এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভোটযুদ্ধ ২০১৭

    pi
    অন্যান্য | ০৯ মার্চ ২০১৭ | ১৩৬৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bip | 183.67.5.178 | ১১ মার্চ ২০১৭ ২০:৩৬365389
  • উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপুল জয়ের একটা ছোট্ট ট্রিভিয়া- এমন ২৫ টা সিটে বিজেপি জিতেছে, যা মুসলিম প্রধান, এবং সেখানে পার্থীও ছিল হিন্দু।
    কিভাবে এটা সম্ভব হল। একটা বিশ্লেষনে দেখলাম লিখেছে মুসলিম মহিলারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে-কারন তারা দেখেছে তিন তালাক ইস্যুতে সোকল্ড সেকুলার বিগ্রেড "ইনিয়ে বিনিয়ে" মুসলমান মৌলবাদিদের পাশেই। ফলে মুসলমান মহিলারা শরিয়ার মতন যঘন্য নারী বিরোধি আইনের নাগপাশ থেকে বাঁচতে বিজেপিমুখী হয়েছে।
    এটা সত্যি কিনা জানি না। যদি সত্য হয়, এ হবে সত্যকারের গণতান্ত্রিক জয়। কারন আমরা এটাই আস্তে আস্তে দেখতে অভ্যস্থ হচ্ছিলাম যে গণতন্ত্রের ফলে মৌলবাদ আসলেই বাড়ছিল। মুসলিম ভোটকে একটা "আইডেন্টিটি" ভোট হিসাবে ধরছিল অধিকাংশ সোকল্ড সেকুলার বিগ্রেড। যা গণতন্ত্র এবং রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ও পরিপন্থী। এতে মৌলবাদ বেড়েছে, মুসলমানদের ভারতে আরো পিছিয়ে দিয়েছে।
    পশ্চিম বঙ্গে এর প্রভাব আসতে পারে যদি রাজ্য বিজেপির কোন নেতা থাকে। সেটা যদ্দিন নেই, মমতা ব্যানার্জি মাইনরি কার্ডে নিরাপদ।
  • | 125.117.214.152 | ১১ মার্চ ২০১৭ ২২:১৫365390
  • সিকিকে এক্ষুণি ফেবুতে লিখে এলাম, ডিডিকে এখানেই লিখে দিই।

    শর্মিলা তাঁর পরিবার ও নিকট একটি বৃত্তের কাছে এক কাল্ট ফিগার ছিলেন যাকে ভাঙিয়ে দেশ বিদেশের ডোনেশান পাওয়া যায় ও এক উচ্চ সম্মানের আসন পাওয়া যায়। উনি অনশন ভঙ্গ করার সাথে সাথেই ঐ বৃত্ত সেটি খোয়ায়। ফলে ওঁর পরিবার ও নিকটজনেরা প্রচন্ড বিরোধীতা করেছিলেন অনশন ভঙ্গ করার সিদ্ধান্তের।

    এরপর ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা তো বোধহয় মণিপুরের বহু লোকই করেছিল বা এরকম কিছু খবর দেখেছিলাম। এবার এই দীর্ঘ ১৬ বছরে শর্মিলা ও মণিপুরের জনগনের মধ্যে যোগসূত্র ছিল সেই লোকগুলো যাদের শর্মিলা অনশনে থাকলেই লাভ বেশী। কাজেই তাদের সৃষ্ট ইমেজেই মণিপুরে শর্মিলার ইমেজ মূলত। এর মধ্যে উনি নিজে কতটা কি জনসংযোগ করতে পেরেছেন আমার খুব সন্দেহ আছে।

    কাজেই শর্মিলার ফল দুঃখজনক হলেও অপ্রত্যাশিত তো নয়।
  • কল্লোল | 233.186.37.182 | ১১ মার্চ ২০১৭ ২২:২৮365391
  • উঃপ্রঃতে দলিত ভোট এবার ঢেলে বিজেপিতে গেছে। এটা একটা কৌতুহলোদ্দীপক বিষয়।
    উঃপ্রঃতে মানুষ বিজেপির বিকল্প খুঁজে পায় নি।
    আমাদের কাছে খুব হতাশজনক হলেও, এটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। একটা মেরুকরণ ঘটছে, বর্ণহিন্দু, দলিত ও মুসলমানেদের একাংশ বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে।
    কিন্তু কেন?

    শর্মিলার এইরকম হার খুবই হতাশজনক। মানুষ কি সংসদীয় রাজনীতিতে বদমায়েশদেরই উপযুক্ত মনে করছে?
  • Ekak | 53.224.129.57 | ১১ মার্চ ২০১৭ ২২:৩৮365393
  • দ এর সঙ্গে সহমত । শর্মিলার হার অপ্রত্যাশিত নয় ।

    সেইযে বিয়ে ঘোষণার পর মাতৃপ্রধান সমাজ শর্মিলার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করলো তখনি ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে , একজন আন্তর্জাতিক আইকন এর পতন ঘটেছে শর্মিলা ভক্তদের চোখে এবং শর্মিলাকে আর ভাঙ্গানো যাচ্ছেনা । এখন উনি যদি ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসেন জনসংযোগ তৈরী করেন তাহলে আলাদা কথা , কিন্তু এই ইলেকটোরাল পলিটিক্স এর মার্কেটে আপনি একটাও ভিডিও বা খবর পাবেন যেখানে শর্মিলা বক্তব্য রাখছেন বিরোধীদের সমালোচনা করে সাধারণ মানুষের উদ্যেশে ? মালালার এতো বক্তব্য তো শেয়ার করেছেন , শর্মিলার কটা ? ভোটপর্ব দাঁড়িয়ে ?

    এই "মেকিং অফ আ রিপ্রেজেন্টেটিভ " টা শর্মিলার ক্ষেত্রে একেবারে হয়নি । অসুস্থ্য -অশক্ত শর্মিলা সবার কাছে এনক্যাশড হয়েছেন কারণ সেটার একটা মেকিং ছিল । চলে ফিরে বেড়ানো শর্মিলা , কোনো মেকিং ছাড়া এমনি এমনি জায়গা পেয়ে যাবেন ? টাইম দিন , হতাশার কিছুই নেই এবং ছাগল তত্ব আঁকড়েও লাভ নেই ।
  • pi | 192.66.187.255 | ১১ মার্চ ২০১৭ ২২:৩৮365392
  • স্ক্রোল থেকে এটাও থাক। শর্মিলার বক্তব্য।

    'She said she would never contest elections again, reported The Indian Express. She told New18 that she had been let down by her people.

    Sharmila had faced a severe shortage of funds to campaign for the Peoples’ Resurgence and Justice Alliance, which she had formed after ending her 16-year fast in August 2016. She had been fasting for the repeal of the Armed Forces Special Powers Act. Her party raised funds through crowdsourcing while she campaigned on a bicycle. She had also accused the Bharatiya Janata Party of offering her money for her campaign, but the saffron camp denied the claim.

    Before the counting began, Sharmila had said that money and muscle power were used by other parties to get votes. “I do not feel much affected by the result because people are yet to be given a chance...Everybody knows muscle and money power are openly used,” Sharmila had told NDTV.

    She took on Singh on his home turf, calling him the “concerned authority” of her protest. Her transition from activism to politics was greeted with scepticism by the public and by long-time supporters, many of whom melted away after she gave up her fast.

    Sharmila’s party ran a door-to-door campaign, speaking out against corruption, domestic violence and human rights violations, largely addressing an audience of women. But it was not enough in the Thoubal constituency, which Ibobi has held since 2007 and where he commands impressive support.'
  • dc | 132.174.163.29 | ১১ মার্চ ২০১৭ ২৩:২৮365394
  • শর্মিলার হার, এমনকি আপের হারও, আমার মনে হয় ইন্ডিকেট করে যে বিরাট টাকা আর বড়ো অর্গানাইজেশান ছাড়া এখন ইলেকশান জেতা সম্ভব না। রিজিওনাল পার্টিগুলোও এই ব্যাপারটা বুঝে গেছে, তাই প্রতিটা পার্টি যারা ইলেকশান লড়তে চায় তারা আগে একশো দুশো কোটি টাকার ফান্ড বানায়।
  • de | 192.57.125.114 | ১১ মার্চ ২০১৭ ২৩:৩৫365395
  • শর্মিলা হারবেন এটা প্রত্যাশিতই ছিলো - লোকে লেজেন্ড চায়, সাধারণ মানবী নয়! ওনাকে নিয়ে মানুষের যাবতীয় গদগদ আবেগের ১% ও অনশন ভাঙ্গার পর শোনা যায়নি। তবে রাজনীতিতে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে জায়গা করে নিতে হয়। সেই সময়টাও তো উনি পাননি। এতো হতাশ না হয়ে মানুষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা চালিয়ে গেলে একসময় না একসময় ফল পাওয়া য্তেই পারে।
  • pi | 192.66.187.255 | ১১ মার্চ ২০১৭ ২৩:৩৮365396
  • এটা সত্যি জেনুইন সমস্যা, ডিসি যেটা বললেন।

    টাকা আর জোর না থাকলে মুলুকের লড়াইয়ে নামা সত্যি চাপ।
  • de | 192.57.125.114 | ১১ মার্চ ২০১৭ ২৩:৪৮365397
  • ইউপিতে মুসলিম, দলিত, জাতপাতের এতো অংক নস্যাৎ করে বিজেপির জেতা প্রচুর শক্তপোক্ত অর্গ্যানাইজেশন ছাড়া সম্ভব নয়।

    কংগ্রেস, সপা ইঃ দলের সিলেক্টিভ পরিবারের বাইরের নেতা খোঁজা উচিত!
  • pi | 192.66.187.255 | ১১ মার্চ ২০১৭ ২৩:৫০365399
  • গত লোকসভা নির্বাচনের সময় এনেপিএমের কিছু লোকজনের কাছে শুনেছিলাম, যাঁরা মেধার হয়ে প্রচারের জন্য নানা জায়গা থেকে মুম্বই গেছিলেন। এসে বলেছিলেন, ফাণ্ড কম থাকায় কত রকম সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অন্য পার্টিরা কেমন দেদার হ্যানো ত্যানো বিলোচ্চ্ছে, টাকা ওড়াচ্ছে, সেখানে সেসব কিছু না করে শুধু প্রতিশ্রুতির উপর ভর করে কাম্পেনিং সোজা না। তাও বহু বহু জায়গায় করে ওঠা যাচ্ছেনা, সেও যথেষ্ট ফাণ্ডিং এর অভাবে। পোস্টার , ব্যানার এর টানাটানিও।

    এটা মনে পড়াতে কিছু জিনিস খুঁজতে গিয়ে এই লেখাটা পেলাম। পড়ে দেখুন।
    http://www.firstpost.com/politics/lack-of-funds-volunteers-affect-aap-show-in-maharashtra-1462765.html

    মাসল পাওয়ার তো বাদই দিলাম।
  • Ekak | 53.224.129.57 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০০:১২365401
  • ফান্ডিং বিশাল ফ্যাক্টর । শুধু টাকা বিলোনো নয় , ওভারঅল মার্কেটিং -জনসমর্থন তৈরী কিছুই ফান্ডিং ছাড়া সম্ভব না ।
  • dc | 132.174.163.29 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০০:১২365400
  • শুধু ব্যনার ইত্যাদি না, সরাসরি ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার জন্য প্রচুর টাকার দরকার পড়ছে। দক্ষিন ভারতে তো পার ভোট হাজার টাকা এখন জলভাত হয়ে গেছে। রিসেন্টলি কেজরি আর অখিলেশ দুজনেই যেভাবে বললেন অন্য পার্টির টাকা নিয়ে ওনাদের ভোট দিতে, তাতে মনে হলো বিজেপি - কং এই রাজ্যগুলোতেও ভোটের জন্য টাকা বিলোতে শুরু করেছে।
  • S | 184.45.155.75 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০০:২৬365402
  • ইউপিতে কত পার্সেন্ট ভোট পেয়েছে বিজেপি কেউ বলতে পারবেন? বাকি দলগুলো?
  • pi | 192.66.187.255 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০০:২৯365404
  • লোকসভার থেকে কিছু কম। ৪২ থেকে এবারে ৪০%।
    লোকসভার হিসেবে ৩২৮ টা পাওয়ার কথা ছিল, পেয়েছে ৩২৩।

    এটাও দেখুন
  • S | 184.45.155.75 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০০:২৯365403
  • পেয়েছি। তার মানে লোকসভার ভোট পুরো বজায় রেখেছে। মোদি ওয়েভ ইউপিতে এখানো আছে।
  • pi | 192.66.187.255 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০০:৩১365405
  • বলছে এবারে মোদিসুনামি আছড়েছে, যেজন্য ডিমনিটাজেশন এফেক্টও দাগ কাটেনি।
  • manipur | 37.7.204.102 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০০:৩৪365406
  • এই মর্কেটে কেউ, এমনকি দিদি-ও মণিপুরে পাওয়া সীটটার কথা বলছে ন ঃ(
  • S | 184.45.155.75 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০০:৩৬365407
  • ১) মোদির ভাগ্য ভালো - ইনফ্লেশন কমেছে। মোদির বিরুদ্ধে বলার মতন তেমন কোনো ইস্যু নেই।
    ২) নোটবন্দী সকলেই ভালো পদক্ষেপ বলে ধরে নিয়েছে - অন্তত সাপোর্ট করেছে। ইউপিতে যদি তার পরেও যেতে তাহলে সেইটা প্রমাণিত হয়। অনেকেরই মনে হয়েছে যে ইনিই পারেন - যে এতোবড় পদক্ষেপ নিতে পারে - মানে বিগ চেন্জ (বা ডিসরাপ্টিভ চেন্জ আরকি)। ইত্যাদি।
    ৩) শুধুমাত্র মোদিকে (বা দিদিকে) হারানোর জন্য কঙ্গের সাথে করা জোটে মানুষের আস্থা কমে গেছে। তাই পরের ইলেক্শনে ঐ মহাজোট তৈরী করার সময়ে কঙ্গকে বাইরে রাখতে হবে।

    রাজ্যেসভায় মোদির চিন্তা এখন বহুলাংশে কমলো। এইবারে দেখবো কি করে। তবে ২০১৯ এ জেতার সম্ভাবনা প্রবল হলো।
  • pi | 192.66.187.255 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০০:৫৮365408
  • কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কি আদৌ কমেছে কিছু ?
    অ্চ্ছে দিন আনার সবচে বড় শর্তই তো ছিল 'মেহেঙ্গায়াই' কমানো। তা আদৌ হয়েছে ? তার আসেসমেন্ট হয়েছে বা সেই নিয়ে তথ্যসমর্থিত কোন প্রচার ?

    তবে মোদি মোটামুটি একটা বড় অংশের কাছে ভগবানের অবতার, যুগপুরুষ, কল্কি এসব হয়ে গেছেন। এই বিশ্বাসের সিংহাসন কোন তথ্য যুক্তি দিয়ে টলানো চাপ।
    মোদির নিজের প্রচারে আসা, এত্ত সময় দেওয়া, প্রচুর প্রভাব ফেলেছে। লোকসভা ভোটের মতই। আজই সিদ্ধার্থ ভরদারাজন না কে যেন বললেন, লোকসভা নির্বাচনকেই পুরো মিমিক করতে চেয়েছে বিজেপি। কারণ জানতো , ঐ ভাবে আপিল করে ঐ ভোটবেস রাখতে পারলেই কেল্লা ফতে। খুবই হিসেব নিকেশ কষে এগিয়েছে।
  • বিপ | 183.67.5.178 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০৩:০০365411
  • ্সাদা মহিলাদের ৫৩% ভোট ট্রাম্পের ছিল। ট্রাম্প ২৩% মেক্সিকান ভোট ও টেনেছিল।

    বিজেপিও তেমনি দলিত মুসলিম ভোট টেনেছে । কেন?

    দুটোর কারন এক। চাকরি সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি। ভাল অর্থনীতির জন্য। যদিও ভারতে কংগ্রেসের পার্ফমেন্স এই ব্যাপারে বেটার-প্রচার আর গিমিকের জোরে মোদি এগিয়ে।

    মাসল পাওয়ার মানি পাওয়ার দিল্লীর নির্বাচনে ছিল না? বিহারে ছিল না? গোয়াতে ছিল না বিজেপির?

    মাসল মানি পাওয়ার দিয়ে ব্যখ্যা করা মানে মেনে নেওয়া এরা ক্লুলেস।

    ওসব কিছু না। লোকে একজন ভাল প্রশাসক দেখতে চাইছে। মমতা ব্যানার্জি যে একজন ভাল প্রশাসক এটা বাংলার সবাই জানে কিন্ত প্রবাসীরা জানে না-তারা আনন্দবাজার পড়ে মমতাকে বুঝতে চাইল। ফলে ভোটে রেজাল্টের ডিসকানেক্ট বুঝতে পারে নি।

    এক্টিভিস্ট হওয়া সহজ । শাসক হওয়া না। এই ব্যপারে দিদি ব্যতিক্রম। যিনি শাসক এবং এক্টিভিস্ট-দুই ক্ষেত্রেই সফল।
  • bip | 183.67.5.178 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০৩:০০365410
  • ১) মোদির ভাগ্য ভালো - ইনফ্লেশন কমেছে।

    >>
    ডিমনেটাইজেশনের জন্য ইনফ্লেশন অনেক কমেছে। লোকের হাতে কালোটাকার সাপ্লাই থাকার দরুন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ও ছিল উর্ধ্মুখী। ডিসেম্বর জানুয়ারীতে মার্কেট ঘুরে দেখেছি আলু বেগুনের যে আগুন দাম আগে দেখেছিলাম তা আর নেই। সব্জীর দাম অনেক রিজনেবল। যদিও শীতকালে এমনিতেই সব্জির দাম কম থাকে।
  • S | 184.45.155.75 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০৩:২৪365412
  • পাই, আমি বলেছি ইনফ্লেশন কমেছে। দাম কমে নাই। দাম বাড়ার মাত্রাটা কমেছে।

    বিপদা ঠিকই বলেছেন। ডিমনিটাইজেশনের জন্যে দাম কমেছে (ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে জানুয়ারি ২০১৭ তে ইনফ্লেশন -০.৩৬%) রিসেন্ট মান্থ গুলোতে।
    কিন্তু ইনফ্লেশন কমার সবথেকে বড় কারণ তেলের দাম (বড্ড হাই কোরিলেশন)।
  • bip | 183.67.5.178 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০৬:০২365413
  • কোন সন্দেহ নেই এই নির্বাচন রেজাল্টের ফলে তৃনমূল ও এখন বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে। আমি বাংলার অধিকাংশ হিন্দু ভোটারকে দেখেছি, তারা মুখে হিন্দুত্ববাদি এজেন্ডা সাপোর্ট করে, মমতা ব্যার্নাজির ইসলামিক মৌলবাদি তোষনের বিরোধিতা করে, কিন্ত ভোট টা তৃনমূলকেই দিচ্ছে। এর দুটো কারন। প্রথমত রাজ্য বিজেপিতে কোন গ্রহনযোগ্য নেতা নেই। দ্বিতীয়ত মমতা ব্যার্নার্জি একজন সফল প্রশাসক।
    সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে তিনি ব্যস্ত থাকলে কেউ কিছু মনে করত না। সমস্যা হচ্ছে তিনি মুসলিম সমাজের সব থেকে বেশী এবং উগ্র মৌলবাদিদের নিজের ক্যাবিনেটে মন্ত্রীত্ব দিয়েছেন। এইসব উগ্রপন্থী মুসলমান নেতাদের কোন লইয়ালিটি নেই তৃনমূলের প্রতি-এরা শুধু সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক কনসলিডেশনে ব্যস্ত। যার ফলে বিজেপি ও কনসলিডেট করছে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক। সাম্প্রতিক কালে লক্ষন শেঠের মতন অনেক সিপিএম নেতাই বিজেপিতে ভিরেছেন রাজনৈতিক পুনঃবাসনের জন্য। ফলে পশ্চিম বঙ্গেও ইউপির মতন পরিস্থিতি আসতেই পারে। ২০১৮ এর লোকসভা নির্বাচনে সেটা বোঝা যাবে।
    এই মুহুর্তে মমতা যেটা ভাল পারেন, সেটাই করা উচিত। বাঙালী জাতিয়তাবাদ দিয়ে ইসলামিক মৌলবাদকে পকেটে ঢোকাতে হবে তাকে। তৃনমূলে কিছু ভয়ংকর জামাতি নেতা আছে-তাদের সাইডলাইন করে, সেকুলার মাইন্ডেড মুসলমান নেতাদের তিনি তুলে আনুন। সপার মুসলিম গুন্ডা তোষনের ফলে আজকে বিজেপির উত্থান উত্তরপ্রদেশে। এখন থেকে সাবধান না হলে, মমতা ব্যার্নাজির ভবিষ্যত ও ভাল না।
    মমতা ব্যার্নাজির সব থেকে বড় এডাভ্যান্টেজ ছিল বিরোধিরা বিভক্ত। সেটা আজকে থেকে আর থাকল না। এই মুহুর্তে এটা খুব ক্লিয়ার বিজেপিই বাংলার প্রধান বিরোধি দল হতে চলেছে, কারন রাজ্যসভায় তৃনমূলকে আর দরকার নেই বিজেপির। ফলে নারদা, সারদার কেস চলবে জোর গতিতে।
  • dc | 167.50.4.107 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০৬:৩৫365414
  • ডিমনির পর দেড় মাস মতো দাম করেছিল তার কারন জনতার বায়িং ক্যাপাসিটি ছিল না, যার ফলে সাপ্লাই বেশী হয়ে গেছিল। ওই দাম কমাটা একেবারেই টেম্পোরারি ছিল।
  • s | 60.158.182.25 | ১২ মার্চ ২০১৭ ০৮:৫২365415
  • বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা নিজের ঘরে বসে হেঁসে বলেন, "উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশ এই দিটি রাজ্যেই আমি প্রচারে গিয়েছিলাম। দুটি রাজ্যেই অসাধরণ ফল করেছে বিজেপি।
    আমি না গেলেও করত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।"
    :D
  • S | 184.45.155.75 | ১২ মার্চ ২০১৭ ১২:৩৩365416
  • বিজেপি ছাড়া অন্যান্য দলগুলো তাদের প্রোমোশানের ব্যাপারে নাকে তেল দিয়ে ঘুমুচ্ছে। "লোকে জানে আমরা কি কি কাজ করেছি" জাতীয় ডায়লগ দিয়ে আজকাল আর চলে না। লোকে ক্যাবলা ভাবে। ভাবে যে নিজের কাজটাও ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করতে পারেনা, তাকে কি করে দেশের দায়িত্ব দিই। সেই কারণেই আপের সীট এতো কম এলো পান্জাবে। দক্ষিন পন্থীরা এই কাজটা খুব ভালো করে। আধ আনার একটাই কাজ বলে বলে বিশাল কাজে পরিণত করবে।
  • PT | 213.110.242.8 | ১২ মার্চ ২০১৭ ১২:৩৮365417
  • উত্তরপদেশের-এর বোন আর পচ্চিমবঙ্গের দিদি যুগ্ম লক্ষ্মীপ্যাঁচা হয়ে বড়্দাদাকে অনেকদিন ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করবে।
  • S | 184.45.155.75 | ১২ মার্চ ২০১৭ ১২:৫০365418
  • ওসব কথা বলে লাভ আছে পিটিদা। সারা পৃথিবীতে দক্ষিন পন্থীরা ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসছে। এখ কি করণীয় সেইটা বলুন।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ মার্চ ২০১৭ ১৩:১০365419
  • ৫ রাজ্যে ভোট শেষ হল। আজকাল বহুদিন ধরে ভোট হয়, শেষ যেন হতেই চায় না। যাই হোক, ২ রাজ্যে বিজেপি, আর ৩ রাজ্যে কংগ্রেস জিতেছে। বেসিক্যালি, ব্যাক টু দ্য টু মেজর পার্টিস।

    উত্তরপ্রদেশে - বিজেপি ৩.৪ কোটি (৩৯%) ভোট, আর, অখিলেশ/রাহুল/মায়াবতী মিলে ৩.৭ কোটি (৪৪%)। বিরোধী ভোট ভাগের সুবিধা পেয়েছে বিজেপি। যদিও এমনিতে রেজাল্ট দেখলে ( বিজেপি ৩২৫ / ৪০৩) সেটা বোঝা মুশকিল।

    পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য কংগ্রেসের যা বাকী আছে এবার সেটুকু তৃণমূলে মিশে যাবে হয়ত।
  • sm | 53.251.91.176 | ১২ মার্চ ২০১৭ ১৩:১৩365421
  • বামেরা মারাত্মক শোচনীয় ফল করেছে ইউপিতে ।১৪০ প্রার্থীর অধিকাংশের জামানত বাজেয়াপ্ত।অথচ কয়েক বছর আগে ২০ -৩০ টা সিটে জয়ী ছিল বা নির্ণায়ক ভূমিকায় ছিল।
    নিজেদের ফোঁড়া কাটিয়ে অন্যের সমালোচনা করলে হতো না?
    কেরালায় তো বামেরা যাবে যাবে করছে। বি জে পি ই বামেদের হাল কয়েক বছরের মধ্যে ইউ পির স্টেজে নিয়ে আসবে। একটু ধৈর্য্য ধরুন দাদা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন