এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আলমগীরের আলাদা পথ আর হিন্দুস্থানের বাস্তবতা

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ আগস্ট ২০২৪ | ৩২০ বার পঠিত
  • তখতে বসার পর আলমগীরের বাধ্যবাধকতা ছিল দারা শুকোহর রাজনৈতিক বিরোধিতা করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যার মধ্যে পড়ে দরবারে সংস্কৃত চর্চায় উৎসাহ দেওয়া বন্ধ করা। আগেই জানা গেছে দারা ঘনিষ্ঠ সংস্কৃতজ্ঞ কোবিন্দাচার্য স্বরস্বতীর ভাতা বন্ধ করেছিলেন তিনি। পণ্ডিত প্রবর কোবিন্দাচার্য মোঘল অভিজাত দানিশমন্দ খানের দরবারে পুনর্বাসন পান। তবে ব্যক্তিনিরপেক্ষ শরিয়তি বিধানে ঔরঙ্গজেব আলমগীরের আস্থা গুজরাটে সুবেদারি করার সময় থেকেই দেখা গেছে। গুজরাটের কাজি আব্দ আল-ওয়াহাব যিনি পরে হলেন কাজি আল-কুজাত - প্রধান কাজি, দাক্ষিণাত্যে সুবেদারির সময় থেকেই তাঁর আইনি উপদেষ্টা বা মুফতি হিসেবে কাজ করতেন। গুজরাটি সুন্নি উলেমারা আলমগীরের সময়কালের উনপঞ্চাশ বছরই বিচারবিভাগের বড় বড় পদে ছিলেন। দিব্যোন্মাদ সুফি পথের পথিক আকবরের রাস্তা আর বুঝেসুঝে চলা সুফি পথের ঘেঁষা আলমগীরের রাস্তা আলাদা হতে শুরু করে। রক্তাক্ত পথে ক্ষমতায় আসার পর ঔরঙ্গজেবের কাজ হয়ে দাঁড়াল শাহাজাহানাবাদ আর আগ্রার বা লাহোরের নাগরিক সমাজের কাছে দারা শুকোহর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এক ইমেজ খাড়া করা। সফল রক্তাক্ত যুদ্ধজয়ী এক বাদশাহের ভীতিপ্রদ ইমেজ থেকে নজর আড়াল করতে, তিনি ইলতুমিশ বা মুহম্মদ বিন তুঘলকের মতোই এক শুদ্ধ ইসলামী আর উপকারী সুলতানের ভেখ ধরেন। তাঁর আমলে মুদ্রায় পবিত্র খুতবা লেখা বন্ধ হয় পাছে তা মুছে গিয়ে ইসলামের অবমাননা করে। বন্ধ হয় পারসিক নববর্ষ নওরোজ উদযাপন আর পর ঝরোখা দর্শন, হিন্দু রাজাদের কপালে টীকা পরানোর মতো, ইসলামী নয় এমন সব শাহী প্রথা। অবশ্য আগেই জানা গেছে তিনি সোনা বা টাকা দিয়ে নিজের বা ছেলেমেয়েকে ওজন করিয়ে গরীবদের দান করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারী করেও পেছিয়ে এলেন ছেলেমেয়ের দুরারোগ্য রোগ আরোগ্যের উদযাপনের সময়, আবেগগত কারণে।



    একই ভাবে বৃদ্ধ আলমগীরকে এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রজাদের ঝরোখা দর্শনে। ছবি কথা বলে উঠেছে। শ্বেতশুভ্র পোশাকে ঝরোখায় আলমগীর তলায় বাঁ পাশে মোটা গোঁফওলা হিন্দু, সম্ভবত রাজপুত রাজাই হবে, হাতিয়ারবন্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আর ডানপাশে পরিষ্কার গোঁফ কামানো একটু লম্বা এক মুসলমান আভিজাতই হবে। হিন্দুস্থানের বাদশাহের এই উপস্থপনা, সাতের শো দশ সালের এই ছবি ছবিটার, শিল্পী অজানা। এটা সংরক্ষিত আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো মিউজিয়াম অফ আর্টে। (সূত্র - উইকিমিডিয়া কমন্স)। এছাড়া লেনদেন শরিয়ত মোতাবেক হচ্ছে কিনা দেখার জন্য মুহতাসিব নিয়োগ হয়। এই অবধি ঠিক ছিল কিন্তু এমন কিছু নীতি প্রণয়ন করা হয় যাতে মুসলিম ব্যবসায়ীরা শুল্কে ছাড় পায় অথচ তা হিন্দুদের জন্য বলবত থাকে।এটা নিয়ে প্রভাবশালী স্থানীয় ক্ষমতা গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আ লমগীরের প্রশাসন খামোখা লড়তে গেলে তাদের নাক কাটা যায়। আগেই জানা গেছে কৃষিসংকটের সময় পণ্যের প্রবেশ কর তুলে দেওয়ার শাহী ফরমান অবজ্ঞা করে বেমালুম কর আদায় করেছিল স্থানীয়রা। আর উলেমাদের কথায় এই ধর্মীয় বৈষম্যমূলক কর আদায় করতে গিয়ে আলমগীরের ল্যাজেগোবরে অবস্থার কথা জানাচ্ছেন ইতিহাসকার ফারহাত হাসান।

    জাকাত ছিল ব্যবসায়ীদের আভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের ওপর কর রপ্তানি শুল্কের সম হারে আদায় হতো। ষোল শো পঁয়ষট্টি পর্যন্ত সব ব্যবসায়ীদের জন্য এর হার ছিল আড়াই শতাংশ। কিন্তু সে বছর থেকে উলেমাদের খুশি করতে ঔরঙ্গজেব হিন্দুদের থেকে পাঁচ শতাংশ, মানে দ্বিগুণ হারে কর সংগ্রহের ফরমান দিলেন। ষোলোশো সাতষট্টিতে ধর্মীয় বৈষম্য আরো বাড়িয়ে মুসলিমদের জাকাত কর পুরো মকুব করা হয়। এর ফলে বেশি উলেমা প্রীতির বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোয় পরিণত হল আর স্থানীয় ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীরা বুঝিয়ে দিল তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলে কেমন করে শাহী ফরমানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে হয়। সেসময় রাষ্ট্রীয় আদেশ ততক্ষণই মর্যাদা পেত যতক্ষণ তা স্থানীয় সমাজ জীবনে গ্রাহ্য হতো। মোঘল রাষ্ট্র কাজ করত স্থানীয় ক্ষমতার সঙ্গে তালমিল করে। এক্ষেত্রে তা হয় না, ফলে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের আঁতাত ধুলোয় লুটিয়ে পড়ে। সামান্য অর্থের বিনিময়ে সব লেনদেন নিজের বলে চালিয়ে প্রভাবশালী গুজরাটি মুসলমান ব্যবসায়ীরা কর দেওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল হিন্দু ব্যবসায়ীদের। শাহী ফরমানের বেলুন চুপসে গিয়ে এমনই হাল হয় যে ওই বৈষম্যমূলক করের ফরমান ষোল শো একাশিতে প্রত্যাহার করতে হয়েছিল আলমগীরকে।

    ফারহাত জানালেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই ভাবে প্রায়ই শাহী ফরমান মানত না বা তাকে সুবিধেমত বদলে দিত। মাথা নিচু করে ফরমান না মেনে তারা কিছু গঠনমূলক পরিবর্তন করে তাদের আর্থিক আর প্রথাগত স্বার্থ বজায় রাখত। ষোল শো উননব্বইয়ের আর একটা ফরমানের ব্যাপারেও বলছেন ফারহাত। যখন বেশি জাকাত আদায়ের জন্য আলম গীর ফরমান জারী করলেন যে বিক্রয়মূল্যের ওপর কর দিতে হবে, গুজরাটের ব্যবসায়ীরা মানল না। তারা ক্রয়মূল্যের ওপর কর নেওয়ার আগেকার প্রথা চালু রাখার দাবিতে বাজারের বাইরে গিয়ে, মুহতাসিবের নজর এড়িয়ে কেনাবেচা করতে শুরু করে। ফলে জাকাত বেশি আদায় দূরের কথা আদায় বন্ধ হবার উপক্রম হতে ফরমান প্রত্যাহার করতে হল আলমগীরকে।

    ফারহাত আরও জানালেন মোঘল রাষ্ট্রে সব কর আলামগীরের শাহী ফরমানে ঠিক হবে এমনটা নয়। তথাকথিত আইনি কর আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ক্ষমতা গোষ্ঠীর স্থির করা ‘বেআইনি ‘কর আদায় সমান তালে চলত। অবশ্য এই ‘বেআইনি কর’ আদায় শাহী নীতি বিরুদ্ধ হয়ে অলামগীর বা কোন মোঘল বাদশাহকে চ্যালেঞ্জ করত না, মিলেমিশে থাকত সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে। সবচেয়ে উৎপীড়ক স্থানীয় কর ছিল টোল ট্যাক্স বা রাহাদারি যা দিতে দিতে বণিকরা অতিষ্ঠ হয়ে যেত। নথি থেকে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় কর আদায় নিয়ে ইংরেজরা মোঘল দরবারে অনেকবার আপত্তি জানিয়েছে। তারা মনে করত এইভাবে আতিরিক্ত কর আদায় ডাকাতি।এদের খুশ করতে মোঘল দরবার শাজাহানের আমলে ষোল শো সাঁইতিরিশ, আট তিরিশ, চল্লিশ আর পঞ্চাশে ফরমান দিয়েছে কিন্তু কে শোনে কার কথা। শকট পিছু দু টাকা কর দিতে হচ্ছিল সাহেবদের। আরেক ‘বেআইনি কর’ ছিল কেনা–বেচার ওপর এক শতাংশ কর। এইসব স্থানীয় কর সামগ্রিক কর ব্যবস্থার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ছিল। কর ব্যবস্থার এইসব অনুসন্ধান করে ফারহাতের সিদ্ধান্ত হল আলমগীর বা অন্য গ্রেট মোঘলদের আমলের সার্বভৌমত্বের ধারণা হল স্থানীয় ক্ষমতা গোষ্ঠীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে রাজপাট চালানোর এক ধারণা (shared basis of imperial sovereignty)।
    ( State & Locality in Mughal India, Power relations in Western India 1572-1730. Farhat Hasan page 117-118)

     
    উলেমাদের কথাতেই  শিবাজির মারাঠা রাষ্ট্রের উত্থান আর বিজাপুর–গোলকোন্ডার সঙ্গে তাদের মোঘল বিরোধী আঁতাতের প্রেক্ষিতে ঔরঙ্গজেবের  দাক্ষিণাত্য নীতির ব্যর্থতার পথ ধরে ষোল শো উনআশিতে নতুন করে এলো জিজিয়া। যা চাপানো হলে তার বিরুদ্ধে নাগরিক  সমাজকে ক্ষোভ দেখাতে দেখা যাচ্ছে । আলমগীর না তুললেও তাঁর মৃত্যুর বছর ছয়েকের মধ্যে এই ধর্মীয় বৈষম্য মূলক কর তুলে নেওয়া হয় কারণ তা হিন্দুস্থানের বাস্তবতার খেলাপ ছিল।

    মোটের ওপর ঔরঙ্গজেব আলমগীরের পথ যতই শরিয়ত ঘেঁষা হোক না কেন, সে পথও ইতিহাসকার মুহম্মদ রেজা পীরভাইয়ের মতে এক বুঝে সুঝে চলা সুফি পথই  বটে, যা ক্ষমতায়  অমুসলিমদেরও সঙ্গী করে চলে, দূরে ঠেলা দুরস্থান। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • NRO | 165.124.84.35 | ০২ আগস্ট ২০২৪ ০৩:৫৬535601
  • Augangzib’s fiscal management was horrendously bad. Along with the throne he also usurped unfathomable amounts of accumulated wealth of three generations of Mughal emperors – that of Akbar, Jahangir & Shahjahan - and he blew it all on senseless endless wars. He had resorted to unjust forced severe taxation from his Hindu subjects but none of it was enough for his foolish wars. Towards the end of his life his financial strains were so severe that he couldn’t even regularly pay his soldiers.  Other than the tax payment from Bengal Suba, tax remittances from other Subas became increasingly irregular. His life was a cautionary tell of what not to do regarding taxation and war-spending.
  • upal mukhopadhyay | ০২ আগস্ট ২০২৪ ১০:২০535605
  • Your opinion hardly matters as it is biased and unauthenticated. Not only that you care a little about historioghraphy. I am a depending on brilliant research works of eminent historians so my piece is utmost authentic. But your vision do not go beyond  hundred year old works of Jadunath Sarkar which is not considered to be updated and lacks modern methodology. 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন