এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শিক্ষাঙ্গনে বহ্নি ও পতঙ্গ 

    Er Soumya Majumdar লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১১ বার পঠিত
  • কিছুদিন আগেই The Hindu তে একটা article বেরিয়েছে, article টি সম্প্রতি পড়ার সৌভাগ্য হলো। atricle টার বিষয়বস্তু হচ্ছে সাম্প্রতিক NIRF Ranking । Ranking এ দেখা যাচ্ছে অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠান যেমন : IIT, NIT, IIEST, BITS Pilani এগুলো Ranking এ বেশ কিছুটা পিছিয়েছে; আবার কিছু নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় Ranking এ অনেকটাই এগিয়েছে। অনেক ব্যক্তি অনেক মতামত প্রকাশ করেছেন এই ব্যাপারে। কেউ বলছেন data manipulation, কেউ বলছেন নবনির্মিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি অনেক পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোর থেকে গুনমানে এগিয়ে গেছে। NIRF Ranking এর যে parameters গুলো রয়েছে টার মধ্যে সবথেকে বেশী জোর দেওয়া হয়েছে গবেষণার উপরে (২১%)। এইখানেই নবনির্মিত প্রতিষ্ঠান গুলি টেক্কা মেরে বেরিয়ে যাচ্ছে বাকিদেরকে ছাড়িয়ে।

    আমি অতি সামান্য মানুষ, সামান্যই আমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বাকি জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিদের তুলনায়, আমি এতকিছু বিতর্কের মধ্যে ঢুকবো না। আমি শুধু আমার যথাকিঞ্চিত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবো সবার সাথে।

    আমার দেশের একটি নামকরা প্রতিষ্ঠান ও একটি নবনির্মিত (১০ বছরের ও কম) বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বেশ কিছু বছর ধরে। প্রথমটিতে গবেষক হিসেবে ও দ্বিতীয়টিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে।

    আমি যে প্রতিষ্ঠানে গবেষণার কাজ করেছি ঘটনাচক্রে সেটি আমাদের দেশের সবচেয়ে পুরোনো IIT, মানসম্মত গবেষণার ব্যাপারে দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে। সেখানে কাজ করার সময় দেখেছি সবাই কাজের ব্যাপারে অসম্ভব খুঁতখুঁতে। একজন এক বা দেড় বছরে একটি ই গবেষণাপত্র প্রকাশ করে, কিন্তু সেটা বিশ্বের প্রথমে শরীর journal বা conference এ। এমনকি কেউ একটি গবেষণাপত্র লিখলেও সেইটি তার প্রকাশের জন্য জমা করার উপযোগী করতেও বেশ কিছু মাস লাগে।

    এরপরে আসছি আমার সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অভিজ্ঞতার কথা। Scopus বা SCI এর নাম আমি আগে শুনলেও এখানে এসে দেখলাম এই দুটো জিনিসকে নিয়ে লোকজন প্রচুর চাপ নেয়। লোকজন মুড়ি মুড়কির মতো গবেষণাপত্র ও patent বার করছে, আমি বুঝতাম না কিভাবে। কিছু ছাত্র আমার অধীনে গবেষণা করেছে এবং গবেষণাপত্র ও লিখেছে যেগুলোর মধ্যে বেশীরভাগই পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়। এমনকি আমার সহকর্মীরাও যা গবেষণাপত্র লিখছেন তারও গুনমান নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে। তবুও সবাই পতঙ্গের ন্যায় দুটি আগুনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে - paper (গবেষণাপত্র) ও patent, সে গুনমান যাই হোক না কেন।

    এই দুটো জিনিসের জন্য আমিও অনেক চাপ এর সম্মুখীন হয়েছি, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান দুই জায়গা থেকেই। আমাদের বিভাগের সব অধ্যাপকদের মাসে একদিন প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য্যর সাথে meating হতো প্রায় ২ ঘন্টা ধরে, তার মধ্যে অন্তত দেড় ঘন্টা ব্যয় হতো কে কটা paper (অবশ্যই Scopus বা SCI indexed) বা patent করেছে এই মাসে ও সামনের মাসে কটা করার "plan" আছে, আগের মাসে যা "plan" করা হয়েছিল তা fulfill হয়েছে কিনা, না হয়ে থাকলে তার জবাবদিহিতে। এমনকি appraisal নামক খুড়োর কলেও এই দুটো জিনিস ই দেখা হতো। appraisal এর interview তেও প্রতিষ্ঠানের "আশানুরূপ" paper বা patent হচ্ছে না কেন এই নিয়ে রীতিমতো জবাবদিহি করতে হতো উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিদের উপস্হিতিতে। বিভাগীয় প্রধানের সাথে সাপ্তাহিক meeting এও অনেকটা সময় ধরে এই সব নিয়েই আলোচনা হতো।

    The Hindu র article এর link:

    https://www.thehindu.com/education/nirf-a-skewed-framework-for-ranking-diverse-institutions/article68531592.ece/

    প্রথম link থেকে পড়তে না পারলে এখানে:

    https://www.pressreader.com/india/the-hindu-mangalore-9WWc/20240820/281784224417068
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PRABIRJIT SARKAR | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:২১537115
  •  আজকাল  সর্বত্র দেখে কে কটা কুলীন জার্নালে পেপার লিখল। উপযুক্ত যোগাযোগ না থাকলে এসব জায়গায় পেপার ডেস্ক রিজেকসন হয়। আমি কিছু নতুন বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি biodata ঘেঁটে দেখেছি প্রায় সবাই US ডিগ্রি ধারী। হয়তো well connected । আমি বহু বছর আগে সপ্তাহে 24  টা ক্লাস নিয়ে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে একাধিক নামি জার্নালে লিখেছিলাম। কোন সাহেব কো অথর ছাড়াই। এখন শুধু আমার নাম থাকলে পড়েই দেখে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন