এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বাড়ছে সমুদ্র জলের উচ্চতা..... তারপর ?

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ আগস্ট ২০২৪ | ১৭২ বার পঠিত
  • বাড়ছে সমুদ্র জলের উচ্চতা….. তারপর ?

    মাননীয় পাঠক, আপনি কি মুম্বাই শহরে থাকেন? কিংবা আপনি কি পানাজি অথবা চেন্নাইয়ের বাসিন্দা? তাহলে কিন্তু আগাম একটা সাবধান বাণী রয়েছে আপনার জন্য বেঙ্গালুরুর সেন্টার ফর স্টাডি অফ সায়েন্স টেকনোলজি এন্ড পলিসি বা CSTEP এর পক্ষ থেকে। কেন এমন সাবধান বাণী? এই সংস্থার গবেষকদের তরফে অনুমান করা হয়েছে যে বিশ্ব উষ্ণায়নের হাত ধরে আসা বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আগামী ২০৪০ সাল, মানে আজ থেকে মাত্র দেড় দশক সময়কালের মধ্যে ভারতের উপকূলীয় ওই তিনটি জনবহুল জনপদের বর্তমান ক্ষেত্রীয় পরিসরের প্রায় ১০% এলাকা বেড়ে ওঠা সমুদ্র জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে। খুব সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন ঐ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা গবেষকরা। এখানেই শেষ নয়, মুম্বাই, চেন্নাই ও পানাজির সাথে সাথে আরও কয়েকটি উপকূলীয় শহরের ভাগ্যেও হয়তো রয়েছে একই পরিণতির আশঙ্কা।

    এই শহরগুলোর তালিকায় রয়েছে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোর ও উদুপী, কেরালা রাজ্যের কোচি, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম এবং আমাদের ঘরের পাশের রাজ্য ওড়িশার শ্রী ক্ষেত্র তথা পুরী। তবে এদের ক্ষেত্রে অনুমান করা হচ্ছে যে এই শহরগুলোর ৫% এর মতো এলাকা বেড়ে যাওয়া সমুদ্র জলতলের নিচে তলিয়ে যেতে পারে।

    এই বিষয়টি এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে ক্রমবর্ধমান জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো বেড়ে গেছে। বৈশ্বিক উষ্ণতার এই বৃদ্ধি এর মধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যবস্থার সংবেদনশীল ভারসাম্যের বড়ো রকমের হেরফের ঘটিয়ে ফেলেছে। পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য মেরু অঞ্চলের বিপুল হিমবাহ স্তর দ্রুত গতিতে গলে যাচ্ছে। হিমবাহের গলন মানেই হলো মহাসাগরীয় জলতলসীমার উচ্চতা বেড়ে যাওয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় বিপন্ন হতে পারে পৃথিবীর উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী অগণিত সংখ্যক মানুষের তিলতিল করে সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়া প্রচলিত জীবনের ছন্দ।

    ভারত মহাসাগরের জলতলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় আমাদের উপকূলবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জীবন প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই বিষয়ে অনুসন্ধানকারী গবেষকরা। ভারতের মতো অত্যন্ত জনবহুল একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উপকূলীয় এলাকার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের দীর্ঘ উপকূলরেখাকে অবলম্বন করেই গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ মহানগরী

    ব্যস্ত পোতাশ্রয় ও বন্দর, জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, তীর্থস্থান। এইসবকে অবলম্বন করেই আরও বহুসংখ্যক মানুষ তাঁদের রুটি রুজির সংস্থান করে। সমুদ্র জলতলের উন্নয়নের অর্থ‌ই হলো এমন বিপুলসংখ্যক মানুষের আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যাপনের অবনমন। পাশাপাশি এমন ঘটনার কারণে উপকূলীয় জীববৈচিত্রের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায়না। এমনি এক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমাদের আজ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এখানেই নিহিত রয়েছে আলোচ্য গবেষণাপত্রের মূল সুরটিকে অনুধাবনের গুরুত্ব।

    CSTEP প্রকাশিত “Sea level rise scenarios and inundation maps for selected Indian coastal cities” শীর্ষক গবেষণা পত্রে অতীত ও ভবিষ্যৎ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র জলতলের ওঠানামার সম্ভাব্য একটা চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। পশ্চিমে গুজরাট রাজ্য থেকে শুরু করে পূর্ব প্রান্তের পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত এ দেশের মূল ভূখণ্ডের উপকূলভাগের আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৫১০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এই দীর্ঘ অঞ্চলের বিস্তির্ণ উপকূলীয় ভূখণ্ড বেড়ে যাওয়া সমুদ্র জলতলের দ্বারা প্লাবিত হবার আশঙ্কায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। অবশ্য তাঁরা তাঁদের গবেষণার কাজ সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন উপকূলবর্তী ৯টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে অবস্থিত ১৫টি সমুদ্র তীরবর্তী শহর ও নগরের ওপর। এই শহর বা নগর গুলো হলো – চেন্নাই, মুম্বাই, তিরুবনন্তপুরম, কোচি, কোঝিকোড, ম্যাঙ্গালোর, বিশাখাপত্তনম, কন্যাকুমারী, পানাজি, উদূপী, থুতুকোডি, পুরী, পারাদীপ, ইয়ানাম (পুদুচেরি), এবং পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া।

    গবেষণায় সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে ইতোমধ্যেই মুম্বাইয়ের সমুদ্র জলের উর্দ্ধসীমা আগের তুলনায় ৪.৪৪০ সেন্টিমিটার বেড়ে গেছে; এর পরেই রয়েছে হলদিয়া (২.৭২৬ সে.মি.), বিশাখাপত্তনম (২.৩৮১ সে.মি.), কোচি (২.২১৩ সে.মি.), পারাদীপ (০.৭১৭ সে.মি.) এবং চেন্নাই (০.৬৭৯ সে. মি.)। গবেষকরা জানিয়েছেন যে ১৯৮৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে অনুসন্ধান করে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষণার কাজ এখনো জারি রয়েছে। গবেষকদের অনুমান যে বর্তমান শতকের অন্তিম পর্ব পর্যন্ত এই প্রবণতা বজায় থাকবে উল্লিখিত ১৫টি শহরেই। তবে মুম্বাইয়ের ক্ষেত্রে এই হার হবে সর্বাধিক। তাঁদের আশঙ্কা জলতলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার হারে যদি কোনো পরিবর্তন না ঘটে তাহলে ২১০০ সালে মুম্বাইয়ের জলতল ৭৬.২ সে.মি.,  পানাজি তে ৭৫.৫ সে.মি., উদুপীতে ৭৫.৩ সে।মি.  ম্যাঙ্গালোর ৭৫. ১ সে. মি., কোঝিকোড ৭৪.৯ সে.মি, কোচি ৭৪.৭ সে.মি., তিরুবনন্তপুরম এবং কন্যাকুমারীতে ৭৪.৭ সে.মি. পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে এই সময়সীমার মধ্যে উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী গ্রীন হাউস গ্যাসগুলোর নিঃসরণ হার এখনকার তুলনায় যদি ৫০% কমিয়ে আনা সম্ভব হয়, তাহলেও জলতলের এই অনুমিত বৃদ্ধির হারের কোনো পরিবর্তন হবে না। বিপদের শঙ্কা এখানেই।

    সমুদ্র জলের উচ্চতা বাড়ার ফলে পৃথিবীর উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো যে প্লাবিত হতে পারে তেমন সম্ভাবনার কথা IPCC তাঁদের প্রতিবেদনে আগেই জানিয়েছিল। তাঁদের আশঙ্কিত অনুমানের ভিত্তিতেই ব্যাঙ্গালুরুর গবেষণা সংস্থাটি তাঁদের গবেষণার কাজ পরিচালনা করেছে। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের উপকূলীয় এলাকার সমুদ্র জলতলের উত্থান এক চিন্তার বিষয় হয়ে উঠবে বলেই স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল IPCC‘র প্রতিবেদনে।

    ভারত সরকারের Ministry of Earth Sciences এর পক্ষ থেকে করা এক সমান্তরাল গবেষণায় বলা হয়েছে যে ১৮৭৪-২০০৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে উত্তর ভারত মহাসাগরের জলতলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার হার ছিল ১.০৬-১.৭৫ মিলিমিটার। এই হারটিই ১৯৯৩-২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্রুততার সঙ্গে বেড়ে গিয়ে হয়েছে বছর পিছু ৩.৩ মিলিমিটার। বর্তমান গবেষকদের মতে জলতল বৃদ্ধির বিষয়টি কখনোই অপরিবর্তনীয় নয়, কেননা যে সমস্ত সাধারণ প্রাকৃতিক অবস্থার ওপর এই হারের বাড়া বা কমা নির্ভর করে সেই সমস্ত অবস্থাগুলোও ক্রমাগত বদলে বদলে যাওয়ার দরুণ নিয়মিত সময়ান্তরে পরিস্থিতিকে যাচাই করা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

    বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তনের বিষয়টি কেবলমাত্র সমুদ্র জলতলসীমার পরিবর্তনেই সীমাবদ্ধ থাকবে তা কিন্তু একেবারেই নয়, ঘটবে আরও কিছু ঘটনা যার ফলে উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জীবনে নেমে আসতে পারে গভীর অনিশ্চয়তা। আসলে প্রত্যেকটি প্রাকৃতিক ঘটনাই একে অপরের সঙ্গে কার্যকারণের সূত্রে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। এর ফলে উষ্ণতা বাড়লে কেবল বরফের স্তূপের গলন হবে না পাশাপাশি বেড়ে যাবে উপকূলীয় এলাকায় সাইক্লোন ও ঘূর্ণিঝড়ের দাপট, বাড়বে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, বন্যায় ভেসে যাবে উপকূলের সংলগ্ন এলাকা,বিপন্ন হবে অগণিত সংখ্যক মানুষের জীবন জীবিকা ও প্রাণময় অস্তিত্ব। আবহবিজ্ঞানীরা লক্ষ করে দেখেছেন যে সমুদ্র জলের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় পশ্চিম উপকূলভাগে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট প্রায় ৫২ % বেড়ে গিয়েছে। ফলে সংবেদনশীল পশ্চিম উপকূলভাগে বাড়ছে বৃষ্টি, বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে বহু সংখ্যক মানুষ। বিজ্ঞানীদের অনুমান, আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা যদি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো বেড়ে যায় তাহলে এমন ঘটনা আরও বেশি করে ঘটবে।

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘনঘটা কেবলমাত্র প্রকৃতিতেই তো সীমাবদ্ধ থাকে না, তার অভিঘাতে ছারখার হয়ে যায় মানুষের অন্তর্লীন সাংস্কৃতিক যাপনের প্রতিটি ক্ষেত্র। সমুদ্র জলের উচ্চতা বাড়লে বিপর্যয় শুধু মনুষ্য বসতির পরিসীমায় আটকে থাকে না, এর প্রভাবে গভীরভাবে প্রভাবিত হয় উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের নিগূঢ় সম্পর্ক। মানুষের জীবন প্রবলভাবে এই উপাদানগুলোর স্থিতাবস্থার ওপর নির্ভর করে।

    উপকূলীয় বনাঞ্চলের বিনষ্টি আমাদের অস্তিত্বের সংকট বাড়িয়ে তুলবে। আমাদের হারাতে হবে অরণ্যের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা প্রাচীর। পরিযানে বাধ্য হবে বিপুলসংখ্যক মানুষ, বাড়বে আর্থসামাজিক সংঘাত।

    এই মুহূর্তে এক গম্ভীর বিপর্যয়ের আবহের মধ্যেই রয়েছি আমরা। ওয়েনাড়ের বিপর্যয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উত্তরাখণ্ডের ভয়ঙ্কর ভূমিধস ও মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি, আসাম সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের বন্যা। এই তালিকা না বাড়িয়ে বরং আগামী দিনে কীভাবে এইসমস্ত বিপর্যয়ের অভিঘাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি তা ভাবতে হবে। উন্নয়ন কথাটা আজকের ভারতবর্ষে প্রহেলিকায় পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে উন্নয়নের কথা ঘোষণা হলেই এখন পরবর্তী বিপর্যয়ের প্রহর গুনছি আমরা।

    পৃথিবীর বাতাবরণের ভারসাম্য যথাসম্ভব ফিরিয়ে আনতে না পারলে আরও বড়ো কিছুর জন্য হয়তো অপেক্ষা করে থাকতে হবে। এই অপেক্ষার পর্বটিও কিন্তু মোটেই সুখের নয়।

    তথ্যসূত্র
    IPCC report
    CSTEP report

    **
    ইচ্ছে ছিল ছবি যোগ করার। কিন্তু আমার মতো আনপঢ় মানুষের পক্ষে তা সম্ভব হলোনা বলে দুঃখিত।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলি মুখার্জি | 2405:201:8000:b1a1:91c3:a2d0:311a:389a | ২৫ আগস্ট ২০২৪ ২১:৫৯536841
  • গভীর গম্ভীর সমস্যা। আমরা কি এই বিষয় নিয়ে ভাবতে চাইছি ? সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রটি আমাদের চিন্তা বাড়াবে।
  • Somnath mukhopadhyay | ২৫ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৪৭536844
  • মতামতের জন্য ধন্যবাদ। পরিবেশ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ খুব কম। নাহলে ডার্ক ট্যুরিজম জনপ্রিয়তা পায়? সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়া একটা বিশ্বজনীন সমস্যা। সবাইকেই ভাবতে হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন