এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • নিউনর্মাল করোনাকালীন পর্ব আটত্রিশ

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৩ জুলাই ২০২৩ | ৩৬০ বার পঠিত
  • মালবিকা জ্যোৎস্নার মধ্যে ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ দেখছেন। কতদিন বাদে তিনি তাঁর ছাতে এসেছেন। এই ছাতে তাঁর শখের বাগান। ছিল। এখন নেই বলা যায় না। কিন্ত কিছুটা হতশ্রী। কিছুটা কাহিল। শ্যামা দু' বেলা জল দিয়ে যায়। আর কি বা করবে ও।মাঝে মাঝে খুরপি দিয়ে গোড়া টোড়াগুলো খুঁচিয়েও দেয় বোধহয়।  ত্রিদিব বা টুপুর কেউ এইসব যত্ন করার মধ্যেই থাকেন নি কোনোদিন। শুধু ফুল ফুটলে বলেছেন, বাহ্।
    ফুল আছে এখনো দু চারটে। কিন্ত বাহার নেই। একদম মানুষের মতো। শুধু খাওয়া পরা দিলে কী হয়? যত্ন অন্য জিনিষ। মাটি তৈরির মধ্যেও যত্ন থাকে। অনেকটা ভালোবাসা দিয়ে তৈরি করা মাটিতে ফুল ধরে ঝমঝম করে। সেই রঙের রূপ আলাদা। পাতার চেকনাই আলাদা। মালবিকার ছাতবাগান আছে, কিন্ত তার চেকনাই  চলে গেছে। ভালোবাসা ছিতরে গেছে।
    ভোর রাতে ত্রিদিবের জন্য ঈশানের বন্ধুর প্রাইভেট নার্সিং হোমে একটি বেড পাওয়া গেছে। মালবিকার হাত পা থরথর করে কাঁপছিল। ঈশান কিছুতেই ত্রিদিবের কাছে কাউকে যেতে দেয়নি।
    - তোর দিদুন যেদিন চলে গেল, আমাকে প্রথমে কেউ কিছু জানায়নি। তোর বাবা চলে গেলে তোরা কী আমাকে পরে বলবি? আগে জানাবি না?
    মালবিকা চোয়াল শক্ত করে কথা বলছিলেন। কেমন যেন অপ্রকৃতস্থ।
    - আমি হোস্টেলে ফিরছি না টুপুর। বাড়িতে থাকব।
    এটা টুপুর একদম চাইছিল না। বাড়ি স্যানিটাইজ করতে হবে। ত্রিদিব কোভিড পজিটিভ কীনা সেটা সোয়াব টেস্ট না হলে বোঝা যাবে না। তার জন্য দুতিন দিন সময় লাগবে। এইসময় এই বাড়িতে থাকা সেফ হবে না। একদম না। ইফ হি ইজ পজিটিভ থিংগস মে টার্ণ আদারওয়াইজ। 
    মার্চের হাওয়া গরম হতে শুরু করেছে। ঈশান ভ্রূ কুঁচকে ত্রিদিবের দিকে তাকিয়েছিল। সেকেন্ড ওয়েভের কথা এখনো সাধারণ মানুষ জানে না। ত্রিদিবের পরনে বাইরের পোশাক। মানে অফিস থেকে ফিরেছিলেন। না। মাস্ক নেই। অধিকাংশ মানুষ ভাইরাস চলে গেছে, বা দিল্লিতে এসে গেঁড়ে বসে আছে, এদিকে আসবে না, এইরকম ভেবে মাস্কবিহীন, নিরাপত্তাবিহীন জীবন কাটাচ্ছেন। দিস ইজ ডেন্জারাস।
    টুপুর জাহিরকে খুব মিস করছে। জাহির ইজ পজিটিভ। কিন্ত ওর তো পজিটিভ হবার কথা নয়।
    - ডোন্ট বি সিলি টুপুর। কথা নয় আবার কী! ভাইরাসটা মিউটেইট করছে। আগে বয়স্কদের বেশি এফেক্ট করছিল। এখন কমবয়সীদেরও করছে।
    দাদা ফোনে বলেছিল।
    - তুই কী আসবি দাদা? মা বলছে,তোর আসার দরকার নেই।
    মালবিকার ভীষণ চিন্তা ছেলেকে নিয়ে। তার যখন পজিটিভ এসেছিল তিনি জানতেন না। ছেলে জানতে দেয়নি। সেই মেয়েটি, যার কথা ভাবলেই মালবিকা আড়ষ্ট হয়ে যান এখনো, সেই জানাতে  দেয়নি নিশ্চয়ই।  কিন্ত এখন তিনি বাবুকে কোনো রিইনফেকশনের মধ্যে আসতে দিতে চান না। একদম না।
    - আমি আসছি টুপুর। মা' কে কিছু বলার দরকার নেই আপাতত।
    মালবিকার প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে। নিজের মায়ের কথা ভাবলেই অসম্ভব কষ্ট পাচ্ছেন শরীরে ।মনে।
    টুপুর আপাদমস্তক সাবানে নিজেকে ধুয়ে, ছাতে এসে মা' কে জড়িয়ে ধরল। দুজনে ছাতে। কত কত যুগ বাদে।
    - খালি লস্ট কেসেস ভাবছো কেন মা? কতজন সুস্থ হয়ে যাচ্ছে তুমি জানো?
    মালবিকা মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়েছিলেন।  ত্রিদিবের সুগার আছে। হাই সুগার। এখন কত তিনি জানেন না। রাতে খবর আসবে। কোভিড ওয়ার্ডের পেশেন্ট  না হলেও ত্রিদিবকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
    শ্যামা চা করে নিয়ে এসেছে ছাতে।
    বেলফুলের গন্ধ পাচ্ছেন মালবিকা।
    - ইভন শ্যামাদি তোমার থেকে বেশি স্টেডি মা। ওর তো পজিটিভ এসেছিল। দ্যাখো তো।ঠিক হয়ে গেছে। কোয়ারেনটাইন সেন্টারে ছিল কতজন।খোঁজ নাও। মোস্ট অব দেম আর অ্যালাইভ।
    সারাদিন বাড়ি ধোয়ামোছা হয়েছে। বাইরে থেকে প্রফেশনাল লোক এসে স্যানিটাইজ করে গেছে। ধকল গেছে খুব। সন্ধের পর গা ধুয়ে একটা ঘন নীল তাঁতের শাড়ি পরেছেন মালবিকা। বোটনেক ব্লাউজ। হলুদ রঙা। চুল শ্যাম্পু করা।ছেড়ে রেখেছেন।
    ঈশান খবর দিয়েছে ত্রিদিবের জ্বর কমেছে। সুগার নর্মাল। কিন্ত সোয়াব টেস্টের রেজাল্ট দেরি হবে। প্রত্যেক নার্সিংহোম ক্রাউডেড।ভীষণ চাপ। কোভিড ওয়ার্ড। নন কোভিড ওয়ার্ড।
    টুপুর জিজ্ঞেস করেছিল, বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা যায় না? ধর দোতলাতে রাখলাম। আমরা কেউ যাবো না।
    ডাক্তার রাজি হন নি। নট ফর এ পেশেন্ট উইদ কো মর্বিডিটি। বিশেষ করে সুগার পেশেন্ট। 
    ভোরে যখন ত্রিদিবের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হচ্ছে, মালবিকার মনে হচ্ছিল এই শেষ। যেন শববাহী গাড়ি ত্রিদিবকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। অনেক দূরে। বডি উইল নট বি গিভন টু দ্য ফ্যামিলি।
    মালবিকাকে অন্যভাবে এনগেজড রাখার জন্য স্যানিটাইজ করার লোক এনেছিল টুপুর। সমস্ত বাড়ি যেন তছনছ হচ্ছে। ধৌত হচ্ছে। পরদা। মেঝে। বিছানা পত্র। মালবিকা যখনই ত্রিদিবের কথা বলতে চেয়েছেন টুপুর অন্য কথা বলেছে। মা' কে ভুলিয়ে রেখেছে। যেমন মা তাকে ছোটবেলায় ভুলিয়ে রাখত। বাবা ট্যুওরে গেলে টুপুর কাঁদতো। খুব কাঁদতো গলা ছেড়ে। মা বলতো, এই তো, তুই ঘুমিয়ে পড়লেই বাবা চলে আসবে। আর টুপুর কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়েও পড়তো।
    এখন ও মা' কে ভুলিয়ে রাখছে।
    - নট এভরি কোভিড পেশেন্ট ইজ ডাইং মা। কতজন সার্ভাইভ করছে।
    মালবিকা টুপুরের হাত শক্ত করে ধরেছেন।
    - তাই?
    শ্যামা চায়ের সঙ্গে টোস্ট বিস্কিট দিয়েছে। চানাচুর দিয়েছে। মালবিকার গায়ে মাইসোর স্যান্ডালের গন্ধ।
    যে ক' টা বেলফুল ফুটেছে তার গন্ধে চারদিক ভরে আছে। সামনে দোল পূর্ণিমা। ছাত থেকে নিচে তাকালে দেখা যাবে ইলেকশনের পোস্টার সাঁটছে ছেলেপিলে। টুপুর দেখলো দুর্নীতি বানানটা দুর্নিতি লিখেছে।
    এই ছাত। মালবিকার গায়ে মাথা রেখে টুপুর। শ্যামা পা ছড়িয়ে বসেছে মুড়ি চানাচুর নিয়ে।  ঈশান আসবে একটু পরে। এইসময়ে মৃত্যুর কথা, অসুখের কথা ভাবা যায় না। মালবিকার কেমন যেন মনে হতে লাগল, ত্রিদিব সুস্থ হয়ে উঠবেন। প্যানিক কমে যাচ্ছে।
    লাল চেলি পরা মালবিকা বরবেশে ত্রিদিবকে দেখছেন। শ্যামা দু চারবার পাড়াতে কতজন মারা গেছে, কীভাবে মারা গেছে তার একটা ফিরিস্তি দিতে গেছিল বটে। টুপুর থামিয়েছে।
    - তুমি বরং ঈশানের জন্য ফ্রেঞ্চ টোস্ট করো শ্যামাদি। সারাদিন খায়নি।
    শ্যামার উঠতে ইচ্ছে নেই। ফ্রেঞ্চ টোস্ট দশমিনিটে হয়ে যাবে। এখন তার এখানে বসে থাকতে ইচ্ছে করছে। শরীর তো একটু বিশ্রাম চায়। লোকের বাড়ি কাজ করে বলে কী তার মেয়েমানুষের শরীর না?
    মালবিকার কাঁপুনি কমেছে। চা খাচ্ছেন ধীরে সুস্থে।
    হঠাৎই টুপুরের মুখের  দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, জাহির কেমন আছে রে?
    ভালো লাগল। মা যে প্যানিক ছেড়ে জাহিরের কথা ভেবেছে এটাই অনেক। এটাই অনেক। টুপুর মালবিকার গলা জড়িয়ে ধরল। ছোটবেলার পর এই প্রথম।মাঝের বছর গুলিতে অনেক দূরে সরে গেছিল সে। অনেক দূরে। অলৌকিক আলো যেন আকাশে। এখন করোনার কথা মনে আসে না। এখন কেউ সেকেন্ড ওয়েভ বা সেকেন্ড স্ট্রেইনের কথা ভাবছে না। কেউ না। সাময়িক নিশ্চিন্ত হবার অপার আরামে ডুবে যাচ্ছিল টুপুর। একটা লেভেলের পরে শরীর, মন হাল ছেড়ে দেয়। বলে, আর পারছি না।
    মালবিকা বললেন,
    - তুই আর ঈশান এই সামনের বৈশাখে বিয়েটা করে ফেলবি টুপুর?

    (চলছে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৩ জুলাই ২০২৩ | ৩৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন