এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আন্দোলন প্রসঙ্গে দু'-চার কথা যা আমার মনে হয়েছে

    শুভ রায়চৌধুরী লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ আগস্ট ২০২৪ | ১৯৩ বার পঠিত
  • এই ক'দিন ধরে চলা ঘটনাপ্রবাহ থেকে যা যা মনে হচ্ছিল সেটা গতরাতের পর আরও দৃঢ় হল।

    আমি মেয়েদের রাত্রি দখল এবং আন্দোলন সমর্থন করি। কিন্তু কয়েকটি ব্যাপার আমাকে ভাবিয়েছে। আজ যদি এই নারকীয় বর্বরোচিত ঘটনাটি প্রত্যন্ত গ্রামে ঘটত, তবে কি কলকাতা এতটাই জেগে উঠত? খেয়াল করে দেখুন এই আন্দোলনে কলকাতার পাশাপাশি দূরের কিছু মফস্‌সল সামিল হয়েছে। অথচ কলকাতা অন্যান্য ঘটনার ক্ষেত্রে দায়সারা ভূমিকা পালন করেছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থানে যখন একের পর এক নারীর প্রতি অবিচার হয়, তখন দেশের 'কালচারাল সেন্টার' নীরব থাকে কীভাবে? মণিপুরের ওই ঘৃণ্য ঘটনায় আমরা বিচ্ছিন্ন কয়েকটি অর্থহীন মিছিল ছাড়া কী করতে পেরেছি? তখন কি আমরা মৃত ছিলাম? এই দ্বিচারিতা কেন? আমরা কি শুধুই নিজের স্বার্থটুকুই বুঝি? দেশজুড়ে নারীদের বিরুদ্ধে যাবতীয় অন্যায়ের প্রতিবাদে গর্জন, কলরব যদি আগে থেকে উঠত, তবে আজ এ-দিনটা দেখতে হতো না।

    আন্দোলনে স্লোগান উঠছে— 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। প্রশ্ন —

    ১) কীসের বিরুদ্ধে? লক্ষ্য কী পরিষ্কার? খুনির/ খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলেই কি এসব ঘৃণ্য ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে? হবে না। বন্ধ করতে হলে আন্দোলনকে সে-জায়গায় পৌঁছাতে হবে, যেখানে কেন্দ্র ও রাজ্য বাধ্য হবে স্পেশাল ইউনিট, নিরাপত্তার সুব্যবস্থা ও এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্ল্যান করতে। দরকার শহরের গলিতে-গলিতে, মফস্‌সলের পাড়ায়-পাড়ায়, গ্রামে-গ্রামে ক্যাম্পেইনিং। সে-দাবি কি উঠছে?

    ২) কার বিরুদ্ধে? এখানেই শুরু হল অসংগঠিত, লক্ষ্যহীন আন্দোলনের বেহাত হওয়ার সূত্রপাত। কার বিরুদ্ধে বললে প্রথমেই আসে বর্তমান রাজ্যের শাসকের কথা। এই শাসক দুর্নীতিগ্রস্ত, প্রয়োজনে স্বৈরাচারী ভূমিকাও নিয়ে থাকে। এই নিয়ে দ্বিমত নেই। ধরা যাক, আজই এই শাসকের পতন হল, তখন যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হবে তার জন্য কি আমরা তৈরি? বিকল্প কে? আরেক ফ্যাসিস্ট শক্তি বিজেপি, না কি বর্তমানের অপদার্থ বামেরা? না কি দৃশ্যত পঙ্গু কংগ্রেস? আমরা ভেবে দেখেছি? আরেকটা বাংলাদেশ হোক কাঁটাতারের এ-পারে, আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই না। আমি চাই না একটা 'জাস্টিস' ছিনিয়ে নিতে গিয়ে তৃণমূলের প্রতি বিদ্বেষ থেকে তাদের মানুষদের ক্ষতি হোক, বাড়ি-ঘর জ্বালানো হোক। ওটা রাজনীতি না, প্রতিহিংসা। ঘৃণ্য অপরাধ। গতকাল মন্দিরতলায় মঞ্চ দখলটাও কিন্তু প্রতিবাদ ছিল না, ছিল প্রতিহিংসা। এই অসংগঠিত আন্দোলনের ফায়দা কিন্তু অপদার্থ বাম ও ফ্যাসিস্ট বিজেপি তুলছে। আবার তৃণমূলও পিছিয়ে নেই পালটা যুক্তি সাজাতে। তারাও চাইবে বাম-বিজেপি'কে দোষী প্রমাণিত করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে।

    গতকালের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভাবুন তো পুলিশ যদি প্রথমেই অ্যাকশন নিত, সেক্ষেত্রেও রটত আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার চলেছে। আসলে পুলিশ পড়েছে উভয় সংকটে। দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশই পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। এটা বাড়তে থাকলে ল'-অ্যান্ড-অর্ডার ভেঙে পড়বে। উদাহরণ বাংলাদেশ। পুলিশের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, এবং শাসকের পা-চাটা নয়। অন্তত এটুকু বিশ্বাস রাখতে হবে নাগরিক হিসেবে। আমাদের দেশের আইন ও সংবিধান এতটা ঠুনকো নয়। এছাড়া বিভিন্ন মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছে, সেটাও তো একপ্রকার পরিকল্পিত বলেই মনে হয়।

    কোনও আন্দোলনই অরাজনৈতিক হতে পারে না। আর, 'অরাজনৈতিক' বলে কিছু হয় না। অরাজনৈতিক বলে যা দাগিয়ে দেওয়া হয়, তারও নিজস্ব রাজনীতি থাকে। ইশতাহার বা সংগঠিত উপায় না থাকলে, দরকার হয় ঐক্যের। কে কীভাবে প্রতিবাদ করবেন, সেটা নিয়ে মতবিরোধ না-রেখে প্রাথমিকভাবে সমবেত প্রতিবাদ করা দরকার। কেউ গান করুক, কেউ না-হয় শাঁখ বাজাক। ক্ষতি কী? এছাড়া, আজ অনেক উদ্যোক্তারা বলছেন, অধিকাংশ মানুষই সঠিকভাবে জানে না কেন তারা রাত দখল করল। এটা হওয়ারই ছিল। হুজুগে বাঙালির হুজুগ চাই শুধু!

    এবার বলি বুদ্ধিজীবীদের কথা। বাংলায় কি একজনও বুদ্ধিজীবী আছেন? জানি নেম-ড্রপ করলে অনেকের সমস্যা হবে, তবু বলি ফুকো, গ্রামশি, বেনিয়ামিনের লেখালিখি পড়লে ধারণা পাওয়া যায়। যেমন রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন বুদ্ধিজীবী। আমরা বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা কোনও আন্দোলনেই আশা করতে পারি না, কারণ তাদের অস্তিত্ব নেই। কয়েকজন যারা স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী তাদের ক্ষমা করে দিন। তারা কোনওদিন কোনও কাজে লাগবে না। একই কথা কিছু সাহিত্যিক ও কবিদের জন্যও প্রযোজ্য, যারা গা-ভাসিয়ে চলেন এবং ভবিষ্যৎ দেখাতে পারেন না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা ও সমাজ মাধ্যমে পোস্ট দেখে অবাক হয়েছি। কেউ কি ভেবেছে, একটা আন্দোলন চালানো ও সরকার পতনের জন্য আড়াল থেকে যে ফান্ডিং ও মদত দরকার পড়ে, সেটা কোথা থেকে আসে? নব্বই সালে হাঙ্গেরি সরকারের পতন বা আরব স্প্রিং-এর ক্ষেত্রে গোপন ফান্ডিং কোথা থেকে এসেছিল? বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও অনেকটা কি তাই? তলিয়ে ভাবার সময় কোথায় সাহিত্যিক ও কবিদের?

    আমরা বাংলাদেশের থেকে একেবারেই উৎসাহ, উদ্দীপনা নিতে পারি না। এই আন্দোলনের অভিমুখ একটু-একটু করে ঘুরে যাচ্ছে বলেই আমার মনে হয়। আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য সরকারের পতন হওয়া উচিত নয়, প্রাথমিক উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নারী ও শিশু সুরক্ষার পরিকাঠামো, যাতে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা না-ঘটে। সেই পরিকাঠামো দিতে যারা পারবেন না, তাদের পতন হবে। তাই সরকারের পতনটা বাই-প্রোডাক্ট হয়ে আসবে। শুধু এই সরকার কেন, কেদ্রের বিরুদ্ধে কি সোচ্চার হওয়ার দরকার নেই? আমাদের দেশের অন্য রাজ্যের মেয়েরা কি বিচার পাবে না? দেশ তো একটাই। লড়াই হোক সবার জন্য।

    জানি না কতটা বলতে পারলাম, বা বোঝাতে পারলাম। আমাকে কেউ আন্দোলনের গণশত্রু মনে করলে, আমার রাগ হবে না। দুঃখ পাব। বেছে বেছে প্রতিবাদের এই দ্বিচারিতা আমার ব্যক্তিগত অপছন্দ, এই মাত্র। সব শেষে বলি, যে নারীর জন্য বিচার চেয়ে এই আন্দোলন শুরু হল, তার পরিবারের দুঃখ-যন্ত্রণার কথা কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছে!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অসিতবরণ বিশ্বাস | 2401:4900:382d:6361:1:1:f8d5:bb85 | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ১৮:০৪536426
  • এও একপ্রকার মমতা বন্দনা।
  • শুভ রায়চৌধুরী | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ১৮:২৫536429
  • @অসিতবরণ বিশ্বাস, লেখার সময় আমি জানতাম এই ভাবনা তৈরি হতে পারে। কিন্তু খুঁটিয়ে বিচার করলে দেখবেন, আমার করসার্ন কোথায়? একটা সরকার যখন পাঁচ বছর পর ফিরে আসে, হয়তো বিশ্বাস করা যায় যে তারা কাজ করেছে তাই ফিরেছে। কিন্তু দশ বছর পর যখন ফিরে আসে, তখন বুঝতে হবে সাধারণ ভোটার অন্ধ হয়ে গিয়েছে। ক্ষমতা, শাসন-যন্ত্রের অপপ্রয়োগ করে তারা দুর্নীতি করবে, লুঠপাট করবে। এই দায় আমরা এড়াতে পারি না। আমার প্রশ্ন ছিল, অলটারনেটিভ রাজনৈতিক মতাদর্শ গত এক দশকে তৈরি হয়েছে? কেউ সামনে এসেছেন, যিনি নেতৃত্ব দিতে পারেন? আজ যদি হঠাৎ সরকার পড়ে যায়, যে অরাজকতার সৃষ্টি হবে, সেটা কতটা ভয়ংকর আমরা সাম্প্রতিককালে দেখেছি। আমার ভয় সেখানেই। স্বাথ্যমন্ত্রী ও পুলিশমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ, এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু সরকার পতনের পর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নতুন সরকার নির্বাচন করতে আমাদের বিকল্পের অনুসন্ধান করতে হবে। যারা পথ দেখাতে পারতেন, তারা কোনও না কোনও দলের দাস। বুদ্ধিজীবী যারা তাদের কোন দলীয় রাজনীতি থাকে না— না তারা সরকারের না বিরোধীদের। এমত অবস্থায়, এই অপশাসন থেকে মুক্তি কী উপায়ে বলতে পারবেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন