এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বিষবৃক্ষের অন্তরালে যৌতুক। ছোট গল্প।

    লেখক শংকর হালদার লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ৪৩৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • (গল্পের সংখ্যা :- ১৬)

    বিষবৃক্ষের অন্তরালে যৌতুক।

    গল্পকার :- শংকর হালদার শৈলবালা।

    ◆ রচনার শ্রেণী :- ছোটগল্প। সামাজিক ও যৌতুক প্রথার অত্যাচারের কাহিনী।

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    ◆ বর্তমান আধুনিক সভ্য মানুষের মাঝে বিষ বৃক্ষের ন্যায় সমাজের অন্তরালে চোরা স্রোতের মতো যৌতুক প্রথা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।

    ◆ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ শহর এলাকায় সমীর বিশ্বাস তার দুই মেয়ে সুষমা ও সরমা আর ছোট একটি ছেলেকে নিয়ে ছোটখাটো ব্যবসার মাধ্যমে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার বসবাস করেন। সুষমা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত আধুনিক মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়েছে।

    ◆ মেয়ে উপযুক্ত হলে তার বিয়ে দেওয়ার জন্য বাবা মার চিন্তা বেড়ে যায়, তারপর যদি মেয়ের রঙ কালো হয় তাহলে চিন্তার অন্ত থাকে না। পিতা সমীর বিশ্বাস দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছেলের সন্ধান করতে থাকে কিন্তু দর কষাকষি যৌতুকের টাকার চাহিদা পূরণ করার সাধ্য না থাকার কারণে কোথাও কালো মেয়ে কে বিয়ে দিতে পারছে না।

    ◆ সমিরন বিশ্বাস ভাবে :- যৌতুক প্রথা দীর্ঘ কয়েক হাজার বছরের একটি সামাজিক অপরাধ মূলক ব্যাধি রূপে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। সরকার বিভিন্ন আইন তৈরি করা সহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেও কিন্তু যৌতুক নামক ব্যাধি কে নিরাময় করা সম্ভব হয়নি।

    ◆ বিশ্বের বড় বড় রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় নেতা এবং আইন আদালত হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে কিন্তু এই ব্যাধি নিরাময় করার কোন উপায় অবলম্বন করতে পারছেন না।

    ◆ মেয়ে সুষমার জন্য ছেলে খোঁজ করতে করতে এক সময় বনগাঁ মহকুমা এলাকার হেলেঞ্চা থানার এক গ্রামের বাসিন্দা অখিল মন্ডল নামে হেলেঞ্চা বাজারে এক ব্যবসায়ী যুবকের সাথে বিয়ের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়।

    ◆ বর পক্ষের অভিভাবকের দাবি:- ফ্ল্যাট টিভি, ফ্রিজ, খাট, স্কিন টাচ মোবাইল ২৫ হাজার টাকা দামের ও দশ ভরি সোনা গয়না আর নগদ দুই লাখ টাকা।

    ◆ সুষমা এই বিয়ের ব্যাপারে সন্তুষ্ট ছিল না কারণ সে জানত, তার বাবার সমস্ত আয়ের টাকা এক মেয়ের বিয়ের যৌতুক দিতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাবে।

    ◆ বিয়ের রাতে বিয়ে শুরু হওয়ার আগে বরপক্ষের অভিভাবক বরের বাবা-মা মেয়ের বাবার কাছে গিয়ে বলেন :- চুক্তি অনুসারে সবকিছুই ঠিকঠাক দেখছি কিন্তু নগদ লেনদেনের বাকি থাকা ৫৭ হাজার টাকা পরিশোধ করুন।

    ◆ মেয়ের বাবা সমীর বিশ্বাস বলে :- বিয়াই মশাই; উক্ত টাকা সংগ্রহ করতে পারিনি কিন্তু আমাকে ছয় মাস সময় দিন, আমি টাকা শোধ করে দেবো।

    ◆ বরের বাবা মা উপস্থিত সকলের সামনে উত্তেজিত হয়ে অপমানজনক কথাবার্তা বলতে শুরু করে আবার বিয়ে বন্ধ করার হুমকি দিতে থাকে।

    ◆ বরের জামাইবাবু চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তার শ্বশুর ও শাশুড়ি কে আড়ালে ডেকে নিয়ে বুঝিয়ে বলে :- উত্তেজিত না হয়ে শান্ত হয়ে আমার কথাগুলো শুনুন।

    ◆ শাশুড়ি মা উত্তেজিত হয়ে তার জামাইকে বলে তুমি জামাই জামাই এর মত থাকো আমাদের বিয়ের ব্যাপারে কোন নাক গলাবে না।

    ◆ জামাই তার শাশুড়িকে বলে :- আপনার ছেলের কি যোগ্যতা আছে? ভাগ্য ভালো; আপনাদের ইতিহাস মেয়ের বাড়ির লোকেরা জানেনা।

    ◆ শশুর বলে :- বাবা জীবন তুমি কি বলতে চাচ্ছ?

    ◆ জামাই বলে :- বাড়িতে একটা কাজের মেয়ে তো চাই, আপনার বাড়িতে যে মহিলা কাজ করে তাকে মাসে ৫০০০ টাকা দিতে হয়। ভাবুন সেই কাজটাই ঘরের বউকে দিয়ে করাবেন। এক বছর কাজ করলেই আপনার টাকা শোধ হয়ে যাবে আবার মেয়ের বাবাকে চাপে রেখে টাকা আদায় করতে পারবেন।

    ◆ শশুর শাশুড়ি সন্তুষ্ট হয়ে বলে :- ঠিক বলেছো।

    ◆ জামাই তার শ্বশুর-শাশুড়ির উদ্দেশ্যে করে বলে :- মনে রাখবেন আপনার মেয়ে সুজাতা কিন্তু পরের ঘরের বউ। তাকেও কিন্তু স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে একই ছাদের তলায় বাস করতে হয়।

    ◆ সুষমা নববধূ রূপে তার শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার সাথে সাথেই যৌতুকের টাকা না পাওয়ার লাঞ্ছনা গঞ্জনার যন্ত্রণাদায়ক কথা বার্তা শুনতে হয়।

    ◆ বিয়ের অনুষ্ঠান মিটে যাওয়ার কয়েকদিন পর
    এক রাতে ধূমকেতুর মতো অখিলের মা তার ছেলের ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে।

    ◆ ভিতর থেকে দরজা খুলে দিতেই, অখিলের মা ঘরে ঢুকে সুষমা কে বলেন :- বৌমা; দিনকাল ভাল যাচ্ছে না, তোমার বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা গয়না গুলো দিয়ে দাও।

    ◆ সুষমা তার স্বামীর দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে, সেই মুহূর্তে তার স্বামী বলে :- মা যখন বলছেন তা দিয়ে দাও।

    ◆ অখিলের মা তার বৌমার শরীর থেকে গয়না গুলো খুলে নেয় তারপর আলমারি থেকে ভালো ভালো কাপড় সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।

    ◆ বিয়ের সাত মাস পর সুষমা বিছানায় শুয়ে ভাবে :- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর শ্বাশুড়ি মায়ের কৌতুকের টাকার জন্য নানা ধরনের বাজে বাজে মন্তব্য শুনতে হয়।

    ◆ বাড়ির ঝি চাকরের মতো দিন রাতে সংসারের সম্পূর্ণ কাজ করতে হয় কিন্তু তবুও পরিবারের কারো মন পেলাম না।

    ◆ দিনে শ্বাশুড়ি মায়ের অত্যাচার আবার রাতে স্বামীর যৌন খিদের অত্যাচার কতদিন আর সহ্য করে চলবো। স্বামী তার স্ত্রীর অধিকার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেছে। আমার ভালো-মন্দ দেখা প্রয়োজন বোধ করে না কিন্তু মরে বা বাঁচে তার দৈহিক চাহিদা মেটাতে হবে।

    ◆ একজন বিবাহিত নারী তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির পরিবারের লোকজনের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করতে না পারার কারণে বহু মহিলার জীবনের স্বপ্ন গুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।

    ◆ এটাই কি স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা! না, সাত পাকের প্রতিশ্রুতি সব মিথ্যা কথা বলা। স্বামী নামক পুরুষ,পারিবারিক ভাবে নির্যাতিত নারীর চোখের জলের মূল্য দিতে অস্বীকার করছে। বাবার বাড়ির অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণে বারবার নির্যাতিত হয়ে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা চালায় কিন্তু কখনো তার মনের কথা বাবা মাকে বলতে পারেনি।

    ◆ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আধুনিক বিজ্ঞানের প্রগতি লাভ করলেও কিন্তু সেই অন্ধ বর্বর যুগের মন মানসিকতার সভ্য সমাজের মানুষের মধ্যে কোন পরিবর্তন হয়নি। এখনো প্রতি নিয়ত বহু মহিলারা যৌতুক হয়রানির শিকার হয়ে চলেছে।

    ◆ স্বামী নামক পুরুষ যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার স্ত্রীকে বন্ধুদের মাধ্যমে ধর্ষণ করা কি মানবিক কাজ?

    ◆ নির্যাতিত মহিলা প্রতিবাদ করলেই তাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা সমাজের একটা রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে।

    ◆ সুষমা তার শাশুড়ি অত্যাচারে কথা স্বামীকে বলার পর, তার ওপর স্বামী কর্তৃক আরো বেশি অত্যাচার শুরু হয়ে যায়।

    ◆ সে তার চোখের জলে বিছানা ভিজিয়ে চলে। তার বেদনার কথা কারও কাছে প্রকাশ করতে পারেন না ..।

    ◆ সুষমা প্রতিদিনের অন্যায়-অত্যাচারের কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং দিন দিন শারীরিক শারীরিক অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করে।

    ◆ সুষমা ভাবে মনে মনে :- যৌতুকের টাকার জন্য একজন স্বামী কি তার স্ত্রীকে সম্মান করবে না?

    ◆ স্বামী নামক পুরুষ তাকে মারধর সহ জোর করে মিলনের নামে ধর্ষণ করবেন?

    ◆ বিয়ের পর শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য এক পাষণ্ড পুরুষের সঙ্গে বিছানায় ঘুমাতে হবে কি?

    ◆ আজকের বিংশ শতাব্দীর যুগে বসবাস করেও যৌতুকের মারাত্মক সমস্যার সমাধান করার জন্য কত নারী লড়াই করে যাচ্ছেন।

    ◆ সুষমা তার বাবা মায়ের পরিবারের সদস্যদের কাছে এই সমস্যা জানাতে পারেনি। কারণ তার বাবা এখন পর্যন্ত যৌতুকের টাকা শোধ করতে পারিনি। তার মনে একটা ভয় স্বামীর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারলে, অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেবে।

    ◆ সুষমা ভাবে :- অখিলের মা এক পুত্রবধূ ছিলেন কিন্তু একজন নারী হয়ে কিন্তু আরেক নারীর বেদনা বুঝতে পারছেন না?

    ◆ এভাবে আর কতদিন চলবে?

    ◆ শাশুড়ি বলেছিলেন:- বিয়েতে অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে, খরচের টাকা তোমার বাপ কেই দিতে হবে।

    ◆ এই মারাত্মক ভয়ানক ব্যাধি যৌতুক প্রথা বন্ধ হওয়া দরকার।

    ◆ সবার সঙ্গে মিলেমিশে পরিবারকে বাঁচানোর জন্য সুষমা তিন বছর ধরে স্বামী অখিলের পরিবারের অত্যাচার সহ্য করে চলেছে।

    ◆ সুষমা ভাবে :- আমার গর্ভে এক বার সন্তান এসেছিল কিন্তু স্বামী মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বলে, আমি তোর সাথে থাকি না কিন্তু সন্তান আসলে কি করে?

    ◆ আমার চুলের মুঠো ধরে অশ্লীল ভাষায় খিস্তি খামারি দিয়ে অবৈধ সম্পর্কের জড়িয়ে আমার চরিত্রকে কলঙ্কিত করে মারধর করে।

    ◆ শাশুড়ি অত্যাচারের মাধ্যমে পেটে লাথি মেরে মেরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়।

    ◆ অখিলের মা তার ছেলের সাথে ষড়যন্ত্র করে, সুষমা কে ঘরের মধ্যে প্রথমে মা-ছেলে মিলে প্রচন্ড ভাবে মারধর করে ও সিগারেটের জ্বলন্ত আগুনে ছ্যাকা দিতে শুরু করে। এরপর মা ছেলের সহযোগিতায় অখিলের এক বন্ধু সুষমা কে জোর জবরদস্তি করে ধর্ষণ করে।

    ◆ সুষমা অত্যাচারে অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে পুলিশের হুমকি দেওয়ার ফলে সুষমার শরিলে কেরোসিন তেল ঢেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে মারার চেষ্টা করে।

    ◆ সুষমা বাঁচার জন্য ঘরের মধ্যে বাঁধা অবস্থায় ছটফট করতে করতে পায়ের কাছে থাকা স্বামী কে তার তলপেটে জোরে লাথি মারে আর ঘরের দেয়ালে আঘাত লেগে চিৎকার করে ওঠে।

    ◆ সুষমা চিৎকার করে উঠে খাটের উপর থেকে গড়াগড়ি দিয়ে নিচে পড়ে যায় আর হাতের বাঁধন খুলে যায়, আবার মুহূর্তের মধ্যে দ্রুত বেগে উঠে দাঁড়ায়।

    ◆ অখিলের মা আক্রমণাত্মক হয়ে সুষমাকে মারতে আসে। সুষমা তার শাশুড়িকে মেঝেতে ফেলে দিয়ে নাকে মুখে জোরে আঘাত করতে থাকে।

    ◆ শাশুড়ি মরে গেলাম বলে চিৎকার করতে থাকে।

    ◆ মায়ের চিৎকার শুনে ছেলে অখিল ক্রোধিত হয়ে সুষমার উপর আক্রমণ করে।

    ◆ সুষমা কোন কিছু না ভেবে হাতের কাছে দরজা হাক (অর্থাৎ লম্বা একটি কাঠ খন্ড) দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে শাশুড়ি ও স্বামীকে আঘাত করতে থাকে।

    ◆ সুষমা পড়িমড়ি করে রক্তাক্ত ও অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার চেঁচামেচি করতে করতে বাড়ির বাইরে রাস্তায় চলে আসে।
    তারপর ছায়া ব্লাউজ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে দৌড়াতে শুরু করে।

    ◆ পাড়ার লোকজন দেখতে পেয়ে অখিলের বাড়ির চারদিকে ঘুরে ধরে আর এক প্রতিবেশী যুবক হেলেঞ্চা থানায় ফোন করে।

    ◆ সুষমা দৌড়াতে দৌড়াতে সোজা থানার মধ্যে ঢুকে পড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলে :- আমাকে বাঁচান , আমার শ্বাশুড়ি ও স্বামী জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে।

    ◆ পুলিশ অফিসার বলেন :- আপনি শান্ত হয়ে বসুন তারপর এক মহিলা পুলিশকে নির্দেশ দেন এই মহিলার জন্য একটা শাড়ি নিয়ে আসুন।

    ◆ কিছুক্ষণ পর সুষমার মুখ থেকে বিস্তারিত জানার পর অখিলের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।

    ◆ সুষমার বাবাকে থানায় ডেকে নিয়ে আসে, সুষমা কে তার বাবার সঙ্গে পাঠিয়ে দেয়।

    ◆ মামলা আদালতে উঠে এবং বিচারপতি, অখিলের পরিবারের সদস্যদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

    ◆ অখিলের বর দিদি, জয়ন্তী জেলখানায় তার বাবা মার সাথে দেখা করে কান্না করে বলে :- তোমাদের পরিবারের কারণেই আমার সংসার ভেঙে গেল, আমার স্বামী আমাকে ত্যাগ করেছে। রাস্তায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভিখারির মতো থাকবে কিন্তু তোমাদের মত অপরাধী বাবা মায়ের বাড়িতে কখনোই থাকবে না। সুষমা সবাই কে জেলে পাঠিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ করেছে। সে বেচারা নিজেও তোমাদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

    ◆ এক সমীক্ষা বলছে, ভারতে বিবাহিত মহিলাদের চল্লিশ শতাংশ কোনও না কোনও নির্যাতনের শিকার। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০১২-তে পণের দাবিতে বধূনির্যাতনের অভিযোগে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৬২ জন স্বামী-শ্বশুরবাড়ির লোক গ্রেফতার হন। তবে বেশির ভাগ মেয়েরাই নিরুপায় না হয়ে ৪৯৮এ ধারায় মামলা করে না।

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    রচনাকাল :- ১৫ মার্চ ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে।
    দত্তপুলিয়া বাড়ি থাকাকালীন, নদীয়া।
    সংশোধন :- ১৮ আগস্ট ২০২৩ সাল।

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন