এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • লজ্জা ও ঘৃণার কালো ইতিহাস

    ঝিনুক চক্রবর্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ আগস্ট ২০১৪ | ১৬৪৫৮ বার পঠিত
  •  কোলকাতা বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ড এর মুখপত্র ‘পুস্তক মেলা’য় প্রকাশিত এই লেখাটিকে লোপাট করা হয়েছিল।পৃষ্ঠা কেটে সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্য বইয়ের সমালোচনা।‘পুস্তক মেলা’য় একই সংখ্যার (ষষ্ঠ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, বৈশাখ – আষাঢ় ১৪০৯ ) দুটি কপিই আমাদের হাতে আছে ঐতিহাসিক প্রমাণ হিসাবে। – তুষার ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘অপ্রকাশিত মরিচঝাঁপি’ থেকে। 


     ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


    ‘এই উদ্বাস্তরা অন্য রাজ্য থেকে আসা অবাঙ্গালি অধিবাসীদের মতো কলকাতার রেলস্টেশন বা ফুটপাথ দখল করতে চান নি, তারা সত্যি সত্যিই পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েই সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাসনাবাদে না যেতে দিয়ে, বর্ধমানের কাশীপুরে গুলি চালিয়ে ৬ জনকে মেরে, জোর করে অনেক উদ্বাস্তুকে দণ্ডকারণ্যে ফেরত পাঠান। বামফ্রন্ট নেতারা ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন, মাদার টেরেসা, লুথারিয়ান চার্চ – কাউকে সেবাকাজ করতে দেয় নি। এমন কী শিশুদের বৃদ্ধদের দুধ দিতে দেয় নি। ফলে হাসনাবাদে প্রায় দেড় হাজার শিশু ও বৃদ্ধ বিনা চিকিৎসায় মারা যান।’– শক্তি সরকার (সুন্দরবনের প্রাক্তন সাংসদ)। সূত্রঃ নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত ‘মরিচঝাঁপি’,পৃষ্ঠা ৫২-৫৩।


    ‘পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় উদ্বাস্তুদের থামানো হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশকে বেশ সফল ভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইরকম একটি দলকে আমি হাসনাবাদ স্টেশনে দেখি, যারা ফেরত ট্রেনে ওঠার জন্য সরকারি অফিসে লাইন দিয়েছে স্বেচ্ছায়। তারা প্রায় প্রত্যেকেই তিন-চার দিন খায়নি। তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া গেছে স্রেফ ক্ষুধার অস্ত্রে। তারা গোটা পশ্চিমবাংলাকে অভিসম্পাত দিতে দিতে ফিরে গেল।’– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রঃ ‘মরিচঝাঁপি সম্পর্কে জরুরি কথা – আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১.৯.১৯৭৮।


    ‘যে সমস্ত পরিবার আজ ওখানে (দণ্ডকারণ্যে) ফিরে আসছেন, তাঁদের প্রায় সকল পরিবার থেকে শিশু অথবা বৃদ্ধ অথবা দুই-ই তাঁরা পথে পথে চিরদিনের মতো হারিয়ে এসেছেন। তাঁদের শোক, দুঃখবোধও এই প্রচণ্ড আঘাতে ও প্রতারণায় বিফল। ফেরতগামী ট্রেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে ২-৩ জন করে অফিসার পাঠানো হচ্ছে শরণার্থীদের তদারকি করার জন্য। তাঁদের মুখেই শুনলাম, ফিরবার পথে মৃত শিশুদের তাঁরা ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছেন। পরবর্তী কোনো স্টেশনে তাদের সদগতির জন্য অপেক্ষা করেনি।’ পান্নালাল দাশগুপ্ত। সূত্র যুগান্তর, ২৫ শে জুলাই, ১৯৭৮।


    ইতিহাস দাগ রেখে যায়। সে-দাগ মোছে না কখনও। একদিন না একদিন তা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। করেই। আপাতভাবে আড়াল করে রাখলেও সময়ই তাকে টেনে খুঁড়ে বের করে আনে। মানুষই ইতিহাস সৃষ্টি করে, আঁচড় কাটে। চাপা পড়ে থাকা ক্ষত উঠে আসে যখন, শিউরে উঠতে হয়। এমনও হয় তাহলে। অস্বীকার করা যায় না কিছুতেই। হয়েছে তো এমনই।


    সময়ের পরিবর্তনে মানুষ হয়তো অবস্থান বদলায়, কিন্তু ইতিহাস বদলায় না। মানুষ লজ্জিত হয়। ইতিহাসই মানুষকে ধিক্কার দেয় কখনও কখনও। একটি করে পৃষ্ঠা উল্টেছি আর লজ্জায় ধিক্কারে ঘৃণায় ক্ষোভে শোকে অবনত করেছি মুখ। প্রগতিশীল বামপন্থার আড়ালে তবে এত অন্ধকার।


    ‘সমস্ত সরকারি বাধা অতিক্রম করে ১৯৭৮ সালের এপ্রিলে ৩০ হাজারের মতো নরনারী, শিশু, বৃদ্ধ মরিচঝাঁপি দ্বীপে পৌঁছান। নিজেদের শ্রম ও সামর্থ্যে তারা ১৯৭৯ সালের মে মাস পর্যন্ত থাকতে পারেন। – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জার্মান কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যে-ভাবে বন্দীদের না খেতে দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল, সেইভাবে মরিচঝাঁপির মানুষদের মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু হয়। ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঝড় বন্যার মধ্যেও ৬, ৭, ৮ সেপ্টেম্বর জ্যোতি বসুর সরকার পুলিশ লঞ্চের সাহায্যে উদ্বাস্তুদের নৌকাগুলি ডুবিয়ে দেয়। … ১৯৭৯ সালের ২৪ শে জানুয়ারি ব্লকেড করে পাশের দ্বীপ থেকে আসা খাদ্য ও পানীয় জল আনা বন্ধ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট রাজত্বে ৩১শে জানুয়ারী (১৯৭৯) প্রথম গুলি চলে। মরিচঝাঁপির লোকদের ছাপানো এই অক্ষরমালাকে ‘মিথ্যে বানানো পরিকল্পিত কুৎসা’ বুলে উড়িয়ে দিতে পারলে কোনো কষ্ট হত না। কিন্তু ওই যে ইতিহাস। অমোঘ শক্তি তার। নির্মম সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে সে। গায়ের জোরে অস্বীকার করার চেষ্টা করলেও মনে মনে সত্যের কাছে মাথা নোয়াতেই হয়।


    আমরা তাহলে পেরেছিলাম।


    আবাল্য স্বপ্নভূমি-বীজভূমি নিজস্ব উঠোনটুকু কেড়ে নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ‘উদ্বাস্তু করেছিল’ যে স্বাধীনতা, তার সব দায় তাহলে ঐ হতভাগ্য মানুষগুলোর। সাতজন্মের পাপের ফল, নাকি দুর্ভাগ্য ওঁদের। আমরা যারা স্বাধীনতার ক্ষীরটুকু চাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, স্বাধীন গদিতে আপ্লুত হলাম, তাদের কাছে ওই সবহারানো নেই – মানুষগুলো রাতারাতি শরণার্থী হয়ে গেল।


    দাঙ্গা-কাটাকাটি সে না হয় হয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্র তো পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছে যথাসাধ্য। সুজলা-সুফলা-সবুজ নদীমাতৃক ভূমিপুত্রদের খুলনা যশোর ফরিদপুর জেলার নমঃশূদ্র-পৌণ্ড্রক্ষত্রিয় কৃষকদের পুনর্বাসন দেওয়া তো হল পাথর-কাঁকর-টিলা-অধ্যুষিত দণ্ডকারণ্যে।


    অহো, সরকার যে করেনি তা-তো নয়।


    কিন্তু দণ্ডকারণ্যের এই পুনর্বাসন বাঙালি কৃষক উদ্বাস্তুদের কাছে হয়ে উঠেছিল ‘নির্বাসন’। পশ্চিমবঙ্গের শিবিরবাসী এইসব উদ্বাস্তুদের ১৯৬১ সালে দণ্ডকারণ্যে পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ডোল বন্ধ করে দিলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পুনর্বাসনের দাবিতে অনশন করে। ১৯৬১ সালের ১৩ই জুলাই উদ্বাস্তুদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে জ্যোতি বসু অনিচ্ছুক উদ্বাস্তুদের দণ্ডকারণ্যে পাঠানো বন্ধ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তদানীন্তন রাজ্য পুনর্বাসন মন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেনঃ “…although it was stated by the Government the West Bengal has reached a saturation point. I feel, therefore, that the rest may be found rehabilitation here provided there is willingness on the part of the Govt.”(যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারবার বলছেন যে, এই রাজ্যে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের জন্য একতিল জমি নেই, তথাপি মনে করি সরকারের অভিপ্রায় থাকলে অবশিষ্ট উদ্বাস্তুরা এ রাজ্যে পুনর্বাসন পেতে পারে।)


    সে সময় পশ্চিমবঙ্গে উদ্বাস্তু শিবিরগুলি বন্ধ করে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারও বদ্ধপরিকর। ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে বলেছিলেনঃ ‘যদি মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়ে এবং কলকাতার পথে পথে দাঙ্গাও শুরু হয়, তাহা হইলেও আমরা উদ্বাস্তু ক্যাম্পগুলি বন্ধ করে দিব বলিয়া স্থির করিয়াছি।’ (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, ২২.১০.১৯৫৯)।


    কেন্দ্রীয় সরকারের অনমনীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সেদিন জ্যোতি বসু উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ২১ শে জুন কলকাতায় জ্যোতি বসুর সভাপতিত্বে বামপন্থী দলগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলঃ ‘তাদের (উদ্বাস্তুদের) পুনর্বাসনের সব দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিতে হবে।’ (সূত্রঃ মরিচঝাঁপি – নিরঞ্জন হালদার, পৃ-৩৩)।


    জ্যোতি বসুর এই দরদ(!)এর কথা মাথায় রেখেই বোধহয় ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭৮ সালের প্রথমদিকে দণ্ডকারণ্যে নির্বাসিত উদ্বাস্তু মানুষজন পুনর্বাসিত হওয়ার আকাঙ্খায় পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের দিকে রওনা দেন।


    হায় রে আশা! গদিতে বসলে নেতাকে যে রাজার মতোই আচরণ করতে হয়। এই বুঝি গণতন্ত্রের নিয়ম।


    ১৯৭৮ সালের ১৮ই এপ্রিল দশ হাজার উদ্বাস্তু পরিবার সুন্দরবনের কুমিরমারি পার হয়ে মরিচঝাঁপিতে আশ্রয় নেন। তাঁরা পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে কোনো সাহায্য চান নি। তাঁদের দাবি ছিল ‘আমাদের শুধু মরিচঝাঁপিতে ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে থাকতে দাও।’ তাঁদের ভরসা ছিল, এখানে পাঁচ ফুটের বেশি উঁচু জোয়ার আসে না। এখানকার কাছাকাছি গ্রামের লোকজন যদি পাঁচ ফুট বাঁধ দিয়ে নোনাজল ঠেকিয়ে একশো বছর ধরে চাষ করতে পারেন, তাহলে তাঁরা পারবেন না কেন? তাছাড়া মাছ ধরার সুযোগ তো আছে।


    পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তাঁরা তখন জানতেন না, হায়।


    সিপিআই(এম) এর রাজ্য কমিটি তখন রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ‘দণ্ডকারণ্যের যে-সব উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, প্রয়োজন হলে,তাদের বল প্রয়োগ করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে দিন।’ কমিটির তিন দিনের অধিবেশনের পর দলের সম্পাদক প্রমোদ দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেছিলেন “এইসব উদ্বাস্তুদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে”। (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, ২.৭.১৯৭৮)।


    এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হতে দেরি হল না। ১৯৭৮ সালের ১৯ অগস্ট বহু পুলিশ ও কুড়িটির লঞ্চের সাহায্যে সামরিক কায়দায় নদীপথ অবরোধ করা হল এবং উদ্বাস্তুরা তাতেও দমে না দেখে ৬ই সেপ্টেম্বর সেইসব লঞ্চ নিয়ে উদ্বাস্তুদের রসদ জ্বালানি কাঠ ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই করা ২০০টি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হল। (সূত্রঃ মরিচঝাঁপি কি মরীচিকা? শৈবাল গুপ্ত। নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত ‘মরিচঝাঁপি, পৃ। ২৬-২৭ )।


    নৃশংসতার ছবি পাওয়া যায় সমসাময়িক সংবাদপত্রেও “উদ্বাস্তুরা যে ঘরগুলি তৈরি করেছিলেন তার সংখ্যা কোনোক্রমে এক হাজারের কম নয়। ঘরগুলির অধিকাংশই দৈর্ঘ্যে ১০০-১৫০ হাত, প্রস্থে ১২-১৪ হাত। ঘরগুলি শুধু ভেঙ্গে দেওয়া হয় নি, পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অকথ্য অমানুষিক অত্যাচার, লাঠিপেটা, নারীধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুঠতরাজের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন ধরে অনবরত সন্ত্রাস ও ভীতি প্রদর্শন করেও উদ্বাস্তুদের সম্পূর্ণ উৎখাত করতে সক্ষম হয়নি। (যুগান্তর, ২০ ফাল্গুন, ১৩৮৪)।


    ‘যেন যুদ্ধক্ষেত্রে এসে উপস্থিত হয়েছি।অথবা শত্রুদেশের সীমানায়। মাঠে মাঠে সশস্ত্র পুলিশের ছাউনি, পুলিশ চাইলেই আপনাকে হাত উঁচু করে হাঁটতে হবে। খানাতল্লাসি করবে। ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে আটক করবে। জেরা করবে। অথচ জায়গাটি সরকার ঘোষিত বনাঞ্চল নয়। এই জায়গাটার নাম কুমিরমারি। মরিচঝাঁপির লাগোয়া এক জনবহুল দ্বীপ। বামপন্থী সি পি আই এর মুখপত্র ‘কালান্তর’ পত্রিকায় ‘চার ভাঁটার পথঃ নিষিদ্ধ দ্বীপ’ শিরোনামে দিলীপ চক্রবর্তী ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে যে বর্ণনা দেন তা না পড়লে শিউরে উঠতে হয়।


    “...ওখানকার মানুষরা চৌদ্দ দিন এপারে আসেনি। ভাত খেতে পারেনি। জলও পায়নি। পুলিশ ঘিরে রেখেছে দ্বীপ। প্রথম প্রথম ২-৩ দিন বেশি শব্দ হয় নি।এরূপ কান্না শোনা যেত রোজ।কু মীর আর কামট-ভরা নদী পার হয়ে কিছু লোক লুকিয়ে আসত রাতে-চাল ইত্যাদির খোঁজে। জলের খোঁজে।এরপর তাও বন্ধ হল। জালিপাতা আর যদু পালং খেয়ে থেকেছে ওরা,মরেছেও অনেক। ওদের কান্না এখান থেকে রোজই শুনতে পাই।


    “... ২৪ শে জানুয়ারি থেকে সরকার দ্বীপ অবরোধ করে। ৩১ শে জানুয়ারি গুলি চলে। ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের ইনজংশন অনুযায়ী জল-অন্ন আনার উপর থেকে বাধা প্রত্যাহৃত হয়।কিন্তু এর পরেও কড়াকড়ি চলছে। ...একমাত্র ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখেই চাল আনতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন অনন্ত মণ্ডল, অরবিন্দ রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈ, কার্তিক সরকার, রণজিৎ মণ্ডল, কৃষ্ণদুলাল বিশ্বাস। ...২৪ জানুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে দ্বীপ অবরোধ করার পর ওখানে অনাহারে মারা গিয়েছেন ৪৩ জন।‘ (সূত্রঃ কালান্তর,২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯)। 


    ‘ব্লকেডের সময় ওরা তখন কী খেত শুনবে? এক ধরনের ঘাস সেদ্ধ করে তাই দিয়ে সবাই পেট ভরায়।ঘাসের নামটা মনে পড়ছে না – ওখানে ওটা নাকি অপর্যাপ্ত জন্মায়। তখন কাশীকান্ত মৈত্র পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন,তাঁকে ঘাসটা দেখাতে পেরেছিলাম।’ (সূত্রঃ সাংবাদিক নিরঞ্জন হালদারকে লিখিত কমলা বসুর চিঠি)।


    ২৪শে জানুয়ারি ১৯৭৯ থেকে মরিচঝাঁপির নেতাজীনগরে অনাহারে মৃত ব্যক্তিদের নামের তালিকায় রয়েছেন ১৩৬ জন।অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত ব্যক্তির তালিকায় ২৩৯ জন।ধর্ষিতা মহিলাদের তালিকায় ২৩ জন।নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় ১২৮ জন। ৩১শে জানুয়ারি ১৯৭৯ গ্রেফতার হয়ে বসিরহাট ও আলিপুর জেলে আটক ব্যক্তিদের তালিকায় ৫২ জন। পরবর্তী সময় জেলে আটক ১৩০ জন। ২৪ শে জানুয়ারি ১৯৭৯ জল সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক ৩০ জন। ২৪ শে জানুয়ারি থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি (১৯৭৯) পর্যন্ত পুলিশ-কর্তৃক ছিনতাই হওয়া নৌকার সংখ্যা ১৬৩। – এজাতীয় অসংখ্য প্রামাণ্য তথ্য।


    লজ্জায়, অবরুদ্ধ কান্নায় একের পর এক পৃষ্ঠা ওল্টাই, আর কেবলই মনে হয়, কেউ এসে চিৎকার করে বলুক – এ মিথ্যে মিথ্যে মিথ্যে।


    মানুষের অমানবিক প্রবৃত্তিতেই সংঘটিত হয় গণহত্যা। সেই কালো ইতিহাস একদিন উঠে আসে সাদা আলোয়। চব্বিশ বছর পরে এভাবে সমস্ত প্রামাণ্য বিশ্বাস্য নথি-সহ উঠে এল মরিচঝাঁপি।


    এ লজ্জা কোথায় লুকোব! ইস! আমি যে ভারতীয়, এই বাংলারই একজন। আর কী আশ্চর্য, মরিচঝাঁপি এই বাংলাতেই। প্রগতিশীল বাংলায় ‘মরিচঝাঁপি’ নিয়ে একটা ঝড় উঠবে না!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ আগস্ট ২০১৪ | ১৬৪৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৪ ০৯:৫৭88238
  • সদ্যোজাত বাম সরকার এই পাশবিক ঘটনা কেন ঘটাল - এ নিয়ে কি বইটাতে কিছু লেখা আছে?

    মরিচঝাঁপি-তে মানুষগুলোকে থাকতে সাহায্য করলে তো নিশ্চিত ভোটব্যাঙ্ক হত, লেফট ফ্রন্ট-এর ফেভারে।

    উদ্বাস্তু-দের মেরেধরে, খেতে না দিয়ে তাড়ানোর পিছনে মূল কারণটা কি?
  • suman | 81.9.247.129 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৪ ০৮:৫৫88240
  • অত্যন্ত বেদনাময়।
  • ধুরন্ধর | 127.194.26.13 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ১০:১৩88241
  • আপাতত বমি পাচ্ছে।।।।এর বেশি আর কিছু প্রকাশ করতে পারছি না
  • Biplob Rahman | 212.164.212.20 (*) | ২২ অক্টোবর ২০১৪ ০১:১১88242
  • দীর্ঘশ্বাস! ,,,
  • কল্লোল | 125.185.151.79 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০২:০৪88245
  • অচিন্তর লেখাটাতো এই বইটা ভিত্তি করেই।
    রাম চাটুজ্যেও বড় ভূমিকা পালন করেছিলো মানা ক্যাম্প থেকে পবয়ে এঁদের নিয়ে আসার। পরে পাল্টি খায়।
  • ranjan roy | 24.96.53.171 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৫১88246
  • না, না। অচিন্ত্য এই বই, রসমল্লিকের বই, রাঙাজেলিয়া ও সংলগ্ন গ্রামগুলোয় গিয়ে খোঁজখবর, এস পি অমিয় সামন্তের ( পরে বঙ্গের ডিজিপি) ইনটারভিউ সব মিলিয়ে লিখেছে।
  • PT | 213.110.243.21 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২৪88247
  • ভোট আসছে -সেটা বোঝা যাচ্ছে।
    এরপরে পুনরায় সাঁইবাড়ি, আনন্দমার্গী, ১৩ জন "শহীদ", সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম, রিজানুর ও তাপসী মালিক পর্যন্ত যেতে যেতে ২০১৬ চলে আসবে।
  • কল্লোল | 125.185.155.32 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৫৯88243
  • আমরা সে সময় সক্রিয় রাজনীতি করছি। স্রেফ বিশ্বাস করিনি যে সেদিনের বামফ্রন্ট এরকম নারকীয় কান্ড ঘটাতে পারে। কিছু বন্ধুরা আওয়াজ তুলেছিলেন। তাতে কান দেই নি সেদিন। এ আমার ও আমার সেদিনের বন্ধুদের লজ্জা।

    বামফ্রন্ট কেন এটা ঘটালো?
    প্রথমতঃ ওরা ভয় পেয়েছিলো যদি মরিচঝাঁপি পুণর্বাসন সফল হয়, তাহলে দেশের অন্যন্য জায়গা থেকে বাঙ্গালী উদ্বাস্তু স্রোত আছড়ে পড়বে পবতে। তাতে অসুবিধায় পড়তে হতে পারে রাজ্য সরকারকে।
    দ্বিতীয়তঃ এরা সরকারী সাহায্য ছাড়াই নিজেদের পুণর্বাসনের বন্দোবস্তো করে ফেলেছিলো। এটা যে কোন ক্ষমতাকেন্দ্রের কাছেই অস্বস্তিকর।
  • | 24.97.246.205 (*) | ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:২৭88244
  • অতটাও সহজ গপ্পো নয় বোধহয়। অচিন্ত্যর লেখা পড়ে সেরকম মনে হয় না কিন্তু।
  • PT | 213.110.246.22 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০১:২৬88278
  • কল্লোলদা একটু পষ্টো করে বলছে না কেন যে ২০১৬ তে কল্লোলদা তিনোকেই সমর্থন করবে?
  • PM | 233.223.159.125 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:০৪88279
  • মালিককে দেখেও কুকুর ঘেউ ঘেউ করে, চোরকে দেখেও করে। একটা ভালোবাসার , অরেকটা রাগের। তফাতটা কাউকে বলে দিতে হয় না ঃ) শুনেই বোঝা যয়। যে বোঝে না সে নিতান্তই অনভিজ্ঞ ঃ)
  • ranjan roy | 24.99.8.69 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:২০88248
  • আসুক না, কি ভয় তাতে ?-- আমরা সিপিএম।
    জনগণ আমাদের সাথে, --- আমরা সিপিএম।

    সাঁইবাড়ি বা কালীবাড়ি-- আমরা সিপিএম।
    আসুক গেরুয়া চাপদাড়ি--আমরা সিপিএম।

    জনতা জাগবে কোন পথে--আমরা সিপিএম
    পাশা ওল্টাবে ষোলতে-- আমরা সিপিএম।

    ভুলি না অপপ্রচারে--আমরা সিপিএম।
    পালা করে যাই বাঁশঝাড়ে-- আমরা সিপিএম।
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:২৭88249
  • পিটিবাবুর এই স্পিরিটেড ডিফেন্সগুলো খুব ভাল লাগে। হি নেভার ফেইলস টু ডিজাপয়েন্ট মি।
  • PT | 213.110.243.23 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪২88250
  • আসলে পিটি স্পিরিটেড দ্বিচারিতা দেখে অত্যন্ত বিরক্ত!
  • কল্লোল | 125.242.145.6 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪৫88251
  • ২০১৬তে সিপুয়েম গুনতিতেই নেই। তবু পিটির মতো একনিষ্ঠ সিপুয়েম দেখলে ভালো লাগে। এই বাজারে লড়ে যাবার কেউ তো আছে।
    বিজেপি আর তৃণে লড়াই। টাই হলে বেশ হয়। বা এমন হলো, যেই সরকারে আসুক সিপুয়েমের হাত ধরে আসতে হবে। আইডিয়াল!!
    সে আশায় থাকি এবার।
  • কল্লোল | 125.242.145.6 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪৭88252
  • পিটির কোনটা পছন্দ? সিপিএম সমর্থিত বিজেপি না সিপিএম সমর্থিত তৃণ??
  • PT | 213.110.246.22 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:১১88253
  • কল্লোলদার মত নিরপেক্ষ সিপিএম বিরোধীদের দেখলেও ভাল লাগে। সিপিএমকে গাল দেওয়ার কোন বিষয় দেখলেই লাফালাফি শুরু করে দেয়। আর চর্বিত চর্বণ করতে থাকে লেবু কচলে তেঁতো হয়ে যাওয়া "তথ্য" নিয়ে।

    এই যে জ্যোতিষের মত তাত্বিকতা "২০১৬তে সিপুয়েম গুনতিতেই নেই"-একেবারে খাপের খাপ ব্যক্তিপুঁজি চ্যানেল বা কাগজের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

    আসলে কল্লোলদার মত তাত্বিকেরা তিনোকে সমর্থন করার নতুন ধান্দায় বিজেপিকে "প্রয়োজনীয় শত্রু" হিসেবে খাড়া করার চেষ্টায় আছে। তিনোর লাইন ধরেই কল্লোলদারা চায় যে বিজেপি আরো শক্তিশালী হোক পব-তে। যাতে ভোটের মেরুকরণের সুবিধে তিনোর পক্ষে যায়। আজকাল ৩০%-এর কম ভোট পেয়েও প্রয়োজনীয় আসন পাওয়া যায়। তাহলে কল্লোলদার স্বপ্নের দলটি পুনরায় ক্ষমতায় আসে।
  • . | 59.207.222.137 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪৮88254
  • যথারীতি কল্লোল আর রঞ্জনের খেউর শুরু হয়ে গেছে ....। নন্দীগ্রামের মিথ্যার মত এখন মরিচঝাঁপি নিয়েও শুরু হয়ে গেছে। নন্দীগ্রামের সেই শতশত মৃতদেহ বা স্তনবৃন্ত কাটা মায়েদের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি, সেই মিথ্যা প্রচারের দায় কেউ নেয় নি এখনও পর্যন্ত।
  • aranya | 154.160.226.92 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫০88280
  • ' কিন্তু হাসনাবাদে না যেতে দিয়ে, বর্ধমানের কাশীপুরে গুলি চালিয়ে ৬ জনকে মেরে, জোর করে অনেক উদ্বাস্তুকে দণ্ডকারণ্যে ফেরত পাঠান। বামফ্রন্ট নেতারা ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন, মাদার টেরেসা, লুথারিয়ান চার্চ – কাউকে সেবাকাজ করতে দেয় নি। এমন কী শিশুদের বৃদ্ধদের দুধ দিতে দেয় নি। ফলে হাসনাবাদে প্রায় দেড় হাজার শিশু ও বৃদ্ধ বিনা চিকিৎসায় মারা যান।'

    'দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জার্মান কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যে-ভাবে বন্দীদের না খেতে দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল, সেইভাবে মরিচঝাঁপির মানুষদের মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু হয়। ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঝড় বন্যার মধ্যেও ৬, ৭, ৮ সেপ্টেম্বর জ্যোতি বসুর সরকার পুলিশ লঞ্চের সাহায্যে উদ্বাস্তুদের নৌকাগুলি ডুবিয়ে দেয়। … ১৯৭৯ সালের ২৪ শে জানুয়ারি ব্লকেড করে পাশের দ্বীপ থেকে আসা খাদ্য ও পানীয় জল আনা বন্ধ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট রাজত্বে ৩১শে জানুয়ারী (১৯৭৯) প্রথম গুলি চলে'

    - এই তথ্যগুলো যদি কিছুটাও সত্য হয়, তবে মরিচঝাঁপি নিয়ে লেখালেখি যে কোন সময়ই চলতে পারে। এবং চলবে।
    কেউ এর মধ্যে নির্বাচনী রাজনীতি, তিনো বা বিজেপি-র সুবিধা করে দেওয়া এসব চক্রান্ত খুঁজে পেলে কিছু করার নেই।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫২88255
  • মরিচঝাঁপি নিয়ে এখন শুরু হয়ে গেছে মানে ?
  • PT | 213.110.243.23 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১১88281
  • "যদি কিছুটাও সত্য হয়"
    সত্যি কিনা সেটা প্রমাণ করা হবে কিভাবে আর কে করবে?
  • তাপস | 233.29.204.178 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩৩88256
  • হীরক টইতে আর কেউ লিখছে না? এখন ওখানে মনোলগ চলছে?

    বড় একা লাগে এই আঁধারে
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৪৫88282
  • আপনি ও চ্যালাবৃন্দ থাকতে প্রমাণের জন্যে আর কারুর কথা আমরা ভাবতেই পারিনা। নেভার, এভার, ফেইলস টু ডিজাপয়েন্ট মি।
  • PM | 233.223.159.125 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৫১88283
  • কেনো গল্প লিখে!!!!!

    আজ দুজন পড়ুয়া ধর্ষিতা হয়েছে, বোমা উদ্ধারে গিয়ে পুলিশ মার খেয়ে রক্তার্ত হয়েছে। এসব বিশ্রী "পরিবর্তিত" বর্তমান থেকে ৩৫ বছর আগেকার "সত্যি হলেও হতে পারে" অতীত ঘাঁটা অনেক স্বস্তিদায়ক।

    পিক্সিডাস্ট যদি কিছুটাও সত্যি হয় তাহলে মানুষ ডানা ছাড়াই আকাশে উড়তে পরে।
  • কল্লোল | 111.63.78.178 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:০৮88257
  • হাহাপাহযো।
    পিটি আমার প্রশ্নের জবাব দেবে কি?
    আমার ইচ্ছে বিজেপি সিপিএম আর তৃণ এমন ভোট পাক, যাকেই সরকার গড়তে হবে তার যেন সিপিএমের সমর্থন লাগে।
    আমরা (আমি আর রঞ্জন) তো কুত্তা লগ্ন জাত। যেই সরকারে আসুক ঘেউ ঘেউ করবই।

    পিটি পিএম, সিএম .(ফুটকি) কি বলে?
  • cm | 127.247.112.204 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:১৩88258
  • তিনোরা আগে নিজেদের বাঁচাক।
  • সিকি | 132.177.56.81 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:১৬88260
  • টং যে কোনও টইয়ের ভেতরেই টং টং করে। এ আর নতুন কি।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:১৬88259
  • আমি বলব, আমি বলব (যদিও কল্লোলদা আমাকে জিগ্গেস করে নি)।

    তিনোমুল একবার চান্স পেল। পরের বার বিজেপি পাক। রাহুল/বাবুল-কে একটু সব্বোনাশের চান্স দেওয়া হোক ।

    তার পরের বার, যখন সব অল্টারনেটিভ হ্যাস বিন টেস্টেড - তখন, তখন, সেই আদর্শ সরকার হবে, শেষের সেই সুদিন আসিবে।
  • কল্লোল | 111.63.78.178 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:১৯88261
  • আহা। সেই বাঁচার জন্যই তো তৃণর যদি সিপিএমের হাত ধরতে লাগে - তখুন কি হবেক?
    উত্তরটা পাবো কি? না কি, গোল গোল কথা, পাশ কাটানো কথা চলতেই থাকবে।

    বিজেপি বা তৃণ সিপুয়েম যাকে সমর্থন করবে সেই সরকার গড়বে। ত্যাকুন কাকে সমর্থন করবে পিটি, সিএম, পিএম, ফুটকি?

    আমি জানি, কিন্তু বলবো না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন