এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • সার্থক শিল্প/সাহিত্য রচনার কি রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হওয়া আবশ্যিক?

    Arindam Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    বইপত্তর | ২১ এপ্রিল ২০১৯ | ২০৯৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arindam Chatterjee | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ১২:০৬382716
  • গোবিন্দ নিহালনি একটি ফিল্ম বানিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে সেই ফিল্ম রিলিজ হয়। নাম "পার্টি"। শুরুতেই বলে রাখি অসম্ভব তারকাখচিত দুর্দান্ত বুদ্ধিদীপ্ত তর্ক সম্বলিত ফিল্ম এটি। হটস্টারে দেখতে পাওয়া যায়। দেখে নিতে পারেন।

    আমি ফিল্মটি দেখি ফেসবুকেরই সৌজন্যে। কোনো একটি গ্রূপ বা স্পন্সর্ড পেজে এই ফিল্মের একটি দৃশ্যের ক্লিপিং পোস্ট করা হয়েছিলো। সেই দৃশ্যের এমনই টান, যে আমাকে গোটা সিনেমাটা দেখিয়ে নিয়েছিলো। এই ধরুন মাস পাঁচ-ছয় আগে।

    কি ছিলো সেই দৃশ্যে?

    কে।কে।রায়না একজন উঠতি যশোপ্রার্থী কবি। ওম পুরী একজন সাংবাদিক। অমরীশ পুরীর পেশাটি ঠিক মনে পড়ছে না। সম্ভবতঃ প্রতিষ্ঠিত উকিল বা বিচারক। তর্কের বিষয় ছিল - একজন সার্থক সাহিত্যিক বা একটি সার্থক সাহিত্যসৃষ্টি হতে গেলে সেই সাহিত্যিক বা সেই রচনাটিকে রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন হতেই হবে?

    ওম পুরীর বক্তব্য ছিল - হ্যাঁ। রাজনৈতিক চেতনা না থাকার মানে সেই সাহিত্যিক বা সেই রচনা বালির গর্তে মুখ গুঁজে আছে। আসেপাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে সে বিষয়ের সম্মন্ধে সে বা তার রচনা উদাসীন। সাহিত্য অর্থে যে "সহিত" থাকে। এক্ষেত্রে সেই শর্ত লঙ্ঘিত না হলেও সম্পূর্ণ পালিতও হচ্ছে না। তাই তাকে সার্থক সাহিত্য বা রচয়িতাকে সার্থক সাহিত্যিক বলা যাবে না।

    কে।কে।রায়নার বক্তব্য ছিল - যে এরকম করে দাগানো যায় না। সাহিত্যের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই আছে সমাজের প্রতি, সমসাময়িকের প্রতি। কিন্তু যদি পারিপার্শ্বিক বা সমাজের উল্লেখ না থাকে তাহলে তাকে আর শিল্প/সাহিত্যই বলা যাবে না, এটা মানা যায় না। শিল্পের ওপর এইরকম কঠিন নিয়মের শেকল চাপাতে তার ঘোরতর আপত্তি। শিল্পের ওপর কোনো শর্তারোপ চলে না। সে যদি রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়, তো হবে, না হয়, তো না হবে।

    দুর্দান্ত উপভোগ্য তর্কযুদ্ধ ছিল, যদিও সিনেমার ঘটনার প্রবাহ সাপেক্ষে সেটি কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগেই কথোপকথনটি থেমে যায়।

    আজ ভাবলাম, তাহলে এখানে শুরু হোক। দেখতে পাই, প্রচুর মানুষ এখানে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের সুচিন্তিত মতামত পোষণ করেন। এ বিষয়েও হোক একটু সুস্থ তর্ক।

    তর্কের মূল বিষয় - একজন সার্থক সাহিত্যিক বা একটি সার্থক সাহিত্যসৃষ্টি হতে গেলে সেই সাহিত্যিক বা সেই রচনাটিকে রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন কি হতেই হবে?
  • সুকি | 785612.45.230123.7 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ১২:১৯382774
  • সার্থক সাহিত্য জিনিসটাই তো গোলমেলে। সাহিত্যে রাজনীতি না থাকলেও ক্ষতি নেই, আবার থাকলেই বা কি!
  • শঙ্খ | 340112.242.90090012.194 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৩৬382785
  • এককথায় উত্তরঃ না।
  • Ekak | 340112.124.566712.118 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:১২382796
  • হ্যা আবশ্যিক। তবে ,শিল্পের রাজনীতি আর রাজনৈতিক শিল্প দুটো আলাদা জিনিস। প্লেবিয়ন রা প্রথম টা না বুঝে দ্বিতিয় টা নিতে মাতামাতি করে।
  • dc | 127812.49.560123.199 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:২৮382807
  • হিন্দি সিনেমাটা দেখেছিলাম, ভালোই লেগেছিল। সিনেমাটায় যদিও শেষ পর্যন্ত এই তর্কের মীমাংসা হয়নি, তাও ওভারল স্টান্স ছিল যে সাহিত্য বা আর্টকে সার্থক হতে হলে তাতে রাজনৈতিক বক্তব্য বা দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে। মনে আছে, আজকাল আর গণশক্তিতেও বহু লেখক এরকমই লিখতেন যে রাজনৈতিক বক্তব্য না থাকলে সেটা সাহিত্যই না, আর্টিস্টের যদি রাজনৈতিক চেতনা না থাকে তো তিনি পাতে দেবার যোগ্য নন। সত্যজিত রায়কেও এই নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে, ওনার সিনেমাগুলোতে যথেষ্ট জোরালোভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে অনেকেই সত্যজিতবাবুকে বুর্জোয়া ইত্যাদি বলেছেন। সেদিক দিয়ে বরং রিত্বিক ঘটক একেবারে জোরালো রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন বলে উনি আজকাল আর গণশক্তির অনেক লিখিয়েরই প্রশংসা পেয়েছিলেন। রিত্বিকবাবুর নিজেরও এ নিয়ে কি যেন একটা বক্তব্য আছে (আমি ওনার সিনেমা দেখিনি, তাই বলতে পারব না)।

    আমার মনে হয় আর্টে রাজনৈতিক বক্তব্য থাকতেও পারে, নাও পারে। রাজনৈতিক বক্তব্য থাকলেও মহান হতে পারে, না থাকলেও মহান হতে পারে। আমার কাছে অ্যানিমাল ফার্মও মহত সাহিত্য, আবার সংস অফ ডিসট্যান্ট আর্থও মহত সাহিত্য।
  • pi | 2345.110.9004512.123 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ২১:২২382818
  • রাজনীতি মানে কি আগে ডিফাইন করা হোক।

    সিনেমাটা এককালে বেশ লেগেছিল। বিশেষ করে এই তর্কের দৃশ্যটা মনে ছিল। এই সেই দৃশ্য,
  • প্রতিভা | 238912.66.3423.125 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ২১:৪০382829
  • যে সাহিত্য পরিবর্তনের কথা বলে না, পচাগলা গন্ধের উৎস সম্বন্ধে সজাগ করে না, সে সাহিত্যের কিই বা কাজ!
    তবে রাজনৈতিক প্যামফ্লেট আর সচেতন সাহিত্য এই দুইয়ের মধ্যে তফাত তো কিছু আছে।
    ক্ষুরস্য ধারা।
  • | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ২২:১৯382840
  • আমার কাছে এককথায় উত্তর 'হ্যাঁ'.
  • dc | 127812.49.560123.199 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ২২:২১382851
  • টু থাউজ্যান্ড অ্যান্ড ওয়ানঃ এ স্পেস ওডিসি তে কোন পরিবর্তনের কথা নেই, পচাগলা গন্ধের উৎস সম্বন্ধেও কিছু লেখা নেই। তাহলে কি এই সাহিত্যের কোন কাজ নেই?
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ২২:৫৮382717
  • রাজনৈতিক রচনার কি একটু ইতিহাস, একটু সততা, একটু বানান, সামান্য সাহিত্য সচেতন হওয়া উচিত।
  • r2h | 232312.167.013412.178 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ২৩:০০382728
  • আচ্ছা, আবেগী প্রেমের পদ্য কি রাজনৈতিক ভাবে সচেতন? ধরা যাক, মৃদুল দাশগুপ্তের বিবাহ প্রস্তাব? আমি একট একটা পিস ধরে বিচার করতে চাইছি আরকি।
    'রাজনীতি মানে কি আগে ডিফাইন করা হোক' - এতে একমত। উচিত কিনা, না হয় কিনা - সেটাও আমার একটা প্রশ্ন।

    কেউ একজন দায়িত্ব নিয়ে একটা নিশ্ছিদ্র রাজনীতিহীন উপন্যাস লিখুন।
  • dc | 670112.203.90034.226 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ২৩:২১382739
  • কনসিডার ফ্লেবাস - থান ইঁটের মতো মোটা একটা উপন্যাস। রাজনীতির ছিটেফোঁটাও আছে বলে মনে হয়না।
  • S | 458912.167.34.76 | ২১ এপ্রিল ২০১৯ ২৩:৫০382750
  • এখানে অনেকেই ঠিক কথাগুলো বলেছেন। আমি বরন্চ একটু সামারি করে দেই।

    ১) রাজনীতি মানে কি আগে ডিফাইন করা হোক।

    - এইটা খুব গুরুত্বপুর্ণ। পেট্রিয়ার্কি, জেন্ডার পলিটিক্স, আর্বান-রুরাল ডিভাইড এগুলো-ও কিন্তু পলিটিক্স। বড়লোক ছেলের সাথে গরীব মেয়ের প্রেমেও পলিটিক্স আছে। বড়লোক মেয়ের সাথে গরীব ছেলের প্রেমেও পলিটিক্স আছে। আবার এই দুটোর মধ্যে একটা বিশাল পলিটিকাল পার্থক্য আছে।

    ২) ডিসিদা বলেছেন যে স্পেস ওডিসিতে কোন পরিবর্তনের কথা নেই।

    - আসলে স্পেস ওডিসির থেকে বেশি পরিবর্তন আর খুব কম সিনেমাতেই বোধয় আছে (আমি সিনেমাটাই দেখেছি)। পরিবর্তনের ফসলটাই তো দেখানো হচ্ছে। এবং সেই নিয়েই প্রশ্ন যে আমরা কি এই পরিবর্তন আদৌ চাই? ডিসিদা আরেকটু ভেবে দেখুন।

    ৩) বর্তমানে ইন্ডিয়াতে স্ট্যান্ড আপ কমেডি খুব চালু হয়েছে। তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি নাম করেছে জাকির খান। আমার খুব প্রিয়। জাকির খানের কমেডিতে কিন্তু পলিটিক্স একদমই নেই। তাহলে কি সেটাকে অ্যাপলিটিকাল বলবো। নাকি এটা ধরে নেবো যে এই কমেডিয়ানের জীবনের প্রত্যেকটা ব্যাপারে এতো সুক্ষ্ম অবজারভেশন, তিনি কোনো বিশেষ কারণে পলিটিক্স অ্যাভয়েড করেছেন। আমার তো মনে হয়েছে যে জাকির খানের কমেডিতে যে পলিটিক্স থাকেনা, সেইটাই একটা বড় পলিটিকাল স্টেটমেন্ট, আজকের দেশের পরিস্থিতির জানান দেয়। সময়ই বলবে।

    ৪) তবে এটাও ঠিক যে যখন আপনার সামনে এতো বড় অডিয়েন্স রয়েছে (সিনেমা, থ্যাটার থেকে সাহিত্য সবেতেই), তখন সেটাকে ব্যবহার না করাটা একটা মিসড চান্স। তবে আপনি কি সেরকম শিল্পকে শিল্প বলে মানবেন না? সেটা আপনার ব্যক্তিগত মত। আপনি সেটা কুশিল্প বা ধুরশিল্পও মনে করতে পারেন।

    আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে যে তিন ধরনের কাজেরই দরকার আছে। শুধুমাত্র আমোদের জন্যও শিল্প রচনা করা যেতে পারে। সেটা মানুষকে সেই শিল্পের কাছে আনে। একবার কাছে আসলে, তখন সেই মানুষ আরো অনেক রকমের সৃষ্টির খোঁজ করবেন। সেখানে কিছু শিল্পকর্ম থাকুক যেখানে সুক্ষ্ম ভাবে রাজনীতি ঢোকানো হয়েছে। এইটা খুব কাজে দেয় মানুষের মনে প্রশ্ন জাগাতে, অস্বস্তিতে ফেলতে, রাজনৈতিক ভাবে সচেতন করতে। এছাড়াও কিছু আউটরাইট পলিটিকাল কাজ কর্ম দরকার প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০৫382761
  • একেবারে গুহাযুগ থেকে মহাকাশ অভিযানের যুগে---একটা মহাকাব্যিক জিনিস স্পেস ওডিসি। ওই যেখানে মনোলিথের সামনে গুহাযুগের প্রায়্নগ্ন লোমশ মানুষেরা লাফাচ্ছে, পাথর ছুঁয়ে দেখছে ছিটকে সরে যাচ্ছে, সেইখান থেকে একেবারে লাফ দিয়ে চন্দ্রাভিযানের যুগে(সিনেমায় যা দেখিয়েছে তারচেয়ে বইটায় অনেক বেশি আছে, ওই গুহামানবদের আস্তে আস্তে নানা কিছু শেখাচ্ছিল মনোলিথ, ওরা ট্রান্সের মধ্যে শিখতো, গিঁট দিতে শিখতো, হাতের আঙুলগুলো দক্ষ হচ্ছিল, কিন্তু ট্রান্স থেকে বেরোলেই সব ভুলে যেত), তারপরে সম্ভবত একজন গুহামানব সচেতনভাবে কিছুব একটা শিখল, তাই থেকেই পরিবর্তন শুরু হল। (খুবই পিতৃতান্ত্রিক কাহিনি, যাই বলুন আর তাই বলুন, প্রায় সব ইম্পর্ট্যান্ট চরিত্র পুরুষ, মহিলারা সাইড শো, সে গুহাযুগেই হোক আর মহাকাশযুগেই হোক)
    তুলনায় নারায়ণ বাবুর বাংলা অনুবাদ "নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা" নামে, সেটা কম পিতৃতান্ত্রিক। ঃ-)
  • হু | 90090012.249.013423.112 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:১৮382769
  • কমোডে হাগু করার মদ্যেও পলিটিক্স আচে
  • aranya | 3478.160.342312.238 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৫২382770
  • শিল্পের রাজনীতি নিয়ে একক একটু লিখ, যদি সময় হয়
  • dc | 232312.164.2356.30 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:৪৬382771
  • স্পেস ওডিসিতে অবশ্যই পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, তা না হলে তো ওটা স্রেফ উপন্যাসই থেকে যেত, মহাকাব্য হয়ে উঠত না ঃ-)

    কিন্তু "যে সাহিত্য পরিবর্তনের কথা বলে না, পচাগলা গন্ধের উৎস সম্বন্ধে সজাগ করে না" - এই অর্থে পরিবর্তন বা পচাগলা গন্ধের কথা কিছু বলা হয়নি।

    সেই অর্থে কনসিডার ফ্লেবাসেও দুটো কনফ্লিক্টিং আইডিওলজির কথা বলা হয়েছে, কালচার সেরিজের পরের উপন্যাসগুলোতেও বলা হয়েছে, কিন্তু পচাগলা গন্ধ ইত্যাদি প্রসংগ আসেনি। অথচ কালচার সিরিজ এখনকার কাল্ট উপন্যাসগুলোর মধ্যে ধরা হয়।

    পাই ম্যাডাম যে ক্লিপটা দিয়েছে, সেখানে দেখুন ওম পুরি বলেছেন সাহিত্য বা আর্ট হওয়া উচিত হাতিয়ার। সরকারপক্ষ সারাক্ষন নিজের যে আইডিওলজি সাধারন মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র হওয়া উচিত সাহিত্য। রিত্বিক ঘটকও এরকমই কিছু একটা বলেছিলেন।

    অরিন্দমবাবু প্রশ্ন করেছেন, "একজন সার্থক সাহিত্যিক বা একটি সার্থক সাহিত্যসৃষ্টি হতে গেলে সেই সাহিত্যিক বা সেই রচনাটিকে রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন কি হতেই হবে"

    আমার মনে হয় রাজনৈতিক চেতনা বলতে যা বোঝানো হয়েছে, সেটা অনেক সাহিত্য়্কর্মেই ছিল না, কিন্তু তাতেও সেগুলো মহত সাহিত্য হয়ে উঠেছে। আমার মনে হয় আর্ট ফর আর্টস সেক হতেই পারে, আবার আর্টে রাজনীতিও আসতেই পারে, আর দুরকম আর্টই কালজয়ী হয়ে উঠতেও পারে।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৭:৫৯382772
  • কালিদাসের মেঘদূত , কালজয়ী। এই প্রসঙ্গেই মনে হয় রবীন্দ্রনাথ এরকম কিছু বলেছিলেন, কালিদাস যদি মেঘদূত না লিখে তৎকালীন কৃষকদের দুরবস্থা, তাদের উপরে রাজার অত্যাচার ইত্যাদি নিয়ে লিখতেন, তাহলে কী সাংঘাতিক কান্ড হত! ঃ-)
  • dc | 232312.164.2356.30 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:০৯382773
  • অথচ রবীন্দ্রনাথকে নিজেকেও অনেক সময়েই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে, উনি তো জমিদার ছিলেন, ওনার বেশীর ভাগ সাহিত্য কীর্তিই তাই রাজনীতি বিবর্জিত। গণশক্তিতে এরকম অনেক প্রবন্ধ লেখা হয়েছে (আপাতত লিংক নেই)।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:১১382775
  • হ্যাঁ, সেইজন্যেই তো ব্যাপারটা বুঝেছেন। ঃ-)
  • hu | 3478.58.6712.94 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:১৪382776
  • Name: হু

    IP Address : 90090012.249.013423.112 (*) Date:22 Apr 2019 -- 06:18 AM

    -----------------

    এটা আমি নই।
  • T | 342323.191.8912.47 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৮:১৭382777
  • হ্যাঁ একক একটু লিখুক নইলে এই থোড় বড়ি খাড়া শিশুতোষ আর নেওয়া যাচ্চে না।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:২১382778
  • মন দিয়ে খুঁজলে সব কিছুর মধ্যে রাজনীতি পাওয়া সম্ভব - কত্‌বেল থেকে রাফায়েল - সবকিছুতে।
  • i | 122312.44.890112.206 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:৫৬382779
  • এখানে দুটো কথা উঠেছে-সার্থক শিল্প আর রাজনীতি। কোন গল্প সার্থক শিল্প হ'ল কোন গল্প হ'ল না তা নিয়ে কত কথা কত তত্ত্ব কত বক্তৃতা প্রবন্ধাদি-সে আপনারা গুরুজনেরা সকলেই অবগত। আমার মাথায় ভারি কথা ঢোকে না, আমি শুধুই গল্প বুঝি। ছোটগল্প। আমার মনে কেবলই গুনগুন করে বলে যান সুভাষ ঘোষাল; বলে যান " শুধু গল্প বলা নয়, সেইসঙ্গে গল্প না-বলাও। শুধু কী বলব এই চিন্তাই নয়, সেই সঙ্গে কী বলব না এই দুশ্চিন্তাও।" বলে যান, "শ্রোতার মশারি, দর্শকের মশারি, পাঠকের মশারি পুড়িয়ে দিতে গেলে নৈঃশব্দের সামর্থ্য নিয়ে কতটা এগিয়ে যাওয়া যায় , তার ওপরেই নির্ভর করে সব-মুন্ডু থাকবে না যাবে সেই ভবিতব্য"। উচ্চকিত কথন নয়, না বলা টুকুই শিল্প গড়ে-নৈঃশব্দের সামর্থ্যই শেষ কথা বলে-এই বুঝি।
    আর রাজনীতি? রাজনীতি কি? আবার গল্পে ফিরি। সুভাষ ঘোষালের একটি গল্প 'রৌদ্রশূন্যতা'। গৃহবধূ কল্যাণী দুপুরে একলা ভাত খায় ঠান্ডা ঠান্ডা মেঝেয়, রোদহীন ঘরে। পুরোনো বন্ধু তার স্ত্রীকে নিয়ে আসবে নিমন্ত্রণে- কল্যাণী ঠিক করে, সবার খাওয়া হয়ে গেলে, হাঁড়িকুড়ি উঠিয়ে এনে সে আর বন্ধুপত্নীটি বারান্দার দু-ফুট রোদে পিঠ দিয়ে বসে খাবে । শেষ পর্যন্ত সে খেতে বসে ঐ খাবার ঘরেই। সবার খাওয়ার পরে, এঁটোকাঁটা না তুলেই। এক কোণে একা। তার স্বামী জল খেতে এসে স্ত্রীকে খেতে দেখে। শেষটুকু হুবহু কোট করিঃ
    'কল্যাণের মনে হল তার স্ত্রী একটা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসে আছে। আর তার হাতে এইমাত্র উঠে এসেছে পাঁপড়। কোথাও কোনো অস্বচ্ছতা নেই। খাবার ঘর থেকে বেরিয়ে শোবার ঘরে বা বসার ঘরে চলে যাবার পথে বারান্দা জুড়ে দু-ফুট রোদ পড়ে আছে। ঝ্কঝকে তকতকে রোদের মেঝে। নিজের হাতে নিকিয়েছিল কল্যাণী। কল্যাণ এত বছর ধরে রক্তের জগতে রক্তশূন্যতার কথা শুনে এসেছে। এত বছর বাদে সে রৌদ্রের জগতে রৌদ্রশূন্যতার কথা জানল।'
    রাজনীতি বলতে আমি এই ঠান্ডা ঘরের মেঝে আর বারান্দার রোদের দূরত্বটুকু বুঝি।

    আমার বোধে, এই শিল্প, এই রাজনীতি।
  • Wilson-Nabokov | 568912.112.455623.195 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:২২382780
  • When “Bend Sinister,” Nabokov’s novel about life in a totalitarian regime, was published in 1947, Wilson wrote to him with eye-opening condescension: “You aren’t good at this kind of subject, which involves questions of politics and social change, because you are totally uninterested in these matters and have never taken the trouble to understand them.” (There was something to this criticism—“My books,” Nabokov once boasted, “are blessed by a total lack of social significance.”)

    https://www.truthdig.com/articles/the-trickster-king-and-the-erudite-literalist/
  • রঞ্জন রায় | 238912.69.34900.189 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৫১382781
  • যে কোন মহৎ শিল্প , মানে যা নিজের সময় ও পারিপার্শ্বিকের উপর সন্ধানী আলো ফেলে, তা অবধারিত ভাবেই রাজনৈতিক হয়ে যায় । আমার ব্যক্তিগত মত হোল যে এটা আদৌ লেখকের সচেতন ইচ্ছের উপর নির্ভর করে না।
    নির্ভর করে জীবনের (মানুষের) যে ছবি সে তুলে ধরছে তার প্রতি সে কতটা সৎ, কতটা বিশ্বস্ত।
    ক্লাসিকগুলো দেখুন। রামায়ণ-মহাভারত? ইলিয়াড-অডিসি?
    তলস্তয়, দস্তয়েভস্কি ,চেখভকে কী বলবেন? আর কাফকা? টমাস মান? তুলনায় গোর্কির কিছু উপন্যাস (অসাধারণ ছোটগল্প আর আত্মজীবনী বাদ দিয়ে) কি অনেক ফিকে লাগে না ? অন্ততঃ আজকে?
    শেক্সপীয়র রবীন্দ্রনাথ?

    এখানে এককের প্রশ্নটি আমার কাছেপ্রাসংগিক। ইন্দ্রাণীর উদাহরণটিও।
    রাজনীতি বলতে কি আমরা কোন নির্দিষ্ট রাজনীতির কথা বলছি ? কোন নির্দিষ্ট ইডিওলজি? তাহলে আমার উত্তর না ।
    যদি জীবন ও সমাজ নিয়ে লেখকের কোন বক্তব্য বা স্ট্যান্ডের কথা ওঠে--- তাহলে হ্যাঁ।
    কথিত কমিটেড লিটারেচার অনেক ক্ষেত্রেই ইচ্ছাপূরণের গল্প বলে ডেটেড হয়ে যায় ।
  • de | 90056.185.673423.55 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৫৬382782
  • সাহিত্য যদি লেখকের রাজনৈতিক বোধ চাপিয়ে দেয়, তাহলে তা মহৎ সাহিত্য নয়। আবার রাজনীতির মধ্যে মিলিয়ে মিশিয়ে থাকে পারিপার্শ্বিক আর তৎকালীন সময়ের ছোঁয়ালাগা সমাজজীবন। তাকে অস্বীকার করেও ভালো সাহিত্য হওয়া মুশকিল।
  • কল্লোল | 1267.12.0178.162 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৪৪382783
  • "কল্যাণের মনে হল তার স্ত্রী একটা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসে আছে। আর তার হাতে এইমাত্র উঠে এসেছে পাঁপড়। কোথাও কোনো অস্বচ্ছতা নেই। খাবার ঘর থেকে বেরিয়ে শোবার ঘরে বা বসার ঘরে চলে যাবার পথে বারান্দা জুড়ে দু-ফুট রোদ পড়ে আছে। ঝ্কঝকে তকতকে রোদের মেঝে। নিজের হাতে নিকিয়েছিল কল্যাণী। কল্যাণ এত বছর ধরে রক্তের জগতে রক্তশূন্যতার কথা শুনে এসেছে। এত বছর বাদে সে রৌদ্রের জগতে রৌদ্রশূন্যতার কথা জানল।"

    এর মধ্যে লিঙ্গ রাজনীতি খুব ভীষণভাবেই আছে। এভাবেই তো রাজনীতি থাকার কথা।

    "প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আরও পাঁচ-ছ জন ওয়ার্ডার পরিতোষকে টানতে টানতে নিয়ে এলো আমাদের ওয়র্ডের সামনের শান বাঁধানো জায়গাটায়। দুজন পরিতোষের হাত আর পা টান করে ধরে রইলো আর বাকিরা খুব মোটা লাঠি দিয়ে পরিতোষের উপর রুটি বেলার মত করে বেলতে লাগলো। আমাদের চোখের সামনে পরিতোষ একটা কেঁপে কেঁপে ওঠা মাংসপিন্ড হয়ে গেলো। কতক্ষণ ধরে জানিনা তবে পরিতোষ যতক্ষণ একটুও কাঁপছিলো সারা জেল জুড়ে শরীরের সব শক্তি দিয়ে আমদের অসহায়তা ক্রোধ হয়ে ফেটে পড়ছিলো – শহীদ পরিতোষের প্রতিটি রক্তবিন্দুর বদলা চাই।"

    এভাবেই থাকতে হবে, তার কোন মানে নেই।

    কোন শিল্পে রাজনীতি "রাখতে" হয় না, রাজনীতি থাকে।

    পথের পাঁচালী, অপরাজিততে রাজনীতি আছে, আছেই। সাহিত্যেও আছে সিনেমাতেও আছে। সে রাজনীতি কলকাতা৭১এর মতো বা হারানের নাতজামাইয়ের মতো গোটা গোটা করে বলা নয়।

    ঢেউ উঠছে / কারা টুটছে / আলো ফুটছে / প্রাণ জাগছে জাগছে জাগছে - এটা রাজনীতি ও শিল্প।

    মোদের হাল ধরেছেন চেয়ারম্যন / দাঁড়ে চারু মজুমদার / বিল্প্বী তরণীখানি বাই রে - এটা রাজনীতি ও খারাপ শিল্প।

    এসবই আমার মত। অন্য মত থাকতেই পারে।
  • শিবাংশু | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৫৭382784
  • তর্কের পক্ষে-বিপক্ষে সবাই স্বাগত। এই বিষয়টি নিয়ে গুরুতেই বারবার মতবিনিময় (তর্ক বলবো না) হয়েছে। এই অধমও বারো-চোদ্দো বছর আগে এই বিষয়টিতে নিজস্ব অবস্থান জানাতে প্রথম গুরু'তে ঢুকেছিলো। এই জাতীয় আলোচনা থেকে কোনও গণসিদ্ধান্ত নেওয়া যায়না। একান্ত নিজস্ব ধারণাটি অবসর পেলে টাইপ করে যাওয়া যায় মাত্র।

    'রাজনীতি' মানে আমার কাছে একটি ব্যক্তি মানুষ বা একটি গোষ্ঠীর সামাজিক অবস্থান। মানুষের 'দায়' শিল্প সৃষ্টি করা। মহৎ শিল্পী সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শিল্পসৃষ্টি করেন। 'অনুপ্রেরণা' একটা তাৎক্ষণিক অনুভূতি। প্রতিটি মানুষ বাঁধা আছে তার শ্রেণীগত মূল্যবোধ ও শ্রেণীস্বার্থের টানাপড়েনের অন্তহীন চাপে। শিল্পীদের কাছে আমরা আশা করি তাঁরা শ্রেণীস্বার্থের উপরে উঠে নবতর মূল্যবোধের প্রতি আমাদের সচেতন করবেন। সময়ের আপেক্ষিকতার ব্যাপারটা সব মানুষই জানে অল্পবিস্তর। জানে সবই বদলে যায়। কিন্তু শ্রেণীস্বার্থে ঘা লাগলে ঘড়ির কাঁটা উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেবার জন্য মানুষের আকুলতাও অনিঃশেষ। তথাকথিত 'ধর্মগুরু'রা এইসব মানুষদের নেতৃত্ব দেন। কিন্তু শিল্পীরা আমাদের এই বিপর্যয়ের থেকে উদ্ধার হবার পথ দেখান। 'পচাগলা গন্ধের উৎস' সম্বন্ধে আমাদের সচেতন করেন। আমাদের 'ইঁদুরের মতো মরে যাওয়ার' সংকট থেকে ফিরে দাঁড়ানোর ডাক দেন। শিল্পের কাজ আশাবাদকে কর্ষণ করা।

    স্বঘোষিত 'রাজনীতিসচেতন' বাঙালি জাতির রাজনীতি বলতে বোঝায় কয়েকটি বাইনারি প্রবণতা। সেই 'মুদিকে ভোট দিবিনাতো কি পাপ্পুকে দিবি' গোছের বড়বাজারি 'যুক্তি'। শিল্পে রাজনীতির স্বরূপ খুঁজতে গিয়ে একই সেট থিওরির বোলবালা। আগের বার এই পাতায় আমাকে কেউ জীবনানন্দের কয়েকটি লাইন তুলে প্রশ্ন করেছিলেন এর মধ্যে 'রাজনীতি' কোথায়? রঞ্জনের কিছু মনে থাকতে পারে। এই অধম যেমন মনে করে প্রতিটি সামাজিক মানুষই একটি 'রাজনৈতিক' অস্তিত্ব। 'সাহিত্য' শব্দটিই তো 'সহিত' থেকে এসেছে। অপরের সহিত বিনিময়, যোগাযোগ, স্পর্শের মাধ্যমই সাহিত্য। যখনই এই 'অপর' ফ্যাক্টরটি এসে যাচ্ছে, কেউ 'রাজনীতি' নিরপেক্ষ হয়ে থাকতে পারেনা। কারণ আমাদের মূল্যবোধের শিকড় রয়েছে মানুষের আবহমান রাজনীতি সচেতনতার মধ্যে। তার তাৎপর্য ব্রিগেড, চোঙা, ছাপ্পা, পাইপগান জাতীয় বিড়ম্বনার সঙ্গে মেলেনা।

    এতো বৃহৎ, বহুমুখী, সুদূরপ্রসারী একটি প্রশ্নকে নিয়ে বাইনারি অবস্থানে আসতে পারার তৃপ্তি তো আমার এখনও নসিব হলোনা। যাঁদের হয়েছে, সেই সব পরাক্রমী মানুষদের দূর থেকে সেলাম জানাই। কাছে গেলেই তাঁরা হয়তো আমার থেকে 'এই উদাসি হাওয়ার পথে পথে মুকুলগুলি ঝরে' উক্তির মধ্যে কোন 'রাজনীতি' আছে জানতে চাইবেন। খুদা কসম, সত্যিই কিছু বলতে পারবো না।
  • কল্লোল | 1267.12.0178.162 | ২২ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:২৬382786
  • "কিন্তু শ্রেণীস্বার্থে ঘা লাগলে ঘড়ির কাঁটা উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেবার জন্য মানুষের আকুলতাও অনিঃশেষ। তথাকথিত 'ধর্মগুরু'রা এইসব মানুষদের নেতৃত্ব দেন।"
    শিবাংশু হে! সেও তো রাজনীতি। শিল্প কি শিল্প নয়, বা ভালো শিল্প কি খারাপ শিল্প সে তো অন্য বিচার। কিন্তু শিল্প হোক বা না হোক রাজনীতি তো বটেই।

    এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে মুকুলগুলি ঝরে;
    আমি কুড়িয়ে নিয়েছি, তোমার চরণে দিয়েছি--
    লহো লহো করুণ করে॥
    যখন যাব চলে ওরা ফুটবে তোমার কোলে,
    তোমার মালা গাঁথার আঙুলগুলি মধুর বেদনভরে
    যেন আমায় স্মরণ করে॥
    বউকথাকও তন্দ্রাহারা বিফল ব্যথায় ডাক দিয়ে হয় সারা
    আজি বিভোর রাতে।
    দুজনের কানাকানি কথা দুজনের মিলনবিহ্বলতা,
    জ্যোৎস্নাধারায় যায় ভেসে যায় দোলের পূর্ণিমাতে।
    এই আভাসগুলি পড়বে মালায় গাঁথা কালকে দিনের তরে তোমার অলস দ্বিপ্রহরে॥

    এই সমর্পনের আকুতিতে একটা বিষয় খুব আবিল করে দেয় - সেটা লিঙ্গনিরপেক্ষতা। সেটাও তো রাজনীতি। রবিঠাকুরের কালে এসব কাথা একটা ছেলে একটা মেয়ের জন্য ভাবছে, সেটাই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু গানটা এমনভাবে লেখা যাতে এটা একটা মেয়ের আকুতিও হতে পারে। এই যে উভয়কেই কর্তা হিসাবে স্থান দেওয়া। এও তো রাজনীতিই - সচেতন বা অচেতনভাবে।
    তার মানে এই নয় যে রবিঠাকুরের সব লেখাই লিঙ্গনিরপেক্ষ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন