এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • 'আচ্ছে দিন'

    pi
    নাটক | ২২ মার্চ ২০১৭ | ৬৫১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:০২364976
  • লিস্ট দেখে প্রভাবিত হওয়ার আগে নিজে ভাবুন একটু । একজন জৈন বা শাক্ত কতগুলো প্র্যাকটিসে বাঁধা । সকালে উঠে সূর্যোপ্রনামঃ । সন্ধ্যেবেলা আহ্নিক । পুজো -ধ্যান । একজন ক্রিশ্চানের কটা রিচুয়াল ? সে সপ্তাহে বা এমসি একবার হয়তো চার্চে যাবে , কনফেশন বক্সের কাছে দাঁড়িয়ে গুজগুজ করে বলবে ঐদিন না আমি সাদা কে বলেছিলুম লাল হে পিতা আমাকে ক্ষমা করুন , অমনি সান অফ মারী এন্ড জোসেফের নামে হোলি স্পিরিটের নামে তার ক্ষমা হয়ে গ্যালো । এবার সে যে এই মহান পাপবোধ সারা সপ্তাহ মাথার মধ্যে বয়ে বেড়ালো না এবংহ তার সব ডিসিশন মেকিং এ তার প্রভাব পড়লোনা তার সার্ভে কোথায় ? ওই সার্ভে টা করতে গেলে , পপ কালচার থেকে পেইন্টিং -সিনেমা সর্বত্র ক্রিশ্চিয়ান সিম্বোলিলিজম আর এথিক্স এর প্রভাব নিয়ে সার্ভে করতে হবে ।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:০৫364977
  • শ্রীলংকা থের বুধ্ধিজম মানে । জাপানিজ বুধ্ধিজম না । থের রা যাতা লেভেলের রিচুয়ালিস্ট হয়ে উঠেছে । চলতে ফিরতে একগাদা নিয়ম । আর গোটা শ্রীলংকা জুড়ে একটা থের বুধ্ধিস্ত আপরাইজ ঘটেছে রিসেন্ট পাস্ট এ , ওই মুসলিম বিরোধিতাকে সঙ্গে করে । ওখানে এখন দিবারাত্র লোকজন শ্রাইনে মাথা ঠেকাচ্ছে ।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:১০364978
  • আমি যেটুকু বলতে চাইছি নাটশেলকরি । গরিবি থাকলে রিলিজিওন দিয়ে মাথা কাহারো সহজ হয় , এটা ঘটনা । সবাই জানে । কিন্তু ইকোনোমিক প্রস্প্যারাইটি বাড়লে মানুষ হুড়মুড় করে রিলিজিওন ছেড়ে দে , এমন না । অর্থাৎ এরকম সিধে ব্যাস্তানুপাতিক সম্পর্ক টানা যায়না , এইটুকুই । আমাদের দেশে প্রস্প্যারাস সেকশনের দিকে তাকালেই প্রমান হয় । যত দিন যাচ্ছে হাতে কলমে প্রমান পাচ্ছি এই দক্ষিণের বিংশ -শৈব উপাসক সম্প্রদায় দেখে । কারো বিশাল ব্যবসা -কেও ইউনিভার্সিটির প্রফেসর । গলা অবধি রিলিজিয়াস রিচুয়ালে ডুবে । যাঁরা উত্তর ভারতে থাকেন তাঁরাও দেখছেন জৈন সম্প্রদায় কে ।
  • Ekak | 53.224.129.50 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:১৫364980
  • আমি আপাতত টাটা হই । আড্ডা দিতে গিয়ে ঘুমটা কেটে গ্যালো :) এবার কাজে বসি ।
  • dc | 132.174.106.129 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:১৬364981
  • কদিন আগেই ভাটে লিখেছিলাম রাজস্থানে যাবার ইচ্ছেটা চলে যাচ্ছে। এখন তো দেখছি ইউপিতে ঘুরতে যাবার আর প্রশ্নই থাকছে না! একে তো মাছ-মাংস জুটবে না, তার মানে আধপেটা খেয়ে থাকতে হবে। তার ওপর স্ত্রীর সাথে রাস্তায় বেরোলেও মরালপুলিশ এসে কান ধরে উঠবোস করাবে। ওরে বাবা রে, এরপর ইউপিতে কোন পাগল ঘুরতে যাবে? তার্চেয়ে আগ্রা টাগ্রার ছবি দেখে নেবো বাবা, তাজ মহলেরও ভার্চুয়াল টুর করে নেব নাহয়!
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:২০364982
  • "কারো বিশাল ব্যবসা -কেও ইউনিভার্সিটির প্রফেসর । গলা অবধি রিলিজিয়াস রিচুয়ালে ডুবে ।"
    এটাও আসছে আনসার্টেনটি থেকে। মানে সবার ভয় যে এই স্ট্যাটাস কুও নাও থাকতে পারে। অ্যাজ অ সোসাইটি আমরা খুব গরীব। সেখানে যিনি বড়লোক হচ্ছেন, তিনি ভাবছেন যে এই স্ট্যাটাস যেন চলে না যায়। মানে বড়লোক হয়েও তার মধ্যে থেকে সোসাইটির ইকনইক কন্ডিশানটা ইম্প্যাক্ট করছে, বা তার নিজের পাস্টই তাকে হন্ট করছে। আমার তো তাই মনে হয়।

    ধর্ম তো শুরুই হয়েছিলো ভয় থেকে আর সবাইকে সংঘবদ্ধ করার তাগিদে। তখন রাস্ট্র বলতে কিছু ছিলোনা নিস্চই।
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:২২364983
  • ডিসি, গলায় মালা দিয়ে কপালে তিলক কেটে পকেটে মোদি-শাহের ফোটো নিয়ে চলে যাবেন। কেউ আটকালেই বলবেন পুজো দিতে যাচ্ছি। দেখবেন কেমন খাতির পাবেন।
  • dc | 132.174.106.129 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:২৬364984
  • অতো ঝামেলার দরকার নেই, ঘুরতে যাবার জায়গার কি অভাব আছে? সামনের বছর আসাম-মনিপুর-মেঘালয়-ত্রিপুরা এসব জায়গা ঘুরতে যাবো। পাই ম্যাডামের থেকে জেনে নেবো কোথায় কোথায় যাওয়া যায়।
  • lcm | 83.162.22.190 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১১:৫১364986
  • রিলিজিয়ন তো প্রবলেম না। পলিটিক্স-ও না। কিন্তু, দুটো মেশালে -
  • de | 192.57.91.58 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১৩:৩৭364987
  • ভেজু আর নন-ভেজু ইন্ডিয়ার একটা পার্টিশন হোক, মোর সেক্যুলার অপশন।

    ডিসি,

    রাজস্থান বা গুজরাতে মুসলিম মহল্লাগুলোতে নন-ভেজ পাওয়া যায়। ড্রাইভারকে বল্লেই নিয়ে যায়। তবে আর কদ্দিন এরম হবে তা বলা মুশকিল। তবে নিরিমিষ খাবারের ভ্যারাইটি ওখানে খুব বেশী, তাই খারাপ লাগে না।

    বড়েস আর এককের তক্কো খুবই মন দিয়ে পড়ছি। তক্কো চলুক-
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১৩:৪৩364988
  • না না আমি কিছুই বুঝিনা এসবের। এককদা বরন্চ একটু লিখলে পারেন স্পিরিচুয়ালিটি আর রিলিজিয়নের জন্ম, পার্থক্য, আর আজকে সেগুলোর কি অব্স্থা সেই নিয়ে। সময়ের সাথে সাথে মনে হচ্ছে লোকে কম স্পিরিচুয়াল আর বেশি রিলিজিয়স হয়ে যাচ্ছে। নতুন জেনারেশনের সাথে কথা বলে সেটাই মনে হয়। এইটা কি আদৌ হচ্ছে, নাকি আমি কোথাও কিছু মিস করছি, আর হলে কেন হচ্ছে। এইটা নিয়ে কেউ লিখলে ভালো হয়।
  • S | 184.45.155.75 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১৩:৪৯364989
  • http://www.ndtv.com/india-news/life-term-for-cow-slaughter-in-gujarat-1675675?pfrom=home-lateststories

    Life Term For Cow Slaughter In Gujarat, Assembly Clears Tougher Law.

    Punishment for cow slaughter in Gujarat will be a life term after an amended law was cleared on the last day of the state assembly session today. Gujarat, where elections will be held later this year, now has the toughest law against cow slaughter in the country.

    The Gujarat Animal Preservation Act of 1954 also says the punishment for transporting of cows will be 10 years in jail.
  • রোবু | 213.132.214.84 | ৩১ মার্চ ২০১৭ ১৬:২২364990
  • তর্কটা ভালো হচ্ছে। একটা ভালো তর্কে যা হয় উচিত, দুজনেরই বেশিরভাগ বক্তব্য ঠিকঠাক লাগছে।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০৮364991
  • চমৎকার, চমৎকার। বহুদিন পর গুর্চতে সত্যি সত্যি ভালো লাগছে। এইসব ভালো ভালো আলোচনা শোনার জন্যই একসময়ে সকালে উঠেই একবার গুর্চতে না এলে চলতো না। ঃ-)
  • pi | 57.29.228.250 | ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ১২:৫৩364992
  • এই ধর্ম ছেড়ে দেবার কথাগুলো প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরলে কেমন একটা অবাস্তব লাগে ! ট্রাইবাল গ্রামেও। এবারে কিছু কথা রেকর্ড করেছিলাম, ক্যামেরার কার্ড করাপ্ট হয়ে গিয়ে .bn ফাইল হয়ে গেছে, খুলছেনা। মোবাইলে যা আছে, আপলোড করে দেব।
    মশা, ম্যালেরিয়া নিয়ে বকবক করছি, তার মধ্যেই সমানে এসে টানাটানি, কী না, দেবতা দেখতে যেতে হবে। প্রথমে তো বুঝিনি। পরে বুঝলাম, স্বপ্নে দেবতা পেয়েছেন। ৩০ না চল্লিশটা। তো, সে নিয়ে প্রচণ্ড উত্তেজিত।গ্রামের অনকেই। ওটাই এখন মূল দ্রষ্টব্য। আমাকে ম্যালেরিয়া নিয়ে বোঝাতে হলে আগে আমাকে এইসব দেখে শুনে বুঝে আসতে হবে। ভক্তিভরে প্রণামও। অন্ততঃ অশ্রদ্ধা দেখানোর তো প্রশ্নই নাই। তবে এটা , একান্ত ব্যক্তিগত মত, যে যা কিছু অন্যের ক্ষতি করছেনা, আমাকে মানতে বাধ্য করছেনা, তাকে নিজে অবিশ্বাস করি বলে অশ্রদ্ধা করে কোন চতুর্বর্গ লাভ হবে কি ? হ্যাঁ, আমাকে দেখতে বাধ্য করাটাকে কতটা চাপাচাপি ভাবব, সেটা ভেবে দেখার বিষয়, কিন্তু সেদিন তালেগোলে একথা সেকথা, আর কাজেকম্মে আমি কাটিয়ে দিয়ে পেরেছিলাম। আমার টিমের লোকজন গেছিল যদিও, সে তাদের ইচ্ছাতেই। তারা ধার্মিক মানুষ, দেবতা পাওয়া গেছে শুনলে ভক্তিভরেই দেখে আসেন।
    কত গল্প শুনছিলাম। এই তো সামনেই ত্রিপুরার জনজাতিদের খুব বড় পার্বণ আসছে, চৈত্র সংক্রান্তিতে গড়িয়া পূজা। অনেক খুঁটিয়ে জিগেশ করছিলাম, শুনলাম, একরকম গণেশ পূজাই। আগে একদিন, এখানে না কোথায় তর্ক হচ্ছিল না, আদিবাসীদের লোকায়ত ধর্ম হিন্দু ধর্মের থেকে অনেক আলাদা, হিন্দু ধর্ম বলা যাবেনা। আমি কিন্তু এসব এলাকায় যত জায়গায় কথা বলেছি, তা বিশেষ মনে হয়নি। নিজেদের মতন লোকাচার অনেক কিছুই আছে। কিন্তু দেখলাম, নিজেদের হিন্দুই বলেন।
    এবার এরকম গড়িয়া পুজো আমাদের দেখা নন ট্রাইবালদের মধ্যে তো দেখিনি। বাড়ি বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় দেবতাকে নিয়ে, নাচ , গান করে, বাদ্যি বাজিয়ে, কয়েকটা দল বেঁধে বেঁধে। এ পাহাড় থেকে ও পাহাড়ে। বড়মুড়ার পাহাড় পেরিয়ে চলে যান আঠারোমুড়ার কোলে, এই ধনসিং , সুধীরামে তো এই গুরুধনের লোকজন লংতরাই পেরিয়ে চলে যান মনু , ছামনুতে। রিয়াং , জামাতিয়া, ত্রিপুরী, দেববর্মা, সবার উৎসবেই নিয়মকানুনের কিছু এদিক ওদিক। এমনইই তারিখেরও। কিন্তু এর বাড়ি ওরা, ওদের বাড়ি তারা, এমনি চলেই। আর বাড়ি যাওয়া মানেই দলকে খেতে দিতে হবে। সেটাই তো মজা, সেটাই তো আনন্দ।
    আর এও দেখলাম, মুসলিম, খ্রীএষ্টান, কাউকে নিয়ে কোন বিদ্বেষ নেই। এখানে তো ট্রাইবালদের মধ্যে মুসলিম প্রায় দেখিই না, কিন্তু খ্রীশ্টান আছেন। এই গড়িয়া পুজোর সময়ই তাঁরা কী করেন, জিগাচ্ছিলাম। না পুজোয় সরাসরি অংশ নেন না, কিন্তু দেখেন। এঁদের বাড়ি যাওয়া হয়না , কিন্তু ঐ নাচ গান দেখে মজা তাঁরাও নেন। কারণ পুজো তো আদতে আনন্দ উৎসবই।
    এই পুজো না হলে কেউই গিয়ে জুমে থাকতে শুরু করেন না।

    এটা কিন্তু বারেবারে দেখছি। এই অর্থনৈতিক কি সামাজিক পিছিয়ে পড়া অংশে ধর্ম যদি ওতপ্রোতভাবে অনেক বেশি মিশেও থাকে ( ধরে নিলাম, অন্য অংশে তুলনায় কম। তুলনায় বলছি, কারণ এঁদের মধ্যে সেভাঅবে কোন নিয়ম না মানা, একেবারে ঘোষিত আস্তিক, তেমন দেখিনি), কিন্তু সেখানে অন্যের সাথে না মেশা নিয়ে গোঁড়ামি , অন্যের প্রতি বিদ্বেষ কম আছে। যদি না প্লান্টেড হয়। যদি না বিষ ঢুকিয়ে খুঁচিয়ে তোলা হয়। সেক্ষেত্রেও অনেকেই তাকে রেজিস্ট করতে পারেন। এইবার দিল্লি গিয়ে বেশ কিছু অটূয়ালার সাথে কথা হল, ট্রেনে নানা জনের সাথে কথা বলেও বারবার তাই মনে হচ্ছিল।

    ও, বলা হয়নি। এই গ্রামটায় ঢোকার মুখেই প্রধানের বাড়ি। আশেপাশে আরো কিছু ঘর। দুটো বাড়িতে খুব উঁচু উঁচু পতাকা লাগানো। লাল পতাকা।
    ভেবেছিলাম, লাল পার্টির পতাকা।
    হ্যাঁ, এঁরা লাল পার্টিই করেন, এখনো। সাম্প্রদায়িকতাকে বেশ আপত্তিকর মনে করেন দেখলাম। বিজেপিকেও।
    তো, জিগেশ করতে বললেন, এ পতাকা আমাদের দেব্তার পতাকা। এও স্বপ্নে পাওয়া। যেমন ঐ ছাব্বিশ ফুট পতাকাটা, স্বপ্নে ছাব্বিশ ফুট বানানোর নির্দেশই ছিল।
    স্বপ্নে পাওয়া লাল পতাকা প্রচুর হাওয়ায় প্রচুর উঁচুতে পতপত করে উড়ছিল।
    তবে দুই লালে কোন বিরোধ নেই। বিরোধের জায়গা আছে, তাই জানেন বা ভাবেন বলে মনে হল না।
    এও আমাদের দেশই। কিম্বা এই আমাদের দেশ।
    এরকমই তো লাগে আজকাল।

    ছবি আর ভিডিও সময় করে দেব । তবে ছবিতে বোধ্হয় পতাকা কিছুটা কালো কালো ঠেকবে। অন্ধকার হয়ে এসেছিল।
  • প্রবঞ্চক পানকৌড়ি | 131.241.218.132 | ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ১৩:১১364993
  • ত্রিপুরায় এক বিজেপি নেতার সাথে রাস্তার ধারে এক বয়স্ক মহিলার কথোপকথনের একটা ভিডিও আছে। খুব রিসেন্ট, পুরো ধুয়ে দিয়েছিলো। দেখছি খুঁজে পাই কিনা।
  • Pi | 57.29.235.106 | ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ১৩:৪১364994
  • সেদিন ঈ দেখে ওদের ইউটিউবে তুলতে বলেছিলাম । শেয়ার করব বলে। তোলেনি মনে হয়। এগুলো তো তুলে আরো ছড়ানো উচিত।

    এদিকে বিজেপি গণ্ডায় গণ্ডায় লোক্যাল কেবল চ্যানেল বানিয়ে দিনরাত ভুলভাল খবর গেলাচ্ছে।
  • প্রবঞ্চক পানকৌড়ি | 131.241.218.132 | ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:৫৪364995
  • তুলে দিয়েছি -

  • প্রবঞ্চক পানকৌড়ি | 131.241.218.132 | ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:৫৯364997
  • rabaahuta | 174.114.91.202 | ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৫364998
  • পাইয়ের ত্রিপুরার গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। ক'দিন আগে মিছিল ঘিরে মারপিটকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাঙ্গা পরিস্থিতি বলে মনে হচ্ছিল, সেটা যে আর বাড়েনি খুব ভালো কথা, এইনিয়ে তো এখানেও লেখাপত্র হয়েছে। স্কুলের বন্ধুদের, বাঙালী বন্ধুদের অল্প কজনের মুখে খুবই আপত্তিজনক জাতিবিদ্বেষী কথা শুনেছি; যে কথাগুলি বাঙালীদের মধ্যে নেহাৎ বিরল নয়। এইজিনিসগুলো কমে আসবে তাই তো আশা ছিল, এইবার কেন, কি দেখে আশা ছিল তার উত্তর দেওয়া মুশকিল। বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান প্রেয়ার গেয়েছি বলে না ত্রিপুরা তথ্য সংস্কৃতি পর্যটন দপ্তরের নিত্য নতুন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পোস্টার দেখেছি বলে না আশি সালের জুনের দাঙ্গার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে খুব বেশি সময় লাগে নি তা জেনে? কি জানি। কিন্তু বিদ্বেষ নানা ভাবে আছে, সে সব যুগে সবসময়ই থাকে, আজকাল বিদ্বেষের রাজনীতি বেশী চোখে পড়ে বলে কিনা জানি না সাত সতেরো ভাবনা চিন্তা।
    লোকায়ত ঠাকুরদের হিন্দু ধর্মের দিকে যাত্রা-তা, বেশ, মজার বলা যায়। অনার্য দেব দেবী হিন্দু ধর্মের মূল ধারায় ঢুকেছেন, এমন ইতিহাসে পড়ি। লোকায়ত ঠাকুরদের কাছাকাছি থাকলে এখনো এই যাত্রাটা দেখা যায়। খয়েরপুরের চৌদ্দ দেবতা, আমাদের ছোটবেলার সাধারন জ্ঞানের বইতে প্রাচীন লোকায়ত দেবতা ছিলেন। আস্তে আস্তে দেখলাম তাঁরা শিবের চতুর্দশ রূপ হচ্ছেন। গড়িয়া যে গণেশ সে তো আজ শুনলাম, তার মানে এই পরিবর্তনটা গত দশক দুয়েকে হয়েছে! আর বছর দশ কুড়িতে হয়তো প্রবল প্রতাপ রহস্যময় কেরঠাকুরও হিন্দু ধর্মের কিছু হবেন। তা হোন, এই পরিবর্তনগুলিতো, দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে। কিন্তু বৈচিত্র্য কমে যাওয়া নিয়ে অস্বস্তি থাকে।
    আর ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ, বিরোধ এই জায়গা গুলি নেই, সাবার ঠাকুর সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সে যীশুবাবা থেকে খারচি ঠাকুর যে-ই হোন, এই জায়গাটা বড় রকমের সমস্বত্ত্বতার বাঁধনে চলে এলে থাকবে কিনা সেটা তো প্রশ্ন। গর্ব সে বোলো বলে শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গেলে মারপিট লাগবে আরকি।

    উইকিপিডিয়ায় জুনের দাঙ্গা নিয়ে পড়ছিলাম, পুরো ব্ল্যাটান্টলি লেখা উপজাতিরা বাঙালী 'হিন্দুদের' ওপর আক্রমন করেছিলো। হিন্দু শব্দটি বারবার জোর দিয়ে লেখা। (যদ্দুর মনে পড়ছে টপিক হলো মান্দাই ম্যাসাকার) ভালো ইংরেজী ও ইতিহাস জানা লোকজন একটু দেখলে ভালো হতো।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:২৫364999
  • কর্মী মহিলার ভিডিওটা দেখে কী ভালো লাগলো ! প্রবঞ্চক পানকৌড়ি, অনেক ধন্যবাদ ।
  • pi | 57.29.255.236 | ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ১০:০২365000
  • হুতো, হ্যাঁ, আমারো ধারণা ছিল না, এটা গণেশ পুজো। আমি অবাক হয়ে চার পাঁচ বার তাই জিগেশ করলাম, বললেন গণেশই। শিবরাত্রির সময়ে পুজো, মেলার কথাও বললেন।

    এমনিতে তো, বাঁশ পুজো হয়, মানে বাঁশ গড়িয়া দেবতার প্রতীক, এরকম জানতাম। ত্রিপুরার আদিবাসীদের নিয়ে বেশ কিছু বই উপহার পেয়েছি, পড়ছিলাম, খুবই ইন্টারেস্টিং। আর নানা উপজাতির মধ্যে নানা বৈচিত্র্য। রিয়াং দের 'গরৈয়া' পুজোয় দেখলাম, গরৈয়া , কালাইয়া দুই ভাইয়ের কথা আছে। গণেশ , কার্তিক হতে পারে। মাইনৌকোম দেখলাম লক্ষ্মীর নাম লিখেছে। ওনাকে মোরগ দিয়ে পুজো শুরু হয়।

    এবারে এই ত্রিপুরী গ্রামগুলোতে গড়িয়া পুজোর নেমন্তন্ন ছিল। ভেলোর যেতে না হলে চলে যেতাম। দেববর্মাদের পুজো তো সাতদিন ধরে চলে, দেখি তার মধ্যে ফিরলে ওটা দেখে আসবো।
  • Lama | 213.99.211.133 | ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ১৬:৪৬365001
  • গনেশকে তো ত্রিপুরীরা গনপা বলেন বলে জানতাম। চৌদ্দ দেবতার নামগুলো যে কত মনে পড়ছে সেগুলো হল-
    হর, উমা, হরি, লক্ষ্মী, শিখি (সম্ভবত কার্তিক), গনপা, কামদেব, হিমাচল।

    বাকিদের নামগুলো ভুলে গেছি
  • dc | 181.61.232.119 | ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ১৯:৪৯365003
  • Look, this man’s body has so much energy and the pendulum is swinging because of that. Now, when this man holds a phone in his hand, the pendulum won’t move.

    হুমম।
  • Du | 182.58.107.242 | ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ২০:১৯365004
  • আচ্ছে দিন এ জুতো নিয়ে কোন ব্যান প্ল্যান নাই? গোচর্ম পায়ে দেওয়া ওকে?
  • Du | 182.58.107.242 | ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ২০:২৬365005
  • ধর্ম একটা নিড তো বটে। গরিবী কমলে এটা বাড়ে বরন্চ তবে আনুপাতিক হারে না। আবার টিভিতে দেখলাম মেহিকোতে সান্তা মার্তে বলে এক ঠাকুরের পুজো বাড়ছে ড্রাগ লর্ডদের পৃষ্ঠ্পোষকতায়। লোকগুলো চায় কারো কাছে গিয়ে প্রার্থনা করতে!
  • PT | 213.110.242.21 | ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ২১:৩৮365006
  • উপস! ডাকাতে কালী?
  • Du | 182.58.107.242 | ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ২১:৪৬365008
  • ঐ রকমই ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন