দায়িত্ব হলো গ্রাহক-কে তার সুবিধে মত পরিসেবা দেওয়া। গ্রাহকের কাজ নয় পরিষেবা-দাতার সুবিধে মত ছাঁচে নিজেকে তৈরী করা। দুঃখের বিষয় হলো, নিখিল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শহর আমাদের এই কলকাতায় এই নিয়মটি বাঙালিদের ক্ষেত্রে খাটে না। একটু ভেঙ্গে বলি।

    সম্প্রতি আমি প্লেনে চেপে চেন্নাই গেছিলাম। দমদম বিমানবন্দরে পৌছনোর পর ঘোষণায় জানলাম যে গেটটি থেকে প্লেন ছাড়ার কথা ছিল, সেটি পাল্টে গেছে। আমাকে যেতে হবে আরেকটি গেটে। অগত্যা তাই গেলাম। আমি ছিলাম প্লেনে ওঠার লাইনের একদম শেষের দিকে। আমরা সকলে প্রায় প্লেনে উঠে পরেছি তখন দেখলাম একজনকে বেশ ধমক দিতে দিতে একজন এয়ার ইন্ডিয়া কর্মী আমাদের লাইনের দিকে দেখাচ্ছেন। উনি বেশ অপদস্থ ও লজ্জিত বোধ করে গুটি গুটি আমাদের লাইনের দিকে এগিয়ে এলেন। আমি ওনাকে ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করলাম। উনি আমাকে জানালেন যে উনি বাংলা জানেন কিন্তু ইংরেজি-হিন্দী জানেন না। না জানতেই পারেন। অধিকাংশ বাঙালি-ই ইংরেজি-হিন্দি জানেন না। বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ মানুষই নিজেদের মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষা জানেন না। না জানাটা অপরাধ নয়। অধিকাংশ রুশ, অধিকাংশ জাপানি, অধিকাংশ চীনা মানুষ-ই নিজেদের মাতৃভাষাই শুধু জানেন। যেহেতু এই বাংলার সর্ববৃহৎ শহরের সর্ববৃহৎ বিমানবন্দরে এই বাঙ্গালীটি শুধু বাংলা জেনেই ঢুকে পড়েছেন প্লেনে চাপতে, তাই স্রেফ হিন্দি ও ইংরেজি-তে করা ঘোষণাগুলি উনি ঠিক ধরতে পারেননি। ফলে পুরনো গেটেই এদিক সেদিক করছিলেন। তারপর সেখানে চেন্নাই-এর প্লেন ছাড়ার কোন চিহ্ন না দেখে শেষে একে তাকে জিজ্ঞেস করে এই নতুন গেটে এসছেন। যেহেতু দেরি করে এসছেন, তাই যে এয়ার ইন্ডিয়াকে উনি গুনে গুনে প্লেনে চড়তে অনেক টাকাই দিয়েছেন, তারা তাকে দেরি করার জন্য ধমক দিচ্ছিলেন। উনি লজ্জা করে আর বলে উঠতে পারেননি যে উনি হিন্দি-ইংরেজি জানেন না। আসলে লজ্জা পাওয়ার কথা এয়ার ইন্ডিয়ার। যে কোম্পানি কারুর থেকে কড়ায়গন্ডায় টাকা বুঝে নিয়ে গ্রাহকের নিজের ভাষায় তাকে পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে। আর লজ্জা পাওয়ার কথা আমাদের – যারা বাংলায় বসে বাঙালির সাথে এয়ার ইন্ডিয়ার এই হিন্দি-ইংরেজি খবরদারি নীতিকে স্বাভাবিক মনে করি এবং স্রেফ বাংলা জানা বাঙালির হিন্দি-ইংরেজি না জেনেই তার নিজেদের দেশ বাংলার মাটিতে গড়া বিমানবন্দরে এসে প্লেনে চড়ার ‘ধৃষ্টতা’কে অস্বাভাবিক মনে করি।

    আমরা ভারতীয় ইউনিয়ন নাম এক অদ্ভূত রাষ্ট্রের অধীন। এখানে সরকারী এয়ারলাইন কোম্পানি, যা কিনা অনেকের মতই বাঙালির দেওয়া টাকার ভর্তুকি-তে চলে, এলাকার মানুষকে এলাকার ভাষায় পরিষেবা দিতে চায় না। বলে নিয়ম নেই। আসলে এই নিয়ম ভারত সরকারের। এ নিয়ম সচেতন। এ নিয়ম এই রাষ্ট্রে হিন্দি-ইংরেজি ভাষী ছাড়া আর সকলকে দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক করে রাখার এক সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই নিয়মতন্ত্র চলছে আমার আপনার টাকায়। এই নিয়মকে অনেক উড়ুক্কু বাঙালি সঠিক মনে করেন। আমাদের মতো নির্লজ্জ ও ক্ষমতার পা-চাটা জাত আর হয় না। বাঙালি এলিট-রা এককালে ইংরেজ-দের পা চাটত, এখন তারা পা চাটে দিল্লীর। এই পা চাটার মাধ্যমেই স্রেফ নামে একটি বাঙালি শ্রেণী সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রাণে-বচনে-যাপনে বাঙালিদের দাবিয়ে রেখেছে। এই শ্রেনীর উত্খাত এমন এক মঙ্গলময় প্রকল্প যাতে বঙ্গলক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকবে বলে আমি নিশ্চিত।

    ওই প্লেন যাত্রায় বাঙালির বিড়ম্বনা এখানেই শেষ না। প্লেন যাচ্ছে বাংলা থেকে তামিল নাডু। প্লেনের অধিকাংশ যাত্রীর মাতৃভাষা হয় বাংলা কিম্বা তামিল। কি করে সিট-বেল্ট বাঁধতে হয় থেকে শুরু করে বিপদ হলে কি কি করতে হবে, এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি এই সরকারী প্লেনে বাংলা বা তামিল, কোন ভাষাতেই বিমান-সেবিকারা ঘোষণা করলেন না। এমনকি লিখিত অবস্থাতেও সেটি সে তথ্য কথাও ছিল না। যে সরকার তার নীতির অংশ হিসেবে বাঙালি ও তামিলদের সুরক্ষা নির্দেশাবলী শোনায় হিন্দি-তে, সে সরকার আর যাই হোক বাঙালি বা তামিলের প্রাণ ও সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত নয়। তাহলে এ কেন্দ্রীয় সরকার আসলে কার? যাদের ভাষায় তারা সুরক্ষা নির্দেশ দিল, তার। আমার বলতে লজ্জা করছে যে মধ্য-প্রাচ্য থেকে অনেক বিমানে চড়ে আমি কলকাতা এসছি, যেখানে প্লেনের নানা অংশে নানা নির্দেশ (যেমন দরজায় লেখা ‘টানুন’ বা ফ্লাস করতে কোথায় টিপতে হবে) বাংলা-তামিল-হিন্দি-আরবী-ইংরেজি এমন অনেক ভাষায় লেখা থাকে। কেন? তাদের কাছে বিমান একটি পরিষেবা, যেখানে তারা গ্রাহকের সুবিধা করতে চায়। আমার দেশ যে রাষ্ট্রের অধীন, তারা দুরদর্শন থেকে ব্যাঙ্কের পাশবই থেকে সরকারী বিমানের সুরক্ষা নির্দেশ, সবখানেই হিন্দি প্রচারের মাধ্যমে তেরঙ্গা জাতীয়তাবাদ প্রচারে ব্যস্ত। ঐক্যের মধ্যে বৈচিত্রের স্লোগানের নাম যে জুয়াচুরি অ-হিন্দিভাষীদের সাথে চলেছে দেশভাগের পর থেকে, তার হিসেব কি আমরা নেব না? আমরা নিজেদের কাছে আর কত ছোট হবো? এ কোন একতা যা বজায় রাখতে আত্মসম্মান বন্ধক রাখতে হয়? একতা চাই – এমন একটা, তার পূর্বশর্ত হবে পারস্পরিক সম্মান।

    প্লেনে যে ওঠে, সে শুধু বাংলা জানুক বা ইংরেজি পণ্ডিত হোক, নিখিল বাংলাদেশের নিরিখে সে একজন এলিট। সেখানেই যদি ভাষার ক্ষেত্রে এমন করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, একবার ভেবে দেখুন রোজকার সেই অভিজ্ঞতাগুলির কথা – যেখানে বাংলার সীমান্তের বিএসএফ, কলকাতার মেট্রোতে রেল পুলিশ, বর্ধমানে সরকারী বেঙ্কের ম্যানেজার এবং আরো অনেকে যারা নাকি আমাদের ‘পরিসেবা’ দ্যান বাংলা না জেনেই। উত্তরপ্রদেশে হিন্দি না জেনে এই কাজগুলি করতে চাইলে স্থানীয় মানুষ তাদের কি অবস্থা করত, সেটা নাই বললাম। অনেকেই এসব শুনে বলবেন – হিন্দী তো রাষ্ট্রভাষা বা জাতীয়ভাষা। তাদের জানিয়ে রাখি, হিন্দি রাষ্ট্রভাষা নয়, জাতীয় ভাষাও নয়। এগুলি রাষ্ট্র হিতার্থে চালু গুজব। গুজরাট হাইকোর্ট রায়তে জানিয়েছেন যে গুজরাটের ক্ষেত্রে হিন্দী ‘ফরেন’ বা বিদেশী ভাষা। আর রয়েছি আমরা। এমন এক জাতি, যারা কোথাও ঢুকতে গেলে দরজা খুলতে বলিনা, দরজার ফাঁক দিয়ে নিজেকে বেঁকিয়ে গলানোর চেষ্টা করি। এই বাঙালিই বাংলার মাটিতে টেক্সীকে হাত দেখিয়ে হিন্দিতে জিজ্ঞেস করে ‘যায়েগা?’। চম্পারন বা ভোজপুর জেলা কলকাতায় গতর খাটতে আশা আমার সেই টেক্সী-চালক ভাই-এর ভাষা যে হিন্দি নয়, ভোজপুরি, আমরা তাও জানিনা। এও জানিনা যে সে বাংলা বোঝে। দিল্লি-তে তো কত বাঙালি শ্রমিক কাজে যান – কোন হিন্দিভাষী সেখানে তাদেরকে বাংলায় হাঁক দ্যান?

    সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সরকার নিয়ম করেছেন যে নতুন অটো-রিক্শ পারমিট পেতে হলে মারাঠি বলতে জানতে হবে। কোন প্রতিবাদ হয়নি এ ঘোষণার কারণ এটি স্বাভাবিক। সেখানে অধিকাংশ অটো-চালকের মাতৃভাষা মারাঠি নয়। তারা বাইরে থেকে আসা। কিন্তু তারা জানে না এক্ষেত্রে যাকে পরিসেবা দেওয়া হচ্ছে, সেটাই অগ্রধিকার পায়। সেই বহিরাগতরাও মারাঠি শিখে নিয়েছে এবং সৎভাবে রোজগার করে খাচ্ছে। এটা এই বাংলায় সম্ভব না। কারণ এর জন্য লাগে আত্মসম্মান ও শিরদাঁড়া। পা চাটতে লাগে শুধু জিভ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ | ৮৫০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arpan | 125.118.60.127 (*) | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:২১69561
  • আর "নিখিল বাংলাদেশের" সর্ববৃহৎ শহর ঢাকা না? লেখক একটু যাচিয়ে নিতে পারেন।
  • ঈশান | 183.17.193.253 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:১৫69562
  • গর্গ যা লিখেছে, বিমানবন্দরে অবিকল তাইই দেখেছি আমি। একটা গেটে প্লেন দেওয়া হয়েছিল, এয়ার ইন্ডিয়ারই। সেসব লেখা টেখা (ইংরিজি এবং বাংলা) দেখে চলে গেলাম। তারপরে দুম করে গেট বদল। সেটা ওই কাউন্টার থেকে একজন খালি গলায় ঘোষণা করলেন। ইংরিজিতেই হবে। অবশ্য বাংলা হলেও সবাই শুনতে পেতনা। কারণ সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমিও আধা খ্যাঁচড়াই শুনেছিলাম। তারপর লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে টরে নতুন গেটে পৌঁছনো গেল। এয়ারপোর্টের মাইকে কোনো ঘোষণা শুনিনি।

    তবে এ মনে হয় শুধু এয়ার ইন্ডিয়ারই হয়। কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন, সব রকম বিলম্বই দেখা হয়ে গেছে আমার। :-)
  • | 131.245.65.142 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৩৭69563
  • অঃ তাহলে ইটি এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স নামক সাদা হাতিদের বৈশিষ্ট্য।
    দমদমে আমার জেটলাইট ফ্লাইটের গেট বদলেছিল, তো গেটেই জেটলাইটের লোকেরা একটা ছোট্ট হ্যান্ডমাইক টাইপ বস্তু নিয়ে সবাইকে অন্য গেটে যেতে বলল। এরপরেও জেটের কর্মীরা ঘুরে ঘুরে আশে পাশের লোকের হ্যান্ডব্যাগের ট্যাগ দেখে দেখে জিগ্যেস করছিল ঐ ফ্লাইট কিনা .... পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে পরিবর্তিত গেট নাম্বার অ্যানাউন্স হতে শুনেছি বাংলা হিন্দী ইংরিজিতে। মানে ওটা যে পরিবর্তিত তা বলে নি, জেটলাইটের অমুক উড়ানের যাত্রীদের তমুক গেটে চলে যেতে বলছিল।

    তবে ব্লগলেখক যেভাবে রেলস্টেশানের সাথে গুলিয়ে না ফেলার আদেশ দিয়েছেন (এবং ভেবে নিয়েছেন যে লোকে রেলস্টেশানের সাথে গুলিয়ে ফেলছে) তাতে মচৎকৃত হলাম। ভবিষ্যতে কোনওরকম মিথষ্ক্রিয়ায় না যাওয়ার চেষ্টা করব।
  • কলিম খান | 176.70.207.2 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:১০69564
  • "এই মুহূর্তে বিশ্বের, ভারতের, পশ্চিমবাংলার শাসনশীর্ষ থেকে যে-ভাষায় কথা বলা হয়, তাকে বলে দেহভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি একরৈখিক বিশেষ্যভিত্তিক (প্রতীকী) ভাষা। সাধারণত এই ভাষায় একটি বাক্যের দুরকম মানে হয় না, এর বিপরীতে যে-ভাষার খবর আজ আমরা জানি, তাকে বলে আত্মাভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি বহুরৈখিক ক্রিয়াভিত্তিক ভাষা ; সাধারণত সে-ভাষায় বাক্যের একাধিক মানে হয়। এ-ভাষা কোনো নতুন ভাষা নয়, মানবসভ্যতার ইতিহাসে এই বহুরৈখিক ভাষার প্রচলন ছিল বৈদিক যুগের প্রারম্ভকালে এবং মধ্যযুগের বাংলায়। (গ্রীস রোম প্রভৃতি দেশে তার কিঞ্চিদধিক প্রচলন থাকলেও, হোমর-পরবর্তী যুগে সে ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যায় ; যদিওমানুষের মর্যাদাহরণের ও মানুষের বহুরৈখিক ভাষার উপর আক্রমণের ঘা-এর চিহ্ন তাদেরও বুকের গভীরে আজও বিদ্যমান।) এখন দেখা যাচ্ছে, শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর কালের সেই মধ্যযুগীয় বহুরৈখিক বাংলাভাষা তৃণমূল দলটির মাধ্যমে এই নির্বাচনের মুখ্য ডাক (স্লোগান) রূপে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়েছে, আর তা ঘটেছে খানিকটা তৃণমূলের অজান্তেই। সেই বহুরৈখিক ভাষাতেই দলটি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভোট দেওয়ার ডাক দিয়েছিল এবং পশ্চিমবাংলার ভোটার সেই ডাকের অর্থ বুঝেও গিয়েছিলেন এবং তাতেই তাঁরা বিপুলভাবে সাড়াও দিয়েছেন।

    মা মাটি মানুষের বাঁচার স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিন - এই জাতীয় হাজার হাজার হোর্ডিং ঝুলিয়ে তাতে এই বাক্যের মাধ্যমে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছিল। একটু ভাবলেই দেখবেন, এই বাক্যটির ইংরেজি অনুবাদ করা যায় না ; করার চেষ্টা করলেই এর অন্তর্নিহিত মানেটি বদলে যায়। হয়তো সেকারণেই তৃণমূল দলের তরফে এর কোনো ইংরেজি অনুবাদ প্রচার করা যায় নি। বাংলাভাষার এই স্বভাব রয়েছে কৃত্তিবাসী রামায়ণ ও কাশীদাসী মহাভারতের, মঙ্গলকাব্যের, বৈষ্ণব-কীর্তনের, হিন্দু-মুসলিম পদকর্তাদের পদাবলীর, লালনফকির ও রবীন্দ্র-নজরুলের গানের, রয়েছে গ্রামবাংলার মানুষের মুখের ভাষায়। (বাংলার মানুষ অ্যাকাডেমিক-শহুরে-একরৈখিক-প্রতীকী-বাংলাভাষার পাশাপাশি এখনও যে মধ্যযুগীয় বহুরৈখিক ভাষাবোধ ব্যবহার করে থাকেন, অর্থাৎ একালের বাংলাভাষী দুরকমের বাংলাভাষায় কথা বলেন একথা রবি চক্রবর্তী ও আমি আমাদের বাংলাভাষা: প্রাচ্যের সম্পদ ও রবীন্দ্রনাথ গ্রন্থে সপ্রমাণ ব্যাখ্যা করেছি।)তার মানে, এই আহ্বান পুরোপুরি বাংলা আহ্বান, বাঙালির মনের মাটি থেকে উঠে আসা নিষ্কলুষ বাংলা ভাষায় প্রচারিত আহ্বান এবং শুধুমাত্র বাংলাভাষীদের জন্য বলা একপ্রকার বহুরৈখিক ভাষায় বলা ভোট দেওয়ার ডাক। এমনকী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসও তৃণমূলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে সেই ডাক দিয়েছেন, তাঁদের নিজেদের অজ্ঞাতসারে। অর্থাৎ, বিশ্বের শাসকশ্রেণী যে ভাষা ব্যবহার করে, পশ্চিমবাংলার অধিকাংশ ভোটদাতা ও ভোটপ্রার্থী বাঙালিরা তাদের এই নির্বাচনে তার বিপরীত ভাষায় ভাব-বিনিময় করেছেন, এবং তাকে ভোটের ফলাফলে রূপান্তরিত করেছেন।"
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:২০69568
  • "... দেহভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি একরৈখিক বিশেষ্যভিত্তিক (প্রতীকী) ভাষা..." ---

    তিনোমুল, গ্রিস, রোম, হোমার, চৈতন্য, কাশীদাস, মা, লালন, মাটি, শাসকভাষা, মানুষ ---

    একটাই দুঃখ! সুকুমার সেন এই অ্যানালিসিস দেখে যেতে পারলেন না।
  • kashidas | 120.74.221.10 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:৪৪69565
  • এসবের মানে কি হল?
  • শ্রী সদা | 132.171.25.216 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৩৬69566
  • দাদা অঙ্ক কী কঠিন !!!
  • ঈশান | 183.17.193.253 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৩৬69569
  • কলিম খান কি তৃণমূল নাকি? আমার জানা নেই। তবে খুব ভুল কিছু লেখেননি তো। "হয় এবার নয় নেভার", "কেশপুরকে শেষপুর করে দেব", "মা মাটি মানুষ" এসব , স্রেফ ভাষার জন্যই, আমজনতার কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্লোগান। এমনকি শুধু "পরিবর্তন"ও খুব ভালো স্লোগান ছিল। এসব উচ্চশিক্ষিত মধ্যবিত্তের জন্য নয় ("পরিবর্তন" টা বাদ দিলে), এদের ইংরিজিতে অনুবাদও সম্ভব না। কিন্তু বাকি সর্বত্র জনপ্রিয় হবার সমস্ত গুণাবলী এদের আছে।

    এই সোজা কথাটা বললেই যদি তৃণমূল হতে হয়, তো ভারি মুশকিল। :-)
  • SC | 117.206.249.8 (*) | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:০৯69567
  • তিনুদের শিবসেনা হওয়ার এইটুকুই বাকি ছিল। এবারে কিছু বুদ্ধিজীবির হাত ধরে বাঙালি জাতীয়তাবাদ নামবে।
    এর একটা রাজনৈতিক কারণ বলার অপেক্ষা রাখে না। কলকাতার বহু অবাঙালি মানুষ একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সমর্থক, যারা পব: তে ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি করছে। অতএব মাঠে নামাও বুদ্ধিজীবি, আসুক কিছু নতুন থিওরি, catchy হেডলাইন, একটু জাতীয়তাবাদী সুড়সুড়ি। এভাবে বিজেপির ভোট শেয়ার কমিয়ে দাও।

    মমতা বন্দোপাধ্যায় একটা জিনিস খুব ভালো পারেন, বুদ্ধিজীবি ফুট সোলজার দের mobilize করতে। পোষা বুদ্ধিজীবী দের কনসেপ্ট তা যারা তৈরী করেছিলেন, সেই সিপিএম এর চেয়েও মেধাবী ছাত্রী ভালো পারেন। এই এখন যারা এইসব লিখছে, কদিন বাদেই আবার তারা সুমন/সুনন্দ সুলভ কাঁদুনি গাইবে।
  • h | 11.39.37.67 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:২৪69576
  • কলিম খানের প্রবন্ধের বিরোধিতা করার থাকলে করা জায় বাজে গাল পেড়ে লাভ কি
  • তান সেন | 212.142.78.104 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:৩৬69577
  • প্রবন্ধটিতে বেশ গোদা মাপের অসঙ্গতি রয়েছে।
  • h | 11.39.37.123 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:০৪69580
  • আমি আদৌ কলিম খানের বক্তব্যের সমর্থন না করেও ওনার প্রবন্ধ জখন প্রথম পড়ি তখন দুতো কথা মনে ধরেছিলো সেতা হল রাজনইতিক প্রচারের ভাশা ও রেটোরিক পদ্ধতি জে বদলেছিলো তার একটা ব্যাখ্যার চেশ্টা করেছিলেন এবঙ্গ একই সঙ্গে রেতোরিক এর বিবর্তন এর একটা ইতিহাস ধরার চেষ্ত কোরেছিলেন সেতা আমার ভালো লেগেছিলো মিলেনিয়াম তত্ত্বের ঐতিহাসিক গবেশনায় এত পরিচিত পদ্ধতি তো এইতা খেয়াল রেখে গাল পাড়া উচিত কলিম খান এবোঙ্গ অন্য লোকেরা এক নন এতা বোঝা দরকার
  • h | 11.39.37.123 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:০৪69579
  • আমি আদৌ কলিম খানের বক্তব্যের সমর্থন না করেও ওনার প্রবন্ধ জখন প্রথম পড়ি তখন দুতো কথা মনে ধরেছিলো সেতা হল রাজনইতিক প্রচারের ভাশা ও রেটোরিক পদ্ধতি জে বদলেছিলো তার একটা ব্যাখ্যার চেশ্টা করেছিলেন এবঙ্গ একই সঙ্গে রেতোরিক এর বিবর্তন এর একটা ইতিহাস ধরার চেষ্ত কোরেছিলেন সেতা আমার ভালো লেগেছিলো মিলেনিয়াম তত্ত্বের ঐতিহাসিক গবেশনায় এত পরিচিত পদ্ধতি তো এইতা খেয়াল রেখে গাল পাড়া উচিত কলিম খান এবোঙ্গ অন্য লোকেরা এক নন এতা বোঝা দরকার
  • h | 11.39.37.123 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:০৪69578
  • আমি আদৌ কলিম খানের বক্তব্যের সমর্থন না করেও ওনার প্রবন্ধ জখন প্রথম পড়ি তখন দুতো কথা মনে ধরেছিলো সেতা হল রাজনইতিক প্রচারের ভাশা ও রেটোরিক পদ্ধতি জে বদলেছিলো তার একটা ব্যাখ্যার চেশ্টা করেছিলেন এবঙ্গ একই সঙ্গে রেতোরিক এর বিবর্তন এর একটা ইতিহাস ধরার চেষ্ত কোরেছিলেন সেতা আমার ভালো লেগেছিলো মিলেনিয়াম তত্ত্বের ঐতিহাসিক গবেশনায় এত পরিচিত পদ্ধতি তো এইতা খেয়াল রেখে গাল পাড়া উচিত কলিম খান এবোঙ্গ অন্য লোকেরা এক নন এতা বোঝা দরকার
  • h | 11.39.37.123 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:০৫69581
  • আমি আদৌ কলিম খানের বক্তব্যের সমর্থন না করেও ওনার প্রবন্ধ জখন প্রথম পড়ি তখন দুতো কথা মনে ধরেছিলো সেতা হল রাজনইতিক প্রচারের ভাশা ও রেটোরিক পদ্ধতি জে বদলেছিলো তার একটা ব্যাখ্যার চেশ্টা করেছিলেন এবঙ্গ একই সঙ্গে রেতোরিক এর বিবর্তন এর একটা ইতিহাস ধরার চেষ্ত কোরেছিলেন সেতা আমার ভালো লেগেছিলো মিলেনিয়াম তত্ত্বের ঐতিহাসিক গবেশনায় এত পরিচিত পদ্ধতি তো এইতা খেয়াল রেখে গাল পাড়া উচিত কলিম খান এবোঙ্গ অন্য লোকেরা এক নন এতা বোঝা দরকার
  • h | 11.39.37.123 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:০৬69582
  • আসঙ্গতি তো আমার মতেও আছে
  • কল্লোল | 125.242.133.235 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:০৪69570
  • এটা নিয়ে ভলো লেখা হয়। মমতা আর লালু, ক্ষমতার বৃত্তে এদের অপরিশীলিত ভাষা ও আচরণ বেশ কৌতুহলোদ্দীপক।
    কোন কিছুই চিরকাল একই রকমভাবে কাজ করে না। এদের ভাষা ও আচরণও একদিন পুরোনো হয়ে যাবে, ধার কমে যাবে, যাচ্ছেও। কিন্তু এদের উত্থানের পিছনে যে দেহ ও মুখভাষা কাজ করেছে, সেটা নিয়ে কেউ লিখলে খুব ভালো হয়।
    এটা লিখতে লিখতেই মনে পড়লো, পবতে বামপন্থীদের উত্থনের পিছনেও ভাষার অবদান কম নয়। নতুন ধরনের স্লোগান, দেয়াল লেখার নতুন কায়দাও কিন্তু মানুষের কাছে কংগ্রেসীদের থেকে বামেদের জনপ্রিয় করে দিয়েছে। উল্লেখ্য কংগ্রেসীরা বন্দে মাতরম জিকির দিতেন টেনে টেনে - বন্দে-এ-এ-এ-এ মা-আ-আ-তরম। ইনকিলাব বা ইনক্লাব জিন্দাবাদের মুচমুচে ও জোশীলা ভাব কংগ্রেসীদের বন্দে মাতরম জিকিরের ছন্দ পাল্টাতে বাধ্য করে ও ইনক্লাব জিন্দাবাদের ছন্দে বন্দে-মাতরম জিকির দেওয়া শুরু হয়।
    লক্ষ্য করার মতো যে, ইনকিলাব জিন্দাবাদের প্রথম জিকিরটি কিন্তু বন্দে-এ-এ-এ মা-আ-আ-আতরমের মত করে আসে। ই-ই-ই-ইন কিলা-আ-আ-আ-ব জিন্দা-আ-আ-আ-বাদ। কিন্তু তার পরের মুহুর্তেই সেটা কুচকাওয়াজী ছন্দে চলে আসে। এই ধ্বনি বৈচিত্রটি অশ্চর্য এক সৌন্দর্যবোধ তৈরী করতো।
    আর একটা বিষয় অবশ্যই দেহভাষা। কংগ্রেসী ধবধবে ও পাটপাট ধুতি-পাঞ্জাবীর পাশাপাশি সাধারণ দেখতে, সামান্য ময়লা পাজামা-পাঞ্জাবী-শান্তিনিকেতনী ঝোলা, অপরিপাটি চুল ও পরিশিলীত ভাষা ব্যবহার, বাম কর্মীদের আলাদা পরিচয় দিয়েছিলো - আমি/আমরা তোমাদেরই লোক। ব্যতিক্রম এক ও একমাত্র জ্যোতিবাবু।
    কলিম খানকে অনুরোধ, এগুলো নিয়ে লিখুন।
  • ন্যাংটো শেফ | 61.255.38.230 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:১৪69583
  • গাঁড় মারি তোর ইনকিলাবের
    গাঁড় মারি তোর বন্দে পিসি,
    বুঝবি যখন আসবে তেড়ে
    ন্যাংটো শেফের রেওয়াজি খাসি!
  • PT | 213.110.246.230 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:১৭69571
  • উত্থানের পিছনে "দেহ ও মুখভাষা কাজ" করে? রাজনীতি নয়?
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:১৮69572
  • টেনে টেনে ব-ন্দে-মা-ত-র-ম, বা, ইনকিলান জিন্দাবাদ, বা, ভোটের আগে দেওয়ালে চুটকি ছড়া --- --- এই সব দিয়ে ভোটে জেতা যায় !
    ছড়ার ভাষা পাল্টালে ব্যালট বাক্সে জয়ী! এইসবে লোকে চমকায়!
  • ranjan roy | 24.99.46.50 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৪:৫২69584
  • এই কোবতেটি একরৈখিক না বহুমাত্রিক?
  • I | 192.66.7.17 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:১১69585
  • ন্যাংটো শেফ নামটা ব্যাপক। যদিও অনুবাদযোগ্য, কিন্তু বেশ দেহভিত্তিক।
  • কল্লোল | 125.185.151.15 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:১২69586
  • নিশ্চই বড়ো বিষয়গুলো কাজ করেছে। পবতে বামেদের ক্ষেত্রে খাদ্য আন্দোলন, ট্রাম ভাড়া আন্দোলন, জঙ্গী কৃষক আন্দোলন, নানান কারখানায় শ্রমিক আন্দোলন (ঊষা কম্পানীর শ্রমিক আন্দোলন) ইঃ। এগুলো না থাকলে যেমন হতো না, তেমনি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতাও একটা বিষয়। সেটা শুধু আন্দোলন দিয়ে হয় না, তার সবচেয়ে বড়ো প্রমাণ নকশাল রাজনীতিতে সাধারণের নিষ্কৃয়তা। নকশালদের প্রতি সব শ্রদ্ধা-টদ্ধা নিয়েও তাদের অন্য গ্রহের মানুষ মনে হতো সাধারণের।
    ৬০এর দশকে কংগ্রেসী কর্মীদের সংষ্কৃতির উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে বাম কর্মীদের আচার-আচরণ, ভাষা (শরীর ও মুখ ভাষা) সাধারণের কাছে তাদের গ্রহনযোগ্যতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
    একই রকমভাবে বাম আমলের শেষদিকে নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরের পাশাপাশি মমতার সাদামাটা উপস্থিতি, বারবার মার খাওয়া, বামেদের গালভারা স্লোগান উন্নততর বামফ্রন্ট, মার্কসবাদ সর্বশক্তিমান, কৃষি আমাদের বর্তমান শিল্প আমাদের ভবিষ্যত - এসবের পাশে মা-মাটি-মানুষ জাতীয় সাদামাটা স্লোগান গ্রহনযোগ্যতা বাড়িয়েছে।
  • PT | 213.110.246.230 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:১৮69573
  • "হয় এবার নয় নেভার" শ্লোগানে কোন কাজ হয়নি। কিন্তু নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরোত্তর পর্বে শুধু "পরিবর্তন" শব্দটাই কাজ করেছে। অর্থাৎ কিনা প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি হলে তবেই শ্লোগান কার্যকরী হয়।
    নাহলে সব ফাঁকা বুলি!!
  • কল্লোল | 125.185.151.15 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:১৯69587
  • আর একটা কথা। ভোটে জেতা তো অনেক পরে। চিন-ভারত যুদ্ধের সময় যারা চিনের দালাল বলে ঘৃনিত ছিলো, তারাই দু বছরের মধ্যে গ্রহনযোগ্য হয়ে যাচ্ছে ৬২ থেকে ৬৪। তাদের নেতৃত্বে আন্দোলনে মানুষ এগিয়ে আসছে ৬৫/৬৬তে - এটা এমনি এমনি হয় না।
  • sm | 233.223.159.253 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৩৯69588
  • বামেদের ভড়ং কিন্তু দেখার মতন।পাট ভাঙ্গা ধতি,ফিল্টার উইলস , চামড়ার চটি;বছরে দু একবার বিদেশ ভ্রমন,আর মুখে লঙ্কা পোড়া- ডাল রুটির গপ্প।
    উঠতে বসতে শিল্পপতির সঙ্গে মিটিং আর মুখে শ্রমিক কল্যাণ।

    পাগলা খাবি কি!
  • T | 190.255.241.99 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৪৫69589
  • সকালবেলা, চা দোকান এবং বর্তমান কাগজ।
  • SC | 117.206.249.8 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:৪৮69574
  • "উত্থানের পিছনে "দেহ ও মুখভাষা কাজ" করে?"

    --এই কমেন্ট টা পড়ে, ইয়ে নিয়ে কিনা ভাবলাম অনেকক্ষণ ধরে। :(
  • গুড | 192.67.160.34 (*) | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:১৬69575
  • এইবারে তা হলে স্লিপিং ব্যাগ আর চিকেন পকোড়া নিয়ে একটু আলোচনা হোক।
  • Ekak | 113.6.157.186 (*) | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:৩৬69593
  • ভারতের একটা রাষ্ট্রভাষা দরকার ।একটা কৃত্রিম ভাষা যা কারো নয় । সেইকারণেই সবার । এই দুদিন অন্তর ভাষা ক্যাচাল আর পোষায় না :|
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন