২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ -- নিজের চোখে যা দেখলাম।
আমেরিকা ডুবে যাচ্ছে, আক্ষরিকভাবে।
এদের ট্রিলিয়ন ডলার আছে সারা পৃথিবীতে যুদ্ধ লাগানোর জন্যে, যুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়ার জন্যে। কিন্তু দেশের মধ্যে মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্যে কোনো টাকা নেই।
ও হ্যাঁ, পুলিশের মিলিটারীকরণের জন্যে অবশ্য অনেক টাকা আছে। তারা মনের আনন্দে মানুষ মেরে যাচ্ছে।
প্রাইভেট প্রিজন ও সরকারি প্রিজনে সারা পৃথিবীর সর্বমোট বন্দীদের ২৬ পার্সেন্ট এই আমেরিকা নামক শ্রেষ্ঠ দেশে। প্রাইভেট প্রিজন কোম্পানিগুলো এখন স্টক মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচা করে।
ড্রেন পরিষ্কার হয়না, ব্রিজ মেরামত হয়না, পার্ক লাইব্রেরির জন্যে টাকা নেই। পাবলিক স্কুলগুলো ধুঁকছে গরিব পাড়ায়। সে স্কুলের লাঞ্চ মানুষের খাওয়ার উপযুক্ত নয়।
একদিনের বৃষ্টিতে নিউ ইয়র্কের মতো মিডিয়া-ফানুস মেগা সিটি জলের তলায়। সাবওয়ে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম আর ট্রেনের কামরা জলে থৈথৈ।
আমাদের দেশের মানুষ বোঝেইনা এই অর্থনৈতিক মডেল কী চূড়ান্ত ব্যর্থ। তারা আমেরিকার জয়গান করে দিবারাত্র। মিডিয়া মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে।
মিডিয়া আমেরিকার আসল অবস্থা কখনো বলেনা। ক্লাইমেট চেঞ্জের কথা তো বলেই না। ওসব কথা বলা তাদের মালিকদের আর বিজ্ঞাপনদাতাদের বারণ।
আমরা চোখের সামনে দেখছি এই বিপর্যয়। ব্রুকলিনে আমাদের বাড়ি, আমাদের পাড়া জলে ডুবে আছে।
যে কোনো তৃতীয় বিশ্বের দেশে এর চেয়ে বেশি বৃষ্টি, দুর্যোগ হয়। তারা এমনভাবে ডুবে যায়না।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলোর ওপর দিয়ে এমন ঝড় বৃষ্টি যায় প্রতিনিয়ত ।তারা এমনভাবে ডুবে যায়না ।
আমেরিকা ডুবছে । যুদ্ধ আর মিডিয়ার মগজধোলাই দিয়ে এদেশকে আর বাঁচানো যাবেনা ।
ভিডিওটা দেখতে পারেন ।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।