এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • জাভাদ্বীপের রমণী ও চলচ্চিত্র আবিষ্কার

    Lipikaa Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ | ৭৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • জাভাদ্বীপের রমণী ও চলচ্চিত্র আবিষ্কার:

    চলচ্চিত্র আবিষ্কার করেছিলেন লুমিয়ের ব্রাদার্স, একথা আজ সকলেরই জানা। এই লুমিয়ের ব্রাদার্স আসলে অভিন্ন হৃদয় দুই ভাই, অগাস্ট মারি লুই নিকোলাস লুমিয়ের ও লুই জিন লুমিয়ের । ১৮৯৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর প্যারিসের গ্র্যান্ড ক্যাফে হলে জনসমক্ষে প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছিল। অবশ্য এর আগে ঐ বছরেই ২২শে মার্চ ফ্রান্সের "Society for the Development of the National Industry”এর সভায় ২০০ সদস্যের সামনে ফ্রান্সের শিল্পোন্নতির নমুনা হিসাবে লুমিয়ের ব্রাদার্স দেখিয়েছিলেন তাঁদের তোলা চলমান ছবি, তবু আবিষ্কারের তারিখ ২৮ ডিসেম্বরেই ধরা হয়।

    কিন্তু চলচ্চিত্র আবিষ্কার সম্পর্কে অনেকে মনে করেন জাভাদ্বীপের একটি লোকগাথার কাহিনীর মধ্যে নাকি লুকিয়ে আছে চলচ্চিত্র সৃষ্টির রহস্য। লোকগাথার কাহিনীটি হল - জনৈকা জাভা রমণী তার অত্যন্ত দুষ্টু ছেলের দুষ্টুমিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। কোনো ভাবেই তাকে আয়ত্ত্ব করতে পারছিলেন না। হঠাৎ একদিন নিজের ছায়া কাপড়ের উপর পড়তে দেখলেন। এইছায়া দেখে সঙ্গে সঙ্গে একটি পরিকল্পনা করে ফেললেন। দিনের আলোয় একটি ফাঁকা জায়গায় সাদা কাপড় টাঙিয়ে তার পিছনে গিয়ে, সূর্যের দিকে পিছনে করে বিভিন্ন রকমের দেহভঙ্গিমা করতে লাগলেন এবং তার ছায়া এসে পড়তে লাগল সাদা কাপড়ে। এই দেহভঙ্গিমার ছায়াটিকে শিশুটি ভয় পেতে লাগল। এ ভাবে ঐ রমণী শিশুটিকে শাসন ও আয়ত্তে আনতে সক্ষম হলেন। পরে যখনই শিশুটি দুষ্টুমি করত তখনই এই পদ্ধতিতে তাকে ভয় দেখিয়ে আয়ত্তে আনতেন। এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে কিছু সংস্কৃতি মনস্ক, সৃষ্টিশীল মানুষ এই পদ্ধতির উপর নতুন কৌশল ও প্রযুক্তি প্রয়োগ করে জাভাদ্বীপে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। এই ধারণা থেকেই নাকি "ছায়া নাটিকা" বা "Shadow play" র প্রচলন হয়েছে। যদিও এর কোনোও ঐতিহাসিক তথ্যপ্রমাণ নেই। জাভাদ্বীপের জনৈক শিল্পীর ডায়েরি থেকে এই মিথের কথা জানা যায়। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড ম্যফিল্ড মনে করেন জীবন্ত ছায়াছবির চারাগাছ নাকি জাভাদ্বীপেই বপন করা হয়েছিল।

    শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্র আবিষ্কারের কৃতিত্ব পেতে সমসাময়িক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছিল লুমিয়ের ব্রাদার্সকে। ১৮৯৪ সালের শেষের দিকে লুমিয়ের ব্রাদার্সরা সিনেমা নামক মাধ্যমটি আবিষ্কার করার পর সরকারি ভাবে একটি বিবৃতি দিয়েছিল। এই বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়েছিল ফ্রান্সের অন্যতম জনপ্রিয় দৈনিক সংবাদপত্র "ল্যাপোস্টা"য়। এই সংবাদের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন ঐ সংবাদপত্রের অ্যামিউজমেন্ট কলামে। বিজ্ঞাপনটি ফরাসি ভাষায় লেখা ছিল, যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, "আগামী ২৫ নভেম্বর সকাল ৯ টা থেকে প্যারিসের বিখ্যাত গ্র্যান্ডক্যাফের ব্যাঙ্কোয়েট হলে লুমিয়ের ব্রাদার্স এর আবিষ্কার করা চলমান দৃশ্যের জীবন্ত ছবি প্রদর্শন করা হবে।"

    বলা বাহুল্য এই বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হবার সাতদিনের মধ্যে আমেরিকার টমাস এডিসন পাল্টা বিবৃতি দিলেন, নিজেকে চলমান ছবির আবিষ্কারক হিসাবে দাবি করলেন। শুধু তাই নয়, একটি মামলাও করলেন। এই মামলার পর লুমিয়ের ব্রাদার্স চুপ করে থাকলেন না। তাঁরাও আর একটি পাল্টা মামলা করলেন টমাস এডিসনের বিরুদ্ধে। কোন চলমান ছবির দৃশ্য তিনি কিভাবে কোন সূত্র ধরে আবিষ্কার করেছেন এডিসন তার সমস্ত তথ্য একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল হিসেবে তুলে ধরলেন আদালতে। এডিসনের চলমান ছবির নাম ছিল "Fun in a Chinese Laondry"। অন্যদিকে লুমিয়ের ব্রাদার্স তাদের তথ্যপ্রমানসহ চারটি ছবি তুলে ধরলেন। ছবিগুলি ছিল -

    1) The Arraival of a train at the Station.
    2) L' arroseur.
    3) Feeding the baby.
    4) A game of Card.

    এই ছবিগুলির সঙ্গে একাধিক যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ প্রদর্শন করলেন, যেমন প্রজেক্টর মেশিন, কাঁচা ফিল্ম, ফরাসী ভাষায় ছাপানো এই নতুন মাধ্যমটির 'টেকনিক্যাল নোন হাউ'। এর সঙ্গে ম্যাজিক ল্যান্টর্নএর সঙ্গে তুলনামূলক কিছু বিশ্লেষণকরা লিফলেট। শুধু তাই নয় এই ফরাসি ভাষার লিফলেটগুলো ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করিয়ে দিয়েছিলেন নিজেদের অনুবাদক দিয়ে। বেশ কয়েকমাস ধরে এই বিবাদ চলেছিল আদালতে। সেই সময় এডিসন এমনিতেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। জনপ্রিয় হয়েছিলেন তার কারণ ১৮৭৮ সালে গ্রামোফোন এবং ১৮৭৯ সালে ইলেকট্রিক ল্যাম্প আবিষ্কার করেন। তাঁর আবিষ্কৃত জিনিসগুলো ভালো বিক্রিও হচ্ছিল। তাঁর একটি কম্পানিও ছিল "এডিসন এন্ড কোং" নামে। অন্যদিকে লুমিয়ের ব্রাদার্স এর তেমন কোনো পরিচিতি ছিল না তখনও।

    তবে ওদেশের আদালত আমাদের দেশের মত ছিল না। আদালত সুবিচার করার জন্য কয়েকজন বিজ্ঞানীকে ডেকে এনেছিল পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে। এসেছিলেন বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী মার্ক রিজে। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চলচ্চিত্র আবিষ্কারের স্বীকৃতি পেল লুমিয়ের ব্রাদার্স।

    এরপর ১৮৯৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর শীতের সকালে প্যারিসের বিখ্যাত গ্র্যান্ড ক্যাফেতে প্রদর্শিত হল, "la sortie des unies" (Workers leaving the lumiere factory)এবং এর সঙ্গে আরো বেশকিছু ছবি। ছবিগুলি সবই ৫০ সেকেন্ডের কম দৈর্ঘ্যের। প্রদর্শনী চলেছিল একমাস ধরে।

    ছবি দেখার পর সেখানকার এক দৈনিক সংবাদ পত্র "ল্যাপোস্টা" এর প্রতিবেদক লিখেছিলেন তার অভিজ্ঞতার কথা। তিনি লিখেছেন -
    "গ্র্যান্ড ক্যাফের হল ঘরে যে অভূতপূর্ব প্রদর্শনী দেখলাম তার সঙ্গে ম্যাজিক ল্যান্টর্ন এর আকাশ পাতাল পার্থক্য। রোমাঞ্চিত হলাম যখন দেখতে পেলাম একটা রেলগাড়ি র ইঞ্জিন ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে এগিয়ে আসছে।আর দেখলাম কামরায় বসে রয়েছে একাধিক যাত্রি।তারপর ট্রেন থামল। লোকজন ওঠানামা করতে করতে এগিয়ে যেতে থাকল। অন্য আরো যে তিনটি ছবি দেখলাম সেগুলি খুবই তৃপ্তি দায়ক। আমার মনে হয়েছে এই যুগান্তকারী আবিষ্কার অদূর ভবিষ্যতে মানুষের সামনে তুলে ধরবে দূরের পৃথিবীকে। অর্থাৎ দূরত্ব আর ব্যবধান ঘুঁচিয়ে মানুষের কাছে হয়ে দাঁড়াবে নিকটতম বন্ধু।"

    বলা বাহুল্য লুমিয়ের ব্রাদারের সমস্ত ছবি ছিল বাস্তবনির্ভর, তথ্যচিত্র।

    লুমিয়ের ব্রাদার্স তাঁদের আবিষ্কারের স্বীকৃতি ভাগ করেছেন পূর্বসূরীর সঙ্গে একটি বিবৃতির মধ্যে দিয়ে। তাঁরা বিবৃতিতে জানান, " আমাদের এই আবিষ্কারপর্বকে ত্বরান্বিত করেছে বেশকিছু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, যার মধ্যে রয়েছে, ইতালির আলেসান্দ্রা ভোলতাসের ইলেকট্রিক ব্যাটারি আবিষ্কার। ব্রিটেনের আলেকজান্ডার পারকাসের সেলুলয়েড আবিষ্কার। ফ্রান্সের জে এন নিয়েপল এর ফটোগ্রাফি অন মেটাল। ব্রিটেনের ডবলু এইচ ফক্স পেলব ফটোগ্রাফি অন পেপার। বেলজিয়ামের জ্যোনোব গ্রাম ইলেকট্রিক মোটর। মাইক্রোফোন ও টেলিফোন আবিষ্কারক আমেরিকার গ্রাহাম বেল। আমেরিকার এডিসন নাইট্রোসেলুলেজ, গ্রামোফোনও ইলেকট্রিক ল্যাম্প। ফিল্ম মুভিং আউটলাইন আবিষ্কারক ফ্রান্সের লুইস প্রিন্স। ইলেকট্রিক মোটর এ সি আবিষ্কারক আমেরিকার নিকোলাস টেশলা। লাউড স্পিকার আবিষ্কারক ব্রিটেনের হোরেসি শরর্ট”।

    চলচ্চিত্রের প্রকৃত আবিষ্কারক কে তা নিয়ে আদালতের লড়াই শেষ হলে এডিসন পরাজয়কে স্পোরটিংলি মেনে নিয়ে লুমিয়ের ব্রাদার্সকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। আর লুমিয়ের ব্রাদার্স তাঁদের বিজয় কৃতিত্বকে সৌজন্যমূলকভাবে হলেও পূর্বসূরীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছিলেন। দ্বন্দ্ব ভুলে সবকিছু মেনে মানিয়ে নিয়েছিলেন তাঁরা।

    চলচ্চিত্র আবিষ্কারের ইতিহাস জাভা রমনীর অবদান থাক বা না থাক, ঐ জাভা রমনীর ছায়া বর্তমানে বিশেষভাবে স্মরণে আসে যখন মানুষে মানুষে দূরত্ব বেড়ে যায়। দেশ, কাল, রাষ্ট্র ঘিরে যে সব দামাল ছেলেরা সবল হয়ে দুর্বলকে অত্যাচার, নিপীড়ন করে তাদের সামাল দিতে ঐ জাভারমণী সত্য কায়ার ছায়ার মায়া বেশ কার্যকর হতে পারত। যুগে যুগে দুর্বৃত্তের সূর্যের মত প্রখর তেজে পিঠ রেখে সত্য কায়ার ছায়ার খেলা দেখিয়ে দুরাচারী দামালকে শাসন করতে পারে, মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব কমাতে পারে এমন এক মায়ের সন্ধানে আমরা নই কি! অন্বেষণ থেকেই হয়ত হবে আবিষ্কার! সেদিন দামাল ছেলে শাসন করতে গিয়েই হয়ত আবিষ্কৃত হবে শাসনের আর এক নতুন কোন পন্থার!

    তথ্যসূত্র -

    ১) সিনেমার ইতিকথা - অমিয় সান্যাল
    ২) দেশে দেশে কালে কালে - সত্য বন্দ্যোপাদ্যায়, তথ্যচিত্রের কথকতা
    ৩) তথ্যচিত্র পরিচালনা ও নির্মাণ - সম্পাদক অজয় সরকার
    ৪) তথ্যচিত্রের আরট ও টেকনলজি - ধীমান দাশগুপ্ত
    ৫) চলচ্চিত্রের কথা ও কাহিনি - সম্পাদক ঋতব্রত ভট্টাচার্য
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ | ৭৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন