এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ঋতব্রত ও সংশয়

    তাপস
    অন্যান্য | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৫৬৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ? | 133.242.242.16 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৮:০৮369638
  • sm এর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ ভালো লাগল না- ওনার সঙ্গে মতবিরোধ থাকতেই পারে কিন্তু তার জন্য উনি কি সেটা আনার কি দরকার।
  • তবে | 233.176.50.32 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৮:৩৬369639
  • sm যখন কাউকে হাফপ্প্যান্ট কাউকে ভাঁড় বলে গালাগালি করে তখন সেইটা খুব ভাল লাগে।
  • তাই | 88.109.23.1 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৯:১১369640
  • sm কে দুলিরাম বললে ভালো লাগে না কার?
  • PT | 213.110.242.23 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২০:১৬369641
  • যেসব তথ্য অন্তর্জালেই পাওয়া যায় সেসব জেনে নিয়ে তক্কে নামলেই হয়ঃ
    It should not be merely excellence in a particular field, but the criteria has to be “excellence plus”.
    *****Persons selected for the awards are subjected to verification by the investigating agencies of the Government with a view to ensuring that their character and antecedents are above board.*******
    http://padmaawards.gov.in/SelectionGuidelines.aspx
  • sm | 52.110.181.248 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২০:৩৯369642
  • এইসব হাবি জাবি লিংক না দিয়ে কে কে পদ্মশ্রী পেয়েছে চোখ বললেই হয়।কমিটির ওপর বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে।
    ঋত্বিক ঘটক -মদ ছুঁতেন না।
    অমিতাভ বচ্চন-কি যেন কেলেঙ্কারি!
    মোহম্মদ আজারুদ্দিন-কি যেন ম্যাচ ফিক্সিং।
    ওম পুরি -ভদ্রলোক।
    আপনার প্রিয় তৃপ্তি মিত্র ও আরো অনেকে।
  • lcm | 109.0.80.158 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২০:৫২369643
  • ধুতি খুবই সেনসিটিভ -- তাই ধরে টান মারলে কি হয় দেখাই যাচ্ছে। লুঙ্গি বা ব্লেজার টানলে আজ এমন হত না।
  • PT | 213.110.242.22 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২১:৫৯369644
  • যে নামের তালিকা দেখা গেল তাতে মনে হয় যে ঐ সব মানুষদের "excellence plus" তাঁদের "character and antecedents"-এর চাইতে পাল্লায় অনেক অনেক বেশী ভারী ছিল!!
  • sm | 52.110.181.248 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২২:১২369645
  • অপর্ণা সেন ও আছে।
    নন্দীগ্রাম নিয়ে ওনার অনেক বক্তব্য আছে।ভারী অমায়িক ।
    হাসিটা তো প্রাণ কেড়ে নেয়!
    অরে চোখ বোলান না মহায়। আরো প্রচুর এক্সেলেন্স খুঁজে পাবেন।
  • PT | 213.110.242.22 | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২৩:১৪369646
  • একি অদ্ভুত কথা।
    নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে অপর্ণা যাই বলুন সেটা কি করে ,"character and antecedents are above board"-এর বিরুদ্ধে যায়?
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৪২369648
  • নন্ন্দীগ্রাম নিয়ে অপর্ণা কিছু মিথ্যাচার করেছিলেন, শিশুহত্যার ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়েছিলেন। মিথ্যাবাদিতা তো চারিত্রিক ত্রুটি হিসাবেই ধরা হয়। এছাড়া সারদা তদন্তেও ওনার নাম জড়িয়েছিল, যতদূর মনে পড়ছে
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:০৯369649
  • 'বিশেষ করে জীবনচর্চার ব্যাপারটা নিয়ে অনেকেই মুখ খুলছেন। ঋত নেতা। কিন্তু যাঁরা সে অর্থে সিপিএমের নেতা নন, কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিপিএমের সমর্থনে প্রায়শ সোচ্চার হন, তাঁরা কি আইফোন ব্যবহারে বিরত থাকবেন? কিংবা তার শো অফে? এটা খোঁচা মারা নয়, জীবনচর্চার ব্যাপার নিয়ে আমি রীতিমতো সংশয়ী। সেই সংশয়ে কি অন্যরাও ভোগেন? যাঁরা মুখ খুলেছেন, এবং এখনো মুখ খোলেননি, তাঁরা কী ভাবছেন, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসু'

    - সিপিএম দলের সাথে কোন সম্পর্ক না থাকলেও (সুদূর অতীতে, ছাত্রবয়সে, কিছু সিপিএম পার্টি মেম্বার/সমর্থক্দের সাথে কাজ করেছিলাম, দ্যাটস অল) মানুষ হিসাবেই, তাপসের মত আমিও সংশয়ী, এ ব্যাপারে। সিপিএম-এর মধ্যেও বুদ্ধবাবু যেমন দু কামরার ভাড়ার ফ্ল্যাটেই থেকে গেলেন, বিমান তো সংসারই করলেন না, আলিমুদ্দিনের কমিউনে একটা ঘরেই জীবন কেটে গেল, আবার জ্যোতিবাবু অবসর নিয়েও প্রশস্ত ইন্দিরা ভবন ছাড়লেন না - এসবে কি সত্যিই কিছু যায় আসে? ৭০-এর দশক অব্দি নিজেদের ডি-ক্লাস করার একটা চেষ্টা কম্যুনিশ্ট পার্টির অনেকেরই ছিল, শহুরে ছেলেমেয়েরা গ্রামে গেছে আন্দোলন গড়ে তুলতে, চাষীর জীবনের অংশীদার হওয়াও একটা লক্ষ্য ছিল, নকশাল মুভমেন্টের সময় এটার তুঙ্গ মূহূর্ত বলা যেতে পারে।

    অনতিঅতীতে কাগজে/গুচতে পড়েছিলাম,কিছু মধ্যবিত্ত/উচ্চবিত্ত ছেলেমেয়ের কথা, নাম মনে পড়ছে না, যারা স্বেচ্ছায় ভারতের দরিদ্রতম মানুষদের সাথে থাকছে কিছু দিন, তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের কষ্ট, যন্ত্রণা, হয়ত কিছু ছোটখাট সুখের মূহুর্তও, নিজের জীবনে অনুভব করার জন্য।

    কিন্তু এটা তো সার্বজনীন কোন ট্রেন্ড হতে পারে না। ব্যক্তি মানুষের নিজস্ব আশা আকঙ্খাও থাকবে, সাধ আহ্লাদ থাকবে, দামী ক্যামেরা/লেন্স, সেল ফোন এসব নিয়ে গুরুতে কথা হয়েছে অতীতে, বা দামী গাড়ি, ফ্ল্যাট কেনা নিজের জন্য, পরিবারের জন্য - এসব তো থাকবেই। এইসব পার্থিব চাহিদা, কেউ এটাকে ভোগ বিলাস বলে অভিহিত করতেই পারেন, এসব মিটিয়েও একই ব্যক্তি যদি অন্য মানুষের জন্যেও কিছু করেন - সময় দিয়ে হোক, বা আর্থিক সাহায্য, কোন ভাবে অন্যের কিছু উপকারে আসেন, সেটাই কি যথেশ্ট প্রাপ্তি নয়?
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:১০369650
  • তাপস-কে মিস করি। আগের মত নিয়মিত লিখলে খুবই খুশী হব।
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:২৩369651
  • এ নিয়ে অন্যরা কি ভাবেন , জানতে ইচ্ছে হয়। সি এম বোধহয় একসময় লিখেছিলেন, আয়ের উর্দ্ধসীমা জারির কথা।

    ব্যক্তিগত শখ, সৌখিনতা, 'বিলাসিতা' নিয়ে কি মনে করেন?
  • PT | 213.110.242.25 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:২৯369652
  • তক্ক করার আগে সময়কাল খেয়াল রাখলে ভাল হয়। অপর্ণা পদ্মশ্রী পেয়েছেন ১৯৮৭-তে। নন্দীগ্রাম নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন এর অনেক পরে আর সারদায় নাম জড়িয়েছে আরো পরে।
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:৩৬369653
  • সেই। পদ্মশ্রী-টা তাহলে ফেরত নেওয়া উচিত, "character and antecedents are above board" - এখন যেহেতু আর বলা চলে না
  • lcm | 109.0.80.158 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৩369654
  • একটা ইউটিউব ভিডিও ক্লিপ দেখলাম, তাতে বলছে তিনটে কারণে নাকি ঋতব্রত-কে বহিষ্কার করেছে সিপিএম -
    ১) জয় হিন্দ বলার জন্য
    ২) অ্যাপ্‌ল্‌ ওয়াচ
    ৩) একটা পেন (মাঝে মাঝে আবার পেনটা বের করে দেখাচ্ছে)

  • lcm | 109.0.80.158 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৬369655
  • হ্যা হ্যা, এই ভিডিও-তে সুনীত চোপরা নামের এক ভদ্রলোককে একনাগাড়ে আর একজন প্রেম চোপরা বলে গেল।
  • | 57.15.5.239 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:০৩369656
  • আপেল শুধু,
    আদম
    নিউটন
    স্টিভ জোবস কেই বিখ্যাত করেছে তা নয়।
    #অরাজনৈতিক
  • pi | 57.29.238.170 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৩:১৭369659
  • আর মামুর পোস্টটাও রইল। ঃ)

    'ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বললেই আমার এবারের বিধানসভা ভোটের গোণাগুনতির দিনের কথা মনে পড়ে। ভারতের সাতসকালে ঠিভি খুলে বসেছি। এবিপি আনন্দের স্টুডিওতে জ্বলজ্বল করছেন ঋতব্রত বন্দ্যো। সঙ্গে এক তৃণমূলের ভদ্রলোক। নাম ভুলে গেছি। তিনি প্রচন্ড বিনয়ী, এবং সর্বক্ষণ অসম্ভব অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন।

    ভোট গণনা শুরু হল। তৃণমূল সব জায়গাতেই বহুবহু ভোটে এগিয়ে।

    তৃণঃ দিদি জিতছেন, এ তো বোঝাই যাচ্ছে।
    ঋতঃ (খুবই গম্ভীর মুখে) পোস্টাল ব্যালট কাকে বলে বোঝেন? দুই রাউন্ডের আগে কিছু বলবেন না। জাস্ট মুখ খুলবেননা।
    তৃণঃ ভুল হয়ে গেছে, মাপ করবেন। জানেন, আমি ফেসবুকে একটা পোস্ট করেছিলাম, সেখানে লিখেছি দিদি জিতবেই। আপনারা যদি দেখেন তো জানবেন।।। (অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা)।
    ঋতঃ (দাঁত খিঁচিয়ে) একদম চুপ করে থাকুন। কয়েক রাউন্ড হলে টের পাবেন কী করব।

    খানিক বাদে।

    তৃণঃ এবার তো পোস্টাল ব্যালট হয়ে গেছে। দিদি জিতছেন, বোঝাই যাচ্ছে।
    ঋতঃ (মাছি তাড়ানো ভঙ্গীতে হাত নাড়িয়ে) ভোটের কিছু বোঝেন? প্রাথমিক ট্রেন্ডে কিছু বোঝা যায়না। এই তো একটু আগে দেখাচ্ছিল দক্ষিণ দিনাজপুরে আমরা পিছিয়ে এখন সব কটাতেই এগিয়ে। আর আধ ঘন্টার আগে কিছু বলবেন না।
    তৃণঃ হ্যাঁ হ্যাঁ মাপ করবেন। তবে বাংলার মানুষের কাছে দিদি হাত জোড় করে দাঁড়িয়েছেন।।। (আবার অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা)।
    ঋতঃ চুপ চুপ। আপনি একদম বাজে বকবেন না। আধ ঘন্টা বাদে আপনার।।।

    আধ ঘন্টা পরে। তৃণমূল তখনও একি ভাবে এগিয়ে।

    তৃণঃ এবার তো দিদি জিতছেন নাকি? (ভাবখানা এরকম, যেন এবার পারমিশন দিন)
    ঋতঃ আরে দাঁড়ান না। পলিটিক্সের তো কিছুই বোঝেন না।

    এবং সব শেষে। ঘন্টা দুই বাদে। যখন তৃণমূলের জয় নিশ্চিত।

    তৃণঃ আমি সবার জন্য লজেন্স এনেছি। টফি আর কি। সবাই মিষ্টিমুখ করবেন?
    ঋত গম্ভীর মুখে টফি নিলেন। পলিটিক্স তো কিছুই বোঝেন না, যান-যান ট্রেনে গিয়ে টফি বেচুন, এরকম হাবভাব।

    (টফির গপ্পোটা ১০০% সত্যি। বাকি ডায়লগগুলো আমি টেপ করে রাখিনি, ফলে যেরকম মনে পড়ল, তেমনই লিখলাম, ভুল হবার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু কম্পোজিশনটা এরকই ছিল)।

    কালকে অর্ণব-ঋতব্রত যুগলবন্দী দেখতে দেখতে, এই ঘটনাটার কথা মনে পড়ছিল। সেই একই আত্মবিশ্বাস, সেই একই গলার জোর। সিপিএমের যাঁরা ঋতকে খিল্লি করছেন, ভেবে দেখুন, আমাদের কতো বছর ধরে শুনতে বাধ্য করেছেন বুদ্ধবাবু। তিনি তো নিজের হাতেই নাকি লালন-পালন করেছেন। এরপরও সিপিএম যে কিছু সিট জিতেছিল, এটাই বিস্ময়কর।

    পুঃ ইহা খিল্লি পোস্ট। রাজনৈতিক নহে।'
  • s | 108.209.202.160 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২৩:২২369660
  • ঋতব্রতকে ঠিক কি জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল সেটাই আমার কাছে এখনও ক্লিয়ার নয়।
    মিডিয়ার থেকে একাধিক বিষয় সামনে আসছে, কিন্তু সঠিক কারণটা কি তা এখনও ধোঁয়াশা।
    - আপেল ঘড়ি
    - মঁ ব্লাঁ পেন
    - বিলাসবহুল জীবনযাত্রা (যেমন স্বাদু খাবার খেতে চাওয়া বা এসি গাড়ী চড়তে চাওয়া)
    - ১৯ জন মহিলার অভিযোগ (এগুলোর কোন বিষদ বিবরণ নেই, পুলিশেও অভিযোগ করা হয় নি, কিন্তু যেহেতু পার্টির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, অতএব অভিযুক্তই দোষী)
    - জয় হিন্দ পোস্ট
    - অন্যান্য দলের নেতাদের সাথে (মূলত বিজেপী) মেলামেশা
    - পার্লামেন্টে সুবক্তা হিসাবে সুনাম ও বহু বিতর্কে অংশগ্রহনের কারণে ঈর্ষা (এটা ঋতর নিজস্ব মত)
    - জনৈক সমর্থকের কোম্পানির এইচারকে লেখা চিঠি (ঋতর কথা অনুসারে পরে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন)
    - আর কিছু?

    তবে ঋতর বক্তব্য অনুসারে আগে সাসপেন্ড করে পরে তদন্ত কমিশন বসানোটা হাস্যকর এটা ঠিক না। এটাই প্রচলিত প্রথা।
  • s | 108.209.202.160 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২৩:২৯369662
  • ফেসবুকে তমাল দাশগুপ্তর পোস্ট।

    ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে দুয়েকটা কথা যা আমি জানি।

    এক, কেশপুর চমকাইতলার সময়ে ঋতর ছাত্র রাজনীতিতে উত্থান। মমতা বলেছিলেন, কেশপুরকে সিপিএমের শেষপুর করে দেবেন। জ্যোতি বসু সম্ভবত বাংলার সর্বকালের সবথেকে ঘৃণিত মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছিলেন, রাস্তা ঘাটে সর্বত্র গালাগাল খেতেন। সেসময় মমতার বাড়ির থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ঋত এস এফ আই করতে শুরু করেন। পুলিস পাহারায় ঋত কলেজে ঢুকতেন, এবং পুলিস প্রহরা নিয়ে বেরোতেন। সেসময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ স্লোগান দিত, এস এফ আইয়ের চামড়া, ছাড়িয়ে নেব আমরা। ক্যান্টিনে মদ বিক্রি হচ্ছিল, এবং করিডরগুলো বহিরাগত গুণ্ডাদের হাতে। ঋতকে দেখে যারা ভাবছেন, ক্ষমতার দুধ ঘি খেতেই আগমন, ভুল করছেন। এ ছেলেটা লড়তে জানত, এবং এখনও সম্ভবত জানে।

    দুই, হাজরা মোড়ে, আশুতোষ কলেজে একটা লবি থাবা বসাচ্ছিল। নিতান্তই এস এফ আইয়ের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধরে নিন, কিন্তু আজকে সেলিম লবির বিরুদ্ধে লড়াই করে যে ঋতব্রত সংবাদ শিরোনামে এলেন, সেদিনও কিন্তু খিদিরপুরের মুসলমান মাফিয়াদের লবির বিরুদ্ধে লড়তে দেখেছি।

    তিন, ঋতব্রত যে জানিয়েছেন, তিনি প্রাণের ভয় পাচ্ছেন, কথাটা ভীতু বলে বলেছেন, এমনটা আমার মনে হয় না। সিপিএমের এবং তৃণমূলের জেহাদী লবি প্রায়শই এককাট্টা। এটা আমি বিশেষ করে কলকাতার তথাকথিত ইন্টেলেকচুয়াল মহলে দেখেছি। যে দিনের বেলায় সিপিএমী ইন্টেলেকচুয়াল, সে ব্যক্তিই সন্ধেবেলায় পেট্রো ডলার পুষ্ট মহলের আড্ডায় বসে মদ্যপান করে।

    চার, ঋত সম্পর্কে নারদা বা সারদা, এসব কিচ্ছু বলা যাচ্ছে না। ওর অ্যাপল ফোন আর পার্কার পেন কোন কর্পোরেটের ঘুষের টাকায়, কেউ বলতে পারছেন না। একদা সিপিএমের নেতারা নতুন পাঞ্জাবি কিনে সেটা ছিঁড়ে পরতেন, যথেষ্ট পরিমাণে প্রলেতারীয় দেখানোর জন্য, গন আর দোজ ডেজ। ঋত সম্পর্কে কি বলা হচ্ছে? উনিশটি মেয়ে। কোথায় সেই উনিশটি মেয়ে? তাদের অভিযোগ কি? ঋতর স্ত্রীর সঙ্গে তো ঋতর ডাইভোর্স হয়ে গেছে, তিনি নতুন অভিযোগ করছেন নাকি? ওই উনিশজন কারা? যাদবপুরের বামজেহাদী কমরেডদের নামে তো বারো মাসে অন্তত বারোটা নারীনির্যাতনের অভিযোগ জমা পড়ে। ঋতর বিরুদ্ধে কোন কোন সিপিএমের মহিলা ব্রিগেড অভিযোগ করলেন, আমরা জানতে পারছি না কেন? শেয়ালের কুমীরছানা দেখানোর ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে না এটা?

    পাঁচ, ঋতর প্লেন ট্রাভেল। আর কিছু না পেয়ে এটাই বলা হচ্ছে, সর্বোচ্চ টাকা খরচা করেছে প্লেন ফেয়ারে। হ্যাঁ, ঋত খুবই ঘন ঘন কলকাতা দিল্লি করেন। মনে রাখবেন ভারতে পার্লামেন্টে সবথেকে বেশি এম পি পাঠায় বিহার ইউপি, এবং পাটনা লখনৌ যেতে প্লেনের খরচা বেশি হয় না। ঋতর পরেই ডি রাজা। দক্ষিণ ভারত যেতে খরচা হয় বটে। দিল্লি এমন স্থানে অবস্থিত, যে উত্তর ভারতের কোনও জায়গা তো খুব একটা দূরে নয়ই, এমনকি দিল্লি-মুম্বাই দূরত্বও কিন্তু দিল্লি-কলকাতা দূরত্বের তুলনায় বেশ কম। কিন্তু এখানে একটা বড় ব্যাপার এড়িয়ে যাচ্ছেন কলকাতার মিডিয়া মহল, সেটা অবশ্যই জেহাদী সেলিমের নির্দেশেই করছেন। ঋতর কলকাতা যাওয়ার প্লেনফেয়ার এক একবারে উনপঞ্চাশ হাজার, এ টাকাটা কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়াই পাচ্ছে। এবং এয়ার ইন্ডিয়ার এল টি সি টিকিট অত্যন্ত দামী হয়। আমরা গরিব অধ্যাপকরা দুবছরে একটা সপরিবার এল টি সি পাই। ইকোনমি ক্লাসের এয়ার ইন্ডিয়া বা অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সাধারণ টিকিট দিল্লি থেকে কলকাতা আপনি পাঁচ হাজারে পাবেন। এল টি সি টিকিট কাটলে সেটাই অন্তত চোদ্দ-পনেরো হাজার। তিনজনের ফ্যামিলির আসা যাওয়ার টিকিট কাটলে কিরকম দাঁড়াবে ভাবলেই আতঙ্ক। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসররা পান বিজনেস ক্লাসের, এম পি হিসেবে ঋতও নিশ্চয়ই তাই পান।

    ঋতব্রত নিজেকে বাঁচাতেই বিদ্রোহ করেছেন, সেলিম-নিয়ন্ত্রিত বঙ্গ/কলকাতা সিপিএমে মানসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু মার্ক্সীয় অবস্থান থেকে ইসলামিক জেহাদীদের স্পষ্ট বিরোধিতা করার কাজটা এতদিন যে ভারতে হয়নি, সেটাই তো আশ্চর্যের।

    কার্ল মার্ক্স নিজেই তো প্রচণ্ড ইসলাম-বিরোধী ছিলেন। লিখে গেছেনঃ

    "কোরান এবং তা থেকে উদ্ভূত মুসলমানি আইন বিভিন্ন জনমানুষের নিজস্ব ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক সত্ত্বাকে নামিয়ে আনে এক সুবিধাবাদী দ্বি-জাতীয় ও দ্বি-দেশীয় বিভেদেঃ যারা ইসলামে বিশ্বাসী, আর যারা অবিশ্বাসী বা কাফের। অবিশ্বাসী বা কাফের হল হার্বি, বা শত্রু। ইসলামিজম কাফেরদের জাতিকে নিষিদ্ধ করে, যার ফলে এক চিরস্থায়ী শত্রুতা তৈরি হয় মুসলমান ও অবিশ্বাসীর মধ্যে।" (অন দ্য ইস্টার্ন কোয়েশ্চন নামক প্রবন্ধ। লেখাটা মার্ক্সিস্ট ডট অর্গ সাইটে পাবেন, এই লিঙ্কে যান - http://www.marxists.org/archive/marx/works/1854/03/28.htm
  • s | 108.209.202.160 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২৩:২৯369661
  • ফেসবুকে তমাল দাশগুপ্তর পোস্ট।

    ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে দুয়েকটা কথা যা আমি জানি।

    এক, কেশপুর চমকাইতলার সময়ে ঋতর ছাত্র রাজনীতিতে উত্থান। মমতা বলেছিলেন, কেশপুরকে সিপিএমের শেষপুর করে দেবেন। জ্যোতি বসু সম্ভবত বাংলার সর্বকালের সবথেকে ঘৃণিত মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছিলেন, রাস্তা ঘাটে সর্বত্র গালাগাল খেতেন। সেসময় মমতার বাড়ির থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ঋত এস এফ আই করতে শুরু করেন। পুলিস পাহারায় ঋত কলেজে ঢুকতেন, এবং পুলিস প্রহরা নিয়ে বেরোতেন। সেসময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ স্লোগান দিত, এস এফ আইয়ের চামড়া, ছাড়িয়ে নেব আমরা। ক্যান্টিনে মদ বিক্রি হচ্ছিল, এবং করিডরগুলো বহিরাগত গুণ্ডাদের হাতে। ঋতকে দেখে যারা ভাবছেন, ক্ষমতার দুধ ঘি খেতেই আগমন, ভুল করছেন। এ ছেলেটা লড়তে জানত, এবং এখনও সম্ভবত জানে।

    দুই, হাজরা মোড়ে, আশুতোষ কলেজে একটা লবি থাবা বসাচ্ছিল। নিতান্তই এস এফ আইয়ের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধরে নিন, কিন্তু আজকে সেলিম লবির বিরুদ্ধে লড়াই করে যে ঋতব্রত সংবাদ শিরোনামে এলেন, সেদিনও কিন্তু খিদিরপুরের মুসলমান মাফিয়াদের লবির বিরুদ্ধে লড়তে দেখেছি।

    তিন, ঋতব্রত যে জানিয়েছেন, তিনি প্রাণের ভয় পাচ্ছেন, কথাটা ভীতু বলে বলেছেন, এমনটা আমার মনে হয় না। সিপিএমের এবং তৃণমূলের জেহাদী লবি প্রায়শই এককাট্টা। এটা আমি বিশেষ করে কলকাতার তথাকথিত ইন্টেলেকচুয়াল মহলে দেখেছি। যে দিনের বেলায় সিপিএমী ইন্টেলেকচুয়াল, সে ব্যক্তিই সন্ধেবেলায় পেট্রো ডলার পুষ্ট মহলের আড্ডায় বসে মদ্যপান করে।

    চার, ঋত সম্পর্কে নারদা বা সারদা, এসব কিচ্ছু বলা যাচ্ছে না। ওর অ্যাপল ফোন আর পার্কার পেন কোন কর্পোরেটের ঘুষের টাকায়, কেউ বলতে পারছেন না। একদা সিপিএমের নেতারা নতুন পাঞ্জাবি কিনে সেটা ছিঁড়ে পরতেন, যথেষ্ট পরিমাণে প্রলেতারীয় দেখানোর জন্য, গন আর দোজ ডেজ। ঋত সম্পর্কে কি বলা হচ্ছে? উনিশটি মেয়ে। কোথায় সেই উনিশটি মেয়ে? তাদের অভিযোগ কি? ঋতর স্ত্রীর সঙ্গে তো ঋতর ডাইভোর্স হয়ে গেছে, তিনি নতুন অভিযোগ করছেন নাকি? ওই উনিশজন কারা? যাদবপুরের বামজেহাদী কমরেডদের নামে তো বারো মাসে অন্তত বারোটা নারীনির্যাতনের অভিযোগ জমা পড়ে। ঋতর বিরুদ্ধে কোন কোন সিপিএমের মহিলা ব্রিগেড অভিযোগ করলেন, আমরা জানতে পারছি না কেন? শেয়ালের কুমীরছানা দেখানোর ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে না এটা?

    পাঁচ, ঋতর প্লেন ট্রাভেল। আর কিছু না পেয়ে এটাই বলা হচ্ছে, সর্বোচ্চ টাকা খরচা করেছে প্লেন ফেয়ারে। হ্যাঁ, ঋত খুবই ঘন ঘন কলকাতা দিল্লি করেন। মনে রাখবেন ভারতে পার্লামেন্টে সবথেকে বেশি এম পি পাঠায় বিহার ইউপি, এবং পাটনা লখনৌ যেতে প্লেনের খরচা বেশি হয় না। ঋতর পরেই ডি রাজা। দক্ষিণ ভারত যেতে খরচা হয় বটে। দিল্লি এমন স্থানে অবস্থিত, যে উত্তর ভারতের কোনও জায়গা তো খুব একটা দূরে নয়ই, এমনকি দিল্লি-মুম্বাই দূরত্বও কিন্তু দিল্লি-কলকাতা দূরত্বের তুলনায় বেশ কম। কিন্তু এখানে একটা বড় ব্যাপার এড়িয়ে যাচ্ছেন কলকাতার মিডিয়া মহল, সেটা অবশ্যই জেহাদী সেলিমের নির্দেশেই করছেন। ঋতর কলকাতা যাওয়ার প্লেনফেয়ার এক একবারে উনপঞ্চাশ হাজার, এ টাকাটা কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়াই পাচ্ছে। এবং এয়ার ইন্ডিয়ার এল টি সি টিকিট অত্যন্ত দামী হয়। আমরা গরিব অধ্যাপকরা দুবছরে একটা সপরিবার এল টি সি পাই। ইকোনমি ক্লাসের এয়ার ইন্ডিয়া বা অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সাধারণ টিকিট দিল্লি থেকে কলকাতা আপনি পাঁচ হাজারে পাবেন। এল টি সি টিকিট কাটলে সেটাই অন্তত চোদ্দ-পনেরো হাজার। তিনজনের ফ্যামিলির আসা যাওয়ার টিকিট কাটলে কিরকম দাঁড়াবে ভাবলেই আতঙ্ক। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসররা পান বিজনেস ক্লাসের, এম পি হিসেবে ঋতও নিশ্চয়ই তাই পান।

    ঋতব্রত নিজেকে বাঁচাতেই বিদ্রোহ করেছেন, সেলিম-নিয়ন্ত্রিত বঙ্গ/কলকাতা সিপিএমে মানসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু মার্ক্সীয় অবস্থান থেকে ইসলামিক জেহাদীদের স্পষ্ট বিরোধিতা করার কাজটা এতদিন যে ভারতে হয়নি, সেটাই তো আশ্চর্যের।

    কার্ল মার্ক্স নিজেই তো প্রচণ্ড ইসলাম-বিরোধী ছিলেন। লিখে গেছেনঃ

    "কোরান এবং তা থেকে উদ্ভূত মুসলমানি আইন বিভিন্ন জনমানুষের নিজস্ব ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক সত্ত্বাকে নামিয়ে আনে এক সুবিধাবাদী দ্বি-জাতীয় ও দ্বি-দেশীয় বিভেদেঃ যারা ইসলামে বিশ্বাসী, আর যারা অবিশ্বাসী বা কাফের। অবিশ্বাসী বা কাফের হল হার্বি, বা শত্রু। ইসলামিজম কাফেরদের জাতিকে নিষিদ্ধ করে, যার ফলে এক চিরস্থায়ী শত্রুতা তৈরি হয় মুসলমান ও অবিশ্বাসীর মধ্যে।" (অন দ্য ইস্টার্ন কোয়েশ্চন নামক প্রবন্ধ। লেখাটা মার্ক্সিস্ট ডট অর্গ সাইটে পাবেন, এই লিঙ্কে যান - http://www.marxists.org/archive/marx/works/1854/03/28.htm
  • B | 127.194.31.143 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৩৫369663
  • তমাল দাশগুপ্তের ফেসবুক পোস্টের শেষাংশ আলোচনার বিষয়বস্তুর অভিমুখ একটি নির্দ্দিষ্ট দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।

    বেশ অবাক লাগলো এটা দেখে যে, যে ব্যক্তি সেলিম ও সেলিমপুত্রের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর সরব সেই একই ব্যক্তি রবীন দেব সম্বন্ধে এতটা নীরবতা পালন করছে কেন?

    নাকি সে নিঃশব্দতা হিরণ্ময়?
  • পাই | 57.29.213.102 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:২১369664
  • উফ, তমাল দাশগুপ্ত! এর মত মুসলিমবিদ্বেষী, রীতিমত হেট পোস্ট দেওয়া লোক কমই আছে!

    আর ইনি আশুতোষ নিয়ে যা লিখেছেন, সেগুলো যে ভুলভাল, সেও আশুতোষের সেইসময়ের অনেকেই অনেক জায়গায় লিখেছে।
  • cm | 127.247.98.232 | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২০:১৪369665
  • জীবনচর্চা নিয়ে সংশয় আমারো রয়েছে। তবে কোন বিষয়টা নিয়েই আর খোলামনে কথা হয়!
  • h | 194.185.177.155 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৫৩369666
  • রোবু র ফেবু পেজে আমি যা লিখেছি, মোটামুটি আবর পেস্ট করে দিলাম। কনটেক্স্ট এই যে আর্কাদি গাইদার এর প্রোফাইলে আবেহমথিত একটি লেখা হয়, খুব সুন্দর লেখা এমনিএ, যে মাণিক সরকার খুব সাধারণ জীবন যাপন লেখক কে অনুপ্রেরণা যোগায়। প্রসঙ্গ ছিল ছাঅত্র নেতার জীবন যাপন ....

    "
    এমনি খুব ই আবেগমথিত এখা, মানুষ কে কষ্ট দিতে ইচ্ছে করে না, কিন্তু সিনিকাল না হয়েও বলা যায়, এই ধরুন সবাই স্পার্টান হল, এবং কেবলি যুদ্ধু যুদ্ধু ভাব, তাতে কি উপকার কি হবে। এই যে মাওবাদী রা, কত বিশুদ্ধ, রাত্তির বেলা জঙ্গলে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু কি উপকার, মানে গণাঅদালত, অসংখ্যত নাশকতা, শত্রু সন্দেহে খুন, এই দায় গুলো আন্ডারওয়ার নিজে কাচলে উড়ে যাবে? আচ্ছা মাওবাদী একটু এক্সট্রীম উদা হয়ে গেল, ধরুণ আর এস এস। কোনো সেক্স স্ক্যান্ডাল নেই, খুব ই ভালো লোক, প্রচুর সংস্কৃত পড়া, হয়তো পুজো আচ্চাও করেন না, হয়তো প্রচন্ড বই টই পড়েন, গোলওয়ালকর নিয়মিত থ্রিলার পড়তেন, অতি নর্মাল লাইফ, কিন্তু তাতে কি উপকার? এই যে এক্জন নাকি ১৮ ঘন্টা কাজ, করেন, নবরাত্রি তে বিসলেরি র জল চাড়া কিসু পান করেন না, অন্তত আশি রকমের যোগ ব্যায়াম জানেন, মাঝে মাঝে একটু মুশারফ কে গালি দিতেন, আজকাল তাও দেন না, রেডিও ছাড়া কাউকে মনের কথা খুলে বলেন ও না, কিন্তু লাভ কি হল?
    আসলে ব্যক্তিগত জীবন যাপনে আনরিজনেবল এক্সপেক্টেশন রেখে লাভ নেই। বিনয় চৌধুরী আই প্যাড ব্যবহার করতেন না, তাতে কি হয়েছে টা কি? তাতে কি সিপিএম একটা যুগান্তকারী দল হয়ে গেছে? তাতে হয় নি, ল্যান্ড রিফর্ম টা করে বিখ্যাত হয়েছে, যে যে জায়গায় সেল্ফ সাস্টেনিং কৃষি মূল অর্থনৈতিক অ্যাক্টিভিটি ছিল, সেখানে জনসমর্থন পেয়েছে, তার ভারে বাকি জায়্গা কেটেছে, আর্বানাইজেশন, পুরসভা গঠন এসব কিসু করেছে, তার সময় পেরিয়ে গেছে, অন্য দল এসেছে, সেটা জেনেরালি ননা পলিসির ফল নানা ট্রান্জিশন এর ফল, শুধুই সারদা নারদা না। দিদি প্রচন্ড ধপ দিছেন, ছবি এঁকে চালান, তা সত্ত্বেও টিঁকে আছেন, কারণ মানুষ সততার এই স্ট্যান্ডার্ড রিজেক্ট করেছে, অন্য নানা ফ্যাক্টর এসে গেছে, তার বিষদের স্কোপ এই আলোচনায় নেই। আমার পার্সোনাল জীবন যাপন টা কে খুব বড় কিসু বলে মনে হয় না, অ্যাবসার্ড রাম রহিম টাইপের কিসু না করলেই হল, এই যে মদন দা , মানুষ টা ভালোবেসে একটু বাংলা খেত ঃ-) খুব কি খারাপ ছিল, বাড়াবাড়ি হল, জেলে গেল। মূল বক্তব্য হল, লিগাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি। আমি বলবো, আজকাল এম এল এ, এম পি দের জীবন অনেক বেশি রেগুলেটেড, হিসেব টিসেব ক্লিয়ার, আর টি আই করা যায়, অবশ্যই জয়ললিতা মায়াবতী কেস আছে, কিন্তু সেখানে উপধৌকন এর সংস্কৃতি রয়েছে। কর্পোরেটে তো আর টি আই নেই, একটা চুরি আর নেপোটিজম এর খনি একেক্টা খনি। আমার তো এম পি এম এল এ যারা না, যারা ভাতা পায় না সরকারের কাছ থেকে তাদের নিয়ে বেশি চিন্তা।তারা এত গাড়ি টাড়ি পায় কি করে। , কথা যেটা পলিসি গুলো ঠিক ঠাক নিতে হবে। রাজনৈতিক ডিবেট টা ঠিক ঠাক করতে হবে। এবং বাজে প্রকরণে মন না দিয়ে ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন গুলো করে যেতে হবে। প্র্টিহিবীর সবচেয়ে বাজে দল হল বিজেপি, কিন্তু বিজেপিতে অসংখ্য সৎ লোক হয়তো আছেন, তাতে কি হয়েছে কি, মুসলমান দের ঘৃণা করা, দলিত দের ঘৃণা করা কি তাতে কমেছে? এই লেখাটা খুব সুন্দর এম্নিতে কিন্তু আমি এত কন্ট্রাস্ট দেখেছি, অবাক লাগে। ইউরোপে অসংখ্য প্রধান্মন্ত্রী রা পাব্লিক ট্রান্সপোর্টে আপিশ যায়, তাই বলে কি তারা ইরাকে বোম মারছে না, ওটা বড় কোন ইসু ই না। আমাদের দেশে পাব্লিক লাইফের ট্রান্সপেরেন্সীর স্ট্যন্ডার্ড , এক্সপেক্টেশন, এগুলো বদলানো উচিত। সবচেয়ে বড় কথা হল, অ্যাকাউন্টেবিলিটি এবং অডিট এর ভাষায় ট্রেসেবিলিটি। এই যে, শুভেচ্ছা জানিয়ে ভোটে খরচ খরচ করা হচ্ছে, এতে তো দিনে ডাকাতি হচ্ছে। এগুলো কে আট্কানোর রাস্তা থাকা উচিত। পাব্লিক ফাইনান্সিং দিয়ে সবটা আটকাবে কিনা জানা যায় না।
    "
    "জেনেরালি আমার রিতব্রতর এই ভূমিকাটা অসহ্য লেগেছে, যে তর্ক তাতেয় বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক কোন বক্তব্য ই নেই। এমনিতে বাচ্ছা ছেলে আই প্যাড ব্যবহার করলে হয়েছে টাকি, বক্তব্য অতি পাকা না জেনে বলা মনে হয়, তো সেটাকেই তো গুণ হিসেবে ধরা হয়েছে, সেটা কি তার দোষ। আর জানি না, টিপিকাল হয়তো লবি ধরে টপকে এগোনো র অভ্যেস আছে, যেটা কর্পোরেটে খুব ই বড় গুণ বলে ধরা হয় , সুতোরাং এখন আর সিপিএম কে প্রাক আধুনিক বলা উচিত নাঃ-))) আমার যেটা অবাক লেগেছে, এটা স্ল্যান্ডার ম্যাছ ছাড়া কিস্যু হয় নি। পার্টি বিভিন্ন ভাগের আমলের ডকুমেন্ট, তো ছেড়েই দে, একেবারে হালে সফি দা রা যখন ছেড়েছে, খুব বাজে লিখলেও, একটা পাল্টা থিসিস অন্তত দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। এখন তো সে সব কিসুই হচ্ছেনা। সিপিএম এর সমস্যা আছে, সকলে তাকে বলে স্তালিনিস্ত, তো সে গোমড়া মুখ করে দু চারতে খুন করে বিশুদ্ধ স্তালিনিস্ত হলে, লোকে তাকে বলে গণতান্ত্রিক না, আর যদি অসম্ভব কংগ্রেস্সীয় গণতান্ত্রিক , সস্কলেই নানা ফ্যাকশনে রয়েছে, সকলেই লিক করছে , সকলেই গ্রুব বাজি করেন, এরকম একটা করলেও খোরাক, তাও তার স্তালিনিস্ত নাম ঘুচবে না। প্রকৃত জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক হতে গেলে, তাকে কংগ্রেস বা বিজেপি র মত খুন করতে হবে বা পুলিশের গুলি ব্যবহার করতে হবে, এইটাই হয়তো দাবী। ঃ-) বিশুদ্ধতা অভিজানেও সেটাই স্ট্যান্ডার্ড। এগুলো ভাবা র এমনিতে দরকার নেই, রিয়েল ইসু তে রিয়েল এনগেজমেন্ট চলছে, ডি এম আপিশ অভিযান অন্তত একটা প্রোগ্রাম, তার মধ্যে এই ডিসট্রাকশন টা হাস্যকর প্রচেষ্টা। আর আরেকটা জিনিস ও খুব ইউনিক এবং অদ্ভুত লেগেছে, সেটা হল, অল্প বয়সী কর্মীরা নিজেদের মধ্যে প্রচন্ড স্ল্যান্ডার করছে, কখন করছে না যখন জেনেরালি বামপন্থা আক্রান্ত। এই প্রায়োরিটির কি অর্থ?এটা আমাদের সময়ে আর্লি এইটিজ তু মিড নাইন্টিজ এস এফ আই এ দেখি নি, যখন বিরোধিতা করেছি তখন ও। আমার অবশ্য বেশি বয়স হয় নি ঃ-) অবশ্য হাই কনজাম্পশন তখনো ছাত্র দের মধ্যে পৌছয় নি সেটা হতে পারে। আজ ধর বার্নি স্যান্ডার্স এর একটা সাপোর্টার আই প্যাড ব্যবহার না করলেই অবাক কান্ড, সে কন্ট্রিবিউট করবে কি করে। হ্যা আমাদের দেশ গরীব সব ই ঠিক আছে, কিন্তু হোয়ার ইজ দ্য রিয়েল ডিবেট। আর সবচেয়ে হাস্য়্কর হল, কমিউনিস্ট পার্টির বিভিন্ন জেনেরেশনের ছাত্র যুব নেতাদের মধ্যে কনফ্লিক্ট, আর কদ্দিন বাওয়া একটা দলিত, অসংগঠিক শ্রমিক বা কৃষক ফ্রন্টের নেতা বা মহিলা নেতা প্রথম সারিতে আসবে। এতো ওয়েটিং ফর গোদো শুধু না, কন্টিনিউআসলি সি ইং পোদো হয়ে যাচ্ছে মাইরি।"
  • h | 194.185.177.155 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১১369667
  • জেনেরালি একটা অবসারভেশন হল, বুদ্ধ ভট্টাচার্য্য ২০০৬ এর জয়ের অল্প আগে থেকেই , একটা আনন্দবাজারের বা মিডিয়ার অ্যানালিসিসের টার্ম্স এ কথা বলা, পার্টির নেতাদের একটা অভ্যেশ। সেই অভ্যেস ই এই কেরল লাইন বেঙ্গল লাইন , বাংআ কেন্দ্রীয় পার্টির কাছে বঞ্চিত এরকম একটা গল্প চলছে। এটা আমার বিরক্ত লাগে। মূল বিষয়্টা হল, রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে কথা না বলে বাজে ব্যক্তিকেন্দ্রিক নাটকীয়তার গল্পে সাবস্ক্রাইব করা এবং পার্টিসিপেট করা। এই রোগ থেকে কোন পার্টির কোন নেতাদের ই মুক্তি নেই যতক্ষন না তারা নিজের ভাবনা চিন্তা গুলো কে দেশের বিভিন্ন কনট্রাডিকশনের মধ্যে থেকেও একটা অলটার নেটিভ এর কথা বলতে পারে।
  • h | 194.185.177.155 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১৭369668
  • ঋতব্রতর ক্ষেত্রে যেটা আমার খারাপ লেগেছে, সেটা হল, দ্য ভিশাস নেচার অফ স্ল্যান্ডার, পক্ষ্ব এবং বিপক্ষে। আরেকটা হল, মিডিয়া হাউজ গুলো তাকেই প্রশ্ন করছে তার উদ্দেশ্য নিয়ে। দ্বিতীয়টার মূল কারণ হল, ঋতব্রত বড় পোলিটিকাল ডিবেট কিছু রেজ করে নি। কিন্তু প্রথমটা আমি বুঝিনি, কিরককম অবিশ্বাস থাকলে লোকে এই টার্ম্স এ স্ল্যান্ডার করে। হরিবল। এক সঙ্গে আদৌ রাজনীতি করেছে কি করে এদ্দিন। আনবিলিভেবল।
  • h | 194.185.177.155 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:০৮369670
  • মিডিয়া অ্যানালিসিসের টার্ম্স বলতে কি বলছি একটু বোঝাতে চেষ্টা করি।

    ধরুণ এই যে বুদ্ধ ভট্টাচার্য্যের একটা শিল্প বন্ধু একটা ইমেজ, রাজ্যের লোক কে চাকরি দিতে হবে, ইত্যাদি, এটা কি জ্যোতি বসুর হলদিয়া উদ্যোগের সময় থেকে খুব আলাদা?

    ক্যাপিটাল লেড ডেভেলপমেন্ট বনাম পাবলিক সেক্টর ডেভেলপমেন্ট এই বিতর্কের উত্তর হিসেবে জয়েন্ট সেক্টর এর উদ্ভব, যার উত্তরসূরী আজকের পিপিপি। তো এই ডিবেট টায় পার্টির ভূমিকা কি হবে, সেটা সম্পূর্ণ ভাবে খবরের কাগজ বা মূল ধারা প্রভাবিত হবে কিনা, এটুকু বুঝতে খুব বড় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হওয়ার দরকার পড়ে না।

    এই বিতর্কের উত্তরসূরী সিংগুরে নন্দীগ্রাম ডিবেট। আবার বলছি ব্যক্তিগত কোর্ট রুম ড্রামা হিসেবে নাই দেখা যায়, কিন্তু দেখতে হয়তো লোকে পছন্দ করেন। এই বিতর্ক টার সময়ে প্রসেনজিত বোস দের কংগ্রেসের বিরোধিতা করা ছাড়া উপায় ছিল না, তখন বাংলার স্বার্থের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি হয়ে ঋতব্রত তাঁদের বরখাস্ত করাতে ভূমিকা নিয়ে ছিলেন, মানে পার্টির অন্দরমহলের কেউ না হয়েও এটা লক্ষ্য করা কিসু কঠিন না।

    সুতরাং যদি আজ মিডিয়া বলে, প্রসেনজিত বোস ঋতব্রত প্রমুখ তরুণ দের সামলাতে পারছে না সিপিএম, তাহলে হাস্যকর শোনায়, অথচ সেই ন্যারেটিভ টাই সবচেয়ে বেশি প্রচারিত হবে।

    আরেকটা বক্তব্য, মিলিটান্ট ট্রেড ইউনিয়নিজম না শিল্পপতি দের অনিচ্ছা আর সুযোগ সন্ধান, কোনটা রাজ্য হিসেবে পশ্চিম বংগ কে শিল্পে কিছুটা পিছেয়েছে, বিষেশতঃ বড় মার্কি বিনিয়োগে। এখন ২০১১ র পরে পরে ছোটো ব্যবসার খুব গুরুত্ত্ব বেড়েছে বলা হচ্ছে। কারণ বড় বিনিয়োগ কিছুটা থমকে। কিন্তু সমস্যা হল, ছোটো বিনিয়োগে তো শ্রমিক অধিকার আরো পর্যুদস্ত না হলে, ক্ষুদ্র শিল্প বাড়ে না। তো সে ব্যাপারে তাহলে মূল ধারার ভাবনা কি?

    এবার বড় বিনিয়োগ, বড় বিনিয়োগ কারীর স্বার্থ ট্রেড সিক্রেট হিস্বে দেখা সেটা নিরুপম সেন দের অন্যায় হয়েছিল কোন দ্বিমত নেই, কিন্তু রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রায় যে কোন শরেত বড় বিনিয়োগ টানার যে বাধ্যবাধকতা সেটার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন যাত্রা আর কমিউনিস্ট হায়ারার্কি র সম্পর্ক ক্ষীণ। কিন্তু ন্যারেটিভে এই সব আমদানি প্রায় ই হয়ে থাকে।

    আরো বক্তব্য আছে, আমার মনে হয় সিপিআই এম, যেহেতু যে কবার জিতেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেই জিতেছে, তাই তার একটা সোশাল ডেমোক্রাটিক পার্টি তে সাফল্যের সঙ্গে রুপান্তরিত হওয়া য় বাধা বেশি ছিল না। কিন্তু দাদাগিরির লোভ, সেটা হতে দেয় নি। আমি তো বলবো, রাশিয়া চীনের থেকে সিপিআইএম পার্টি অনেক সদর্থক, অন্তত শুধু খুন করে ক্ষমতায় থাকে নি, প্রতি পান্চ বছরে তাকে ভোটে জিততে হয়েছে। তো এতে এত ব্যাকফুটেড হওয়ার কি ছিল বুঝি না। মিডিয়া ন্যারেটিভ এর কাছে।

    আরেকটা ঘটনা হল, এই গুড কমিউনিস্ট হওয়া সম্পর্কে একটা বিচিত্র অবস্থান। কখনো মনে করা হচ্ছে, এইটেই আদর্শ, মজার কথা হল, লোকে অথেন্টিসিটির অভাব হলে, আমি শুধু বিশুদ্ধাচরণ করলেই সমস্যা মিটে যাবে এটা জে কি ঢপ ভাবা যায় না। অথচ মজা টা হল, এই টই ও তাপস যে ভাবে আরম্ভ করেছে (যদিও ভীষণ খুশি হয়েছি) কিন্তু এতে সেই বিশুদ্ধচরণ কে একটা গুরুত্ত্ব দেওয়া হছে, ভোগে নিমজ্জিত হতে বলছি না, কিন্তু এ সেই অনেক গান্দীর এক্সপেরিমেন্ট উইথ সেক্স (ঃ-) ) গোছের দাবী দাওয়া, পার্সোনাল কোরাপশন কে বরদাস্ত করা জায় না, অ্যাকাউন্টেবিলিটি থাকবে, কিন্তু তাই বলে লোকে একটা গ্যাজেট ব্যবহার করলে যদি শুধু তার জন্যেই প্যাঁক খেতে হয়, তাহলে আর পার্টি সোশাল মেডিয়ায় তেমন ছাপ ফেলতে পারছে না বলে না কাঁদাই শ্রেয় ঃ-))))) এই বিশয়েও মেডিয়া ন্যারেটিভ এর কাছে হেরে গেছে সিপিআইএম পার্টি। সমাজের কন্ট্রাডিকশন গুলোর মধ্যে থেকেই তাকে অ্যাড্রেস করতে গেলে, তাকে শুধু রাজ্য সর্কার চালানোর দৃষ্টিভংগী থেকে দেখলে মুশকিল হয়।

    আমার পার্সোনালি মনে হয় এই বিষয় গুলো তে খবরের কাগজ বা মিডিয়া যে টার্ম্স এ ভাবে, তার পাল্টা ন্যারেটিভ শুধু না, পাল্টা বিশ্লেষণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা টা একটা বড় সমস্যা।

    এর মধ্যে ঘাট তি সংক্রান্ত ন্যারেটিভ টা সবচেয়ে হাস্যকর। মমতা বলতেন ঘাটতি করে করে রাজ্য শেষ হয়ে গেল, অসীম দাশগুপ্ত বলতেন ঘাটতি শুন্য বাজেট, অমিত মিত্র বলতে শুরু করেছিলেন, রাজ্যের অধিকার বলে কিছু হয় না, কেন্দ্রের সঙ্গে বোঝা পড়া করে করে নিতে হয় (প্রথম প্রেস কনফারেন্স , ২০১১ জেতার পরে, প্যারাফ্রেজ্ড), এই বার কি ধরণের ডেট কখন কি ব্যবস্থায় মানুষের কাজে লাগবে, কোন টাকে পপুলইজম বলবো , কোনটাকে বলবো না, এই বিষয় গুলো সম্পর্কে নির্দিষ্ট অবস্থান ও তার প্রচার কোনটাই হয় নি।

    তো যাই হোক, সি পি আই এম উঠে গেলে এমনি কোন ক্ষতি নেই, মানে যত টুকু বাকি আছে, আমি তো নতুন লেফ্ট এর অপেক্ষায় আছি। কিন্তু বাস্তব সমস্যাটা হল, সিপিএম কতটা বিশুদ্ধ সেটা নিয়ে লোকের চিন্তার শেষ নাই, ইদিকে পার্লামেন্টে বড় বাম অলটারনেটিভ গড়ে এখনো ওঠে নি, অতএব এই বিচিত্র ন্যারেটিভ চলবে, কি আর করা। এবং সেটা যে বড় মিডিয়া বিশেষ সাহায্য করবে না, এটা বোঝার বয়স আশাকরি সকলের ই হবে।

    আরো বিষয় আছে, স্বাধীন ভারতের অনেক বিতর্কিত বিষয়ে, বিদেশ নীতি বিষয়ে কমিউনিস্ট পার্টির অনেকদিন ই কোন স্বাধীন বক্তব্য ছিল না, মণিপুর কাশ্মীর, আসাম , শ্রী লংকা এগুলো নিয়ে বড় সিটিং নেতারা ভালো বড় প্রবন্ধ লেখেন নি তা না (সীতারাম ইয়েচুরি র স্রী লংকার উপরে প্রচুর ভালো কোয়ালিটি লেখা আছে) কিন্তু অ্যাজিট প্রপে সেটা আসেনি, রাষ্ট্রের ন্যারেটিভ এর স্ঙ্গে আলাদা করা গেছে খুব কম ক্ষেত্রে। কিসে ভারত শক্তিশালী হবে, সিভুল নিউক্লিয়ার ডিল করে, নাকি প্রয়োজনে রাজ্য সরকার খুইয়ে তার বিরোধিতা করে, এই বিতর্কে তো আমার মনে ১৯৪২ এর জনযুদ্ধের নীতির পরে নেওয়া মোটামুটি একটা মতাদর্শ প্রভাবিত নীতি। কিন্তু তার যে ন্যারেটিভ বেরিয়েছে ককলাতার কাগজে, তাতে পার্টি নেতারা নিজেরাই পরে সাবস্ক্রাইব করেছেন।

    আর ফাইনালি, এই ব্রাইট বয়েজ দের চোটে আমি একটু ক্লান্ত। বিপি এস ফ এর আমল থেকেই ছাত্র ফ্রন্টের নেতাদের অধিক গুরুত্ত্ব কিন্তু ৬০ স এর ইউথ কাল্টের জয় জয়াকার এর পর থেকেই মোটামুটি বুদ্ধিজীবি আর জইবন এর কাছে কৃষক শ্রমিক মহিলা রা দলিতেরা, মুঅলমান সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা ধরাঅশায়ী, তার প্রতিফলন নানা সময়ে দেখা গেছে। এই বিষয়েও মেডিয়ার ন্যারেটিভ (কোটা ইত্যাদি) তে পার্টির নেতারা সাবস্ক্রাইব করেছেন এবং করছেন, বড় করে অ্যাড্রেস করার কেউ নাই। এই বিষয়ে শেষে আমাকেই হয়তো লিখতে হল;-) আমি সম্পূর্ণ ইয়ার্কি মারছি, ভারত বর্ষের বাম আন্দোলন কে উজীবিত করে তোলার মত লেখা লেখার ক্ষমতা আমার নেই, কিন্তু ইন্ডিপেন্ডেন্স অফ থট জিনিসটা জরুরী, যেটা ঢাকাঢুকি দিয়া সম্ভব না।

    আর যারা সিপিএম উঠে যাওয়ায় আনন্দ পাচ্ছেন, তাদের কপাল চিকেন রোল ব্যান, এই নিয়া থাকুন আর কি ঃ-)))))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন