এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • 'আচ্ছে দিন'

    pi
    নাটক | ২২ মার্চ ২০১৭ | ৬৫১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 132.174.106.129 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৭:৫৭365121
  • আর boka যে পোস্টটা করেছেন, ওটার ওয়ালমার্টের খবরটা আমিও কোথায় যেন পড়লাম। ওয়ালমার্ট নাকি আরও বেশী স্টোর খুলবে। এটা হলে ভালো হয়। সরকার যদি মাল্টিব্র্যান্ড রিটেলে এফডিআই অ্যাপ্রুভ করে থাকে, বা করে, তাহলে ভালো। রিটেল আর সাপ্লাই চেন/লজিস্টিক্সএ ম্যাসিভ ইনভেস্টমেন্ট আর টেকনোলজি ট্রান্সফার আমাদের খুব দরকার।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৮:১১365122
  • দেখুন না, ঐ মায়ের থ্রেডে কাহিনিটা। সাধারণ একটা ব্যাপার, অনেকের কাছেই খাওয়া শোয়া র মতন সাধারণ। সুস্থ, উপার্জনশীল, ধনী, সমস্ত উন্নত মেডিকেল সুযোগসুবিধে নিতে সমর্থ যুবক-যুবতী দম্পতি সন্তান চাইছেন, অথচ সেখানেও দিনরাত তারা "ভগবান ভগবান " করে গিয়েছেন, ভালোয় ভালোয় সব যেন হয় এই প্রার্থনায়। এতো কোনো নির্দিষ্ট কালি খ্রীষ্ট আল্লাহ জেহোবা নয়, এ তাঁদের মনের ভগবান।
  • dc | 132.174.106.129 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৮:১৬365123
  • হ্যাঁ। যা কিছু আনসার্টেন সেখানেই আমরা কিছু একটা ভেবে নিতে চেষ্টা করি, আমাদের ব্রেন ওভাবেই ভাবে।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৮:২০365124
  • স্পেশ্যালিজম এসে দূরত্ব তৈরী হওয়া অবসসই একটা ফ্যাক্টর ।আর এখন টেকনোলজি ইউসার দের যুগ , ইউসার ডাম্ব হবে এটা ধরেই সব কিছু তৈরী হয় । কাজেই স্পেশালাইস্ড টেকনোলজির ক্ষেত্রেও এক টেকনোলজির স্পেশালিস্ট আদতে অন্য টেকনোলজির ইউসার । কাজেই, বোঝাই যাচ্ছে ।

    আরেকটা বড় ফ্যাক্টর হলো একাডেমিক জগৎ থেকে যুক্তিশাস্ত্র ও দর্শন এই দুটি বিষয়কে কুলোর বাতাস দিয়ে বিদেয় করা ।

    আমি অনেকদিন ধরে সমস্ত ভারতীয় ধর্মগুরুর বক্তৃতা ভিডিও সংগ্রহ করে শুনছি । আমরা যে চট করে ভেবে নিই এ আর এমনকি ওরা ভগবানের কথা বলে দুর্বল মানুষকে বোকা বানাচ্ছে ........এটা একেবারেই ইলিউশন । এটা আমাদের একটা ইগো বুস্ট দেয়, এর বাইরে কিছু না । ধরুন তরুণ সাগর । এই জৈন সাধু ভয়ঙ্কর পপুলার জৈন মহলে । মোদী থেকে কেজরিওয়াল কেও ঘাঁটায় না । তরুণ সাগর এতো জনপ্রিয় কেন ? কেও বলবেন ও তো রিগ্রেসিভ কথা বলে , তাই রিগ্রেসিভ দের মধ্যে ভক্ত । ব্যাপারটা মোটেই অত জলভাত না । তরুণ সাগর কগনিটিভ এম্পিরিসিজম এর লাইনে খেলে । প্রচুর পুরোনো স্কুল । এটা এম্পিরিসিজম এর একটা পার্ট যা বলে তুমি যা চোখে দেখছো তোমার দেশ কালে বসে, সেটাই শেষ সত্য । তরুণ কিন্তু ভগবানের বাণী শোনায় না স্পিচ দিতে গিয়ে । সিম্পল কগনিটিভ ওয়েতে "যুক্তি " দিয়ে ছোট ছোট গল্প দিয়ে সামাজিক ঘটনাকে নিজের মতো ব্যাখ্যা করে যায় । এইটা ওকে পপুলারিটি দিয়েছে । এবার ও রাজনৈতিক ফায়দার জায়গা থেকে রামলালা কালচারকেও সাপোর্ট জানায় সেটা আলাদা ব্যাপার । পপুলারিটি গেইন করেছে তার আগেই । "যুক্তি " ব্যাপারটা যে আদৌ "আঁখো দেখি " নয় , আদতে একটা এবস্ট্রাক্ট মডেল সেটা তরুনের স্কুল মানেনা । জৈন আদর্শের সঙ্গে এই চিন্তা খাপে খাপ ।

    আবার ধরুন এই রবিশঙ্কর । কখনো ব্যাধ গীতা থেকে কোট করছে আবার কখনো ধম্মপাদের অংশ নিজের গল্প করে চালিয়ে দিচ্ছে । কর্পোরেট ম্যানেজমেন্ট এর সঙ্গে খাপ খায় কারণ কর্পোরেট দাঁড়িয়ে আছে একটা ইগো বাবল এর উপর যেটা ইনি খুব সুগার কোট দিয়ে প্রমোট করেন । ইনিও কিন্তু ভগবান পুজো করার কথা বলেন না । সেই একই স্টাইল, ছোট ছোট করে কোনো জটিলতায় না ঢুকে চট করে শুনে মনে হয় "বাহ এইতো সমাধান পেয়ে গেছি " এরকম কথা বলে যায় দিনের পর দিন । লোকে এইসব কথা লিটেরালি গেলে বসে বসে ।

    ব্যাপরটা তাহলে কী ? প্রাচীন কাল থেকে এখন অবধি দর্শন ও বিজ্ঞানের ইভোলিউশন দেখুন , বুঝতে পারবেন । গ্রিক দার্শনিক দের এতো এতো শিষ্য অথচ পরবর্তীকালে দার্শনিকদের শিষ্য এতো কম কেন ?অধিকাংশ মানুষ একটা সো কল্ড "সহজিয়া " এবং "ওরাল " ট্র্যাডিশন বিশ্বাসী । প্রিন্টিং মেশিন আসার পর থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দর্শনের জগতের একটা দূরত্ব তৈরী হয়েছে কারণ দর্শন আর "সহজ " নয় এবং ইন্ডাস্ট্রির হাত ধরে যে সভ্যতা তৈরী হলো সেখানে দর্শন বা যুক্তিশাস্ত্র পড়ে আর "লাভ " নেই । এইযে তরুণ , এইযে রবিশঙ্কর আরো আরও ধর্মীয় নেতা এরা কেও প্রাইমারিলি "ভগবান " কে আশ্রয় করে বেড়ে ওঠেনি , এরা বেড়ে উঠেছে ওই ভ্যাকম টাকে ঘিরে । সারা পৃথিবী জুড়েই এরকম "গুরু " আছে , আমি শুধু ভারতীয় গুরুর নাম নিলুম ।

    প্রত্যেকটা মানুষ জাস্ট নিজে নিজে ভেবে একটা দূর অবধি যেতে পারে । সেটা , যদ্দুর দেখেছি , কার্ল পপারের আগে অবধি । ব্যাস , তারপর , ওই আগের ভাবনা গুলো নিয়েই সারা জীবন সমর্থন খুঁজে বেড়ায় । এবার যখন "গুরু " দের মুখে তারই প্রতিধ্বনি শোনে তার পায়ে পড়ে যায় । ব্যতিক্রম থাকতেই পারে কিন্তু সেটা ব্যতিক্রম । মিশনে পড়ার কুফল ও সুফল যায় বলুন , এমন সন্যাসী দেখা আছে যে আইআইটি গোল্ড মেডেলিস্ট কিন্তু কথা বললে বোঝা যায় চিন্তাভাবনায় প্রি-পপারিয়ান ।টেকনোলজির কথা বলার সময় জ্ঞান ঝরে পড়ছে । লৌকিক জগৎ নিয়ে কথা বলার সময় যা বলছে সেটা সক্রেটিস বা একুনিয়াসের স্কুল , তার পরে এগোয়নি । মানে , ভেবে ভেবে ওই অবধি এসে আটকে গ্যাছে , তারপর আর পড়ে বা ভেবে দেখেনি । হয়তো সেকারণেই , শেষমেশ ঈশ্বরের কাছে সারেন্ডার ।

    ধর্ম এইখান থেকেই এনক্যাশ করে । দর্শনের ইতিহাস , এবস্ট্রাক্ট যুক্তির স্কুলগুলো পড়ার মানে , মানুষের এযাবৎ চিন্তার ইভোলিউশন নিজের মাথায় পুরে নেওয়া । যাতে , চাকা আবিষ্কার করতেই মাথায় টাক না পড়ে যায় । যদ্দিন না আবার এইগুলো স্কুল লেভেলে থেকে পড়ানো শুরু হবে তদ্দিন ধর্ম মানুষের মাথা চিবিয়ে খাবে । কোনো বিজ্ঞান পড়িয়ে একে রুখে দেওয়া সম্ভব নয় । দর্শন কোনো আধো আধো ভাসা ভাসা ব্যাপার নয় । ওয়েস্ট এ এই সমস্যাটা অলরেডি শিক্ষাবিদরা বুঝতে পেরেছেন সেই কারণ এ সহজে দর্শন শিক্ষার বই -ভিডিও -ফিলোজফি থ্রু জোকস এইসব জনপ্রিয় করার চেষ্টা হচ্ছে । আমাদের দেশে দর্শন বললে লোকে ভাবে এই বুঝি একটা ধোয়াঁতে কিছু বলা হবে , এবং , অথচ অধিকাংশ লোক , সে বিজ্ঞান পড়ুক বা না পড়ুক মনে মনে দর্শনের ইতিহাসের কোনো একটা যুগ অবধি এসে গিঁট বেঁধে পড়ে আছে । আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষকদের একটা অদ্ভুত ধারণা আছে যে বৈজ্ঞানিক চিন্তার "এন্ড রেসাল্ট " চোখের সামনে দেখিয়ে দিলেই বোধ হয় মানুষ একসেপ্ট করে নেয় । এটা ভুল । এক্সেপ্টেন্স তৈরী হতেও একটা ইভোলিউশন লাগে যেটা যুক্তির ইতিহাস পেরিয়ে না এলে হয়না । তখন হয় পিয়ার প্রেসারে সে "যুক্তিবাদী " হয় , নইলে যদি একটু ডেসপারেট টাইপ হয় খোলাখুলি নিজের সাতবাসী মতামতের কথা প্রচার করে ।

    ওয়েস্ট কিন্তু সাবধান হচ্ছে । আমরা কবে হবো কেজানে ।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৮:২২365125
  • ডিসি ,

    আমার মনে হয় , ম্যান ইস পোটেনশিয়াল টু বি র্যাশনাল । বাই ডিফল্ট র্যাশনাল নয় । এবার এই পোটেনশিয়াল টা কেন সবার ক্ষেত্রে বিকাশ হয়না সেটা একটু চেষ্টা করেছি বলার , যেমন বুঝেছি ।
  • dc | 132.174.106.129 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৮:৪৭365126
  • আমি আসলে অনেকটা সময় সাগানের খুব ভক্ত ছিলাম। সাগানের বইগুলো গুলে খেয়েছিলাম, তার সাথে ফেনম্যান ইত্যাদিও পড়ার ফলে ওয়েস্টার্ন ফিলজফির বাইরে অনেকদিন কোনকিছু জানতামই না। ওয়েস্টার্ন ফিলজফির ইতিহাস, তার লজিকাল প্রোগ্রেশান, সেই আদি অ্যারিস্টোত্টলিয়ান স্কুল থেকে ভিয়েনা স্কুল হয়ে আধুনিক যুগে উইটগেনস্টাইন ইত্যাদিতে ডুবে থেকেছি। ফলে "ম্যান ইস আ র‌্যাশনাল ক্রিচার", এই ধারনাটা আমার মনের মধ্যে ঢুকে গেছে। এমনকি এখনও, আমার চারপাশে মানুষজন যখন বলে, ভগবান করুক এরকম যেন না হয় (উদাহরন দিলাম), ওমনি আমার মনের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়, ভগবান কি সব কিছু করাতে পারে? ইত্যাদি।

    "আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষকদের একটা অদ্ভুত ধারণা আছে যে বৈজ্ঞানিক চিন্তার "এন্ড রেসাল্ট " চোখের সামনে দেখিয়ে দিলেই বোধ হয় মানুষ একসেপ্ট করে নেয় । এটা ভুল ।"

    একমত। কিন্তু অনেকদিন আমি এটা বুঝতে পারতাম না। ছোটবেলায় আমি নিজে একটা বল পয়েন্ট পেন দিয়ে লিখতে লিখতে ভেবেছি কিভাবে ক্যাপিলারি অ্যাকশান দিয়ে কালিটা রোলারের ডগায় আসছে, কিভাবে ওরকম ছোট্ট একটা বল রিফিলটার ডগায় আটকে আছে, কি সুন্দর টেকনোলজি ঃ) কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষই এরকম ছোটখাটো ব্যাপারে মাথা ঘামায় না, এই রিয়েলাইজেশানটা আসতে অনেক সময় লেগেছে।
  • PT | 213.110.242.4 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৮:৫৩365127
  • ""সায়েন্স" বা "রিলিজিয়্ন" এই ধারনাগুলো প্রায় একই জায়গা থেকে এসেছে,"
    সত্যি?
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৮:৫৭365128
  • আমার ক্ষেত্রে এই রিয়ালাইজেশনটা মিশনে পড়তে গিয়ে, তারপর আরো কয়েক সম্প্রদায়ের সন্যাসীদের সঙ্গে কথা বলে আসে । সর্বদাই মনে হতো প্রচন্ড উচ্চশিক্ষিত মানুষ , বিটেক এমটেক করে এখানে এসে কী করছে । এবার কিছু লোককে আমি দেখেছি যারা সেবার আদর্শে বিশ্বাসী তাই এসেছে । কিন্তু একটা বড় অংশের লোক আছে যাদের বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা যতই থাকুক যুক্তির ইতিহাসটা বেশ নড়বড়ে । তাই শেষমেশ ধর্ম তাকে পেরে ফেলতে পেড়েছে।

    একটা মানুষ সব যুক্তি -দর্শন গুলে খাওয়ার পরেও কিন্তু জাস্ট ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজের মাথায় ঈশ্বরভাবনা আরোপ করে মজা পেতে পারে ।সিমুলেটিং গড থিওরি । এটা সম্ভব ।নাস্তিকরাই পারে । কিন্তু ইচ্ছে করে কনশাশলি গুলি খেয়ে নেশা করা আর গুলিখোরদের আড্ডায় হারিয়ে যাওয়া , দুটো তো এক নয় ।
  • dc | 132.174.106.129 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৯:০৪365129
  • পিটিদা, হ্যাঁ সত্যি। দুটোই রিয়েলিটিকে বুঝতে চাওয়ার ফল। চারপাশে যা হচ্ছে সেটা কেন হচ্ছে, সেটা এক্সপ্লেইন করতে চাওয়া। দুটো আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক, কিন্তু রুট কজ একই।
  • dc | 132.174.106.129 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৯:১৫364953
  • ইন্টারনেটের একটা ভালো ব্যাপার হলো অনেক পুরনো লেখাও আবার খুঁজে পাওয়া যায় :) Atoz এর পোস্টটা পড়ে কবছর আগে পড়া একটা আর্টিকেল এর কথা মনে পড়ছিল, এতক্ষন ধরে খুঁজে সেটা পেয়ে গেলামঃ

    The human mind is incredibly averse to uncertainty and ambiguity; from an early age, we respond to uncertainty or lack of clarity by spontaneously generating plausible explanations. What’s more, we hold on to these invented explanations as having intrinsic value of their own. Once we have them, we don’t like to let them go.

    In 1972, the psychologist Jerome Kagan posited that uncertainty resolution was one of the foremost determinants of our behavior. When we can’t immediately gratify our desire to know, we become highly motivated to reach a concrete explanation. That motivation, in Kagan’s conception, lies at the heart of most other common motives: achievement, affiliation, power, and the like. We want to eliminate the distress of the unknown. We want, in other words, to achieve “cognitive closure.”

    http://www.newyorker.com/tech/elements/why-we-need-answers

    জেরোম কাগানের একটা বই আছে, An argument for mind। ওটা পড়ে দেখতে পারেন।
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৯:২২364954
  • গুরুরা সাধারণতঃ একদল অডিয়েন্সের জন্য মনপসন্দ নিয়ম কানুন, কথা বার্তা বলে থাকেন। লোকে সেই গুরুর কাছে যায় কারণ সেই গুরুর কথা তার এক্স্পিরিয়েন্স আর কগনিজেন্সকে সাপোর্ট করে। অন্য গুরুর কাছে যায় না কারণ সেখানে তার পোষায় না। আর অত গুরুভাই-গুরুবোন ইত্যাদি থাকায়, ওটা একটা সাপোর্ট গ্রুপ। কলেজের দিন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে অনেকেই আর নতুন সোশাল লাইফ পায়্না, নিজের গ্রাম/শহর থেকে অনেক দুরে থাকতে হয়, বা আত্মিয় স্বজনের সাথে বনেনা বা তারা সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে। লোকে এইসব গুরুর আশ্রয়ে নতুন বন্ধু খুঁজে পায়। একটা সোশাল লাইফ হয়। বাকিরা টিভিতে সিরিয়াল আর রিয়েলিটি শো দেখে কাটায়। নইলে ইন্টারনেটে গজর গজর (যেমন আমরা)।

    "ওয়েস্ট কিন্তু সাবধান হচ্ছে ।" তাই? কেন মনে হলো আপনার?
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৯:৩৭364955
  • লাস্ট ফাইভ ইয়ার্স এ ফিলোসফি ডিবেট এন্ড ফোরাম পপ কালচারের মধ্যে জায়গা করেছে । ইসি আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর জন্যে প্রচুর সহজ ভাষায় লেখা বই পাবলিশ হয়েছে , ভিডিও ক্লাসরুম হয়েছে । আমি ফিলোসফি ডিবেট গ্রূপে আছি অর্কুটের সময় থেকে । আগে এগুলোতে শুধু একাডেমিকস এর লোক রা থাকতো । এখন দেখছি , মানে লাস্ট ফিউ ইয়ার্স এ , প্রচুর অন্য পেশার লোক অংশ নিচ্ছে এবং সেটা আমাদের দেশে র মতো বাজে বকা নয় , তারাও বইপত্রের নাম করে অংশ কোট করছে । যুক্তি দিয়ে তর্ক করছে । তার মানে ফিলোসোফিকে পপুলার করার প্রোগ্রামগুলো খুব কম পরিমানে হলেও সাকসেসফুল ।

    আর আপনি যেটা লিখলেন ওটা একটা ব্যবহারিক ব্যাখ্যা ।খুবই ঠিক । এভাবেও খাপ খাইয়ে দেওয়া যায় :

    "লোকে একাডেমিয়াতে থেকে যায় কারণ আর অত প্রফেসর -রিসার্চার দের সান্নিধ্য ইত্যাদি থাকায়, ওটা একটা সাপোর্ট গ্রুপ, বাইরের কঠিন বাস্তব জগৎকে সামনে করতে হয়না । কলেজের দিন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে অনেকেই আর নতুন সোশাল লাইফ পায়্না, চাকরির জায়গায় গেলে শক লাগে , তাই যে কোনো একটা উচ্চশিক্ষা অবলম্বন করে একাডেমিয়াতেই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চায় । লোকে এইসব পরিবেশের আশ্রয়ে নতুন বন্ধু খুঁজে পায়। একটা সোশাল লাইফ হয়। বাকিরা টিভিতে সিরিয়াল আর রিয়েলিটি শো দেখে কাটায়। নইলে ইন্টারনেটে গজর গজর (যেমন আমরা)।"

    :) :) মুশকিল হলো এই ব্যাখ্যা গুলো সবার পক্ষেই ঠিক , সবাই সোশ্যাল সাপোর্ট খোঁজে , সবাই নিজের কোগনিজেন্স যেরকম সেরকম গ্রূপ চায় । তা দিয়ে কী প্রমান হয় । কিছু না ।
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৯:৪৫364956
  • ওয়েস্ট কি করে সাবধান হচ্ছে সেইটা এখনো বুঝলাম না। আমাদের দেশের থেকে ওয়েস্ট চিরকালই কম রিলিজিয়স। তার অন্য অনেক কারণ আছে। এবং সেটা যাতে না হয় তার বিরেদ্ধেও চেস্টা চলছে।

    আপনার ঐ একাডেমিয়াতে থাকার উদাহরণটা খুবেকটা ঠিক ঠাক হলোনা। মানে একাডেমিয়াতে থাকতে চাইলেই থাকা যায় - এটা জানতাম না।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৯:৪৭364957
  • "চাইলেই " কোথাও থাকা যায়না । এমনকি দুপুরবেলা উল বোনা গ্রূপে বিলং করতেও কিছু স্পেসিফিক যোগ্যতা ফুলফিল করতে হয় । সেখানে একাডেমিয়াতেও যোগ্যতা ফুলফিল করেই থাকতে হবে এ আর আশ্চর্য্য কি । "চাইলেই " আপনার ধরে নেওয়া , আমি বলিনি ।
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৯:৫১364958
  • গুরুদেবের ভাষণ শোনার বদলে লোকে সন্ধ্যবেলায় টিভি, ইন্টারনেট দেখতেই পারে। একাডেমিয়ার বদলে এগুলো যে করা যায় সেইটা জনতাম না। দুটৈ একই ক্যাটেগরিতে পরে? মানে একটা তো প্রফেশন।

    একাডেমিয়া নিয়ে আপনিই লিখলেন। আর ঐ উল বোনার কেসটা যে খুবেকটা জুতসই হলো না, সেটাও আপনি জানেন।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:০৮364959
  • আপনার গায়ে লাগলে একাডেমিয়া নিয়ে বলবোনা কারণ একাডেমিয়া নিয়ে বলা আদৌ উদ্দেশ্য নয় :) :) "সাপোর্ট গ্রূপে বিলং " করা প্রতিটা মানুষের একটা বেসিক আৰ্জ, সেটা তার সামাজিক -পেশাগত সংরকম চয়েসে প্রভাব ফ্যালে । এইটাই বক্তব্য ছিল । যে শুধুই "সাপোর্ট গ্রূপ " এর যুক্তি দিয়ে কোনো গ্রূপ এর গড়ে ওঠার কারণ কে আলাদা করে ব্যাখ্যা করা যায়না কারণ ওটা এভরিহোয়ার কমন কজ।

    আর ওয়েস্ট চিরকাল ই "লেস রিলিজিয়াস " এটা সিরিয়াসলি হাস্যকর লাগছে শুনতে । আমার সন্দেহ হচ্ছে আমরা সম্পূর্ণ আলাদা ভাষায় কথা বলি কিংবা আপনি হয়তো রিলিজিয়াস রিচুয়ালকে রিলিজিওন ভাবেন । গোটা ওয়েস্ট এর কালচার -আর্ট থেকে সিনেমা সব কিছু ক্রিশ্চিয়ান এথিক্স আর মোরালিটির ভিয়েনে চুবে চপ চপ করছে , আর ওরা হলো "কম রিলিজিয়াস " ? কটা নাম করা পেইন্টিং - রাইটিং -মুভি আছে ক্রিশ্চিয়ান সিম্বোলিজমের প্রভাব মুক্ত ?

    বরং ওভাবে দেখলে , আমাদের দেশে যেটা আছে ওটা রিচুয়ালের পাহাড় । এখানে সন্তোষী মা সিনেমা হয় । কিন্তু কোনো সেন্ট্রাল রিলিজিয়াস থট ই নেই যা কালচার -সিনেমা সবকিছুকে বেঁধে রেখেছে । কটা নামকরা পেইন্টিং -রাইটিং -মুভি আছে যেখানে আদৌ কোনো ইন্ডিয়ান রিলিজিওনের সিম্বোলিজম বলে কিছু আছে ?
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:২১364960
  • রিলিজিয়নে একটা গ্রুপ অ্যাসপেক্ট থাকে। রিলিজিয়নের প্রসার করা হয়। সেটাই কাইন্ড অব রিলিজিয়নের মুল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এইসব গুরু ইত্যাদি হলো সাব রিলিজিয়াস কাল্ট।

    এইবারে আসল আলোচোনায় আসা যাক। ওয়েস্ট কম রিলিজিয়স নট ওনলি রিচুয়াল কম বলে। রিচুয়াল তো কম বটেই। তাছাড়াও অন্য কারণ আছে। হলিউডে তো রিলিজিয়নকে আলাদা ভাবে প্রায় দেখনই হয়্না। আদার দ্যান রিফ্লেকশন অব সোসাইটি। আর সেটাকে যে খুব পজিটিভিটির সাথে দেখানো হয় তাও নয়। এরকম কোনো সিনেমায় দেখানো হয়েছে বলে তো মনে পড়েনা যেখানে নায়্ক/নায়িকা গিয়ে গিজ্জয় কিছু চাইলো আর সেইটা পেয়ে গেলো। সেখানে আজকের দিনেও আমাদের দেশে এই ধরনের গান তৈরী হয়।


    আরেকটাও কারণ আছে। ওয়েস্টে লোকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো তো পাইই। আরো বেশি পায় - ইকনমিক প্রসপারিটির জন্য। ফলে কথায় কথায় ভগবান দয়া করো ইত্যাদি বলে না। তাই এই ধরনের পোল হয়ঃ

    http://www.gallup.com/poll/142727/religiosity-highest-world-poorest-nations.aspx
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:২৩364961
  • কিন্তু আসল পোশ্নো সেটাও ছিলোনা। ছিলো যেঃ আপনার কেন মনে হচ্ছে যে ওয়েস্ট সাবধান হচ্ছে। এইটা সত্যিই জানতে চাইছি।
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:২৭364962
  • "সাপোর্ট গ্রূপে বিলং" করা প্রতিটা মানুষের একটা বেসিক আৰ্জ
    বেসিক আর্জ ঠিক নয়। বলতে পারেন আনসার্টেনটি থেকে যে ভয় আসে সেই থেকে সাপোর্ট খোঁজে। যেসব লোকেদের আনসার্টেনটি কম, তাদের এই আর্জটাও কম হয়।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:৩০364964
  • এবার আরো ঘাঁটছেন । দুটো সম্পূর্ণ আলাদা ধরণের রিলিজিওন এর তুলনা করছেন একটু খেয়াল রাখুন । জুডো ক্রিশ্চিয়ান ধর্মে কোথায় আছে যে কথায় কথায় ভগবানের কাছে চাইলে পাওয়া যায় ? ওটা তো বহুত্ববাদী ধর্মে থাকে কারণ বহুত্ববাদী ধর্ম গুন্-কর্ম দিয়ে ভগবানকে ব্যাখ্যা করে । আগুনের দেবতা আগুন নেভায় , ওলাওঠার দেবতা ওলাওঠা সারায় এরকম । এগুলো একেশ্বরবাদী ধর্মে খাপ খায়না ! সে আজ কেন কোনোদিন ই না । একেশ্বরবাদী ধর্মের নেচার হলো একবার "কেরামত " দেখিয়ে দিলুম এবার সবাই আমার রাস্তায় থাকো । কেও বলে স্যালভেশন । কেও বলে দ্বীনের পথ । যীশুর কাছে বসন্ত সারাতে মানুষ আগেও যায়নি , যখন বসন্তের টিকা বলে কিছু ছিলোনা । সেখানে পাদ্রীরা ডাক্তার হয়েছে তাই ।

    দুটো সম্পূর্ণ আলাদা ধর্মীয় গঠন । এরকম কাঠ -কাঠ ম্যাপিং করলে কিছু বোঝা সম্ভব না যে ধর্মের প্রভাব আছে কি নেই ।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:৩২364965
  • "সাবধান হচ্ছে " মনে হলো কেন উপরে একবার লিখেছি । লজিক -হিস্ট্রি অব ফিলোসফি এসব নিয়ে প্রচার -বইপ্রকাশ অনেক বেড়েছে রিসেন্ট টাইমস এ ।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:৩৪364966
  • "যীশুর কাছে " অর্থাৎ চার্চে গিয়ে হয়ে দেওয়ার কথা বলছি । জেসুয়ার কাহিনীতে অবসসই রোগ সরিয়ে দেওয়ার "কেরামতের " গপ্পো আছে ।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:৪২364967
  • যেমন ধরুন মুহাম্মদ কোথাও বলেননি রোগ হলে ডাক্তার না দেখিয়ে তাঁর কাছে আস্তে । উল্টে মেডিসিন নিতে বলেছেন । একেশ্বরবাদী ধর্ম এরকমই । সো কল্ড হিন্দুধর্মে রোগ হলে সাধুকে শেকড় দিতে দেখেন কারণ ওটা প্রোটো সায়েন্স এর সঙ্গে যুক্ত । গুন্-কার্য্য ধরে দেবতারা ভাগ হয়ে গেছিলো এবং ওঝা -বদ্যি ের নিজেদের মতো করে চেষ্টা করছিলো রোগ সারাবার , কখনো অশ্বিনীকুমারদ্বয় কে সামনে রেখে কখনো শেতলা । এরা ফেইল করেছে বিভিন্ন কারণে । ওদিকে ক্রিশ্চিয়ানিটির প্রীচার রা নিজেরাই ডাক্তার হয়েছে , আলকেমি চর্চা করতে গিয়ে সোনা বানাতে না পারলেও কেমিস্ট্রিতে শিখে ফেলেছে , উন্নতি করেছে ।
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:৪২364968
  • ওয়েস্টে কেন কথায় কথায় ভিক্ষা চাইতে হয়্না, তার কারণ ইকনমিক প্রসপারিটি। তার সাথে কোন রিলিজিয়ন তার কোনো সম্পক্কই নেই। ঐ লিস্টটা দেখলেই বুঝতে পারবেন।
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:৪৯364969
  • এইবারে আসল আলোচোনার প্রসঙ্গে একটা কথা লিখি এইখানে। এইটা একেবারেই পার্সোনাল অনুভুতি। আম্রিগায় ক্রিস্চানিটি একটা সন্কটে পড়তে চলেছে বলে মনে হয়। থ্যান্ক্স টু উইকিপিডিয়া/ইন্টারনেট।

    মনে করুন আপনি একজন নবীন ককেশিয়ান আম্রিগান। আপনি চার্চে যান ইত্যাদি। এইবারে আপনি ক্রিস্চানিটি নিয়ে পড়তে চাইছেন ইন্টারনেট থেকে। প্রথমে বুঝলেন যে ধর্মটা এসেছে ইয়োরোপ থেকে। অতেব আম্রিগান নয় (যেমন সকার)। আজকে অনেক জেনারেশন পরে আম্রিগার অনেকেরই ইউওরোপের সাথে আর কোনো লিন্ক খুঁজে পায়্না। তারপরে আবিষ্কার করলেন যিশুর জন্ম হয়েছে কোন অন্চলে। এইবারে?
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:৫১364970
  • আমি যে শুনেছিলাম অনেক ক্রিস্চান গুরুরা নাকি কত অসুস্থ লোকেদের সুস্থ করে দিচ্ছিলেন। তার পরে ধরা পরে ফ্রড বলে। আজকালও তো "গে কিওর" প্রোগ্রাম চালায় অনেক জায়্গায়।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:৫৩364971
  • লিস্ট টা আপনি দেওয়ার পরেই দেখেছি :) রেগুলর লাইফে রিলিজিওনের প্রভাব নিয়ে সার্ভে করা হয়েছে । মানে রিচুয়াল প্র্যাকটিস । তো কী আর করা যাবে , ওয়েস্টের ভগবান রোববার ছাড়া দেখা দেননা , এখানে টুয়েন্টি ফোর বাই সেভেন সার্ভিস খোলা :):) সিরিয়াসলি লিস্ট টা ইম্প্রেসিভ লাগছে না । লাগতো যদি কোন কোন রিলিজিয়াস গ্রূপে ইকোনমিক প্রস্প্যারাইটি কত সেই ডেটা টা ও থাকতো । এইদেশে সবচে ইকোনোমিক প্রস্প্যারিটি জৈনদের । চূড়ান্ত রিলিজিয়াস । বাংলাদেশ -ইয়েমেন -সোমালি এগুলো সালাফিস্ট দের রাজত্ব । হাইলি রিচুয়ালিস্ট পার্ট ।

    বরং রাশিয়া -জাপান এদের ডেটা দেখা যাচ্ছে যেখানে ইয়েস বলছে ৩৪ পার্সেন্ট একেশ্বরবাদ হয় সত্বেও । এই লিস্ট টা আদৌ বলেনা যে টপ ইকোনোমিক প্রস্প্যারিটির গ্রূপ গুলোতে রিলিজিয়াস প্রভাব কতটা । এছাড়া , রিচুয়াল দিয়ে রিলিজিওন মাপলে ইস্ট -ওয়েস্ট এর তুলনায় হয়না কারণ দুটো রিলিজিওনের ধরণ সম্পূর্ণ আলাদা। যেখানে রেগুলার প্র্যাকটিসের কোনো রিচুয়াল ই নেই সেখানে ওই ব্যাপারে প্রশ্ন করে নেগেটিভ আনসার পাওয়া যাবে , সেই ডেটার সঙ্গে রিচুয়ালিস্ট রিলিজিওনের কম্পেয়ার কীকরে হয় তাই বুঝলুম না :)
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১০:৫৬364972
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:০০364973
  • ইসলামও তো একেশ্বরবাদ, এককদা? আর শ্রীলন্কা এতো নীচে কেন? বুদ্ধিস্টদের কি রেগুলার রিচুয়াল আছে?
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:০২364976
  • লিস্ট দেখে প্রভাবিত হওয়ার আগে নিজে ভাবুন একটু । একজন জৈন বা শাক্ত কতগুলো প্র্যাকটিসে বাঁধা । সকালে উঠে সূর্যোপ্রনামঃ । সন্ধ্যেবেলা আহ্নিক । পুজো -ধ্যান । একজন ক্রিশ্চানের কটা রিচুয়াল ? সে সপ্তাহে বা এমসি একবার হয়তো চার্চে যাবে , কনফেশন বক্সের কাছে দাঁড়িয়ে গুজগুজ করে বলবে ঐদিন না আমি সাদা কে বলেছিলুম লাল হে পিতা আমাকে ক্ষমা করুন , অমনি সান অফ মারী এন্ড জোসেফের নামে হোলি স্পিরিটের নামে তার ক্ষমা হয়ে গ্যালো । এবার সে যে এই মহান পাপবোধ সারা সপ্তাহ মাথার মধ্যে বয়ে বেড়ালো না এবংহ তার সব ডিসিশন মেকিং এ তার প্রভাব পড়লোনা তার সার্ভে কোথায় ? ওই সার্ভে টা করতে গেলে , পপ কালচার থেকে পেইন্টিং -সিনেমা সর্বত্র ক্রিশ্চিয়ান সিম্বোলিলিজম আর এথিক্স এর প্রভাব নিয়ে সার্ভে করতে হবে ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন