এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • লজ্জা ও ঘৃণার কালো ইতিহাস

    ঝিনুক চক্রবর্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ আগস্ট ২০১৪ | ১৬৪৬২ বার পঠিত
  •  কোলকাতা বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ড এর মুখপত্র ‘পুস্তক মেলা’য় প্রকাশিত এই লেখাটিকে লোপাট করা হয়েছিল।পৃষ্ঠা কেটে সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্য বইয়ের সমালোচনা।‘পুস্তক মেলা’য় একই সংখ্যার (ষষ্ঠ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, বৈশাখ – আষাঢ় ১৪০৯ ) দুটি কপিই আমাদের হাতে আছে ঐতিহাসিক প্রমাণ হিসাবে। – তুষার ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘অপ্রকাশিত মরিচঝাঁপি’ থেকে। 


     ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


    ‘এই উদ্বাস্তরা অন্য রাজ্য থেকে আসা অবাঙ্গালি অধিবাসীদের মতো কলকাতার রেলস্টেশন বা ফুটপাথ দখল করতে চান নি, তারা সত্যি সত্যিই পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েই সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাসনাবাদে না যেতে দিয়ে, বর্ধমানের কাশীপুরে গুলি চালিয়ে ৬ জনকে মেরে, জোর করে অনেক উদ্বাস্তুকে দণ্ডকারণ্যে ফেরত পাঠান। বামফ্রন্ট নেতারা ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন, মাদার টেরেসা, লুথারিয়ান চার্চ – কাউকে সেবাকাজ করতে দেয় নি। এমন কী শিশুদের বৃদ্ধদের দুধ দিতে দেয় নি। ফলে হাসনাবাদে প্রায় দেড় হাজার শিশু ও বৃদ্ধ বিনা চিকিৎসায় মারা যান।’– শক্তি সরকার (সুন্দরবনের প্রাক্তন সাংসদ)। সূত্রঃ নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত ‘মরিচঝাঁপি’,পৃষ্ঠা ৫২-৫৩।


    ‘পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় উদ্বাস্তুদের থামানো হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশকে বেশ সফল ভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইরকম একটি দলকে আমি হাসনাবাদ স্টেশনে দেখি, যারা ফেরত ট্রেনে ওঠার জন্য সরকারি অফিসে লাইন দিয়েছে স্বেচ্ছায়। তারা প্রায় প্রত্যেকেই তিন-চার দিন খায়নি। তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া গেছে স্রেফ ক্ষুধার অস্ত্রে। তারা গোটা পশ্চিমবাংলাকে অভিসম্পাত দিতে দিতে ফিরে গেল।’– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রঃ ‘মরিচঝাঁপি সম্পর্কে জরুরি কথা – আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১.৯.১৯৭৮।


    ‘যে সমস্ত পরিবার আজ ওখানে (দণ্ডকারণ্যে) ফিরে আসছেন, তাঁদের প্রায় সকল পরিবার থেকে শিশু অথবা বৃদ্ধ অথবা দুই-ই তাঁরা পথে পথে চিরদিনের মতো হারিয়ে এসেছেন। তাঁদের শোক, দুঃখবোধও এই প্রচণ্ড আঘাতে ও প্রতারণায় বিফল। ফেরতগামী ট্রেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে ২-৩ জন করে অফিসার পাঠানো হচ্ছে শরণার্থীদের তদারকি করার জন্য। তাঁদের মুখেই শুনলাম, ফিরবার পথে মৃত শিশুদের তাঁরা ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছেন। পরবর্তী কোনো স্টেশনে তাদের সদগতির জন্য অপেক্ষা করেনি।’ পান্নালাল দাশগুপ্ত। সূত্র যুগান্তর, ২৫ শে জুলাই, ১৯৭৮।


    ইতিহাস দাগ রেখে যায়। সে-দাগ মোছে না কখনও। একদিন না একদিন তা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। করেই। আপাতভাবে আড়াল করে রাখলেও সময়ই তাকে টেনে খুঁড়ে বের করে আনে। মানুষই ইতিহাস সৃষ্টি করে, আঁচড় কাটে। চাপা পড়ে থাকা ক্ষত উঠে আসে যখন, শিউরে উঠতে হয়। এমনও হয় তাহলে। অস্বীকার করা যায় না কিছুতেই। হয়েছে তো এমনই।


    সময়ের পরিবর্তনে মানুষ হয়তো অবস্থান বদলায়, কিন্তু ইতিহাস বদলায় না। মানুষ লজ্জিত হয়। ইতিহাসই মানুষকে ধিক্কার দেয় কখনও কখনও। একটি করে পৃষ্ঠা উল্টেছি আর লজ্জায় ধিক্কারে ঘৃণায় ক্ষোভে শোকে অবনত করেছি মুখ। প্রগতিশীল বামপন্থার আড়ালে তবে এত অন্ধকার।


    ‘সমস্ত সরকারি বাধা অতিক্রম করে ১৯৭৮ সালের এপ্রিলে ৩০ হাজারের মতো নরনারী, শিশু, বৃদ্ধ মরিচঝাঁপি দ্বীপে পৌঁছান। নিজেদের শ্রম ও সামর্থ্যে তারা ১৯৭৯ সালের মে মাস পর্যন্ত থাকতে পারেন। – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জার্মান কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যে-ভাবে বন্দীদের না খেতে দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল, সেইভাবে মরিচঝাঁপির মানুষদের মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু হয়। ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঝড় বন্যার মধ্যেও ৬, ৭, ৮ সেপ্টেম্বর জ্যোতি বসুর সরকার পুলিশ লঞ্চের সাহায্যে উদ্বাস্তুদের নৌকাগুলি ডুবিয়ে দেয়। … ১৯৭৯ সালের ২৪ শে জানুয়ারি ব্লকেড করে পাশের দ্বীপ থেকে আসা খাদ্য ও পানীয় জল আনা বন্ধ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট রাজত্বে ৩১শে জানুয়ারী (১৯৭৯) প্রথম গুলি চলে। মরিচঝাঁপির লোকদের ছাপানো এই অক্ষরমালাকে ‘মিথ্যে বানানো পরিকল্পিত কুৎসা’ বুলে উড়িয়ে দিতে পারলে কোনো কষ্ট হত না। কিন্তু ওই যে ইতিহাস। অমোঘ শক্তি তার। নির্মম সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে সে। গায়ের জোরে অস্বীকার করার চেষ্টা করলেও মনে মনে সত্যের কাছে মাথা নোয়াতেই হয়।


    আমরা তাহলে পেরেছিলাম।


    আবাল্য স্বপ্নভূমি-বীজভূমি নিজস্ব উঠোনটুকু কেড়ে নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ‘উদ্বাস্তু করেছিল’ যে স্বাধীনতা, তার সব দায় তাহলে ঐ হতভাগ্য মানুষগুলোর। সাতজন্মের পাপের ফল, নাকি দুর্ভাগ্য ওঁদের। আমরা যারা স্বাধীনতার ক্ষীরটুকু চাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, স্বাধীন গদিতে আপ্লুত হলাম, তাদের কাছে ওই সবহারানো নেই – মানুষগুলো রাতারাতি শরণার্থী হয়ে গেল।


    দাঙ্গা-কাটাকাটি সে না হয় হয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্র তো পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছে যথাসাধ্য। সুজলা-সুফলা-সবুজ নদীমাতৃক ভূমিপুত্রদের খুলনা যশোর ফরিদপুর জেলার নমঃশূদ্র-পৌণ্ড্রক্ষত্রিয় কৃষকদের পুনর্বাসন দেওয়া তো হল পাথর-কাঁকর-টিলা-অধ্যুষিত দণ্ডকারণ্যে।


    অহো, সরকার যে করেনি তা-তো নয়।


    কিন্তু দণ্ডকারণ্যের এই পুনর্বাসন বাঙালি কৃষক উদ্বাস্তুদের কাছে হয়ে উঠেছিল ‘নির্বাসন’। পশ্চিমবঙ্গের শিবিরবাসী এইসব উদ্বাস্তুদের ১৯৬১ সালে দণ্ডকারণ্যে পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ডোল বন্ধ করে দিলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পুনর্বাসনের দাবিতে অনশন করে। ১৯৬১ সালের ১৩ই জুলাই উদ্বাস্তুদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে জ্যোতি বসু অনিচ্ছুক উদ্বাস্তুদের দণ্ডকারণ্যে পাঠানো বন্ধ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তদানীন্তন রাজ্য পুনর্বাসন মন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেনঃ “…although it was stated by the Government the West Bengal has reached a saturation point. I feel, therefore, that the rest may be found rehabilitation here provided there is willingness on the part of the Govt.”(যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারবার বলছেন যে, এই রাজ্যে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের জন্য একতিল জমি নেই, তথাপি মনে করি সরকারের অভিপ্রায় থাকলে অবশিষ্ট উদ্বাস্তুরা এ রাজ্যে পুনর্বাসন পেতে পারে।)


    সে সময় পশ্চিমবঙ্গে উদ্বাস্তু শিবিরগুলি বন্ধ করে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারও বদ্ধপরিকর। ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে বলেছিলেনঃ ‘যদি মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়ে এবং কলকাতার পথে পথে দাঙ্গাও শুরু হয়, তাহা হইলেও আমরা উদ্বাস্তু ক্যাম্পগুলি বন্ধ করে দিব বলিয়া স্থির করিয়াছি।’ (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, ২২.১০.১৯৫৯)।


    কেন্দ্রীয় সরকারের অনমনীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সেদিন জ্যোতি বসু উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ২১ শে জুন কলকাতায় জ্যোতি বসুর সভাপতিত্বে বামপন্থী দলগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলঃ ‘তাদের (উদ্বাস্তুদের) পুনর্বাসনের সব দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিতে হবে।’ (সূত্রঃ মরিচঝাঁপি – নিরঞ্জন হালদার, পৃ-৩৩)।


    জ্যোতি বসুর এই দরদ(!)এর কথা মাথায় রেখেই বোধহয় ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭৮ সালের প্রথমদিকে দণ্ডকারণ্যে নির্বাসিত উদ্বাস্তু মানুষজন পুনর্বাসিত হওয়ার আকাঙ্খায় পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের দিকে রওনা দেন।


    হায় রে আশা! গদিতে বসলে নেতাকে যে রাজার মতোই আচরণ করতে হয়। এই বুঝি গণতন্ত্রের নিয়ম।


    ১৯৭৮ সালের ১৮ই এপ্রিল দশ হাজার উদ্বাস্তু পরিবার সুন্দরবনের কুমিরমারি পার হয়ে মরিচঝাঁপিতে আশ্রয় নেন। তাঁরা পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে কোনো সাহায্য চান নি। তাঁদের দাবি ছিল ‘আমাদের শুধু মরিচঝাঁপিতে ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে থাকতে দাও।’ তাঁদের ভরসা ছিল, এখানে পাঁচ ফুটের বেশি উঁচু জোয়ার আসে না। এখানকার কাছাকাছি গ্রামের লোকজন যদি পাঁচ ফুট বাঁধ দিয়ে নোনাজল ঠেকিয়ে একশো বছর ধরে চাষ করতে পারেন, তাহলে তাঁরা পারবেন না কেন? তাছাড়া মাছ ধরার সুযোগ তো আছে।


    পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তাঁরা তখন জানতেন না, হায়।


    সিপিআই(এম) এর রাজ্য কমিটি তখন রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ‘দণ্ডকারণ্যের যে-সব উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, প্রয়োজন হলে,তাদের বল প্রয়োগ করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে দিন।’ কমিটির তিন দিনের অধিবেশনের পর দলের সম্পাদক প্রমোদ দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেছিলেন “এইসব উদ্বাস্তুদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে”। (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, ২.৭.১৯৭৮)।


    এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হতে দেরি হল না। ১৯৭৮ সালের ১৯ অগস্ট বহু পুলিশ ও কুড়িটির লঞ্চের সাহায্যে সামরিক কায়দায় নদীপথ অবরোধ করা হল এবং উদ্বাস্তুরা তাতেও দমে না দেখে ৬ই সেপ্টেম্বর সেইসব লঞ্চ নিয়ে উদ্বাস্তুদের রসদ জ্বালানি কাঠ ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই করা ২০০টি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হল। (সূত্রঃ মরিচঝাঁপি কি মরীচিকা? শৈবাল গুপ্ত। নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত ‘মরিচঝাঁপি, পৃ। ২৬-২৭ )।


    নৃশংসতার ছবি পাওয়া যায় সমসাময়িক সংবাদপত্রেও “উদ্বাস্তুরা যে ঘরগুলি তৈরি করেছিলেন তার সংখ্যা কোনোক্রমে এক হাজারের কম নয়। ঘরগুলির অধিকাংশই দৈর্ঘ্যে ১০০-১৫০ হাত, প্রস্থে ১২-১৪ হাত। ঘরগুলি শুধু ভেঙ্গে দেওয়া হয় নি, পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অকথ্য অমানুষিক অত্যাচার, লাঠিপেটা, নারীধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুঠতরাজের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন ধরে অনবরত সন্ত্রাস ও ভীতি প্রদর্শন করেও উদ্বাস্তুদের সম্পূর্ণ উৎখাত করতে সক্ষম হয়নি। (যুগান্তর, ২০ ফাল্গুন, ১৩৮৪)।


    ‘যেন যুদ্ধক্ষেত্রে এসে উপস্থিত হয়েছি।অথবা শত্রুদেশের সীমানায়। মাঠে মাঠে সশস্ত্র পুলিশের ছাউনি, পুলিশ চাইলেই আপনাকে হাত উঁচু করে হাঁটতে হবে। খানাতল্লাসি করবে। ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে আটক করবে। জেরা করবে। অথচ জায়গাটি সরকার ঘোষিত বনাঞ্চল নয়। এই জায়গাটার নাম কুমিরমারি। মরিচঝাঁপির লাগোয়া এক জনবহুল দ্বীপ। বামপন্থী সি পি আই এর মুখপত্র ‘কালান্তর’ পত্রিকায় ‘চার ভাঁটার পথঃ নিষিদ্ধ দ্বীপ’ শিরোনামে দিলীপ চক্রবর্তী ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে যে বর্ণনা দেন তা না পড়লে শিউরে উঠতে হয়।


    “...ওখানকার মানুষরা চৌদ্দ দিন এপারে আসেনি। ভাত খেতে পারেনি। জলও পায়নি। পুলিশ ঘিরে রেখেছে দ্বীপ। প্রথম প্রথম ২-৩ দিন বেশি শব্দ হয় নি।এরূপ কান্না শোনা যেত রোজ।কু মীর আর কামট-ভরা নদী পার হয়ে কিছু লোক লুকিয়ে আসত রাতে-চাল ইত্যাদির খোঁজে। জলের খোঁজে।এরপর তাও বন্ধ হল। জালিপাতা আর যদু পালং খেয়ে থেকেছে ওরা,মরেছেও অনেক। ওদের কান্না এখান থেকে রোজই শুনতে পাই।


    “... ২৪ শে জানুয়ারি থেকে সরকার দ্বীপ অবরোধ করে। ৩১ শে জানুয়ারি গুলি চলে। ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের ইনজংশন অনুযায়ী জল-অন্ন আনার উপর থেকে বাধা প্রত্যাহৃত হয়।কিন্তু এর পরেও কড়াকড়ি চলছে। ...একমাত্র ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখেই চাল আনতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন অনন্ত মণ্ডল, অরবিন্দ রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈ, কার্তিক সরকার, রণজিৎ মণ্ডল, কৃষ্ণদুলাল বিশ্বাস। ...২৪ জানুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে দ্বীপ অবরোধ করার পর ওখানে অনাহারে মারা গিয়েছেন ৪৩ জন।‘ (সূত্রঃ কালান্তর,২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯)। 


    ‘ব্লকেডের সময় ওরা তখন কী খেত শুনবে? এক ধরনের ঘাস সেদ্ধ করে তাই দিয়ে সবাই পেট ভরায়।ঘাসের নামটা মনে পড়ছে না – ওখানে ওটা নাকি অপর্যাপ্ত জন্মায়। তখন কাশীকান্ত মৈত্র পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন,তাঁকে ঘাসটা দেখাতে পেরেছিলাম।’ (সূত্রঃ সাংবাদিক নিরঞ্জন হালদারকে লিখিত কমলা বসুর চিঠি)।


    ২৪শে জানুয়ারি ১৯৭৯ থেকে মরিচঝাঁপির নেতাজীনগরে অনাহারে মৃত ব্যক্তিদের নামের তালিকায় রয়েছেন ১৩৬ জন।অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত ব্যক্তির তালিকায় ২৩৯ জন।ধর্ষিতা মহিলাদের তালিকায় ২৩ জন।নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় ১২৮ জন। ৩১শে জানুয়ারি ১৯৭৯ গ্রেফতার হয়ে বসিরহাট ও আলিপুর জেলে আটক ব্যক্তিদের তালিকায় ৫২ জন। পরবর্তী সময় জেলে আটক ১৩০ জন। ২৪ শে জানুয়ারি ১৯৭৯ জল সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক ৩০ জন। ২৪ শে জানুয়ারি থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি (১৯৭৯) পর্যন্ত পুলিশ-কর্তৃক ছিনতাই হওয়া নৌকার সংখ্যা ১৬৩। – এজাতীয় অসংখ্য প্রামাণ্য তথ্য।


    লজ্জায়, অবরুদ্ধ কান্নায় একের পর এক পৃষ্ঠা ওল্টাই, আর কেবলই মনে হয়, কেউ এসে চিৎকার করে বলুক – এ মিথ্যে মিথ্যে মিথ্যে।


    মানুষের অমানবিক প্রবৃত্তিতেই সংঘটিত হয় গণহত্যা। সেই কালো ইতিহাস একদিন উঠে আসে সাদা আলোয়। চব্বিশ বছর পরে এভাবে সমস্ত প্রামাণ্য বিশ্বাস্য নথি-সহ উঠে এল মরিচঝাঁপি।


    এ লজ্জা কোথায় লুকোব! ইস! আমি যে ভারতীয়, এই বাংলারই একজন। আর কী আশ্চর্য, মরিচঝাঁপি এই বাংলাতেই। প্রগতিশীল বাংলায় ‘মরিচঝাঁপি’ নিয়ে একটা ঝড় উঠবে না!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ আগস্ট ২০১৪ | ১৬৪৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 111.63.78.178 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:২১88262
  • এম্মা। লসাগু বলছে সিপুয়েম সাম্প্রদায়িক বিজেপির হাত ধরবে?????? ক্ষী ক্ষন্ডো!!!!!
  • cm | 127.247.112.204 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:২৬88263
  • কল্লোলদা কি বলছেন কাউকে সমর্থন করা বাধ্যতামূলক। সিপিএম কি করবে জানিনা তবে আমি হলে বিজেপির সাথে যেতাম। ওদের ধান্ধাবাজি ক্লাস ইন্টারেস্টে চলবে। নৈরাজ্যে (আভিধানিক) বড় ভয়। যদিও কল্লোলদা বর্তমান নৈরাজ্যকে অন্য কিছু বলে গুলিয়ে ফেলছেন মনে হয়।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:৩৩88264
  • না, সেকি, কারো হাত ধরার কথা বললাম কোথায়। পরের ইলেকশনে রাউল/বাবুল রা নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আসুক - তারপর দেখি না কি হয়।
  • PM | 233.223.159.125 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:৩৯88265
  • বর্তমানে কি লজ্জ্বা বা ঘৃনা কিছু কম পড়িয়াছে ? যে অতীত ঘাঁটতে হচ্ছে?
  • cm | 127.247.112.204 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:৪৬88266
  • সামন্ততন্ত্র আর ধনতন্ত্রের মধ্যে কাকে বেছে নিতে হবে তা নিয়ে চিন্তা ভাবনার অবকাশ দেখিনা।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:৫৩88267
  • আমি গণতন্ত্র
  • PT | 213.110.247.221 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:০৫88268
  • "ত্যাকুন কাকে সমর্থন করবে পিটি, সিএম, পিএম, ফুটকি?"

    সিপিএম যাই করুক, কল্লোলদার মত তাত্বিকরা কি এইসব বাহানায় তিনোকে পুনরায় সমর্থন করার পথে পা বাড়িয়েছে? অথবা সমর্থনের ground-work শুরু করেছে? এতদিন ঘেউ-ঘেউ কেন মিউ মিউ-ও শুনিনি। এবারে তিনোদের সমর্থন করার পক্ষে হালুম ডাক শুনতে পাচ্ছি যেন!!
  • jhiki | 121.95.121.109 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:১৬88269
  • সেরেছে, এই হালুমই কি কলরবের জোয়ার থামিয়ে দিচ্ছে?
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:২৪88270
  • সব ঘেঁটে যাচ্ছে
  • PT | 213.110.246.22 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:৪৩88271
  • "এই হালুমই কি কলরবের জোয়ার থামিয়ে দিচ্ছে?"

    আমারও সেইরকমই সন্দেহ!
  • jhiki | 121.95.121.109 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:১৮88272
  • ঃ)

    তাতে আমার অন্ততঃ কোন আপত্তি নেই। নীতির রাজা রাজনীতি, যে যার নিজের মত করে রাজনীতি করুক। তবে সেটা স্বীকার না করে নিষ্কাম মানবদরদী সাজলে বড়ই দৃষ্টিকটু লাগে।
  • Du | 24.99.198.191 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ১০:৪৭88273
  • অচিন্ত্য র বই আমি পড়িনি, কিন্তু টই টা পড়েছিলাম। খুব কিছু লজ্জা ঘৃণার উপাদান তো মনে পড়ছে না। বরং সেইটা পড়ার পর এই নিয়ে আবার একটা লেখা হঠাৎ করে এই সাইটে দেখে অবাকই হয়েছিলাম।
    এই লেখার সাথে সেই লেখার তো পুরো উল্টো কাহিনী।
  • cm | 127.247.112.241 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ১১:২২88275
  • আমি অবাক হই নি। একদিকে তৃণমূলী নরম সাম্প্রদায়িকতা (এই বৎসর ঘোমটা মাথে একখান ছবিও দ্যাখলামনা) আরেকদিকে বিজেপির গরম সাম্প্রদায়িকতা তার ওপরে নাটকীয় দরদী বিভ্রান্তি।
  • কল্লোল | 111.63.77.177 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ১১:২২88274
  • তেমন তেমন হলে (সিপুয়েম ছাপোর্টালে সরকার গড়া যাবে) হলে সিপুয়েম কার হাত ধরবে ?
    পিটি লিখছে, "সিপিএম যাই করুক, কল্লোলদার মত তাত্বিকরা কি এইসব বাহানায় তিনোকে পুনরায় সমর্থন করার পথে পা বাড়িয়েছে?"
    মানে তিনো কে ছাপোর্ট নয়। মানে বিজেপিকে ছাপোর্ট। কিন্তু পষ্টো করে বলবে না।
    সিএম উবাচ, "সামন্ততন্ত্র আর ধনতন্ত্রের মধ্যে কাকে বেছে নিতে হবে তা নিয়ে চিন্তা ভাবনার অবকাশ দেখিনা।"
    কে সামন্ততন্ত্র আর কে ধণতন্ত্র? এট্টু পোষ্কার হোক ভাইটি!!

    আমি তো যেই সরকারে আসুক তার বিরুদ্ধে ঘেউ ঘেউ।
  • PM | 233.223.159.125 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ১১:৪৭88276
  • এই দেকুন কিরকম পস্কার বুজে গেলেন যে "মানে তিনো কে ছাপোর্ট নয়। মানে বিজেপিকে ছাপোর্ট। কিন্তু পষ্টো করে বলবে না।"

    অথচ দেকুন " যে আসে আসুক সিপিএম যাক" মনে যে প্রথমে লুম্পেন আর ডাকাতদের রাজত্ব আর তার পর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস এই সার সত্যটা জেনেও কেমোন চেপে গেছিলেন আর নানা তাত্ত্বিক ঢপবাজীতে মেতে চু কিত কিত খেলছিলেন!!!!
  • cm | 127.247.112.241 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৪ ১২:০২88277
  • ভুল বুঝবেননা, তখন ছিল যে আসে আসুক আর এখন সিপিএমকে বাদ দিয়ে (এ টুকু আসলে উহ্য) বিজেপিকে আটকান।
  • কল্লোল | 125.242.151.45 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৯88284
  • পিটি। খুব পোষ্কার করে বলে দিনু। ২০১৬তে "না" ভোটে আছি।

    বিজেপি এবার পবতে পেশী ফোলাচ্ছে। এটাই পর রাজনীতির বৈশিষ্ট। ক্ষমতার দিকে ভিড়ে যায় গিন্ডা-বদমাশরা। খুব দুঃখজনক হলেও সত্যি। এককালে কংগ্রেস গুন্ডা পুষেছে। নকশালদের সাথেও গুন্ডা কম ছিলো না। তারপর আবার কংগ্রেস ও ৮০র পরে বামেরা আশ্রয় দিয়েছে গুন্ডাদের। ২০১১র পর সেই গুন্ডারাই তিনো হয়েছে। এবার বিজেপি কোল দিচ্ছে তাদের। যদিও এখনো বেশীরভাগই তিনোদের সাথে। আমার ধারনা ২০১৬তে মেরুকরণ চূড়ান্ত হবে।

    যাগ্গে অনেক অতীত ঘাঁটা হলো। এবার ভবিষ্যত ঘাঁটা যাক।
    যদি ২০১৬য় এমন হয় যে বিজেপি বা তৃণ যেই সরকার গড়ুক না কেন সিপুয়েমের হাত ধরতে হবেই। ত্যাকুন সিপুয়েম কার হাত ধরবে?
    পিটি, পিএম, সিএম - কি বলছে?
    পিটি বলেছে - তৃণমূলের হাত ধরবে না।
    সিএম বলেছে - আমি হলে বিজেপির সাথে যেতাম।
    পিএম - নাঃ, পিএম কিছু বলে নি।
  • PT | 213.110.246.22 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০২:১৯88285
  • "সিপুয়েম কার হাত ধরবে?"

    দিল্লীতে বিজেপির ক্ষমতায় থাকা যদি অসাংবিধানিক না হয় তাহলে পব-তে তারা ক্ষমতায় এলে ক্ষতি কিসের?
    গত তিন বছরে কল্লোলদার অতিপ্রিয় দল ও সুবোধের "নিও কমিউনিস্ট" দলটি যেভাবে যে কোন ধরণের বামেদের সব্বোনাশ করে চলেছে তাতে বিজেপির উত্থানে বামেদের বিশেষ ভয় পাওয়ার কিছু নেই। (আমার কাছে এটাই প্রধান ইস্যু)
    "মানুষ চায়নি" বলে সিঙ্গুর হয়নি আর "মানুষ চেয়েছে" বলে লুম্পেনরা ক্ষমতায় এসেছে। সেই ঘটনার ঘনঘটাকে তো কল্লোলদারা কোমর বেঁধে দুহাত তুলে সমর্থন জানিয়েছে।
    তাই "মানুষ চাইলে" বিজেপি-ই রাজা হবে। তাতে এত কান্না-কাটি কিসের?
    কাজেই কারো হাত নাও ধরতেই হবে এমন কোন কথা নেই।
  • PT | 213.110.246.22 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২০88286
  • **কাজেই কারো হাত ধরতেই হবে এমন কোন কথা নেই।
  • PM | 233.223.159.125 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৩১88299
  • অপর্না সেন ১৪ টি টিভি চ্যনেলে বলেছেন হাজার হাজার মহিলার স্তনবৃন্ত কাটা হয়েছে জঙ্গল মহলে। অপর্না কি মিথ্যাবাদী? ওনার আপাতদৃষ্টিতে কোনো স্বার্থ নেই। ১৪ টা চ্যনেল এই মিথ্যা কেনো প্রচার করলো। আজ থেকে ৪০ বছর বাদে এগুলই প্রামান্য নথি হবে। তখন আপানার মতই কিছু লোক বলবেন এতো প্রামন্য নথি, প্রথিত যশা লোকেদের টেস্টিমনি মিথ্যা হতে পরে।

    কোনো অভিযোগ থাকলে ফর্লালি করা হোক। ফরমাল তদন্ত হোক। যারা অপরাধী তাদের শাস্তি হোক। নতুবা এই সব বক্তব্যকে ফালতু প্রচার বলেই মনে করবো--- অপর্না ইত্যাদির না না ক্লেম শোনার পরে আমরা একটু বেশী চালাক হয়ে গেছি মনে হয়।
  • PM | 233.223.159.125 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৩৫88300
  • "কেন এত ঝামেলা করছেন? মেনেই নিন না যে নন্দীগ্রামে ১৫০০ কেন ১ টাও খুন হয় নি। "

    তার থেকে আসুন মেনে নি যে নন্দীগ্রামে হাজার হাজার বাচ্ছা কে কাটা হয়েছিলো। পুকুর রক্তে লাল হয়েছিলো। পাম্প চালিয়ে পরিস্কার করা হয়েছিলো রক্ত। আর নন্দীগ্রামে কোনো মাওবাদী ছিলো না------- এটা মেনে নেওয়া বোধ হয় অনেক সোজা
  • কল্লোল | 125.242.151.45 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০২:৪৭88287
  • বেশ বেশ। তবে আমি তো নোটায় আছি। আমার বিজেপি, সিপুয়েম বা তৃণ কোনটাতেই সায় নেই।
    মানুষ কি চাইবে সেটা অন্য বিষয়। তবে তোমার/তোমাদের বিজেপি প্রেম দেখে আমি বেশ পুলকিত। বিজেপি এসে বাম পেটাবে এমন কোন সম্ভাবনা নেই। কারন? খুব সহজ - বামই নেই। কাজেই বিজেপি তৃণ পেটাবে। বামেরা তো তেঁতুল-পাঁচিল মোডে চলেই গেছে।

    বিজেপি পবতে পেশী ফোলাচ্ছে। ফলে তারা এলেও আর একটি তৃণ হবে, এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

    আমাদের লড়াই জারী আছে থাকবে। বাম আমলে ছিলো, তৃণ আমলেও ছিলো, যদি বিজেপি আসে, বিজেপি আমলেও থাকবে।

    কুকুর মালিককে দেখে ঘেউ ঘেউ করে না, ন্যাজ নাড়ে বা ন্যাজ কুকুরকে নাড়ায়। আর আমরা তো আর পোষা কুত্তা নই। তাই মালিক নাই।
  • . | 208.7.62.204 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:১১88288
  • সব পোষা কুত্তাই মনে করে সে স্বাধীন - অরন্যের প্রাচীন প্রবাদ।
  • cb | 24.202.2.139 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:২০88289
  • "অথচ দেকুন " যে আসে আসুক সিপিএম যাক" মনে করে যে প্রথমে লুম্পেন আর ডাকাতদের রাজত্ব আর তার পর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস" ......

    কালকে বাবার গলায় যা হতাশা শুনলাম ফোন করে, তাতে উপরের এই লাইনটা র মত সত্যি বোধহয় আর কিছু নেই (লাইনটার বাকিটা পড়ার দরকার নেই)। অন্তত তিনবার বলল কোলকাতায় কিছুতেই ফিরিস না :(
  • cm | 127.247.114.54 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:০৯88290
  • যা বুঝলাম,
    কল্লোলদা নোটাপন্থী তাই ভোট দেবেননা, কিন্তু জানেন
    ১) সিপিএম আসছেনা।
    ২) বিজেপিকে আটকাতে হবে।
    ৩) তৃণমূল প্রসঙ্গে কোন বক্তব্য নেই। (নাকি এটাই একটা সিগনাল)

    আমি,
    ১) দুচোখ বেঁধে ভোট দিলেও কোথায় দেব জানা।
    ২) যেকোন মূল্যে তিনো হঠাও। এই লাইনেই মনে হয় অনেক লোক ভাবছে।

    আমার মনে হয় প্রচ্ছন্ন সমর্থন নয় এবারে তিনোর হয়ে সরাসরি ময়দানে নামতে হবে।
  • PM | 233.223.159.125 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:১০88291
  • "যদি ২০১৬য় এমন হয় যে বিজেপি বা তৃণ যেই সরকার গড়ুক না কেন সিপুয়েমের হাত ধরতে হবেই। " ----এই নৈরাজ্যাবাদী অ্যাসাম্পসন আমি কিনছি না। মানুষের শুভবুদ্ধীর উথ্থানে আমি আশাবাদী। তাই হাওয়ায় তির মারছি না
  • cm | 127.247.114.54 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:১৩88292
  • নৈরাজ্যবাদী অ্যাসাম্প্শনের উদ্দেশ্য হল সিপিএমকে বিজেপির সাথে বেঁধে বিসর্জন। তবে ওসব কৌশলে কাজ দেবেনা, সাহস করে তিনোর পতাকা কাঁধে মাঠে নামতে হবে।
  • aranya | 78.38.243.218 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:১৩88293
  • পিটি-র প্রশ্ন খুবই সঙ্গত। মরিচঝাঁপি-তে ঠিক কত মানুষ মারা গেছিল বা অত্যাচারিত হয়েছিল, কারা দায়ী - এ ব্যাপারে প্রকৃত সত্য কোনদিন আলোয় আসবে কিনা, জানি না।
    মরিচঝাঁপি সম্বন্ধে যেটুকু পড়েছি, সেই ১৯৭৮ থেকে, তাতে গভীর লজ্জা ও ঘৃণার ঘটনা ঘটেছিল বলেই আমার মনে হয়েছে। তাই চাই তা নিয়ে লেখালিখি হোক।
    কারও মনে হতেই পারে, বলার মত কিছুই ঘটে নি, অমন তো হয়েই থাকে। ঠিক আছে, লেটস এগ্রি টু ডিসএগ্রি।

    পিএম-এর কথা মানলাম না। আজকের দিনের ধর্ষণ বা বোমাবাজির প্রতিবাদ নিশ্চয়ই করছি। বর্তমান বা অনতি অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার প্রতিবাদে গুরুতেই প্রচুর লেখা বেরিয়েছে - নোনাডাঙা, কামদুনি, বরুণ বিশ্বাসের মৃত্যু বা একদম হালের হোক কলরব - দুঃখের বিষয় কিছু সিপিএম সমর্থকের সেগুলো কিছুতেই চোখে পড়ে না।
    শুধু আজকের সন্ত্রাসের-ই প্রতিবাদ করা যাবে, বহুদিন আগের গনহত্যা/অত্যাচারের প্রতিবাদ করা যাবে না -এ এক হাস্যকর প্রস্তাব।
    বাংলাদেশে শাহবাগ আন্দোলন-কারীদের পিএম এটা বলে দেখলে পারেন - সেই ১৯৭১-এর ঘটনা নিয়ে কেন বাপু ঘাঁটাঘাঁটি করছ?
    আর কদিন পর গোধরা দাঙ্গা নিয়ে লিখতে গেলেও পিএম-এর মত কেউ হয়্ত বলবেন - অনেক দিন তো হল, আর লেবু কচলে কি হবে, এবার ছেড়ে দে বাপু
  • সিকি | 132.177.11.108 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৮88301
  • একটা টস করি? হেড হলে কল্লোলদাকে মানব, টেল হলে পিএম।
  • . | 59.207.222.137 (*) | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০৫88294
  • অরণ্য - কথাটা মরিচঝাঁপী বা নন্দীগ্রাম নয়। এই অসহ্য মিথ্যাগুলি -১৫০০ মানুষ মারা গেল আর কেউ জানল না। এই সেই নন্দীগ্রামের হাজার হাজর স্তনবৃন্ত কাটা যাওয়া ময়েদের মত ম্যানুফাক্টার্ড মিথ।

    বাম সরকার মানেই সবঠিক এটা পিটিও বলে নি, কিন্তু তথাকথিও নিরপেক্ষরা নিজেদের ভুল স্বীকার করার সৎ সাহসটুকুও দেখাতে পারেন না।

    অচিন্ত্যর লেখায় বরং সত্যি খোঁজার চেষ্টা ছিল একটা সামগ্রিক দৃষ্টিভ্ন্গী নেওয়ার চেষ্টা ছিল।

    এই জঘন্য লেখাগুলি পড়লে বোঝাযায় লেখিকা আগেই ঠিক করে নিয়ে্ছেন যে কি হয়েছিল আর তারপর একগাদা তথ্য দিয়েছেন যার ভিত্তি এখন পর্যন্ত প্রমাণিত নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন