এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মে দিবসের ভাবনা ২০১৯

    Souvik
    অন্যান্য | ০১ মে ২০১৯ | ৮৭৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌভিক | 7845.15.237812.159 | ০১ মে ২০১৯ ১১:০১382429
  • ২০১৯ এর মে দিবসের ভাবনা
    ---------

    আজকে যদি শ্রমিকের অধিকার কর্মসংস্থান বিপুল বেকার বাহিনী উৎপাদন প্রযুক্তির ব্যাপক বদল - সব মিলিয়ে ভাবতে হয়, তবে সপ্তাহে ৫ দিন কাজ, দিনে ৫ ঘন্টা কাজ, ৫৫ বছর অবধি কাজ ও তারপর অবসরভাতা ইত্যাদির কথা ভাবতে হয়।

    বিপরীতে ৮ ঘন্টার জায়গায় ১০/১২ ঘন্টা কাজ, ঠিকে কাজের ব্যাপক বৃদ্ধি, মজুরীর জায়গায় সরকারী কাজেও নামমাত্র দক্ষিণা, নানা সুযোগ সুবিধের কাঁটছাট ইত্যাদিই দেখা যাচ্ছে।

    উৎপাদন প্রযুক্তির এত বিকাশের ফলে লাভ কি হল যদি তা মুষ্টিমেয় কিছু কর্পোরেশনের কাজে লাগে? সম্পদের বন্টন ক্রমশ অসম হচ্ছে। এতে শ্রমিক বা সাধারণ মানুষের দুর্দশার প্রসঙ্গ তো জানাই, কিন্তু কম সংখ্যক সক্ষম ক্রেতা পুঁজিবাদের পক্ষেও ভালো কিছু নয়।

    তাই সংকট দু দিক থেকেই আছে। যে ধরনের নিও লিবারাল ঘরানার পুঁজিবাদী মডেলটি এখন দেশে দেশে চলছে, তা একদিকে ব্যাপক সংখ্যক সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে ভালো নয়। অন্যদিকে পুঁজিবাদের পক্ষেও বাজার সংকোচনের নিরিখ থেকে ভালো নয়।

    তবু এই ব্যবস্থাটা ভেঙে না পড়ে টিঁকে থাকছে কীভাবে? অন্যান্য আরো বেশ কিছু কারণের সাথে একটা সম্ভবত বিকল্প অর্থনৈতিক কোনও মডেলের পক্ষে ব্যাপক কনসেন্সাস তৈরি না হওয়া। এরকম কোনও মডেলকে উপস্থাপণ করা ও তার স্বপক্ষে কনসেনসাস তৈরি করতে পারাটা বিকল্প ভাবনার মানুষদের অন্যতম টাস্ক। এই নতুন বিকল্প মডেলটি এমন হতে হবে যা একদিকে সোভিয়েত অর্থনীতির মতো আমলাতান্ত্রিক হয়ে উঠবে না, উৎপাদন বৃদ্ধিকে সঙ্কটগ্রস্থ করে তুলবে না, অন্যদিকে নিও লিবারাল অর্থনীতির ব্যাপক অসাম্য, বেকারত্ব, অধিকাংশ কাজের চূড়ান্ত কম পারিশ্রমিক, ঠিকা প্রথার প্রবল অনিশ্চয়তা, ক্রোনি চরিত্রর নির্লজ্জ দুর্নীতি ইত্যাদির জবাব দেবে। কৃষক, শ্রমিক, ছোট ব্যবসায়ী, বেকার ও ছদ্ম বেকার বাহিনীর ক্ষোভ বিক্ষোভগুলির সমাধানকে ধারণ করতে পারবে।

    মডেল ছাড়া রাজনীতি কথার আবর্ত তৈরি করে এবং সেখানেই ঘুরপাক খেয়ে যথাস্থিতিতে শেষ হয়। যা কিছু বদল হয় তা প্রায়শই আলঙ্কারিক এবং কসমেটিক চেঞ্জ। জনগণ নিজেরাই এই ধরনের বদলগুলির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠেন ও চরম সমাধানের জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন। যখন বামপন্থীরা একে ঠিকমত অ্যাড্রেস করতে ব্যর্থ হন, তখন অতি দক্ষিণপন্থা জনপ্রিয় হতে থাকে। গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
  • কল্লোল | 342323.191.2323.249 | ০১ মে ২০১৯ ১৯:১৪382479
  • ঠিক এক বছর আগে এই দিনে, দৈনিক ৮ঘন্টার বদলে ৪ঘণ্টা কাজের দাবী নিয়ে কথা তুলেছিলাম। কিছু বিতর্ক হয়েছিলো। বেশ কিছু বামপন্থী বন্ধু সমর্থনও করেছিলেন। তাদের কেউ কেউ নানান দল করেন। এই এক বছর তাদের কাউকে এই দাবী নিয়ে সোচ্চার হতে দেখলাম না। শুধু দিন কতক আগে, লেক গার্ডেন্সের স্টেটবাস গ্যারেজে কেউ বা কারা এই মর্মে একটি পুস্তিকা বিলি করেছেন। তার সব বক্তব্যের সাথে একমত নই। কিন্তু তাহলেও সাব্বাশি জানাতেই হয়।
    যাই হোক আবারও দাবীটা তুললাম।
    ৪ঘন্টার শিফটে কাজ হোক। আরও বেশী বেশী কর্মসংস্থান হোক। তাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে, ফলতঃ শিল্প বাড়বে। লাভও বাড়বে। আমি কোন সমাজতান্ত্রিক দাবী করিনি। একদম পুঁজিবাদের ভিতরে থেকেই দাবীটা করা যায় ও মানানো যায়।
    ১৯১৪ সালে ফোর্ড মোটর্স প্রথম ৮ঘন্টা কাজ চালু করেন। তাতে কি ফোর্ড মোটর্সের ব্যবসা লাটে উঠেছিলো? না, তারা আরাও বেশী বেশী লাভ করেছে। তাই, ৪ ঘন্টার কাজ চালু করলেও শিল্প লাটে উঠবে না।
    এর ফলে, রোজগেরে মানুষের সংখ্যা দ্বিগুন হয়ে যাবে। অর্থাৎ চাহিদা দ্বিগুন হবে, অর্থাৎ বাজার দ্বিগুন বাড়বে, অর্থাৎ বিক্রি দ্বিগুন হবে। এতে আরও তিনটে ব্যাপার হবে - ১) লাভ বাড়বে, ২) উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়া মানে আরও শিল্প বা বিদ্যমান শিল্পের প্রসারণ। ৩) উৎপাদন ও বিক্রি বাড়ার দরুণ দাম কমবে।
    এরকম কিছু ভাবা ও ভাবানো যায় কি?
  • একক | 340112.124.566712.65 | ০১ মে ২০১৯ ২২:২১382490
  • সুদূর ভৰিষ্যতে কতটা বাজার বাড়বে ভেবে কেও ব্যবসা করেনা । এই মুহূর্তে একই কাজ তুলতে রিসোর্স দ্বিগুন লাগলে , ট্রেনিং কস্ট -ওভারহেড সব বেড়ে যাবে । এদিকে রিসোর্স পিছু এলাওয়েন্স -পিএফ এসব কেটে অর্ধেক করে দিলে জব সিকিওরিটিও অর্ধেক হয়ে যাবে । কেও রাজি হবেনা ওরকম চাকরি করতে ।

    এছাড়া সামাজিক ইম্প্যাক্ট আছে ।কল্লোলদা আগের বছর যখন লিখেছিলে তখন ও বলেছিলুম : অধিকাংশ মানুষ যে দিনে চার ঘন্টা কাজ করে বাকিটা ফাঁকা সময় সময় পেলে প্রচুর সৃষ্টিশীল কাজ করে বা খেলাধুলো করে বা পরিবারকে সময় দিয়ে কাটাতে চায় --- তা নয় । বরং অপিসেই তারা ভালো থাকে । চার ঘন্টা কাজ করিয়ে আপিস থেকে খেদিয়ে দিলে তারা ভ্যাকমের মধ্যে পরে পেগলে যাবে ।

    খেয়াল করো - আজকাল একটা নতুন ক্লাসের সৃষ্টি হয়েছে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে "নিও আরবান পুওর " । এরা কারা ? এই আমাদের মতো লোকজন যারা আপিসে একটা মোটামুটি ষ্টার সেটাপে থাকে । স্পেশাস ফ্লোর - সেন্ট্রাল এসি - সর্বদা কফি স্ন্যাক্স -এন্টারটেইনমেন্ট রুম । বরং বাড়িতে ফিরে এলেই একটা ঘিষাপিটা পরিবেশ -ছোট ঘর - পাওয়ার ওয়াটার নিয়ে প্রব্লেম লেগেই আছে ।

    ডেটা নিয়ে দ্যাখো । মুম্বাই -দিল্লি -ব্যাঙ্গালোরের একজন কর্পোরেট কর্মী অফিস টাইমে কী ফেসিলিটি এনজয় করে আর বাড়িতে ফিরে তার কত পার্সেন্ট আদৌ নিজে এফোর্ড করতে পারে । টাকা নেই বলে নয় । প্রচুর টাকা আছে । কিন্তু আরবান হ্যাবিটেশন সেটাপ জঘন্য । বাড়িভাড়া আকাশছোঁয়া । ওয়াটার-পাওয়ারফেসিলিটি নেই সব জায়গায় । তিরিশ -চল্লিশ খরচ না করলে ডিসেন্ট একটা হাউসিংয়ে ঘর পাওয়া যায়না । তো এই মানুষরা , আরবান পুওররা , দিনের অধিকাংশও সময় অফিসে -রেস্টুরেন্টে -পার্কে কাটাতে পছন্দ করে । এরমধ্যে অফিস বাদে সব জায়গাতেই গ্যাঁটের কড়ি খসাতে হয় । তাই অফিসের টাইমটা ,গোল্ডেন টাইম , সে মুখে যতই বলুক ছাতার ছাক্রি । দিনে দিনে আপিসগুলো প্রাসাদের মোট করে বানানো হচ্ছে উইথ লটস অফ স্পেস এন্ড ফেসিলিটি ।

    যত দিন যাবে , আমার তো মনে হয় অফিসের এক্সটেনশন হিসেবে রিফ্রেশিং কিউবিকল টাইপ কিছু চালু হবে । মানুষ সারাদিন কাজাবে , মাঝে মাঝে ওই আলাদা কিউবিকলে গিয়ে সেক্স করবে বা ঘুমুবে । এটাকেই নিউ ওয়ার্ল্ড কমিউনিটি কালচার হিসেবে প্রমোট করা হবে । বেশ আপিসের লোকের সঙ্গেই খাচ্ছি -গপ্পো করছি ইঃ ইঃ । আপিসের বাইরে যাওয়ার প্রশ্নই নেই আদার দ্যান অফিসিয়াল রিজন ।
  • Ekak | 340112.124.566712.65 | ০১ মে ২০১৯ ২২:২৭382501
  • মানে , "ওয়ার্কিং আওয়ার " ব্যাপারটা আর থাকবে না । ডাকবাংলোর চৌকিদার যেমন সারাদিনই -একবার বিড়ি ধরায় -একবার লোককে ঘর খুলে দেয় -একবার নিজের রান্না করে -আবার উঠে গিয়ে দেখে আসে বাইরে কিসের আওয়াজ ------------ঐরকম :) কাজগুলো জাস্ট গ্যাজেটের মাধ্যমে হবে বলে লোকে নিজেকে চৌকিদার না ভেবে কর্পো কর্মী ভাববে -এইটুকু পার্থক্য :) ২৪ ঘন্টা ওয়ার্কিং আওয়ার ।
  • | 2345.107.8967.253 | ০১ মে ২০১৯ ২২:৩৫382512
  • আমাদের ফ্লোরগুলোতে কিছুদিন বিনব্যাগ রাখছিল। তারপর বিচিত্র সব সমস্যা দেখা দেওয়ায় সব সরিয়ে দেছে।

    কদিন আগেই লাঞ্চ টাইমে গল্প হচ্ছিল। তা একজন বলছে যে এখানে এই পুনে নাগপুর সাতারায় যাদের ঠাকুর্দারা এক ভা দেড়তলা বাড়ি করতে পেরেছিল তাদের ছেল্ররা মানে এদের বাবারা দোতলা তো কমপ্লীট করেইছিল অনেকেই তিন্তলা কেউ কেউ চারতলা বাড়িও করেছে। সেটা আগের জেনারেশানের তুলনায় অনেক বড় অ্যাচিভমেন্ট। বাড়িতে লোকজনএর থাকার জন্য মাথাপিছু স্কোয়ার ফিটের হিসেবেও বেশী জায়গা বরাদ্দ ছিল। আর এখন শুরুতে ১বিএইচকে তো কিছু সেটল হলে ২ বড়জোর ৩বিএইচকে। মাথাপিছু জায়গা কম, এদিকে শীতের শেষ থেকেই জলের সমস্যা শুরু হয়।
    ফলে আখেরে কোয়ালিটি অব লাইফ ত বাড়ে না, সেন্স অব অ্যাচিভমেন্টও তেমন হয় না।
  • lcm | 9006712.229.0112.212 | ০১ মে ২০১৯ ২২:৩৯382523
  • প্রদীপ্তদা-র ওয়াল থেকে পেলাম ---
    *********

    - দাদা, আপনি কি May Day পালন করেন ?

    - আমি ! কেন ভাই, আমি কি ভাই ওই হেরো কমিউনিস্ট, যে, May Day পালন করব ! "

    - না, মানে, May Day শুধু কমিউনিস্টরাই কেন পালন করবে, যদি বলেন !

    - আরে, করবে মানে ! এত্ত বছর ধরে তো ওরাই করে এসেছে । লাল শালু , লাল ব্যানার, লাল পতাকা ।।। এগুলো তো, ওদেরই প্রপার্টি নাকি !

    - ওহ । বুঝেছি, তা দাদা , শুধু ওরাই কেন করে এসেছে ?

    - ওরা করবে নাতো, কি অন্য কেউ করবেন ! আজব কথা বলেন তো আপনি ! আরে, ওদের নেতারাই তো May Day চালু করেছিল ।

    - ওহহ, তাই নাকি ! তা দাদা, কে প্রথম চালু করেছিলেন !

    - লেনিন বা স্টালিন হবেন হয়তো ! মাও হতে পারেন । আমার অত ইন্টারেস্ট নেই ।

    - তার মানে , চীন বা রাশিয়ার বিপ্লব এখানে কপি-পেস্ট হয়ে আসছে বলতে চাইছেন !

    - হে হে । ঠিক তাই । এতক্ষণে একটা মজার কথা বলেছেন - হে, হে , কপি-পেস্ট ।

    - দুমিনিট সময় হবে আপনার কাছে !

    - হে হে । আজ তো হলিডে । ফুল মস্তি । সকালে মাটন, রাতে একটু মাল।।। হে, হে বলুন, কি বলবেন । অনেকদিন কারুর সাথে জমিয়ে আড্ডা হয় না ।

    - বেশ বেশ । তা দাদার কি করা হয় !

    - ওই । একটা বেসরকারি কোম্পানি । সেলসে আছি ।

    - ডিউটি আওয়ারস !

    - বছর বিশেক আগে যখন ঢুকেছিলাম, আট ঘন্টা ছিল । শালারা এখন বাড়াতে বাড়াতে দশ-বারো ঘন্টায় নিয়ে চলে গেছে । কিছু বলতে গেলে বলে, " না পোষালে ছেড়ে দাও । কোম্পানি এখন ডিজিটাল মিডিয়াতে সেল্স প্রমোট করবে ।" কোম্পানির এখন অনেক টাকা । হয়তো এই অজুহাতে আগামী দিনে চোদ্দ-ষোলো ঘন্টা খাটাবে ।

    - শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা - এই বয়সে অত ধকল নিতে পারবেন !

    - নাহ । জানি, পারব না । একদিন চাকরি করতে করতে, রাস্তাতেই হয়ত মুখ থুবড়ে পড়ে মরে যাব । এই দেখুন না, গত দু বছরে তিনজনের কার্ডিয়াক এ্যারেস্ট হয়েছে । দু'জন মারা গেছেন । একজন প্যারালাইসিস । অনেকে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে বা দেবে । আমাদের কথা আর কে কবে শুনেছে বলুন ।

    - কিছু মনে করবেন না । আপনি আসলে সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়াচ্ছেন ।

    - মানে !

    - মানে , আসলে আপনি এখন টাইম মেশিনে না চেপেই , 19th Century-র দিকে পিছিয়ে যাচ্ছেন । দেশটাও বদলে আমেরিকা হয়ে গেছে ।

    -বলেন কি !

    - ইয়েস । আমার অনেকেই হয়তো জানি না , আজকের তারিখে - প্রায় ৩,০০,০০০ শ্রমিক নিজেরদের কর্মক্ষেত্র ছেড়ে বেরিয়ে এসে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত হয়ে আমেরিকার বিভিন্ন শহরের রাজপথে, পুলিশ ও সেনার বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে প্রথম এই ঐতিহাসিক May Day পালন করেন । বলা ভালো করতে বাধ্য হন । দিনটা ছিল May 1,1886। কত জন মারা গিয়েছিলেন তার সঠিক সংখ্যা অবশ্য ইতিহাস কোনদিনই জানাতে পারে নি ।

    - সে কি মশাই ! নীল বিকিনি আর সব পেয়েছির দেশ আমেরিকাতে May Day' র সূত্রপাত !!! এই, আমায় অজ্ঞ ভেবে গুল ঝাড়ছেন না তো !

    - মোটেই না । গুগুল দেখে নিন ।

    - এই রে, এটা তো আমি জানতাম না ! আমেরিকাতে শ্রমিক বিপ্লব ! তা দাদা, এত বিশাল সংখ্যক শ্রমিক কে পথে নামালো কে ! কমিউনিস্ট রা নিশচই নন !

    - যে কারণে চাকরিক্ষেত্রে শোষিত হতে হতে আপনি মারা যাবেন ভাবছেন , ঠিক একই কারণে কর্মক্ষেত্রে মালিকের অত্যাচার , 12-16 ঘন্টার শোষণ , নোংরা , বিপদজনক পরিস্থিতিতে কাজ করতে বাধ্য করা , ইত্যাদি কারণে প্রতিদিন প্রাণ হারাতে হারাতে , আহত হতে হতে , ওইদিন আমেরিকার ভয়ংকর ক্ষুব্ধ আর নিপীড়িত শ্রমিকরা মরিয়া রাস্তায় নেমে এসেছিল - মূলত দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে । সাথে নূন্যতম একটা ভদ্রস্থ স্যালারি আর সামাজিক সুরক্ষার দাবী তো ছিলই ।

    - বলেন কি ! এসব সত্যি !

    - Upton Sinclair বেস্ট সেলার 'The Jungle' বা Jack London এর 'The Iron Heel' পড়েছেন !

    - নাহ ।

    - পড়ে নেবেন । প্যান্ট হলুদ হয়ে যাবে । উনিশ শতকের মধ্যভাগে আমেরিকায় - বিভিন্ন ইন্ডাষ্ট্রিতে মালিক পক্ষের অত্যাচার আর নিষ্টুরতায় প্রতিবছর অসহায় ভাবে হাজারে হাজারে নারী, পুরুষ আর শিশু শ্রমিক মারা যেত । অবস্থায় এতটাই ভয়াবহ ছিল যে কিছু ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রমিকের গড় আয়ু মাত্র কুড়ি বছরে এসে ঠেকেছিল ।

    - সে কি ! শুনে তো আমার গা-হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে !

    - তাহলে বুঝুন ওঁদের অবস্থা কি ছিল ! এই দুঃসহ অবস্থা আর আগ্রাসী বিষাক্ত ক্যাপিটালিজম এর খপ্পর থেকে মুক্তি পেতে , ওইদিন শুধু শিকাগো শহরে প্রায় চল্লিশ হাজার শ্রমিক সারা শহরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল । ফলস্বরূপ কত শ্রমিক যে পুলিশ আর সেনার বিরুদ্ধে সংঘর্ষে প্রাণ হারান - তার সঠিক সংখ্যা বলা মুশকিল । এছাড়াও পরবর্তীকালে বহু ক্ষুব্ধ শ্রমিক আর নেতৃত্ব পুলিশের নিষ্ঠুর অত্যাচারে আর বিচারের প্রহসনে শহীদ হয়েছিলেন ।

    - বলেন কি ! কই এই ইতিহাস তো সেভাবে জানানো হয় নি আমাদের ।

    - নাহ । বিভিন্ন ধনীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আর পুষ্ট বিভিন্ন আমেরিকান সরকার প্রায় এক শতক সময় নিয়েছিল পাবলিক মেমারী থেকে এই শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস মুছে দিতে । আজ অবশ্য সরকার সফল । অধিকাংশ আমেরিকানই জানে না যে,ঐতিহাসিক May Day , ওঁদের দেশেই প্রথম পালিত হয় ।

    - ওহ । এবার বুঝলাম ।

    - তবে, দাদা একটা কথা বলি ।

    - বলুন ।

    - অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে দিনে আট ঘন্টা কাজের দাবি যে দুনিয়া জুড়ে আদায় হয়েছিল তা কিন্তু আবার দ্রুত মুছতে শুরু করছে । ক্যাপিটালিজমের থাবা গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আবার কিন্তু আপনাকে গিলে ফেলতে উদ্যত হচ্ছে । আপনাকে আবার দশ-বারো -চোদ্দ ঘন্টার শিফটে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।।

    সে আপনি ডালদা কোম্পানিতে চাকরি করুন বা ডিজিটাল। লাল, নীল বা গেরুয়া যাকেই সমর্থন করুন না কেন । দিনের শেষে কিন্তু আপনি শ্রমিকই । সতর্ক হন । না হলে বিপদ আছে ।

    আমেরিকা কিন্তু বারবার আপনাকে বাঁচাতে আসবে না ।।।

    ****

    যে মুভমেন্টের কথা এখানে বলা হচ্ছে, শিকাগো হে-মার্কেট স্কোয়ার প্রতিবাদ, ১৮৮৬
    https://en.wikipedia.org/wiki/Haymarket_affair
  • dc | 232312.164.452323.90 | ০১ মে ২০১৯ ২২:৪৬382534
  • এদিকে আমি ভেবে পাই না লোকে মাত্র আট ঘন্টা কাজ করে কিভাবে থাকে। আমার কাজ না করে থাকতে হলেই গায়ে জ্বর আসে ঃ( সারাক্ষন কাজ করো আর মাঝে মাঝে ছুটি নিয়ে ঘুরে এসো - এর বাইরে আমি কিছু চাই না।
  • Pi | 2345.110.454512.99 | ০২ মে ২০১৯ ০০:০৪382545
  • "অধিকাংশ মানুষ যে দিনে চার ঘন্টা কাজ করে বাকিটা ফাঁকা সময় সময় পেলে প্রচুর সৃষ্টিশীল কাজ করে বা খেলাধুলো করে বা পরিবারকে সময় দিয়ে কাটাতে চায় --- তা নয় । বরং অপিসেই তারা ভালো থাকে । চার ঘন্টা কাজ করিয়ে আপিস থেকে খেদিয়ে দিলে তারা ভ্যাকমের মধ্যে পরে পেগলে যাবে ।"

    এটা কিছুটা আমারো মনে হয়। কিন্তু এই অধিকাংশ মানুষের কি অধিকাংশই কি ছেলে? নইলে মেয়েদের অধিকাংশ কেন ঘরে থেকেই অভ্যস্ত ও সুখী? মানে এইরকম স্টেটমেন্টে কি মেয়েরা বাদ?
  • Amit | 9003412.218.1289.237 | ০২ মে ২০১৯ ০২:৩৩382556
  • যারা অফিস এ সারাদিন রাত্রি থাকতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০২ মে ২০১৯ ০৪:১৭382430
  • ডিসি,
    পঞ্চ ম চান না? মদ, মৎস্য, মাংস, মুদ্রা ইত্যাদি? ;-)
  • S | 2390012.156.561223.1 | ০২ মে ২০১৯ ০৪:৫৫382441
  • আমার আবার উল্টোটা মনে হয়। মাঝে মাঝে কাজ করো। বাকি সারক্ষন লাইফ এন্ঝয় করো।
  • Amit | 340123.0.34.2 | ০২ মে ২০১৯ ০৫:০৬382452
  • সমস্যা হলো যারা অফিস এ সারাক্ষন থাকতে চান, সেটাই বেঞ্চ মার্ক হয়ে যায় বাকিদের জন্য। বিশেষ করে যদি ওপরের লেভেল এ লোকজন ফোর্সড ব্যাচেলর স্টেটাস এ থাকেন, ঘরে কিছু করার নেই, এদিকে অফিস এ ফ্রি এসি, ইন্টারনেট, কফি, আড্ডা, তেনাদের ঘরে যাওয়ার দরকারই পরে না। এবার তারা আশা করেন বাকি লোকেরাও সব কিছু ছেড়ে অফিসেই বসে থাকবে। কেও টাইম এ কাজ সারলো কি না সারলো সেটা ইম্প নয়, কতক্ষন বসে রইলো, তার ওপরে প্রমোশন, এসাইনমেন্ট সব ডিপেন্ড করে।

    আমার নিজের অভিজ্ঞতা একই মাল্টি কোম্পানি তে বাইরে আর ইন্ডিয়াতে কালচার পুরো আলাদা। বাইরে লোকজন পাঁচটার মধ্যে বেরিয়ে যায় ডেস্ক খালি করে, আর ইন্ডিয়া তে রাত ৮-৯ টার আগে কেও বেরোলে তাকে কাঠি দেওয়া হয়। এদিকে পাঁচটার পরে কাজ বলতে শুধু চা সিঙ্গারা আর গুচ্ছের ভাট/ পিনপিসি।
  • S | 2390012.156.561223.1 | ০২ মে ২০১৯ ০৫:০৯382463
  • সেইজন্যই তো বলেছিলাম যে ইন্ডিয়ায় বসে এখন ৫০ লাখ কামিয়েও কিস্যু হয়না। কারণ ঐসব মাইনে পেতে গেলে আপনাকে দিল্লি-মুম্বাই-ব্যাঙ্গালোরে থাকতে হবে। সেখানে একটা পায়রার খোপের দাম কয়েক কোটি। যত কোটি লোন, মাসে তত লাখ ইএমাই ইত্যাদি। এইবারে নিজেকে বড়লোক দেখাতে একটা গাড়ি কিনতেই হবে। তার ইএমাই, ইন্সুরেন্স, তেল, ড্রাইভারের (যদি রাখেন) খরচ। অথচ সেই গাড়ি নিয়ে আপিসে যাওয়া মুশকিল, কারণ জ্যাম আর পার্কিঙ্গ নেই। অতেব আবার সেই পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট, নইলে ট্যাক্সি, উবের, অটো। সেখানে উপড়ি খরচ।

    ভালো রেস্তোরায় খেতে গেলে দুজনের লাগে কয়েক হাজার (গুচ্ছের ট্যাক্স আর চার্জ মিলিয়ে)। সিনেমার টিকিটের দাম তিনশো করে, আর পপকর্ণের দাম সিনেমার বাজেটের থেকেও বেশি। এখন আবার শুরু হয়েছে বিদেশ ভ্রমণের যুগ। অতেব একটা এক্সেল নিয়ে বসে আয়-ব্যায় কষতে থাকুন। দেখবেন শেষে হাতে থাকছে মাউস। এবারে ওটা নিয়ে কি করবেন সেটা আপনার নিজস্ব ব্যাপার।
  • S | 2390012.156.561223.1 | ০২ মে ২০১৯ ০৫:১৪382473
  • আমাকে একবার একটা অন্য ডিপার্টমেন্টে দেওয়া হয়েছিলো। সেখানে নাকি লোকে রাত ১০টা অবধি কাজ করে। পরে দেখলাম কাজ করে কম, সময় কাটায় বেশি। কারণ যে কাজ দিয়েছে তার জন্য সন্ধ্যে সাতটা-আটটার বেশি লাগেনা। সবাই জানে রাত ১০টার আগে যাওয়া বারণ। কারণ অন্য লোকেশনে বস বসে কে আগে গেলো, কে পরে গেলো সেই হিসাব রাখছে। তাই লোক সারাদিন অল্প অল্প কাজ করে সেই ১০টাতেই বাড়ি যাচ্ছে। তাতেই সবাই খুশি।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০২ মে ২০১৯ ০৫:২১382474
  • হাতে রইল পেন্সিল। ঃ-)
  • S | 2390012.156.561223.1 | ০২ মে ২০১৯ ০৫:২২382475
  • ইন্ডিয়ার কর্পোরেট কালচার নিয়ে আর কি বলবো? পলিটিক্স সব জায়গাতেই থাকে। কিন্তু ঐ লেভেলের গাধামো খুব কম জায়্গায় দেখেছি। লালা কালচার থেকে বেড়োতে পারেনি এখনো। সবাই কিন্তু সামান্য কর্মচারি, থুড়ি এমপ্লয়ি। এদিকে দেখবেন আপনার বস কোম্পানিকে "উই" বলছে। যেমন উই টেক গুড কেয়ার অব আওয়ার এমপ্লয়িজ। এদিকে তারপরের দিনই নিজে রিজাইন করছে।

    আপনাকে একটা কাজ দিলো। বললো এক সপ্তাহ লাগবে। আপনি মাথা খাটিয়ে দুইদিনে শেষ করে দিলেন। ভাবছেন যে ক্রেডিট পাবেন? না, মোটেই না। বলবেঃ কাজটা তাহলে সোজাই ছিলো। তখন সত্যিই বলতে হয় যে আগে যাদের দিয়েছিলেন তারা গাধা, না আপনি গাধা যে ওরকম ভুল টাইম এস্টিমেট করেছিলেন? কোনো প্ল্যান প্রোগ্রাম ডকুমেন্টেশন কিছুই নেই, সবাই প্রজেক্টের কাজে ঝাঁপিয়ে পরে। তারপরে কয়েক সপ্তাহ কাজ করার পরে ভুল বুঝে আবার রিওয়ার্ক করো।
  • Amit | 340123.0.34.2 | ০২ মে ২০১৯ ০৫:২৮382476
  • সেটাই প্রবলেম। কেও নিজে চাইলে অফিস এ বালিশ নিয়ে শুক না , কার কি মোজা ছেড়া গেলো। কিন্তু এবার সেটা যে সবার থেকে এক্সপেক্ট করা হয় এটাই মেজর ইসু। এই রোগ ইন্ডিয়ান দের মধ্যে যত দেখেছি , বাকি দের মধ্যে এতো দেখি নি, এখানে লোকে বাইরেও একটা জীবন আছে মনে করে। ইন্ডিয়ান দের মধ্যে অফিস এ বেশি টাইম থাকা একটা স্টেটাস দেখানোর ব্যাপার, আমি না থাকলে অফিস অচল হয়ে যাবে :) :) ফ্যামিলি সার্কলে এ তাদের ওয়াইফ রাও ঢাক বাজিয়ে বলে বেড়ায় "ও না থাকলে যে কি করে কাজ চলতো।"

    কদিন আগেই এক শালা গুজ্জুকে বেদম ঝেড়েছি, মাল টা আদানি গ্রুপ এর হয়ে কাজ করতে এসেছে ভিসা নিয়ে। এসেই ঘ্যান ঘ্যান শুরু করেছে যে লোকাল লোকেরা বিকেল পাঁচটায় চলে যায়, কি করে কাজ হবে এদের দিয়ে, এর থেকে ইন্ডিয়া থেকে আরো লোক আনলে ভালো কাজ হতো। সোজা বললাম তোমাদের ঝাঁটের কালচার তোমাদের কাছেই রাখো, না পোষালে সোজা বিদায় হউ, এখানে লোককে বিগড়িও না।
  • S | 2390012.156.561223.1 | ০২ মে ২০১৯ ০৫:৩৬382477
  • বলবেন গাধা ছাড়া এই কাজের জন্য বিকেল পাঁচটার পরে অফিসে থাকার দরকার হয়না।
  • S | 2390012.156.561223.1 | ০২ মে ২০১৯ ০৫:৪০382478
  • লোকের এতো সময় যে প্যান্ট্রিতে চা-কফি মেশিন ছেড়ে, ক্যান্টিনের চা ছেড়ে লোকে বাইরের ঠ্যালা গাড়ির চা খেতে যায়। এদিকে তারপরে রোজ অফিসের পয়সায় ক্যাব বুক করে দেরি করে বাড়ি ফিরছে।
  • dc | 232312.174.676712.144 | ০২ মে ২০১৯ ০৭:২০382480
  • Atoz, সেসবও চাই তো! টাকা বিনা জীবন অচল, কাজেই টাকা তো চাইই চাই। আর মদ, মাছ, মাংসও চাই। কিন্তু আমি কাজ না করে থাকতে পারিনা। যেমন পরশুদিন সন্ধেবেলা পরিবারের চারজন মিলে বেরিয়েছিলাম, রেস্টুরেন্টে খেলাম, তারপর বিচে গিয়ে বসে রইলাম। মেয়ে এদিক ওদিক ঘুরলো আর মা নিজের ছোটবেলার আর বিয়েবেলার গল্প শোনালো। বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত্তির বারোটা হয়ে গেল, কিন্তু ফেরার পথে ক্লায়েন্টের ইমেল এলো, বাড়ি ফিরে সবাই শুয়ে পড়লো আর আমি কম্পুর সামনে বসে পড়লাম। সকাল সাতটা অবধি কাজ করলা, তখন ক্লায়েন্টের জায়গায় প্রায় রাত নটা, সে ডিনার করতে বেরোল আর আমি ঘুমোতে গেলাম, দুপুর বারোটায় উঠে খেয়েদেয়ে আবার কাজ করতে বসে গেলাম, বিকেলবেলা খানিক ঘুরে এসে রাত্তির দশটা অবধি কাজ করলাম, ডিনার করে উঠে একটা সিনেমা দেখে শুতে গেলাম। অন্য কিছু না করলে আমার কাজ করতে ভাল্লাগে। ডাক্তার দেখালে অবশ্যই বলবে অ্যাডিকটেড টু ওয়ার্ক, কিন্তু এমনি ফাঁকা বসে থাকতে পারিনা।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০২ মে ২০১৯ ০৭:২৩382481
  • ডিসি, আপনি কর্মবীর। ঃ-)
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০২ মে ২০১৯ ০৭:২৭382482
  • ডিসি, আপনার কি বাড়িতেই আপিস?
  • pi | 7845.29.341223.62 | ০২ মে ২০১৯ ০৭:৩৬382483
  • এস যেগুলো বললেন সেসব ছাড়া জীবন চলবেই না বা কী বা মানে, এটা চারিয়ে যাওয়াটাও বোধহয় সমস্যা। ৫০ লাখ রোজগারেও কত সমস্যায় থাকতে হয় এসব শুনলে কী বলব জানিনা। আর এগুলৈ মারাত্মক পিয়ার প্রেশার তৈরি করে!

    তবে এর থেকে অনেক কম রোজগারেও অনেক লোক দিব্বি আছেন।
  • dc | 232312.174.676712.144 | ০২ মে ২০১৯ ০৭:৫৪382484
  • Atoz, বাড়িতেও আপিস, আপিসেও আপিস ঃ-) বাড়িতে আলাদা কাজ করার ঘর আর আপিসে আলাদা সেটাপ।
  • dc | 232312.174.676712.144 | ০২ মে ২০১৯ ০৭:৫৬382485
  • তবে S এর সাথে ১০০% একমত, ইন্ডিয়াতে কর্পো কালচার অতি জঘন্য। তার মধ্যে নর্থ ইন্ডিয়ার কর্পো কালচার আরও জঘন্য। কি লেভেলের আনপ্রফেশনাল লোকজন হতে পারে, ভাবা যায় না।
  • Amit | 340123.0.34.2 | ০২ মে ২০১৯ ০৮:০০382486
  • কেও নিজের কাজের প্রতি আড্ডিক্টেড হলে কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা সেখানেই শুরু হয় যখন সেটাই নর্ম বা বেঞ্চমার্ক হয়ে দাঁড়ায় বাকি দের কাছে।
  • dc | 232312.174.676712.144 | ০২ মে ২০১৯ ০৮:০৫382487
  • একমত। প্রত্যেকের নিজের নিজের সুবিধে মতো কাজ করার অধিকার থাকা উচিত। প্রত্যেকের নিজের মতো ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স করতে পারা উচিত।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০২ মে ২০১৯ ০৮:০৮382488
  • আহা আহা আবার পঞ্চাশ ক্যানো? দিচ্ছেনই যখন ওটা একেবারে ষোলো আনাই দিন। এইসব পঞ্চাশ সত্তর আশি না করে একেবারে গোটাগুটি কোটিতেই তুলুন।
    ঃ-)
  • | 230123.142.560112.127 | ০২ মে ২০১৯ ০৮:৫৪382489
  • তাহলে আর আদানি র লোক কি দোষ করল
  • | 230123.142.560112.127 | ০২ মে ২০১৯ ০৯:১১382491
  • তো যারা কালেক্টিভ আ্যকশনে বিশ্বাস না করে যাদের সংসার চলছে চলুক, যাদের না করলেই নয় , তারা ই পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন, আমরা মজা লুটলেই তো হল নাকি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন